Category: রাজনীতি

  • রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়, জনগণের: ওবায়দুল কাদের

    রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়, জনগণের: ওবায়দুল কাদের

    ন্যাশনাল ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা ফাঁকা মাঠে তাফালিং করবেন, আর আওয়ামী লীগ আঙ্গুল চুষবে, এটা মনে করবেন না। তিনি বলেন, ‘রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। রাজপথ জনগণের।’

    মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালবাগে থানা ও ৪টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতারা বলেছেন— তারা এখন থেকে রাজপথ দখল করবেন। রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। রাজপথ জনগণের। রাজপথ এই নগরীর। রাজপথ ঢাকাবাসীর। এটা বিএনপির পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।’

    আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সংযমী হয়ে, সতর্ক অবস্থানে মাঠে অবস্থান নেবেন। মাঠ ছাড়বো না, অবস্থান নিতে হবে।’

    বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করুন, শান্তিপূর্ণভাবে আসুন। মোকাবিলা হবে রাজপথে। রাজপথে খেলা হবে। লাফালাফি করবেন না, বাড়াবাড়ি করবেন না। ২২ দলীয় জোট গতবারও ছিল। সেই ২২ দলের অবস্থা জগা-খিচুড়ি, ছত্রভঙ্গ অবস্থা। এবারও ২২ দলীয় জোটের অবস্থান আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন।’

    দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ যেই করবে বলে দিয়েছি, আজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, ক্যাম্পাসে যারা বিশৃঙ্খলা করবে, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি করবে, যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে— শেখ হাসিনা তাদের রেহাই দেবেন না।’

    দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারাও বাড়াবাড়ি করবেন না। নির্বাচনের ১৪ মাস বাকি। আপনারা এখন স্লোগান, পাল্টা স্লোগান শুরু করেছেন। শোডাউন দিয়ে কেউ এমপি হতে পারবেন না। কেউ নেতা হতে পারবেন না। শেখ হাসিনার কাছে সবার হিসাব-নিকাশ জমা আছে। ওই এলাকার জনগণের কাছে যে জনপ্রিয়, সেই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। পাল্টাপাল্টি করে কেউ কাউকে ঠেকাবেন, এটা হবে না।’

    দেশবাসীর উদ্দেশে করে কাদের বলেন, ‘আপনাদের কষ্ট আমাদের সৃষ্টি নয়। আজকে জীবনযাত্রার মান সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ এই সংকটকে আরও প্রকট করেছে। শেখ হাসিনা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন। চিন্তা করবেন না— বাংলাদেশে এমন কোনও সংকট হবে না। আগামী দিনগুলো ভালোই যাবে। এখনই আস্তে আস্তে স্বস্তিতে ফিরে যাচ্ছি। আপনারা বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি বার বার আস্থা রেখেছেন। আপনারা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। এই সংকট বেশি দিন থাকবে না। এই দুর্দিন চলে যাবে। আবার সুদিন আসবে। অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের বলেন, ‘নৌকার স্লোগান দেওয়ার সময় আসবে। তখন আমি নিজেই বের হবো এ স্লোগান নিয়ে। গতবারও (স্লোগান) দিয়েছিলাম, এবারও বের হবো। আগাম কিছু বলবেন না।’

  • গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে অব্যাহতি দিল বিরোধীরা

    ন্যাশনাল ডেস্ক্: গণফোরামের নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টা ও ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মোস্তফা মহসিন মন্টু গ্রুপ।

    মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের বিক্ষুব্ধ অংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
    সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, গণফোরামের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কহীন, দল থেকে পদত্যাগকারী নিষ্ক্রিয় কিছু ব্যক্তি নিয়ে গণফোরাম নাম দিয়ে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি এবং ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ড. কামাল হোসেনকে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রধান উপদেষ্টা ও মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ গণফোরামের নির্বাচিত কমিটি থেকে পদত্যাগ না করে গঠনতন্ত্র পরিপন্থীভাবে এ কমিটি ঘোষণা করেছেন। এমতাবস্থায় ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টা ও ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

    এর আগে গত শনিবার ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি এবং ডা. মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দলটির ১০১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • বর্তমানে চারটা বিপদের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ : ইনু

    বর্তমানে চারটা বিপদের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ : ইনু

    মশাল ডেস্ক: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বর্তমানে চারটা বিপদের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং বাংলাদেশকে যদি সামনের দিকে এগুতে হয়, তাহলে একদিকে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত, তালবানি সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত বানচাল করে দিতে হবে। অপরদিকে বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে হবে।
    সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাসদের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    হাসানুল হক ইনু আরও বলেন, বৈশ্বিক সংকট আছে, কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজির জন্য নিত্যপণ্যের অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। সুতরাং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিদেশের ওপর দায় চাপিয়ে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের বাজার সিন্ডিকেটকে যদি ধ্বংস করতে পারি, তাহলে অবশ্যই দ্রব্যমূল্য নাগালের ভেতর আনা সম্ভব হবে। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারি পদক্ষেপের পাশাপাশি শ্রমিক, গরিব ও মেহনতি মানুষের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালু করা আহ্বান জানান তিনি।
    ১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, একলা চলা নীতিতে চলা আওয়ামী লীগর জন্য হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। জাসদ চায় স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ থাক এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।

    মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ আমাদের সীমান্তে এসে পৌঁছেছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি সমাধান হতে পারে।
    জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপনের সঞ্চালনায় বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য শিরীন আখতার।


    প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,জোসদ কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি রিয়াজ, জাসদের সহ সভাপতি আফরোজা হক রীনা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দীন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় কৃষক জোটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জাসদের স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, কুষ্টিয়া জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
    এ সময় কেন্দ্রীয় ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখার নেতারা প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন।

  • বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করবেন না: মির্জা ফখরুল

    বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করবেন না: মির্জা ফখরুল

    ন্যাশনাল ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনাদেরকে (সরকার) সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সেই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের নতুন সরকার নির্বাচিত করবে। তিনি বলেন, ‘আজকে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন, হামলা করছেন। এগুলো করবেন না। এগুলো করে বাংলাদেশের মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে পদত্যাগ করানো হবে।’
    রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
    ফখরুল বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে বোমা মারছে। সরকার নীরব। তারা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আসলে সরকারের কোমর সোজা নাই। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত না, সেজন্য আজ বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমাবর্ষণের প্রতিবাদ করতে পারছে না।’
    তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের (বিএনপির) কাজ হচ্ছে— জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভয়াবহ দানবীয় শক্তি যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’
    এসময় সব রাজনৈতিক দল ও গণতন্ত্রকামী মানুষকে আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আসুন, আমরা একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা আমাদের সব অর্জনকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশ আত্মাকে বিসর্জন দিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’
    ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব যথাক্রমে রফিকুল ইসলাম মজনু এবং আমিনুল হকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

  • সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তালায় জাতীয় পার্টির পালে হাওয়া : চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

    সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তালায় জাতীয় পার্টির পালে হাওয়া : চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রাণের সংগঠন জাতীয় পার্টি দেশব্যাপী সংগঠন গোছানোর উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে দেশের প্রত্যেকটি বিভাগে সাংগঠনিক কমিটি গঠন করে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

    সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্ব পাওয়া সাবেক মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ দিদার বখত সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলায় উপস্থিত থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এরই অংশ হিসেবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে তালা উপজেলা জাতীয়পার্টির সম্মেলন। সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা সমাবেশ ও গনসংযোগের মাধ্যমে নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করে তোলা হচ্ছে আর এ কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেনসাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতিক, তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক নজরুল ইসলাম। জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর বিগত সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম। আর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কারো কাছ থেকে কোন ধরনের অর্থনৈতিক সাহার্য সহযোগিতা ছাড়াই উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে জাতীয় পার্টিকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তার সাংগঠনিক তৎপরতা ও সভা সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখে অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তারা মন্তব্য করে থাকেন এটি কি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রংপুর না-কি সাতক্ষীরার তালা উপজেলা ? দলের মধ্যে এ ধরনের এরশাদ পাগল সত্যিই বিরল। তার বড় পুত্র এসএম কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা ওলামা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি সরকারী চাকুরীজীবি। ছোট পুত্র এসএম আকরামুল ইসলাম কেন্দ্রীয় ছাত্র সমাজের যুগ্ম-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক এবং যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একমাত্র মেয়ে নিগার সুলতানা রেক্সনা জেলা ছাত্র সমাজের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা ও পিতার প্রতিষ্ঠিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন মানব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। তার স্ত্রী মিসেস তরুনা বেগম মহিলা পার্টির নেত্রী হিসেবে সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।

    ১২ ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপকালে জানাযায়, ২০ তারিখের সম্মেলনেও তারা সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলামকে সভাপতি হিসেবে পেতে চান। কারন নিজের অর্থ সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে দিয়ে সংগঠন গড়ে তোলার মতো নেতার আজ বড়ই অভাব। তালা-কলারোয়া আসনের প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখতও সৌভাগ্যবান যে সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলামের মতো একজন এরশাদ প্রেমিককে কাছে পেয়েছেন । জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও তাকে ব্যাক্তিগতভাবে চেনন-জানেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যখন তার বিজয় ছিনতাই করে নেয়া হয় তখন তালা সদর ইউনিয়নবাসির মতো জনাব জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। যাই হোক সাধারন মানুষ যদি কাউকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে তার জন্য কোন পদ-পদবীর প্রয়োজন হয়না সাংবাদিক সাংবাদিক নজরুলই তার উৎকৃষ্ট উদাহরন। বিজয় ছিনতাই হওয়ার পরও তিনি জনগনের চেয়ারম্যান হয়ে সাধারন মানুষের আকুন্ঠ ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আছেন আর ২০ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের জন্যই হয়তো নেতা-কর্মীরা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।

  • জেলা পরিষদ নির্বাচন : কলারোয়ার ৫ ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বরদের সাথে নজরুল ইসলামের মতবিনিময়

    জেলা পরিষদ নির্বাচন : কলারোয়ার ৫ ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বরদের সাথে নজরুল ইসলামের মতবিনিময়

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
    আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দিনভর ছুটে চলেছেন সাতক্ষীরা গণমানুষের নেতা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মো: নজরুল ইসলাম।
    ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দিনভর কলারোয়া উপজেলার কয়লা, জালালাবাদ, জয়নগর, যুগিখালী ও দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বরদের সাথে মতবিনিময় করেন।
    মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনীত করেছেন। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের লক্ষে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকেই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
    উল্লেখ: আলহাজ¦ মো: নজরুল ইসলাম ২০০৫ সাল থেকে একাধারে ১৮ বছর সুনামের সাথে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিগত ২০১৭ সালে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করে আসছেন এই জনপ্রিয় নেতা।

  • সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চু : তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা

    সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ খিচ্চু : তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা

    আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম:
    জাসদ পরিবারে আমাদের সবার প্রিয় খিচ্চু ভাইয়ের ছবি হয়ে যাওয়ার ১২ বছর হবে আগামীকাল ১৬ জুলাই। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর ছাত্র নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক নেতা, জননেতা ও জাসদের দুই মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক। ২০১০ সালের এইদিন রাতে মিরপুর রূপনগরে বাসায় আকস্মিকভাবে মারাত্মক হার্টঅ্যাটাকে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাঁর হার্টে সামান্য সমস্যা ছিল; এজন্য একটা স্টেন্টও বসানো হয়েছিল; তারপর ভালই ছিলেন; কার্ডিওলজিস্টের সাথে নিয়মিত ফলো-আপ করতেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য— দীঘল দেহের মানুষটিকে আমরা হারিয়ে ফেললাম। পৃথিবীতে সব শূন্যস্থানই পূর্ণ হয় সময়ের সাথে। কিন্তু কিছু শূন্যস্থান পূর্ণ হবার পরও শূন্য হবার দাগচিহ্ন থেকে যায়।

    জাসদের রাজনীতি ও সংগঠনে খিচ্চু ভাই চলে যাওয়ার শূন্যস্থানে অমোচনীয় দাগচিহ্ন থেকে গেছে। কারণটা কী? খিচ্চু ভাই ছিলেন দলকেন্দ্রীক মানুষ, সাধারণ কর্মীকেন্দ্রীক মানুষ, দলের অফিসকেন্দ্রীক মানুষ। সহজেই দলের যে কেউ খিচ্চু ভাইয়ের কাছে যেতে পারতেন। নির্ভয়ে কথা বলতে পারতেন। এর জন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতা লাগতো না, আয়োজন করা লাগতো না, ঘটা করাও লাগতো না। যে কারণে কথা— তার সহজ উত্তর ও সরল সমাধান পেতেও সময় লাগতো না। কারণ, খিচ্চু ভাই রাজনীতি ও দল করাকে জটিল-কঠিনভাবে দেখতেন না।

    তাঁর কাছে রাজনীতি করা ও দল করার মানেই ছিল দলের বক্তব্য ও কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়া, মানুষকে বুঝিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করা। মানুষের বিপদে-সংকটে পাশে-সাথে থাকা। মানুষের মনের মধ্যে যে কথাগুলো ঘুরপাক খায়— সেগুলো যেন তারা গুছিয়ে বলতে পারেন সেটা শিখিয়ে দেয়া। এটুকু করতে পারলেই রাজনীতি ও দলের কাজ করা শুরু হয়ে গেলো। এটা করার সিদ্ধান্ত নেয়া আর লেগে থাকাটাই হচ্ছে কঠিন। যিনি পারেন— তিনি নিজের ক্ষুদ্র পরিসরে কর্মী আর কর্মী থেকে নেতা হন— ধীরে ধীরে তাঁর পরিসর বাড়ে— বড় নেতা হন। তিনি বলতেন নেতা মানে পদ না, দায়িত্ব।
    খিচ্চু ভাইয়ের মনের চিন্তা, মুখের কথা, বক্তৃতার ভাষা, কাজ, আচরণ, চালচলন ও জীবনযাপনের এক ও অভিন্ন দর্শন ছিল। আর তা হলো— দেশপ্রেম ও সমাজতন্ত্র। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি অকৃতদার ছিলেন। তাঁর জীবনযাপনের চাহিদা ছিল খুব সামান্য ও সাধারণ। খিচ্চু ভাই ব্যক্তিগত সম্পদ ও সম্পত্তির মালিক হবার সকল লোভের ঊর্ধ্বে ছিলেন। তাঁর এই জীবনদর্শনের ভিত্তি ছিল সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে খিচ্চু ভাইয়ের কোনো ছাড় ছিল না।

    জাসদের প্রতিষ্ঠাতা, পিতৃপুরুষ ও বড় বড় নেতারা তাদের নিজেদের দলকে পরিত্যাগ-পরিত্যক্ত করে নিজেদের সুবিধামতো দল করেছেন, বিভিন্ন দলে চলে গিয়েছেন। কিন্তু খিচ্চুভাই জাসদকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন।

    কীভাবে তাঁর এই জীবনের শুরু?

    ১৯৪৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার রতুয়ায় নানাবাড়িতে তাঁর জন্ম। জন্মের ১৮ মাস পর মা শেখ সাইরুন্নেসা তাঁকে নিয়ে চলে আসেন পাকশিতে স্বামী সৈয়দ শামসাদ আলীর কাছে। খিচ্চু ভাইরা ছিলেন ৫ ভাই ও ৩ বোন। তাঁর বাবা রেলওয়ের প্রথম শ্রেণির কন্ট্রাক্টর ছিলেন। খিচ্চু ভাইয়ের বাবা-দাদার আদিবাড়ি পশ্চিমবঙ্গ— অধুনা ঝাড়খন্ডের রাজমহলে। তাঁর বাবা রেলওয়ের কন্ট্রাক্টরি ব্যবসার কারণে পাকশিতে চলে আসেন ১৯৩৫ সালে। পাকশি কেন বিখ্যাত সবারই জানা। পদ্মা নদীর উপর ব্রিটিশরাজ নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পাকশিতেই। আর এই ব্রিজকে কেন্দ্র করে বৃটিশ আমল থেকেই পাকশি একটি রেল সিটি। আধুনিক শিল্প নগরী।

    খিচ্চু ভাইয়ের বাবা ছিলেন স্বদেশী আন্দোলনের জেলখাটা কর্মী। তাঁর দাদা সৈয়দ গওহর আলী ও দাদার বাবা সৈয়দ আনোয়ার আলী ছিলেন রাজমহলে বড় ভূস্বামী। তারা মালদা শহরে একটি বড় বাসভবন নির্মাণ করে সেখানেই বসবাস করতেন। বর্তমানে মালদা জেলা সার্কিট হাউস ভবনটিই ছিল খিচ্চু ভাইয়ের দাদার বাসভবন।

    পাকশির নাগরিক পরিবেশেই খিচ্চু ভাইয়ে শৈশব-বাল্য-কৈশোর-যৌবন কেটেছে। পাকশির চন্দ্ররভা স্কুলে তিনি লেখা পড়া করেন। ৯ম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। সে বছরই পুলিশি নিষেধাজ্ঞা ভেঙে একুশের প্রভাতফেরি করতে গিয়ে গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পাস করে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিক ও বি.কম. পাস করেন। ১৯৬৮-৬৯ শিক্ষাবর্ষে ঈশ্বরদী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

    ষাটের দশকে ঈশ্বরদী ছিল চীনপন্থী বাম অধ্যুষিত এলাকা। এ এলাকায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ করা অত্যন্ত দরূহ ছিল। খিচ্চু ভাইয়ের হাত ধরেই ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের উত্থান ঘটে।

    ১৯৭০ সালের ৭ জুন স্বাধীকার দিবসে ছাত্রলীগ কর্তৃক জয়বাংলা বাহিনীর মার্চপাস্টে প্রথম প্রদর্শনের পর ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ডাকসু ভিপি আ স ম আবদুর রব স্বাধীনতার পতাকা প্রদর্শন করেন। তার দু’দিন পর ৪ মার্চ পাকশি রেলওয়ে ময়দানে খিচ্চু ভাই স্থানীয়ভাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন।

    ১৯৭১ এর ২৯ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদীর বাঁশের বাধা নামক স্থানে সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ যুদ্ধে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য হতাহত হয় এবং খিচ্চু ভাইয়ের সহযোদ্ধা রঞ্জু ও গফুর শহীদ হন। এরপর তিনি সহযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে রিট্রিট করে ভারতে চলে যান।

    ভারতে এফএফ-এর ট্রেনিং নিয়ে ৩০ জনের ট্রুপস নিয়ে আবার দেশের অভ্যন্তের প্রবেশ করেন। তিনি এফএফ ঈশ্বরদী থানার কমান্ডারের দায়িত্ব পান। পরবর্তীতে বিএলএফ-ও তাকে ঈশ্বরদী থানার কমান্ডারের দায়িত্ব দেয়। মুক্তিযুদ্ধে খিচ্চু ভাইসহ মাত্র কয়েকজন ব্যতিক্রম আছেন— যাঁরা একই ব্যক্তি হিসেবে এফএফ ও বিএলএফ দুই বাহিনীর থানা কমান্ডারের দায়িত্ব পান; এবং এসব ক্ষেত্রে দুই বাহিনী একই কমান্ডে মুক্তিযুদ্ধ করে।

    খিচ্চু ভাইয়ের দুর্ভাগ্য সদ্য স্বাধীন দেশে তিনি বেশিদিন এলাকায় থাকতে পারেননি। আওয়ামী লীগ ও চীনপন্থী আলাউদ্দিন বাহিনী তাঁকে হত্যা করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এরকম পরিস্থিতিতে দলের নির্দেশে ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। মোহাম্মদ শাহজাহান ও রুহুল আমিন ভুইয়ার সাথে শ্রমিক লীগের কাজের সাথে যুক্ত হন। জাসদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে তিনি তাতে শ্রম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৮৩ সালে জাসদের ভাঙণ হলে তিনি জাসদ (রব) গ্রপের সাথে যুক্ত ছিলেন।

    ১৯৯৭ সালে জাসদ ঐক্যবদ্ধ হবার পর তিনি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০২ সাল এবং ২০০৫ সালের কাউন্সিলে পরপর দুইবার জাসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৪ দল গঠনের উদ্যোগের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ১৪ দলে জাসদের প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপলস ফোরাম-বিবিপিপিএফ-এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাধারণ থেকে রাজনীতিতে অসাধারণ হবার অনন্য নজির খিচ্চু ভাই। জাসদের সংগ্রামী রাজনীতি ও গণমানুষের রাজনীতির প্রতীক হয়েছিলেন তিনি।

    ভুলি নাই, ভুলবো না— খিচ্চু ভাই।
    অভিবাদন আপনাকে।
    আপনি আমাদের কাছে এখন শুধু ছবি নন। একজন আদর্শ।

    -লেখকঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জাসদ।

  • জেলার প্রয়াত প্রবীণ নেতাদের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগ

    জেলার প্রয়াত প্রবীণ নেতাদের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি:

    প্রয়াত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রথমে শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতৃবৃন্দ ।

    পরে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ কামাল বখত ছাকি সাহেব, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য এড. এ এফ এম এন্তাজ আলী, সাবেক সভাপতি মনসুর আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা স.ম আলাউদ্দীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নাসিম ময়না ও সাবেক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. শেখ সামছুর রহমান এর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারত করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য ডেইলি পিপলস্ টাইম এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান,সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম,সহ সভাপতি সাহানা মহিদ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্র নেতা কাজী আক্তার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এড. আজহার হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, সদস্য ও অতি: পিপি এড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতা’র প্রধান সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা কাজী হেদায়েত হোসেন (রাজ)।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কাজী মারুফ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন,শেখ তৌহিদ হাসান, সহ-সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আলী সুজয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রিফাত হাসান রাসেল,ছাত্রলীগ নেতা শেখ জুবায়ের আল জামান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ড. কাজী এরতেজা হাসান

    সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন ড. কাজী এরতেজা হাসান

     
    নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা :
    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছেন ড.কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি। তিনি কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটি সদস্য, দৈনিক ভোরের পাতা,  ডেইলি পিপলস্ টাইম এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এফবিসিসিআই এর পরিচালক। 
    বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ.কে ফজলুল হক শারীরিক অসুস্থ থাকায় চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যাওয়ার কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন।  
    এদিকে,  দায়িত্ব পেয়ে বিকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মাজার জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মোনাজাত ও মন্তব্যে খাতায় স্বাক্ষর করেছেন ড.কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপিসহ নেতৃবৃন্দ

  • সাতক্ষীরা সেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার ১ নং ওয়ার্ডে তথ্য উপাত্ত সংগ্র ফরম বিতরণ

    সাতক্ষীরা সেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার ১ নং ওয়ার্ডে তথ্য উপাত্ত সংগ্র ফরম বিতরণ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার ১ নং ওয়ার্ডে তথ্য উপাত্ত সংগ্র ফরম বিতরণ অনুষ্টান হয়েছে। গত ২৩ মে সোমবার ৬ ঘটিকায় সাতক্ষীরা আমতলা মোড়ে নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল পৌর শাখার ১ নং ওয়ার্ডে তথ্য উপাত্ত সংগ্র ফরম বিতরণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাতক্ষীরা জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আনারুল ইসলাম, আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন ,লাবসা ইউনিয়েনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন আপীল,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ- যুগ্ন সম্পাদক জিল্লুর রহমান প্রমুখ ,অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন পৌর শাখা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব শেখ আজিজুর রহমান সেলিম , অনুষ্ঠানে ১ নম্বার ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় কৃর্তক ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদে বর্ধিত সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

    ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় কৃর্তক ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদে বর্ধিত সভা ও বিক্ষোভ মিছিল

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় আঢ্য কৃর্তক ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ব্রক্ষরাজপুর ডিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু নিলীপ কুমার মল্লিককের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাবু, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন-অর-রশিদ,নির্বাহী সদস্য এস.এম. শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামিলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মো.শাহাজান আলী, এহসান বাহার বুলবুল, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আলাউদ্দিন প্রমূখ।
    বক্তারা বলেন, সাবেক ছাত্রদলের ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয় বর্তমানে সেচ্ছাসেবকলীগের সাথে যুক্ত হয় কিভাবে? যখন বাবু নিলীপ কুমার মল্লিককে মারা হলো আপনার কেন সাথে প্রতিবাদ করা হয়নি? দলে হাইব্রিড ঢুকে গেছে। কিভাবে ছাত্রদলের ক্যাডার হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে উঠাবসা করে। আমরা সকলে একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার মৃত্যুঞ্জয়কে জেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংঠনের আজীবন তাকে দলে কোন জায়গা হবে না। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু নিলীপ কুমার মল্লিকের মারধর ও লাঞ্ছিত করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    সভা শেষে ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতিকে মারপিটের প্রতিবাদ ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউনিয়ন আওয়ামীগের নেতৃবৃন্দ।

  • আবারও হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

    আবারও হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

    বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আবারও হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তিনি।

    খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলাদেশ জার্নালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে পরীক্ষা করাতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে।

    ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপার্সন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ফিরেছেন। এরপর বাসায় থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    এর আগে গত ১৩ নভেম্বর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। লিভারে রক্তক্ষরণের কারণে তাকে দুই মাস সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। কেবিনে আনা হয়েছিলো গত ১০ জানুয়ারি।

    ৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ বছর ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

    ২০০৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় শর্ত সাপেক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। ছয় মাস পর পর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

  • সদর উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন’র অভিষেক

    সদর উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন’র অভিষেক


    প্রেস রিলিজ : সদর উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের (রেজি: নং-বি-২২০৯) অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার রাতে পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অভিষেক ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক। তিনি বলেন, নিত্য পণ্যের বাজারে আগুন। তার উপর নির্মাণ শ্রমিকরা অধিকার বঞ্চিত। এতে করে ওই শ্রমিকদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সরকার রমজান মাস উপলক্ষে সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে সারাদেশে ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলী কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে সাতক্ষীরায় ওই ফ্যামিলি কার্ড যারা পেয়েছে তার মধ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের সংখ্যা অপ্রতুল। সেজন্য ওই ফ্যামিলি কার্ডে নির্মাণ শ্রমিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকদের দাবি আদায়ের জন্য সকল পর্যায়ের শ্রমিকদের ভেদাভেদ ভুলে এক সাথে থেকে কাজ করার আহবান জানান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা নির্মাণ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জুম্মান আলী সরদার, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য সচিব মুনসুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য আব্দুস সালাম প্রমূখ। এসময় সাইফুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, সঞ্জয় দাস, আতিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল আলিম, শাহিনুর, নজরুল ইসলাম, আব্দুল আওয়াল, আহসান উল্লাহ, জহুরুল ইসলাম, সাকিল আহমেদ, সোহাগ দত্ত, মাহিবুর রহমান, শাহিন সরদার, মিজানুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, আশরাফুল মোড়ল, শম্ভু নাথ, ইয়ার আলী, শাহাজান আলী, আবু নাঈম, ফয়সাল মাহমুদ, আলাউদ্দিন হোসেন, মিলন হোসেন, জয়নাল আবেদীন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • হরতাল সফল করতে নউি র্মাকটে মোড়ে বামজোটরে পথসভা

    হরতাল সফল করতে নউি র্মাকটে মোড়ে বামজোটরে পথসভা

    বাজাররে আগুন থকেে মানুষ বাঁচাতে আগামী ২৮ র্মাচ ডাকা আধাবলো হরতাল সফল করতে বাম গণতান্ত্রকি জোট সাতক্ষীরার আয়োজনে এক পথসভা অনুষ্ঠতি হয়ছে।ে বৃহস্পতবিার বকিাল সাড়ে ৫ টায় শহররে নউি র্মাকটে মোড়স্থ স.ম আলাউদ্দনি চত্ত্বরে এ পথসভা অনুষ্ঠতি হয়। সভায় বক্তব্য রাখনে বাংলাদশে সমাজতান্ত্রকি দল (বাসদ র্মাকসবাদী) এর সংগঠক অ্যাড. খগনেন্দ্রনাথ ঘোষ, বাংলাদশেরে বপ্লিবী ওর্য়ার্কাস র্পাটি সাতক্ষীরা জলো শাখার সদস্য সচবি মো. মুনসুর রহমান প্রমূখ। এসময় পাদুকা বপ্লিবী শ্রমকি সংহতি এর আহবায়ক অনু দাস, সদস্য সচবি বরুন দাস, বপ্লিবী ওর্য়ার্কাস র্পাটরি পৌর প্রাথমকি কমটিরি আহবায়ক মো. বায়জেীদ হাসান, সদস্য আহাজ উদ্দনি সুমন, ইসমাইল, রাজ্জাক প্রমূখ উপস্থতি ছলিনে। বক্তারা বলনে, জলোয় দারদ্রি সীমার নচিে বসবাস করে ৫৬% মানুষ। এরমধ্যইে অধকিাংশই হতদরদ্রি ও ন¤িœ মধ্যবত্তি। অতমিারী করোনা তাদরে জীবনকে বর্পিযস্ত করে দয়িছে।ে ওই পরস্থিতিে কোনো রকমে নজিদেরে আকড়ে মলোর চষ্টো করলওে খাদ্যপণ্যরে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধতিে তাদরে জীবন র্দুবষিহ হয়ে উঠছে।ে র্পূবরে বছরও রমজানে তাদরে একটি বড় অংশ টসিবিরি মালামাল সংগ্রহ করতে পারনি।ি এবার রমজান উপলক্ষে সরকার ১ কোটি মানুষকে বশিষে র্কাডরে মাধ্যমে টসিবিরি মালামাল পৗেঁছে দওেয়ার ঘোষণা দয়িছে।ে যার সংখ্যা র্বতমানে অপ্রতুল। এই সংখ্যা বৃদ্ধি করে সরকারকে ১ কোটি নয়, বরং দশেরে প্রত্যকেটি ন¤িœবৃত্ত, ন¤িœ মধ্যবত্তি ও মধ্যবৃত্ত পরবিাররে সদস্যদরে মাঝে ন্যায্যমূল্যরে র্কাড পৌঁছানোর পাশাপাশি রশেনংি ব্যবস্থা চালু এবং সারা বছর তা অব্যাহত রাখা দাবি করনে বক্তারা।

  • বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র লীগের নানা কর্মসূচি 

    বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র লীগের নানা কর্মসূচি 

    : ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র লীগ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। 
    এ উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ৭ টায় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। পরে সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনারোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। বাদ যোহর শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও বিকাল ৪ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ১ম থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের মাঝে “বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা” শীর্ষক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।
    কর্মসূচির শুরু থেকে উপস্থিত ছিলেন  উপস্থিত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান নিশান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌহিদ হাসান, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ তানভির হোসাইন জুয়েলসহ জেলা সদর পৌর এবং কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। 
    জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হোসেন জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মসূচি গুলো পালন করা হয়েছে। 

  • খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ছে

    খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ছে

    ডেস্ক রিপোট; বিদেশে না যাওয়া এবং নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে আগের দেয়া শর্তেই দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ পঞ্চমবারের মতো আরো ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে।

    গতকাল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারের আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি ফাইলটি ছেড়ে দিয়েছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। আগের শর্তে (বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং দেশে চিকিৎসা নিতে হবে) তার (খালেদা জিয়া) মুক্তির মেয়াদ আরো ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মতামত দেয়া হয়েছে। সবকিছু আগের মতোই, নতুন কিছু যুক্ত করা হয়নি।

    এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হলো। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। সেই মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হবে। প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময় খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। 

    দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। এরপর চার দফায় দুই বছর তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ফিরোজায় থাকছেন। তার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত রোগ রয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।

    সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা। দীর্ঘ ৮১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ১ ফেব্রুয়ারি তিনি গুলশানের বাসায় ফেরেন। সে সময় তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে দণ্ড স্থগিতের শর্তের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সরকার তা নাকচ করে দেয়।

    ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজার রায় হয়। তার বিরুদ্ধে আরো ৩৪টি মামলা রয়েছে।

  • জোটগতভাবেই আগামী নির্বাচনে যাচ্ছে ১৪ দল

    নানা টানাপোড়েন সত্ত্বেও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবেই অংশ নেবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। এ জন্য জোটের মধ্যকার সমন্বয়হীনতা দূর করে এর কার্যক্রম আরও জোরদার ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে শিগগির মাঠেও নামছে ক্ষমতাসীন এই জোটটি।
    গতকাল মঙ্গলবার গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও ১৪ দলীয় জোটের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন আমরা একসঙ্গেই করব। এ জন্য ১৪ দলকে সক্রিয় রাখতে হবে। দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। তাই ১৪ দলকে একসঙ্গে থাকতে হবে, একসঙ্গে থাকবে, একসঙ্গেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাড়াতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের অপপ্রচার ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় হতে ১৪ দলকে আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে নেতৃত্বের সংকট রয়েছে। ক্ষমতায় গেলে তাদের নেতা কে হবেন? প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? এই কারণে তারা নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে। এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে তাদের অপকর্মের বিষয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে।

    বৈঠকে জোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্মূল ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির ‘অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই’ ১৪ দলকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করার তাগিদ দেন। একইসঙ্গে ভোজ্য ও জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ-গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিসহ জনজীবনের নানা সংকট এবং নির্বাচনব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের তাণ্ডব ও দুর্গাপূজায় সাম্প্রদায়িক হামলাসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়ে তাদের দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলেন তারা।

    বৈঠকে শরিক নেতাদের কেউ কেউ বিদ্যমান নির্বাচনব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারি পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন। জোটের মধ্যে ‘অবমূল্যায়ন’য়ে কিছুটা ক্ষোভ ব্যক্ত করে তারা যথাযথ মূল্যায়নের দাবিও জানান।

    দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় পর জোটের শীর্ষ নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের এই বৈঠক হলো। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের কিছুদিন আগে শরিকদের সঙ্গে বসেছিলেন আওয়ামী লীগ প্রধান। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় মহাজোট ও ১৪ দল শরিকদের কারও ঠাঁই মেলেনি। এমনকি ওই সময় প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা ১৪ দল শরিকদের ‘নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর’ অথবা ‘বিরোধী দলে থেকে’ নিজ নিজ দলীয় কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ দেন। পরবর্তী নির্বাচনে শরিকদের নিজ নিজ প্রতীকে অংশগ্রহণের ইঙ্গিতও দেন প্রধানমন্ত্রী। এতে গত তিন বারের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন জোটগতভাবে হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল।

    আলোচনায় নানা প্রসঙ্গ :১৪ দল শরিকদের প্রতিটি দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়করা বৈঠকে যোগ দেন। কেবল আওয়ামী লীগ থেকে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু ছাড়া আরও তিন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রতিটি দলের একজন করে শীর্ষ নেতার বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শরিক নেতাদের নানা প্রসঙ্গের আলোচনার তাৎক্ষণিক জবাবও অনেকটা খোলামেলাভাবেই দিয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দ্রব্যমূল্যের দিকে কঠোরভাবে নজর দেওয়া দরকার। সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ম্ফালন দমনটাও গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোতে ‘আমাদের নেতারাও’ যুক্ত হয়ে পড়ছেন। এটাতেও অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে নিয়ে জনমনে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয় প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপ দেখা যাচ্ছে। আমরা যেন আমলাতন্ত্রের কাছে বন্দি হয়ে না পড়ি। নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি সাধারণ মানুষের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। এটা যেন কেবল কিছু জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে করা হয়। ১৪ দলের সব শরিক দলের ‘সম্মান রক্ষা’ এবং জোটের ঐক্যকে জোরদারের ওপরও গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান মেনন।

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম স্থিতিশীল রাখতে হবে। অন্যদিকে যারা জঙ্গিতাণ্ডব চালাচ্ছে, তারা যেন কোনোভাবেই ছাড় না পায়। দুর্নীতি রোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের সব কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর দাবি জানান তিনি।

    সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ূয়া বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দুর্নীতি ও মাদকের বিস্তার বেড়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হলেই এগুলো দমন সম্ভব। আমলা ও ব্যবসায়ীদের ‘তোষণনীতি’র অবসানের দাবি করেন তিনি।

    তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী জোট শরিকদের মূল্যায়নের দাবি তুলে ধরে বলেন, জেলা-উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিগুলোতেও শরিক নেতাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিলের নামে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর নামে বাজে কথা ও অপপ্রচার চলছে। এসব বন্ধ করা দরকার।

    ন্যাপের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকরী সভাপতি আইভি আহমেদ বলেন, দ্রব্যমূল্যের চাপে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস উঠেছে, এর অবসান হওয়া দরকার।

    কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, করোনাকালের প্রণোদনা অনেক জায়গায় শ্রমিকদের হাতে পৌঁছেনি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা হতে পারে না। কারণ প্রণোদনার টাকা যার যার ব্যাংক হিসাবে চলে যায়। এরপরও বিষয়টিতে খোঁজ নেবেন তিনি।

    তিন-ছয় মাস পরপর বৈঠকের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর ‘না’:১৪ দলকে সক্রিয় রাখতে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থাকার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ও সহযোগিতাও কামনা করেন শরিক নেতারা। ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ আছে, থাকবে। বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা পেলে এই কার্যক্রম আরও এগিয়ে যাবে।

    জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ২৩ দফা নিয়ে ১৪ দল করেছি। ২৩ দফার মূল চেতনা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন ও বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা পেলে ১৪ দলের কার্যক্রম আরও এগিয়ে যাবে বলে মত দেন। গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল দেশকে রাজাকারমুক্ত করবে।
    গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে সিকদার সম্ভব হলে প্রতি তিন মাস পরপর অথবা ছয়-সাত মাস পরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শরিক নেতাদের বৈঠকের প্রস্তাবও দেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব নাকচ করেন।

    বাংলাদেশ জাসদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গ :দীর্ঘদিন ধরে জোটগত কার্যক্রমে নিষ্ফ্ক্রিয় থাকা ১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জাসদ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যাননি। অবশ্য ‘১৪ দল এখন মৃত, অতীত’ এমন কথা বলে বৈঠকে না যাওয়ার কথা আগেই জানিয়ে ছিলেন দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া।

    বৈঠকে বাংলাদেশ জাসদের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গটি তুলে ধরে ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসা যেতে পারে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসীত বরণ রায়, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ। (সুত্র: সমকাল)


  • কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সশরীরে বৈঠক করবে ১৪ দল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন ১৪ দলের নেতারা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হবে।

    করোনাভাইরাসের কারণে ১৪ দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে জোটনেত্রী শেখা হাসিনার বৈঠকে বসা হয়নি। তাই জোট নেতারা এই বৈঠকে আগামী দিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রয়োজনে জোটনেত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

    জোটের নেতারা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল ও নেতাদের সক্রিয় করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কারণ করোনায় ১৪ দলের নেতাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম ভাটা পড়ে আছে। ভেতরে ভেতরে মনোমালিন্যও সৃষ্টি হয়েছে।

    জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে জোট নেতাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক, সামাজিক, নির্বাচন নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে- সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকৌশল চূড়ান্তসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। রাজনৈতিক পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েও ১৪ দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। বর্তমান বাস্তবতা বা প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে।

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামীকাল ১৪ দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকে আমিও থাকবো। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আদর্শিক’ এই জোটের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ। তাই ১৪ দল ভাঙনের কোনো কারণ নেই। ১৪ দলের সঙ্গে ঐক্য এখনো অটুট আছে এবং থাকবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

    বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হবে। তবে কী কী বিষয় কথা হবে সেটা নিদিষ্ট করে বলা যাবে না।

    দীর্ঘদিন ধরে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় এই বিষয় আপনাদের কোনো মতামত তুলে ধরবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা করি সব বিষয় নিয়ে কথা হবে। তবে এখন কিছু বলা সম্ভব না।

    সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। এর বেশি কিছু আমি জানি না।

    আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটগতভাবে আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় জোটের শরিকরা। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে শরিকদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। তবে সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকেই নানা কারণে জোট শরিকদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। জোটের বৈঠক, দলের (শরিক দলসমূহ) বিবৃতি-বক্তৃতা এমনকি জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যেও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

    যদিও ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের আদর্শিক’ এই জোটের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সব সময় দাবি ১৪ দলের ঐক্য এখনো অটুট আছে।