Category: রাজনীতি

  • বাসদের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘সমাজতন্ত্রের প্রাসঙ্গিকতা ও আজকের বাংলাদেশ’  শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বাসদের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘সমাজতন্ত্রের প্রাসঙ্গিকতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    আজ ২৪ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে শহরের শহীদ রীমু সরণিতে অবস্থিত ভ্যানগার্ড কার্যালয়ে ‘সমাজতন্ত্রের প্রাসঙ্গিকতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহান নভেম্বর বিপ্লবের ১০৫তম বার্ষিকী ও বাসদের ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে বাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক ও খুলনা জেলা বাসদের সম্পাদক কমরেড কোহিনুর আক্তার কণা। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, বিশিষ্ট রাজনীতিক সুধাশু শেখর সরকার এবং কবি ও সমাজকর্মী গাজী শাহ্জাহান সিরাজ।
    বাসদ সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক নিত্যানন্দ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নেতৃ ও বাসদ সদস্য কমরেড তপতী মল্লিক।

  • মীর তানজির আহমেদকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পৌর শাখার শুভেচ্ছা

    মীর তানজির আহমেদকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ পৌর শাখার শুভেচ্ছা


    মশাল ডেস্ক : সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার উপনির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মীর তানজির আহমেদ নির্বাচিত হওয়ায় প্রাণঢালা শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ। গতকাল শহরের মুনজিতপুরস্থ মীর মহলে গিয়ে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান নেতৃবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার আহবায়ক ‘মা’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান মুকুল’র নেতৃত্বে এ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য যুব নেতা মীর মহিতুল আলম মহি, দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা শাহনাজ সোমা, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার উপনির্বাচনে নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মীর তানজির আহমেদ সকলকে মিষ্টিমুখ করান এবং সকলকে ধন্যবাদ জানান।

  • সাতক্ষীরা জেলা জেএসডি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

    সাতক্ষীরা জেলা জেএসডি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, গণতন্ত্রের নামে, সংবিধানের নামে, রাষ্ট্রযন্ত্রের অবৈধ সহায়তায় জনগণের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করে দমন পীড়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা করাই হচ্ছে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকারের আদর্শ। বৈধতার সংকট ও দুর্বিষহ রাজনৈতিক -অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সরকার ক্রমাগত অসহায় হয়ে পড়েছে। জনগণের সম্মতি, ভোটাধিকার, সংবিধান- কোন কিছুই আওয়ামী লীগের কাছে মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে কেবল ক্ষমতা। এই অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গত কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিকভাবে একটা দুর্বৃত্ত শ্রেণীর জন্ম দিয়েছে, যারা সমাজ, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করছে। তাই বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক সরকার এবং গণবিরোধী শাসন পদ্ধতি উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে প্রয়োজন গণসংগ্রাম- গণভুত্থান এবং গণজাগরণ সৃষ্টি করা। এবারের আন্দোলন হবে জনগণের হাতে অর্থাৎ উৎপাদন ও জ্ঞান বিজ্ঞানে জড়িত শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের অংশীদারিত্বমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে। এটাই হবে ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের বিকল্প রাজনৈতিক মডেল। সাতক্ষীরা জেলা জেএসডি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন। বুধবার (২৩ নভেম্বর) শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান গদাই এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. মুনসুর রহমান, বাংলাদেশ জাসদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি সরদার কাজেম আলী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা জেএসডি’র সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আব্দুল জব্বার মাস্টার, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল গালিব, সদস্য মীর জিল্লুর রহমান। সমগ্র কাউন্সিল পরিচালনা করেন রনক বাসার। উল্লেখ, কাউন্সিল অধিবেশন শেষে অ্যাড. মো. মোসলেমকে সভাপতি ও মীর জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

  • জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার আবারও চেয়ারম্যান হলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা

    জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার আবারও চেয়ারম্যান হলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না আরা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আরা।
    জ্যোৎস্না আরা’কে আবারও জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন নারী সংগঠন ও সাতক্ষীরাবাসী মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এ্যাডভোকেট, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুনেসা ইন্দিরা, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মািক্তযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরসহ সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে। জ্যোৎস্না আরা’কে আবারও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান করে ০৪ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
    মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জাতীয় মহিলা সংস্থা আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ৯নং আইন) এর ১০ ধারার (৩) উপধারা মোতাবেক জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা এর সুপারিশের ভিত্তিতে ৩২.০০.০০০০.০৩৮.০৬.০৭৫.১৮-৪১০ নং- স্মারকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব দিলীপ কুমার দেবনাথ ১৭/১১/২০২২ তারিখে স্বাক্ষরিত জাতীয় মহিলা সংস্থার ০৫ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার নারী আন্দোলনের স্বপ্ন কন্যা জ্যোৎস্না আরা সাতক্ষীরার উন্নয়নে শিশু ও নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়নের রুপকার জনপ্রিয় নারী নেত্রী জ্যোৎস্না আরা সুবিধা বঞ্চিত নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সময়ে তার নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। জ্যোৎস্না আরা ১৯৯০ সালের ছাত্র আন্দোলনে, স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন।
    জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা সাতক্ষীরাবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি

    ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরায় ‘মহান সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ পালন করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। সোমবার (০৭ নভেম্বর) বিকাল ০৪টায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভা ঘরে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন রীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বীর বিশ^াস আবুল কাশেম, দেবহাটা উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলা জাসদের সদস্য সচিব সাহিদুল ইসলাম রুবেল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আবদুল আলীম প্রমুখ।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ক্ষমতালিপ্সু উচ্চাভিলাসী সামরিক অফিসারদের দ্বারা ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার, অবৈধ ক্ষমতা দখল ও সংবিধান লংঘন, বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতা হত্যাসহ হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এবং উপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামোর অবসানের লক্ষ্যে সংগঠিত ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা ও মহান শহীদ বিপ্লবী কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের শিক্ষাকে ধারণ করে জাসদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো অবসান করে সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল রয়েছে।

    এসময় বক্তারা ঠান্ডা মাথার খুনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন।

  • জিএম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না: রাঙ্গা

    জিএম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না: রাঙ্গা

    ন্যাশনাল ডেস্ক: আসন্ন অধিবেশনে জাতীয় সংসদে জি এম কাদেরের উপনেতার আসনটি সরে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘পার্টি অফিস থেকে জিএম কাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তার চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’

    রবিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে জাতীয় পার্টি (রওশনপন্থি) আয়োজিত উপজেলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আসন্ন অধিবেশনে সংসদে জিএম কাদেরের উপনেতার আসনটি সরে যাবে। বেগম রওশন এরশাদের চেয়ারের পাশে তিনি আর বসতে পারবেন না। রওশন এরশাদের পাশের চেয়ারে বসবেন অন্য কেউ। সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। জিএম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’

    তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে। সেখান থেকে বিদায় নেবে জিএম কাদের। জিএম কাদেরের সঙ্গে তিন জন এমপি ছাড়া আর কেউ নেই। আগামী ২৬ নভেম্বর রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় কাউন্সিলের আগেই এমপিরা কোন দিকে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ বিষয় নিয়ে সংশয় থাকবেন না। সময় মতো আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো। বনানী ও কাকরাইল অফিস আমাদের হবে। জিএম কাদেরকে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’

    বিরোধী দলের এই চিফ হুইপ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির অবৈধ চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদের আছেন। তিনি জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৫ কোটি করে টাকা নিচ্ছেন। আবার বিএনপির জোটে যাবেন, সে জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবেন, সেখান থেকেও টাকা নিচ্ছেন। দুই নৌকায় পা রেখে রাজনীতি হয় না। জিএম কাদের তা-ই করছেন। আমি প্রশ্ন করতে চাই, জিএম কাদের সাহেব, আপনার কত টাকা প্রয়োজন? সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। টাকাগুলো কী করেছেন?’

    মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, ‘জিএম কাদের কখনও রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের একজন কর্মচারী। সেখান থেকে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে দুর্নীতির দায়ে তার চাকরি চলে যায়। অথচ তিনি নিজেকে ক্লিন ইমেজ হিসেবে দাবি করেন। নামের পেছনে জনবন্ধু লেখেন, তার নির্বাচনি এলাকায় জনশত্রু হিসেবে পরিচিত।’

    আলোচনা সভায় কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘জিএম কাদেরের চারপাশে রয়েছে চাটুকারের দল। তারা জাতীয় পার্টিকে বাণিজ্যের প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছেন। এই কালো থাবা থেকে জাতীয় পার্টিকে মুক্ত করতে হবে। জাপার দলীয় গঠনতন্ত্রে যেসব কালোধারা রয়েছে, তা সংশোধন করা হবে আগামী জাতীয় কাউন্সিলে। দল থেকে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের দলে ফিরিয়ে আনা হবে।’

    সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘রওশন এরশাদ দল সংস্কার করার জন্য জাতীয় কাউন্সিল ডেকেছেন। আর জিএম কাদের জাতীয় পার্টিকে তার পিতৃ সম্পত্তি পেয়েছে বলে মনে করেন। আসলে এটি তার পিতৃ সম্পত্তি নয়। এটি এরশাদের সম্পত্তি। ভাইয়ের সম্পত্তি কখনও ভাই পায় না। এরশাদ সাহেবের সম্পত্তি পাবেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদ।’

    এসএম আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, এম এ গোফরান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেনসহ অনেকে।

  • ‘রাজনীতির বিষফোঁড়া’ বিএনপির হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়: কাদের

    ‘রাজনীতির বিষফোঁড়া’ বিএনপির হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়: কাদের

    ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশের রাজনীতির জন্য বিএনপি বিষফোঁড়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
    ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭৫ সালের খুনিদের দোসর বিএনপি। দেশের রাজনীতির জন্য বিষফোঁড়া দলটির কাছে দেশের গণতন্ত্র ও আইন ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা শেখ রাসেল ও ১৫ আগস্টের হত্যকাণ্ডে জড়িত ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।
    ওবায়দুল কাদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য। যারা ইনডেমনিটি দিয়েছিল তাদের উত্তরাধিকার বহন করছে বিএনপি। তার আগে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
    বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    এ সময় ১৫ আগস্ট নিহত সব শহীদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালনও ফাতেহা পাঠ করেন নেতাকর্মীরা।
    ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল।
    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো শিশু রাসেলও রক্ষা পাননি ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘাতকেরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
    শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ছোট্ট ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে সকালে বনানী কবরস্থানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানাও। তারা ভাইয়ের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন।

  • ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না: কাদের

    ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না: কাদের

    ন্যাশনাল ডেস্ক: অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় বিএনপি আরেকটি ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির দুঃস্বপ্ন দেখছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না। কয়েকটি সমাবেশ করেই সরকার পড়ে যাবে এমনটি যারা ভাবেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

    তিনি আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জলের স্রোতে ভেসে আসা কোনও দল নয়। এদেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে প্রোথিত আওয়ামী লীগের শেকড়।

    আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে উচ্চ আদালত, এটি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নয়– বিএনপি মহাসচিবকে একথা আবারও মনে করি দিয়ে কাদের আরও বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না তা একমাত্র আল্লাহ এবং দেশের জনগণ জানেন। আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী, জনগণের আস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

    দেশের মানুষ চাইলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে, না চাইলে করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোনও বিষয় নয়। জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণ কখনও কাউকে বিমুখ করে না। আর সেজন্য আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে আসছে।

    তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, ষড়যন্ত্র, হত্যা, আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে বিএনপি।

    বিএনপি একটি অকৃতজ্ঞ দল

    বিএনপিকে একটি অকৃতজ্ঞ দল হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের নেত্রীকে নির্বাহী আদেশে মুক্ত করে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই মানবিকতা ও কৃতজ্ঞতাবোধও তাদের নেই। বিএনপি বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা করে এমন দাবি করে কাদের বলেন, সরকার যে কাজই করুক বিচার-বিবেচনা না করে বিএনপি অন্ধ সমালোচনা শুরু করে।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও বলেন, দুনিয়ার কোথাও যা নেই তা নিয়ে কেন বিএনপি অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করে। সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো জনগণের জন্য রাজনীতি করলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে।

    সবার আগে মির্জা ফখরুলের পদত্যাগ করা উচিত

    বিএনপি নেতাদের কথায় কথায় সবার পদত্যাগ দাবি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা প্রসঙ্গে তিনি বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, যাদের দলের অভ্যন্তরেই গণতন্ত্র নেই তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কীভাবে ?

    ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি পদত্যাগ করতেই হয় তাহলে আন্দোলন ও নির্বাচনে টানা ব্যর্থতার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরই সবার আগে পদত্যাগ করা উচিত। বিএনপি মহাসচিব বিনা সম্মেলনে কয় বছর ধরে দলের মহাসচিব পদে জেগে বসে আছেন? বিএনপির সম্মেলন কবে হয়েছে ফখরুল সাহেবের হয়তো তাও জানা নেই।

    ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ করা উচিত– মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে বাস্তবতা অনুধাবন করতে শিখুন। দেশে আমার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কত মেগা প্রকল্প হয়েছে এবং এদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। একথা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। কিন্তু বিএনপি জেনেও না জানান ভান করছে।

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বিআরটি প্রকল্পের বাস্তবতা তুলে ধরেছি। সত্যকে স্বীকার করার সৎ সাহস আমাদের আছে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি বা আমরা বসে নেই। দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।

  • জাসদ কেন লালন দিবস পালন করছে?- জিয়াউল হক মুক্তা

    জাসদ কেন লালন দিবস পালন করছে?- জিয়াউল হক মুক্তা

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – জাসদ তার প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে এবছর ১৭ অক্টোবর দেশব্যাপি লালন দিবস পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচি দলের অভ্যন্তরে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। লালনের বাণির ব্যাপক প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপি অনলাইন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু যারা জাসদকে মোটে সহ্য করতে পারে না, তারা এতে হায় হায় করে ওঠলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও চায়ের আড্ডায় তাদের জাসদ প্রেম উথলে ওঠলো। তারা আফসোস করতে লাগলো, জাসদ শেষ; জাসদ মার্কসবাদ থেকে এক দৌড়ে চলে গেছে লালনবাদে; জ্ঞানের ভাব দেখিয়ে একে কেউ কেউ বলেছে বস্তুবাদ ছেড়ে জাসদের ভাববাদি যাত্রা শুরু। বলা বাহুল্য, এসব লোক না বোঝে মার্কস, না বোঝে লালন, না বোঝে জাসদ; এদের না আছে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে কোন বোঝাপড়া; সর্বোপরি না আছে সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান। সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানের বিষয়টিতে তাকানো যাক। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণভাবে সাহিত্য ও সঙ্গীতসমেত নন্দন-সংস্কৃতি চর্চা করেনা। তবে সরকারিভাবে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তি উদযাপন করা হয়ে থাকে এখনও। লালনের আখড়াতেও সরকারি আয়োজনে অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দেশে একসময় ব্যাপকভাবে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত স্মরণে বিবিধ সংগঠন-প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করতো। বাঙালি সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কৃতি ব্যক্তিত্বদের স্মরণ করার মধ্যে কোন সমস্যা বা আপত্তি থাকা উচিত নয়। এক্ষেত্রে রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত মার্কসবাদি না লালনবাদি অথবা বস্তুবাদি না ভাববাদি সেটা বিবেচ্য নয়। প্রসঙ্গত মনে রাখা দরকার, দেশ-বিদেশের রাজনীতি-শিল্প-সাহিত্যের অনেক কৃতি ব্যক্তিত্বকে জাসদ বা জাসদের মতো দলগুলো স্মরণ করে, এবং এসব ব্যক্তিত্বের খুব অল্প সংখ্যকই মার্কসবাদ বা মার্কসিয় দর্শন দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ চর্চা করেন। সুতরাং জাসদের লালন-চর্চা একটি সাধারণ ব্যাপার— এটা নিয়ে যারা ব্যঙ্গোক্তি করছে তারা নিজেদের কাণ্ডজ্ঞানহীনতা প্রদর্শন করে হাসি ও করুণার পাত্র হচ্ছে। এবারে আসা যাক বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে লালন দিবস পালনের বিষয়ে। বাংলাদেশে এখন একটি যুদ্ধ-পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এক পক্ষে আছে জাসদ ও আওয়ামী লীগসমেত মুক্তিযুদ্ধের ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো। অন্য পক্ষে আছে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা-ধর্ষণ-অগ্নিকাণ্ড-লুটপাটে নিয়োজিত অপশক্তি জামাত ও জামাতের প্রধান রাজনৈতিক-আদর্শিক মিত্র বিএনপি; আদর্শিকভাবে এদের সাথে আরো আছে হেফাজত-হিজবুতের মতো জঙ্গিরা। মধ্যপন্থার নামে যারা দূরে আছে, তারা ধিরে ধিরে তাদের স্বরূপ প্রকাশ করছে ও বিএনপি জোটের পক্ষের রাজনীতি চর্চা করছে। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে দক্ষিণপন্থি জঙ্গিরা সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা দিয়েছে। এর আগে তারা বাধা দিয়েছে বাউল-ভাস্কর্য স্থাপনে। ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা দিয়ে তারা কেবল সৃজনশীল শিল্পকর্মের বিরোধিতা করেনি, তারা জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-জীবনবোধ-জাতীয়তাবাদকে পরাভূত করতে চেয়েছে। জাসদ একদম শুরু থেকে এ বিষয়ে আওয়ামী দোদুল্যমানতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এদেরকে শক্তভাবে মোকাবেলার প্রশাসনিক পদক্ষেপ দাবি করেছে এবং সভা-সমাবেশ-বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান বজায় রেখেছে। মনে রাখতে হবে, জাসদের অপরিমেয় পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ২০০১ সাল পরবর্তীতে ১৪ দল গঠিত হয়েছে দক্ষিণপন্থি রাজনৈতিক বিপদ মোকাবেলা করতে। দক্ষিণপন্থার বিপদ মোকাবেলার বিষয়টিকে জাসদ কেবল রাজনৈতিকভাবে দেখছে না; দেখছে আরো ব্যাপক বিস্তৃতিতে। জঙ্গি দক্ষিণপন্থার একটি সাংস্কৃতিক পশ্চাদভূমি রয়েছে, আর তা হচ্ছে সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা। সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতার ভূমিতে পাল্টে যাচ্ছে মানুষের ভাষা-পোশাক-চালচলন-জীবনযাপন, তার আশ্রয়ে রোপিত হচ্ছে ধর্মান্ধতা ও ধমী‍র্য় অসহিষ্ণুতার বীজ, আর তাই জন্ম দিচ্ছে রাজনৈতিক ইসলাম ও জঙ্গিবাদ। জাসদ সেজন্য সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি সাংস্কৃতিক সংগ্রামের উপর জোরারোপ করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। জাসদের জাতীয় ও কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকগুলো সভার সিদ্ধান্তে তা প্রতিপলিত। দীর্ঘমেয়াদি সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অংশ হিসেবে জাসদ বাঙালির স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিত্ব ও তাঁদের শিক্ষা প্রচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। তার অংশ হিসেবে লালন দিবস পালন অযৌক্তিক কিছু নয়। ব্যাপক বিস্তৃত সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতার আগ্রাসন জাসদের মিত্র আওয়ামী লীগকেও গিলে ফেলছে প্রায়। জামাতের সাথে মিলেমিশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও যখন গ্রামে গ্রামে বাউলদের আখড়া ভেঙে দেয়, তাঁদের উপর হামলা করে, তাঁদের চুল-দাঁড়ি-গোঁফ কেটে দেয়, মসজিদে জোর করে ধরে নিয়ে গান না গাইতে তওবা করায়— জাসদ তখন প্রতিবাদ জানায়। জাসদ প্রতিবাদ জানায় বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে, রাজপথে মিছিল করে, সংসদে আলোচনা করে ও প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে। শরিয়ত বাউল ও রীতা বাউল পুলিশী হয়রানির শিকার হলে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপির কাছে প্রশ্নোত্তর পর্বে জবাবদিহিতা চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বাউলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন; যদিও ধর্মানুভূতিতে আঘাত বিষয়ে তার বক্তব্য ছিল অস্বচ্ছ ও অগ্রহণযোগ্য— তার বক্তব্য থেকে মনে হয়নি একজন প্রধানমন্ত্রী কথা বলছেন; মনে হচ্ছিল কথা বলছিলেন সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতায় আক্রান্ত একজন সাধারণ মুসলিম নাগরিক; তার বক্তব্যে বাউলদের সম্পর্কে চরম অজ্ঞতা প্রকাশিত হয়েছে। আজও জামাত ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যখন গ্রামে-গঞ্জে বাউলদের গান গাইতে বাধা দেয়, জাসদ নেতাকর্মীগণ তখন সশরীরে উপস্থিত থেকে বাউলদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। সুতরাং জাসদ এক দৌড়ে লালন বা বাউলদের কাছে চলে গেছে তা বলা যাবে না। জাসদ ঐতিহাসিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বাউল ও লালন অনুসারিদের সাথে আছে। এখন আসা যাক মার্কস ও লালন প্রসঙ্গে। মার্কসের জন্ম ১৮১৮ সালে, মৃত্যু ১৮৮৩ সালে। লালনের জন্ম ১৭৭৪ সালে, মৃত্যু ১৮৯০ সালে। ১৮১৮ সালে মার্কসের জন্মের আগে এবং ১৭৯৮ সালে লালনের গুরু সিরাজ সাঁইয়ের মৃত্যুর আগে লালন খেরকা পান। খেরকা পাওয়ার ঘটনাটি হলো একটি রাইটস অব প্যাসেজ বা উত্তরণের আচার— যখন থেকে বাউলগণ জাগতিক সকল চাওয়া-পাওয়ার উর্ধে উঠে মৃতপ্রায় জীবনযাপন করেন এবং কেবল ভিক্ষা করে জীবন পরিচালনা করেন। বাউল হিসেবে পরিপূর্ণ তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন ও গোপন জীবনাচারের মাধ্যমে নিজেকে ব্যবহারিক জীবনে যোগ্য প্রমাণ করতে পারলেই কেবল একজন বাউল খেরকা পান। এসব তথ্যের মাধ্যমে এখানে বলার চেষ্টা হচ্ছে যে মার্কসেরও আগে লালন সাম্যের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করেন, অনুশীলন বা প্রাক্সিসকে গুরুদ্ব দেন। উপরন্তু এখানে মনে রাখতেই হবে যে, সারা দুনিয়ার অ্যাকাডেমিক বা বিদ্যায়তনিক পরিমণ্ডলে মার্কসবাদের প্রধান সমালোচনা যেখানে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণবাদ বা কেবলমাত্র অর্থনীতিকে শ্রেণি ধারণা ও রাজনীতির প্রধানতম নিয়ামক ভাবা নিয়ে, সেখানে লালন ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্য-সহিংসতার অর্থনৈতিক ও অ-অর্থনৈতিক উভয় মাত্রার উপর জোর দিয়েছেন। এখানে পশ্চাত্য ও প্রাচ্যের পার্থক্য স্পষ্ট। পাশ্চাত্য সমাজে অর্থনৈতিক শ্রেণি যতোটা গুরুত্ব পেয়েছে, প্রাচ্যের সমাজে অর্থনৈতিক ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্য-সহিংসতার পাশাপাশি জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-গোষ্ঠিগত ভেদ-বিভেদ-অসমতা-বৈষম্য-সহিংসতাও গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। প্রাচ্যে শ্রেণি বিভক্ত সমাজের মার্কসিয় বিশ্লেষণের সাথে সাথে অবশ্যই লালনের বিশ্লেষণও মানতে ও ব্যবহার করতে হবে। অতীতে যা করা হয়নি, তা এখন করতে হবে। সবশেষে তথাকথিত জ্ঞানগর্ভ বিষয়টিতে আসা যাক— বস্তুবাদ ও ভাববাদ বিষয়ে। এটা দর্শনের সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন। বস্তু আগে, নাকি ভাব/চেতনা আগে— এ প্রশ্নের জবাব দিয়ে জগতের সকল দর্শনকে দুটো ভাগে ভাগ করা হয়। যারা মনে করেন চেতনা/ভাব আগে, তারা ভাববাদি। আর যারা মনে করেন, বস্তুজগত থেকে চেতনা/ভাবজগতের উদ্ভব, তারা বস্তুবাদি। মার্কস হেগেলের দ্বন্দ্ববাদকে গ্রহণ করেছেন নিজের বস্তুবাদ দিয়ে পরিমার্জন করে— তিনি দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের তাত্ত্বিক জনক। লালন নিজেও বস্তুবাদি; তিনি কোনো ধরনের অতিপ্রাকৃতিকতায় বিশ্বাস করতেন না। একজন যুক্তিশীল মানুষ হিসেবে লালন তাঁর সমস্ত চিন্তার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছেন মানুষকে। মানুষের আরাধনা তাঁর কাছে প্রধান। ঈশ্বর বলতে তিনি কোন অতিপ্রাকৃতিক সত্তায় বিশ্বাস করেননি; মানুষ দেহের আকারের মধ্যে তিনি ঈশ্বর পেয়েছেন— ঈশ্বর অতিপ্রাকৃতিক বা স্বতন্ত্র কোনো সত্তা নয়। ঈশ্বরের মাধ্যমে নয়, বরং মানুষের মধ্যে ঈশ্বর জন্মেছেন। আর মানুষের জন্মকেও তিনি মাত্র একবারের জন্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ দেখতে পেয়েছেন— পুনর্জন্ম বা পুনরুত্থান তিনি নাকচ করেন। আত্মার প্রসঙ্গ টেনে এনেও কেউ কেউ লালনকে ভাববাদি বলতে পারেন। কিন্তু আত্মা লালনের কাছে কোন অতিপ্রাকৃত সত্তা নয়, বাইরের সত্তা নয়, দেহে আত্মার বাস। হ্যাঁ, লালন ঈশ্বর ধারণার ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তা পরম অর্থে, যে পরমের বসবাস মানুষের দেহে। তার মানে, মানুষই পরম। এসব বানানো কথা নয়, লালনের অনেক অনেক গানে এগুলো সহজ-সরল ও রূপক-সাংকেতিক উভয় ভাষায় বর্ণিত রয়েছে। লালন ভাববাদি না বস্তুবাদি সে বিষয়ে সংশয় বা বিভ্রান্তি বা অজ্ঞতা দূর করতে তাঁর অনেক প্রাসঙ্গিক গানের মধ্য থেকে একটির কয়েক লাইন ব্যবহার করা যায়: তুমি, আপনি আল্লাহ ডাকো আল্লাহ বলে, আল্লাহ কে বোঝে তোমার অপর লীলে। লালনের দর্শন চিন্তা নিয়ে আরো অনেক আলোচনার রয়েছে, কিন্তু তা বর্তমান রচনার শিরোনামের বিষয়গত পরিধির মধ্যে না আনাই ভালো। লালন হচ্ছেন বাঙালি জাতির মহত্তম সৃজনশীল প্রতিভা ও প্রধানতম দার্শনিক। বাঙালির সংস্কৃতি, জীবনবোধ ও জাতীয়তাবোধ গঠন ও পরিশীলনে তাঁর অবদান সর্বাধিক। কিন্তু এভাবে তাঁর অবদান কখনো আলোচিত হয়নি। সেসব পরে আলোচনা করা যাবে। তবে আপাতত এখানে দুটো বিষয় বলে রাখা জরুরি। প্রথমত, সংখ্যালঘু শহুরে ও তথাকথিত শিক্ষিত নাগরিক সমাজের বাইরে তিনি অবস্থান করতেন। এ নাগরিক মানস মনে করে যে তারা বেশি জানে ও বোঝে। লালন গ্রামের লোক, আর গ্রামে থেকেও এবং তিরোধানের পরেও, তিনি বৃহত্তর জনগোষ্ঠির মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়— এভাবে তারা লালনকে মূল্যায়ন করে ও সার্টিফিকেট দিতে চায়। লালনকে বোঝার বৌদ্ধিক সক্ষমতা তাদের নেই। কিন্তু লালন নিজের পরিচয়েরই যখন কোন তোয়াক্কা করেন না, সেখানে এদের সার্টিফিকেটে তাঁর কী আসে যায়! দ্বিতীয়ত, বাংলার বাউলদের ও লালনকে নিয়ে যারা কাজ করেছে, তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাঁকে মূল্যায়নের ও তাঁর পরিচয় দেয়ার চেষ্টা করেছে। বাউলদের ও লালনকে নিয়ে প্রকাশিত প্রায় সকল প্রচলিত বইই ভুল। এটাও বানানো কথা নয়। বাংলার বাউলদের মধ্যে প্রাজ্ঞজনগণ একমাত্র শক্তিনাথ ঝা রচিত বইগুলোকে গুরুত্ব দেন; অন্য সমস্ত রচনাকে তারা নাকচ করেন ভুল হিসেবে। বাউলগণ নিজেরা যেভাবে নিজেদের বোঝেন, সেটাই তো তাঁদের পরিচয়; অন্যরা কিভাবে তাঁদের পরিচয় নির্মাণ করলো তা তো বিবেচ্যই হতে পারে না। উপরের দুটো বক্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক একটি বক্তব্য দিয়ে এ রচনা শেষ করা যায়। রাজনৈতিক ইসলামের ও জঙ্গিবাদের অনুসারীরা বাউলদের ও লালনকে ভালো বুঝতে পারে। এজন্যই তারা বাম-সমাজতন্ত্রি-কমিউনিস্ট ও এমনকি নাস্তিকদের চেয়েও বেশি ঘৃণা করে বাউলদের, লালনকে। এখান থেকেও যারা বোঝেনা বাউলগণ বা লালন আসলে কে, বাঙালি ও বাঙালি প্রগতিশীলদের কেন উচিত তাদের স্মরণ ও বরণ করার, তারা মূলত উপরে বর্ণিত ওই দুই শ্রেণির একটির প্রতিনিত্বি করেন। এদের জন্যই লালন বলেন: এসব দেখি কানার হাটবাজার। * জিয়াউল হক মুক্তা: জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। জাসদের মুখপত্র লড়াই-এর সম্পাদক।

  • ডেডলাইন ১০ ডিসেম্বর: কী ঘোষণা দেবে বিএনপি?

    ডেডলাইন ১০ ডিসেম্বর: কী ঘোষণা দেবে বিএনপি?

    ন্যাশনাল ডেস্ক: আগামী ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে দেশের সব সাংগঠনিক বিভাগে মহাসমাবেশ শুরু করবে বিএনপি। এই পর্বের কর্মসূচি শেষ হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে। এই সমাবেশেই পরবর্তী আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর থেকেই মূল পর্বে যাত্রা করবে বিএনপি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় থাকা যুগপৎ কর্মসূচি শুরু করার প্রচেষ্টা থাকবে। তবে যদি অন্যান্য দলের সেরকম প্রস্তুতি না থাকে, সেক্ষেত্রে এককভাবেই রাজপথে ধারাবাহিক থাকবে বিএনপি।

    দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য ও বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির আসন্ন আন্দোলনের রূপরেখা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। ১ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সভায় দলের ১০ সাংগঠনিক বিভাগের নেতারা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আন্দোলনের ধরন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন।

    বিএনপির ১০ বিভাগের নেতারা অনুষ্ঠিত সভায় দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি চেয়েছেন। সেক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে কঠোর হওয়ার প্রস্তাব করেছেন তারা। পাশাপাশি ইস্যু হিসেবে জনসম্পৃক্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়ার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকে পরামর্শ দেন বিভাগের নেতারা।

    বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, প্রস্তাবিত কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—অবরোধ, লংমার্চ, জেলা থেকে জেলায় রোড মার্চ, ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহরে রোড মার্চ, ৬৮ হাজার গ্রামে একই দিন গণমিছিল।

    নেতাদের প্রস্তাবে আরও রয়েছে, ১০ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার কর্মসূচি প্রদান এবং ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি।

    ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, কুমিল্লার নেতারা প্রশাসন ও পুলিশকে চাপের মধ্যে রাখার প্রস্তাব করেছেন। কোনও কোনও নেতার পরামর্শ—আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘আইনবিরোধী’ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে কেন্দ্রীয় নেতারা যেন সব সমাবেশে তাদের অনুরোধ জানান। তবে সমাবেশে অংশগ্রহণে বাধা পেলে নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি দেওয়ার জন্যও প্রস্তাব করেছেন বিএনপির তৃণমূল নেতারা। প্রয়োজনে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যুক্ত বলেও প্রচারের প্রস্তাব রয়েছে কোনও কোনও নেতার।

    কর্মসূচির মধ্যে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি রাখার প্রস্তাবও এসেছে জোরালোভাবে।

    বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর বিগত দেড় বছরের ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের একটি পর্ব সম্পন্ন হবে। ফলে ১০ ডিসেম্বর নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি আসা স্বাভাবিক।

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিভাগীয় নেতাদের মতবিনিময়ে অংশ নিয়েছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পর্যায়ে সমাবেশের পর দলের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ ডেকেছি। ১২ অক্টোবর শুরু হয়ে ১০ ডিসেম্বরের মধ্য দিয়ে আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম একটি পরিণতির দিকে যাবে।’

    ‘যেহেতু ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে ১০ ডিসেম্বর, সে কারণে এটিকে আমরা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছি। আমরা সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। ১০ ডিসেম্বরের পর দেশে সরকারের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এই টার্নিং পয়েন্টের কারণেই ১০ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন সাখাওয়াত হাসান জীবন।

    বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের প্রভাবশালী সূত্র জানিয়েছে, ১০ ডিসেম্বর নতুন কর্মসূচি আসবে। সেক্ষেত্রে চলমান যে যুগপৎ আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে, তার বাস্তবায়ন দেখা যেতে পারে। এই সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ, মিছিল, পথসভা, বিভাগে-বিভাগে সমাবেশের কর্মসূচি আসতে পারে।

    বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচির সূচনা হবে মাত্র। ইতোমধ্যে দলের নেতা আমানউল্লাহ আমান ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলবে বলে বক্তব্য দিয়েছেন। তার এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, আমানের বক্তব্যে সরকার ভয় পেয়েছে।

    দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু মনে করেন, বিএনপি জনগণের সংকটের সমাধান ও নাগরিক ইস্যুতে ধারাবাহিক আন্দোলনে রয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ। এই সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি আসতে পারে বা বিরতি দিয়ে আবার শুরু হতে পারে।

    শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘নতুন কর্মসূচি কী আসবে—তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমাদের দলের স্থায়ী কমিটি এ বিষয়ে বৈঠক করবে। তারা আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি নির্ধারণ করবে। তবে এটা বলা যায়, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আসবে; যদি সরকার কর্মসূচিকে ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে না দেয়।’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘১০ ডিসেম্বরে কী কর্মসূচি আসবে—এটা আমাদের পলিসির বিষয়। দল যখন কর্মসূচি ঠিক করবে, তখন জানানো হবে।’

  • জাসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে সাতক্ষীরায় মশাল মিছিল

    জাসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে সাতক্ষীরায় মশাল মিছিল


    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ প্রতিষ্ঠার ৫০বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য মশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

    সাতক্ষীরার কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস মোড় থেকে মশাল মিছিলটি বের হয়ে সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট সংলগ্ন স.ম আলাউদ্দিন চত্ত্বর প্রদিক্ষণ করে সঙ্গীতা সিনেমা হল মোড় হয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে আবার পোস্ট অফিস মোড়ে এসে মশাল মিছিলটি শেষ হয়।

    সাতক্ষীরা জেলা জসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলুর সভাপতিত্বে মশাল মিছিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ।

    বর্ণাঢ্য এ মশাল মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলী, কেন্দ্রীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকির হোসেন, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ^াস আবুল কাশেম, আশাশুনি উপজেলা জাসদের আহবায়ক মোঃ সুরাত জামান, তালা উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোল্ল্যা আবদুর রাজ্জাক, কলারোয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, আশাশুনি উপজেলার সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রুবেল, জেলা শ্রমিক জোটের সদস্য সচিব সুকুমার পালিত, সদর উপজেলা যুবজোটের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আবদুল আলীম, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক স্বপন শীল প্রমুখ।

    মশাল মিছিলের আগে সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পোস্ট অফিস মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত তালেবানী শক্তির পুনরুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য যে হুমকি ধামকি দিচ্ছে তা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগকে একলা চলো নীতি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের উপর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার পথে আসতে হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎকারী, জনগণের প্রাপ্য ও হক চুরি করে খেয়ে ফেলা দুর্নীতিবাজ লুটেরা, চাটার দল, চোরের দল; জনগণের পকেটকাটা বাজার সিন্ডিকেট, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং রাষ্ট্রের মৌলিক অস্তিত্ব অস্বীকারকারী ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী রাজনৈতিক শক্তি ও তাদের রাজনৈতিক সঙ্গীদের দমন করতে হবে।

  • আগামীকাল জাসদের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ

    আগামীকাল জাসদের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ৫০বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের সাথে একযোগে আগামী পহেলা অক্টোবর এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

    সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী জানিয়েছেন, দলের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আগামী পহেলা অক্টোবর বিকালে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট মোড়স্থ স.ম আলাউদ্দিন চত্ত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু। পরে সন্ধ্যায় শুরু হবে বর্ণাঢ্য মশাল মিছিল।

    দলের সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সকল নেতাকর্মীদের যথাসময়ে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়েছেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলী।

  • মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত

    মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত

    ন্যাশনাল ডেস্ক: মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় ওই সংঘর্ষে দুই সংবাদকর্মীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেল ৩টার পর এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
    পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে মুক্তারপুরের পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচি থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোতে চাইলে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। পুলিশও রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে।

    সংঘর্ষে দুজন সংবাদকর্মীসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

  • রাজপথ দখলে নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ কাদেরের

    রাজপথ দখলে নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ কাদেরের

    ন্যাশনাল ডেস্ক: রাজপথ দখলে নিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির নেতারা বলছে, রাজপথ দখলে নেবে। রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। রাজপথ জনগণের। রাজপথ এই নগরীর। রাজপথ ঢাকাবাসীর।’

    মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের রাজধানীর লালবাগ থানা ও চারটি ওয়ার্ড শাখার সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলনে করুন শান্তিপূর্ণভাবে। আসুন, খেলা হবে। আমরা মাঠ ছাড়ব না। রাজপথ দখল নিতে হবে। সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। আপনারা ফাঁকা মাঠে তাফালিং করবেন, আর আওয়ামী লীগ আঙ্গুল চুষবে, এটা মনে করবেন না।’
    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২২ দলীয় জোট গতবারও ছিল। সেই ২২ দলের অবস্থা জগাখিচুড়ি, ছত্রভঙ্গ। এবারও পরিণতি হচ্ছে আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই সার। কাজেই লাফালাফি করবেন না, বাড়াবাড়ি করবেন না। আমাদের নেতাদেরও বলব লাফালাফি, বাড়াবাড়ি করবেন না। নির্বাচনের ১৪ মাস বাকি।’

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা করলে প্রধানমন্ত্রী ছাড় দেবেন না, জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলে এসেছি, ক্যাম্পাসে যারা বিশৃঙ্খলা করবে, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি করবে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে, শেখ হাসিনা তাদের রেহাই দেবেন না।’

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ সব সংকট কেটে দেশ স্বস্তির দিকে যাচ্ছে, দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি জনগণকে বলব, আপনারা কষ্ট করছেন, এ কষ্ট আমাদের সৃষ্টি নয়। আজকে জীবনযাত্রার মান, আজকের টেনশন, জ্বালানির দাম সারা বিশ্বে বেড়ে গেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এই সংকটকে আরও প্রকট করেছে। শেখ হাসিনা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছেন। চিন্তা করবেন না, বাংলাদেশে এমন কোনো সংকট হবে না। আগামী দিনগুলো ভালোই যাবে। এখনই স্বস্তির দিকে ফিরে যাচ্ছি। আমি জনগণকে বলব, আপনারা বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি বারবার আস্থা রেখেছেন।’

    তিনি বলেন, ‘এ সংকট বেশি দিন থাকবে না। দুর্দিন চলে যাবে। আবার সুদিন আসবে। আমি আপনাদেরকে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • রওশনকে অপসারণের বিষয়ে এবার পাল্টা চিঠি পাঠাবেন রাঙ্গ


    ন্যাশনাল ডেস্ক: জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে বেগম রওশন এরশাদকে সরাতে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল স্পিকারকে যে চিঠি দিয়েছে তার প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না জানিয়ে স্পিকার বরাবর আজ চিঠি দেবেন মশিউর রহমান রাঙ্গা।
    বিষয়টি জানিয়ে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, তিনি রওশন এরশাদকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত ছিলেন না। এ কারণে রাঙ্গাকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয় পার্টি।
    জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের বৈঠকের দিন তাকে এজেন্ডা জানানো হয়নি বলেও জানান রাঙ্গা।
    রাঙ্গা বলেন, ‘আমি স্পিকারকে জানিয়েছি, যে এটা নিয়ম মতো হয়নি। সব কিছুর তো একটা নিয়ম আছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে করলে তো হবে না।’
    তিনি বলেন, আমি স্পিকারকে জানাবো আমার এ ব্যাপারে আপত্তি আছে। বিষয়টি সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নি।
    সাধারণত দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কোনো সিদ্ধান্ত নিলে স্পিকার সেটি অনুমোদন করেন। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তা এখন স্পিকারের হাতে।

  • তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলামকে সভাপতি ও এসএম আলাউদ্দীন কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা হয়।

    মঙ্গলবার(২০ শে সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় তাল উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলামের শিবপুরস্থ বাস ভবন চত্বরে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ও তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার জাহিদ তপন।

    তালা উপজেলা উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এসএম জাহাঙ্গীর হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির যুব বিষয়ক সম্পাদক শেখ শাখায়াতুল করিম পিটুল,কলারোয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো: মশিউর রহমান,তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক এসএম আলাউদ্দীন, কলারোয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আব্দুল্লাহ হেল বাবু,তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির সি.যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম,জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মো: আশিকুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তাহের, জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক শেখ আমিনুর রহমান ফিরোজ,জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি ও কাউন্সিলার মো: কায়ছারুজ্জামান হিমেল, কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মো: আমিনুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো: সাহদুল্লাহ, কপিলমুনি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সরদার ফরিদ আহমেদ

    এসময় দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক

    সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক

    মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার সাংবাদিকতার নক্ষত্র, চলমান ডিকশনারী খ্যাত প্রতিথযশা প্রবীণ সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ।বিবৃতিতে জেলা জাসদের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী ছিলেন সাতক্ষীরার সাংবাদিকতা জগতের প্রথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে যা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। সাতক্ষীরা জেলা জাসদের নেতাকর্মীরা তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

    বিবৃতি দাতারা হলেন সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, কৃষক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লস্কর, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোল্ল্যা আবদুর রাজ্জাক, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক মো. সুরাত উজ্জামান, সদস্য সচিব কবি রুবেল, কালিগঞ্জ উপজেলা জাসদের সভাপতি শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন মোঘল, নারী জোট জেলা শাখার সভাপিতি পাপিয়া আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, শ্রমিক জোটের আহবায়ক মোঃ বেলায়েত হোসেন, সদস্য সচিব সুকুমার পালিত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি এসএম আবদুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামান তারিক প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত নানাবিধ শারিরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ‍দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।

  • খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি পেছালো

    ন্যাশনাল ডেস্ক: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এজন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবী শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।

    মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।

    ১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল চার্জ শুনানির জন্য।

    মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।

    এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।

    ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।

    অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

    ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।