Blog

  • আশাশুনির বেড়িবাঁধ ভেঙে চিংড়ি ঘেরে ক্ষতি সাড়ে ১৩ কোটি টাকা

    আশাশুনির বেড়িবাঁধ ভেঙে চিংড়ি ঘেরে ক্ষতি সাড়ে ১৩ কোটি টাকা

    সাতক্ষীরার আশাশুনির বিছট গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবে) বেড়িবাঁধ ভেঙে ৬টি গ্রামের প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমির আয়তনের ৪৫০ থেকে ৫০০টি চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে চাষীদের প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

    একই সাথে ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও প্রায় দেড় হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালিন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাবিত এলাকার প্রায় ৬শ ঘরবাড়ি।

    এদিকে বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভাঙনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আনুলিয়া ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী নয়াখালী গ্রাম। জোয়ারের পানিতে এই গ্রামের প্রায় সব ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ধসে পড়েছে গ্রামের প্রায়সব মাটির ঘর। গোবাদি পশু ও হাঁস মুরগিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী। ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে এই গ্রামের বাসিন্দারা। এই অবস্থায় গত রাতে গ্রামে ডাকাত দল ঢুকেছিল বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। এছাড়া ইউনিয়নের বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, চেঁচুয়া ও কাকবসিয়া গ্রামের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় সেখানে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। তলিয়ে গেছে মিষ্টিপানির পুকুর। লোনা পানিতে পুকুরের মাছ মরে এলাকায় দুগন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সড়কের উপর বা আশে পাশের উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।

    নয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মাওঃ আতাউর রহামন জানান, বিগত সরকারের সময় গত ১৬ বছর আমাদের এই এলাকায় সঠিকভাবে কোন বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি। যে কারণে বাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নয়াখালী গ্রামের সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি সব ভেসে গেছে। গ্রামের মানুষ বেড়িবাঁধের উপর খোলা অকাশের নিচে অসহায় অবন্থায় রয়েছে। খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীর মধ্যে ডায়েরিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসনের আগে থেকে নজরদারি থাকলে আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না। এর মধ্যে গ্রামে ডাকাত শুরু হয়ে গেছে। নদীর পানির সাথে যুদ্ধ করে এই এলাকার মানুষ কোন রকমে বেঁচে আছে। এই এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে তিনি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আর্কষন করেন।

    অন্যদিকে পানিবন্দি পরিবারগুলো বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দুর্গতদের সহায়তায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড , জামায়াত ও বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথকভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছ। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।

    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী জানান, বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাতি এলাকার প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমির আয়তনের ৪৫০ থেকে ৫০০টি চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে চাষীদের প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই সাথে ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও প্রায় দেড় হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালিন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাবিত এলাকার প্রায় ৬শ ঘরবাড়ি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে।

    প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল পৌনে ৯ টার দিকে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার পাশ থেকে প্রায় দেড়’শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়ে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, নয়াখালী, চেঁচুয়া ও কাকবসিয়া গ্রাম। এর মধ্যে নয়াখালী গ্রাম সম্পূর্ন প্লাবিত হয়ে পড়ে। বাকি গুলোর নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

    বেড়িবাঁধ ভাঙনের ৪৮ ঘন্টা পর বুধবার (২এপ্রিল) সকালে ভাঙন পয়েন্টে আধুনিক জিও টিউব দিয়ে একটি বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। টানা তিনদিন বিরতিহীনভাবে কাজ করার পর শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙন পয়েন্টে আধুনিক জিওটিউব দিয়ে বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে ওইদিন দুপুরের জোয়ারে খোলপেটুয়া নদীর লোনা পানি আর লোকালয়ে ঢুকতে পারেনি। এত করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে প্লাবিত এলাকার মানুষ।

  • শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না: যুবদল নেতা আমিন

    শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না: যুবদল নেতা আমিন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষার্থীরা পাস করে চাকরির জন্য নেতাদের পেছনে ঘুরতে হবে না। লেখাপড়া শেষ করলেই যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। একটি দেশের ক্ষতি করতে হলে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হয়। আর আওয়ামী লীগ সেটাই করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাখাত চালাতো।
    শনিবার  (৫ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রতনপুর, ধলবাড়িয়া,মথুরেশপুর  বাজার সহ বিভিন্ন  এলাকায় গিয়ে ঈদ পরবর্তী তৃণমূলের সাধারণ মানুষের কাছে তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে এসব কথা বলেন  যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন।
    তিনি বলেন, আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে। যার ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন উদ্যোগও নিয়েছিলেন তিনি। বিএনপি আগামী দিনে ক্ষমতায় এলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে শিক্ষাখাতে। বিএনপি এই ভেঙে পড়া শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
    তিনি আরও বলেন, মাফিয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে, সে বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী সকল সূর্য সৈনিককে এক্যবদ্ধ থেকে মাফিয়া ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদেরকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করতে হবে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক প্রভাষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন ও সদস্য সচিব আরিফুর রহমান ছোটন,উপজেলা জাসাসের আহবায়ক মোঃ মুরশীদ আলী, উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোঃ আঃ সালাম ও আমজাদ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম, পরিশেষে কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদ্য সাবেক আহবায়ক ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সন্মানিত সদস্য  শেখ এবাদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির  সদ্য সাবেক সদস্য সচিব ডা: শেখ শফিকুল ইসলাম বাবু ও উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ সেলিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
  • কিষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী স্কুলে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

    কিষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী স্কুলে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন দুই এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে অবস্থিত কিষান মজদুর ইউনাইটেড একাডেমী হাইস্কুলে ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে “প্রাণের মাঝে আয়” শিরোনামে একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় উক্ত স্কুলের নবীন-প্রবীণ, বর্তমান-প্রাক্তন সকল ছাত্র-ছাত্রী সহ শিক্ষক বৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর বাসুদেব কুমার বসু, প্রিন্সিপাল সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ, এসব ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, অব: অধ্যক্ষ শ্যামনগর আতরজান মহিলা কলেজ, স ম তুহিন, প্রকাশক ম্যানগ্রোভ পাবলিকেশন্স এছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য গুণীজন।

  • আশাশুনিতে যুগল প্রেমিকার আত্মহত্যা

    আশাশুনিতে যুগল প্রেমিকার আত্মহত্যা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:

    আশাশুনিতে যুগল প্রেমিকার গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিক বিষপান করেছেন। তার অবস্থা আশঙ্কজনক। এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়া গ্রামে। জানা গেছে উত্তর চাপড়া গ্রামের আল-আমিন সানার স্ত্রী মনিরা খাতুন (২৪) ২সন্তানের জননী এর সঙ্গে একই গ্রামের শাহজাহান গাজীর ছেলে শাহ আলম (২২) এর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের ঘটনা জানাজানি হলে মনিরা’র স্বামী আল-আমিনের মা বিষয়টি প্রায় তাকে জানাত কিন্তু ছেলে আল-আমিন সেটা বিশ্বাস করত না। একপর্যায়ে গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে আল আমিনের স্ত্রী তার প্রেমিকের হাত ধরে ঈদের মার্কেট করতে বুধহাটা বাজারে যায়। ফিরে আসার পর শাশুড়ি ও স্বামী জানতে পেরে বিষয়টা জিজ্ঞাসা করা নিয়ে তর্ক তর্কির এক পর্যায়ে সকলের অজান্তে গভীর রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর শুনে প্রেমিক বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন বুঝতে পেরে দ্রুত উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নিহত মনিরার স্বামী জানান আমার স্ত্রী শাহ আলমের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। গতকাল তারা দুইজন বুধহাটা থেকে ঈদের কাপড়-চোপড় কিনে নিয়ে বাড়ি ফেরে এই কথা জিজ্ঞাসা করাকে কেন্দ্র করে অভিমান করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধারপূর্বক শ্রুতহল রিপোর্ট তৈরি করে পোস্টমেটামের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান থানায় এই সংক্রান্ত ৯(২৯)৩ নং একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়ে

    ছে।

  • জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা কানাডার ট্রাইব্যুনালের

    জামায়াতকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা কানাডার ট্রাইব্যুনালের

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এবং তারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড (আইআরবি)। এই রায় ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্ট (আইআরপিএ) এর ধারা ৩৪(১)(এফ)-এর আওতায় কানাডার সরকারের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

    এ সিদ্ধান্তটি আসে ২ বছর ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের পর, যা ২০২২ সালে কানাডার বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সির (সিবিএসএ) একটি প্রতিবেদনের পর শুরু হয়েছিল। সিবিএসএ অভিযোগ করেছিল- জনৈক রহমান নামে এক ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রোকন) হওয়ার কারণে কানাডায় প্রবেশের অনুপযুক্ত। কারণ সিবিএসএর মতে জামায়াত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। তবে, ট্রাইব্যুনাল আজকের রায়ে এ অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন।

    এ রায়ের গুরুত্ব খুব বেশি। আইআরবির এ সিদ্ধান্তটি শুধু উক্ত রহমানের জন্যই নয়, বরং জামায়াতে ইসলামীর সুনামের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ ও নজিরবিহীন রায় বলে বিবেচিত হচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল দুটি পূর্ণাঙ্গ দিবস এবং অতিরিক্ত আরও আড়াই দিন শুনানি পরিচালনা করে। কয়েক হাজার পৃষ্ঠার নথিও এ সময় পর্যালোচনা করা হয়।

    এছাড়া, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসবাদ ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়, যাদের সবাই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সাক্ষ্য দেন।

    ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করা হয়

    সন্ত্রাসবাদের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই: রায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।

    বিশ্বখ্যাত বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য গ্রহণ: তিনজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষক এই মামলা চলাকালে সন্ত্রাসবাদ, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক আন্দোলন, ও ইসলামী সংগঠনগুলোর বিষয়ে শপথ নিয়ে সাক্ষ্য দেন, যা বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং ধারাবাহিক বলে প্রমাণিত হয়।

    রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষনে জানিয়েছে যে, জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের শিকার হয়ে আসছে, বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে যারা ভিন্ন আদর্শ লালন করেন তারা জামায়াতের বিষয়ে বহু বছর ধরেই প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছেন।

    ২০২৪ সালের আগস্টের বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।

    আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতি: এই রায় কানাডার ন্যায়বিচার, সততা ও সুবিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে এবং উল্লেখ করেছে যে কোনো সংগঠনকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক চাপ বা বিদেশি সরকারের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সন্ত্রাসী ঘোষণা করা যায় না।

    জামায়াতে ইসলামীর জন্য আইনি বিজয়

    মামলায় জামায়াতে ইসলামীকে সফলভাবে প্রতিনিধিত্ব করেন ওডব্লিউএস ল-এর ব্যারিস্টার ওয়াশিম আহমেদ। এই রায় সম্পর্কে তিনি বলেন,“এই রায় জামায়াতে ইসলামী আইনি মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বিজয়। এটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে অভিযোগগুলোর ভিত্তি হতে হবে বাস্তব প্রমাণ এবং নিরপেক্ষ মূল্যায়নের ওপর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নয়।”

    গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া লিখিত সিদ্ধান্তে রহমানকে সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ ঘোষণা করা হয় এবং সিবিএসএর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করা হয়। এ রায় ভবিষ্যতে অনুরূপ মামলাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করবে। কারণ অনেক সময়ই দেখা যায়, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

  • বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ট্রাম্পের, সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

    বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ট্রাম্পের, সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুত্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা বার্তাটি প্রকাশ করা হয়েছে।

    শুভেচ্ছা বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে, আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই পরিবর্তনের সময় বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বর্ধিত নিরাপত্তার জন্য সক্ষমতা তৈরির একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। আসন্ন এই গুরুত্বপূর্ণ বছরে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আমাদের সম্পর্ক জোরদার করার সাথে সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পারব এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে পারব। এই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আপনার এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।

    মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। মুহাম্মদ ইউনূসের এই সফর প্রতিবেশী ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কী প্রভাব রাখবে তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে।

  • সাতক্ষীরায় কাজী আহসান হাবিব সম্রাটের আয়োজনে পথচারীদের ইফতার বিতরণ

    সাতক্ষীরায় কাজী আহসান হাবিব সম্রাটের আয়োজনে পথচারীদের ইফতার বিতরণ

    পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে দুস্থ, অসহায় ও পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহবায়ক কাজী আহসান হাবিব সম্রট। বুধবার (২৬ মার্চ) বিকালে খুলনা রোড মোড়ের আসিফ চত্তরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই ইফতার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহবায়ক কাজী আহসান হাবিব স¤্রট । সমাজের অসহায় হত-দরিদ্রদের মাঝে এই ইফতার বিতরণ করা হয়।
    ইফতার বিতরণ সাতক্ষীরা জেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহবায়ক কাজি আহসান হাবিব সম্রট বলেন, আমরা আজ এখানে বিএনপি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ইফতার বিতরণ করেছি। তারেক রহমানের নির্দেশিত পথে থেকে সমাজের যে কোনো জনসেবা মূলক কাজে কৃষকদল সবসময় কাজ করে যাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন,পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক এম আব্দুল রাজ্জাক,সাতক্ষীরা সদর মৎস্যজীবি আহবায়ক মোঃ আরাফাত হোসেনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ 

    সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর সিনিয়র শিক্ষক মোঃ শফিউল ইসলাম, ওয়াহিদা সুলতানা, মোঃ রবিউল ইসলাম, শেখ তাজুর রহমান, মোঃ আসাদুজ্জামান, হারাধন কুমার আইচ, স.ম ওয়ালিদুর রহমান, মোস্তফা মনিরুজ্জামান, বিবেকানন্দ কবিরাজ, মোঃ খোরশেদ আলম, দীপা সিন্ধু তরফদার, মো. মমতাজ হোসেন, পলাশ কুমার সিংহ, সৌমিত্র কুমার মন্ডল প্রমুখ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে যথাযথ সম্মান প্রদর্শনে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন ইভেন্ট বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) হেদায়েতুল্লাহ পলাশ ।
  • সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

    সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ)সকালে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যথাযথ মর্যাদা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুচকাওয়াজ, তিনটি গ্রুপে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট , ও আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম টুকু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারী প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান,সিনিয়র শিক্ষক জিএম আলতাব হোসেন, ইয়াহিয়া ইকবাল, জি.এম আলতাফ হোসেন, খান মাকসুদুর রহমান, শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুর র‌উফসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গাজী মমিনউদ্দিন।
  • ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক সাতক্ষীরা পরিবহন কাউন্টারে মনিটারিং

    ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক সাতক্ষীরা পরিবহন কাউন্টারে মনিটারিং

    সাতক্ষীরা জেলা ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিআরটিএ’র সমন্বয়ে গঠিত ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক সাতক্ষীরার ঢাকা গামি সকল পরিবহন কাউন্টারে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ব্যতীত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে কিনা, যাত্রীদের সাথে আচার-আচারণ ও ভালো ব্যবহার হচ্ছে কিনা মনিটারিং শুরু হয়েছে।
    ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক বুধবার (২৬ মার্চ ‘২৫) সকালে শহরের সঙ্গীতা সিনেমা হলের সামনে অবস্থিত পরিবহন কাউন্টার গুলোতে ভাড়া সংক্রান্ত মনিটরিং করা হয়।
    বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কে এম মাহবুব কবীর জানান, সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ ভাবে মানুষের ঘরে ফেরা ও চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আলোকে বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন এর নির্দেশনা ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মোঃ জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে এবং সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাসের পরিচালনায় ভিজিলেন্স টিম কর্তৃক পরিবহন কাউন্টার গুলোতে পুলিশ পরিদর্শক (ট্রাফিক) শাহাবুদ্দিন, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম, ট্রাফিক সার্জেন্ট নাজমুল, বিআরটিএ’র উচ্চমান সহকারী মোঃ নাসির উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও আগত যাত্রী সাধারণগনের সাথে ভালো আচরণ হচ্ছে কিনা এ সকল বিষয়ে মনিটারিং করা শুরু হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন, এ টিমের কার্যক্রম আসন্ন ঈদুল ফিতর ও ঈদ পরবর্তী কার্যক্রম চলমান থাকবে।
  • সাতক্ষীরা আয়েনউদ্দীন মাদ্রাসায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

    স্টাফ রিপোটার: সাতক্ষীরা আয়েনউদ্দীন মহিলা আলিম মাদ্রাসার উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোকিত এই দিনে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাতবরণকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সালাম জানিয়ে মাদ্রাসা মিলনায়তনে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান।
    সাতক্ষীরা আয়েনউদ্দীন মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে শ্রদ্ধা জানিয়ে আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান হয়।

  • চার গোলে ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করলো আর্জেন্টিনা

    চার গোলে ব্রাজিলকে বিধ্বস্ত করলো আর্জেন্টিনা

    ম্যাচের আগে কিংবদন্তি রোমারিওকে ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া বলেছিলেন এই ম্যাচ ব্রাজিল অবশ্যই জিতে ফিরবে। রাফিনিয়া নিজেও গোল করবেন বলেই পণ করে এসেছিলেন। কিন্তু এস্তাদিও মনুমেন্টালে রাফিনিয়াকে মাঠে খুঁজে পাওয়াটাই ছিল একটা আলাদা মিশন। অবশ্য রাফিনিয়া একাই না, আর্জেন্টিনার দাপুটে ফুটবলের ভিড়ে ব্রাজিলের কাউকেই সেভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি পারফরম্যান্স বিবেচনায়।

    ম্যাচের প্রথমার্ধেই অনেকটা গল্প লেখা হয়ে গিয়েছিল এই ম্যাচের জন্য। শুরুর ২০ মিনিটের মাঝেই ব্রাজিলের জালে আর্জেন্টিনার দুই গোল। ৪৫ মিনিট যখন পার হচ্ছে, তখন ব্রাজিল পিছিয়ে ৩-১ গোলে। আর দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের ক্ষতটা আরেকটু বাড়িয়ে দেন বদলি নামা গুইলিয়ানো সিমিওনে।

    ম্যাচে নামার আগেই আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিতের খবর পেয়েছিল। আর সেটাকে তারা উদযাপন করলো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। আর্জেন্টিনার হয়ে স্কোরশিটে উঠেছে হুলিয়ান আলভারেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ এবং গুইলিয়ানো সিমিওনের। ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোল ম্যাথিয়াস কুনহার।

    এস্তাদিও মনুমেন্টালে আর্জেন্টিনার প্রথম দুই গোলই এসেছে পারফেক্ট টিম প্লের সুবাদে। ম্যাচের ৪ মিনিটেই ডি পলের পাস ধরে বামপ্রান্তে আক্রমণে যান নিকোলাস টালিয়াফিকো। তার দারুণ পাস খুঁজে নেয় থিয়েগো আলমাদাকে। ছন্দে থাকা এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ডিফেন্সচেরা পাস থেকে গোল করেন আলভারেজ৷ দুই ডিফেন্ডারের মাঝে বল পেয়ে গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি আলভারেজের।

    খানিক বাদে ফের ব্রাজিলের রক্ষণে ফাটল ধরায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার একাই অনেকটা পথ পার করেন ব্রাজিলের অর্ধে। সেখান থেকে আলভারেজের পা ঘুরে বল যায় নাহুলের মলিনার কাছে। ডানপ্রান্তের ক্রস থেকে সহজ ফিনিশ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। ১২ মিনিটের মধ্যেই ২ গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

    ঘড়ির কাঁটায় ৩০ মিনিট পেরুবার আগেই অবশ্য এক গোল শোধ করে ব্রাজিল। ইংলিশ ক্লাব উলভসে দারুণ সময় কাটানো ফরোয়ার্ড ম্যাথিয়াস কুনহা নাম তোলেন স্কোরশিটে। ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো বল পায়ে পজিশন হারান কুনহার প্রেসিংয়ের কাছে। সেখান থেকে ঠান্ডা মাথায় ফিনিশিং।

    আর্জেন্টিনার ২ গোলের লিড ফিরে পেতে সময় লেগেছে মোটে ১১ মিনিট। এবারে স্কোরশিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের নাম। কর্নার থেকে ফেরত আসা বলে মাপা এক চিপ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। ৬ গজের ছোট বক্সের সামনে তাতে আলতো পা ছুঁয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন ম্যাক অ্যালিস্টার।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজেদের চতুর্থ গোল পেতে পারতো আর্জেন্টিনা। ৪৯ মিনিটে ব্রাজিলের রক্ষণের ভুলেই ভাসানো বল পেয়েছিলেন আলভারেজ। ডি-বক্সের লাইন থেকে চিপটাও করেছিলেন মাপা। কিন্তু এই দফায় ব্রাজিলের গোলরক্ষক বেন্তো ছিলেন দারুণ। খানিক পিছিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন তিনি।

    ৬০ মিনিটে নিকোলাস টালিয়াফিকোর হেড গোলবারে বাতাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৬৮ মিনিটে আর্জেন্টিনা একাদশে আসে পরিবর্তন। আলমাদার বদলে মাঠে নামেন গুইলিয়ানো সিমিওনে। মাঠে নেমে গোল করতে তার দরকার ছিল তিন মিনিট।

    নিজেদের অর্ধ থেকে এনজো ফার্নান্দেজের তড়িৎগতির ফ্রি-কিক খুঁজে নেয় টালিয়াফিকোকে। সেখান থেকে বক্সে পাস ছিল ম্যাক অ্যালিস্টারের দিকে। আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার মিস করলেও বল যায় সিমিওনের দিকে। দূরহ কোণ থেকে তার নেয়া শট ঠেকাবার কোনো উপায় ছিল না বেন্তোর সামনে। স্কোরলাইন তখন ৪-১। ২০১২ সালে লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিক করা সেই ম্যাচের পর এবারই প্রথম আলবিসেলেস্তেদের কাছে ৪ গোল হজম করল ব্রাজিল।

    ৭৭ মিনিটে গোলের কাছাকাছি গিয়েছিলেন রাফিনিয়া। তার ফ্রিকিক গোলবার স্পর্শ করে বেরিয়ে যায়। খানিক পরেই পারেদেসের দূরপাল্লার শট দক্ষতার সাথে ফিরিয়ে দেন বেন্তো। শেষ পর্যন্ত আর কোনো দলই বল জালে না জড়ালে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।

  • একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়,

    একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়,

    একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

    বুধবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। তার অভিযোগ, যারা একাত্তর আর চব্বিশকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাতে চায় তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়।

    নাহিদ আরও বলেন, ক্ষমতায় বসার জন্য যদি নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয় তা মানা হবে না। একদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে বলেও জানান তিনি।

    এছাড়া সংবিধান আঁকড়ে রেখে পুরোনো বন্দোবস্তেই দেশকে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ নাহিদ ইসলামের। এর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এনসিপি নেতারা।

  • সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু

    সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু

    সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যুবক রিপন সরকার (২০) মারা গেছে। খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ মার্চ) ভোর রাত দেড়টার দিকে সে মারা যায়।

    নিহত রিপন সরকার সাতক্ষীরা পৌর শহরের পারকুখরালী এলাকার স্বপন সরকারের ছেলে।

    এর আগে সোমবার (২৪ মার্চ) বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছাতিন ইশরাক (১৯) নামের এক যুবক।

    গুরুতর আহত অবস্থায় খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে শহরের পারকুখরালী এলাকার সুশীল মাস্টারের ছেলে চন্দন (২০)।

    এর আগে সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় দ্রুতগতির একটি ট্রাক মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ছাতিন ইশরাক, রিপন সরকার ও চন্দন নামে তিন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়।

    স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে বিকালে তাদের তিনজনকে খুলনায় পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ছাতিন ইশরাককে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং চন্দন ও রিপনকে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে ছাতিন ইশরাক মারা যায়।

    এদিকে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাত দেড়টার দিকে মারা যায় রিপন সরকার। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ সাতক্ষীরায় আনা হবে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা

    সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি পুলিশ সুপারের শ্রদ্ধা নিবেদন

    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি পুলিশ সুপারের শ্রদ্ধা নিবেদন

    মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
    বুধবার (২৬মার্চ) সকালে তিনি সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    এসময় পুষ্পস্তবক অর্পণের শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ পুলিশদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব মুকিত হাসান খাঁন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ),জনাব  শেখ ইমরান হোসেন বিপিএম, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ,বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ, সুধীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
  • সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন

    সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। এইচ এম রহমাতুল্লাহ পলাশকে আহ্বায়ক ও আবু জাহিদ ডাবলুকে সদস্যসচিব করে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে যারা আছেন- যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসান হাদী, তাজকিন আহমেদ চিশতি, ড. মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুল ইসলাম, সদস্য এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, আব্দুল আলিম, হাবিবুর রহমান হাবিব, শেখ তারিকুল হাসান, মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, অধ্যক্ষ রইচ উদ্দিন, মো. আব্দুর রশিদ, সম হেদায়েতুল্লাহ, জিএম লিয়াকত আলী, শেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ এবাদুল ইসলাম, মৃণাল কান্তি রায়, মহিউদ্দীন সিদ্দিক, শের আলী, সোলাইমান কবির, অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন, আব্দুর রকিব মোল্ল্যা, ইঞ্জি: মো. আয়ুব হোসেন, এড. নুররুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন, আশেক এলাহী মুন্না, আসাফুর রহমান তুহিন, অধ্যাপক আতাউর রহমান ও মো. নুরুজ্জামান।

    প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির পূর্বের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে এইচ এম রহমাতুল্লাহ পলাশকে আহ্বায়ক ও আবু জাহিদ ডাবলুকে সদস্যসচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি : প্রধান উপদেষ্টা

    বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি : প্রধান উপদেষ্টা

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র ও গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়ে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বাধীনতা যুদ্ধে সব বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।

    তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কার পেলে যে আনন্দ, দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য; তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেন আগামীতে একটা নিয়ম করতে পারি, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার তাদের পালা শেষ করে দিয়ে যারা জীবিত অবস্থায় আছেন তাদেরকে যেন পুরস্কার দেই। তাদের প্রতি সম্মানটা আমরা দেই। তারা আমাদের জাতিকে মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পুরস্কার দিয়ে আমরা শুধু তাদেরকে সম্মানিত করছি না। আমরা বরং জাতি হিসেবে নিজের সম্মান তাদের মাধ্যমে পাচ্ছি। তারা প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহুল পরিচিত। তারা জাতির জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তাদের জীবদ্দশায় স্মরণ করতে না পারলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবো। যাদেরকে আমরা এই সম্মান দিতে চাই, যথাসময়ে আমরা যেন তা দেই।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান বলেন, কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই বছর সরকার ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তারা সবাই বাংলার সূর্যসন্তান।

    পুরস্কারপ্রাপ্তদের স্মরণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম একজন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী। পৃথিবীর নামকরা সব বিজ্ঞানীরা তাকে চেনেন। তিনি সবসময় প্রকৃতি ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল কবি। তার কবিতা বহু কবি, লেখক, পাঠককে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ও এর পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। লন্ডনের ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি ব্র্যাক গড়েছিলেন। প্রান্তিক গরিব মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ বহুমুখী কাজে ব্র্যাক এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

    লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সম্মাননা স্মারক আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে। বাংলার সঙ্গীত ও আর্টের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র আজম খান ও নভেরা আহমেদ। পূর্ব বাংলায় নভেরার হাতেই প্রথম ভাস্কর্যের উদ্বোধন হয়। তিনি আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃত। আর বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান মহান মুক্তিযুদ্ধে গান গেয়ে এদেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি সমাজের বঞ্চিত মানুষের জন্য গান করেছেন। আজম খান দেশের হাজারো তরুণ সংগীতশিল্পীর আইকন। যে জেন-জি প্রজন্ম, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের অনুপ্রেরণার নাম বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। সে ন্যায়বিচারের জন্য, বাকস্বাধীনতার জন্য জোরালো প্রতিবাদ করে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।

    যারা আজ এ সম্মাননা পেলেন তারা জীবদ্দশায় এ প্রাপ্তি দেখে যেতে পারেননি, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনে তাদের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। এই সূর্যসন্তানদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

    ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজ আপনাদের স্বজনরা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দেরিতে হলেও তাদেরকে এই স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তাদের কাজ যুগ যুগ ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেবে।

  • ৫ দিনের ব্যবধানে গাজার দুই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করল ইসরায়েল

    ৫ দিনের ব্যবধানে গাজার দুই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করল ইসরায়েল

    আর্ন্তজাতিক ডেসকফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নতুন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল বারহুম দখলদার ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন। তিনি এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে উপত্যকাটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। গত ১৮ মার্চ সাবেক প্রধামন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করে দখলদাররা। এরপর ইসমাইল বারহুম তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।

    দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ইসমাইল বারহুমের নিহত হওয়ার তথ্য জানান।

    এরআগে রোববার (২৩ মার্চ) রাতে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলাতেই ইসমাইল বারহুম ও অপর একজন নিহত হন। হামাস ইসমাইল বারহুমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ইসমাইল নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

    ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘সফলভাবে জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা ইসমাইল বারহুমকে নাসের হাসপাতালে হত্যা করেছে।’

    প্রতিরক্ষা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের কথা উল্লেখ করে এই দখলদার বলেন, “ইসমাইল ছিলেন গাজার হামাস সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। যাকে কয়েকদিন আগে হত্যা করা হয়েছে।”

    ইসমাইল বারহুমকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি হামলাটি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এবং বিবিসি অ্যারাবিকে ধরা পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আলজাজিরার সাংবাদিক নাসের হাসপাতালের সামনে থেকে লাইভ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঠিক তখন হঠাৎ করে মিসাইল সদৃশ্য কিছু একটি এসে হাসপাতালটিতে আঘাত হানে।

    এরপরই সেখানে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তবে হাসপাতালটি হামলায় নতুন করে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।