Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 102 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপি বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সকালে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা অফিসার্স ক্লাব থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সপ্তাহব্যাপী এ বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বৃক্ষ নিধনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৃষ্টিপাত কমসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের বেশি-বেশি বৃক্ষরোপন করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই।’

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অমিতা মন্ডল, জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

    এবছর বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’। এবারের এ বৃক্ষ মেলায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের শতাধিক ষ্টল স্থান পেয়েছে।

  • নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে পিছিয়ে নেই সাতক্ষীরা

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও মানববন্ধন পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

    নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে একটি দীর্ঘ র‌্যালি বের করে। র‌্যালিতে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
    র‌্যালি শেষে তারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সমনে অবস্থান নেয় এবং বিভিন্ন স্লোগানে এলাকা মুখরিত করে তোলে। শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে তারা বলতে থাকে ‘বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে’, ‘প্রত্যেক সড়ক দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিকে হবে’, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করতে হবে’, ‘অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না’, শিক্ষার্থীদের গাড়িতে নিতে হবে, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যাবস্থা করতে হবে।’

    পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।

    জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘তোমাদের দাবি দাওয়া ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। এছাড়া যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে তোমরা আমার সাথে দেখা করে বললে আমি তোমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপাওে সর্বাত্মক সহযোগীতা করব।

    পুলিশ সুপার বলেন, ‘সাতক্ষীরায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে স্প্রিড ব্রেকার ও একজন করে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাবস্থা করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানববন্ধনে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পানি পান করান।

    জেলাপ্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের প্রতিশ্রুতির পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যান।

  • এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে চাকার তলায় পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস।  ।নিহত ঐ শিশুর নাম বুশরা আক্তার।  বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের মাধবকাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও চালক বা বাসের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
    নিহত শিশু বুশরা আক্তার সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
    স্থানীয়রা জানান, চাচা সঙ্গে সাইকেলে মাধবকাটি বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল বুশরা আক্তার ।  এ সময় সাতক্ষীরা থেকে যশোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়।  ধাক্কায় সাইকেলের পেছনে বসে থাকা বুশরা ছিটকে পড়ে।  এরপর বাসটি বুশরাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।  ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাচ্চাটি।
    কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, সাতক্ষীরা সদর থানা এলাকা থেকে বাচ্চাটিকে চাপা দিয়ে বাসটি কলারোয়া থানা এলাকার একটি পাম্পে রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
    নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশ যখন উত্তাল তখন সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে শিশু বুশরার মৃত্যু আরো একবার প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে কবে পাবো আমরা নিরাপদ সড়ক? কবে আমাদের সন্তানরা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে চলতে পারবে সড়কে?
  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৫২

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জামায়াতকর্মী এবং ৫ মাদক মামলার আসামিসহ ৫২ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    অভিযান থেকে ৭০০ গ্রাম গাঁজা, একটি তেলবাহী ট্রাক, একটি মোটর সাইকেল ও ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানা থেকে ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৮ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৭ জন, আশাশুনি থানা থেকে কাদাকাটি ইউপি জামায়াতের সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৪ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার আটটি থানার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান থেকে ২ জামায়াত নেতাকর্মীসহ মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে। মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • জেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৫৫

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে চার মাদক মামলার আসামী ও এক জামাত কর্মীসহ ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৮ জন, তালা থানা ৩ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন,দেবহাটা থানা ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় তেলবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায়  মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায় এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক ট্যাঙ্ক ও তার চাললকে আটক করা হয়েছে।
    নিহতের নাম মোশাররফ হোসেন (৪০)। তিনি  সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নবাকী গ্রামের শেখ আবু ইউসুফের ছেলে ও তিব্বত কোম্পানীর জ্যেষ্ঠ রিপ্রেজেনটেটিভ।
    প্রত্যক্ষদর্শী এ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী জানান, মোশাররফ হোসেন পেশাগত কাজে বুধবার পৌনে ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে পৌঁছালে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের একটি জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকার তার মোটর সাইকেলের পিছন দিকে ধাক্কা মারে। এতে তিনি রাস্তার উপর পড় গেলে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্যাংক ও তার চালককে আটক করা হয়েছে। নিহত মোশাররফ হোসেন তিববত কোম্পানীতে চাকুরি করেন বলে জানতে পেরেছি।
  • সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র বর্ণাঢ্য আত্মপ্রকাশ

     

     

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় জমকালো আয়োজনে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে আত্মপ্রকাশ করলো নবীনতম দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা।
    সোমবার (৩০ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় পলাশপোলে (চৌধুরী পড়া) সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র কার্যালয় চত্বরে পত্রিকাটির মোড়ক উন্মোচন করেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মাঈন উদ্দীন আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’র সম্পাদক ও প্রকাশক এ কে এম আনিছুর রহমান।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা নান্দনিকভাবে পথচলা শুরু করুক। জনগণকে নিয়ে ভাবুক। ভালো লেখা প্রকাশের মাধ্যমে সাতক্ষীরার আদর্শ মানের জায়গা বিশ্বের মাঝে তুলে ধরুক। কিছু কিছু কারণে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত হয়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা মিথ্যা সংবাদ পরিবশেন করবে না। মিথ্যা সমাজকে ধ্বংস করে দেয়।
    স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা মানে গুড মর্নিং। আর গুড মর্নিং এর বিপরীতে গুড মর্নিংই বলতে হবে। তিনি পত্রিকার সম্পাদকের কাছে আশা প্রকাশ করে বলেন, কোন ধরণের ছাড় দেওয়ার মন মানসিকতা না রেখেই কাজ করতে হবে। আমি উদ্বোধনী সংখ্যা সংরক্ষণ করে রেখেছি। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিয়ে সমাধান চাইলে এখানেই তা পাওয়া সম্ভব। পত্রিকাটি যেন জনগণের কথা বলে। আর তাতে যদি কেউ বিরাগভাজনও হয় তা যেন সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে থামাতে না পারে।
    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মঈনউদ্দিন সুপ্রভাত সাতক্ষীরার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
    জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মুনসুর আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সময়ে পত্র-পত্রিকার স্বাধীনতা প্রদান করেছেন। সকলের খারাপ কাজের পাশাপাশি যেন ভালো কাজের চিত্রও তুলে ধরা হয়। একই সাথে তিনি বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা যেন সাতক্ষীরার সুপ্রভাত হয়।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ বলেন, আমরা বলি এক আর করি আর এক। সংবাদ মাধ্যমের উচিৎ হবে জনগণের পক্ষে থাকা। আর এটাই নিরপেক্ষ। পত্রিকার কাছে আশাবাদী হয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরবে সুপ্রভাত সাতক্ষীরা। একই সাথে লেখনীর মাধ্যমে উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরার আহবান জানান তিনি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী বলেন, অনেকেই পত্রিকার ডিক্লারেশন নেয় ভালো সংবাদ পরিবেশনের নাম করে। কিন্তু পরবর্তীতে তা আর ধরে রাখে না। সংবাদ মাধ্যমকে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সহায়ক হিসেবে কাজে লাগায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা জনগণের পক্ষে কাজ করে সঠিক আর সুন্দর সংবাদ পরিবেশন করবে।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী বলেন, শত ফুল ফুটতে দাও, শত সরোবর জন্ম নিক। তাহলেই আমরা ভালো থাকবো। তিনি আরও বলেন, যে পত্রিকা কোন ভালো সংবাদ দিতে পারে না সেটা কোন পত্রিকাই নয়। এছাড়া তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সুপ্রভাত সাতক্ষীরা সমাজ আর জনগণের পরিবর্তনের আর ভালোর সংবাদ নিয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশা।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি বলেন, যে উদ্দেশ্যে আর যে আকাক্সক্ষা নিয়ে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার উদয় হলো তা যেন প্রস্ফুটিত হয়। গণ মানুষের কথা যেন এই পত্রিকার মাধ্যমে উঠে আসে। একই সাথে তিনি সুপ্রভাত সাতক্ষীরার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
    সময় টেলিভিশনের মমতাজ আহমেদ বাপী বলেন, সূর্য যেমন অন্ধকার কাটায়, ঠিক তেমনি সুপ্রভাত সাতক্ষীরা তার লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অন্ধকার দূর করবে। আলো ছড়াবে চতুর্দিক।
    সুপ্রভাত সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক একেএম আনিছুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, নতুন ধারার দৈনিক হিসেবে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার মানুষের মনে স্তান করে নেবে। এই পত্রিকার সকল বিষয়ে সকলের পরামর্শ ও দোয়া কামনা করে তিনি আরও বলেন, এই পত্রিকার মাধ্যমে উঠে আসবে সমাজের কথা। জনগণের কথা। একই সাথে পত্রিকার গুণগত মান উন্নয়নে রিসার্চ সেল গঠন করা হবে।
    এদিকে, ঢাকা ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার এভিপি ও ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবীর সুপ্রভাত সাতক্ষীরার সম্পাদককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। একই সাথে আত্মপ্রকাশের দিনে সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন সাতক্ষীরা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক মোজাম্মেলক হক, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল কাদের, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল ওয়াজেদ কচি, সাংবাদিক ড. দিলীপ দেব, সাপ্তাহিক ইচ্ছে নদী সম্পাদক মকসুমুল হাকিম, সূর্যের আলো সম্পাদক পল্টু চৌধুরী, জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিল্টন, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী এমএ জলিল, সাহিত্যিক গাজী শাহজাহান সিরাজ, মনিরুজ্জামান ছট্টু, শুভ্র আহমেদ, পল্টু বাসার, সঙ্গীত শিল্পী মুনজুরুল হক, আবু আফফান রোজ বাবু, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জো¯œা দত্ত, স্বদেশ পরিচালক মাধব দত্ত, শিক্ষক নেতা মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুণ অর রশিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান, সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক কাজী আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্স, জনতা ব্যাংক তালা উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাহিনুর রহমানসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    এর আগে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি অন্যান্য অতিথিদের নিয়ে মাউস ক্লিক করে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার অনলাইন ভার্সন ও মোড়ক উন্মোচন করে সুপ্রভাত সাতক্ষীরার প্রিন্ট ভার্সন উদ্বোধন করেন।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৪ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন হয়েছে। রোববার দুপুরে ‘চাই পৌর সেবার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জন সম্মুখে সাতক্ষীরা পৌরসভার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি।

    সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাতক্ষীরা রোববার দুপুরে পৌরসভা মিলনায়তনে এ বাজেট অধিবেশনের আয়োজন করে। বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি।

    বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসার অব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও পৌর কাউন্সিলর জোছনা আরা, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল, শফিক-উদ-দৌলা সাগর, শেখ আব্দুস সেলিম, কাজী ফিরোজ হাসান, শাহিনুর রহমান শাহিন, শফিকুল আলম বাবু প্রমুখ।

  • জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৫৭, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ১১ মাদক মামলার আসামি ও দুই জামায়াত নেতাসহ ৫৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
    শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে একটি শুটার গান, এক রাউন্ড গুলিসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য। এসময় বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৮ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৯ জন, তালা থানা ৪ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ৭ জন, আশাশুনি থানা ৬ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
  • আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এদিনে ঘটা করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও নানা সংকটে গত দু’যুগে বনদস্যু ও চোরা শিকারীদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের রেকর্ড পরিমাণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বন উজাড়, আন্তর্জাতিক বাজারে বাঘের চাহিদা এর অন্যতম কারণ।
    বিভিন্ন সময় উদ্ধার হওয়া বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বাঘের শাবক সর্বোপরি বাঘ শুমারী তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৬ বছরে ৫৭ টি বাঘ হত্যার তথ্য থাকলেও বাস্তবে এর সংখ্যা অনেক বেশী বলে জানিয়েছেন বনজীবিরা।
    বিভিন্ন সময়ে নানা গবেষণা, ব্যক্তি বা সংস্থা বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে নানা মন্তব্য করলেও বনজীবি ও সুন্দরবন বিশেষজ্ঞরা আশংক্সক্ষাজনকহারে বাঘ হত্যার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বনবিভাগসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দূর্বলতাকেই দায়ী করছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ পদ্ধতিতে গণনা শেষে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে মাত্র ১০৬টি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের শরু হওয়া বাঘ শুমারীর মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয় মে মাসে। তবে এখনো প্রকাশিত হয়নি শুমারীর প্রতিবেদন। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।
    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে থাইল্যন্ডের হুয়ানে অনুষ্ঠিত হয় টাইগার রেঞ্জ দেশ সমূহের ‘এশিয়া মিনিষ্ট্রয়াল কনফারেন্স’। সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণে ৯দফা পরিকল্পনাসহ সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতি বছর ২৯ জুলাই পালিত হবে বিশ্ব বাঘ দিবস। তখন থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা।
    জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালে মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে সবোর্চ্চ ৯ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়। এর মধ্যে কয়রার গোলখালী থেকে অক্টোবর মাসে একসাথে ৩ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হওয়ায় বনবিভাগের ভূমিকা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন দেখা দেয়। ঐ বছরের ৮ আগস্ট ৬৯ পিচ বাঘের হাড়সহ কয়রার এনায়েত হোসেন ও বাবু হোসেন নামে দু’চোরা শিকারীকে খুলনার লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগরের টেংরাখালী গ্রামের চোরা শিকারীদের দ্বারা পাচারকৃত ৪ টি বাঘের শাবক উদ্ধার হয় ঢাকার শ্যামলী থেকে।
    ২০১৫ সালের ২৬ জুলাইয়ের ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে মোট ১০৬ টি বাঘের অস্তিত্ব থাকলেও এর আগে ‘পাগ মার্ক’ পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৫০ টি। শুমারী অনুযায়ী মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে সুন্দরবন থেকে বাঘ কমেছে ৩৪৪টি। ২০০৪ সালের এক গবেষনায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। এর মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং বাচ্চা ২১টি। সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েক বার বাঘ শুমারী হলেও বাঘের প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।

    ২০১৫ সালের ৬ জুলাই প্রকাশিত বাঘের ঘনত্ব শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয় অবৈধ শিকার, খাদ্যের অভাব ও প্রকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনে বাঘের অস্তিত্ব কমেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বনদস্যুসহ চোরা শিকারীদের বাঘ শিকার, সুন্দরবনের ভেতরের নদী সমূহে নৌচলাচল ও বনের পাশে শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ বাঘের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    ২০১৬ সালে আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়নে ‘বাঘ প্রকল্পে’ ক্যামেরার সাহায্যে গণনার জন্য খুলনা বিভাগীয় বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রকল্পকে জনবল ও ৭০টি ডিজিটাল ক্যামেরা সরবরাহ করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্রাপিং এর মাধ্যমে গণনার কাজ শুরু করে এবং মে মাসে এর কাজ সম্পন্ন করে। এখনো তার ফলাফল পাওয়া যায় নি। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়বে না কমতে পারে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করলেও সুন্দরবনের ৩টি অভয়ারণ্য এলাকায় গাছের সাথে ক্যামেরা বেঁধে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
    বন সংরক্ষক কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মন্দিরা বলেন, সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এখন পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। খুলনা সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঘ গনণার প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে এখন অধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গণনা কার্যক্রম হচ্ছে। বাঘ প্রকল্পের গবেষনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল¬াহ আল মোজাহিদ বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করেন এ গবেষক।
    পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন বলেন, বাঘ শুমারী একটা কঠিন কাজ। আধুনিক পদ্ধতি গনণা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
    সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের সূত্র জানায়, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে গণ পিটুনি, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের জলোচ্ছ্বাসে, বার্ধক্যজণিত কারণে এবং চোরা শিকারীদের হাতে মোট ১৭ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার মারা পড়েছে। এর মধ্যে বন সংলগ্ন মোংলা ও শরণখোলা উপজেলার লোকালয়ে ঢুকে পড়লে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা, স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৪ টি ও সিডরের জলোচ্ছ্বাসে ১ টি বাঘ মারা যায়। আর ৮ টি নিহত হয় চোরা শিকারীদের হাতে। একই সময়ে ১ নারী সহ মোট ২৬ জন বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে ময়না নামের মোংলার জয়মনি এলাকার বৃদ্ধা গ্রাামবাসী ছাড়া সবাই বনজীবি।
    সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন জানান, গত দু’দশকে পশ্চিম বন বিভাগে ১৫ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিহত হয়। এর মধ্যে লোকালয়ে ঢুকে গণপিটুনির শিকারে নিহত হয় ৮ টি। এছাড়া ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় দু’দশকে সেখানে ২৩৪ জন নারী-পুরুষ বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই বনজীবি ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে চিংড়ি রেণু আহরণকারী।
    সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মোঃ মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণে সরকার ‘বাংলাদেশ টাইগার এ্যকশন প্ল্যান ২০০৯-১৭’ বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি, বাঘের আক্রমণ থেকে বন সংলগ্ন লোকালয়ের জানমাল এবং মানুষের হাত থেকে লোকালয়ে চলে আসা বাঘ রক্ষায় ৮৯ টি টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে মানুষের হাতে ৯ টি বাঘ মারা পড়েছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘ রক্ষায় ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআর) কাজ করছে। বাঘ অচেতনে তাদের ৬ টি বন্দুক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
    এদিকে সুন্দরবনের রেকর্ড সংখ্যক বাঘ হ্রাসের জন্য অন্যান্য কারণের সাথে বনজীবিরা জোর দিয়ে যোগ করেছেন বনদস্যুদের কথা। দীর্ঘ দিন সুন্দরবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কাছ থেকে দেখেছেন অনেক কিছু। তারা বলছেন, প্রায় দু’যুগ ধরে সুন্দরবনে নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রায় ২ ডজন বনদস্যু বাহিনী। একই বনে বাঘের সাথে বসবাস দস্যুদেরও। সুন্দরবন অভ্যন্তরে অবাধ বিচরণ ও রাত্রি যাপনে বাঘের সাথে দেখা হলেই দস্যুরা তাদের হত্যা করে। এর সাথে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে সুন্দরবনের বাঘের চাহিদার বিষয়টিকে যোগ করে এতে বনদস্যুদের দস্যুতা বৃত্তির পাশাপাশি অধিক মুনাফা লাভে বাঘ হত্যার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। অভিযোগ রয়েছে, বাঘ বিলুপ্তির জন্য দায়ী চোরা শিকারীদের গ্রেফতার ও মামলায় র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা দেখালেও বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তেমন কোন সফলতা নেই।

    এব্যাপারে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়ার ষাটোর্দ্ধ আনসার আলী, বনজীবি রাহুল, মান্নান, কওছার, রাশেদুল, আঃ করিম, খালেক গাজী, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামের আমিনুর, নওশাদ, সাত্তার, মুন্সীগঞ্জের দাউদ সানা, মন্তেজ, রাজ্জাক, মুনছুর, রমজাননগর গফুর, সিদ্দিক, জবেদ আলী, সফেদ আলীসহ শতাধিক বনজীবিরা জানান, সুন্দরবন থেকে বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে গবেষক থেকে শুরু করে বনবিভাগ বা দেশী-বিদেশী সংস্থা যাই বলুক বাঘ হত্যার জন্য বনদস্যুরাই সবচেয়ে বেশী দায়ী।
    জানা গেছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সীমান্তে আন্তর্জতিক বাজারে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল এ সুন্দরবনের বাঘের চামড়া থেকে শুরু করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চড়া মূল্য থাকায় মূলত সুন্দরবনে বনদস্যুরা বাঘ হত্যায় মেতে উঠে। সুন্দরবন বনদস্যুদের এক সময়ের অভয়ারণ্য থাকায় ঐসময়ে ব্যাপক সংখ্যক বাঘ শিকার হয় তাদের হাতে। বর্তমানে সরকার সুন্দরবন রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তা বাঘ রক্ষায় ঠিক কি ধরণের প্রভাব ফেলছে তা নির্ভর করবে চলতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ে বাঘ শুমারীতে বাঘের প্রকৃত সংখ্যার উপর। তবে আশার কথা, বাঘ সংরক্ষণে মনিটরিং, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কতগুলো বাঘ হত্যা করা হয়েছে বা কতটি মামলা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনববল সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট হয় বন কর্মকর্তাদের বক্তব্যে। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৯ জুলাই পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।

  • বাংলাদেশে মৎস্য উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে সাতক্ষীরা

    বাংলাদেশে মৎস্য উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে সাতক্ষীরা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ এর  মূল্যায়ন, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা মৎস্য অফিস।
    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভারপ্রপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল হান্নান।
    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভারপ্রপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল হান্নান।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম সরদার। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল হান্নান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মৎস্য উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থান করছে সাতক্ষীরা। বর্তমানে যত্রতত্র অপরিকল্পিত ভাবে মৎস্য চাষ করা হচ্ছে। যেটা ঝুকিপূর্ণ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। সকলের স্বার্থে পরিকল্পিতভাবে মৎস্য চাষ করতে হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচনের সাতক্ষীরা জেলার গুরুত্ব অনেক বেশি।’
    তিনি আরো বলেন, ‘এ জেলায় বার্ষিক মৎস্য উৎপাদন হয় ১লক্ষ ৩১ হাজার ৫১৬ মেট্রিক টন। যার মধ্যে জনগণের চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৮৯২২৩ মেট্রিক টন মাছ ও চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি এবং অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ৪র্থ। চিংড়ি চাষে সাতক্ষীরা দেশের প্রথম স্থানে থাকলেও তা এখন নানাভাবে হুমকির মুখে পড়ছে। এক্ষেত্রে চিংড়ি পোনার ভাইরাস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ডা. আবতাবুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ভারপ্রাপ্ত মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
    অন্যান্যদে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (সদর) মো.রাশেদুল হক, সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান, বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ.স.ম আব্দুর রব ও খুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা।
  • পোকার আক্রমনে দিশেহারা সাতক্ষীরার বেগুন চাষিরা

    পোকার আক্রমনে দিশেহারা সাতক্ষীরার বেগুন চাষিরা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বেগুনে ব্যাপক পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। হাজার হাজার টাকার কিটনাশক ব্যবহার করেও মিলছে না প্রতিকার। ফলে এই সবজটি চাষ কওে লোকসানে পড়েছেন জেলার অধিকাংশ কৃষক।
    চাষিদের অভিযোগ, জেলার বিভিন্ন এলাকার বেগুন ক্ষেত পোকার আক্রামনে নষ্ট হয়ে গেলেও কোনো কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে পাওয়া যায়না পরামর্শ দেয়ার জন্য। ফলে কৃষকরা না বুঝে নানা ধরনের কিটনাশক ব্যবহার করে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছেন। না বুঝে কিটনাশক ব্যাবহার করে যেমন মিলছে না কোন প্রতিকার তেমনি এসব কিটনাশক কিনতে খরচও হচ্ছে বেশ।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘুটেরডাঙ্গী গ্রামের বেগুন চাষি জয়নুল আবেদিন জানান, ৩০ থেকে ৩৫ বছর যাবৎ অন্যান্য সবজি’র পাশাপাশি বেগুন চাষ করে আসছেন। চলতি ২০১৭-১৮ মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা  জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। কিন্তু ইতিপূর্বে কখনো এতো পোকার আক্রমন দেখেননি তিনি।
    তিনি বলেন, ‘গাছে একেকটি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম ওজন হওয়ার পর থেকে পোকায় তা ছিদ্র করে ঝাঝরা করে দিচ্ছে। তাছাড়া ডোগাও কেটে দিচ্ছে পোকায়।’
    তিনি আরও বলেন, ‘পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে ৩ বিঘা জমিতে ৯০ হাজার টাকার ওষুধ ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পায়নি। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে মিমপ্রেক্স কোম্পানীর মানিক, সুরেশ, সেতারা, পাইন, নীল এবং ওয়ান্ডার।’
    তিনি জানান, ৩ বিঘা জমির বেগুন চাষে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বেচা-কেনা হয়েছে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। যে বেগুন বাজারে প্রতি মন ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করেন পোকার কারণে তা মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে ৩ বিঘা জমির বেগুন চাষে প্রায় ১ লাখ টাকা লোকসান হবে বলে আশংক্সক্ষা করছেন তিনি।
    একই গ্রামের চাষি পিন্টু দাশ জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ২ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। কিন্ত ক্ষেতের অধিকাংশ বেগুন হলদে রং হয়ে পচেঁ যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার বালাইনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
    তিনি বলেন, ‘২ বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করতে এ পর্যন্ত প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এরমধ্যে কিটনাশকেই খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। তার পরও কোনো প্রতিকার পায়নি।’
    এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় বেগুন চাষ হয়েছে ৯৫৫ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৮০ হেক্টর, কলারোয়ায় ১৮৫ হেক্টর, তালায় ১৪৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ২৫০ হেক্টর, আশাশুনিতে ৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলাতে ২০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে।
    সূত্রটি আরো জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় মাকড়া, নয়ন কাজল, বারি-৩, বারি-৪, ঝুরি ও অন্যান্য স্থানীয় জাতের বেগুন চাষ করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বেগুনের পোকা আসলে কিটনাশক বা অন্যান্য ওষুধ দিয়ে দমন হয় না। বেগুনের পোকা মারার একমাত্র উপায় হচ্ছে সেক্সফ্রোমন ফাঁদ। কৃষকরা বেগুন ক্ষেতে এই ফাঁদ বসালে দু‘একদিনের মধ্যে পোকা দমন হয়ে যায়। কিন্ত এই ফাঁদের প্রচলন সাতক্ষীরাতে এখনো সেই ভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। তাই কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এই ফাঁদ ব্যবহারের জন্য।’
  • জেলায় ৮ জামায়াত নেতা-কর্মীসহ গ্রেফতার ৬৮

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি):  সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮ জামায়াত নেতা-কর্মী এবং ৪ মাদক মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শনিবার (২৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০পিস ইয়াবা, ৪৯০ বোতল ফেনসিডিল, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং একটি মোটরসাইকেল।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা এবং ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ২ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪৯০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসাইনসহ ১৫ জন, আশাশুনি থানা থেকে ২ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে আটক করা হয়েছে।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ আটক ৭২

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয় ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার আট থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    গত মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে (২৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং বেশ কিছু জিহাদী বই।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা, বেশ কিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্রসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে যার মধ্যে ৪ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী। কলারোয়া থানা থেকে ১০০গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে ৭ জনকে। ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে তালা থানা থেকে। এ থানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি জিহাদী বই। এছাড়াও কালিগঞ্জ থানা থেকে ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার সবকটি থানায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্র সহ ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৭২ জনকে আটক করা হয়েছে।
  • এইচএসসি আলিপুর আদর্শ মহিলা কলেজের সাফল্য

    এইচএসসি আলিপুর আদর্শ মহিলা কলেজের সাফল্য

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর আদর্শ মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৮ এর সাফল্য। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ জন। অনুপস্থিত ০১জন। পাশের সংখ্যা ১৮ জন। এর মধ্যে এ গ্রেড ৪ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি গ্রেড ৭ জন, সি গ্রেড পেয়েছে ২ জন। যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাশের হার ৬৪.০৪% হলেও অত্র প্রতিষ্ঠানের পাশের হার ৭৮.২৬%। কলেজের এই সাফল্য অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, সংশ্লিষ্ট সকল প্রভাষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এলাকাবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬১

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ২ জন মাদক মামলার আসামীসহ ৬১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ অভিযান থেকে বেশ কিছু মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ২৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৯ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন, আশাশুনি থেকে ১ জামায়াতকর্মী এবং ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার আসামীসহ মোট ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৮ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নস্থ শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, ফ্রিজে মিষ্টির সাথে কাঁচা মাংশ রাওা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, দোকানে মেয়াদ উর্ত্তীণ, মেয়াদ ছাড়া পন্য বিক্রয় ও পন্যে অগ্রিম তারিখ দেওয়াসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে করিম স্টোর, গোলাম রসুল ষ্টোর ও তৌহিদ হোটেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৭০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক উপ-সচীব হোসেন আলী খন্দকার।

    বাস্তবতার আলোকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়টি দালিলিক আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল।

    অভিযোগ উপন্থাপনকালে এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল বলেন, জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল পর্যন্ত আশাশুনির ঘোলা-হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১০ বছরের মোট ইজারা মূল্য ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫১০ টাকা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ১৪১৮ সালে একইভাবে হাজরাখালি-বিছট খেয়াঘাটের ১০ বছরের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫ টাকা।

    বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ওই খেয়াঘাট বাবাদ গ্রহণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৫২৮ টাকা। ওই দু’টি খেয়াঘাট ইজারা নেন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল। একইভাবে ইজারা নেওয়ার কিছুদিন পর খেয়াঘাটের শ্রেণী পরিবর্তণ করার অভিযোগে কেন তার ইজারা বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান নোটিশ করেন। এরই বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে দু’টি খেয়াঘাটের বিপরীতে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি ২৫/১২ রিট পিটিশন দাখিল করেন।

    রিট পিটিশনে ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাট বাবদ বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১২ লাখ ৪০০ টাকা ইজারা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ তিন লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৭৩ হাজার ৫৮৪ টাকা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ২০১১ সালের ২৬ জুন রশিদ বই এর মাধ্যমে গ্রহণ করেন। একই তারিখে হাজরাখালি বিছট খেয়াঘাটে বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১০ লাখ ৫২৮ টাকার ইজারা গ্রহণ করার পর ১৪১৮ সাল বাবদ দু’ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ দেখানো হয়েছে। যেখানে আত্মসাতের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

    ঘোলা- হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১৪১৯ সালের ইজারামূল্য ইজারাদার আবু হেনা শাকিল পরিশোধ করেছেন। কিন্তু তিনি ওই বছর ভ্যাট বাবদ ৫২,৫৬০ টাকা পরিশোধ করেন নাই।
    সেক্ষেত্রে ঘোলা- হিজলা ও কল্যাণপুর খেয়াঘাট থেকে দু’ বছরে দু’ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেখানোয় ইজারা মূল্য ৯ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    একইভাবে মানিকখালি খেয়াঘাটটি ১০ বছরে ২৫ লাখ ৩১২ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা গ্রহীতা কওছার আলী কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে ২২৭৯/২০০৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। ফলে ওই খেয়াঘাটে আদায়কৃত রাজস্ব যথাযথভাবে জেলা পরিষদ পাচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ইজারা নোটিশের শর্তাবলীতে সর্বোচ্চ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত যে কোন কোটেশনে উদ্ধৃত দর অনুমোদনের পর নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ অবশিষ্ঠ ৫০ শতাংশ ইজারা মূল্যসহ ৫শতাংশ আয়কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ প্রিমিয়াম এককালিন জেলা পরিষদে জমা দিতে হবে। ব্যর্থতায় ইজারা চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা তা না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইজারা চুক্তি করেছেন।

    অভিযোগ শুনানীকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ১৫জন সদস্য, কয়েকজন কর্মচারি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানসহ সাংবাদিকরা। শুনানীকালে জেলা পরিষদ সদস্যরা এসএম মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা পরিচালনা, এইচএসসি পাশ করে তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ অবৈধ ও তিন বার বদলী করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন খারিজ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে সাতক্ষীরায় চাকুরি করা সংক্রান্ত বিষয়গুলি যথাযথভাবে উপস্থাপন করার পরও একই তদন্তকারি কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে প্রতিবেদন দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইভাবে মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়ার পরও তাকে বদলী ও এক বছর ছুটি নেওয়ার আইনি বৈধতা সংক্রান্ত তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা হল থেকে বেরিয়ে যান।