Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
মুক্তিযুদ্ধ Archives - Daily Dakshinermashal

Category: মুক্তিযুদ্ধ

  • মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক  সভা অনুষ্ঠিত

    মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

    ডেস্ক রিপোর্ট : স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন-২০৪১ সম্পর্কে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা ব্যাপকভাবে প্রচারের নিমিত্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে (বামুকট্রা) অংশীজনদের নিয়ে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩০ এপ্রিল ২০২৩ খ্রি. রবিবার বেলা ৩:০০ ঘটিকায় ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ‘স্বাধীনতা ভবন’ এর সম্মেলনকক্ষে এ অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সচিব (উপসচিব) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ  মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এস এম মাহাবুবুর রহমান।

    সভার শুরুতেই স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন-২০৪১ এর উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। সভায় স্মার্ট বাংলাদেশ এর ৪টি স্তম্ভ (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট সোসাইটি), স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্তসমূহ, লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রসমূহ, লক্ষ্য অর্জনে প্রযুক্তির ব্যবহার, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বামুকট্রাসহ বিভিন্ন দপ্তর কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ নেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা  মো: আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, বীরপ্রতীক , যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মাজেদ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল লতিফ প্রমুখ।

    সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা করেছিলেন রূপকল্প ২০২১: ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। এ লক্ষ্য অর্জিত হবার পর আমাদের পরবর্তী গন্তব্য রূপকল্প ২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের মাধ্যমে আমরা জ্ঞান ভিত্তিক, উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হব।

  • ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে এমপি রবির পক্ষ থেকে সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

    ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে এমপি রবির পক্ষ থেকে সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

    প্রেস-বিজ্ঞপ্তি : ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। তারপর ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া মুজিবনগর সরকার’র অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী হন তাজউদ্দীন আহমেদ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হন শহিদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও শহিদ এএইচএম কামরুজ্জামান।
    একই বছরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এ দিন গণপ্রজাতন্ত্ররূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্রে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করা হয়। মুজিব নগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

  • কলারোয়ায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন পুলিশিং ফোরামের সভাপতি শেখআমজাদ হোসেন

    কলারোয়ায় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন পুলিশিং ফোরামের সভাপতি শেখ
    আমজাদ হোসেন



    কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা কমিউনিটি
    পুলিশিং কমিটির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য
    অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় কলারোয়া
    কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভে¢ পুষ্পমাল্য অর্পন করে বিনম্র
    শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নব-নির্বাচিত
    সভাপতি, জেলা পরিষদে বারবার নির্বাচিত সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সহ.সভাপতি
    আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন-কলারোয়া থানার অফিসার
    ইনচার্জ নাসির উদ্দীন মৃধা, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য
    পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ কুমার রায়, কৃষক লীগ নেতা আমানুল্যাহ,
    কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ.সভাপতি সাংবাদিক জাকির হোসেন প্রমুখ।
    কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির নব-নির্বাচিত সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন মহান
    স্বাধীনতা দিবসে সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মান জানিয়ে
    দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।


  • মহান স্বাধীনতা  দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    মহান স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পূষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। রবিবার (২৬ মার্চ) সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি। এসময় তিনি সেখানে কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মাহফুজুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবীলীগের সভাপতি মীর শাহিন প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

    বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

    ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ৮৮ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ‘স্বাধীনতা ভবন’, মোহাম্মদপুরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এবং ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় স্বাধীনতা ভবনে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, স্বাধীনতা ভবন ও অন্যান্য ভবনে আলোকসজ্জা ও ব্যানার প্রদর্শন, আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

    ২৬ মার্চ ২০২৩ রবিবার সকাল ৯:০০ এবং ১০:০০ ঘটিকায় যথাক্রমে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এবং ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় স্বাধীনতা ভবনে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হুইলচেয়ারধারী, খেতাব প্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৃত খেতাব প্রাপ্ত, মৃত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

     সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এস এম মাহাবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন ট্রাস্ট্রের সচিব (উপসচিব) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, বীরপ্রতীক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙালি মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রশিক্ষণহীন নিরস্ত্র বাঙালিরা যেভাবে একটি সুশৃঙ্খল অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, পৃথিবীর ইতিহাসে তেমন সংগ্রামের দৃষ্টান্ত বিরল। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় বিজয়। বাঙালি লাভ করে চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার নিমিত্ত সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

  • মহিলাদের  মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা , ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ

    মহিলাদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা , ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ

    স্টাফ রিপোর্টার : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৩ উপলক্ষে মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা, ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মার্চ রবিবার সকাল ১০ টায় জেলা লেডিস ক্লাব ও সাতক্ষীরা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থ সাধারণ সম্পাদক ফারহা দীবা খান সাথী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে ক্রীড়াা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী মিসেস জেসমিন নাহার। এসময়অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পত্মী মিসেস রাজিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্মী মিসেস মৌ রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পত্মী মিসেস মাহিনুর আক্তার টুম্পা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুমনা আইরিন, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভানেত্রী এ্যাড. ফরিদা আক্তার বানু, মিসেস মারুফা আক্তার স্বপ্না, রাফিয়া বেগম, মিসেস রুপালী খান, মিসেস ইসমত আরা, লাবনী দত্ত, জ্যোৎস্না দত্ত , জেলা মহিলা অধিদপ্তরের জেলা প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা প্রমুখ। এ সময়বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা।

  • দেবহাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা

    দেবহাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    আলোচনা সভায় দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান।
    বক্তব্য দেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক আলী মোর্ত্তোজা মাহাম্মাদ আনোয়ারুল হক, দেবহাটা প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাব, প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি প্রফেসর রাজু আহমেদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেবহাটা উপজেলা শাখার ফিল্ড সুপারভাইজার মাওলানা আজিজুর রহমান।

  • সাতক্ষীরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও সম্প্রীতির শীর্ষক মতবিনিময় সভা : প্রয়োজনে ৭২’র এর সংবিধান থেকে  শুরু করতে হবে

    সাতক্ষীরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও সম্প্রীতির শীর্ষক মতবিনিময় সভা : প্রয়োজনে ৭২’র এর সংবিধান থেকে শুরু করতে হবে

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় মহান বিজয়ের ৫১ তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে শহরের কোরাইশী ফুড পার্কে ব্যাঘ্রতট এর আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা -১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।
    এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম, সরকারি মহিলা কলেজর অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপ্পি।
    মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন কথাসাহিত্যিক বাবলু ভঞ্জ চৌধুরী।

    ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এড. সোমনাথ ব্যানার্জি, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক মহিবুল্লাহ মোড়ল, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, বাংলাদেশ জাসদ সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নেতা মশিউর রহমান পলাশ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল, কবি স ম তুহিন, প্রভাষক শফিকুর রহমান পরাগ, এড. সালাউদ্দীন ইকবাল লোদী প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বহুকাল থেকেই সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিলো ধর্ম নিরপেক্ষতা। আজও সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। কিছু মানুষ মিথ্যা ভারত বিরোধীতা করে। কিন্তু ভারত আমাদের অপ্রীতম বন্ধু। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
    জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এখনো গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ধর্মের নামে কিছু মানুষ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে চলেছে। বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিষ উপড়ে ফেলতে হলে অবশ্যই ৭২’র সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। প্রয়োজনে ৭২’র এর সংবিধান থেকে আমাদের শুরুটা করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন দল নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক বিপ্লব।

  • সাতক্ষীরায় “এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি” অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন

    সাতক্ষীরায় “এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি” অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : গত ০৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রি. সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা আর.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলা তথ্য অফিস, সাতক্ষীরার আয়োজনে “এসো মু্িক্তযুদ্ধের গল্প শুনি” অনুষ্ঠান বাস্তবায়িত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও চেতনায় আগামী প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গণের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবর রহমান। মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, সোনার বাংলা বির্নিমানে এ প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা’র সভাপতিত্বে “এসো মু্িক্তযুদ্ধের গল্প শুনি” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রেজা রশিদ। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রনাঙ্গণের বীর সেনানীদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত গল্প শুনে প্রত্যেকের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা ক্রীড়া অফিসার, মোঃ খালিদ জাহাঙ্গীর, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মোঃ জাহিদুর রহমান, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার সভাপতি প্রভাষক এম সুশান্ত, খেজুরডাঙ্গা আর.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারি তথ্য অফিসার মোঃ রমজান আলী, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারি পরিদর্শক মোঃ সাগর আলী, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিলটন। জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। মোঃ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাড়ে তিনশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-অভিভাবকগন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মুুক্তিয্দ্ধু বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

  • মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে

    মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নিতে হবে

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ৯ মাসের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

    সে জন্য ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন এবং এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার যে প্রস্তাব ২০১৭ সালে সংসদে পাস হয়েছিল, তাতে সংশোধন আনতে হবে। পাশাপাশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা পেতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ শুরু করতে হবে।

    শুক্রবার ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ আয়োজিত এক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।

    সেমিনারে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি, ৩৫-৩৬ লাখ হতে পারে। ওই সময় ধর্ষণের শিকার নারীর সংখ্যাও ২ লাখের বেশি, ৫ লাখ পর্যন্ত হতে পারে।

    বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের গণহত্যার পাঁচ দশক ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শিরোনামে সেমিনারটি হয়। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি, কবি ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। অনুষ্ঠানে গণহত্যাবিষয়ক কবিতা পাঠ করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি কবি তারিক সুজাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি আসাদ মান্নান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

    মূল প্রবন্ধে গণহত্যার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে যে গণহত্যা হয়েছে, তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ব্যাপক ও পরিকল্পিত হত্যা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকা ও ঢাকার বাইরে হত্যাকাণ্ডের খবর ২৭ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মর্নিং হেরাল্ড পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। খবরে বলা হয়েছিল, এক লাখ পর্যন্ত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ড বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন পরিচালিত চলমান গবেষণায় একাত্তরে শহীদের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ২ লাখ নারীর কথা সরকারি হিসাবে আছে। এ হিসাবটি এসেছে, যারা সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে এসে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন আর রেডক্রসের সেবাগ্রহীতার তথ্য থেকে। ওই সময় রেডক্রস জানিয়েছিল, তারা দেড় লাখ নারীর গর্ভপাত করিয়েছিল। কিন্তু অনেক নারী গর্ভধারণ করেননি, আবার অনেকে সন্তান জন্ম দিয়ে দিয়েছিলেন। রেডক্রসের মতে, মোট হিসাবে এ সংখ্যা ৪ লাখের বেশি হতে পারে। এ ছাড়া অনেকে লোকলজ্জায় ধর্ষণের কথা চেপেও গিয়েছিলেন।

    মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় শাহরিয়ার কবির বলেন, এর আগে দেশে ২৫ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের কোনো স্বীকৃতি না থাকায় ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব পাস করে। এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় এখন সরকারকে ৯ মাসের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্য ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন ও এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার যে প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছিল তাতে সংশোধন আনতে হবে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেসব দেশে গণহত্যা হয়েছে, তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে এবং ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    তিনি বলেন, গণহত্যাকারীরা দাপটের সঙ্গে এখনো রাজনীতি করছে। গণহত্যাকারী কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও সবার বিচার হয়নি।

    নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান কবি আসাদ মান্নান। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন আমাদের একমাত্র ক্ষতচিহ্ন হিসেবে সাহস জোগাবে নতুন প্রজন্মকে। বাংলাদেশ এখনো শত্রুমুক্ত নয়। বারবার আঘাত পাবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। শত্রুদের বিরুদ্ধে গণহত্যার এই ঘটনাকে অস্ত্র করে দাঁড়াতে হবে। কোনো বিসর্জনই ব্যর্থ হবে না। তরুণ প্রজন্ম যেন মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করতে পারে, এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে গণহত্যার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

    সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, গণহত্যা জাদুঘর দেশব্যাপী যে গণহত্যা-নির্যাতন, বধ্যভূমি ও নির্যাতনকেন্দ্রের জরিপ কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাতে বিস্ময়কর চিত্র উঠে আসছে। তিনি বলেন, রেফারেন্স বইয়ে গণহত্যা, বধ্যভূমি, গণকবর ও নির্যাতন কেন্দ্রের সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ৯০৫, আর চলমান জরিপে ৩৪টি জেলায় সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৮৬। তাহলে ৬৪ জেলার সে সংখ্যা কত দাঁড়াতে পারে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। একেকটি গণহত্যার ঘটনায় ৫ জন থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, গণহত্যা নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধচর্চার ইতিহাস ও গণহত্যার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা হয়েছে। কারণ, গণহত্যার কথা বলা হলেই কারা হত্যাকারী, সে তথ্য বেরিয়ে আসবে, এ কারণে অনেক তথ্য চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে আগে।

    ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এ পর্যন্ত গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ সিরিজে ৩৪টি বই প্রকাশ করেছে। অনুষ্ঠানে ৬টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়- রীতা ভৌমিকের ‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ নরসিংদী জেলা’, মাহফুজুর রহমানের ‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ সিরাজগঞ্জ জেলা’, আলী ছায়েদের ‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ গাজীপুর জেলা’, আমিনুর রহমান সুলতানের ‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ ময়মনসিংহ জেলা’, মামুন তরফদারের ‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ টাঙ্গাইল জেলা’ এবং আরিফুল হক ও মাসুদ রানার ‘গণহত্যা বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ রাজবাড়ী জেলা’। তথ্য সুত্র : দেশ রুপান্তর

  • আজ ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

    আজ ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

    আজ ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। একাত্তরের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করে বলেন, ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।’ এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন হয় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

    একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার ইতিহাস ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর ২ লাখ মা-বোনের ত্যাগের ইতিহাস। স্বাধীনতা মানে কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাথা।

    ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, দেশে উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব বাংলাদেশিকে ভেদাভেদ ভুলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে লালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মপ্রত্যয়ী ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।

    দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

    ভোরে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ৮টায় গণভবনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ২৬ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা গ্রহণ ও প্রচারকারী-সলিমপুর ওয়্যারলেস স্টেশন’-এর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে। রাজধানী ও বিভিন্ন শহরে প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সাজানো হবে।

  • আজ ভয়াল কালরাত গণহত্যা দিবস

    আজ ঐতিহাসিক ২৫শে মার্চ। মহান মুক্তিযুদ্ধের শোকস্মৃতিবাহী গণহত্যা আর নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের ‘কালরাত’। জাতীয় ‘গণহত্যা দিবস’। জাতি গভীর বেদনায় প্রতিবছর স্মরণ করে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাপুরুষোচিত হামলার শিকার নিরীহ শহীদ আর প্রতিরোধসংগ্রামে আত্মদানকারী বীর যোদ্ধাদের।

    সাতক্ষীরাতে আজ উম্মোচিত হলো সরকারী বয়েস স্কুলের পিছনের বধ্যভুমিতে অস্থায়ী স্মৃতি ফলক। যেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রদ্ধা অর্ঘ নিবেদন করা হয়। সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রথম শ্রদ্ধা জানান।

    উল্লেখ্য, ৭১ এর বধ্যভুমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ হতে দীর্ঘ সময় আন্দোলন করে আসছিল। ৭১ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনও বধ্যভূমি চিহ্নিত করার দাবী জানিয়ে আসছিল।

    ২০১৭ সাল থেকে আজকের দিনটিকে জাতীয় ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনী দানবীয় নিষ্ঠুরতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নাম দিয়ে পাকিস্তানি সেনারা হামলে পড়ে পুরান ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও সংলগ্ন এলাকা, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানা ইপিআর (পরে বিডিআর, বর্তমানে বিজিবি) হেডকোয়ার্টারস ও আশপাশের এলাকায়।

    পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বর গণহত্যার নজির স্থাপন করে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ওই রাতে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার প্রেক্ষাপটে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার প্রত্যয়ে দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিরোধযুদ্ধ। এরপর রাজনৈতিক কর্মী, বাঙালি সেনা আর সাধারণ মানুষের সম্মিলিত স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, বিপুল প্রাণহানি আর ধ্বংসযজ্ঞের পর ১৬ ডিসেম্বর উদিত হয় স্বাধীনতার সূর্য।

  • ২১ মার্চ ১৯৭১

    ২১ মার্চ ১৯৭১

    ২১ মার্চ ১৯৭১: নীতির প্রশ্নে আপস নেই, জানিয়ে দিলেন বঙ্গবন্ধু

    “বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নীতির প্রশ্নে কোনই আপস নাই এবং আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত পরিষ্কার”- একাত্তরের ২১ মার্চ এই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্পষ্ট ঘোষণা।

    অসহযোগ আন্দোলনের ২০তম দিনে বিকালে ধানমণ্ডির বাসভবনে সবমবেত জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, “বুলেট-বেয়োনেট দ্বারা কখনো সাড়ে সাত কোটি বাঙালির দাবিকে স্তব্ধ করা যাবে না।”

    গুজব ও বিভেদসৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে সতর্ক থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়া খানের পঞ্চম দফা বৈঠক হয়। সেটি ছিল অনির্ধারিত বৈঠক। ৭০ মিনিটের ওই বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ।

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত কিছু জানাননি বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, আগের বৈঠকের আলোচনায় উদ্ভূত কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যার জন্য এই বৈঠক।

    এর আগে ধানমণ্ডির বাসভবনে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম কৌঁসুলি এ কে ব্রোহির সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বসেন বঙ্গবন্ধু।

    এদিকে সন্ধ্যায় পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো কড়া সেনা পাহারায় প্রেসিডেন্ট ভবনে যান। সেখানে দুই ঘণ্টার বেশি সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তবে ওই বৈঠক সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা যায়নি।

    ভুট্টোকে বিমানবন্দর থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নিয়ে আসার সময় রাস্তার দুপাশে পথচারীরা ভুট্টো-বিরোধী শ্লোগান দেয়।

    ওইদিন সেনাবাহিনীর লোকেরা হোটেল কর্মচারীদের জামায় কালোব্যাজ ও বাংলার পতাকা খুলে ফেলার জন্য চাপ দেয়। তবে বাঙালি হোটেল কর্মীরা পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, তারা ‘ভাত-পানি’ বন্ধ করে দেবেন। পরে সামরিক কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামলাতে কয়েকজন সামরিক সদস্যকে সরিয়ে নেয়।

    হোটেল লাউঞ্জে অপেক্ষমান সাংবাদিকরা সেদিন ভুট্টোর দেখা পাননি। হোটেলে পৌঁছে ভুট্টো সরাসরি লিফটে চড়েন। সাংবাদিকরা লিফটে উঠতে চাইলে ভুট্টোর প্রহরীরা অস্ত্র উঁচিয়ে বাধা দেয়।

    পরদিন দৈনিক ইত্তেফাক ভুট্টোর ঢাকা সফরের বর্ণনা দিয়ে খবর প্রকাশ করে। শিরোনাম ছিল, ‘হঠ যাও – সব কুছ ঠিক হো যায়ে গা।’

    কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসকে ‘প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের আহ্বান জানায় এবং কর্মসূচি ঘোষণা করে।

    বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ২৩ মার্চের ‘প্রতিরোধ দিবসে’এর কর্মসূচির প্রতি তাদের সমর্থন ঘোষণা করে।

    মগবাজারে মহিলা সংগ্রাম পরিষদের এক সমাবেশে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন বাঙালি সৈনিকদের নিয়ে একটি প্যারা-মিলিটারি বাহিনী গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

    স্বাধীন বাংলাদেশ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ ২৩ মার্চ থেকে পশ্চিম পাকিস্তানি পণ্য বর্জনের সপ্তাহ পালনের ঘোষণা দেয়।

    এদিকে ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বিকালে চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে এক বিশাল জনসভায় বলেন, “আলোচনায় ফল হবে না। এ দেশের হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে চাপরাশি পর্যন্ত যখন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে মানে না, তখন শাসন ক্ষমতা শেখ মুজিবের হাতে দেওয়া উচিত।”

    ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত হওয়ার পর কারফিউ জারি করা হয়েছিল। ২১ মার্চ দুপুর ১২টায় তা ছয় ঘণ্টার জন্য প্রত্যাহার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবার কারফিউ জারি করা হয়।

    তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী ‘৭১ এর দশ মাস’

  • আজ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস

    ন্যাশনাল ডেস্ক :  

    আজ ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ঢাকার উত্তরে জয়দেবপুরে (বর্তমান গাজীপুর) অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।

    ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানাজানি হতেই বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ ও হতাহত হয় অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ।

  • আজ ১৪ মার্চ

    অগ্নিঝরা মার্চ

    অগ্নিঝরা মার্চ

    বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ১৪ মার্চ, ১৯৭১। ঢাকার উত্তাল রাজপথে সেদিন ছিল এক ব্যতিক্রমধর্মী চিত্র। মাঝি, মাল্লারা সব বৈঠা হাতে এদিনে রাজপথে নেমে আসে। সেদিনের রাজপথ ছিল মাঝি,মাল্লাদের দখলে। সামরিক আইনের ১১৫ ধারা জারির প্রতিবাদে সেদিন বেসরকারী কর্মচারীরাও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। একাত্তরের এদিনে ‘ওসান হন্ডুরাস’ নামের সমরাস্ত্রবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের ১০ নম্বর জেটিতে নোঙর করে। বন্দর শ্রমিকদের অসহযোগিতার কারণে সমরাস্ত্র খালাসের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সামরিক জান্তা।

    দেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক অবস্থা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে খ্যাতিমান শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন তাঁর ‘হেলাল ইমতিয়াজ’ খেতাব বর্জন করার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে পড়েছে। এদিন জাতীয় পরিষদ অধিবেশনে যোগদানের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৪ দফা পূর্বশর্ত মেনে নেয়ার দাবিতে রাজধানী ঢাকায় সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় উত্তাল হয় রাজপথ।

    এদিন সকালে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ন্যাপ নেতা খান আবদুল ওয়ালী খান বৈঠকে মিলিত হন। বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদিন নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বসার ব্যাপারে শর্তারোপ করেন।

    তিনি অবশ্য প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি প্রেসিডেন্টের দাবি পূরণের ইচ্ছা নিয়ে আলোচনায় বসতে চান, তা হলে আমি বসতে পারি। তবে বঙ্গবন্ধু দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। কোনভাবেই বৈঠকে তৃতীয় কোন পক্ষ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু।

    অন্যপক্ষে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফা দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। তবে ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে অলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ন্যাপ (ওয়ালী) নেতা খান আবদুল ওয়ালী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরকালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একান্তে আলাপ-আলোচনা করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাঙালীর আন্দোলন এবং তাদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন।

    একাত্তরের রক্তক্ষরা এই দিনে জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান অস্থায়ী সরকার গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে দাবি জানান। এ সময় দেশের পত্রিকাগুলোতেও আন্দোলনকে সমর্থন করে সম্পাদকীয় লেখা চলতে থাকে। এদিন তাজউদ্দীন আহমেদ অসহযোগ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৫ মার্চ পালনে ৩৫টি নতুন নির্দেশনা দেন। এ সময় সমগ্র বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলতে থাকে।

    এই দিনে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে ছাত্র ইউনিয়নের এক সমাবেশ থেকে দেশের ৭ কোটি জনতাকে সৈনিক হিসেবে সংগ্রামে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের (সাবেক শিক্ষামন্ত্রী) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম (সিপিবির সদ্য সাবেক সভাপতি)। একই দিনে শিল্প সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা শিল্প সংগ্রাম গঠন করেন। (সংকলিত)

  • মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা পূর্ণবহালের দাবিতে সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সমাবেশ

    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা পূর্ণবহালের দাবিতে সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সমাবেশ


    প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
    মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা পূর্ণবহালের দাবিতে সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রোববার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ সাতক্ষীরা জেলা কমান্ডের উদ্যোগে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র।
    সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বার।
    সমাবেশ উদ্বোধক এবং সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মো: সোলায়মান মিয়া। প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন মশু, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমীন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবদ্বয় যথাক্রমে সেলিম রেজা, কাজি টিটু, আলমগীর কবির সুমন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সুজন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের জেলা সভাপতি মাহমুদ আলী সুমন, সন্তান সংসদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ আহমেদ, দেবহাটা সভাপতি মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, তালা সভাপতি আসাদুল্লাহ মিঠু, আশাশুনি সভাপতি রাজু আহমেদ পিয়াল, সদরের বৈকারী ইউনিয়ন সভাপতি মেম্বর আব্দুল জলিল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ ও শফিক আহমেদ প্রমুখ।
    বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন আপনারা গর্বিত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান। হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশে আর কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম হবে না। যে সমস্ত মুক্তিযোদ্ধারা এখনো জীবিত আছেন। তারা যেন তাদের যোগ্য সম্মান পান সে বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অতীতে বাংলাদেশে রাজাকারদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা উঠলেও বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজাকারদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আর কখনো রাজাকারদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা দেখতে চায় না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে সেদিন তারা মুুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল বলেই আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। তাদের এ অবদান বাঙালি জাতির স্মৃতিতে চির অম্লান হয়ে থাকবে।
    এর আগে সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানের গণসংগীত পরিবেশন করেন বর্ণমালা একাডেমির শিল্পীরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সংগঠনের জেলা সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এস এম শরিফুজ্জামান শরিফ।

  • ৫ মার্চ ১৯৭১ এ কি ঘটেছিল

    • ৫ম দিনের মত হরতাল পালনকালে সশস্ত্রবাহিনীর গুলিতে টঙ্গী শিল্প এলাকায় জন শ্রমিক শহীদ হন এবং ২৫ জন শ্রমিক আহত হন। চট্টগ্রামে নিহত হন ২২২জন, যশোরে মারা যান ১জন।
    • সন্ধ্যায় সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়, আজ ঢাকায় সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
    • হরতালের পর ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু।
    • ঢাকাসহ সারাদেশে প্রতিবাদ সভা মিছিলের আয়োজন করা হয়।
    • পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা করেন।
    • অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল আসগর খান বিকেলে করাচী থেকে ঢাকায় পৌঁছোন। তিনি রাতে বঙ্গবন্ধুর সাথে ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
    • রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশী বেতারে প্রচারিতশেখ মুজিব জনাব ভুট্টোর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ ভাটোয়ারা করতে রাজি আছেনসংক্রান্ত সংবাদকেঅসদুদ্দেশ্যমূলককল্পনার ফানুসহিসেবে আখ্যায়িত করেন।
    • দুপুরে বায়তুল মোকররম মসজিদের সামনে থেকেবাঁশের লাঠি তৈরী করবাংলাদেশ স্বাধীন করশ্লোগান নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ বিশাল লাঠি মিছিল বের করে।
    • বঙ্গবন্ধুর স্বাধিকার আন্দোলনের আহবানে সাড়া দিয়ে বিকেলে কবি সাহিত্যিক শিক্ষকবৃন্দ মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে আসেন। ছাত্রলীগ ডাকসুর উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের হয়।
    • রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর সিলেটসহ বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে মিলিটারির বুলেটে নিরীহনিরস্ত্র মানুষ, শ্রমিক, কৃষক ছাত্রদের হত্যা করা হচ্ছে। নির্বিচারে নিরস্ত্র মানুষকে এভাবে হত্যা করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ছাড়া আর কিছুই নয়।
    • রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে পিপলস পার্টির প্রধান জেড. . ভুট্টোর আলোচনা বৈঠক শেষে পার্টির মুখপাত্র আবদুল হাফিজ পীরজাদা মন্তব্য করেন, জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত রাখার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত অবাঞ্ছিত এবং আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়
  • ৫ মার্চ ১০৭১


    দেশমাতৃকাকে হানাদারমুক্ত করতে দৃপ্ত শপথে বলিয়ান পুরো বাঙালী জাতি। উনিশ শ’ একাত্তরের মার্চের এই দিনে স্বাধিকার চেতনায় শাণিত আন্দোলনমুখর ছিল বাঙালী জাতি। বাংলাদেশ তখন বিদ্রোহ-বিক্ষোভে টালমাটাল, বীর বাঙালী স্বাধীনতার আকাক্সক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রক্তক্ষরা পহেলা মার্চ ঢাকায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, শহর-বন্দরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অঙ্গুলি হেলনে চলছে সবকিছু। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর কোন নির্দেশই মানেনি মুক্তিপাগল বাঙালী। দেশ স্বাধীন না হলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে যায় বঙ্গবন্ধুর হাতে।
    অগ্নিঝরা মার্চের আজ পঞ্চম দিন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে টানা হরতাল চলছে। অহিংস আন্দোলন ক্রমশ সশস্ত্র প্রতিরোধে রূপ নিতে শুরু করে। দেশের বিভিন্নস্থানে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত করছে বীর বাঙালী। পাক সেনাবাহিনী ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই স্বাধীনতার দাবিতে অগ্নিগর্ভ হতে থাকে পুরো বাংলাদেশ। পাক সামরিক বাহিনীর সামনেই মুক্তিপাগল বাঙালী জাতি প্রকাশ্য রাজপথে “বীর বাঙালী অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো”-স্লোগানে মুখরিত গোটা দেশ।
    উনিশ শ’ একাত্তরের সালের ৫ মার্চের দিনটি কেমন ছিল? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের লেখা বিখ্যাত প্রামাণ্য গ্রন্থ “একাত্তরের দিনগুলি’তে। শহীদ জনননী তাঁর গ্রন্থে একাত্তরের ৫ মার্চ শুক্রবারের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে- “আজও ছ’টা দুটো হরতাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হরতালের দিনগুলোতে বেতন পাওয়ার সুবিধা পাওয়ার জন্য এবং অতি জরুরী কাজকর্ম চালানোর জন্য সরকারী-বেসরকারী সব অফিস দুপুর আড়াইটা থেকে চারটা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। রেশন দোকানও ঐ সময়ে খোলা।
    ব্যাংকও তাই। আড়াইটা চারটার মধ্যে টাকা তোলা যাবে। তবে দেড় হাজার টাকার বেশি নয়। বিকেলে ব্যাংক খোলা- ভাবতে মজাই লাগছে। শেখ মুজিবের একেকটা নির্দেশ সব কেমন ওলটপালট খেয়ে যাচ্ছে।
    জরুরী সার্ভিস হিসেবে হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, এ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তারের গাড়ি, সংবাদপত্র ও তাদের গাড়ি, পানি, বিদ্যুত, টেলিফোন, দমকল, মেথর ও আবর্জনা ফেলা ট্রাক- এগুলোকে হরতাল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আজ মসজিদ ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা।