Blog

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত

    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভিআইপি হলরুমে শনিবার (১৭ মে ২০২৫) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি,এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, নির্বাহি সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, গোলাম সরোয়ার, মুহাঃ জিললুর রহমান, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আমিরুজ্জামান বাবু, সদস্য আমিনুর রশিদ, এডভোকেট ড. দিলীপ কুমার দেব, শহিদুল ইসলাম, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, এস,এম রেজাউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, এম জিল্লুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, মীর আবু বকর, ডিএম কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
    বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী। প্রেসক্লাবের আয়-ব্যায়, মার্কেট নির্মাণ, সদস্যদের হালনাগাদ তালিকা, বকেয়া সদস্য চাদাঁ, সাংগঠনিক ও বিবিধ বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন, প্রেসক্লাবের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ। আলোচনায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সকলের সম্মতিতে অনুমোদন দেয়া হয়।
    এছাড়া, গঠনতন্ত্র বর্হিভুতভাবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে বিপথগামী, স্বার্থান্বেষী কতিপয় সদস্য শহরের অজ্ঞাত স্থান থেকে কথিত কমিটি ঘোষনা করে তা অনলাইন, নিউজ পেপার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার অপচেষ্টা করছে।
    সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ এহেন ঘৃণিত কর্মকান্ডের জন্য ওই সমস্ত বিপথগামী সদস্যদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। একই সাথে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন।
    সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ আরো বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আগ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দলের ভয় দেখিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর মমতাজ আহমেদ বাপী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুজন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লংঘন করে প্রেসক্লাবকে সাড়ে তিন বছর দখলে রেখে জেলাব্যাপী প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য ও কয়েকজন দলীয় নেতার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রেসক্লাবের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে নিজেরা আত্মসাত করেছে। তারা প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের লালিত গনতন্ত্র চর্চাকে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে সজাগ থাকার উদাত্ত আহবান জানিয়ে সাধারণ সদস্যরা বলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
    সভায় আগামী ২২ জুলাই ২০২৫ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুবসমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেছেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা ইয়ুথ লিডারশীপ প্রোগ্রামে ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।
    শনিবার (১৭মে) সাতক্ষীরার আল আমিন ট্রাস্টে কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুব বিভাগের সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডাঃ মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সহকারী সেক্রেটারী এড. আবু তালেব প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি বলেন, যুবকদের নিজেরে চেষ্টার পরে আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র—জনতার পাশাপাশি যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
    সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, যুবসমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখি, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুবসমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় রাতারাতি গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদের ৪৮৮+ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না
    জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুবসমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুবসমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমিরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুবসমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই বরং সত্যের পতাকা উড্ডীন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।

  • মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে, দেশকে সজাগ থাকতে হবে : ইমরান খান

    মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে, দেশকে সজাগ থাকতে হবে : ইমরান খান

    ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশকে সজাগ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাবন্দি বিরোধী নেতা ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথা উল্লেখ করে তিনি একথা বলেন।

    বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে এবং সে বিষয়ে দেশ ও জাতিকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাবের প্রশংসাও করেছেন ইমরান খান।

    বুধবার (১৪ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বোন আলেমা খান। তিনি বলেছেন, তার কারাবন্দি ভাই ইমরান খানের সাথে সাক্ষাতের সময় ভারতের সাথে পাকিস্তানের সংঘাতের বিষয়টিও আলোচনা করা হয়েছে।

    আলেমা বলেন, “তিনি (ইমরান খান) আমাদের বলেছেন— যুদ্ধের সময় এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে— দেশ ও জাতির সতর্ক থাকা উচিত কারণ (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবেন।”

    এদিকে ইসরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক শেখ ওয়াকাস আকরাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইমরান বলেছেন— ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাব কেবল জাতির মনোবলই বৃদ্ধি করেনি বরং কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের মনোবলও বাড়িয়েছে।

    তবে আকরাম জোর দিয়ে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান সতর্ক করে দিয়েছেন যে— মোদির প্রতারণামূলক এবং অবিশ্বস্ত স্বভাবের কারণে ভারতের আগ্রাসন এবং সংঘাতের সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তির জন্য পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি জানান, ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, “ভারতের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও বারবার আগ্রাসনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ মোদির আচরণ বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

    ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যদি ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হতে পারে, তাহলে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে বাধা কোথায়?”

    গোহর আলী বলেন, “আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা করা।”

    তিনি আরও বলেন, পিটিআই সবসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে গঠনমূলক সংলাপে অংশ নিতে প্রস্তুত। তার ভাষায়, “সরকার যদি একটি সর্বদলীয় সম্মেলন ডাকে, তাহলে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি সেখানে অংশগ্রহণ নিয়ে ভাববে।”

  • সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় চাঁদার দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় প্রতিবেশী আব্দুল করিম কর্তৃক ব্যবসায়ি মোঃ মশিউর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার গাঙ্কুলিয়া গ্রামের মৃত ফেরজতুল্লাহ গাজীর ছেলে মোঃ মশিউর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গাঙ্কুলিয়া গ্রামে দোকান নিয়ে সার ও কীটনাশক ব্যবসা করি। গাঙ্কুলিয়া গ্রামের আশরাফ হোসেন গাইনের ছেলে আব্দুল করিম (৪০)কে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় সম্প্রতি সে আমারসহ এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একপর্যায় কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিম বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত মহিলাদের সংগ্রহ পূর্বক তাদের বাদী করে গত ১১ মার্চ আমিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা (নং-১৭০/২৫ (কালিঃ) দায়ের করে। যা পিবিআই তদন্ত করছে। এটাতে ক্ষ্যান্ত না হয়ে আব্দুল করিম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলি আদালত, মানিকাঞ্জে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সিআর মামলা(নং-৪৮০/২৫) দায়ের করে। সেটিও পিবিআই তদন্ত করছে। গত ৬ মে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন তমন ট্রাইবুন্যাল, চুয়াডাঙ্গায় এবং গত ৮মে আমিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ঝিনাইদহ আদালতে আরো একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে।
    মশিউর রহমান বলেন, এভাবে একর পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করায় আমরা সামাজিক ও মানসিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। চাঁদাবাজ আব্দুল করিম অসামাজিক কাজে লিপ্ত বিভিন্ন মহিলাদের সংগ্রহ করে তাদের বাদী করে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যে ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে আরো মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের ভিটা ছাড়া করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করছে। উক্ত চাঁদাবাজ চক্র ও তাদের সহযোগীদের উৎপাতে আমিসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওই চাঁদাবাজরা এলাকার ছোট খাট ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মানসিক ভাবে ভীতির সঞ্চার করে চলেছে।
    তিনি কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিমসহ তার সহযোগীদের অন্যায় অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে এবং মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ

    ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ

    জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংগঠনের জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান। বুধবার (১৪ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় নেতৃর্দ্বয় শোকাহত পরিবার—পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।

    শোকবার্তায় জেলা জামায়াত আমীর ও সেক্রেটারী বলেন, মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদারের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তার অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তার জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার—পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

    উল্লেখ্য বুধবার (১৪ মে) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ ইব্রাহিম হোসেন সরদার খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এন্তেকাল করেন। নিহত জামায়াত নেতা মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মৃত এজাহার আলী সরদারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১নং বাঁশদহ ইউনিয়নের নায়েবে আমীর ছিলেন। সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে ইব্রাহিম হোসেন একটি মোটরসাইকেলে কামারবায়সা থেকে বেলেডাঙ্গা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুক্তির মোড় এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশ থেকে হঠাৎ একটি কলাগাছ ভেঙে তার মাথার উপর পড়ে। দ্রুততাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হাতে থাকলে মঙ্গলবার তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাত ৩ টার দিকে তিনি মারা যান। সন্ধায় জানাজা শেসে পারিবারিক বকরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

  • পানির প্রবাহ বন্ধ যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে : পাকিস্তান

    পানির প্রবাহ বন্ধ যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে : পাকিস্তান

    পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পাকিস্তানের পানির প্রবাহ যদি বন্ধ বা বাঁকানো হয়, তবে তা ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

    সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দার বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে কখনও কখনও দেশগুলোকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেমনটা আমরা ৯ মে রাতে নিয়েছিলাম।’

    তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও রাষ্ট্রীয় পরিপক্বতা বজায় রেখে ইতিবাচক পথে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটি মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এগিয়ে যাক।

    দার আবারও পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চাই সব বিষয় আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধান হোক—যাতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে।’

    কাশ্মীর প্রসঙ্গে দার বলেন, এটি কেবল পাকিস্তানের দাবি নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিরোধ।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দার বলেন, ‘ট্রাম্পের এই প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

    তিনি বলেন, এই দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রসহ তৃতীয় পক্ষের সমর্থন দরকার।

    তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের যৌথ উদ্যোগেই সম্ভব। এক হাতে তালি বাজে না। একতরফাভাবে পাকিস্তান কিছু করতে পারবে না।’

    ইসহাক দার আরও বলেন, এমন বিষয়ে দেরি করা মানেই আরও জটিলতা বাড়ানো। তিনি বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ এড়ানো সকল পক্ষের স্বার্থেই জরুরি।’

    পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান, পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না এবং দেশটি ইতোমধ্যে তার কৌশলগত ভারসাম্য ও সার্বভৌম মর্যাদা দেখিয়ে দিয়েছে।

  • শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    সিসিডিবি একটি উন্নয়নমুলক বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প নারীদের নেতৃত্ব উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।

    সেই লক্ষ্যে ১২ ও ১৩ মে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প অফিসে প্রকল্পের ১০ জন নারী সদস্য, ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ৫ জন জেন্ডার নেটওয়ার্ক গুরুপের সদস্যদের ২ দিন ব্যাপী জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। আজ বিকাল ৪ টায় উক্ত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাজী নজরুল ইসলাম। প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ গাজী, সচিব রিয়াজুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলীমা রানী ও এনগেজ প্রকল্পের কর্মীবৃন্দ।

    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক বলেন, সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে জেন্ডার বাজেটিং নিয়ে কাজ করছে এটা খুবই প্রশংসনীয়। তিনি জেন্ডার বাজেটিং কি সেই বিষয়ে আলোচনা করেন।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ২০ বছরের নিচে যদি কোন মায়ের বয়স হয় তাহলে তার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন হবে না। তিনি আরো বলেন, ডিসি অফিসে যে মিটিং হয় আমরা যদি সেখানে বিষয়টা উপস্থাপন করতে পারি এবং তারা মন্ত্রণালয়ে জানায় তাহলে বাজেট জেন্ডার সংবেদনশীল করা সম্ভব।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প আপনাদের দুইদিন ব্যাপী যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তা যদি আপনারা ভালোভাবে বুঝে এবং কাজে লাগাতে পারেন তাহলে প্রশিক্ষণ দেওয়া সার্থক হবে।

  • কালিগঞ্জে প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ রোধে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়

    কালিগঞ্জে প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ রোধে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়

    ‘সুন্দরবন বাঁচলে, বাঁচবে উপকূল’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্নস্তরের গুণীজনদের অংশগ্রহণে প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার (১১ মে) সকাল সাড়ে দশটায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘রূপান্তর’ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে।

    রূপান্তরের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আকরাম হোসেন।

    তিনি বলেন, পলিথিনের ব্যবহার কমাতে শুধু জনসচেতনতাই নয়, যথাযথ আইনের প্রয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজন। পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সীমিত পর্যায়ে আনতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে।

    তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সামুদ্রিক ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছে প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

    শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কয়েকটি স্থান নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্লাস্টিক ব্যবহার সীমিত করার বিষয়ে সচেতন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজ নিজ জায়গা থেকে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার সীমিত করার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বক্তারা অনুরোধ জানান।

  •  ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

     ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

    ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় একটি চরের মধ্যে ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। রোববার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৭৫জন বাংলাদেশি নাগরিককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন ভারতীয়কে শ্যামনগর থানায় রাখা হয়েছে।

    রাতেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। আজ সোমবার (১২ মে) সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার।

    পুশ ইন করা একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা সকলেই ভারতের গুজরাটের সুরাট বস্তিতে থাকতেন এবং ছোটখাট কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৬ এপ্রিল তাদের বস্তি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ওইদিন রাতেই তাদের আটক করা হয়। সেখান থেকে তাদের হাত ও চোখ বেঁধে নেয়া হয় পুলিশ ক্যাম্পে। সেখানে চার দিন রাখার পর বিমানে করে আনা হয় কোলকাতায়। কোলকাতা থেকে তাদেরকে জাহাজে করে এনে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় নিয়ে চোখ বেঁধে একটি চরে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তারা পায়ে হেটে বনবিভাগের মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। রোববার কোস্টগার্ড তাদের মোংলায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও তাদের নাম পরিচয় সনাক্তকরণের কাজ শেষে রাতে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে। তারা বাংলাদেশী হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা গুজরাটে বসবাস করতেন।

    তারা আরো জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তাদের ঠিকমতো খেতে দেয়া হতো না। মাঝেমধ্যে মারধর করা হতো। এছাড়া তারা সবসময় আমাদেরকে গালিগালাজ করত।

    এদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন জানান, তাদের বাবা-মা গুজরাটে থাকাকালে সেখানেই তাদের জন্ম হয়। তাই জন্ম সূত্রে তারা ভারতীয় নাগরিক। তাদের সব ধরণের কাগজপত্র ছিল। ২০২৪ সালের তাদের সকল কাগজপত্র ভারত সরকার কর্তৃক নিয়ে নেয়া হয়।

    মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছায়।

    বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মশিউর রহমান জানান, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে ৭৮ জন বাংলাভাষীকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসব ভালাভাষী নাগরিকদের ভারতীয় একটি জাহাজ ও স্পিডবোর্ডযোগে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের এলাকার একটি চরে ফেলে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিকটস্থ মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে শনিবার রাতে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, এভাবে আকস্মিকভাবে ৭৮জনকে বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী নির্জন এলাকায় চরে ফেলে যাওয়ার ঘটনা সকলকে বিস্মিত করেছে। পরবর্তীতে বনবিভাগ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহায়তায় এসব মানুষকে মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়। এসময় তাদের নাম পরিচয় ঠিকানা সনাক্তের পাশাপাশি তাদের সুন্থ রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল, ডাল ও পানিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়।

  • চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড

    চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড

    চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপ প্রবাহের কবলে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    শনিবার (১০ মে) চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসাইন জানান, আজ বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের ১৬ শতাংশ এবং দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ।

    চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট এলাকায় যশোর-খুলনাগামী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার ঝুনা বলেন, এত পরিমাণ গরম অনুভূত হচ্ছে যে ফ্যানের বাতাসও গরম অনূভুতি হচ্ছে। বসে থেকে কাজ করা যাচ্ছে না।

    যাত্রীবাহী বাস চালক আতিকুর জানান, গত রোজার পর থেকে তীব্র গরমে বাসে যাত্রী হচ্ছে না। বাস চালিয়ে তেলের টাকা উঠছে না। গরমে যাত্রী কমে গেছে।

  • আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

    আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তীব্র দাবদাহে গত দুদিন থেকে রাস্তায় রয়েছি, ফলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ‘আন্দোলন প্রত্যাহার’ করা হয় তারপরও আপনারা নিজেরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

    শনিবার (১০ মে) শাহবাগ মোড়ে বিকাল চারটার দিকে গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এ বার্তা দেন এনসিপির এই নেতা।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আরও স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, যতই ষড়যন্ত্র ও প্রেসার আসুক জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে কেউ পারবে না।

    আমি যদি আর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না-হাসনাত আবদুল্লাহ

    এর আগে বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবারের ন্যায় গণজমায়েত শুরু হয়েছে। এই গণজমায়েত কর্মসূচিতে এনসিপি ছাড়াও যোগ দিয়েছেন, জুলাই মঞ্চ, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রশিবির, প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ (আপ বাংলাদেশ) বিভিন্ন দল ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।

    আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, আজকের (শনিবার) গণজমায়েত থেকে সিদ্ধান্ত আসবে আন্দোলন কোন দিকে যাবে। যদি আজ রাতের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না আসে, কাল থেকে সারা দেশের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসতে পারে

  • পাকিস্তান আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে, দাবি ভারতের

    পাকিস্তান আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে, দাবি ভারতের

    নয়াদিল্লির দাবি পাকিস্তান ভারতের সীমান্তে ‘আক্রমণাত্মক অভিযান’ চালানোর জন্য এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করার জন্য সামরিক ইউনিটগুলোকে ফ্রন্টলাইন পজিশনে পুনরায় মোতায়েন করছে।

    শনিবার (১০ মে) উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটি আরও উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য আক্রমণাত্মক অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দেয়।

    তিনি আরও বলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এখনো উচ্চ পর্যায়ের অপারেশনাল প্রস্তুতিতে রয়েছে। তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

    ব্যোমিকা সিং-এর মতে, সমস্ত ‘প্রতিকূল কর্মকাণ্ড’ কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

    তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রাতে ভারত পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, এই আক্রমণটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং অস্থিতিশীল কাজ।

    এর প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ (কুরআনের একটি আয়াত যা মোটামুটি ‘সীসার শক্ত প্রাচীর’ হিসাবে অনুবাদ করা হয়) শুরুর ঘোষণা দেয়।

  • ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

    ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

    কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। ভারত এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছিল।

    পাকিস্তানের দাবি, অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুসের অংশ হিসেবে তারা ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছে।

    পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, দেশটির বিমান বাহিনী তাদের প্রতিশোধমূলক হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে একটি জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। এস-৪০০ সিস্টেমটি অত্যাধুনিক। এটির মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। যা ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কৌশলগত সম্পদের মধ্যে একটি ছিল।

    অবশ্য গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ভারত মিসাইল হামলা চালানোর পর থেকেই একের পর এক দাবি করছে পাকিস্তান। প্রথমে তারা পাকিস্তানের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। পরে ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করে। যদিও এসব দাবির বিষয়ে ভারত এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে বিবিসি ভারতের রাফাল বিমান ভূপাতিত করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছিল।

    এদিকে শুক্রবার রাতে ভারতের ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালানোর দাবি করেছে পাকিস্তান। অবশ্য পাকিস্তান এমন দাবি করলেও ভারত এসব দাবির কথা স্বীকার করেনি।

    এই দাবি ছাড়াও ভারতের শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার দাবি করেছে পাকিস্তান। তাদের দাবি সাইবার হামলা করেছে তারা। যদিও বিবিসি এসব দাবির সত্যতা এখন পর্যন্ত যাচাই করতে পারেনি। আর ভারতের দিক থেকেও এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য আসেনি।

    তবে ক্ষমতাসীন বিজেপির ওয়েবসাইট ভারতে দেখা যাচ্ছে। যাতে পরিষ্কার এই ওয়েবসাইটটি এখনো সাইবার হামলার শিকার হয়নি।

    তবে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারত শাসিত কাশ্মীরে নিহত হয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।

    উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেছেন, ইসলামে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নেই। ইসলাম সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। আমরা পাঁচদফা প্রস্তাবনা দিয়েছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন থাকবো। ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায় না। ভারত মিসাইল ছুঁড়লে আমরা সেই মিসাইল ভারতে পাঠিয়ে দিব। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব। মানুষের বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে কেয়ারটেকার সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমরা সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পরীক্ষিতভাবে সৎ। আমরা সৎ লোকের শাসন চাই, আল কোরআনের আইন চাই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। আমাদের কমিটমেন্ট থাকবে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা। সবার জন্য ভাত কাপড় শিক্ষা স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সবাই থাকার জন্য ঘর পাবে। ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, আমরা বিএনপি’র শাসন দেখেছি, আমরা জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছি। এখন বাকি আছে একটি দল। সেই দলের নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। আমাদেরকে ভোট দিন, নির্বাচিত করুন, আমরা আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেব। আমরা এদেশের সকল ধর্মের মানুষের সম অধিকার নিশ্চিত করবো। আমরা নারীর মর্যাদা সমুন্নত করবো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর হাদিস বর্ণনা করে তিনি বলেন, ইসলামে কোন নারীকে হত্যা করা যাবে না।
    তিনি আরও বলেন, আমরা সোনার বাংলার স্লোগান শুনেছি, আমরা ছয়দফার স্লোগান শুনেছি। কিন্তু সোনার বাংলার স্লোগান এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।
    প্রধান অতিথি বলেন, দরকার হলে পাঁচ বছরের জন্য জামায়াতের কাছে বাংলাদেশকে লিজ দিন। আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাহলে কান ধরে, ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবেন। আমরা ব্যর্থ হবো না— ইনশাআল্লাহ।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, লুটপাট, চাঁদাবাজির কথা বললে একটি বড় দল মাথায় হাত দেন। লুটপাট, দুর্নীতি, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন আর অপশাসন চালিয়ে এদেশ থেকে পালিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা—কর্মীরা। এখন আবার আর একটি দল সেই একইভাবে লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
    প্রধান অতিথি এসময় সাতক্ষীরার প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে স্ব—স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য নেতা—কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
    শনিবার (১০ মে) বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শহীদ আব্দুস সামাদ স্মৃতি ময়দানে কর্মী সম্মেলনে সভপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী।
    কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুর রউফ ও সরকারি সেক্রেটারি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারি পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ—সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, জেলা ছাত্র শিবিরের নেতা এমামুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন,কালিগঞ্জ উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর জিএম আব্দুল গফ্ফার, শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, দেবহাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ওলিউল ইসলাম, শহিদ আরিফুজ্জামানের পিতা আবতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এসএম জোবায়ের হোসেন, সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম, প্রমুখ।
    এর আগে একই দিন সকালে একই ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সম্মেলনে হাজার হাজর মানুষ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে উপস্থিত ছিলেন।  সম্মেলন শেষে স্থানীয় মোহনা শিল্পগোষ্ঠীর আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

  • আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে চার টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল সংলগ্ন সড়কে থেকে শাহবাগ মোড়ে এসে আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এই অবরোধে অংশ নেন। যার ফলে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি এবং বাংলামোটরগামী রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

    এ সময় আন্দোলনকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং গণহত্যার বিচারের আহ্বান জানায়। ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ ‘নাহিদ-আক্তার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও ঘুড়িয়ে দাও’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, প্রভৃতি বলে স্লোগান দেয়।

    এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে ‘বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ’। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব। ইন্টারিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।

  • ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত পাকিস্তানে

    ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত পাকিস্তানে

    ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার (৯ মে) গণমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত পাকিস্তানে হামলা চালানোর পর এখন পর্যন্ত ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। গত ৮ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তান ২৯টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আর গত রাত থেকে আরও ৪৮টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তান যথাযথ প্রতিক্রিয়ায় জবাব দিচ্ছে।

  • ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ

    ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ

    কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (৭ মে) মন্ত্রণায়ের এক বিবৃতিতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং উভয় দেশকে শান্ত থাকার, সংযত থাকার এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

    এতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার চেতনায় বাংলাদেশ আশাবাদী যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে শান্তি বিরাজ করবে।

  • সাতক্ষীরায় শিবিরের বিক্ষোভ

    সাতক্ষীরায় শিবিরের বিক্ষোভ

    ২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যার বিচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট আমলে হওয়া সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা।
    ৭মে বিকাল ৪টার শহরের তুফান মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষি করে খুলনারোড মোড়স্থ আসিব চত্ত্বরে যেয়েং শেষ হয়।
    শহর শিবিরের সেক্রেটারী মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ পরবর্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরি পনিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরীয় সভাপতি আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমামুল হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।