সাতক্ষীরা পৌরসভা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌর এলাকা জীবানু মুক্ত করতে ট্রাকে করে ব্লিচিং পাউডার স্প্রে করা হয়েছে। বুধবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে থেকে শহর জীবানুমুক্ত করণের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। এসময় তিনি বলেন, ‘প্রতি ট্রাকে ১৫ হাজার লিটার পানির সাথে ৩শ’ কেজি ব্লিচিং পাউডারের মিশ্রণে পানি পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ডের রাস্তাগুলি স্প্রে করা হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে পৌর নাগরিকদের নিরাপদ রাখতে পৌর এলাকাকে জীবানু মুক্ত করা হবে। সেই সাথে পৌর নাগরিকদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্ক করতে ও সচেতন করতে পৌর এলাকায় মাইকিং, সতর্কিকরণ লিফলেট সাতক্ষীরা পৌর এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা পৌরসভা পৌর নাগরিকদের পাশে আছে এবং থাকবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎ¯œা আরা, ফারহা দীবা খান সাথী, অনিমা রানী মন্ডল, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শেখ আব্দুস সেলিম, পৌরসভার সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বিশ^াসসহ পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Category: সদর /পৌরসভা
-

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পৌর এলাকা জীবানু মুক্ত করতে ট্রাকে করে ব্লিচিং পাউডার স্প্রে করল
-

পলাশপোলে সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান সড়ক আরসিসি ঢালাই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের পলাশপোলে সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান সড়ক আরসিসি ঢালাই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টায় কড়াই থেকে নির্মাণ সামগ্রী সড়কে ঢেলে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র এম.এ জলিল এবং পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি। সাতক্ষীরা পৌরসভার এডিপি’র অর্থায়ণে শহরের মেইন রোড় কে লাইন পরিবহন কাউন্টার’র পাশর্^ হতে সাবেক পৌর মেয়র এম.এ জলিল’র বাড়ি পর্যন্ত ৪শ’৬০ ফুট রাস্তা ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। আরসিসি ঢালাই নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল আলম বাবু, মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী, সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সহকারি প্রকৌশলী কামরুল আখতার, এসও সাগর দেবনাথ, সৈকত, ঠিকাদার আব্দুল ওহাব, পৌর কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর আজিজুর রহমানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। -

সাতক্ষীরা পৌর তাতীঁলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ তাঁতীলীগ সাতক্ষীরা পৌর শাখার উদ্যোগে ১৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ৭ নং ওয়ার্ড কার্যালয়ে পৌর তাঁতীলীগের সভাপতি মো. মেহেদী আলী সুজয় সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা: এস.এম বাদশা মিয়া, সদর উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, পৌর তাঁতীলীগের সাবেক সভাপতি নুরজাহান সাদিয়া, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফিরোজ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠান প্ররিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ সোহাগ। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোসলেম সরদার, ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শামিম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সুলতান আহমেদ সোহাগ, আলমগীর হোসেন, হেলাল উদ্দীন, কাজী ওবায়েদ, আহম্মদ আলী প্রমূখ। -
বাচ্চুর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ২০ মার্চ শুক্রবার
প্রেস রিলিজ :
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি এম মনিরুল ইসলাম মিনির ভাই
বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী জি এম সাইফুল ইসলাম বাচ্চুর রুহের মাগফিরাত কামনায়
দোয়া মাহফিল ২০ মার্চ শুক্রবার বাদ আসর (বিকাল ৫টায়) সাতক্ষীর শহরের
দক্ষিন পলাশপোলস্থ তার নিজস্ব বাসভবনে অনুষ্ঠিত হইবে।
উক্ত দোয়া মহাফিলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য
অনুরোধ জানানো হলো। -

করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে প্রতিরোধে ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে হবে-এমপি রবি
নিজস্ব প্রতিনিধি: নোভেল করোনা ভাইরাস সচেতনতায় বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেছেন, ‘আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যিনি বিপদ দিয়েছেন তিনিই বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। সেই মহান মহান আল্লাহর কাছে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া চাইতে হবে। যদি কারও জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হয় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এটি একটি ছোয়াছে রোগ। বারবার সাবান অথবা হ্যান্ডওয়াস দিয়ে হাত ধুতে হবে। শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ বা অন্যান্য অবস্থার কারণে এ রোগ হতে পারে। করোনা ভাইরাসের নানা ধরন রয়েছে। বর্তমানে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণের বা কোভিড-১৯ রোগের কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। নিশ্চয় মহান আল্লাহ-তায়ালা আমাদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। এমপি রবি সকলকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সাতক্ষীরা তথা দেশবাসী -
লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা করার অপরাধে সনি ব্রিক্স এর মালিককে ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড
আজ ২০ জানুয়ারী রোববার সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর বাঁশঘাটার সনি ব্রিক্স নামক ইটভাটায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা কালে লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা পরিচালনার করার অপরাধে ইট ভাটার মালিক শেখ সিরাজুল হক কে ৩০০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে । অভিযান চালান সদর এসি ল্যান্ড মো: আসাদুজ্জামান।
-
পৈত্রিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার: পৈত্রিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে সোহেল উদ্দীন সরদারের স্ত্রী ছফুরা খাতুন ও মেয়ে এসনায়ারা খাতুনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে সদর উপজেলার আড়–য়াখলী মাঝেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুত্বর জখম অবস্থায় ছফুরা খাতুন ও এসনায়ারা খাতুনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছফুরা খাতুন বলেন, ‘মৃত মিয়াজান গাজীর ছেলে নুর উদ্দীন ও মইনুদ্দীন, নুর উদ্দীনের ছেলে শফি ও রজিব উল্লা। এছাড়াও মইনুদ্দীনের স্ত্রী আবেদা, শফি’র স্ত্রী রেহেনাসহ অনেকেই দুপুরে আমার উপর হামলা চালায়। প্রথমে শফি আমার মাজায় লাঠি মেরে ফেলে দেয় পরে সবায় মিলে পিটিয়েছে। আমার মেয়ে তাদের বাঁধা দেওয়ায় তার মাথায় বাকের আঘাত দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে লোকজন এসে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’ জমি-জমা সংক্রান্ত এ বিরোধ মিমাংশায় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসাবসি হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল ও ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের সমাধানের দায়িত্ব থাকলেও তারা সেটি চেষ্টা করেনি। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। -

কামালনগরের লম্পট আলমগীর হোসেনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরার কামালনগরের লম্পট আলমগীর হোসেনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এক অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন, একই এলাকার মৃত আলী হোসেন সরদারের মেয়ে ভুক্তভোগী অসহায় মারুফা আক্তার মায়া। (সাবেক সাং-পদ্মবেহুলা, পাইথলি, আশাশুনি।)
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আমার অসহায় বৃদ্ধা মা ও একটি এতিম অসুস্থ সন্তান নিয়ে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরের আসমানী শিশু নিকেতনের পাশে সাড়ে তিন শতক জমির উপর বসবাস করে আসছিলাম। একপর্যায়ে একই এলাকার মৃত গোলাম মোর্তজার ছেলে শেখ আলমগীর হোসেনের পরিচয় হয় (যার হাল সাং-লাবসা দরগা, সাতক্ষীরা)। সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আজ থেকে দীর্ঘ সাত বছর পূর্বে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আমার নিকট থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহন করে। আমাকে তার স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে উপরোক্ত জমিতে বসবাসের জন্য টিনের ঘর নির্মাণ করে দেয় এবং সেখানে সীমানা প্রাচীর দিয়ে পাকা টয়লেট, টিউবওয়েল ও গাছ রোপন করে। এলাকাবাসীর জ্ঞাত সারে সে প্রতিনিয়ত আমার স্বামী হিসেবে সেখানে যাতায়াত করতো এবং সাংসারিক যাবতীয় খরচও প্রদান করতো। বর্তমানে উক্ত লম্পট চরিত্রহীন নারীলোভী ও বহু বিয়ের নায়ক জামায়াত নেতা আলমগীর আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিয়ে এমনকি আমার পাওনা ৭ লাখ টাকা পরিশোধ না করে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য বেআইনিভাবে আমার জমিতে প্রবেশ করিয়া জীবননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জমির উপর থেকে উচ্ছেদসহ পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করবে বলে হুমকি প্রদান করে। এরই জেরে গত ১৪/০১/২০ তারিখ ৬ টার সময় ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হালিম আমাকে উক্ত বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি প্রদান করে ও গ্রেফতারের ভয় দেখায় এবং এক দিনের সময় বেধে দেয়। বর্তমানে আমি আমার বৃদ্ধা মা ও এতিম অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি (মায়া) উক্ত লম্পট আলমগীরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, তার বৃদ্ধা মা ফাতেমা ও অসুস্থ সন্তান নীরব। -
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও ঝাউডাঙ্গা শিবিরের ইয়াং মুসলিম জেনারেশনের প্রতিষ্টাতা ও আল হেরা মডেল একাডেমির পরিচালক জামাত শিবির ও আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে ভুড়িভোজ করলেন ঝাউডাঙ্গায়
নিজস্ব প্রতিনিধি:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও ঝাউডাঙ্গা শিবিরের ইয়াং মুসলিম জেনারেশনের প্রতিষ্টাতা ও আল হেরা মডেল একাডেমির পরিচালক জামাত শিবির ও আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে ভুড়িভোজ করলেন। বুধবার দুপুরে ঝাউডাঙ্গা বাজারের আল হেলা মডেল একাডেমির হলরুমে অনুষ্টিত হয় এ জমকালো অনুষ্টান।
একটি দায়িত্বশীল সুত্র সদর উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আকছেদ আলীর ছেলে আনিছুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। পড়াশুনা শেষ করে যোগদেন জামাতের। জামাতের অর্থ যোগানদাতা আনিছুর লটারিতে পাড়ি জমান আমেরিকায়। মাঝে মধ্যে দেশে এসে জামাতকে সংগঠিত করতে থাকে। সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজারে জামাত শিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলে ইয়াং মুসলিম জেনারেসন নামে একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতৃত্বে ২০১৩ সালে এলাকায় চলে হামলা। কাটা হয় হাজার হাজার গাছ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ঘর বাড়ি। আনিছুরের নিজস্ব ভবনে আল হেরা মডেল একাডেমি নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে তোলা হয়। ২০১৩সালে জামাতের শীর্ষ নেতা ১৮ মামলার আসামি মাও; আহম্মদ আলির নেতৃত্বে চলে জেলাজুড়ে জামাত শিবিরের তান্ডপ।জামাত শিবিরের মিছিল মিটিংএ টাকা যোগাতেন আনিছুর। আল হেরা মডেল একাডেমিতে কোন প্রকার অন্যকোন সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়ে ভর্তি নেওয়া হতো না।
আনিছুর বাড়িতে এসে গোপনে দিন পার করতেন। এবার বাড়িতে এসে তিনি আওয়ামীলীগের সিল লাগানোর কৌশল নিয়েছেন। তিনি আল হেরা মডেল একাডিমে জামাত শিবির মুক্ত করতে মাঠে নামে। কিছু লোকজনকে কাছে নিয়ে কমিটি গঠনরে জন্য বুধবার দুপুরে স্কুল ভবনে ভুড়িভোজের আয়োজন করেন। অংশ নেন আওয়ামীলীগ,বিএনপি ও নাশকতা মামলার আসামিরা।
ভুড়িভোজে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৫টি নাশকতা মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম,জামাতের রেকান অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম,বিএনপি নেতা মজুন,আব্দুল হাই,৫টি নাশকতা মামলার আসমি আকছেদ আলি, ৪টি নাশকতা ,মামলার আসামি আমিনুল ইসলামসহ জামাত শিবিরের নেতাকর্মীরা।
ইউনিয়ান আওয়ামীলীগের সভাপতি রোমজান আলি বলেন এখন সে আল হেরা মডেল একাডেমির নাম পরিবর্তন করবে। আওয়ামীলীগ নেতা আনিছ উদ্দিন দাওয়াত দিয়ে ছিলেন।তিনি ছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হাছান মাহমুদ রানা,আওয়ামীলীগ নেতা অমর নাথসহ কয়েক জন আওয়ামীলীগ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
০১৯৭৯১২০১৯৫নং মুঠোফোনে আনিছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আগে শিবিরের রাজনিতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরির সভাপতি ছিলেন ছাত্র জীবনে। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় থাকেন। কোন রাজনিতি করেন না। আল হেরা মডেল একাডেমিকে জামাতমুক্ত করে নতুন করে কমিটি গঠন করা হবে। ইয়াং মুসলিম জেনারেশন আমার মতের বাইরে থাকায় বর্তমানে ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেই। মানুষ তো পরিবর্তনশীল। -
সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতির মাতা গুরুতর অসুস্থ্য : সুস্থ্যতা কামনা করেছেন কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি স ম তাজমিনুর রহমান টুটুলের মাতা আলহাজ¦ মঞ্জুয়ারা বেগম শাসকষ্ট জনিত কারণে গুরতর অসুস্থ অবস্থায় সি বি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। কৃষকলীগ নেতা টুটুলের মাতার আশু রোগমুক্তি কামনা করে এবং সাতক্ষীরাবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক মনজুর হোসেন, সহ-সভাপতি স ম আতিয়ার রহমান, এড. নওশের আলী, এড. নর নারায়ন ঘোষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক হেদায়েতুল ইসলাম, সাংবাদিক এসএম রেজাউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ সরোয়ার সেলী, অর্থ সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শেখ আফজাল হোসেন, পৌর শাখার সভাপতি মোঃ সামছুজ্জামান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ আনারুল ইসলাম, সদর উপজেলার সভাপতি স ম তাজমিনুর রহমান টুটুল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবু রায়হান, আশাশুনি উপজেলার সভাপতি স ম সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক মতিলাল সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, শ্যামনগর উপজেলার সভাপতি মনজুর এলাহী, কলারোয়ার আহবায়ক মোঃ আমান উল্লাহ আমান, সাতক্ষীরা পৌর ৮নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওবায়দুল্লাহ ইসলাম সহ সাতক্ষীরা জেলার সকল কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ। -

মুজিববর্ষ উপলক্ষে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
সাতক্ষীরায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে পৌরসভার ০৭ নং ওয়ার্ডে অসহায় শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ “মুজিববর্ষের অঙ্গিকার, পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ড হবে ডিজিটাল” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় মুজিববর্ষ ২০২০ উপলক্ষে অসহায় শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ফারহা দীবা খান সাথী প্রমুখ। এসময় পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ডে ৮০০জন অসহায় শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়। আত্মমানবতার সেবায় প্রতিবছরের ন্যায় পৌর কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু শীতের কষ্ট লাঘবে পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ডের ৮০০ জন অসহায় শীতার্থ মানুষের মাঝে তার পক্ষ থেকে এ কম্বল বিতরণ করেন। অসহায় মানুষ কম্বল পেয়ে বেজায় খুশি মনে পৌর কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু’র জন্য দোয়া করে বাড়ি ফেরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইটাগাছা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ কামাল উদ্দীন। -
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় জুবিলি প্রাথমিক বিদ্যালয় শীর্ষে
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) সাতক্ষীরা জেলার ফলাফলের দিক থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের পাশের হার শতভাগের পাশাপাশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬জন। সাতক্ষীরা জেলায় পাশের হার ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার এক হাজার ৯৫টি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৭ হাজার ৫৮৭জন ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৬ হাজার ৩৪৭জন ছাত্র-ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে তিন হাজার ৯১জন। পাশের হার ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক বসনা মজুমদার জানান, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত পিইসি পরীক্ষায় তাদের বিদ্যালয় থেকে ৬৪জন অংশ নিয়ে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬জন ও এ পেয়েছে ১৮জন। জিপিএ-৫ আর কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৬জন ছাত্র-ছাত্রী পায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী ২০১১ সালে যোগদান করার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে তাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করে আসছে।
সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী জানান, ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, সাতক্ষীরা সদরের সাংসদ মুক্তিযোদ্ধ মীর মোস্তাক আহমেদ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী ডা. আবতাবুজ্জামান, সাবেক মেয়র আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত সচিব গোলাম ফারুখ, অভিনেতা তারেক আনম, গজনাফর কবির, আলমগীর কবির, গফুর রহমান,সাংবাদিক সুনীল ব্যানার্জী, অরুণ ব্যানার্জী, প্রকৌশলী তরুণ ব্যানার্জী, নিমাই কর্মকার, ডা. আসিকুর রহিম, সাতক্ষীরার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খায়রুল মোজাফফর, ডা, আবুল কালাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লিয়াকত পারভেজ, অবসর প্রাপ্ত যুগ্ম সচিব মুনসুর হোসেন, সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত উপ মহাব্যাবস্থাপক নাসিমুল হাসান,সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজামউদ্দিন, সাবেব মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইনামুল হক, মীর মাহমুদ আলীসহ অসংখ্য চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও সরকারি কর্মকর্তা এ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন। আলোকিত এ বিদ্যালয়ে গৌরবময় অধ্যায়ের একপর্যায়ে ভাটা পড়ে।
এ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জী আরও জানান, ২০১১ সালে তিনি যখন এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন তখন বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ছিল ২০০জন। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্য ৪৫০জন। শহরের ঘিরে রয়েছে অসংখ্য কিন্টারগার্ডেন। সাধারণত: গরীর ও অশিক্ষিত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা ছাড়া শহরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ভর্তি হতে চায় না। সেই ধ্যান ধারণা ভেঙ্গে এখন অনেক বিত্তবান ও শিক্ষিত পরিবারের ছেলে-মেয়েরা তাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। ২০১৮ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে ৫২জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাশের পাশাপাশি জিপিএ-৫ পায় ৩৫ ও এ পায় ১৭জন, ২০১৭ সালে ৪৭জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাশের পাশাপাশি জিপিএ-৫ পায় ২১জন ও এ পায় ২৬জন। এছাড়া, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও পুলিশ লাইনস বিদ্যালয়ে তাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ের পাশাপাশি আন্তরিক পরিবেশে পাঠদান করা হয়। পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ মনিটরিঙের ব্যবস্থা ছাড়াও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ধারাবাহিক এ ফলাফল।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল হক বলেন, সাতক্ষীরা সিলভার জুবিলি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জীর প্রচেষ্টায় এ বিদ্যালয়টি বর্তমানে জেলার মধ্যে এক নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। চলতি বছর পিইসি পরীক্ষায় ফলাফলে এ বিদ্যালয় জেলার মধ্যে শীর্ষে। প্রধান শিক্ষকের দক্ষ মনিটরিঙের পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করে যাচ্ছে। -

সাতক্ষীরায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসন ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তাবক অর্পণের পর বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।
পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।
এরপর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মো. হাসেম আলী, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন প্রমুখ।
সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সরকার মাদককে মানবতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধ করতে না পারলে যুব সমাজ ধ্বংস মুখে পতিত হবে। উন্নত ও সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে মাদকাসক্তি মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
পরে অতিথিবৃন্দ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
-
আলফা ও আলিমকে জেল হাজতে প্রেরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: আল ফেরদৌস আলফা ও তার সহোদর বিজিবি হত্যা মামলার আসামী আব্দুল আলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তাদেরকে গ্রেফতারের পর বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আল ফেরদৌস আলফা ও আব্দুল আলিম সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামের আবুল কাশেম সরদারের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার তদন্ত ওসি মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর ৩৩ বিজিবি’র একটি টহল দল ট্রাকভর্তি ভারতীয় বিভিন্œ প্রজাতির মাছসহ মামুনুর রশিদ ও আকবর হোসেন নামের দুই জনকে আটক করে। জব্দকৃত ৬ হাজার ৪৫০ কেজি এই মাছ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভোমরা স্থল বন্দর এলাকা দিয়ে আনা হয় বলে বিজিবি মামলায় উল্লেখ করেছে। জব্দকৃত ট্রাকসহ ভারতীয় মাছের মূল্য ১ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় ৩০ ডিসেম্বর বিজিবি আলিপুর বাঁকাল চেকপোস্টের হাবিলদার মোঃ মোহসিন আলী বাদি হয়ে আটক দুইজনসহ আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫৮। ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের (স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট) ২৫ বি (১) (বি)/২৫ডি। এই মামলায় আশিক এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধিকারী আল ফেরদৌস আলফা ও তার সহোদর আব্দুল আলিমকে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, আল ফেরদৌস আলফা মাদক মামলায় ইতিপূর্বে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কয়েক মাস জেলও খেটেছেন। পরবর্তীতে উচ্চআদালতের জামিনে বেরিয়ে আসেন। তিনি সরকারের তালিকাভুক্ত হুন্ডি ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী বলেও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে জানা যায়। এছাড়া, আলফার সহোদর আব্দুল আলিম বিজিবি হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী বলে সদর থানায় দায়েরকৃত ৩নং মামলা সূত্রে জানা গেছে। এই মামলাটি ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে দায়ের করেন ভোমরা বিজিবি’র নায়েক মোঃ নাসির উদ্দীন। মামলাটি আদালতে এখনও বিচারাধীন রয়েছে। -

সদর হাসপাতালে আসাদুজ্জামান বাবু'র পক্ষ থেকে হুইলচেয়ার ও টিভি বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু’র পক্ষ থেকে সদর হাসপাতালে প্রবীণ ও মুক্তিযোদ্ধা রোগীদের জন্য হুইল চেয়ার এবং বহিঃবিভাগের চিকিৎসকদের শিডিউল ডিসপ্লের জন্য টিভি বিতরণ করেছেন। একই সাথে সিনিয়র সিটিজেন কার্ডের উদ্বোধন করেন তিনি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা সদর হাসপাতালের বহিঃবিভাগে সিভিল সার্জন ডা. আবু শাহীনের নিকট এসব হুইল চেয়ার ও টিভি হস্তান্তর করেন তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তানভির হুসাইন সুজন, সদর হাসপালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হাফিজ উল্লাহ, মেডিকেল অফিসার ডা. সাইফুল্লাহ আল কাফি, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, আলম আল রাজী রাজ, গাজী আসাদ, ফয়সাল অপু প্রমুখ। -

সাতক্ষীরার প্রবীন রাজনৈতিক নেতার পাশে জি.এম সৈকত
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরানদা গ্রামের প্রবীন রাজনৈতিক নেতা, মো: আকবর আলীর,(বয়স-৭০), পাশে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হার্ড,কিডনী,মূত্রথলিতে মাংস বৃদ্ধি ও তীব্র শ্বাষকষ্ট রোগে ভুগছিলেন। এই খবর পেয়ে মানবতার কল্যান ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান,নাট্যনির্মাতা জি.এম সৈকত প্রবীন রাজনৈতিক নেতার পাশে দাঁড়ান। ওনার আবেদন পত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেন জি.এম সৈকত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রবীন রাজনীতিবিদকে চিকিৎসার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা,সভাপতি, পরবর্তীতে শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, বর্তমান জেলা কৃষক লীগের নির্বাহি সদস্য এবং সদর উপজেলা আওয়ামীলগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলগের উপদেষ্ঠা কমিটির অন্যতম সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও নাট্যনির্মাতা জি.এম সৈকত প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
আকবর আলী বলেন, আমার বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আর জি.এম সৈকত সে আমার সন্তানের মত পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমি সৈকতকে ও ধন্যবাদ জানাই। -

লাল সবুজের পাঠশালার পালাবদল ও বার্ষিক ফল প্রকাশ অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় লাল সবুজের পাঠশালার পালাবদল ও বার্ষিক ফল প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় লাল সবুজের পাঠশালার পরিচালক এ্যাড. নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে পাঠশালা ক্যাম্পাসে পালাবদল ও বার্ষিক ফল প্রকাশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাঠশালার প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান শিমুল, সচিব আসাদুর রহমান, সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন সাংস্কৃতিক সচিব মিল্টন খান চৌধূরী। এসময় শিশু শ্রেনি থেকে তৃতীয় শ্রেনি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে রেজাল্টশীট ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়ে। -

বধির জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসম্পদে পরিনত করতে হবে- সাতক্ষীরায় এড. তৈয়েমুর আলম
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার পক্ষ থকে সাতক্ষীরা জেলা বধির কল্যান সংঘের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় সদরের বিনেরোপোতা গোপীনাথপুরস্থ প্রধান কার্যালয়ে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা বধির কল্যাণসংঘের সভাপতি গনেশ চন্দ্রের সভাপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় বধির কল্যান সংস্থার চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টেরআইনজীবী তৈয়েমুর আলম খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বধির সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে এলাহী খান, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও প্রচার সম্পাদক আসলাম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য রেজাউল করিম (বধির)। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম,যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হবি, জেলা বধির কল্যান সংঘের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ হালদার, যুগ্ম সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সার্বিক তত্তাবধায়ক রুপালী রায়,কোষাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যগন। উল্লেখ্য সভায় প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা বধির কল্যাণ সংঘকে স্কুল করার লক্ষে ৫ লক্ষ টাকা অনুদান ও অফিস কম্পিউটার প্রদান এবং বধিরদের প্রশিক্ষণের জন্য সেলাই মেশিন দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, দেশের ৭০ লক্ষ বধির জনগোষ্ঠী আছে। বধিররা সমাজের বোঝা নয়। বধির জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসম্পদে পরিনত করতে হবে। বধির জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলায় স্কুল নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সমাজের বিত্তবান মানুষরা বধিরদের পাশে দাড়ালেই মানব সম্পদে পরিনত হবে।
ক্যাপশনঃ জেলা বধির কল্যান সংঘের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন জাতীয় বধির সংস্থার চেয়ারম্যান এড. তৈয়েমুর আলম খন্দকার।.