Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
সাতক্ষীরা Archives - Page 100 of 119 - Daily Dakshinermashal

Category: সাতক্ষীরা

  • এলাকার জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা সমাধানে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ-আসাদুজ্জামান বাবু

    এলাকার জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা সমাধানে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ-আসাদুজ্জামান বাবু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেছেন, ‘আমি মনোনয়ন পেলে জনগণের কল্যাণে আরও কাজ করতে পারবো। এলাকার জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা সমাধানে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ বুধবার সাতক্ষীরা শহরে নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শেষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠে গণসংযোগে তিনি এ কথা বলেন।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এ গণসংযোগে তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকারের আমলে উন্নয়ন হয়নি এমন কোন খাত নেই। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার কোন বিকল্প নেই। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে হবে।’

    বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ থেকে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে প্রায় পাঁচ হাজার মোটরসাইকেল। কয়েক ঘন্টা পর শোভাযাত্রাটি আবারও সরকারি কলেজ মাঠে এসে সমাবেত হয়।

    শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুস সেলিম, জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, ফিরোজ হোসেন, ফারাহ দীবা খান সাথী, কৃষক লীগ নেতা মনজুর হোসেন প্রমুখ।

  • সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই চলছে শ্যামনগরের বেশিরভাগ ক্লিনিক

    ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: ‘ভুল অপারেশনে প্রাণ গেল রোগীর’ এমন শিরোনামে প্রতিনিয়তই প্রকাশিত হচ্ছে খবর। যোগ্য ডাক্তার ও নার্সের অভাবে জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকসমূহে এরকম ঘটনা ঘটছে অহরোহ। মানব সেবার নামে ক্লিনিকগুলো যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যু ফাঁদ। এসব ফাঁদে পড়ে রোগীকে ভোগান্তিতো পোহাতে হয়ই রোগীর পরিবারের সদস্যরাও ক্লিনিকের খরচ বহন করতে করতে দিশেহারা। এমন দৃশ্য এখন জেলার সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। আর এর মূল কারণ সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেবার নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পরিচালিত হওয়া জেলার এসব ক্লিনিকের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ‘দৈনিক দক্ষিণের মশাল’ এ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

    শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে সরকারি নীতিমালা না মেনে এম.বি.বি.এস ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স ও লাইসেন্সবিহীন চলছে কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকের বেশিরভাগ কাজ চলে স্বল্প শিক্ষিত নার্স দিয়ে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্লিনিকই চালানো হচ্ছে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাস নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিকে ডাক্তারের কাজ শুধুমাত্র অস্ত্রপচার পর্যন্ত। অস্ত্রপচারের পর ইনজেকশন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করেন অদক্ষ নার্সরা।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার ১৩ টি ক্লিনিকের মধ্যে ১১ টি ক্লিনিকই চলছে নাম মাত্র ডাক্তার আর গুটিকতক অদক্ষ নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিক চালাতে ক্লিনিক মালিকরা সহযোগীতা নিচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কিছু নেতাদের।

    সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমা নার্স থাকতে হয়। থাকতে হয় নবায়ন লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, নারকুটি লাইসেন্স, ইনকামটেক্স ও ফায়ারসার্ভিস লাইসেন্স। এরপর অপারেশন থিয়োটারে (ওটি) এসি, হাউড্রোলিক টেবিলসহ সকল সার্জিকাল যন্ত্রপাতি থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকে এসবের বেশিরভাগই নেই।

    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আরজি ক্লিনিক নার্সিং হোম, নওয়াবেঁকিতে দুইটি শামিমা ও ডাক্তার ফার্নান্দো নববে মাদার এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, বংশীপুরে তিনটি শ্যামনগর ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বংশীপুর নার্সিং হোম ও জননী নার্সিং হোম। শ্যামনগর সদরে সুন্দরবন নার্সিং হোম, নগর হাসপাতাল ও সেবা ক্লিনিক সরকারি কোন নিতিমালা না মেনেই নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে তাদের ক্লিনিক ব্যবসা। রোগীদের জীবন নিয়ে ডাক্তার বিহীন ক্লিনিকগুলো খেলা করে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

    এসব ক্লিনিকে ভর্তি রোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ডাক্তার অপারেশন করে রেখে চলে যায় এরপর নার্স দিয়ে তাদের সেবা করানো হয়। পরেরবার ডাক্তারের দেখা পেতে সময় লাগে ৩-৪ দিন। ডাক্তার যখন নতুন রোগীদের অপারেশন করতে আসেন তখন ভর্তি রোগীদের এক নজর দেখে যান।
    অবৈধভাবে ক্লিনিক চালানোর কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিকরা বলেন, ‘একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স সর্বক্ষণ রেখে রোগীদের চিকিৎস্য দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। তবে ডাক্তার প্রতিদিন তাদের ক্লিনিকে এসে রোগীদের দেখে যায়। এছাড়া সব প্রকার লাইসেন্স সরকারিভাবে বন্ধ আছে।’

    ডাক্তার, নার্স ও লাইসেন্সবিহীন এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার তওহিদুর রহমান বলেন, ‘যে সময় আমি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে যায় সেসময় ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকে এজন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তবে যদি কোন ক্লিনিক সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় এবার ৫৭৭টি মণ্ডপে দূর্গাপূজা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শরতের আগমনে কাশফুলকে আর আগের মত সাতক্ষীরার মাঠে দেখা মেলে না। এরপরও শারদীয়া দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা শরৎকালকে মনে করিয়ে দেয় বাঙালিদের। শাস্ত্রমতে আগামী ৮ অক্টোবর সোমবার পূণ্য মহালায়ার মধ্য দিয়ে মর্ত্যধামে দেবীপক্ষের শুরু। আর ১৫ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর শুরু।

    ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’ উক্তি আর ঢাক ও কাসির বাজনা ছাড়াও মায়েদের কপাল সিন্দুরে রাঙানোর মধ্য দিয়ে ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয়া দূর্গাপূজা।

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৫৭৭টি সার্বজনীন ও পারিবারিক মন্দিরে দূর্গাপূজা হচ্ছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ১০৬টি, তালায় ১০৬টি, পাটকেলঘাটায় ৭৮টি, আশাশুনিতে ১০৭টি, শ্যামনগরে ৬৬টি, কালিগঞ্জে ৪২টি ও দেবহাটায় ২১টি দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    বুধবার দিনব্যাপী পুরাতন সাতক্ষীরার বেশিরভাগ মন্দিরে দেখা গেছে শিল্পীরা মাটির কাজ শেষে প্রতিমা রঙ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কয়েকটি মণ্ডপে মাটির কাজ শেষে রঙ দেওয়ার আগে প্রতিমা শুকিয়ে নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন শিল্পীরা।

    স্থানীয়রা জানান, শরৎকাল মাঝামাঝির দিকে হলেও শিশিরের কোন দেখা নেই। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে শীতের দেখা নেই। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে গরম। এবার মা আসছেন দোলায় ও যাবেন গজে। ফলে মহালয়া শেষ না হতেই ঝড়ের দেখা মিলতে পারে। তবে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এবারের দূর্গাপূজা মিলন মেলায় পরিণত হবে। তবে দেবহাটা সীমান্তের ইছামতী নদীতে দুই বাংলার মিলন মেলা না হওয়ায় উভয় পারের বাঙালিরা খানিকটা হতাশার মধ্যে রয়েছেন।

    পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি সার্বজনীন দূর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ব্যানার্জী জানান, এবার মায়ের বাড়িতে মূল প্রতিমার সঙ্গে ২২৫টি অতিরিক্ত মূর্তি তৈরির কাজ চলছে। মাটির কাজ শেষে মঙ্গলবার রঙ টানার প্রাথমিক স্তরের কাজ শেষ হয়েছে। এবার প্রতিমা তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ছয় লাখ টাকা। অতিরিক্ত আকর্ষণ থাকায় এবার তাদের মণ্ডপে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী। দর্শনার্থীরা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা দর্শন করতে পারে সেজন্য স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবে।

    ভাস্কর অনিল সরকার জানান, দুই মাস আগে থেকে মায়ের বাড়িতে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন তারা। ছয়জন সহযোগীকে নিয়ে তিনে মঙ্গলবার প্রতিমার গায়ে প্রথম পর্বের রঙ টানার কাজ শেষ করেছেন। অতিরিক্ত ২২৫টি মূর্তি মায়ের বাড়ির দূর্গাপূজার বিশেষ আকর্ষণ। যথাসময়ে প্রতিমা নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

    বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহসভাপতি গোষ্ঠ বিহারী মন্ডল জানান, অশুভ শক্তিকে পরাজিত করার মনোবাসনা নিয়ে এবার মা দূর্গা দোলায় চেপে মর্তে আসছেন। যথাযোগ্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা ও আড়ম্বরের সঙ্গে এবার শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৮ অক্টোবর সোমবার মহালায়ার মধ্য দিয়ে মহামায়ার আগমনী বার্তা নিয়ে পূজা আনন্দে মেতে উঠবে সাতক্ষীরাবাসী। মহামায়ার আগমনে বিনাশ হবে অশুভ শক্তি। তবে গত বছরে আশাশুনির কচুয়া ও কল্যাণপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা যাতে এবার না ঘটে সেজন্য তারা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পূজার আগে সদরের ওয়ারিয়ায় রাধা গোবিন্দ মন্দিরের মূর্তিতে যেভাবে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন। তবে পূজা মণ্ডপগুলো যথাসময়ে জেলা প্রশাসন ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা পাবে বলে তিনি আশাবাদী।

    সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। এ পূজাকে ঘিরে যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হতে পারে সেজন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’

  • সাতক্ষীরায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

    সাতক্ষীরায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

    এস.এম. হাবিবুল হাসান ও মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ এবং উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সারাদেশের সাথে একযোগে সাতক্ষীরায়ও ৪র্থ উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

    সমগ্রদেশের সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরার সকল উপজেলায় বৃহস্পতিবার উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়।  জেলায় উন্নয়ন মেলার প্রধান উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। উন্নয়নের চিত্র জনসাধারণের কাছে তুলে ধরতে হবে।’অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যেভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে যদি এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তবে ২০৪১ নয় ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’

    অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বর্তমানে দেশে যেভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে যদি এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে তবে ২০৪১ নয় ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।’

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাগর থেকে মহাকাশ পর্যন্ত জয় করেছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অল্পদিনেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে।’

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ প্রমুখ।

    অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটিলিয়নের ল্যফটেনেন্ট কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু প্রমুখ।

    মেলায় প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২ জন উপকারভোগীকে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন। এবারের মেলায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক স্টল অংশগ্রহণ করেছে। মেলা চলবে আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত।

  • সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে পারে বাসক পাতা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাড়িতে-বাড়িতে ঘেরা বেড়া দেওয়ার কাজে বেশ জনপ্রিয় বাসক গাছ। গ্রাম জুড়ে এর ছড়াছড়ি। এক ধরনের বিকট দুর্গন্ধের জন্য এর পাতায় গবাদি পশু মুখ দেয় না। ফলে সহজেই জমি ও বাড়ি ঘেরার কাজ চলে। ঔষধি গুনসম্পন্ন এই বাসক পাতা এখন ঘুরিয়ে দিচ্ছে গ্রামীন মানুষের ভাগ্যের চাকা ।

    বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বাসক পাতার কদর রয়েছে বেশ। সর্দি কাশি সারাতে সবুজ বাসক পাতা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায় এ বিশ্বাস রয়েছে এখনও । কিন্তু এই পাতা যে মানুষের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে তা ছিল ধারনার বাইরে।দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষ হচ্ছে বাসক উদ্ভিদের। ভারতেও বাসক উদ্ভিদের ব্যাপক চাষ রয়েছে। সাতক্ষীরাতে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ঔষধিগুণ সম্পন্ন বাসক। ধারণা করা হচ্ছে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে পারে এ বাসক।

    সাতক্ষীরার ফিংড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান আগে মনে করতাম আবর্জনা। এখন তা সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। এতে লাভ হচ্ছে বেশ। একই গ্রামের আমিরুন বেগম জানান তিনি প্রতি কেজি কাঁচা পাতা ৫ টাকা কেজি দরে কিনে শুকিয়ে বিক্রি করছেন ৩৫ টাকায়। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত এসব বাসক পাতা এখন ওষুধ কোস্পানিগুলি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এর ঔষধিগুন এতো বেশি যে এই পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কাশির সিরাপ। বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা করে বলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ নিরাময়ে বেশ উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাও বাসক পাতার ব্যবহার রয়েছে। 

    জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার মাটি বাসক চাষের জন্য উপযোগী। তাই এ অঞ্চলে বাসক উদ্ভিদ জন্মায় প্রচুর পরিমাণে। ঘেরা বেড়ায় ব্যবহার করা এই উদ্ভিদের পাতা ছিড়লে গাছ মরে যায় না। আবারও নতুন নতুন পাতা গজায়। সারা বছর চলে নতুন পাতা গজানো। ডাল কেটে মাটিতে পুতে দিলে হয়ে ওঠে নতুন গাছ। আর্দ্র ও সমতল ভূমিতে এই উদ্ভিদ জন্মায়। বিকট গন্ধের কারণে এতে ছত্রাক জন্মায়না। এমনকি পোকা মাকড়ও ধরে না। এই পাতা দিয়ে ফল মুড়ে রাখলে তা ভাল থাকে।

    বাসক পাতা সংগ্রহকারী দলের নেতা বিউটি বেগম বলেন, ‘আমরা কাঁচা পাতা রস করে খাই। আগে এর কোনো অর্থনৈতিক গুরুত্ব দিতাম না। এখন সংগ্রহ করে বিক্রি করছি।’তিনি বলেন, ‘বাড়ির বেড়ার গায়ে থাকে। গাছ বাড়েও বেশ। এখন তা তুলে এনে শুকিয়ে বিক্রি করছি। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি। বাসক লাগাতে পৃথক জমির দরকার নেই।’ফিংড়ি গ্রামের সাবিনা খাতুন, ‘বীনা দাস, জোহরা খাতুন, অপর্না দাস, রোহেলা খাতুন, আনোয়ারা বেগম , রেবেকা সুলতানা, নাসিমা খাতুন, নাজমা বেগম, হাফিজুল ইমলাম, আমিনা খাতুন জানান বাসক পাতা সংগ্রহ করে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের কাঁচাপাকা রাস্তার ছয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বিপুল পরিমান বাসক উদ্ভিদ। এখানকার কমপক্ষে দশ হাজার বাসক গাছ ব্যবহৃত হচ্ছে জমির চারধারে কিংবা বাড়ির ঘেরা বেড়ায়। প্রতি বছর একশ’ টন সবুজ পাতা সংগ্রহ হচ্ছে এসব গাছ থেকে। বছরে  এ থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২৬ টন শুকনো পাতা। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়ও বানিজ্যিকভাবে বাসক উদ্ভিদের চাষ শুরু হয়েছে।

    পানিউন্নয়ন বোর্ড প্রতিনিধি মো. শামীম আলম জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প ব্লু গোল্ডের আওতায় ২৮৫ জন নারী ফিংড়ি ইউনিয়নে বাসক পাতা সংগ্রহ করছেন। তাদের সংগৃহীত পাতা কিনে নিচ্ছে কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি।
    তিনি বলেন, ‘বাসক পাতা যেমন আনতে পারে অর্থনৈতিক বিপ্লব, তেমনি বিজ্ঞান সম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পাতা দেশের ওষুধ শিল্পে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখতে পারছে।’

    স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর প্রতিনিধি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘আমরা শুকনো বাসক পাতা কিনে নিচ্ছি। জার্মান প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে বাসক পাতা কাশির সিরাপ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে।’সাতক্ষীরার গ্রামে এরই মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে গেছে বাসক পাতা নিয়ে। গ্রামবাসী নিজ-নিজ বাড়ির চারপাশে বাসক গাছ লাগাচ্ছেন। গ্রামের দরিদ্র নারীরা প্রতিদিনই সংগ্রহ করছেন শত শত বাসক পাতা। পরিচ্ছন্নভাবে রোদে শুকিয়ে তা বিক্রি করছেন ওষুধ কোম্পানির কাছে। এতে তারা অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করছেন। 

    ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান জানান এ এলাকায় প্রচুর বাসক গাছ জন্মায়। প্রতি বছর ওষুধ কোম্পানিগুলি তা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার এলাকার সাধারণ মানুষ আর্থিক উপকার পাচ্ছেন। 

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নাসরিন আক্তার বলেন, ‘বাসক এর বৈজ্ঞানিক নাম আঢাটোডা বাসিকা (Adhatoda Vasica)  ঔষধিগুন সম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। এর পাতা ও ফলে এক ধরনের দুর্গন্ধ আছে। যে কারণে তা ব্যবহার করলে ছত্রাক রোধ করা যায়। তাছাড়া এর ঔষধিগুন খুব বেশি। এসব গুনের কারণে বাসক বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশেও। ভারতের তামিলনাড়–তে বাসকের চাষ ব্যাপক রয়েছে।’
    তিনি বলেন, ‘বাসক উদ্ভিদের জন্ম ও বৃদ্ধিতে সাতক্ষীরার মাটি অনুকূল। বেশি বেশি করে বাসক গাছ লাগালে এর পাতা দেশের ওষুধ শিল্পে অবদান রাখা ছাড়াও গ্রামীন অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে।’

  • সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১ জমায়াতকর্মী এবং ৩ মাদক মামলার আসামিসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

    নিয়মিত চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযান থেকে বেশকিছু মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

    এ অভিযান থেকে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৫১ পিস ইয়াবাসহ ১৫ জন, কলারোয়া থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৯ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, নাশকতা, সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত রয়েছে। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।

  • আদিবাসী কোটা সংরক্ষণের দাবিতে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশ

    আদিবাসী কোটা সংরক্ষণের দাবিতে শ্যামনগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    শ্যামনগর ব্যুরো: সরকারি চাকরিতে এবং উচ্চ শিক্ষায় আদিবাসী কোটা সংরক্ষণের দাবিতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা জেলা আদিবাসী ছাত্র পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

    জেলা আদিবাসী ছাত্র পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভানেত্রী বাহামনি মুন্ডার নেতৃত্বে আদিবাসী কোটা সংরক্ষণের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

    বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি চাকরি ও উচ্চ শিক্ষায় আদিবাসীদের ৫% কোটা বহাল রাখার দাবিতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস) এর নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণপদ মুন্ডা, সভাপতি গোপাল চন্দ্র মুন্ডা, সহ-সভাপতি রাম প্রসাদ মুন্ডা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভানেত্রী বাহমনি মুন্ডা, সাধারণ সম্পাদিকা মিনতী মুন্ডা ও ছাত্র পরিষদের সদস্য উৎপল মুন্ডা প্রমুখ।

    সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘পৃথিবীর বহু দেশেই আদিবাসীদের জন্য শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষিত আছে। তাছাড়া বাংলাদেশের মহান সংবিধানের ২৮ (৪) ও ২৯ (৩) (ক) অনুচ্ছেদে নারী ও শিশুদের পাশাপাশি আদিবাসীদের মতো অনুগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গহণের কথা বলা হয়েছে। তাই আদিবাসীদের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা একটি সাংবিধানিক অধিকার। আমরা আশা করছি বর্তমান সরকার আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ করবেন।’

    এসব কর্মসূচিতে মুন্ডা সম্প্রদায়ের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

  • বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন

    মশাল ডেস্ক:  তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ বঞ্চিত সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন পালন করেছে শিক্ষকরা।

    মানববন্ধনরত শিক্ষকরা-দক্ষিণের মশাল

    সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

    মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আ.জা.ম, নাসির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন কুমার দাশ, শিক্ষক এম মুনছুর আলী, নজরুল ইসলাম, সাগরিকা দাশ, সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সকল শর্ত পূরণ করার পরও প্রায় ৪ হাজার ১৫৯ টি বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। অতিদ্রুত এসব বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হোক।

    গত ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষকদের উপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে এর যথাযথ বিচার করতে হবে। হামলার সথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এবং গ্রেফতারকৃত ৫ জন শিক্ষক নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ মাদক মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।

    বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এসময় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ৫ জন, কালিগঞ্জ থানার ৭ জন, শ্যামনগর থানার ৯ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • বকচরা মাদ্রাসার ৯ শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ

    বকচরা মাদ্রাসার ৯ শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের বকচরা মাদ্রাসার নয়জন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি মাদ্রাসায় তারা গোপন মিটিং করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা হতে তাদের আটক করা হয়।সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম জানান, জামায়াত সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষক বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকুরি করেন। তারা বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসার একটি কক্ষে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তাদের আটক করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জামায়াতের দুই নেতার নাম জানা গেছে। এরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর পশ্চিম জামায়াতের সেক্রেটারি মওলানা শাহাদাত হোসেন ও  আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মওলানা আবদুস সামাদ। আটককৃত অন্য শিক্ষকরা হলেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার, হাফিজুর রহমান, আবুল খায়ের, মোজাম্মেল হক, মোজাফফর হোসেন, আজম ফারুক ও আবদুল হামিদ। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।মাদ্রাসার সুপার মো. রমজান আলি জানান, তিনি গত ১ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কেউ জামায়াত করেন কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন। তিনি জানান আটকের সময় সবাই ক্লাসরুমে ক্লাস নিচ্ছিলেন। তবে এ ঘটনার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন।পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম আরও জানান, যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • জেলার ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গত সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরাতে পৌছে তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব নাম্বার তদন্ত শুরু করছেন।

    যাদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত হচ্ছে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তিন সদস্যের ওই তদন্ত টিমে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক গাজী মনিরুদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দীন এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এম ডি বাশিরুল আলম।

    এই তদন্ত টিম প্রথম দিনে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায় তদন্ত করেন। ৩৯ জনের তালিকার মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায়। বাকীদের অন্যান্য ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার তারা ন্যাশনাল এবং সিটি ব্যাংকে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।
    তাদের একাউন্টে কি ধরনের লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা কোথা থেকে একাউন্টে জমা হয়েছে। কি পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। খুঁজা হচ্ছে তাদের লেনদেনের প্রকৃত উৎস। তালিকাভূক্তদের বিরুদ্ধে ভারতে হুন্ডির টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, যে ৩৯ জনের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তাদের অনেকেই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কোটি-কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অতি অল্প দিনেই বিলাশবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। এদের অনেকেই বর্তমানে বৈধ ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকার হুন্ডি, চোরাচালানী, স্বর্ণ পাচার, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অবৈধ এসব টাকার উৎস খুঁজতে এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানাগেছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকেরই রয়েছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্সের দোকান। যারা জুয়েলারী ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানী ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া রয়েছে ভোমরার একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী, কয়েক জন গরু ব্যবসায়ী, কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য। এদের মধ্যে কেউ-কেউ রয়েছেন হুন্ডি, অস্ত্র, মাদক,স্বর্ণসহ বিভিন্ন চোরাচালানীর সাথে জড়িত।

    যেসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা শহরের খান মার্কেটের অংকন জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গৌর দত্ত, অমিত জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী জয়দেব দত্ত, তালার কুমিরার আদিত্য মজুমদার, ব্রাদার্স জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আশুতোষ দে, আলিপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, জনপ্রিয় জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী সুমন কর্মকার ও বাবু কর্মকার, শ্যামনগরের নকীপুরের বিশ্বজিৎ মন্ডল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, শ্রী জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দীন বন্ধু মিত্র, ঝাউডাঙ্গার এম ভি জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মুকুন্দ ভারতী, ঝাউডাঙ্গার সাগর জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রবিন্দ্র নাথ দে, আশাশুনির নিউ দে জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দেব কুমার দে, কলারোয়ার সন্ধ্যা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী হরেন্দ্র নাথ রায়, আধুনিক জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গোপাল চন্দ্র দে, তালার দীপা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গনেশ চন্দ্র শীল, তালার নিউ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী বাসুদেব দত্ত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী এলাকার মো. রাশেদুল ইসলাম, পদ্মশাখরা এলাকার মো. লিয়াকত হোসেন, একই উপজেলার ঘোনার মো. হাবিবুর রহমান, কলারোয়ার বলিয়ানপুরের জালালউদ্দিন গাজী, কলারোয়ার চন্দ্রনপুরের গরু ব্যবসায়ী নাসির, একই উপজেলার কাকডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী ইয়ার আলী মেম্বর, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, বৈকারীর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শহরের রয়েল স্যানেটারীর স্বত্ত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম, ভোমরার এ.এস ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম, বাঁকালের ফিরোজ ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন, বাঁকালের কে হাসান ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী খালিদ কামাল, ভোমরার মামা-ভাগ্নে ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী আজহারুল ইসলাম, মেসার্স কাজী ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, মেসার্স সুলতান ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসরাইল গাজী, মেসার্স সাব্বির ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শাহানুর ইসলাম শাহিন, মেসার্স নাজিম ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী গোলাম ফারুক বাবু (দেবহাটার পারুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ), মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আবু মুসা এবং মেসার্স রোহিত ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাম প্রসাদ প্রমুখ।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, গত সপ্তাহে ৩৯ জনের এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়। এসব ব্যসায়ীদের ব্যাংক লেনদেন (ব্যাংক একাউন্ট ওপেন থেকে আজ পর্যন্ত ) অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে সূত্র জানায়।

    এসব ব্যবসায়ীদের ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোন সময় বাংলাদেশের ব্যাংকের তদন্ত টিম সরেজমিন এসে তালিকাভূক্তদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম সাতক্ষীরা পৌছে গেছে। তদন্ত টিম সোমবার সকাল থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তবে তদন্তকারী ওই টিমের সদস্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    গত সপ্তাহে ৩৯ জন ব্যবসায়ীর এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানোর পর ব্যাংক গুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।

    সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন) ছবিউল ইসলাম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ইসলামী ব্যাংকে গিয়েছিলেন। তারা তাদের তালিকা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার যারা গ্রাহক রয়েছেন তাদের হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও খোঁজ খবর নিয়েছেন।
    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে হুন্ডির টাকা পাচারকারীদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর নাম দেয়া হয়েছিল।

  • হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের ২০ ঘন্টা পর মুক্তি!

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৭ বছর আগে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি পুলিশের হাতে ধরা পড়েও হাত ফসকে বেরিয়ে গেলো। পুলিশ বলেছে ‘তাকে ভুল করে ধরা হয়েছিল । তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি’ । এই দোহাই দিয়ে সদর থানা থেকে জামালউদ্দিন নামের ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয় আজ মঙ্গলবার ।

    সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান ২০০১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে তার সহোদর ভাই মাহবুবার রহমানকে সন্ত্রাসীরা তলুইগাছার খড় বিলের ঘেরের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ পানিতে চুবিয়ে রাখে। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন ( সেশন কেস ৭৪/২০০৪ ও জিআর কেস ৫৪৯/২০০১)। এ মামলার আসামি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পাচু গাজির ছেলে মো. জামালসহ ১১ জন ।

    তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন , পাঁচজন জেল খেটে জামিনে রয়েছেন এবং চারজন পলাতক । জামালউদ্দিন পলাতকদের একজন। জামাল ঘটনার পর থেকে কখনও ভারতে , কখনও অন্য কোনো এলাকায় পালিয়ে থাকতো। সম্প্রতি সে তার দ্বিতীয় বাড়ি সদর উপজেলার তলুইগাছায় এলে পুলিশ খবর পেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন প্রায় ২০ ঘন্টা থানা হাজতে আটক থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ এ ব্যাপারে অনেক টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এই লেনদেন করেছেন বাঁশদহা ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ ও কুখ্যাত চোরাচালানি বিপুল।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থানার এসআই জিয়ারুল ইসলাম জানান ‘ জামালউদ্দিনকে আমরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ধরেছিলাম। পরে থানায় সার্চিং দিয়ে তার নামে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’।
    তবে মামলার বাদি অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান তিনি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র পুলিশের কাছে দিয়েছেন। এমনকি একজনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর কপিও রয়েছে পুলিশের কাছে। তারপরও তাকে ছেড়ে দেওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি আদালতের বিচারকের দৃষ্টিতে আনবেন বলে জানান।

    গ্রামবাসী জানান জামালউদ্দিন কয়েকটি খুন , ডাকাতি, ছিনতাই চোরাচালান মামলার নাসামি। তার সন্ত্রাসী দাপটে আমরা টিকতে পারছি না। সে ছাড়া পেয়ে এখন আরও কি ঘটায় সেটাই দেখার বিষয়।

  • তালায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে মিলছে সফলতা

    সেলিম হায়দার: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে ঝুকছেন কৃষকরা। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সফলতা মেলায় এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে আবাদ হয়েছে এ সবজির। চাষের উপযোগী মাটি ও অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় আগামীতে আরো বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমোটো আবাদ করবেন কৃষকরা এমনটাই ধারণা করছেন স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তার ।
    স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যমতে, তালা উপজেলায় এবছর গ্রীষ্মকালীন টমেটো আবাদ হয়েছে মোট ৬ হেক্টর জমিতে। গত বছর যার পরিমাণ ছিল মাত্র সাড়ে ৩ হেক্টর। অসময়ে টমেটোর ভাল ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় স্থানীয় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। তাদের এ সাফল্যে অন্যান্যরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এ সবজি চাষে।
    কৃষি অফিস এবং কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে টমেটোর আবাদ করতে খরচ হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। যা বিক্রি হয় কমপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা। অসময়ে বিঘা প্রতি ২ লাখ টাকা লাভ পেয়ে সামগ্রিকভাবে কৃষকদের শুধু অর্থনৈতিক পরিবর্তনই নয়, পরিবর্তন ঘটেছে মানসিক অবস্থারও।
    জানা যায়, উপজেলার কৃষকরা মূলত বারি-৮ ও বারি-৪ জাতের টমেটোর আবাদ করেছেন। ফলন, মান ও চাহিদা অনুযায়ী ভাল দাম পাওয়ায় মূলত কৃষকরা এ দু’জাতের টমেটো চাষের জন্য বেছে নিয়েছেন।
    এ ব্যাপারে কথা হয় তালা উপজেলার নগরঘাটার কৃষক গাজী রহমানের সাথে। তিনি প্রায় ৫০ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে তার ক্ষেত থেকে টমেটো উঠতে শুরু করেছে। তিনি জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে বিঘা প্রতি তার ২ লাখ টাকার উপরে লাভ হবে।
    কথা হয় একই এলাকার আরো কয়েকজন কৃষকের সাথে। যার মধ্যে সফিকুল ইসলাম গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেছেন ৫০ শতক জমিতে, রফিকুল ইসলাম ৫০ শতক, রেজাউল ইসলাম ৩৩ শতক, কালী বাড়ির মাসুদ রানা ৩৩ শতক এবং তৈলকূপির সাইফুর রহমান বাবু চাষ করেছেন ৬৬ শতক জমিতে।
    তারা সবাই জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলন হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত থেকে ইতোমধ্যে টমেটো উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে খুচরা ৮০ টাকা এবং পাইকারী ৭০ টাকা দরে। অসময়ে পাকা টমেটোর উপস্থিতি সবজির বাজারেও আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। দাম বেশী হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ থাকায় আগামীতে আবারও তারা গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করতে চান।
    এব্যাপারে উপজেলার নগরঘাটা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখ অজিয়ার রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এলাকার কৃষকদের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগের যেকোন সময়ের চেয়ে আগ্রহ বেড়েছে।
    উপজেলার মাটি গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উপযোগী ও লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা টমেটো চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতা প্রদান করা হচ্ছে।’
    গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাধারণত মাচের্র প্রথম দিকে বীজ বপন করতে  হয় এরপর মে মাসে বীজতলা থেকে ওই চারা উঠিয়ে ক্ষেতে রোপন করতে হয়। সুষ্ঠুভাবে পরিচর্যা করতে পারলে জুন-জুলাই মাসে গাছে ফল আসতে শুরু করে। যা থেকে একাধারে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস পর্যন্ত টমেটো পাওয়া যায়।
    তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মামুন জানান, সারা বছরের সবজির চাহিদা পূরণে গ্রীষ্মকালীন টমেটো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। চাষের ক্ষেত্রে বারি-৪ ও বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করা ভালো। সাদা পলিথিনের ছাউনি দিয়ে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ খুবই সহজ। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস টমেটো চাষীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি।
  • নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ মহড়া

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): একাদ্বশ সাংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জেলা পুলিশের বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। জঙ্গি, মাদক, চোরাকারবারী, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তার রক্ষার্থে জেলা পুলিশ এ বিশেষ মহড়ার আয়োজন করে।
    সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ লাইন্সের সামনে থেকে বের হওয়া এ বিশেষ গ্রীষ্মকালীন মহড়ায় ব্যাবহার করা হয় পুলিশের ব্যবহারিত অস্ত্র এবং আনুসাঙ্গিক সকল সরঞ্জাম। মহড়ায় নেতৃত্ব দেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।
    মহড়ায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মেরিনা আক্তার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী, অপু সরকার প্রমুখ।
    এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, ‘জঙ্গি, মাদক, চোরাকারবারী, নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা বদ্ধপরিকর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কেউ কোন প্রকার নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে পুলিশ সেব্যাপারে সবসময় সজাগ।’
  • যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপন

    যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উদযাপন

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং মর্যাদায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ আবির্ভাব তিথী জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মঙ্গল শোভাযাত্রা, যাত্রাপালা ও আলোচনা সভা তার মধ্য অন্যতম।

    রবিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ জেলা মন্দির প্রাঙ্গনে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ শ্রীকৃষ্ণ বিশৃঙ্খল ও অবক্ষয়ীত মূল্যবোধের সময়ে পৃথিবীতে মানব প্রেমের অমিত বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সৃষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাই শ্রীকৃষ্ণ ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।’

    আলোচনা সভায় বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ^নাথ ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎস্না আরা প্রমুখ।

    আলোচনা সভা শেষে পুরাতন সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ফিতা কেটে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি। শোভা যাত্রাটি শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাটিয়া সদর সার্বজনীন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল।
    এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন জন্মাষ্টমী পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে।

  • প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবি : গ্রেফতার-১

    প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবি : গ্রেফতার-১

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গৃহবধূ ও তার স্বামী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সুচতুর ওই গৃহবধূ জাহানারা খাতুন পালিয়ে গেছে।
    গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম মোড়ল (৪৫)। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের ইন্তাজ আলী মোড়লের ছেলে।
    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার যুবক গাউসুল আযম সাকিলের সাথে পূর্ব পরিকল্পনা করে মোবাইলে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন কেশবপুরের কাথন্ডা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী জাহানারা খাতুন।
    মোবাইলে প্রেমের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ গত রোববার কুরবানীর মাংশ খাওয়ার জন্য দাওয়াত করেন যুবক সাকিলকে। সাকিল যথারিতি সেখানে দাওয়াত খেতে যায়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী দু জন মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে তার (সাকিলের) মোবাইল থেকে ফোন করে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
    বিষয়টি সাথে সাথেই সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন সাকিলের বাবা সিরাজুল ইসলাম । এরপর পুলিশ কৌশলে সাকিলেরর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর সাথে মোবাইলে কথা বলে দাবীকৃত টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নাম্বার চান। পুলিশ প্রথমে নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। এরপর সাদা পোশাকে কেশবপুর পুলিশের সহায়তায় ওই বিকাশ নাম্বারটির খঁজে সেখানে ওৎ পেতে থাকেন। বিকাশ কাউন্টার থেকে টাকা নেয়ার সময় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী সিরাজুলকে আটক করেন। কিন্তু তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন পালিয়ে যায়।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় যুবক সাকিলের বাবা বাদি হয়ে আটক সিরাজুল ও তার স্ত্রী জাহানারার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
  • গ্রাম্য ডাক্তারের বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    গ্রাম্য ডাক্তারের বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাল বেতনে চাকুরি দেয়ার নামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে ধর্ষক গ্রাম্য ডাঃ মনিরুজ্জামান মনিকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা ওই নারী।
    এ মামলার আসামী ও ধর্ষণ কাজে সহযোগিতাকারী আব্দুল হান্নানকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
    গ্রেফতারকৃত আব্দুল হান্নান কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের জামাত আলী পাড়ের ছেলে। এ মামলার পলাতক আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের নওশের আলীর ঘর জামাই ও এই মামলার প্রধান আসামী গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি এবং একই উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের হাসান পাড়ের ছেলে ফিরোজ হোসেন।
    এদিকে, অসহায় নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকে তদবীর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই নারীর বাবা ও মা কেউ নাই। তিন বছর আগে তার বিয়ে হলেও স্বামীর আগের একটি স্ত্রী ও সন্তান থাকায় তিনি সেখানে যাননি। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সম্প্রতি কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি তাকে ভাল বেতনে চাকুরির প্রস্তাাব দিয়ে গত রোববার তাকে নলতা হাসপাতালের নিকটবর্তী ঘোড়াপোতা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তোলেন। এরপর রাতে তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে ডাঃ মনিরুজ্জামান মনি জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে আব্দুল হান্নান ও ফিরোজ হোসেন। পরে তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ধর্ষিতা ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং আব্দুল হান্নানকে আটক করে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় পালিয়ে যায় ধর্ষক মনিরুজ্জামান মনি ও ফিরোজ হোসেন।
    এদিকে, পলাতক গ্রাম্য ডাক্তার মনির বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ডাক্তারী করার অভিযোগে এর আগে প্রশাসন জরিমানাও করেছন বলে জানিয়েছেন একাধিক এলাকাবাসী।
    কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে এ মামলার আসামী আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জায়ামায়ত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ আটক-৫৪

    মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ ৫৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে আজ (২৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    জেলা পুলিশের বিশেষ এ অভিযান থেকে ৭০৫ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ বোতল ফেনসিডিল এবং ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে পাঁচটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    পুলিশ জানায় অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে উপজেলা যুবদলের সভপতিসহ ৬ জন, তালা থানা থেকে ৮ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, ‘জেলার বিভিন্ন এলাকার মাদক ও নাশকতার সাথে জড়িত এমন ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিতি অনুসরণ করছে।’