Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 64 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • নেই

    রুমান হাফিজ

    নদীর ঘাটে নাও নেই
    সবুজ শ্যামল গাঁও নেই।
    ফলফলাদির গাছ নেই
    খালবিলেতে মাছ নেই।

    শস্য ভরা মাঠ নেই
    জমজমাট আর হাট নেই।
    রাখাল বাঁশির সুর নেই
    পাখির গানে ভোর নেই।

    আম কুড়ানোর দিন নেই
    কিচ্ছা বলা জিন নেই।
    পিঠা পুলির ধুম নেই
    নেই সাথে চাষ জুম নেই।

    ঢেউ ভরা আর নদ নেই
    গ্রাম্য মোড়ল পদ নেই।
    কানামাছির খেল নেই
    শর্ষে ক্ষেতের তেল নেই।

    ছন-চালের ঐ ঘর নেই
    ধূ-ধূ বিশাল চর নেই।

    ছয় ঋতুর আজ দেশ নেই
    ‘নেই সবই’ তার শেষ নেই।

  • চালায় গুলি

    সিরাজ উদ্দিন শিরুল

    রাত গভীরে সবাই ঘুমে
    হায়না দানব আসে
    বুকের উপর চালায় গুলি
    দাঁত কেলিয়ে হাসে।

    দানব ছিলো মানব তো নয়
    রক্ত খেলায় মাতে
    হায়নাদেরই দোসর ছিলো
    সব রাজাকার সাথে।

    লাশের উপর লাশের সারি
    শহর নগর গাঁয়ে
    জাগলো মানুষ মুক্তিকামী
    জাগিয়ে দিলো মায়ে।

    ঘুমের মানুষ জাগলে পরে
    ক্যামনে দাবায় রাখে
    ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটলো সবাই
    হাজার হাজার লাখে।

    বীর বাঙালি উঠলো জেগে
    হায়নারা সব পালায়
    দু’হাত তুলে কান ধরেছে
    পিন্ডি লাহোর হালায়।

    মারের উপর মারতে থাকে
    শত্রু ঘাঁটি উড়ায়
    মুক্তিসেনার সাহস বলেই
    বীরের খেতাব কুঁড়ায়।

  • এসো পরিচিত হই রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই’র সাথে

    এসো পরিচিত হই রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই’র সাথে

    রোকনুজ্জামান দাদাভাই সাংবাদিক, শিশুসংগঠক। তার জন্ম ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে, নানার বাড়িতে। তার নানা রওশন আলী চৌধুরী আবার ছিলেন ‘কোহিনূর’ পত্রিকার সম্পাদক। তার বাবার নাম মৌলভী মোখাইরউদ্দীন খান, মায়ের নাম রাহেলা খাতুন। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পাংশায়, নানাবাড়িতে। শৈশবকালে সাহিত্যচর্চা ও সাংবাদিকতায় আকৃষ্ট হয়েছিলেন। ‘দাদাভাই’ ছদ্মনামে তিনি কবিতা লিখতেন।
    ১৯৫৫ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় যোগদান করে ‘দাদাভাই’ ছদ্মনামে শিশুদের পাতা ‘কচি-কাঁচার আসর’ সম্পাদনা শুরু করেন এবং আমৃত্যুর এ পত্রিকায় জড়িত ছিলেন। আর এ থেকেই তিনি ‘দাদাভাই’ নামে দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন।
    তার প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থ হচ্ছে হাট্টিমাটিম (১৯৬২), খোকন খোকন ডাক পাড়ি, আজব হলেও গুজব নয় প্রভৃতি। তার সম্পাদিত ঝিকিমিকি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিশুসংকলন। এসব রচনার মাধ্যমে তিনি কোমলমতি শিশুদের মনে নীতিজ্ঞান, দেশপ্রেম ও চারিত্রিক গুণাবলি জাগ্রত করার চেষ্টা করেন।
    রোকনুজ্জামানের অপর একটি বড় অবদান ‘কচি-কাঁচার মেলা’ (১৯৫৬) নামে একটি শিশুসংগঠন প্রতিষ্ঠা। তিনি সৃজনশীল ও সাংগঠনিক কর্মের পুরস্কারস্বরূপ বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৪), একুশে পদক (১৯৯৮), স্বাধীনতা পদক (১৯৯৯), জসিমউদ্দীন স্বর্ণপদক এবং রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ও রোটারি ফাউন্ডেশন ট্রাস্টির পল হ্যারিস ফেলো সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর, মারা যান সবার প্রিয় দাদাভাই। তাকে পরদিন বিকালে মেলা ভবনের দক্ষিণ পূর্ব কোণে সমাহিত করা হয়।

  • রবীন্দ্রনাথ

    রবীন্দ্রনাথ

    নাসের মাহমুদ

    কবিগুরু রবীঠাকুর
    ভেজা কদম আজকে দিলাম,

    বাঙালিদের কবি ঠাকুর।

    তার চরণে ফুল
    বন বনানী, সবুজ মাঠ,
    নদ ও নদীর কূল।

    একুশ, বাইশ, তেইশে
    কথার গুরু, গানের ঠাকুর,
    কোনখানে আজ নেই সে?

    কবি রবীর প্রভা জ্বলে
    দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রাতে,
    আমায় জেগে থাকতে বলে।

    আমিও জেগে থাকি
    বুকের ভিতর-মনের পাতায়
    সোনার বাংলা আঁকি।

  • গোলাম নবী পান্না’র ছড়া

    গোলাম নবী পান্না’র ছড়া

    ফড়িং

    গাছের আগায় চড়িং,

    চিকনা ডালে ধরিং-

    ডালটা তখন মড়িং,

    ছোকড়া গেলো পড়িং।

    সময় গেলো গড়িং

    লাগছে বড়ো বরিং।

    এত্তো কেনো লড়িং!

    কারণ উড়– ফড়িং,

    পাতায় পাতায় নড়িং।

     

     

    মাছরাঙা

    ঝলমলে জলে দেখি

    গাছ রাঙা,

    আসলে সে গাছে বসা

    মাছরাঙা।

    রঙিন পালকে এ

    ধাঁচ-রাঙা

    শিকারী নাচন তার

    নাচ রাঙা

  • সপ্না নতুন করে বাচঁতে চাই

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেরার তুজলপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের কন্যা মিনু সুলতানা সপ্না (২০) জন্মের পর পিতার ঘরে তার বেশি দিন ঠাই হয়নি। কারণ তার বয়স যখন ৮ তখন মা তানজিলা খাতুন কে তালাক দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেন। তখন থেকে মায়ের হাত ধরে নানার বাড়ী লবসা নণকুড়া গ্রামে অস্থায়ী বসবাস তার। ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে এমন সময় তার গলার ভিতরে একটি সমস্য দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য ২০১৫ সালে ডা: এনকে সিনহার কাছে যান। তিনি তাকে ঢাকার আদ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে পরিক্ষা করার পর ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাঃ তাকে ৬টি কেমো নেওয়ার পরামর্শ দেয়। ৫ নং কেমো নেওয়ার সময় সপ্না মারত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পর কেমো বন্ধ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ডাক্তাররা তার বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে তার শরীরে কোন ক্যান্সার কোন নমুনা পাওয়া যায়নি। তার বনটিবি হয়েছে বলে জানান। ডাক্তার বলেন, ভুল চিকিৎসার কারনে তার শরীরে হীপজয়েন্ট ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। কলকাতা মেডিকেলে দুই মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর টাকার অভাব পড়লে চিকিৎসা শেষ না করে দেশে ফিরে আসে। কলকাতার ডাক্তাররা জানান এই রোগ নিরাময় যোগ্য। তবে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় হবে। সপ্না নতুন করে বাচতে চাই। তার চিকিৎসার জন্য সমাজের হিৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চিকিৎসার জন্য আত্মিক সাহায্যর আকুল আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠনোর ঠিকানা মোছা: তানজিলা খাতুন, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২২৪৬৮, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: সাতক্ষীরা শাখা অথবা বিকাশ নং-০১৭৭৪২৬৯৭৭৯(নিজস্ব)।

  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়মে এ নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সুজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জি এম তারিকুল ইসলাম, প্রভাষক ও শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক হোসেন,প্রভাষক মো. ফেরদৌস হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল। এছাড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোষিকে কাইফু, মাহমুদ হোসেন পারভেজ, সাইফুল ইসলাম, অরুপ ব্যানার্জী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাহী বক্তব্য রাখেন।
    প্রধান অতিথি জবি ক্যাম্পাসে যেয়ে সাতক্ষীরা জেলা থেকে আগত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীদের নিয়ে উপাচার্য ড. মিজানুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে নবীণ শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়নরত সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে যান। তিনি এসময় জননেত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরেন।এছাড়া তিনি বলেন, আগামিতে ক্ষমতায় গেলে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালক ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়েশ মাহমুদ।

  • গাজীপুর সিটি ভোট স্থগিতে রিটের কিছুই জানত না ইসি

    ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের রিটের বিষয়ে আগে থেকে আদালত নির্বাচন কমিশনকে ( ইসি) কিছু জানায়নি বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে আমরা আগে কিছুই জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি।’ সোমবার বিকালে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম এসব কথা জানান।

    তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি- হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।

    সংবিধানের ১২৫ (গ) অনুযায়ী ‘কোনো আদালত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরুপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনরুপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না’- সংবিধানের এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে পড়ে শুনান সাংবাদিকরা। জানতে চান আদালত এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগে জানিয়েছেন কিনা।

    জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিটের বিষয়ে হিয়ারিংয়ের (শুনানি) আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’

    আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো আইনজীবী ওখানে নিয়োগ দেইনি। আমাদের প্যানেল আইজীবী আছে। তিনি প্যানেলভুক্ত একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়েছেন।

    নির্বাচন কমিশনার বলেন, কপি পাওয়ার পরে উনি হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দেইনি। তাকে ওকালতনামা দেয়ার মত সুযোগও ছিল না আমাদের।

    গাজীপুরের মতো সামনের আরও নির্বাচন স্থগিতে জনমনে শঙ্কার বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সে সুযোগ দিয়েছে। আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেয়ার পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি।

    কবিতা খানম বলেন, আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুইবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।

    তিনি বলেন, তবে অন্য সিটি নির্বাচন নিয়ে আগাম বলা যাবে না। কী কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে বিষয়গুলো যখন ক্লিয়ার হবে, তখন জনমনে শঙ্কা থাকবে না।

    গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আপিলের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, আমরা এখনো অফিসিয়ালি আদেশের কপি পাইনি। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী পদক্ষেপ ইসি কী নেবে।

    গাজীপুর সিটি নিয়ে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক দিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।

    নির্বাচন স্থগিতে কমিশনের হাত আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি কমিশনের কোনো গাফিলতি নেই।

    ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিতের আইনি প্রক্রিয়া কোনো পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু জানি লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ওই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কমিশন।

  • জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত হয়েছে। জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন।

    মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানগণ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করেন। এই উপলক্ষে সদর উপজেলাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানগণ কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেছেন।
    বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে-মসজিদে সারারাত চলে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী ও মোনাজাত। রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগী, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানগণ মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতেও ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।
    এদিন সবার ঘরে ভালো-ভালো খাবার-দাবার রান্না করা হয়, এসবের মধ্যে রয়েছে রুটি, বিভিন্ন রুচির হালুয়া ও মিষ্টান্ন। বিকেলে প্রতিবেশীদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ ও পরিবেশন করা হয়। গরীব-দুঃখীদের মধ্যেও খাবার বিতরণ ও অর্থ দান করা হয়।
  • সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    সুন্দরবনে মৌমাছির কামড়ে মৌয়ালের মৃত্যু

    শ্যামনগর প্রতিনিধি: সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণ করতে গিয়ে দলবদ্ধ মৌমাছির কামড়ে এক মৌয়ালের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে সুন্দরবনের সাপখালী নামক স্থানে মধু আহরনের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
    নিহতের নাম হযরত আলী (৫০)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের আইজুদ্দিন তরফদারের ছেলে।
    নিহতের চাচাতো ভাই মিলন ডেইলি সাতক্ষীরাকে জানান, সুন্দবনের সাপখালী নামকস্থানে কেওড়া গাছে উঠে মধু আহরণের সময় দলবদ্ধ অসংখ্য মৌমাছি তাকে আক্রমন করে। এ সময় মৌামাছির কামড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। তার সাথে থাকা অন্যান্য মৌয়ালরা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা কে.এম কবির হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের মাল্টি কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০২ মে) দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রতিষ্ঠানটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিব হোসেন নান্নু ও কাজী মনিরুজ্জামান মুকুল।
    সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এঁর হাতে গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের একজন (দোকান) ভাড়াটিয়া কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কোনো সাধারণ সভার অনুমোদন, দরপত্র আহবান, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাড়াই মিশনের মাল্টি-কমপ্লেক্স নির্মাণের নামে লুন্ঠণ শুরু করেছেন। তিনি নিজে কিভাবে দোকান বরাদ্দ দিচ্ছেন তা কারও বোধগম্য নয়। নিজের পছন্দ মতো ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে মিশনকে স্থায়ীভাবে ঋণগ্রস্ত করছেন। আবু সোয়েব এবেল এই মাল্টি-কমপ্লেক্স নির্মাণের তত্বাবধায়ক পরিচয় দিয়ে মিশনের ‘দোকারঘর’ বরাদ্দ দিচ্ছেন যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত। তারা বলেন, আগামী ৫ মে শনিবার, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৮-২০ সামনে রেখে মিশনের একটি দোকানের ভাড়াটিয়া আবু সোয়েব এবেল নির্বাচনের একটি পক্ষকে জয়ী করতে নগ্নভাবে মাঠে নেমেছেন। মরিয়া হয়ে উঠেছেন উক্ত প্যানেলটি বিজয়ী করার জন্য। তাদের পিছনে অর্থ খরচসহ নানামূখি তৎপরতা চালাচ্ছেন।
    সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভার রেজুলেশন খাতায় উল্লেখ আছে ‘মাল্টি কমপ্লেক্স’ নির্মাণ কাজ করতে আবু সোয়েব এবেল ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে দিবেন। পরবর্তীতে মিশন কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দোকান ঘরগুলো বরাদ্দ দিবেন এবং তার ঋণের টাকা পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবেন। কিন্তু কতিপয় স্বার্থনেষী কর্মকর্তা অবৈধ সুযোগ নিয়ে নিজেদের সুবিধামত করে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে দোকান ঘর বরাদ্দের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাকে প্রকাশ্যে গালি-গালাজসহ দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি এসব নির্মাণ কাজেও চলছে চরম হরিলুট। সংবাদ সম্মেলনে তারা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার আহ্ছানিয়া মিশন থেকে দুর্নীতিমুক্ত করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • অবৈধ্যভাবে সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পলাশপোল মৌজাধীন ডিএস ১৯৯৪নং খতিয়ানের ১২৮০ দাগে ১২ একর ৩৭ শতক জমি রেকর্ডীয় প্রজা আব্দুল হাই খাঁ ও তার দুই পুত্র আব্দুল ওহাব ও আব্দুল আহাদ খাঁ এর নিকট হইতে দেওয়ানী ৪৮/৪৭ নং মোকদ্দমায় সোলে সূত্রে আতিয়ার রহমান প্রাপ্ত হয়ে খাসে সত্ববান থাকা কালিন এক পুত্র আব্দুল কুদ্দুস ও এক কন্যা র্ঝণা খাতুনকে রেখে মারা যান। অতপর তারা দুজন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতে দেওয়ানী ১৫/১৬ নং মোকদ্দমা দাখিল করে পরিচালনা করে আসছে। উক্ত মোকদ্দমায় এডভোকেট কমিশনার সরেজমিন তদন্ত করে গত ইং ০৯/০৫/১৬ তারিখে আমার দখলে রয়েছে মর্মে রিপোর্ট প্রদান করেছেন। উক্ত মোকদ্দমায় বিবাদী পক্ষ আব্দুল কাদের খান দিং- তাদের দাবির পোষকে জাল নামপত্তন ও খাজনা দাখিলা দাখিল করায় বিজ্ঞ সাব জজ আদালত তাদের কাগজপত্র সেফ কাস্টডিতে নিয়েছে। এছাড়া উক্ত একই জমি নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১৮৬৫/১৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। তা খারিজ হয়ে গেলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ৩০০২/১৭ নং লিভ টু আপিল দাখিল করে। যা সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন আছে। এছাড়া জমি নিয়ে সরকার পক্ষ ৪৬/১১ নং সিভিল আপিল দায়ের করলে উক্ত মোকদ্দমায় আব্দুল কুদ্দুস দিং বিবাদী শ্রেণিভুক্ত হয়েছে। উক্ত সম্পত্তি অবৈভাবে দখল নেওয়ার জন্য শহরের কুখরালী এলাকার রহমত উল¬াহ গাজীর ছেলে জামায়াতের অর্থদাতা, নাশকতাকারী জামায়াত নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ একটি মহল পায়তারা চালাচ্ছে। এদিকে আমার জমির সাথে তার কোন সংশি¬ষ্টতা নেই। কিন্তু সে আমাকে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। বার বার তার করা অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হলেও সে শুধু মাত্র আমাকে হয়রানির উদ্যেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। ওই মহলটি আমাকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
    তিনি উক্ত ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের হাত রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    (more…)

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পূর্বের অবস্থায় বলবৎ রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আপিল শুনানীর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    প্রকাশ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক রেখে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনে সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। নতুন নির্ধারিত সীমানা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ মিছিল এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
    মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গত ২৩ এপ্রিল শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ বাঙালি সংস্কৃতির ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখকে এভাবেই আবাহন করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগ্রত হয়েছে গোটা জাতি। পহেলা বৈশাখ, একটি নতুন দিন। একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। বাঙালির প্রাণের আর মনের মিলন ঘটার দিন ‘পহেলা বৈশাখ’। বাঙালি ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখ ভুলে। যা কিছু পুরনো আর জীর্ণ- তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই-জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি।
    সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ‘বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের’ খবর নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষ্যে নতুন করে সজ্জিত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিনভর জেলাব্যাপি পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন বাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এন.এস. আই’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পৌরদিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসেন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।
    জেলা প্রশাসকের বাঙলোয়: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়ে বাঙালী আনায় বৈশাখী উদ্যাপন করলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। জেলা অফিসার্স ক্লাব ও জেলা লেডিস ক্লাবের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাংলো মিলন মেলায় পরিণত হয়। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনায় সকলেই সমবেত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক দেশী ফলের সমাহারে অতিথি পরায়ণতার মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান। খই, দই আর পান সুপারী, চিড়া, মুড়ির মোয়া, হরেক রকম মিষ্টি-মিঠাই আরো ছিল ঘোল, ডাব, তরমুজ, শাহী গজা আর হাওয়াই মিঠাই, ছিল বেলের সরবত। শনিবার সকালে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসকের বাংলোর এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈশাখী এ অনুষ্ঠানে সকল অতিথিদের মাঝে পান্তা ও বিভিন্ন রকম ভর্তা পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারতহমিনা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা পুলিশের আয়োজনে: জেলা পুলিশের আয়োজনে দুস্থ ও এতিম শিশুদের বৈশাখী আনান্দ উপভোগ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের বাসভবনে শতাধিক এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বৈশাখী ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, পুলিশ সুপার পত্মী আকিদা রহমান নীলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক, সদর সারকেল মেরিনা আক্তার প্রমুখ। এ সময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখের আনান্দ যেমন প্রতিটা মানুষ উৎযাপন করছে তখন আমাদের দায়িত্ব ছিল সমাজের দুস্থ অসহায় ও এতিম শিশুদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাথে আনান্দ ভাগা, ভাগি করে নেয়া, তাই নিজের দায়িত্ব বোদের জায়গাথেকে মানুশেন পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব: খরতপ্ত রুদ্র বৈশাখের প্রথম দিন শনিবার প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। তীব্র দাবদাহের মধ্যে দীঘির জলে ঢেউ তুলে ভেসে আসা দখিনা বাতাসের প্রাণ জুড়ানো দোলায় ক্লাব ভবনে সকালেই বসেছিল এ উৎসব। শিশু থেকে বুড়ো বুড়িরাও প্রেসক্লাবের এই উৎসবে মেতে ওঠেন। উৎসবে আসা সকলকেই বাঙ্গালির চিরন্তন খাবার পান্তা ভর্তা আর নারকেল ও গুড় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
    প্রেসক্লাবের এই উৎসবে অংশ নেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজদ, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, শেখ হারুনার রশীদ, সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ, বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব কার্য নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রেসক্লাবের প্রাণের মেলা বৈশাখি উৎসবের সাথে নিজেদের একাকার করে বরণ করে নেন নতুন বছরকে।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক ঝরা, অগ্নিশ্নানে সুচি হোক ধরা,’ শিক্ষার্থীরা নাচে ও গানে নতুন বছর ১৪২৫ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়। উৎসবের আমেজে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে বৈশাখী অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস.এম আফজাল হোসেন, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক আমানুল্লাহ আল হাদী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শণ করে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির হাড়িতে মন্ডা মিঠাই বিশেষ মোড়কে প্রধান অতিথিকে উপহার দেওয়া হয়। এসময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: নতুন বছর ১৪২৫ বরণ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ক্যাম্পাসে বাঙালীআনা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও একাডেমিক ইনচার্জ প্রকৗশলী ড. এম.এম নজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অলোক সরকার, ফারুক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন, ছিদ্দিক আলী, বিল্পব কুমার দাস, এনামুল হাসান কম্পিউটার বিভাগীয় প্রধান মো. ফারুক হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটাল বিভাগীয় প্রধান এবিএম ছিদ্দিকী, আর.এসি বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার মো. হেলালে হায়দার।
    সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানানমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিদ্যালয়টি। শনিবার সকালে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে। পরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন রকম পিঠা পুলির মেলার আয়োজন করা হয়। বিকালে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্মী শামীমা রুমা, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সামিমা ইসমত আরা, উম্মে হাবিবা, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আবু সাঈদ, পহেলা বৈশাখ উদয়াপন কমিটির আহবায়ক সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আনিছুর রহমান, সহকারি শিক্ষক মমতাজ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান।
    সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ: সাতক্ষীরা ল কলেজের আয়োজনে ল স্টুডেন্টস ফোরামের সার্বিক সহযোগিতায় পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. এস এম হায়দারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১০টায় কলেজে আলোচনা, বাঙালী খাবারের আয়োজন ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়, বাংলাদেশ হাইকোর্টের ডেপুটে অ্যাটর্নী জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আ ক ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজ, ল কলেজের প্রভাষক এড. অরুন কুমার ব্যানার্জী, এড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, এড. মনির উদ্দীন. এড. শহীদ হাসান, এড. হোসনেয়ারা, এড. লাকী ইয়াসমিন, এড. নাঝমুন নাহার ঝুমুর, এড. শরীফ আজমীর হোসেন রোকন, ল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাবুদ্দীন সাজু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেখ মোখলেছুর রহমান, জান্নাতুন নাহার, আলমগীর কবীর সুমন, মোখলেছুর রহমান, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এসএম বিপ্লব হোসেন, কার্তিক চন্দ্র সাহা, প্রবল কুমার, পাপিয়া সুলতানা, সোহেলী পারভীন, বিন্তু পারভীন, মুন্সি মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, রোজিনা পারভীন, কার্তিক চন্দ্র, কাকলী, শাওন, তাহসিন কবীর খান, তাসনিম সুলতানা, নাসরিন সুলতানা, তাজনিম সুলতানা, সাথী, মামুন, তাজ নোভা, ইকতিয়ারসহ সাতক্ষীরা ল কলেজের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ল স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
    শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে শহরের সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পতœী সালেহা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাক্কার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ সভাপতি সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, শেখ হারুণ অর রশিদ, কবির হোসেন, নূরুল হক, রহমান, মনোয়ার হোসেন, নূরুল হুদা রনি, আলিফ, আশিক প্রমূখ।
    নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি: পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম বাঙ্গালী সংস্কৃতির চেতনা ও ঐতিহ্য লালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও অনেক যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
    সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইন-চার্জ এ.এইচ.এম. মুঞ্জুর মোরশেদ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিববাড়ী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। দিনব্যাপী বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাং¯কৃতিক ক্লাব এর শিল্পীরা, এতে আবহমান বাঙ্গালী সাংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
    বিকালে এনইউবিটিকের ছাত্রদের সেকশন-বি ও ওয়েব ব্যান্ড দল এর পরিবেশনায় বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ কনসার্টে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি নিজেই সঙ্গিত পরিবেশন করেন। এনইউবিটিকের দিনব্যাপী এই বৈশাখী আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের বিশাল জনসমাগম ঘটে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে এস.এস. আলী এন্ড কোং, লেক্সিকন, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ ও আবির্স।
    নবজীবন ইন্সিটিটিউট: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার নবজীবনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ ১৪২৫। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নবজীবন ইনস্টিটিউটের উদ্দোগে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সাথে নিজস্ব ব্যানারে একটি বর্ণিল ও মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা বের করে। শোভা যাত্রায় বিশেষ আকর্ষন হিসাবে যোগ করা হয় গ্রামীন এবং পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য মন্ডিত গরুর গাড়ী,ঢেকী,হরিন,বিশাল আকৃতির ডাক ঘুড়ি,পালকি,ঘোড়ার গাড়ী, হাতি,বাঘ,বাঘ শাবক,হালখাতা মহরত,রিকসা,বেদেনী,নৌকা,সহ নানান আয়োজন। তালে তালে বাজানো হয় ঢাক, ঢোল ও ভেপু। দীর্ঘ এবং বর্নিল সাজের শোভা যাত্রাটি দেখে মুগ্ধ হন জেলা প্রশাসনের বিচারক মন্ডলি সহ হাজার হাজার দর্শক ও শ্রোতা। শোভা যাত্রাটি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌছালে মঞ্চ থেকে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে জেলার দ্বিতীয় স্থান অধিকারের ঘোষনা দেওয়া হয় । আনুষ্ঠানিক ভাবে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং পুরস্কার গ্রহন করেন নবজীবনের নির্বাহী পরিচালক ও নবজীবন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তাারেকুজ্জামান খান, এসময় বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ,সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ,নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম,উপাধ্যক্ষ মীর ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ, শিক্ষক শেখ বোরহান আলী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নবজীবন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে চিংড়ী পান্তা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এসময় নবজীবনের সকল কর্মকর্তা,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক গন উপস্থিত ছিলেন।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ: বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের পৌর শাখার আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পানতা ইলিশ ভোজ , র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, আমন্ত্রতি অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক এড, আজাহার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব সেলিম হোসেন,অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে ছিলেন সংগঠনের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সাংগঠনিক আমিনুল ইসলাম সেলিম, কুটির শিল্পী সম্পাদক মৌচাক সরদার, সৈয়দ আব্দুস সেলিম, আজিজুল ইসলাম, মোঃ হাফিজ, রোকনউদ্দীন প্রমূখ।
    থানাঘাটা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা ঈদগাহ ময়দানে ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু তাহের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির ফজর আলী, ইয়াকুব হোসেন, মহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, শফীকুল, আব্দুল্লাহ, গোলাম রসুল প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, মোঃ আসাদুজ্জামান।
    তালা: তালায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    ১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বৈশাখী সোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্ধোধন করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্চ্ছো খানম,তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু,সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানসহ ১২টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সামাজিক সংগঠন, স্কুল প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি তালা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
    পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
    এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পান্তা ভোজ, পুকুরে হাঁস ধরা,লাঠিখেলা, ইত্যাদি। এছাড়া জালালপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ সাহিত্য সংসদের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে পাটকেলঘাটার,কুমিরায় ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
    পাটকেলঘাটা: ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখ বরণের এ গানের মধ্যদিয়ে পাটকেলঘাটাসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও মন্দিরে খাতা পুজা ও ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা,মধ্যদিয়ে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ । পাটকেলঘাটাস্থ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার বটমুলের সবুজ চত্বরে বর্ণিল মঞ্চে ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
    পাটকেলঘাটায় দিনব্যপী বিভিন্ন বৈশাখী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এরপর শিল্পী, সাংবাদিক,শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, নারী পুরুষ,শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাঙালীর চিরচেনা ঢাক-ঢোল,কাঁশর,সানাই,ঘোড়াগাড়িসহ বিভিন্ন সাজে সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিরা সহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রবীন্দ্র সদনে এসে সমবেত হয়। এরপর সেখানে পান্তা ইলিশ ভোজনের সাথে সাথে মঞ্চে চলতে থাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত.নজরুলগীতি পল¬ীগীতি,লালনগীতিও বাউলসহ বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। এরই মাঝে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আসাদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ মাহাতা, দেবজিৎমিত্র, অধ্যাপক প্রশান্ত রায়, প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,ড. বিধান চন্দ্র ঘোষ, মোস্তাফিজুর রহমান,নারায়ন মজুমদার, বিশ্বাস আতিয়ার রহমান প্রমুখ । জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর নেতৃত্বে র‌্যালি ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও পাটকেলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশাল র‌্যালী ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করে । এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে।
    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা ১৪২৫ বর্ষবরণ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৮ টায় পালকী, গরুর গাড়ি ও নানারকম বাদ্যের তালে একটি বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবি বটতলায় শেষ হয়। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য পান্তা উৎসবের আয়োজন ছিল। পান্তা খাওয়া শেষে আনুষ্টানিকভাবে দেশীয় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি বর্ষবরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরজ্জামান মনি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন, উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী. সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসমত আরা বেগম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নোহাগ হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু, সাতার সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়।
    বহেরা এ.টি মাধ্যমিক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা এ,টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আছাদুল হক এর সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক এমাদুল হকের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ। শোভা যাত্রা শেষে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
    কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউপি এর প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকারের সভাপতিত্বে ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, কুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও সদস্যা, ইউপি সচিব সহ কর্মচারী বৃন্দ।
    কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শেষে কুলিয়া শহীদ মিনার চত্বরে পান্তা উৎসব উৎযাপন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিধান বর্মন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ এর অর্থসম্পাদক মো. আছাদুল হক, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আযহারুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরান চন্দ্র, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সহ ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগন।
    পুষ্পকাটি সমবায় সমিতি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলানববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির সভাপতি শাহিনুজ্জামান রিপন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলা নববর্ষের পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আ”লীগ এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, কুলিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মো. আসাদুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যা ফতেমা খাতুন প্রমুখ।
    কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ বরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পহেলা বৈশাখ সকাল ৮ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালী কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তারের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফুলতলায় উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহামেদ মাছুম, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নববর্ষে উক্ত মঞ্চে বাউল ও লোকজ গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ, কালিগঞ্জ কলেজ, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কুশুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
    কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা সকাল হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া সোতা-বেনাদনা মাঠে দিনটি উপলক্ষ্যে সারাদিন ব্যাপী ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে বালিয়াডাংগা মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসা, কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো বর্ষবরণ উদ্যাপন করে।
    শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহাড়ম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শ্যামনগরে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫। কর্মসূচির মধ্যে লক্ষনীয় বিষয়গুলো ছিল বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ সকাল ৬ টায় সানাই, কাসাই ও ঢোল বদনের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। সকাল ৭ টায় মঙ্গল শোভা যাত্রায় উপজেলা সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী সংস্থা নববর্ষের ব্যানার সহ অংশ গ্রহনে এক বিশাল শোভাযাত্রা সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্তরে সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। সকাল ৮ টায় ছাতিম তলায় অনুষ্ঠিত হয় পান্থা ভোজ উৎসব, সকাল ৯ টায় উপজেলা চত্ত্বরে বৈশাখী মেলা উদ্ভোধন, সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, বেলা ২ টায় জারী গান, ৩ টায় সরকারী মহসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সাংবাদিক বনাম সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রিতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮ টায় র‌্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি ঘটে।
    মুন্সীগঞ্জ: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহাসমারহে বর্ষ বরণ ১৪২৫ উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে-৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন এবং হরিনগর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথ ভাবে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করেছে। এছাড়াও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জহিরনগর দাখিল মাদ্রাসা, সুন্দরবন শিশু শিক্ষা নিকেতন ও বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী মুন্সীগঞ্জ কুলতলী বর্ষবরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলি সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরমধ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমীর বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি সবার নজর কাড়ে। এরপর পান্তা ভাত, কাঁচা ঝাল ও চিংড়ি মাছ পরিবেশন করা হয় । এ উপলক্ষ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী সন্ধ্যায় তাদের নিজস্ব শিল্পীদের সমন্নয়ে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চুনকুড়ি কালি মন্দির প্রাঙ্গনে আজ অনুষ্ঠিত হবে যাত্রানুষ্ঠান “কালো মেয়ের রাঙা পা।”
    আশাশুনি:
    বড়দল: আশাশুনির বড়দলে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের আয়োজনে এদিন সকাল ৭টায় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি ডাঃ আলহাজ্ব এস এম মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবউদ্দীন, সকল সহকারী শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    কাদাকাটি হাইস্কুল: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান। সহকারী শিক্ষক অবনী কুমার মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নুর আলম, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, সুনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, রসময় মন্ডল, মিলন কুমার, শিরিন আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিমসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    কুল্যা: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ফিরোজ হোসেন মালীর নেতৃত্বে আরার গোবিন্দপুর লাঠি খেলা দল ও বাহাদুরপুর লাঠি খেলা দল অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত থেকে লাঠি খেলা উপভোগ করেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য মেম্বর আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, মেম্বর আনোয়রা বেগম, সমাজ সেবক ইয়াহিয়া মোল্যা, আহাদ আলী প্রমুখ। এসময় লাঠি খেলা দেখতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রচুর দর্শক হাজির হন। খেলোয়াড়দের নানা শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হন তারা।

  • স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

    স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

    ডেস্ক রিপোর্ট: আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিকামী বাঙালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছ ও অভিনন্দন।

  • জিন্স পরিষ্কারের খুঁটিনাটি

    জিন্স পরিষ্কারের খুঁটিনাটি

    লাইফস্টাইল ডেস্ক: পরিষ্কার করার পর শখের জিন্স বিবর্ণ হয়ে গেছে? সঠিক উপায়ে জিন্স পরিষ্কার করলে পড়তে হবে না এমন ভোগান্তিতে। জেনে নিন কীভাবে পরিষ্কার করবেন জিন্স।

    জিন্স পরিষ্কার করার সময় সবসময় মাইল্ড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করবেন।
    ব্লিচিং উপাদান আছে এমন ডিজারজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
    কখনও গরম পানিতে ধোবেন না জিন্স।
    পানিতে ভেজানোর আগে জিন্স উল্টা করে নিন।
    ধোয়ার আগে ৪৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
    জিন্স কখনও আছড়ে ধোবেন না।
    হালকা হাতে ধুয়ে বারান্দায় ঝুলিয়ে দিন।
    খুব কড়া রোদে জিন্স না শুকানোই ভালো।
    ঘন ঘন জিন্স ধোবেন না। কয়েক মাস পর পর ধুলে ভালো থাকবে অনেকদিন।

    তথ্য: উইকি হাউ

  • শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় সাতক্ষীরায় ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ কর্মসূচি

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেটে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা প্রচেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার বিকালে শহরের মিনি মার্কেট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

    সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি বক্তব্যে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালের উপর হামলার ঘটনার মধ্যদিয়ে দেশে জঙ্গিবাদ যে পুণরায় উস্কে উঠেছে তা প্রতিয়মান হয়। প্রশাসনিক নির্লিপ্ততায় এ ঘটনা ঘটলেও জনগন যদি সংগঠিত না হয় তবে এ হত্যা খুন হামলার ধারা আরও বেড়ে যাবে। ২০১৩ সালের জঙ্গি জামাত শিবির যেভাবে বিভিন্ন মফস্বল অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে মানুষ হত্যায় মেতেছিল। তারা ফের সে চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সাতক্ষীরায় প্রভাষক মামুন হত্যাসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সতের জন হত্যা, বাড়িঘর জ্বালানো, রাস্তা-গাছ কাটার ঘটনায় প্রশাসন পাঁচ বছরেও প্রধানতম একটি ট্রাজেডিরও মামলা নিস্পত্তি করতে পারেনি। বিচারের আওতায় আসেনি খুনী জামাত-শিবিররা। কেন এ অবস্থা তা জনগন জানতে চাই। এই সাতক্ষীরার জনগন ঘুরে দাঁড়াতে জানে। মানুষ সংগঠিত হয়ে খুনীদের শাস্তির আওতায় আনবে। বিচার নিশ্চিত করতে বাধ্য করবে প্রশাসনকে।

    সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ মোড়ল, ফাহিমুল হক কিসলু, স্বপন কুমার শীল প্রমুখ।

    সকল বক্তা অবিলম্বে জাফর ইকবাল হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও পাঠ্যপুস্তকে সবধরনের কুপমুন্ডকতা বন্ধ করার জোর দাবি জানান।

  • ঝুঁকিতে পাউবোর ৩০কিলোমিটার ভেঁড়ীবাঁধ শ্যামনগরে জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধন ও স্মরক লিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার ৩০কিলোমিটার পাউবোর ভেঁড়ীবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকায় তার পুননির্মাণের দাবীতে শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার সকালে শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপিতে জানা যায়, শ্যামনগরের ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ এবং বাঁকি সকল ইউনিয়ন পরোক্ষভাবে উপকুলীয় পাউবোর বাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে বাঁধ ব্যবস্থাপনার উপর উপজেলার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড, খাদ্য নিরাপত্তা ও বসত ভিটাসহ সম্পদ রক্ষায় সরাসরি যুক্ত। কিন্তু, বর্তমানে সমগ্র উপকুলীয় বাঁধ দুর্বল ও ঝুঁকিযুক্ত হয়ে পড়ায় আতংকে থাকতে হয় শ্যামনগরের সকল মানুষদের।

    এছাড়া পূর্বতোন আমলের ৪.২০মিটার আরএল লেভেল এর বাঁধ বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধে সক্ষম নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রায়শ: সৃষ্টি হচ্ছে। এসকল দুর্যোগে সাগর উত্তাল হয়,জোয়ারের পানি অত্যাধিক বেড়ে যায় এবং ঢেউও প্রবল হয়। এ অবস্থায় প্রধান রক্ষাকবচ উপকুলীয় বাঁধ। কিন্তু,বর্তমানে নাজুক এ বাঁধ মানুষের সম্পদ ও প্রাণ রক্ষায় অনুকুল নয়।

    স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করেন, শ্যামনগর উপজেলায় মোট উপকুলীয় পাউবোর বাঁধের পরিমাণ ১৩৪.৬৬০কি:মি। যার মধ্যে ১৫ ও ৫নং পোল্ডারের ৩০কি: মিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে ৫নং পোল্ডরের ঘোলা, বিড়ালক্ষী, কুপট, পূর্ব দূর্গাবাটী, ভামিয়া, নীলডুমুর,দাতিনাখালী, সেন্ট্রাল কালীনগর, দঃকদমতলা, হরিনগর, সিংহড়তলী, চুনকুড়ি,যতীন্দ্রনগর, পার্শ্বেখালী, টেংরাখালী ও কৈখালী এবং ১৫নং পোল্ডারের ডুমুরিয়া, চকবারা, জেলেখালী, লেবুবুনিয়া,পার্শ্বেমারী, নাপিতখালী, চাঁদনীমুখা গ্রাম সংলগ্ন বাঁধ।

    এসকল স্থানের বাঁধ যে কোন সময় ভেঙে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তাই সবচেয়ে কাছের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদকে পাউবোর ভেড়ীবাঁধ সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয়।

    মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জলবায়ু পরিষদের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজিম উদ্দীন, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক ও জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী প্রমুখসহ জলবায়ু পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।