Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 98 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • সাতক্ষীরায় আবৃত্তি ও উচ্চারণ কর্মশালায় পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান

    সাতক্ষীরায় আবৃত্তি ও উচ্চারণ কর্মশালায় পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান


    বিশেষ প্রতিনিধি: শিল্পকলা’র যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম আছে তার মধ্যে আবৃত্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাল আবৃত্তির জন্য জরুরী হলো ভাল উচ্চারণ। আর তা যদি শুরু হয় শৈশব কৈশোর থেকে তাহলে আবৃত্তি ভিত্তি হয় মজবুত। আর এটি জরুরী হচ্ছে ছোটবেলা থেকে পারিবারিক পরিমন্ডলে শুদ্ধ পরিচর্যা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া আবৃত্তি ও উচ্চারণের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন এ শিল্প সংস্কৃতির উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সবসময় পাশে থাকবে। মানবতার কল্যানকর সব কাজে পুলিশ প্রশাসন সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়াবে।
    সাতক্ষীরার সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রাণকেন্দ্র আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আকাশবাণী ও ডিডি মেট্রো’র জনপ্রিয় সঞ্চালক ও আবৃত্তিকার পৌলমী ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণকেন্দ্র’র সংগঠক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র সদস্য সচিব মোসফিকুর রহমান মিল্টন, দেবহাটা’র সদস্য সচিব ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন।
    অনুষ্ঠানে প্রাণকেন্দ্রে’র পক্ষ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আকাশবাণী ও ডিডি মেট্রো’র জনপ্রিয় সঞ্চালক ও আবৃত্তিকার পৌলমী ভট্টাচার্যকে সম্পাননা স্মারক প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এ সম্মাননা স্মারক প্রশিক্ষকের হাতে তুলে দেন। উদ্বোধনের পর আবৃত্তিকার পৌলমী ভট্টাচার্য একঘন্টা’র আবৃত্তি পরিবশেন করে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ৩২জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষনার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করে।

  • বিজয় দিবসে কম্বল বিতারণ

    বিজয় দিবসে কম্বল বিতারণ


    স্টাফ রিপোর্ট: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দৈনিক মানব কন্ঠের জেলা অফিস ও গাজী নিউজ ২৪ অনলাইনের পক্ষথেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিকালে শহরের জর্জকোর্ট সংলগ্ন গাজী নিউজ ২৪ অনলাইন এর কার্যালয়ে শতাধিক অসহায় শীতার্ত মানুষে মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এসয় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক মানব কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি অসিম চক্রবতি, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) ইন্সপেক্টর হারান চন্দ্র পাল, গাজী নিউজ ২৪ অনলাইন এর সম্পাদক সাহাজান গাজী ও জেলা বস্তহারা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা জেলা ১৪দলের এক জরুরি সভা : মৌলবাদ-সম্প্রদায়িকতা, জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও তাদের সহযোগিদের প্রতিরোধ করতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান

    সাতক্ষীরা জেলা ১৪দলের এক জরুরি সভা : মৌলবাদ-সম্প্রদায়িকতা, জঙ্গী, সন্ত্রাসবাদ ও তাদের সহযোগিদের প্রতিরোধ করতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী পরিচালনা কার্যালয়ে সাতক্ষীরা জেলা ১৪দলের এক জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি ও জেলা ১৪দলের আহবায়ক মুনসুর আহমেদ। ১৪ দল সাতক্ষীরা জেলার সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি’র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জাসদ, সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, জাসদ কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা কমিটির সদস্য স্বপন কুমার শীল, জাসদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ফিরোজ আহমেদ, মোঃ শহীদুল ইসলাম, মীর মোশাররফ হোসেন মন্টু, জাসদ নেতা আমির হোসেন খান চৌধুরী প্রমুখ।
    সভায় সাতক্ষীরা জেলা ১৪ দলের নির্বাচন পরিচালনার জন্য পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক মুনসুর আহমেদ, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, কাজী রিয়াজ, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, স্বপন কুমার শীল, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, কমরেড তরিকুল ইসলাম।
    সভায় আজ ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া প্রত্যেকটি উপজেলায় ১৪দলের কমিটি ও নির্বাচনী জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    সভায় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদানের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে সকলকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

  • ঝাউডাঙ্গায় নির্বাচনী জনসভায় এমপি রবি

    ঝাউডাঙ্গায় নির্বাচনী জনসভায় এমপি রবি


    নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নৌকা প্রতিকের বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বিসশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি বলেন, ’৭০ সালের মতো দেশে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য উন্নয়নের রুপকার গণমানুষের প্রাণের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেছেন- দেশে উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আপনারা নৌকায় ভোট দিন। আমি আপনাদের উন্নয়ন উপহার দেব। এবারের নির্বাচনে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। উন্নয়নের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় মানেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিজয়, জনগণের বিজয়। দেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে বলেই নৌকার জোয়ার বইছে।’ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান, এমপি পুত্র মীর তানজীর আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা প্রমুখ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র মো. আব্দুস সেলিম, পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, কাজী ফিরোজ হাসান, শেখ আব্দুস সেলিম, শেখ শাফিক উদ দৌলা সাগর, শাহিনুর রহমান শাহিন, মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, সদস্য মীর মহিতুল আলম, জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা সুলেখা দাস, রোখসানা পারভীন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি শাওন, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সাবেক সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী, কাজী মারুফ আহমেদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক হাসানুজ্জামান রানা। এসময় আওয়ামীলীগের অংগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রচার-প্রচারনায় এগিয়ে আওয়ামীলীগ, প্রচারে বাধা জাতীয় পাটি ও বিকল্পধারা ।


    নিজস্ব প্রতিবেদন : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে ২০ দলীয় জোটের দুই ও চার আসনের প্রাথী মুয়াদ্দেজ আব্দুল খালেক ও গাজী নজরুল রয়েছে কারাগারে। এক আসনের প্রাথী হাবিবুল ইসলাম হাবিব হামলা মামলার স্বীকার হয়ে চাপে পড়েছেন। আর ৩ আসনের প্রাথী ডা, শহিদুল আলম চলছেন বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে। অপার দিকে ফুড়ফুড়ে মেজাযে প্রচার-প্রচারনায় তুঙ্গে আওয়ামীলীগ। চারটি আসনেই আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা ইতিমধ্যে মান- অভিমান ভুলে এক সাথে মাঠে নেমেছেন। সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে গনসংযোগ, পথসভা আর মাইকিং। তাদের পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর, গ্রাম, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট । আর মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পাটি ও বিকল্পধারা মাঠে টিকে থাকতে হিমসিম খাচ্ছেন । ইতি মধ্যে অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তাদের প্রচার মাইক ভাংচুর করেছে, ব্যানার পোষ্টার ছিড়ে দিচ্ছে । মারপিট করেছে তাদের নেতা কর্মীদের । যার ফলে মাঠে টিকে আছে লড়াই করে।
    সাতক্ষীরা-(তালা-কলারোয়া)১ আসনে নৌকার প্রতীকের প্রাথী ওয়ার্কাস পাটির কেন্দ্রীয় নেতা এড মোস্তফা লৎফুল্লাহ, জাতীয় পাটির সৈয়দ দিদার বখত, ও বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। নৌকা প্রতীক নিয়ে এড মোস্তফা লৎফুল্লাহ জোরে সোরে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে । সর্বত্র রয়েছে তাদের ব্যানার পোষ্টার । ঠিকঠাক মত চলছে মাইকিং, গনসংযোগ আর পথ সভা। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সৈয়দ দিদার বখত প্রচার-প্রচারনা করতে হিমসিম খাচ্ছেন। ব্যানার পোষ্টার ছিড়ে দিচ্ছে, প্রচার মাইক ভাংচুর করছে। তবে মাঠে দখলে নিতে চেষ্টা করছেন তারা। অপার দিকে কলারোয়ায় ধানের নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।এই ঘটনায় ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪৬ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মুনসুর আলি । এ মামলায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পর নির্বাচনী মাঠে কিছুটা চুপসে যায় ২০ দলীয় জোটের কমী সামর্থকরা ।
    সাতক্ষীরা-(সদর)২ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। দলের নেতা কর্মীরা ্ঐক্য বদ্ধভাবে কাজ করছে তার জন্য। সারা সাতক্ষীরা জুড়ে আছে ব্যানার পোষ্টার। করছে গনসংযোগও পথসভা । ছুটছেন একপ্রান্ত থেকে অপার প্রান্ত পর্যন্ত । এই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন প্রেসক্লাবে এসে বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং করা হচ্ছে, বের করা হচ্ছে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। এই আসনের ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী মুয়াদ্দেজ আব্দুল খালেক নাশকতা মামলায় রয়েছেন কারাগারে। সব মামলায় জামিন হলেও একেরপর মামলা দিয়ে তাকে জেল থেকে বের হতে দিচ্ছেনা বলে তার স্ত্রী রিজিয়া খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেছেন । তবে প্রথম দিকে এই আসনে কিছু ধানের শীষের পোষ্টারও ছিল ।
    সাতক্ষীরা-(আশাশুনি -দেবহাটা )৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক। অপার দিকে বিএনপির ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন ডা. শহিদুল আলম। নৌকার প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে আছেন।

  • সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত

    সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ নানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় মহান বিজয় দিবস উৎযাপিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভ সূচনা হয়।
    এরপর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সোয়া ৮ টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। পরে পুলিশ, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর প্রর্দশনী এবং রক্তদান কর্মসচী অনুষ্ঠিত হয়।
    এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, পৌরদিঘীতে হাঁসধরা প্রতিযোগিতাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
    এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিন, জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎমিস, জেলা আওয়ামী লীগৈর সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়

  • যুদ্ধাপরাধী বাকী-রোকন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে

    যুদ্ধাপরাধী বাকী-রোকন আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে


    আমির হোসেন খান চেীধুরী: মহান বিজয়ের ৪৮তম বার্ষিকী আজ। সাতক্ষীরার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী বাকী, কসাই রোকন ও বর্বর টিক্কা তথা জহুরুল’র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অকাট্য প্রমাণ ১৯৭১ সালের ১৭ অগাস্ট দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার পর ১৯ অগাস্ট সাতক্ষীরা শহরের ডায়মন্ড/স্টার হোটেল বর্তমানে মেহেদি সুপার মার্কেট)’র পিছনে তোলা আটককৃত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উপর নির্মম নির্যাতন করা রাজাকারদের একটি ছবি। প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা যায় আটককৃত ৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাতক্ষীরা শহরে এনে ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট ডায়মন্ড/স্টার হোটেল’র পিছনে রান্নাঘরের সামনে পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা নিজেরা অস্ত্রসহ উদ্ধত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক ও দুর্লভ এই ছবিটি যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মামলায় দালিলিক প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল খালেক মণ্ডল, বুলারটি গ্রামের এম আবদুল্লাহ হিল বাকি, পলাতক দুই আসামি একই উপজেলার দক্ষিণ পলাশপোল গ্রামের খান রোকনুজ্জামান ও বৈকারীর জহিরুল ইসলাম ওরফে টেক্কা খানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে আছে।
    আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ছয়জনকে হত্যা, দুজনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
    অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনী গঠন করে এর নেতৃত্ব দেন খালেক মণ্ডল। এরপর অন্য আসামিদের নিয়ে তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর মহকুমা এলাকায় এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জন সাক্ষী রয়েছেন।
    ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে দৈনিক দক্ষিণের মশালে এসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় সাতক্ষীরাবাসী তথা সাতক্ষীরার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষগুলোকে এই ঘৃণ্য খুনী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আন্দোলনকে বেগবান করতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হলোÑ
    মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের অন্য সকল অঞ্চলের মত সাতক্ষীরাতেও ছিল স্বাধীনতার পক্ষে প্রাণ উৎসর্গ করতে ঝাপিয়ে পড়া এক ঝাঁক তরুণ। আবার এখানকার মাটি ও পথের সাথে অপরিচিত পাকিস্তানি বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা করতেও গড়ে ওঠে দালালদের সমন্বয়ে রাজাকার-আলবদর-আলশামস-শান্তি বাহিনী।
    এই ছবির ইতিহাস জানতে আমরা কথা বলি সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের একজনের সাথে, যাদের দলের ২ জনকে বুধহাটায় হত্যা করে বাকি ৫ জনকে রাজাকাররা আটক করে সাতক্ষীরায় এনে এই ছবিটি তুলেছিল। এই ছবিতে থাকা (নিচে বসা বাম দিক থেকে প্রথম) ইমাম বারী সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার সন্তান। ১৯৭১ সালে যশোরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া অবস্থায় যুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ছিলেন যুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ নৌ-কমান্ডের প্রথম ব্যাচের যোদ্ধা। দীর্ঘ ৩ মাসের ট্রেনিং শেষে তাদেরকে ৪টি গ্রুপে ভাগ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য সাফল্য ‘অপারেশন জ্যাকপট’র জন্য পাঠানো হয়। মংলায় ৮টি জাহাজ বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার পর ইমাম বারী ও তার দল ফিরছিলেন সাতক্ষীরার দিকে। পথিমধ্যে ১৭ অগাস্ট ১৯৭১ ভোর রাতে বুধহাটা বেতনা নদীতে তাদের নৌকা ঘিরে ফেলে আলিপুরের কুখ্যাত রাজাকার বাকীর নেতৃত্বাধীন বাহিনী। নদীর দুই পাড় দিয়ে ক্রমান্বয়ে রাজাকাররা গুলি করতে থাকলে এক পর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের। ফলে তাদেরকে আটকাতে সমর্থ হয় রাজাকাররা। এরপর কী হয়েছিল শোনা যাক মুক্তিযোদ্ধা ইমাম বারীর মুখ থেকেই:
    “প্রথমেই বাকী রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নৌকায় উঠেই কোন কথা বলার আগেই তার নিকট থাকা থ্রি নট থ্রি রাইফেল তাক করে ৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে সুঠামদেহী মুক্তিযোদ্ধা যশোরের আফতাফকে সরাসরি বুকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ আফতাফ গগণবিদারি চিৎকার করতে করতে নদীতে পড়ে ভেসে গেল। শহিদ আফতাফের লাশ আর পাওয়া যায়নি। এরপর আমাদের ৬ জনকে বাকীর দল চোখ বেঁধে নদীর পাড়ে একটি একতলা বাড়িতে আটকে রাখে। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাদের উপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চলতে থাকে। এরপর পলাশপোলের রোকনুজ্জামান খান এসে আমাদের দলের সিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সিরাজ কাটিয়ার ছেলে, আমার সাথেই যশোর পলিটেকিনিকের ছাত্র ছিল, রোকন তাকে জিজ্ঞাসা করল বাড়ি কোথায়। সিরাজ মনে করল তাকে তো হত্যা করবেই সুতরাং ভুল ঠিকানা বললে তার পরিবারের সদস্যদের হয়ত আর খুঁজে পাবে না। অত্যাচারও করতে পারবে না। সিরাজ তার বাড়ি সুলতানপুর বলে জানালো। কিন্তু রোকন খান শহরের ছেলে হওয়ায় তার প্রকৃত ঠিকানা জানত। ভুল ঠিকানা বলায় সিরাজকে টানতে টানতে বাইরে নিয়ে গিয়ে বেড়িবাঁধের উপর দাঁড় করিয়ে রাইফেল তুলে বুকে গুলি করল রোকন খান। তৎক্ষণাৎ শহিদ হন আমার সাথী সিরাজ।
    এরপর রোকন একটি লাঠি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি মেরে বলল তুইও আছিস এই দলে, আগে জানলেতো তোকেই মেরে ফেলতাম। প্রসঙ্গত: রোকন আমার সহপাঠি ছিল। এরপর কীভাবে যেন সাতক্ষীরায় পাকিস্তানি মিলিটারির কাছে খবর যায় আমাদের আটক হওয়ার। ফলে আমাদেরকে একটি হলুদ গাড়িতে করে সাতক্ষীরা ডায়মন্ড হোটেলের টর্চার সেলে এনে আটকে রাখা হয়। পথিমধ্যে ধূলিহর থেকেও কয়েকজনকে তুলে আনা হয়। ডায়মন্ড (স্টার হোটেলও বলা হত) হোটেলে আমাদেরকে পিলারের সাথে বেঁধে রাখা হয়। অনেককে ঘরে ঝুলানো হুকের সাথে ঝুলিয়েও নির্যাতন করা হত। এই হোটেলের অনেকগুলো রুমে অসংখ্য যুবতী মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছিল। যাদেরকে নিয়মিত ধর্ষণ করত পাকিস্তানি সৈন্য ও রাজাকাররা। আমাদেরকে আনার ২ দিন পর ১৯ অগাস্ট হোটেলের পিছনে নিজেদের পায়ের কাছে বসিয়ে রাজাকাররা ছবিটি তোলে। রাজাকাররা এলিট স্টুডিওর হামিদ ভাইকে ডেকে এনে ছবিটি তোলায়। ছবিটি আজ এক প্রামাণ্য দলিল।”
    তিনি যোগ করেন, “আমাদেরকে আটকে রাখাকালীন একদিন খালেক ম-ল ও টিক্কা(জহুরুল) এসে কয়েকজন আটককৃত মুক্তিযোদ্ধাকে তুলে নিয়ে যায়। অন্য রাজাকাররা আমাদের জানায় তাদেরকে বিনেরপোতায় হত্যা করা হবে। এরপর একদিন আমাদেরকে যশোরে পাকিস্তানি বাহিনীর আস্তানায় পাঠানো হয়। যশোরের শংকরপুর যেখানে বর্তমানে বাসস্ট্যান্ড সেখানে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে একদিন ভোর বেলা যখন সৈনিকেরা প্যারেড করছিল তখন আমরা পালিয়ে আসি এবং পুনরায় যুদ্ধে যোগ দিই। সে আরেক ইতিহাস।”
    আজ মহান বিজয় দিবসের ৪৮তম এই বার্ষিকীতে দ্রুত বিচারিক কাজ শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন সাতক্ষীরায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলে।

  • চারটি সংসদীয় আসনের ২১ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ

    চারটি সংসদীয় আসনের ২১ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের ২১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রার্থীদের হাতে এ প্রতিক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল।
    জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, সাতক্ষীরা-১ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের হাতে ধানের শীষ, ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহর হাতে নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখতের হাতে লাঙ্গল, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী এ.এফ.এম আসাদুল হকের হাতে হাতপাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) প্রার্থী আব্দুর রশিদের হাতে আম ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. আজিজুর রহমানকে কাস্তে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    সাতক্ষীরা-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে নৌকা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেককে ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির শেখ মাতলুব হোসেন লিয়নকে লাঙ্গল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নিত্যানন্দ সরকারকে মই, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী রবিউল ইসলামকে হাত পাখা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. জুলফিকার রহমানকে আম প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

    সাতক্ষীরা-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রার্থী ডাঃ মো. শহিদুল আলমকে ধানের শীষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডা. আ ফ ম রুহুল হককে নৌকা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. ইসহাক আলী সরদারকে হাত পাখা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

    সাতক্ষীরা-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) গাজী নজরুল ইসলামকে ধানের শীষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এসএম জগলুল হায়দারকে নৌকা, জাতীয় পার্টি মো. আব্দুস সাত্তার মোড়লকে লাঙ্গল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের এইচএম গোলাম রেজাকে কুলা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল করিমকে হাত পাখা ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল-পিডিপির মো. রবিউল ইসলাম জোয়াদ্দারকে বাঘ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

  • পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক প্রকল্প অবহিতকরণ সভা :   পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে

    পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বিষয়ক প্রকল্প অবহিতকরণ সভা : পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে


    নিজস্ব প্রতিনিধি: নারী, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নত জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সাতক্ষীরা পৌরসভায় ‘পানি স্যানিটেশন এবং হাইজিন বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্প অবহিতকরণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা অডিটোরিয়ামে নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থার সিমাভীর আর্থিক সহযোগিতায় এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্যানিটেশন এ্যাক্সেস, ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি এবং নিরাপদ পানীয় জল ব্যবহার করতে পারবে। প্রকল্পটি চলবে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পানি স্যানিটেশন ও হাইজিন উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে ব্যবসায় সম্পৃক্ত করার প্রত্যয়ে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সভায় পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, ‘ সাতক্ষীরা পৌরসভায় এখন কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে কেএফডব্লিউ’র প্রকল্পের কাজ শুরু হলে মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হবে। প্রকল্পটি সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারলে আরো অনেক প্রকল্প পাওয়া যাবে। এতে পৌর এলাকার মানুষের সুদিন ফিরে আসবে। আইলা, সিডর পরবর্তী সময়ে জীবিকার খোঁজে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ শহরে আসছে। ফলে শহরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার ঘাটতি বাড়ছে। স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে সরকার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থায় গুরুত্ব দিয়ে আসছে। পৌরসভাগুলোতে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। পৌর এলাকায় ৫০ হাজার জনগণ বেড়েছে। প্রত্যেক নাগরিককে আমরা পৌরসেবা নিশ্চিত করতে না পারলেও চেষ্টা করে যাচ্ছি। সাতক্ষীরা পৌরসভা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হওয়ায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন কাজ করতে পারছি না। পৌর এলাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি, আমরা আশা করছি আগামী ৬ মাসের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠান বা সাধারণ নাগরিকরা যাতে সহজে পৌরসভার সকল ধরনের নাগরিক সেবা গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া পৌরসভার উদ্যোগে শিক্ষিত বেকার নারীদের জন্য ইজিবাইক প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।’ বক্তব্য রাখেন আশা ইন্টারন্যাশনাল’র এইচপি এন্ড সিওও মো. এনামুল হক, ওয়াশ এ্যালাইন্স ইন্টারন্যাশনাল’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক কুমার মজুমদার, টিসি এইচপি মৃনাল কুমার সরকার, এইচ পি’র ইডি মো. মাহিউল কাদির প্রমুখ। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য প্রফেসর মো. আব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক আনিছুর রহিম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, মজনুর রহমান মালী, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী ম-ল, টিআইবি’র সাতক্ষীরা এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ, জেলা মহিলা পরিষদের সম্পাদিকা জ্যোৎ¯œা দত্ত, কিশোরী ন্যাপকিন’র ট্রেইনার রাবেয়া খাতুন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন এনটিভি’র জেলা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, জ্যোৎ¯œা আরা, শফিকুল আলম বাবু, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. আব্দুর রহমান প্রমুখ।

  • নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত

    নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে । দিবসটি উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
    এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোাশরফ হোসেন মশু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সাতক্ষীরাস্থ উপ-সচিব শাহ আব্দুল সাদী প্রমুখ। এর আগে শহীদ আব্দুর রাজ্জাকের কবর জিয়ারত ও পুস্প মাল্য অর্পন এবং জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বাহী লাঠিখেলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি প্রদর্শন করা হয়।

  • ৭ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভায়


    আব্দর রহিম: ৭ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে ঘন্টা ব্যাপি মুক্তিযোদ্ধাদের লাঠি খেলা প্রদর্শণ করে। পরে শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোশরফ হোসেন মশু, সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, তালা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মফিজুর রহমান, আশাশুনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুল হান্নান, শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আবু রায়হান তিতু, সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি। উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, হাসনে জাহিদ জজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক এস এম গোলাম ফারুক, রেজাউল ইসলাম রিয়াজ, সদস্য আব্দুর রহিম, বাবলুর রহমান বাবু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মেহেদীআলী সুজয়, সদস্য কাজি ফখরুল ইসলাম রিপনসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। আমি গর্বিত যে, আমি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জেলা প্রশাসক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া কোন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কেউ প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দ্বারা হয়রানি হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ সকলকে মনে রাখতে হবে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখে দেশ মাতৃকাকে রক্ষা করেছিল। তাদের এ ত্যাগ কখনও ভোলার নয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আরিফ আদনান ও আসফিয়া সিরাত। ৭ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

  • ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা –এমপি রবি

    ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা –এমপি রবি


    মাহফিজুল ইসলাম আককাজ ঃ আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদরের আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি’র সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উন্নয়নের চিত্র নিজ নিজ এলাকার সাধারণ ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন। অবশ্যই আবারও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। শুধু প্রয়োজন সকল নেতৃবৃন্দের ঐক্য ও সমন্বয়। দেশে প্রচুর পরিমানে উন্নয়ন হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী আওয়ামীলীগকে কেউ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হারাতে পারবেনা।’
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি প্রমুখ।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. শামছুর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বি, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, গোপাল চন্দ্র ঘোষাল, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, যুবলীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, মাস্টার কামাল হোসেন প্রমুখ। এসময় আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠঅন পরিচালনা করেন আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাপস আচার্য্য।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন


    সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম
    রেজার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।।
    সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডলর কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহিদ স.ম আলাউদ্দীন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পড়ে শোনান মুক্তিযোদ্ধা মো. নুর উদ্দিন।
    তিনি বলেন, গত ৩ডিসেম্বর শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সম্মেলন কক্ষে সাবেক কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের তার সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। ব্যক্তি স্বার্থে প্রভাবিত হয়ে কতিপয় নামধারী মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা সে বিষয়ে অবগত নই। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেকের নাম দিয়ে লিখিত ভাবে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। আব্দুল বারেক ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ ২০১০ সালে আইলায় ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহ নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের যে তালিকা করা হয়েছিল সেখানে ভিন্ন উপজেলার ৭’শ পরিবার এবং ১৩ জন মৃত ব্যক্তির নাম ছিল। সঠিক তালিকা তৈরী করে টাকা দেয়ার জন্য উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হয়েছিল। পরে আদালতের নির্দেশে সঠিক তালিকা তৈরী করে স্ব স্ব নামে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়।
    তারা আরো বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। কাজেই আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। দেশ ও জাতীর স্বর্থে নেত্রী মহাজোট যাকেই মনোনয়ন দিবেন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে তাকেই সমর্থন জানাবো।
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক গাজী,বরকতুল্লা, শেখ হারুন অর রশিদ, আব্দুল লতিফ, মোঃ ছুন্নত আলী মল্লিক ও মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমূখ।

  • ঐক্যবদ্ধভাবে বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে

    ঐক্যবদ্ধভাবে বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে


    নিজস্ব রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের পুরাতন আইনজীবী ভবনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন, ‘সকল নেতাই সদরে নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবিকে বিজয়ী করার ঐক্যমত প্রকাশ করেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে জামাত-বিএনপির দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য সকল নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং বিপুল ভোটে নৌকার মাঝিকে বিজয়ী করতে হবে।’
    বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদার, মফজুলার রহমান খোকন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য ডা. মুনছুর আহমেদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎ¯œা আরা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান অসলে, আব্দুল কাদের, মো. ফারুক আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চন্দ্র মন্ডল, সরদার নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নির্বাহী সদস্য ও লাবসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম প্রমুখ।
    অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা. মহিউর রহমান (ময়ুর ডাক্তার), ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, লাবসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শাহনওয়াজ, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. কাওছার আলী, বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন, ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাবু সানা), ব্রক্ষèরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মগরেব আলী, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম গাজী প্রমুখ।
    জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলী।

  • ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই

    ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ইভিএম পদ্ধতিতে কারও ভোট বাতিল হবার সুযোগ নেই। ভোটারের ভোটটি তার কাংখিত প্রার্থীর অনকূলে গেছে কিনা তাও তিনি নিশ্চিত হতে পারবেন বুথের মধ্যেই। আর ভোট শেষে খুব অল্প সময়েই গননা শেষ হবে। ফলাফল পেতেও কোনো বেগ পেতে হবে না।
    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম প্রদর্শন ও কারিগরি ধারনা প্রদান বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এস.এম মোস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
    এ সময় তিনি বলেন, কোনো সংশয় সন্দেহ কিংবা অনিশ্চয়তা নেই, ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট দেবেন । এ জন্য ভোট কেন্দ্রে যেমন কোনো ব্যালট বাক্স লাগবে না তেমনি ব্যলট পেপারও লাগছে না। সাধারন ভোটারদের এ বিষয়ে অবহিত করতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় প্রাকটিক্যাল প্রচারনা চালানো হবে।
    এ সময় ইভিএম মেশিন নিয়ে তার প্রয়োগ ও ভোটদান পদ্ধতি তুলে ধরে প্রশিক্ষন দেন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট সাইফদুর রহমান শাহাবুদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের নুরজ্জামান শাওন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদসহ সাংবাদিকরা।
    বাংলাদেশের কোনো জেলা শহর সাতক্ষীরার সদর আসনে এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন করা হচ্ছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এতে আপনার আমার ভোটের সুরক্ষা হবে। শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। দ্রুত সময়ে ভোট গ্রহন ও গননা সম্ভব হবে জানিয়ে তিনি বলেন যেহেতু ইভিএম মেশিনে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ থাকছে না সেজন্য হ্যাকিং হবার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি বিদ্যুত না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই, কারণ ইভিএম চলবে ব্যাটারির শক্তিতে। ভোটার বাটনে চাপ দিলেই দেখতে পাবেন তার কাংখিত প্রার্থীর নাম ও প্রতীক। এরপরই তিনি নিচের সবুজ বাটনে চাপ দিলে নিশ্চিত হবেন যে তার ভোট যথাস্থানে পড়েছে। জেলা প্রশাসক এ সময় এ বিষয়ে সকলকে অবহতি করার আহবান জানান।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠার আট বছর পূর্তি

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠার আট বছর পূর্তি


    সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনন্দঘন পরিবেশে রং বেরংয়ের বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে উদযাপিত হলো সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার আট বছর পূর্তি ও নবম বছরে পদার্পন দিবস। শনিবার শিশু কিশোরদের কলকাকলিতে উৎসবমূখর হয়ে ওঠা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন অতিথিবর্গ, অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা পরিষদের সদস্যগন।
    মধ্য অগ্রহায়নের মৃদু শীতের আবহে মিষ্টি রোদের মধ্যে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকরা সাইকেল র‌্যালি বের করে জন্মদিনের ভালবাসা ছড়িয়ে দেয়। শহরের আমতলা স্কুল প্রাঙ্গন থেকে মুন্সিপাড়া ঘুরে সুলতানপুর হয়ে সদর থানা মোড় পেরিয়ে ফিরতে থাকা সাইকেল র‌্যালিতে অংশ নেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পেঁৗঁছাতেই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে বিদ্যালয় মঞ্চে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. কামরুল ইসলাম ও খ্যাতনামা গ্রাফিক্স শিল্পী নুরুজ্জামান ফিরোজ সাইকেল র‌্যালির উদ্বোধন করেন।
    নৃত্যগীতির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতেই কেক কেটে অতিথিরা জন্ম দিনের আনন্দ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এ সময় পুস্প বেলুনে নতুন করে শোভিত হয়ে ওঠে সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গন।
    স্কুলের পরিচালক আলাউদ্দিন ফারুকি প্রিন্স তার সূচনা বক্তব্যে অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কৃতিত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন আমরা শিশু কিশোরদের মানুষ হিসাবে গড়ে তোলার কারিগরের দায়িত্ব পালন করছি।
    বিশিষ্ট সাংবাদিক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য সুভাষ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তুতায় সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আর এই ডিসেম্বরের প্রথম দিনেই বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু করার মধ্য দিয়ে শহীদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করা হয়েছে। এই ডিসেম্বর যেমন ছিল আমাদের বিজয়ের মাস তেমনি এই ডিসেম্বরে জন্মলাভ করা বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার লাভ করে সকল বিষয়ে বিজয়ী হয়ে উঠেছে। আগামিতে আরও বিজয় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিনিয়ে আনতে পারবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন তাদের লেখাপড়ায় আরও মনোযোগী হতে হবে । তাদেরকে সুনাগরিক হয়ে উঠতে হবে। কেবলমাত্র পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করাটাই জরুরি নয় , জরুরি হলো সাথে সাথে একজন সুনাগরিক হয়ে ওঠা। তিনি বলেন এই বিদ্যালয় একদিন বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে উঠে যাবে এমন প্রত্যাশা আমার। তিনি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই বিদ্যালয়ে শিশু কিশোরদের নিয়ে আরও একটি শিক্ষামূলক আনন্দঘন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন। এ সময় তার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিদ্যালয়ের স্মারক ক্রেস্ট।
    অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন বিদ্যালয়টির জন্মদিনে আমি শিশু কিশোরদের সাথে খেলতে এসেছি। অতীতের সোনালী দিনগুলি আমরা হারিয়ে ফেলতে চাইনা উল্লেখ করে তিনি বলেন এ ধরনের মজাদার খেলার সাথে শিশুদের মন জড়িয়ে রয়েছে। এজন্য লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে তাদের নিয়ে খেলতে হবে। তাদের খেলাতে হবে। এর সাথে সাথে তাদের দেহে ও মনে সুস্থতা ধরে রাখা যাবে। শুধু পড়া নয় শুধু খেলা নয় তাদেরকে পড়ালেখা দুইই করতে হবে উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন তাদেরকে দেশের সুনাগরিক হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাজ করতে হবে। তিনি শিশুদের নিয়ে চকোলেট খেলা খেলে তাদের মধ্যে আনন্দ ও শিক্ষা দুইই পৌঁছে দেন। তিনি বলেন ত্যাগ ও সবকিছুকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মধ্যে আনন্দ আছ্ ে। তিনি তাদের পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক শিক্ষা দিয়ে শিশুদের উজ্জীবিত করে তোলেন। এর আগে বিদ্যালয়ের পরিচালক তার হাতে তুলে দেন বিদ্যালয়ের স্মারক ক্রেস্ট ।
    অনুষ্ঠানের সভাপতি সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী বলেন ছাত্র ছাত্রীদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। শুধু জিপিএ ৫ কিংবা গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়াটাই যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন পড়ার সাথে মনের ও স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক আছে। মনকে যদি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে সুস্থ রাখা না যায় তাহলে লেখাপড়া ও মেধা বিকাশ পূর্নাঙ্গতা পায় না। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুশৃংখল করে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আরও বলেন তাদেরকে দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে হবে। তাদেরকে সমাজের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে হবে।
    এ সময় আরও ্উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ ,যশোর জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক কাজী সুফিউল্লাহ ফারুকি আবু কাজী, গ্রাফিক্স ডিজাইনার মো. নুরুজ্জামান ফিরোজ, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ সদস্য উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদস্য মো. শাহিন ইসলাম প্রমূখ।
    প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষে যেয়ে নতুন করে কেক কাটেন। তারা পরিদর্শন করেন ইংলিশ কর্ণার। সেখানে রক্ষিত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ , সুন্দরবন এবং ইতহাস ও ঐতিহ্য ইঙরাজী ভাষায় তুলে ধরা দেখে তারা মুগ্ধ হন।

  • সাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগের বর্ধিত সভা উজ্জল সানাকে আহবায়ক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃসাতক্ষীরা জেলা তাঁতীলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম। সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলার যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, শ্যামনগর উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মামুন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, আশাশুনি উপজেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক মন্টু, সদর উপজেলার আহবায়ক সাগর হোসেন, সদস্য সচিব ঈদুল, কলারোয়া উপজেলার রিপন হোসেন, কালিগঞ্জ উপজেলার জাহিদ হাসান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন,কালিগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবকলীগের তানভীর আহমেদ উজ্জল, কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সায়ীদ ও সাধারণ সম্পাদক জজ প্রমুখ। সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক উজ্জল কুমার সানা, সদস্য মনিরুজ্জামান, আব্দুল কাদের, রেজাউল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মনোজ কুমার, মনিরুজ্জামান, তুহিন হোসেন, আবুল কাশেম, জুয়েল হাসান, আসাদুল ইসলাম, পলাশ কুমার ও জাকির হোসেন।