Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 12 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • সাতক্ষীরায় বিনাহলুদ-১ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস

    সাতক্ষীরায় বিনাহলুদ-১ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার তালায় উচ্চ ফলনশীল বিনাহলুদ-১ এর চাষাবাদ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার আড়ংপাড়া গ্রামে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

    মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ। বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. শিল্পী দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদ দেহতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: বাবুল আকতার, তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা খাতুন, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুজ্জামান, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মশিউর রহমান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিলন কবীর।

    এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনা মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিনাহলুদ-১ স্থানীয় অন্যান্য জাতের তুলনায় অনেক বেশি ফলন দিতে সক্ষম। এই জাত চাষের মাধ্যমে কৃষক অধিকতর লাভবান হতে পারে।

    ড. মো: বাবুল আকতার বলেন, সাথী ফসলের সাথে বিনাহলুদ-১ চাষ করে কৃষক একই অনেক লাভবান হচ্ছেন। এই জাত স্বল্প জায়গায় অধিক ফলানো সম্ভব।

    কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, বিনাহলুদ-১ চাষ করে আমি অন্যান্য স্থানীয় জাতির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ফলন পেয়েছি।

  • আজহারুলের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

    আজহারুলের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল

    সাতক্ষীরা : বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও নিবন্ধন পূর্নবহালের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (১৮ফেব্রুয়ারী) বিকালে সাতক্ষীরা ছয়আনি মসজিদ প্রাঙ্গন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা জেলা সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুখ, আব্দুর ওয়ারেছ, মাস্টার হাবিবুর রহমান,মাওলানা আনিছুর রহমান,  মাস্টার আশরাফুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের  ও বিভিন্ন উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।
    জামায়াত নেতারা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও দ্রুত নিবন্ধন পূর্নবহালের দাবি জানান। তা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারী দেন তারা।
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক

    সাতক্ষীরা সীমান্তে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক

    সাতক্ষীরায় অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৯টার দিকে কলারোয়া উপজেলার মাদরা সীমান্তের রাজপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

    আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলো, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কল্যাণী জেলার কল্যাণী গ্রামের মহেন্দ্র সরকারের ছেলে সুধীর সরকার (৫৭) ও নদিয়া জেলার দানতলা থানার ডৌলা পশ্চিম পাড়া গ্রামের বিভূতি রায়ের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র রায় (৫১)।

    বিজিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মাদরা বিওপির নায়েব সুবেদার মো. কাজী বদরুল আলমের নেতৃত্ব একটি আভিযানিক দল সীমান্তের মেইন পিলার ১৩ এর সাব পিলার ৩ এর রেফারেন্স পিলার ১০ হতে আনুমানিক ৮০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজপুর স্থান থেকে দুই ভারতীয় নাগরিক সুধীর সরকার ও নারায়ণ চন্দ্র রায়কে আটক করে। তারা বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আটককৃত ভারতীয় নাগরিকদ্বয়কে তল্লাশী করে ১টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়।

    সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও পরিচালক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়, আটককৃত ভারতীয় নাগরিককে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কলারোয়া থানায় সোপার্দ করা হয়েছে।

  • বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে সাতক্ষীরা জামায়াতের ব্যাপক প্রস্তুতি

    বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে সাতক্ষীরা জামায়াতের ব্যাপক প্রস্তুতি

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সফল করতে ১৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াত কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে জেলা নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওবায় দুল্লাহ, অধ্যাপক ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গণি, অফিস সেক্রেটারী ছাত্রনেতা রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দিবেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। বিকাল সাড়ে ৩টায় এক যোগে শহরের চারটি প্রবেশদার দিয়ে এক সাথে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে সরকারী কলেজ মাঠে যেয়ে মিলিত হয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে। দলটির সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান জানান, কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা রোড মোড় থেকে যে মিছিলটি বের হবেন তার নের্তৃত্বে থাকবেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সদর আমীর মাওলানা মোশাররফ হুসাইন, কলারোয়া উপজেলা আমীর মাও কামরুজ্জামান। আমতলায় নের্তৃত্বে থাকবেন জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, ডা. মাহমুদুল হক ও তালা আমীর মাওলানা মফিদুল্লাহ। তুফান কোম্পানী মোড়ে নের্তৃত্বে থাকবেন, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর মুহাদিস রবিউল বাশার, জেলা সেক্রেটারী মাও, আজিয়র রহমান, সাবেক এম.পি গাজী নজরুল ইসলাম, শহর আমীর মোঃ জাহিদুল ইসলাম, দেবহাটা আমীর মাওলানা. অলিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ আমীর মাওলানা. আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, শ্যামনগর আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান এবং শহর শিবির সভাপতি আল মামুন। আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এতিমখানা মোড়ে নের্তৃত্বে থাকবেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক ও আশাশুনি উপজেলা আমীর তারিকুজ্জামান তুষার।
    দলটির জেলা রায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা বলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। এহেন পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমাদের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সকলের অংশ গ্রহণ ও গণমাধ্যমের সহযোগীতা কামনা করছি।

  • সাতক্ষীরায় বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি নীতি সংস্কারের আহ্বান

    সাতক্ষীরায় বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানি নীতি সংস্কারের আহ্বান

    সাতক্ষীরা, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: সাতক্ষীরা বাংলাদেশের ১০০% নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরের পথে বাধা অপসারণের একটি রূপান্তরমূলক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই আন্দোলনটি SoDESH-এর নেতৃত্বে এবং BWGED ও CLEAN এর সহযোগিতায় সকাল ১০ টায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জন সংযোগ,ও নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত  হয়েছে, যেখানে নাগরিক, নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন জড়ো করা হয়েছে, যাতে দেশে শক্তি সংস্কারের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা যায়। অংশগ্রহণকারীরা মানববন্ধন গঠন করেন, এবং স্লোগান দিয়ে প্রতিবন্ধকতাগুলি তুলে ধরেন, যেমন: পুরোনো অবকাঠামো, অসম্পূর্ণ নীতিমালা এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ।

    বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণে জাতীয়ভাবে তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া, অপ্রতুল তহবিল, পুরোনো অবকাঠামো এবং নীতির ফাঁক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তাছাড়া, বর্তমান ট্যারিফ কাঠামোও নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, যা নতুন প্রকল্পগুলিকে আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়া কঠিন করে তোলে। এই প্রতিবাদে এই প্রতিবন্ধকতাগুলি তুলে ধরা হয়েছে এবং নবায়নযোগ্য শক্তিকে প্রবাহিত, সাশ্রয়ী এবং কার্যকর করতে নির্দিষ্ট, কার্যকরী দাবি জানানো হয়েছে।

    প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য একক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনিক বিলম্ব কমানো এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। প্রতিবাদকারীরা স্মার্ট গ্রিড এবং নেট এনার্জি মিটারিং (ঘঊগ) প্রযুক্তির সংমিশ্রণের ওপর জোর দেন, যাতে সোলার এবং উইন্ড এনার্জি জাতীয় শক্তি পরিকাঠামোর মধ্যে নির্বিঘ্নে সংযুক্ত হতে পারে। তারা জাতীয় শক্তি বাজেটের অন্তত ২০% নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য বরাদ্দ করার আহ্বান জানায় এবং দেশীয় ব্যাংকগুলোকে তাদের শক্তি অর্থায়ন পোর্টফোলিওর ২৫% নবায়নযোগ্য উদ্যোগে বরাদ্দ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। নবায়নযোগ্য শক্তির যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক কমানো এবং “বিদ্যুৎ নেই, বিলও নেই” নীতির মাধ্যমে ন্যায্য বিলিং নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

    এছাড়াও, প্রতিবাদকারীরা বিদ্যমান ট্যারিফ কাঠামোর পর্যালোচনার জন্য দাবি জানান, যাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয় এবং স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা যায়, যা দেশে পরিষ্কার শক্তির দ্রুত বণ্টনকে ত্বরান্বিত করবে।

    সম্প্রদায়ভিত্তিক কর্মশালা, পক্ষে প্রচারণা কার্যক্রম এবং বিশেষজ্ঞ পরামর্শের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ সাতক্ষীরা এবং তার বাইরের স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করছে। লক্ষ্য একটাই: জনগণের সমর্থন অর্জন করা, নীতিনির্ধারকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের জন্য একটি পরিষ্কার, সবুজ ভবিষ্যতের জন্য অর্থবহ সংস্কার চালু করা।

    “এটি শুধুমাত্র একটি পরিবেশগত উদ্যোগ নয়—এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি নকশা,” বলেছেন মাধব চন্দ্র দত্ত নির্বাহি পরিচালক SoDESH সাতক্ষীরা থেকে। “আমাদের শক্তি নীতির সংস্কার এবং প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলি মোকাবিলা করে, আমরা কেবল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করছি না, বরং এমন একটি টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলছি যা প্রতিটি বাংলাদেশির উপকারে আসবে।”

    Forum On Ecological and Development সাতক্ষীরা থেকে মো: আব্দুস সামাদ, স্বপন পান্ডে, রজকুমার, কুমারেশ দাস, করসার আলী, মাইদা মিজান, জাহাঙ্গীর আলম,আজিজুল বারী, মনোয়ারা খাতুন, জয় সরদার সহ অনেকে তার দের বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের সম্প্রদায়গুলি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই ইভেন্টটি পরিষ্কার শক্তির সমাধান উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, যা এই সম্প্রদায়গুলিকে রক্ষা করতে এবং তাদের প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করবে।”

  • সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত  

    সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত  

    শহর  প্রতিনিধি : তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পক্ষ এর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  অনুষ্ঠিত হয়। তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ও ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান আ খ ম মাসুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর  আবুল হাশেম। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখা প্রধান মাহবুব আল মিসবাহ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন ঢাকার ডিরেক্টর এম.এম. রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মুনতানসির বিল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল, সদর উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন, তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন খুলনা জোনের পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য কাজী আব্দুল্লাহ আল ফারুক,তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা খুলনা শাখার প্রিন্সিপাল আব্দুল মমিন,খুলনা প্রি হিফয শাখার প্রিন্সিপাল হাফেয মোঃ ইমরান খালিদ।ক্রীড়া পরিচালনা করেন তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা সাতক্ষীরা শাখার সহকারী প্রধান এফ এম রুস্তম আলী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহ. রবিউল ইসলাম রবি,ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল সাতক্ষীরার মার্কেটিং অফিসার মোঃ রাশেদুজ্জামান, সাংবাদিক মুজাহিদুল ইসলামসহ শুভাকাংখী, অবিভাক ও তানযীমুল উম্মাহ সাতক্ষীরা শাখার শিক্ষকবৃন্দ । ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৯টি গ্রুপে ২৫ টি ইভেন্টে সর্বোমোট ৭৫ জনকে বিজয়ী হয়।
  • গৃহপালিত পশুর রোগমুক্তির জন্য মানিক ফকিরের মিলাদ বা মানিকের হাজত পূজা অনুষ্ঠিত

    গৃহপালিত পশুর রোগমুক্তির জন্য মানিক ফকিরের মিলাদ বা মানিকের হাজত পূজা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা : গৃহপালিত প্রাণীর রোগ মুক্তির কামনায় মানিক ফকিরের মিলাদ বা মানিকের হাজত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় মাঘ মাসের প্রথম দিন এই মিলাদ বা পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ৭০ বছর ধরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের বাঁশতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মুসলিম ও সনাতন ধর্মের মানুষ মিলাদ বা পূজা জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করে থাকে।

    এখানে সনাতন ধর্ম অবলম্বীরা “মানিকের হাজত” পূজা নামে আখ্যায়িত করে এবং মুসলিম ধর্ম অবলম্বীরা মানিক ফকিরের মিলাদ নামে অবহিত করে।

    গৃহপালিত পশু, পাখি ও প্রাণী বিশেষ করে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগির রোগ মুক্তি এবং স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধির জন্য প্রার্থানা মাধ্যমে সুস্থতা কামনা করে। এই মিলাদ বা পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর বিশাল মেলার আয়োজন হয়। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই অনুষ্ঠানে।শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সকলেই এখানে একত্রিত হয়ে প্রাণীকুল প্রজন্মের রোগ মুক্তির কামনা করে। পার্শ্ববর্তী ১৭টি গ্রামের মানুষ এ মিলাদ বা পূজায় অংশগ্রহণ করে প্রার্থনা করে।

    দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের মারফতি বংশের ফকির আহমেদ শাহ এই মিলাদ বা পূজা পরিচালনা করেন। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনুষ্ঠান হলেও সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা তাকে পূজারী হিসাবে গ্রহণ করে।দুধ, ডিম, টাকা ও হাঁস-মুরগি তার হাতে তুলে দেন। তার কাছ থেকে দোয়া বা মাটি পড়া নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।

    ফকির আহমেদ শাহ বলেন, আমার পূর্বপুরুষ কালাচাঁদ মানিকের নাম অনুসারে এই মিলাদ হয়। পিতা আব্দুল গফুর,দাদা পুটি ফকিরের সাথে এই মিলাদ বা পূজায় আমি তাদের সাথে আসতাম। সেখান থেকেই ৭০ বছর ধরে এই মিলাদ পরিচালনা করি। এই মানিক ফকিরের মিলাদটি মুসলিমদের হলেও সনাতনীরা মানিকের হাজত পূজার পূজারী হিসাবে গ্রহণ করে আমার কাছ থেকে দোয়া বা আশির্বাদ নিয়ে যায়। সারা বছরের জন্য প্রসাদ নিয়ে যায়। আমার জানা মতে সাতপুরুষ এই মানিক ফকিরের মিলাদ পালন করে আসছে।

    এক সময় এই অঞ্চলে প্রচুর গৃহপালিত পশু বিচরণ হত। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হত। ছিল না কবিরাজ। হাতের নাগালে ছিল না কোন ডাক্তার। কথিত আছে সবাই এই মানিক ফকিরের স্থানে এসে একটু মাটি পড়া ও দুধ পড়া তাবিজ করে দেওয়ার পরে রোগ মুক্তি পেতো। সেখান থেকেই এই মিলাদ বা পূজার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। আজ অব্দি এই মিলাদে প্রার্থনা করে যাচ্ছে হাজারো মানুষ।

    সদর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের শ্যামল কুমার মন্ডল জানান, মানিকের হাজত পূজটি মূলত গরু-ছাগল ভেড়ার রোগ মুক্তির জন্য পালন করা হয়।এই পূজাটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পরিচালনা করে। আমরা তাকে অনুসরণ করে থাকি। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে উৎসাহের মধ্য দিয়ে প্রাণীকুলের প্রজন্ম এবং সুস্থতার জন্য পালন করে থাকে।

    তনু মিস্ত্রি (৭)তার মা পূর্ণিমা মন্ডল সাথে কালিগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর এলাকার খলিশাণী থেকে মানৎ স্বরূপ ফকির আহমেদ শাহর কাছে একটি মুরগি হস্তান্তর করে। পূর্ণিমা মন্ডল জানান, আমার গাভীর গায়ে প্রচুর পরিমাণে পক্স হয়।আমি মানৎ করেছিলাম। তার পরপরই পক্স ঠিক হয়ে যায়।এ কারণে পূজা পালন করার জন্য সেখান থেকে চলে আসছি।

    ৫ নং শিবপুর ইউনিয়নের সদস্য সন্তোষ কুমার মন্ডল জানান, পশু-প্রাণী সুস্থতার জন্য এই পূজা বা মিলাদ সবাই আগ্রহের সাথে পালন করে যায়। পুরো একটি বছর উপশম হিসাবে মাটি এবং গলায় বেঁধে রাখার জন্য প্রতীকি বস্তু নিয়ে যায়। প্রতিবছর অনুষ্ঠানটির সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়।

  • কলারোয়া সীমান্তে ৫ বাংলাদেশীকে আটক

    কলারোয়া সীমান্তে ৫ বাংলাদেশীকে আটক

    কলারোয়া প্রতিনিধি :

    সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে

    ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় পাচ বাংলাদেশীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বি‌জি‌বি)। উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।

    মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে বি‌জি‌বির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক প্রে‌রিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

    আটককৃত ৫ বাংলাদেশি হলেন, কক্সবাজার জেলার অলিয়াবাদ গ্রামের মোঃ আলী আব্বাসের পুত্র মো. আতিকুর রহমান (৩৬), যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার মুক্তারপুর গ্রামের মো. সিদ্দিকুর রহমানের পুত্র মো. আসলাম হুসাইন (৩২), বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার ব্রাহ্মনডাঙ্গা গ্রামের তপন ঢালীর পুত্র তন্ময় ঢালী (২৫), একই জেলার মোড়লগঞ্জ থানার ছোটপরী গ্রামের মোশারফ খানের পুত্র মো. মাহাবুব খান (১৮) ও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র মো. রাকিব হাসান (১৭)।

    বিজিবি অধিনায়ক জানান, কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিককে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে ভারত থেকে সীমান্ত পারাপার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুলতানপুর বিওপির দায়িত্বরত বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় সুলতানপুর সীমান্ত থেকে উক্ত ৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়।

    বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান, আটককৃত মোঃ আতিকুর রহমান ও মোঃ আসলাম হুসাইনের শ্বশুর বাড়ি ভারতের নয়াদিল্লি ও কুচবিহারে। তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে দেখা করার জন্য যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। এছাড়া তন্ময় ঢালী শ্রমিকের কাজ করতো ভারতে, মাহাবুব খান তার চাচার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল এবং রাকিব হাসান ভারতে অবস্থান করা তার পিতা-মাতার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল।

    বর্তমানে ভারতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী কর্তৃক অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিশেষ ধরপাকড় শুরু করায় তারা আজ (মঙ্গলবার) ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় বিজিবি তাদেরকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ১টি বাটন ফোন, ১টি ফোল্ডিং ফোন ও ১টি পাওয়ার ব্যাংক জব্দ করা হরা হয়।

    পাসপোর্ট বিহীন অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের দায়ে আটক ৫ জনকে কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি অনুমোদন

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা কমিটি অনুমোদন

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তৃতির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলায় ১৬৯ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে সংগঠনটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।

    কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় আগামী ছয় মাসের জন্য সাতক্ষীরা জেলার এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা
    আহ্বায়ক কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আরাফাত হোসাইন, আর সদস্যসচিব হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সুহাইল মাহদীন। মুখ্য সংগঠক আল শাহরিয়ার এবং মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোহেনী পারভীন।কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, মাসুম বিল্লাহ, সোহেলী তামান্না, মইনুল ইসলাম দীপু, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরও আটজন।যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো. নাজমুল হোসেন, মো: রেজওয়ান আহমেদ, ওমর তাসনিম রাহাতসহ আরও সাতজন।

    সংগঠক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মো: হাসিবুল হাসান, আমিনুর রহমান রাতুল, শেখ ওমর ফারুকসহ মোট সাতজন। এ ছাড়াও ১২২ জন সদস্য কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।

  • সাতক্ষীরার সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আনিসুর রহিমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরার সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ আনিসুর রহিমের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার সাহসী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মোঃ আনিসুর রহিমের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে মরহুমের কবর জিয়ারত, কোরআনখানী, প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রি-ক্যাডেট স্কুলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাধ্যক্ষ ছন্দা রাহা।  সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মরহুমের স্ত্রী ড. দিলারা বেগম, ভ্রাতা সাবেক যুগ্ম সচিব আহমেদুর রহিম, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ আহমেদ বাপি, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন, রাজনীতিবীদ শেখ হারুণ অর রশিদ, আবুল হোসেন, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, অ্যাড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, রবিউল ইসলাম রবি, আলী নুর খান বাবলু, অধ্যক্ষ মোবাচ্ছেরুল হক জ্যোতি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন, সুরেশ পান্ডে, আমিনা বিলকিস ময়না, মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. মনির উদ্দীন, শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম সানা প্রমুখ। শিশুদের পক্ষ থেকে কোরআন তেলওয়াত, গীতা পাঠ এরং বক্তব্য রাখেন ফারহানুল ইসলাম লাবিব, তাজনিম জাহান জুই ও অংকিত মিত্র।

    বক্তারা বলেন, আনিসুর রহিম শুধুমাত্র একজন সাহসী সাংবাদিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষের পাশে থাকার জন্য সরকারি কলেজের চাকুরী ছেড়ে বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসিক ভূমিকা পালন করেও তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেননি। পারিবারিক বিত্ত বৈভবের মধ্যে আয়েশে জীবন কাটানোর সুযোগ ফেলে আজীবন চলেছেন গরীব দুখী মেহনতী মানুষের সাথে। তিনি ছিলেন একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।

  • ব্রহ্মরাজপুর ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

    ব্রহ্মরাজপুর ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা :বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে জেয়ালা বায়তুল মামুর   জামে মসজিদে এ যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    যুব সমাবেশে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ৯ নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জাকির হোসাইন।
    ৯ নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জামায়াতের আমির মাওলানা মোশারফ হোসাইন।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা  সহকারী সেক্রেটারি  মাওলানা মাহফুজুর রহমান, সদর উপজেলা  জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সবুর ও অধ্যাপক সহিদুল রহমান,মাওলানা ওসমান গণি,ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন টিম সদস্য  মাওলানা রফিকুল ইসলাম, হাফেজ নজরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল লতিফ,হাফেজ নজরুল ইসলাম, হাফেজ শাহিদুজ্জামান, এবাদুল ইসলাম, প্রমুখ।
  • সাতক্ষীরায়  ১২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ

    সাতক্ষীরায়  ১২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ

    সাতক্ষীরা সীমান্তে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বিজিবি।
    সোমবার (২৩ ডিসেম্বর)  সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ ভোমরা বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১২ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
    সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ ভোমরা বিওপির দায়িত্বাধীন লক্ষীদাড়ি নামক স্থান দিয়ে মাদকদ্রব্য ভারত হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আগমন করবে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ৩ হতে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন লক্ষীদাড়ি  নামক স্থানে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মালামাল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। উক্ত স্থানে তল্লাশী করে ১২ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
    বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
    দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।
  • সাতক্ষীরায়  পৌর বিএনপি’র র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    সাতক্ষীরায় পৌর বিএনপি’র র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
    কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও
    বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে শহরের পরিবহন কাউন্টারের সামনে
    সাতক্ষীরা পৌর বিএনপি’র আয়োজনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল-মামুন রাজ’ুর
    সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক
    সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মো. আবুল হাসান হাদী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি
    বলেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের মূল নায়ক হচ্ছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ঘুনে
    ধরা রাষ্ট্রকে ঘষে মেজে পরিস্কার ও সংস্কার করার জন্যই এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কিন্তু এতে করে শহীদ
    প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯দফার কোন ক্ষতি বা পরিবর্তন হয়নি। তিনি সে সময়ে দেশের
    এবং দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের এই ১৯দফা দিয়েছিলেন।
    তিনি আরো বলেন, সব থেকে ঘৃন্য ব্যক্তি হচ্ছে পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনা।
    তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন কোন কাজ নাই যে করেন নি। মাত্র ৩৬ দিন এই খুনি হাসিনা প্রায়
    ষোলশ এর বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। সেইসাথে গুরুতর আহত হয়েছে প্রায় ২০হাজারের বেশী।
    অনেকে পঙ্গু ও অন্ধ হয়ে গেছেন। এই নিসংশ হত্যাকান্ডেরও দ্রুততার সাথে বিচার কারার দাবী জানান
    তিনি।”
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক আতাউর রহমান ও জেলা
    যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ। আলোচনা
    সভার শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চায়না বাংলা
    শপিং সেন্টারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় র‍্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শাহজাহান
    বিশ্বাস, কামরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মধু, আরিফ, আলমাস, সুজন, বকুল, শাহিন, সাইফুল, মন্টু,
    মোন্তাজ,সাইফুল, আনারুল, সালাম, নিশাত, সাদ্দাম, ইভান, আজিজ, রফিকুল ইসলামসহ পৌর বিএনপ্#ি৩৯;র
    বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষক দলের
    সাবেক সদস্য সচিব শাহিনুর রহমান শাহিন।
    ক্যাপশন : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির
    সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় পৌর বিএনপি’র
    উদ্যোগে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন মো. আবুল হাসান হাদী।

  • ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

    ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার

    সাতক্ষীরার ভোমরার ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ আলী হাসান খান হাবলু ও সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম কর্তৃক ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সু-স্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সাতক্ষীরা পৌর শাখার ৯ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হইল। দলের নেতা কর্মীদের তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। স্বেচ্ছাসেবক দল পৌর কমিটির আহ্বায়ক আলী হাসান খান হাবলু ও সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।

    প্রসঙ্গত, ভোমরার মেসার্স মা ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী মোঃ আমির হামজার কর্মচারী শওকত আলী ও ওবায়দুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক থেকে ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫শ’ টাকা তুলে মোটরসাইকেলে ভোমরায় যাচ্ছিল। শওকত আলী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল এবং ওবায়দুল্লাহ টাকার ব্যাগ নিয়ে তার পিছনে বসে ছিল।

    একপর্যায় বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কের আলিপুর ঢালীপাড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশনের সামনে বালির গাদার কাছে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা হাতুড়ি দিয়ে শওকাতের মাথায় আঘাত করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান মুন্নাকে আটক করে। পরে তাকে পুলিশের সোপর্দ করা। বাকি ৪ ছিনতাইকারী টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

    এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আমির হামজা বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মেহেদী হাসান মুন্না শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুজাতা আমিন এর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এসময় সে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের সাথে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিকসহ পাঁচজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

  • দুই মাসে বাংলাদেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

    দুই মাসে বাংলাদেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

    পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রাখাইন থেকে গত দুই মাসে বাংলাদেশে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই দুর্নীতির কারণে জল-স্থল সীমান্তের নানা রুট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে।

    রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজ মন্ত্রণালয়ে সদ্যসমাপ্ত ব্যাংকক সফর নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককে ছয় দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ে।

    গত দুই মাসে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে নতুন করে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের নীতিগতভাবে অবস্থান ছিল আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দেব না। তবে পরিস্থিতি কখনো কখনো এমন দাঁড়ায় যে আমাদের কিছু আর করার থাকে না। সে রকম পরিস্থিতিতে আমরা ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে ঢুকতে দিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে যে তাঁদের ঢুকতে দিয়েছি, তা–ও নয়, তাঁরা বিভিন্ন পথে ঢুকেছে।’

    তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আর একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রচুর দুর্নীতি আছে সীমান্তে। এটা অস্বীকার করার কোনো অর্থ নেই। দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর ঢুকে যাচ্ছে (রোহিঙ্গারা)। নৌকা নিয়ে ঢুকছে। তবে একটা সীমান্ত দিয়ে যে ঢুকছে বিষয়টা এমন নয়। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে যে ঢুকছে এটা আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে। তবে আমি মনে করি না আর একটি ঢল আসবে। যদিও অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই আশঙ্কা আমাদেরও আছে। তবে সেই ঢলকে আটকানোর ব্যবস্থা করতে হবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই।’

    মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তাঁকে (থান সোয়ে) বলেছি মিয়ানমার সীমান্তে তো তোমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সীমান্ত তো রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তির (নন–স্টেট অ্যাক্টর) নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। রাষ্ট্র হিসেবে তো আমরা নন-স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি না। কাজেই তাদের দেখতে হবে কোন পদ্ধতিতে সীমান্ত ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।’

    রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলে কীভাবে অশনিসংকেত সৃষ্টি করছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এখন বয়স্ক যেসব রোহিঙ্গা আছেন, তাঁরা হয়তো পরিস্থিতি মেনে নেবেন। তবে আগামী ৫ বছর পর যেসব তরুণ রোহিঙ্গার বয়স ২০ বছর হবে, তাঁরা বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। তখন আমাদের সমস্যা বেশি হবে ঠিকই, তবে সেই সমস্যা প্রত্যেকেরই হবে। এর মধ্যেই নৌকায় রোহিঙ্গারা অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন।

  • সাতক্ষীরায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

    সাতক্ষীরায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা  :

    কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি।
    রবিবার (২২ডিসেম্বর) বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক
    বিজ্ঞপ্তির সুত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ মাদরা বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে।
    গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি) এর অধিনস্থ মাদরা বিওপির দায়িত্বাধীন রেজারঘাট এবং কালিবাড়ি নামক স্থান দিয়ে চোরাচালানী মালামাল ভারত হতে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আগমন করবে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস ৮ আরবি হতে আনুমানিক ১০০-১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন রেজারঘাট এবং কালিবাড়ি নামক স্থানে পৃথকভাবে চোরাচালানী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চোরাকারবারীরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে মালামাল ফেলে দৌরে ঘন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। উক্ত স্থানে তল্লাশী করে ৪৫ বোতল ভারতীয় মদ এবং ১,৭৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
    চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
    বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।
    দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন
  • তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ-সমাবেশ

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা :

    তাবলীগ জামাতে সাদপন্থীদের বর্বোরিচত হামলার প্রতিবাদ ও সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সহসভাপতি কাজী এরতেজাসহ সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলকশাস্তির দাবীতে সাতক্ষীরা উলাম পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

    রবিবার ২২ (ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় নিউমার্কেট চত্ত্বর এলাকায় অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনশেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লীপি প্রদান করে।

    তাবলীগ জামায়াতের ভারতীয় নেতা মাওলানা সাদসহ তার অনুসারীদের নিষিদ্ধ করতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভারতীয় নাগরিক সাদ কোনো আলেম না। তিনি আমেরিকা ও ইহুদিদের ইন্ধনে বাংলাদেশের তাবলীগ জামায়াতকে বিভক্ত করতে কাজ করছে। ভারতীয় মুসলিম বিদ্বেষীদের হয়ে ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলা চালিয়ে দেশের শতশত আলেমকে রক্তাক্ত করেছিলেন।

    এমন কি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব, দেশের সর্বমহলের শ্রদ্ধেয় আলেম আব্দুল মালেকসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় তাবলীগ জামায়াতের শত বছরের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করতেই সাদপন্থীরা কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র কোনো দিন মেনে নেবে না। তাই আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া হলো তাবলীগ জামায়াত নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। আর না হলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।

    বক্তারা আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সাদপন্থীদের যদি সঠিক বিচার না করা হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এই সাদপন্থীদের তাবলীগ জামায়াতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ২০১৮ সালে তারা ইজতেমা মাঠে জঙ্গীদের মতো শোডাউন করেছে। তারা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদীদের মদদে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ওলামায়ে কেরামগণ।

  • সাতক্ষীরা জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভা  অনুষ্ঠিত 

    সাতক্ষীরা জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভা  অনুষ্ঠিত 

    মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা কৃষি ঋণ কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (২২ শে ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ’র সভাপতিত্বে  ও
    জনতা ব্যাংক পিএলসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ রুকনজ্জামানের সঞ্চালনায় জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন  সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডিজিএম  মোঃ শাহ আলম,বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
    পিএলসির এসএম কাইয়ুম, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির ডিজিএম মোঃ মশিউর ইসলাম, রুপালী ব্যাংক পিএলসির এজিএম শংকার কুমার দাশ,জিসিও মোঃ পলাশ হোসেন,বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনার এডি মোঃ ইমন খান,সাতক্ষীরা বিআরডি ডিডি আবু  আফজাল মোহাঃ সালেহ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক স্পোস ম্যানেজার শাহীন মোখলেছুর রহমান, পূবালী ইসলামি ব্যাংক পিএলসির বিএম চন্দশেখর সরকার, যমুনা ব্যাংক পিএলসির এফএইউপি ও ম্যানোজার গাজী মোশাররফ হোসেনসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।