Blog

  • কোমর থেকে পা নিস্তেজ মিহানের, চিকিৎসা ছাড়াই পড়ে আছে বাড়িতে

    কোমর থেকে পা নিস্তেজ মিহানের, চিকিৎসা ছাড়াই পড়ে আছে বাড়িতে

    মানবিক সাহায্যের আবেদন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    দূর্ঘটনার পর সুচিকিৎসার অভাবে বাড়িতে পড়ে আছে নয় বছরের মিহান। বাবার সহায় সম্পদ শেষ, ছেলের দুশ্চিন্তায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনিও মৃত্যুশয্যায়। এখন অর্থাভাবে বন্ধ, বাবা-ছেলের চিকিৎসা। সাতক্ষীরা আলীয়া মাদরাসার পেছনে দাসপাড়ায় একটি পরিবারে নেমেছে করুণ পরিণতি। এখন হাত পেতে সংসার চালাচ্ছেন মিহানের মা মোমেনা খাতুন।

    পরিবারটিতে গিয়ে দেখা যায়, সম বয়সী শিশুরা যখন খেলায় মগ্ন তখন ঘরের কোণে বসে কাঁদছে মিহান। তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত নিস্তেজ শরীর। জানা যায়, ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর আলীয়া মাদরাসার সামনে সড়কে যাত্রীবাহী বাস ধাক্কা দেয় মিহানকে। শিশুটি ছিটকে পড়েছিল সড়কে। ধারদেনায় পড়ে ছেলের দুশ্চিন্তায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বাবা আব্দুস সাত্তার। প্রথমবার স্ট্রোকের পর সুস্থ হলেও দ্বিতীয় বার স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তিনি এখন মৃত্যুশয্যায়।

    মিহান ইসলাম জানায়, বাসে ধাক্কা দেওয়ার পর থেকে আর হাঁটতে পারি না। আপনারা সহযোগিতা করেন। আমি সুস্থ হয়ে খেলতে চাই, লেখাপড়া শিখতে চাই।

    মিহানের মা মোমেনা খাতুন জানান, মিহান আমার একমাত্র ছেলে। বাচ্ছাদের সঙ্গে মাদরাসা মোড়ে দোকানে খাবার কিনতে গিয়েছিল মিহান। রাস্তা পার হওয়ার সময় বাস ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হয়। তারপর সাতক্ষীরা-ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকমাস চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজেদের সহায় সম্পদ বিক্রি করে ২০-২২ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। এরপর বাড়িতে ফিরে আসি। মিহানের কোমর থেকে পা পর্যন্ত নিস্তেজ হয়ে আছে, হাঁটতে পারে না। ওর বাবাও যে কোন সময় মারা যাবেন এমন অবস্থায় পড়ে আছেন।
    প্রতিবেশীরা জানান, সাত্তার গাজী দিনমজুর ছিলেন। বিপদে পড়ে সহায় সম্পদ বিক্রি করে শেষ করেছেন। আমরা সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি। পরিবারটির জন্য হৃয়দবান মানুষদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
    শিশু মিহানের ছবি দেখে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষঞ্জ ডা. অসীম কুমার বলেন, দূর্ঘটনার সময় বাচ্চাটার স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি হয়। ধারণা করছি, স্পাইনাল কর্ডের নিচের অংশ বন্ধ হয়ে আছে বিধায় কোমর থেকে পা পর্যন্ত নিস্তেজ হয়ে আছে। খুলনা, ঢাকাতে এর চিকিৎসা রয়েছে। ভালো চিকিৎসা পেলে বাচ্চাটাকে সুস্থ করা সম্ভব। তবে চিকিৎসা কিছুটা ব্যয়বহুল।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ বলেন, আমাদের মানবিক ফান্ড রয়েছে। সেখান থেকে পরিবারটিকে সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি শিশুটিকে কিভাবে সুস্থ করা যায় সেই বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে (০১৮১৪০৯৫৭৫৪) মিহানের মা মোমেনা খাতুন)।

  • আশাশুনিতে চেঁচুয়া ফাজিল মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ ও অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    আশাশুনিতে চেঁচুয়া ফাজিল মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ ও অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে চেঁচুয়া মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ ও অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা মাদ্রাসা-ই আলিয়ার পদচ্যুত প্রিন্সিপাল আওয়ামী দোসর মাওঃ আঃ রশিদ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে এবং অভিভাবক প্রতিনিধি ও অন্যান্য সদস্যদের অগোচরে ৯ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ফাঁদ পেতে কোটি টাকার বাণিজ্যে নেমেছেন। চেঁচুয়া মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসাটি আনুলিয়া ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত মাদ্রাসার শুভাকাঙ্খি নামধারী ব্যক্তিগন নিয়োগ বানিজ্য সহ নানাবিধ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারনে নিয়মিত কমিটি দ্বারা পরিচালিত না হয়ে এডহক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হতো। মাদ্রাসার কোন প্রিন্সিপাল না থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালিত হত। মাদ্রাসাটিতে ১ম শ্রেনী থেকে ফাজিল পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকলেও কাগজপত্রে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি দেখিয়ে বিভিন্ন উপায়ে সরকারী সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে। প্রকৃত পক্ষে মাদ্রাসায় ১ম শ্রেনী থেকে ফাজিল পর্যন্ত ৭০/৮০ জন শিক্ষার্থীও নিয়মিত নেই। এমতাবস্থায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওঃ ওলিউল্লাহ সকলনা নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে সম্পূর্ন গোপনে ৪২১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি দেখিয়ে চুড়ান্ত ভোটার তালিকানা  তৈরী করেছেন। এলাকার অভিভাবক বা কাউকে  না জানিয়েকে রাতারাতি গোপনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমানকে প্রিজাইডিং অফিসার বানিয়ে কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে মাদ্রাসার নিয়মিত কমিটি তৈরী করেছেন। গত ২১ মে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি করে ০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের নামে ০২ জুন তারিখে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এখন তাদের অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার নামে কোটি টাকার মত নিয়োগ বানিজ্য শুরু করেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি। নতুন কমিটির একজন ২টি মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পলাতক আছে। অন্যান্য ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ নানাবিধ মামলা রয়েছে। আমরা বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমানের কাছে অবৈধ কমিটি গঠন ও নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা সঠিক তথ্য না দিয়ে আমাদের পত্রিকা দেখে নিতে বলেন। আমাদের এলাকার চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ মাওলানা নামধারী আঃ রশীদ ঢাকা মাদ্রাসা-ই আলিয়ার প্রিন্সিপাল ছিলেন। ৫  আগষ্টের পর ঢাকাবাসীর জনরোষে চাকুরীচ্যুত হয়ে তিনি পালিয়ে এসেছেন। সেই দুনিতীবাজকেই মাদ্রাসার সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে একজন ফেরারি আসামী সহ কমিটির অধিকাংশ সদস্য একই পরিবারের ব্যক্তি। তাই অনতিবিলম্বে চেঁচুয়া, মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল পূর্বক অবৈধ অনৈতিক উপায়ে গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হারুন অর রশিদ, মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান, শিক্ষানুরাগী আবু দাউদ সানা, রেজাউল করিম সানা ও আমিরুল ইসলাম।
  • সাতক্ষীরায় পুকুর থেকে নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

    সাতক্ষীরায় পুকুর থেকে নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

    সাতক্ষীরায় একটি পুকুর থেকে তারামান বিবি (৬৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
    মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরের দিকে সাতক্ষীরা সদর ধুলিহর  ইউনিয়নের জেয়ালা গ্রামে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে তাঁর নিজ ছেলে মোঃ  আহাদ আলী।
    নিহত তারামান বিবির পুত্রের ছেলে মোঃ মিলন হোসেন  বলেন, ‘আমার দাদী (তারামান) প্রতিদিন সকালে  পুকুরে কাপড় ধোয়ার জন্য যেতেন।সকালেও তিনি পুকুরে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি। হঠাৎ আব্বু ও আম্মুর চিৎকারে পুকুরের ঘাটে যাই এবং পুকুরের  পাড়ের কাছে থাকা বালতি ও কাপড় দেখতে পাই।হয়ত ঘাট থেকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি’।
    মরদেহটি পাড়ে নিয়ে আসা তার নিজ ছেলে পুত্রবধু আয়েশা বলেন “পুকুরের মধ্যে মনে হয় মা পানিতে ভাসছে। পরে পুকুরে নেমে  আমি ও আমার স্বামী  মরদেহটি পুকুরের পাশে নিয়ে আসি।  পরে গ্রাম্য ডাক্তার গৈয়রপদ ঢালিকে খবর দিয়ে বাসায় আনলে  পরিক্ষা নিরক্ষার মাধ্যমে মৃত্যু ঘোষণা করে”।এরপরে দুপুর ২.৩০ মিনিটে নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজার শেষে পরিবারিক কবর স্থানে দাপন করা হয়।
  • শ্যামনগরে উপকূলীয় নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগরে উপকূলীয় নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ

    সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে নারীদের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সক্রিয় নাগরিকত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে।

    তারই ধারাবাহিকতায় ২৩ ও ২৪ জুন ২০২৫ তারিখ শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প অফিসে দুই দিনব্যাপী উপকূলীয় নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।

    উক্ত প্রশিক্ষণের সভাপতি ও প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলিমা রানী, সহকারি প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুইজন কমিউনিটি অর্গানাইজার ইউরিদা আফরিন ও মেহেরুন ফেরদৌস । আরও উপস্থিত ছিলেন  সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ, প্রশিক্ষণ টিতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্পের নারী দলের মোট ২০ জন সদস্য প্রমূখ।

    প্রশিক্ষণটির উদ্দেশ্য ছিল উপকূলীয় এলাকায় অবহেলিত নারীদের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সমাজ সেবায় অবদান রাখতে পারা।

    প্রশিক্ষণ শেষে যমুনা রানী  বলেন, উক্ত প্রশিক্ষণটি পেয়ে আমার অনেক উপকার হয়েছে। আমি আগে নেতৃত্ব কিভাবে দিতে হয়, নেতৃত্বের প্রকারভেদ আছে এগুলো বুঝতাম না সেগুলো সম্পর্কে এই দুইদিনে আমি জানতে পেরেছি। আশা করি আমিও নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।

    দীপা মিস্ত্রি বলেন, আমি মানব কল্যাণ নামে একটা ফোরাম এর কোষাধ্যক্ষ কিন্তু নেতৃত্ব এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে  এমনকি কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব সম্পর্কেও আমার তেমন জ্ঞান ছিল না। উক্ত প্রশিক্ষণটি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।এই প্রশিক্ষণটি কাজে লাগিয়ে আমার ফোরাম কে আরো উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবো। এ ধরণের সহযোগিতা করার জন্য সিসডিবি-এনগেজ প্রকল্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

  • আশাশুনি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা

    আশাশুনি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে সভায় আশাশুনি আর্মি ক্যাম্পের ইনচার্জ লে. আসেফ হাসান চৌধুরী, থানার এসআই ফিরোজ হোসেন, সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, সিনিঃ মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার, বিএনপি নেতা স ম হেদায়েতুল ইসলাম, মশিউল হুদা তুহিন, জাকির হোসেন বাবু, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর নুরুল আফসার মোর্তজা, ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ, মাওঃ আবু বক্কর, হাজী আবু দাউদ ঢালী, খাজরার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, আশাশুনি সরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মুকুল, আশাশুনি আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল ড. আবুল হাসান, প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় মাদক ও অন লাইন জুয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি, প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে জোরালে প্রতিবাদ জানানো হয়। সাথে সাথে ফ্যাসিস্ট হিসাবে চিহ্নত কেউ কেউ বিভিন্ন অন্যায় কাজে ইন্ধন দিচ্ছে অভিযোগ করে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তাব করা হয়।
  • আশাশুনিতে এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলা এনজিও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, ভেপেনারী সার্জন ডাঃ মাছুম বিল্লাহ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। সভায় এনজিও ফ্রেন্ডশীপ প্রজেক্ট ম্যানেজার জসিম উদ্দীন ও ইএসডিও প্রতিনিধি স্ব স্ব এনজিওর বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন কর্মকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। সিআইডিআরআর প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার জসিম উদ্দিন। তিনি প্রকল্পের সকল কার্যক্রম মাল্টি-মিডিয়ার মাধ্যমে বর্ণনা করেন। প্রেজেন্টেশন শেষে সমাপনী বক্তব্যে ইউএনও মহোদয় বলেন সিআইডিআরআর কোস্টাল প্রকল্পের নির্মাণাধিন পানির প্লান্ট ও ঘূর্ণিঝড় সহনীয় বাড়ি শ্রীউলাতে তিনি পরিদর্শন ও উদ্ধোধন করবেন। সভায় এনজিও বারসিক এর কো-অর্ডিনেটর আসাদুল ইসলাম এনজিও সমন্বয়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
  • প্রতাপনগরে মাদক অস্ত্র ও জুয়া বিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    প্রতাপনগরে মাদক অস্ত্র ও জুয়া বিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    সঙবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার প্রতাপনগরে মাদক অস্ত্র ও জুয়া বিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় প্রতাপনগর সর্বস্তরের জনগনের আয়োজনে স্থানীয় তালতলা বাজারে জনসাধারণের ব্যানারে মাদক, অস্ত্র ও জুয়ার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক স.ম আক্তারুজ্জামান, সমাজসেবক নুরে আলম সিদ্দিকী, সেচ্ছাসেবী সাইদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনের সদস্য মাসুদ রানা।
    এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন, সেচ্ছাসেবী মোস্তাকিম বিল্লাহ, বাজার কমিটির সদস্য আহসানউল্লাহ হাসান, বিএনপির নেতা আতিয়ার রহমান ও আব্দুল খালেক, হাসানুল বান্না, রফিকুজ্জামান প্রমূখ।
    এসময় বক্তারা বলেন, প্রতাপনগর এখন মাদকের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘরে ঘরে জুয়ার আসর বসছে কিন্তু তারা একটি মহলের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এবং প্রতাপনগরে ছাত্রজনতার উপর গুলি চালানো অস্ত্রগুলো এখনও উদ্ধার না হওয়ায় এলকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আছে।
    বক্তারা অবিলম্বে মাদক, জুয়া ও ছাত্র জনতার উপর গুলি চালোনো অস্ত্র উদ্ধার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দাবি জানান।

  • সাতক্ষীরায় আরো ২ জনের করোনা শনাক্ত 

    সাতক্ষীরায় আরো ২ জনের করোনা শনাক্ত 

    সাতক্ষীরার আরো দুই জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কফ পরীক্ষা করে তাদেরকে সনাক্ত করা হয়। তবে তারা কেউ সাতক্ষীরার কোন হাসপাতালে ভর্তি হননি। করোনা আক্রান্তরা হলেন,সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মৃত জগবন্ধু সেন এর ছেলে রামপ্রসাদ সেন(৭৫) ও শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের সামছুর রহমান মোড়লের ছেলে ও জেলা প্রশাসকের সিএ সাদ্দাম হোসেন (৩৩)।

    তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের সুমন সেন জানান, তার ছোট ভাই সমীর সেন কুষ্টিয়া শহরের পুরাতন আলফা মোড়ে পেশাগত কারণে বসবাস করেন। সেখানে সে ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানায় কাজ করে। কয়েকদিন আগে বাবা রামপ্রসাদ সেন  সমীরের বাসায় বেড়াতে যায়। সেখানে তিনি শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনার লক্ষন  দেখা দিলে ওই হাসপাতালের ম্যাশিন চুরি হয়ে যাওয়ায় শনিবার তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কফ এর নমুনা দিয়ে বাবাকে আবারো অ্যাম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়ায় আনা হয়েছে। তাকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের সিএ সাদ্দাম হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে রবিবার সকালে হাসাতালে এলে তার কফ পরীক্ষা করে করোনা পজেটিভ সনাক্ত করা হয়। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন নি।

    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার জানান, গত ১৮ জুন সাতক্ষীরা শহরেরর রাজারবাগানের আজিজুর রহমানের ছেলে মাহাফুজুর রহমান (৬১) করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার তালার রামপ্রসাদ সেন ও রবিবার ডিসি অফিসের সিএ সাদ্দাম হোসেনের করোনা পজেটিভ হলেও  তার ভর্তি না হয়ে নিজ নিজ দায়িত্বে আইসোলশনে আছেন। এই দুজন নিয়ে সাতক্ষীরায় মোট তিন জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।

  • ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯

    ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আবারও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৯ জন রোগী। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা প্রকাশিত হয়েছে ২৩ জুন ২০২৫ তারিখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ১৯টি পজিটিভ আসে। এতে করে সংক্রমণের হার দাঁড়ায় ৪.৬৮ শতাংশ

    মৃত্যু ও শনাক্তের বিস্তারিত:

    • মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী

    • বয়সসীমা ছিল ৬১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে

    • মৃতদের মধ্যে ১ জন ঢাকার বাসিন্দা এবং ২ জন চট্টগ্রামের

  • ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৯২

    ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৯২

    নিজস্ব প্রতিবেদক:
    দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ফের উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের, এবং নতুন করে ৩৯২ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে ২৩ জুন ২০২৫, রবিবার

    সর্বশেষ এ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮,১৫০ জনে। এর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৪ জন—যার মধ্যে পুরুষ ১৭ জন এবং নারী ১৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৪,৮০৮ জন এবং নারী ৩,৩৪১ জন। এছাড়া ডেটা অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।

    ঢাকার বাইরে বাড়ছে আক্রান্তের হার

    গত ২৪ ঘণ্টার ৩৯২ জন নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বাইরে রোগীর সংখ্যা ৩০৬ জন, যা রাজধানীর চেয়ে অনেক বেশি। এ থেকে স্পষ্ট, ডেঙ্গু এখন আর কেবল রাজধানীকেন্দ্রিক নয়, বরং সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ভর্তি হয়েছে ১২৬ জন। অন্যান্য বিভাগেও সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর আরও সক্রিয় হতে হবে। যথাযথভাবে মশক নিধন কর্মসূচি পরিচালনা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব।

  • কালিগঞ্জে র‌্যাব এর অভিযান ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক-৩

    কালিগঞ্জে র‌্যাব এর অভিযান ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক-৩

    র‌্যাব এর বিশেষ অভিযানে ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে সাত টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা সানি মার্কেটের দোতলায় মাদক ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর হোসেনের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফেনসিডিল জব্দ ও তিনজনকের ঘটনা ঘটে।
    আটককৃতরা হলো, কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ গাজীর ছেলে সানি মার্কেটের কেয়ারটেকার আব্দুল গফফার (৬২), ওই মার্কেটের নৈশ প্রহরী একই উপজেলার শীতলপুর গ্রামের রণজিৎ সরকারের ছেলে অমল সরকার (৫৫) ও ব্রজপাটুলি গ্রামের আনছার আলীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর আলম(৩৮)।
    র‌্যাব-৬ খুলনার সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানী কমা-ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, ভারত থেকে অবৈধপথে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নলতার সানি মার্কেটে মজুত করা হয়েছে মর্মে তিনি গোপনে খবর পান। সে অনুযায়ি সোমবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তার নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা নলতার সানি মার্কেটের মাদক ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শার্টার খোলার পর দোকনের মধ্যে রাখা বস্তাভর্তি ৩৯৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এ সময় আটক করা হয় মাদক ব্যবসায়ি জাহাঙ্গীর হোসেন, তার সহযোগী সানি মার্কেটের কেয়ার টেকার আব্দুল গফফার ও নৈশ প্রহরী অমল সরকারকে। তাদের ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ডিএডি হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় মাদক আইনে মামলার করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

  • সাতক্ষীরাতে অ-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল অনুষ্ঠান

    সাতক্ষীরাতে অ-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল অনুষ্ঠান

    বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট এ ২৫ বছরে পদার্পন

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে এবং সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট এ ২৫ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে দিনব্যাপী অ-১২ ক্রিকেট কার্নিভাল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

    অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক ও আহবায়ক, জেলা ক্রীড়া সংস্থা মোস্তাক আহমেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল। অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন সাজেক্রীস এ্যাডহক কমিটির সদস্য জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার প্রাপ্ত ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, মোঃ মুফাচ্ছিনুল ইসলাম তপু, মোঃ জিল্লুর রহমান, জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার শেখ রবিউল ইসলাম শিবলু, ক্রিকেট কোচ মোঃ ফজলুল করিম, নাজমুল হাসনাঈন মিলনসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন ক্রিকেট একাডেমীর কোচ, খেলোয়াড় ও অভিভাবকবৃন্দ। সারাদিনব্যাপী অ-১২ ক্রিকেট খেলোয়াড়দের নিয়ে ক্রিকেট ম্যাচ ও ফান গেমের আয়োজন করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় জলবায়ূ সহনশীল টেকসই কৃষি বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবং যুব কৃষকদের মধ্যে এডভোকেসি

    সাতক্ষীরায় জলবায়ূ সহনশীল টেকসই কৃষি বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবং যুব কৃষকদের মধ্যে এডভোকেসি

    সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নে জলবায়ূ সহনশীল টেকসই কৃষি বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবং যুবদের মধ্যে এডভোকেসি  অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১০ টায় তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এরফরটি প্রকল্পের আওতায় জলবায়ূ সহনশীল টেকসই কৃষি বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এবং যুবদের মধ্যে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম।
     সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের সভাপতি সাকিব হোসেন সঞ্চালনায় এডভোকেসিতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, প্রোগ্রামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য।
    সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ধানদিয়া ইউনিয়ন পান্না লাল বিশ্বাস ও গাওছুল আযম,  উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা,প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ইয়ূথ ফেলো লিপি চৌধুরী,নগরঘাটা ইউনিয়ন মো. আব্দুস সালাম, ইউপি সদস্য ও যুব কৃষকবৃন্দ।বক্তব্য রাখেন ঐক্য যুব সংঘের সভাপতি জোবায়ের হোসেন, কপোতাক্ষ  যুব সংঘের সদস্য ফিরোজা খাতুন, মানিকহার যুব সংঘের সদস্য শিল্পী গাইন ও রুপা সরদার , আশার আলো যুব সংঘের সদস্য অন্তুর দাশ।
    এডভোকেসির উদ্দেশ্য জলবায়ূ বান্ধব টেকসই কৃষি অনুশিলন করার জন্য নিদিষ্ট বাঁধা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান তৈরী করা। যুব-কৃষকদের সাথে কৃষি বিভাগের মধ্যে সংযোগ তৈরী করা। জলবায়ূ বান্ধব টেকসই কৃষির উপর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন ভিত্তিক কৃষিবিদ্যা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার জন্য কৃষি বিভাগকে প্রভাবিত করা। এডভোকেসির আলোচ্যসুচী ছিল স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিতে জলবায়ূ বান্ধব সংকট সমূহ ও যুব কৃষকদের সুনির্দিষ্টভাবে সমস্যা সমূহ তুলে ধরা। জলবায়ু বান্ধব কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ বিষয়ে অবগত করা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে যেসব সেবাসমুহ পরিচালনা করা হয় সে সম্পর্কে যুব কৃষকদের অবগত করা এবং প্রযোজনীয় সাপোর্ট পাওয়ার ব্যাপারে অনুকুল পরিবেশ তৈরিতে অনুপ্রাণিত করা। যুব কৃষকদের চাহিদার আলোকে কৃষি বিভাগের সম্মতি প্রদান করা । জলবায়ূ বান্ধব কৃষি বিষয়ে কৃষি বিভাগ অনেক তৎপর রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে যুব কৃষক তৈরীতে কৃষি বিভাগ কিভাবে ভুমিকা রাখছে, কৃষি অধিদপ্তরের সেবা সমুহ স্থানীয় পর্যায়ে কিভাবে আর ও দৃশ্যমান করা যাবে। জলবায়ূ বান্ধব কৃষি বিষয়ে যুব কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কিনা। কোন সবজি কোন সময়ে চাষ করলে ভাল হয় ও জৈব উপায়ে কিভাবে সবজি চাষ করতে হবে। জৈব সার উৎপাদনের পদ্ধতি কি কি, কিভাবে ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরী করা যায়। স্মাট ও টেকসই কৃষিতে যুব কৃষকরা কিভাবে কাজ করতে পারবে এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতা কিভাবে পাবে। জলবায়ূ বান্ধব কৃষি বিষয়ে জনসাধারনের মধ্যে আর ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কিভাবে কৃষকদের মাঝে আর ও সচেতনতা বাড়ানো যাবে। কৃষি অফিসের সেবা সমুহ সম্পর্কে স্থানীয় পর্যায়ে আর ও কিভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায়! সাতক্ষীরার প্রেক্ষাপটে কিভাবে যুবদের কৃষিতে উৎসাহিত করা যায়। চিহ্নিত সমস্যাগুলোর আলোকে নিরসন করা যায় সে বিষয়ে উপস্থিতি অতিথিবৃন্দরা পরামর্শ ও উদ্যোগী হওয়ার মনোনিবেশ করেন।
    তরূনদের চাহিদা ছিল স্থানীয় পর্যায়ে জলাবদ্ধতা এলাকায় বিকল্প ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ। পরিবেশ বান্ধব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও এগ্রোইকোলজি চর্চা করা এবং যুবদের অর্ন্তভুক্ত করা। লবন সহিঞ্চুতার জন্য ফসল উৎপাদনে  স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা।আধুনিক কৃষির প্রশিক্ষণ ও যুব কৃষক তৈরী করা। স্থানীয় কৃষকদের সবুজ উদ্যোক্তা তৈরী করা এবং সহায়তা প্রদান করা। যুব কৃষক/কৃষকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কৃষি বাস্তুবিদ্যার উপর  ফিংড়ি ও ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নে ৪/৫টি ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং ভবিষ্যৎ তাদের বীজ তহবিল সরবরাহ করবে। তরূণদের এই চাহিদাগুলোর বিষয়ে কৃষি অধিদপ্তর সম্মতি জ্ঞাপন করেন এবং আগামীতে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
  • দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

    দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় দৈনিক সাতনদী ফোরামের উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ আদালত অফিস চত্বরে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশককে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হয়রানিমূলক ভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। সাতনদী দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, অনিয়ম, অপরাধের বিরুদ্ধে শক্ত অস্থান রেখে আসছিল। এতে একটি পক্ষ সাতনদী পত্রিকার উপর নানা সময় ষড়যন্ত্র করে আসছিল। গত ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি মৎস্যঘের এলাকায় অস্ত্র অভিযানে যায় বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। এসময় সেখান থেকে অস্ত্র ও বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়। ওই দিন গনপিটুনিতে কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এঘটনায় দেবহাটা থানায় মামলা হলে ওই মামলায় সাতনদীর সম্পাদক ও প্রকাশক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জড়ানো হয়। মামলায় দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমানের নাম থাকায় সেসময় প্রতিবাদ জানালে তৎকালিন দেবহাটা থানার ওসি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন এই হাবিবুর রহমান সাতনদীর সম্পাদক নন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হলে বিজ্ঞ হাইকোর্টের জামিন নেন হাবিবুর রহমান। পরে সাতক্ষীরা জেলা আদালতে জামিনের আবেদন জানালে জামিন নামঞ্জুর করা হয়। একই সাথে পত্রিকার সম্পাদককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তিনি জেলে থাকা অবস্থায় সাতক্ষীরার আরো ২টি মামলায় অজ্ঞত আসামি করা হয়েছে। একজন সম্পাদকে জেলে রেখে একের পর এক মামলা দেওয়া স্বাধীন দেশের কাম্য নয়। তাই দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমানের অতিদ্রুত সকল মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মানববন্ধনে দৈনিক সাতনদী পত্রিকার কর্মকর্তা, সংবাদদাতা ও দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমানের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • আশাশুনির কাদাকাটিতে কাবিখা প্রকল্পের মাটির কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

    আশাশুনির কাদাকাটিতে কাবিখা প্রকল্পের মাটির কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

    •  খাল খননের মাটি বিছিয়ে রাস্তা নির্মান
    •  পিআইও বলছেন কাজ শেষ হয়নি
    • প্রকল্প সভাপতি বলছেন কাজ শেষ টাকাও পেয়েছি
    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে কাবিখা কর্মসূচির রাস্তা নির্মান কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার লুকোচুরি, প্রকল্পের সভাপতির ভূমিকা ও কাজের পরিণতি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের বিশেষ ব্যবস্থাপনায়, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর সরকার দিপের নেতৃত্বে মহিলা মেম্বার গীতা রানির (প্রকল্প সভাপতি) নামে টেংরাখালী হাই স্কুল থেকে শফিকের মৎস্য ঘের পর্যন্ত রাস্তা নির্মান (মাটির) কাজ শেষ হয়েছে। ৩০০ মিটার (১০ চেইন) রাস্তার কাজে ব্যয় বরাদ্দ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। স্কুল থেকে শ্মশান ঘাট পর্যন্ত রাস্তার প্রস্থ ১২ ফিট, স্লোবসহ ২২ ফিট ও উচ্চতা ৫ ফিট করার কথা থাকলেও সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রস্থ (মাথা) প্রায় ১২ ফিট, স্লোবসহ ১৫ থেকে ১৭ ফিট এবং হাইড করা হয়েছে ৬ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ৩ ফিট করে। তবে বেশীর ভাগ স্থানে দেড়-দুই ফিট করে করা হয়েছে। শ্মশান ঘাট থেকে সফিকের ঘের পর্যন্ত চওড়া (মাথা) ১০ ফিট, স্লোবসহ ২০ ফিট ও হাইড ৫ ফুট করে করার কথা থাকলেও তদস্থলে করা হয়েছে চওড়া (মাথা) ৭-৮ ফিট, স্লোবসহ ১০-১১ ফিট ও হাইড করা হয়েছে ৩-৪ ফিট করে। এছাড়া খাল খনের সময় রাস্তার পরে ও পাশে রাখা মাটি (যা খালের পাড় হিসাবে ড্রেজিং করে পৃথক প্রতিরক্ষা বাঁধ হওয়ার কথা) টেনে নিয়ে রাস্তায় বিছিয়ে দিয়ে রাস্তার কাজ করা হয়েছে।
    এলাকাবাসীর যুগ যুগ ধরে রাস্তা নির্মানের দাবী পুরনে সরকারি বরাদ্দে কাজ শুরু হলে মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু তাদের স্বস্তিকে ধুলিস্মাত করে দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাটের ঘটনা দেখে তাদের চোখ ছানাবড়া হতে বসেছে। তাদের অভিযোগ ও জিজ্ঞাসা, এহেন জলজ্যান্ত দুর্নীতি প্রকাশ্যে করার পরও কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা? এভাবে কাজ শেষ করা হলে সরকারের লক্ষ্য ব্যর্থ হবে এবং খুব দ্রুত রাস্তা পাকাকরনের পরিবর্তে পুনরায় মাটির কাজ করা লাগবে। এলাকার কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান ইউনিয়নের বড় প্রকল্প ইউপি সদস্যদের সভাপতি না করে মহিলা মেম্বারদের সভাপতি করে নিজেই কাজ বাস্তবায়ন করে থাকেন। কোন কোন কাজ আবার মহিলা মেম্বার সভাপতি নামে থাকলেও তার অজ্ঞাতে কাজ করেন চেয়ারম্যান নিজে বলে অভিযোগ রয়েছে।
    প্রকল্পের সভাপতি মহিলা মেম্বার গীতা রানী সাংবাদিকদের জানান, চেয়ারম্যানকে নিয়ে তারা যৌথ ভাবে কাজটি করেছেন। কাজ দেখতে পিআইও সাহেব এসেছিলেন, ২/১ স্থানে সমস্যা থাকায় সেগুলো ঠিক করতে বললে তা ঠিক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাজের সমস্ত টাকার চেক তারা নিয়েছেন। পিআইও বলেছিলেন, বসে আছেন কেন? চেক নিয়ে যান, তখন চেক নিয়ে এসেছি।
    স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মোড়ল ও নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান মহিলা মেম্বারদের নামে বড় বড় প্রকল্প নিয়ে নিজেই কাজ করে থাকেন। কাজ শেষে সভাপতিকে ২/১০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে থাকেন। যাকে সভাপতি করা হোক সেই কাজ করবে কিন্তু কেন অন্যের নামের কাজ তিনি নিজে করেন আমাদের জিজ্ঞাসা।
    এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তিন তিন বারের সভাপতি চেয়ারম্যান দিপঙ্কর সরকার দিপ আওয়ামীলীগের সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে লুটেপুটে খেয়েছেন, এখন নির্দলীয় সরকারের সময়ও মহিলা মেম্বারদের নামে কাজ দেখিয়ে লুটেপুটে খাচ্ছেন। এর কি কোন প্রতিকার হবে না?
    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের সভাপতি মহিলা মেম্বারকে আমি চিনিনা, তার সাথে আমার দেখা হয়নি। কাজ ভাল না হওয়া স্থানে পুনরায় কাজ করিয়ে নেয়া হয়েছে। কাজের চেক এখনো দেওয়া হয়নি বলে তিনি বলেন, বর্ষায় কাদা হয়ে যাওয়ায় সব কাজ আমি দেখতে পারিনি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপের কাছে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
  • আশাশুনির শ্রীউলায় দুর্যোগ মোকাবেলা বিষয়ক মাঠ-মহড়া অনুষ্ঠিত 

    আশাশুনির শ্রীউলায় দুর্যোগ মোকাবেলা বিষয়ক মাঠ-মহড়া অনুষ্ঠিত 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের পুইজ্বালা স্কুল মাঠে দুর্যোগ মোকাবেলা বিষয়ক মাঠ-মহড়া (মগড্রিল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) বিকালে এ মাঠ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরণের বাস্তবায়নে আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নে স্ট্রেইনদেনিং ফোরকাস্ট বেইজড আরলি এ্যাকশনস ইন সাইক্লোন প্রোন কোস্টাল রিজিওন ইন বাংলাদেশ (স্টেপ প্রোজেক্ট) প্রকল্প এসিএফ এর সহযোগিতায় এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগের আগাম সাড়াদানের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে দুর্যোগের আগাম সাড়াদান বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ-মহড়া (মগড্রিল) এর মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণসহ সকলকে দুর্যোগে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের বার্তা প্রেরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীউলা ইউপির ইউপি সদস্য আখতার হোসেন, মোঃ আঃ রাজ্জাক, মহিলা সদস্য শাহানাজ পারভীন উত্তরণ স্টেপ প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার পার্থ কুমার দে, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর খান মোঃ আল আমিন প্রমুখ।
  • আশাশুনিতে আইডিয়ালের  প্রতিবন্ধীতা সনাক্তকরন এবং প্রাথমিক হস্তক্ষেপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে আইডিয়ালের  প্রতিবন্ধীতা সনাক্তকরন এবং প্রাথমিক হস্তক্ষেপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

     আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইডিয়াল এর উদ্দ্যেগে প্রতিবন্ধীর প্রাথমিক সনাক্তকরন এবং প্রাথমিক হস্তক্ষেপ এর উপর প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টায় বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে  এ প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত হয়। লিলিয়ান ফন্ডস্ নেদারল্যান্ডস এর অর্থায়নে, সেন্টার ফর ডিসএ্যাবল ইন ডেভেলপমেন্ট (সিডিডি) এর সহযোগীতায় এবং আইডিয়াল এর বাস্তবায়নে সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্রসাসনিক কর্মকর্তা অরবিন্দু কুমার সরকার। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত  ছিলেন ও উদ্বোধন করেন ইউপি সদস্য  শীর্ষ মোহাম্মদ জেরী। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধী শিশু ও যুবগনের অভিভাবক বৃন্দ। প্রশিক্ষণ প্রশিক্ষক হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন প্রকল্পের ফিল্ড ট্রেইনার সিবিআর অফিসার করবী স্বর্ণকার। আইডিয়ালের প্রজেক্ট কো-অডিনেটর  ফারজানা মুস্তাহিদ, সিবিআর অফিসার। (ম্যাপইন সিবিআর) প্রকল্পের ফিল্ড ট্রেনিং অফিসার আফতাবুজ্জামান এর সঞ্চালনায়। প্রশিক্ষণে প্রতিবন্ধী কি প্রতিবন্ধীর প্রকারভেদ, কেন শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে, প্রাথমিক  কি ভাবে প্রতিবন্ধী সনাক্ত করবো, এসকল বিষয় গুলো প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে উপস্থিতি সকলের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সু-স্পষ্ট ধারনা প্রদান করেন।
  • আশাশুনিতে ৭ম শ্রেণির ছাত্র ৫ দিন নিখোঁজ

    আশাশুনিতে ৭ম শ্রেণির ছাত্র ৫ দিন নিখোঁজ

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে নাইম হোসেন নামে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নিখোঁজ হয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান মেলেনি।
    খাজরা ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মকবুল হোসেন গাজীর ছেলে নাইম হোসেন (১৩) খাজরা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে গত ১৯ জুন বিকাল ৫.৩০ টার দিকে বাড়ি থেকে খাজরা বাজারে রওয়ানা হয়। ঐদিন রাত ৮ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে না পেয়ে বাড়ির লোকজন আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিলেও কোন হদিছ পাওয়া যায়নি। গায়ের রঙ ফর্সা, লম্বাটে এবং জিন্সের প্যান্ট ও কাল রঙের গোলগলা গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় নিখোঁজ হওয়া নাইম সাতক্ষীরার আঞ্চিলক ভাষায় কথা বলে থাকে। এব্যাপারে তার পিতা আশাশুনি থানায় গত ২৩ জুন একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। জিডি নং ৯৮৪। তার কোন খোঁজ পেলে তার পিতার ০১৭৫৮৭৪২৩৯১ নং মোবাইলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।