Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
লাইফস্টাইল Archives - Page 2 of 5 - Daily Dakshinermashal

Category: লাইফস্টাইল

  • আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে ক্ষতি কী?

    আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে ক্ষতি কী?

    অনলাইন রিপোর্টার ॥ অনেক সুস্বাদু ফল আনারস। অন্যদিকে পুষ্টিকর খাবার দুধ। আর এই দুই খাবার একসঙ্গে খেতে চান না অনেকেই। কারণ মৃত্যু ভয়। আসলে কি দুধ-আনারস একসঙ্গে খেলে মৃত্যু হয়?

    আনারস আর দুধ একসঙ্গে খেলে মানুষ বিষক্রিয়া হয়ে মারা যায়-এ রকম একটি ধারণা প্রচলিত আছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে মানুষ মারা যান এই ধারণা ভুল। এগুলো এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার। আনারস একটি এসিডিক ও টকজাতীয় ফল।

    দুধের মধ্যে যেকোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। এটা কমলা ও দুধের বেলায় বা লেবু ও দুধের বেলাতেও ঘটে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে খুব বেশি হলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ– এ ধরনের সমস্যা হতে পারে, তবে বিষক্রিয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

    তিনি বলেন, যাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা রয়েছে, খালি পেটে আনারস খেলে তাদের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আনারস আর দুধ বিরতি দিয়ে খাওয়াই ভালো। দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। নয়তো অনেক সময় পেটে গিয়ে হজমের সমস্যা হতে পারে। তবে যদি সঠিক নিয়মে খাবার বানানো হয় এবং সঠিক খাদ্যের সমন্বয় থাকে তাহলে কোনো সমস্যা হবে না।

  • শীতে কমলা খাবেন যে কারণে

    শীতে কমলা খাবেন যে কারণে

    অনলাইন রিপোর্টার ॥ ভিটামিন সি এর দুর্দান্ত উৎস হলো কমলা। আমাদের ত্বক ভালো রাখার জন্য ভিটামিন সি জরুরি। আমাদের শরীরের কোনো টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সারাতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। কমলা যদি মিষ্টিও হয়, তবু এটি এড়িয়ে যাবেন না। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে বিভিন্ন ফল। কমলাও সেরকমই একটি ফল।

    আসছে শীত। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর কমলা। এই শীতে ওজন কমানোর জন্য খেতে পারেন কমলা। শীতে কেন প্রতিদিন কমলা খাওয়া জরুরি, চলুন জেনে নেয়া যাক-

    কমলায় ক্যালরি বেশ কম। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অন্যান্য খাদ্যগুণ। একটি মাঝারি আকারের কমলার মধ্যে থাকে:

    ৫০ ক্যালোরি,

    ০.৯ গ্রাম প্রোটিন,

    ১৬.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,

    ৩.৪ গ্রাম ফাইবার,

    ২৩৮ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম,

    ৬১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,

    ১৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং

    ৬৩.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

    ভাবছেন, কমলা খেলে কীভাবে ওজন কমে? প্রথমত কমলায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। এই ফলের প্রায় ৮৭ শতাংশই পানি। তাই এই ফল শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। শীতে নিয়মিত কমলা খেলে শরীরে পানির অভাবে টান পড়বে না। কারণ, এসময়ে সাধারণত আমাদের পানি পানের পরিমাণ কমে যায়।

    কমলায় আছে প্রচুর ফাইবার। এর ফলে বাওয়েল মুভমেন্ট ভালো হয় এবং পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। ওজন কমাতে হলে পেট পরিষ্কার হওয়া জরুরি। ফাইবার বেশি থাকায় একটা কমলা খেয়ে বেশি কিছুক্ষণ পেট ভর্তি থাকে।

    গবেষণা বলছে কমলার মধ্যে যে পানিতে দ্রবীভূত ভিটামিট সি থাকে, তা ওজন কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি এই ভিটামিন সি শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। এই প্রসঙ্গে আরও বলা যেতে পারে যে সব ফলই প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি। কখনো খুব মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করলে আপনি নির্ভয়ে একটি কমলা খেয়ে নিতে পারেন।

  • করোনা সারলেও বাড়ছে অন্য রোগের ঝুঁকি, সুস্থ থাকতে কী কী করবেন

    করোনা সারলেও বাড়ছে অন্য রোগের ঝুঁকি, সুস্থ থাকতে কী কী করবেন

    সুমা বন্দ্যোপাধ্যায়

    করোনা এখন প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতেই হানা দিয়েছে। চেনাশোনা আত্মীয়-স্বজন পাশের বাড়ি, নিজের বাড়িতেও নভেল করোনা ভাইরাসের প্রবেশ আটকানোর যাচ্ছে না। কোভিড সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরেও দুর্বলতা কাটছে না। কারও শুকনো কাশি, কারও বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট।

    দুর্ভাগ্যজনকভাবে এক মাসের মধ্যে বেশ কিছু কোভিড থেকে সেরে ওঠা মানুষ আচমকা হার্ট অ্যাটাক বা অন্য কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ মারাও যাচ্ছেন। ব্যাপারটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক অশোক সেনগুপ্ত।

    অনেকেই সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে কোভিডকে তুলনা করছেন। তাই কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পরে পরেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আসলে অতিমারি সৃষ্টিকারী নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর কোন মানুষের ঠিক কী ধরনের সমস্যা হতে পারে সে বিষয়টা এখনও পরিষ্কার নয়। সাধারণ জ্বর সর্দির তুলনায় কোভিডের ক্ষেত্রে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এবং অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।

    সংক্রামক রোগ চিকিৎসক দেবকিশোর গুপ্ত বলেন, কোভিড নেগেটিভ হওয়ার পর রোগীকে অত্যন্ত সাবধানে থাকতে হয়। সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া ছাড়াও সেকেন্ডারি ইনফেকশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। সেরে ওঠা মানুষদের মধ্যে পোস্ট কোভিড ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত নিউমোনিয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ব্যাকটেরিয়া এমনকি ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়।

    দেবকিশোর জানান, যে সব করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হন, তাঁদের বেশিরভাগকে স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হয় বলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রায় তলানিতে এসে দাঁড়ায়। তাই বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি পুনরায় অন্যান্য সংক্রমণ এড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত এবং বেপরোয়া ভাব ত্যাগ করে আরও বেশি সাবধানে থাকা উচিত পরামর্শ দেবকিশোরের। 

    অশোক সেনগুপ্তর মত, কোভিড-১৯ ভাইরাস আমাদের শরীরের প্রধান অঙ্গগুলিকে অকেজো করে দিতে পারে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে ফুসফুসের। এই অঙ্গে সংক্রমণজনিত নানা রকম প্যাচ তৈরি হয়, যা ওষুধ দিয়ে এবং স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় নিয়মে শুকিয়ে ওঠে। এই গুলি পরবর্তী পর্যায়ে ফাইব্রোসিসে পরিণত হতে পারে।

    কোন কোভিড আক্রান্তের কত ফাইব্রোসিস হবে তা আগে থেকে বোঝা যায় না। এ ছাড়া করোনারি আর্টারি অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের রক্তবাহী ধমনিতেও কোভিড সংক্রমণের প্রভাব পড়তে পারে। সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর আক্রান্তদের অনেকেরই খুসখুসে হয়, অত্যন্ত দুর্বল বোধ করেন, মাথা ঝিমঝিম করতে পারে, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠেন, হাঁটাচলা করতে গেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, কারও বুকে চাপ ধরা ভাব থাকতে পারে।

    লাংস ফাইব্রোসিস হয়েছে কি না বোঝার জন্যে সিটি স্ক্যান করা দরকার। অনেকেই নিজের ইচ্ছে মত সিটি স্ক্যান করান। উপসর্গ থাকলে চিকিৎসক রোগীকে দেখে বুঝলে তবেই সিটি স্ক্যান করাতে হবে। সকলেরই সিটি স্ক্যান করার দরকার নেই। কাশি চলতে থাকলে চিকিৎসক মনে করলে স্ক্যান ও লাং ফাংশন টেস্ট ও সিক্স মিনিট ওয়াক টেস্ট করাতে হতে পারে বলে পরামর্শ অশোক সেনগুপ্তর। কোভিড নেগেটিভ হওয়ার ২-৩ সপ্তাহ পর ফলো-আপ চিকিৎসায় এই বিষয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করানো উচিত।

    শরীরচর্চার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছবি: শাটারস্টক

    নামী বেসরকারি হাসপাতালে ‘পোস্ট কোভিড কম্প্রিহেন্সিভ অ্যাসেসমেন্ট’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত সেরে ওঠার পর কোনও সমস্যা হলে ফলো-আপ করা হয়। কোনও রকম জটিলতা সৃষ্টির আগেই সঠিক চিকিৎসা করে রোগীকে সুস্থ করে তোলা হয়।

    অশোক বলেন, কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু হওয়া দরকার। এর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের নিয়মিত ও বাধ্যতামূলক ফলো-আপ করালে পোস্ট কোভিড কমপ্লিকেশন জনিত মৃত্যু অনেকাংশে আটকে দেওয়া যাবে।

    ফিজিক্যাল অ্যাণ্ড রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্রমাধব দাশ জানান, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর ব্যায়াম বা খেলাধুলো শুরু করার জন্যে তাড়াহুড়ো করলে আচমকা বিপদ, এমনকি মৃত্যুরও ঝুঁকি থাকে। তাই কিছুদিন  বিশ্রাম নেওয়ার পর চিকিৎসকের অনুমতি নিয়েই ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে শরীরচর্চা শুরু করতে পারেন।

    আর পাঁচটা সাধারণ ভাইরাল ফিভারের তুলনায় কোভিডের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র, ফুসফুস এবং মাংসপেশীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। উপসর্গহীন রোগীদেরও ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য। মৃদু-উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে, পুরোপুরি উপসর্গমুক্ত হওয়ার দু সপ্তাহ বাদে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকলে তবেই চিকিৎসকের নজরে থেকে পর্যায়ক্রমিক শরীর চর্চা শুরু করা উচিত, পরামর্শ ক্ষেত্রর।

    তীব্র-উপসর্গযুক্ত এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি সাবধানতার প্রয়োজন। সবাইকেই মায়োকার্ডাইটিসের রোগী ধরে নিয়ে অন্তত তিন থেকে ছ মাস বিশ্রাম নিতে বলা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ধাপে ধাপে পরীক্ষা ও পর্যায়ক্রমে হালকা থেকে ভারী ব্যায়ামের অনুমতি দেওয়া হয়।

    চিকিৎসকরাই একটা ব্যাপারে সহমত যে কোভিড আক্রান্তদের অসুখ সেরে ওঠার পর বেপরোয়া মনোভাব পোষণ করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনও শারীরিক সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কোভিড থেকে সেরে উঠলেও সাবধানে থাকুন, ভাল থাকুন।

    সুত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা

  • চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ

    চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ

    বরেণ্য চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ববিতার জন্মদিন আজ। আজকের এই দিনে ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। একমাত্র ছেলে অনিক কানাডা থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে ববিতা তার জন্মদিন কখনো ঢাকায় আবার কখনো কানাডাতেই উদযাপন করেন। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়ানো সংগঠন ‘ডিসট্রেস চিলড্রেন ইনফ্যান্ট ইন্টারন্যাশনালে’র শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ববিতা কাজ করছেন। জন্মদিনে অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে বিশেষ একটা সময় কাটান।

    ববিতা বলেন, ‘একজন মুসলমান হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমরা এই পৃথিবীতে এসেছি। আমাদের যেমন জন্ম আছে, ঠিক তেমনি আছে মৃতু্য। একটি নির্ধারিত সময়েই বিধাতা আমাদের ভাগ্যে মৃতু্য রেখেছেন। তাই জন্মদিন আসা মানেই হলো আরও একধাপ মৃতু্যর দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই দিনটিকে ঘিরে অনেক বেশি আনন্দ-ফুর্তি করার আসলে তেমন কিছু নেই। তার মানে আমি এটাও বলছি না যে, সেলিব্রেট করা যাবে না। তবে তা যেন সীমাবদ্ধতার মধ্যেই হয়। এটাও মনে রাখতে হবে এখন আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। আমরা চাই সৃষ্টিকর্তা যেন খুব দ্রম্নত এই দুর্যোগ তুলে নেন।’

    ববিতার জন্মদিনের শুভ প্রহর শুরু হয় তার একমাত্র ছেলে অনিকের সঙ্গে কথা বলে। জন্মদিনের শুরুর প্রহরেই অনিক কানাডা থেকে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠানোর পাশাপাশি তার সঙ্গে কথা বলেন।

    ববিতা বলেন, ‘অনিক বলে, ইউ আর দ্য বেস্ট মাদার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। সত্যি বলতে কী, সব সন্তানের কাছেই তার মা পৃথিবীর সেরা মা। আমি বুঝি অনিক আমাকে কতটা ভালোবাসে, অনুভব করে, শ্রদ্ধা করে।’

    ববিতা ৩৫০-এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক পুরস্কার। অভিনয়ে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিনয়ে তো ফিরতেই চাই। সে রকম গল্প নিয়ে কেউ এগিয়ে আসছে না। তাই অভিনয়ে আমাকে দেখা যায় না। ভালো কাজের ক্ষুধা সবসময় তাড়িয়ে বেড়ায়। আর অভিনয় থেকে শিল্পীর বিদায় বলতে কিছু নেই। মৃতু্যর আগ পর্যন্ত একজন শিল্পী অভিনয় করতে পারেন।’

  • আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসায় দোয়া অনুষ্ঠান

    আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসায় দোয়া অনুষ্ঠান


    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা ও মৃতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার আয়োজনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র।
    করোনায় আক্রান্ত সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মো. মহাসিন হোসেন বাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সদস্য আবু শোয়েব এবেলসহ দেশের সকল করোনা আক্রান্তদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং মৃত সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদারসহ দেশের সকল করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও অন্যান্য রোগীদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
    দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ¦ল, দেবহাটা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ হাফিজুল আল-মাহমুদ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা আব্দুল হামিদ আজাদী, আলহাজ¦ মো. রেজাউল করিম, আলহাজ¦ মাওলানা নুর আহম্মদ, আলহাজ¦ আনোয়ারুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, শিক্ষক আলহাজ¦ মাওলানা তৈয়েবুর রহমান, আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুল করিম, মো. শহিদুল্লাহ, মাওলানা আবুল বাসার, সাইফুল ইসলাম, সাজেদা খাতুন, মেহেরুন নেছা, ক্বারী আমিনুর রহমান প্রমুখ।
    দোয়া অনুষ্ঠানে স্বাস্থ বিধি মেনে দোয়া অনুষ্ঠানে আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া।

  • সোনাগাছি-হাড়কাটা গলি-মাটিয়া: লাইফ স্টেজের তিন তিন রাণীর গল্প

    সোনাগাছি-হাড়কাটা গলি-মাটিয়া: লাইফ স্টেজের তিন তিন রাণীর গল্প

    হিসাবের খাতা বলছে, নীলিমা এখানে অন্যতম ‘হাই ডিমান্ড’। বাবুরা তাঁকে নিত্য উপহারও দেন। বিয়ের প্রস্তাবও আসছে অহরহ

    ফেলে আসা চিঠির খোজে …..

    সোনাগাছির কোহিনুর :

    বাবা-মায়ের কোহিনুর শিক্ষিকা হতে চেয়েছিলেন। শিক্ষা হল বটে মেয়েটার। বাবা-মা-ভাই আর কোহিনুর, এই হল পরিবার। ছোটো বেলায় স্কুল থেকেই দিদিমনি হওয়ার বাসনা জাগে মনে। কিন্তু, বাচ্চা মেয়েটা জানত, অনটনের সংরক্ষণশীল পরিবারে তার এই ইচ্ছা বিশেষ আমল পাবে না। তবু, ‘ইচ্ছা হল এক ধরনের গঙ্গা ফড়িং’। কোহিনুর মনের কথা বলে ফেলল বন্ধু শবনমকে। এরপর দেখতে দেখতে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হল। কোহিনুরের স্বপ্ন সফল করতে শবনম বন্ধুকে নিয়ে এল কলকাতার শোভাবাজারে।

    শবনম এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল কোহিনুরকে। কোহিনুরের বাড়ির লোক কিন্তু এসব কিচ্ছুটি জানে না। জানবেই বা কী করে! ওরা যে বাড়িতে না বলে পালিয়ে এসেছে। শবনমের পরিচয় করিয়ে দেওয়া মানুষটার হাত ধরে স্বপ্নের সংসার করার স্বপ্ন দেখছিল যে মেয়েটা, তাঁর হঠাৎ সজ্ঞান ফিরল। এ কোথায় এসে পড়েছে সে! এখানে যে সবাই ছুঁতে চায়। শুতে চায়। কেউ শুধতে চায় না। অচিরেই সে জেনে ফেলে, সোনাগাছিতে একবার চলে এলে আর পালাবার পথ নেই।

    কিন্তু, যে মেয়ে শুধু পড়বে আর পড়াবে বলে বাবা-মার কোল ছেড়ে এসেছে, তাঁকে আটকানো কি অতই সহজ! বাবু আসে, বাবু যায় দিন বদলায় না… তবে এরমধ্যে হঠাৎ একটা মনের মানুষ (বাবু) খুঁজে পান কোহিনুর। সেই বাবু লাল-নীল স্বপ্ন দেখান। কোহিনুরকে সিনেমা দেখাবে বলে সোনাগছির চৌহদ্দি থেকে বের করে নিয়ে গেল। এরপর সোজা বিহার। বাবু-বিবির লাল-নীল সংসার। মন খুশ কোহিনুরের। অচিরেই গর্ভে এল সন্তান। ততদিনে পেটে থাকা স্বপ্নটা বিভোর করেছে কোহিনুরকে। কিন্তু, পোড়ামুখীর কপালে সুখ সইলে তো!

    কোহিনুর অচিরেই জানতে পারেন, বাবুর একাধিক বিয়ে। অন্যত্র সংসারও আছে। আর কথায় বলে, জ্ঞান দুঃখ দেয়। কোহিনুরের এই জ্ঞানটাই কাল হল। ফি রাতে শুরু হল মারধর। অনাপোশী মেয়ে ছেড়ে দিল সোয়ামির ঘর। কিন্তু, যাবে কোথায়? কেন! সোনাগাছির ভাত জোগাড়ের বিছানা তো পাতাই আছে। খেটে খাবে কোহিনুর। পুরানো মহল্লায় ফরার কয়েকদিনের মধ্যেই জন্মাবে নতুন প্রাণ।

    কোহিনুর চাননি, ছেলেকে দূরে রেখে, মায়ের পরিচয় লুকিয়ে সমাজের দশ জনের একজন করতে। বরং তিনি চেয়েছিলেন, ছেলে দেখুক মায়ের সংগ্রাম। মাসের পর মাস দরজার করায় দড়ি দিয়ে আটকানো থাকত ছেলে, আর ঘরের ভিতর কাজ করতেন মা। প্রায়ই ছেলের কান্না, বাবুর মেজাজ মিলেমিশে বালিশ ভেজাত কহিনুরের। তবু এক রোখা মা, ছেলেকে সোনাগাছিতে রেখেই মানুষ করার সিদ্ধান্তে অটল। নিজে শিক্ষক হতে পারেননি, তাই ছেলের মধ্যে দিয়ে স্বপ্ন স্বার্থক করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন মা। কোহিনুরের ছেলে মাস্টার হল। মা এরপর ব্যাটার বে ঠিক করল এক যৌনকর্মীর সঙ্গেই।

    ছেলেকে যে জীবনের সার শিক্ষা দিয়েছেন কহিনুর। তাই তাঁর পুত্রবধূ নির্বাচনে কোনও দোলাচল ছিল না। তবে, বিয়ের পর কোহিনুরের পুত্রবধূ কেবল ঘর-সংসারই করছেন, আর পুত্র করছেন উপার্জন। আজ কোহিনুরের দুই নাতি-নাতনি। সকালবেলায় ঠাম্মু তাদের পড়াতে বসান-‘অ’য় আজগর আসছে তেড়ে, আ’য় আমটি খাব পেড়ে’…কোহিনুর শিক্ষিকা হতে চেয়েছিলেন।

    হাড়কাটার নীলিমা

    মুর্শিদাবাদের মেয়েটার তখন সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। সে কোনওদিন কলকাতা দেখেনি। বিয়ের পর স্বামীকে সে কথা জানানোর পরই দে ছুট। নবাবের মুলুক ছেড়ে সোজা জব চার্নকের শহর। ভিক্টোরিয়া, হাওড়া ব্রিজ, জাদুঘর, গড়ের মাঠ- কত কিছু দেখার ইচ্ছা ছিল নীলিমার। স্বামী বললেন সবই হবে, কিন্তু আপাতত এক ‘বন্ধু’র বাড়িতে তো উঠতে হবে। বন্ধুর বাড়িতেই উঠল নব দম্পতি। এরপর ‘একটু আসছি’ বলে বেরলেন স্বামী।

    তারপর বেশ কয়েক ঘণ্টা তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। কোথায় গেল লোকটা? দিন দুয়েক কেটেও গেল এর মধ্যে। এভাবে তো আর ঘরে বসে থাকা যায় না, তাই স্বামীর ‘বন্ধু’ বলল, খুঁজতে বেরতে হবে। এরপর সেই ‘বন্ধু’র হাত ধরে আরেক ‘বন্ধু’র বাড়ি…হঠাৎ নীলিমা বুঝলেন, ‘বন্ধু’দের সৌজন্যে তাঁর সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি এসে পড়েছেন কলকাতার হাড়কাটা গলিতে। সেই থেকেই নতুন বন্ধুদের সঙ্গে নীলিমার নয়া যাপন শুরু। সকাল-বিকাল কাজ করে চলেছে মেয়েটা। আর এরসঙ্গে দুর্বারের সৌজন্যে চলছে নাচ-গান শিক্ষা। এখন সবকিছুর সঙ্গে বেশ ভালই মানিয়ে নিয়েছেন নীলিমা।

    হাড়কাটার হিসাবের খাতা বলছে, নীলিমা এখানে অন্যতম ‘হাই ডিমান্ড’। বাবুরা তাঁকে নিত্য উপহারও দেন। বিয়ের প্রস্তাবও আসছে অহরহ। তবে এসব শুনলেই তাঁর ঠোঁটে ঝিলিক দেয় চিলতে হাসি, পছন্দের টেডি বিয়ারটাকে জাপটে ধরে হাট করে খোলা জানালা দিয়ে আকাশ দেখেন নীলিমা। নীলিমা শুনেছেন, ভিক্টোরিয়ার মাথায় পরীটা আর ঘোরে না, থেমে গিয়েছে।

    মাটিয়ার আমিনা

    স্বামী-সন্তান নিয়ে আমিনা বিবির বেশ সুখেই কাটছিল দিন। সুখ আরও বাড়বে। কারণ, আমিনা তখন অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু, অচমকা স্বপ্নভঙ্গ! হঠাৎ আমিনার স্বামীর মৃত্যু হল। গর্ভে তখন পাঁচ মাসের সন্তান। শ্বশুরবাড়ি দায় ঝেড়ে ফেলল। এক সন্তানের হাত ধরে গর্ভবতী আমিনা গেলেন বনগাঁয় বাপেরবাড়ি। কিন্তু, সেখানেও যে অনটনের একশেষ। বাবা জানিয়ে দিলেন, এতগুলো পেট তিনি চালাতে পারবেন না। কিন্তু, নিজের মেয়ে-নাতিকে তো আর ফেলে দেওয়া যায় না।

    তাই, বসিরহাটে এক পরিচিতের কাছে নিয়ে গেলেন কাজের আশায়। সেই পরিচিত কাজ জোগাড়ের আশ্বাসও দিলেন এবং কথাও রাখলেন। দিন কয়েকের মধ্যে আমিনার একটা হিল্লে হয়ে গেল। তিনি কাজ পেলেন মাটিয়া যৌনপল্লিতে।

    এরপর দেখতে দেখতে কুড়িটা বছর এখানেই কাটিয়ে ফেললেন আমিনা বিবি। লোকনাথ ও কালীভক্ত মুসলিম আমিনার ঘরে ঈশ্বর-আল্লাহ গা ঘেঁষাঘেঁষি করে আছেন। যে গর্ভের সন্তানকে নিয়ে সেদিন বাড়ি ছেড়েছিলেন আমিনা, সেই ছেলে মায়ের পরিচয় জেনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

    নিজের থেকে দূরে রেখে বোর্ডিয়ে ভর্তি করে ছেলে-মেয়ে দু’টোকে মানুষ করতে চেয়েছিলেন মা। কিন্তু, মায়ের পেশার কথা জানতে পেরে ভেঙে পড়ে ছেলে, মাধ্যমিকের পর ছেড়ে দেয় লেখাপড়া।

    এদিকে, মেয়ের শর্তাধীন বিয়ে হয়েছে। সেই মেয়ের এক মেয়েও হয়েছে আবার। কিন্তু, মেয়ে-নাতনি কাউকেই দেখতে পান না আমিনা। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির একটাই শর্ত ছিল, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যাবে না। বুকে পাথর রেখে সেই শর্তে ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন মা। কিন্তু, এখন যে আর মন মানে না। মরার আগে একটিবার মেয়ে-নানতিকে বুকে জড়িয়ে কাঁদতে চান আমিনা…ঈশ্বর-আল্লার দিকে চেয়ে দিন গুনছেন আমিনা বিবি…

  • বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    বাংলাদেশের ইতিহাস মোহাম্মাদ নাসিম

    ডেক্স রিপোর্ট :

    মোহাম্মদ নাসিম (২ এপ্রিল ১৯৪৮ – ১৩ জুন ২০২০) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালেও স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে ছিলেন।

    জন্ম ও শিক্ষা জীবন

    মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী[৩] এবং মাতা আমেনা মনসুর। পিতা মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।[৪]

    পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর তিনি জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

    রাজনৈতিক জীবন

    ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

    ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতির জীবন শুরু হলেও পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সরাসরি প্রভাবে তিনি ছাত্রলীগে যোগদান করেন। পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। ১৯৮১ সালের আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাসিম। ওই সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের সম্মেলনে দলের প্রচার সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালের সম্মেলনে তিনি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালের আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ একটি ছিল। এরপর থেকে বিভাগভিত্তিক সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত দলের সম্মেলনে তাকে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এক নম্বর সদস্য পদে রাখা হয়। ২০১২ সালের সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পরপর তিন মেয়াদে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৬ সালে নাসিম প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন (কাজীপুর) থেকে পাঁচবার বিজয়ী হন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ১/১১ সরকারের দেওয়া মামলার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। ঐ নির্বাচনে তার সন্তান তানভীর শাকিল জয় দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে নাসিমকে মনোনয়ন পান এবং বিজয়ী সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন।

    ব্যক্তিগত জীবন

    পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।

    মৃত্যু

    রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে ২০২০ সালের ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। ওই দিনই কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে তার। এর চার দিন পর, চিকিৎসার সময় তার ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ হয়েছিল। এরপর ৪ জুন অবস্থার উন্নতি হয়, তবে পুনরায় ৫ জুন ভোরে তিনি বড় ধরনের স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বোর্ড গঠিত হয়। এরপর দুই দফায় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে ছিলেন। এর মধ্যে পরপর তিনবার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস অনুপস্থিত পাওয়া যায়। ১২ জুন পরপর কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পরে পুনরায় অবস্থার অবনতি ঘটে। আজ ১৩ই জুন ঢাকায় বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

  • লকডাউন উঠলেও যে কাজগুলো এখনই করতে পারবেন না আপনি

    লকডাউন উঠলেও যে কাজগুলো এখনই করতে পারবেন না আপনি

    লকডাউন উঠলেই ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছে? নাকি শপিং বা স্যালোনে যাওয়ার। মন রাখুন লকডাউন উঠে গেলেও এখনই ভাইরাস কিন্তু পিছু ছাড়বে না। বারবার এই সতর্কবার্তা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল আপনাকে রাখতেই হবে।

    লকডাউন উঠে গেলে কার বাড়িতে লাঞ্চ করতে যাবেন, কার বাড়িতে ডিনার — তার একটা তালিকা ঘুরতে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে। কিন্তু বাস্তবটা হল লকডাউন উঠে গেলেও আবার নিজের চেনা ছন্দের জীবনে এখনই ফেরা হবে না আপনার। কয়েকটি কাজ লকডাউন উঠে গেলেও বেশ কিছুদিন করতে পারবেন না। জেনে নিন সেই কাজগুলে।

    * করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে প্রায় গোটা বিশ্বে। তাই লকডাউন উঠে গেলেও কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা আগামী কয়েক মাস মুলতুবি থাক। অকারণে কোথাও যাওয়ার থেকে লকডাউন উঠে গেলেও যতট সম্ভব বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন।

    * লকডাউন উঠে গেলেই ভাববেন না যে করোনাভাইরাস নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। হাত ধোওয়ার যে অভ্যেস এই কিছুদিনে গড়ে তুলেছেন, তা বজায় রাখুন। বারবার হাত ধুলে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি অন্য অসুখ-বিসুখও কম ছড়ায়।

    * নাইট ক্লাব বা পার্টি ছাড়া যারা থাকতে পারেন না, তাঁদের এই সময়টা নিশ্চয় খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু করার নেই। লকডাউন উঠে গেলেই পার্টি করতে চলে যাবেন না। অনেক মানুষের ভিড় আগামি কয়েক মাস এড়িয়ে চলুন।

    এই সময় জীবন যাপন ডেস্ক:

  • করোনা-আতঙ্কে ভুগছেন? মন শান্ত রাখুন এ সব উপায়ে

    করোনা-আতঙ্কে ভুগছেন? মন শান্ত রাখুন এ সব উপায়ে

    করোনা অতিমারির হাত ধরে যে হারে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, একাকীত্ব, অবসাদের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে রীতিমতো শঙ্কিত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। গৃহবন্দি অবস্থায় আতঙ্কের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে মনের সব প্রতিরোধ ভেঙে গেলে, বিশেষ করে যাঁরা এমনিই উদ্বেগপ্রবণ বা অন্য মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, কী হবে তাঁদের অবস্থা! এত মনোরোগীর চাপ সামলানো যাবে!

    একই মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের বিজ্ঞানীরা। ইমারজিং ইনফেকসাশ ডিজিজ নামের জার্নালে তাঁরা জানিয়েছেন, যদিও ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনের জোরে এই বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন, বাকিরা পারছেন না একেবারেই। অবিলম্বে এ দিকে নজর না দিলে উদ্বেগে জেরবার, অবসন্ন, হতাশ মানুষ যে কী থেকে কী করে বসবেন, তার কোনও ঠিকঠিকানা নেই।

    আমাদের দেশের অবস্থাও জটিল। ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির এক সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, করোনা আসার পর দেশে মনোরোগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি পাঁচ জন ভারতীয়ের মধ্যে এক জন ভুগছেন মানসিক সমস্যায়!

    কেন এমন

    “এ রকমই তো হওয়ার কথা! রাতারাতি জীবন পাল্টে যাচ্ছে, পাল্টে যাচ্ছে সম্পর্কের মানে। রোগ হলে কী হবে কেউ জানে না।ভবিষ্যতে কী হবে কেউ জানে না। প্রাণের ভয় ও আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখে অসহায় হয়ে পড়ছেন মানুষ। যেন এক অন্ধগলিতে ঢুকে পড়েছেন সবাই, যা থেকে বেরনোর রাস্তা জানেন না কেউ। এ রকম দমবন্ধ অবস্থায় দুর্বল মনের মানুষ তো ভেঙে পড়বেনই,” জানালেন মনোচিকিৎসক গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ভাইরাস রইল ভাইরাসের মতো। মতিগতি কিছু বোঝা গেল না তার। আর আক্রান্ত ও মৃতের ক্রমবর্ধমান গ্রাফ দেখে হতাশা গ্রাস করল আমাদের। গ্রাস করল অবসাদ।

    এ বার তা হলে কী? অবসাদ কমানোর ওষুধ না অন্য কিছু। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    সমাধান

    ভাল করে বুঝুন, একটা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে আমরা সবাই চলেছি। কী তার পরিণতি কেউই জানি না। কাজেই অহেতুক ভেবে মাথা খারাপ করে কোনও লাভ নেই। বেশি ভাবলে মানসিক অশান্তি হবে। তার ছায়া পড়বে পরিবারে। এখন একজোট হয়ে থাকার সময়, সবাইকে অশান্ত করে তোলা কোনও কাজের কথা নয়। অসুখবিসুখের প্রকোপও বাড়বে তাতে। এমনকি, যাকে ভেবে চিন্তায় ঘুম নেই, তার আশঙ্কাও বাড়তে পারে। কারণ এটা পরীক্ষিত সত্য যে মানসিক চাপ বাড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে।

    কোভিড-১৯ সংক্রান্ত খবরে বেশি জড়িয়ে পড়েছেন বলেই যত অশান্তি। কাজেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট না দেখে ঠিক করে নিন, দিনে এক ঘণ্টার বেশি খবর দেখবেন না। আগে যে ভাবে কাজকর্ম করে, বই পড়ে, কি সিনেমা-সিরিয়াল দেখে কি আড্ডা মেরে সময় কাটাতেন, এখনও সে ভাবে কাটানোর চেষ্টা করুন।

    অনেক বেশি সময় হাতে? কী ভাবে কাটাবেন বুঝতে পারছেন না? হিসেব করে দেখুন, ক’ঘণ্টা বেশি সময় পাচ্ছেন। এই সময়টা কী ভাবে ভরাট করা যায় দেখুন। একটু হয়তো ব্যায়াম করলেন, ঘরের কাজ করলেন, বইপত্র পড়লেন কি সেরে নিলেন কোনও পুরনো বকেয়া কাজ। নতুন হবি তৈরি করার বা সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার এটাই আদর্শ সময়। আদর্শ সময় সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেওয়ার। পুরনো সম্পর্কগুলো ঝালিয়ে নিন। যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল একটু উদ্যোগী হয়ে তাকে ভাল করা যায় কি না দেখুন। ভালগুলোকে করে তুলুন আরও ভাল। সময় কেটে যাবে।

    ভবিষ্যৎ ভেবে আতঙ্ক হচ্ছে? লাভ নেই। সারা পৃথিবীর ভবিষ্যৎই এখন অনিশ্চিত। যতই ভাবুন কূলকিনারা পাবেন না। কাজেই আজকের দিনটা কতটা সুন্দর, কতটা কার্যকর করে তোলা যায়, ভাবুন তা নিয়ে। কালকের কথা কাল ভাববেন।

    এ ভাবে ভাবা সম্ভব কিনা? অসুবিধে কী? মন যেই ভবিষ্যতে বা অতীতে ছুটতে চাইবে, তাকে এই মুহূর্তে টেনে আনতে হবে। সেটা সম্ভব হবে তখন, যখন জীবনের ভাল দিকগুলি দেখার চোখ ও মন তৈরি করতে পারবেন। চাহিদা কমাতে পারবেন। ভেবে দেখুন, আকাশচুম্বী চাহিদা তো এক মুহূর্তে ধূলিসাৎ হয়ে গেল। এখন কী হবে না হবে সেই নিয়ন্ত্রণও প্রকৃতিরই হাতে। আসল কথা হল, এই মুহূর্তটুকু ছাড়া আর কিছুই আমাদের হাতে নেই। কাজেই যা হাতে আছে, তাকে সুন্দর করে গড়ে নিন। যা নেই তার জন্য হাহুতাশ করলে, আজও যাবে, কালও যাবে।

    অযথা টেনশনে ভোগার আগে ভেবে দেখুন, পৃথিবীতে এ রকম অতিমারি আগেও এসেছে। মানুষ তা অতিক্রমও করেছে। এই মহামারিও সে ভাবে অতিক্রান্ত হয়ে যাবে। এখন বরং চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেক বেশি উন্নত। জীবাণুটিও যতটা ছোঁয়াচে, ততটা মারক নয়। কাজেই এই হঠাৎ পাওয়া ছুটিটাকে অবহেলায় বয়ে যেতে দেবেন না। ভাল করে উপভোগ করুন।

    সব কিছু করেও যদি মনে হয় সামলাতে পারছেন না, কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হোন। তাঁরা আপনার ভাবনাচিন্তার জগতে পরিবর্তন আনতে পারবেন। যার সাহায্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনি নিজেই নতুন করে বাঁচতে শিখে যাবেন। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে হয়তো ওষুধ দিতে হতে পারে।

  • করোনা ঠেকাতে ভিটামিন ডি-র কি কোনও ভূমিকা আদৌ আছে?

    করোনা ঠেকাতে ভিটামিন ডি-র কি কোনও ভূমিকা আদৌ আছে?

    সুজাতা মুখোপাধ্যায়

    কয়েকটা সাপ্লিমেন্ট খেয়ে নিলেন আর করোনা ত্রিসীমানায় ঘেঁষলো না, তেমন কিন্তু নয় ব্যাপারটা। ভিটামিন ডি-র কাজ সব ঘুরপথে। তা-ও আবার খাওয়ামাত্র যে সে সব কাজ শুরু হয়ে যাবে, এমনও নয়। তা হলে খাবেন কেন? কয়েকটা গবেষণা কী বলছে?

    • আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন। আর সেখানের বিখ্যাত ট্রিনিটি কলেজ। আইরিশ লঙ্গিচ্যুডিনাল স্টাডি অন এজিং হয় এখানেই। জানা যায়, যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে, তা সে ভাইরাস হোক কি ব্যাক্টিরিয়া কি অন্য কিছু, শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে ভিটামিন ডি-এর বিরাট ভূমিকা। বিশেষ করে এই সময় যখন আপামর জনগণ বসে আছেন কার্যত সূর্যালোকের অন্তরালে।

    • ফুসফুসের সংক্রমণ ঠেকানোর ক্ষমতা রাখে এই ভিটামিন। তা সে টিবি হোক কি হাঁপানি, কি ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ অথবা সিওপিডি। এবং শরীরে এর ঘাটতি না থাকলে রোগ হলেও তা সারে সহজে।

    • বিশ্বের ১৪টি দেশের ১১ হাজার ৩২১ জন মানুষকে নিয়ে একটি রিভিউ স্টাডি করে দেখা যায় ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পর তাঁদের ফুসফুসে আচমকা বড় ধরনের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমে গিয়েছে।

    • দীর্ঘ দিন ধরে শরীরে এর ঘাটতি থেকে গেলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    • হার্টের নানাবিধ রোগ, তা সে হার্ট ফেলিওর হোক কি ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ, কি সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ, সবের আশঙ্কা কমে। এমনকি, ইস্কিমিক হৃদরোগের রিস্ক ফ্যাক্টর, হাইপ্রেশার বা ডায়াবিটিজ ঠেকাতেও তার ভূমিকা আছে এবং চিকিৎসায় কতটা ভাল ফল হবে তা-ও নির্ভর করে শরীরে এর ঘাটতি আছে কি নেই তার উপরে।

    • বয়স্ক মানুষের মৃত্যুহার কমতে পারে এই সাপ্লিমেন্ট খেলে, যাঁদের কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই ফুসফুসে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে।

    তা হলে কথা হল কোভিডের আশঙ্কা কমবে কি না। হিসেব তো তাই বলে। করোনাভাইরাস সবার আগে জব্দ করে ফুসফুসকে। কাজেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ফুসফুসকে যদি সতেজ রাখা যায়, রোগের আশঙ্কা যেমন কমে, রোগের বাড়াবাড়ি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। তার উপর হৃদরোগ, হাইপ্রেশার, ডায়াবিটিজ— সবই তো কোভিড ১৯-এর রিস্ক ফ্যাক্টর। এরা থাকলে রোগের আশঙ্কা ও জটিলতা, দুই-ই বাড়ে। অতএব…।

  • শীতে সর্দিকাশি ও প্রতিকার

    শীতে সর্দিকাশি ও প্রতিকার

    ডা. তানজিয়া নাহার তিনা

    পৌষের ঠাণ্ড আবহাওয়া জেঁকে বসেছে পুরো দেশে। আর্দ্রতা কমে হিমশীতল বাতাস বইছে সবখানে। শীতের এমন আবহাওয়ায় সর্দিকাশি, জ্বর ইত্যাদিতে আক্রান্ত হতে পারেন যেকোনো বয়সের মানুষ। তাই শীতের আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। এ সময় বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে। তাই সবসময় নিজের শরীর ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই গোসল এড়িয়ে চলেন যা একদম ঠিক নয়। গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও অ্যালার্জেনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

    এছাড়া গৃহের ব্যবহূত আসবাবপত্র, বিছানা, জামাকাপড় ইত্যাদি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ভালো। এতে বিভিন্ন ইনডোর অ্যালার্জেন থেকে সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। শীতে বিভিন্ন ধরনের রঙিন ও সবুজ শাকসবজি-ফলমূল পাওয়া যায়। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিদিন মৌসুমি শাকসবজি খেতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে প্রতিদিন।

    ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে ঘরের বাইরে বেরুতে মাস্ক ব্যবহার করা উত্তম। শীতে সর্দিজ্বর কিংবা ঠান্ডা লাগার প্রধান কারণ ভাইরাস সংক্রমণ কিংবা অ্যালার্জেন। সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায় এ সর্দিকাশি। তবে সাত দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে তিন দিনের বেশি সর্দিকাশি থাকলেই দ্রুত পরামর্শ গ্রহণ করতে বলেন চিকিত্সকগণ।

    লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ

  • বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় কেককাটা ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত

    বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় কেককাটা ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত

    ২২৫ তম বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) দিবস-২০১৯ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় কেককাটা ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২ টায় সাতক্ষীরার তালতলাস্থ ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ন হেড কোয়াটারে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজিবি দিবস উপলক্ষ্যে একটি কেকটাটা হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার। এ সময় সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে প্রীতি ভোজে অংশ গ্রহন করেন, সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এন.এস.আই) সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন, ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রেজা আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) ইলতুৎ মিশ, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জ সালাহ উদ্দীন আহমেদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা জজ কোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিজিবি সদস্যগণ।

  • ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ

    ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ

    ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ চলচ্চত্রের প্রদর্শনী বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম  ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। 

    নোটিশে বলা হয়েছে, এই চলচ্চিত্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হজরত আয়শা (রা.) সম্পর্কে বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্রের কিছু অংশ অশ্লীল ও অনৈতিক। এসব বিষয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সস্তা প্রচারণার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উসকানির পথ বেছে নিয়েছেন।

    তথ্যসচিব ও আইনসচিব, চলচ্চিত্রটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু এবং চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্তকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী বন্ধে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ চলচ্চত্রের প্রদর্শনী বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম  ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। 

    নোটিশে বলা হয়েছে, এই চলচ্চিত্রে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হজরত আয়শা (রা.) সম্পর্কে বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্রের কিছু অংশ অশ্লীল ও অনৈতিক। এসব বিষয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক, পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার সস্তা প্রচারণার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উসকানির পথ বেছে নিয়েছেন।

    তথ্যসচিব ও আইনসচিব, চলচ্চিত্রটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান অংশু এবং চিত্রনাট্যকার শ্যামল সেনগুপ্তকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে চলচ্চিত্রটির সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন বাতিল, প্রদর্শনী বন্ধ, এ সংশ্লিষ্ট বই বাজার থেকে প্রত্যাহার এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মুসলিম সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

    ররনোটিশে চলচ্চিত্রটির সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন বাতিল, প্রদর্শনী বন্ধ, এ সংশ্লিষ্ট বই বাজার থেকে প্রত্যাহার এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের মুসলিম সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।

  • মানবতার সেবায় ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সন্তাান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান

    মানবতার সেবায় ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সন্তাান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো: সাজ্জাদুর রহমান


    সৈয়দ সাদিকুর রহমান:

    মো: সাজ্জাদুর রহমান-এর শিক্ষাজীবনের ফলাফল ছিল সাড়া জাগানো । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা । নিজ পেশায় দক্ষতরা পরিচয় দিয়ে তিনি পুলিশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করেছেন । সারা দেশে সর্বোচ্চ সম্মান অর্জনকারী পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনি অন্যতম । সততার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানব সেবায়ও তিনি পিছিয়ে নেই । তিনি কখনও অসহায় এতিমদের পাশে, কখনও গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে, কখনও ছিন্নমূল মানুষের পাশে থেকে, আবার কখনও সমাজ উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । সাজ্জাদুর রহমান ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার কাকলাশ গ্রামের মরহুম ছবেদ আলী মন্ডলের ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন ।

    পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে তাঁর জন্ম ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার এক মধ্যবিত্ত পরিবারে । বাবা মায়ের ৬ সন্তা নের মধ্যে তিনি সকলের বড় । বোন নাদিরা খাতুন ও নাছিরা খাতুন – এর বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই । ভাই আতাউর রহমান, রবিউল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম সকলেই পড়াশুনা শেষ করে চাকুরীসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত আছেন । পারিবারিক সুত্রে আরও জানা গেছে ২০০০ সালে সাজ্জাদুর রহমান মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জনাব মো: কোহিনুর হোসেনের কন্যা আকিদা রহমান নীলার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । বর্তমানে তাদের ৩ সন্তানের মধ্যে সাদিক-বিন-সাজ্জাদ ঢাকা সিটি কলেজে এইচএসসি’র মেধাবী ছাত্র । ২য় পুত্র হৃদিক-বিন-সাজ্জাদ দিনাজপুর বিকেএসপি’তে ৯ম শ্রেণীতে পড়ে ও ক্রিকেট খেলে, কন্যা নাফিসা-বিনতে-সাজ্জাদ সাতক্ষীরা নবজীবন ইনষ্টিটিউটে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে । সাজ্জাদুর রহমান শিক্ষা জীবন ঐতিহ্যবাহী কোলাবাজার স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ভর্তি হণ কোলাবাজার ইউনাইটেড হাই স্কুলে । এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৯০ সনে এসএসসি’তে যশোর বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে মেধা তালিকায় ৪র্থ স্থান লাভ করেন । ১৯৯২ সনে যশোরের এমএম কলেজ থেকে এইচএসসি’তে একই বিভাগ হতে মেধা তালিকায় ১৫তম স্থান পান । এরপর তিনি ১৯৯৬ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সমাজ কল্যান ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট হতে এমএসএস – এ প্রথম শেণীতে ৫ম স্থান অধিকার করেন । ২০০৩ সনে ২১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ওই বছরেই বাংলাদেশ পুলিশে এএসপি পদে যোগদান করেন । এরপর সময়ের সাথে সাথে তিনি পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় পুলিশ সুপার-এর দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি ২০১০ সালে লাইবেরিয়াতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে টঘচঙখ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে জাতিসংঘ পদক লাভ করেন ।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, এসপি সাজ্জাদুর রহমান নিজ এলাকায় বাবার নামে খুলেছেন ছবেদ আলী ফাউন্ডেশন। উক্ত ফাউন্ডেশন-এর মাধ্যমে এলাকার দু:স্থদের মাঝে প্রতি বছর শীতবস্ত্র সরঞ্জাম বিতরণ, গরীব মেধাবী শিক্ষার্র্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছেন । নিজ এলাকায় এসে গরীব অসহায় মানুষের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন । এছাড়াও এলাকায় উক্ত ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী র‌্যালী, বাল্য বিবাহ রোধে বিভিন্ন প্রকার কর্মসুচীর মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করার চেষ্টা করে থাকেন । তিনি এলাকায় এসে খোঁজ নিয়ে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী ছাড়াও ছিন্নমুল মানুষদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন ।

    মো: সাজ্জাদুর রহমানের বর্তমান কর্মস্থল সাতক্ষীরা’র চাকুরীর সুবাদে তিনি বেশ কিছুদিন সাতক্ষীরাতে আছেন । এখানকার স্থায়ী বাসিন্দাদের মত তিনি সাতক্ষীরা’র সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে নানা কর্মসূচী পালনসহ বিভিন্ন ধরণের ভালো কাজ করে আসছেন । তার ধারাবাহিকতায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাতক্ষীরা শহর সিসি ক্যামেরার আওতায় এনেছেন । পেশাগত দায়িত্ব পালনে সঠিক জবাবদিহিতার জন্যে এবং জনসাধারণের অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলার প্রতিটি গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে অভিযোগ বক্স্র স্থাপন করেছেন । সম্প্রতি তিনি একশত টাকায় পুলিশে চাকুরী দিয়ে দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন । নিজ অর্থায়নে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের দু-পাশে প্রায় ১০(দশ) হাজারসহ সারা জেলায় ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করে বিরল

    নজির স্থাপন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা। পুলিশ কন্ট্রোলরুমে কল করলে মিলবে প্রয়োজন মোতাবেক রক্ত এবং সকল প্রকার সহযোগিতা । এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে খাবার নিয়ে তিনি চলে যান এতিমখানায় অথবা দু:স্থদের মাঝে । এছাড়াও চরম অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়া ছাড়াও নিজের টাকা খরচ করেন তিনি । সর্বোপরি মানবতার সেবায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন ।

    কোলাবাজার ইউনাইটেড হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব কওছার আলী জানান, সাজ্জাদ ছাত্রজীবনে অত্যান্ত মেধার সাক্ষর রেখেছে । এছাড়াও সে ছিল সর্বদা জ্ঞান পিপাসু, নম্র, ভদ্র প্রকৃতির ছেলে । তখন তাকে দেখে মনে হত সে বড় হয়ে কিছু একটা হবে । কথায় আছে, সকালের সূর্য্য দেখে দিনটা কেমন যাবে তা অনুমান করা যায় । সাজ্জাদের ক্ষেত্রেও তেমনটিই ঘটেছে । বর্তমানে পুলিশের একজন বড় কর্মকর্তা হয়ে দেশ সেবা করার সাথে সাথে সমাজ উন্নয়নে ও মানবতার সেবায় যেভাবে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সেজন্য আমি তার শিক্ষক হিসেবে নয়, ঝিনাইদহ জেলার একজন মানুষ হিসেবে গর্ববোধ করি । কালীগঞ্জ কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আইয়ুব হোসেন জানান, সাজ্জাদুর রহমান তার গ্রামের ছেলে, ছোটবেলা থেকেই তার চলাফেরা ছিল অন্যদের চেয়ে খানিকটা আলাদা । এ এলাকার অনেক মেধাবী ছেলে লেখাপড়া শেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে । তবে সাজ্জাদ তাদের চেয়ে আলাদা, বেশ ভিন্ন । কেননা ছুটিতে যখন সে বাড়ী আসে তখন এলাকার সকল জায়গায় সে ঘুরে বেড়ায় । শিক্ষাজীবনে সে অত্যন্ত মেধাবী ছিল তাই মেধাবী শিক্ষার্থীদের বেশি করে খোঁজ নিয়ে থাকে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে লেখাপড়ায় উৎসাহ ও সহযোগিতা করে থাকে । অসহায় গরীব দু:স্থদের পাশে দাঁড়ায় সাজ্জাদ । মুঠোফোনে সাজ্জাদুর রহমানর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও লেখাপড়ায় মধ্যবিত্ত ছিলাম না । পড়াশুনা শেষ করার পর এদেশ আমাকে কর্মসংস্থান দিয়েছে । আমি ভাবি সমাজের অনেক মানুষের চেয়ে শারিরীক ও মানসিক ভাবে ভালো আছি । কিন্তু সবাই মিলে ভালো থাকতে পারলে সেটাকেই ভালো বলা যাবে । পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে আমি কিছুটা কাজ তরি । তারপরও সমাজের একজন মানুষ হিসেবে যতটুকু করা প্রয়োজন তার সবটুকু আমি করতে পারি না । বর্তমানে আমার ভাইয়েরাও আমাকে কিছুটা আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে । সে কারনেই আমার জন্য এ ধরণের কাজ করা সহজ হচ্ছে, তিনি আরও বলেন, সমাজের একজন মানুষ হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অনেক কিছু করতে হয় । সবটা করতে না পারলেও অসহায়দের জন্য কিছুটা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র ।

    মো: সাজ্জাদুর রহমানকে আমরা সাধুবাদ জানাই । একজন পুলিশ কর্মকর্তা’র এ ধরণের মহতী কর্মকান্ড আমাদের উজ্জিবীত করে । তিনি আগামীতে মেহনতি মানুষের কল্যানে আরও অনেক কিছু করবেন – এ আশাবাদ ব্যক্ত করি । আমাদের তাঁর আদর্শে অনুপ্রানিত হওয়া দরকার ।

  • জেনে নিন  ‘গরুর মাংসের শাহী রেজালা’ রান্নার পদ্ধতি

    জেনে নিন ‘গরুর মাংসের শাহী রেজালা’ রান্নার পদ্ধতি

    কুরবানির ঈদ মানেই গরুর মাংসের মুখরোচক নানা খাবার। এইতো তিনদিন বাদেই আসছে ঈদ। আজ তবে জেনে নিন গরুর মাংসের শাহী রেজালার সহজ রেসিপি।

    যা যা প্রয়োজন- 

    গরুর মাংস- ১ কেজি
    আদা বাটা- ১ টেবিল চামচ
    রসুন বাটা– ১ চা চামচ
    ধনে বাটা- ১ চা চামচ
    জিরা বাটা- ১ চা চামচ
    হলুদ গুড়া- ১/২ চা চামচ
    পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ
    পোস্তদানা বাটা- ১ টেবিল চামচ
    টক দই– ১/২ কাপ
    কাঁচা মরিচ (আধাফালি)- ১৫-২০ টা
    কিসমিস– ২ টেবিল চামচ
    গরম মসলা– ১ চা চামচ
    ঘি- ১/২ কাপ
    তেল– ১/২ কাপ
    মাওয়া- ২ টেবিল চামচ
    গোলাপজল- ১ টেবিল চামচ

    প্রস্তুত প্রনালী- 

    মাংস ছোট ছোট টুকরা করে নিন।

    এবার তেল, ঘি, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, কিসমিস ছাড়া সব মসলা মাখিয়ে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন মেরিনেট হওয়ার জন্য।

    হাড়িতে তেল ও ঘি দিয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা করুন। বেরাস্তা তুলে মসলা মাখানো মাংস কষাতে দিন। কষানো হলে ২ বা ৩ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত অল্প আঁচে রাখুন।

    মাংস সেদ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে বেরেস্তা মিলিয়ে তুলে ফেলুন মজাদার গরুর মাংসের শাহী রেজালা।

  • প্রতিদিন কতটুকু মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যকর

    প্রতিদিন কতটুকু মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যকর

    বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কুরবানির ঈদের সময় মাংস খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। স্বাভাবিকের চাইতে বেশি মাংস খাওয়ার ফলে অনেকে আবার অসুস্থও হয়ে পড়েন। একজন মানুষ দৈনিক ঠিক কী পরিমাণ মাংস খেতে পারেন, সে বিষয়ে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদরা একটি নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

    ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ২০০৭ সালের করা এক নির্দেশনা অনুযায়ী একজন মানুষ দৈনিক সর্বোচ্চ ৯০ গ্রাম লাল মাংস কিংবা প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খেতে পারবে। একজন সুস্থ মানুষ সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন। এর বেশি মাংস খেলেই ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

    বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে, যারা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি মাংস খেয়ে থাকেন, তাদের দেহের অভ্যন্তরে কোলনসহ বিভিন্ন অংশে ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়। তাই এই ঈদে নির্দিষ্ট মাত্রায় মাংস খান। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ শাকসবজি। মাংসের পদগুলোর সঙ্গে যেন অবশ্যই সালাদ থাকে সেদিকেও নজর রাখুন।

  • আংটি আটকে গেলে করণীয়

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: দীর্ঘসময় আঙুলে আংটি পরে থাকার কারণে সেটি আটকে যেতে পারে। ভয় পেয়ে যাওয়ার কারণ নেই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই খুলে আনেত পারেন আঙুলের আংটি।
    ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখুন হাত

    আংটির আশেপাশে খানিকটা লিকুইড ডিস সোপ ঢেলে দিন। আংটি ঘুরিয়ে নিন বারকয়েক যেন ভেতরে প্রবেশ করতে পারে সোপ। ধীরে ধীরে উপরের দিকে টেনে খুলে ফেলুন।
    একইভাবে বডি লোশনের সাহায্যেও খুলে আনতে পারেন আটকে যাওয়া আংটি।
    লিকুইড ডিশ সোপ

    ডেন্টাল ফ্লস বা সুতার সাহায্যে খুলতে পারেন হাতের আংটি। সুতা আংটির নিচ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে গিঁট দিয়ে নিন। ধীরে ধীরে উপরের দিকে টেনে খুলে ফেলুন।
    একটি বাটিতে ঠাণ্ডা পানি নিন। পানিতে কয়েকটি বরফের টুকরা ছেড়ে দিন। আংটিসহ হাত ডুবিয়ে রাখুন পানিতে। যতক্ষণ সহ্য করা সম্ভব হয় ততক্ষণই ডুবিয়ে রাখুন হাত। হাত বের করে আংটি ধীরে ধীরে উপরের দিকে টানুন। খুলে আসবে।