Blog
-

সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা
সাতক্ষীরায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা চালতেতলা মিশন হল রুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা।এডভোকেসিতে সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মো. আব্দুল হাই, ফিংড়ি ও ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আলকাজ আলী, ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা রেবেকা সুলতানা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা মোছা: ময়না খাতুন, ইউপি সদস্য মো: কামরুজ্জামান, ফিংড়ি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা পৌরসভার স্থগিত মহিলা কাউন্সিলর অনিমা মন্ডল, সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক, সাংবাদিক ও যুব সদস্যবৃন্দ।সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। প্রকল্পের কার্যক্রম ও প্রোগ্রামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)। আরো বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হ্রদয় মন্ডল, সদস্য ইমতি জামিল, শ্রেয়া সরদার ও লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, স্বপ্নসিড়ি যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন, কর্নফুলি যুব সংঘের সদস্য শাহনাজ পারভীন।এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল যুব ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্ব বিকাশকে উৎসাহিত করার জন্য বাস্তবায়িত উদ্যোগগুলি উপস্থাপন করে কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সরকারী পরিসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুব ও নারীদের সংযুক্ত করা এবং বিভিন্ন প্লাটফর্মে অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করা। যুব নারীদের নেতৃত্বের ভুমিকা গ্রহন ও স্বনির্ভরতার জন্য উদ্যোক্তা তৈরীতে উৎসাহিত করা। এডভোকেসি থেকে যুবদের চাহিদা ছিল যুব নারীদের দ্বারা বাস্তবায়িত বিভিন্ন উদ্যোগ উপস্থাপনের মাধ্যমে জনসেবা কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান হবে এবং অন্যান্যদের উৎসাহিত করা হবে। যুব/নারী এবং স্থানীয় সরকার পরিসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন, যার ফলে সহায়তা পরিসেবা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্লাটফর্মে অংশগ্রহনের সুযোগ উন্নত হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ও ফরম্যাল কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ার যুব নারীদের অন্তভর্‚ক্তি করা।সংলাপে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, যুব নারীদের নেতৃত্তে¡র জায়গাগুলো কী হতে পারে? নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বাঁধাসমুহ কী কী? বাঁধা সমুহ দুর করার উপায়সমুহ কী কী? বাধা সমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের ভূমিকা সমুহ কী কী? নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বাহ্যিক বাঁধাসমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের (তথা পরিবার, কমিউনিটি, সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা কী হতে পারে): যুব নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বর্তমান সমাজে বিদ্যামান সুযোগ সুবিধাগুলো কী কী? ইত্যাদী বিষয়ে বক্তারা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন, সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে নারীরা নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনায় ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ), এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফেলো শাওন প্রমুখ । -

সাতক্ষীরার বুলারাটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় দীর্ঘ দশ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন জুনিয়র মৌলভী শিক্ষক সাইফুল আলম। তিনি সদর উপজেলার বুলারাটি গ্রামের আজিজুল বারির ছেলে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুিষ্ঠত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করার পরও বেতন না পাওয়ার জন্য তিনি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন, স্বজন প্রীতির। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোঃ আতাউর রহমান তার আপন-ভাইবোনকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট পদে সাধারণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন। তারা এমপিওভুক্তির অধীনে বেতন পাচ্ছেন। অথচ শুন্যপদে চাকরিতে নিয়োগ পেয়েও দীর্ঘ দশ বছর বিনা বেতনে আছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগে সাইফুল আলম আরো বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। ২০১৫ সালে মাদ্রাসার শুন্য পদে জুনিয়র মৌলভী পদে তিনি নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সকল কাগজপত্রে তিনি ২য় নম্বার সিরিয়ালে রয়েছেন। কিন্তু মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মো: আতাউর রহমান তার আপন ভাই আরিফুর রহমান এবং বোন ফারজানা খাতুনের এমপিওভুক্তি করেছেন। তারা দুজন সাধারণ শিক্ষক(জেনারেল টিচার)। মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষক(জেনারেল টিচার) এর পদ রয়েছে একটি। অথচ কৌশলে প্রধান শিক্ষক তার (সাইফুল আলম) নাম না পাঠিয়ে নিজের ভাই এবং বোনের নাম পাঠিয়ে এমপিওভুক্তি করিয়েছেন।
সরাকারি নীতিমালা অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক, একজন জুনিয়র মৌলভি আলিম পাশ। একজন জুনিয়র শিক্ষক এইচএসসি পাশ। একজন ক্বারী শিক্ষক দাখিল মুজাব্বিদ পাশ হতে হবে। কিন্তু কিভাবে জুনিয়র মৌলভী পদে একজন সাধারণ শিক্ষককে এমপিওভুক্তি করানো হলো এমন প্রশ্ন তুলে ধরে সাইফুল আলম বলেন, প্রকৃতপক্ষে জালিয়াতি করে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে জুনিয়র মৌলভিকে বাদ দিয়ে দুজন জুনিয়র শিক্ষক (জেনারেল) নেওয়া হয়েছে।
এঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, ভুক্তভোগী সাইফুল আলম।
সাইফুল আলমের এমপিওভুক্তি না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মো: আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। একই মাদ্রসায় আপন ভাই-বোনের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করলেও তার ( প্রধান শিক্ষক) বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। -

আশাশুনিতে যুব নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় আলোচনা সভা
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে উপজেলা পর্যায়ে যুব নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় জলবায়ু এবং জেন্ডার ন্যায্যতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় আশাশুনি স্পিরিট-কল প্রকল্প অফিস কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল খালেক, সালমা পারভীন, দ্বীপ রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।সভায় নারীবান্ধব যুব নেটওয়ার্ক কার্যক্রম অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা এবং ত্রৈমাসিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। -

কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ
আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। রোববার (২৫) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক শেষে মূল্য ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরুদ্দ্দীন। উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশে কাঁচা চামড়ার চাহিদা না থাকলে প্রয়োজনে চামড়া রফতানি করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, চামড়া রফতানি সংক্রান্ত যে বিধিনিষেধ ছিল, সেটি প্রত্যাহার করেছে সরকার।
এবারের ঈদুল আজহায় কুরবানির পশুর ক্ষেত্রে ছোটো গরুর কাচা চামড়ার দাম ঢাকায় ১৩৫০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ১১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
-

সাতক্ষীরায় বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক উল্টে শিশু নিহত, আহত ৬
সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসে ধাক্কায় ইজিবাইক আরোহী এক শিশু নিহত ও ৬ জন আহত। রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু মোস্তাকিম (১) খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের নাতি। তার মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল সরদার (৩২), চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে রাশেদ আলী রাশেদ আলী (৪০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৫), একই উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪৪), গফফার শেখের মেয়ে শাপলা খাতুন (৩০) ও লাড়ুরী গ্রামের ইব্রাহিম আলী গাজীর ছেলে হযরত আলী গাজী (৪৫)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা খাতুন তার শিশু সন্তান মোস্তাকিমকে নিয়ে বাবা গফফার শেখের সঙ্গে পাইকগাছার বাকা থেকে একটি ইজিবাইকে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্য বেলা সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে পৌঁছালে আশাশুনি থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস পিছন দিক থেকে ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকটি রাস্তার উপর উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু মোস্তাকিম। গুরুতর আহত হয় ইজিবাইকের অপর ছয় যাত্রী। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
-

১৬ বছর পরও আইলার ক্ষত মুছে যায়নি উপকূলের মানুষের জীবন থেকে
২০০৯ সালের ২৫ মে—এই দিনটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে এক বিভীষিকাময় স্মৃতি হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় আইলা নামক প্রলয়ংকরী দুর্যোগ সেদিন আছড়ে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার উপর। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়ে নেয় শত শত মানুষের, লাখ লাখ মানুষকে করে গৃহহীন, এবং চিরস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে প্রকৃতি ও জনজীবনে।
আইলার আঘাত ও তাণ্ডব
ঘূর্ণিঝড় আইলার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার। এই দুর্যোগে ৩৩৯ জন মানুষ প্রাণ হারান, আহত ও নিখোঁজ হন আরও হাজারো। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, যাদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। সুন্দরবনের একটি বড় অংশও প্লাবিত হয়, যার প্রভাব পড়ে বনজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের উপর।
বাঁধ ভাঙন ও লবণাক্ত দুর্ভোগ
ঘূর্ণিঝড়ের মূল ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় বাঁধ ভেঙে। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ২৭টির বেশি স্থানে বাঁধ ভেঙে পড়ে। এর ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্লাবিত করে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, মৎস্যঘের ও খামার। লবণাক্ততার এই করাল ছায়া দীর্ঘ তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে কৃষিতে বিপর্যয় নামিয়ে আনে।
মানবিক বিপর্যয় ও সুপেয় পানির সংকট
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উপকূলবাসীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সুপেয় পানির সংকট। তলিয়ে যাওয়া টিউবওয়েল, লবণাক্ত পুকুর এবং ভেসে যাওয়া রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেমের কারণে পানযোগ্য জলের জন্য তাদের হাঁটতে হয়েছে কিলোমিটার পর কিলোমিটার। অনেক পরিবার আজও টেকসই ও নিরাপদ আশ্রয়ের বাইরে বসবাস করছে।
আজও দুঃসহ স্মৃতি
আইলার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও অনেক পরিবার অস্থায়ী কুঁড়েঘরে বসবাস করে, প্রতি বর্ষায় বাঁধ ভেঙে নতুন করে দুর্ভোগে পড়ে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও টেকসই বাঁধ নির্মাণ, পুনর্বাসন ও জীবিকা নির্বাহের সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।
পরিবেশ ও সুন্দরবনের ক্ষতি
সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, এই ঘূর্ণিঝড়ের অন্যতম শিকার। বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে গাছপালা ধ্বংস হয়, পশুপাখির আবাসস্থল বিপন্ন হয়। এর ফলে বনজ সম্পদে যেমন ঘাটতি দেখা দেয়, তেমনি জীববৈচিত্র্যেও স্থায়ী প্রভাব পড়ে।
-

যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি : যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা মাওলানা শেখ মাহববুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন, জেলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, সাতক্ষীরা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ক্যাটেখিস্ট চালতেতলা মিশনের ডমেনিক মন্ডল, বিশিষ্ট সমাজসেবক হেনরী সরদার, দৈনিক সুপ্রভাতের উপ-সম্পাদক মো. মাযহারুল ইসলাম সহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ। এছাড়া আরোবক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হৃদয় মন্ডল, সদস্য ইমতি জামিল, কর্নফুলি যুব সংঘের সদস্য শাহিনা পারভীন ও সভাপতি মোহাইমিন, স্বপ্নচুড়া যুব সংঘের সভাপতি এহছান মাহমুদ।আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত:প্রজন্ম সমন্বয় একটি উপায় যা সব বয়সের মানুষ একসাথে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে এটি আজীবন শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে জ্ঞানের স্থানান্তর দক্ষতা, মূল্যেবোধ এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য একসাথে কাজ করে। বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে পার বার্ধক্য সমাজে আমাদের মূলধন, সামাজিক সংহতি আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত: প্রজন্মীয় পারস্পারিকভাবে সকলের একত্রিত করে, যা বৃহত্তর উৎসাহ দেয় প্রজম্মের মধ্যে বোঝাপড়া, সম্মান ও সংহতি তৈরীতে অবদান রাখে। পারস্পারিক শিক্ষার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। বার্ধক্য সমাজে আমাদের মূলধন, সামাজিক সংহতি আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত: প্রজন্মীয় পারস্পারিকভাবে সকলের একত্রিত করে, যা বৃহত্তর উৎসাহ দেয় প্রজম্মের মধ্যে বোঝাপড়া, সম্মান ও সংহতি তৈরীতে অবদান রাখে।এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় নেতাদের সাথে আর্ন্ত:সম্প্রদায় এবং আর্ন্ত: প্রজন্মীয় প্রচারণা শুরু করে সমাজকে আর ও সহনীয় করে তোলা। কমিউনিটিতে সামাজিক সম্প্রীতির ক্ষতি করে এমন মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় ও সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করা। ধর্মীয় নেতাদের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুবকদের অংশগ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করা যুবদের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা ছিল বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতা ও তরূনদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে যুব এবং ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে একটি ভাল সংযোগ তৈরী করা। স্থানীয় শান্তি-সম্প্রীতি কমিটিতে যুবদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা। সমাজে শান্তি-ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে যুব সমাজকে আর ও সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে উৎসাহিত করা। আন্ত:প্রজন্ম সংহতি প্রচারণা আন্ত:সম্প্রদায়ের মাধ্যমে পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা।আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বিষয়ে কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারবে? সমাজে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় যুবদের কি ভুমিকা থাকা দরকার? সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিভাবে এক প্লাটফর্ম তৈরী করা যেতে পারে? শান্তির বার্তা প্রচারের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি? সামাজিক শান্তি সম্প্রীতি বিষয়ে যুবদের কিভাবে কাজে লাগানো যাবে? উপরোক্ত বিষয়াবলির উপর ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং যুবদের নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন। সাকিব হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী, মো: তহিদুজ্জামান, তহিদ, একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার, চন্দ্রশেখর হালদার, ফাইন্যান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য। -

সাতক্ষীরায় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ গ্রেপ্তার ২
সাতক্ষীরায় অবৈধ জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় শহরের কাটিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষ্মী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ নাঈম হোসেন (৩০) ও একই উপজেলার কাটুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু রাসেল (৩৫)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পাঞ্চ মেশিন, ১০ টা দেশের জাল মুদ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর সেনা ক্যাম্পের ৩৭ বীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আলমগীর এর নেতৃত্বে শহরের কাটিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানো চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সেখান থেকে বিদেশি জাল মুদ্রা, জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়।
এবিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনে গ্রেপ্তারকৃতদের সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা যৌথ বাহিনী একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে।
-

কালিগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ইজারা মালিক আটক
অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সিয়াম ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ভাটাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভাটার লিজ মালিক আব্দুর সবুরকে আটক করা হয়। শনিবার (২৪ মে) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের নাজিমগঞ্জ শীতলপুর গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় সরকারি কাজে বাঁধা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ভাটার ইজারা মালিক কালিগঞ্জ উপজেলার গণপতি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর সবুরকে আটক করা হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির নীলডুমুর ১৭ব্যাটালিয়নের মেজর সুস্মিত শোভন দাস।
-

আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামীকাল রোববার সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। এদিন বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠক ডেকেছেন।
জানা গেছে, বৈঠকে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আগামীকালের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আগামীকালের বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। তবে সময়টি এখনো জানানো হয়নি। পরবর্তীতে সময় জানানো হবে বলে আমাদেরকে বলা হয়েছে। যতদূর মনে হলো বিকালেই হবে।
এদিকে আজ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সাথে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপির প্রতিনিধি এবং রাত ৮টায় জামায়াত ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
-

গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় স্কুল কক্ষে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাওঃ আব্দুল ওয়াজেদ। সহকারী শিক্ষক নিমাই চাঁদ সরকারের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন ফকির, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য জিএম মফিজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ। সভায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্কুলে উপস্থিতি, মোবাইল ফোন ব্যবহারে কিংবা বাজে সঙ্গে সময় নষ্ট না করা, সন্ধ্যার পরে বাড়িতে পড়তে বসানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান হয়। -

আশাশুনিতে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের অংশ গ্রহনে গ্রাম আদালত বিষয়ক দু’ দিনের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) সকালে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রীয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতাধীন এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ১১ ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। -

আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর জমিতে আম আবাদ
ফলন ভাল হলেও দাম নিয়ে হতাশ চাষীরা
আশাশুনি প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার আমের খ্যাতি দেশ জুড়ে। ভাল ফলন পেলেও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। বছর জুড়ে আশার আলো বুকে নিয়ে আম আবাদে আত্মনিয়োগ করে গাছের ডালে ব্যাপক আম দেখে খুশিতে ভাসছিল চাষীরা। কিন্তু ফড়িয়া, দালাল ও আম ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেক কৃষক।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, আশাশুনি উপজেলায় এ মৌসুমে ১৪৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে হিমসাগর ৩০ হেক্টর, ল্যাংড়া ২৮ হেক্টর, আম্রপালি ৩০ হেক্টর, গোবিন্দভোগ ২১ হেক্টর, গোপালভোগ ১২ হেক্টর, মল্লিকা ৯ হেক্টর, লতা ৫ হেক্টর, বারি আম-৪ দুই হেক্টর, তোতাপুরি ১ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের আম চাষ করা হয়েছে ৭ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে হিমসাগর, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, লতা, বারি আম-৪, তোতাপুরি ও স্থানীয় জাতের আম বাজারে এসেছে। এর মধ্যে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে হিমসাগর ১৫ মে টন, গোবিন্দভোগ ১৩ মে টন, গোপালভোগ ১২ মে টন, লতা ১০ মে টন ও স্থানীয় জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে হেক্টর প্রতি ৯ মে. টন করে। উপজেলায় মোট উৎপাদিত হয়েছে হিমসাগর ৪৫০ মে টন, গোবিন্দভোগ ২৭৩ মে টন, গোপালভোগ ১৪৪ মে টন, লতা ৫০ মে টন ও স্থানীয় জাতের আম উৎপাদিত হয়েছে ৬৩ মে টন। সর্বমোট উৎপাদিত হয়েছে ৯৮০ মে. টন। বাজারে না আসলেও গাছের ফলন দেখে ধারনা করা হচ্ছে ল্যাংড়া প্রতি হেক্টরে ১৫ মে টন, আম্রপালি ১৭ মে টন, মল্লিকা ১২ মে টন, বারি আম-৪ ১১ মে টন ও তোতাপুরি আম প্রতি হেক্টরে ১০ মে টন করে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত গরম, সময়ের আগে আম পাকতে শুরু করা এবং বাজারে একসঙ্গে বিপুল আম উঠে যাওয়ায় আমের দাম আশানুরূপ পাওয়া যায়নি। তার উপর মধ্য স্বত্বভোগি ও বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য দেখা মিলেছে। চাষিরা জানান, বাজারে বর্তমানে প্রতিমন আমের দাম ১৬০০ টাকা থেকে ২৩০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। অথচ প্রতিমন আম উৎপাদনে তাদের খরচ হয়েছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা করে। বুধহাটা ইউনিয়নের এক চাষী জানান, তিনি এবছর সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন। এখানে ৬৬টি আম গাছ রয়েছে। অধিকাংশই হিমসাগর ও ল্যাংড়া। সামান্য কয়েকটি হাড়িভাঙ্গা আম গাছ আছে। জমির হারি হিসাব করলে আসে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পরিচর্চা, ঔষধ, সার ও জনের দাম পড়েছে ৪০ হাজার টাকা। মোট খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। আড়াই বিঘা জমির আম বিক্রয় করেছি ৬২ হাজার টাকা। বাকী ৪ বিঘা জমির গাছে এ পর্যন্ত আম পেয়েছি ১৫ মনের মত এবং এখনো ৩০/৪০ মন আম গাছে রয়েছে। সবমিলে হিসেব করলে খরচ উঠে গেলেও লাভ তেমন বেশী আসবেনা। আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শুভ্রাংশু শেখর দাশ বলেন, আম চাষীরা যাতে ন্যায্য মূল্য পেতে পারেন সেজন্য জেলা প্রশাসন পূর্ব থেকে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। জেলা প্রশাসক স্যার সম্প্রতি এসংক্রান্ত মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, শহরের পিটিআই মাঠকে অস্থায়ী ভাবে আম বিক্রীর জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। কৃষকরা সেখানে সরাসরি আম নিয়ে ভোক্তাদের কাছে পৌছে দিয়ে সঠিক মূল্য পাবে। আমরা উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সরাসরি পরামর্শ দিয়ে এসেছি। মুকুল আসার শুরু থেকে সার ও বালাই নাশক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছি। এখন বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। নিরাপদে আম ভোক্তাদের হাতে পৌছায় সেজন্য সহায়তা করা হচ্ছে। এবছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশী থাকায় আশাশুনিতে আমের ফলন ভাল হয়েছে। ভোক্তারাও ভাল আম খেতে পাচ্ছে। -
মিথ্যা হয়রানি বন্ধে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা
সাতক্ষীরায় মিথ্যা হয়রানি বন্ধ ও সুষ্ঠু জীবন যাপনের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এক নবদম্পতি। ওই নবদম্পতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ আল আমিন সরদার(২২) ও একই এলাকার শাহিন হোসেন সরদারের মেয়ে তাসনিম জাহান(১৯)।ভুক্তভোগী তাসনিম জাহান জানান, গত ১৮ মে ২০২৫ তারিখে স্বেচ্ছায় তার স্বামী আল আমিন সরদারকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিয়ে করেছেন। তবে, তার পিতা ও পরিবারের লোকজন এই বিয়ে মেনে না নিয়ে তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।ভুক্তভোগী তাসনিম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নিরাপত্তার সাথে স্বামীর সাথে সংসার করতে ও হয়রানি বন্ধে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

সাতক্ষীরায়’ জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা’ বিষয়ক পরামর্শ সভা
সাতক্ষীরায় জেলা পর্যায়ে দারিদ্র ও জেন্ডার সংবেদনশীল এবং মানবাধিকার ভিত্তিক জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা বিষয়ক মাল্টি এক্টর প্লাটফর্মের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবন ও অর্থনীতি জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি ও গভীর প্রভাবের মুখোমুখি, যেখানে ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, নদীভাঙন ও জলোচ্ছ্বাস বারবার জীবিকা ধ্বংস করছে এবং দারিদ্র্য ও বাস্তুচ্যুতির হার বাড়াচ্ছে।প্রায় তিন কোটি মানুষ জলবায়ু দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে বারবার জীবন ও সম্পদ হারাচ্ছে, অথচ এদের অভিযোজন ক্ষমতা খুবই সীমিত। কৃষিজমির লবণাক্ততা, খাল-নালা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা, দুর্বল বাঁধ ও স্লুইস গেট, পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের অভাব, এবং নদীভাঙনের ফলে সৃষ্ট বাস্তুচ্যুতি এসব সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি, তথ্যভিত্তিক ও কাঠামোগত অভিযোজন উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।জলবায়ু দুর্যোগের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলোর জন্য বরাদ্দ অপ্রতুল। এই বৈষম্য দূর করতে হলে, বাজেটে স্পষ্টভাবে উপকূলীয় এলাকার স্থানীয় চাহিদা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করে বিশেষ বরাদ্দ নির্ধারণ করা আবশ্যক।উপরোক্ত কথাগুলো উঠে আসে কেয়ার বাংলাদেশ ও সহযোগী সংস্থা অ্যাওসেড যৌথভাবে জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BMZ) অর্থায়িত তিন বছর মেয়াদী MAP CDRFI প্রকল্পের অধীনে ২২ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘দারিদ্র ও জেন্ডার সংবেদনশীল এবং মানবাধিকারভিত্তিক জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন ও বীমা ব্যবস্থা বিষয়ক জেলা পর্যায়ের মাল্টি এক্টর প্লাটফর্মের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা থেকে।অধ্যাপক ভারত্বেশ্বরী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপকূলীয় দুর্যোগের উপর নির্মত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করার পাশাপাশি “জলবায়ু অভিযোজন এবং আসন্ন বাজেট” বিষয়ক একটি পেপার উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আমেনা বিলকিস ময়না।গণমাধ্যমকর্মী শরিফুল্ল্যাহ কায়সার সুমনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তা সামসুন নাহার রত্না।সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনজিও প্রতিনিধি মাধব চন্দ্র দত্ত, নাসরিন সুলতানা, শিক্ষাবিদ আশেক এ এলাহি, ফারুক রহমান, অধ্যাপক ভারত্বেশ্বরী বিশ্বাস, আবুল কালাম, এস এস হাবিবুল হাসান, রায়হান পারভেজ,, আব্দুস সালাম শাম্মী আখতার কুমকুম, ম্যাপ সিডিআরএফআই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হেলেনা খাতুন, লার্ণিং এন্ড এ্যাডভোকেসী অফিসার বাহলুল আলম, চায়না দাস প্রমুখ। -

‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, এদিক সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি যে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটা সময় দিয়েছেন-ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক সেদিক হওয়ার কোন সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ হওয়া উচিত নয়।’
ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি-ওটা আপনারা উনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।’
চাপের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ধরুন, প্রত্যাশার একটা চাপ হচ্ছে যে আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা। আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ নেই। ধরুন, আপনি এখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন-সচিবালয় থেকে যমুনা-যেতে পারবেন না, রাস্তা বন্ধ। কেন রাস্তা বন্ধ? এরকম অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়।’
এর আগে, অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ঢাকার ৪টি নদী দূষণমুক্ত করতে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তুরাগ নদী দূষণমুক্ত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
এছাড়া, টাঙ্গাইলের মধুপুরে থাকা গারো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বন বিভাগের করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। সেইসঙ্গে গারোদের ভূমি জটিলতাও নিরসন করা হবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা। আগামী ২৪মে মধুপুরের সীমানা নির্ধারণের কাজ করা হবে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান।
-

পাইকগাছায় থানা পুলিশের অভিযানে ৫ জন গ্রেফতার!
পাইকগাছায় থানা পুলিশের অভিযানে ৫ আসামিকে নাশকতাসহ সাজায় গ্রেফতার করেছে। থানা সুত্রে জানাযায় খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায়, পাইকগাছা ডি সার্কেলের তত্ত্বাবধানে, পাইকগাছা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ইদ্রিসুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কপলমুনি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজর আলী গাজী (৫৫), ১৬ নং মামলার সন্ধিগ্ধ আসামি আব্দুল কাদের গাজী ও জাকির হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম (আনারুল) (৪৩), এবং দুই বছরের সাজার আসামি জাকির গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের আদালতে পঠানো হয়েছে। -

আশাশুনিতে ‘বেউলা’ গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাইথালী, পদ্ম-বেউলা ও চিলেডাঙ্গা গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। শুক্রবার বিকালে পাইথালী বাজার চত্বরে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন আশাশুনি। মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরা জেলার পঞ্চম তম আদর্শ গ্ৰাম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বুধহাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাইথালী, পদ্ম-বেউলা ও চিলেডাঙ্গা এই তিনটি গ্ৰামকে হাতে নেয়া হয়েছে। এজন্য তিনটি গ্ৰামে তিনটি কমিটি করা হবে এবং একটি মাস্টার কমিটি করার আহ্বান জানান। স্থানীয়দের সহায়তায় অতিশীঘ্রই এই গ্ৰাম তিনটিকে আদর্শ গ্ৰাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বক্তব্যের শেষে তিনি উল্লেখিত তিনটি গ্ৰামকে আদর্শ গ্ৰাম হিসেবে ঘোষণা করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার কৃতি সন্তান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইউনুছ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাশেদ হুসাইন, ইন্সপেক্টর তদন্ত আঃ ওয়াদুদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স ম হেদায়েতুল্লাহ ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমির আবু মুসা তারিকুজ্জান তুষার, নায়েবে আমির নুরুল আফসার মর্তুজা, জামায়াত নেতা এড. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবু জাহিদ সোহাগ, উল্লেখিত তিন গ্ৰামসহ পাশ্ববর্তী গ্ৰামের সাধারণ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।