Category: শোক সংবাদ

  • করোনায় মারা গেলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম: জাসদের শোক

    করোনায় মারা গেলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম: জাসদের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ বৃহস্পতিবার ০২ জুলাই ২০২০ এক শোকবার্তায় গেলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত, মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের অধীনে সেক্টর জয়েন্ট নেভাল কমান্ডার, নৌ-কমান্ডো হিসাবে দুঃসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, ফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন এ জি মুহম্মদ খুরশিদ আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। বার্ধক্যজনিত ও বাতজ্বরের ব্যাথা নিয়ে ঢাকার মিরপুরের একটি হাসপাতালে ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় করোনা সংক্রামন সনাক্ত হলে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত বুধবার থেকে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। তিনি আজ ২ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ২০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্না…..রাজেউন)। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে এবং তিন কণ্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    জাসদ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম বাবুল খুরশীদ আলমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতীয় বীর ক্যাপ্টেন এ জি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাদের অন্যতম। তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে চুপ করে বসে থাকেননি। যে কোনো মূল্যে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজনৈতিক ও সামরিক পথে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারা বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা এই মহান জাতীয় বীর মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসিক ভুমিকা পালন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য স্বাধীন দেশে ক্ষমতার লোভ-মোহ-অংশীদারিত্ব ত্যাগ করে প্রথম বিরোধী ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী দল জাসদ গঠন এবং ফরিদপুর জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তোলা, ১৯৭৩ সালে ১ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদ দলীয় প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, পরবর্তীতে জেল-জুলুম সহ্য করেও স্বৈরশাসন ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও সমাজবদলের লক্ষ্যে আপোষহীন ভুমিকা পালনের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকিবেন।

    বার্তা প্রেরক

    সাজ্জাদ হোসেন

    দফতর সম্পাদক

  • করোনায় চলে গেলেন জাসদের অন্যতম অবিভাবক,সুপ্রিম কোটের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান। ইনু-শিরীনের শোক

    করোনায় চলে গেলেন জাসদের অন্যতম অবিভাবক,সুপ্রিম কোটের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান। ইনু-শিরীনের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় জাসদের অন্যতম অবিভাবক মশাল প্রতীক মামলায় জাসদের প্রধান কৌশলী সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমানে মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন -সহকর্মী-জাসদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। এড. ইদ্রিসুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ জুন থেকে আসগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসকগণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালান। আজ ভোর ৪-১০ মি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্না….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ডা. ইশরাত জাহান উর্মি, এক পুত্র ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ রহমান সবুজসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বাদ জোহর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বাঙ্গুরা থানার বাঙ্গুরা গ্রামে তার নামাজে জানাজাশেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাধীস্থ করা হয়।
    জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এড. ইদ্রিসুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি জাসদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজীবন দলের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও দলের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখতেন, রাজনৈতিক ও আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা এবং নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি যে কোনো দলের পাশে দাঁড়িয়ে একজন দলের একজন দায়িত্বশীল রক্ষক ও অবিভাবকের ভুমিকা পালন করতেন। তিনি রাজনৈতিক সংকট-বিপদে কখনই বিভ্রান্তি বা দোদুল্যমানতায় না ভুগে সবসময় দলের পতাকা সমুন্নত রাখতেন এবং তরুনদের দলের কাজে উৎসাহ প্রদান করতেন। তারা বলেন, প্রয়াত এড. ইদ্রিসুর রহমানকে জাসদের নেতা-কর্মীরা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

  • জার্মানি জাসদের সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যুতে ইনু-শিরীনের শোক

    জার্মানি জাসদের সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যুতে ইনু-শিরীনের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় জাসদ জার্মানি কমিটির সভাপতি মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। জার্মানি জাসদ সভাপতি মুহিবুর রহমান আজ ২৫ জুন রাত ১:৩০ টায় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না……রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মঅয়-স্বজন-গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জাসদ নেতা মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিবের প্রতি দলের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, প্রয়াত মুহিব উদ্দিন আহমদ মুহিব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সিলেট অঞ্চলে জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি সমাজপ্রগতির বিপ্লবী আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক হয়রানি ও নিপীড়নের স্বীকার হয়ে এক পর্যায়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশী অভিবাসীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গঠণে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি জার্মানির বাইরেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জাসদের সংগঠন গড়ে তোলা এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিলে বাংলাদেশের পক্ষে মতামত তৈরিতে ভুমিকা রেখেছেন। তারা বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সাহসী ভুমিকা রাখার জন্য জাসদের নেতা-কর্মীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
    তার মৃত্যুতে পৃথক শোকবার্তায় জাতীয় নারী জোট, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ, জাতীয় কৃষক জোট, জাতীয় যুব জোট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ(হা-ন) সিলেট জেলা ও মহানগর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইটালি, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা জাসদ কমিটি শোক প্রকাশ করেছেন।

  • কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।

  • কামাল লোহানী আর নেই

    কামাল লোহানী আর নেই

    করোনায় আক্রান্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী আর নেই। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী এ কথা জানান।
    কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে গতকাল শুক্রবার জানান তাঁর মেয়ে ঊর্মি লোহানী। কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা ছাড়াও হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

    কামাল লোহানীকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন সুলতানা কামাল (বামে)


    শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামাল লোহানী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।


    ঊর্মি লোহানী জানান, কামাল লোহানী অনেক দিন ধরেই ফুসফুস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। শুরুতে লকডাউনে চিকিৎসা করাতেও বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার সমস্যা ছিল। টেলিফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা বেশ গুরুতর হয়ে পড়লে গত ১৮ মে তাঁকে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে ২ জুন তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার ভর্তি করাতে হয়েছে।


    কর্মজীবনে কামাল লোহানী দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু করেন। এরপর আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
    উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেরও উপদেষ্টা কামাল লোহানী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুবার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে এবং ছায়ানটের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

  • সেলাই মেশিন মেরামতে টাকা না পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

    সেলাই মেশিন মেরামতে টাকা না পেয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

    সেলাই মেশিন মেরামতের টাকা না পেয়ে বাবার সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক মাদ্রাসাছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর তাজহাট থানা এলাকার সিলিমপুর এলাকায়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলিমপুর এলাকার কৃষক আব্দুল মতিনের মেয়ে  মারুফা বেগম (১৯) মাহিগঞ্জ এলাকায় একটি কামিল মাদ্রাসায় পড়ে। তার সেলাই মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেলে তা মেরামতের জন্য বাবার কাছে টাকা চায়। বাবা টাকা দিতে গড়িমসি করলে অভিমান করে বুধবার রাতে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

    তাজহাট থানার এসআই মামুন জানান, কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছেন।

  • প্রেমিকের বিচার চেয়ে সুইসাইড নোট, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!

    প্রেমিকের বিচার চেয়ে সুইসাইড নোট, অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা!

    ‘আমার পেটে জীবনের বাচ্চা। আমিতো বেঁচে থাকতে ওর বিচার করতে পারলাম না। মরার পরে যেন কঠোর বিচার হয়” মৃত্যুর আগে এভাবে আবেগঘন সুইসাইড নোট লিখে দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকাল ৭ টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ের চর নিতাইল পাড়ার পূর্ব পাড়াতে এ ঘটনা ঘটে।

    ওই ছাত্রীর নাম সোনিয়া খাতুন (১৬)। তিনি শালঘর মধুয়া হাজী আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং নিতাইল পাড়ার সুফিয়া খাতুনের কন্যা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একই এলাকায় জহুরুল হাজীর কলেজ পড়ুয়া ছেলে জীবনের (২০) সাথে সোনিয়ার প্রায় এক বছর যাবৎ প্রেম চলছিল। এর মাঝে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে সোনিয়া দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য জীবনকে সোনিয়া চাপাচাপি করতে থাকে। এরপর গত শনিবার জীবনের সাথে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাখে সোনিয়া। কিন্তু জীবন পালাতে রাজি না হওয়াই রবিবার সন্ধ্যায় জীবনের বাড়িতে ছুটে যায় সোনিয়া। এসময় জীবনের মা বাবা বোন মিলে সোনিয়াকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। সোনিয়া সোজা বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করে সোনিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। অপমান আর ক্ষোভে সোমবার সকাল ৭ টার দিকে সুইসাইড নোট লিখে নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া।

    নিহতের মা সুফিয়া খাতুন জানান, জীবনের সাথে গোপনে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জীবনের বাড়িতে গেলে ওরা মারধর করলে ক্যাম্পে যায় সোনিয়া। পরে পুলিশ সোনিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তিনি আরো জানান, রাতেই সোনিয়ার কাছ থেকে জানতে পারলাম ওদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল এবং সোনিয়া দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়নি। সুফিয়া জানান, আমার মেয়ে বাবা হারা। অনেক কষ্টে বড় করেছি। ওর সাথে যারা খারাপ কিছু করেছে, তাদের কঠোর বিচার চাই। 

    এ বিষয়ে বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, মেয়েটি ক্যাম্পে এসে তার এক ছেলের সাথে প্রেমের কথা জানিয়ে বলে আমি বাড়ি গেলে পরিবারের লোকজন মারবে। এ কথা শুনে আমরা বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। তবে লিখিত অভিযোগের কথা তিনি অস্বীকার করেন। 

    কুমারখালী থানার ওসি অফিসার মজিবুর রহমান জানান, সুইসাইড নোট লিখে মেয়েটি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তদন্তের স্বার্থে সুইসাইড নোটসহ একটি ডায়েরী জব্দ করা হয়েছে এবং সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই জীবনসহ তার পরিবারের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে।

  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬ জনসহ জেলায় মোট ৮৫ জন করোনা আক্রান্ত

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬ জনসহ জেলায় মোট ৮৫ জন করোনা আক্রান্ত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ
    হাসপাতালের আইসোলেশনে আমেনা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
    সোমবার রাত ১১টায় তিনি মারা যান।
    তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মফিজুল মোড়লের স্ত্রী।
    মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান,
    গত রোববার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমেনা বেগম (৩৮) মেডিকেল কলেজ
    হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
    আমেনা বেগম রাতে মারা যান। তিনি আরো জানান, ওই দিনই তার নমুনা
    সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এখনও তার নমুনা পরীক্ষার
    রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার
    জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মৃতের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
    তিনি আরো জানান, মৃত ওই নারীর বাড়িসহ তার আশোপশের কয়েকটি
    বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
    এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৫ জনের
    মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ৬
    জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৮৫ জনের
    করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৩
    জনের। ইতিমধ্যে ১ হাজার ২১ জনের রিপোর্ট সিভিল সার্জন কর্যালয়ে
    এসে পৌছেছে। এরমধ্যে ৮৫ টি রিপোর্ট পজিটিভ বাকী সব নেগেটিভ
    এসছে।

  • কামরানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের শোক

    কামরানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের শোক



    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেট
    সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দীন আহমদ কামরানের
    মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি
    সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি,
    সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এবং সাধারণ
    সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।
    সোমবার এক বিবৃতিতে তারা এই শোক প্রকাশ করেন। প্রেস
    বিজ্ঞপ্তি

  • রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ নাসিম

    রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত মোহাম্মদ নাসিম

    ন্যাশনাল ডেক্স : দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ জননেতা মোহাম্মদ নাসিম। 

    আজ সকালে প্রথমে রাজধানীর সোবহানবাগ মসজিদে নামাযে জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজ বাড়িতে। এরপর সকাল সাড়ে দশটায় বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। সকাল সাড়ে দশটায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ’র পক্ষে তার সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব, এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে কেন্দ্রীয় নেতারা দলের পতাকা মুড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ১৪ দল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

    নামাজে জানাজায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হলেও প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় নিতে শত শত নেতাকর্মীর ঢল নামে বনানী কবরস্থানে। বনানীতে মানুষের ঢল যেন না নামে সেজন্য রাস্তায় চেক পোস্ট বসানো হয়। তারপরও মানুষের ঢল নামে। 

    গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর একটি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে মোহাম্মদ নাসিমের বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য নেতাকর্মী, আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

    বনানীতে জানাজার আগে তার বড় সন্তান সাবেক এমপি প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয় দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমার বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আমি তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি বলেন, মানুষ ভুলে উর্ধ্বে নয়, আমার বাবারও ভুলত্রুটি হয়ে থাকলে সন্তান হিসেবে আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাই। আপনাদের প্রিয় নেতাকে ক্ষমা করে দেবেন। 

    সিরাজগঞ্জবাসীর উদ্দেশে নাসিমপুত্র জয় বলেন, সিরাজগঞ্জের মানুষের দাবি ছিল আমার পিতাকে একনজর শেষ দেখার। কিন্তু করোনাভাইরাসের কথা চিন্তা করে সিরাজগঞ্জবাসীর লাখ লাখ মানুষের দাবি পুরণ করতে পারিনি। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। 

    বনানী কবরস্থানে নামাজে জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন খসরু, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, পররাষ্ট্র মন্ত্রী একেএম আবদুল মোমেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খান ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান প্রমুখ। 

    পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

  • ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই

    ন্যাশনাল ডেক্স : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ আর নেই। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক সৈকত গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা ধারণা করছি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আগে থেকেই ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।

    ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান শেখ মো. আবদুল্লাহ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভের আগে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।

    গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে শেখ মো. আবদুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি।

  • বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    ডেক্স রিপোর্ট :

    মোহাম্মদ নাসিম (২ এপ্রিল ১৯৪৮ – ১৩ জুন ২০২০) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালেও স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে ছিলেন।

    জন্ম ও শিক্ষা জীবন

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী[৩] এবং মাতা আমেনা মনসুর। পিতা মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[৪]

    পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

    ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতির জীবন শুরু হলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি প্রভাবে তিনি ছাত্রলীগে যোগদান করেন। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। ১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাসিম। ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালের আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ একটি ছিল। এরপর থেকে বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পরপর তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৬ সালে নাসিম প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন (কাজীপুর) থেকে পাঁচবার বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ১/১১ সরকারের দেওয়া মামলার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। ঐ নির্বাচনে তার সন্তান তানভীর শাকিল জয় দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে নাসিমকে মনোনয়ন পান এবং বিজয়ী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন।

    ব্যক্তিগত জীবন

    পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।

    মৃত্যু

    রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ২০২০ সালের ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। ওই দিনই কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে তার। এর চার দিন পর, চিকিৎসার সময় তার ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এরপর ৪ জুন অবস্থার উন্নতি হয়, তবে পুনরায় ৫ জুন ভোরে তিনি বড় ধরনের স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বোর্ড গঠিত হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এর মধ্যে পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস অনুপস্থিত পাওয়া যায়। ১২ জুন পরপর কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পরে পুনরায় অবস্থার অবনতি ঘটে। আজ ১৩ই জুন ঢাকায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

  • মোহাম্মদ নাসিম: রাজনীতিতে পাঁচ দশকের বেশি পথচলা

    মোহাম্মদ নাসিম: রাজনীতিতে পাঁচ দশকের বেশি পথচলা

    ন্যাশনাল ডেক্স : সিরাজগঞ্জ-১ আসন (কাজীপুর ও সদর উপজেলার একাংশ) থেকে তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হুইপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম দলের মুখপাত্র হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    রাজনীতির সঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম সম্পৃক্ত হন ষাটের দশকে। শুরুর দিকে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হলেও পরবর্তীতে ছাত্রলীগ করতে শুরু করেন। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালের দোসরা এপ্রিল, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।Image caption জনসভায় ভাষণ দানরত মো. নাসিম।

    উনিশশো পঁচাত্তর সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের হত্যাকাণ্ড ও জেলখানায় আরো তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাঁর পিতা এম মনসুর আলী হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হয়ে ওঠেন।

    পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।

    ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার আরেকজন নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছেলে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’১৯৭৫ সালের পর তাকে বেশ একটা দুঃসময় পার করতে হয়। আমাদের সবাইকেই সেটা করতে হয়েছে। ৭৮ সালের দিক থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন। নেত্রী আসার পর (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর) তিনি সবসময় নেত্রীর সঙ্গেই থেকেছেন।‘’

    ‘’একাত্তর সালে মুক্তিসংগ্রামের সময় কলকাতায় আমরা এক বাড়িতে থাকতাম। জাতীয় চার নেতার পরিবারের মধ্যে আমরা তাকে আমাদের বড় ভাইয়ের মতো মনে করতাম। তিনিও সেভাবেই আমাদের খোঁজখবর রাখতেন। তাকে দেখেছি, যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেও শক্ত মন নিয়ে দাঁড়াতে পারতেন, কর্মীদের চাঙ্গা করে তুলতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রশাসক হিসাবেও তাকে সফল দেখতে পেয়েছি।‘ছবির কপিরাইট Facebook Image caption প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মো. নাসিম।

    ‘’তিনি অনেক সময় গর্ব করেই বলতেন,আমি কোন বেঈমানের সন্তান নই, আমি বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত আদর্শের সৈনিক, তার সন্তান।‘’ বলছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

    উনিশশো একাশি সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে মোহাম্মদ নাসিম যুব সম্পাদক হন। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আসেন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ১৯৮৭ তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    তার আগের বছর, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম।

    আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’মোহাম্মদ নাসিম রাজনীতির ক্ষেত্রে সারাজীবন সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ষাটের দশক থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি একটা রাজনীতিক পরিবারের বেড়ে উঠেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাকে সাজা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সম্মুখ সারিতে ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটা সংগ্রামের সাথে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন।‘’

    আওয়ামী লীগের ‘৯২ ও ‘৯৭ সালের জাতীয় সম্মেলনে তাকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়।ছবির কপিরাইট Facebook

    উনিশশো ছিয়ানব্বই, ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একসময় তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

    রাজনীতিতে তাদের পরিবারের ভূমিকা নিয়ে ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ নামের একটি বইয়ের সম্পাদনাও করেছেন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, তার সন্তান মোহাম্মদ নাসিম এবং তার ছেলে তানভীর শাকিল জয়ের ভূমিকা নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। তিনি তিন সন্তানের জনক।

    তাঁর নির্বাচনী এলাকা কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’তার পিতাকে যেমন এলাকার লোক দরকারের সময় পেতো, তেমনি তাকেও আমাদের যেকোনো দরকারে সবসময় কাছে পেয়েছি। প্রতিমাসে কয়েকবার তিনি এলাকায় আসতেন। তিনি বিদেশে থাকলেও আমাদের ফোন করে এলাকার খোঁজখবর নিতেন। দলমত নির্বিশেষে এখানকার সবাই জানে, তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।‘’

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়।

    রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে মোহাম্মদ নাসিমকে অনেকবার কারাবন্দী হতে হয়েছে। প্রথম তাকে কারাগারে যেতে হয় ১৯৬৬ সালে, যখন তিনি এইচএসসি পড়ছিলেন। সেই সময় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ভুট্টা খাওয়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পিতা এম মনসুর আলীর সঙ্গে কারাগারে যেতে হয় মোহাম্মদ নাসিমকেও। একবছর পরে তিনি ছাড়া পান।

    ১৯৭৫ সালে সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মোহাম্মদ নাসিমকে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিযানে আরো অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

    সেই সময় অবৈধভাবে এক কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় বিশেষ জজ আদালত ২০০৭ সালে মোহাম্মদ নাসিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত ওই সাজা ও মামলা বাতিল করে দেন।

    কিন্তু মামলায় সাজা হওয়ার কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাসিম। সেই আসনে তার ছেলে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। মামলা ও সাজা উচ্চ আদালতে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। এরপর তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়, ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকেন।

    ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মন্ত্রী না হলেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

  • একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

    একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেক্স : জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম।রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতার মতোই মোহাম্মদ নাসিম আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন।

    তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’

    প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

  • সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম আর নেই

    সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম আর নেই

    ন্যাশনাল ডেক্স : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আর নেই। তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। 

    গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। স্ট্রোকের পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।মোহাম্মদ নাসিম স্ত্রী, তিন ছেলে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা।

    ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম পঞ্চমবারের মতো সংসদে সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাসিম এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি নাসিমের। তবে পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় না থাকলেও দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ নাসিম।

  • সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়ার নয় ঘণ্টা পর মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকখালি খেয়াঘাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহতের নাম আব্দুস সামাদ সানা (৬০)।
    নিহতের ছেলে আমিরুল সানা ও জিয়ারুল সানা জানান, খোলপেটুয়া নদীর হাজরাখালির বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। দুই ভাই তাদের বাবাকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় খাল পার হতে গিয়ে ভাটার তীব্র টানে বাবা খোলপেটুয়া নদীতে ভেসে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মানিকখালি খেয়াঘাট এলাকায় তার ভাসমান লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন।
    আশাশুনি থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • স্বপ্ন সিঁড়ির শোক প্রকাশ

    স্বপ্ন সিঁড়ির শোক প্রকাশ


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের প্রাক্তন গার্ল-ইন-রোভার ও প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক জেসমিন নাহারের ব্রেন স্ট্রোক জনিত অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন স্বপ্নসিঁড়ির নেতৃবৃন্দ। জেসমিন শ্যামনগরের বন্যতলা ইউনাইটেড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলার প্রাক্তন রোভার স্কাউটদের সংগঠন স্বপ্নসিঁড়ির আহবায়ক নাজমুল হক, যুগ্ম আহবায়ক মঈনুর রহমান মঈন, সদস্য সচিব অতনু বোস, যুগ্ম সদস্য সচিব সালাউদ্দীন রানা, সদস্য আলতাফ হোসাইন, সদস্য (অর্থ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য (আইটি) ফাহাদ হোসেন, সদস্য (প্রচার) সেলিম হোসেন, সদস্য শাহাজান আলী, হাবিবুর রহমান হাবিব, রাশিদুজ্জামান রানা, প্রীতম দাশ, মুক্তাদির হোসেন, সাঈদুর রহমান, মীর খায়রুল আলম, আসাদুল্লাহ আল গালিব ইয়াকুব আলী, সাঈদুজ্জামান প্রান্ত, রজনী সুলতানা, উজ্জ্বল মোল্লাসহ স্বপ্নসিড়ির সকল স্তরের সদস্য ও সহযোগী সদস্যগণ।