Blog

  • বড়দলে ১ যুগের বেশি ডিসিয়ারকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন 

    বড়দলে ১ যুগের বেশি ডিসিয়ারকৃত জমি দখলের চেষ্টা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে এক যুগের বেশি ভোগ দখলে থাকা ডিসিয়ারের জমি দখলের চেষ্টা ও থানায় মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দক্ষিণ বড়দল মেইন রাস্তার উপর এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মিথ্যা অভিযোগ ও সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য ও ভূমিহীন নেতা সমীরন সরকার, বিশ্ব্যেশ্বর সরকার, অসিম বৈরাগী, প্রমিলা সরকার, বৈশাখী মন্ডল, মনিন্দ্রনাথ সরকার প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন বড়দল মৌজার ১নং খতিয়ানের ৯১৬৬ দাগের গোলক সরদারের পুত্র মীরা সানা ও মৃত সুরেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র সঞ্জীব সরকার, সমীরন সরকার ও বিনয় সরকারের নামে ৫৬০ ও ৮৮০ নং দুইটা ডিসিয়ারে ১একর জমি পান।তারা ২০১২ সাল থেকে ৩১ পর্যন্ত ডিসিয়ার নিয়ে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কিন্তু গত সোমবার তারা মঠবাড়িয়া আত্মীয়র শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে যাওয়। এ সুযোগে আওয়ামী লীগের সময় দাপিয়ে বেড়ানো নেতা বড়দলের ইছাক গাজীর পুত্র ইদ্রিস গাজী তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির মাথায় ১ যুগের বেশি সময় ধরে ভোগদখলে থাকা ডিসিয়ারের জমি বেড়ি বেঁধে দখলের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বাঁধা প্রদান করলে তারা মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে থানায় অভিযোগ করে। বক্তারা আরোও বলেন ৩০/৪০ বছর আগে বর্তমানে ডিসিয়ার করা জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ছিলো। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় জমি সরকার খাস খতিয়ানের ঘোষণা করলে সেখান থেকেই আমরা ডিসিয়ারের আবেদন করি। বর্তমানে তাদের ডিসিয়ার থাকলেও দখলের চেষ্টা করছে তারা। মানববন্ধনে ভূক্তভোগীরা তাদের ভোগদখলীয় জমি যাহাতে দখল না করতে পারে সেজন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
  • শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিন সাতক্ষীরায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

    শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম দিন সাতক্ষীরায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশের মতো সাতক্ষীরায়ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২১ হাজার ৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
    এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ৬০০ জন, দাখিল ৫ হাজার ৩৩৪ জন এবং ভোকেশনাল ১ হাজার ৫৯ জন।
    সাতক্ষীরায় ৫১টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ২৯টি এসএসসি, ১৪টি দাখিল এবং ৮টি ভোকেশনাল কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
    তিনি আরও জানান, পরীক্ষার সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নম্বর-২৬২
    সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। এ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৫৪২ জন। অনুপস্থিত – ২ জন। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. আলাউদ্দীন, পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার মোঃ মমিনুর রহমান মুকুল
    প্রধান শিক্ষক ডিবি ইউনাইটেড হাই স্কুল। পরীক্ষা নিয়ে তাদের বক্তব্যে বলেন, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা  শান্তিপূর্ণভাবে এবং নকল মুক্ত পরিবেশে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একজন পক্স আক্রান্ত শিক্ষার্থী ও একজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাদেরকে আলাদাভাবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড় ও কেন্দ্রের সামনে রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করানো হয়েছে।
    পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় তারা সন্তুষ্ট।
    উল্লেখ্য, এবারও কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

  • গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

    গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর, নৃশংশ হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি।
    আজ বুধবার( ৯ এপ্রিল)  সকালে বিক্ষোভ মিছিল শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।  মিছিলে নেতাকর্মীরা ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
    বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতউল্লাহ পলাশ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব আবু জাহিল ডাবলু, যুগ্ম আহবায়ক তাজকিন আহমেদ চিশতী প্রমুখ।
    এসময় বক্তারা বলেন,  পৃথিবী থেকে ইসরায়েলকে অবাঞ্চিত করতে হবে। মানবতার  জয়গান, ফিলিস্তিনের জয়গান নিশ্চিত করতে হবে। ইসরায়েলী পন্য বয়কট করতে হবে। সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন বিশৃঙ্খলা না করে ইসরায়েলি পন্য সরাতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন তারা।
  • ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন

    ভূমিদস্যু কর্তৃক শ্যামনগরের ১০টি অসহায় পরিবারের ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার প্রতিবোদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগর গ্রামে ভূমিদস্যু কর্তৃক অসহায় ১০টি পরিবারের শতবছরের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক ভিটাবাড়ি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগিদের পক্ষে রমজাননগর গ্রামের নির্মল বর্মন এর মেয়ে বনলতা বর্মন এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামে আমিসহ আরও ১০টি পরিবার আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রায় ১০০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করিয়া আসছি। কিন্তু গত প্রায় ২ মাস আগে থেকে এলাকার চিহিৃত ভূমিদস্যু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অন্যতম দোসর কানাই লাল বর্মনের নেতৃত্বে কমলেশ, রাকেশসহ আরও ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক আমাদের উক্ত ভিটাবাড়ি দখলের পায়তারা করছে। তারা আমাদেরেকে ভিটাবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলছে। না গেলে খুনজখম করবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। কানাই লাল আমাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলছে। না গেলে বিনা পাসপোর্টে ভারতে পাঠিয়ে দিবে বলে প্রচার দিয়ে বেড়াচ্ছে।
    বনলতা বর্মন আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত অসহায় ও গরীব মানুষ। দিন আনতে পান্তা ফুরায়। কায়িক পশ্রিমের মাধ্যমে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে শান্তিপূর্ণ পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। কিন্তু পরসম্পদ লোভি কানাই লাল নামক এক শকুনের চোখ পড়েছে আমাদের সম্পত্তির উপর। আমরা এই পরিবারগুলো বর্তমানে তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, কানাই লাল গংরা গত ৭ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের পৈত্রিক জমি দখল করতে আসলে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তারা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তবে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে যায় যে,শুক্রবারের দিন আমাদেও ১০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে জমি দখলে নিবে। এছাড়া মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা। এ কারণে আমরা সকলে অত্যন্ত ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় তাদের দ্বারা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
    তিনি ভূমিদস্যু কানাই লাল গংদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পেয়ে যাতে পরিবার পরিজন নিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তিতে শান্তিপূর্নভাবে বসবাস করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে রমজাননগর গ্রামের হরিদাস বর্মন, নির্মল বর্মন, নিমাই বর্মন, সুকুমার বর্মন, হরিদাসী, সুনীল বর্মন, তপতি মন্ডল ও বিমল বর্মন উপস্থিত ছিলেন ।

  • আশাশুনিতে বানভাসী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের পক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ

    আশাশুনিতে বানভাসী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশের পক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে বানভাসী মানুষের মাঝে জেলা পুলিশ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে। বুধবার বেলা ১১টায় সময় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ভেঙে ১১গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অসহায় ও মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের পক্ষে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত হাসান খাঁন। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নোমান হোসেন, এসআই রাজিব মন্ডল সহ সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ।
  • আশাশুনিতে বাংলা নববর্ষ  উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা 

    আশাশুনিতে বাংলা নববর্ষ  উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল ইসলাম, সিনিঃ মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, একাডেমীক সুপার ভাইজার হাসানুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাশ, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা পরিমল কুমার দাশ, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর বৈদ্যনাথ সরকার, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ সোহাগ আলম, আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় পহেলা বৈশাখ সকার ৮ টায় বৈশাখী শোভাযাত্রা এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিন ব্যাপী লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • সাতক্ষীরায় পলিথিনের ব্যবহার বর্জন বিষয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

    সাতক্ষীরায় পলিথিনের ব্যবহার বর্জন বিষয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

    সাতক্ষীরা সদরে যুব নেতৃত্বে পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুনঃব্যবহারের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন প্লাটফর্ম, সমমনা সংস্থা, সাংবাদিক, যুব সদস্য এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় মঙ্গলবার (৮ই এপ্রিল) বেলা ১০টায় সাতক্ষীরা সদরের পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড়ে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।

    এ সময় বক্তারা বলেন, প্লাষ্টিক দূষণ বর্তমানে মানবজীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। প্লাষ্টিক দূষণের সবচেয়ে ভয়ের দিকটি হচ্ছে এর দীর্ঘস্থায়ীত্বতা। দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব আমরা অনুভব করছি। প্লাষ্টিক বর্জ্যরে কারনে আমাদের মাটির উর্বরতা এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের কারণে জীবজগৎ ও উদ্ভীদকুল উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নদীতে বা জলাশয়ে প্লাষ্টিক জমে স্বাভাবিক গতি হারায় এবং প্রাণীজগতের বাস্ততন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে একটি মোটামুটি পরিমানে প্লাষ্টিক বর্জ্যরে গন্তব্য হয় খাল ও জলাশয়গুলোতে। যার জের ধরেই ক্রমবর্ধমান সমুদ্রদূষণের সমস্যাটি আর ও বৃদ্ধি পায়।

    বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী একবার প্লাষ্টিক পন্য ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে একবার ব্যবহায্য প্লাষ্টিক পন্য ব্যবহার কমানো হচ্ছে। আমরা তরূণরা আগামীর কান্ডারী, আগামী দিনে জলবায়ূ সহনশীল পৃথিবী গড়তে আমরা বলতে চায় পলিথিন ও প্লাষ্টিকের ব্যবহার কমাতে, প্লাষ্টিক পুনঃব্যবহারে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। একমাত্র জনসচেনতায় পারে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুপ্তি দাশ চৈতী, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফাইনান্স অফিসার চন্দর কুমার বৈদ্য, ইয়ূথ পিয়ার গ্রুপ ফ্যাসিলিটেটর ইয়াছিন আরাফাত শাওনসহ সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের প্র্রতিনিধিবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ।

    পরবর্তীতে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্যরা পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড়ে বাজারের মধ্যে দোকানদার ও জনগনের মধ্যে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুনঃব্যবহার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন এবং পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ বিতরণ করেন।

    ক্যাম্পেইনে সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ও জিডিএফ সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের উর্মি খাতুন, ইমতি জামিল ও ইফতি জামিল, লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা ইয়ূথ এ্যালায়েন্স নেটওয়ার্কেও সভাপতি মুশফিকুর রহমান, সদস্য কর্ন বিশ্বাস কেডি প্রমুখ।

  • ২৫০ ধরনের ওষুধ ৩ ভাগের ১ ভাগ দামে পাবে জনগণ

    ২৫০ ধরনের ওষুধ ৩ ভাগের ১ ভাগ দামে পাবে জনগণ

    সারা দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ। গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

    মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্বাস্থ্যখাতের বিশাল চাপ এবং ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক রোগী চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারছেন না, যার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য সরকারের এই ফার্মেসি ব্যবস্থা একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

    এ বিষয়ে অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য একটি বড় উপকারিতা বয়ে আনবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে আরও সহজলভ্য করা। সরকারি ফার্মেসি চালু হলে, এর মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে, যা স্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ।

    তবে সরকারি ফার্মেসি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করতে ওষুধ চুরি ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলা করতে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে। এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় সরকারি খাসজমি উদ্ধারে অভিযান শুরু

    সাতক্ষীরায় সরকারি খাসজমি উদ্ধারে অভিযান শুরু

    সাতক্ষীরায় অবৈধ দখলে থাকা সরকারি খাসজমি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরার শহরের অদূরে সদর উপজেলার বাঁকাল ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে সরকারি খাসজমিতে গড়ে তোলা বাঁকাল ট্রাক স্ট্যান্ড ও সাতক্ষীরা ট্রাক মালিক সমিতির দ্বিতল ভবন যৌথবাহিনীর অভিযানে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে এই খাস জমি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী লে: মাহির লাবিব (৩৭ বীর) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস। এসময় পুলিশ ও সেনবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযানকালে সাতক্ষীরা ট্রাক মালিক সমিতির অবৈধ স্থাপনাটি আংশিক ভেঙে ফেলা হয় এবং জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আগামী তিনদিনের মধ্যে স্থাপনার বাকি অংশ ভেঙে পরিষ্কার করার নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় অভিযানকালে করো নামে কোন মামলা করা হয়নি।

    সাতক্ষীরা আর্মি ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, উক্ত স্থানটি সাতক্ষীরা উপজেলা পরিষদের জায়গা। পূর্বে দৃর্বৃত্তার সরকারি অনুমোদন না নিয়ে উক্ত স্থানে সাতক্ষীরা মালিক সমিতির দ্বিতল ভবন নির্মাণ কওে ব্যবহার কওে আসছিল।

    এর আগে রোববার সকালে সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের মাদারতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদারতলা মৌজার সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ৫.৪৮ একর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরায় যত সরকারি জমি ও খাসজমি অবৈধ দখলে রয়েছে, সেসব জমি উদ্ধারে আমরা অভিযান শুরু করেছি। আমাদের সাথে দেশের গর্বিত সেনা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। আমি সবার সহযোগিতা চাই যাতে করে সাতক্ষীরার একখন্ড সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যু বা কোন জবরদখলকারির হাতে না থাকে। আমাদের এই অভিযান অব্যহত থাকবে।

  • নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় অংশীদার হলো বাংলাদেশ

    নাসার সঙ্গে মহাকাশ গবেষণায় অংশীদার হলো বাংলাদেশ

    ৫৪তম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর সাইডলাইনে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিকেলে এ তথ্য জানানো হয়।

    এ সময় নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক জ্যানেট পেট্রো (ভার্চ্যুয়ালি), ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক ডিপলোমেসি কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি ও অ্যাক্টিং ইকোনমিক ইউনিট চিফ জেমস এস গারডিনার উপস্থিত ছিলেন।

    এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, স্পারসোর চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের রাষ্ট্রাচার প্রধান ও মহাপরিচালক এ এফ এম জাহিদ-উল-ইসলাম, বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের পরিচালক মো. শফিউল আলম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা উইংয়ের সহকারী সচিব সৈয়দা সুমাইয়া তারান্নুম উপস্থিত ছিলেন।

  • তালা উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ

    তালা উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ

    সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি নির্বাচনে সভাপতি পদে ১ জন সহ-সভাপতি পদে ২ জন ও সদস্য পদে ৯ জনের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
    মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) মনোনয়ন পত্র গ্রহণের শেষ দিনে উপজেলা সমবায় অধিদপ্তর থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন তারা। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    উপজেলা সমবায় অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সভাপতি পদে আবুল কালাম বিশ^াস মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
    সহ-সভাপতি পদে মোঃ আব্দুল মোমিন ও আক্তার হোসেন এবং সদস্য পদে তপন কুমার ঘোষ, আব্দুল্লাহ গোলদার, রাশিদা বেগম, মোসলেম উদ্দীন, আনোয়ারা খাতুন, মমতাজ বেগম, রেবেকা বেগম ও শাহিন বিশ^াস মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।
    উল্লেখ্য, মনোনয়ন পত্র জমাদানের তারিখ ১০ এপ্রিল, যাচাই বাছাই ১৩ এপ্রিল, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ৬ অঞ্চলে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪২টি।

  • তালায় গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ

    তালায় গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ

    ফিলিস্তিনে গাজায় ইসরাইলি নৃশংস গনহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা তালা উপজেলা জামায়াত ইসলামী আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছেন ।
    মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় তালা সরকারী হাইস্কুল মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তিনরাস্ত মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের নেতৃত্বদেন সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়বে আমির ডাঃ মাহমুদুল হক।
    উপজেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক ইদ্রিস আলী সভাপতিত্বে ও ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়বে আমির ডাঃ মাহমুদুল হক, ওলামা বিভাগের মাওলানা কবিরুল ইসলাম,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপজেলা সভাপতি জামালুল বান্না প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব জামায়াতের মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, তালা ইউনিয়নের আমির মোঃ মুজিবুর রহমান, যুব জামাত নেতা আনোয়ার হোসেন, যুব জামাত জাকারিয়া, শহর তালা শহর ওয়ার্ডের সভাপতি এডভোকেট মশিউর রহমান ।
    বক্তারা বলেন গাজার গণহত্যা কোন সভ্য সমাজের কাম্য হতে পারে না। গাজায় চলমান ইসরাইলে আগ্রাসন,নারী শিশুসহ নিরীহ মানুষদের নির্বাচনে হত্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস এক নির্মম গণহত্যার বাস্তব চিত্র। বিশ্বের বিবেকবান মানুষদের এই বর্বর ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

  • সহায়তা কমলে বাড়তে পারে মাতৃমৃত্যু: জাতিসংঘ

    সহায়তা কমলে বাড়তে পারে মাতৃমৃত্যু: জাতিসংঘ

    সোমবার ( ৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিউএইচও) জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আজ সোমবার ( ৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিউএইচও) জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মাতৃমৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

    তবে সম্প্রতি সহায়তাসংক্রান্ত বাজেটে কাটছাঁটের ফলে গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন মৃত্যুহার বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এ মৃত্যুহার কমাতে বছরের পর বছর ধরে চলমান অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়েছে বলেও জানায় বিশ্ব সংস্থাটি।

    ব্রিটেনসহ অন্যান্য দাতা দেশগুলোও সহায়তাসংক্রান্ত বাজেট কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।

    ডব্লিউএইচওর ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজের সহকারী মহাপরিচালক ড. ব্রুস অ্যালওয়ার্ড বলেন, ‘প্রধান বার্তাগুলোর একটি হলো, তহবিলে কাটছাঁটের বিষয়টি কেবল (মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসের) অগ্রগতিকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না, বরং এ ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’

    ব্রুস অ্যালওয়ার্ড আরও বলেন, এই কাটছাঁটের কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর ‘মহামারির মতো প্রভাব’ পড়েছে। ‘আরও কাঠামোগত ও বড় ধরনের প্রভাব’ পড়তে পারে।

    ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এই কাটছাঁটের ফলে অনেক দেশে মাতৃ, নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো ইতিমধ্যেই ব্যাহত হচ্ছে। এসব খাতে কর্মীর সংখ্যা কমছে, সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং চিকিৎসার সরবরাহশৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে।জাতিসংঘ জানিয়েছে, ম্যালেরিয়া এবং এইচআইভি চিকিৎসার মতো অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই কাটছাঁট মাতৃস্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলবে।

    সাম্প্রতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও ২০২৩ সালে প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসাযোগ্য সমস্যা নিয়ে প্রতি দুই মিনিটে প্রায় একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। সে বছর এমন মৃত্যু প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার জনে পৌঁছেছিল।

  • নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া তৈরি, প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না: ইসি

    নির্বাচনী আচরণবিধির খসড়া তৈরি, প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না: ইসি

    ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত না নিয়েই’ নির্বাচনি আচরণবিধির একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি বলছে, খসড়াটি প্রায় চূড়ান্ত। এখন এটি অনুমোদনের জন্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে। অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।

    সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনসহ নির্বাচনের ছয়টি বিষয় নিয়ে গঠিত কমিটি সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে একটি সভা করে। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

    এ সময় খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি। তবে তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার থাকছে না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবটা অনেকটা এরকম। আমরা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি।

    আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আচরণবিধির খসড়া আমাদের প্রায় চূড়ান্ত। এ নিয়ে আজ একটা সভা হয়েছে। আগেও আমরা একটি সভা করেছিলাম। খসড়াটি চূড়ান্ত করে আমরা কমিশনে প্লেস করব, কমিশন অনুমোদন দিলে প্রকাশ হবে।’

    আনোয়ারুল ইসলামের ভাষ্য, ‘সংস্কার কমিশনের বিধি নিয়ে যে প্রস্তাবগুলো রয়েছে, যেমন—স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ নতুন কিছু বিষয় আমরা ইনকরপোরেটে করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটি একটি চমৎকার আচরণবিধিমালা হবে।’

    খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের অলমোস্ট সবগুলোই আমরা আচরণবিধির খসড়ায় ইনকরপোরেটে করেছি।’

    আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে কিনা—সে প্রশ্নও করা হয় আনোয়ারুল ইসলামকে। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভালো প্রশ্ন। আমরা পরবর্তীতে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে এ নিয়ে বসব। অবস্থাই (পরিস্থিতিই) আমাদের বলবে কী করতে হবে।’

    ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের তো প্ল্যান আছে কবে কি করব। এই যে আমরা মিটিং করছি। এটাও প্ল্যানিংয়ের অংশ।’

    সংসদীয় সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি জানান, ‘সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের যে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে তা পাঠিয়েছিলাম। ঈদের আগে কেবিনেটে এ নিয়ে মিটিং হয়েছে। এখনো আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে আমরা ডিলিমিটেশনের কাজটা করতে পারব। অনুমোদন না হলে বিদ্যমান আসন বিন্যাসের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

    কী থাকছে আচরণবিধিতে বিষয়টি নিয়ে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যয় যথাসম্ভব নূন্যতম রাখা, নির্বাচনী শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত প্রার্থীদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বজায় রাখা, নিরবিচ্ছিন্নভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (তৈরি), যেন সব প্রার্থী সমভাবে প্রচারণা করতে পারেন, সেই ধরনের অ্যাটিচ্যুড নিয়ে আমরা আচরণবিধির খসড়া নিয়ে কাজ করছি।’

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বিষয়টিও নির্বাচনী আচরণবিধিতে আছে বলে উল্লেখ করেন আনোয়ারুল ইসলাম। বলেন, ‘নির্বাচনের সময় গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই প্রস্তাব করেছি।’

    নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন নামের একটি দল সম্প্রতি আদালতে রিট করেছেন। তাদের ক্ষেত্রে স্টে অর্ডারটি কোর্ট থেকে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়বে না। নতুন দলের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।’

  • ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ফিলিস্তিনে মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও মোদি সরকারের মদদে ভারতীয় মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাতক্ষীরার সর্বস্তরের ছাত্র জনতা।

    সোমবার (৭ এপ্রিল ) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে   সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

    বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’; ‘দুনিয়ার মজলুম এক হও লড়াই করো’; ‘ওহুদের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’সহ ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তাঁদের হাতে হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

    এসময় শিক্ষার্থী নয়ন বাবু বলেন, ইসরায়েল গাজা ও রাফা সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। পশ্চিমা বিশ্ব একদিকে মানবতার কথা বললেও, অন্যদিকে ফিলিস্তিনে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা অবিলম্বে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।এসময় তিনি আরো বলেন”ভারতের সাম্প্রতিক মুসলিম-বিরোধী নীতিরও কড়া সমালোচনা করা হয় সমাবেশে। বক্তারা বলেন, ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ইসরায়েল। তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই যে মুসলিম-বিরোধী বিল পাস হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।

  • সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণের
    আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরার
    শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনি ফরেষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে
    এর উদ্বোধন করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রণী
    খাতুন।
    সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বণ কর্মকর্তা (ডিএফও)
    এজেএম হাসানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শ্যামনগর
    উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত, শ্যামনগর থানা
    ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর, বুড়িগোয়ালিনি ইউপি
    চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি
    বণকর্মকর্তা মশিয়ার রহমান প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, প্রতি বছরের পহেলা এপ্রিল সুন্দরবনে মধু আহরণ শুরু হলেও
    রমজান মাসের কারণে সোমবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো।
    পরিবেশ রক্ষায় সুন্দরবনের ভূমিকা অপরিসীম। তাই বনদস্যূ ও চোরা
    শিকারীদের হাত থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করতে কোস্ট গার্ড, বণবিভাগ,
    র‌্যাব ও পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। মধু চুরি ও ভেজাল রোধে বনবিভাগ সব
    ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মধু সংগ্রহের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণের
    জন্য মৌয়ালদের সব ধরণের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
    সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, আজ পর্যন্ত
    ৮২টি বিএলসির মাধ্যমে মৌয়ালরা সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। এবারের
    লক্ষ্য মাত্রা দেড় হাজার কুইন্টাল মধু ও ৪০০ কুইন্টাল মোম ধার্য করা
    হয়েছে।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাংÑ ০৭.০৪.২৫ ছবি আছে।

  • ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ 

    ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভ 

    গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসা গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা জামায়াত।
    সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচ টায় সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পাকে যেয়ে শেষ হয়।
    মিছিলটির নের্তৃত্বদেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহঃ ইজ্জত উল্লাহ।
    মিছিল পূর্ববর্তি প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক,  সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, জেলা কর্মপরিষদ এড.আব্দুস সুবহান মুকুল,
    শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর জামায়াতের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, শহর নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, শহর সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সদর সেক্রেটারী মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রমুখ ।

  • মিথ্যে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

    মিথ্যে গায়েবি মামলায় গ্রেফতার কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসি কর্তৃক কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে মিথ্যা গায়েবি মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে (৬ এপ্রিল) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের স্ত্রী রোকসানা পারভিন এই অভিযোগ করেন।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শ্যামনগরের ইউএনও এবং ওসির কারসাজিতে গত ২৭ মার্চ ২৫‘ আমার স্বামী চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। তিনি সরাসরি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নন। দুইবার তিনি আওয়ামী প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একজন ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে কাজ করা ছাড়া তিনি কখনো রাজনৈতিক সভা সমাবেশে অংশ গ্রহন করেননি।
    তিনি আরো বলেন, কৈখালীবাসীর জন্য কাজ করতে গিয়ে বিগত আ’লীগের আমলে জামায়াত নেতার তকমা দিয়ে তাকে বহু মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হয়েছিলো। ছাত্র জনতার হাতে শেখ হাসিনার পতনের পরে আমরা ভেবেছিলাম গায়েবী মামলায় হয়রানী হাত থেকে সাধারন মানুষ বেচে গিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখলাম শেখ হাসিনার দোষর যারা এখনও প্রশাসনের ভেতরে বিরাজ করছে, তারা কৌশলে গায়েবী মামলায় হয়রানীর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
    রোকসানা পারভীন বলেন, পরানপুর মৌজার ৩২ একর জমি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিঃ আদালতের এম সি ৩৪/৮৩ নং মামলায় চেয়ারম্যান রিসিভার থাকেন। কিন্তু আদালতের এক আদেশে শ্যামনগরের ইউএনও কে রিসিভার দেওয়া হয়। কিন্তু অতিঃ জেলা ম্যাজিঃ এর ঐ আদেশ সাতক্ষীরার জেলা জজ স্থগিত করে চেয়ারম্যানকে পুনরায় রিসিভার নিয়োগ দেন। এর পরে ওই ৩২ একর জমি ২০২৫ সালের জন্য চেয়ারম্যান রিসিভার প্রাপ্ত হয়ে লীজের সর্বচ্চ ডাকে জনৈক আবুল হোসেনকে লীজ প্রদান করেন। এ ঘটনায় ইউএনও রনী খাতুন ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় লীজকৃত জমিতে হাজির হয়ে ইজারা গ্রহীতা আবুল হোসেনকে জমিতে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেন এবং জনৈক শরিফুল ইসলামকে লীজকৃত জমি জবর দখল করার কথা বলেন।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় ইউএনও রনী খাতুন চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে জব্দ করার জন্য সুযোগ খুজতে থাকেন। গত ২৭ মার্চ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম উপজেলা কমিটির মিটিং শেষে বের হলে শ্যামনগর থানা থেকে পুলিশ তাকে ডেকে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাকে কাশিমাড়ী এলাকার একটি নাশকতা মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আওয়ামীলীগ আমলের ধারাবাহিকতায় মিথ্যা গায়েবী মামলায় চেয়ারম্যানকে জেল হাজতে দিয়ে এলাকাবাসীকে সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে মিথ্যা গায়েবী মামলায় গ্রেফতার করে হয়রানির প্রতিকার চেয়ে তিনি অনলাইনে পুলিশের আইজি, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
    মিথ্যা গায়েবী মামলা থেকে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের দ্রুত মুক্তি জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।