Blog

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    উষ্ণ সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসলে তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানানো হয়। একই সাথে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
    প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পেশাগত দিক বিবেচনা করে একে অপরের সাথে বন্ধন রাখতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে একসাথে চলতে হবে। কারণ সাংবাদিকতার পেশা শক্তিশালী না হলে সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো দূর্বল হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মানউন্নয়নে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বেশ কিছু আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বার কাউন্সিলের নিয়মের মতো সাংবাদিকদেরও একটি আইনের মধ্যে রেখে পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর কাজ চলছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এটি কার্যকর হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। এই পেশাকে কলুষিত করা যাবে না। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষতার সাথে পেশাটিকে পালন করতে হবে। তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করার ও সাংবাদিকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
    সাতক্ষীরা প্্েরসক্লাবের ভিআইপি রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ আব্দুস সবুর, সাতক্ষীরা জেলা তথ্য কর্মকর্তা জাহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক এস কে কামরুল হাসান, নির্বাহি সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, মুহাঃ জিল্লুর রহমান, আমিরুজ্জামান বাবু, সাংবাদিক এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান,এম জিল্লুর রহমান,ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল আলীম,মীর আবু বকর, এস এম রেজাউল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আল ইমরান, মামুনুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রোনিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা।
    মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় যান। এসময় আবেগঘন হয়ে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ,কে,এম আব্দুল হাকিম বলেন, পৌরদীঘির নান্দনিক দৃশ্য তাঁকে মুগ্ধ করেছে। এমন একটি সুন্দর স্থানে প্রেসক্লাব নির্মিত হওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সাথে প্রেসক্লাবকে আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলার জন্য আহবান জানান।

  • বাংলাদেশ-পাকিস্তান পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নেমে এলো তিনে, ভেন্যু লাহোর

    বাংলাদেশ-পাকিস্তান পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নেমে এলো তিনে, ভেন্যু লাহোর

    পাকিস্তানের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে লিটন দাসের দল। সবকটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। যদিও সিরিজের সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পাকিস্তানের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    কথা ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ওয়ানডে সিরিজে। তবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দুই দলের সম্মতিতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি মাসের ২৫ তারিখ থেকে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ দলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

    তবে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে সিরিজটি। পরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে নতুন করে বিসিবিকে পরিবর্তিত সূচি পাঠিয়েছিল পিসিবি। অন্তর্বর্তী সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সম্মতি জানিয়েছে বিসিবি।

    প্রথমে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও দুবাইয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি এবং বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীনের মধ্যে বৈঠকের পর তিন ম্যাচের সিরিজে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত হয়।

    আগামী ২৫ মে পিএসএলের ফাইনাল হবে। এরপরই হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজটি। এদিকে, বাংলাদেশ দলও আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল লিটন দাসের দলের। তবে সিরিজটির প্রথম ম্যাচ শেষেই বাড়তি আরেকটি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয় বাংলাদেশের তরফে। বিসিবির এমন প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। টিম টাইগার্সের সঙ্গে আরেকটি বাড়তি ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক দল। তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টি হবে আগামী ২১ মে। তৃতীয় ম্যাচটিও মাঠে গড়াবে একই সময়ে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়।

  • ধর্ষণ মামলায় কারাগারে নোবেল

    ধর্ষণ মামলায় কারাগারে নোবেল

    অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে নোবেলকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মুরাদ হোসেন তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।

    উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে সোমবার রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, গতকাল ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে অপহরণ, জিম্মি করে বিয়ের প্রলোভনে সাত মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল অভিযোগে মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ৩২)।

    জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

    এর আগে ২০২৩ সালে নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে এক মামলায় সেবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।

  • গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা

    গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা

    আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : দ্রুত ত্রাণ না পৌঁছালে ফিলিস্তিনের গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল টম ফ্লেচার বলেছেন, ‘আমি যতটা পারি এই ১৪ হাজার শিশুকে রক্ষা করতে চাই’। খবর বিবিসি’র।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার বন্যা বইয়ে দেয়া দরকার। সেখানে আরও সহায়তা নেয়া যায় কি-না সেটাই হবে জাতিসংঘের ‘সত্যিকার পরীক্ষা’।

    আরো সহায়তা না পেলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে- এটি জাতিসংঘ কীভাবে ঠিক করলো, বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে টম ফ্লেচার বলেন, ‘সেখানে আমাদের শক্তিশালী টিম আছে এবং অবশ্যই তাদের অনেকে নিহত হয়েছে। তারপরও এখনো আমাদের অনেকে লোকজন আছে সেখানে। তারা চিকিৎসা কেন্দ্রে আছে, স্কুলে আছে।…. আরও মূল্যায়নের চেষ্টা করছে।’

    এদিকে টানা তিনমাসের ইসরায়েলি অবরোধের পর অবশেষে গাজায় প্রবেশ করেছে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ৫টি ট্রাক। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করে শিশুখাদ্যসহ জরুরি সাহায্য বহনকারী এই ট্রাকগুলো।

    জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত প্রায় ২০ লাখ গাজাবাসীর জন্য এই সহায়তাকে তিনি ‘জলাশয়ে একটি বিন্দুর মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন।

    টম বলেন, গাজায় প্রচুর পরিমাণে সহায়তা প্রয়োজন। মার্চ মাসে ইসরায়েল যখন সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ করেছিল, তখন প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত।

    তিনি জানান, জাতিসংঘের আরও চারটি ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। সেগুলো মঙ্গলবার প্রবেশ করতে পারে। স্থল পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হওয়ায় এসব জরুরি সহায়তা সামগ্রী লুট বা চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ সম্পদ দিন দিন কমে আসছে।

    গত ২ মার্চ সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অযুহাতে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এরপর টানা তিনমাস ধরে চলে এই অবরোধ। একটু একটু করে ফুরিয়ে আসে গাজার খাবার,ঔষধসহ জরুরি সব জিনিস। বিশেষত ক্ষুধার জ্বালায় ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে বাসিন্দাদের প্রাণ। এমনকি ইসরায়েলের বোমা থেকে ক্ষুধাকে বেশি ভয় পেতে শুরু করেন গাজাবাসী। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ আসতে শুরু করে।

    এদিকে ইসরায়েলের এই পাঁচ ট্রাক সহায়তাকে ‘একদম অপ্রতুল’ বলে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের জন্য তারা নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় নির্মম হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

  • আশাশুনিতে জিও-এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে জিও-এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে জিও-এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। মৌমাছি নির্বাহী পরিচালক সুশান্ত মল্লিকের সঞ্চালনায় সভায় ভ্যাটেরিনারী সার্জন ডা: তৌহিদুজ্জামান, বন কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম, এনজিও উন্নয়ন প্রচেষ্টা, উন্নয়ন, সাস, গ্রামীণ ব্যাংক, উত্তরন, গণমুখী ফাউন্ডেশন, এসডিএফ, লিডার্স, আশা, সোপান প্রতিনিধিবৃন্দ আলোচনা রাখেন। এনজিও সাজেদা ফাউন্ডেশন এর শাখা ব্যবস্থাপক সাব্বির আহমেদ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সভায় স্বর্ণালী জন উন্নয়ন ফাউন্ডেশন উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইউএনও মহোদয়ের অনুমতি না পাওয়ার পরেও কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
  • পিএসএল খেলতে যাচ্ছে মিরাজ

    পিএসএল খেলতে যাচ্ছে মিরাজ

    সাকিব আল হাসানের পর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলবেন আরেক বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আসরের শেষ ধাপে খেলার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। আজ বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে, ২২ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত পিএসএলে অংশ নিতে মিরাজকে এনওসি দেওয়া হয়েছে। তিনি লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলবেন এলিমিনেটর রাউন্ডে।

    জানা গেছে, লাহোরের হয়ে খেলা সিকান্দার রাজার রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে মিরাজকে চেয়েছে দলটি। গতকাল পেশাওয়ার জালমিকে ২৬ রানে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে লাহোর। ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করে তারা নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। ২২ মে এলিমিনেটর ম্যাচে খেলবে লাহোর।

    জাতীয় দলের বর্তমান টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে না থাকায় মিরাজের পিএসএল খেলা নিয়ে কোনো বাধা দেয়নি বিসিবি। বরং বোর্ড বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে। লাহোরে যোগ দিতেও বেশি সময় নেবেন না এই ২৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।

    চলতি আসরের শুরুতে পিএসএল ড্রাফট থেকে দল পেয়েছিলেন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার—লিটন দাস, নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। তবে ইনজুরির কারণে এক ম্যাচও না খেলেই দেশে ফেরেন লিটন।

    রিশাদ লাহোরের হয়ে পাঁচটি ম্যাচ খেললেও নাহিদ মাঠে নামার সুযোগ পাননি। ৯ মে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে সাময়িকভাবে পিএসএল বন্ধ হয়ে গেলে দেশে ফিরে আসেন তারা। বর্তমানে এই দুই ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে থাকা জাতীয় দলে রয়েছেন। ফলে তাদের আর দেখা যাবে না এবারের আসরে।

    এই অনুপস্থিতির সুযোগেই দলে ডাক পান সাকিব আল হাসান। শনিবার রাতে পেশোয়ারের বিপক্ষে লাহোরের হয়ে অভিষেকও হয়ে গেছে তার। এবার সেই একই দলে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজও।

  • সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়লেন শাকিল

    সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়লেন শাকিল

    সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ের কীর্তি গড়েছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। তবে তিনি বাকিদের চেয়ে একটা জায়গায় ব্যতিক্রম। পদযাত্রা করে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিয়ে সবচেয়ে কম সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি। কক্সবাজার থেকে পায়ে হেঁটে মোট ৮৪ দিনে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান তিনি। যেই কীর্তি নেই পৃথিবীর আর কারো।

    সোমবার (১৯ মে) এই অভিযানের সমন্বয়ক বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) সদস্য সাদিয়া সুলতানা শম্পা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, শাকিল বিশ্বরেকর্ড করে এভারেস্ট আরোহণ করে ক্যাম্প ৪-এ ফিরেছেন। উনি দ্রুততম সময়ে সমুদ্র থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করে ১৩শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই শিখর আরোহণ করেন। ইন্টারনেট ও ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বিধায় আজ সকালে ঠিক কয়টার সময় আরোহণ করেছেন, সঙ্গে কয়জন ছিলেন এবং সেখানকার ছবি ও ভিডিও আমাদের হাতে এখনো এসে পৌঁছায়নি। এভারেস্টের সেই কোম্পানি আমাদের এটুকু কনফার্ম করেছেন।

    আশা করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো সব আপনাদের জানানো হবে। তবে তার চেয়েও জরুরি শাকিলের সম্পূর্ণ নিরাপদে বেসক্যাম্পে ফিরে আসা। আগ্রহীরা ইকরামুল হাসান শাকিল এই পেজে আপডেট পাবেন। তবে আমাদের এখনো ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।

    বাংলাদেশের স্বপ্নবাজ এ তরুণের আগে ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে প্রায় ১২শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পদচিহ্ন রাখেন। শাকিল তারচেয়ে সপ্তাহখানেক কম সময়ে পাড়ি দিয়েছেন আরও একশ কিলোমিটার বেশি।

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানি সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয় শাকিলের পদযাত্রা। ৯০ দিনের মধ্যে ‘সি টু সামিট’ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু করেন তিনি। যাত্রাপথে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের প্রায় এক হাজার ৩শ কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্টের ২৯ হাজার ৩১ ফুট উঁচু শিখরে আরোহণ করলেন শাকিল।

    এর আগে ২০১৩ সালে তিনি কলকাতা থেকে হেঁটে ১১ দিনে ঢাকায় পৌঁছান। তখনই যোগ দেন বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবে। পর্বতারোহণের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেন ভারত থেকে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ২০ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতার কেয়াজো-রি পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে যান এম এ মুহিতের নেতৃত্বে সাত পর্বতারোহী। তাদের একজন শাকিল।

    উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশিদের মধ্যে এভারেস্ট জয় করেছেন- মুসা ইব্রাহিম, নিশাত মজুমদার, এম এ মুহিত, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবার আলী।

  • যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশু খাদিজার মৃত্যু

    যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত শিশু খাদিজার মৃত্যু

    যশোরের শংকরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরণে আহত পাঁচ বছরের শিশু খাদিজার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারসহ গোটা এলাকায়। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে ককটেল কী আসলেই মাঠে পাওয়া গেছে, নাকি ঘরে ছিল। তা নিয়ে এলাকায় ধ্রুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

    খাদিজা শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত সুজনের মেয়ে। সকাল ৮টার দিকে ছোটনের মোড়ের পাশের খেলার মাঠে পড়ে থাকা একটি ককটেলকে টেনিস বল ভেবে কুড়িয়ে আনে সে। পরে ওই ‘বল’ দিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হয় খাদিজা, ছয় বছরের সজিব ও তিন বছরের আয়েশা। দ্রুত তিনজনকেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    এদিকে স্থানীয় অপর একটি সূত্র জানায়, খাদিজার বাবা সুজন মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই শাহাদাতের সাথে ওই শিশুর মায়ের বিয়ে হয়। শাহাদাত পেশায় রিকসা চালক। সোমবার সকাল আটটার সময় ঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। শাহাদাত সন্ত্রাসী মুসার সহযোগী। খেলা করার সময় একসাথে একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই পক্ষের দাবি শাহাদাত ওই বোমা গোপনে ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। যদিও বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাদিজার মাথা ও মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত লাগে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।

    খাদিজার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, গুরুতর আহত শিশুটি ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম কাজ করছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিনি আরও জানান, মাঠে ককটেলটি কিভাবে এলো, তা খুঁজে বের করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

  • বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে উত্তর কাটিয়ায় পাড়াকমিটি গঠন

    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে উত্তর কাটিয়ায় পাড়াকমিটি গঠন

    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাতক্ষীলা জেলা শাখা উত্তর কাটিয়ায় নারীর মানবাধিকার রক্ষা ও
    নারীর মানবাধিকার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সাগরিকা খাতুন কে আহবায়ক ও মুন্নি
    বেগম কে সদস্য সচিব করে ২৩ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
    আহবায়ক কমিটি গঠন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ,
    সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রুপা মিত্র। আলোচনা সভায় উপস্থিত
    ছিলেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নাছিমা নাসরিন, ব্রাঞ্চ এক্ধিসঢ়;্রকিউটিভ
    মোঃ মফিজুল ইসলাম সহ জেলা ও পাড়া কমিটির নেত্রীবৃন্দ।
    আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন নারীরা আজ সমাজের নানা ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। নারীরা
    নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নারীদের কাজের কোন মর্যাদা আজও নারী
    সমাজ পায়নি। এ সকল কাজের মর্যাদা পেতে হলে প্রথমে নারীদের কে শিক্ষিত হতে হবে।
    আর এ জন্য নারীদ্ধেসঢ়;র এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের অধিকার নারীদেরকেই অর্জন করতে
    হবে। নারীকে আলোতে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিটা কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহন
    করতে হবে।তবেই নারীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে, সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে
    পারবে। পরিবার ও সমাজে নারীদের মর্যাদা ফিরে পাবে। নারীকে পরিবারের বোঝা নয়
    পরিবারের অংশ ভাববে। নারীকে পূর্ণ নয় মানুষ হিসেবে মর্যাদা পাবে।

  • দিল্লি একাদশে মোস্তাফিজ

    দিল্লি একাদশে মোস্তাফিজ

    গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে বাংলাদেশের তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস।

    শনিবার (১৭ মে) আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। আজ (রোববার) সকালে দুবাই থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

    ধারণা করা হচ্ছিল, ভ্রমণঝক্কি ও ক্লান্তির কারণে হয়ত গুজরাটের বিপক্ষে একাদশে রাখা হবে না মোস্তাফিজকে। তবে প্লে-অফের সমীকরণে ভালোভাবেই টিকে থাকা দিল্লি পূর্ণশক্তি নিয়েই গুজরাটে  বিপক্ষে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে ভ্রমণক্লান্তি নিয়েও মাঠে নামতে হচ্ছে এই বাঁহাতি পেসারকে।

    এছাড়া আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্সও ছিল নজরকাড়া। সে ম্যাচে ৪ ওভার বল করে স্রেফ ১৭ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এমন আগুনে ফর্মের ফিজকে তাই বেঞ্চে বসিয়ে রাখার ভাবনাকে প্রশ্রয় দেননি তারা।

    দিল্লি ক্যাপিটালস একাদশ

    ফাফ ডু প্লেসি, অভিষেক পোরেল, সামীর রিজভি, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), অক্ষর প্যাটেল (অধিনায়ক), ট্রিস্টান স্টাবস, আশুতোষ শর্মা, বিপ্রজ নিগম, টি নটরাজন, কুলদীপ যাদব, মোস্তাফিজুর রহমান।

  • বিকল্প ব্যবস্থা না করলে বাজার থেকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ সম্ভব নয়

    বিকল্প ব্যবস্থা না করলে বাজার থেকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ সম্ভব নয়

     

    সাতক্ষীরার অগ্রগতি রিসোর্ট ট্রেনিং সেন্টারে “সুন্দরবনের দূষণ হ্রাস এবং বাস্তুতন্ত্রের উন্নতি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুন্দরবনের জন্য সাংবাদিকতা বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    রোববার (১৮ মে) বেলা ১১টায় শহরের অদূরে ত্রিশ মাইল এলাকায় অগ্রগতি সংস্থার রিসোর্ট এবং ট্রেনিং সেন্টারের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    রূপান্তরের ম্যানেজার তসলিম আহমেদ টংকার এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্নালিজম ফর সুন্দরবন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, সদস্য সচিব আহসান রাজিব, উপদেষ্টা জিএম মুজিবর রহমান প্রমুখ।

    সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রুহুল কুদ্দুস, গোলাম সরোয়ার, সামিউল আযম মনির, এম রফিক, আসাদুজ্জামান মধু, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, আমিরুজ্জামান বাবু, মনিরুল ইসলাম মনি, আকরামুল ইসলাম, অনাথ কুমার প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রূপান্তরের গোলাম কিবরিয়া।

    বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের পরিবেশগত সংকট এবং এর উত্তরণে গণমাধ্যমের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করাই ছিল এই সভার মূল উদ্দেশ্য।

    কর্মশালায় উপস্থিত সাংবাদিকগণ সুন্দরবনের বর্তমান পরিস্থিতি, দূষণের বিভিন্ন উৎস যেমন – শিল্পবর্জ্য, নৌ-চলাচল, তেল নিঃসরণ, প্লাস্টিক দূষণ, এবং কৃষি জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশকের প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন। তারা উল্লেখ করেন যে, এই দূষণের ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে।

    আলোচনায় সুন্দরবনের বাস্তুতন্ত্রের উন্নতিতে করণীয় বিভিন্ন দিক উঠে আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ প্রয়োগ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিকল্প জীবিকার সুযোগ সৃষ্টি এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনকে উৎসাহিত করা। একই সাথে প্লাস্টিক ব্যবহারের মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

    সাংবাদিকরা মনে করেন, সুন্দরবনের সুরক্ষায় জনসচেতনতা তৈরি এবং নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। বস্তুনিষ্ঠ ও ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই বনের গুরুত্ব এবং এর সংকটগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকবৃন্দ সুন্দরবনের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং এর অমূল্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় আরও সক্রিয় ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর জোর দেন এবং একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    এই সভাটি সুন্দরবন এবং এর প্রভাব অঞ্চলের পরিবেশগত সুরক্ষায় গণমাধ্যম কর্মীদের আরও সংবেদনশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করবে বলে আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন।

    সভায় বলা হয়, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলার প্রতি উপজেলায় বিনামূল্যে পলিথিনীর বিকল্প ১০ হাজার করে ব্যাগ বিতরণ করা হবে। এই ব্যাগটি একজন এক বছর ব্যবহার করতে পারেন। বিকল্প ব্যবস্থা না করলে বাজার থেকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না।

    একই সাথে সুন্দরবনকে পলিথিন মুক্ত করার আহ্বান জানান বক্তারা।

  • মাঝ আকাশেই ধ্বংস ভারতের রকেট

    মাঝ আকাশেই ধ্বংস ভারতের রকেট

    ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর নতুন অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। মহাকাশে ইওএস-০৯ কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) পাঠানোর জন্য ইসরোর রকেট রওনা দিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে রকেট থেকে ওই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে নামানো যায়নি। খবর এএনআইয়ের।

    যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে অভিযান মাঝপথে বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন ভারতের এই মহাকাশ সংস্থার কর্মকর্তারা। এদিকে মিশনের ব্যর্থতার পর মহাকাশেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে রকেটটিকে।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ইওএস-০৯ নিয়ে রওনা দেয় পিএসএলভি-সি৬১ মহাকাশযান। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল। কিন্তু মিশনের তৃতীয় ধাপে গিয়ে যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। ফলে তা বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় কর্মকর্তারা।

    এদিকে ইসরোর পক্ষ থেকে এই অভিযানের উৎক্ষেপণের সময় থেকে সমগ্র মিশনটি সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযান ব্যর্থ হয়েছে বলে সেখানেই স্বীকার করে নেন সংস্থার প্রধান ভি নারায়ণান।

    পরে ইসরো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে জানায়, আজ ১০১তম মিশন শুরু করা হয়েছিল। পিএসএলভি-সি৬১ দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তৃতীয় ধাপে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণের কারণে এই মিশন শেষ করা গেল না।

    সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরোর ইওএস-০৯ কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন ১ হাজার।

  • তালায় ৩৫ সাংবাদিক বহনকারী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে

    তালায় ৩৫ সাংবাদিক বহনকারী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে

    সাতক্ষীরা থেকে রাজধানী ঢাকায় ফেরার পথে ৩৫ জন সাংবাদিককে বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। রোববার (১৮ মে) বিকালে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের মির্জাপুর বাজার সংলগ্ন ইসলামকাটি মোড়ে এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, ১৭ মে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সংবাদ কাভার করার জন্য তারা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন। আজ ফিরে যাচ্ছিলেন। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হন।

    পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় বাসটি উল্টে গেলেও এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

  • আশাশুনির শ্রীউলায় বিএনপির সদস্য নবায়ন

    আশাশুনির শ্রীউলায় বিএনপির সদস্য নবায়ন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে (শ্রীউলা গ্রামে) সদস্য নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন সার্চ কমিটির উদ্যোগে সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠিত হয়।
    শ্রীউলা শহীদ জিয়া পার্ক ও শ্রীউলা সরকারি প্রাইমারী স্কুল মাঠে সদস্য নবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সার্চ কমিটির সদস্য মোঃ রফিকুজ্জামান ছোট্রুর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য এড. মোঃ নুরুল আমিন, এড. এবিএম সেলিম, এসএম মফিজুল ইসলাম, মাগফুর রহমান বুলু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ আতাউল্লাহ চৌধূরী, মোঃ মফিজুল ইসলাম ও মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জেলা বিএনপির বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্রীউলা ইউনিয়ন সার্চ কমিটি ৯ টি ওয়ার্ড কমিটির সদস্য নবায়ন সফল ভাবে এ কাজ পরিচালনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
  • সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী আলচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮মে) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সার্কিট হাউজ মোড়ে অস্থায়ী কার্যালয় জরুরী আলচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকালাপ নিয়ে পদত্যাগ নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    জরুরী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী মোক্তার হোসেন তিনি বলেন, আমরা ২০১৭ সাল থেকে আমাদের সংগঠন ভালভাবেই চলছে কিন্তুু আমাদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উচ্ছৃঙ্খল আচারণে আমারা সাধারণ সভা আহবান করার আগেই সে নিজ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে অব্যহতি নিয়েছে। আমরা ক্লাবের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তার সাথে ক্লাবের কোন সম্পর্ক নেই সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কোন বিষয় তার সাথে যোগাযোগ না করার জন্য আহবান জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি শাহজাহান আলম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান পলাশ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মামুন হোসেন। দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক বিপ্লব। কোষাধাক্ষ্য আজহারুল ইসলম প্রমূখ।আলোচনা সভায় সবার সিধান্তক্রমে আগামি ২৪-০৫-২০২৫ রোজ শনিবার সাধারণ সভার দিন ঘোষনা করা হয়। সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ খালি হওয়ায় সাধারণ সভায় সবার সম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক নির্বচিত করা হবে এজন্য সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত হবার আহবান করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য শিমুল হোসেন বাবু, শেখ মনিরুজ্জামন,ওবাইদুল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার দাশ।

  • অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত

    অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৭ মে (শনিবার) সাতক্ষীরা জিরো পেইন বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. কতৃক ম্যানগ্রোভ সভাঘরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, কবি স.ম তুহিন, প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের ছেলে সাম্য, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, অধ্যাপক শফিকুল আলম, এড. কালাম আজাদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের সহোদর শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    সভায় উপস্থিত সকলে অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লকে গভীর ভাবে স্মৃতিচারণ করেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস।

  • সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা শহরতলীর খানপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় খানপুর গ্রামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় এতিমখানা, আলিম মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, বাজার মসজিদ ও মৎস্য ঘের এর জলাবদ্ধতা নিরসনে পূর্ব বিলে একটি নালা খাল খননের দাবি জানানো হয়।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন, ডাক্তার মাহবুবার রহমান, তপন কুমার বিশ্বাস, শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।

    ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খানপুর ও রইচপুরে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন কি খানপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রসা ও খানপুর ঈদগাহ ময়দান এবং খানপুর এতিমখানায় এই জলাবদ্ধতায় কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়।

    তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রাম সংলগ্ন আলীপুর থেকে রইচপুর ও পরান্দাহ গ্রাম দিয়ে একটি প্রবাহমান খাল আছে। পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী মহল টাকার বিনিময়ে এ খালের পানি নিয়ন্ত্রণ করে। যার কারনে দূরবর্তী ঘেরগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

    তিনি আরো বলেন, খানপুর ও রইচপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ বিলের মধ্যভাগ দিয়ে পানি নিষ্কাষণের জন্য একটি নালা খাল প্রয়োজন। যা পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রামের প্রবাহমান খালের সাথে সংযুক্ত হবে। তালা পানি প্রবাহমান থাকলে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পাবে এই এলাকার মানুষ।

    ডাক্তার মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন আগে খানপুর ও রইচপুর সড়কের মধ্য ভাগে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বার্থানেশী মানুষের কারণে কালভাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। এই কালভার্ট বরাবর খানপুর ও রইচপুরের বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যভাগ দিয়ে উত্তর দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ রয়েছে। অপর দিকে খানপুর ও রইচপুর পাঁচানী মাঠ দিয়ে দক্ষিণ দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হলে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে পরিত্রাণ পাবে।

    তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি এবং আমরা চাই, পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটা আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে অতি দ্রুত খনন করা হোক।

    তিনি খাল ও নালা খননের মাধ্যমে অত্র এলাকার বাসিন্দারা যাতে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে পারে সেই ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

  • জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই একটা অর্জন দৃশ্যমান ছাড়া আর কোনো কিছু এখনো পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

    শনিবার দুপুরে ‘৩৬ জুলাই ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান ২০২৪’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    গ্রন্থটি আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও মুরশিদুল আলম চৌধুরী সম্পাদনা করেন। প্রকাশিত গ্রন্থের প্রশংসা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবকে নিয়ে খুব কমই গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থ জুলাই বিপ্লবের ঘটনা প্রবাহের এক অনন্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। সরকারের উচিত এ ধরনের গ্রন্থ প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করা। কেননা, ৯ মাস অতিবাহিত না হতেই বিপ্লবের বয়ান মুছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বিপ্লবীদেরকে এ বিষয়ে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।

    তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা দৃশমান করতে রাজনীতিতে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তারা কী করতে চায় সেটাও জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনো জাতির সামনে তাদের মেন্যুফেস্টু তুলে ধরতে পারেনি।

    মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল জুলাই বিপ্লবের হতাহতদের সুরক্ষা, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করা এবং আর যাতে এ ধরনের কোনো দল ফ্যাসিবাদী না হয়ে উঠতে পারে সে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এসবের কোনোটাই করতে পারেনি সরকার।

    সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, এ সরকার আদৌ কোনো সংস্কার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লবের পর ৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা কোনো সংস্কার দৃশ্যমান করতে পারেনি। এ জন্য সরকারের উপদেষ্টার ব্যর্থতাই প্রধানত দায়ী।

    তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতির আলোকে বলা যায় সরকারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সেইসঙ্গে সাফল্যের সম্ভাবনাও কমে আসছে। ফলে সরকারকে হয়তো সংস্কারের উদ্যোগ ফেলে দিয়েই একটা নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে হতে পারে।

    ঋদ্ধ প্রকাশনীর চেয়ারম্যান ও সাবেক সবিচ নূরুল আলম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও সমন্বয়ক সাদিক কাইয়ুম, ইনকিলাব মঞ্চের সভাপতি শরীফ ওসমান হাদি, আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ, আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।