প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ও তার স্বামী জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমেটেডের চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের (মুনা ও তার স্বামী) ১২টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ পরস্পর যোগসাজশে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসহ ১২টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও নাম সর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ইউসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক) থেকে ঋণ নিয়ে আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেন।
Blog
-

১২ ভুয়া কোম্পানি, ২ হাজার কোটি টাকা পাচার! সাবেক হাইকমিশনার ফাঁস
-

ইসরায়েল পারমাণবিক হামলা চালালে পাকিস্তানও বোমা ফেলবে -ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা
আর্জাতিক ডেস্ক:
টানা কয়েক দিন ধরে ইরান ও ইসরায়েলের হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে ইরানের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, যদি ইসরায়েল ইরানের ওপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তাহলে পাকিস্তানও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (১৬ জুন) ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সিনিয়র কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য জেনারেল মহসেন রেজায়ি ইরানি টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, যদি ইসরায়েল পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করে, তাহলে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালাবে।’ জেনারেল রেজায়ি আরও দাবি করেন, পাকিস্তান মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং ইরানের পাশে রয়েছে। তিনি জানান, তেহরান এখনও অনেক গোপন শক্তি প্রকাশ করেনি।
তবে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। কিন্তু দেশটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। বিশ্বের মাত্র ৯টি দেশের কাছে বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র আছে এবং ইসরায়েল ও পাকিস্তান উভয়ই সেই তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সংস্থা আইসিএএন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইরানকে দেওয়া পাকিস্তানের এই আশ্বাসকে সরাসরি সামরিক প্রতিশ্রুতি না বলে কূটনৈতিক সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এই সংঘাত শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক দেশ এতে কৌশলগতভাবে জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করে, তাহলে মার্কিন সেনাবাহিনী এমন শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে যা ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি।’
এদিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক অনলাইন পোস্টে বলেন, ‘ইসরায়েলের পারমাণবিক ক্ষমতা নিয়ে পশ্চিমাদের চিন্তা করা উচিত। কারণ এই সংঘাত শুধু একটি অঞ্চল নয়, পুরো বিশ্বকে বিপদে ফেলতে পারে। ইসরায়েল একটি বেপরোয়া রাষ্ট্র, যাকে সমর্থন করে পশ্চিমা দুনিয়া ভয়াবহ ভুল করছে।’
-

দেবহাটায় মোটরসাইকেলসহ ৩০ বোতল মাদক আটক
দেবহাটার শাঁখরা বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেলসহ ৩০ বোতল কোরেক্স মাদক আটক হয়েছে। তবে এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। এবিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজিবি জানায়। বিজিবির দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, নীলডুমুর ১৭ বিজিবির অধীনস্থ দেবহাটার শাঁখরা বিজিবির একটি দল সোমবার ১৬ জুন দুপুর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে হাড়দ্দহ এলাকার পিচ রাস্তার উপর থেকে ৩০ বোতল মাদকদ্রব্য কোরেক্সসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে। শাঁখরা বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে সিজার কমান্ডার নাসিরুদ্দিনসহ একটি দল অভিযান চালিয়ে এই ৩০ বোতল কোরেক্স মাদক ও একটি মোটরসাইকেল আটক করে। মোটরসাইকেলটির রেজিষ্ট্রেশন নং- খুলনা মেট্রো হ ১২-৩৩-৪৩। আটককৃত মালামালের আনুমানিক সিজার মূল্য ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানায়।
-

আশাশুনির তেঁতুলিয়ায় বিএনপি’র দলীয় সাইনবোর্ড মেরে জমি জবর দখলের অভিযোগ
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনির তেঁতুলিয়ায় বিএনপি’র দলীয় সাইনবোর্ড মেরে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার বিকালে লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিঠু শাহা ও রফিকুল গাজী দীর্ঘ ৫০ বছর দখলিও জমিতে বালি ও বরফ এর ব্যবসা করে আসছিল। গত (১০ জুন) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপি ইউনিয়ন কার্যালয় ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন কার্যালয়ের দুইটা সাইনবোর্ড মেরে জমি জবরদখল করে নিয়েছে কাদাকাটি ইউনিয়নের সাবেক বিএনপি’র সভাপতি তুহিনুল্লাহ তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন (টুকু)।কাদাকাটি ইউনিয়নের শাহনগর গ্রামের ডাক্তার আবু তালেব শাহ এর ছেলে মিঠু শাহ, মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন গাজীর ছেলে রফিকুল গাজী, কাদাকাটি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম, মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামের আফসার আলী খাঁ এর ছেলে তারিকুল ইসলাম, কাদাকাটি গ্রামের ওয়াহেদ আলী সরদারের ছেলে বদরুল সরদার সাংবাদিকদের জানান, ৫ই আগস্ট এর পর থেকে কাদাকাটি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথভাবে মানুষের জায়গা জমি অবৈধভাবে জবর দখল করে নিয়ে চলেছে। এদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেনা। তাদের কিছু বলতে গেলে হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে বলে আগের দিন শেষ। এখন আমরা যা বলব সেটাই সোনা লাগবে।অভিযুক্ত কাটাকাটি ইউনিয়নের সাবেক বিএনপির সভাপতি তুহিনুল্লাহ তুহিন বলেন, আমাদের বিএনপির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন (টুকু) ওই জায়গাটা দীর্ঘ একুশ বছর উনার দখলে আছে। তেঁতুলিয়ার বাজারে একটা ডাক্তারের চেম্বার আছে ওখানে জায়গা কম থাকার কারণে ওই জায়গায় দলীয় কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।তবে যারা অভিযোগ দিচ্ছে তাদের জায়গা নদী গর্বে বিলেন হয়ে গেছে। জাহাঙ্গীর হোসেন (টুকু) বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জায়গাটা আমার দখলে। আমার দলীয় লোকজনের বসার কোন জায়গা নেই তাই ওখানে দলীয় অফিস নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাইনবোর্ড মেরেছি। অপরপক্ষের দীর্ঘ ৫০ বছর দখলীয় জমি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনাদের ওখানে জায়গা ছিল কিন্তু সেই জায়গা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডাক্তার শহিদুল আলম বলেন, বিষয়টা আমি জানতাম না আপনি বলেছেন তাই শুনেছি। তবে আপনি আমাদের সাতক্ষীরা জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটু কথা বলেন।জেলা বিএনপির সভাপতি রহমাতুল্লাহ পলাশ বলেন, আমার দল কখনো অবৈধ কাজকে সমর্থন করে না। আমি স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বলে দেব বিষয়টা এক জায়গায় বসে সমাধান করার জন্য।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, এ বিষয়টা আমি জানিনা আপনি আশাশুনি উপজেলা বিএনপির কাছ থেকে বক্তব্য নেন। -

আশাশুনিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ি খোকন সেনাবাহিনীর হাতে গাঁজাসহ গ্রেফতার
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট জুয়াড়ি খোকন সেনাবাহিনীর হাতে গাঁজাসহ গ্রেফতার হয়েছে। (১৫ জুন) রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করেছে আশাশুনির দায়িত্বরত ক্যাম্প কমান্ডার লে. আসেফ আহসান চৌধুরী’র নেতৃত্বে টহলরত সেনাবাহিনী। এ ব্যাপারে ক্যাম্প কমান্ডার সাংবাদিকদের জানান, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের কেনা শেখ এর ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নাজরুল ইসলাম ওরফে খোকন (৬৫) এর বাড়িতে তল্লাশি করে তার নিকট থেকে ৫০গ্রাম গাঁজ, একটি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশাশুনি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জুয়াড়ি ও মাদক ব্যবসায় লিপ্ত থাকা খোকনকে গ্রেফতার করায় স্থানীয় জনগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি সন্তোষ ও স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এই সংক্রান্তে আশাশুনি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা নাম্বার ৮ রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। -

সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা
১৬ জুন ২০২৫ সাতক্ষীরার কাটিয়া এলাকায় স্বদেশ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হলো সাতক্ষীরা জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের অর্ধ-বার্ষিক সমন্বয় সভা। ফোরামের সভাপতি প্রফেসর আঃ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় জেলার জলবায়ু সংকট এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত, শ্যামনগর উপজেলা ফোরামের সম্পাদক রনজিৎ বর্মন, আশাশুনি উপজেলা ফোরামের সভাপতি আব্দুল হান্নানসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার জলবায়ু ফোরামের সদস্যবৃন্দ। সভা পরিচালনায় সহযোগিতা করে লিডার্স, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।
সভায় জেলা সদস্য সচিব মাধব চন্দ্র দত্ত পূর্ববর্তী সভার রেজুলেশন পাঠ করেন এবং তা সভার সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি, অবকাঠামো ও জনজীবনের উপর বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উল্লেখ করা হয় যে, জেলার উপকূলীয় কৃষি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। বিশেষ করে আশাশুনি উপজেলায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তা সংস্কারের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। ৬০% নারী কৃষক কৃষিতে অবদান রাখলেও তারা এখনও অবহেলিত ও স্বীকৃতিহীন। এছাড়া জলাবদ্ধতা, নদী ভাঙন ও নদীশাসন ব্যবস্থার অভাবে অনেক মানুষ পেশা পরিবর্তন করছে বা অন্যত্র মাইগ্রেট করছে।
শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু ফোরামের সম্পাদক রনজিৎ বর্মন বলেন, “যমুনা খালের সমস্যার ফলে শ্যামনগরে জলাবদ্ধতা চরমে পৌঁছেছে। এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় উদ্যোগ ও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির দাবি তোলা জরুরি।”
আশাশুনি উপজেলা ফোরামের সভাপতি মোঃ আব্দুল হান্নান বলেন, “জেলেখালীর অনেক মানুষ নদীভাঙনের কারণে বাধ্য হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে গেছে। জলবায়ু সমস্যা এখন আর শুধু প্রকৃতি নয়, মানবাধিকার ও জীবন-জীবিকার বিষয়।”
সভায় ফোরামের সদস্য অধ্যাপক ইদ্রিস বলেন, “আমরা যদি সক্রিয়ভাবে দাবি তুলতে পারি, তাহলে জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব। কারণ জলবায়ু দূর্যোগ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একভাবে আক্রান্ত করে।”
সভার সমাপ্তিতে ফোরামের পক্ষ থেকে কয়েকটি সিদ্ধন্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
উপকূলীয় কৃষি বিপর্যয়, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জলাবদ্ধতা বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করা। জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান। গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে টকশো ও মিডিয়া কাভারেজ নিশ্চিত করা।
আলোচনা শেষে সভাপতি প্রফেসর আঃ হামিদ সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
-

তালায় বজ্রপাতে একজন নিহত
সাতক্ষীরার তালায় বজ্রপাতে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার ( ১৬ জুন ) বিকালে তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের কাঠবুনিয়াগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হলেন-কাঠবুনিয়া গ্রামে বামছারাম মন্ডল ছেলে ললিত মন্ডল (৫০)।
কাঠবুনিয়াগ্রামে উজ্জল মন্ডল জানান, ললিত মন্ডল কাঠবুনিয়া গ্রামে নিজ ঘেরে মাছ ধরা চারো তৈরি করছিলেন। হটাৎ বজ্রাপাতের ফলে তিনি গুরুত্বর আহত হয়। ঐ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
-

সাতক্ষীরায় মাদক ও অনলাইন গেমিংয়ে আসক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আহ্বান
সাতক্ষীরা জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সেনাবাহিনী সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর ফাহিম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসেম, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, জেলা সিভিল সার্জন ডা.আব্দুস সালাম, জামায়াতের জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, সাবেক মেয়র তাসকিন আহমেদ চিসতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকরতা, জেলা তথ্য অফিসার জাহেরুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা আখতার বিউটি, জামায়াতের মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারী জয়নাব পারভীন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল মাহদিন , মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুমসহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সকল সদস্যরা।এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অপরাধ দামনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বাল্যবিবাহ ও মানব পাচার প্রতিরোধ, শহরে যানজট নিরসন, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন মাদক বিরোধী অভিযান, নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরিবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, বাজার মনিটরিং সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।এসময় জেলার উন্নয়নে সার্বিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। -

জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে
নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: দেশে স্থায়ী গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও কাঙ্ক্ষিত সিস্টেম পরিবর্তনের লক্ষ্যে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরার রাজনৈতিক, নাগরিক ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে দেশে আবারও স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে, যা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সাতক্ষীরার নাগরিকদের ভাবনা’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য আসমা উল হুসনা এবং সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক নাঈদ আহমাদ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের শাসনামলে সাতক্ষীরা জেলায় সবচেয়ে বেশি হত্যা, গুম ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। হাজারো মানুষ নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সেই স্বৈরাচারী ধারা রুখে দিয়েছিল জুলাই আন্দোলন। এই আন্দোলন শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মুক্তির সংগ্রাম ছিল এটি।
তাঁরা বলেন, শহীদদের পরিবার বিচার না পেলে শান্তি পাবে না। বিচার বিলম্বিত হওয়ায় জনগণের মনে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ তৎকালীন সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক, এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক আবদুল কাদের, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হাসানুর রহমান হাসান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনজুরুল আলম বাপ্পি, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ ইমরান হোসেন, বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মাকছুদুর রহমান জুনায়েদ এবং শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন চাই না, চাই সিস্টেমের পরিবর্তন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করে হলেও জুলাই ঘোষণাপত্রকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। তা না হলে এটি হবে আন্দোলনের শহীদদের সঙ্গে চরম গাদ্দারি।
তাঁরা আরও বলেন, দেশের মেধাবীরা যেন বিদেশে পাড়ি না জমায় এবং আধিপত্যবাদী রাজনীতির অবসান ঘটে—এটা নিশ্চিত করতেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এখন সময়ের দাবি।
জুলাই আন্দোলন’ কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়, এটি ছিল জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের রক্তঝরা ইতিহাসকে সম্মান জানিয়ে দ্রুত এই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের একমত পোষণ করেন রাজনৈতিক, নাগরিক ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা।
-

বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল, ডেন্টাল ও ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প
বিশেষ প্রতিনিধি : “জীবন প্রতিযোগিতার নয়, জীবন সহযোগিতার” এই মানবিক স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশন আগামী ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার বিকেল ৩টায় তাদের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজন করতে যাচ্ছে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ডেন্টাল ক্যাম্প এবং ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্প। স্বাস্থ্যই সম্পদ—এই বিশ্বাস থেকে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ উপস্থিত থাকবেন। মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা প্রদান করবেন কালীগঞ্জ উপজেলার গর্বিত কৃতি সন্তান ডা. মোঃ খালিদ হাসান, এমবিবিএস, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা। তাঁর সহকারী হিসেবে থাকবেন খুলনা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থী, যারা উপজেলার তরুণ চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ডেন্টাল ক্যাম্পে থাকবেন ডেন্টিস্ট মোঃ রাসেল বিশ্বাস, খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্ন সম্পন্নকারী একজন দক্ষ দন্তচিকিৎসক। ব্লাড গ্রুপিং সেবায় দায়িত্ব পালন করবেন মোঃ রেজওয়ান মোড়ল, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব), খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিষ্ণুপুর আস্থা ফাউন্ডেশনের সভাপতি। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। সংশ্লিষ্টদের মতে, এটি কেবল একটি স্বাস্থ্য ক্যাম্প নয়, বরং একটি সামাজিক দায়িত্ববোধের বাস্তব প্রকাশ। আয়োজকরা সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে পরিবারসহ এই মানবিক উদ্যোগে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
-

প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত! হামজার মাথা, সোহেলের বুলেট — জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ফুটবল মহোৎসব
দীর্ঘদিন পর জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরেছে বাংলাদেশ। ফেরার উপলক্ষ্যটা রাঙাতে দরকার ছিল দারুণ এক জয়। জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই মিডফিল্ডারের কল্যাণে সেটাই করেছে বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরী আর সোহেল রানার দুই গোল বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে দাপুটে এক জয়।
ঘরের মাঠে হামজা চৌধুরীর অভিষেক। ফাহামিদুল প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সিতে। মাঝমাঠে জামাল ভূইয়া আর হামজা চৌধুরীর রসায়ন। বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা যেমনটা দেখতে চেয়েছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বুঝি সেটাই পূরণ করেছেন।বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল দারুণ। রাইট উইং থেকে ভয় ধরানো আক্রমণ হয়েছে। গোল পেতে অবশ্য খুব বেশি সময়ও লাগেনি বাংলাদেশের৷ ম্যাচের মাত্র ছয় মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে জামাল ভূঁইয়ার কর্ণার কিক নেন। সেই কিকে উড়ে আসা বলে হেড করতে সময়ক্ষেপন করেননি বারের খুব সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হামজা চৌধুরী।
হোম ম্যাচে অভিষেকেই গোল করে দর্শকদের বাহবা কুড়ান ইংলিশ লিগে খেলা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। ইতালি প্রবাসী ফরোয়ার্ড ফাহমিদুলের পাস ৩০ মিনিটে ফাহামেদুল থেকে রাকিব বল পেয়ে শট করেন। গড়িয়ে আসা বলে জামাল ভূঁইয়ার শট পোস্ট ঘেষে বাইর চলে যায়।
আজকের ম্যাচে অভিষেক হয়েছে ফাহমিদুল ইসলামের। তার গতির ঝড় দেখেছে ঢাকা স্টেডিয়ামের দর্শকরা। হামজা চৌধুরী আর ফাহামেদুল ইসলামের গতির কাছে ম্যাচের শুরু থেকেই কুপোকাত হয়ে পড়ে ভুটান। প্রায়ই ভুটানের রক্ষণভাগ ভেঙ্গে চুরমার হয়েছে।
ফাহমেদুল বাম প্রান্তে বারবার গতি দিয়ে পরাস্ত করছিলেন ভুটানের রক্ষণকে। অন্তত দুবার ভালো কাটব্যাক ছিল, যদিও সেটা গোলে পরিণত করা হয়নি। আবার ডানপ্রান্তে কাজেম শাহ কিংবা তাজউদ্দিনরাও ছিলেন উজ্জ্বল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে প্রথমার্ধে গোল আর পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ১-০ ব্যবধান নিয়েই টানেলে ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা হামজা, জামাল ভুইয়া ও কাজেমকে তুলে নেন৷ তাদের পরিবর্তে হৃদয়, মোরসালিন ও ইব্রাহিম নামেন। প্রীতি ম্যাচে নির্ধারিত ৫ জনের বেশিও খেলোয়াড় বদল করা যায়। সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য কোচ ফুটবলারের পরখ করছেন।
দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটে সোহেল রানা দুর্দান্ত গোল করেন। দূরপাল্লার শটে ভুটানের জালে বল পাঠান সিনিয়র এই ফুটবলার। বাংলাদেশ ২-০ লিড পায়। রাকিব হোসেন খানিকক্ষণ পর আরেকটি গোল মিস করেন। খালি বারপোস্টেও বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে গোল মিসের হতাশায় ভুগেন রাকিব।
কাজেম এবং হামজাকে আগেই আগেই উঠিয়ে নিয়েছিলেন কোচ। ফাহামিদুলকেও একপর্যায়ে উঠিয়ে নেন ক্যাবরেরা। তবে মাঠ ছাড়ার আগেও দারুণ এক মাপা ক্রস ফেলেছিলেন বক্সে। তবে ভুটানি গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় সেখান থেকে গোল আসেনি।
ফাহামিদুল ইসলাম ওঠার পর খেলার গতি অবশ্য খানিক কমেছে। দুই গোল পাওয়ার পর বাংলাদেশ অনেকটাই নির্ভার হয়েই খেলেছে। তারমাঝেও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বা শেখ মোরসালিনরা চেষ্টা করেছিলেন ব্যবধান বাড়াতে।
খেলার ধারার অনেকটা বিপরীতে ৭৬ মিনিটে গোল প্রায় হজমই করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কর্নার থেকে আসা বল অনেকটাই ফাঁকায় পেয়ে যান সেলটব দর্জি। তবে হেড থাকেনি লক্ষ্যে। ২-০ গোলের লিড অক্ষুন্ন থাকে বাংলাদেশের।
ম্যাচের শেষদিকে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা খানিক বাড়িয়েছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সাদউদ্দিন। ইনজুরিতে মাঠ ছেড়েছেন স্ট্রেচারে করেই। আগেই খেলোয়াড় বদলের কোটা শেষ হওয়ায় শেষ কয়েকমিনিট বাংলাদেশ খেলেছে ১০ জন নিয়ে।
সাদ মাঠ ছাড়ার পরেই বাংলাদেশ দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল। তবে ভুটান গোলরক্ষক আরও একবার হতাশ করেছেন বাংলাদেশ দল আর জাতীয় স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে জিগমে নামগয়ালের শট একেবারে কাছ থেকে দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিতুল মারমা। পুরো ম্যাচে খুব একটা পরীক্ষা দিতে না হলেও শেষের এই সেইভে দলের ত্রাতা হয়েছেন মিতুল।
ম্যাচে ফাহামিদুলের পাশাপাশি অভিষেকের স্বাদ পেয়েছেন ফরোয়ার্ড আল আমিন। ঘরোয়া ফুটবলে ভালো খেলার পুরস্কার পেলেন ভুটান ম্যাচে। সেই সাথে আজকের ম্যাচে ৬ খেলোয়াড়কে বদল করেছেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে দলের খেলোয়াড়দের পরখ করতে চেয়েছেন তিনি। সাধারণ ফিফা প্রীতিম্যাচে ৫ বদলের নিয়ম থাকলেও ক্যাবরেরা আজকের ম্যাচে এনেছেন ৬ বদল।
-

জাতীয় বাজেট ঘোষণা, ঘোষণার পরই বাজারে আগুন! দাম বাড়বে এসব জিনিসের
বাংলাদেশের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট (২ জুন, ২০২৫) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উপস্থাপন করেছেন। এটি দেশের ৫৫তম বাজেট এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে প্রথম বাজেট।
বাজেটের সারাংশ
-
মোট বাজেটের আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা
-
রাজস্ব বাজেট: ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা
-
উন্নয়ন বাজেট: ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫%
-
মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা: ৬.৫%
গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে বরাদ্দ
-
শিক্ষা খাত: ৯৩৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মোট বরাদ্দ হয়েছে ৮৪,০০০ কোটি টাকা। প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ কমলেও মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়: ১,১১০ কোটি টাকা বরাদ্দ, যা গত বছরের তুলনায় ৮৮ কোটি টাকা কম।
-
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ: ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ, পূর্ববর্তী বছরের ৮৩৫ কোটি টাকা থেকে কম।
-
নির্বাচন কমিশন: ২,৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ।
-
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড: ১,৩৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ।
-
জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পরিবার: ৪০৫.২ কোটি টাকা বরাদ্দ।
বিশেষ দিকনির্দেশনা
-
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ: আবাসন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
-
করমুক্ত আয়সীমা: করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
-
সামাজিক নিরাপত্তা খাত: বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
-
ভর্তুকি ও প্রণোদনা: এই খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
-
সিগারেটের দাম: এবার সিগারেটের দাম না বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।
কোন খাতে কত টাকার বরাদ্দ হলো তা একনজরে
🏗️ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)
মোট এডিপি বরাদ্দ: ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা
-
পরিবহন ও যোগাযোগ খাত: ৫৯ হাজার কোটি টাকা
-
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: ২২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা
-
সামাজিক নিরাপত্তা খাত: ৩৭ হাজার কোটি টাকা
📚 শিক্ষা খাত
মোট বরাদ্দ: ৯৫ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা
-
প্রাথমিক শিক্ষা: বরাদ্দ কমেছে
-
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা: বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে
👩👧 নারী ও শিশু খাত
-
মোট বরাদ্দ: ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা
-
পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা
-
কমেছে: ১৪৫ কোটি টাকা
💰 রাজস্ব আয় ও বাজেট ঘাটতি
-
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
-
এনবিআর থেকে: ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা
-
অন্যান্য খাত থেকে: ৬৫ হাজার কোটি টাকা
-
-
বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা
-
অভ্যন্তরীণ ঋণ: ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা
-
বৈদেশিক ঋণ: ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা
-
📈 অর্থনৈতিক সূচক
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: ৫.৫%
-
মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা: ৬.৫%
🛒 পণ্য ও সেবার দাম পরিবর্তন
দাম বৃদ্ধি পাবে:
-
কনভেনশন হল, নির্মাণ খাত, সেল্ফ কপি পেপার, কোটেড পেপার, ই-কর্মাস কমিশন
-
প্লাস্টিক সামগ্রী, গৃহস্থালি সামগ্রী, টয়লেট সামগ্রী, কটন সুতা, কৃত্রিম সুতা, ব্লেড, জয়েন্ট, নাট, বোল্ট, ইলেকট্রিক লাইন হার্ডওয়্যার, সিগারেট
-
ওটিটি সেবা, এলইডি লাইট, আমদানিকৃত লিফট, সিফুড, নারিকেল তেল, স্যালমন ফিস, আমদানিকৃত মাংস, আমদানিকৃত টুনা, লবঙ্গ, এলাচ, জিরা, দারচিনি, মাখন, দুগ্ধজাত পণ্য, চিজ, বিদেশি সবজি, কাজু বাদাম, শুকনা ফল, আপেল, নাশপাতি
-
রড, কফি, চকলেট, শিশু খাদ্য, পাস্তা, বিস্কুট, চিপস, জ্যাম-জেলি, জুস, সস
-
দেশি তৈরি মোবাইল ফোন, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার
-
মার্বেল- গ্রানাইট, অ্যালকোহল, ফুড সাপ্লিমেন্ট, তামাক জাতীয় পণ্য, বিদেশি লবণ, আইসক্রিম, বার্নিশ, সুগন্ধি, এলপিজি সিলিন্ডার, অটো রিকশা, প্রসাধনী, সাবান, ডিটারজেন্ট
দাম কমবে:
-
ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্পের কাঁচামাল, এলএনজি, সিলিন্ডার, দেশি স্যানিটারি ন্যাপকিন, দেশি ডায়াপার, প্যাকেটকৃত তরল দুধ, বলপয়েন্ট, ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর, রেন্ট, হাসপাতালের বেড, ওষুধের কাঁচামাল, হাসপাতালের যন্ত্রাংশ, কোল্ড স্টোরেজ, এলপিজি সিলিন্ডার, ব্যাটারি, কীটনাশক, ফ্রুট ব্যাগ, টায়ার, সার
কর হার পরিবর্তন:
-
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর হার ২.৫% কমে ২০% হয়েছে
-
মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭.৫% থেকে কমে ২৭.৫% হয়েছে
-
ব্রোকারেজ হাউজের সিকিউরিটিজ লেনদেন কর ০.০৫% থেকে কমে ০.০৩% হয়েছে
ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা:
-
সাধারণ নাগরিক: ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা
-
নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী: ৪ লাখ টাকা
-
প্রতিবন্ধী: ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা
-
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা: ৫ লাখ টাকা
-
‘জুলাই যোদ্ধা’: ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ:
-
মোট বরাদ্দ: ৯৫ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা
-
বাজেটের ১২.১৮%
-
পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৯০ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা (১১.৩৫%)
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা:
-
১০% থেকে ২০% পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে
বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে:
-
সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অংকের পরিমাণ ৪.৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ:
-
গতবারের মতো এবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে
প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ:
-
বরাদ্দ কমেছে
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ:
-
বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে
নারী ও শিশু খাতে বরাদ্দ:
-
মোট বরাদ্দ: ৫ হাজার ৭৭ কোটি ৮৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা
-
পূর্ববর্তী বরাদ্দ: ৫ হাজার ২২২ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা
-
কমেছে: ১৪৫ কোটি টাকা
বাজেট ঘাটতি পূরণে ঋণ:
-
অভ্যন্তরীণ ঋণ: ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা
-
বৈদেশিক ঋণ: ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা
জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা:
-
৫.৫%
মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা:
-
৬.৫%
বাজেট ঘাটতি:
-
২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬২%
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা:
-
৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
-
-

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য বরাদ্দ ৪০৫ কোটি টাকা
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। সোমবার জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বাজেট প্রস্তাব করেন।
বাজেট বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শীঘ্রই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।
-

আশাশুনিতে বজ্রপাতে রাজমিস্ত্রী নিহত
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বজ্রপাতে বাবলু গাজী নামের এক রাজমিস্ত্রী নিহত হয়েছে। রোববার (১ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভাদ্রকাটি সরকারি পাইমারী স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন নামের এক যুবক আহত হয়।
বজ্রপাতে নিহত বাবলু গাজী (৫৫) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত সাব্বির হোসেন আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভাদ্রকাটি গ্রামের মুদি দোকানী মোস্তফার ছেলে। তাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানী মোস্তফা জানান, রাজমিস্ত্রী বাবলু গাজী প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভাদ্রকাটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের পাশে জনৈক আবুল কালাম সানার ঘরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। বিকালে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করে মালামাল ভ্যানে উঠিয়ে নেওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি ভ্যান ডাকছিলেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। বজ্রপাতের সময় দোকানের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তার ছেলে সাব্বির হোসেন আহত হয়। স্থানীয়ভাবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বর গোলাম রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
-

প্রশাসন জানে, তবু নীরব! ভাঙা এল্লারচর সেতুতে চলছে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত
সাতক্ষীরার মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত এল্লারচর সেতুটির এক পাশের অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। গত ১৮ মে রাতে সেতুটির দক্ষিণ পাশের এ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নদীর দুই পাড়ে বসবাসকারী সাতক্ষীরা সদর, দেবহাটা এবং আশাশুনি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের বালিথা, এল্লারচর, শিমুলবাড়িয়া, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা, মেল্লেকপাড়া, বড়খামার, উমরাপাড়া, পৌরসভার কুখরালি, চালতেতলা, গড়েরকন্দা, দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বিলশিমুলবাড়িয়া, চরবালিথা, শ্যামনগর, ঢালিরঘের, আন্দোলপোতা, শশাডাঙ্গা, গবরাখালি, টিকেট, পুঁটিমারি, রঘুনাথপুর এবং আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের সরাফপুর, হাজিপুর, বাউচাষ, শালখালি,বদরতলাসহ অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, এল্লারচর সেতু দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। সেতুটির দক্ষিণ পাশের অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ার পর তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। মরিচ্চাপ নদী পারাপারে আশেপাশে বিকল্প কোন মাধ্যম না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারী-শিশুসহ সব বয়সের মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
একই সাথে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুর ওপারে দেবহাটার অংশে পণ্য আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না। এতে করে বিপাকে পড়েছেন চিংড়ি ও সবজি চাষিরা। যেকোন সময় সেতুটির দক্ষিণ পাশের এপ্রোচ রোডের সম্পূর্ণ অংশ ধ্বসে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের মেম্বর ও গণমাধ্যমকর্মী আরশাদ আলী সেতুটির অ্যাপ্রোচ রোড ধ্বসে পড়ায় জনদুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ষাটের দশকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় নদীতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। নদী শাসনের ফলে মরিচ্চাপ নদী মরা নদীতে পরিণত হয়। নদীর উপর নির্মাণ করা হয় এল্লারচর সেতু। এরপর দুই-তিন বছর আগে খনন করা হয় মরিচ্চাপ নদী। যদিও নদীটি খননের সময় আদি ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে খনন করা হয়নি। নদী খননের পর বর্তমানে জোয়ার-ভাটা প্রবাহিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় গত ১৫দিন আগে ১৮ মে রাতে এল্লারচর সেতুটির দক্ষিণ পাশের এপ্রোচ রোড সংযোগ সড়ক ধ্বসে পড়ে। এতে করে তিন উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ঝুঁকি নিয়ে তারা ওই সেতু পার হয়ে চলাচল করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে সড়কটি সম্পূর্ণ ধ্বসে পড়ে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ সোমবার (২ জুন) সকালে এল্লারচর সেতুটি পরিদর্শন করে জানান, সেতুটি অনেক পুরাতন। সেতুটির প্রশস্ততা নদীর চেয়ে কম। জোয়ার-ভাটার স্রোতের টানে হয়তো সেতুটির সংযোগ সড়ক ধ্বসে গিয়েছে। আপাতত সেতুর পাশে ব্লকদ্বারা সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষ আপাতত চলাচল করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সেতুটি পুনঃনির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর এল্লারচর এলাকায় একটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।
-

সরকারি চাল গুদামে নয়, বাজারে,শ্যামনগরে ৭৫ বস্তা চাল জব্দ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের একটি চালের আড়ৎ থেকে ৭৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৩০ কেজি) সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১ জুন) রাতে উপজেলার নূরনগর বাজারের পুরাতন মৎস্য আড়ৎ সংলগ্ন আল্লাহর দান চাউলের আড়ৎ থেকে এই চাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মনোগ্রামযুক্ত সরকারি বস্তা পরিবর্তন করে এসব চাল বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করেছিলেন নুরনগর বাজারের আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিক শাহিনুর রহমান বকুল। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাতের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালগুলো জব্দ করে। পরে জব্দকৃত চাল স্থানীয় কয়েকটি মাদরাসা ও এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও এ ঘটনায় সরকারি চাল সংরক্ষণ ও বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিক শাহিনুর রহমান বকুলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা করা হয়।
ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমান বকুল সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের শোকর আলী গাজীর ছেলে।
অবৈধভাবে সরকারি চাল মজুদকারী শাহিনুর রহমান বকুল বলেন, তিনি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের জয়নগর এলাকার ধান ব্যবসায়ী আবু মুসা ও জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৭৫ বস্তা সরকারি চাল (১২৫০ টাকা বস্তা দরে) ৯৩ হাজার ৭৫০ টাকায় কিনেছিলাম। রাতে অভিযানে এসে এসিল্যান্ড চালগুলো জব্দ করে নিয়ে গেছে।
তবে কাশিমাড়ি এলাকার ধান ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত বলেন, নুরনগর বাজারের একটি চাউলের দোকানে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির সরকারি চাল মজুদ রয়েছে এমন সংবাদে সেখানে অভিযানে যাই। সেখানে গিয়ে ৩০ কেজি ওজনের ৭৫ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করি। যেহেতু আল্লাহর দান চাউলের দোকানের মালিকের ৭৫ বস্তা সরকারি বস্তা পরিবর্তন করা চাল জব্দ করা হয়েছে সে কারণে তাকে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জাহিদুর রহমান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের সিলযুক্ত চাল বাজারে বিক্রি করা বা ব্যক্তিমালিকানাধীন গুদামে মজুদ রাখা বেআইনি।
অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রিফাতের সঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শারিদ বিন শফিকসহ উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী ও শ্যামনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থানীয় মনিরুজ্জামান, জোবায়ের, হাফিজুর রহমান ও তাহমিনুর রহমান এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা বের করতে তদন্তের দাবি জানান।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-

জেলের চাল ৫৬ কেজির জায়গায় ৩১ কেজি! বাকিটা গেল কোথায়?
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবোধ মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরকারি জেলে কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারি চাল ইউনিয়ন পরিষদ বা নির্ধারিত গোডাউনে না রেখে নিজ বাড়িতে মজুত করেছেন এবং প্রত্যেক জেলে কার্ডধারীকে বরাদ্দের চেয়ে কম পরিমাণ চাল দিয়ে নগদ অর্থ আদায় করছেন।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কার্ডধারী জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। তবে আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের জেলেদের কার্ডে বরাদ্দের চেয়ে প্রায় ২০ কেজি পরিমাণ চাল কম দেয়া হচ্ছে। আবার সরকারি এই চাল দেয়ার জন্য জেলেদের কাছ থেকে টাকাও নেয়া হচ্ছে।
খাজরা ইউনিয়নের জেলেরা অভিযোগ করেছেন, খাজরা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবোধ মণ্ডল তাদের জোরপূর্বক ৩১ থেকে ৩৪ কেজি চাল দিয়ে বাকি চাল নিজে রেখে দিচ্ছেন। এর বাইরে চাল পরিবহনের খরচ দেখিয়ে মাথাপিছু কিছু টাকাও আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
খাজরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, সরকার আমাদের প্রতি মাসে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম করেছে। কিন্তু সভাপতি কম চাল দিচ্ছেন ও টাকাও নিচ্ছেন। আমরা এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি সুবোধ মণ্ডল বলেন, আমার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪০ জন জেলের চাল আমার বাড়িতে রাখা আছে। কারণ ইউনিয়নে রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে চাল বাড়িতে রেখেছি। এবার বাজেট কম আসায় ইউনিয়নের ৬৫১ জন কার্ডধারীকে ৩১ কেজি ৪০০ গ্রাম করে চাল দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি সবার জানা।
তবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, চাল পরিবহনে কিছু খরচ হয়, সেটুকু সমন্বয়ের জন্য সামান্য টাকা নিয়েছি। এর বাইরে কোনো অনিয়ম হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আশাশুনি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার বলেন, আমরা স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৫৬ কেজি করেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কম বিতরণের কোনো সুযোগ নেই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সরকার প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে চাল বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এটি কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তির বাড়িতে রাখা বা ইচ্ছেমতো বিতরণের সুযোগ নেই। সরকারি নীতিমালার বাইরে গিয়ে চাল বিতরণ করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এদিকে ইউনিয়নের সচেতন মহল ও ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক হিসাব অনুযায়ী চাল বিতরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, এভাবে যদি চাল কেটে দেওয়া হয় ও কেউ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়, তাহলে প্রকৃত জেলে পরিবার তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
-

বিদায় বললেন ম্যাক্সওয়েল
২০২২ সালে এক দুর্ঘটনায় পা ভেঙেছিল গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। চিকিৎসায় সুস্থ হলেও মাঝে মধ্যেই তাঁর পায়ে সমস্যা হতো। সেই পা নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ইনিংসটি খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। সেই পায়ের জন্য ৩৬ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান গতকাল ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ৫০ ওভারের ক্রিকেট ছাড়লেও টি২০ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল।
২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের ২৯১ রান তাড়া করতে গিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৯১ রানে ৭ উইকেট পতনের পর মনে হচ্ছিল বড় পরাজয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে অসিরা। সেই পরিস্থিতি থেকে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। একে তো দুর্ঘটনা থেকে সেরে ওঠা পা, তার ওপর ক্র্যাম্প! উইকেটে দাঁড়াতেই পারছিলেন না তিনি। প্রতিটি শটের পর তাঁর মাংসপেশিতে টান লাগত। অসহ্য ব্যথা, তীব্র যন্ত্রণায় মাটিতে শুয়ে পড়তে বাধ্য হতেন তিনি।
ওই অবস্থায় ১২৮ বলে অপরাজিত ২০১ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। একা হাতে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। ২০২ রানের অবিচ্ছিন্ন অষ্টম উইকেট জুটিতে কামিন্সের অবদান কেবল ১২ রান। এই ইনিংসকে ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা না বলে উপায় আছে!
অনেকের মতে, ওই জয়ের স্পিরিটেই ফাইনালে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে অস্ট্রেলিয়া। কাকতালীয়ভাবে ফাইনালে জয়সূচক রানটি এসেছিল ম্যাক্সওয়েলের ব্যাট থেকেই। দুটি বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা ১৩ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন।
‘ফাইনাল ওয়ার্ড পডকাস্ট’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, এই শারীরিক অবস্থায় আমার জন্য দল পিছিয়ে পড়ছে। আমি তাঁকে (বেইলি) বলেছি, আমার মনে হয় না আমি সেই (২০২৭) বিশ্বকাপ খেলতে পারব। এখন সময় হয়েছে আমার জায়গায় নতুন কাউকে সুযোগ দেওয়ার। যেন সে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ পায়।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই স্টিভ স্মিথ ও মার্কাস স্টয়নিস ওয়ানডে থেকে অবসর নেন। ১৪৯টি ওয়ানডে খেলা ম্যাক্সওয়েলও তাদের পথেই হাঁটলেন। ২০১২ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া এই তারকা ব্যাট হাতে ৩৯৯০ রান করার পাশাপাশি অফস্পিনে ৭৭টি উইকেটও নিয়েছেন।