Blog

  • হামজা-শমিত-ফাহামিদুলকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা

    হামজা-শমিত-ফাহামিদুলকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা

    স্পোর্টস ডেস্ক: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুনের এশিয়ান কাপ বাছাই এবং ৪ জুনের ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ২৬ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছে।
    এই স্কোয়াডে প্রথমবারের মতো লাল-সবুজের জার্সিতে দেখা যেতে পারে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় সামিত সোমকে, যার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশের হয়ে ইতোমধ্যেই অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরী এবং ইতালি লিগে খেলা ফাহামিদুল ইসলামকেও দলে রাখা হয়েছে। ফাহামিদুল ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিবিরে যোগ দিয়েছেন।

    দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। অন্যদিকে, ভারতের বিপক্ষে খেলা ২৩ জনের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন চন্দন রায়।

    জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হচ্ছে আগামী ৩০ মে থেকে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই প্রাথমিক দলে যোগ দিতে ইতালি থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ফাহামিদুল ইসলাম। তিনি আজ (বুধবার) সকালে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে হামজা চৌধুরী ২ বা ৩ জুন এবং সামিত সোম ৪ জুন ঢাকায় পা রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    এদিকে, আগামী ১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ম্যাচের টিকিট যেন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে। ফুটবলপ্রেমীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে টিকিট কেনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এর মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে বাফুফের টিকিটিং পার্টনার টিকিফাই তাদের ওয়েবসাইটে ‘টিকিট সেলস ক্লোজড’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

    বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড:
    গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদি হাসান শ্রাবণ
    রক্ষণভাগ: শাকিল আহাদ তপু, জাহিদ হাসান শান্ত, রহমত মিয়া, ঈসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন
    মধ্যভাগ: মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, সোহেল রানা, মুজিবুর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী, সামিত সোম.
    আক্রমণভাগ: ফাহামিদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন, ইমন শাহরিয়ার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন সুমন রেজা।

  • নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

    নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস

    ন্যাশনাল ডেস্ক :বাংলাদেশে আগামী বছরের জুনের মধ্যে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির পাশাপাশি, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন।

    বুধবার জাপানের রাজধানী টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগ (জেবিপিএফএল)-এর প্রেসিডেন্ট তারো আসোর সঙ্গে এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন ইউনূস।

    চার দিনের জাপান সফরে ‘নিক্কেই ফোরাম ফর এশিয়া’-তে অংশগ্রহণ এবং জাপানি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতেই ইউনূস এই সফরে রয়েছেন। তিনি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে টোকিওতে পৌঁছান।

    বৈঠকে তারো আসো বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। উত্তরে ইউনূস জানান, তার নেতৃত্বাধীন সরকার তিনটি প্রধান লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে—সংস্কার, অপরাধীদের বিচার এবং অবাধ নির্বাচন।

    তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী সরকার আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছে, ফলে তরুণদের মধ্যে এক ধরনের গণআন্দোলন সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে তরুণদের আহ্বানে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি।”

    প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সফল হয়েছি।”

    এই সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “জাপান আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশগুলোর একটি। গত দশ মাসে তারা আমাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে এসেছে। এই সফর এক অর্থে কৃতজ্ঞতা জানানোও বটে।”

    বৈঠকে ইউনূস চলমান সংস্কার কার্যক্রম দেখতে তারো আসোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

    জেবিপিএফএল-এর অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ)-র সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় দেশের পক্ষ থেকেই সেপ্টেম্বরে চুক্তি স্বাক্ষরের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়, যা হলে জাপান হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।

    বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাপানের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, “এই সংকট অনন্য কারণ রোহিঙ্গারা অন্য কোথাও নয়, নিজেদের বাড়ি ফিরতে চায়।”

    বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ।

  • পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    দেশে দেখা গেছে জিলহজের চাঁদ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ৭ জুন (শনিবার) সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

    বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে।

    এই হিসেবে, আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পালিত হবে পবিত্র হজের দিন (আরাফাতের দিন)। আর পরদিন ৭ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।
    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    উল্লেখ্য, এর আগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইন্দোনেশিয়ায় ২৮ মে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর আসে। এসব দেশে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে আরাফাতের দিন এবং ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

  • ডুমুরিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত: শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা

    ডুমুরিয়ায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত: শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা

    “সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ডুমুরিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো এক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ। পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) ডুমুরিয়ার আয়োজনে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ-এর এমআইপিএস প্রকল্পের সহযোগিতায় বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ডুমুরিয়া মহিলা কলেজে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ শহিদুল ইসলাম, ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদ রানা, জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা প্রতিনিধি মাওলানা আজাহারুল ইসলাম এবং ডুমুরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস.এম. জাহাঙ্গীর আলম। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিএফজি কোঅরডিনেটর শেখ ফরহাদ হোসেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পবিত্র কোরআন, গীতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতীকী বার্তা দেওয়া হয়।
    সঞ্চালনায় ছিলেন এরিয়া কোঅর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ ও ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মো. আবু তাহের।

    সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও আলোচনায় অংশ নেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের খুলনা রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান।
    ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সহকারী অধ্যাপক ও পিস অ্যাম্বাসাডর মো. আব্দুল হালিম ডালি।

    বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশ বহু ধর্ম, জাতি ও সংস্কৃতির মিলনস্থল। এই দেশের শক্তি ধর্মীয় সম্প্রীতি। বিভেদ নয়, আমাদের প্রয়োজন ঐক্য, সহনশীলতা ও মানবিকতা।” তারা ধর্মীয় উস্কানি ও গুজব থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান এবং সমাজে শান্তি বজায় রাখতে ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন।

    সভায় প্রস্তাব আসে প্রতিটি ইউনিয়নে ‘সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি’ গঠনের এবং নিয়মিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপ আয়োজনের।
    সংলাপের শেষাংশে ১১ দফা ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে অংশগ্রহণকারীরা স্বাক্ষর করেন।

  • সাতক্ষীরায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন

    সাতক্ষীরায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সেমিনার। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, ঢাকার সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রিপন বিশ্বাস।

    উদ্বোধনী পর্ব শেষে জেলা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় একটি সেমিনার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু।
    সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আ.ন.ম নাজমুল উলা।

    এ বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী মেলায় মোট ৩৮টি স্টল স্থান পেয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থা অংশগ্রহণ করছে এই মেলায়।

    অনুষ্ঠানে জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিজ্ঞানপ্রেমীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মো. রাসেল মাহমুদ।

    বিজ্ঞান চর্চা ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এই ধরনের উদ্যোগ তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও আগ্রহকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।

  • আশাশুনিতে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫ উদযাপন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “একসাথে একটি পিরিয়ড বান্ধব বিশ্ব গড়ি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আশাশুনি উপজেলায় উদযাপিত হয়েছে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস ২০২৫। বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়।

    অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে কেয়ার প্রকল্প, যা বাস্তবায়ন করছে এনজিও ‘উত্তরণ’। এতে সহযোগিতা করেছে অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার এবং অর্থায়নে ছিল সানোফি ফাউন্ডেশন।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়। তিনি বলেন, “লবণাক্ততা প্রবণ এলাকাগুলোতে, বিশেষ করে আশাশুনিতে, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মিঠা পানির স্বল্পতা ও অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি। তাই এই অঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতার মাধ্যমে নিরাপদ রাখতে হবে।”

    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল কবীর।
    প্রধান নিবন্ধ পাঠ করেন অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার-এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার খালেদা হোসেন মুন।

    অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কিশোরীরা অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি প্যাকেজ (স্যানিটারি ন্যাপকিন, গোসলের সাবান, কাপড় ধোয়ার সাবান ও লিকুইড এন্টিসেপটিক) বিতরণ করা হয়।

    এই ধরনের উদ্যোগ মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার দূর করতে এবং নারীদের স্বাস্থ্য ও মর্যাদা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।

  • শ্যামনগরে লিডার্স এর আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর উপর গণশুনানি

    শ্যামনগরে লিডার্স এর আয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর উপর গণশুনানি

    আজ শ্যামনগরে লিডার্স এর আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও এ্যাম্বাসি অব সুইডেনের সহযোগিতায়
    কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি (সিআরইএ)  প্রকল্পের আওতায়
    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৩৬ নং আড়পাঙ্গাশিয়া স্কুলের সাইক্লোন শেল্টার প্রাঙ্গণে  গণশুনানির আয়োজন
    করা হয় ।
    এই গণশুনানি সামাজিক জবাবদিহিতার একটি টুলস যার মাধ্যমে সেবাদাতাগনের সেবার মান উন্নীত করার
    পাশাপাশি সেবাদাতা ও সেবা গ্রহীতার মাঝে সেতু বন্ধন তৈরি করে। সেই সাথে সেবা গ্রহীতা এবং সাধারন
    মানুষের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা ও ক্ষমতায়নের পথ তৈরি করে, এই লক্ষ্যে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ।
    উক্ত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনাব
    এস.এম. দেলোয়ার হোসেন । আরও উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর থানার এসআই জনাব কামরুল ইসলাম,
    আড়পাঙ্গাশিয়া পি এন স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব সৌমিত্র জোয়ারদার , শ্যামনগর উপজেলা সমাজসেবার
    ফিল্ড সুপারভাইজার জনাব পথিক কুমার মণ্ডল  , বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়ন পরিষদের  ৪,৫ ও ৬ নম্বর  ওয়ার্ড
    এর ইউপি সদস্য উমা রানী মল্লিক, বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়ন পরিষদের ২  নম্বর  ওয়ার্ড এর ইউপি জনাব
    মাহতাব উদ্দিন , সুন্দরবন প্রেসক্লাব এর সভাপতি মোঃ বেল্লাল হোসেন , উপকূলীয় প্রেস ক্লাব এর
    সভাপতি জনাব এম এ হালিম , লিডার্স এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবিএম জাকারিয়া ও CREA প্রকল্পের
    অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ।
    বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জি এম আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে উক্ত গনশুনানির
    কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় ।
    আজকের এই গণশুনানিতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সমাজসেবা দপ্তরের যত সেবা আছে সব সেবার
    কার্যক্রম বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি আরও বলেন সরকার তার প্রতিটা সেবার কার্যক্রম বর্তমানে
    ইউনিয়ন পরিষদে সবার সামনে আলোচনার মাধ্যমে সিধান্ত নিবেন ।  এছাড়াও উক্ত গণশুনানিতে আগত সব
    উপকার ভোগীদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন  উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ।

  • আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অফিসের তালা ভেঙ্গে চেয়ার দখলের অভিযোগ

    আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অফিসের তালা ভেঙ্গে চেয়ার দখলের অভিযোগ

    বিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলে অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ার দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান জানান, আমি নিয়মিত কমিটির সিদ্ধান্তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহন করি। ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী দায়িত্ব পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমার দায়িত্বভার বহাল রাখেন। আমি দায়িত্ব পালনকালে তিনি সন্ত্রাসীদের নিয়ে হুমবী ধামকী দিতে থাকলে থানায় জিডি করি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চল, খুলনা চিঠি ইস্যু করলে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন (নং ১০৯৬২/২৪) করি। মহামান্য হাইকোর্ট স্টে অর্ডার করেন। যার মেয়াদ শেষ হবে ১৬/৯/২৫ তারিখে। স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করতে মোহাম্মদ আলী সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলিয়েড ডিভিশনে মমলা দায়ের করলে মহামান্য আদালত “নো অর্ডার” রায় প্রদান করে আমার পক্ষে রায় দেন। আমার দায়ের করা ১০৯৬২/২৪ মামরার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি সর্ব সম্মতিক্রমে মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব পালনের জন্য রেজুলেশন করেছেন। মহামান্য হাইকোর্ট আমার মামলায় রুল Absolute” করে রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ আমার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত পালন বৈধ। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মতিক্রমে বুধবার (২৮ মে) প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে অফিসে তালাবদ্ধ করে স্থান ত্যাগ করলে মহামান্য হাইকোর্টের স্টে অর্ডার অমান্য করে, কমিটির বিনা অনুমতি ও রেজুলেশন ছাড়াই সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে চেয়ারে বসেন এবং কাগজপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথি তছরুফ করেন। এঘটনায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী সুধীজনের মধ্যে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। সংক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক্ষের নানাবিধ কারনে তার বিভাগে কাম্য শিক্ষার্থী না থাকায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। ঠিকমত ক্লাশ না করাসহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। উপজেলা ও জেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
    এব্যাপারে সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের জানান, অফিস কক্ষ খোলা ছিল, আমি কোন প্রকার অনিয়ম ছাড়াই অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে দায়িত্ব গ্রহন করেছি।
  • তালায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন

    তালায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন

    তালা প্রতিনিধি
    “শিশু থেকে প্রবীণ পুষ্টিকর খাবার সর্বজনীন’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ এর উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) সকালে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাছুম বিল্লাহ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম, হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সবুজ বিশ^াস, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ হাকিম, শহীদ কামেল মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গাজী জাহিদুর রহমান, তালা বাজার মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মিজানুর রহমান, তালা থানার এসআই জিহাদুল ইসলাম, সাংবাদিক এমএ ফয়সাল, সেলিম হায়দার, আকবর হোসেন, সেকেন্দার আবু জাফর বাবু প্রমুখ।
  • সাতক্ষীরায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা

    সাতক্ষীরায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রািতনিধি : ‘শিশু থেকে প্রবীণ পুষ্টিকর খাবার সর্বজনীন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২৮মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান মহাখালী ও সিভিল সার্জন অফিস সাতক্ষীরার বাস্তবায়নে এ পুষ্টি সপ্তাহর উদ্বোধন ও আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জেন ডা. আব্দুস সালাম’র  সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিঃ পুলিশ সুপার ডিএসবি মিথুন সরকার, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ প্রবীর মুখার্জি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ ফরহাদ জামিল, মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার, ডাঃ সুমনা সুলতানা প্রমুখ।উল্লেখ্য ২৮ মে থেকে ০৩ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপন হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরায় উক্ত পুষ্টি সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।এসময় বক্তারা বলেন, শিশু জন্মের পরপরই শাল দুধ খাওয়ানো ও শিশুদের পুষ্টি জাতীয় খাদ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সুস্থ্য জীবনের জন্য অতিরিক্ত ভাজা, তৈলাক্ত খাবার ও ফাস্টফুড বর্জন করতে হবে। খাবারে চিনি ও লবনের মাত্রা সব সময় সীমিত রাখতে হবে। এছাড়া বাচ্চাদের খাবারের ব্যাপারে পরিবার পর্যায়ে অবশ্যই সচেতন হবে। বসত ভিটায় বেশি বেশি সবজি চাষ করতে হবে।এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের  সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।

  • আশাশুনিতে কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৪শ বিঘা জমির মৎস্য ঘের প্লাবিত

    আশাশুনিতে কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৪শ বিঘা জমির মৎস্য ঘের প্লাবিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নে কপোতাক্ষ নদে রক্ষা রিং বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৪শ বিঘা জমির মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েগেছে। প্লাবনের ফলে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে এলাকাবাসী। বুধবার (২৮ মে) দুপুরে জোয়ারের তোড়ে রিং বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়।


    দরগাহপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সুবেদখালী এলাকার কপোতাক্ষ নদের তীরে রিং বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ থেকে এই রিং বাঁধের দূরত্ব থাকায় বিস্তর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
    দরগাপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, বুধবার দুপুরের জোয়ারে নদী খনন করে তৈরি করা রিং বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে ৪শ বিঘার অধিক জমির মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। কমপক্ষে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য চাষীরা। স্থানীয় রহমত আলী জানান, দুপুরে জোয়ারের তোড়ে আমার বাড়ীর পাশ থেকে অনেক খানি জায়গা এক বারে ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ে। রাতের জোয়ার আসার আগে এই ভাঙ্গন আটকাতে না পারলে ওয়াপদা রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে ইউনিয়নের অনেক এলাকা ডুবে যেতে পারে। পাউবোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, এটা মুলত ওয়াপদার বাঁধ না, কপোতাক্ষ নদ খননের ফলে সৃষ্টি হওয়া একটি রিং বাঁধ। দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে রিং বাঁধটি ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রিং বাঁধ মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, রিং বাঁধ ভাঙ্গার খবর পাওয়া মাত্রই আমি পাউবোসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে পুশইন বিএসএফ’র

    সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে পুশইন বিএসএফ’র

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাট মুহাকমার স্বরূপনগর থানার খলিশা ও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

    স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাত ৫টার দিকে ভারতীয় বিএসএফ কৈজুরী ক্যাম্পের জওয়ানরা ভারতের খলিশা ও সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। পরে কুশখালী সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সকালে তাদেরকে বিজিবি সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

    এদিকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার পর ভোরে কুশখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ওই ২৩ বাংলাভাষী নাগরিককে আটক করে বিজিবি। পরে সকালে তাদেরকে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে তালতলাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৭ জন পরুষ, ৭ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে। বর্তমানে তারা বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে হেফাজতে রয়েছে। সেখানে তাদের নাম পরিচয় যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

    এদিকে এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের আওতাধীন কুশখালি বিওপির একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় বিএসএফ কৈজুরী ক্যাম্পের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলছেন।

    এবিষয়ে বিজিবি কুশখালী ক্যাম্পের সুবেদার রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত দিয়ে ২৩জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার সাথে সাথে আমরা তাদেরকে আটক করি। প্রতিপক্ষ বিএসএফের সাথে কথা হয়েছে। বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এবিষয়ে বিস্তারিত পরে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকলকে জানানো হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ৯ মে সাতক্ষীরা সুন্দরবনের মধ্যে নদীপথ দিয়ে তিন ভারতীয় নাগরিকসহ ৭৮জনকে পুশ-ইন করে বিএসএফ। তাদেরকে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধিনগহীন সুন্দরবনের মান্দারবাড়ীয়া চর এলাকায় নদী পথ দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে পরিচয় যাচাই বাছাই শেষে স্ব-স্ব পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

  • শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে চান না শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভের ডাক

    শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে চান না শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভের ডাক

    নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নারী অধিকারকর্মী নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে দেখতে চান না।

    সম্প্রতি ‌‘হিস্যা’ ম্যাগাজিনে একটি লেখাকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার অভিযোগ তোলে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণের আলটিমেটাম দেয়। এই চাপের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গতকাল সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলির আদেশ দেয়।

    সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই বদলির সিদ্ধান্ত ‘জনমতের প্রতিফলন নয়, বরং চাপের কাছে নতি স্বীকার’। ফেসবুকে কেউ কেউ নাদিরা ইয়াসমিনকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে তাঁর সাতক্ষীরায় যোগদান রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন

    এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এই নাস্তিককে আমি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে আমার বাংলা ডিপার্টমেন্টে দেখতে চাই না। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য সকলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরেকজন লেখেন, তাকে যদি বাংলা ডিপার্টমেন্টে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা আঙ্গুল বাঁকা করে কিভাবে বের করে দিতে সেটা কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিতে প্রস্তুত।

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও এখনো কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

  • তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চাল বিতরণ

    তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চাল বিতরণ

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরীব অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় ১০ কেজি করে চাল বিতরণ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১১৬০ টি পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়।
    মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম আজাদ।
    ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলী, আমিনুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনু, দেলোয়ার হোসেন সোনা, আলাউদ্দীন সরদার, কামরুজ্জামান, শংকর দাশ, মশিয়ার রহমান, জাকিয়া সুলতানা ইতি, রেশমা বেগম ও রেবেকা বেগম নিজ নিজ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে চাল বিতরণ করেন।
    ইউপি সদস্যরা তারা বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে আমরা প্রকৃত হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে জমা দিয়েছি। এই তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাশ হয়ে আসলে আমরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রতিটি পরিবারের নামে তালিকায় ক্রমঃ অনুযায়ী ¯িøপ তৈরী করে প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। সেই অনুযায়ী আজ চাল বিতরণ করা হচ্ছে। পূর্ব থেকে প্রস্তুতির কারণে কোন ঝামেলা ছাড়াই চাল বিতরণ করতে পারছি। এতে সময়ও কম লাগছে জনগণের ও ভোগান্তি কম হচ্ছে।
    লাঊতাড়া গ্রামের ছবিজান, ধলবাড়িয়া গ্রামের মনোয়ারা, পাঁচরোখী গ্রামের আরজা ও লক্ষণপুর গ্রামের মরিয়ম বলেন, গতকাল রাতে ঈদের চালের ¯িøপ আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। সেই ¯িøপ নিয়ে আজ চাল নিয়ে যাচ্ছি। আগে থেকে ¯িøপ দেয়ার কারণে আমাদের লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে না। খুব বেশী সময়ও নষ্ট হচ্ছে না।
    তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার পরিষদে কাজ গুলো সহজে ও কম সময়ে শেষ করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি থাকে। চেষ্টা করি জনগণ যে কোনো প্রকার ভোগান্তির শিকার না হয়। পরিষদের সকল সদস্য ও গ্রাম পুলিশ খুবই দায়িত্বশীল। কোনো কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা হয় না। আজ ভিজিএফ প্রকল্পের আওতায় ১১৬০ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। এর আগে ১৯৬ টি পরিবারের মধ্যে বিগত ৫ মাসের বরাদ্দ বাবদ ৫ বস্তা করে চাল বিতরণ করা শেষ করেছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য।
    তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য সরকারী ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে বিকাল পর্যন্ত অফিসে থাকি। কোনো দিন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। যে প্রত্যাশা নিয়ে জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা কাজ করার চেষ্টা করি।

  • সাতক্ষীরায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ

    সাতক্ষীরায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার আয়োজনে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ পরিচালক নাজমুন নাহার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝের সেলাই মেশিন বিতরণ করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল।
    এসময়  উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন প্রশিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন,সার্টিফিকেট ইন  বিউটিফিকেশ প্রশিক্ষক তাসরিনা খাতুন,শো পিস এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট মেকিং  প্রশিক্ষক লুৎফুন নাহার বিথী, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং প্রশিক্ষক  মো. জাকির হোসেন,ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং  প্রশিক্ষক নূরাইয়া নাজনীন প্রমুখ। সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দু:স্থ ও মেধাবী ৩ মাস মেয়াদী ২ সেশনে  ৫৪ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে  মৌখিক ও ব্যবহারিক  পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে এ সেলাই  মেশিন বিতরণ করা হয়।
  • সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের নামে মামলা

    সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের নামে মামলা

    পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন এএসপি (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার তৎকালিন ওসি মো. ইনামুল হকসহ পুলিশের ১৫ জন ও আওয়ামী লীগের দশ নেতাকর্মীর নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাদী হয়ে বুলডেজার দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবী করে সোমবার (২৬ মে) সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

    আদালতের বিচারক মো. মায়নুদ্দিন ইসলাম বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরার বারের সহ-সভাপতি এড. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মামলার আসামিরা পরষ্পর যোগসাজে ২০১৪ সালের ১জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদরের শাকরা কোমরপুর এলাকার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বুলডেজার দিয়ে বাদীর ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন এ মামলাটি আমলে নেয়নি। তাই দীর্ঘ ১৫ বছর পর কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ মো. ওবায়দুল্যাহ।

    মামলার বাদী মো. ওবায়দুল্যাহ বলেন, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তার বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করে তৎকালিন আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী। যার নের্তৃত্বে ছিলেন সাতক্ষীরার তৎকালিন ডিসি নাজমুল আহসান।

    তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বহাল তরবিয়তে আছেন হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও খুন গুমে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান।

    তিনি আরো বলেন, নাজমুল আহসানের সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তিনি এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন।

  • ঈদে আসছে নতুন টাকা

    ঈদে আসছে নতুন টাকা

    বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি আরও ঘনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করতে বাজারে আনছে নতুন ডিজাইনের টাকার নোট। এসব নোটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সব নোটে রয়েছে নতুন গভর্নর আহসান হাবিব মনসুরের স্বাক্ষর।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশে আসছে নতুন ডিজাইনের টাকা। এসব টাকায় কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। এর বদলে থাকছে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সাংস্কৃতিক প্রতীক।

    জানা গেছে, প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হবে, যা পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই– জুনের ২ অথবা ৩ তারিখের মধ্যে সাধারণ মানুষ হাতে পাবে। পর্যায়ক্রমে অন্য মূল্যমানের নোটও বাজারে আসবে। তবে এখনই সব নোট পুরোপুরি বাজারে না এলেও সীমিত পরিসরে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক অনুষ্ঠানে জানান, নতুন নোটে দেশের প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নতুন ডিজাইনে কোনো ব্যক্তির ছবি রাখা হয়নি। নোটগুলোতে দেশের চিত্র ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।’

    জানা গেছে, নোটগুলো বাজারে ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখানো হবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ‘নতুন নোটের ডিজাইন কেমন হবে, তা গভর্নর স্যার আগেই জানিয়েছেন। এসব নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। বরং দেশের ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।’

    তিনি আরও জানান, ঈদের আগে– জুনের ২ বা ৩ তারিখের মধ্যে– ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রথমে এই তিনটি নোট বাজারে আসবে, পরে ধাপে ধাপে অন্য মূল্যমানের নোট ছাড়া হবে।

    গণমাধ্যমের কাছে ইতোমধ্যে নতুন ডিজাইনের কয়েকটি নোটের ছবি সংগ্রহ করেছে, যেখানে সুন্দরবন, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতীক দেখা গেছে। এসব নোটে দেশের পরিচিতি ও গৌরবময় ইতিহাসের ছাপ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

    ১০০ টাকার নতুন নোটে সুন্দরবনের ছোঁয়া
    ১০০ টাকার নতুন নোটে এক পাশে রয়েছে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ ও জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জলছবি। অপর পাশে দেখা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’, যেখানে রয়েছে এক ঝাঁক হরিণ ও একটি বাঘের ছবি। সাদা অংশে বাঘের জলছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

    ২০০ টাকার নোটে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতিফলন
    নতুন ২০০ টাকার নোটে হালকা হলুদ রঙে দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য। অপর পাশে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি—মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় পোশাক ও উপাসনালয়সহ উপস্থাপিত হয়েছে। মাঝখানে সবুজের মধ্যে রয়েছে দেশের মানচিত্র।

    ৫০০ টাকার নোটে শহীদ মিনার ও সুপ্রিম কোর্ট
    নতুন ৫০০ টাকার নোটে একপাশে স্থান পেয়েছে জাতীয় চেতনায় অনন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অপর পাশে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।

    ১০০০ টাকার নোটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সংসদ ভবন
    সবচেয়ে বড় মূল্যমানের ১০০০ টাকার নোটে একদিকে রয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। অপরদিকে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।

    নতুন ডিজাইনের এই নোটগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ।

  • সাতক্ষীরায় নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

    সাতক্ষীরায় নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

    : নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগর মালেকপাড়ায় ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প পরিচালিত হয়েছে।

    সোমবার (২৬ মে) বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক), সাতক্ষীরা এসডি হস‌পিটাল এবং মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ-এর যৌথ আয়োজনে পরিচালিত এই স্বাস্থ্য ক্যাম্পে নারী-শিশুসহ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টি পরামর্শ দেওয়া হয়।

    ক্যাম্পে সাতক্ষীরা এসডি হাসপাতালের আরএমও ডা. প্রদীপন কুমার চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

    জলবায়ু পরিবর্তনের নানাবিধ অভিঘাতে এই নিম্ন আয়ের বস্তিবাসী গ্রাম থেকে সবকিছু হারিয়ে শহরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। শহরে এসেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নগরের নানা সংকটের মধ্যে তাপপ্রবাহ বস্তিবাসী মানুষের জীবন এবং জীবিকাতে ভীষণভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। একই সঙ্গে এই তাপপ্রবাহের কারণে তারা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা দরিদ্র থেকে দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় পৌঁছে যাচ্ছেন। এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প কিছুটা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ক্যাম্প পরিচালনায় সহায়তা করেন বার‌সিকের প্রোগ্রাম অ‌ফিসার গাজী মা‌হিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, এসডি হাসপাতালের মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট মুজা‌হিদুল ইসলাম, খবরের কাগজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি নাজমুল শাহাদাত জাকির, বন্ধুজন সাতক্ষীরার সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আন্নিষা, সদস্য সোনামণি আক্তার বৃ‌ষ্টি, শিক্ষা সংস্কৃ‌তি ও বৈ‌চিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি আব্দুর রহমান নীরব, সদস্য মোনাইমু, সিফাত হোসেন, ফ‌রিদ গাজী প্রমুখ।

    বার‌সিকের প্রোগ্রাম অ‌ফিসার গাজী মা‌হিদা মিজান বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় আমাদের দেশে চিকিৎসা সেবা খুবই অপ্রতুল। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত  নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা নিশ্চিতে এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা বন্ধুজনের সদস্য সোনামণি আক্তার বৃ‌ষ্টি বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রের চিকিৎসাব্যবস্থা একদিকে যেমন সীমিত, অন্যদিকে পরিবেশদূষণ এখানকার শিশুদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এই আয়োজন তাদের জন্য কিছুটা হলেও উপকার করবে।

    বিউটি খাতুন নামে একজন নারী চিকিৎসাসেবা পেয়ে বলেন, আমাদের পাড়ার অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তারা ঠিকমত ডাক্তার দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে মহিলারা রোগাক্রান্ত হলেও অর্থাভাবে ডাক্তার দেখান না। তাই এ ধরনের ক্যাম্প আমাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।