রাহাত রাজা: কেন্দ্রীয় তরুন লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শফিউল্ল্যাহ ইসলাম বলেন এ সমাজ মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সন্ত্রা, মাদক, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জির টলারেন্স ঘোষনা দিয়েছেন। আমরাও আজ এ শ্যামনগরের মাটি থেকে শুরু করে সারাদেশে সন্ত্রাসী, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আজ তরুনরা জেগেছে সমাজ থেকে অবশ্যই মাদুক, সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদ নিমুল হবে। সাথে সাথে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আ;লীগের পাশে আছি থাকব।
শ্যামনগরের বংশীপুর বাজারে মাদক বিরোধী তরুন সমাবেশ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন প্রধান অতিথি। শনিবার বিকালে বংশীপুর বাজারে সমাবেশে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তরুন লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শফিউল্ল্যাহ। শ্যামনগর উপজেলা তরুরলীগের সভাপতি জিএম আব্দুল আলিম সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়াম্যান আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম মোস্তফা মুকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাইদ, সাতক্ষীরা জেলা তরুন লীগের সভাপতি শাহানুর রহমান শাহীন, ইশ্বরীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এড. শুকুর আলী, কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক কবীর নেওয়ার রাজ, শেখ নুরুজ্জামান টুটুল, মো: মেহেদী হাসান মারুফ, রবিউল ইসলাম জোয়াদ্দার, আনোয়ার হোসেন, প্রধান বক্তবা জহিরুল ইসলাম পলাশ, আজাদুল হক আসাদ, মেজবাবুল হক, জাকির হোসেন, আব্দুল আলিম প্রমুখ।
Category: রাজনীতি
-

সমাজ মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে হলে তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে- জিএম শফিউল্ল্যাহ
-

আজ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা দিবস : রোজ গার্ডেন থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ
আল হেলাল শুভ :
আওয়ামী লীগের পুরনো দলীয় কার্য়ালয় ছিল- ৯১, নবাবপুর রোডে। দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোকসজ্জায় সাজানো হবে সেই কার্যালয়টিও। এই কার্যালয়েই ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এখানেই বসতেন দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর কিছুদিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছু দিন বসে অফিস করেছেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার পর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ঠিকানা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামী ২৩ জুন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জন্ম নেয়া দলটির এদিন ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দীর্ঘ ৭০ বছর পার করে ৭১ বছরে পা দিতে যাচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ রাজনৈতিক দল। যা বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল। ‘রোজ গার্ডেন থেকে বর্তমান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের (আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্য়ালয়) সুরম্য ভবন’ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের দীর্ঘ উত্থান-পতনের ধারাবাহিতার ইতিহাস। পাকিস্তান আমলে বাঙালির স্বাধিকারের আন্দোলন থেকে বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশ, এই প্রতিচ্ছবিতে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতাসহ অনেক অর্জন এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।
১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন- ‘কোথাও হল বা জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল।’ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা (তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ) প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু আরও লিখেছেন- ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।’
আওয়ামী লীগ নামটির আগে জন্মের সময় (১৯৪৯ সালের ২৩ জুন) রোজ গার্ডেনে দলটির নাম দেয়া হয় ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা সেদিন রোজ গার্ডেনে উপস্থিত ছিলেন। সেসময়ের প্রেক্ষাপটে তা প্রাসঙ্গিক ছিল বলেই মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর তৎকালীন মুসলিম লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেসময় জনগণের বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। রাজনীতি বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদের ‘আওয়ামী লীগ-উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০’ বই থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নামটি দিয়েছিলেন দলের প্রথম সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সেসময় রাজনৈতিক বাস্তবতায় ও কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে মুসলিম শব্দটি থেকে গেলেও দল আত্মপ্রকাশের ছয় বছরের মাথায় ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এর উদ্দেশ্য- দলে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চ্চা এবং অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি।
এই দীর্ঘ সময় (৭০ বছর) পাড়ি দিতে আওয়ামী লীগকে কখনও সহ্য করতে হয়েছে শাসকের রক্তচক্ষু, কখনও দলটির নেতাকর্মীদের উপর এসেছে অসহ্য নির্য়াতন। কিন্তু বাংলাদেশের জন্ম দেয়া দলটি কখনও দমে যায়নি। বাংলাদেশের মানুষের মানসচিন্তাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগ যুগ-যুগান্তরে হয়ে ওঠে জনগণের দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সবসময় সম্পৃক্ত থেকেছে। দীর্ঘ ৭০ বছরে ৫০ বছরই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে ছিল। কিন্তু তাতে দলের রাজনৈতিক আদর্শের কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি হয়নি। নেতারাও আদর্শচ্যুত হননি। বরং আরো কঠিনভাবে দলের ঐক্য ধরে রেখেছেন।
রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সংগ্রাম ও দেশের রাজনৈতিক সংগ্রাম- যুগপদভাবে আওয়ামী লীগকে উভয় সংগ্রামেই শামিল হতে হয়েছে। ফলে, জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ইতিহাস ও রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্মবৃত্তান্ত সমান্তরাল কিন্তু অবিচ্ছেদ্য। গণতন্ত্র ও অসাম্প্রাদায়িকতাই আওয়ামী লীগের মূল উপজীব্য। মওলানা ভাসানী, শামসুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমানের পথ ধরেই আজকের আওয়ামী লীগ।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়সহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ’৫০-এর দশকেই আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তথা প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। শুরুর দিকে দলটির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, আঞ্চলিক স্বায়ত্ত্বশাসন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে আওয়ামী মুসলীম লীগ। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করতে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ওই বছরের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এর মধ্যে, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ পেয়েছিল ১৪৩টি আসন। ২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী মুসলিম লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দু’বছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল।
পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালে দলে ভাঙন দেখা দেয়। ওই বছরের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারি সম্মেলনে দলে বিভক্তির ঘটনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
১৯৬৬ সালেই (৬ষ্ঠ কাউন্সিলে) বঙ্গবন্ধু দলের সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নেন। সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমদ। সপ্তম ও অষ্টম কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় যার নেতৃত্ব দেন তাজউদ্দীন আহমদ। এভাবে এক দীর্ঘ রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু- অবিচ্ছিন্নভাবে লীন হয়ে যায় একে অপরের মাঝে।
১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যূদয় ঘটে বাংলাদেশের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর সামরিক শাসনের নির্যাতন আর নিপীড়নের মধ্যে পড়ে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি। নেতাদের মধ্যেও দেখা দেয় বিভেদ। দলের কঠিন দুঃসময়ে দলের ঐক্য ধরে রেখেছেন দুঃসময়ের সৈনিকরা। মহিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন, আবদুল মালেক উকিল ও আবদুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সময়ের দুঃসাহসী কাণ্ডারী। কঠিন হাতে তারা দলের হাল ধরে রেখেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলীয় সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে কয়েকভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন, আন্দোলন শুরু করেন সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে।
দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ৫ বছর শাসনের পর ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। কিন্তু, দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, কারচুপির মাধ্যমে তাদের হারানো হয়েছে। পরবর্তীতে দেশে রাজনৈতিক সংকটের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে পুনরায় সরকার গঠন করে। আর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ।
রোজ গার্ডেন ও ৯১ নবাবপুর রোড :
দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ এবার জমকালোভাবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। এবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নতুনের সঙ্গে থাকছে দলের ঐতিহ্য স্মরণ। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারণায় উৎসবের আমেজ তৈরি হবে।
ঢাকার মধ্যে যে কয়টি প্রাচীন স্থাপনা আছে এর মধ্যে একটি রোজ গার্ডেন। রোজ গার্ডেনের অবস্থান টিকাটুলির কে এম দাস রোডে। ১৯৭০ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল স্টুডিও’-কে এটি লিজ দেয়া হয়। এসময়ে চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট হিসেবে এই ভবনটি ব্যবহৃত হতো। এখানে চিত্রায়িত কাহিনীচিত্র ‘হারানো দিন’-এ রোজ গার্ডেনের সেই সময়কার চিত্র সংরক্ষিত আছে। প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত দোতলা এই প্রাসাদের চারদিক ঘিরে ছিল দেশি-বিদেশি গোলাপের চারা। এই গোলাপ বাগানের জন্যই বাগানবাড়িটি সেসময় বিখ্যাত হয়ে ওঠে ‘গোলাপ বাগ’ নামে, যা আমাদের কাছে এখন ‘রোজ গার্ডেন’ নামে পরিচিত। বর্তমানে চারপাশ ঘেরা সেই গোলাপ বাগান না থাকলেও প্রাসাদের সামনে কৃত্রিম ফোয়ারা ও ভাস্কর্যগুলো রয়েছে।আওয়ামী লীগের পুরনো দলীয় কার্য়ালয় ছিল- ৯১, নবাবপুর রোডে। দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোকসজ্জায় সাজানো হবে সেই কার্যালয়টিও। এই কার্যালয়েই ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এখানেই বসতেন দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর কিছুদিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছু দিন বসে অফিস করেছেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার পর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ঠিকানা হয়।
সুত্র : দৈনিক জাগরণ
-

কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ
গত ২২ জুন ২০১৯, শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১ম পৃষ্ঠায় কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোামুখি আমির হোসেন আমুর জবানীতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধী করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো:
বাংলাদেশ প্রতিদিনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকারে জাতীয় বীর বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে অচেনা কাজী আরেফ বলে কটাক্ষ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। আমরা মনে করি, যাদের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অবস্থান নেই তাদের কাছে কাজী আরেফ অচেনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন।
কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ৬ দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সাথে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ অধিনায়কদের সাথে সমন্বয় করেছেন। স্বাধীকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ যে বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ৬০ দশকের ছাত্রলীগের হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ে কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ঐ সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থী ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয় পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল।
কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তীতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিছারনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসাবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারন করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রাামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণ আদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এসব কিছু জানার পরও তার সমসাময়িককালের একজন রাজনীতিক কর্তৃক তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নিম্ম রুচি ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করবে মাত্র।
বার্তা প্রেরকআব্দুল্লাহিল কাইয়ূম
দফতর সম্পাদক -

কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ
গত ২২ জুন ২০১৯, শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১ম পৃষ্ঠায় কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোামুখি আমির হোসেন আমুর জবানীতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধী করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো:
বাংলাদেশ প্রতিদিনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকারে জাতীয় বীর বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে অচেনা কাজী আরেফ বলে কটাক্ষ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। আমরা মনে করি, যাদের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অবস্থান নেই তাদের কাছে কাজী আরেফ অচেনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন।
কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ৬ দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সাথে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ অধিনায়কদের সাথে সমন্বয় করেছেন। স্বাধীকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ যে বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ৬০ দশকের ছাত্রলীগের হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ে কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ঐ সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থী ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয় পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল।
কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তীতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিছারনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসাবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারন করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রাামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণ আদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এসব কিছু জানার পরও তার সমসাময়িককালের একজন রাজনীতিক কর্তৃক তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নিম্ম রুচি ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করবে মাত্র।
বার্তা প্রেরকআব্দুল্লাহিল কাইয়ূম
দফতর সম্পাদক
-

কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ

গত ২২ জুন ২০১৯, শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১ম পৃষ্ঠায় কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোামুখি আমির হোসেন আমুর জবানীতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধী করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো:
বাংলাদেশ প্রতিদিনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকারে জাতীয় বীর বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে অচেনা কাজী আরেফ বলে কটাক্ষ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। আমরা মনে করি, যাদের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অবস্থান নেই তাদের কাছে কাজী আরেফ অচেনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন।
কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ৬ দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সাথে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ অধিনায়কদের সাথে সমন্বয় করেছেন। স্বাধীকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ যে বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ৬০ দশকের ছাত্রলীগের হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ে কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ঐ সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থী ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয় পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল।
কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তীতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিছারনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসাবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারন করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রাামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণ আদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এসব কিছু জানার পরও তার সমসাময়িককালের একজন রাজনীতিক কর্তৃক তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নিম্ম রুচি ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করবে মাত্র।
বার্তা প্রেরকআব্দুল্লাহিল কাইয়ূম
দফতর সম্পাদক -
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ক্ষেতমুজুর সমিতির কর্মিসভা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ ক্ষেতমুজুর সমিতি সাতক্ষীরা জেলা সদর উপজেলা ক্ষেতমুজুর সমিতির এক কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৫টায় সমিতির নিজেস্ব কার্যালয়ে ক্ষেতমুজুর সমিতির সভাপতি ইয়ার আলীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ক্ষেত মুজুর সমিতির সদস্য মোঃ মোবারক আলীর অকাল মৃত্যুতে ১মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা ও সাতক্ষীরা জেলা সিপিবি’র সভাপতি মো ঃ আবুল হোসন। আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা শাখার মামুন,এম নাসির উদ্দিন, শেখ রওশন আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন, মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ ছামছুর গাজী প্রমুখ। বক্তারা বলেন দেশবাসি নৈশ ভোট ডাকাতি সরকারের বাজেট প্রত্যাখাান করেছে। গ্রামিণ ক্ষেতমুজুর সহ গরিব মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী পল্লী রেশন বাজেটে আর্মি-পুলিশের জন্য বরাদ্ধ বাড়লেও দেশের উৎপাদনের চালিকা শক্তি গরিব শ্রমজীবি মানুষের জন্য কোন বরাদ্ধ রাখা হয়নি। গ্রামিন ক্ষেত মুজুর সহ গ্রামিন মজুরদের সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা তৈরীর জন্য কর্মসৃজন কাজের দিন বৃদ্ধি করে সকল উপজেলায় ১০০ দিনের কাজ ৫০০ টাকা মুজুরি বরাদ্ধ দাবী করেন। বক্তারা গ্রামের ৬ কোটি মানুষের জন্য রেশন ও ১০০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসুচী পেনশনের জন্য বরাদ্ধ দাবী করেন। -
আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলার প্রস্তুতি সভা
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আহবানে জেলা শহরে বসবাসরত নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক যৌথ জরুরী সভা সংগঠনের সভাপতি সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১০টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সমাবেশ, কেক কাটা ও বর্ণাঢ্য র্যালীর সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ডাঃ মোখলেছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্রু, শেখ সাহিদ উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার শেখ নুরুল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. অনিত মুখার্জী, কোষাধ্যক্ষ আসাদুল হক, সদর উপজেলার সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, জেলা সদস্য ডাঃ মুনসুর আলী, কোহিনুর ইসলাম, বিশ^জিৎ সাধু, জে এম ফাত্তাহ, এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু, এড. আব্দুল লতিফ, মীর মোশারফ হোসেন মন্টু, পৌর সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জ্যো¯œা আরা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের মীর মোস্তাক আলী, কৃষকলীগের মঞ্জুর হোসেন ও তাতীলীগের মনিরুজ্জামান তুহিন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
-
জেলা জাতীয় পার্টির শোক
গত ৪ জুন ২০১৯ জাতীয় পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সদস্য বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজসেবক আনোয়ার হোসেন আনুর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্ত্রস্ত্র পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ দিদার বখত, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আজহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদুর রহমান, দারুল হুদা লালু, মশিউর রহমান টুকু, শরীফুজ্জামান বিপুল, ইমামুল মোসলেমিন দাদু, সদর উপজেলা জাপার সদস্য সচিব আনোয়ার জাহিদ তপন, পৌর জাপার সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ পাপা, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুস সাদেক, যুব সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, জেলা যুব সংহতির আহবায়ক আশিকুর রহমান বাপ্পি, সদস্য সচিব আবু তাহের, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পার্টির নেতা এবিএম রাজিবুল্লাহ রাজু, ছাত্র সমাজের সভাপতি কায়ছারুজ্জামান হিমেল, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান সুমন, সহ-সভাপতি রিমন, রনি,রাজু, জুলফিকার রায়হান,পাভেল, রকিসহ অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
-

কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ
এবার কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ কাটবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। সেখানেই পঞ্চমবারের মতো কারাবন্দি অবস্থায় ঈদ করবেন তিনি। এর আগে চারবার কারাগারে ঈদ করেছেন তিনি।
এ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, একজন বন্দির মতো খালেদা জিয়া কারা জেল কোড অনুযায়ী খাবার পাবেন। ঈদের দিন অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
এদিকে কারা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি। এসবই ঢাকা কেন্দ্রীয় (কেরানীগঞ্জ) কারাগারের কারারক্ষীদের তৈরি। তবে অন্যান্য কয়েদির মতো নয়, তার খাবার তৈরি হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ও ডায়েট চার্ট অনুযায়ী।
এ ছাড়া খালেদার দুপুরের মেন্যুতে থাকবে ভাত অথবা পোলাও। তিনি এই দুইটির মধ্যে যেটি খেতে চান সেটি আগে থেকে কারাগারে জানিয়ে দিতে পারবেন। ভাত অথবা পোলাও যাই অর্ডার করুক না কেন এগুলোর সঙ্গে পাবেন ডিম, রুই মাছ, মাংস আর আলুর দম। রাতে থাকছে পোলাও। সঙ্গে গরু অথবা খাসির মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন, পান-সুপারি এবং কোমল পানীয়।
এসব মেন্যুর বাইরে খালেদা জিয়া অন্য কোনো খাবার খেতে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারবেন। তবে সেই আইটেম তাকে দিতে বাধ্য নয় কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদের দিন দলের সিনিয়র নেতারা প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিএসএমএমইউ যাবেন। সেখান থেকে বনানীতে খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করবেন।
এ ছাড়া ঈদের দিন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারেক রহমানের পরিবার, কোকোর স্ত্রী ও মেয়েরা লন্ডনে থাকায় খালেদা জিয়ার ভাই, বোন ও তাদের ছেলে-মেয়েরা কারাগারে দেখা করতে যাবেন।
সূত্র আরো জানায়, ঈদের দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম রোজার ঈদ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাবজেলে কাটান বিএনপি চেয়ারপার্সন। এরপর ২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর কোরবানির ঈদও ওই সাবজেলেই উদযাপন করেন তিনি। ওই কারাগারে ৩৭২ দিন কাটানোর পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পান।
১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর কয়েকবার গ্রেপ্তার হন খালেদা জিয়া। এ ছাড়াও এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। তবে তখন তাঁকে বেশিদিন কারাবন্দি থাকতে হয়নি।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি হয়ে সাজা ভোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
-
সিপিবি নেতা এ্যাড. বাবুল হাওলাদার উপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা
যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা, খুলনা মহানগর সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণবিরোধী আন্দোলনের সাহসী সংগঠক কমরেড এ্যাড. বাবুল হাওলাদার উপর আদালত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা সিপিবি’র নেতারা। তারা বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনের মত জায়গায় এবং প্রশাসনের নাকের ডগায় সন্ত্রাসী কর্তৃক প্রহৃত হওয়ায় আমরা বিস্মিত। আমরা দৃষ্টান্ত মুলক আইনী ব্যবস্থা চাই। হামলার প্রতিবাদে বিবৃতিদাতারা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা সিপিবি’র সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইয়ার আলী, কমরেড সাঈদ হাসান, মাসুম মোল্লা, আলমঙ্গীর খান, জাহাঙ্গীর হোসেন, নাসিরউদ্দীন, ইউসুফ আলী, জাকির হোসেন, শেখ রওশন আলী, সামছুর রহমান প্রমুখ। -

আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা :কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবানে বিশেষ বর্ধিত সভা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা ১১টায় শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টার এন্ড রিসোর্টে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন। এসময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাই তৃণমূল নেতা কর্মীদের ফেলে না দিয়ে বুকে টেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, যারা শেখ হাসিনার প্রতিক বুকে বেঁধে নির্বাচিত হয়েছেন এবং এই সারিতে বসে আছেন তারাও যদি কেউ তৃণমূল নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেন তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। জামায়াত-বিএনপির কোন হাইব্রীড লোকজন দলে ঢুকে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, যারা সম্মেলন করতে চায়না তাদের জনপ্রিয়তা নেই তাই তারা সম্মেলন করতে ভয় পায়। তিনি বঙ্গ বন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এলাকায় এলাকায় পালনের জন্য আহবান জানান।’
উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য এস.এম কামাল হোসেন, এ্যাড. আমিরুল ইসলাম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার প্রমুখ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ফিরোজ আহমেদ স্বপন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলের মাঝে ইফতারী বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। -

সাতক্ষীরা সদর, পৌর ও সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে তৃণমূলের মূল্যায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন কয়েকটি ইউনিটের নেতৃত্ব নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীরা চাচ্ছেন প্রকৃত বঙ্গবন্ধু প্রেমি ছাত্রলীগের আদর্শে বিশ^াসী ও ত্যাগী তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে থেকে ওই ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে আনা হোক। এ দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীরা গণস্বাক্ষর করেছেন।
তারা জানিয়েছেন, গত ২৯ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওতাধীন সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সহ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে সাথে সাথে এক সপ্তাহের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত আহবান করা হয়। এরপর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থী এবং তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে নতুন ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মীরা দীর্ঘদিন যারা তৃণমুল ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে তাদের মধ্য থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা, পৌর শাখা এবং সরকারি কলেজ সকল ইউনিটের শীর্ষ নেতৃত্বে দেখতে চায়। বিগত সময়ে আমরা দেখেছি তৃণমূলকে মূল্যায়ন না করে হাইব্রিড নেতা ও ফেসবুক নেতাদের শীর্ষ নেতৃত্বের আনা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ কর্মীরা জানিয়েছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শাক্তিশালী করতে হলে এবং বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রকৃত ত্যাগী ও তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মীদের নেতৃত্বে আনা প্রয়োজন। যারা ভোলপাল্টে কৌশলে ছাত্রলীগে যোগদান করে তাদের কারণে আজ ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। ছাত্রলীগকে বাচাঁতে ওই গুরুত্ব ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে তৃণমুল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দাবি তৃণমূলকে মূল্যায়ন করা হোক এবং ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীবান্ধব নেতাদের শীর্ষ নেতৃত্বের আনা হোক। -

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ’র আয়োজনে জঙ্গী হামলায় নিহত জায়ান চৌধুরী’র আত্মার মাগফিরাত কামনা
স্টাফ রিপোর্টার: ২১শে এপ্রিল শ্রীলংকায় বর্বোচিত জঙ্গী হামলায় নিহত জায়ান চৌধুরী’র আত্মার মাগফিরাত কামনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় শহরের খুলনা মোড় রোড়স্থ শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ পৌর শাখা কার্যালয়ে ৯নং ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে পৌর শাখার সভাপতি মো. নুরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর আ.লীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আবু সায়ীদ, পৌর আ.লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন, বন বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন লাভলু, জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশি, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম রবি, আক্তারুজ্জামান মহব্বত, সংগঠনের পৌর শাখার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা (অব: বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ১০নং সেক্টর কমান্ডার) মীর রিয়াসাত আলী, কাজী সাইদুর রহমান সাঈদ, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম, সহ-যুগ্ম সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি হাজী মহসিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, সহ-যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তৈয়েবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মুজিবর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক আনারুল ইসলাম, আজগার আলীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে ২১শে এপ্রিল শ্রীলংকায় বর্বোচিত জঙ্গী হামলায় নিহত জায়ান চৌধুরী’র আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। -

বিনম্র শ্রদ্ধায় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সামাদ খানের শোকসভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সদ্য প্রয়াত সাতক্ষীরার প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সামাদ খানের মৃত্যুতে নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি এড. আল মাহমুদ পলাশ। প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গণি, এড. আজহারুল ইসলাম প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার শীল, প্রতিষ্ঠানিক শাখার যুগ্ম সম্পাদক এড. হাবিব ফেরদাউস শিমুল, ডাঃ আব্দুল কাদের, পৌর সভাপতি আসাদুজ্জামান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, সামাদ খান ছিলেন আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যে কারণে তাকে বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে অনেকবার। কিন্তু তারপরও তিনি আওয়ামীলীগের আদর্শ থেকে সরে যাননি। তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগ একজন ত্যাগী ও প্রবীননেতা কে হারিয়েছে। এই নেতাকে সাতক্ষীরাবাসী সারাজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তিনি আজীবন নেতাকর্মীদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। -

জেলা জাসদের সভা অনুষ্ঠিত
গতকাল জাসদ সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে জেলাজাসদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাসদের সভাপতি ও কেন্দ্রিয় জাসদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ। সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্করের সঞ্চলনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রিয় সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, জেলা সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, জাতীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ কামাল, দেবহাটা সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, তালা সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, কলারোয়া সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, শ্যামনগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফিজুল হক তালেব, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ, যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপ কুমার মন্ডল, ছাত্রলীগ তালা জেলার সভাপতি আব্দুল আলিম প্রমুখ। -

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন
নিজস্ব প্রতিনিধি : জনগন তাদের ভোট দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী করেছেন। আমি তাদের কাছে ঋণি ও কৃতজ্ঞ। আর এজন্য আমার দায়িত্বকাল আগামী ৫ বছর যাবত আমি জনগনের কাছেই থাকতে চাই। তাদের হাসিকান্না ও সুখ দুঃখকে ভাগাভাগি করে নিতে চাই।
বিজয়ীর বেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সাথে অনির্ধারিত শুভেচ্ছা মতবিনিময়কালে একথা বলেন দক্ষিন উপকূলের সুন্দরবন লাগোয়া শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন। তিনি বলেন, আমি আমার এলাকার সমস্যা সম্পর্কে সচেতন। আমার দায়িত্বকালে এসব সমস্যার সমাধানে বিশেষ করে বেড়ি বাঁধের উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবেলা , সুপেয় পানি এবং দুর্যোগ কবলিত মানুষের পুনর্বাসনে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবো। সুন্দরবন এলাকাকে পর্যটন শিল্প হিসাবে গড়ে তোলার দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি সাধ্যমত কাজ করবো। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতিও আমার মনোযোগ থাকবে।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসার পর তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিকবৃন্দ। এসময় তাকে স্বাগত জানিয়ে আরও বক্তৃতা করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী। চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন তার রাজনৈতিক সহকর্মী গোলাম মোস্তফাকে সাথে নিয়ে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে মিষ্টি দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হয়। -

পাইকগাছায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন মোহাম্মদ আলী, বুলু ও লিপিকা নির্বাচিত
বি. সরকার । পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।
খুলনার পাইকগাছায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন, কোন সংঘাত ও সংঘর্ষ ছাড়াই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ৫ম পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে ৩৪ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে গাজী মোহাম্মদ আলী উপজেলা চেয়ারম্যান, তালা প্রতীকের প্রার্থী শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু ৩৭ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও পদ্মফুল প্রতীকের প্রার্থী লিপিকা ঢালী ২৭ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৭৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটারের সংখ্যা ২লাখ ৯ হাজার ৩৩৮ এবং মোট ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৭৩ হাজার ৭৮৬ জন।
নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকায় নির্বাচনের কোন কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে নির্বাচনী কার্যক্রম সার্বিক মনিটরিং করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জুলিয়া সুকায়না, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও শরফুদ্দীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল আউয়াল, র্যাব-৬ এর উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ গোলবর ও ওসি এমদাদুল হক শেখ।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হলেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪, ভাইস চেয়ারম্যানপদে ৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ সহ মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্ধিতা করেন। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী ৩৪ হাজার ৮৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মনিরুল ইসলাম মটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৮৬ ভোট, অনান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন শেখ আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত-কলম প্রতীক) ১২ হাজার ৫৮৬ ভোট, মোঃ রশিদুজ্জামান মোড়ল (আনারস প্রতীক) ৬ হাজার ৬৪৩ ভোট এবং উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোট অবৈধ্য (রিজক্ট) ১ হাজার ৯০৬ ভোট।
৪ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগনেতা শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু তালা প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রার্থী কৃষ্ণপদ মন্ডল (টিউবওয়েল প্রতীক) পেয়েছেন ১ ৯ হাজার ২৮ ভোট, অনান্য প্রার্থীরা দেবব্রত রায় (চশমা প্রতীক) ৮ হাজার ৫৯৪ ভোট, সুকৃতি মোহন সরকার (টিয়া পাখি প্রতীক) ৫ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট অবৈধ্য (রিজক্ট) ৩ হাজার ২৪৯ ভোট।
৬ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লিপিকা ঢালী পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নিকটতম প্রার্থী ফাতেমাতুজ্জোহরা রূপা (কলস প্রতীক) পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৭১ ভোট। অনান্য প্রার্থীরা নাজমা আক্তার (ফ্যান প্রতীক) ৯ হাজার ৬২৬ ভোট, জুলি (প্রজাপতি প্রতীক) ৯ হাজার ১৫৩ ভোট, ময়না খাতুন (ফুটবল প্রতীক) ৬ হাজার ৮১০ ভোট এবং মাসুমা খাতুন (হাঁস প্রতীক) ৪ হাজার ৮৭৭ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট অবৈধ্য (রিজক্ট) ২ হাজার ৮৫০ভোট।
নির্বাচন প্রসঙ্গে থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল। ফলে নির্বাচনে কোথাও কোন সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না জানান, প্রশাসনের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ, আইনশৃংখলা বাহিনী, এলাকাবাসী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
