Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 3 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাগরে গভীর নিম্নচাপ, বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে ৮০ কিলোমিটার বেগে

    সাগরে গভীর নিম্নচাপ, বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে ৮০ কিলোমিটার বেগে

    বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৯ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

    এতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।

    এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটারে পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

    বিশেষ এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের এর আগের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

    মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হয়, যা পরে আরও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নিম্নচাপে পরিণত হয়। বৃহস্পতিবার সেটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিল। আর এর প্রভাবেই এ বৃষ্টি থাকতে পারে সারাদিন।

    আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি আজ থাকতে পারে সারাদিন। আগামীকাল শুক্রবারও বৃষ্টি ঝরতে পারে। দেশের চার বিভাগেই বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতিমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের চার বিভাগের নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আগামী শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেশ খানিকটা কমে আসতে পারে; বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে।

    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় বেলা ১টার মধ্যে দেশের ছয় অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এদিকে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।

    অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ: বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসাথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

    বিআইডব্লিউটিএ জানায়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হলে লঞ্চ চলাচল পুনরায় শুরু হবে। বৃহস্পতিবার সকালে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দরে একটিও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দমকা বাতাস, বৃষ্টি এবং নদী কিছুটা উত্তাল থাকায় বরিশাল নৌবন্দরকে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প‌রি‌স্থি‌তি স্বাভা‌বিক হ‌লে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হ‌বে। তবে এ সময়, ফেরি চলাচল স্বাভা‌বিক আছে।

  • মোংলার ২৩০ কি.মি. দূরে নিম্নচাপ, দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ছে

    মোংলার ২৩০ কি.মি. দূরে নিম্নচাপ, দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়ছে

    বিশেষ ডেস্ক  : বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সেই সঙ্গে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (২০.৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বর্তমানে নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

    এই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

  • পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    পবিত্র ঈদুল আজহা ৭ জুন

    দেশে দেখা গেছে জিলহজের চাঁদ

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশে ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ৭ জুন (শনিবার) সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।

    বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে।

    এই হিসেবে, আগামী ৬ জুন (শুক্রবার) পালিত হবে পবিত্র হজের দিন (আরাফাতের দিন)। আর পরদিন ৭ জুন (শুক্রবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দেশজুড়ে।
    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

    সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    উল্লেখ্য, এর আগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও ইন্দোনেশিয়ায় ২৮ মে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর আসে। এসব দেশে ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে আরাফাতের দিন এবং ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

  • আশাশুনিতে কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৪শ বিঘা জমির মৎস্য ঘের প্লাবিত

    আশাশুনিতে কপোতাক্ষ নদের রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৪শ বিঘা জমির মৎস্য ঘের প্লাবিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নে কপোতাক্ষ নদে রক্ষা রিং বাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ৪শ বিঘা জমির মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েগেছে। প্লাবনের ফলে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে এলাকাবাসী। বুধবার (২৮ মে) দুপুরে জোয়ারের তোড়ে রিং বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হয়।


    দরগাহপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সুবেদখালী এলাকার কপোতাক্ষ নদের তীরে রিং বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ থেকে এই রিং বাঁধের দূরত্ব থাকায় বিস্তর এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
    দরগাপুর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল জানান, বুধবার দুপুরের জোয়ারে নদী খনন করে তৈরি করা রিং বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে ৪শ বিঘার অধিক জমির মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। কমপক্ষে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য চাষীরা। স্থানীয় রহমত আলী জানান, দুপুরে জোয়ারের তোড়ে আমার বাড়ীর পাশ থেকে অনেক খানি জায়গা এক বারে ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়ে। রাতের জোয়ার আসার আগে এই ভাঙ্গন আটকাতে না পারলে ওয়াপদা রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে ইউনিয়নের অনেক এলাকা ডুবে যেতে পারে। পাউবোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, এটা মুলত ওয়াপদার বাঁধ না, কপোতাক্ষ নদ খননের ফলে সৃষ্টি হওয়া একটি রিং বাঁধ। দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে রিং বাঁধটি ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রিং বাঁধ মেরামতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
    আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, রিং বাঁধ ভাঙ্গার খবর পাওয়া মাত্রই আমি পাউবোসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে চান না শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভের ডাক

    শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে চান না শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভের ডাক

    নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নারী অধিকারকর্মী নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে দেখতে চান না।

    সম্প্রতি ‌‘হিস্যা’ ম্যাগাজিনে একটি লেখাকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার অভিযোগ তোলে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণের আলটিমেটাম দেয়। এই চাপের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গতকাল সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলির আদেশ দেয়।

    সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই বদলির সিদ্ধান্ত ‘জনমতের প্রতিফলন নয়, বরং চাপের কাছে নতি স্বীকার’। ফেসবুকে কেউ কেউ নাদিরা ইয়াসমিনকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে তাঁর সাতক্ষীরায় যোগদান রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন

    এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এই নাস্তিককে আমি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে আমার বাংলা ডিপার্টমেন্টে দেখতে চাই না। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য সকলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরেকজন লেখেন, তাকে যদি বাংলা ডিপার্টমেন্টে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা আঙ্গুল বাঁকা করে কিভাবে বের করে দিতে সেটা কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিতে প্রস্তুত।

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও এখনো কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

  • সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের নামে মামলা

    সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের নামে মামলা

    পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন এএসপি (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার তৎকালিন ওসি মো. ইনামুল হকসহ পুলিশের ১৫ জন ও আওয়ামী লীগের দশ নেতাকর্মীর নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাদী হয়ে বুলডেজার দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবী করে সোমবার (২৬ মে) সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

    আদালতের বিচারক মো. মায়নুদ্দিন ইসলাম বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরার বারের সহ-সভাপতি এড. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মামলার আসামিরা পরষ্পর যোগসাজে ২০১৪ সালের ১জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদরের শাকরা কোমরপুর এলাকার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বুলডেজার দিয়ে বাদীর ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন এ মামলাটি আমলে নেয়নি। তাই দীর্ঘ ১৫ বছর পর কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ মো. ওবায়দুল্যাহ।

    মামলার বাদী মো. ওবায়দুল্যাহ বলেন, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তার বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করে তৎকালিন আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী। যার নের্তৃত্বে ছিলেন সাতক্ষীরার তৎকালিন ডিসি নাজমুল আহসান।

    তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বহাল তরবিয়তে আছেন হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও খুন গুমে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান।

    তিনি আরো বলেন, নাজমুল আহসানের সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তিনি এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন।

  • ঈদে আসছে নতুন টাকা

    ঈদে আসছে নতুন টাকা

    বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি আরও ঘনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করতে বাজারে আনছে নতুন ডিজাইনের টাকার নোট। এসব নোটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সব নোটে রয়েছে নতুন গভর্নর আহসান হাবিব মনসুরের স্বাক্ষর।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশে আসছে নতুন ডিজাইনের টাকা। এসব টাকায় কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। এর বদলে থাকছে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সাংস্কৃতিক প্রতীক।

    জানা গেছে, প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হবে, যা পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই– জুনের ২ অথবা ৩ তারিখের মধ্যে সাধারণ মানুষ হাতে পাবে। পর্যায়ক্রমে অন্য মূল্যমানের নোটও বাজারে আসবে। তবে এখনই সব নোট পুরোপুরি বাজারে না এলেও সীমিত পরিসরে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক অনুষ্ঠানে জানান, নতুন নোটে দেশের প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নতুন ডিজাইনে কোনো ব্যক্তির ছবি রাখা হয়নি। নোটগুলোতে দেশের চিত্র ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।’

    জানা গেছে, নোটগুলো বাজারে ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখানো হবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ‘নতুন নোটের ডিজাইন কেমন হবে, তা গভর্নর স্যার আগেই জানিয়েছেন। এসব নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। বরং দেশের ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।’

    তিনি আরও জানান, ঈদের আগে– জুনের ২ বা ৩ তারিখের মধ্যে– ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রথমে এই তিনটি নোট বাজারে আসবে, পরে ধাপে ধাপে অন্য মূল্যমানের নোট ছাড়া হবে।

    গণমাধ্যমের কাছে ইতোমধ্যে নতুন ডিজাইনের কয়েকটি নোটের ছবি সংগ্রহ করেছে, যেখানে সুন্দরবন, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতীক দেখা গেছে। এসব নোটে দেশের পরিচিতি ও গৌরবময় ইতিহাসের ছাপ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

    ১০০ টাকার নতুন নোটে সুন্দরবনের ছোঁয়া
    ১০০ টাকার নতুন নোটে এক পাশে রয়েছে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ ও জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জলছবি। অপর পাশে দেখা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’, যেখানে রয়েছে এক ঝাঁক হরিণ ও একটি বাঘের ছবি। সাদা অংশে বাঘের জলছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

    ২০০ টাকার নোটে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতিফলন
    নতুন ২০০ টাকার নোটে হালকা হলুদ রঙে দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য। অপর পাশে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি—মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় পোশাক ও উপাসনালয়সহ উপস্থাপিত হয়েছে। মাঝখানে সবুজের মধ্যে রয়েছে দেশের মানচিত্র।

    ৫০০ টাকার নোটে শহীদ মিনার ও সুপ্রিম কোর্ট
    নতুন ৫০০ টাকার নোটে একপাশে স্থান পেয়েছে জাতীয় চেতনায় অনন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অপর পাশে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।

    ১০০০ টাকার নোটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সংসদ ভবন
    সবচেয়ে বড় মূল্যমানের ১০০০ টাকার নোটে একদিকে রয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। অপরদিকে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।

    নতুন ডিজাইনের এই নোটগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ।

  • ১৬ বছর পরও আইলার ক্ষত মুছে যায়নি উপকূলের মানুষের জীবন থেকে

    ১৬ বছর পরও আইলার ক্ষত মুছে যায়নি উপকূলের মানুষের জীবন থেকে

    ২০০৯ সালের ২৫ মে—এই দিনটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে এক বিভীষিকাময় স্মৃতি হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় আইলা নামক প্রলয়ংকরী দুর্যোগ সেদিন আছড়ে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার উপর। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়ে নেয় শত শত মানুষের, লাখ লাখ মানুষকে করে গৃহহীন, এবং চিরস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে প্রকৃতি ও জনজীবনে।

    আইলার আঘাত ও তাণ্ডব

    ঘূর্ণিঝড় আইলার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার। এই দুর্যোগে ৩৩৯ জন মানুষ প্রাণ হারান, আহত ও নিখোঁজ হন আরও হাজারো। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, যাদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। সুন্দরবনের একটি বড় অংশও প্লাবিত হয়, যার প্রভাব পড়ে বনজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের উপর।

    বাঁধ ভাঙন ও লবণাক্ত দুর্ভোগ

    ঘূর্ণিঝড়ের মূল ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় বাঁধ ভেঙে। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ২৭টির বেশি স্থানে বাঁধ ভেঙে পড়ে। এর ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্লাবিত করে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, মৎস্যঘের ও খামার। লবণাক্ততার এই করাল ছায়া দীর্ঘ তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে কৃষিতে বিপর্যয় নামিয়ে আনে।

    মানবিক বিপর্যয় ও সুপেয় পানির সংকট

    ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উপকূলবাসীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সুপেয় পানির সংকট। তলিয়ে যাওয়া টিউবওয়েল, লবণাক্ত পুকুর এবং ভেসে যাওয়া রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেমের কারণে পানযোগ্য জলের জন্য তাদের হাঁটতে হয়েছে কিলোমিটার পর কিলোমিটার। অনেক পরিবার আজও টেকসই ও নিরাপদ আশ্রয়ের বাইরে বসবাস করছে।

    আজও দুঃসহ স্মৃতি

    আইলার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও অনেক পরিবার অস্থায়ী কুঁড়েঘরে বসবাস করে, প্রতি বর্ষায় বাঁধ ভেঙে নতুন করে দুর্ভোগে পড়ে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও টেকসই বাঁধ নির্মাণ, পুনর্বাসন ও জীবিকা নির্বাহের সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।

    পরিবেশ ও সুন্দরবনের ক্ষতি

    সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, এই ঘূর্ণিঝড়ের অন্যতম শিকার। বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে গাছপালা ধ্বংস হয়, পশুপাখির আবাসস্থল বিপন্ন হয়। এর ফলে বনজ সম্পদে যেমন ঘাটতি দেখা দেয়, তেমনি জীববৈচিত্র্যেও স্থায়ী প্রভাব পড়ে।

  • আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডে‌কে‌ছেন প্রধান উপ‌দেষ্টা

    আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডে‌কে‌ছেন প্রধান উপ‌দেষ্টা

    আগামীকাল রোববার সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। এদিন বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠক ডেকেছেন।

    জানা গেছে, বৈঠকে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আগামীকালের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

    দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আগামীকালের বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। তবে সময়টি এখনো জানানো হয়নি। পরবর্তীতে সময় জানানো হবে বলে আমাদেরকে বলা হয়েছে। যতদূর মনে হলো বিকালেই হবে।

    এদিকে আজ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সাথে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপির প্রতিনিধি এবং রাত ৮টায় জামায়াত ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

  • ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, এদিক সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই’

    ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, এদিক সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই’

    আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি যে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটা সময় দিয়েছেন-ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক সেদিক হওয়ার কোন সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ হওয়া উচিত নয়।’

    ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি-ওটা আপনারা উনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।’

    চাপের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ধরুন, প্রত্যাশার একটা চাপ হচ্ছে যে আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা। আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ নেই। ধরুন, আপনি এখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন-সচিবালয় থেকে যমুনা-যেতে পারবেন না, রাস্তা বন্ধ। কেন রাস্তা বন্ধ? এরকম অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়।’

    এর আগে, অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ঢাকার ৪টি নদী দূষণমুক্ত করতে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তুরাগ নদী দূষণমুক্ত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে।

    এছাড়া, টাঙ্গাইলের মধুপুরে থাকা গারো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বন বিভাগের করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। সেইসঙ্গে গারোদের ভূমি জটিলতাও নিরসন করা হবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা। আগামী ২৪মে মধুপুরের সীমানা নির্ধারণের কাজ করা হবে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    উষ্ণ সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আসলে তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা জানানো হয়। একই সাথে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
    প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পেশাগত দিক বিবেচনা করে একে অপরের সাথে বন্ধন রাখতে হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে যেয়ে একসাথে চলতে হবে। কারণ সাংবাদিকতার পেশা শক্তিশালী না হলে সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো দূর্বল হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মানউন্নয়নে শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ বেশ কিছু আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বার কাউন্সিলের নিয়মের মতো সাংবাদিকদেরও একটি আইনের মধ্যে রেখে পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর কাজ চলছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এটি কার্যকর হবে। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। এই পেশাকে কলুষিত করা যাবে না। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষতার সাথে পেশাটিকে পালন করতে হবে। তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সার্বিক উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করার ও সাংবাদিকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
    সাতক্ষীরা প্্েরসক্লাবের ভিআইপি রুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ আব্দুস সবুর, সাতক্ষীরা জেলা তথ্য কর্মকর্তা জাহারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক এস কে কামরুল হাসান, নির্বাহি সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, মুহাঃ জিল্লুর রহমান, আমিরুজ্জামান বাবু, সাংবাদিক এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান,এম জিল্লুর রহমান,ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল আলীম,মীর আবু বকর, এস এম রেজাউল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আল ইমরান, মামুনুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রোনিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা।
    মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় যান। এসময় আবেগঘন হয়ে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ,কে,এম আব্দুল হাকিম বলেন, পৌরদীঘির নান্দনিক দৃশ্য তাঁকে মুগ্ধ করেছে। এমন একটি সুন্দর স্থানে প্রেসক্লাব নির্মিত হওয়ায় তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সাথে প্রেসক্লাবকে আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে গড়ে তোলার জন্য আহবান জানান।

  • গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা

    গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা

    আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : দ্রুত ত্রাণ না পৌঁছালে ফিলিস্তিনের গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল টম ফ্লেচার বলেছেন, ‘আমি যতটা পারি এই ১৪ হাজার শিশুকে রক্ষা করতে চাই’। খবর বিবিসি’র।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার বন্যা বইয়ে দেয়া দরকার। সেখানে আরও সহায়তা নেয়া যায় কি-না সেটাই হবে জাতিসংঘের ‘সত্যিকার পরীক্ষা’।

    আরো সহায়তা না পেলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে- এটি জাতিসংঘ কীভাবে ঠিক করলো, বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে টম ফ্লেচার বলেন, ‘সেখানে আমাদের শক্তিশালী টিম আছে এবং অবশ্যই তাদের অনেকে নিহত হয়েছে। তারপরও এখনো আমাদের অনেকে লোকজন আছে সেখানে। তারা চিকিৎসা কেন্দ্রে আছে, স্কুলে আছে।…. আরও মূল্যায়নের চেষ্টা করছে।’

    এদিকে টানা তিনমাসের ইসরায়েলি অবরোধের পর অবশেষে গাজায় প্রবেশ করেছে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ৫টি ট্রাক। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করে শিশুখাদ্যসহ জরুরি সাহায্য বহনকারী এই ট্রাকগুলো।

    জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত প্রায় ২০ লাখ গাজাবাসীর জন্য এই সহায়তাকে তিনি ‘জলাশয়ে একটি বিন্দুর মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন।

    টম বলেন, গাজায় প্রচুর পরিমাণে সহায়তা প্রয়োজন। মার্চ মাসে ইসরায়েল যখন সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ করেছিল, তখন প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত।

    তিনি জানান, জাতিসংঘের আরও চারটি ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। সেগুলো মঙ্গলবার প্রবেশ করতে পারে। স্থল পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হওয়ায় এসব জরুরি সহায়তা সামগ্রী লুট বা চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ সম্পদ দিন দিন কমে আসছে।

    গত ২ মার্চ সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অযুহাতে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এরপর টানা তিনমাস ধরে চলে এই অবরোধ। একটু একটু করে ফুরিয়ে আসে গাজার খাবার,ঔষধসহ জরুরি সব জিনিস। বিশেষত ক্ষুধার জ্বালায় ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে বাসিন্দাদের প্রাণ। এমনকি ইসরায়েলের বোমা থেকে ক্ষুধাকে বেশি ভয় পেতে শুরু করেন গাজাবাসী। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ আসতে শুরু করে।

    এদিকে ইসরায়েলের এই পাঁচ ট্রাক সহায়তাকে ‘একদম অপ্রতুল’ বলে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের জন্য তারা নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় নির্মম হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

  • সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়লেন শাকিল

    সবচেয়ে কম সময়ে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়লেন শাকিল

    সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ের কীর্তি গড়েছেন ইকরামুল হাসান শাকিল। তবে তিনি বাকিদের চেয়ে একটা জায়গায় ব্যতিক্রম। পদযাত্রা করে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিয়ে সবচেয়ে কম সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্ট জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি। কক্সবাজার থেকে পায়ে হেঁটে মোট ৮৪ দিনে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান তিনি। যেই কীর্তি নেই পৃথিবীর আর কারো।

    সোমবার (১৯ মে) এই অভিযানের সমন্বয়ক বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) সদস্য সাদিয়া সুলতানা শম্পা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, শাকিল বিশ্বরেকর্ড করে এভারেস্ট আরোহণ করে ক্যাম্প ৪-এ ফিরেছেন। উনি দ্রুততম সময়ে সমুদ্র থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করে ১৩শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই শিখর আরোহণ করেন। ইন্টারনেট ও ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বিধায় আজ সকালে ঠিক কয়টার সময় আরোহণ করেছেন, সঙ্গে কয়জন ছিলেন এবং সেখানকার ছবি ও ভিডিও আমাদের হাতে এখনো এসে পৌঁছায়নি। এভারেস্টের সেই কোম্পানি আমাদের এটুকু কনফার্ম করেছেন।

    আশা করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো সব আপনাদের জানানো হবে। তবে তার চেয়েও জরুরি শাকিলের সম্পূর্ণ নিরাপদে বেসক্যাম্পে ফিরে আসা। আগ্রহীরা ইকরামুল হাসান শাকিল এই পেজে আপডেট পাবেন। তবে আমাদের এখনো ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।

    বাংলাদেশের স্বপ্নবাজ এ তরুণের আগে ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে প্রায় ১২শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পদচিহ্ন রাখেন। শাকিল তারচেয়ে সপ্তাহখানেক কম সময়ে পাড়ি দিয়েছেন আরও একশ কিলোমিটার বেশি।

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ইনানি সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয় শাকিলের পদযাত্রা। ৯০ দিনের মধ্যে ‘সি টু সামিট’ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু করেন তিনি। যাত্রাপথে বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপালের প্রায় এক হাজার ৩শ কিলোমিটার দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এভারেস্টের ২৯ হাজার ৩১ ফুট উঁচু শিখরে আরোহণ করলেন শাকিল।

    এর আগে ২০১৩ সালে তিনি কলকাতা থেকে হেঁটে ১১ দিনে ঢাকায় পৌঁছান। তখনই যোগ দেন বাংলা মাউন্টেইনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবে। পর্বতারোহণের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেন ভারত থেকে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো ২০ হাজার ২৯০ ফুট উচ্চতার কেয়াজো-রি পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে যান এম এ মুহিতের নেতৃত্বে সাত পর্বতারোহী। তাদের একজন শাকিল।

    উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশিদের মধ্যে এভারেস্ট জয় করেছেন- মুসা ইব্রাহিম, নিশাত মজুমদার, এম এ মুহিত, ওয়াসফিয়া নাজরীন, খালেদ হোসেন ও বাবার আলী।

  • মাঝ আকাশেই ধ্বংস ভারতের রকেট

    মাঝ আকাশেই ধ্বংস ভারতের রকেট

    ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর নতুন অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। মহাকাশে ইওএস-০৯ কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) পাঠানোর জন্য ইসরোর রকেট রওনা দিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে রকেট থেকে ওই কৃত্রিম উপগ্রহটিকে মহাকাশে নামানো যায়নি। খবর এএনআইয়ের।

    যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে অভিযান মাঝপথে বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন ভারতের এই মহাকাশ সংস্থার কর্মকর্তারা। এদিকে মিশনের ব্যর্থতার পর মহাকাশেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে রকেটটিকে।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ইওএস-০৯ নিয়ে রওনা দেয় পিএসএলভি-সি৬১ মহাকাশযান। উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল। কিন্তু মিশনের তৃতীয় ধাপে গিয়ে যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। ফলে তা বাতিল করে দিতে বাধ্য হয় কর্মকর্তারা।

    এদিকে ইসরোর পক্ষ থেকে এই অভিযানের উৎক্ষেপণের সময় থেকে সমগ্র মিশনটি সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযান ব্যর্থ হয়েছে বলে সেখানেই স্বীকার করে নেন সংস্থার প্রধান ভি নারায়ণান।

    পরে ইসরো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে জানায়, আজ ১০১তম মিশন শুরু করা হয়েছিল। পিএসএলভি-সি৬১ দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তৃতীয় ধাপে একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণের কারণে এই মিশন শেষ করা গেল না।

    সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরোর ইওএস-০৯ কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন ১ হাজার।

  • সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা শহরতলীর খানপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় খানপুর গ্রামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় এতিমখানা, আলিম মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, বাজার মসজিদ ও মৎস্য ঘের এর জলাবদ্ধতা নিরসনে পূর্ব বিলে একটি নালা খাল খননের দাবি জানানো হয়।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন, ডাক্তার মাহবুবার রহমান, তপন কুমার বিশ্বাস, শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।

    ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খানপুর ও রইচপুরে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন কি খানপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রসা ও খানপুর ঈদগাহ ময়দান এবং খানপুর এতিমখানায় এই জলাবদ্ধতায় কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়।

    তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রাম সংলগ্ন আলীপুর থেকে রইচপুর ও পরান্দাহ গ্রাম দিয়ে একটি প্রবাহমান খাল আছে। পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী মহল টাকার বিনিময়ে এ খালের পানি নিয়ন্ত্রণ করে। যার কারনে দূরবর্তী ঘেরগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

    তিনি আরো বলেন, খানপুর ও রইচপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ বিলের মধ্যভাগ দিয়ে পানি নিষ্কাষণের জন্য একটি নালা খাল প্রয়োজন। যা পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রামের প্রবাহমান খালের সাথে সংযুক্ত হবে। তালা পানি প্রবাহমান থাকলে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পাবে এই এলাকার মানুষ।

    ডাক্তার মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন আগে খানপুর ও রইচপুর সড়কের মধ্য ভাগে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বার্থানেশী মানুষের কারণে কালভাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। এই কালভার্ট বরাবর খানপুর ও রইচপুরের বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যভাগ দিয়ে উত্তর দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ রয়েছে। অপর দিকে খানপুর ও রইচপুর পাঁচানী মাঠ দিয়ে দক্ষিণ দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হলে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে পরিত্রাণ পাবে।

    তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি এবং আমরা চাই, পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটা আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে অতি দ্রুত খনন করা হোক।

    তিনি খাল ও নালা খননের মাধ্যমে অত্র এলাকার বাসিন্দারা যাতে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে পারে সেই ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

  • জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই একটা অর্জন দৃশ্যমান ছাড়া আর কোনো কিছু এখনো পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

    শনিবার দুপুরে ‘৩৬ জুলাই ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান ২০২৪’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    গ্রন্থটি আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও মুরশিদুল আলম চৌধুরী সম্পাদনা করেন। প্রকাশিত গ্রন্থের প্রশংসা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবকে নিয়ে খুব কমই গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থ জুলাই বিপ্লবের ঘটনা প্রবাহের এক অনন্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। সরকারের উচিত এ ধরনের গ্রন্থ প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করা। কেননা, ৯ মাস অতিবাহিত না হতেই বিপ্লবের বয়ান মুছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বিপ্লবীদেরকে এ বিষয়ে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।

    তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা দৃশমান করতে রাজনীতিতে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তারা কী করতে চায় সেটাও জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনো জাতির সামনে তাদের মেন্যুফেস্টু তুলে ধরতে পারেনি।

    মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল জুলাই বিপ্লবের হতাহতদের সুরক্ষা, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করা এবং আর যাতে এ ধরনের কোনো দল ফ্যাসিবাদী না হয়ে উঠতে পারে সে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এসবের কোনোটাই করতে পারেনি সরকার।

    সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, এ সরকার আদৌ কোনো সংস্কার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লবের পর ৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা কোনো সংস্কার দৃশ্যমান করতে পারেনি। এ জন্য সরকারের উপদেষ্টার ব্যর্থতাই প্রধানত দায়ী।

    তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতির আলোকে বলা যায় সরকারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সেইসঙ্গে সাফল্যের সম্ভাবনাও কমে আসছে। ফলে সরকারকে হয়তো সংস্কারের উদ্যোগ ফেলে দিয়েই একটা নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে হতে পারে।

    ঋদ্ধ প্রকাশনীর চেয়ারম্যান ও সাবেক সবিচ নূরুল আলম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও সমন্বয়ক সাদিক কাইয়ুম, ইনকিলাব মঞ্চের সভাপতি শরীফ ওসমান হাদি, আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ, আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

  • মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে, দেশকে সজাগ থাকতে হবে : ইমরান খান

    মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে, দেশকে সজাগ থাকতে হবে : ইমরান খান

    ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশকে সজাগ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাবন্দি বিরোধী নেতা ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথা উল্লেখ করে তিনি একথা বলেন।

    বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে এবং সে বিষয়ে দেশ ও জাতিকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাবের প্রশংসাও করেছেন ইমরান খান।

    বুধবার (১৪ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বোন আলেমা খান। তিনি বলেছেন, তার কারাবন্দি ভাই ইমরান খানের সাথে সাক্ষাতের সময় ভারতের সাথে পাকিস্তানের সংঘাতের বিষয়টিও আলোচনা করা হয়েছে।

    আলেমা বলেন, “তিনি (ইমরান খান) আমাদের বলেছেন— যুদ্ধের সময় এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে— দেশ ও জাতির সতর্ক থাকা উচিত কারণ (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবেন।”

    এদিকে ইসরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক শেখ ওয়াকাস আকরাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইমরান বলেছেন— ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাব কেবল জাতির মনোবলই বৃদ্ধি করেনি বরং কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের মনোবলও বাড়িয়েছে।

    তবে আকরাম জোর দিয়ে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান সতর্ক করে দিয়েছেন যে— মোদির প্রতারণামূলক এবং অবিশ্বস্ত স্বভাবের কারণে ভারতের আগ্রাসন এবং সংঘাতের সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তির জন্য পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি জানান, ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, “ভারতের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও বারবার আগ্রাসনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ মোদির আচরণ বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

    ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যদি ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হতে পারে, তাহলে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে বাধা কোথায়?”

    গোহর আলী বলেন, “আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা করা।”

    তিনি আরও বলেন, পিটিআই সবসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে গঠনমূলক সংলাপে অংশ নিতে প্রস্তুত। তার ভাষায়, “সরকার যদি একটি সর্বদলীয় সম্মেলন ডাকে, তাহলে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি সেখানে অংশগ্রহণ নিয়ে ভাববে।”

  • পানির প্রবাহ বন্ধ যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে : পাকিস্তান

    পানির প্রবাহ বন্ধ যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে : পাকিস্তান

    পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পাকিস্তানের পানির প্রবাহ যদি বন্ধ বা বাঁকানো হয়, তবে তা ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

    সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দার বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে কখনও কখনও দেশগুলোকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেমনটা আমরা ৯ মে রাতে নিয়েছিলাম।’

    তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও রাষ্ট্রীয় পরিপক্বতা বজায় রেখে ইতিবাচক পথে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটি মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এগিয়ে যাক।

    দার আবারও পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চাই সব বিষয় আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধান হোক—যাতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে।’

    কাশ্মীর প্রসঙ্গে দার বলেন, এটি কেবল পাকিস্তানের দাবি নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিরোধ।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দার বলেন, ‘ট্রাম্পের এই প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

    তিনি বলেন, এই দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রসহ তৃতীয় পক্ষের সমর্থন দরকার।

    তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের যৌথ উদ্যোগেই সম্ভব। এক হাতে তালি বাজে না। একতরফাভাবে পাকিস্তান কিছু করতে পারবে না।’

    ইসহাক দার আরও বলেন, এমন বিষয়ে দেরি করা মানেই আরও জটিলতা বাড়ানো। তিনি বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ এড়ানো সকল পক্ষের স্বার্থেই জরুরি।’

    পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান, পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না এবং দেশটি ইতোমধ্যে তার কৌশলগত ভারসাম্য ও সার্বভৌম মর্যাদা দেখিয়ে দিয়েছে।