Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 8 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • বাজারে উঠছে সাতক্ষীরার আম

    বাজারে উঠছে সাতক্ষীরার আম

    বাজারে উঠতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম। জেলার আম ক্যালেন্ডার অনুযায়ি প্রথম পর্যায়ে সোমবার (৫ মে) থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এখানকার আম দেশের অন্য এলাকার তুলনায় অগ্রিম পরিপক্ব হয়। ফলে আগে বাজারে ওঠার কারণে বেশি দামে বিক্রিও হয় সাতক্ষীরার এই আম। পর্যায়ক্রমে আগামী ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন থেকে আম্রপালি আম বাজারে পাওয়া যাবে।

    সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি এলাকার জনৈক বেলাল এর গাছ থেকে আম পেড়ে জেলায় আম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। এসময় জেলার আম চাষী ও ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।

    সাতক্ষীরার সুস্বাদু গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি জাতের আমের কদর আছে দেশ বিদেশে। জেলার আবহাওয়া ও মাটি এই অঞ্চলের আমকে করেছে সুস্বাদু, ঘ্রাণযুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী। যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কাজেই সাতক্ষীরায় উৎপাদিত আম শুধু বাংলাদেশের বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ জনপ্রিয়। যে কারণে প্রতি মৌসুমে দেশের গোন্ডি পেরিয়ে ২০১৫ সাল থেকেই আমেরিকা ও ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে সাতক্ষীরার আম। যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার আম বাগান রয়েছে। চলতি বছর এখান থেকে ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। যার মধ্যে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার আম চাষী মোকলেছুর রহমান জানান, আমার ১৪/১৫টি বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই অনাবৃষ্টির কারণে অনেক আম ঝড়ে পড়েছে। গাছে যা আম আছে তাতে সামনে যদি কোন প্রাকুতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে মোটামুটি ভাল ব্যবসা হবে।

    তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের সুচি মেনেই আমরা ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস ও বোম্বাইসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া শুরু করেছি। সকাল থেকে প্রায় ৮০ ক্যারেট বিভিন্ন জাতের আম পেড়ে বাজারে পাঠিয়েছি। মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়ার কারণে সাতক্ষীরার আম তাড়াতাড়ি পেকে যায় এবং আম খুব সুন্দর সুস্বাদু হয়। আগে পাকায় আমরা সবার আগে বাজারজাত করতে পারি। আগে বাজারজাত করায় দামও ভাল পাই।

    শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের আম ব্যবসায়ি ফজর আলী খোকা বলেন, সোমবার সকাল থেকে বাজারে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস ও বোম্বাইসহ স্থানীয় জাতের আম আসা শুরু করেছে। এবার আমের কোয়ালিটি বেশ ভাল। গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম পাইকারি ৬০ টাকা কেজি দরে ২৪০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে আরও দাম কমতে পারে। ইতিমধ্যে জেলার বাইরের ব্যবসায়িরাও বাজারে আসতে শুরু করেছেন। জুন মাসের শেষ নাগাদ সাতক্ষীরার আমের বাজার জমজমাট থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    সুলতানপুর বড়বাজারে আম কিনতে আসা ঢাকার ব্যবসায়ি আক্তারুজ্জামান জানান, আমরা রাজশাহী, যশোর ও সাতক্ষীরার থেকে প্রতি বছর আম কিনে ব্যবসা করি। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই সাতক্ষীরায় আম কিনতে আসি। কারণ দেশের অন্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে। এছাড়া এখানকার আম বেশ সুস্বাদু। সে কারণে দেশের প্রায় সকল বাজারেই ক্রেতাদের মাঝে সাতক্ষীরার আমের একটা আলাদা কদর ও চাহিদা রয়েছে। আগে বাজারে পাওয়া যায় বিধায় ক্রেতাদের কাছ থেকে ভাল দামও পাই। সাতক্ষীরার আম শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব বলে জানান ওই ব্যবসায়ি।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি জাতের আম পরিপক্ক হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আগেভাগে পাড়লে আমের স্বাদ ও গুণগত মান কমে যায়, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ ক্ষুন্ন হয়। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এখানকার আম অগ্রিম পরিপক্ব হয়। আগাম বাজারে ওঠার কারণে চাষীরা দামও পান বেশি।

    তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি জাতের আমের কদর আছে দেশ বিদেশে। ২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে, যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরার আমের খ্যাতি শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও। সাতক্ষীরার আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং বিশুদ্ধ ও নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের লক্ষে জেলায় আম সংগ্রহের একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সুচির আগে অপরিপক্ব আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা বাজারজাতকরণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

    তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য আম নিশ্চিত করতে গুণগতমান রক্ষায় নির্ধারিত সময়ের আগে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বিষয়ে জেলাব্যাপি কঠোর নজরদারি থাকবে।

    প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং বিশুদ্ধ ও নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের লক্ষে সাতক্ষীরার আম সংগ্রহের একটি সময়সূচি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ” শীর্ষক এক মতবিনিময় আম সংগ্রহের এই সূচি প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। সূচি অনুযায়ি ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। আগামী ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন থেকে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।

  • সাতক্ষীরার সুন্দরবন থেকে হরিণশিকারের ফাঁদসহ নৌকা উদ্ধার

    সাতক্ষীরার সুন্দরবন থেকে হরিণশিকারের ফাঁদসহ নৌকা উদ্ধার

    পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনের ভিতর থেকে ৬শ’ পিস হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ২টি নৌকা উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরের দিকে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন টাটের খাল এলাকা থেকে হরিণ শিকারের ফাঁদ ও নৌকা উদ্ধার করা হয়।

    বন বিভাগ সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের একটি টহল দলের সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে টাটের খাল এলাকায় পৌঁছালে চোরা শিকারীরা বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ব্যবহৃত নৌকা ও হরিণ শিকার করা ফাঁদ ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে দুটি নৌকা ও ৬ শ’ পিস হরিণ শিকার কাজে ব্যবহৃত ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।

    বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, নিয়মত টহল চলাকালীন সময়ে সুন্দরবনের গহীনে টাটের খাল এলাকা থেকে হরিণ শিকারি চক্রর ফেলে যাওয়া দুইটি নৌকা ও ৬শ’ পিস ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • তালার ইউএনওকে বদলী

    তালার ইউএনওকে বদলী

    ‎সাতক্ষীরায় কালের কণ্ঠ পত্রিকার তালা উপজেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপুকে দশদিনের কারাদণ্ড দেয়া আলোচিত ইউএনও শেখ রাসেলকে রংপুর বিভাগে বদলী করা হয়েছে।

    ‎রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ০৫.০০.০০০০. ১৩৯.১৯. ০০৯. ২৪-১৫৪ নম্বর স্মারকে সোমবার (৫ মে) এ আদেশ দেয়া হয়েছে।

    ‎উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল দুপুরে তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের প্রায় ১১ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপু। এ সময় তালা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমএম মামুন আলম তথ্য দিতে অস্বীকার করায় সাংবাদিকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়।

    একপর্যায়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেলকে জানালে তিনি সরেজমিনে উপস্থিত শ্রমিকসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাংবাদিক টিপুকে ১৮৬ ধারায় ১০ দিনের সাজা দেন এবং ২০০ টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনায় ফুসে উঠে তালাসহ সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ।

    দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকায় তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরদিন তালা, সাতক্ষীরাসহ সারা দেশে শুরু হয় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান। সাংবাদিকদের দেওয়া ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামের মুখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।

  • দেবহাটা ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদকে স্বপদে পূর্নবহালের দাবি স্থানীয় নেতকর্মীদের

    দেবহাটা ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদকে স্বপদে পূর্নবহালের দাবি স্থানীয় নেতকর্মীদের

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদকে স্বপদে পূর্নবহালের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৬ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. নুররুজ্জামান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ মে দেবহাটা উপজেলার সরকারি খান বাহাদুর আহসান উলাহ কলেজে ছাত্রদলের কমিটি নির্ধারণে ভোট হয়। ভোটে সভাপতি পদে রাকিব হোসেন ও ইমারন হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন ও শরিফুল ইসলাম বাবু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৬২ জন ভোটারের মধ্যে ১৮৯ জন ভোট প্রদান করেন। ভোট গণনা শেষে সভাপতি পদে রাকিব ৮৭ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন ৮৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়। কিন্তু ফলাফল ঘোষনার পর সন্দেহ হলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন টীমের কাছে ভোট পুনারায় গণনার আবেদন করে। পরে পুনঃ গণনা শেষে সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন ৯৮ ভোট পান এবং তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে সভাপতি প্রার্থী রাকিবও পুনরায় তার ভোট গণনার আবেদন জানালেও টীমের সদস্যরা সেটি গ্রহণ করেননি। এক পর্যায়ে ইমরান ফরহাদ বিষয়টি পুনবিবেচনার আবেদন জানালে টীমের নেতৃবৃন্দ খুলনায় গিয়ে ভোট গণনার কথা বলেন। এঘটনার পর কোন প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ বা সতর্ক ছাড়াই ইমরান ফরহাদকে অব্যাহতি দিয়ে পত্র পাঠায়। যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক এবং সংগঠনের পরিপন্থি।
    নুররুজ্জামান আরো বলেন, নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপির প্রতিবাদ ও জনসম্মুখে পূনরায় ভোট গণনার দাবী জানানোর কারণে ইমরান ফরহাদকে ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আমরা যতদূর জেনেছি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রকৃত বিষয়টি অবগত নন। অবগত থাকলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিশ্চয় এধরনের সিদ্ধান্ত নিতেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে প্রকৃতঘটনা আড়াল করে ইমরান ফরহাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছে বিভাগীয় টীম। প্রকৃত ঘটনা আমরা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ জেলা, বিভাগীয় এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরতে চাই। যাতে আমাদের নেতা ন্যায় বিচার পান এবং স্বপদে ফিরে আবারো দলের হাল ধরে দেনহাটা উপজেলা ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করে দলের জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
    তিনি বলেন, ইমরান ফরহাদ দেবহাটা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সর্বোচ্চ মামলার আসামী। বারবার কারাবরণকারি। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত। এধরনের একজন নেতাকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই অব্যাহতি প্রদান করায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। ফরহাদ এর মত ত্যাগী শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের এভাবে অব্যাহতিতে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের প্রতি আস্থা হারাবে। তিনি অবিলম্বে উপজেলার ত্যাগী নেতা ইমরান ফরহাদকে পুনরায় স্বপদে বহাল করার জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক চঞ্চল, রাকিবুল, অসাদুল, কবিরুল, মিলন, রাকিব, তারিবা মনোয়ার, মুছা করিম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মটরসাইকেল চালক

    সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মটরসাইকেল চালক

    সাতক্ষীরায় ট্রাক ও মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা পৌনে ৯টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের আগরদাঁড়ি মহিলা মাদ্রাসার কাছে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহত মটরসাইকেল চালকের নাম মো. নাঈম হাসান (৩০)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কাকডাঙ্গা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।

    প্রতক্ষ্যদর্শী মনিরুল ইসলাম বলেন, নাঈম হাসান মটরসাইকেলে সাতক্ষীরার দিক থেকে সীমান্তের বৈকারীর দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি হেলমেটের মধ্যে মোবাইল ঢুকিয়ে কথা বলতে বলতে মটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে বেলা পৌনে ৯টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের আগরদাঁড়ি মহিলা মাদ্রাসার কাছে সুলতান বাবরের মোড়ে পৌছালে বিপরীত দিক হতে আসা একটি ট্রাকের সাথে তার মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাঈম হাসান। এসময় ট্রাকের গতি কম থাকলেও মটরসাইকেল চালক মোবাইলে কথা বলার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

    সাতক্ষীরার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত

    সাতক্ষীরায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত

    ‘দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নাই, আপোস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কোনো চিন্তা নাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস।

    দিবসটি উপলক্ষে সকালে সাতক্ষীরা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে বেলুন, কবুতর ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। পরে সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা জজকোর্ট চত্বর থেকে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্ত দান এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আপামর জনসাধারণকে সরকারি আইন সহায়তা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দীন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম, লিগ্যাল এইড অফিসার (অতিরিক্ত জেলা জজ) নাসির উদ্দিন ফারাজী, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. এম. শাহ আলম, জি.পি. এ্যাডঃ অসীম কুমার মন্ডল, পি.পি. এ্যাড. শেখ আব্দুস সাওার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শেখ এমদাদ হোসেন প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে গরিব অসহায় মানুষদের আইনগত সহায়তা দেয়া হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আইনের নিরাপত্তার বাইরে রেখে আইনের শাসন নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করে সাতক্ষীরায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো।

  • সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

    সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

    সাতক্ষীরার কলারোয়ায় খাদিজা খাতুন (২) নামের নিজের মেয়েকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা আছমা খাতুনের (৩০) বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে কলারোয়ার বাটরা গ্রামে নিহত শিশুর নানাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত মেয়েকে উদ্ধার ও মাকে আটক করেছে।

    আছমা খাতুন বাটরা মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মাজেদের মেয়ে ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের তহিদুর রহমানের স্ত্রী।

    বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদ জানান,‘‘ ১০ বছর আগে তহিদুর রহমানের সাথে আমার মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’ছেলে-মেয়ে রয়েছে। বছর খানেক হলো,মেয়েটির মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। একারণে জামাই তহিদুর ছেলে-মেয়েসহ মেয়েকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়। শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রান্নাঘরের বটি দিয়ে ২ বছর বয়সী মেয়ে খাদিজা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে। তাকে হত্যার পর ৫ বছর বয়সী ছেলেটাকে গলা কেটে হত্যা করতে উদ্যত হলে আমার স্ত্রী আলেয়া খাতুন পাশের বাড়ি থেকে এসে তাকে নিবৃত করে। ‘’

    কলারোয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান,‘‘পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শিশু মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া নিজ সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে আছমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। ‘’ মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।

  • বাসচাপায় মা ও শিশু নিহত, আরেক সন্তানসহ স্বামী হাসপাতালে

    বাসচাপায় মা ও শিশু নিহত, আরেক সন্তানসহ স্বামী হাসপাতালে

    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় বাসচাপায় শিশুসন্তানসহ এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী ও আরেক সন্তান আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়ক কুমিরা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত মা ও শিশু হলো রিতা সাধু (৩২) ও ছেলে সৌরভ সাধু (৩)। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন রিতার স্বামী অপূর্ব সাধু ও সাত বছর বয়সী বড় মেয়ে। তাঁরা খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি এলাকার বাসিন্দা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে করে পরিবারসহ যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কুমিরা এলাকায় পৌঁছালে সাতক্ষীরাগামী একটি বাস তাঁদের মোটরসাইকেলটিতে ধাক্কা দেয়। এতে সবাই সড়কে ছিটকে পড়েন। চালক না থেমে বাসটি রিতা সাধু ও তাঁর শিশুকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মা ও শিশু মারা যান। আহত দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

    পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পর বাস নিয়ে চালক দ্রুত পালিয়ে যান। তাঁকে শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে।

  • এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদকে সংবর্ধনা

    এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদকে সংবর্ধনা

    ফারুক রহমান
    এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের আহবায়ক কমিটির সভাপতি মনোনিত হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল ২০২৫ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কলেজে এই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
    সংবর্ধনা সভায় কলেজের আহবায়ক কমিটির সভাপতি মনোনিত হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদ এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজকে একটি মডেল কলেজ হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
    সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংবর্ধিত হন এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজের আহবায়ক কমিটির সভাপতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইন আহমেদ। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করেন কলেজের সকল শিক্ষকবৃন্দ, কর্মরাচারিগণ এবং শিক্ষার্থরা।
    সংবর্ধনা সভায় শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের আব্দুল মজিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মুনির আহমদ খান, যুক্তিবিদ্যা বিভাগের শামিম উল আলম, পাল শুভাশীষ, জাহাঙ্গাীর হোসেন, আব্দুল কাদের। এ সময় কলেজের শিক্ষকবৃৃন্দ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    স্টাফ রিপোর্টারঃ সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ১৯ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
    সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মাছরাঙা টিভি ও আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে মানব বন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার জেলা সংবাদদাতা আবু সাইদ বিশ্বাস, ডিবিসি টিভির জেলা প্রতিনিধি বেলাল হোসেন, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি রঘুনাথ খাঁ, দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মীর আবু বকর, আনন্দ টিভির সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি মোঃ হাসানুর রহমান হাসান, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি আবু সাইদ, দিন প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, গ্লোবাল টিভির প্রতিনিধি রাহাত রেজা, গণজাগরণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ আনিছুর রহমান, দৈনিক লাখ কণ্ঠের জেলণা প্রতিনিধি ফিরোজ হোসেন, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহজান মিঠু, দৈনিক সোনালি কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মুজাহিদুল ইসলাম, মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার খুলনার বিভাগীয় প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ খবর প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ হাফিজ, প্রতিনিধি দেশ বুলেটিন পত্রিকার আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি আমিরুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টর সাইদুল বাশার, দৈনিক পরিবর্তন পত্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পাদক জাহিদুল বাশার,পাটকেলঘাটা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি নাজমুল হক খান, দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আঃ আলিম, দৈনিক রানার পত্রিকার দেবহাটা উপজেলার প্রতিনিধি মোঃ সিদ্দিক, জবাবদিহি পত্রিকার আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি আঃ রাজ্জাক, চ্যানেল এ ওয়ান টিভির উপজেলা প্রতিনিধি মোকাররাম বিল্লাহ, বিশ্ব বাংলা চ্যানেলের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর,এখন টিভির ক্যামেরা পারসন মনা,কালের চিত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার গাজী হাবিব, ক্রাইম বার্তার স্টাফ রিপোর্টার সাইদুল হোসেন ও মিজানুর রহমান নন্দিত টিভির বার্তা সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কর্মসূচিতে কয়েকশ সাংবাদিক অংশ নেয়।

    মানবন্ধনে বক্তরা বলেন, আশাশুনি থানার পুলিশ কর্মকর্তা এস আই শ্যামাপ্রসাদ রায়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশের পর জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার আরিফুল ইসলামকে দফায় দফায় কৈফিয়েত তলব, মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন স্থানীয় যুবনেতা আবু জাহিদ সোহাগ ও সাবেক যুবনেতা সাদিক আনোয়ার ছোট্টু । প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিক আরিফুল আশাশুনি থানায় সাধারণ ডায়রী (নং ৪১৯, তাং ১১/৩/২৫) করেন। এঘটনার জের ধরে মাজেদা খাতুন নামে কথিত এক নারী সাতক্ষীরা কোটে সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানাকে এফ আই আর’র গ্রহণের নির্দেশ দেন। সাংবাদিক নেতারা বলেন, আগামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি মূলক মামলার বাদী মাজেদা এবং মদদ দাতা কথিত আবু জাহিদ সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।

  • ধরা’র আয়োজনে “হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা” বিষয়ক আলোচনা সভা

     
    ফারুক রহমান:
    ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার সকাল ১১:০০ টায় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা),’র উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে “হাওর অঞ্চলে বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনা” শীর্ষক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    ধরা’র আহ্বায়ক রাশেদা কে. চৌধুরী’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শরীফ জামিল-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিতব্য এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এবং জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।
    সভায় নির্ধারিত আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর নির্বাহী পরিচালক ড. এম মোখলেসুর রহমান, হাওর উন্নয়ন আন্দোলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, হাওর সংস্কৃতি অধ্যয়ন এবং গবেষণা একাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সজল কান্তি সরকার, বারসিক এর পরিচালক পাভেল পার্থ এবং হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্নয়ক জাকিয়া শিশির।
    সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরুণ চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ আলী আজহার, হাওরের ভূক্তভোগী আহ্লাদ খান, অঞ্জনা রাণী বিশ্বাস, বোরহান উদ্দিন, মেনন চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা সভার শুরুতে ধারনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসোসিয়েটস ফর ইনভেটিভ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (এআইআরডি) এর পরিচালক আব্দুল হাই চৌধুরী।
    সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার বলেন, হাওর বাংলাদেশের সম্পদ। হাওরের সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমরা জেনেছি, হাওর অঞ্চলে প্রতি তিন জনে একজন মানুষ গরীব। এ অঞ্চলে বৈষম্য টিকিয়ে রাখার কারণেই এই দারিদ্র তৈরি হয়েছে। ইজারা প্রথার কারণেই প্রকৃত দরিদ্র মৎসজীবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আমরা মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকৃত মৎসজীবীদের তালিকা তৈরি করছি। হাওরে অভয়াশ্রমের ঘোষণা দিতে পারলে আর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারলে মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা যাবে। প্রাকৃতিক মাছের উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হাওরে প্রকৃতিবান্ধব ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই। প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষা করেই এটা করতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজের সময় কীটনাশকের ব্যবহারের কারণেও মাছ ধ্বংস হচ্ছে। হাওরে কৃষিকাজে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমরা চায়না দুয়ারী জালের ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। হাওর হলো মানুষের অধিকার। হাওরে ইজারা প্রথা বন্ধ করা প্রয়োজন।
    রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো থাকতে দিতে হবে। আমরা ইটনা-মিঠামইন সড়কের শেষ দেখতে চাই। পরিবেশ এবং হাওর ধ্বংসকারী এমন প্রকল্প যাতে আর না হতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। হাওরে নারীর নিরাপত্তার কথা আমাদের ভাবতে হবে। দরিদ্র হাওরাঞ্চলবাসীকে বাঁচাতে সোস্যাল সেফটিনেটের আওতায় ভিজিডি, ভিজিএফ, মাতৃত্বকালীন ভাতা, উপবৃত্তি ইত্যাদির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। হাওরে গবেষণার ক্ষেত্রে বিদেশী কনসালটেন্টের পরিবর্তে ইন্ডিজেনাস নলেজ এবং দেশীয় গবেষকের মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা করতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়।
    ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, প্রকৃত মৎসজীবীদের অধিকার রক্ষা করতে হবে। আমরা জানি এজন্য আমাদেরকে রাজনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করতে হতে পারে। হাওর ও জলমহাল সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রস্তাবিত নতুন আইনে নাগরিক সমাজের মতামত গ্রহণ ও জনসম্পৃক্ততা তৈরির লক্ষ্যে আইনের খসড়াটি অনলাইনে উন্মুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রী সম্পদকে সরকারি জলমহাল বলে উল্লেখ করে ইজারা দেওয়াটা সাংঘর্ষিক। এটা পাবলিক প্রোপার্টি। তাই পাবলিক প্রোপার্টির ইজারা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
    ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, আমাদের একটা সমতাভিত্তিক উন্নয়ন প্রয়োজন। জলমহাল ব্যবস্থাপনা যদি সঠিকভাবে না থাকে তাহলে এই সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। কৃষি মন্ত্রণালয় গতবছর ৩৭,১৫৪ কোটি টাকা কৃষিঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে। কৃষি মন্ত্রণালয় প্রকৃত মৎসজীবীদের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে চায়। প্রয়োজনে ইজারার টাকা কৃষি মন্ত্রণালয় পরিশোধ করবে যাতে ধনীরা জলমহাল ইজারা নিয়ে গরীব মৎসজীবীদের বঞ্চিত করতে না পারে। হাওরের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন। কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নে ২৫ বছর মেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেখানে হাওরের বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
    শরীফ জামিল বলেন, হাওরের মৎসজীবীদের বাঁচাতে জলমহালভিত্তিক সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। হাওর এবং জলমহালকে অবশ্যই প্রকৃত মৎসজীবীদের ব্যবস্থপনায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, হাওরের ভেতর দিয়ে তৈরি করা বাঁধ এবং রাস্তা বাতিল করতে হবে। আমরা জেনেছি, সীমান্তের ওপারে ইউরেনিয়াম মাইনিং হয় যার ফলে আমাদের জাদুকাটা নদীর মাছ মরে যায়। উজানের তেজস্ক্রিয় দূষণ বন্ধ করতে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। ইজারা প্রথা পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মাত্র একশত কোটি টাকা রাজস্ব লাভের আশায় হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করার কোন যুক্তি নেই।
    নির্ধারিত আলোচনায় ড. এম মোখলেসুর রহমান বলেন, হাওরে টেকসই উন্নয়নের জায়গাতে বৈষম্য রয়েছে। হাওরে বৈষম্য দূরীকরণে টেকসই জলাশয় ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। হাওর ও জলমহালকে বাঁচাতে ওয়েটল্যান্ড ইনভেনট্রি করতে হবে।
    অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জলমহালগুলো আগের মতো আর নাই। সমস্ত নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। হাওরকে বাঁচাতে নদী-নালা-খাল-বিলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
    সজল কান্তি সরকার বলেন, হাওরকে যারা লালন করেন আর যারা পালন করেন তাদের মধ্যে সমন্বয় জরুরি। বাংলাদেশ যদি মানব শরীর হয় তাহলে হাওর হলো তার কিডনি। এই কিডনি না বাঁচলে না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না।
    পাভেল পার্থ বলেন, হাওর একটি বিশেষ প্রতিবেশ ব্যবস্থা। সীমান্ত অতিক্রমকারী নদীগুলোর পানি ভারতের উত্তর-পূর্ব থেকে এসে হাওরে প্রবেশ করে। এই পানির সাথে আসে উজান থেকে ভেসে আসা মেঘালয় পাহাড়ের কারখানার দূষণ। উজানে বাঁধ তৈরি করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে ভারত। তাই যৌথ নদী কমিশনের আলোচনায় হাওর অঞ্চলকে রাখতে হবে। হাওরের মাছকে বাঁচিয়ে রাখতে সোয়াম্প ফরেস্টকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
    জাকিয়া শিশির বলেন, হাওরে ইজারা প্রথা রয়েছে। প্রকৃত মৎসজীবীরা ইজারা নিতে পারেন না। তারা মাছ ধরতে গেলে হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। মাছগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে আর হাওর হারাচ্ছে তার বৈশিষ্ট্য ও চরিত্র। তিনি হাওরে নারী ও শিশুর অবস্থা উল্লেখ করে বলেন, হাওরের নারী ও শিশুরা নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। তারা মাঠে কৃষি কাজ করেন কিন্তু তাদের কোন স্বীকৃতি নাই। তাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।
    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ধরা’র সহ-আহ্বায়ক এমএস সিদ্দিকী, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়ক মো. নূর আলম শেখ, চুনতি রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়ক সানজিদা রহমান, ইআরডিএ এর নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন চৌধুরী, রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
    আলোচনা সভায় সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে হাওর এবং হাওরাঞ্চলের জলমহালগুলোকে বাঁচাতে সকলকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
  • মাদকসহ বিএনপি নেতার স্ত্রী আটক

    সাতক্ষীরায় বাড়ীর সিলিং ফ্যানের ভিতর লুকিয়ে রাখা ২শ পিস ইয়াবাসহ শাহানারা খাতুন (৪৫) নামে এক নারীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার স্বামী কৌশলে পালিয়ে যায়।

    আটক শাহানারা খাতুন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের হারুনার রশীর ওরফে হারুনের স্ত্রী। হারুন ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াড বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন।

    সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নিজ বাড়ীতে মাদক কেনাবেচা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় ঘরের সিলিং ফ্যান ও টেবিলের ভিতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২০০ পিস ইয়াবাসহ শাহানারা খাতুনকে হাতে নাতে আটক করা হয়। আটককৃত নারীকে মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, হারুনার রশিদ ওরফে হারুন ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে ইউনিয়নে কোন কমিটি নেই। জেলায় বিএনপির সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক

    সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক

    (সাতক্ষীরা প্রতিনিধি)  : সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল ) বিকাল ৫ ঘটিকায় পুরাতন সাতক্ষীরা নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, উপদেষ্টা ডা. প্রশান্ত কুমার কুন্ডু , গোবিন্দ প্রসাদ ঘোঘ, এ্যাড তপন কুমার কুন্ডু, রঘুজিৎ গুহ প্রমুখ।
    জেলা মন্দির সমিতির নবগঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন -সভাপতি এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জী, সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার চ্যাটার্জী, স্বপন কুমার শীল, দাশ সোনাতন চন্দ্র, এ্যাড. তারক মিত্র, সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, যুগ্ন-সম্পাদক বলাই দে, সহ- সম্পাদক সঞ্জীব কুমার ব্যানার্জী, কোষাধ্যক্ষ আনন্দ কুমার সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম কুমার সাধু, সাহিত্য সম্পাদক অসীম কুমার দাশ সোনা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পলাশ দেবনাথ, অডিটর রায় দুলাল চন্দ্র, প্রচার সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক করুনাময় ঘোষ করু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দীপঙ্কর কুমার ঘোষ, শঙ্কর কুমার ঘোষ, কেশব সাধু, দীপাসিন্ধু তরফদার, প্রদীপ কুমার বাছাড়, অজয় ঘোষ ও বিকাশ চন্দ্র ঘোষ , কার্যনির্বাহী সদস্য শঙ্কর কুমার রায়, বিকাশ চন্দ্র দাস, দেবাশিস বসু শেখর, সুধীর কুমার নাথ, গোপাল চন্দ্র ঘোষ, শিবপ্রসাদ ঘোষ, প্রবীর পোদ্দার, হারাধন দফাদার, গংগাধর দফাদার, তরুণ কুমার গুহ, বিশ্বজিৎ বাছাড়,  তাপস কুমার সোম, মোহন্ত কুমার দাস, উজ্জল দে,  সনজিত কুমার দেবনাথ, সুনিল রায়, বিশ্বজিৎ মাখাল, সৌমেন ঘোষ, তরুণ কুমার রায়, শম্ভু ঘোষ।
    অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি ও নব-গঠিত কমিটির সকলকে ফুল ও উত্তোরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মন্দির সমিতির নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন।
  • বহুকাঙ্খিত পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 

    বহুকাঙ্খিত পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরাবাসীর বহুকাঙ্খিত সাতক্ষীরা পৌরসভার পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় রাস্তা সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সিআরআইএম প্রকল্পের আওতায় জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর অর্থায়নে সাতক্ষীরা পৌরসভার বাস্তবায়নে দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরা উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস।
    এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, জেলা কৃষক দলের আহসানুল কাদির স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোঃ আব্দুল সেলিম, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী, জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর প্রজেক্ট কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মিরাজ আহম্মেদ, সহকারী প্রকৌশলী পীযুষ মল্লিক, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, কামরুজ্জামান শিমুল, মোহব্বাত হোসাইন, বিএনপি নেতা ইয়াছিন আলী ও ঠিকাদার প্রতিনিধি শিহাবুজ্জামান প্রমুখ।
    সিআরআইএম প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর অর্থায়নে সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত ১৮১৫ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ উদ্বোধনকালে সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ ও জার্মানি কেএফ ডব্লিউ প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
  • ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর মানববন্ধন

    ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি পুরাতন সাতক্ষীরা হয়ে  বিশাল র্যালী ও মানবন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মেহেদী হাসান বলেন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানি দায়ীত্ব। ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল দীর্ঘদিন যাবৎ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে নির্মম নির্যাতন হামলা এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে গণহত্যা করছে এর তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন কাজী সাইদুর রহমান, আলাল হোসেন, মাওলানা হাফিজুর রহমানসহ অনেকে। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ আল আমিন, মোঃ আশরাফুল ইসলাম,ফারিহা তাসনিম, আতিয়া ফারজানা, জাকির হোসেন,  নাজিফা তাবাসসুম, আমির হামজা,  রুহানি মাহজাবিন, প্রমুখ।
  • সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ

    সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ

    সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ- সব বয়সী মানুষের ঢল নামে সাতক্ষীরার কালেক্টরেট চত্বরের ভেষজ উদ্যানে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় বর্ষবরণের সূচনা সংগীত।

    এরপর বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে মিলিত হয়। এরপর পার্কে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু প্রমুখ।

    বৈশাখী মেলার উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক বাংলোতে পান্তা ভাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া সাতক্ষীরার মুক্তমঞ্চে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সারাদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    সমগ্র আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা।

  • ভোমরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ট্র্যাকের যন্ত্রাংশসহ আটক ২

    ভোমরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ট্র্যাকের যন্ত্রাংশসহ আটক ২

    সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা থেকে ভারতীয় মটর পার্টসসহ একটি বাংলাদেশি ট্রাক আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ট্রাকটি আটক করা হয়। এই সময় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়। আটক ভারতীয় ট্রাকের খুচরা যন্ত্রাংশ ও বাংলাদেশী ট্রাকের মূল্য প্রায় ৭১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

    আটক ট্রাক চালকের নাম মো. শহীদুজ্জামান শাহেদ (২৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের ইন্দিরা গ্রামের আমির আলীর ছেলে। ট্রাকের হেলপার মো. আশিক গাজী (২২) শহরের ইটাগাছা এলাকার হাফিজুল গাজীর ছেলে।

    বিজিবি সূত্র জানায়, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে আসা একটি খালী ট্রাকে চোরাচালানী মালামাল বহন করবে এমন খবরের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের উত্তর পার্শ্বে ভোমরা আইসিপি’র নায়েব সুবেদার মো. সুলতান আহমেদ এর নেতৃত্বে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যগণ অবস্থান গ্রহণ করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি খালী ট্রাক রপ্তানী মালামাল ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে রেখে ভোমরা চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সেখানে অবস্থানরত টহল সদস্যরা ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশী করে। এসময় ভারতীয় ট্রাকের বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ জব্দ করে।

    এ সময়ে বিজিবি সদস্যরা অবৈধভাবে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের দায়ে ট্রাকের চালক মো. শহিদুজ্জামান শাহেদ ও হেলপার মো. আশিক গাজীকে (যশোর-ট-১১-৫৭৯১) ট্রাকসহ আটক করে। আটককৃত ট্রাকসহ চোরাচালানী মালামালের মূল্য ৭১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

    সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক ও পরিচালক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করতঃ আটককৃত ভারতীয় ট্রাকের খুচরা যন্ত্রাংশ ও বাংলাদেশী ট্রাকসহ আসামিদের সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে মসজিদ নির্মানের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে মসজিদ নির্মানের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিবন্ধীর দোহাই দিয়ে মসজিদ নির্মানের জন্য নির্ধারিত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় জমি মালিককে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনির পূর্বকামালকাটীর মৃত মনিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর লক্ষে ২০২১ সালে কামলাকাটি মৌজার বি আর এস ১৯৯৯ দাগে এস এ রেকর্ডীয় মালিক সতীশ দুলালের ১০ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৩ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। বাকী ৭ শতক সম্পত্তি একই এলাকার নূর আলী সরদারের পুত্র রজব আলী ক্রয় করেন। আমি ঢাকায় বসবাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পর সম্পদ লোভী রজব আলী আমার ৩ শতক জমিসহ মোট ১০ শতক দখলের জন্য ঘেরাবেড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি সাতক্ষীরা এডিএম কোর্টে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। আদালতের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ নোটিশ জারি করলেও সুচতুর রজব আলী আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় আশাশুনি থানায় আমি একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা ও জামায়াতদের সাথে যোগাযোগ করেও সমাধান হয়নি। তারা রাতের আধাঁরে সেখানে ঘর নির্মান অব্যাহত রাখে রজব আলী। এ নিয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে গেলে তারা পরবর্তীতে যোগাযোগ করবেন আশ^াস দেন। তখন উপায়ন্ত হয়ে আশাশুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন থানা পুলিশ এবং আশাশুনি ভুমি কর্মকর্তার মাধ্যমে মাপজরিপ করা হলে আমার সম্পত্তি মধ্যে ৩২ থেকে ৩৪ ফুট লম্বা ভাবে ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি উঠে আসলেও সময় স্বল্পতার কারনে সমাধান না করে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপর আমি ঢাকায় গেলে তারা আবারো কাজ শুরু করে।
    তিনি আরো বলেন, আইনগত ভাবে কোন সহযোগিতা না পেয়ে গত ৩০ মার্চ ২০২৫ তারিখে আমিসহ কয়েকজন আতœীয় মিলে তাদের ওই ঝুপড়ি ঘরটি ভেঙে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রজব আলী এবং তার ভাই শাহাজান সরদারসহ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বৃদ্ধা মাতা সহ আমি গুরুতর আহত হই। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৪ জন কে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করি যার নং- ০৩/০৫। তাং ৩০/৩/২০২৫। মামলা দায়ের করার পর সুকৌশলী রজব আলী জনৈক প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আমাকে লাঞ্চিত এবং হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের সাথে যোগসাজস করে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় যে কোন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে বলে আশংকা করছি। রজব আলী একজন সুস্থ সবল মানুষ হলেও নিজেকে প্রতিবন্ধী পরিচয় দিয়ে সুবিধা আদায় করে যাচ্ছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মসজিদের জন্য নির্ধারিত সম্পত্তি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে সে।
    আমি দ্বীনি শিক্ষার জন্য বরাদ্ধকৃত সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।