Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 31 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সারা দেশে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

    সারা দেশে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস


    ন্যাশনাল ডেস্ক: ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগের দু-এক জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
    শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
    পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

    অধিদপ্তর আরও জানায়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় এই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।
    তবে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

  • আশাশুনিতে ঢিলে-ঢালাভাবে লকডাউনের তৃতীয় দিন অতিবাহিত

    আশাশুনিতে ঢিলে-ঢালাভাবে লকডাউনের তৃতীয় দিন অতিবাহিত

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলায় ঢিলে-ঢালাভাবে লকডাউন এর তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও মোড়ে মোড়ে সাধারণ মানুষের ভিড় দেখাগেছে। এদিন স্থানীয় রুটে কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান, মোটরসাইকেল এর দখলে ছিল রাস্তাঘাট। এদিন অধিকাংশই হাট-বাজার গুলোতে দোকান-পাট খোলা ছিল আগের নিয়মেই। এসময় অধিকাংশ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও মাস্ক পরিধানে অনীহা দেখাগেছে। এদিকে, লকডাউন সফল করতে স্বল্প পরিসরে কয়েকটি এলাকায় প্রশাসনের তৎপরতা ছিল। উপজেলার কয়েকটি স্থানে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় লকডাউনের মধ্যে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন নির্দেশনা পালনসহ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা এবং বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে কিনা তা তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সরকারি নীতিমালা অমান্য করায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন সুলতানা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মোট ৩টি মামলায় ১ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লক ডাউন ভঙ্গ করলে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানলে বা সরকারের দেয়া শর্ত ভঙ্গ করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আরও কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে জানানো হয়। এদিকে, উপজেলার সচেতন মহল লকডাউন চলাকালে উপজেলা প্রশাসন এর তৎপরতা উপজেলা ব্যাপী আরও বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছেন।

  • এমপি রবি: করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরে থাকুন, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন

    এমপি রবি: করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরে থাকুন, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন


    নিজস্ব প্রতনিধিঃ মহামারী প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা প্রতিরোধে সাতক্ষীরাবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। মাস্ক পরে থাকুন। জীবন বাঁচান। আপনার হাত পরিষ্কার রাখুন, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেকে এবং আপনার পরিবার ও চারপাশের মানুষদের সুরক্ষিত রাখুন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলুন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সকলের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে করোনা প্রতিরোধে বিদ্যমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সচেতনতার সাথে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন এমপি রবি। বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে এবং দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে।
    করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সকলকে যথাযথ প্রস্তুতি ও বেঁচে থাকার ত্যাগিদে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে এমপি রবি বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব বা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, নিয়মিত সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া। কারণ সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া হলে তা হাতে থাকা জীবাণুকে মেরে ফেলে। একই কারণে সাবান-পানি না থাকলে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ হ্যান্ড রাব বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
    ঈঙঠওউ-১৯-এর সংক্রমণ প্রতিরোধে এমপি রবির পরামর্শ :
    জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। করোনার লক্ষণ সমূহ দেখা দিলে এবং অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতেই থাকুন এবং দ্রুত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে করোনার টেস্ট করান। সাবান এবং পানি বা অ্যালকোহল রয়েছে এমন হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন। কাশি বা হাঁচি হচ্ছে এমন ব্যক্তির থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। হাত দিয়ে আপনার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না। কাশি বা হাঁচির সময় আপনার নাক এবং মুখটি কনুই ভাঁজ করে বা টিস্যু দিয়ে কভার করুন। তাহলে সকলে সুরক্ষিত থাকবেন এবং ভাইরাস ও অন্যান্য সংক্রামকের সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব হবে। মাস্ক ব্যবহার করলে, তা মাস্ক পরা ব্যক্তির থেকে অন্যদের কাছে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। শুধু মাস্ক ব্যবহার করলেই ঈঙঠওউ-১৯-এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে না এবং তার পাশাপাশি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বারবার হাত ধুতে হবে। প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের ১৮ দফা মেনে মানুষের জীবন বাঁচাতে মানবিক দায়িত্ব পালনে জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন এবং মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিরলসভাবে কাজ করার জোর আহবান জানিয়েছেন এমপি রবি।

  • কালিগঞ্জে অনলাইনে ফিস মার্কেটের উদ্বোধন


    কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি :
    কালিগঞ্জ উপজেলায় করোনাকালীন সময়ে ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে টাটকা মাছ ক্রয় কিংবা মার্কেটে এসে পছন্দ মত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ক্রয়ের জন্য কালিগঞ্জ ফ্রেস এন্ড সেভফিস মার্কেট উদ্বোধন করা হয়েছে।

    ৫ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় কালিগঞ্জ থানার সামনে ওয়াকি এন্টারপ্রাইজ এর পরিচালনায় উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ও উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের সহযোগীতায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ -সভাপতি সাঈদ মেহেদী। কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলামের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, এ,এস,পি প্রশিক্ষনার্থী দিদার আহমেদ, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভুপাতি সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন, কালিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি নিয়াজ কওছার তুহিন, চাম্পাফুল ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রমূখ। গত বছর করোনাকালীন সময়ে উপজেলা মৎস্য অফিসের সহযোগীতায় তরুন উদ্যোক্তা গোলাম ফারুক ও সাইফুর রহমান অনলাইনে কেনা কাটার জন্য মাছ মার্কেটিং কার্যক্রম শুরু করেন। যেটি সারা বাংলাদেশে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে একটি মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এবছর করোনাকালীন সময়ে লক ডাউনের দিনে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য ঘের থেকে টাটকা মাছ অনলাইনে অর্ডার কিংবা শোরুমে এসে মাছ ক্রয়ের সুবর্ণ সুযোগ এ মার্কেটে থাকছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন করোনা কালীন সময়ে যে কোন জায়গা থেকে অনলাইনে অর্ডার দিলে ঘেরে সুস্বাদু মাছ বাড়িতে পৌছে যাবে। কিংবা নিজের পছন্দ মত মাছ মার্কেটে এসে কেনা যাবে। সুলাভ মুল্যে উন্নত ভালো মাছ পাওয়া যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন আমরা যে মার্কেটটি আজ চালু করলাম সেটি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব সকলের। আমরা ঘরে বসে ভালোমাছ পাওয়ার জন্য এই মার্কেটের উদ্যাক্তাদের কে সহযোগী করব। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান অনলাইনে ০১৭১৫৮৩৮৮৯৯ এই নম্বরে মার্কেট থেকে শুধু আমাদের উপজেলায় নয় সারা বাংলাদেশে যে কোন স্থান থেকে অর্ডার করলে মাছ পৌছে যাবে। এজন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। মাছের পাশাপাশি এই মার্কেট থেকে এ্যাকুরিয়ামের বিভিন্ন মাছ বিক্রয় করা হবে।

  • কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে ২জনকে সাজা


    কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলায় পেরীফেরীভুক্ত সম্পত্তি দখল করে ঘর নির্মান করায় ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা প্রদান করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। রবিবার(৪ এপ্রিল)বেলা ১২টায় উপজেলার বাঁশতলা বাজারে অবৈধভাবে ঘর নির্মানের অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম। সরকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভূমি এবং ইমারত (দখল ও পুনরুদ্ধা) আদেশ, ১৯৭০( জবর দখল উচ্ছেদ সংক্রান্ত আইন)এর ৭ ধারা মোতাবেক দুইজনকে জরিমানা করেন তিনি। এসময় উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর গ্রামের মৃত বদরুদ্দীন সরদারের পুত্র বাঁশতলা বাজার বনিক সমিতির সেক্রেটারী আব্দুল জলিল সরদার (৪৮) ও একই ইউনিয়নের মুকুন্দমধুসূদন পুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুল গফুর এর পুত্র ফতেপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম টগরকে উলে¬খিত আইনে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ড দেন। অভিযুক্তরা পরবর্তীতে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা প্রদান করে সাজা হতে মুক্ত হন। তবে অবৈধভাবে নির্মাণাধীন ঘর এক সপ্তাহের মধ্যে ভেঙ্গে নেওয়ার অঙ্গিকারবদ্ধ হন তারা।

  • শ্যামনগর উপজেলায় ইএইচডি প্রকল্পের উদ্বোধন

    শ্যামনগর উপজেলায় ইএইচডি প্রকল্পের উদ্বোধন


    শ্যামনগর ব্যুরো :গতকাল যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্র কমনওয়েল্থ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)-এর আর্থিক সহায়তায় কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে “সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা (ইএইচডি)”প্রকল্পের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান খুলনা মুক্তি সেবা সংস্থা (কেএমএসএস) এর আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় “সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য সেবা (ইএইচডি)”প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনম আবুজর গিফারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএমএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক আফরোজা আক্তার মঞ্জু।
    উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুল ইসলাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল, সাংবাদিকবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, সরকারি বেসরকারি দপ্তর প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ইএইচডি প্রকল্পের পার্টনার অর্গানাইজেশন আইসিডিডিআর’বি, ডিআরআরএ এবং আরএ্ইচস্টেপ-এর প্রতিনিধিগণ। ইএইচডিপ্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপন করেন কেএমএসএস এর ডিভিশনাল প্রোগ্রাম কো-আর্ডিনেটর নরেশ চন্দ্র দাস।

  • কুল্যায় জনপ্রতিনিধিদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়

    কুল্যায় জনপ্রতিনিধিদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউপির চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মতবিনিময় করেন, নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন। সভায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল চৌধুরী, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম পান্না, আলহাজ্ব আব্দুল মাজেদ গাজী, আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, ইব্রাহিম গাজী, নজরুল ইসলাম, উত্তম কুমার দাশ, আব্দুর রশীদ, বিশ্বনাথ সরকার, আনোয়ারা খাতুন, শামীমা সুলতানা, পারভীন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারবৃন্দ একে অন্যের পরিপুরক, সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা করতে হবে। এসময় তিনি সকলকে নিয়মের মধ্যে থেকে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

  • মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী অটুট থাকুক প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভা

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী অটুট থাকুক” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে ২৫ মার্চ ২০২১ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা পুরাতন আইনজীবী সমিতি ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সভায় সাতক্ষীরা সচেতন নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও সাতক্ষীরা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর সভাপতিত্বে এবং সচেতন কমিটির সদস্য সচিব এড. আল মাহমুদ পলাশের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এড. ওসমান গণি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সুবোধ চক্রবতী, সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, দীপালোক একাডেমির এড. অরুণ ব্যানার্জী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়নুল ইসলাম, বাসদ সংগঠক এড খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, পেশাজীবী পরিষদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব, হোমিওপ্যাথী প্রতিষ্ঠানিক শাখার সভাপতি ডা. আব্দুর রহমান হাবিব, প্রভাষক কিংকর মন্ডল, নজরুল ইসলাম, কেয়ামউদ্দীন গাজী, মোনরঞ্জন বন্দোপধ্যায়, এড. পংকজ সরকার, এড. সুনীল, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
    সভায় বক্তারা বলেন সাতক্ষীরায় ১১টি বদ্ধ ভূমি সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংস্কারের জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া স্বাধীনতার স্বপক্ষে দেশের মানুষদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাতক্ষীরার শ্যামনগর যশোরেশ্বরী মন্দিরে আগমন উপলক্ষ্যে উপস্থিত সকলের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায়। এছাড়া সাতক্ষীরায় ২৫ মার্চ গণহত্যার বিচার করতে ও শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়।। অনুষ্ঠান শেষে সারা দেশের ন্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়।

  • আপোষহীন ও প্রতিবাদের একটি নূতন ধারা সৃষ্টি করেছে দক্ষিনের মশাল: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় নেতৃবৃন্দ

    আপোষহীন ও প্রতিবাদের একটি নূতন ধারা সৃষ্টি করেছে দক্ষিনের মশাল: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় নেতৃবৃন্দ

    মশাল ডেস্ক: দক্ষিণের মশালের বর্ষপূর্তিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আপোষহীন ও প্রতিবাদের একটি নূতন ধারা সাতক্ষীরার পত্রিকার জগতে দক্ষিনের মশাল তৈরী করেছে। সমাজের বঞ্চনার চিত্র দক্ষিনের মশাল যেভাবে তুলে ধরে তা সত্যেই উল্লেখ করারমত বিষয়। মশালের অঙ্গিকারের সাথে বাস্তব চলা একই সতোয় গাথা।


    সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বঙ্গব্ধুর জন্ম শতবাষিকী আর স্বাধীনতার রজতজয়ন্তি মাসে দৈক্ষিনের মশালের পাচ বছরপূতির অনুষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ, সেকুলার বাংলাদেশ গড়ার পথে মশালের চলা- এটাই প্রমান করে। মানবতার পক্ষে, গণমানুষের দৈনিক এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রের্খে যাত্রা শুরু করে দৈনিক দক্ষিণের মশাল। যাত্রালগ্ন থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসাবে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সাতক্ষীরার গণমানুষের অধিকার আদায়ে আপোষহীন ভূমিকা পালন পালন করে। সাতক্ষীরার সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। দক্ষিণের মশাল তার নামের সাথে সংগতি রেখে সমাজে অন্ধকার দূর করতে আলোর মশাল জ্বেলে এগিয়ে এসেছে।


    গতকাল সোমবার পত্রিকাটির ৫ম বর্ষপূর্তিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক বণাঢ্য অনুষ্ঠানে অতিথীবৃন্দ এসব কথা বলেন। দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন লস্কর শেলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

    ভয়েস অব সাতক্ষীরার সম্পাদক এম. কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথী হিসাবে উপস্থিত থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে. ফজলুল হক।

    প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।

    অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রিয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, লেখক, গবেষক ও ভাষাবিদ অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ ওলিউল্লাহ, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাড. আজহার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, জেলা বাজাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রীস আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল ওয়াজেদ কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জিসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন, পৌর কাউন্সিলক হিমেল, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তি, প্রেসক্লাবের বিভাগীয় সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রমুখ ।


    সভায় বক্তব্যে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা একটি উন্নয়ন বঞ্চিত জেলা। রাজনৈতিক বিষয়ের মতপার্থক্য ভুলে সাতক্ষীরার উন্নয়নে যৌথভাবে ভুমিকা রাখতে পারলে বঞ্চনার করলমুক্ত হবে সাতক্ষীরা।

    সরকারের উন্নয়নের মহাসড়কে সাতক্ষীরাকে যুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা রাখার বিকল্প নেই। আগামী দিনে দৈনিক দক্ষিণের মশাল নির্ভিক লেখনির মাধ্যমে সমাজ বিনির্মানে ভূমিকা রাখবে বলে অতিথীবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


    বক্তব্য শেষে কেক কাটার মাধ্যমে অতিথীবৃন্দ দৈনিক দক্ষিনের মশালের উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।


    সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মরণ ও দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

  • যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান

    যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান

    জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাধারন সম্পাদকসহ একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ

    ১৪’শ বোতল ফেন্সিডিল মামলার আসামী সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক

    পৌর যুবদেলর আহবায়ক ঝিনাইদহে ৮’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন

    সদস্য সচিব সোহাগ নৌকার পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করেছিলেন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা যোগ্যদের বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা জেলা যুবদলের ৯টি ইউনিটের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদ বঞ্চিতরা। গত ১৮ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় যুবদল কর্তৃক এই কমিটি অনুমোদনের পর বিক্ষুব্ধ এবং চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
    শহর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক উজ¦ল কুমার সাধুসহ পদবঞ্চিত অনেকেই জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।

    একজন মোটর সাইকেল মিন্ত্রীকে সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক করা হয়েছে।

    এছাড়া

    ১৪’শ বোতল ফেন্সিডিল মামলার আসামী তাকে সদর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক করা হয়েছে।

    একইভাবে

    পৌর যুবদেলর আহবায়ক যাকে করা হয়েছে তিনি ঝিনাইদহে ৮’শ বোতল ফেন্সিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। সে মামলা চলমান রয়েছে।

    আর যাকে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি বিগত দিনে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেননা। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগীয় টীমের সুপারিশও আমলে নেয়া হয়নি। জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপিকে অন্ধকারে রেখে এই কমিটি করা হয়েছে। বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের পর অনেকেই দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনুমোদিত এই কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় তৃনমূল নেতাকর্মীরা রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা। তারা জানান, আর্থিক সুবিধা নিয়ে জেলা যুবদলের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নতুন কমিটি দিয়েছেন।
    তারা আরো জানান, নতুন এই কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান টিপুকে। তিনি রাজপথে থেকে অসংখ্য মামলার আসামী হয়েছেন। আহবায়ক করা হয়েছে টোকনকে যিনি কোনদিন ছাত্রদল করেননি। একইভাবে সোহাগকে সদস্য সচিব করা হয়েছে যিনি নৌকার পক্ষে প্রকাশ্য কাজ করেছিলেন। সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ তরিকুল বাশারকে বাদ দেয়া হয়েছে। আশাশুনি থানায় তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। দেবহাটায় উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবকে সদস্য সচিব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। শ্যামনগরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলকে বঞ্চিত করে দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করা আঙ্গুরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের দুইবারের সভাপতি রবিউল্লাহ বাহারকে বাদ দেয়া হয়েছে। একইভাবে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জান মনিকে কমিটিতেই রাখা হয়নি। আহবায়ক প্রার্থী এস এম বাবুকেও বঞ্চিত করা হয়। কলারোয়া উপজেলা যুবদলের কমিটিতে মেহেদী হাসান রাজুকে দু’টি পদ দেয়া হয়েছে। তাকে যুগ্ম আহবায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে। কলারোয়া পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের মূত্রপত্র ইমরান এইচ সরকারের ঘনিষ্ঠজন মোস্তাককে। তালা উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনেও আর্থিক লেনদেন অভিযোগ করেছেন তারা।
    তারা এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যুবদলের কমিটি গঠনে তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করা হয়েছে।
    জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আইনুল ইসলাম নান্টা একই সুরে জানান, যুবদলের কমিটিতে চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ীদের স্থান দেয়া হয়েছে। যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম ছিলেন তাদের কোন পদে রাখা হয়নি।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলুর নাম্বারে ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

  • আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

    আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ


    মশাল ডেস্ক: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু ১০ লক্ষাধীক মানুষের সমাবেশে বাঙালী জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ট অলিখিত কবিতাটি আবৃত্তি করেন। কবিতার প্রত্যেকটি পরতে পরতে াছল জাতীয় হাজার বছরের যন্ত্রনার ইতিহাস। ছিল পাক শাসকদের বেইমানী আর বাঙালীর বঞ্চনা চিত্র। আর ছিল গত ৬ দিনের শ^াসরুদ্ধকর বাঙ্গালীর স্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরার বর্ণনা। সবশেষে ছিল বাঙ্গালীর জীবনের নূতন ইতিহাস তৈরীর রক্ত দিয়ে লেখা সেরা উচ্চারন – ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ উপস্থিত জনতার মধ্যে সাগরের ঢেউ এর মত তরাঙ্গিত উৎমাদন। হাতে লাঠি আর বাশের ঠোকরের সাথে মিলে সহ¯্র কন্ঠে উচ্চারিত হলো ‘জয় বাংলা’। বীর বাঙালী অস্ত্র ধর বাংলাদেশকে স্বাধীন করো।
    এক মার্চ থেকে চলে আসা অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালীর চেতনার মধ্যে যে আকাংখাটি ঘুরছিল। সেই চেতনা যেন বঙ্গবন্ধুর কন্ঠ দিয়ে উচ্চারিত হলো। আর তাই সকল উপস্থিত জনতা উদ্দিপ্ত হলো। অজুত কন্ঠে উচ্চারিত হলো , তোমার নেতা আমার নেতা- শেখ মুজিব শেখ মুজিব। আগামী সময়ের পথ নির্দেশনা দিয়ে গেলেন বাঙালীর একক নেতা। ২৬ মার্চ ৭১ বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতা ঘোষনা করেন তার প্রথম স্তর হলো ৭ মার্চ। ৭ মার্চের ভাষনে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতির দিক নির্দেশনা। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবান দলিল হচ্ছে ৭ মার্চের ভাষন। সম্প্রতি ইউনেস্কো এই ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এর অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই এই ভাষণ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে পুরো মানব জাতির সম্পদ। একইসাথে এখন এই ভাষণ বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধানের অংশও ।
    ৭ মার্চ আজ জাতীয় দিবস। সারাদেশে ঋৎযাপিত হবে ৭ মার্চ।

  • ৭ মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা


    বিভুরঞ্জন সরকার
    ৭ মার্চে বাঙালি জাতির জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পথ রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মাচের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভাষণটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে যেসব তথ্যভিত্তিক ঐতিহ্য রয়েছে সেগুলোকে সংরক্ষণ এবং পরবর্তী প্রজন্ম যাতে তা থেকে উপকৃত হতে পারে সে লক্ষ্যেই এ তালিকা প্রণয়ন করে ইউনেস্কো।
    ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমিতে। পাকিস্তানের চব্বিশ বছরের ইতিহাস ছিলো শোষণ-বঞ্চনার। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম রাষ্ট্রটি শুরু থেকেই ছিল বাঙালিবৈরি। বাঙালি তার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে গেছে অব্যাহতভাবে। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাঙ্গালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পরই এটা স্পষ্ট হচ্ছিল যে, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা নানা কৌশলে কালক্ষেপণ করছিল আর বাঙালির বিরুদ্ধে হামলে পড়ার জন্য সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ করছিল। বঙ্গবন্ধু এসব জানতেন। তাই ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন।
    পৃথিবীর সেরা রাজনৈতিক ভাষণের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ব্যতিক্রমী এবং অনন্য। অন্য সব সেরা ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি লিখিত ছিল না। তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার মনের কথা জনতার উদ্দেশ্যে বলেছেন। প্রায় ১৯ মিনিটের ভাষণ শেখ মুজিব শুরু করেছিলেন জনতাকে ‘আপনি’ সম্বোধনের মাধ্যমে। বলেছিলেন ‘আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন’। তিনি জনতাকে তার সহযাত্রী মনে করেছিলেন। যে সহযাত্রীর সব কিছু সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল। উভয়ের দুঃখ-বেদনা আশা-আকাঙ্ক্ষা এক। কেউ কারও চেয়ে কম জানে না বা বোঝে না। প্রকৃত নেতা কখনও তার কর্মী-সমর্থকদের ‘কম বুদ্ধিমান’ মনে করেন না। যেমন করেননি বঙ্গবন্ধু। তিনি শুধু বাস্তবতার দিকগুলো তুল ধরেছেন। সাধারণ মানুষের অনুভূতিগুলোকে নিজের অনুভূতির সঙ্গে ঝালিয়ে নিয়েছেন। একপর্যারে উপস্থিত জনতার সঙ্গে এতোটাই একাত্ম হয়ে পড়েছেন, কখন যে জনতা ‘আপনি’ থেকে ‘তুমি’তে পরিণত হয়ে গেছে তা না-বক্তা, না-শ্রোতা কেউই খেয়াল করেননি। ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বলেছেন:
    ‘তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই দিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দেবে।’
    এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান একটি গেরিলাযুদ্ধের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ভাষণ শেষে স্বাধীনতার পক্ষে শ্লোগানমুখর হয়ে উঠেছিলো ঢাকার রাস্তাগুলো।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ওই ভাষণ দিয়েছিলেন। একদিকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, অন্যদিকে তাকে যেন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে অভিহিত করা না হয়, সেদিকেও তার সতর্ক দৃষ্টি ছিলো। তিনি পাকিস্তান ভাঙার দায়িত্ব নেননি। তার এই কৌশলের কারণেই ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই জনসভার ওপর হামলা করার প্রস্ততি নিলেও তা করতে পারেনি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও শেখ মুজিবকে ‘চতুর’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে এক গোয়েন্দা কর্মকতা বলেন, শেখ মুজিব কৌশলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে চলে গেল, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারলাম না (ডয়েচে ভেলে, ৩১ অক্টোবর ২০১৭)।
    ৭ মার্চের একদিন আগে অর্থাৎ ৬ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খান টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা, আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। পূর্ব পাকিস্তান সামরিক সরকারের তৎকালীন তথ্য কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিকের ‘ডরঃহবংং ঃড় ঝঁৎৎবহফবৎ’ গ্রন্থে এসব তথ্য রয়েছে। জেনারেল ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুকে বলার চেষ্টা করেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) যেন এমন কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করেন, যেখানে থেকে ফিরে আসার উপায় আর না থাকে।’ ৬ মার্চ এ-ও ঘোষণা করা হলো যে, ২৫ মার্চে ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।
    পরিস্থিতির চাপে ভীতসন্ত্রস্ত পূর্ব পাকিস্তান সামরিক সদর দপ্তর থেকে বিভিন্নভাবে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে এই মেসেজ দেয়া হয় যে, ৭ মার্চ যেন কোনোভাবেই স্বাধীনতা ঘোষণা না করা হয়। ৭ মার্চ জনসভাকে কেন্দ্র করে কামান বসানো হয়। এমনকি আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রস্তুত রাখা হয়। মেজর সিদ্দিক সালিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, পূর্ব পাকিস্তানের জিওসি ৭ মার্চের জনসভার প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ নেতাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘পাকিস্তানের সংহতির বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা হলে তা শক্তভাবে মোকাবেলা করা হবে। বিশ্বাসঘাতকদের (বাঙালি) হত্যার জন্য ট্যাংক, কামান, মেশিনগান সবই প্রস্তুত রাখা হবে। শাসন করার জন্য কেউ থাকবে না কিংবা শাসিত হওয়ার জন্যও কিছু থাকবে না।’
    এমন এক কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৭ মার্চ রেসকোর্সে তার অমূল্য ভাষণটি প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষকে চারটি শর্ত দিয়ে ভাষণের শেষাংশে বজ্রকন্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কিছু অংশ ব্যাখ্যা করলে দেখা যায়, তিনি সেদিন যুদ্ধের ঘোষণা যেমন পরোক্ষাভাবে প্রদান করেন, আবার যুদ্ধে কীভাবে জয়ী হতে হবে সে ব্যাপারেও দিকনির্দেশনা দেন। স্বাধীন রাষ্ট্রের বৈধ সরকারপ্রধানের মতো এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘২৮ তারিখে কর্মচারীরা গিয়ে বেতন নিয়ে আসবেন।ৃ যে পর্যন্ত আমার এই দেশের মুক্তি না হবে, খাজনা ট্যাক্স বন্ধ করে দেওয়া হলো – কেউ দেবে না! ’
    অনেকেরই আশঙ্কা ছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা কিংবা গ্রেপ্তার করা হতে পারে। এ আশঙ্কা হয়তো বঙ্গবন্ধুরও ছিল। তাই তিনি আগাম সতর্কতা হিসেবে বলেন, ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা রাস্তাঘাট সবকিছু বন্ধ করে দেবে।’ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাঙালি যেন শত্রু পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই নমনীয়তা প্রদর্শন না করে। জয় ছাড়া আর কিছু নয়–এটাই ছিলো ৭ মার্চের ভাষণের প্রধান সুর।
    ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন এটা বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোও অনুমান করেছিলো। ৬ মার্চ, ১৯৭১ লন্ডনের ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় ছাপা হয়, ‘শেখ মুজিবুর রহমান আগামীকাল (৭ মার্চ) পূর্ব পাকিস্তানের একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন’।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাত্তরের ৭ মার্চ সরাসরি কেন স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি, তার ব্যাখ্যা পরবর্তীকালে তিনি নিজেই দিয়েছেন। ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে এনডব্লিউ টিভির দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৭ মার্চের ঘটনা বর্ণনা করেন। শেখ মুজিবের কাছে ফ্রস্ট জানতে চান – ‘আপনার কি ইচ্ছা ছিলো যে, তখন ৭ মার্চ রেসকোর্সে আপনি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষণা দেবেন’? জবাবে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমি জানতাম এর পরিণতি কী হবে এবং সভায় আমি ঘোষণা করি যে এবারের সংগ্রাম মুক্তির, শৃঙ্খল মোচন এবং স্বাধীনতার।’ ফ্রস্ট প্রশ্ন করেন ‘আপনি যদি বলতেন, আজ আমি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষণা করছি, তো কী ঘটতো’? শেখ মুজিব উত্তর দেন, ‘বিশেষ করে ওই দিনটিতে আমি এটা করতে চাইনি। কেননা বিশ্বকে তাদের আমি এটা বলার সুযোগ দিতে চাইনি যে, মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন তাই আঘাত হানা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প ছিলো না। আমি চাইছিলাম তারাই আগে আঘাত হানুক এবং জনগণ তা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত ছিল।’
    বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিমশাল, যা প্রজ্জ্বলিত করেছিলো মুক্তিযুদ্ধের দাবানল, যার সামনে টিকতে পারেনি হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। এ ভাষণের মধ্যে দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন শেখ মুজিব। তিনি একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।
    সামরিক আইন প্রত্যাহার, সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফেরত নেওয়া, নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা এবং যে হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা। এ চারটি শর্ত দিয়ে একদিকে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রাখলেন, অপরদিকে বক্তৃতা শেষ করলেন এই কথা বলে যে, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তিনি প্রকারান্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলেন।
    মূলত স্বাধীনতা সংগ্রাম স্বাধীনতা যুদ্ধের রূপ নেয় যখন ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠক চলাকালীন ২৫ মার্চের কালরাতে জেনারেল টিক্কা খান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নারকীয় গণহত্যা শুরু করে। গণতান্ত্রিক সংগ্রাম সশস্ত্র রূপ ধারণ করলেও আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক সমর্থন এবং নৈতিক বৈধতা বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসে। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ এই ১৮ দিনে এই ভাষণ বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষকে প্রস্তুত করেছে মুক্তির সংগ্রামে, স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে।
    কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছেন,‘৭ মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধু ভাষণ নয়, এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।’ যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথ বলেছেন ‘ পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগরুক থাকবে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।’
    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমেও এ ভাষণকে একটি যুগান্তকারী দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ‘নিউজউইক’ সাময়িকীর বিখ্যাত রিপোর্ট, যেখানে বঙ্গবন্ধুকে অভিহিত করা হয়েছিলো ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ হিসেবে:‘৭ মার্চের ভাষণ কেবল একটি ভাষণ নয় একটি অনন্য কবিতা। এই কবিতার মাধ্যমে তিনি ‘রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি পান।’ ১৯৯৭ সালে টাইম ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে ‘ শেখ মুজিব ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমেই আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন’। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ১৯৭১-এর এক ভাষ্যে বলা হয়- ‘শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণই হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার মৌলিক ঘোষণা। পরবর্তীকালে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে ঐ ভাষণেরই আলোকে।’
    ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে মানুষকে উজ্জীবিত রেখেছে। প্রিয় নেতা সুদূর পাকিস্তান কারাগারে বন্দি। বেঁচে আছেন কিনা তাও জানা নেই। কিন্তু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ঐ অমর ভাষণ জীবন-মরণের কঠিন দুঃসময়ে এক সঞ্জীবনী সুধার মতো বিপন্ন মানুষকে সজীব রেখেছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন প্রচারিত ‘বজ্রকণ্ঠ’ অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য গ্রাম ও শহরের মানুষ উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করেছে। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার কণ্ঠই মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। আর ছিল কালজয়ী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। বঙ্গবন্ধুর মুখনিঃসৃত ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের রণধ্বনি। ঐ ধ্বনি উচ্চারণ করে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে। মেশিনগানের গুলির মুখে এগিয়ে গেছে, প্রবেশ করেছে শত্রুর বাংকারে। বুকের গভীরে ‘বঙ্গবন্ধু’ আর মুখে ‘জয় বাংলা’-এইতো ছিলো বাঙালির মূল প্রেরণা ও অস্ত্র। এই দুটো শব্দ তখন আর কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের নয়, তা হয়ে গিয়েছিলো স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বপ্নে বিভোর এক জাতির- গোটা বাঙালি জাতির সবচেয়ে প্রিয় শব্দ।
    ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেও ৭ মার্চের ভাষণেই তিনি কার্যত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ‘স্বাধীনতা ও মুক্তি’ অর্জনের রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রাষ্ট্রীয় সফরে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন- ‘গত ৭ মার্চ (১৯৭১) তারিখে আমি জানতাম পৈশাচিক বাহিনী আমার মানুষের ওপর আক্রমণ করবে। আমি বলেছিলাম, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। আমি বলেছিলাম, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। আমি বলেছিলাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমার লোকেরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বৃদ্ধ থেকে বালক পর্যন্ত সকলেই সংগ্রাম করেছে’।
    সুতরাং, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছে আসলে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ, আর ২৬ মার্চ ১৯৭১ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঘোষিত সশস্ত্র প্রতিরোধ অথবা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার নির্দেশ ৭ মার্চের ঘোষণার ধারাবাহিকতা মাত্র।
    এই ভাষণটি আজও আমাদের জাতীয় জীবনের অনুপ্রেরণা। বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু তার দিকনির্দেশনা আজও রয়ে গেছে। আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে এই ভাষণটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পথ হারানোর ক্ষণে কিংবা দেশবিরোধী শত্রুদের ষড়যন্ত্র আর আস্ফালনে দিশেহারা মুহূর্তে যেন বেজে ওঠে সেই বজ্রকণ্ঠ ‘আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারিৃ!’

  • জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত


    কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। (৬মার্চ শনিবার) বিকালে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারন সম্পাদক তাপস কুমার পাল।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থী গনের নামের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করার প্রসঙ্গে আজকের এই বর্ধিত সভা। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য শামছুদ্দিন আল মাছুদ বাবু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার আজিজুর রহমান, উপজেলা ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ বিশ্বাস ও ৬নং ক্ষেত্রপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়দেব সাহা। বক্তারা আরো বলেন প্রার্থীতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই সিদ্ধান্ত কে সঠিক মনে করে সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহ্বান করেন। সেই সাথে আরও বলেন কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কে উপেক্ষা করে কেও সতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করলে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার হুসিয়ারি দিয়েছেন। সভায় আরও যারা উপস্থিত ছিলেন জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মাষ্টার মোতালেব খাঁ,মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর জব্বার মোড়ল, আয়ামীলীগের নেতা ফিরোজ আহম্মদ রকসি,সাংবাদিক আব্দুর রহমান,ইউপি সদস্য রওশন আলী খাঁ,ইউপি সদস্য খালিদ হাসান টিটু প্রমুখ।

  • Untitled post 14845
    দেবহাটায় ৭ই মার্চ পালনের প্রস্তুতি সভা
    দেবহাটা সংবাদদাতা : দেবহাটায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এবার প্রথম বারের মত উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী পালিত হবে দিবসটি। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক এবং প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন রতন,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার শওকত ওসমান, দেবহাটা থানার এসআই আবু হানিফ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জুয়েল হাসান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, শিক্ষা অফিসার শাহাজান আলী,দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, সমাজ সেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন,সমবায় কর্মকর্তা আকরাম হেসেন, কুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান আছাদুল ইসলাম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু, পারুলিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ইউপি সদস্য ইয়ামিন মোড়লসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকতা। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষে বিস্তারিত আলোচনাসহ কয়েকটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠিত হয়েছে। দিনটিতে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর জিবনী নিয়ে থাকবে চলচিত্র প্রদর্শনী। বঙ্গবন্ধুর ভাষন প্রতিযোগিতার সাথে থাকবে শিশুদের কবিতা আবৃতি,দেশত্ববোধক সংগীতের প্রতিযোগিতা। এছাড়া বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
  • তরুণ লিখিয়ের খোঁজে জলধি

    • মশাল ডেস্ক

    সারাদেশের ত্রিশ বছরের কম বয়সী তরুণ লিখিয়েদের তুলে আনার অভিপ্রায়ে প্রকাশনা সংস্থা জলধি ও জলধি সাহিত্য পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে ‘জলধি তরুণ লিখিয়ের খোঁজে’নামে প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাঁটাবনে কবিতা ক্যাফেতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, গবেষক ড.তপন বাগচী, কথা-সাহিত্যিক মুম রহমান, কথা-সাহিত্যিক রেজাউল করিমসহ অন্যান্য আরো অনেকে।

    ৩৫০ জন তরুণ লিখিয়ের মধ্য থেকে তিন ধাপে বাছাইয়ের মাধ্যমে গল্প ও কবিতা বিভাগে মোট ৩০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও বই তুলে দেন সম্মানীত অতিথিরা। দুই বিভাগে তিনজন করে মোট ছয়জনকে ‘সেরা তিন লিখিয়ে’ক্যাটাগরিতে জন প্রতি পাঁচ হাজার টাকার বই, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

    কথা-সাহিত্যিক পাপড়ি রহমান তরুণদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান। অনুষ্ঠানে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘জলধি’র এ আয়োজন স্বচ্ছতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। কোন লেখকের নাম না থাকায় বিচারকার্য সম্পাদন করতে গিয়ে শুধু লেখার মানকেই বিচার করেছি। আশা করি জলধি সারা বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে যে জাগরণ তুললো তা অব্যাহত রাখবে।’

    জলধির সম্পাদক, কবি নাহিদা আশরাফীর সঞ্চালনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান কার্যক্রম। শুরুতে সমন্বয়ক কবি রুদ্রাক্ষ রায়হান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিচারক, অতিথি, প্রতিযোগীদের মিলনমেলায় জলধি সংশ্লিষ্টরা প্রতি বছর এ কার্যক্রম চালু রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • কয়রার ‘লঞ্চঘাট পাঠাগার’

    কয়রার ‘লঞ্চঘাট পাঠাগার’

    facebook sharing button
    sharethis sharing button
    • মশাল ডেক্স, কয়রা (খুলনা)

    লঞ্চঘাট পাঠাগারের পাশে বই পড়ছেন এক পাঠক – সমকাল উদ্দেশ্য ছিল প্রত্যন্ত জনপদের লঞ্চঘাটে আসা যাত্রীরা সময় কাটাবেন বই পড়ে। সেভাবে নামটাও ঠিক করা হয়েছে ‘লঞ্চঘাট পাঠাগার’। তবে লঞ্চের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা বই পড়ার জন্য বেশি সময় না পেলেও এর মধ্যে প্রকৃতি দর্শনে আসা মানুষের আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলেছে পাঠাগারটি। বিকেলের অবসরে নয়নাভিরাম প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে বই পড়তে অনেকেই চলে আসেন সেখানে।

    খুলনার কয়রা উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে সুন্দরবন-সংলগ্ন কাটকাটা এলাকায় এ পাঠাগারটি গড়ে তোলা হয়েছে। ‘হিউম্যানিটি ফার্স্ট’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাষক ইদ্রীস আলী বই পড়ার এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছেন। ইদ্রীস আলী বলেন, এলাকার কিছু উদ্যমী তরুণ এখানে একটি পাঠাগার গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন। তাদের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটানো হয়েছে। শুরুতে বইয়ের সংগ্রহ খুব বেশি না হলেও ধীরে ধীরে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার হিসেবে গড়ে উঠছে ‘লঞ্চঘাট পাঠাগার’।

    পাঠাগারটিতে গিয়ে দেখা গেছে, এর চারপাশে অপরূপ প্রকৃতির শোভা। পাঠকরা যেখানে বসে বই পড়ছেন, সে স্থানটিও মনোমুগ্ধকর। পাকা সড়ক থেকে কাঠের তৈরি লম্বা পাটাতন চলে গেছে নদীর মাঝে বাঁধা পন্টুনে। তার ওপারেই সুন্দরবন। এপারে আদিবাসী মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। মাথার ওপর খোলা আকাশ। চোখের সামনেই শান্ত নদী পেরিয়েই বনের হাতছানি। পাখির কলরব, জেলেদের মাছ ধরে ফেরা- সব কিছুই যেন সাজানো। এর মাঝেই বইয়ের পাতায় চোখ বুলিয়ে যাচ্ছেন পাঠক। প্রকৃতির সান্নিধ্যে বসে এমন বই পড়া প্রাণভরে উপভোগ করছেন তারা।

    সেখানে আসা প্রকৌশলী আজমিরুল ইসলাম একজন প্রতিষ্ঠিত লেখকের উদ্ৃব্দতি টেনে বলেন, একটি ভালো বই যে কোনো সময় যে কোনো মানুষকে বদলে দিতে পারে। মানবিকতা বিকশিত করে তাকে দায়িত্বসচেতন, দেশপ্রেমিক ও বুদ্ধিদীপ্ত নাগরিকে পরিণত করতে পারে। সে জন্য বই হচ্ছে মানুষের উৎকৃষ্ট বন্ধু। তিনি বলেন, পাঠচর্চা না থাকার কারণে সমাজে মানবিকতা, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যপ্রীতি বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় এ রকম একটি পাঠাগার গড়ে ওঠায় মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ জেগে উঠবে এবং বই পড়ে তারা ভালো কাজে উৎসাহিত হবে।

    আরেক পাঠক কলেজপড়ূয়া সাব্বির হোসেন বলেন, পাঠাগারটি করার আগে আমরা এখানে ঘুরতে এসে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতাম। এখন বই পড়ে সময় কাটাই। সাব্বির হোসেনের মতো অনেক তরুণকে দেখা গেছে বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকতে।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগে এখানে যারা ঘুরতে আসতেন অথবা লঞ্চের জন্য অপেক্ষায় থাকতেন, তাদের দেখতাম অযথা মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করতেন। পাঠাগারটি গড়ে ওঠায় এখন বেশিরভাগ মানুষ বই পড়েন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে সময় কাটিয়ে ফিরে যান। অনেক মানুষ আছেন, যারা কেবল বই পড়ার উদ্দেশ্যে এখানে আসেন।

    পাঠাগারটির পাশে কাটকাটা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা জিয়াউল হক জিয়া বলেন, এখানে ঘুরতে আসা লোকজন বই নেড়েচেড়ে দেখছেন। আবার কেউ বই পড়ার উদ্দেশ্যেই এখানে আসছেন। একে অন্যের দেখাদেখি বই পড়ার আগ্রহ বাড়ছে। আবার লঞ্চের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সময় কাটানোর জন্য ভালো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এখানে বেড়াতে আসা মানুষের নিরাপত্তায়ও কাজ করি।

  • আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশনের অবহিতকরণ কর্মশালা

    আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশনের অবহিতকরণ কর্মশালা

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “সেকেন্ড চান্সে শিক্ষাদান, শেখ হাসিনার অবদান” শ্লোগানে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন (পিইডিপি-৪) এর আওতায় সাতক্ষীরায় অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ডিজিটাল হলরুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা: আব্দুল গণি।
    সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শেখ ইমান আলী।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম মারুফ তানভীর সুজন।
    সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থার (সাস)’র আয়োজনে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহযোগিতায় অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান, সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা, চায়না ব্যানার্জি, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সাস এর এনজিও প্রতিনিধি আজমল হোসেন, গীতা পাঠ করেন ক্ষিতেশ কুমার মন্ডল। প্রকল্প বিষয়ে উপস্থাপনা করেন সাসের ডেপুটি ম্যানেজার মিজানুর রহমান।
    কর্মশালায় প্রকল্প বিষয়ে বক্তারা বলেন, সারা দেশে ১৮% শিশু শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ে। এর মধ্যে ২% একেবারেই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এসব ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বতর্মান সরকার এধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরকম অনেক এলাকা রয়েছে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। যে কারণে শিক্ষা থেকে তারা ঝড়ে পড়ে। তবে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা যারা গ্রহণ করছেন। তারা এ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষা নিতে পারবে না। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে যারা বঞ্চিত তারা শুধু মাত্র এ সুযোগ পাবে।
    অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাসের এনজিও প্রতিনিধি মিঠু, শামীমা ইয়াসমিন প্রমুখ।