নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনিতে সম্পূর্ন অগঠনতান্ত্রিকভাবে গঠিত খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আ’লীগ নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি মন্ডল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত প্রায় ২৫ বছর ধরে অত্যান্ত সুনামের সাথে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। খাজরা ইউনিয়ন আ’লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি এখনো বহাল রয়েছে। কিন্তু আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন আ’লীগকে বির্তকিত করতে খুলনার বিএনপি কর্মী অহিদুল ইসলাম ভোল পাল্টে আ’লীগ নেতা হওয়ার জন্য চক্রান্ত শুরু করে। এক পর্যায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময় আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ম্যানেজ করে গত ১ মার্চ খাজরা ইউনিয়ন আ’লীগের একটি কমিটি অনুমোদন নিয়েছেন। যা সম্পূর্ন অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ। কারন উপজেলা কমিটিই এখনো পূর্নাঙ্গ হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশনা না থাকলেও আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের অপূর্নাঙ্গ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি মনগড়া কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। মহামারি করোনা কালিন সময়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তারা কিভাবে এই কমিটি অনুমোদন দিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। মিলন কান্তি মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তাদের মনগড়া কমিটির ৬৯ জন সদস্যের মধ্যে ২০-২৫ জন নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনিসহ ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনেকেই এই কমিটির বিষয় অবগত নন। এমনকি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আ’লীগের কোন সম্মেলনও হয়নি। অবৈধ এই কমিটির সভাপতি অহিদুল ইসলাম ৩০/৩৫ বছর ধরে খুলনায় বসবাস করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা এই অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে জেলা আ’লীগের সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি অগঠনতান্ত্রিক ভাবে দেয়া এই কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে ত্যাগি ও প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনে সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগসহ কেন্দ্রীয় আ’লীগের উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম বলেন, নিয়ম মেনে সম্পূর্ন গঠনতান্ত্রিকভাবেই খাজরা ইউনিয়ন আ’লীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যারা দলীয় কর্মকান্ডে নিষ্ক্রিয় ছিল তাদেরকে বাদ দিয়ে ত্যাগি ও প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটি প্রদানে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
Category: রাজনৈতিক দল
-

খাজরা ইউনিয়ন আ’লীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
-

লকডাউন নিয়ে বাবুনগরীর বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়: জাসদ
ন্যাশনাল ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান জাসদের দুই শীর্ষনেতা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) হেফাজত আমিরের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘হেফাজতের আমির বাবুনগরীর “লকডাউন তুলে নেওয়ার বিনিময়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জেলে যাবো” বক্তব্য অত্যন্ত নিম্নমানের চতুরতা, ধূর্ততা, ধড়িবাজি, চটকদারি, অসততা, মিথ্যাচার, ভণ্ডামি আর দ্বৈধতার বহিঃপ্রকাশ।’
তারা বলেন, ‘বাবুনগরী লকডাউনকে এমনভাবে চিহ্নিত করেছে যে, লকডাউন বাংলাদেশ সরকারের আবিষ্কার। সরকার লকডাউন দিয়েছে দেশের সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিতে, হেফাজতি নেতাদের গ্রেফতার করতে, আর মুসলমানদের ইবাদত বন্ধ করতে। লকডাউন নিয়ে বাবুনগরীর বক্তব্য মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’লকডাউনে কী ফৌজদারি মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে অভিযুক্ত আসামি গ্রেফতারে রাষ্ট্রীয় আইনে কোনও বাধা আছে, এমন প্রশ্ন রেখে ইনু ও শিরিন বলেন, ‘বাবুনগরী, মামুনুলরা মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তাদের সাদকা-জাকাত-দানের টাকায় ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাস-আমোদ-প্রমোদেই জীবন কাটায়। এর প্রমাণ মানুষের সামনে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে।’
-

কৃষকলীগের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৪৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সোমবার কাটিয়াস্থ জেলা কৃষকলীগের কার্যালয়ে সকাল ১০টায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যালে মাল্যে দান করা হয়। সকাল ১১টায় জেলা কার্যালয়ে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ^জিত সাধুর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মিসেস মাহফুজা সুলতানা রুবি, সংগঠনের সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষকলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য মো: মনজুর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যড. আল মাহমুদ পলাশ, দপ্তর সম্পাদক মো: আতিয়ার রহমান, সদর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি স ম তাজমিনুর রহমান টুটুল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মো: আবু রাইহান, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি মো: সামছুজ্জামান জুয়েল, সদর উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, পৌর কৃষকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো: বাবলুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সদস্য মো: রবিউল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেণ, কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সাল্যে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষকলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। পরে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
-

হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলার দাবি জাসদের
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ বুধবার এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে ‘তাণ্ডবি’ হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লাদের বিরুদ্ধে জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুর-লুটপাট-আগুন সন্ত্রাস-রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সম্পদ ক্ষতি ও ধ্বংস-সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাতের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্র-সংবিধানকে অস্বীকার এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতীক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের সুনির্দিষ্ট অপরাধে রাষ্ট্রদোহিতা এবং সরকার উৎখাতের অপচেষ্টার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়েরের দাবি করা হয়। এ ছাড়া দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বিবৃতিদাতারা।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রাষ্ট্র, সংবিধান ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্বীকারকারী রাষ্ট্রদ্রোহীদের ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের মতোই কঠিন শাস্তি প্রাপ্য। জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি, হেফাজতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ‘সরকার গণহারে আলেম-উলামাদের গ্রেপ্তার করছে’ বলে প্রদত্ত বক্তব্যকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার দাবি করে বলেছেন, বিএনপি, হেফাজত ও তাদের রাজনৈতিক পার্টনাররা দেখাতে পারবে দেশের কোনো মসজিদের একজন খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের সব মসজিদেই সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য্যবিধি মেনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ, তারাবির নামাজ আদায় হচ্ছে। হেফাজতি তাণ্ডবি রাজনৈতিক মোল্লারা ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে এরা মসজিদে ইমামতিও করে না, মানুষকে ধর্মের শিক্ষাও দেয় না। এরা ধর্মের নামে মাদরাসার নিরীহ ছাত্রদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও ব্যক্তিগত ভোগে ব্যবহার করে।
এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যেমন ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল, ঠিক তেমনই রাষ্ট্রদ্রোহী হেফাজতি তাণ্ডবি রাজনৈতিক মোল্লাদের বিচারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশের সব দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, মানবতাবাদী রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানান বিবৃতিদাতারা।
-

হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লাদের গ্রেফতার মানে আলেম-ওলামা গ্রেফতার নয়: জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক বিবৃতিতে বিএনপি, হেফাজতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ‘সরকার গণহারে আলেম-ওলামাদের গ্রেফতার করছে’ বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেছেন, সহিংসতা-নাশকতা-জ্বালাও-পোড়াও-ধ্বংসাত্মক তা-বের সুনির্দিষ্ট ফৌজিদারি অভিযোগে হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লাদের গ্রেফতার মানে গণহারে আলেম-ওলামা গ্রেফতার নয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সমগ্র দেশবাসীর চোখের সামনে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, হাটহাজারি মাদ্রাসাসহ কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে এবং ফেসবুকে লাইভ ও ইউটিউব ব্যবহার করে এই হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লারা প্রকাশ্যে জ্বালাও-পোড়াও-সহিংসতা-নাশকতার উস্কানি ও হকুম দিয়েছে।
ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতি মোল্লারা প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল, এসপির কার্যালয়, পুলিশের থানাসহ সরকারি অফিস-আদালত-স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, রেলস্টেশন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি, এম্বুলেন্সসহ সরকারি-বেসরকারি যানবাহনে হামলা করে ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেছে।
জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আইন সবার জন্য সমান। সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার হাতে নাতে প্রমাণ থাকার পরও অপরাধীকে গ্রেফতার করা যাবে না কেন? কওমি মাদ্রাসার পরিচালক, প্রিন্সিপাল, শিক্ষক নামধারী হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লারা কি দেশের সংবিধান-আইন-আদালতের উর্ধে?
তারা বলেন, একজন কোরআনে হাফেজ ফৌজদারি অপরাধ করলে কি তাকে গ্রেফতার করা যাবে না? তারা বলেন, হেফাজতি মোল্লারা রাজনৈতিক মোল্লা। এরা আলেম, ওলামা, ইসলামি চিন্তাবিদ, ইসলামি দার্শনিক, ইসলামি প-িত, ধর্মীয় নেতা না, এমনকি এরা ধর্মপ্রচারকও না। এরা রাজনীতি করে। এরা রাজনৈতিক মোল্লা।
জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লাদের গ্রেফতারের বিরোধীতা করে বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো বিএনপিই সংশোধন হয়নি, বদলায়নি। বিএনপি সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাত-আগুন সন্ত্রাসের রাজনৈতিক পথেই আছে এবং হেফাজত বিএনপির ভাড়াটে রাজনৈতিক খেলোয়াড়। বিএনপি ও হেফাজত আগুন সন্ত্রাস-সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে অশান্তি-অস্থিতিশীলতা-অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি সরকার উৎখাতের দিবাস্বপ্ন দেখছে।
তারা বলেন, হেফাজতি রাজনৈতিক মোল্লারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে যতই নাকে খত দিক, দুঃখ প্রকাশ করুক, মাফ চাক না কেন এদের ছাড় দেয়া হবে সরকার ও দেশের জন্য আত্মঘাতি। কারণ রাজনৈতিক মোল্লারা রেজিস্ট্রার্ড বেঈমান ও বিশ্বাসঘতক। এরা পাকিস্তানের দালালি আর বাংলাদেশের বিরোধীতার রাজনীতি কোনো দিনই ছাড়বে না। বার বার প্রমাণ হয়েছে এরা সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র-সংবিধান-বঙ্গবন্ধু-জাতীয় পতাকা-জাতীয় সঙ্গীত-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার বিরোধীতা করবে ১৯৭১ সালের মতই। জাসদ নেতৃদ্বয় বলেন, শুধু সরকার ও প্রশাসনের উপর নির্ভর করে না থেকে সকল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল মানবতাবাদী রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক মোল্লা এবং এদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ও পার্টনারদের বিরুদ্ধে মাঠে রাজনৈতিক শক্তি সমাবেশ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। -

সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টায় হেফাজত
ন্যাশনাল ডেস্ক: সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হেফাজতের পাঁচ শীর্ষ নেতা বৈঠক করেছেন। হেফাজতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জেহাদী। হেফাজতের নেতারা চাইছেন, আর কোনও নেতাকর্মীকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার না করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জেহাদীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজতের একজন মধ্যম সারির নেতা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদীর নেতৃত্বে তিন জন সহকারী মহাসচিব ও একজন নায়েবে আমির ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা হেফাজতের নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তি, বয়স্কদের হয়রানি না করা, পুলিশের গুলিতে নিহতদের ক্ষতিপূরণ, কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়াসহ কয়েকটি দাবি জানান।হেফাজতের ওই নেতা বলেন, সরকার হেফাজতকে বিরোধী দল মনে করে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। যেভাবে হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে পারে। এছাড়া হেফাজতের অরাজনৈতিক আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করছে। সরকারকে আমরা এই বার্তাটিই দিতে চেয়েছি।’
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্রও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও নাম প্রকাশ করে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। কারণ হিসেবে একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। একদিকে গ্রেফতার অভিযান, আরেকদিকে এজাহারভুক্ত আসামিদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সরাসরি বক্তব্য দেয়াটা সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।
যোগাযোগ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তাদের সমঝোতার প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের কাছে কেউ এ ধরনের প্রস্তাব নিয়েও আসেনি। হেফাজতে ইসলামের মধ্যে যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। আইন ভঙ্গকারীদের সঙ্গে সমঝোতার কোনও প্রশ্নই আসে না।’
২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হেফাজতে ইসলাম প্রথম আলোচনায় আসে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি ও নারী উন্নয়ন নীতির বিরোধিতা করে। ২০১৩ সালে হেফাজত ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি ১৩ দফা দাবি জানায়। ওই বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশের নামে ব্যাপক তা-ব চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এরপর ধীরে ধীরে হেফাজতে ইসলামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হেফাজতের আমির আহমদ শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির ওপর সরকারের যে নিয়ন্ত্রণ ছিল তা নষ্ট হয়ে যায়। হেফাজতের নতুন আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ শীর্ষ নেতারা কথায় কথায় সরকারের বিরোধিতা করতে থাকে। গত বছরের নভেম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বিরোধিতা করার পর এই বিষয়টি সামনে আসে। এরপর এ বছরের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে আন্দোলনের নামে তা-ব চালায় হেফাজতে ইসলাম। তখনও হেফাজতের শীর্ষ নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ না করেই একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তবে ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা মাওলানা মামুনুল হক এক নারী সঙ্গীসহ আটক হলে নড়েচড়ে বসে সরকার।
হেফাজতের একজন মধ্যম সারির নেতা এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘মামুনুল হকের বিষয়টিতে সরকার সুযোগ নিয়েছে। তার ব্যক্তিগত বিষয়টিকে সামনে এনে হেফাজতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা কখনোই সরকার উৎখাতের চেষ্টা করিনি। আমাদের সাংগঠনিক মতাদর্শ থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছিলাম।’
ওই হেফাজত নেতার ভাষ্য, ‘এখন যেভাবে হেফাজতের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতারি অভিযান শুরু হয়েছে, তাতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না করে উপায় নেই। এ জন্য শীর্ষ নেতারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। হেফাজত আপাতত আর কোনও কর্মসূচি দেবে না—এই শর্তে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।’
কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, হেফাজতকে আর ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। তারা আগে তো অনেক তা-ব চালিয়েছেই, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে যা করেছে তাতে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সহিংসতার ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাতেই হেফাজতের মধ্যম ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ রবিবার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা মাওলানা মামুনুল হককে। সোমবার তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিবসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যে তারা হেফাজতের ৩০ জন সক্রিয় নেতার একটি তালিকা তৈরি করেছেন। এরমধ্যে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। -

বাসদের রিকশা মিছিল
ন্যাশনাল ডেস্ক: লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও রেশনিংয়ের দাবিতে বরিশালে রিকশা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে এই রিকশা মিছিল শুরু হয়।
জেলা বাসদ আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে রিকশা মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, জেলা শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মানিক হাওলাদার এবং মহানগর ছাত্র ফ্রন্টের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিজন সিকদার।
বক্তারা লকডাউনে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের জন্য অর্থ বরাদ্দ ও রেশনিংয়ের দাবি জানান। -

কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ছেন রাউল কাস্ত্রো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কিউবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর ছোটভাই রাউল কাস্ত্রো।
শুক্রবার দলের কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি ছয় দশক ধরে চলা কাস্ত্রোযুগের অবসানের এ ঘোষণা দেন।বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
রাউল বলেন, নবীন প্রজন্মের হাতে নেতৃত্বের ভার তুলে দিতেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, পার্টির নেতৃত্বে থাকবে নতুন প্রজন্ম, যারা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আবেগ ও চেতনায় পূর্ণ।
৪ দিনের কংগ্রেসের শেষ পর্বে প্রতিনিধিরা তাদের পরবর্তী নেতা বেছে নেবেন।কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ পদ ফার্স্ট সেক্রেটারি, রাউলের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে এবার কিউবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৬০ বছর বয়সী মিগেল দিয়াজ-কানেলের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
রাউল দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১৯ সালে দিয়াজ-কানেলই ক্যারিবীয় এ দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন। -

যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান
জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাধারন সম্পাদকসহ একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ
১৪’শ বোতল ফেন্সিডিল মামলার আসামী সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক
পৌর যুবদেলর আহবায়ক ঝিনাইদহে ৮’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন
সদস্য সচিব সোহাগ নৌকার পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করেছিলেন

নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা যোগ্যদের বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের ৯টি ইউনিটের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদ বঞ্চিতরা। গত ১৮ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় যুবদল কর্তৃক এই কমিটি অনুমোদনের পর বিক্ষুব্ধ এবং চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
শহর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উজ¦ল কুমার সাধুসহ পদবঞ্চিত অনেকেই জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।একজন মোটর সাইকেল মিন্ত্রীকে সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক করা হয়েছে।
এছাড়া
১৪’শ বোতল ফেন্সিডিল মামলার আসামী তাকে সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছে।
একইভাবে
পৌর যুবদেলর আহবায়ক যাকে করা হয়েছে তিনি ঝিনাইদহে ৮’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। সে মামলা চলমান রয়েছে।
আর যাকে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি বিগত দিনে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেননা। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগীয় টীমের সুপারিশও আমলে নেয়া হয়নি। জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে এই কমিটি করা হয়েছে। বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের পর অনেকেই দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনুমোদিত এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় তৃনমূল নেতাকর্মীরা রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা। তারা জানান, আর্থিক সুবিধা নিয়ে জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নতুন কমিটি দিয়েছেন।
তারা আরো জানান, নতুন এই কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান টিপুকে। তিনি রাজপথে থেকে অসংখ্য মামলার আসামী হয়েছেন। আহবায়ক করা হয়েছে টোকনকে যিনি কোনদিন ছাত্রদল করেননি। একইভাবে সোহাগকে সদস্য সচিব করা হয়েছে যিনি নৌকার পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করেছিলেন। সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ তরিকুল বাশারকে বাদ দেয়া হয়েছে। আশাশুনি থানায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। দেবহাটায় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবকে সদস্য সচিব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। শ্যামনগরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলকে বঞ্চিত করে দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করা আঙ্গুরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের দুইবারের সভাপতি রবিউল্লাহ বাহারকে বাদ দেয়া হয়েছে। একইভাবে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জান মনিকে কমিটিতেই রাখা হয়নি। আহবায়ক প্রার্থী এস এম বাবুকেও বঞ্চিত করা হয়। কলারোয়া উপজেলা যুবদলের কমিটিতে মেহেদী হাসান রাজুকে দু’টি পদ দেয়া হয়েছে। তাকে যুগ্ম আহবায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে। কলারোয়া পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের মূত্রপত্র ইমরান এইচ সরকারের ঘনিষ্ঠজন মোস্তাককে। তালা উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনেও আর্থিক লেনদেন অভিযোগ করেছেন তারা।
তারা এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুবদলের কমিটি গঠনে তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে।
জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আইনুল ইসলাম নান্টা একই সুরে জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম ছিলেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলুর নাম্বারে ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। -

জেলা জাসদের পতাকা মিছিল
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১ মার্চ সোমবার জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলীর নেতৃত্বে পতাকা মিছিল।
-

আমি একা, বড় একা, আমার আপন কেউ নেই…….. রওশন এরশাদ

নিজস্ব প্রতিনিধি
বছর দু’এক আগেও রওশন এরশাদকে ঘিরে সরব ছিল জাতীয় পার্টি। কে বেশি সময় পাশে থাকতে পারেন, এ নিয়ে প্রতিযোগীতা ছিল। কিন্তু জাতীয় পার্টির ‘প্রধান পৃষ্ঠপোশক’ রওশন এরশাদের সেদিন এখন আর নেই। কার্যত দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা।
নিজের দল জাতীয় পার্টি থেকে ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শুরুতে এলাকায় চমক দেখানো অনেক কাজই করেছেন ‘সাবেক ফার্স্ট লেডি’ রওশন এরশাদ। তৃণমূলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন। কিন্তু ময়মনসিংহ সদরের ভোটাররা এখন আর তাঁর খুব একটা দেখা পান না। গেলো এক বছর কোন দৃশ্যমান কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাকে। এমন কি জাতীয় পার্টিতেও তার অবস্থান বেশ নাজুক। করোনার কারনেই মনে হয় একাকিত্ব বরণ করছেন তিনি। দীর্ঘদিন জাতীয় সংসদের কোন কার্যক্রমেও তাকে দেখা যায়নি।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলে পদ-পদবি নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে। পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে দলটিতে পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেখা যায় নেতাকর্মীদের। পরবর্তীতে বৈঠকের মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। দলের নবম কাউন্সিলে ক্ষমতাহীন ‘চিফ প্যাট্রন’ বা প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। কাউন্সিল পরবর্তীতে তার কার্যক্রম সীমিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে অনেকটা আড়ালে চলে যান তিনি।
তবে রওশন এরশাদের নীরবতার পেছনে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন কেউ কেউ। পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম একটি গণমাধ্যমে দেয়া স্বাক্ষাতকারে বলেন, রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রধান উপদেষ্টা। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিচ্ছেন না। তার মানে এই নয় যে তিনি সংগঠন থেকে দূরে সরে গেছেন। তিনি সবসময় দলের খোঁজখবর রাখছেন। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গেও তার যোগাযোগ আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি দৃশ্যমান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।
তবে গুঞ্জন উঠেছে, দলীয় রাজনীতিতে বেশ কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর যারা রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাদের একটি বড় অংশ পরবর্তীতে বড় পদ পেয়ে নিজেরে অবস্থান পরিবর্তন করেন। বাকিরা দলের প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। এদিকে ক্ষমতা ও কর্মহীন পদ পাওয়ায় নিজেও চুপসে গেছেন রওশন এরশাদ। বের হচ্ছেন না ঘর থেকেও। বয়সের ভারেও তিনি নুয্য।
জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, রওশন এরশাদ শারীরিকভাবে অসুস্থ। মহামারী করোনা প্রাদুর্ভাবের পর তিনি নেতাকর্মীদের সাথে স্বাক্ষাত করা কমিয়ে দেন। বয়সের কারণে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তার বাসায় একজন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি সংসদ অধিবেশনে যোগ দেয়া থেকেও অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন কেন্দ্রীয় পর্যায়ের এক নেতা জানান, মহামারিকালের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে তিনি বাসা থেকে বের হন না। বয়সজনিত কারণে তিনি শারিরীকভাবে সুস্থও নন। তবে দুএক দিনের মধ্যেই তার সংসদে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি সেখানে টিকা নেবেন বলে শুনেছি।
-

৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী মহাসমাবেশ করবে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। আপাতত পুরো মার্চ মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে ৩০ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবর্নজয়ন্তী মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। বুধবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্বায়ী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি পালনে আমরা আইনশৃংখলা বাহিনী ও সরকারের সহযোগিতা চাই।
ড. মোশাররফ বলেন, বিএনপি ও দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এদেশের দলমত নির্বিশেষ সকল জনগনকে আহবান জানাচ্ছি তারা যেন অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে এবং গুরুত্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেন যার যার অবস্থান থেকে। কারণ, এই স্বাধীনতা দেশের জনগনের প্রস্ফুটিত স্বাধীনতা, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, এদেশের জনগনের স্বার্থে এই স্বাধীনতা। তাই আমরা সকলে মিলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই।
ড. মোশাররফ বলেন, আমরা আশা করছি, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের সব অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে যাতে উদযাপন করতে পারি সেজন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোহিতা পাবো। একইসঙ্গে আমরা সরকারের কাছেও সহযোগিতা চাই, যাতে করে আমরা এই পঞ্চাশ বছর পূতির আবেগ-উচ্ছ্বাসের কর্মসূচি নির্বিঘ্নে ও সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। আমরা সরকারের কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাই। পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দফতরে বিএনপির কর্মসূচি পালনের বিষয়টি অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি ঘোষিত মার্চ মাসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কর্মসূচির উদ্বোধন, ২ মার্চ ছাত্র সমাজ কতৃক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন শীর্ষক আলোচনা, ৩ মাচ ছাত্র সমাজ কতৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ শীর্ষক আলোচনা, ৭ মার্চ আলোচনা সভা, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন, ৯ মার্চ সেমিনার, ১০ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা, ১৩ মার্চ বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন, ১৫ মার্চ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২০ মার্চ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার, ২২ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, জেড ফোর্স এবং বীর উত্তম জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনার, ২৩ মার্চ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, ২৪ মার্চ ‘নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈরাচারী এরশাদের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল’ শীর্ষক সেমিনার, ২৫ মার্চ -২৫ মার্চের কালো রাত্রি শীর্ষক আলোচনা সভা।
এ ছাড়া ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন, শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পন, দরিদ্রদের মাঝে চিকিৎসা সেবা, রক্তদান কর্মসূচি, সারাদেশে র্যালী, ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গমন ও সেখানে আলোচনা সভা, বগুড়ায় বাগবাড়ি গমন ও সেখানে আলোচনা সভা। ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবর্ণজয়ন্তী মহাসমাবেশ এবং ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি প্রয়াত সাংবাদিক আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্ণর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গঠিত জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার প্রমুখ।
-

আওয়ামী প্রজন্মলীগের সাতক্ষীরা পৌর শাখার আংশিক কমিটি অনুমোদন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ আওয়ামী প্রজন্মলীগ সাতক্ষীরা পৌর শাখার আংশিক কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। এসএম আজিজুল ইসলাম মিঠু সভাপতি ও মীর মেহেদী হাসান সোহানকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারী সাতক্ষীরা জেলা প্রজন্ম লীগের সভাপতি গাজী উজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ রাজীব হোসেন স্বাক্ষরিত আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে এসএম আজিজুল ইসলাম মিঠুকে সভাপতি, মীর মেহেদী হাসান সোহানকে সাধারণ সম্পাদক ও তৌফিক এহসানকে সাংগঠনিক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ আংশিক কমিটির অনুমোদন করা হয়। -

নৌকা ডুবির কারণ অনুসন্ধানে নেতা-কর্মীরা
সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের জামায়াত বিএনপি’র ভোট ব্যাংক ভাঙার শক্তি নেই, নৌকা প্রতীকে ভোট না করে ব্যক্তি হিসেবে ভোট করলে আমি হয়তো বা বেশি ভোট পেতাম
-নাসেরুল হক- তিনটি চোরাচালানি সিন্টিকেট আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের ভোট নারিকেল গাছ প্রতীকে পড়েছে –ফিরোজ কামাল শুভ্র
- দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে-আসাদুজ্জামান বাবু
- এখানকার জনগনের একটি বড় অংশ ভারত থেকে মাইগ্রেটেড। ফলে তারা আওয়ামী বিরোধী-নজরুল ইসলাম
- সমন্বয়ের অভাবে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সংগঠিত হতে পারেনি-আশু
রঘুনাথ খাঁ : সাতক্ষীরা পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠণিক সম্পাদক তাসকিন আহমেদ চিশতি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২৫ হাজার ৮৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। অপরদিকে ১৩ হাজার ৫০ ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ নাসিরুল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক যুবদল নেতা নাসিম ফারুক খাঁন মিঠু পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২১ ভোট। জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারী নুরুল হুদা পেয়েছেন ২৮৮৮ ভোট ও ইসলামিক শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আব্দুর রউফ পেয়েছেন ১৬৭৯ ভোট। মোট ভোটার ছিল ৮৯ হাজার ২২৪। ভোট পড়েছে ৫৫ হাজার ৯২৬ টি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা মনে করেন দ্বিতীয় ধাপে অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয় লাভে সাতক্ষীরার নেতা কর্মীদের আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগা, দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা, চারদলীয় ভোট ব্যাংকে আঘাত হানতে ব্যর্থ হওয়া, জামায়াত ও বিএনপি উভয়দলের প্রার্থী থাকার পরও দু’দিন আগে সমঝোতা হওয়া, পৌর নির্বাচনে গঠিত কমিটির কয়েকজন সদস্যের ভোটারদের কাছে যথেষ্ঠ পরিচিতি না থাকা, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব, ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এর মৃত্যু সাতক্ষীরা পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী শেখ নাসেরুল হকের পরাজয়ের অন্যতম কারণ।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে যেয়ে দেখা গেছে সকাল থেকে নারী ও পুরুষ ভোটারদের নাতিদীর্ঘ লাইন । অনেককে বলতে শোনা গেছে দুপুর ১২টার পর আর ব্যালট পাওয়া যাবে না। তাই সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি। তারা ভোট দেওয়ার পর শতভাগ সুন্দর ভোট হচ্ছে এমন প্রচার হয়ে যাওয়ায় ধানের শীষ ও নারিকেল গাছ প্রতীকের নেতা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি লোক পাঠিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বা ইজিবাইকে ভোটার আনার ব্যবস্থা নেন। সাবেক জামায়াত নেতার নীরবতার কারণে ধানের শীষে ভোট বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তৃণমূল পর্যায়ের মাঠপাড়ার এক কর্মী বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের অধিকাংশই নৌকার সঙ্গে তাকে ভোট দেওয়ার কথা না বলে মেয়রের ভোট যাকে পারবেন তাকে দেবেন, অন্ততঃ কাউন্সিলর প্রাথী হিসেবে তাকে ভোটটি দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে অনুরোধ করেছেন। নৌকা প্রতীকের পক্ষে যে নির্বাচন কমিটি গঠণ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্ততঃ তিনজনের শহরে পরিচিতি যথেষ্ট কম ছিল। ফলে তারা নিজের দলের নেতা কর্মীদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেননি। পারেননি প্রতিপক্ষের ভোটারদের কাছে টানতে। এ ছাড়া দলীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে ছিল সমন্বয়ের অভাব। অতিরিক্ত আত্ম বিশ্বাস ও একলা চলো নীতিই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের মূল কারণ। মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত মনে করেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সঙ্কট, নৌকা প্রার্থীর তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক গড়ে না ওঠায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে পরাজিত শেখ নাসেরুল হক বলেন, সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের জামায়াত বিএনপি’র ভোট ব্যাংক ভাঙার শক্তি নেই। ধানের শীষ ও নারিকেল গাছ প্রার্থীর অর্থনৈতিক অবস্থার কাছে তিনি প্রায় জিরো। তাছাড়া শেষ রাতেই জগ প্রতীকের প্রার্থী জামায়ত নেতা নুরুল হুদার সঙ্গে ধানের শীষের সমঝোতা হয়ে যায়। ফলে জামায়াতের ভোটের অধিকাংশই পড়ে ধানের শীষে। এ ছাড়া বাবার মত অভিভাবকের দায়িত্ব পালনকারি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এর আকষ্মিক মৃত্যু ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলেছে। তবে তিনি কোনভাবেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাননি। নেতা কর্মীদের উপর সন্তুষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রীয় কর্মচারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। তবে নৌকা প্রতীকে ভোট না করে ব্যক্তি হিসেবে ভোট করলে আমি হয়তো বা বেশি ভোট পেতাম।
জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র বলেন, তিনটি চোরাচালানি সি-িকেট আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশের ভোট নারিকেল গাছ প্রতীকে পড়েছে। তা ছাড়া ভোটে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের আত্মসন্তষ্টিতে ভোগা, ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বসাবসি না হওয়ায় নৌকার পরাজয় হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু মনে করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ এর মৃত্যু পৌরভোটে প্রভাব না ফেললেও দলীয় নেতা কর্মীদের সমন্বয়হীনতা ও আন্তরিকতার ঘাটতি নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে। পৌরভোটের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিটির তিনজনের পরিচিতি কম থাকায় ভোটে তার প্রভাব ফেলেছে।
বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সমন্বয়হীনতা, আন্তরিকতা ও দূরদর্শিতার অভাবের কারণে নৌকার পরাজয় হয়েছে। পৌরভোটকে কেন্দ্র করে জানুয়ারি মাসের শেষের দিক মহাজোটের নেতৃত্ব পর্যায়ে সভায় জাতীয় পার্টি তিনটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থন চেয়েছিল। সব মিলিয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি জাপা, আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এরপরও নেতা কর্মীদের আত্মসন্তুষ্টিতে ভোগার কারণে ও ভোটে কালো টাকার প্রভাব পড়ায় নৌকা প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু বলেন, সাতক্ষীরায় অধিকাংশ সময় এন্টি আওয়ামী লীগাররা ক্ষমতায় থেকেছে। আগে তারা ১৪ দলে থাকলেও এখন তারা বিরোধী দল। এরপরও সমন্বয়ের অভাবে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা সংগঠিত হতে পারেনি। পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ ছিল দাবি করে তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মৃত্যু একটা শূণ্যতা সৃষ্টি করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরা সদরে চার বার জামায়ত ও বিএনপি’র সাংসদ ছিল। এখানকার জনগনের একটি বড় অংশ ভারত থেকে মাইগ্রেটেড। ফলে তারা আওয়ামী বিরোধী। তারা জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য পার্টিতে ভোট দেয়। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা যথেষ্ট ভালো প্রার্থী শেখ নাসেরুল হকের পক্ষে কাজ করলেও অনেক নেতা কর্মী পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় তারা নিজেদের ভোট করতে যেয়ে মেয়র প্রার্থীর জন্য কাজ করতে পারেননি। ফলে নৌকার পরাজয় হয়েছে। -

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক’র সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক’র সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ আলোচনা সভা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক’র সাতক্ষীরায় আগমন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের বিজয়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষ্যে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সমলোচিত ও অবৈধ কমিটি বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।’
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. গোলাম মোর্শেদ, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. শেখ তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমান, কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউছুফ আলম, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কওছার আলী, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গাজী আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম গাজী, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাহারুল ইসলাম, আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হবি, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বিশ^াস, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (বাবু সানা), বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লাল্টু, ফিংড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, জেলা তাঁতীলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, জেলা ছাত্রলীগ নেতা কাজী হাশিম উদ্দন হিমেল, আওয়ামীলীগ নেতা মো. শাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। -

মুনসুর আহমেদের কবর জিয়ারত করলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের এর কবর জিয়ারত করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল শনিবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সদ্য প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদের কবর জিয়ারত করেন। এসময় নেতৃবৃন্দ সদ্য প্রয়াত নেতা মুনসুর আহমেদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন।
কবর জিয়ারতকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য রহিল উদ্দিন, গোলাম মোস্তফাসহ- সভাপতি মোঃ আছাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম তারেক উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুনুর উর রশীদ, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান কাজী আক্তার হোসেন, সদস্য এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহজাহান আলী, আসাদুজ্জামান অসলে, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, মীর মশাররফ হোসেন মন্টু,মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাঈদ মেহেদী, নাজমুন নাহার মুন্নি, মাহফুজা খানম রুবি, ছেলে ব্যাংকার রাজিব আহমে সহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ সহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অজ্ঞসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

তারেক রহমানের সাজার প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিল
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : নড়াইল আদালতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সাজা দেওয়ায় সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জজকোর্টের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা শহর ছাত্রদলের আহবায়ক আয়ুব আলী, সদস্য সচিব শাহিন হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, মহিউদ্দীন কোরাইশ, শেখ রাসেল হোসেন, সদস্য অহিদুর হোসেন, আরিফুল হোসেন,নয়ন ইসলাম ছাড়া সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরাফাত হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এছাড়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক মঞ্জরুল আলম বাপ্পি সদস্য সচিব মোঃসোহেল রানা যুগ্ম আহবায়ক ফারহান মাসুক,তানভীর হাসান অভি,কাজি ইমরান,মাসুম বিল্লাহ সাগর এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাহিনুর হৃদয় উৎস প্রমুখ।


