Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 113 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের ব্যাপকতার অভিযোগ, আমলে নিচ্ছে না সরকার

    ডেস্ক রিপোর্ট: এবারের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধানের আবাদে ছত্রাকজনিত ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগ ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতের ধান নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অনেকে ঋণ নিয়ে বোরো ফসলের আবাদ করেছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলন না পেলে কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। তবে সরকার বিষয়টি মানতে নারাজ। সরকারের এ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বলছে, এসব গুজব। এর কোনও ভিত্তি নেই।
    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,প্রতিবছর বোরো ফসলের মাঠের কিছু না কিছু অংশে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এটি ফসলের ক্ষতি ‘স্বাভাবিক নিয়মে’ পরিণত হয়েছে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যাপকতা আকার ধারণ করার কোনও তথ্য নেই। এ বছর বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, জেলা পর্যায় থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ব্লাস্টের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দেশে এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদন হবে, যা রেকর্ড।
    কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ব্লাস্টের কোনও খবর আমরা জানি না। যা শুনেছি, তা পত্রপত্রিকায় ও টেলিভিশনে। এসব প্রতিবেদন দেখার পর জেলা কৃষি অফিসগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি। সেখানকার কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবছরের মতো স্বাভাবিক নিয়মে এ বছরও কিছু জমিতে হয়তো ব্লাস্ট রোগ হয়েছে। তবে তা খুবই সামান্য। রেকর্ড করার মতো নয়। এটি এ বছরের বাম্পার ফলনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ এরপরও আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে সতর্ক রেখেছি, যাতে যেকোনও পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা যায়। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ করছে।’
    এদিকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রতিবছর প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করেই বোরো ফসল কৃষকের ঘরে ওঠে। এটি নতুন কিছু নয়। এ বছরও উঠবে। এ বছর বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি, এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হবে। মাঠের ফসল সম্পূর্ণ উঠলে মোট উৎপাদন পাওয়া যাবে।’
    এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বোরোর মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি, রোদ-খরা সবই হয় এবং হবে। এর ওপর ব্লাস্ট তো আছেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে এ বছর ব্লাস্ট যা হয়েছে, তা হিসাবে আনার মতো নয়। প্রতিবছর কিছু না কিছু জমিতে হয়। এবারও হয়েছে। এটি মোট উৎপাদনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে হয়তো বলবেন, বৃষ্টিতে ধান শুকাতে পারেননি কৃষক। আবার কেউ বলবেন, খরার কারণে বোরো ধানের চিটা হয়ে গেছে। আবার কেউ বলবেন, ব্লাস্ট রোগ উৎপাদন ব্যাহত করেছে। এসবই গুজব। এ বছর সবই হবে। তারপরও বাম্পার ফলনের বোরো কৃষকের ঘরে উঠবে।’
    সরকার এ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চাল উৎপাদনে কেজিপ্রতি কৃষকের জন্য মুনাফা বাবদ ২ টাকা যুক্ত করে প্রতি কেজি সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৩৮ টাকা দরে। আর আতপ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে প্রতিকেজি ৩৭ টাকা দরে। আর বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে ২৬ টাকা কেজি দরে। সম্প্রতি সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    জানা গেছে, এ বছর সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৮ লাখ টন এবং আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১ লাখ টন। বাকি ১ লাখ টন চালের জন্য দেড় লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে। আগামী ২ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
    এদিকে গাজীপুর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরের চাষীরা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এসব জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
    কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কৃষকের ভুলের কারণে কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কোনোভাবে আমলে নিচ্ছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
    জানা গেছে, এসব জেলার কৃষকেরা জমিতে সবুজ ধান গাছের চারা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কিন্তু ধানের ছড়া বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাতাগুলো বাদামি, আবার কখনও সাদা বর্ণের হওয়া শুরু করে। কিছুদিন পর থেকে ছড়ার গোড়ার অংশে কালো হয়ে ধানের ছড়াটাও বাদামি ও সাদা বর্ণের হতে শুরু করে। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনও কাজ হয়নি। ১ একর জমির ধান কাটার খরচ পড়বে ৯ হাজার টাকা। খড় পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার।

    কৃষকদের অভিযুক্ত করে কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, কৃষকেরা নিয়ম মেনে ওষুধ প্রয়োগ করেন না। জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি হলেও এ রোগের আক্রমণ ঘটে। প্রথমে ধানের পাতা পরে ধান গাছের গিঁটে ও সবশেষে শীষে এ রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। তাদের মতে, ধান গাছে আক্রমণের পর ন্যাটিভো, ডাইমেনশন, ফিলিয়া জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু কৃষকেরা তা করেননি।
    এ বিষয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘এবার শ্রীপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
    বাংলা ট্রিবিউনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে। এ বছর বোরো ধান থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭২ মেট্রিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বোর ধানের বাম্পার ফলন হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আবহাওয়ার কারণে অর্থাৎ দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা, মেঘলা আবহাওয়া, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে কিছু কিছু এলাকার ফসলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছিল। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখায় ও পরামর্শ দেওয়ায় এ রোগ বাড়তে পারেনি। এ কারণে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
    জামালপুরের ৭ উপজেলায় ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানক্ষেতে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে। অন্য জাতের ফলন ভালো হলেও ব্রি-২৮ জাতের ক্ষেতে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে অধিকাংশ জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। আক্রান্ত জমিতে শীষ থাকলেও তাতে চাল নেই।
    জামালপুরের কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত এই রোগটি দেখা দেয়। ব্লাস্ট রোগে যেন ক্ষেত আক্রান্ত না হয়, সেজন্য আমরা সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রচারপত্র বিলি করেছি। তারপরও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ব্লাস্ট ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, এই রোগটি আর ছড়াবে না।’
    এদিকে গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোর মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু জেলায় আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন।
    গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ ক ম রুহুল আমীন বলেন, ‘জেলায় মাত্র ৫০০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের স্প্রে ব্যবহার করাসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।’ এ রোগে মোট উৎপাদনে কোনও ঘাটতি হবে না, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চালের উৎপাদন অর্জিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
    বাংলা ট্রিবিউনের রামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সারাদেশের মতো বিরামপুরেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ। ছত্রাক জাতীয় এ রোগের আক্রমণে ধানের শীষ সাদা ও পাতা ধূসর বর্ণ ধারণ করছে। এ রোগে চিটায় পরিণত হচ্ছে ধান। শেষ সময়ে ধানে ব্লাস্ট রোগ সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা কৃষক। যখন শীষে সংক্রমণ হয় তখন ছত্রাকনাশক দিয়ে কোনও উপকার হচ্ছে না।
    বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন। নেক ব্লাষ্ট রোগে সংক্রামিত জমি থেকে ধানের ফলন কম হলেও সার্বিকভাবে কোনও প্রভাব পড়বে না ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায়।

  • অবৈধ্যভাবে ড্রেন নির্মাণ করে পথ রুদ্ধ করার অভিযোগ

    শহর প্রতিনিধি: সদর উপজেলার পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গীর মো. আসাদুজ্জামান সোহাগের বিরুদ্ধে পৌরসভার জমিতে প্রাচীর নির্মাণ ও প্রতিবেশী মারুফ হোসেনের রেকর্ডীয় জমিতে ড্রেন তৈরি করে চলাচলের পথ রুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।
    রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন শহরের পলাশপোল মধুমোল্লারডাঙ্গীর মো. মারুফ হোসেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে মধুমোল্লারডাঙ্গীর সরদার পাড়ায় পৌরসভার সড়কের পাশে ১১০৪২ দাগে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন তিনি। কিন্তু তার প্রতিবেশী আসাদুজ্জামান সোহাগ বাড়ির পাশে খালি জায়গায় তার দরজার সামনে প্রাচীর নির্মাণ করেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে পৌরসভায় আবেদন করলে আসাদুজ্জামান পৌরসভার জায়গা দখল করবেন না বলে অঙ্গিকার করেন। অথচ এরপরও তিনি পৌরসভার খালি জায়গা দখল করে গাছ গাছালি লাগিয়েছেন। এ বিষয়ে পুনরায় পৌরসভাকে জানানো হলে সার্ভেয়ার মাপ জরিপ করে স্কেচ তৈরি করে পৌরসভার জমি থেকে সরে যাবার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তারপরও আসাদুজ্জামান সোহাগ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মারুফ হোসেনের বাড়ির সামনে ফের ড্রেন নির্মানের লক্ষ্যে খনন করেন। এ সময় তিনি বলেন পৌরসভার কথা মানিনা। এতে বাধা দেওয়ায় তিনি মারমুখী হয়ে ওঠেন। বিষয়টি সাতক্ষীরায় থানায় জানানো হলে এসআই হুমায়ুন কবির ১৩ ফেব্রুয়ারি গাছগাছালি অপসারন করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের নির্দেশ দেন সোহাগকে।
    সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন এসব বিষয় তুলে ধরে বলেন, এসব কিছুর তোয়াক্কা না করেই সোহাগ ৮/১০ জন নারী পুরুষ নিয়ে গত ৪ মে একই জায়গায় ড্রেন নির্মান করে তার যাতায়াতের পথ রুদ্ধ করেছেন। মারুফ হোসেন এর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিকার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

  • তাঁতী লীগ নেতার বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুরের অভিযোগ

    শহর প্রতিনিধি: জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে চায়ের দোকান ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও পত্রিকায় মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ করেছে সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার আমির চাঁদ এর ছেলে চায়ের দোকানি ও তাঁতী লীগ নেতা হেলাল উদ্দীন।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে গত রোববার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুলতানপুর বড়বাজারে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পাশে খালধারে একটি খাস জমির উপর চায়ের দোকান নির্মাণ করে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি। একই সাথে জেলা তাঁতী লীগের জন্মলগ্ন থেকে আমি সুনামের সাথে পৌর ৪ নং ওয়ার্ড তাঁতী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে অসছি। জেলা তাঁতী লীগের স্থায়ী কার্যালয় না থাকায় নেতৃবৃন্দ আমার চায়ের দোকানকে তাঁতী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। সেই সুবাদে তৎকালিন জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান তুহিন সংগঠনকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে নিজ খরচে আমার চায়ের দোকানে পৗর ৪নং ওয়ার্ড তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।
    তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি জেলা তাঁতী লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি অনুমোদিত হলে উক্ত কমিটির সদস্য সচিব পরিচয়ে মনিরুজ্জামান তুহিন গত ৩ মে সকালে ০১৭১১-১৬৭১৮২ নম্বর থেকে ফোন করে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কারণ জানতে চাইলে তুহিন বলে যে, কেন্দ্র হতে কমিটি নিয়ে আসতে আমার কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে তুই কিভাবে সভাপতির পদে থাকিস এবং তোর দোকান ওখানে কিভাবে থাকে আমি তা দেখে নেব। বিষয়টি পৌর তাঁতী লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে জানালে তারা আমার দোকানে আসতে সম্মত হন। তার আসার আগেই সন্ত্রাসী তুহিনের নেতৃত্বে ইটাগাছা এলাকার হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেন, একই এলাকার জেএমপি সদস্য শাহাবুদ্দিন, কাজী মারুফসহ অজ্ঞাত ৫/৬জন লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার চায়ের দোকনে এসে হামলা চালায়। এসময় তারা আমার দোকন ভাংচুর করারসহ দোকানে রক্ষিত জাতীর পিতা ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি এবং তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদকের ছবিযুক্ত পোষ্টার ছিড়ে ফেলে তান্ডব সৃষ্টি করে। প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা আমিসহ দুই শিশু সন্তান রাজু ও সাজুকে মারপিট করে। খবর পেয়ে জেলা তাঁতী লীগের নেতৃবৃন্দ এসে প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায়।
    হেলাল উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, জেএমপি সদস্য শাহাবুদ্দিন সিরাজ দীর্ঘদিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরে তাঁতী লীগ নেতা তুহিনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের করেছে। বর্তমানে তুহিন জামায়াত ও জেএমবি সদস্যদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। যা প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্থ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি এব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে তিনি সাংবাদিকের মিথ্যে তথ্য দিয়ে ও ভূল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইনে মিথ্যে সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

  • সাংবাদিক কাজী ময়নার ভাবীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শোক

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক অর্থ সম্পাদক, দৈনিক কল্যানের সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি কাজী শওকাত হোসেন ময়নার ভাবী ও সাতক্ষীরা অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন ইন্তিকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতার হালেন প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুর ওয়াজেদ কচি, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.: রবিউল ইসলাম, অর্থ-সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না, দপ্তর সম্পাদক আহসানুর রহমান রাজীব, নির্বাহী সদস্য আব্দুস সামাদ, ইব্রাহিম খলিল, কৃষ্ণ মোহন ব্যনার্জী, আমিনুর রশীদ, অসীম বরণ চক্রবর্তী প্রমুখ।
    ী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

  • সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের নির্বাচনে মকুল-উজ্বল পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয়

    শহর প্রতিনিধি: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে মকুল-উজ্বল পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয়ী হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে বিকাল ৫টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহম্মেদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন, সাতক্ষীরা বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ ও জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক। সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সভাপতি পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক হওয়ায় বাকী ২৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে যথাক্রমে কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল ৭৪ ভোট (সর্বোচ্চ), আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা ৬০ ভোট ও আলহাজ্ব শেখ মামুনুর রশিদ ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা যথাক্রমে, আলহাজ্ব বজলুর রহমান ৪৮ ভোট, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু ৪৩ ও কাজী সিরাজুল হক ৩৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান উজ্বল। তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক পেয়েছেন ৩৭ ভোট। যুগ্ন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোনায়েম খান চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আঃ মাসুদ পেয়েছেন ৪০ ভোট। সহ-সম্পাদক পদে আব্দুর রহমান ৭৪ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী আমিরুল হক আহাদ পেয়েছেন ৩৩ ভোট। ক্যাশিয়ার পদে ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে আবুল কাসেম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু দাউদ পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
    সদস্য পদে নির্বাচিত হযেছেন যথাক্রমে, আলহাজ্ব মো. আব্দুল খালেক, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ, আলহাজ্ব শেখ আবুল কালাম, জি, এম মাহবুবুর রহমান, মীর আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক, এ্যাড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, ডা. একরামুল হক, আব্দুল আলিম, হাফিজুল আল মাহমুদ, মাহমুদুল হক, হাবিবুর রহমান রনি, আজহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব শেখ আলমগীর হাসান, আহছান কবির, জুলফিকার হায়দার ও সৈয়দ মাহমুদ পাপা।

  • শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা অন্য কেউ নয়-আসাদুজ্জামান বাবু

    শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা অন্য কেউ নয়-আসাদুজ্জামান বাবু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণ সংযোগ করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু। নির্বাচনী গণসংযোগ উপলক্ষ্যে একটি মটরসাইকেল শোভাযাত্রা গত শুক্রবার বিকালে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রহ্মরাজপুরের মেল্লেকপাড়া এলাকায় জনসভায় মিলিত হয়। শোভাযাত্রায় প্রায় ৪ শতাধিক মোটর সাইকেল অংশ নেয়।

    ব্রহ্মরাজপুরের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    এসময় সাতক্ষীরা সদর-২ আসন থেকে আগামী মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, শিক্ষার্থীদের বিনামুল্যে বছরের প্রথম দিনেই বই এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই। তিনি আরো বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও যাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

    বাবু আরো বলেন, আমি আপনাদের এলাকারই সন্তান বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে আপনাদের খেদমত করতে পারছি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে পারি সেজন্য আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। সর্বশেষ তিনি বলেন, দেশ ও জনগনের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা অন্য কেউ নয়। এজন্য মুক্তিযদ্ধের পক্ষের সরকারকে আবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে দেশ ও জনগনের সার্বিক উন্নয়নের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।

  • জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

    জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

    শহর প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা । এরই মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তর গোলার্ধে বরফ গলছে। দেশ জুড়ে দুর্যোগও বাড়ছে।

    গবেষণা ভিত্তিক এসব তথ্য তুলে ধরে ‘জলবায়ু পরিবর্তন, শ্যামনগর উপজেলার বিপন্নতা ও ঝুঁকি’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তারা বলেন, জলবায়ু তহবিল গঠন, নীতিমালা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের জন্য স্বচ্ছতার সাথে কাজ করতে হবে।

    একই সাথে উপকূলের বাঁধ নির্মাণ সংস্কার জোরদার করে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ সম আলাউদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, এ অঞ্চলে ঘুর্নিঝড় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ১৯৭০ এর গোর্কি থেকে এ পর্যন্ত ১৪ টি ভয়াল ঘুর্নিঝড় আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশের ৭২০ কিলোমিটার উপকূলে জলোচ্ছাস, দুর্যোগ বেড়েই চলেছে। কালবৈশাখী ঝড়ের ছোবল ও তীব্রতা বাড়ছে। বজ্রপাতে গত সাত বছরে দেড় হাজার মানবসন্তানের প্রাণহানি ঘটেছে। পানি ও মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। পানীয় জলের সংকটও তীব্র হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ বাস্তুত্যাগী হচ্ছে।

    ‘গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান’ (সিএসআরএল) আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জলবায়ু পরিষদের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. নাজিমউদ্দিন।

    প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সিএসআরএলএর প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। তিনি বলেন, এই পুস্তিকা তথ্যবহুল। এই পুস্তিকা ব্যবহার করে জলবায়ু মোকাবেলায় আরও বেশি বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

    সূচনা বক্তব্যে সিএসআরএলএর সাধারণ সম্পাদক লেখক গবেষক জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, ২০০৯ এর ২৫ মে আঘাত হানা ভয়াল আইলায় ল-ভ- হয়ে যায় দেশের দক্ষিণ জনপদ বিশেষ করে সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জেলা। গৃহহারা আট লাখ মানুষ তাদের সহায় সম্বল নিয়ে টানা দুই বছর রাস্তায় কাটিয়েছে। সে সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জীবন ও সম্পদ। সংযোগ সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। পানীয় জলের উৎস হারিয়ে গেছে। উপকূলীয় বাঁধ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। কৃষি সম্পদ ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষের কর্মসংস্থানও নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় তারা পড়েন খাদ্য সংকটের মুখে। এসব তথ্য তুলে ধরে জিয়াউল হক মুক্তা বলেন, সে সময় বিশেষজ্ঞরা বলেন আগামী ৯৮ বছরে তাপমাত্রা যেন ২ ডিগ্রীর বেশি না হয়। অথচ এই প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আগামি ১০০ বছরে তিন ডিগ্রী বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন এমনটি হলে আইলার চেয়েও ভয়ানক দুর্যোগ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।

    তিনি বলেন, এখন বিপন্নতা মোকাবেলার সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। এর জন্য দরকার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন, অর্থায়ন, উপকূলীয় বাঁধ রক্ষনাবেক্ষণে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ ভাঙ্গার আগে কিছু করতে পারে না। আবার বাঁধ ভাঙ্গলেও অর্থাভাবে কিছু করতে পারে না। এ অবস্থা থেকে সরে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন প্রকৃত ঝুঁকি কোথায়, কারা কারা বিপন্ন হতে পারে এবং সরকার কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তার সমন্বয় হওয়া দরকার।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন আরও বলেন, সরকার জলবায়ু খাতে প্রতি বছর এক বিলিয়ন অর্থাৎ এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন এই অর্থের শতকরা ৭৭ থেকে ৭৮ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। বাকি ২২ -২৩ শতাংশ আসছে বৈদেশিক অর্থ থেকে। তিনি বলেন শিল্পোন্নত দেশগুলির কার্বন নিঃসরন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আমরা বিপন্নতার শিকার হচ্ছি। উপকূলে পানিতে লবনাক্ততা বাড়ছে। খাবার পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এখন নিজেদের অস্তিত্বের প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এজন্য দরকার তিনটি বিষয়। এক পলিসি প্রণয়ন। দুই অর্থায়ন এবং তিন বাস্তবায়ন। তিনি বলেন এসব বিষয়ে সরকার পূর্নমাত্রায় সচেতন রয়েছে। এরই মধ্যে তিন হাজার কোটি টাকার জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ এখন আর আর দরিদ্র নয় । দেশটি স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে পৌছেছে। এজন্য বৈদেশিক সাহায্য পাবার সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার অর্থ সংগ্রহে তৎপর রয়েছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসচেতনা বাড়াতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয় ক্ষতি মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধি হিসাবে যতোটা সম্ভব আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে। আপৎকালিন তহবিল গঠন করে বাঁধ নির্মানের সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি ও তা মোকাবেলার কথা জনগনের কাছে পৌঁছাতে হবে। এতে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন জেলা পরিষদের ১৩১ টি পুকুর খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএমএ মামুন বলেন শুধুমাত্র প্রকৃতিগত কারণে নয় , স্থানীয় নানা কারণে আমাদের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রকল্পের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন জনপ্রতিনিধিরা সরকারের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারেন।

    তিনি আরও বলেন উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হচ্ছে। সাতক্ষীরার ৩৭৭ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ, ১২১ টি স্লুইস গেট ও ১২৬ টি খালের রক্ষনাবেক্ষণে পাউবো কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহসিন উল মুলক, জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি ডা. আবুল কালাম বাবলা, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. শাহনাজ পারভিন মিলি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিএসআরএলএর সমন্বয়ক প্রদীপ কুমার রায়। অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি ও গনমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
    প্রকাশনা অনুষ্ঠানে শ্যামনগরের ১২ টি ইউনিয়ন পরিষদে জলবায়ু ঝুঁকি এবং ঝুঁকি নিরসণে কি কি করনীয় তা তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে গুরুত্ব লাভ করেছে বাঁধ নির্মাণ সংস্কার, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লবন সহিষ্ণু ধান উৎপাদন, চিংড়ির সাথে ধান উৎপাদন, বাঁধ কেটে চিংড়ি চাষ না করা, লবনাক্ত পানি কৃষি জমিতে উঠোনো বন্ধ করা, খাল জলাশয় উন্মুক্ত রাখা, আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান, জনসচেতনতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি।

  • ইটাগাছা এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো আম জব্দ

    ইটাগাছা এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো আম জব্দ

    শহর প্রতিনিধি: শহর থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৩’শ মণ আম জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের ইটাগাছা এলাকা থেকে উক্ত আমগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় ডিবি পুলিশ কোন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়নি।
    সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জুলফিকার আলী জানান, সাতক্ষীরার দেবহাটা এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি কার্বাইড মেশানো আম আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল ৯টার দিকে শহরের ইটাগাছা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে কার্বাইড মেশানো ট্রাকভর্তি ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৩’শ মণ আম জব্দ করা হয়। তবে, এ সময় আমের মালিকসহ ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান, জব্দকৃত কার্বাইড মেশানো আমগুলো পরে ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।

  • জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত হয়েছে। জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন।

    মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানগণ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করেন। এই উপলক্ষে সদর উপজেলাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানগণ কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেছেন।
    বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে-মসজিদে সারারাত চলে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী ও মোনাজাত। রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগী, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানগণ মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতেও ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।
    এদিন সবার ঘরে ভালো-ভালো খাবার-দাবার রান্না করা হয়, এসবের মধ্যে রয়েছে রুটি, বিভিন্ন রুচির হালুয়া ও মিষ্টান্ন। বিকেলে প্রতিবেশীদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ ও পরিবেশন করা হয়। গরীব-দুঃখীদের মধ্যেও খাবার বিতরণ ও অর্থ দান করা হয়।
  • সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    শ্যামনগর প্রতিনিধি: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণ করতে গিয়ে দলবদ্ধ মৌমাছির কামড়ে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের সাপখালী নামক স্থানে মধু আহরনের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
    নিহতের নাম হযরত আলী (৫০)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের আইজুদ্দিন তরফদারের ছেলে।
    নিহতের চাচাতো ভাই মিলন ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, সুন্দবনের সাপখালী নামকস্থানে কেওড়া গাছে উঠে মধু আহরণের সময় দলবদ্ধ অসংখ্য মৌমাছি তাকে আক্রমন করে। এ সময় মৌামাছির কামড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তার সাথে থাকা অন্যান্য মৌয়ালরা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা কে.এম কবির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের মাল্টি কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০২ মে) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠানটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিব হোসেন নান্নু ও কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল।
    সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এঁর হাতে গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের একজন (দোকান) ভাড়াটিয়া কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কোনো সাধারণ সভার অনুমোদন, দরপত্র আহবান, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাড়াই মিশনের মাল্টি-কমপ্লেক্স নির্মাণের নামে লুন্ঠণ শুরু করেছেন। তিনি নিজে কিভাবে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছেন তা কারও বোধগম্য নয়। নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে মিশনকে স্থায়ীভাবে ঋণগ্রস্ত করছেন। আবু সোয়েব এবেল এই মাল্টি-কমপ্লেক্স নির্মাণের তত্বাবধায়ক পরিচয় দিয়ে মিশনের ‘দোকারঘর’ বরাদ্দ দিচ্ছেন যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত। তারা বলেন, আগামী ৫ মে শনিবার, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৮-২০ সামনে রেখে মিশনের একটি দোকানের ভাড়াটিয়া আবু সোয়েব এবেল নির্বাচনের একটি পক্ষকে জয়ী করতে নগ্নভাবে মাঠে নেমেছেন। মরিয়া হয়ে উঠেছেন উক্ত প্যানেলটি বিজয়ী করার জন্য। তাদের পিছনে অর্থ খরচসহ নানামূখি তৎপরতা চালাচ্ছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভার রেজুলেশন খাতায় উল্লেখ আছে ‘মাল্টি কমপ্লেক্স’ নির্মাণ কাজ করতে আবু সোয়েব এবেল ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে দিবেন। পরবর্তীতে মিশন কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দোকান ঘরগুলো বরাদ্দ দিবেন এবং তার ঋণের টাকা পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন। কিন্তু কতিপয় স্বার্থনেষী কর্মকর্তা অবৈধ সুযোগ নিয়ে নিজেদের সুবিধামত করে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে দোকান ঘর বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্যে গালি-গালাজসহ দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি এসব নির্মাণ কাজেও চলছে চরম হরিলুট। সংবাদ সম্মেলনে তারা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার আহ্ছানিয়া মিশন থেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • অবৈধ্যভাবে সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পলাশপোল মৌজাধীন ডিএস ১৯৯৪নং খতিয়ানের ১২৮০ দাগে ১২ একর ৩৭ শতক জমি রেকর্ডীয় প্রজা আব্দুল হাই খাঁ ও তার দুই পুত্র আব্দুল ওহাব ও আব্দুল আহাদ খাঁ এর নিকট হইতে দেওয়ানী ৪৮/৪৭ নং মোকদ্দমায় সোলে সূত্রে আতিয়ার রহমান প্রাপ্ত হয়ে খাসে সত্ববান থাকা কালিন এক পুত্র আব্দুল কুদ্দুস ও এক কন্যা র্ঝণা খাতুনকে রেখে মারা যান। অতপর তারা দুজন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতে দেওয়ানী ১৫/১৬ নং মোকদ্দমা দাখিল করে পরিচালনা করে আসছে। উক্ত মোকদ্দমায় এডভোকেট কমিশনার সরেজমিন তদন্ত করে গত ইং ০৯/০৫/১৬ তারিখে আমার দখলে রয়েছে মর্মে রিপোর্ট প্রদান করেছেন। উক্ত মোকদ্দমায় বিবাদী পক্ষ আব্দুল কাদের খান দিং- তাদের দাবির পোষকে জাল নামপত্তন ও খাজনা দাখিলা দাখিল করায় বিজ্ঞ সাব জজ আদালত তাদের কাগজপত্র সেফ কাস্টডিতে নিয়েছে। এছাড়া উক্ত একই জমি নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১৮৬৫/১৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। তা খারিজ হয়ে গেলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ৩০০২/১৭ নং লিভ টু আপিল দাখিল করে। যা সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন আছে। এছাড়া জমি নিয়ে সরকার পক্ষ ৪৬/১১ নং সিভিল আপিল দায়ের করলে উক্ত মোকদ্দমায় আব্দুল কুদ্দুস দিং বিবাদী শ্রেণিভুক্ত হয়েছে। উক্ত সম্পত্তি অবৈভাবে দখল নেওয়ার জন্য শহরের কুখরালী এলাকার রহমত উল¬াহ গাজীর ছেলে জামায়াতের অর্থদাতা, নাশকতাকারী জামায়াত নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ একটি মহল পায়তারা চালাচ্ছে। এদিকে আমার জমির সাথে তার কোন সংশি¬ষ্টতা নেই। কিন্তু সে আমাকে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। বার বার তার করা অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হলেও সে শুধু মাত্র আমাকে হয়রানির উদ্যেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। ওই মহলটি আমাকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
    তিনি উক্ত ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের হাত রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    (more…)

  • সদর উপজেলা রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দবিস পালন

    সদর উপজেলা রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দবিস পালন

    শহর প্রতিনিধি: বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করেছে সাতক্ষীরা সদর উপজলো রং পালশি শ্রমকি ইউনয়িন (রেজিঃ নং খুলনা ২২১৭)। দিবসটি উপলক্ষ্যে সংগঠনটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠতি হয়। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে শহররে পাকাপুল মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় সভাপতত্বি করেন, ইউনিয়নের সভাপতি জুম্মান সরদার। প্রধান অতিিথ হসিাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজলো চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলী সুজন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক রেজাউল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল সাদকে, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, র্অথ সম্পাদক বাবুল আক্তার, সদস্য আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

  • জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

    জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃনং-খুলনা ৫৫০)। দিবসটি উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় টার্মিনালে গিয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান মনি। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, অটো মোবাইল মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম কালু। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদের তত্ববধানে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, কার্যকরি সদস্য হামিদুল ইসলাম। সভায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

  • কদমতলায় অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন

    কদমতলায় অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার কদমতলায় অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে কদমতলা বাজারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের পরিচালক মো. সালাউদ্দীন রানা।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর শেখ শরিফুদ্দৌলা সাগর, জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মো. শহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ম. জামান প্রমুখ।
    আলোচনা শেষে সেবার ব্রত নিয়ে পথচলা অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।
    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের আসলাম, লিটন সবুজ সহ সকল সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক আরশাদ আলী।

  • সাতক্ষীরায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান মে দিবস পালিত

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা শ্রমিক লীগ, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া খ- খ- র‌্যালিতে সাতক্ষীরা শহর মুখরিত হয়ে ওঠে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসন ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন, জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক আবু আহমেদ। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। এর পর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
    পরে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন শহরে খন্ড খন্ড র‌্যালী বের করে।

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পূর্বের অবস্থায় বলবৎ রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আপিল শুনানীর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    প্রকাশ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক রেখে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনে সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। নতুন নির্ধারিত সীমানা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ মিছিল এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
    মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গত ২৩ এপ্রিল শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) : একাদশ সংসদ নির্বাচনে কে হবেন নৌকার মাঝি !

    আ’লীগ-শরিকদের ১৩ জন,বিএনপি-জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে

    সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের আগামী একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচনী প্রচারনা জমে উঠেছে। ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে লবিংসহ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ থেকে শুরু করে উঠান বৈঠক,সভা সমাবেশ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে প্যানা সেটে জানান দিচ্ছে নিজেদের অস্তিত্বের কথা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ভ্যান স্ট্যান্ড পর্যন্ত সবখানে আলোচনার মূল বিষয় আগামী জাতীয় নির্বাচন। প্রার্থীদের তৎপরতার পাশাপাশি ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীতা নিয়ে। কারা হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে। এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের একক প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে থাকলেও সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও জোটের শরীকদের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন লড়াইয়ে মাঠ গরম রেখেছেন।
    তবে এক্ষেত্রে আ’লীগ ও তার সমমনা দলগুলো এগিয়ে থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের কর্মকান্ড বিশেষভাবে চোখে পড়ছেনা। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে দলীয়-কর্মকান্ড দৃশ্যমান না হলেও বিএনপির একক প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। নেতা-কর্মীরা তাকেই দলীয় প্রার্থী দেখতে চান।
    এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হলেও মূলত ভোটারদের মধ্যে নানা বিষয় কাজ করছে। কারা প্রার্থী হচ্ছেন এবং কাদের ভোট দিলে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। মহাজোট চাইছে আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে আর ২০ দলীয় জোট চাইছে আসনটি পুনরুদ্ধারে। এক্ষেত্রে আ’লীগের জন্য আবারো থাকছে শরীক দল ওয়ার্কাস পার্টি। মহাজোটের পক্ষে আসনটি ধরে রাখার ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত হলেও বড় সমস্যা তাদের প্রার্থীতা নিয়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি আসনটিতে আ’লীগের ভাল অবস্থান থাকলেও মোর্চার কারণে গতবার তারা শরীকদের ছাড় দিলেও এবার তারা চাইছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দলীয় প্রার্থী নিয়ে।
    সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের টিকিটে নৌকা প্রতীক নিয়ে শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাডঃ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ নির্বাচিত হলেও এবার আ’লীগ আর আসনটি তাদের ছাড় দিতে চাইছেননা। পক্ষান্তরে ওয়ার্কার্স পার্টি ফের জোটগত আসনটি ধরে রাখতে চায়।
    এর আগে ৯ম সংসদ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চারদলীয় জোটের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে হারিয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান। আ’লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি, ফিরিয়ে দেয়া হোক তাদের নিজ ঘরানার প্রার্থীতা। কেননা,সর্বশেষ রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতার মধ্যে আ’লীগ মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান ভাল এবং দেশ এখন উন্নয়নের সোপানে আরোহন করছে। এমন নানা দৃষ্টিকোন থেকে ঘুরে-ফিরে ভোটারদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী। বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ? আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী না কি অপর শরীক জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত নাকি অন্য কেউ?।
    সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া দুটি উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১০৫ (সাতক্ষীরা-১) আসনটি। সর্বশেষ তালিকানুযায়ী এখানকার ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৮১৮ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩ জন। আসনটিতে স্বাধীনতা পরবর্তী জামায়াতের অ্যাডভোকেট শেখ আনছার আলী ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত একবার করে ও বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব দু’বার,ওয়ার্কাস পার্টি একবার ও বাকি সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মূলত ঐ সমীকরণ ও নানা কারণে সাতক্ষীরার এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
    ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত শরিক দল ওয়ার্কার্স পাটির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে প্রার্থীতা দিলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। ঐ নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি-জামায়াত অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মুজিবের সঙ্গে।
    এর আগে গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। জোট প্রথা শুরুর পর আসনটিতে বিএনপিকে জামায়াতের ওপর ভর করে আর ওয়ার্কার্স পার্টিকে আ’লীগের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ায় মূলত জোট নির্ভর হয়ে পড়ে আসনটি। তবে আসন্ন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব মামলা জটিলতায় অথবা যেকোনো কারণে প্রার্থী হতে না পারলে আর বিএনপির মিত্র জামায়াত তাদের জোটবদ্ধ থাকলে এ আসন থেকে তাদের প্রার্থী হতে পারেন,জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। এদিকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হৃত আসনটি পুনরুদ্ধারে গত চার বছরে দৃশ্যত দলীয় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেনি তারা। রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতায় তাদের শ’ শ’ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মামলায় জড়িয়ে জেল-হাজতবাসসহ আত্মগোপন কিংবা মামলা এড়াতে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নিরব রয়েছেন তারা।
    অন্যদিকে পাওয়া না পাওয়া থেকে শুরু করে নানা সংকটে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে আ’লীগও ভাল নেই। তালা উপজেলা আ’লীগের রয়েছেন পরষ্পর দু’গুরুপে। উপজেলা আ’লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র দূরত্ব সেই প্রথম থেকে।
    আসনের অপর উপজেলা কলারোয়ার চিত্রও অনুরুপ। সেখানকার আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সঙ্গে রয়েছে সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর চরম দ্বন্দ্ব। সব মিলিয়ে আ’লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র সাথে আ’লীগের দুরত্ব আসন্ন নির্বাচনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
    তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল নিরসন না হলে এ আসনটিতে একদিকে আ’লীগের জন্য পরাজয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে,তেমনি শরিক দলের প্রভাবে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন আ’লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে কপাল খুলতে পারে মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি কিংবা জাতীয় পাটির প্রার্থীদের।
    নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানাযায়,আসন্ন নির্বাচনে আসনটি থেকে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং ও তৃণমূলের প্রচারণায় রয়েছেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান,জেলা আ’লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র,তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন,সুপ্রীম কোর্টের আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা মোহাম্মদ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,স,ম আলাউদ্দীন মেয়ে জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি লাইলা পারভিন সেজুতি। শরীক দলগুলোর মধ্যে রয়েছেন, ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ,জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু,জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান ও জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা দেবাশীষ দাস।
    অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে যাদের নাম প্রচার পাচ্ছে তারা হলেন,কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ।
    ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ জানান,২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত আ’লীগের নেতা-কর্মী খুনসহ যে তান্ডব চালিয়েছিল সেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। গত ৫ বছরে তার নির্বাচনী এলাকায় গত যেকোন সময়ের তুলনায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
    প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন,দেশনেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করব এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
    দলীয় অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম বলেন,আসনটি মহাজোটের দখলে আসলেও বর্তমান ওয়ার্কার্স পার্টির এমপির কাছে উন্নয়ন নিয়ে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির যথেষ্টে ঘাটতি রয়েছে। তাই এবার আর শরিক নয়,আ’লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এমন প্রত্যাশা এ মনোনয়ন প্রত্যাশীর।
    এদিকে আ’লীগের নতুন মুখ হিসেবে মাঠে কাজ করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্ম-কান্ডকে তুলে ধরে তার ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা তালা-কলারোয়াসহ পুরো জেলা। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড এক কথায় তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন জানান, আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও নৌকার পক্ষে কাজ করেযাচ্ছি।