Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 9 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

    ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে রিসেট বাটন চাপার কথা বলেননি বলে দাবি করেছে তার প্রেস উইং।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

    বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস রিসেট বাটন চাপার কথা বলেছিলেন, কলুষিত রাজনীতি থেকে নতুন যাত্রা বোঝাতে। যে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, কোটি কোটি নাগরিকের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থে এ দুটি শব্দ ব্যবহার করেননি তিনি।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আপনি যখন রিসেট বাটন চাপবেন তখন আপনার সফটওয়্যারটি পুনরায় সচল হবে। এটি হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করে না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার। সেটা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কিছু মানুষ ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারের ভুল ব্যাখ্যা করছে।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে গত ৮ আগস্ট ঢাকায় আসার পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান ছিল আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ।

    বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ নাগরিক কমিটি গঠন করেন এবং মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা চালান। তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেন।

  • বন্যার্তদের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে কানাডায় চার ব্যান্ডের কনসার্ট

    বন্যার্তদের আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে কানাডায় চার ব্যান্ডের কনসার্ট

    গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজানের বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসহায় মানুষদের সাহায্যার্থে ও পুনর্বাসন সহায়তার লক্ষ্যে কানাডার অটোয়াভিত্তিক জনপ্রিয় চারটি ব্যান্ড এক সঙ্গে মঞ্চ মাতালেন। এ সহায়তার লক্ষ্যে তারা কানাডাস্থ অটোয়ার আলগনকুইন কমন্স থিয়েটারে শনিবার (৫ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় “অপার্থিবের আবছা নীল কণা –লাইভ” শীর্ষক এক কনসার্টের আয়োজন করে। এতে কানাডিয়ান অটোয়াভিত্তিক ব্যান্ড অপার্থিব, বিদ্রোহী, গহীন ও ম্যান অন বাইক অংশ নেয়।কনসার্ট থেকে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের দাতা সহায়তা সংস্থা অংকুর ইন্টারন্যাশনাল  বিতরণ করবে। কনসার্টের সহযোগী হিসেবে ছিল মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠান ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’।

    মিউজিশিয়ানদের স্বেচ্ছাসেবি প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, এ কনসার্টের মত আরও বেশ কয়েকটি কনসার্টের আয়োজন করা হয় ইতিপূর্বে । কনসার্ট ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দাতা সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলেও তারা জানান।

    এ কনসার্টের মূল উদ্যোক্তা বাংলা সিম্ফোনিক মেটাল ব্যান্ড অপার্থিবের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকালিস্ট সালেহিন চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান কনসার্টের উপার্জিত আয়ের একটি অংশ ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসার জন্যও ব্যায় করা হবে।

    তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমরা সঙ্গীতের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আরও সহায়তার হাত বৃদ্ধি করতে চাই।

    তিনি জানান, কনসার্টে এ ব্যান্ডের নতুন অ্যালবাম “আবছা নীল কণা” উন্মোচনও করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সকল ভেন্যু এবং টেকনিক্যাল খরচ বহন করেছে প্রিন্স মর্টগেজ টিম ডমিনিয়ন লেন্ডিং সেন্টারস ন্যাশনাল।

    এ সময় অপার্থিব তাদের জনপ্রিয় গান “বাঙাল,” “রূপকথা,” “সাগরের প্রণয়,” “তুমি নেই,” এবং “যোদ্ধা” সহ তাদের সম্পূর্ণ অ্যালবামের গান পরিবেশন করে বলেও তিনি জানান।

    তাদের গভীর লিরিক, মেটাল রিদম, অর্কেস্ট্রা আর কোয়ের-এর মিশ্রণ দর্শকদের পুরো কনসার্টের সময় জুড়ে সুরের জগতে নিয়ে যেতে পেড়েছিল বলে ব্যান্ডের সদস্যরা দাবি করেন।

  • সরকারি হিসাবে ডিমের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ৩০ শতাংশ বেশি

    সরকারি হিসাবে দেশে বছরে ডিমের উৎপাদন হয় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ পিস। এর বিপরীতে চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ৮০৯ কোটি ৬০ লাখ পিস। এ হিসাবে চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকছে ৩০ শতাংশ। অথচ ব্যবসায়ীরা উৎপাদনের সংকট দেখিয়ে প্রতিদিনই বাড়াচ্ছেন ডিমের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। খোলাবাজারে এখন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।

    প্রান্তিক খামারিদের অভিযোগ, দেশের পোলট্রি পণ্যের বাজারের সিংহভাগই বড় কয়েকটি কোম্পানির দখলে। তারাই মূলত বাজারের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে। অথচ বেশি দামে ডিম বিক্রি হলেও প্রান্তিক খামারিরা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। 

    রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল ফার্মের ডিমের হালি বিক্রি হয় ৫৮-৬০ টাকা করে। যদিও সরকার নির্ধারিত দামে নিত্যপণ্যটি সর্বোচ্চ দাম হওয়ার কথা ৪৮ টাকা। গত সপ্তাহেও এসব ডিমের হালি ছিল ৫৫ টাকা করে

    বিশ্লেষকরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও দাম বাড়ছে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়া গেলে দাম কমিয়ে আনা সম্ভব। আবার সবজি, মাছ ও মাংসের দাম বাড়ার প্রভাব ডিমের ওপর পড়েছে বলেও মনে করেন তারা। মৌসুমগত কারণেই এখন ডিমের চাহিদা বেশি। আর এ সুযোগে ছয়-সাতবার হাতবদল হওয়ায় উত্তপ্ত হচ্ছে ডিমের বাজার।

    কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সরকার চুপ থাকায় ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে বাজার অস্থির করছেন। নতুন সরকারের প্রথম দুই সপ্তাহে অবশ্য দাম বাড়েনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাজারে কোনো পদক্ষেপ না থাকায় দাম বাড়তে থাকে।’

    দেশে বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও চার কোটি পিস উৎপাদন হচ্ছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা। অথচ সরকারি হিসাবে উৎপাদন হচ্ছে চাহিদার চেয়েও বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ডিমের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৮০৯ কোটি ৬০ লাখ পিস। বিপরীতে উৎপাদিত হয় ২ হাজার ৩৭৪ কোটি ৯৭ লাখ। উদ্বৃত্ত থাকে ৫৬৫ কোটি ৩৭ লাখ পিস ডিম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাহিদা ছিল ১ হাজার ৮০৬ কোটি ৪৮ লাখ, উৎপাদিত হয়েছে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ৬৩ লাখ পিস। সে হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৫৩১ কোটি ১৫ লাখ পিস।

    এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) উদ্বৃত্ত থাকে ৫৭৬ কোটি ৬৭ লাখ পিস, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৯১ কোটি ৭২ লাখ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত ছিল ৩ কোটি ৭৯ লাখ পিস ডিম। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরেই চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন বেশি।

    চাহিদার তুলনায় বেশি উৎপাদন হলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন প্রান্তিক খামারিরা। এক্ষেত্রে বড় কয়েকটি গ্রুপের দায় দেখছেন তারা। পাশাপাশি তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি থেকে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘দিনে চার কোটি ডিমের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় সাড়ে চার কোটি পিস। কিন্তু বড় করপোরেট কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করছে। তেজগাঁও ডিম সমিতি মেসেজের মাধ্যমে সারা দেশে দাম নিয়ন্ত্রণ করছে। মুরগির ফিড ও একদিনের মুরগির দামও নিয়ন্ত্রণ করছে তারা। ফলে ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। তাই ডিমের দাম কমাতে হলে সবার আগে এ সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’

    ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করছে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। এ বিষয়ে সংগঠনটির সভাপতি আমান উল্লাহ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের তেজগাঁও থেকে দিনে মাত্র ১৪-১৫ লাখ ডিম সরবরাহ করা হয়। কাজেই এখান থেকে দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই। আমরা মেসেজের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করি না। কেউ এমনটা করে থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।’

    দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘এখন বৃষ্টির সময়, এ সময় ডিমের চাহিদা এমনিতেই বেশি থাকে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির কারণে অনেকে ফার্ম থেকে ডিম সরবরাহ করতে পারেননি। তবে আগামী দু-এক মাসে বাজারে শীতের সবজি এলে ডিমের দাম কমে আসবে।’

    চাহিদার তুলনায় গত কয়েক অর্থবছরে বেশি উৎপাদন হওয়ার পরও দিন দিন বেড়েছে ডিমের দাম। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক খুচরা বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালের বাজারে ডিম বিক্রি হয়েছে ২৭ থেকে ৩০ টাকা হালি। ২০২২ সালের মে মাসে এসে হালিপ্রতি দাম দাঁড়ায় ৩৭ থেকে ৪২ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বরের বাজারমূল্যের তালিকায় দেখা যায়, প্রতি হালি ডিম ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হয়, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।

    গত বছরের মে মাসের বাজারমূল্যে দেখা যায়, হালিপ্রতি ডিমের বাজারদর বাড়ে আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই সময় বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছিল ৪৭ থেকে ৫০ টাকা দরে। আর অক্টোবরে গিয়ে এ দাম আরো বেড়ে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। বর্তমানে ফার্মের ডিমের হালি ৬০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

    চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও দাম নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার পেছনে বাজার ব্যবস্থাপনার বড় সমস্যা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মনিটরিং জোরদারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বাপন দে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রতি পিস ডিমে নির্ধারিত দামের চেয়ে ৩-৪ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। কারণ বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিক না। ছয়-সাতবার ডিম হাতবদল হচ্ছে। আর প্রতিজনই লাভ নিচ্ছেন। ফলে উৎপাদনকারী কম লাভ পাচ্ছেন, কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাজার মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন। তবে মাছ-মাংস ও সবজির দাম বাড়ার প্রভাবও কিছুটা পড়েছে ডিমের ওপর। আর চাহিদা বাড়লে ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবণতাও বেড়ে যায়।’

    ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে বন্যাকে সামনে আনছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক এ বন্যা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বন্যায় দেশে ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষতির মধ্যে পোলট্রি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল মাত্র ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকরাও বলছেন, বন্যায় পোলট্রি খাতের কিছুটা ক্ষতি হলেও তা সারা দেশে প্রভাব ফেলার মতো ছিল না।

    ডিমের বাজার অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার পেছনে কাজী ফার্মস পোলট্রি ফিড অ্যান্ড হ্যাচারিসহ বড় কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয় বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। কিন্তু করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে দায়ী করা হয় ‘ভুল’ সরকারি পরিসংখ্যান এবং সরবরাহ সংকটকে। এ বিষয়ে কাজী ফার্মস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ডিম নিয়ে সরকারি হিসাব সম্পূর্ণ ভুল। সরকারি সংস্থা বা সরকার যখন উৎপাদন দেখায় তখন সবসময় বেশি বেশি দেখায়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও দেখা যায় উৎপাদন বেশি, তার পরও দেখা যায় দেশে নেই বলে আমদানি করতে হয়। তখন বলা হয়, পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে ডিমের দৈনিক উৎপাদন সাড়ে তিন কোটির মতো। সারা দেশে একসময় দৈনিক সাড়ে পাঁচ কোটির মতো উৎপাদন হয়েছে। সেটা দিয়ে আমাদের চাহিদা মেটানো গেছে। প্রায় পাঁচ কোটি সবসময়ই উৎপাদন হতো, কিন্তু এখন এটা সাড়ে তিন কোটি। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।’

    সরবরাহ সংকটের কোনো খবর অবশ্য সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে নেই। সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তখনো সংস্থাটির কাছে দেশে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদন বেশি থাকার তথ্য ছিল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

    বাজারে ডিমের যৌক্তিক দর নির্ধারণের কাজটি সম্পাদন করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় উৎপাদনের কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে করি না। চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য নিয়েই আমরা দাম নির্ধারণ করেছি। তবে দাম কেন মানা হচ্ছে না তা জানার জন্য মঙ্গলবার (আজ) আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব। এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিশেষ যৌথ টিম গঠন করা হয়েছে, যেখানে ভোক্তা অধিকার ও আমাদের লোকজনও থাকবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বাজারে তারা মনিটরিংয়ের কাজ করবে।’

    বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে ইলিশের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এখন ডিমের বাজারও বেসামাল। একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম আমিষ থাকে। যার বাজারমূল্য গতকাল ছিল ১৪-১৫ টাকা। ফলে সাধারণ মানুষের আমিষের জোগানেও টান লেগেছে।

    এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরে তাকে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও সাড়া দেননি।

  • পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন হপফিল্ড ও হিন্টন

    পদার্থবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টন। হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের এবং হিন্টন ব্রিটিশ-কানাডীয় নাগরিক

    রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জানিয়েছে যে, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিংকে সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে মৌলিক আবিষ্কার এবং উদ্ভাবনের জন্য ২০২৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে জন জে. হপফিল্ড এবং জিওফ্রে ই. হিন্টনকে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    মশাল ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রে হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপি সংসদ সদস্য নিতেশ নারায়ণ কর্তৃক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার বেলা ১১.৩০ মিনিটে মাদ্রাসা চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড়ে এসে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশটি শেষ হয়।প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মুহাঃ আখতারুজ্জামান। প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষকদের থেকে বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার দ্বিতীয়  মুহাদ্দিস মোঃ মোস্তফা শামছুজ্জামান এবং সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ও আরবি প্রভাষক রায়হানুল কবির। ছাত্রদের থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ মাসুদ রানা, জুবায়ের আহমেদ  প্রমুখ।
    এ সময় বক্তারা হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপির সাংসদ নীতেশ নারায়ণকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে ও ভারত সরকারকে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণে কূটনৈতিকভাবে আবেদনের আহ্বান জানান।
  • লাইফ সাপোর্টে আছেন স্বামী, যা জানালেন তনি

    লাইফ সাপোর্টে আছেন স্বামী, যা জানালেন তনি

    বিনোদন ডেস্ক:
    নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনি। সেই সঙ্গে তিনি ইনফ্লুয়েন্সার। তনির স্বামী একজন সফল ব্যবসায়ী। যদিও এ দুজনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই কটাক্ষের মুখে পড়েন এ নারী উদ্যোক্তা। এসবের জবাবও দেন তিনি। শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরে সব ঠিক করে নেন তিনি।

    তারপরও তাদের দুজনের অসম বয়সের ব্যবধানের কারণে সামাজিকমাধ্যমে নেটিজেনদের সমালোচিত হন তনি। এ মুহূর্তে তার স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন অসুস্থ হয়ে লাইফ সাপোর্টে ভর্তি আছেন । গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তনি।

    তিনি পোস্টে লিখেছেন— আমার হাসবেন্ডের আপডেট- এখনো তেমন রেসপন্স করছে না। আজকে সকালে আমি অনেকবার ডেকেছি চোখ খুলে নাই। লাইফ সাপোর্টে আছে, চিকিৎসকরা চেষ্টা করছেন। একটু স্টেবল হলে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা চলছে। তনি আরও বলেন, আমি হাসপাতালে আছি। সানভী সারফারাজ বাসায় আমার মায়ের সঙ্গে আছে। সারফারাজ কিছুই বোঝে না ছোট বাচ্চা, সে শুধু এতটুকু ফিল করতে পেরেছে তার ড্যাডির কিছু হয়েছে, ছেলেটারও জ্বর।

    সবশেষে তনি বলেন, আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী যারা আমার হাসবেন্ডের খবর নিতে কল বা টেক্সট দিচ্ছেন, সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি কথা বলার মতো মানসিক অবস্থাতে নেই। আল্লাহ ছাড়া এই বিপদ থেকে কেউ উদ্ধার করতে পারবে না, সবাই আমাদের সব ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আমার হাসবেন্ডের জন্য দোয়া করবেন।

  • আশাশুনিতে প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের বর্ধিত সভা

    আশাশুনিতে প্রতাপনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার বিকালে প্রতানগর ইউনাইটেড একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা হেলালুজ্জামান।
    প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতাপনগর বিএনপির আহ্বায়ক স ম আখতারুজ্জামান।
    যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান, মোঃ কারিমুজ্জামান, গাজী ইমদাদুল হক, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর আলম, বারবার কারাবরণকারি কৃষক দলের সভাপতি মনিরুজ্জামান ছট্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছাদেক হোসেন, যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাষ্টার আলমগীর হোসেন, মৎস্যজীবি দলের নুরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়ারাজ হোসেন, সদস্য রিয়াজ হোসেন ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রিপন হোসেন।
    বক্তারা দলীয় দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালি করার আহ্বান জানান।
  • রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাইলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ

    রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিতকরণ, নতুন সংবিধান গঠন, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তন, হাসিনার আমলে করা সকল অবৈধ চুক্তি বাতিল এবং চুপ্পুকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।’

    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।  পোস্টে, আওয়ামী লীগের বিচার ও দুর্নীতিবাজ আমলাদের পরিবর্তনসহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

    এর আগে গেল ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকেই প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে রদবদল চলছে।

  • সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কার্যকর ও দেবহাটার ভূমিহীনদের জীবনের নিরাপত্তাসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভূমিহীনদের বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ

    মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা জারির আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খলিষাখালির ১৩১৮ বিঘা লাওয়ারিশ সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা, সেখানে বসবাসরত ভূমিহীনদের উপর দফায় দফায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও বোমা সন্ত্রাস চালিয়ে নির্যাতন ও আট শতাধিক ঘর ভূমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টা ঘটনায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে খলিষাখালি ভূমিহীন আবাসন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
    স্মারকলিপিতে খলিষাখালি ভূমিহীন আবাসন কেন্দ্রের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে, ১৯৫৫ সালে দেবহাটার চ-ীচরণ ঘোষ ও তাদের ওয়ারেশদের ফেলে যাওয়া এক হাজার ৩১৮ বিঘা জমি জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে দেবহাটার শিমুলিয়ার সুরুজ কাজী, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম, সখীপুরের আব্দুল আজিজ, আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা ইকবাল মাসুদসহ শতাধিক ব্যক্তি ভোগ দখল করে আসছিলো। ওই জমি সরকারি খাস জমি হিসেবে গণ্য করার জন্য দেবহাটার মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী ২০১০ সালে আদালতে মামলা করেন। ২০১২ সালে ওই জমি লাওয়ারিশ জমি হিসেবে আদালত রায় দেয়। জমির মালিক দাবিদাররা নিম্ন আদালতের রায় এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২১ সালে নি¤œ আদালতের রায় বহাল রাখেন। এরপর ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সাপমারা খালের দুই পাশ থেকে উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনসহ বিভিন্ন এলাকার আট শতাধিক ভূমিহীন পরিবারে সেখানে খুপড়ি খুপড়ি ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করে। এ ঘটনায় স্বত্বহীন জমির মালিকরা ভূমিহীনদের নামে ১৯টি মিথ্যা মামলা করে। ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু করলে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন। স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২১ সালের তৎকালিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে ম্যানেজ করে ওই সব ভূমিদস্যুরা খলিষাখালিতে বসবাসরত ৭৮৫টি ভূমিহীন পরিবারের ঘর জ্বালিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি স্বত্বহীন জমির মালিকদের সিভিল রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি ওই জমি লাওয়ারিশ হিসেবে গণ্য করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খাস করার জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরও ওইসব স্বত্বহীন জমির মালিকরা সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম (মাছ), নওয়াপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবুসহ কয়েকজনের কাছে লিজ দেওয়ার নামে দলভারি করে লুটপাট করে খাচ্ছেন। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য তালার মাছিহারার রুহুল আমিনের ছেলে পাখরা হালিম, চিংড়িখালির শহীদুল, রবিউল (বুল্লা), কাশিবাটি ও ইন্দ্রনগরের সেকেন্দার, শওকত, মুর্শিদ, শাহীনুর, চালতেতলার নূর আলী, নূর আলীর ভাই আদর আলী, সদরের এল্লার চরের সেন্টুর ছেলে আব্বাস, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কৃষ্ণনগরের ইয়ার আলী, বাহার আলী, জহুর আলীসহ কমপক্ষে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বন্দুক, সটগান, পিস্তল ও বোমা নিয়ে গত ১৪ আগষ্ট ও ২৩ আগষ্ট খলিষাখালিতে দু’ দফা হামলা চালায়। এতে আল আমিন ও মনিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। সাইফুল ইসলামসহ কমপক্ষে ২০ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়।নোড়ার চকের বৃদ্ধ আবুল হোসেনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শেষে দুই হাত ভেঙে দিয়ে তাকেসহ খলিষাখালি চরপাটার আইয়ুব আলীর ছেলে রবিউল, হামিজউদ্দিনের ছেলে জব্বার, আনিসুরের ছেলে আবু সাঈদকে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যান আরিজুলের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলাকারিাদের ভয়ে নির্যাতিতদের কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পারলেও পুলিশকে ম্যানেজ করে হামলাকারিরা ভূমিহীনদের নামে তিনটি মামলা করেছে। বর্তামানে শতাধিক ভূমিহীন পরিবার বাড়ি ছাড়া। এরপর ও আইডিয়ালের নজরুলসহ কয়েকজন গত বুধবার আইডিয়াল কার্যালয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ডেকে সংবাদ সস্মেলন করে ওই জমি তাদের মাইলকানাধীন দাবি করে বিএনপি নেতা নলতা ইউপি চেয়ারম্যানকে ৭০০ বিঘাসহ বাকী জমি আনারুল ইসলা (মাছ) ও মিলন বাবুর কাছে লীজ দিয়েছেন দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। স্মারকলিপিতে সুপ্রিম কোর্টের চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারির আদেশ দ্রুত বাস্তাবায়নসহ ভূমিহীনদের জীবনের নিরাপত্তা ও হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ ও পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে ঘটনার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

  • সাতক্ষীরায় এফডিইবি’র প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 

    শহর প্রতিনিধি:”সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ” স্লোগানে   সাতক্ষীরায় ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়াম এ প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
    ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ’র সভাপতিত্বে ও কল্লোল আহমেদ’র সঞ্চালন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবি সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান,এফডিইবি পেশাজীবী উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপদেষ্টা মাওলানা আজিজুর রহমান,এফডিইবির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর, এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
    প্রতিনিধি সম্মেলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ  ও কল্লোল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদককরে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি মীর আহসান হাবিব ও মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ফারুক ও আজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুর জাম্মান খালিদ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক দেছের আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসউদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাসিমসহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    শহর প্রতিনিধি:”সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ” স্লোগানে   সাতক্ষীরায় ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়াম এ প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
    ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ’র সভাপতিত্বে ও কল্লোল আহমেদ’র সঞ্চালন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবি সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান,এফডিইবি পেশাজীবী উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপদেষ্টা মাওলানা আজিজুর রহমান,এফডিইবির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর, এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
    প্রতিনিধি সম্মেলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ  ও কল্লোল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদককরে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি মীর আহসান হাবিব ও মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ফারুক ও আজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুর জাম্মান খালিদ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক দেছের আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসউদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাসিমসহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
  • কোন মানব রচিত মতবাদ দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে না-সাতক্ষীরায় জামায়াতের নায়েবে আমীর  মজিবুর রহমান

    কোন মানব রচিত মতবাদ দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে না-সাতক্ষীরায় জামায়াতের নায়েবে আমীর  মজিবুর রহমান

    দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের অতি দ্রুত  চিহ্নিত করতে হবে-সাতক্ষীরায় জামায়াতের নায়েবে আমীর  মজিবুর রহমান
    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এম পি  অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আমরা অতিতে  অনেক সরকার দেখেছি, অনেকে বিভিন্ন সংস্কার করেছেন, বিভিন্ন কর্মসূচি  নিয়েছেন, কিন্তু কোন কর্মসূচি মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি। আমারা বিশ্বাস করি,মানব রচিত মতবাদ ভূলে ভরা। এটা একটা ভূল মতবাদ। যতদিন এই মতবাদ নিয়ে যারা আন্দোলন করবে, বাজনীতি করবে,  তাদের দ্বারা দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা কিছুতেই সম্ভব হবেনা। আল্লার সে মতবাদ, আল্লাহর দ্বীন  এটাই ইসলাম, এটাই হক, এটিই সঠিক,কোন ভুল এখানে নাই। এই নির্ভুল জীবন বিধান ইসলামী আইন যতদিন কায়েম না হবে ততদিন পর্যন্ত এ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। বাংলাদেশ  জামায়াতে ইসলামী,
     ইসলামী ছাত্র শিবির, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশানসহ আরো যারা কুরআনের আইন চাই তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাঁসি ফুটাতে হলে মানব রচিত মতবাদকে বাংলাদেশে জায়গা দেওয়া যাবে না। আমরা কুরআন, সুন্নার আইন বাংলাদেশে কায়েম  করবো ইনশাল্লাহ। প্রয়োজনে আমাদের জীবন শহীদ হয়ে যাবে,তবু  এদেশে কুরআন সুন্নার আইন চালু হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, বিগত জালিম সরকার সকল বিভাগে এমনকি মসজিদ কমিটিতে তাদের লোক বসিয়ে রেখেছে, এখন থেকে যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে তাদেরকে আপনারা মসজিদ কমিটির সভাপতি করবেন। তিনি বর্তমান উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের অতি দ্রুত  চিহ্নিত করতে হবে। এবং সেখানে সৎ ও দেশপ্রেমিক জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
    শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর )দুপুর ১২ টার দিকে   আল আমিন ট্রাস্টে সাবেক এমপি কাজী শামসুর রহমান অডিটোরিয়ামে রুকনদের নিয়ে দিন ব্যাপি শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

     জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির হাফেজ মাওলানা মুফতি  মুহাদ্দিস রবিউল বাশার’র সভাপতিত্বে

    ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি  হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।

    সেক্রটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত রুকন শিক্ষা  শিবিরে উপস্থিত ছিলেন  সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, শেখ নুরুল হুদা,সহকারী সেক্রেটারী প্রফেসর ওবায়দুল্লাহ,প্রফেসর ওমর ফারুক, মাহবুবল আলম, জেলা কর্মপরিষদের এ্যাড.আব্দুস সুবহান মুকুল,ডা.মাহমুদুল হক, জামশেদ আলম, অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিন, মাওলানা ওসমান গনি, অধ্যাপক আব্দুল ওয়ারেছ, শহর আমির জাহিদুল ইসলাম, সেক্রটারী খোরশেদ আলম,সহকারী সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, সদর আমীর মাওলানা শাহাদাত হোসেন, শহর ছাত্র শিবিরে  সভাপতি আল মামুন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমামুল হোসেন, ছাত্র নেতা হাবিবুর রহমান, আবু তালেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দী প্রায় ২০০ পরিবার 

    আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দী প্রায় ২০০ পরিবার 

    আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি খালে নেটপাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত করায় মাড়িয়ালা ও হাজরাখালি গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ পরিবারের রান্নাঘর ও লেট্রিন পানিতে ডুবে থাকায় এসব পরিবারের সদস্যদের দিন কাটছে চরম মানবেতর ভাবে। চারিদিকে থৈ থৈ পানিতে শিশুদের নিয়ে মায়েরা পড়েছে চরম বিপাকে। চোখের আড়াল হলেই ঘটতে পারে মর্মান্তিক কোন দুর্ঘটনা।
    হাজরাখালি গ্রামের মৃত বাবর আলী সানার ছেলে রেজাউল করিম, নওশের আলী গাজী, ইদ্রিস গাজী, আব্দুল মান্নান, আবুল কাসেম, আতিয়ার গাজী, গফফার সরদার, সিদ্দিক সরদার, রহিম জোয়ার্দার, রেজাউল জোয়ার্দার, করিম জোয়ার্দার সহ ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২০ সালে প্রলয়ংকরি আম্ফানে হাজরাখালি খেয়াঘাট সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দীর্ঘ দিন জোয়ার ভাটার স্রোতে হাজরাখালি ও মাড়িয়ালা গ্রামের শতাধিক বসত ঘরবাড়ি ভেঙে প্রায় দুই শত বিঘা জমি খালে পরিণত হয়। বিগত ৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত এ সব জমিতে স্থানীয় অসহায় লোকজন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। খালে কোন নেটপাটা না থাকায় পার্শ্ববর্তী জনৈক মিজান সাহেবের কলগৈ দিয়ে সহজেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হয়ে যেতো।
    গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বকচর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন কয়েকজন জমির মালিকের কাছ থেকে ৩০ বিঘা খাল শ্রেণীর জমি ডিড নিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমি আটকে রেখেছেন। ২০ দিন আগে তিনি বাসা তৈরি করে এবং খালে নেটপাটা দিয়ে পানি নিস্কাশন ব্যহত করে চলেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তার লোকজন খাল দখলে এলে গ্রামবাসীর সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক মহিলার সাথে কথা বললে তারা জানান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় লেট্রিন ও রান্নাঘর ডুবে আছে। রান্না খাওয়ার মতো বাথরুমে যেতেও সমস্যা হচ্ছে। চারিদিকে থৈ থৈ পানিতে বাচ্চাদের কোল থেকে নামিয়ে রাখতে সাহস পাচ্ছিনা। এর মধ্যে কেউ যদি খাল হয়ে যাওয়া বসত ভিটার পাশে ঘের করে তাহলে নিরাপত্তা বলতে কিছুই থাকবে না। তাই আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বহিরাগতরা যাতে ঘের না করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৯৫ বিঘা জমির মালিক বিগত ৪ বছর ধরে জমি থেকে একটি টাকাও না পেয়ে আমার কাছে মৎস্য ঘের করার প্রস্তাব দিলে একাধিক জমির মালিকের কাছ থেকে আমি প্রায় ৭৫ বিঘা জমি ডিড নিয়ে মৎস্য ঘের করার প্রস্তুতি নিয়েছি। বাকিদের সাথে ডিড গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ২০ দিন আগে একটি বাসা নির্মাণ করে নেটপাটা দিয়েছি। পানি নিস্কাশনের দায়িত্ব মসজিদ কমিটির উপর ন্যাস্ত। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সব গ্রামের মতো হাজরাখালি ও মাড়িয়ালা গ্রামের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। একটি মহল প্রকৃত জমির মালিকদের বিগত ৪ বছরের মতো ক্ষতিগ্রস্ত করতে এলাকার সাধারণ মানুষকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
  • অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মির্জা ফখরুল

    অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মির্জা ফখরুল

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে বলা হচ্ছে, নতুন দল তৈরি করতে হবে। নতুন দল তৈরি করার কথা বললে জনগণ কীভাবে বুঝবে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?

    ‘দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট: উচ্চকক্ষের গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

    সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে সুযোগ তৈরি করেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আমাদের ব্যবস্থাকে জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে নিয়ে আসার। সেটা কি নস্যাৎ করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে? যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে যখন বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। যদি বলেন, নতুন দল তৈরি করতে হবে, তাহলে জনগণ কী করে বুঝবে যে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?’

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেশ কিছু গোষ্ঠী বলতে শুরু করেছে যে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালে জন্য রাখা হোক। সমস্ত সংস্কার তারাই করুক। যে কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। সে জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।

    বিএনপির নেতা-কর্মীদের সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসনকে সহায়তাকারীরা এখনো প্রশাসনে রয়ে গেছেন, তাঁদের অপসারণ করতে হবে।

    আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে। তবে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে তাতে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান সংস্কার ও শাসনব্যবস্থা মেরামত করতে হবে। যারা হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা করা যাবে না। বিচার করতে হবে।

    রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করতে হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। কোনটা আগে শুরু করা হবে, সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং তা কীভাবে টেকসই যায়, তা ভাবতে হবে। কারণ, অর্জন করলেও তা টিকিয়ে রাখা যায় না। যে সংস্কার না করলে এই আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনার করা দরকার।

    এ সময় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও কে এম জাবির।

  • মেট্রোর দুই স্টেশন ১৩৮ কোটিতেই সংস্কার

    মেট্রোর দুই স্টেশন ১৩৮ কোটিতেই সংস্কার

    চলতি বছরের ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেলের স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। সংস্কার করে বন্ধ থাকা স্টেশন দুটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই উদ্যোগের ফলে আপাতত কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে পারে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। আর মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হতে আরও কয়েকমাস সময় লাগবে।

    ওই ঘটনার পর তখন ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন সংস্কার করে চালু করতে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো খরচ করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দুটি স্টেশনের জন্য ১৩৮ কোটি টাকার বেশি লাগবে না।

    এছাড়া সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতে পারে মেট্রোরেল। এটি শুরু হলো দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল সপ্তাহে সাতদিনই চলাচল করবে।

    সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, মেট্রোরেল আগামী ২০ তারিখে (শুক্রবার) চলবে এটা এখনো নিশ্চিত না। যদি সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে ১৮ তারিখ (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হবে। আমাদের প্রস্তুতি আছে শুক্রবারে মেট্রোরেল চালানোর ঘোষণা এবং কাজীপাড়া স্টেশন চালু করার বিষয়টি। কিন্তু এখনো তারিখ ঠিক বলতে পারছি না।

    তিনি বলেন, নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজীপাড়ায় এই মুহূর্তে শেষ সময়ের কাজগুলো চলছে। আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি চলছে। গতকালকে আমাদের ফাইনাল টেস্টিং হয়েছে, সেটা আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ক্লিয়ারেন্স আমরা সব পক্ষ থেকে পেয়েছি। টুকটাক কিছু বিষয় আছে সেগুলোর কাজ চলছে এই মুহূর্তে। এটাও সর্বোচ্চ ১৮ তারিখের মধ্যে হয়ে যাবে।

  • ১৫ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৬ জনের 

    ১৫ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৬ জনের 

    ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে আরও ২৬ জনের। এই নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে। এর মধ্যে চলতি মাসের ১৫ দিনেই মারা গেছেন ৬ জন।

    সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মৃত ওই নারীর নাম মেরিনা আক্তার মুক্তা (৪৬)। শনিবার ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন এ রোগী। ওইদিনই রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মেরিনা আক্তার মুক্তার ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রোম (এআরডিএস) এবং হাইপোভোলেমিক শক এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের ও হাইপারটেনশন’র তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২ জন সীতাকুণ্ডের বিআইটিআইডি হাসপাতালে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, ১ জন চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ও ৮ জন নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছরে চট্টগ্রামে মোট ৮২৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৭ জন মহানগরে এবং ৩৬১ জন উপজেলায়।

    চলতি সেপ্টেম্বরের ১৫ দিনে ২৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ৬৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৫ জন, মার্চে ২৮ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ১৭ জন, জুনে ৪১ জন এবং জুলাইয়ে ১৯৮ জন ও আগস্টে ২০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে মারা গেছেন ১১ জন। এদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৭ জন নারী এবং ২ শিশু রয়েছে।

    উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ২০২১ সালে ২৭১ জন, ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন এবং ২০২৩ সালে ১৪ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২১ সালে ৫ জন, ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২৩ সালে ১০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা যান।

  • দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

    দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

    লঙ্কায় বাংলাদেশের জয়রথ চলছেই। জয়ের হ্যাটট্রিকে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল সফরকারী মেয়েরা। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা নারী ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট, দ্বিতীয়টিতে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়ের পর সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ১০ রানে জিতেছে রাবেয়া খানরা।

    আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। কাগজে-কলমে ‘এ’ দলের সিরিজ হলেও আসন্ন নারী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারকে নিয়েই শ্রীলঙ্কা সফরে খেলছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়াও আছেন অভিজ্ঞ জাহানারা ও শামীমা সুলতানারাও।

    আজ (রোববার) সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৯৭ রানের স্বল্প পুঁজি গড়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিক মেয়েরা।

    টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনটা ভালো যায়নি টাইগ্রেস ব্যাটারদের। স্বাগতিক দলের বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে সফরকারী মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেছেন দিলারা আক্তার।

    দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে থাকা লঙ্কান মেয়েদের সামনে সিরিজ বাঁচানোর দারুণ সুযোগ ছিল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় তারাও বেশিদূর এগোতে পারেনি। ৮ উইকেটে ৮৭ রানে থেমে গেছে তাদের ইনিংস। ১০ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। ১৭ সেপ্টেম্বর চতুর্থ ম্যাচ থ্রুস্টান এবং ১৯ সেপ্টেম্বর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি কল্টসে।

  • পাইকগাছায় উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপির এক প্রস্তুতি সভা শুক্রবার সকালে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌর বিএনপির আহবায়ক সেলিম রেজা লাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ। বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা মোড়ল, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, বিএনপি নেতা প্রণব কান্তি মন্ডল,  শেখ আসাদুজ্জামান ময়না, মাষ্টার বাবর আলী গোলদার, নাজির আহমেদ, মুছা সরদার, আসাদুজ্জামান খোকন, লক্ষ্মী রাণী গোলদার, এড. সুমন আহমেদ, সরদার ফারুক আহমেদ, মুনসুর আলী গাজী, তোফাজ্জেল সরদার, মোস্তাকিম গাজী, শাহীন হোসেন, আজহারুল ইসলাম, সাবিনা আখতার, মাজেদা পারভীন, যুবদল নেতা শহিদুর রহমান, বিএম আকিজ উদ্দিন, শামসুজ্জামান জামান, মোহর আলী গোলদার, মুজিবর রহমান, রফিকুল ইসলাম, রুবেল সরদার, মোশাররফ হোসেন, মিলন, সালাম, লুৎফর রহমান, কাজী মুজিবর রহমান, ছাত্রদল নেতা ওবায়দুল্লাহ সরদার, রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।
  • ১৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী

    sharethis sharing button সংগৃহীত ছবি

    দেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে।

    আর আগামী সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

    বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়গুলো, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।

    সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মুঃ মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।