Category: সদর /পৌরসভা

  • ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার করলেন চৌধুরী বাবু

    ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার করলেন চৌধুরী বাবু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের অকেজো হয়ে পড়া ড্রেন সংস্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মোঃ রাশিদ হাসান চৌধুরী (চৌধুরী বাবু)। গত বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে এ ড্রেন সংস্কার কাজ শুরু হয়। চৌধুরী বাবু নিজে উপস্থিত থেকে এ কাজের তদারকি করেন। এ কর্মসূচির আওতায় ১নং ওয়ার্ডের প্রায় ১৫শত ফুট ড্রেনের সংস্কার কাজ হবে বলে জানিয়েছেন চৌধুরী বাবু।

    এব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, নারকেলতলা থেকে থানাঘাটা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ড্রেনটি দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো অবস্থায় পড়ে ছিলো। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে পথচারিদের জন্য রাস্তাটিতে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় চৌধুরী বাবু নিজ উদ্যোগে উক্ত ড্রেনটি সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে। যেটি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ। ড্রেনটি সংস্কার শেষ হলে রাস্তায় জমে থাকা পানির হাত থেকে পথচারিরা রেহায় পাবে।

    চৌধুরী বাবুর এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে উত্তর কাটিয়া ঈদগাহ ময়দানের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সচেতন নাগরিক হিসেবে চৌধুরী বাবু যে উদ্দ্যোগটি হাতে নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। এভাবে যদি সাতক্ষীরা পৌরসভার সচেতন নাগরিকবৃন্দ তাদের নিজ এলাকার নাগরিক সমস্যার সমাধানে পৌরসভার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে এগিয়ে আসে তবে সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল সমস্যা নিরসণ করা সম্ভব হবে। আমরা এলাকাবাসি তার এ উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানায়।’

    এব্যাপারে চৌধুরী বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নারকেলতলা-থানাঘাটা সড়কের পাশের ড্রেন অকেজো অবস্থায় পড়েছিলো। যার ফলে ওই সড়কের উপরে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা এবং বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এজন্য শিক্ষার্থী-মুসল্লিসহ সাধারণ পথচারীদের রাস্তা দিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এজন্য আমি ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে ড্রেনটি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করি। আশা করি ড্রেন সংস্কার কাজ শেষ হলে রাস্তার জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর হবে।

  • লাবসায় ভিজিএফ’র চাউল বিতরণে অনিয়ম

    নিজস্ব প্রতিবেদক: লাবসা ইউপিতে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে চাউল বিতরণ সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত।
    মঙ্গলবার সকাল ১১টায় লাবসা ইউপিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে লাবসা ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের মাঝে ভিজিএফ’র চাউল বিতরণ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমসহ ইউপি মেম্বরবৃন্দ। কিন্তু চাউল বিতরণে মূল তালিকার সাথে স্লীপের ব্যাপক গড়মিল দেখতে পান স্থানীয়রা।

    এধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সহকারী কমিশনার এবং সাতক্ষীরা কালেক্টরেটের ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আসফিয়া সিরাত সরেজিমনে পরিদর্শনে যান। সেখানে উপস্থিত হয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তিনি তাৎক্ষনিক চাউল বিতরণ বন্ধ করে দেন।

    এবিষয়ে সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত বলেন, “কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা পেয়ে আমি লাবসা ইউপি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। চাউল বিতরণে তালিকায় গড়মিল থাকায় তা সাময়িক বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যেহেতু ওই চাউলগুলো সরকারের পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ। তারা যেন সঠিকভাবে পায় সেকারণে সঠিকভাবে বিতরণের জন্য গড়মিল ঠিক করতে বলা হয়েছে।”

    অন্যদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলিম বলেন, “ইউনিয়নে ১/২টি ওয়ার্ডের তালিকায় কিছু গড়মিল ভুল বশত হয়েছে। সেকারনে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব আজকে চাউল বিতরণ বন্ধের জন্য বলেছেন। আমরা পরবর্তীতে মেম্বরদের সমন্বয়ে সঠিক তালিকা প্রস্তুত করে চাউল বিতরণ করা হবে।

    এদিকে লাবসা ইউপিতে যখন এসব ঘটনা ঘটছিল তখন সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা -২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তবে পরিস্থিতি দেখে তিনি সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে চলে যান। এসময় সহকারী কমিশনার আসফিয়া সিরাত সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে, শিবনগর গ্রামের বৃদ্ধা রিজিয়া খাতুন বলেন, আমি কখনো চাউল পাই না। আমি হক কথা বলি একারণে আমাকে কার্ড দেয় না। কিছু বলতে গেলে মারতে উদ্যত হয়। তবে এবার ১টি কার্ডের চাউল দুজনের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। শুধু আমাদেরই না এলাকার অনেকের মধ্যে এভাবে ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়নের দূরদূরান্ত থেকে আসা হতদরিদ্র পরিবারের অনেকই মঙ্গলবার চাউল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাবো ২০ কেজি চাউল তাও যদি আবার দুইবার আসতে হয়। তাহলে গাড়ি ভাড়া বেশি খরচ হবে।

    উল্লেখ্য, লাবসা ইউপিতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ভিজিএফ, ভিজিডির কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও কাজ না করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগ তো আছেই। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। দুদকে তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন এই বিএনপি নেতা ও অসংখ্য নাশকতা মামলার আসমি আবউদল আলিম। জনশ্রুতি আছে সাতক্ষীরার একজন জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতার আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় বারবার দুর্নীত করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন এই বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান।

  • ঈদের জন্য প্রস্তুত সাতক্ষীরার ২২ টি পশুর হাট

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে সাতক্ষীরায় ২২ টি পশুর হাট বসছে। এ সময় পশুবাহী যানবাহনে কোনো চেকিং করা হবে না। এসব হাটের গবাদিপশু যাতে নির্বিঘ্নে বেচাকেনা হতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাটে যাতে চাঁদাবাজি প্রতারণা ও জাল টাকার লেনদেন না হতে পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে পুলিশ ।
    মঙ্গলবার সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। তিনি বলেন ঈদ পরবর্তীতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । গবাদি পশু কেনাবেচার সময় মোটা অংকের টাকা বহনের নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ঈদ যাতে পূর্ন ধর্মীয় মর্যাদায় নির্বিঘেœ উদযাপিত হতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর।
    বাংলাদেশে প্রবেশ করা ভারতীয় গরু বহনে বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন চোরাচালানরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অবৈধভাবে পশু আমদানি কিংবা স্থানান্তর করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিনি বলেন এ ব্যাপারে পুলিশ বিশেষভাবে সতর্ক রয়েছে। তবে এ জন্য কেউ যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য পুলিশের সহায়তা নিতেও বলা হয়েছে। ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে কোনো সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বহির্মমুখী হতে না পারে সেজন্য সব থানার পুলিশকে সতর্ক করে দেন তিনি।
    প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মঈনউদ্দিন , দেবহাটা কালিগঞ্জ সার্কেল এএসপি মো. ইয়াসিন আলি, তালা কলারোয়া এএসপি সার্কেল অপু সরোয়ার , গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আলি আহমেদ হাসেমী, বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. আজম খান ও আট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন।
    এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন সড়কে শৃংখলা ফিরাতে পুলিশ ভূমিকা পালন করছে। কারও সাথে দুর্ব্যবহার নয় বরং সৌজন্যমূলক আচরন করে তাকে যানবাহন আইনে সংশোধিত হবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন সড়কে নাগরিকদের যেমন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তেমনি ঈদের পর কোনো এক সময়ে মোটর সাইকেল চালকদের মাথায় হেলমেট পরিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আরও বলেন গত ৫ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত যানবাহন আইনে ৩৬৫৯ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১২৭ টি যানবাহন।

  • সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন ঠিকাদাররা। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার অফিসের কয়েকজনের দুর্নীতির কারণে ঠিকাদাররা কর্ম বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে অবিলম্বে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি প্রকৌশলী সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় এবং কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের প্রত্যাহার দাবি করেছেন তারা। রোববার (১২ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা।
    ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার আলি হায়দার। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মো. রুহুল আমিন, সৈয়দ হারিজ হোসেন, মো. শাহেদুজ্জামান, অসীম কুমার দাস, বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পের তিনটি আইডি এবং অগ্রাধিকারমূলক পানি সরবরাহ প্রকল্পের ৮টি টেন্ডার আহবান করা হয়। ঠিকাদার হিসাবে আমরা এসব আইডির মূল্য (রেট) জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ‘খুলনায় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) অফিসে যোগাযোগ করুন।’ সেখানে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকেও একই কথা বলা হয়। প্রকল্পের মূল্য (রেট) না পেয়ে আমরা নিজেদের মতো করে দরপত্র জমা দেয়। টেন্ডার ওপেনিংয়ের পর দেখা যায় নির্বাহী প্রকৌশলী তার খয়ের খা দুই-তিনজন ঠিকাদারের রেট ১০% নি¤œদরে মিলিয়ে দিয়েছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে ঠিকাদাররা বলেন, ‘সাতক্ষীরার ঠিকাদাররা রেট না পেলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রিয়ভাজন লোকজন কিভাবে তা পেলেন?’
    এ কাজে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে অভিযোগ করে তারা বলেন, ‘এর সাথে জড়িত রয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ছাড়াও সরোয়ার হোসেন, অমল রায় ,ইমরানসহ অফিসের কয়েকজন।’
    ঠিকাদারদের অভিযোগ কম্পিউটার অপারেটর ইমরানের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শতকরা ১০ টাকা হিসাবে অবৈধ টাকা নিয়ে কার্যাদেশ দিয়ে আসছেন।
    অভিযোগ করে ঠিকাদাররা আরও বলেন, ‘গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট প্রকল্পে পাঁচটি টেন্ডার আইডিতে ১২ জন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ করেন। ওই পাঁচটি টেন্ডারের বিপরীতে ত্রিশ লাখ টাকা ঘুষ আদায় করে দুই তিনজন ঠিকাদারকে সাত কোটি টাকার কার্যাদেশ দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। এর মধ্যে চারটি আইডির কাজ তার নিজের মনোনীত ঠিকাদারকে দিয়েছেন।’
    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঠিকাদারদের অভিযোগ, প্রিয়ভাজন ঠিকাদারদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর গোপন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। আরেকটি টেন্ডারের পাইপ লাইন কাজ মোটা টাকার বিনিময়ে তিনি ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স লাইসেন্সে কাজ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও মোটা টাকার ঘুষ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যাদেশ দিয়েছেন।
    ঠিকাদাররা জানান, টেন্ডার ওপেন করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তা সর্বসাধারণের অগোচরে রাখার চেষ্টা করেন। এর ফলে বঞ্চিত ঠিকাদারা কে কত রেট দিলেন কিংবা কে কাজ পাচ্ছেন কে পাচ্ছেন না সাধারণ ঠিকাদাররা তা জানতে পারেন না ।
    সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদাররা অবিলম্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, সহকারি মো. সরোয়ার হোসেন, এস্টিমেটর অমল রায় ও কমপিউটার অপারেটর ইমরানকে দুর্নীতির দায়ে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘যা কিছু হয়েছে সবই বিধি মোতাবেক হয়েছে।’
    দুর্নীতির অভিযাগে অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘ছোট-ছোট ঠিকাদাররা অনেক সময় কাজ পান না। এতেই তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পিডবলিউডিএর সিডিউল মোতাবেক বাজার অনুযায়ী দরপত্র আহবানের নিয়ম রয়েছে। ফলে কোন ঠিকাদার কোন দর দেবেন না দেবেন তা তার নিজস্ব বিষয়। আমি কাজের অনুমোদন দিতে পারি না। সুপারিশ করি, অনুমোদন দেন ঢাকার প্রকল্প পরিচালক।’
  • বেতন-ভাতার দাবিতে সাতক্ষীরায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বেতন ভাতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

    ইন্টার্ন চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, ‘ইন্টার্ন চলাকালে আমাদের সরকারিভাবে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমরা দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে নিদারুণ অর্থকষ্টে রয়েছি। বেতন-ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’

    ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ জামিল জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্য সেবার সংকট আরো ঘনিভূত হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তিনি সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির জন্য বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে সাতক্ষীরার সরকারি এ দুই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যাবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

    এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ইকবাল হাসান জানান, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এমনিতেই চিকিৎসক সংকট। তাতে আবার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।

    উল্লেখ্য, বেতন না দেওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৮ সালে পাশ করা ৪২ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক গতকাল বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি পালন করা শুরু করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপি বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সকালে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা অফিসার্স ক্লাব থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মাহমুদুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সপ্তাহব্যাপী এ বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বৃক্ষ নিধনের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি বৃষ্টিপাত কমসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমাদের বেশি-বেশি বৃক্ষরোপন করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই।’

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অমিতা মন্ডল, জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

    এবছর বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’। এবারের এ বৃক্ষ মেলায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের শতাধিক ষ্টল স্থান পেয়েছে।

  • নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে পিছিয়ে নেই সাতক্ষীরা

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও মানববন্ধন পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

    নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে একটি দীর্ঘ র‌্যালি বের করে। র‌্যালিতে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
    র‌্যালি শেষে তারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সমনে অবস্থান নেয় এবং বিভিন্ন স্লোগানে এলাকা মুখরিত করে তোলে। শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

    এ সময় শিক্ষার্থীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে তারা বলতে থাকে ‘বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে’, ‘প্রত্যেক সড়ক দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিকে হবে’, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করতে হবে’, ‘অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না’, শিক্ষার্থীদের গাড়িতে নিতে হবে, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যাবস্থা করতে হবে।’

    পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান।

    জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘তোমাদের দাবি দাওয়া ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। এছাড়া যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে তোমরা আমার সাথে দেখা করে বললে আমি তোমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপাওে সর্বাত্মক সহযোগীতা করব।

    পুলিশ সুপার বলেন, ‘সাতক্ষীরায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে স্প্রিড ব্রেকার ও একজন করে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাবস্থা করতে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানববন্ধনে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পানি পান করান।

    জেলাপ্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের প্রতিশ্রুতির পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যান।

  • এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): এবার সাতক্ষীরায় ৪ বছরের শিশুকে চাকার তলায় পিষে মারলো যাত্রীবাহী বাস।  ।নিহত ঐ শিশুর নাম বুশরা আক্তার।  বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কের মাধবকাটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে আটক করলেও চালক বা বাসের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
    নিহত শিশু বুশরা আক্তার সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
    স্থানীয়রা জানান, চাচা সঙ্গে সাইকেলে মাধবকাটি বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল বুশরা আক্তার ।  এ সময় সাতক্ষীরা থেকে যশোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়।  ধাক্কায় সাইকেলের পেছনে বসে থাকা বুশরা ছিটকে পড়ে।  এরপর বাসটি বুশরাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।  ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাচ্চাটি।
    কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, সাতক্ষীরা সদর থানা এলাকা থেকে বাচ্চাটিকে চাপা দিয়ে বাসটি কলারোয়া থানা এলাকার একটি পাম্পে রেখে চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
    নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশ যখন উত্তাল তখন সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে শিশু বুশরার মৃত্যু আরো একবার প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে কবে পাবো আমরা নিরাপদ সড়ক? কবে আমাদের সন্তানরা নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে চলতে পারবে সড়কে?
  • সাতক্ষীরায় তেলবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায়  মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকারের ধাক্কায় এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক ট্যাঙ্ক ও তার চাললকে আটক করা হয়েছে।
    নিহতের নাম মোশাররফ হোসেন (৪০)। তিনি  সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নবাকী গ্রামের শেখ আবু ইউসুফের ছেলে ও তিব্বত কোম্পানীর জ্যেষ্ঠ রিপ্রেজেনটেটিভ।
    প্রত্যক্ষদর্শী এ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী জানান, মোশাররফ হোসেন পেশাগত কাজে বুধবার পৌনে ১০টার দিকে মোটর সাইকেলে সদর হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি সংগ্রাম মেডিকেলের সামনে পৌঁছালে মজুমদার ফিলিং স্টেশনের একটি জ্বালানী পণ্যবাহি ট্যাংকার তার মোটর সাইকেলের পিছন দিকে ধাক্কা মারে। এতে তিনি রাস্তার উপর পড় গেলে ওই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্যাংক ও তার চালককে আটক করা হয়েছে। নিহত মোশাররফ হোসেন তিববত কোম্পানীতে চাকুরি করেন বলে জানতে পেরেছি।
  • সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৬০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৪ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন হয়েছে। রোববার দুপুরে ‘চাই পৌর সেবার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জন সম্মুখে সাতক্ষীরা পৌরসভার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি।

    সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সাতক্ষীরা রোববার দুপুরে পৌরসভা মিলনায়তনে এ বাজেট অধিবেশনের আয়োজন করে। বাজেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাজকিন আহমেদ চিশতি।

    বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসার অব্দুল হামিদ, জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও পৌর কাউন্সিলর জোছনা আরা, পৌর কাউন্সিলর অনিমা রানী মন্ডল, শফিক-উদ-দৌলা সাগর, শেখ আব্দুস সেলিম, কাজী ফিরোজ হাসান, শাহিনুর রহমান শাহিন, শফিকুল আলম বাবু প্রমুখ।

  • জেলায় ৮ জামায়াত নেতা-কর্মীসহ গ্রেফতার ৬৮

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি):  সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৮ জামায়াত নেতা-কর্মী এবং ৪ মাদক মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে শনিবার (২৮ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    এ অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০পিস ইয়াবা, ৪৯০ বোতল ফেনসিডিল, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং একটি মোটরসাইকেল।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ১৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা এবং ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ২ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪৯০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা ফারুক হোসাইনসহ ১৫ জন, আশাশুনি থানা থেকে ২ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ২ জনকে আটক করা হয়।

    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ৬৮ আসামিকে আটক করা হয়েছে।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ আটক ৭২

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয় ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার আট থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
    গত মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে (২৫ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাঁজা এবং বেশ কিছু জিহাদী বই।
    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০পিস ইয়াবা, বেশ কিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্রসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে যার মধ্যে ৪ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী। কলারোয়া থানা থেকে ১০০গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে ৭ জনকে। ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৮ জনকে আটক করা হয়েছে তালা থানা থেকে। এ থানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬টি জিহাদী বই। এছাড়াও কালিগঞ্জ থানা থেকে ৯ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৮ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার সবকটি থানায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু জিহাদী বই ও প্রচারপত্র সহ ৭ জামায়াত-শিবিরকর্মীসহ মোট ৭২ জনকে আটক করা হয়েছে।
  • বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা

    বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের উন্নয়ন বিষয়ে উন্নয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের হলরুমে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. আলহাজ¦ আবুল কালাম বাবলা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

    এসময় তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ওটিজম শিশুদের নিয়ে কাজ করে বিশ^ দরবারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন।’

    বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতির স্কুলের নামে দানকৃত ১৫ শতক জায়গায় স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সির্দ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিজস্ব ভবন নির্মাণ পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ নুরুল হক, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্য মকসুমুল হাকিম, সৈয়দ নাজমুল হক বকুল, মাসন সোম, শেখ মাহফুজুর রহমান, জিয়াউর বিন সেলিম, শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধি দীপক কুমার বিশ^াস, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারজিনা নাহিদ নিগার, সহকারী শিক্ষক হাবিবুল্লাহ হাবিব, আসাদুজ্জামান আসাদ, সাইফুর রহমান, ফারজানা সুলতানা, ফাহমিদা খাতুন, রাজমিতা মন্ডল, তহমিনা আক্তার সুমি ও কামরুজ্জামানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।

  • জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭ জামায়াতকর্মীসহ আটক-৬১

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জামায়াতকর্মী এবং ২ জন মাদক মামলার আসামীসহ ৬১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে রবিবার (২২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ অভিযান থেকে বেশ কিছু মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।

    অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জামায়াতকর্মীসহ ২৩ জন, কলারোয়া থানা থেকে ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৯ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৪ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ৮ জন, আশাশুনি থেকে ১ জামায়াতকর্মী এবং ১০০ গ্রাম গাজাসহ ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ২ জন এবং পাটকেলঘাটা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার আসামীসহ মোট ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম ১৮ জুলাই সকালে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা ইউনিয়নস্থ শ্রীরামপুর বাজার পরিদর্শন করেন।

    এতে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন। এসময়ে হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, ফ্রিজে মিষ্টির সাথে কাঁচা মাংশ রাওা, দইয়ের পাত্রের অতিরিক্ত ওজন, দোকানে মেয়াদ উর্ত্তীণ, মেয়াদ ছাড়া পন্য বিক্রয় ও পন্যে অগ্রিম তারিখ দেওয়াসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

    এসকল অপরাধে করিম স্টোর, গোলাম রসুল ষ্টোর ও তৌহিদ হোটেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৭০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন কালে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

  • জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক তদন্ত শুরু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের খেয়াঘাট ইজারার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ তদন্ত করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক উপ-সচীব হোসেন আলী খন্দকার।

    বাস্তবতার আলোকে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়টি দালিলিক আকারে উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল।

    অভিযোগ উপন্থাপনকালে এ্যাডভোকেট সত্যরঞ্জন মন্ডল বলেন, জেলা পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলা ১৪১৫ সাল থেকে ১৪২৪ সাল পর্যন্ত আশাশুনির ঘোলা-হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১০ বছরের মোট ইজারা মূল্য ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫১০ টাকা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা ১৪১৮ সালে একইভাবে হাজরাখালি-বিছট খেয়াঘাটের ১০ বছরের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫ টাকা।

    বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ওই খেয়াঘাট বাবাদ গ্রহণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৫২৮ টাকা। ওই দু’টি খেয়াঘাট ইজারা নেন আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল। একইভাবে ইজারা নেওয়ার কিছুদিন পর খেয়াঘাটের শ্রেণী পরিবর্তণ করার অভিযোগে কেন তার ইজারা বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান নোটিশ করেন। এরই বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে দু’টি খেয়াঘাটের বিপরীতে ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি ২৫/১২ রিট পিটিশন দাখিল করেন।

    রিট পিটিশনে ঘোলা- হিজলা- কল্যাণপুর খেয়াঘাট বাবদ বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১২ লাখ ৪০০ টাকা ইজারা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ তিন লাখ ৫০ হাজার ৪০০ টাকা ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৭৩ হাজার ৫৮৪ টাকা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমান ২০১১ সালের ২৬ জুন রশিদ বই এর মাধ্যমে গ্রহণ করেন। একই তারিখে হাজরাখালি বিছট খেয়াঘাটে বাংলা ১৪১৮ ও ১৪১৯ সালে ১০ লাখ ৫২৮ টাকার ইজারা গ্রহণ করার পর ১৪১৮ সাল বাবদ দু’ লাখ ২০ হাজার টাকা গ্রহণ ছাড়াও ভ্যাট, আয়কর ও ১% প্রিমিয়াম বাবদ ৪৬ হাজার ২০০ টাকা রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ দেখানো হয়েছে। যেখানে আত্মসাতের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।

    ঘোলা- হিজলা-কল্যাণপুর খেয়াঘাটের ১৪১৯ সালের ইজারামূল্য ইজারাদার আবু হেনা শাকিল পরিশোধ করেছেন। কিন্তু তিনি ওই বছর ভ্যাট বাবদ ৫২,৫৬০ টাকা পরিশোধ করেন নাই।
    সেক্ষেত্রে ঘোলা- হিজলা ও কল্যাণপুর খেয়াঘাট থেকে দু’ বছরে দু’ লাখ ৮০ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেখানোয় ইজারা মূল্য ৯ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    একইভাবে মানিকখালি খেয়াঘাটটি ১০ বছরে ২৫ লাখ ৩১২ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা গ্রহীতা কওছার আলী কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে ২২৭৯/২০০৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। ফলে ওই খেয়াঘাটে আদায়কৃত রাজস্ব যথাযথভাবে জেলা পরিষদ পাচ্ছে না।

    তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ইজারা নোটিশের শর্তাবলীতে সর্বোচ্চ বা কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত যে কোন কোটেশনে উদ্ধৃত দর অনুমোদনের পর নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ১৪১৮ সালের ইজারা মূল্য বাবদ অবশিষ্ঠ ৫০ শতাংশ ইজারা মূল্যসহ ৫শতাংশ আয়কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১ শতাংশ প্রিমিয়াম এককালিন জেলা পরিষদে জমা দিতে হবে। ব্যর্থতায় ইজারা চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা তা না করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইজারা চুক্তি করেছেন।

    অভিযোগ শুনানীকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের ১৫জন সদস্য, কয়েকজন কর্মচারি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবর রহমানসহ সাংবাদিকরা। শুনানীকালে জেলা পরিষদ সদস্যরা এসএম মাহাবুবর রহমানের বিরুদ্ধে আব্দুর রউফ কমপ্লেক্স ও এতিমখানা পরিচালনা, এইচএসসি পাশ করে তার প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ অবৈধ ও তিন বার বদলী করার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন খারিজ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে সাতক্ষীরায় চাকুরি করা সংক্রান্ত বিষয়গুলি যথাযথভাবে উপস্থাপন করার পরও একই তদন্তকারি কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে প্রতিবেদন দেওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একইভাবে মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়ার পরও তাকে বদলী ও এক বছর ছুটি নেওয়ার আইনি বৈধতা সংক্রান্ত তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা হল থেকে বেরিয়ে যান।

  • শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    শিশু পাচারের অভিযোগে নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরায় প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া এক কন্যা শিশুকে পাচারের অভিযোগে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় দেন।
    সাজাপ্রাপ্ত নারী আসামী হলেন, শ্যামনগর উপাজেলার পরানপুর গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে মোছাঃ আফরোজা ও ওরফে তাছলিমা খাতুন। বর্তমানে তারা কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামে বসবাস করেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, পাচারের শিকার শিশু কন্যাটি শ্যামনগর উপাজেলার ৮৬নং পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রণিতে পড়তো। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় সে। স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠি ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

    জানতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল করিম বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করে শিশুটির সন্ধান নেয়ার চেষ্টা করেন। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় বৈশখালি গ্রামের লোকজন পাচারকারী আফরোজাকে আটক করলেও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুটিকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর দাদা বারী সরদার বাদি হয়ে পাচারকারী আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন।

    ২০০৩ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক ফয়সাল জামান এজাহারভুক্ত আসামিদের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

    ১০জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে বুধবার আসামি আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। একই সাথে অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তবে, এ রায়ের সময় পাচারকারী আসামি আফরোজা পলাতক ছিলেন।

    রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

  • সাতক্ষীরায় বছরে মাছ উৎপাদন হয় ১ লাখ ৩১ হাজার ৫১৬ মেট্রিকটন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় জাতীয় মৎস সপ্তাহ পালন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন কমিটি সাতক্ষীরার আয়োজনে বুধবার সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা মৎস্য অফিসের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার রাশেদুল হক, সহকারী মৎস্য অফিসার লুৎফর রহমান প্রমুখ।

    সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় বছরে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫১৬ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৮৫ হাজার ৯৬৮ মেট্রিকটন সাদা মাছ ও চিংড়ি মাছ বিদেশে রপ্তানী এবং দেশের অন্যান্য জেলায় সরবারহ করা হয়।

    বক্তারা আরো বলেন, এ বছর ‘স্বয়ং সম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৮ পালিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।