Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 72 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • রূপান্তরের কনসালট্যান্ট  জহুরুলের রোগমুক্তি কামনা

    রূপান্তরের কনসালট্যান্ট জহুরুলের রোগমুক্তি কামনা

    রূপান্তরের সিনিয়র কর্মী কনসালট্যান্ট ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে নগরীর একটি ক্লিনিকের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। রূপান্তর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    শনিবার দুপুরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। তাঁকে সাথে সাথেই আইসিইউতে পাঠানো হয়। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলাম পাকিন্তানে চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যায়ন করেন। রূপান্তর পরিবারের পক্ষে নির্বাহী পরিচালকদ্বয় স্বপন কুমার গুহ এবং রফিকুল ইসলাম খোকন তাঁর আশু রোগ মুক্তি কামনা করে সকলকে তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বিজ্ঞপ্তির।

     

     

  • ‘২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে’

    ‘২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে’

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৫’ (পিএসএমপি ২০১৫) প্রণয়ন করা হয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন হবে। ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা আছে। এছাড়া অতিরিক্ত ৯ হাজার ৫৬০ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, অতিরিক্ত প্রায় ১ লাখ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

    শনিবার চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) ৫৭তম কনভেনশনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আইইবির ভবন নির্মাণে সর্বপ্রথম ৫ কোটি টাকা অনুদান প্রদান; ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের জন্য ২৩ কোটি টাকা অনুদান; ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের জন্য ১৯৯৭ সালে ৭২ বিঘা জমি প্রতীকী মূল্যে প্রদান; দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজের জন্য ২৩ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

    তবে আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য কোনো বরাদ্দ না হওয়াতে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশের জিডিপি ৭ দশমিক ১ শতাংশ; রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার; রপ্তানি ৩৫ বিলিয়ন ডলার; মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ ডলার; দারিদ্রের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশ; শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ; সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ১২৩ শতাংশ; বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট অর্জন হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৭৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে আন্দোলনকারিদের কাঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, আন্দোলনকারিরা কোনদিনও রামপালের নির্মাণাধীন প্রকল্প পরিদর্শন করে নাই। এমনকি এটি আদৌ সুন্দরবেনের কোন ক্ষতি করবে কিনা সে বিষয়েও তারা নিশ্চিত নয়।’

    তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যু কেন্দ্র সুন্দরনের পরিবেশে আদৌ কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের স্বপক্ষে তাঁর যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে রামপালে, সুন্দরবনে নয়।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি সুন্দরবনের বহি:সীমার ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং সুন্দরবনের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এলাকা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে।

    ‘কাজেই এই প্রকল্পের দ্বারা সুন্দরবনেরর কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, রামপালে যখন আমরা কাজ শুরু করি তখন রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না। একমাত্র নৌপথে যাওয়া যেত। এখন রাস্তা হচ্ছে। এক সময় হেলিকপ্টারে রামপাল দেখানো হয়েছে। হেলিকপ্টারে দেখালে তো বুঝবে না; রামপাল দেখে সেখান থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত পদযাত্রা করুক।

    প্রসঙ্গত, ৩ দিনের এ কনভেনশনে বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় সেমিনার, স্মারক বক্তৃতা, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সারাদেশে ১৮টি কেন্দ্র, ৩১টি উপকেন্দ্র, ১১টি ওভারসিজ চ্যাপ্টার, সাতটি প্রকৌশল বিভাগীয় কমিটির মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে আইইবি।

    অনুষ্ঠানে আইইবি সভাপতি প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুস সবুর বক্তৃতা করেন।

    চট্টগ্রাম আইইবি কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং চট্টগ্রাম আইইবি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সেন অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

     

     

  • জনগণের সেবায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ

    জনগণের সেবায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে রাষ্ট্রপতির গুরুত্বারোপ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জনগণের কাঙ্খিত সেবায় এবং হিসাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

    তিনি শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউনটেন্টস (সাফা)’র তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে তোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এ অঞ্চলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চার্টার্ড একাউনটেন্টদের সুযোগ রয়েছে।

    তিনি বলেন, আর্থিক কর্মকান্ডে সতর্কতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব প্রতিটি প্রতিষ্ঠান তথা দেশের জন্য হুমকি। এ ক্ষেত্রে হিসাব ও নিরীক্ষার মানোন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আর্থিক স্বচ্ছতা ও অর্থের নিরাপত্তা বিধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

    দক্ষিণ এশিয়ায় দারিদ্র্যকে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সার্ক দেশের সদস্যরা তাদের জনগণকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, জনগণকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।

    হামিদ বলেন, বর্তমানে কর্পোরেট কালচার অর্থনীতির সম্প্রসারণে ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। যা টেকসই উন্নয়নে সরকারি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।

    রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, কর্পোরেট কালচার উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগে যেভাবে ভূমিকা রাখছে তাতে দ্রুত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে।

    কর্পোরেট সেক্টর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

    সাফা আঞ্চলিক সম্মেলন পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, চার্টার্ড একাউনটেন্টগণ তাদের পেশাদারিত্বের মধ্যে জনসাধারণ ও কর্পোরেট সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভুমিকা রাখবেন্

    দক্ষিণ এশিয়াকে একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল ও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ লোকের বসবাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি এ অঞ্চলের মানুষকে মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায় তবে এখানে উন্নয়নের নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, সাফা আঞ্চলিক সিএফও সম্মেলন সংশ্লিষ্ট একাউনটেন্ট ও সংস্থার মধ্যে পেশাগত জ্ঞান বিনিময়ে নতুন দ্বার উন্মোচনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

    রাষ্ট্রপতি হামিদ এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘নেভেগেটিং থ্রু ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন টুয়ার্ডস বেটার একাউন্টেবেলিটি’-কে সময়োপযোগী বলে অভিহিত করেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্স বোর্ডের (আইএএসবি) হ্যানস হোগেরভোর্সট, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টস (আইএফএসি)’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম নায়ীম, সাফা প্রেসিডেন্ট আদীব হোসেন খান ও সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

  • দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রত্যেককে ভূমিকা রাখতে হবে : স্পিকার

    দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রত্যেককে ভূমিকা রাখতে হবে : স্পিকার

    এসবিনিউজ ডেস্ক : দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

    তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। এ ব্যাপারে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে।’

    স্পিকার শনিবার রাজধানীর গুলিস্তানে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে নিরাপদ সড়ক চাই উদযাপন কমিটির ৭ম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

    প্রতিটি দুর্ঘটনাই প্রতিরোধযোগ্য এবং সচেতনতার মাধ্যমেই তা সম্ভব উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, গাড়ি চালানোর সময় চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহারে যেমন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তেমনিভাবে পথচারীরাও যদি মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অসাবধানতাবশত: রাস্তা পারাপার হন তাহলেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই চালকের পাশাপাশি পথচারীদেরও সচেতন হওয়া জরুরি।

    তিনি বলেন, ‘পথচারীরা যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকির মধ্যে থাকেন, তেমনি যিনি গাড়ি চালান সেই চালকও কিন্তু ঝুঁকিমুক্ত নন। সুতরাং চালক যদি নিজের গাড়িটি ট্রাফিক আইন ও নিয়ম মেনে চালান তাহলে তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকিও হ্রাস করছেন। সেই সাথে তার গাড়িতে যারা রয়েছেন তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করছেন।’

    সড়ক নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কোন কিছুই চলতে পারে না। শুধুই আইন নয়, নিরাপদ সড়কের জন্য যে সমস্যাগুলো অন্তরায় সেগুলো চিহ্নিত করে একটি কার্যকর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। যে আইন রয়েছে সেটাকে যুগোপযোগী করা যায়।

    শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের যে দাবি সেটা দল, মত নির্বিশেষে সকলেরই দাবি। এই দাবির সাথে আমরা সকলেই সম্পৃক্ত। এর সাথে কোন বিবেদ বৈষম্যের সুযোগ নেই। এই দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সকলের কাজ করতে হবে।’

    জনসচেতনতার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, স্কুল পর্যায় থেকে সচেতনতা গড়ে তোলা উচিত। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকেও অন্তর্ভূক্ত করা যায়।

    দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহাওে গুরুত্বারোপ করে স্পিকার বলেন, রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিংগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

    তিনি বলেন, দ্রুত গন্তব্যে পৌছার প্রবণতাই দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশেই দায়ী। দ্রুত যাওয়ার প্রবনতা থেকে আইন লঙ্ঘন এবং নিরাপদ সড়কের জন্য অন্তরায় সৃষ্টি না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

    তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি সকলে যদি আইন মেনে চলি তাহলে নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে আসবে।

    নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সহ-সভাপতি সৈয়দ আহসান-উল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার সাইদুল হক সুমন ও বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হুসেইন আহমেদ মজুমদার এ সময় বক্তৃতা করেন।

     

     

  • চূড়ান্ত হল বাংলাদেশ-ভারত সফরের সময়সূচি

    চূড়ান্ত হল বাংলাদেশ-ভারত সফরের সময়সূচি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আগামী মাসে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ খেলতে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার এক মেইল বার্তায় এই সফরের চূড়ান্ত সময়সূচি প্রকাশ করেছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।

    তাদের মেইল বার্তায় প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ দল ভারতের হায়দরাবাদে পৌঁছবে। ফেব্রুয়ারি তারা সেখানে বিশ্রাম নেবে অথবা অনুশীলন করবে। ফেব্রুয়ারি ভারতেরদলের বিপক্ষে একটি দুইদিনের অনুশীলন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

    ফেব্রুয়ারি বিশ্রাম নেবে বাংলাদেশ। চাইলে কেউ অনুশীলনও করতে পারবে। ফেব্রুয়ারি অনুশীলনের পর ফেব্রুয়ারি টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে চলবে এই টেস্ট।

    সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ভারত ছাড়বে বাংলাদেশ দল।

  • নিষিদ্ধ হলেন আজহার আলী!

    নিষিদ্ধ হলেন আজহার আলী!

    এসবিনিউজ ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক আজহার আলীকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। আগামী এপ্রিলে পাকিস্তান দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না।

    স্লো ওভার রেটের কারণে আজহার আলীর ম্যাচ ফির ৪০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আর অন্য খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। এই ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুই ওভার কম বল করে পাকিস্তান। ১২ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার স্লো ওভার রেটের ঘটনা ঘটায় আজহার আলীকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

     

     

  • বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়বে ২৯ শতাংশ

    বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়বে ২৯ শতাংশ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : চলতি বছর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৫৫ ডলারে উঠবে বলে মনে করে বহুজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। গত বছর বিশ্ববাজারে তেলের ব্যারেলের গড় মূল্য ছিল ৪৩ ডলার। হিসাবে এক বছরে তেলের দাম বাড়ছে প্রায় ২৯ শতাংশ।

    দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন কমোডিটি আউটলুকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সদর দফতর ওয়াশিংটন থেকে গত বুধবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

    বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন জ্বালানি তেলের অবাধ উত্তোলনের পর তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক একে সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বছর জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে। গত অক্টোবরেও বিশ্বব্যাংক তাদের আউটলুকে ৫৫ ডলার দাম থাকার পূর্বাভাস দিয়েছিল।

    প্রতিবেদনের মূল লেখক বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জন বাফেস উল্লেখ করেছেন, গত বছর জ্বালানি তেলের দাম কম থাকায় বেশিরভাগ পণ্যদ্রব্যের দাম অনেক নিম্ন পর্যায়ে ছিল যা বছর ঊর্ধ্বমুখী হবে। তবে বিশ্ব নিয়ন্ত্রকদের নীতি পরিবর্তন হলে এর উল্টো ঘটনাও ঘটতে পারে।

    প্রতিবেদনে মূল্যবান ধাতুর মূল্য বছর ১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আগের প্রতিবেদনে শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল। বছর বেশিরভাগ শিল্প পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিকভাবে কৃষিপণ্যের দাম বছর এক শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। বাড়তে পারে তেল তেলবীজের দাম। ফলন ভালো হওয়ায় শস্যজাতীয় পণ্যের দাম শতাংশ কমে আসতে পারে। সুদের হার উল্লেখযোগ্য বেড়ে যাওয়ায় মূল্যবান ধাতু যেমনসোনারুপার দাম শতাংশ কমে আসতে পারে।

     

  • রোববার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

    রোববার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

    এসবিনিউজ ডেস্ক : রাজধানীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আগামীকাল বেলা ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গর্ভনর ফজলে কবীর ২০১৬১৭ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভর্নর মুদ্রানীতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

    এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগ বাড়াতে বিনিয়োগ, ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প (এসএমই) এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অলস টাকাসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিগত সময়ের আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মুদ্রানীতিতে সতর্কতা অবলম্বন করবে।

    ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছিলো।

    একই মান বজায় রেখে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

     

  • সুশীল সমাজ ও সার্চ কমিটির বৈঠক সোমবার

    সুশীল সমাজ ও সার্চ কমিটির বৈঠক সোমবার

    এসবিনিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করা ৩১ রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি। আগামী মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে প্রতিটি দলকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে ৫টি করে নাম জমা দিতে বলা হয়েছে।

    এর আগে নতুন ইসি গঠনের উদ্দেশ্যে সোমবার দেশের বিশিষ্ট ১২ নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করবে সার্চ কমিটি। শনিবার সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য শফিউল আলম গণমাধ্যমকে এই কথা জানান।

    সচিব আরো বলেন, বৈঠকের দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সোমবার বিকেল ৪টায় জাজেস লাউঞ্জে দেশের বিশিষ্ট ১২ নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করবে সার্চ কমিটি।

    সেই বিশিষ্ট ১২ নাগরিক হচ্ছেনসাবেক বিচারপতি আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর . কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এস এম ফায়েজ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ . তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ . বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম ফজুলল হক সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা।

    উল্লেখ্য, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অন্য তিন নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারি। আওয়ামী লীগ কমিটিকে স্বাগত জানালেও বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগের পছন্দের লোকদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে সার্চ কমিটি।

     

  • রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি

    রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নতুন সার্চ কমিটি সব রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়া প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সার্চ কমিটির কাছে নাম জমা দিতে হবে।

    শনিবার সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, যে ৩১টি দল সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে ৫টি করে নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।

    শফিউল আলম বলেন, আহ্বায়কের সম্মতির পর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেব আমরা। আশা করি, ১০ কার্যদিবসের (৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যেই সব কার্যক্রম শেষ হবে; ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন কমিশন হবে।

    এ ছাড়া নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে মতামত নেয়ার জন্য আগামী সোমবার বিকেল ৪টা সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বসবেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে এই সার্চ কমিটি গঠন করে ১০ কার্যদিবসের মধ্য নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য নাম প্রস্তাবের দায়িত্ব দেন। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক ৫ সদস্েযর ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

    কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।

    নিয়ম অনুযায়ী, ৬ জনের এই কমিটির তিনজন উপস্থিত থাকলেই বৈঠক করা যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে।

     

  • মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু

    মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সারা দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী ৯৪টি উপজেলায় এ কার্যক্রম চলবে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য ইতিমধ্যে অনলাইনে ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫৪টি আবেদন জমা পড়েছে। এই কার্যক্রমে এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর অন্যান্য কার্যক্রম শেষে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা।

    প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে মহানগর এবং উপজেলা কমিটির রূপরেখা এবং কাঠামো চূড়ান্ত করে ৪৭০টি কমিটি করা হয়েছে। যার তালিকা ইতিমধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

    এই কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তকরণ, আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই, তালিকাভুক্ত দাবীদার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিষ্পত্তির কাজ করবে।  শনিবার থেকে কমিটিগুলো কাজ শুরু করেছে।

    প্রথম দিনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল থেকে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ধান্দিয়া ও নগরঘাটা ইউনিয়নে সম্পূর্ণ এবং সরুলিয়া ইউনিয়নে আংশিক যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারি অবশিষ্ট ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম করা হবে।

    মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন থেকে ৪৯৪জন আবেদন করেছে। তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে ৫২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মফিজ উদ্দীন জানান। এই কমিটি বাছাইকালে আবেদনকারীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।

    তালা উপজেলায় সাত সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সদস্যসচিব আছেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন, সদস্য হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি জি,এম,এ সবুর, জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি মোঃ মঈনুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি শেখ আবুল খায়ের এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিনিধি এস,এম ফজলুল হক।

    আগামী ২৮ জানুয়ারি এবং ৪, ১১ ও ১৮ ফেব্র“য়ারিতে উপজেলা, জেলা এবং মহানগর পর্যায়ে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে।

    উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ না করার বিষয়ে আদালতে রিট হলে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ঝুলে যায়।

    গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে ওই রিট নিষ্পত্তি হওয়ার পর মন্ত্রণালয় আর অপেক্ষা না করে দ্রুত গেজেটভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। আদালত বিষয়টির সুরাহা করায় শনিবার থেকে দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু হয়।

    গত ৭ জানুয়ারি এই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়াগত কারণে ঘোষিত তারিখ কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। ঘোষিত নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি যেসব জেলা ও উপজেলা/মহানগরে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম হওয়ার কথা ছিল, সেটি ১১ ফেব্র“য়ারি এবং ১৪ জানুয়ারির যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ১৮ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া অন্যদিনগুলো ঠিকই থাকবে।

     

     

  • লিকার চায়ের যত গুণাগুণ

    লিকার চায়ের যত গুণাগুণ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : চায়ে দুধ মেশালেই সব ফিনিশ। লিকার চায়ে রয়েছে প্রচুর গুণ। ভাল থাকে হার্ট। ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুস্থ থাকে হার্ট। ক্যানসার প্রতিরোধ করে। মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ডিএনএ ক্ষতি আটকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লিকার চায়ে যা থাকে প্রচুর পরিমাণে। হাড় মজবুত করে। স্ট্রেস কমায় লিকার চা। হজমশক্তি বাড়ায়। এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে লিকার চা। মস্তিষ্ক স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে। কোলেস্টেরল কমায়। ত্বক থাকে মসৃণ। চুলের পুষ্টি জোগায় লিকার চা।

    জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, লিকার চা রক্তনালির প্রসারণ ঘটায় যা উচ্চরক্তচাপ হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত জরুরি। চায়ে থাকা ক্যাটেচিন রক্তনালির প্রসারণের জন্য দায়ী। দুধের মধ্যে থাকে ক্যাসেইন। এটি ক্যাটেচিনকে বাধা দেয়। ফলে চায়ে দুধ মেশালে চায়ের রক্তনালি প্রসারণের ক্ষমতা পুরোপুরি চলে যায়।

    মার্কিন কৃষি দফতরের গবেষকদের দাবি, চায়ের প্রভাবে কোষ থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন বেরোয়। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। যদি ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হয়ে থাকে, তাহলে ইনসুলিনের নির্গমন শতকরা ৯০ শতাংশ কমে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণেও লিকার চায়ের জুড়ি মেলা ভার। দুধচিনি চাড়া লিকার চায়ে থাকে ক্যালরি। চামচ চিনিসহ লিকার চায়ে থাকে ১৬ ক্যালরি। চামচ চিনি দুধসহ চায়ে থাকে ২৬ ক্যালরি।

     

     

  • কিশমিশ কেন খাবেন?

    কিশমিশ কেন খাবেন?

    এসবিনিউজ ডেস্ক : কিশমিশ খেতে তো আমাদের সবারই ভাল লাগে এর গুণাগুণও রয়েছে যথেষ্ট। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি ভাইরাল ফিভার, কোনও ইনফেকশন প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কিশমিশ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য খাদ্য তালিকায় কিশমিশ রাখতেই পারেন। প্রতিদিন ১২টি কিশমিশ খেলেই যাদু মন্ত্রের মতো তা কাজ করবে। এটি খাওয়া কেন ভাল? দেখে নিন

    ) প্রত্যেকদিন নিয়ম করে কিশমিশ খেলে আমাদের হজমশক্তি উন্নত হয়।

    ) প্রচুর পরিমাণে আয়রন, কপার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে কিশমিশে। যা আমাদের শরীরের লোহিতরক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। অ্যানিমিনিয়া প্রতিরোধে কিশমিশ বিশেষভাবে কার্যকরী।

    ) ভাইরাল ফিভার এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে কিশমিশ।

    ) কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে কিশমিশ।

    ) অ্যাসিডিটি দূর করার ক্ষেত্রে কিশমিশ উপকারী।

    ) চোখ ভালো রাখে।

    ) ক্যাভিটি এবং দাঁতের অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে কিশমিশ। মাড়ি সুস্থ রাখে। তার সঙ্গে দাঁতও সাদা করে।

    ) ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যাও দূর করে কিশমিশ।

    ) হাড় মজবুত করে, কিডনি সুস্থ রাখে, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করে কিশমিশ।

    ১০) এছাড়া অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে কিশমিশ।

     

  • দ্বিতীয় পর্বে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেম

    দ্বিতীয় পর্বে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেম

    এসবিনিউজ ডেস্কআখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব তথা এবারের ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা। রবিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে ১১টা ৪৪ মিনিটে শেষ হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ সাদ।

    আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লি চোখের পানিতে খোদার দরবারে জিন্দেগানির গুনাহ মাফের ফরিয়াদ জানান। মোনাজাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশ্ব উম্মাহর সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি প্রত্যাশা করা হয়।

    ৩৪ মিনিট স্থায়ী আখেরি মোনাজাত চলাকালে ইজতেমাস্থল আশপাশ এলাকায়আমিন’-‘আমিনধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নত হয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মুসল্লিরা মনের আকুতির কথা জানান।

    নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালামুসিবত থেকে মুসল্লিদের হেফাজত করার জন্য, বিশ্ববাসীর শান্তি কল্যাণ কামনায় দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন মাওলানা সাদ।

    সময় ইজতেমা ময়দানে সঙ্গে একত্ব হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে, দোকানের বেঞ্চে বসে, ট্রেন স্টেশন বাসস্ট্যান্ড থেকে যে যেখানে ছিলেন সেখান থেকেই মোনাজাতে শরিক হন।

    আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ভোরে ঢাকাময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মোনাজাতে অংশ নিতে হেঁটে ইজতেমাস্থলে পৌঁছান মানুষ।

    মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে হয় সকাল সাড়ে ৯টার আগেই। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার হাজারো মুসলমান ভোরে পায়ে হেঁটেই রওনা হন টঙ্গীর পথে। অনেকে যানবাহনের বিড়ম্বনা এড়াতে দুইএকদিন আগেই টঙ্গীতে আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি কিংবা হোটেলে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। আর ১৭ জেলা থেকে আসা কয়েক লাখ মানুষ গত দিন ধরে অবস্থান করছেন ইজতেমা মাঠে নির্ধারিত খিত্তায়।

    গাজীপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, এবার ইজতেমার দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের ১৭ জেলার মানুষ ছাড়াও যোগ দিয়েছেন ৯৫টি দেশের হাজার ৩৬০ জন।

    আখেরি মোনাজাত শেষে টঙ্গী থেকে সবার বাড়ি ফেরার সুবিধার জন্য ১৪টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সবাই বাড়ি ফেরা পর্যন্ত কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য ইজতেমা মাঠের আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

    বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গী জংশন দিয়ে চলাচলকারী সব ট্রেন যাত্রাবিরতি দিচ্ছে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে জংশন দিয়ে ১৪টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। ছাড়া বিআরটিসির ২২৮টি বাস যাতায়াত করছে।

    এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ওই পর্বে অংশ নেন ঢাকাসহ ১৭ জেলার মুসলমানরা।

    চার দিন বিরতি দিয়ে ঢাকা ছাড়াও আরো ১৫ জেলার মুসলমানদের অংশগ্রহণে ২০ জানুয়ারি শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যামে শেষ হবে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের এই বার্ষিক সম্মিলন।

  • অ্যালোভেরার ওষুধি গুণ

    অ্যালোভেরার ওষুধি গুণ

    এসবিনিউজ ডেস্কঅ্যালোভেরা কেবল সৌন্দর্যচর্চাতেই ব্যবহৃত হয় না, স্বাস্থ্যরক্ষায়ও এটি অনন্য। তাজা অ্যালোভেরায় রয়েছে বিশটি অ্যামিনো অ্যাসিড বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা সুস্থ রাখে শরীর। নিচে অ্যালোভেরার গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

    * অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।

    * অ্যামিনো অ্যাসিড, মিনারেল ভিটামিনসহ ২০০টিরও বেশি উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরায়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এসব উপাদান সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

    * অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ওষুধির কাজ করে। বিভিন্ন চর্মরোগ ক্ষত সারায় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এর ভেষজ গুনাগুণ।

    * অ্যালোভেরা অ্যাসিডিটি কমায়।

    * অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন , সি, বি। এগুলো রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে।

    * অ্যালোভেরায় থাকা পটাশিয়াম, কপার, সোডিয়াম, জিঙ্ক আয়রন অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। 

    * দেহের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করে অ্যালোভেরা।

    * সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

    * দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে অ্যালোভেরা।

     

     

  • বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি

    বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাঁটছি, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশ হিসাবে আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত হবে। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারজিরো টলারেন্সনীতি অনুসরণ করে আসছে। কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় সংসদে সরকারি বিরোধীদলসহ সকলকে যথাযথ কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদের ২০১৭ সালের প্রথম অধিবেশনে (শীতকালীন) রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৪টায় স্পিকার . শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় সংসদ দেশের আপামর জনসাধারণের আশাআকাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত আলোকিত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন আকাঙ্খা বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধীদলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূল করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি তার ১১৪ পৃষ্ঠার ভাষণে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম অর্থনীতি, ব্যবসাবাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, পররাষ্ট্রনীতি, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নারী শিশু খাতে উন্নয়ন, ক্রীড়া, যুব উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, অভিবাসীদের উন্নয়ন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং জন প্রশাসন খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।

    ভাষণের শুরুতে তিনি সকল সংসদ সদস্য দেশবাসীর প্রতি ইংরেজি সববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

    এছাড়া তিনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা অমর শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। যাঁদের অসীম সাহস আত্মত্যাগের বিনিময়ে একটি সার্বভৌম দেশ স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান লালসবুজ পতাকা অর্জিত হয়েছে।

    তিনি চার জাতীয় নেতাসৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এইচ এম কামরুজ্জামানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। যারা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতি ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং ভাষা সংস্কৃতির মর্যাদা সমুন্নত রাখার লড়াইয়ে আত্মত্যাগকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের তিন মহান পুরুষশেরে বাংলা কে ফজলুল হক, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। যারা জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

    তিনি বলেন, ১৯৭৫এর ১৫ আগস্ট সংঘটিত বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সেদিন শাহাদাতবরণ করেছিলেন তাঁর মহিয়সী সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল পারভীন জামাল রোজী, ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি এবং সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি তাঁদের সবাইকে অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেনেড হামলায় শহীদ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ বিভিন্ন সময় গ্রেনেড হামলা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে ২০১৪ সালে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ গঠিত হয় এবং বর্তমান সরকারের ওপর দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়। গত মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকাররূপকল্প২০২১’, দিনবদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যআয়ের, জ্ঞানভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়ার মানসে এখন জাতির দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে ২০৪১ সালের দিকে। তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে জাতির আকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবে।

    তিনি বলেন, ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাটছি, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশ হিসাবে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে।রূপকল্প২০২১এবং দিনবদলের সনদের ভিত্তিতে প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং কার্যক্রমে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

    বিগত মেয়াদে গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে দেশে নাশকতার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করছে। সরকারের দক্ষ পরিচালনায় অর্থনীতির সকল সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সামাজিক সূচকসমূহের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশসমূহের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে।

    এক ঘণ্টারও বেশি সময় জুড়ে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দেশ পরিচালনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্য শেষে সংসদের কার্যক্রম ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

     

     

  • বাঙালি সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

    বাঙালি সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

    এসবিনিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সাত বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুযনাল (আইসিটি) গঠনের পর এই প্রথম কোনো সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।

    রোববার ধানমণ্ডিতে নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে বেসামরিক রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর পাশাপাশি বাঙালি সেনা সদস্যদের কেউ কেউ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হয়ে স্বজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন। তাদের মধ্যে  রংপুরে দুজনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান হান্নান।

    এসময় তিনি বলেন, একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমূরত কয়েকজন বাঙালি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একটি ঘটনা আমরা জেনেছিওই সময় রংপুরে একটি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল সেখানে কয়েকজন বাঙালি অফিসারের সম্পৃক্ততা ছিল।

    বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ হয়েছে জানিয়ে হান্নান খান বলেন, দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরেকজন পলাতক রয়েছে।

    তবে বিষয়টি তদন্তাধীন বলে তা বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তদন্ত সংস্থার প্রধান।

     

  • মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ক্ষুধাদারিদ্র্যমুক্ত, সুখীসমৃদ্ধ, সন্ত্রাসজঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আহবান জানান।

    তিনি বলেন, সকল শোষণ, বঞ্চনা বৈষষ্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সরকার নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখীসমৃদ্ধ, সন্ত্রাসজঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান ¦াধীনতা।

    তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, বৈষম্য বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক দফা ঘোষণা করেন। এতে স্বাধিকার আন্দোলনের গতি হয় তীব্রতর। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে বন্দি করে। মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্রশ্রমিককৃষকজনতা দুর্বার ¦তঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমনপীড়ন সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে শহীদ হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে সৈ¦রাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের সৈ¦রতন্ত্রের।

    তিনি বলেন, ‘অপশাসন শোষণের বিরুদ্ধে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।