Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 61 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • কলারোয়া সীমান্তে পতাকা বৈঠক, শিশুসহ ৪ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর


    কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলেিদশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে নারী, শিশুসহ ৪ বাংলাদেশীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কাকডাঙ্গা সীমান্তের মেইন পিলার ১৩/৩ এসএর ৩ আরবি’র নিকট এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হস্তান্তরকৃত বাংলাদেশীরা অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশকালে তারালী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে।
    হস্তান্তরকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে আজগার আলী (৩০), তার স্ত্রী সুমি বিবি (২৩), একই গ্রামের আরশাদ আলীর স্ত্রী সালমা খাতুন (২৫) ও শিশু আরবিনা খাতুন।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের কলারোয়া কাকডাঙ্গা বিওপির ল্যান্স নায়েক হেলাল উদ্দীন জানান, গত ৩/৪ দিন আগে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করার পর তারালী এলাকায় থেকে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা চার বাংলাদেশীকে আটক করে। এঘটনার পর আটক বাংলাদেশীদের ফেরত দেয়ার জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা কলারোয়া কাকডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে পত্র মারফত অবহিত করে। তিনি বলেন, আটক বাংলাদেশীদের ফেরত নিতে রবিবার বিকালে কাকডাঙ্গা সীমান্তে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আটক চারজনকে বিএসএফ সদস্যরা তাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিকাল ৫ টার দিকে তাদেরকে কলারোয়া থানায় সোপার্দ করা হয়েছে।
    কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মারুফ আহম্মেদ জানান, অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে বিজিবি বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিক কার্যালয় লুটের প্রতিবাদে মানববন্ধন সমাবেশ

    সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিক কার্যালয় লুটের প্রতিবাদে মানববন্ধন সমাবেশ


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণকেন্দ্র’ ও দেশ টিভি- বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি’র সাংবাদিক কার্যালয় লুটের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘প্রাণকেন্দ্র’ এ মানববন্ধন সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাংবাদিক আবুল কাশেম, সেলিম রেজা মুকুল, আশরাফুল ইসলাম খোকন, নাট্যকর্মী হাসানুর রহমান, পল্লব মজুমদার, মোহসিনা মুক্তা প্রমুখ।
    মানববন্ধন সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিডি নিউজ ও দেশ টিভি’র সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মকবুল হোসেন।
    উল্লেখ্য মঙ্গলবার সাতক্ষীরার বনানী মার্কেটে অবস্থিত সাতক্ষীরায় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রাণকেন্দ্র’ ও দেশ টিভি- বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমনের কার্যালয়টি তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায় ভেঙে লুট করে নিয়ে যায় স্থানীয় সন্ত্রাসী কামরুজ্জামান বুলু ও তার সন্ত্রাসীরা। মার্কেট মালিক আব্দুল জলিল ও বুলু’র মধ্যে বিরোধ থাকলেও এর সাথে প্রাণকেন্দ্রের কোন বিরোধ ছিল না। বিনা কারণে এধরনের ঘটনা ঘটার প্রতিবাদে সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা ও সাংস্কৃতিক সংগঠকরা এর প্রতিবাদে নেমে পড়ে।
    সমাবেশে অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তাকে হেনস্থা করতে কয়েক মিনিট লাগে। আর একজন চোরাকারবারী জঙ্গিবাদের মোড়ল তাকে রক্ষা করে চলেছে কোন সুবিধার কারণে। তিনি অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্থ প্রাণকেন্দ্র কতৃপক্ষকে ক্ষতিপুরণ দেয়ার জন্য ও সন্ত্রাসীদের শাস্তি দেয়ার জন্য দাবি জানান। সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমি’র দন্দ্ব থাকলে জমি’র মালিকরা বুঝবে কিন্তু ভাড়াটিয়ার সম্পদ লুট করা এটা কোন ধরনের বেআইনী কার্যকলাপ। উচ্চ আদালতে যে মামলা চলমান তা নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্য পণোদিত। তিনি অবিলম্মে লুটকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন বলেন, তিন দিনের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং দোষীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিতে হবে।

  • পূন স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হল সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস উৎসব

    পূন স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হল সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস উৎসব


    ডি এম আব্দুল্লাহ আল মামুনঃ বঙ্গোপসাগরের পাড়ে সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলের রাস উৎসব শেষ হল পুর্ণ স্নানের মধ্য দিয়ে। এবছর ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বর ২০১৮ তিন দিন ব্যাপী রাস পূর্নিমা উপলক্ষ্যে সুন্দরবনের দুবলার চরের (আলোর কোল) রাস উৎসব ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়। দুবলার চরের এই রাস উৎসব প্রায় ২০০ বছরের পুরানো একটি ঐতিহ্য। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী এই উৎসবকে ঘিরে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে।

    সুন্দরবনের আলোরকোলের এই রাস উৎসব নিয়ে কথিত আছে, ১৯২৩ সালে ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারী হরি ভজন নামে এক হিন্দু সাধু এই মেলা শুরু করেছিলেন। তিনি চব্বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফল-মূল খেয়ে অলৌকিক জীবন-যাপন করতেন। অন্য একটি মতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ শত বছর আগের কোনো এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান।। সেই থেকে শুরু হয় রাসমেলার। আবার কারও কারও মতে, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ উপলক্ষ্যেই দুবলার চরে পালিত হয়ে আসছে রাস উৎসব। আবার আব্দুল জলিলের সুন্দরবনের ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ফরিদপুর জেলার ওড়াকান্দি গ্রামের জনৈক হরিচাঁদ ঠাকুর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পূজা পার্বণাদি ও অনুষ্ঠান শুরু করেন দুবলার চরে গিয়ে। তারপর থেকে মেলা বসছে। সবশেষে মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব জিয়াউর রহমান এই রাস উৎসবকে পুর্নাঙ্গভাবে ও বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করেন। বনের ভেতরের আটটি পথ দিয়ে মেলায় এসেছে বিভিন্ন ধর্মের উৎসুক লোকজন। এই রাস মেলাকে ঘিরে গোটা সুন্দরবনে নেওয়া হয়েছে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুবলার চরের রাস মেলার রুপকার মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব জিয়াউর রহমানের জীবনী নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শণী করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাস উৎসব। পরের দিন(২২ নভেম্বর) শ্রী কৃষ্ণের রাসলীলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়।

    যাত্রাপথে কেউ যেন সুন্দরবনে লাউডস্পিকার না বাজায়, নদীতে পলিথিন বা অন্যান্য বর্জ্য ও তেল জাতীয় দ্রব্যাদি ফেলা থেকে বিরত থাকে সেজন্য দর্শার্থীদের সচেতন করার লক্ষ্যে সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি জনসচেতনতমূলক একটি ক্যাম্পেইন করেন। রাস উৎসব সম্পর্কে বারসিক কর্মকর্তা মননজয় মন্ডল বলেন,“ সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস উৎসবে কয়েক লক্ষ দেশী বিদেশী পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে। পবিত্র এই আলোর কোলের বুকে বঙ্গপসাগরের লোনা পানিতে পুন¯œানের মাধ্যমে পাপ মোচনে মেতে ওঠে নারী পুরুষ সকলেই। তিনি আরো বলেন আমাদের সকলের সচেতনতা আন্তরিকতায় উৎসবটি টিকে থাকবে হাজার বছর সুরক্ষিত থাকবে আমাদের সুন্দরবনের বৈচিত্র্য।”

    আলোর কোল দ্বীপেই বসে সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় উৎসব রাসমেলা। প্রতি বছর কার্তিক-অগ্রহায়ন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় এ মেলা। প্রতি বছর তিন দিনব্যাপী উদযাপিত হয়। এ মেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছেও বেশ আকর্ষণীয়। মেলা শেষ হয় শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে।

  • সমাজ সেবক নূর আলী মিয়ার ইন্তেকাল: শোক

    সমাজ সেবক নূর আলী মিয়ার ইন্তেকাল: শোক


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক পত্রদূত’র উপদেষ্টা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের খালু এবং জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা প্রধান শাখার ম্যানেজার (অবসরপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলামের পিতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব মো. নূরুল ইসলাম ওরফে নূর আলী মিয়া (৯৫) আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি সোমবার ভোর ৬টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে ৮ ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার চতুর্থ ছেলে সিরাজুল ইসলাম জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, মেঝো ছেলে শফিকুল ইসলাম প্রকৌশলী হিসেবে রাজধানী ঢাকার বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন। ষষ্ঠ ছেলে আনারুল ইসলাম সাবেক যুবলীগ নেতা বর্তমানে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। এছাড়া মরহুমের পঞ্চম পুত্র মো. মনিরুল ইসলাম মনি দৈনিক পত্রদূত’র অফিস স্টাফ হিসেবে কর্মরত।
    সোমবার বাদ আছর ওয়াপদা ঈদগাহ ময়দানে জানাজা নামাজ শেষে কামালনগর সরকারি কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে তাকে দাফন করা হয়। জানাজা নামাজে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, জাপা নেতা আব্দুস সালাম সরদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    মো. নূরুল ইসলাম ওরফে নূর আলী মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন দৈনিক পত্রদূত’র সম্পাদক ম-লীর সভাপতি অধ্যাপক মো. আনিসুর রহিম, সম্পাদক ও প্রকাশক লুৎফুন্নেসা বেগম, উপদেষ্টা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, সহকারী সম্পাদক সাখাওয়াত উল্যাহ, অধ্যাপক জাভিদ হাসান, সুদয় কুমার ম-ল, সাহিত্য সম্পাদক গাজী শাহজাহান সিরাজ, ম্যানেজার অচিন্ত্য কুমার রায়, বিশেষ প্রতিনিধি নিয়াজ কাওসার তুহিন, সিনিয়র রিপোর্টার এড. খায়রুল বদিউজ্জামান, এম জিললুর রহমান, আব্দুস সামাদ, আমিরুজ্জামান বাবু, শেখ বেলাল হোসেন, আসাদুজ্জামান সরদার, শেখ আব্দুল আলিম, আব্দুর রহিম, মীর মোস্তফা আলীসহ প্রমুখ।

  • ‘বাংলাদেশ রিভার ফোরাম-২০১৮’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    ‘বাংলাদেশ রিভার ফোরাম-২০১৮’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত


    ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে দিন ব্যপি পিকেএসএফ অডিটোরিয়ামে “ লিসেনিং টু দা গ্রাসরুট’ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে দেশব্যপি গড়ে উঠা নদী রক্ষা আন্দোলন সমুহের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ রিভার ফোরাম-২০১৮’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রিভাররিন পিপউলস এর আয়োজিত সম্মেলনে তৃণমুল পযায়ের ৭০টি অধিক নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ঠ  অর্থনীতিবীদ ড. খলিকুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান ড. মুজিবর রহমান হাওলাদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবীর, অক্সফ্যামের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এমডি আকতার, পিকেএসএফ এর ডেপুটি ডিরেক্টর ড. মো. জসিমুদ্দিন, পরিবেশ আইনজীবী আব্রাহিম লিং কং প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য দের রিভাররিন পিপলসে এর সেক্রেটারী জেনারেল শেখ রোকন।

    আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, বড়াল নদী রক্ষা কমিটির সম্পাদক মো. মুজিবর রহমান, বুড়িগজ্ঞা বাচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক মিহির দত্ত প্রমুখ তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন সম্মেলনে।

    সমাপনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিভারাইন পিপলসের সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক  ড. এমডি মাসুদ পারভেজ আলম, প্রধান অতিথি ছিলেন পিকেএসএফ এর ব্যাবস্থাপনা  পরিচালক ও সাবেক সচিব মো. আব্দুল করীম । এ পর্বের বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষনিক সদস্য এমডি. আলাউদ্দীন, বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রেজয়ানা হাসান, বাপার জেনেরেল সেক্রেটারী ডা. আব্দুল মতিন ও রিভারাইন পিপলসের ডিরেক্টর আনোয়ার হোসেন।

  • সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই চলছে শ্যামনগরের বেশিরভাগ ক্লিনিক

    ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: ‘ভুল অপারেশনে প্রাণ গেল রোগীর’ এমন শিরোনামে প্রতিনিয়তই প্রকাশিত হচ্ছে খবর। যোগ্য ডাক্তার ও নার্সের অভাবে জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকসমূহে এরকম ঘটনা ঘটছে অহরোহ। মানব সেবার নামে ক্লিনিকগুলো যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যু ফাঁদ। এসব ফাঁদে পড়ে রোগীকে ভোগান্তিতো পোহাতে হয়ই রোগীর পরিবারের সদস্যরাও ক্লিনিকের খরচ বহন করতে করতে দিশেহারা। এমন দৃশ্য এখন জেলার সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। আর এর মূল কারণ সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেবার নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পরিচালিত হওয়া জেলার এসব ক্লিনিকের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ‘দৈনিক দক্ষিণের মশাল’ এ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

    শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে সরকারি নীতিমালা না মেনে এম.বি.বি.এস ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স ও লাইসেন্সবিহীন চলছে কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকের বেশিরভাগ কাজ চলে স্বল্প শিক্ষিত নার্স দিয়ে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্লিনিকই চালানো হচ্ছে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাস নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিকে ডাক্তারের কাজ শুধুমাত্র অস্ত্রপচার পর্যন্ত। অস্ত্রপচারের পর ইনজেকশন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করেন অদক্ষ নার্সরা।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার ১৩ টি ক্লিনিকের মধ্যে ১১ টি ক্লিনিকই চলছে নাম মাত্র ডাক্তার আর গুটিকতক অদক্ষ নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিক চালাতে ক্লিনিক মালিকরা সহযোগীতা নিচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কিছু নেতাদের।

    সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমা নার্স থাকতে হয়। থাকতে হয় নবায়ন লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, নারকুটি লাইসেন্স, ইনকামটেক্স ও ফায়ারসার্ভিস লাইসেন্স। এরপর অপারেশন থিয়োটারে (ওটি) এসি, হাউড্রোলিক টেবিলসহ সকল সার্জিকাল যন্ত্রপাতি থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকে এসবের বেশিরভাগই নেই।

    তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আরজি ক্লিনিক নার্সিং হোম, নওয়াবেঁকিতে দুইটি শামিমা ও ডাক্তার ফার্নান্দো নববে মাদার এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, বংশীপুরে তিনটি শ্যামনগর ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বংশীপুর নার্সিং হোম ও জননী নার্সিং হোম। শ্যামনগর সদরে সুন্দরবন নার্সিং হোম, নগর হাসপাতাল ও সেবা ক্লিনিক সরকারি কোন নিতিমালা না মেনেই নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে তাদের ক্লিনিক ব্যবসা। রোগীদের জীবন নিয়ে ডাক্তার বিহীন ক্লিনিকগুলো খেলা করে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

    এসব ক্লিনিকে ভর্তি রোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ডাক্তার অপারেশন করে রেখে চলে যায় এরপর নার্স দিয়ে তাদের সেবা করানো হয়। পরেরবার ডাক্তারের দেখা পেতে সময় লাগে ৩-৪ দিন। ডাক্তার যখন নতুন রোগীদের অপারেশন করতে আসেন তখন ভর্তি রোগীদের এক নজর দেখে যান।
    অবৈধভাবে ক্লিনিক চালানোর কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিকরা বলেন, ‘একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স সর্বক্ষণ রেখে রোগীদের চিকিৎস্য দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। তবে ডাক্তার প্রতিদিন তাদের ক্লিনিকে এসে রোগীদের দেখে যায়। এছাড়া সব প্রকার লাইসেন্স সরকারিভাবে বন্ধ আছে।’

    ডাক্তার, নার্স ও লাইসেন্সবিহীন এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার তওহিদুর রহমান বলেন, ‘যে সময় আমি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে যায় সেসময় ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকে এজন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তবে যদি কোন ক্লিনিক সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে পারে বাসক পাতা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: বাড়িতে-বাড়িতে ঘেরা বেড়া দেওয়ার কাজে বেশ জনপ্রিয় বাসক গাছ। গ্রাম জুড়ে এর ছড়াছড়ি। এক ধরনের বিকট দুর্গন্ধের জন্য এর পাতায় গবাদি পশু মুখ দেয় না। ফলে সহজেই জমি ও বাড়ি ঘেরার কাজ চলে। ঔষধি গুনসম্পন্ন এই বাসক পাতা এখন ঘুরিয়ে দিচ্ছে গ্রামীন মানুষের ভাগ্যের চাকা ।

    বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বাসক পাতার কদর রয়েছে বেশ। সর্দি কাশি সারাতে সবুজ বাসক পাতা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায় এ বিশ্বাস রয়েছে এখনও । কিন্তু এই পাতা যে মানুষের অর্থনৈতিক চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে তা ছিল ধারনার বাইরে।দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষ হচ্ছে বাসক উদ্ভিদের। ভারতেও বাসক উদ্ভিদের ব্যাপক চাষ রয়েছে। সাতক্ষীরাতে এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ঔষধিগুণ সম্পন্ন বাসক। ধারণা করা হচ্ছে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাতে পারে এ বাসক।

    সাতক্ষীরার ফিংড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান আগে মনে করতাম আবর্জনা। এখন তা সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। এতে লাভ হচ্ছে বেশ। একই গ্রামের আমিরুন বেগম জানান তিনি প্রতি কেজি কাঁচা পাতা ৫ টাকা কেজি দরে কিনে শুকিয়ে বিক্রি করছেন ৩৫ টাকায়। সাতক্ষীরায় উৎপাদিত এসব বাসক পাতা এখন ওষুধ কোস্পানিগুলি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এর ঔষধিগুন এতো বেশি যে এই পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে কাশির সিরাপ। বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা করে বলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ নিরাময়ে বেশ উপকারী। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাও বাসক পাতার ব্যবহার রয়েছে। 

    জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার মাটি বাসক চাষের জন্য উপযোগী। তাই এ অঞ্চলে বাসক উদ্ভিদ জন্মায় প্রচুর পরিমাণে। ঘেরা বেড়ায় ব্যবহার করা এই উদ্ভিদের পাতা ছিড়লে গাছ মরে যায় না। আবারও নতুন নতুন পাতা গজায়। সারা বছর চলে নতুন পাতা গজানো। ডাল কেটে মাটিতে পুতে দিলে হয়ে ওঠে নতুন গাছ। আর্দ্র ও সমতল ভূমিতে এই উদ্ভিদ জন্মায়। বিকট গন্ধের কারণে এতে ছত্রাক জন্মায়না। এমনকি পোকা মাকড়ও ধরে না। এই পাতা দিয়ে ফল মুড়ে রাখলে তা ভাল থাকে।

    বাসক পাতা সংগ্রহকারী দলের নেতা বিউটি বেগম বলেন, ‘আমরা কাঁচা পাতা রস করে খাই। আগে এর কোনো অর্থনৈতিক গুরুত্ব দিতাম না। এখন সংগ্রহ করে বিক্রি করছি।’তিনি বলেন, ‘বাড়ির বেড়ার গায়ে থাকে। গাছ বাড়েও বেশ। এখন তা তুলে এনে শুকিয়ে বিক্রি করছি। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি। বাসক লাগাতে পৃথক জমির দরকার নেই।’ফিংড়ি গ্রামের সাবিনা খাতুন, ‘বীনা দাস, জোহরা খাতুন, অপর্না দাস, রোহেলা খাতুন, আনোয়ারা বেগম , রেবেকা সুলতানা, নাসিমা খাতুন, নাজমা বেগম, হাফিজুল ইমলাম, আমিনা খাতুন জানান বাসক পাতা সংগ্রহ করে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের কাঁচাপাকা রাস্তার ছয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে বিপুল পরিমান বাসক উদ্ভিদ। এখানকার কমপক্ষে দশ হাজার বাসক গাছ ব্যবহৃত হচ্ছে জমির চারধারে কিংবা বাড়ির ঘেরা বেড়ায়। প্রতি বছর একশ’ টন সবুজ পাতা সংগ্রহ হচ্ছে এসব গাছ থেকে। বছরে  এ থেকে পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২৬ টন শুকনো পাতা। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায়ও বানিজ্যিকভাবে বাসক উদ্ভিদের চাষ শুরু হয়েছে।

    পানিউন্নয়ন বোর্ড প্রতিনিধি মো. শামীম আলম জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প ব্লু গোল্ডের আওতায় ২৮৫ জন নারী ফিংড়ি ইউনিয়নে বাসক পাতা সংগ্রহ করছেন। তাদের সংগৃহীত পাতা কিনে নিচ্ছে কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি।
    তিনি বলেন, ‘বাসক পাতা যেমন আনতে পারে অর্থনৈতিক বিপ্লব, তেমনি বিজ্ঞান সম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পাতা দেশের ওষুধ শিল্পে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখতে পারছে।’

    স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর প্রতিনিধি মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘আমরা শুকনো বাসক পাতা কিনে নিচ্ছি। জার্মান প্রযুক্তির মাধ্যমে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে বাসক পাতা কাশির সিরাপ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে।’সাতক্ষীরার গ্রামে এরই মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে গেছে বাসক পাতা নিয়ে। গ্রামবাসী নিজ-নিজ বাড়ির চারপাশে বাসক গাছ লাগাচ্ছেন। গ্রামের দরিদ্র নারীরা প্রতিদিনই সংগ্রহ করছেন শত শত বাসক পাতা। পরিচ্ছন্নভাবে রোদে শুকিয়ে তা বিক্রি করছেন ওষুধ কোম্পানির কাছে। এতে তারা অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করছেন। 

    ফিংড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান জানান এ এলাকায় প্রচুর বাসক গাছ জন্মায়। প্রতি বছর ওষুধ কোম্পানিগুলি তা কিনে নিয়ে যায়। এতে আমার এলাকার সাধারণ মানুষ আর্থিক উপকার পাচ্ছেন। 

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নাসরিন আক্তার বলেন, ‘বাসক এর বৈজ্ঞানিক নাম আঢাটোডা বাসিকা (Adhatoda Vasica)  ঔষধিগুন সম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। এর পাতা ও ফলে এক ধরনের দুর্গন্ধ আছে। যে কারণে তা ব্যবহার করলে ছত্রাক রোধ করা যায়। তাছাড়া এর ঔষধিগুন খুব বেশি। এসব গুনের কারণে বাসক বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাংলাদেশেও। ভারতের তামিলনাড়–তে বাসকের চাষ ব্যাপক রয়েছে।’
    তিনি বলেন, ‘বাসক উদ্ভিদের জন্ম ও বৃদ্ধিতে সাতক্ষীরার মাটি অনুকূল। বেশি বেশি করে বাসক গাছ লাগালে এর পাতা দেশের ওষুধ শিল্পে অবদান রাখা ছাড়াও গ্রামীন অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিতে পারে।’

  • কথ্যকবিতা

    আলম সিদ্দিকী

    ক.
    মধ্যাহ্ন বিরতী শেষে পুনারায় যাযাবর হবে
    ঘাসফড়িং ডানা, মধ্যাহ্ন বিরতীর আয়োজন
    দশ কাঁধে স্নান সেরে রূপবতী পৃথিবীর টানে
    নাগরিক বেশভুসা। মধ্যাহ্ন দিন :

    আগন্তুক সূর্যের গায়ে শেরোয়ানি নাগরদোলা।

    খ.
    কামরাঙ্গার ডাল ভেঙ্গে সোনার হরিণ ধরলে
    সুনির্ধারিত মধ্যদিন খসে পড়ে কৈশোর পুকুর পাড়ে।

    পুকুরে শুয়ে শুয়ে ইতিবৃত্তে টান দেয় মাছরাঙ্গার
    রক্তচোখ, দেয়াল ভূষণে তার আসে যায় না
    ঢেউ গোনা নিয়তী হলে তলদেশে নিশ্চিত বাস করে
    সোনার মোহর; অতএব কামরাঙ্গার ডাল ভাঙ্গলে
    পৌষ মাসে কার সর্বনাশ আপাতত ভাবছি না।

    গ.
    প্রথম প্রথম রতেœর কারবারে রক্তে খেলতো
    সিন্দাবাদের ভুত, মাঝ দরিয়ায় সুজন মাঝি
    ডাকাত হয়ে চলে গেল নরক কেনা হাটে।

    পাটাতন গলা তরঙ্গ এলে সহযাত্রীর মুখ দেখতে
    ভালো লাগে ; দ্বিতীয় জীবনের আশা নেই
    বৃথা ঘাটের খোঁজে যায় না মন
    অবসাদের বজ্রা ভাসে।

    ঘ.
    উচ্ছুন্নের পথে স্বর্গে যেতে
    সারাকাল কাটাকুটি খেলা পরীক্ষার খাতায়
    কেটে কেটে শিল্প হতে রক্তের নদীতে ডুব সাঁতারে
    নজর কাড়ে বিনিদ্র অশ্বমেদ। হাটুরে সময় নিজ থেকে
    হাট বিছানো বন্ধ রাখে.. এরকম হরতাল বেলা
    যে পড়শি আরশিনগরে সাজতে বসে
    তার স্মৃতি আড়াল দিয়ে নরকবাসী হতে ইচ্ছে করে।

  • ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

    ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়েছে পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের। এ চাহিদা পূরণে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরার কামারপল্লী। দিন-রাত টুং টাং শব্দে কাজ করে চলেছেন কামারা।
    কামারপল্লীর কর্মকারা জানান, বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি। তাই তৈরিকৃত সরঞ্জাম বিক্রি বেশি হলেও লাভ কম হয়। কয়েক দিন পরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। এই ঈদে প্রচুর পশু কোরবানি হবে আর কোরবানির এসব পশু জবাই এবং জবাই পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন প্রকারের ছুরি-কোপা। তাই তাদের ব্যস্ততা অনেক বেশি।
    কামারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, একেকটি বড় ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৭শ থেকে ৮শ টাকায়। ছোট ছুরি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২শত থেকে ৪শত টাকা পর্যন্ত। তবে প্রকার ভেদে কমবেশি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সরঞ্জাম।
    তবে ক্রেতাদের অভিযোগ অন্য বছরের তুলনায় এবার ছুরি-চাপাতি এবং দা-বটির দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর বিক্রেতাদের দাবি, লোহা এবং কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে নির্মাণ খরচ।
    সাতক্ষীরার কদমতলা বাজারের কর্মকার রাম নারায়ণের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সারা বছর তেমন কাজ না হলেও ঈদুল আযহা’র আগে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। এ সময়টিতে যারা কোরবানির পশু জবাই করেন তারা প্রত্যেকে চাপাতি, দা, বটি, ছুরি ক্রয় করেন। নতুন সরঞ্জাম ক্রয়ের পাশাপাশি আগেরগুলো নতুন করে শাণিত করতেও ভীড় জমাচ্ছেন জনসাধারণ।
    তিনি আরো জানান, এবছর কয়লাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশি কিন্তু ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে কিনতে চান না। আর সরকার আমাদের এই খাতে কোন প্রকার ঋণ দেয় না। ফলে অনেকে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা থাকলে পেশাটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হত।
    কামারপল্লীর কর্মকার প্রলত জানান, অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ সময়টিতে কাজ বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হয়। বাপ-দাদারা এই পেশায় ছিলেন। আমাদের কামারি কাজ শিখিয়ে গেছেন। ঐতিহ্য ধরে রাখতে শত কষ্ট হলেও অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ নেই।

  • ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার করলেন চৌধুরী বাবু

    ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ড্রেন সংস্কার করলেন চৌধুরী বাবু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাক্তিগত অর্থায়নে পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের অকেজো হয়ে পড়া ড্রেন সংস্কার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মোঃ রাশিদ হাসান চৌধুরী (চৌধুরী বাবু)। গত বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে এ ড্রেন সংস্কার কাজ শুরু হয়। চৌধুরী বাবু নিজে উপস্থিত থেকে এ কাজের তদারকি করেন। এ কর্মসূচির আওতায় ১নং ওয়ার্ডের প্রায় ১৫শত ফুট ড্রেনের সংস্কার কাজ হবে বলে জানিয়েছেন চৌধুরী বাবু।

    এব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, নারকেলতলা থেকে থানাঘাটা ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম ড্রেনটি দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো অবস্থায় পড়ে ছিলো। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে পথচারিদের জন্য রাস্তাটিতে চলাচল করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় চৌধুরী বাবু নিজ উদ্যোগে উক্ত ড্রেনটি সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে। যেটি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ। ড্রেনটি সংস্কার শেষ হলে রাস্তায় জমে থাকা পানির হাত থেকে পথচারিরা রেহায় পাবে।

    চৌধুরী বাবুর এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে উত্তর কাটিয়া ঈদগাহ ময়দানের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সচেতন নাগরিক হিসেবে চৌধুরী বাবু যে উদ্দ্যোগটি হাতে নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। এভাবে যদি সাতক্ষীরা পৌরসভার সচেতন নাগরিকবৃন্দ তাদের নিজ এলাকার নাগরিক সমস্যার সমাধানে পৌরসভার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে এগিয়ে আসে তবে সাতক্ষীরা পৌরসভার সকল সমস্যা নিরসণ করা সম্ভব হবে। আমরা এলাকাবাসি তার এ উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানায়।’

    এব্যাপারে চৌধুরী বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নারকেলতলা-থানাঘাটা সড়কের পাশের ড্রেন অকেজো অবস্থায় পড়েছিলো। যার ফলে ওই সড়কের উপরে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা এবং বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এজন্য শিক্ষার্থী-মুসল্লিসহ সাধারণ পথচারীদের রাস্তা দিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এজন্য আমি ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে ড্রেনটি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করি। আশা করি ড্রেন সংস্কার কাজ শেষ হলে রাস্তার জলাবদ্ধতা সমস্যা দূর হবে।

  • বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী আজ

    বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী আজ

    মশাল ডেস্ক:  আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ এই কালোদিবসে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
    ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
    পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
    দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
    ১৫ আগস্টকে সামনে রেখে এ মাসের প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এবারো সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে দিবসটির বিভিন্ন কর্মসূচি। দিবসটিকে ইতোমধ্যেই সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
    সরকারি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এ ছাড়া আলোচনা সভা। সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন এবং সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে। এছাড়া ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পরে ঢাকার বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার পরিবারের শাহাদত বরণকারী সদস্য ও অন্য শহিদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া করবেন।
    সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়া সেখানে ফাতেহা পাঠ, সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সমাধিস্থলে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
    প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদপ্তর ও সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।
    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মসজিদসমূহে বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার মুদ্রণ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রোথ সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার স্থাপিত হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু একাডেমি এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করবে।
    জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে তারা কর্মসূচি পালন করবে।
    বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে এবং ঢাকায় ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করবে।
    দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।
    তথ্য মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থা ও দপ্তরের মাধ্যমে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, নিরীক্ষা, নবারুণ, সচিত্র বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কোয়ার্টারলির বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, স্মরণিকা ও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবে। গণযোগযোগ অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শব্দযন্ত্র সরবরাহ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থ দু’টির পাঠ আগস্টে মাসব্যাপী প্রচারের ব্যবস্থা করবে এবং কিউরেটর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
    আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সকল স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন। সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল ৭টা ৩০মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল। সকাল ১০টায় টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষে জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
    দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবংং সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। দুপুরÑ অস্বচ্ছল, এতিম ও দুঃস্থ মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ।
    বাদ আছর বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও শোকদিবসের পরের দিন বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আলোচনা সভার আয়োজন করেছে দলটি।
    বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনীদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।
    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুদীর্ঘ একুশ বছর পর ক্ষমতায় আসলে ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামী লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়।
    একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারি (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করেন।
    ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনীদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশীট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামীর উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়।
    ১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারক বিব্রত হওয়াসহ স্বাধীনতা-বিরোধী চক্রের নানা বাধার কারণে আটবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। এভাবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় প্রদান করে। বিচারক এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামীর মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদ্বন্ডাদেশ বজায় রাখেন। কিন্তু অপর বিচারক এ বি এম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।
    পরবর্তীতে ২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে বিচার কাজ বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুুপ্রিম কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রদান করেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে ৫ আসামীকে নিয়মিত আপিল করার অনুমতিদানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন।
    ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর- ২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয় এবং আদালত ১৯ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদ্বন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামীর দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামীদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়।

     

    সূত্র: বাসস থেকে নেওয়া

  • চুয়াডাঙ্গায় চোখ হারানো ২০ জনকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে রায় ২১ অক্টোবর

    ঢাকা ব্যুরো : চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষুশিবিরে চিকিৎসা নিয়ে ‘চোখ হারানো’ ২০ জনের প্রত্যেককে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

    এদিকে চোখ হারানোর ঘটনায় আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই চক্ষুশিবিরে ব্যবহৃত ওষুধে এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন প্রদান (ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক) করা সম্ভব হয়নি।

    এ প্রসঙ্গে আদালত বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ব্যর্থতার কারণেই এ দেশে রোগীদের এত ভোগান্তি।

    এ সংক্রান্ত এক রুলের শুনানিকালে সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

    চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষুশিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে ২০ জনের চোখ হারানোর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

    আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাস গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন শুভাষ চন্দ্র দাস। ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল –ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

    এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

    এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুল আলমের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম।

    শুনানিকালে আদালত বলেন, চক্ষুশিবিরে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ওষুধ প্রশাসন ইন্সটিটিউট কর্তৃক রেজিস্টার্ড নয়। এর আগে চক্ষুশিবিরে চোখ হারানোর ঘটনায় দুটি তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক। সে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চক্ষুশিবিরে ব্যবহৃত ওই ধরনের ওষুধ এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা সম্ভব হয়নি।’

    তাই প্রতিবেদনের সমালোচনা করে আদালত বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ব্যর্থতার কারণেই এ দেশে রোগীদের এত ভোগান্তি। পরে আদালত এ মামলায় জারি করা রুলের ওপর পক্ষসমূহের শুনানি শেষ করে আগামী ২১ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চক্ষুশিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

    ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে তিন দিনের চক্ষুশিবিরের দ্বিতীয় দিন ৫ মার্চ ২৪ জন নারী-পুরুষের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ শাহীন। এদের মধ্যে চারজন রোগী নিজেদের উদ্যোগে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্বজনদের নিয়ে ঢাকায় আসেন।

    পরে ইম্প্যাক্টের পক্ষ থেকে ১২ মার্চ একসঙ্গে ১৬ জন রোগীকে ঢাকায় নেয়া হয়। তত দিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। ৫ মার্চের ওই অপারেশনের ফলে এদের চোখের এত ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে যে, ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়। আর বাকি একজন অন্য জায়গায় চিকিৎসা নিতে থাকেন।

    পরে আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ১ এপ্রিল রিট দায়ের করেন। রিটের শুনানি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষুশিবিরে চিকিৎসা নিতে এসে চোখ হারানো ২০ জনের প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুলের ওপর সোমবার শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন।

  • আন্দোলনের সময় পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে : আইজিপি

    ঢাকা ব্যুরো : নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় পুলিশের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় সাংবাদিক হামলার বিষয়টিরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী।

    আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় শোক দিবস, ২১ আগস্ট ও ঈদুল আজহা নিয়ে নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে কী কী গুজব ছড়ানো হয়েছে কোন কোন আইডি থেকে, তার সচিত্র উপস্থাপনা দেখানো হয়। তবে সাংবাদিকদের প্রায় সব প্রশ্নই ছিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকেন্দ্রিক।

    ছাত্র আন্দোলনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং সে সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশও আন্দোলনের সময় আক্রান্ত হয়েছে। রাজারবাগ, মিরপুরে পুলিশের পিওএম, কাফরুল থানায় হামলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজেই কী অবস্থায় পুলিশ কী ভূমিকা পালন করেছে, সেটা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিবেদনে উঠে আসবে। তা ছাড়া সাংবাদিকদের যেখানে হামলা করা হয়েছে সেখানকার ভিডিও ফুটেজ, ছবি ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনারের নেতৃত্বে এ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

  • কালিয়ানি সীমান্তে থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ 

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে ৪৫ কেজি রূপার গহনা জব্দ করেছে বিজিবি। ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় এ গহনা জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
    শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার কালিয়ানি সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উক্ত রূপার গহনাগুলো জব্দ করা হয়। কিন্তু এসময় কোন চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। জব্দকৃত রূপার গহনার মূল্য ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
    এ ব্যাপারে বিজিবি ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে অবৈধ পথে একদল চোরাকারবারী রূপার একটি বড় চালান নিয়ে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈকারী বিওপির নায়েক আবু হানিফের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহলদল সাতক্ষীরার কালিয়ানি সীমান্তের মেইন পিলার ৭ সাব পিলার ৫৮ এর কাছাকাছি স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা রুপার গহনা গুলো সীমান্তের একটি খালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা সেগুলো জব্দ করে।’
  • ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু

    ঢাকা ব্যুরো : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য আজ বুধবার থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত।
    সকাল আটটা থেকে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে । টিকিটের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মানুষ। সকাল থেকে টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে লাইনে দাঁড়ান এসব টিকিটপ্রত্যাশীরা।
    ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আজ দেওয়া হচ্ছে ১৭ আগস্টের টিকিট। ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের, ১০ আগস্ট ১৯ আগস্টের, ১১ আগস্ট ২০ আগস্টের এবং ১২ আগস্ট ২১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।
    একইভাবে ১৫ আগস্ট থেকে শুরু হবে ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি। ঈদ ফেরত অগ্রিম টিকিট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টায় বিক্রি শুরু হবে। ২৪ আগস্টের ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ১৫ আগস্ট। একইভাবে ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ আগস্ট যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্টের টিকিট।
    আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের জন্য দূরপাল্লার বাসের আগাম টিকিট বিক্রি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। বাসের আগাম টিকিট বিক্রির দিন ধার্য ছিল গত রবিবার। কিন্তু দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।