Blog

  • বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল আয়োজন

    বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল আয়োজন

    পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রিয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈশাখী মেলা। মেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। উচ্ছ্বাসে ভরা বর্ণিল এই শোভাযাত্রা ছিল উৎসবমুখর।

    নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের তৈরী বিভিন্ন মুখোশ, বিশালাকৃতির কাঠামো, ভাস্কর্য, কাঠের তৈরি স্ট্রাকচার ও মুখোশগুলো বৈশাখী শোভাযাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ক্যাম্পাসের খোলা স্থান রঙিন আলপনা, ফেস্টুন ও ব্যানারে সজ্জিত করা হয়েছে।

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

  • ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব কোনো রাজনীতির অংশ নয় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

    ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব কোনো রাজনীতির অংশ নয় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

    সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘শোভাযাত্রা ঐতিহাসিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি।’

    সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘দেশের সকল জনগোষ্ঠী, সকল ঐতিহ্য-সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য, এর পরের ঐহিত্য সবকিছুর মিশ্রণ এখানে দেখবেন। ফলে টিপিক্যাল ন্যারো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এখানে নেই।’

    এর আগে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হয়। এদিন সকাল ৯ টার দিকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়।

    এটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন।

    এবার এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি নতুন নামে আয়োজিত হয়েছে। আগে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে এই শোভাযাত্রা হলেও এবার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

    শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী—চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারো অংশ নিয়েছে। একই সঙ্গে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলও।

    গত শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদের ভেতরে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।

    স্বৈরাচারের ওই মুখাকৃতি মোটিফটি বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ।

    এদিকে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুড়ে যাওয়ার পর সেটি নতুন করে তৈরির কাজ শুরু হয়। গত শনিবার রাতেই থার্মোকল বা সোলা দিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানানো হয়।

  • দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা

    দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা

    সারাদেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার্থে একই সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, জুমার দিন সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। মহান আল্লাহ বলেছেন, হে বিশ্বাসীরা। জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯) জুমা পারস্পরিক দেখা সাক্ষাৎ ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনকে বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ দিনে বিশেষ সময়ে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।

    আরো বলা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। কোনো মসজিদে দুপুর ১টায়, কোনো মসজিদে ১.৩০ মিনিটে, আবার কোনো মসজিদে দুপুর ১.৫০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু করতে দেখা যায়। সময়ের তারতম্যের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ করে পথচারী (সফররত মুসল্লি) বিভ্রান্ত ও সমস্যার সম্মুখীন হন। এ সমস্যা দূরীকরণে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগ/জেলায় অবস্থিত সব মসজিদে একই সময়ে অর্থাৎ ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ আদায় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

  • এবারের সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান

    এবারের সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান

    সদ্য সমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার একশ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। আরও বিনিয়োগ প্রস্তাব পাইপলাইনে আছে বলেও জানান বিডা চেয়ারম্যান।

    এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে এতে পার্টনার হিসেবে যারা অংশ নিয়েছেন তারা ব্যয় করেছেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চার দিনের এই সম্মেলনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

    আশিক চৌধুরী বলেন, খরচের হিসেব দিয়ে সামিটকে মূল্যায়ন করা যাবে না। বিনিয়োগের সব ক্রেডিট এই সামিটের নয়, এটা আগে থেকে চলতে থাকা আলোচনার ভিত্তিতে হয়েছে। সামিটে এসেই বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে দিবেন বিষয়টি এমন নয়। তাই এটাকে সামিটের সফলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। সামিটের খরচ দিয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বিচার করলে হবে না।

    সংবাদ সম্মেলনে বিডার চেয়ারম্যান জানান, দশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের তথ্যও জানান তিনি।

    এবারের সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি এবার ৫০টি দেশ থেকে ৪১৫ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছেন। সংখ্যার দিক থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ৫৮ শতাংশ।

    এ সময় বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, দেশের মানুষের সহনশীলতা, বিনিয়োগ সম্ভাবনার অবস্থা সচক্ষে দেখে বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত। সামিটের সফলতা নিয়ে বিডা চিন্তিত নয়, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।

    অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।

  • ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

    ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা

    প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।

    তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।

    এতে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।’

    বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

    প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন।

    তিনি বলেন, আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে।

    তিনি আরও বলেন, সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে এদিনে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।

    প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।

    নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন তিনি।

  • ভোমরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ট্র্যাকের যন্ত্রাংশসহ আটক ২

    ভোমরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ট্র্যাকের যন্ত্রাংশসহ আটক ২

    সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা থেকে ভারতীয় মটর পার্টসসহ একটি বাংলাদেশি ট্রাক আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ট্রাকটি আটক করা হয়। এই সময় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়। আটক ভারতীয় ট্রাকের খুচরা যন্ত্রাংশ ও বাংলাদেশী ট্রাকের মূল্য প্রায় ৭১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

    আটক ট্রাক চালকের নাম মো. শহীদুজ্জামান শাহেদ (২৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের ইন্দিরা গ্রামের আমির আলীর ছেলে। ট্রাকের হেলপার মো. আশিক গাজী (২২) শহরের ইটাগাছা এলাকার হাফিজুল গাজীর ছেলে।

    বিজিবি সূত্র জানায়, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে আসা একটি খালী ট্রাকে চোরাচালানী মালামাল বহন করবে এমন খবরের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের উত্তর পার্শ্বে ভোমরা আইসিপি’র নায়েব সুবেদার মো. সুলতান আহমেদ এর নেতৃত্বে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যগণ অবস্থান গ্রহণ করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি খালী ট্রাক রপ্তানী মালামাল ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে রেখে ভোমরা চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সেখানে অবস্থানরত টহল সদস্যরা ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশী করে। এসময় ভারতীয় ট্রাকের বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ জব্দ করে।

    এ সময়ে বিজিবি সদস্যরা অবৈধভাবে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের দায়ে ট্রাকের চালক মো. শহিদুজ্জামান শাহেদ ও হেলপার মো. আশিক গাজীকে (যশোর-ট-১১-৫৭৯১) ট্রাকসহ আটক করে। আটককৃত ট্রাকসহ চোরাচালানী মালামালের মূল্য ৭১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

    সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক ও পরিচালক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করতঃ আটককৃত ভারতীয় ট্রাকের খুচরা যন্ত্রাংশ ও বাংলাদেশী ট্রাকসহ আসামিদের সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

  • উত্তরণের উদ্যোগে আশাশুনির ভাঙনকবলিত ৫০০ পরিবার পেল নগদ ৬ হাজার টাকা ও সহায়তা 

    উত্তরণের উদ্যোগে আশাশুনির ভাঙনকবলিত ৫০০ পরিবার পেল নগদ ৬ হাজার টাকা ও সহায়তা 

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে সম্প্রতি ভেঙে পড়া বেড়িবাঁধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ। স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন “এমার্জেন্সি রিলিফ অ্যাসিস্ট্যান্স ফর এমব্যাংকমেন্ট ব্রিচ অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিজ ইন আনুলিয়া ইউনিয়ন, আশাশুনি” প্রকল্পের আওতায় এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
    শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ধাপের সহায়তা বিতরণ করা হয়। এই ধাপে ৬৮টি পরিবারকে হাইজিন ও ডিগনিটি কিটস এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। প্রকল্পের আওতায় মোট ৫০০ পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হবে।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি মানবিক উদ্যোগ। উত্তরণ যেভাবে দ্রুত এবং সংগঠিতভাবে সহায়তা দিচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
    উত্তরণ-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: রেজওয়ান উল্লাহ, প্রকল্প সমন্বয়কারী পার্থ কুমার দে, ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনস অফিসার ও সেফগার্ডিং ফোকাল মাহমুদা ইয়াসমিন কনা এবং হেইস অফিসার মো: আল-আমিন মোল্লা।
    স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ ফাইনান্স অ্যান্ড অপারেশন্স অফিসার সুজান লিন, হেড অফ নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সাজিদ রায়হান, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শফিউল আলম ও ডিআরএফ ম্যানেজার এনামুল হক।
    অনুষ্ঠানে উত্তরণ-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: রেজওয়ান উল্লাহ বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জরুরি প্রয়োজন মেটাতে আমরা  বর্তমানে জরুরি সহায়তা প্রদান করছি। কিন্তু যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং টেকসইভাবে পুনর্বাসনের জন্য এখন সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসা উচিত।
    ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনস অফিসার মাহমুদা ইয়াসমিন কনা বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে উত্তরণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প তারই অংশ।
    উল্লেখ্য, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যে উত্তরণ দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী দিনে বাকি ৪৩২টি পরিবারের মাঝেও এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
  • সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে মসজিদ নির্মানের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে মসজিদ নির্মানের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিবন্ধীর দোহাই দিয়ে মসজিদ নির্মানের জন্য নির্ধারিত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় জমি মালিককে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনির পূর্বকামালকাটীর মৃত মনিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর লক্ষে ২০২১ সালে কামলাকাটি মৌজার বি আর এস ১৯৯৯ দাগে এস এ রেকর্ডীয় মালিক সতীশ দুলালের ১০ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৩ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। বাকী ৭ শতক সম্পত্তি একই এলাকার নূর আলী সরদারের পুত্র রজব আলী ক্রয় করেন। আমি ঢাকায় বসবাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পর সম্পদ লোভী রজব আলী আমার ৩ শতক জমিসহ মোট ১০ শতক দখলের জন্য ঘেরাবেড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি সাতক্ষীরা এডিএম কোর্টে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। আদালতের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ নোটিশ জারি করলেও সুচতুর রজব আলী আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় আশাশুনি থানায় আমি একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা ও জামায়াতদের সাথে যোগাযোগ করেও সমাধান হয়নি। তারা রাতের আধাঁরে সেখানে ঘর নির্মান অব্যাহত রাখে রজব আলী। এ নিয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে গেলে তারা পরবর্তীতে যোগাযোগ করবেন আশ^াস দেন। তখন উপায়ন্ত হয়ে আশাশুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন থানা পুলিশ এবং আশাশুনি ভুমি কর্মকর্তার মাধ্যমে মাপজরিপ করা হলে আমার সম্পত্তি মধ্যে ৩২ থেকে ৩৪ ফুট লম্বা ভাবে ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি উঠে আসলেও সময় স্বল্পতার কারনে সমাধান না করে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপর আমি ঢাকায় গেলে তারা আবারো কাজ শুরু করে।
    তিনি আরো বলেন, আইনগত ভাবে কোন সহযোগিতা না পেয়ে গত ৩০ মার্চ ২০২৫ তারিখে আমিসহ কয়েকজন আতœীয় মিলে তাদের ওই ঝুপড়ি ঘরটি ভেঙে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রজব আলী এবং তার ভাই শাহাজান সরদারসহ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বৃদ্ধা মাতা সহ আমি গুরুতর আহত হই। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৪ জন কে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করি যার নং- ০৩/০৫। তাং ৩০/৩/২০২৫। মামলা দায়ের করার পর সুকৌশলী রজব আলী জনৈক প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আমাকে লাঞ্চিত এবং হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের সাথে যোগসাজস করে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় যে কোন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে বলে আশংকা করছি। রজব আলী একজন সুস্থ সবল মানুষ হলেও নিজেকে প্রতিবন্ধী পরিচয় দিয়ে সুবিধা আদায় করে যাচ্ছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মসজিদের জন্য নির্ধারিত সম্পত্তি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে সে।
    আমি দ্বীনি শিক্ষার জন্য বরাদ্ধকৃত সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • আশাশুনি বাজারে ৫দোকান ও এক স্কুলে অগ্নিকান্ড, ৫০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

    আশাশুনি বাজারে ৫দোকান ও এক স্কুলে অগ্নিকান্ড, ৫০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি সদর বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫ টি দোকান ও একটি স্কুলে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার ভোর ৬ টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার ব্রিগেট কর্মীরা উপস্থিত হয়ে ১৭ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।
    রবিবার ভোর ৬ টার দিকে আশাশুনি বাজারে উপজেলা পরিষদ মোড়ের কাছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আলমগীর হোসেন পিন্টুর “তারিক হার্ডওয়ার”, প্রফেসর বজলুর রহমানের “লিজা ফার্ণিচা”, শিমুল হোসেনের “শিমুল ফার্ণিচার”, জননী টেউলার্স, মিরাজ টি স্টল ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ও ধূয়ার কুন্ডলি দেখে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আঃ সামাদ ফায়ার ব্রিগেট ও সিভিল সার্ভিসে মোবাইলে সংবাদ দিলে ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে ফায়ার ব্রিগেট দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ১৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে দোকানের প্রচুর পরিমান মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
    ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন পিন্টু জানান, আমার দোকানে অনুমান ২০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া প্রফেসর বজলুর রহমানের লিজা ফার্ণিচারে ১১ লক্ষ টাকার ও শিমুল ফার্নিচারে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ সবমিলে ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে।
    ফায়ার ব্রিগেট সূত্রে জানাগেছে, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থানে পৌছে ১৭ মিনিটের মধ্যে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ৫০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ আগুন নির্বাপন করা হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন।
  • সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পুলিশের পক্ষ থেকে বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

    সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পুলিশের পক্ষ থেকে বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ

    পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে দশ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মেলার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    এদিকে বৈশাখী মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ মেলা প্রাঙ্গণে একপ্রেস ব্রিফিং এ কথা জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
    তিনি বলেন, বাঙালির অত্যন্ত আবেগের জায়গা হল পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ উদ্দীপনা ও ঐতিহ্যের। নববর্ষকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় পান্তা ইলিশের। আয়োজন করা হয় লোকজ মেলা ও খেলাধুলা সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের। এই মেলাকে ঘিরে সেখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। সেটাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে সাতক্ষীরায় যাতে নববর্ষ উদযাপিত হয় এজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা মূলক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষ যাতে স্বস্তিতে ও শান্তিতে সব অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে পারে, সেখানে যাতে কোনো প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় এর জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোটকথা পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন, জেলা সদরের পাশাপাশি আটটি থানায় সব জায়গায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এবার পহেলা বৈশাখ মানুষ সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবে।

  • গণসংযোগ পক্ষ কর্মসূচি নিয়ে তৎপর সাতক্ষীরা জামায়াত

    গণসংযোগ পক্ষ কর্মসূচি নিয়ে তৎপর সাতক্ষীরা জামায়াত

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পতিত আওয়ামী সরকারের চরম জুলুম—নির্যাতন ও দমননীতিতে বেশ কোনঠাসা অবস্থায় থাকায় প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সৃষ্ট ঘাটতি দুর করে জন মানুষের কাছে দলের দাওয়াত পৌঁছে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশের ফিলিস্থিন নামে খ্যাত সাতক্ষীরা জামায়াত।
    এরই ধারাবাহিকতায় ঈদুল পরবর্তী পরিস্থিতিতে ‘গণসংযোগ পক্ষ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে সারা দেশে তৎপর হয়ে উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। শুক্রবার শুরু হওয়া কেন্দ্র ঘোষিত এই গণসংযোগ পক্ষ চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
    দলীয় সূ্ত্রে জানা গেছে, গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনী দিনে সাতক্ষীরা শহর,সদরসহ প্রতিটা এলাকায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এসময় জামায়াতে যোগ দেয়ার আহবান সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি, গণসংযোগ, পথ সভা ইত্যাদির মাধ্যমে দাওয়াতি কাজ করা হচ্ছে। ভোর থেকে গ্রামে— গঞ্জে, শহরে— বন্দরে, হাটে —বাজারে, পাড়ায়—মহল্লায় একইধরণের কর্মসূচি জোরে শোরে পালিত হচ্ছে।
    শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা শহর শাখার ৭নং ওয়ার্ড আয়োজিত গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোন ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদের সাথে আপোষ করেনি। আগামিতেও করবে না ।
    জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে জামায়াতের দাওয়াতি পক্ষ চলছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে ইসলামের সু—মহান দাওয়াত পৌঁছানো আমাদের কর্তব্য হয়ে পড়েছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার আবশ্যকতা, যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা প্রত্যেক মানুষের কাছে উপস্থাপন করা। দেশে সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ যে অপরাধ, পাপাচার ও দুর্নীতিমুক্ত হবে সে কথাও মানুষকে বোঝাতে হবে।
    তিনি দায়িত্বশীল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের (১১—২৫ এপ্রিল) প্রত্যেক এলাকার প্রতিটি ঘরে—ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় দায়িত্ব নয়, এটি মহান আল্লাহর নিদের্শিত দায়িত্ব। তিনি দাওয়াতি পক্ষকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহবান জানান এবং পক্ষের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন। জাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের মাঝে জামায়াতের পরিচিত বিলি করেন,তাদেরকে সহযোগি সদস্য ফর্ম ফিলাপে নেতৃত্ব দেন। এসময় স্থানীয় জামায়াতের আমীর মাওলানা নূরল হক, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুর রহিম, জামায়াত নেতা জাহেরুল ইসলাম, ইটাগাছা ইউনিট সভাপতি শাহানুর ইসলাম, সেক্রেটারি ফারুক আহমেদসহ অনেকে উপস্তিত ছিলেন।
    আবু সাইদ বিশ^াস

  • আশাশুনির খাজরায় অবৈধ দখলীয় জমি শালিসে বের করার সিদ্ধান্ত নস্যাতে ষড়যন্ত্র

    আশাশুনির খাজরায় অবৈধ দখলীয় জমি শালিসে বের করার সিদ্ধান্ত নস্যাতে ষড়যন্ত্র

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে অবৈধ দখলে থাকা জমি শালিসে চিহ্নিত করে বঞ্চিত শরীককে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নস্যাত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বঞ্চিত শরীক বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করোছেন।
    খাজরা ইউনিয়নের রাউতাড়া মৌজায় এসএ ৪১৯ নং খতিয়ানে ১৪৬০ দাগে ৬৬ শতক জমির সমান অংশীদার ৪টি শরীক। শরীকদের মধ্যে ডাঃ শংকর কুমার মন্ডল গং এর শরীকাংশ সাড়ে ১৬ শতক, ক্রয়কৃত সাড়ে ১৬ শতক, মোট পাওনা ৩৩ শতক হলেও রেকর্ড হয়েছে ৩৬ শতক। মৃত আত্তারাম মন্ডলের পুত্র দেবদাশ ও পঞ্চারামদের নামে রেকর্ড হয়েছে ২ শতক, কিন্তু দখলে আছে ৭ শতক। মনোরঞ্জন মন্ডলের ছেলে বিনয় কৃষ্ণ মন্ডলের এসএ অনুসারে পাওনা ৯ শতক। আরএস রেকর্ডে ৯৫৭ খং রেকর্ড হয়েছে ৫ শতক। দখলে আছে ২ শতক। সম্পত্তির দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হলে দু’মাস পূর্বে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসএ থেকে আরএস রেকর্ডীয় ১১ জন মালিককে নিয়ে শালিসে বসেন। শালিসে আমিন দ্বারা জমি মাপজোক করা হয়। মাপ শেষে সকলের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, দেব দাশের দখলে থাকা অতিরিক্ত ৫ শতক জমি হতে ৩ শতক জমি বিনয়কে দেওয়া হবে। তখন দেবদাশ সাগরে থাকায় দু’মাস সময় চেয়ে নেয়া হয় এবং সকলের উপস্থিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। দু’মাস পার হওয়ায় সকল শালিসদারকে খবর দিয়ে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রোবর্ডীয় মালিকদের নিয়ে দ্বিতীয় বার শালিসে বসেন। শালিসে পুনরায় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত সঠিক থাকায় জমি মাপজোক শেষে দেব দাশের দখলে থাকা অতিরিক্ত ৭ শতকের মধ্যে হতে ৩ শতক জমি এক পাশ থেকে চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া হয়। সেখানে সকলের উপস্থিতিতে নেট বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারন করা হয়।
    শালিস থাকা সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন বুলুর ভগ্নিপতি কাপসন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজী জানান, প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় শালিসের সিদ্ধান্ত একই হওয়ায় আমরা রেকর্ডীয় মালিকসহ উপস্থিত প্রতিবেশীদের সামনেই জমি মেপে সীমনা চিহ্নিত করে দেই। এসময় কোন মত বিরোধ বা কোন রকম ন্যুনতম দ্বন্দ্ব ফাসাদ হয়নি। আমরা সকলকে জানিয়ে দিয়েছি শালিসের সিদ্ধান্তে কোন আপত্তি থাকলে যে কেউ পুনরায় শালিস বসাতে পারে। আমরা আমাদের জানামতে সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতমুক্ত ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করেছি।
    শালিসে থাকা অরবিন্দ হালদার, হারান মন্ডল জানান, প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত ২য় শালিসে বসে সকলের সম্মতিতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসময় কোন মত বিরোধ, দ্বন্দ্ব, আক্রমন, ভাংচুর বা কোন প্রকার কথা কাটাকাটিও হয়নি। কেউ কোন অভিযোগ করলে তা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা।
    দেবদাশ মন্ডলের স্ত্রী আমাপতি সকলের সামনে জানান, আমাদের দখলে ৭ শতক জমি আছে, আমাদের রেকর্ড হয়েছে ২ শতক। শালিসকারকরা জমিতে সীমানা টেনে ৩ শতক জমি আলাদা করে রেখেছে। আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর বা কোন ক্ষয়ক্ষতি করা হয়নি।
  • আশাশুনিতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৭

    আশাশুনিতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৭

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে বিশেষ অভিযানে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের শনিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নোমান হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে এসআই অনাথ মিত্র, মোঃ রশিদুজ্জামান, মোঃ ফিরোজ আলম, মোঃ আলমগীর কবির সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সিআর-৪৬৯/২৪ মামলার আসামী টেকাকাশিপুর গ্রামের খালেক সানার ছেলে মোঃ ওহাব আলী ও সিআর-৭৭/২৪ মামলার আসামী মোঃ জিল্লু সরদারের ছেলে মোঃ উজ্জল সরদার, আশাশুনি থানার ৫(৪)২৫ নং মামলার আসামী রুইয়ারবিল গ্রামের আব্দুল মান্নান গাইন এর ছেলে আব্দুস সালাম গাইন (২৬) ও মোঃ শাহিন গাইন (৩৫), মৃত আব্দুস সামাদ গাইন এর ছেলে মোঃ সাহেব আলী (৩০), ২৫(৩)২৫ নং মামলার আসামী দরগাহপুর গ্রামের মৃত সোবহান গাজীর ছেলে মোঃ রফিকুল গাজী (৪০) ও মোঃ ইছরাফুল গাজী (৩৭)কে ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেন।
  • মার্চ ফর গাজা ও সমাবেশপূর্ব ঘোষণাপত্র

    মার্চ ফর গাজা ও সমাবেশপূর্ব ঘোষণাপত্র

    গাজা উপত্যকায় অবৈধ দখলদার ইসরাইলের পক্ষ থেকে চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বের বিবেকবান মানুষ সোচ্চার। ছয় শত কোটি মানুষের চোখের সামনে একটি ভূখণ্ডে প্রতিনিয়ত বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় সহিংসতা—যেখানে নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ মৌলিক অবকাঠামো। অথচ ৫৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, ওআইসি এবং তাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক শক্তিও এ মানবিক সংকট মোকাবেলায় এখনো সক্রিয় কোনো উদ্যোগ গ্রহণে ব্যর্থ।

    এই প্রেক্ষাপটে, ইউরোপ-আমেরিকা সহ বিশ্বজুড়ে শান্তিপ্রিয় মানুষেরা রাজপথে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বাংলাদেশেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের উদ্যোগে গাজায় চলমান নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

    এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে “প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ”-এর উদ্যোগে আগামী শনিবার, ১২ এপ্রিল, বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে “মার্চ ফর গাজা” অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সর্বস্তরের মানুষ এক কাতারে এসে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন।

    এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করবেন: মাওলানা খতীব আব্দুল মালেক (বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ)।

    সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমূখে মার্চ ফর গাজায় আগতদের জন্য গেট ও রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনা

    দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণোজমায়েতের সময় বিকাল ৩টা।

    মার্চ এর পথ নির্দেশনা:

    স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর

    প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড়

    প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস ভবন হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট

    প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বখশীবাজার মোড়

    প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)

    স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড়

    প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)

    বিশেষ নির্দেশনাসমূহ:

    ১. টিএসসি মেট্রো স্টেশন ঐ দিন বন্ধ থাকবে।

    ২. সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য সকল রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।

    সাধারণ দিক নির্দেশনা:

    ১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

    ২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

    ৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

    ৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।

    আসুন, আমরা সবাই একত্রিত হই—মানবতার পক্ষে, মজলুমের পাশে। পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুন। আগামী প্রজন্মকে জানান ফিলিস্তিনের মানুষের যন্ত্রণার কথা, যাতে তারা শিখে কীভাবে মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে হয়।

  • গাজায় বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার মানববন্ধন 

    গাজায় বর্বোরচিত হামলার প্রতিবাদে ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার মানববন্ধন 

    সাতক্ষীরাঃ  “নিরীহ ফিলিস্থিনীদের উপর ইসরায়েলী বাহিনীর কর্তৃক বর্বোরচিত হামলার” প্রতিবাদে
    ব্যাংকার’স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার ১১.০৪.২০২৫ তারিখ বিকাল ৫ টায় শহরের নিউ মার্কেট মোড় চত্বরে  উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও জনতা ব্যাংক সুলতানপুর বাজার শাখার ম্যানেজার আব্দুর রহিম। বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি ও অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের এসপিও কবির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সোনালী ব্যাংক পারুলিয়া শাখার ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক জিএম আবু সায়েম, দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান, সংগঠনের উপদেষ্টা ও রূপালী ব্যাংকের ডিজিএম শংকর কুমার দাশ, এজিএম ইউনুস আলী, জনতা ব্যাংক পাটকেলঘাটা শাখার ম্যানেজার কারিমুছ শাহাদাৎ, তালা শাখার ম্যানেজার শহীদুজ্জামান, বাকাল শাখার ম্যানেজার শাহিনুর রহমান,উপজেলা ক্যাম্পাস শাখার ম্যানেজার বরদা চরন বিশ্বাস, ব্রহ্মরাজপুর বাজার শাখার ম্যানেজার নজরুল ইসলাম, সাউথ বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার বিদ্যুৎ, উত্তরা ব্যাংকের ম্যানেজার প্রঞ্জানন্দ বালা, এনআরবিসি ব্যাংকের ম্যানেজার শামীম রেজা, সোনালী ব্যাংক খলিশখালী শাখার ম্যনেজার জসীম উদ্দিন, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসঃ ব্যাংকের ম্যানেজার জাফর ইকবাল, আজমল হোসেন, ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, ট্রাস্ট ব্যাংকের ম্যানেজার শাকিল আহমেদ, যমুনা ব্যাংকের ম্যানেজার গাজী মোশাররফ হোসেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের ম্যানেজার ইলিয়াসুর রহমানসহ ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সাতক্ষীরার সকল ব্যাংকারা। এ মানববন্ধন কর্মসূচি তে একাত্মা প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকার্স ক্লাব সাতক্ষীরা, আল বারাকা শপিং কমপ্লেক্স এর স্বত্বাধিকারী কামরুজ্জামান বুলু, ব্যবসায়ী পল্টু, কামরুল, কাজী রাশেদ আলীসহ দুই শতাধিক ব্যাংকার ও শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ । বক্তারা সবাই ইজরায়েলী বাহিনী কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনিবাসীর উপর এই বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান । নিরীহ ফিলিস্তিনিবাসীর জন্য দোয়া করেন ।
  • গোয়ালডাঙ্গায় ভাঙ্গনের দেড় মাস পর প্রাথমিক ভাবে বাঁধের কাজ শুরু

    গোয়ালডাঙ্গায় ভাঙ্গনের দেড় মাস পর প্রাথমিক ভাবে বাঁধের কাজ শুরু

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের দেড় মাস পর প্রাথমিক ভাবে বাঁধের কাজ শুরু করা হয়েছে। (৭ এপ্রিল) রবিবার সকাল থেকে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে এই বাজার রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করা হয়। উল্লেখ্য গত দুই মাস পূর্বে ওয়াবদা রাস্তা ভেঙে নদীর গর্ভে বিলীন হতে থাকে। ভাঙ্গনের শুরু থেকে আস্তে আস্তে প্রায় ৬০০ মিটার ওয়াবদা রাস্তা ভেঙ্গে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যেটা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় প্রাথমিকভাবে বেড়িবাঁধের কাজে হাত দেওয়া হয়। ভাঙ্গনে পাইলিংয়ের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ও ব্লক দিয়ে ডাম্পিং না দেওয়া হলে পরবর্তীতে এর চেয়ে আরও ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করেছে বাজার কমিটি ও আল আকসা জামে মসজিদ কমিটি সহ স্থানীয়রা।
    খুলনা শেখ সোহেল কোম্পানির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবুল কালাম আজাদের ম্যানেজার আনন্দমোহন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে আমরা প্রাথমিকভাবে মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছি। তবে এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম জানান, গোয়ালডাঙ্গা বাজারের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের সরকারিভাবে আমরা কোন বরাদ্দ পাইনি। পূর্বের নদী খননের ঠিকাদার তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করেছে। অতি দ্রুত বাজেট পেলে ভাঙ্গন কবলিত অংশে পাইলিংয়ের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ও ব্লক দিয়ে ডাম্পিং করা হবে।
  • তরুণদের হাত ধরে সাতক্ষীরার রইচপুরে শতাধিক পরিবারে ফিরছে সুপেয় পানির স্বস্তি

    তরুণদের হাত ধরে সাতক্ষীরার রইচপুরে শতাধিক পরিবারে ফিরছে সুপেয় পানির স্বস্তি

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান সুপেয় পানির সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ পক্ষেপ নিয়েছে ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের তরুণেরা। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ও স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ-এর সহায়তায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ পানি প্রকল্পের ‘ইয়ুথ ইনোভেশন’ এর আওতায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রইচপুর এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রইচপুর গোলপাতা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কমিউনিটি অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্যোগটির মাধ্যমে এলাকার শতাধিক পরিবার পাবে সুপেয় পানির স্বস্তি।

    ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের সহ-সভাপতি মো. হোসেন আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, সেভদা চিলড্রেন এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. আবু বকর সিদ্দিকী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রইচপুর গোলপাতা জামে মসজিদ যুব কমিটির সভাপতি সোহাগ হোসেন, স্থানীয় নজরুল ইসলাম, আলিম সরদার, ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের সাজেদুল ইসলাম, উত্তরণের তন্ময় সরকার, আব্দুল্লাহিল বাকী, জিএম চাতক, মো. আবু তাহের প্রমুখ।

    সভায় যুব কমিটির সভাপতি সোহাগ হোসেন বলেন, খাবার পানি তো দূরের কথা, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্যও এখন পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পৌরসভার পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় মানুষ বিকল্প উপায়ে পানি সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছে, যা অনেক সময় স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

    এ সময় বক্তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাতক্ষীরার মতো উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ভূগর্ভস্থ পানির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাই সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে স্থানীয় যুবকরে নেতৃত্বে নেয়া এই প্রকল্প একটি সময়োপযোগী ও জনমুখী উদ্যোগ।

  • এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে যুবক আটক, ১০ দিনের কারাদন্ড

    এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে যুবক আটক, ১০ দিনের কারাদন্ড

    চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে তালা উপজেলার খলিষখালী মাগুরা এসসি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে প্রক্সি দিতে গিয়ে শেখ হাফিজুর রহমান নামের এক যুবক আটক হয়েছে। সে উপজেলার মাগুরা গ্রামের এসকে আব্দুল হামিদের ছেলে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান তাকে ১০ দিনের কারাদন্ড দেন। পরে তাকে তালা থানা পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়।

    তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোঃ রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    খলিষখালী মাগুরা এসসি কলেজিয়েট ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র সচীব যোগেশ চন্দ্র দাস জানান, বৃহস্পতিবার (১০ এপিল) ছিল এসএসসি বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা। এদিন অত্র কেন্দ্রের (সেন্টার নং: ৩৯৫) ১১ নং কক্ষে শেখ হাফিজুর রহমান নামে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছিল। তার রোল নং ৭৮৫৪৮২ এবং রেজিষ্ট্রেশন নং ২১১৩৩০৯১৪৩।

    এ সময় তার ছবির সাথে চেহারা কোন মিল না থাকায় সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। এক পর্যায়ে সে প্রক্সি দিতে আসে বলে নিশ্চিত হন সংশ্লিষ্টরা। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান তাকে ১০ দিনের সাজা দেয়। তবে আটক হাফিজুর রহমানের নাম ও পিতার নামের সাথে পরীক্ষার্থী শেখ হাফিজুর রহমানের নাম ও পিতার নামের মিল আছে বলে জানান তিনি।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান জানান, ওই কেন্দ্র পরিদর্শনকালে শেখ হাফিজুর রহমানকে সন্দেহ হয়। বিষয়টি কেন্দ্রে দায়িত্বরত পরীক্ষকরা তাকে জানান। পরে হাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং প্রবেশপত্র যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় যে, তিনি অন্যের পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন।

    তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ২৯৩৫ জন পরীক্ষার্থী থাকলেও ২৭ জন অনুপস্থিত ছিল। মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ২৮৭১ জন। এছাড়া প্রক্সি দিতে আসা ঐ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

    এ বিষয়ে তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন আটক ব্যক্তিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।