Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 62 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • জেএমবির বোমারু মিজান ভারতে গ্রেপ্তার

    ঢাকা ব্যুরো : জামাতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির নেতা বোমারু মিজানকে আটক করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। দুদিন আগে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
    ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার থেকে মিজানসহ মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন ওরফে সানি এবং হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাকিব হাসানকে নিয়ে ময়মনসিংহ রওয়ানা হয়েছিল পুলিশ। মিজান ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। ময়মনসিংহের ত্রিশালে পৌঁছার পর প্রিজন ভ্যানে হামলা করে জঙ্গিরা। খুন করা হয় পুলিশ কনস্টেবল আতিকুল ইসলামকে। আহত হন আরও দুই জন। এর মধ্যে পালিয়ে যান সাজাপ্রাপ্ত তিন জঙ্গি।
    এনআইএ জানায়, ৩ আগস্ট কেরালার মালাপুরাম জেলার একটি শ্রম শিবির থেকে আবদুল করিম ও মুস্তাফিজুর রহমান নামে জেএমবির দুই কর্মীকে আটক করে এনআইএ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরু থেকে আটক করা হয় বোমারু মিজান ওরফে কায়সার ওরফে মুন্না ওরফে বাদাভাইকে।
    এই তিন জনই চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিহারে বুদ্ধ গয়ায় মহাবোধি মন্দির এবং পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে এনআইএ।
    তারা একে বোমা তৈরিতে একে অপরকে সহযোগিতা করতো বলেও জানিয়েছে এনআইএ।
    গেল ৪ আগস্ট আটককৃত জেএমবি নেতা-কর্মীদের কোচিতে এনআইএর বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। পরে পাটনার আদালতে তোলা হলে এআইএর অধীনে ১৫ দিনের আটকাদেশ দেন বিচারক।

  • এদেশের বুকে আঠারো এসেছে নেমে…

     

     

    ‘আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ, স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ, বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি’- বিদ্রোহের কবি, বিপ্লবের কবি, প্রতিবাদের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তার এই বিখ্যাত কবিতার শেষে লিখেছিলেন ‘এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে…’। হ্যাঁ, আঠারো নেমে এসেছে বাংলাদেশে। গত চার দিন ধরে দেশের রাজপথগুলো দখল করে নিয়েছে আঠারো বয়সীরা।

    তারা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তা আটকে আন্দোলন করছে, আবার অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দিচ্ছে, পঙ্গু নারীকে রাস্তা পার করছে, অসুস্থ শিশু কোলে মাকে পাঠিয়ে দিচ্ছে হাসপাতালে! শুধু কি তাই? এই স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা লাইসেন্স না পেলে বাস আটকে দিচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়া পুলিশের গাড়ি আটকাচ্ছে। এমনকী সরকারের একজন মন্ত্রীর গাড়ি উল্টোপথে যাওয়ায় আটকা পড়তে হয়েছে।

    এই কিশোররা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। সারি বেঁধে সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তায় চলছে রিকশা। কোনো গাড়ি লাইসেন্স ছাড়া চলতে পারছে না। লাইসেন্স না পেলে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে বাস ভাঙছে। আবার এই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ভাঙা কাঁচ ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করছে। এই ছেলে-মেয়েরাই বুকে সাঁটানো প্ল্যাকার্ডে লিখেছে, ‘৫জি স্পিডের ইন্টারনেট চাই না, ৫জি স্পিডের বিচার ব্যবস্থা চাই!’

    বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে রাজপথে নেমেছে তরুণরা। সর্বশেষ উদাহারণ হিসেবে শাহবাগ আন্দোলন থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলন। দুটি আন্দোলনই প্রাথমিক সফলতা পেলেও এক পর্যায়ে গিয়ে দিকভ্রান্ত হয়েছে। এবার নামল সুকান্তের আঠারো বয়সী কিশোররা। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কিশোর আন্দোলন এটি! ওরা রাজপথে নেমে যা যা করে দেখাচ্ছে, তাতে বিস্ময়ে হতবাক হওয়া ছাড়া কিছু করার নেই!

    এত সৃজনশীল ওরা! এত নির্ভীক! এতটা মানবিক! এই আন্দোলনের কোনো নেতা নেই; কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা নেই। আছে সাধারণ মানুষের সমর্থন আর ভালোবাসা। এদেশের ১৬ কোটি মানুষ চায় নিরাপদ সড়ক। সেই সড়ক নিরাপদ কীভাবে করা যায়, একেবারে হাতে কলমে সরকারকে দেখিয়ে দিয়েছে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা।

    বাস চাপায় ওদের দুই বন্ধুর মৃত্যুর পর একজন মন্ত্রী হেসেছেন। এরপর আবার ক্ষমাও চেয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ দাবি করছে। ওদের আন্দোলনে প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে অফিসে আসা-যাওয়া করছেন কর্মজীবিরা। কিন্তু তাদের মাঝে কোনো ক্ষোভ নেই। এই ছেলে-মেয়েদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের ঘরে ফেরত পাঠানো সরকারের দায়িত্ব। ওরা কোনো অন্যায় দাবি করেনি। ওদের দাবিতে শুধু সাধারণ মানুষ নয়; সরকারের ও উপকার হবে।

    এখন ওদের দাবি না মেনে হয়তো দমন করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই পুলিশি আক্রমণ চালিয়ে এমন চেষ্টা হয়েছে। এতে সাময়িকভাবে তারা হয়তো রাস্তা ছাড়তে বাধ্য হবে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েগুলো আর কতটাই বা পারবে পুলিশের মার খেতে? কিন্তু, অদূর ভবিষ্যতে এই রাজপথে আবারও আঠারো আসবে নেমে….।

    : কালের কণ্ঠ

  • বৃহস্পতিবার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

    ঢাকা ব্যুরো : শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং।

    এর আগে বুধবার বিকেলে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অভিভাবকদের মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়েছে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। এ ছাড়া কোনো কোনো স্কুলে বুধবার ক্লাস চলাকালেই স্কুল বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে দেয়া হয়।

    বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে রাস্তা অবরোধের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অঘোষিত নির্দেশে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    রাজধানীর ভিকারুননিসার এক অভিভাবক ক্ষুদে বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না। স্কুল কর্তৃপক্ষ ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

  • শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

    ঢাকা ব্যুরো : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী ঘাতক চালকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

    আজ বুধবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে তিন মন্ত্রীকে নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে সড়কে ফিটনেসবিহীন, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি যাতে না চলে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।

    বাস টার্মিনালেই এসব পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়ির ফিটনেস না থাকলে সেটি টার্মিনাল থেকে বের হতে দেয়া হবে না। একইভাবে চালকেরও লাইসেন্স পরীক্ষা করা হবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী রাস্তায় থাকবে। যে গাড়িটি সন্দেহ হবে, সেটিকেই তারা চ্যালেঞ্জ জানাবে। সব কিছু ঠিকঠাক দেখাতে না পারলে তা আটকে দেয়া হবে।

    তিনি বলেন, এ ছাড়া শ্রমিক ও গাড়িচালকদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মালিকরা ব্যবস্থা নেবেন।

    কোনো চালক কিংবা পরিবহন অবৈধ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হলে সেগুলো দেখা হবে বলেও জানান তিনি।

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তোমাদের বার্তা দেশব্যাপী পৌঁছে গেছে। তোমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। কাজেই তোমরা অবরোধ তুলে নাও, ক্লাসে ফিরে যাও।

    অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সন্তানদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেন। সারা দেশ অচল হয়ে গেছে। এটি কারও কাম্য হতে পারে না।

    তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এবার অবরোধ তুলে নেবেন বলেই আমরা মনে করছি। আমাদের ছোট ছোট শিশুরাও গাড়ি ভাঙচুর করতে চায় না।

    আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চার দিনের বিক্ষোভে ৩০৯ গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আটটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও রয়েছে।

  • আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    আজ বিশ্ব বাঘ দিবস : দু’দশকে বনদস্যুদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের বিপুল সংখ্যক বাঘ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এদিনে ঘটা করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও নানা সংকটে গত দু’যুগে বনদস্যু ও চোরা শিকারীদের শিকার হয়েছে সুন্দরবনের রেকর্ড পরিমাণ রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বন উজাড়, আন্তর্জাতিক বাজারে বাঘের চাহিদা এর অন্যতম কারণ।
    বিভিন্ন সময় উদ্ধার হওয়া বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বাঘের শাবক সর্বোপরি বাঘ শুমারী তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১৬ বছরে ৫৭ টি বাঘ হত্যার তথ্য থাকলেও বাস্তবে এর সংখ্যা অনেক বেশী বলে জানিয়েছেন বনজীবিরা।
    বিভিন্ন সময়ে নানা গবেষণা, ব্যক্তি বা সংস্থা বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে নানা মন্তব্য করলেও বনজীবি ও সুন্দরবন বিশেষজ্ঞরা আশংক্সক্ষাজনকহারে বাঘ হত্যার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বনবিভাগসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দূর্বলতাকেই দায়ী করছেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ পদ্ধতিতে গণনা শেষে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে মাত্র ১০৬টি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের শরু হওয়া বাঘ শুমারীর মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ হয় মে মাসে। তবে এখনো প্রকাশিত হয়নি শুমারীর প্রতিবেদন। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।
    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে থাইল্যন্ডের হুয়ানে অনুষ্ঠিত হয় টাইগার রেঞ্জ দেশ সমূহের ‘এশিয়া মিনিষ্ট্রয়াল কনফারেন্স’। সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণে ৯দফা পরিকল্পনাসহ সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতি বছর ২৯ জুলাই পালিত হবে বিশ্ব বাঘ দিবস। তখন থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা।
    জানা যায়, বিগত ২০১৫ সালে মাত্র ১০ মাসের ব্যবধানে সবোর্চ্চ ৯ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হয়। এর মধ্যে কয়রার গোলখালী থেকে অক্টোবর মাসে একসাথে ৩ টি বাঘের চামড়া উদ্ধার হওয়ায় বনবিভাগের ভূমিকা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন দেখা দেয়। ঐ বছরের ৮ আগস্ট ৬৯ পিচ বাঘের হাড়সহ কয়রার এনায়েত হোসেন ও বাবু হোসেন নামে দু’চোরা শিকারীকে খুলনার লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের রমজাননগরের টেংরাখালী গ্রামের চোরা শিকারীদের দ্বারা পাচারকৃত ৪ টি বাঘের শাবক উদ্ধার হয় ঢাকার শ্যামলী থেকে।
    ২০১৫ সালের ২৬ জুলাইয়ের ক্যামেরা ট্রাপিং পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে মোট ১০৬ টি বাঘের অস্তিত্ব থাকলেও এর আগে ‘পাগ মার্ক’ পদ্ধতির শুমারী অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৫০ টি। শুমারী অনুযায়ী মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে সুন্দরবন থেকে বাঘ কমেছে ৩৪৪টি। ২০০৪ সালের এক গবেষনায় সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। এর মধ্যে পুরুষ ১২১টি, স্ত্রী ২৯৮টি এবং বাচ্চা ২১টি। সব মিলিয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কয়েক বার বাঘ শুমারী হলেও বাঘের প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।

    ২০১৫ সালের ৬ জুলাই প্রকাশিত বাঘের ঘনত্ব শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয় অবৈধ শিকার, খাদ্যের অভাব ও প্রকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনে বাঘের অস্তিত্ব কমেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বনদস্যুসহ চোরা শিকারীদের বাঘ শিকার, সুন্দরবনের ভেতরের নদী সমূহে নৌচলাচল ও বনের পাশে শিল্প অবকাঠামো নির্মাণ বাঘের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
    ২০১৬ সালে আমেরিকার দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি অর্থায়নে ‘বাঘ প্রকল্পে’ ক্যামেরার সাহায্যে গণনার জন্য খুলনা বিভাগীয় বণ্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এ প্রকল্পকে জনবল ও ৭০টি ডিজিটাল ক্যামেরা সরবরাহ করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফের বাঘ প্রকল্প ক্যামেরা ট্রাপিং এর মাধ্যমে গণনার কাজ শুরু করে এবং মে মাসে এর কাজ সম্পন্ন করে। এখনো তার ফলাফল পাওয়া যায় নি। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়বে না কমতে পারে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য না করলেও সুন্দরবনের ৩টি অভয়ারণ্য এলাকায় গাছের সাথে ক্যামেরা বেঁধে এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়।
    বন সংরক্ষক কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মন্দিরা বলেন, সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এখন পর্যন্ত সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। খুলনা সার্কেলের উপ-বন সংরক্ষক মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঘ গনণার প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে এখন অধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গণনা কার্যক্রম হচ্ছে। বাঘ প্রকল্পের গবেষনা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল¬াহ আল মোজাহিদ বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বাঘের প্রতিবেদন প্রকাশ করবে সরকার। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করেন এ গবেষক।
    পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ বশিরুল-আল-মামুন বলেন, বাঘ শুমারী একটা কঠিন কাজ। আধুনিক পদ্ধতি গনণা হচ্ছে। প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
    সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের সূত্র জানায়, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে গণ পিটুনি, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরের জলোচ্ছ্বাসে, বার্ধক্যজণিত কারণে এবং চোরা শিকারীদের হাতে মোট ১৭ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার মারা পড়েছে। এর মধ্যে বন সংলগ্ন মোংলা ও শরণখোলা উপজেলার লোকালয়ে ঢুকে পড়লে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা, স্বাভাবিক মৃত্যু হয় ৪ টি ও সিডরের জলোচ্ছ্বাসে ১ টি বাঘ মারা যায়। আর ৮ টি নিহত হয় চোরা শিকারীদের হাতে। একই সময়ে ১ নারী সহ মোট ২৬ জন বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে ময়না নামের মোংলার জয়মনি এলাকার বৃদ্ধা গ্রাামবাসী ছাড়া সবাই বনজীবি।
    সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন জানান, গত দু’দশকে পশ্চিম বন বিভাগে ১৫ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিহত হয়। এর মধ্যে লোকালয়ে ঢুকে গণপিটুনির শিকারে নিহত হয় ৮ টি। এছাড়া ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় দু’দশকে সেখানে ২৩৪ জন নারী-পুরুষ বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই বনজীবি ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে চিংড়ি রেণু আহরণকারী।
    সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মোঃ মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণে সরকার ‘বাংলাদেশ টাইগার এ্যকশন প্ল্যান ২০০৯-১৭’ বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি, বাঘের আক্রমণ থেকে বন সংলগ্ন লোকালয়ের জানমাল এবং মানুষের হাত থেকে লোকালয়ে চলে আসা বাঘ রক্ষায় ৮৯ টি টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে মানুষের হাতে ৯ টি বাঘ মারা পড়েছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়া বাঘ রক্ষায় ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম (ভিটিআর) কাজ করছে। বাঘ অচেতনে তাদের ৬ টি বন্দুক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
    এদিকে সুন্দরবনের রেকর্ড সংখ্যক বাঘ হ্রাসের জন্য অন্যান্য কারণের সাথে বনজীবিরা জোর দিয়ে যোগ করেছেন বনদস্যুদের কথা। দীর্ঘ দিন সুন্দরবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে তারা জীবিকা নির্বাহ করছেন। কাছ থেকে দেখেছেন অনেক কিছু। তারা বলছেন, প্রায় দু’যুগ ধরে সুন্দরবনে নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রায় ২ ডজন বনদস্যু বাহিনী। একই বনে বাঘের সাথে বসবাস দস্যুদেরও। সুন্দরবন অভ্যন্তরে অবাধ বিচরণ ও রাত্রি যাপনে বাঘের সাথে দেখা হলেই দস্যুরা তাদের হত্যা করে। এর সাথে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে সুন্দরবনের বাঘের চাহিদার বিষয়টিকে যোগ করে এতে বনদস্যুদের দস্যুতা বৃত্তির পাশাপাশি অধিক মুনাফা লাভে বাঘ হত্যার বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। অভিযোগ রয়েছে, বাঘ বিলুপ্তির জন্য দায়ী চোরা শিকারীদের গ্রেফতার ও মামলায় র‌্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপরতা দেখালেও বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের তেমন কোন সফলতা নেই।

    এব্যাপারে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়ার ষাটোর্দ্ধ আনসার আলী, বনজীবি রাহুল, মান্নান, কওছার, রাশেদুল, আঃ করিম, খালেক গাজী, বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামের আমিনুর, নওশাদ, সাত্তার, মুন্সীগঞ্জের দাউদ সানা, মন্তেজ, রাজ্জাক, মুনছুর, রমজাননগর গফুর, সিদ্দিক, জবেদ আলী, সফেদ আলীসহ শতাধিক বনজীবিরা জানান, সুন্দরবন থেকে বাঘ হ্রাসের কারণ হিসেবে গবেষক থেকে শুরু করে বনবিভাগ বা দেশী-বিদেশী সংস্থা যাই বলুক বাঘ হত্যার জন্য বনদস্যুরাই সবচেয়ে বেশী দায়ী।
    জানা গেছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সীমান্তে আন্তর্জতিক বাজারে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল এ সুন্দরবনের বাঘের চামড়া থেকে শুরু করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চড়া মূল্য থাকায় মূলত সুন্দরবনে বনদস্যুরা বাঘ হত্যায় মেতে উঠে। সুন্দরবন বনদস্যুদের এক সময়ের অভয়ারণ্য থাকায় ঐসময়ে ব্যাপক সংখ্যক বাঘ শিকার হয় তাদের হাতে। বর্তমানে সরকার সুন্দরবন রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তা বাঘ রক্ষায় ঠিক কি ধরণের প্রভাব ফেলছে তা নির্ভর করবে চলতি ক্যামেরা ট্রাপিংয়ে বাঘ শুমারীতে বাঘের প্রকৃত সংখ্যার উপর। তবে আশার কথা, বাঘ সংরক্ষণে মনিটরিং, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং বনরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। কতগুলো বাঘ হত্যা করা হয়েছে বা কতটি মামলা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও জনববল সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট হয় বন কর্মকর্তাদের বক্তব্যে। সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে আজ ২৯ জুলাই পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।

  • ওসিই মাহমুদুর রহমানকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন : মির্জা ফখরুল

    ঢাকা ব্যুরো : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুলিশের সহায়তায় কুস্টিয়ার আদালত প্রাঙ্গণে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেছেন, মাহমুদুর রহমান হামলার কথা বুঝতে পেরে কোর্টে অবস্থান নেন। পরে কোর্টের ওসির কথায় তিনি আদালত থেকে বের হয়ে আসেন। কোর্টের ওসি জোর করে মাহমুদুর রহমানকে বের করে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন।

    তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান হামলার পর সেখানে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগও পাননি। কিন্তু সরকারের উচিত ছিল তাকে পুলিশের সহযোগিতায় চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় আসার ব্যবস্থা করে দেয়া। সরকার সেটি করেনি। এ হামলার ঘটনায় ধিক্কার জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। হামলার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো দেশের প্রতিটি সেক্টর সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। না হলে শুধু মাহমুদুর রহমান নয়, কোনো নাগরিক আদালত বা কোথাও নিরাপদে থাকবে না।

    আজ রবিবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন এ্যানী, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

    ফখরুল বলেন, মাহমুদুর রহমান হামলার আশঙ্কা বুঝতে পারার পর তিনি আদালতের কাছে নিরাপত্তা চাইলে আদালত থানার ওসিকে ডাকেন। আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে নিরাপত্তা দিতে এগিয়ে আসেনি। এমনকি উচ্চ পর্যায়ের সহযোগিতা চাওয়ার পরও তাকে সহযোগিতা করা হয়নি। মাহমুদুর রহমান আদালতে যাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে এলাকা ঘিরে রাখে। মাহমুদুর রহমান কোর্টের ওসির কথায় আদালত থেকে বের হওয়ার পর চারদিক থেকে তার ওপর হামলা করা হয়। ফলে তার মাথা ও গালে আঘাত লাগে, তিনি রক্তাক্ত হন। একজন জনপ্রিয় সম্পাদকের ওপর এভাবে নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

    উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ায় মামলা হয়। ওই মামলায় জামিন পেতে কুষ্টিয়া আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় আদালত আজ তাকে জামিন দিয়েছেন।

  • কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

    কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

    মোঃ মুশফিকুর রহমান (রিজভি): কঠোর পরিশ্রম এবং অসামান্য শৈল্পিকতায় বাসা তৈরি করে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে বাবুই পাখি। বাবুই পাখির এ অসামান্য পরিশ্রম এবং শিল্পি মনোভাবকে কেন্দ্র করেই কবি রজনীকান্ত সেন লিখেছিলেন কালজয়ী কবিতা ‘স্বাধীনতার সুখ’। ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায় কবি রজনীকান্ত সেন চড়–ই এবং বাবুই পাখির মধ্যে কথাপোকথন আকারে বাবুই পাখির নিজের তৈরি অনন্য বাসার যে পরিচয় দিয়েছেন তা আজ কেবলমাত্র বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ। কালের বিবর্তনে আজ বাবুই পাখির বাসা নেই বললেই চলে।

    এখন আর চোখে পড়ে না বাবুই পাখি ও তার নিজের তৈরি দৃষ্টিনন্দন সেই ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির বয়ন শিল্পী, স্থপতি এবং সামাজিক বন্ধনের কারিগর বাবুই পাখি ও তার বাসা। খড়, তালপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে বাসা বাঁধে। সেই বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা পড়ে যেতনা। বাবুই পাখির শক্ত বুননের এ বাসাটি শিল্পের এক অনন্য সৃষ্টি যা টেনে ছেঁড়াও কষ্টকর। এক সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছ আর বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না। কালের বিবর্তনে ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সেই দৃষ্টি ভোলানো পাখিটিকে ও তার নিজের তৈরি বাসা যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে নৈস্বর্গীক রূপ দিত, তা আজ আমরা হারাতে বসেছি।

    বাবুই Ploceidae গোত্রের অন্তর্গত একদল প্যাসারাইন পাখি। খুব সুন্দর বাসা বোনে বলে এরা “তাঁতী পাখি” (Weaver Bird) নামেও পরিচিত। বেশ জটিল গঠন আর খুব সুন্দও আকৃতির এর বাসা। এরা মূলত বীজভোজী পাখি, সে জন্য তাদের ঠোঁটের আকৃতি বীজ ভক্ষণের উপযোগী, চোঙাকার আর গোড়ায় মোটা।

    বাবুই সাধারণত দলবদ্ধভাবে জীবনযাপন করতে পছন্দ করে। এজন্য গ্রামাঞ্চলের তালগাছে একাধিক বাবুই পাখির বাসা লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশে তিন ধরনের বাবুই দেখা যায় এগুলো হলো দেশি বাবুই (Ploceus philippinus), দাগি বাবুই (Ploceus manzar) ও বাংলা বাবুই (Ploceus bengalensis)।

    বাবুই পাখির একটি অনন্য অসাধারণ বৈশিষ্ট এর বাসা বানানোর কৌশল। এরা বাসা বানানোর জন্য খুবই পরিশ্রম করে। এদের বাসা উল্টানো কলসির মত দেখতে। বাসা বুননে এরা ঘাস, খড়, নলখাগড়া ও হোগলার বন ব্যাবহার করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ সাজিয়ে নিপুণ যতেœ বাবুই তার বাসা তৈরি করে। পরম যতেœ পেট দিয়ে ঘষে (পালিশ করে) গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ হয়। শোনা যায় বাবুই জোনাকী ধরে এনে রাতে বাসায় আলো জ্বালানোর ব্যাবস্থা করে।
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য হারিয় যাচ্ছে বাবুই পাখি। অনেক অসচেতন মানুষ বাবুইয়ের বাসা ভেঙে ফেলে, একারণেও এদের সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে যাচ্ছে। দেশে বাবুইয়ের বাসা বুননের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান নল ও হোগলার বন কমে যাওয়া ও বাবুইয়ের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
    এ ব্যাপাওে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বাবুই পাখির বসবাসের যথাযোগ্য স্থান ও পরিবেশ কমে যাচ্ছে। যে কারণে বাবুই পাখি এবং এর বাসা বিলুপ্তির পথে।

    বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
    “কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
    আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার ‘পরে,
    তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।”
    বাবুই হাসিয়া কহে- “সন্দেহ কি তায়?
    কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়;
    পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
    নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”

    একসময় হয়তো রজনীকান্ত সেনের এ কালজয়ী কবিতা শুধু বইয়ের পাতায়ই থেকে যাবে। আগমী প্রজন্ম হয়তো দেখতে পাবে না বাবুই পাখির গর্বের সেই নিজ হাতে গড়া খাসা কাচা ঘর।

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোড়লের ৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম মোড়লের ৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ(বৃহস্পতিবার) সকালে কৃষ্ণকাটি আব্দুস সালাম স্মৃতি কমপ্লেক্সে শোক রালী ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরনসভার শুরুতে এক মিনিট নিরবতা ও মরহুমের ছবিতে পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়।

    সভাপতিত্ব করেন মোড়ল আব্দুস সালাম স্মৃতি সংসদের সভাপতি এড. বিপ্লব কান্তি মন্ডল।

    স্মৃতিচারনমূলক আলোচনা করেন অধ্যাপক আবুবকর সিদ্দিক, শিক্ষক আলমগীর হোসেন, মোড়ল আব্দুস শুকুর প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে শপথ বাক্য পাঠ করে।

  • সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা

     

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের মাসিক সভা ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধীত বাজেট এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদের আয়োজনে জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধীত বাজেট ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ ৬ হাজার ৪শ’৫ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ২৩ কোটি ৭৭ লক্ষ ৪১ হাজার ৬শ’৮০ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। জেলা পরিষদের বাজেট অধিবেশনের আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য মো. আল-ফেরদৌস আলফা, ওবায়দুর রহমান লাল্টু, ডালিম কুমার ঘোরামী, মো. আমজাদ হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম, এম.এ হাকিম, মহিতুর রহমান, গোলাম মোস্তফা মুকুল, কাজী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মাহফুজা রুবি, এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, রোজিনা পারভীন, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত এস.এম খলিলুর রহমান, সহকারি প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক মো. আবু হুরাইরা প্রমুখ। এসময় জেলা পরিষদের সদস্য ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • ব্যাংকখাতে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’

     

     

    শিরিআখতার

     

    ব্যাংকিং খাতে যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিঞ্চুতা (জিরো টলারেন্স) দেখানোর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ  সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

    বুধবার (২০ জুন) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তিনি।

    শিরিন আখতার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখিয়েছে। যারা সস্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।

    তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাতে সাফল্য আছে। কিন্তু কিছু মানুষ ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। কিছু মানুষের এই দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে ব্যাংর্কি খাত ধ্বংস হতে পারে না। সরকার যেভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিঞ্চুতা দেখিয়েছে। ঠিক একইভাবে ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিঞ্চুতা দেখাতে হবে।

  • দৌরত্ম বেড়েছে ক্লিনিক সমুহের :

    দৌরত্ম বেড়েছে ক্লিনিক সমুহের :

     

    বর্তমান সিভিল সার্জনের ব্যর্থতায় ভেঙ্গে পড়েছে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবা,
    নিজস্ব প্রতিবেদ: সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবা বর্তমানে সবচেয়ে নৈরাজ্যময়। বর্তমান সিভিল সার্জনের সীমাহীনা দূর্নীতি ও দায়িত্ব পালনের অযোগ্যতার ফলে ক্লিনিক ব্যবসা রমরমা। আর সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবার পরিবর্তে চিকিৎসা বানিজ্যের কবলে পড়ে গাট কাটার শিকার হতে হচ্ছে।
    বর্তমান সরকারের প্রথম থেকে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবার মান দ্রুত উন্নতির দিকে এগুতে শুরু করে। বিশেষ করে এ এফ এম রুহুল হক স্বাস্থ্য মন্ত্রি হওয়ার পর থেকে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবার বেশ পরিবর্তন আসে। পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রির প্রতিশ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হওয়ায় চিকিৎসার মান গুনগত ভাবে বৃদ্ধি পায়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হয়ে উঠে সাধারণ মানুষের প্রধান চিকিৎসা গ্রহনের ঠিকানা। এ সময় গুলোতে সিভিল সার্জন হিসেবে যে সকল ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালন করেন, তারা প্রায় সকলে তাদের নিজস্ব নৈপুন্যতা দিয়ে চিকিৎসা প্রশাসনকে গতিশীল রাখেন। কিন্তু বর্তমান সিভিল সার্জন দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সাতক্ষীরার চিকিৎসা সেবার পারদ নিন্মমুখি হতে শুরু করে। তাঁর অযোগ্যতার কারণে যোগ্যতা সম্পন্ন চিকিৎসকরা মেডিকেল কলেজের সাথে যুক্ত হতে থাকেন। ফলে সদর হাসপাতালে সৃষ্টি হয়েছে চিকিৎসক সংকট। সম্প্রতি দুজন শিশু মারা যায় চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা সেবা না পেয়ে। অন্যদিকে এ সুযোগ গ্রহন করেছে ক্লিনিক ও ডায়গোনেস্টিক কেন্দ্র সমুহ। এক্ষেত্রে প্রথম সারীতে আসে ডক্টরস ল্যাব। সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের মূল ঠিকানা এখানে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের অধিকাংশের প্যাথলজিক্যাল পরিক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়ে থাকে ডক্টরস ল্যাবে বলে অভিযোগ রয়েছে।
    ডক্টরস ল্যাব সাতক্ষীরা অঘোষিত চিকিৎসা ব্যবসার ডন । মালিক পক্ষের ক্ষতাশীনদের সাথে আত্মিয়তার বদৌলতে তারা পয়সা পাওয়া যাবে না বুঝলে সে রোগির চিকিৎসার প্রতি দেখায় চরম অনিহা। তাদের এ অনিহার শিকার হলের সদ্যপ্রয়াত সকলের প্রিয় ঝর্ণা বু। আর ২০১৩ তে জামাত-বিএনপির সন্ত্রাসী হামলার শিকার ছাত্রনেতা মামুন। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকায় তাদের দুজনের খবর বাইরে আসে। আর যাদের এ সম্পর্ক নেই তাদের অশ্রু নিরবে অনেক্ষেত্রে হুমকি ধামকিতে শুকিয়ে যায়। অবশ্য ল্যাব কতৃপক্ষ ক্ষমা চেয়ে ও রাজনৈতিক সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে বিষয় দুটির নিস্পত্তি করেন।
    বর্তমান সিভিল সার্জন ক্লিনিক গুলো থেকে নিয়মিত আর্থিক সুবিধা গ্রহন করায় সারা সাতক্ষীরাতে ব্যঙের ছাতার মত ক্লিনিক তৈরী গড়ে উঠেছে যেমন, তেমনি অপচিকিৎসায় শিকার হয়ে ভুগতে হচ্ছে সাধারন চিকিৎসা গ্রহনকারী মানুষদের। প্রাথমিক শর্ত পূরণ না করেও দিব্যি ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপদে সদর ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক ক্লিনিক। স্থানীয় জনগনের অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদপত্রে তথ্য উঠে আসলেও একটিতে তদন্ত করেছেন এমন উদাহরণ এখনও তৈরী হয়নি।
    এতই দায়িত্বহীন বর্তমান সিভিল সার্জন যে শ্যামনগর হাসপাতালের দায়িত্বশীল চিকিৎসের নিজস্ব গাড়ী চাকায় চালনারত অবস্থায় একজন সাধারন মানুষ হত্যা হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্যামনগর হাসপাতালের এ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রয়েছে মাদকগ্রহনেরও অভিযোগ।
    সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকটি সভায় হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সভাপতি এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    সাতক্ষীরা সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন পূর্ব্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার বিষয়টি সাতক্ষীরার সুধিমহল প্রত্যাশা করে। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল মনে করে চলতি বছরের শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগেই সাতক্ষীরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য কাটিয়ে চিকিৎসা সেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছাতে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের তৎপর হওয়া জরুরী। অন্যথায় সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের সফলতার বিরুপ বার্ত যাবে।

  • হালদায় মা মাছের মৃত্যুর মিছিল : সংশ্লিষ্ঠরা উদ্বিগ্ন

    দূষণে বিপর্যস্ত হালদা নদী। মরে ভেসে উঠছে মা মাছ। ভেসে উঠছে মৃগেল, বড় বড় আইড়, কাতলা, বাইন, টেংরা, পুটি, চিংড়িসহ নানান প্রজাতির মাছ বা অন্য জলজ প্রাণী। তবে সবই মৃত। আর এই দৃশ্যদেখে কোপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে হালদাপাড়ের মানুষের। কারণ ওদের বেঁচে থাকার অবলম্বন এই হাল নদীর মা মাছেরা। কদিন ধরে পানি ওপর মা মাছেরা মরে ভেসে উঠছে। এদিকে হালাদার এই বিপর্যয় দেখে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে সচেতন মহলের। তারা বলছেন হালদা বাঁচাতে এখনই আন্দোলনের ডাক দিতে হবে।

    জানা গেছে, ক‘দিন আগের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে তলিয়েছে জেলার ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজানের নিম্নাঞ্চল। ওই পানি নামার পর কয়েকদিন ধরে হালদার মাছ মরে ভেসে ওঠার বিষয়টি দৃষ্টিতে আসে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। একদিন আগে বৃহস্পতিবার অল্প পরিসরে দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার দেখা যায় মৃত্যুর মিছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রচুর মাছ ও জলজপ্রাণী মারা গেছে।

    হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, খবর পেয়ে হালদা-কর্ণফুলীর মোহনা থেকে নদীটি পরিদর্শন করেছি। দূষণে বিপর্যস্ত হালদার পানি। মাছ মরে ভেসে উঠছে। ২/৩ কেজি থেকে শুরু করে ১৫ কেজির রুই মাছও রয়েছে এই মৃতমাছের সারিতে।

    তিনি বলেন, গবেষণার জন্য ১৫ কেজি ওজনের মৃগেল মাছ মাটি দিয়েছি। পরে কঙ্কাল সংগ্রহ করা হবে। এর আগে এই নদীতে কয়েক মাস আগে হালদার অনেক ডলফিন মরে ভেসে উঠেছিল।

  • আর্জেন্টিনা সুতার ঝুলেআর ষোলতে ক্রোয়েশিয়া

    মেসিদের হারিয়ে শেষ ষোলতে ক্রোয়েশিয়া

    আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপের আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালে মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার জিতেছিল আর্জেন্টিনাই। কিন্তু সেই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি যে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে হবে না তা কি ভেবেছিলেন হোর্হে সাম্পাওলির শিষ্যরা? নিজনি নভগোরোদে এদিন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দলটি। শেষ ষোলর আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই। তবে এমন ম্যাচেই আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হেরে গেছে ক্রোয়েশিয়ার কাছে। এই জয়ে দলটি নিশ্চিত করেছে শেষ ষোল। ১৯৯৮ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম গ্রুপপর্বের বাধা পেরিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। এদিন ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোল তিনটি করেছেন আনতে রাবিচ, অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ ও ইভান রাকিতিচ। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের পর গ্রুপপর্বে এটাই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় হার। দলটির শেষ ষোলর স্বপ্ন এখন সুঁতোর উপর ঝুলছে।

    যুগোস্লাভিয়ার কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলেছিল ক্রোয়েশিয়া। সেবার জাদুকরী স্ট্রাইকার ডেভর সুকারের নৈপুণ্যে সেমি ফাইনালে খেলেছিল দলটি। সেখানে হারলেও তৃতীয় হয়ে দেশে ফিরেছিল ক্রোয়াটরা।

    সেই বিশ্বকাপের পর আর গ্রুপপর্বের বাধা পেরোতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। তবে ২০ বছর পর রাশিয়ায় এসে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে ফেলেছে দলটি। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই তারা এবার নিশ্চিত করে ফেলেছে শেষ ষোল। সুকারের মত স্ট্রাইকার এবার দলে নেই। তবে সে অভাব পূরণ করছেন অধিনায়ক মদ্রিচ। দুই ম্যাচেই একটি করে গোল পেয়েছেন তিনি। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের ৮০ মিনিটে করা তার গোলটি ছিল চোখের জন্য শান্তিদায়ক।

    এবারের বিশ্বকাপের মূলপর্বে আসতেই দারুণ হ্যাপা পোহাতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। আর এখানে এসে তাদের শেষ ষোলর ভাগ্য এখন ঝুলছে সুঁতোর উপর। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তাদের জিততেই হবে। সাথে তাকিয়ে থাকতে হবে আইসল্যান্ড-নাইজেরিয়া ও ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ডের ম্যাচের দিকেও। সর্বশেষ ২০০২ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব পেরোতে পারেনি দুইবারের বিশ্বসেরা এই দলটি।

    অথচ ম্যাচের শুরুটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছিল। তেমনটা হয়েছিলও। কিন্তু ম্যাচের ফলাফলটি হয়েছে পুরো একপেশে।

    ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। দলটির মিডফিল্ডার ইভান পেরিসিচের নিচু শট লাফিয়ে আঙুল ব্যবহার করে বাইরে পাঠিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক উইলি কাবায়েরো।

    দশম মিনিটে আর্জেন্টিনার ডিবক্সে ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড আনতে রেবিচকে দারুণ একটি পাস দিয়েছিলেন মদ্রিচ। তবে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার তালিফিকো আক্রমণের সেই প্রচেষ্টা রুখে দেন।

    ম্যাচে গোল করার সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিল আর্জেন্টিনাই। ম্যাচের ৩০ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার ডিবক্সে সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় বল পান আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার এনজো পেরেজ। এসময় প্রতিপক্ষের গোলপোস্টও ছিল পুরো ফাঁকা। তবে পোস্টের বাইরে শট নিয়ে সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।

    এর তিন মিনিট পর ক্রোয়েশিয়ার স্ট্রাইকার মারিও মানজুকিচ একটি সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন। আর্জেন্টিনার ডিবক্সে পাওয়া ক্রস থেকে তিনি হেড করেন। তবে বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

    ইনজুরি সময়ে মদ্রিচের দুর্দান্ত থ্রু পাস থেকে একেবারে ফাঁকায় বল পান রেবিচ। তবে দুর্বল ফিনিশিংয়ে রেবিচ দলের জন্য কোন সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেননি।

    ম্যাচের ৫৩ মিনিটে আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মারকাদো ব্যাক পাস দেন গোলরক্ষক কাবায়েরোকে। তিনি চিপ করে বলটি আরেক সতীর্থ ডিফেন্ডারকে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন। সেই ভুলকে কাজে লাগান রেবিচ। দারুণ এক ভলিতে এই ফরোয়ার্ড আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ান।

    ম্যাচের ৬৪ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়ার গোলপোস্টের পাশের জটলা থেকে শট নিয়েছিলেন সুপারস্টার মেসি। কিন্তু তার বার্সেলোন সতীর্থ ইভান রাকিতিচ পা দিয়ে দারুণ দক্ষতায় বলটি আটকে গোলবঞ্চিত করেন আর্জেন্টিনা ও মেসিকে।

    এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিটে সেই জাদুকরী মুহূর্ত। ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার ও অধিনায়ক মদ্রিচ আর্জেন্টিনার ডিবক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নেন। তার বাঁকানো শটটি গোলরক্ষক কাবায়েরোর প্রচেষ্টাকে মাটি করে দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।

    যোগ করা সময়ে তৃতীয় গোলটি করেন রাকিতিচ। কোভাসিচের পাস থেকে আয়েশি ভঙ্গিতে বল জকালে জড়ান তিনি।

    ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর বিমর্ষ মেসিরা মাঠ ছাড়েন। তখন কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেক আর্জেন্টাইন সমর্থক। কিংবদন্তি ম্যারাডোনার চোখেও জল। ভাগ্যকে সাথে নিয়ে এবার কি গ্রুপপর্ব পেরোতে পারবে দলটি?

  • সাতক্ষীরায় কৃষি ও পানি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভা

    সাতক্ষীরায় কৃষি ও পানি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৮ জুন শুক্রবার দুপুর ২ টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে সাতক্ষীরায় কৃষি ও পানি নিয়ে এক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নদী ও জলবায়ূ বিশেষজ্ঞ এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য ড. আইনুন নিশাদ। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন সহ উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ডf. আফতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, দৈনিক দক্ষিনের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জি,এম নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক পত্রদূত (ভারপ্রাপ্ত) সম্পাদক এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক প্রথম আলোর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি কল্যান ব্যানার্জী, এটিএন বাংলার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এম, কামরুজ্জামান, দৈনিক জনকন্ঠের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন, দৈনিক নবনিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি গোলাম সরোয়ার, দৈনিক কালের চিত্র ও ভয়েস অব সাতক্ষীরার স্টাফ রিপোটার মোঃ নাজমুল আলম মুন্না, উপপরিচালক বিএডিসি মোঃ নাজিম উদ্দীন, ২০৩০ বাংলাদেশ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপের কনসালটেন্ট রেহনুমা রহমান, ২০৩০ বাংলাদেশ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপের কোর্ডিনেটর সাইফ তানজিম কাইয়ুম(ওয়ার্ল্ড ব্যাংক) ব্র্যাক ইউনিভারসিটির লেকচারার এবং কোর্ডিনেটর অপারেশন রউফা খানম, ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর সঞ্জয় কুমার ও ওলি আহমেদসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার প্রতিনিধি। আলোচনায় সাতক্ষীরা কৃষি, মাছ, ধান, পাট,ফল-ফালালি, মানুষের জীবন জীবিকা মান-ধরন এবং নদী, নালা, খাল-বিলসহ প্রধান প্রধান অন্তরায় ও নেতিবাচক বিষয়গুলোর উপর আলোচনা করতে যেয়ে জেলা প্রশাসক বলেন সাতক্ষীরার প্রধান সমস্যা হচ্ছে সুপেয় পানি, এটা থেকে উত্তরণ হতে পারলে সাতক্ষীরার মানুষ অনেকটা স্বস্থি পেত । এছাড়া সাতক্ষীরার মানুষ নানা পেশার সাথে সম্পৃক্ত এই পেশা দিক দিয়ে যে যেভাবে নিজের উন্নয়ন ঘটাতে চায় সেটা তারাই ভাল বোঝে। যে লোক যে পোশার দিকে যেতে চায় অর্থনৈতিক ভাবে স্বালম্বি হতে কুরুক না এতে কোন সমস্যা নেই। যারা মাছ চাষ করতে চায় তারা মাছ চাষ করুক, যারা ফসল ফলাতে চায় তারা ফসল ফলাক। কিন্তু একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের চাষ না করে একটা ফসলের চাষই ভাল। এতে তেমন কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু মাছ চাষও করবেন আবার ধান চাষ করবেন তা হলেতো কোনটিই ভাল হবে না। এছাড়া আমাদের সমন্বয় হীনতার কারনেই কোন কাজে এজন্য মানুষ ভাল সুফল পায়না। ভাল সুফল পেতে হলে কাজের সমন্বয় দরকার। খাল ভরাট, নদী ভরাট, নদীর নাব্যতা হারানো চাষিদের জন্য প্রধান অন্তরায়।

  • আশাশুনি উপজেলা প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য কমিটির ত্রৈমাসিক সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা প্রতিবন্ধী স্বাস্থ্য কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সিবিএম এর সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডিজএ্যবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) এর প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের জন্য একীভূত স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুন কুমার ব্যানার্জী। প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেনের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ম. মোনায়েম হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান,সমাজ সেবা কর্মকর্তা এমদাদুল হক, মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন ঘোষ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, ডিপিও সদস্য মফিজুল ইসলাম, আরশাদ আলী, খলিলুর রহমান, ডিআরআরএ প্রতিনিধি বরুণ কুমার সরদার, এহসান করিম প্রমুখ। সভায় প্রকল্পের ত্রৈমাসিক কাজের রিপোর্ট উপস্থাপন, পর্যালোচনা, অগ্রগতি, কর্মপরিকল্পনা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

  • দেবহাটায় আটক ৩৫ জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

    দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় পুলিশের অভিযানে জামায়াতের গোপন বৈঠক করার অভিযোগে আটককৃত ৩৪ জন নারীকর্মীকে আটক করে।
    গতকালদেবহাটায় পুলিশের অভিযানে জামায়াতের গোপন বৈঠক করার অভিযোগে আটককৃত ৩৪ জন বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন দেবহাটা থানার এসআই রাজিব কুমার। মামলার আসামীরা হলেন, উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মহিউদ্দীন মিস্ত্রী (৪৬), একই গ্রামের রাহাতুল্লার স্ত্রী ফজিলা বেগম (৪২), একই গ্রামের সাবুর আলী গাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৮), দক্ষিন পারুলিয়া গ্রামের নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী রুমা খাতুন (১৯), ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত গফুর গাজীর স্ত্রী রোজিনা বেগম (৪৮), উত্তর সখিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৫৫), একই গ্রামের আরশাদ আলীর স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩১), একই গ্রামের সালামতুল্লা গাজীর স্ত্রী আকিলা বেগম (৫৮), একই গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সায়রা খাতুন (৩৩), সাতক্ষীরা সদর থানার মাগুরা গ্রামের শফিউল্লাহ শেখের স্ত্রী জরিনা বেগম (৩০), উত্তর সখিপুর গ্রামের নুর ইসলাম সরদার খোকনের স্ত্রী কদবানু বেগম (৪৮), দক্ষিন সখিপুর গ্রামের মুনসুর আলীর স্ত্রী খোদেজা বেগম (৫২), উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর স্ত্রী শাহিদা খাতুন (৬৬), একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (২৬), একই গ্রামের মারুফ হোসেনের স্ত্রী বেবি খাতুন (৩৭), মোহাম্মাদলীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে সেলিনা পারভিন (২৬), উত্তর সখিপুর গ্রামের মহিউদ্দীন গাজীর স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩৯), একই গ্রামের হাসন সেলিমের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৩৯), একই গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী জামিলা খাতুন রুপা (২৪), একই গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪১), সামছুল আরেফের স্ত্রী তহুরা খাতুন (৩৬), খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সোহরাব খাকনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৪৬), উত্তর সখিপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী বিলকিস খাতুন (২৪), একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী হাফিজা খাতুন (৪৫), একই গ্রামের বাবুর আলীর স্ত্রী জোহরা বেগম (৪৯), একই গ্রামের মৃত সাকাতুল্লাহ গাজীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫), একই গ্রামের শাহজাহান মিস্ত্রির স্ত্রী আঞ্জুয়াবা খাতুন (৪১), একই গ্রামের নুর ইসলাম মোল্লার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৩২), একই গ্রামের সামছুর রহমানের স্ত্রী জেলেখা বেগম (৩৬), দক্ষিন পারুলিয়া গ্রামের আব্দুর রউফের স্ত্রী রেহেনা বেগম (৩৭), আশাশুনির খাজরা গ্রামের আজিজ সরদারের স্ত্রী রোজিনা আজিজ (৩৭), উত্তর সখিপুর গ্রামের শেখ আলী হোসেনের স্ত্রী মাসুদা খাতুন (৪৫), একই গ্রামের ইব্রাহীমের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন (৩৫), একই গ্রামের হবিবার সরদারের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৩) ও একই গ্রামের আল মামুনের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (১৬)। উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানার এসআই রাজিব কুমার বাদী হয়ে ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন তৎসহ ১৫(৩)২৫-উ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ০২/১৮, জি আর নং- ৭০/১৮। আটককৃত আসামীদেরকে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে মহিউদ্দীনের বাড়ি থেকে জামায়াতের গোপন বৈঠক করার সময় উক্ত আসামীদেরকে আটক করা হয়।

  • সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল দল সিলেট জেলা ফুটবল দলের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে

    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণ মিল্ক জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০১৭-১৮ এর বিভাগীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় সিলেট জেলা ফুটবল দলের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল দল। রবিবার ঢাকা কমলাপুর মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মুখো মুখি হয় সাতক্ষীরা জেলা দল বনাম সিলেট জেলা ফুটবল দল। খেলার প্রথমােের্ধর খেলায় সাতক্ষীরা জেলা দলের ১০ নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় আলামিন ১টি গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়। পরে সিলেট জেলা ১টি গোল করে খেলায় সমতা আনে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় তুমুল প্রতিদ্বদ্বিতা করে কোন দল গোলের দেখা পায়নি। সেই সুবাধে সাতক্ষীরা জেলা দল ১-১ গোলে ড্র করে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ লাভ করে। সাতক্ষীরা জেলা দলের ১০ নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় আলামিন ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে। আগামী ০৫ জুন ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল খেলায় অংশ নেবে। সাতক্ষীরা জেলার পক্ষে জি-ফুল বাড়ি দরগা শরিফ আলিম মাদ্রাসার ছাত্ররা ভালো খেলা উপহার দিয়ে ক্রীড়াঙ্গণে জেলার সাফল্য ও সুনাম ধরে রাখায় জেলা ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি।