Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 28 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • সাতক্ষীরা তালা থেকে হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তি  যশোরের কেশবপুরের  মাঠ থেকে লাশ উদ্ধার

    আঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ–   

    তালার হারিয়ে যাওয়া কার্তিক চন্দ্র দাশ (৬১) মৃতদেহ যশোরের কেশবপুরে কচাগাছ থেকে গলায় গামছা পেচিয়ে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

    বুধবার (১৮মে) সকালে উপজেলার লালপুর গ্রামের মাঠ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যক্তি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার জাতপুর গ্রামের মৃত নটোবর দাসের ছেলে। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

    থানার অপমৃত্যু মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার জাতপুর গ্রামের মৃত নটোবর দাসের ছেলে কার্তিক দাস দীর্ঘদিন ধরে মানষিক রোগে ভুগছিলেন। তার মানষিক রোগ বৃদ্ধি পেয়ে বেশ কিছুদিন লোকজনের সঙ্গে আবোল তাবোল বকাবকি করছিল। এমতাবস্থায় গত ১৪মে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসে।

    তাঁকে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে গত মঙ্গলবার (১৭মে) তালা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। যার নাম্বার ৭২২।

    পরবর্তীতে বুধবার (১৮মে) সকালে কেশবপুর উপজেলার লালপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে কচা গাছের সহিত কার্ত্তিক দাস নিজের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে বাউশলা গ্রামের দূর সম্পর্কের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারে পরিবারের লোকজন। 

    মৃত্যুর খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দীন বলেন, গলায় ফাঁস দেওয়া বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • শিরিনের লাশ বহনকারী ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলি পুলিশের লাঠিচার্জ

    আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের কফিন বহনকারী ফিলিস্তিনি লোকেদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী। গতকাল শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমের ওল্ড সিটির মধ্য দিয়ে তার কফিন নিয়ে যায়। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু আকলেহের কফিনের চারপাশে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফিলিস্তিনি পতাকা উড়য়েছে। এ সময় তাদের মুখে স্লোগান ছিল, ‘আমাদের আত্মা এবং রক্ত ​​দিয়ে শিরিন তোমাকে উদ্ধার করবো।

    ঠিক তখনই ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তারা লোকেদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে, লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং লাথি দেয়। এক পর্যায়ে কফিন বহনকারী দলটি একটি দেয়ালের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খায়। কফিনটি প্রায় নিচে পরে যাচ্ছিল। দশ মিনিট ধরে এ অবস্থা চলে

    আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের কফিন বহনকারী ফিলিস্তিনি লোকেদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী। গতকাল শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ জেরুজালেমের ওল্ড সিটির মধ্য দিয়ে তার কফিন নিয়ে যায়। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু আকলেহের কফিনের চারপাশে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফিলিস্তিনি পতাকা উড়য়েছে। এ সময় তাদের মুখে স্লোগান ছিল, ‘আমাদের আত্মা এবং রক্ত ​​দিয়ে শিরিন তোমাকে উদ্ধার করবো।

    ঠিক তখনই ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তারা লোকেদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে, লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং লাথি দেয়। এক পর্যায়ে কফিন বহনকারী দলটি একটি দেয়ালের সঙ্গে গিয়ে ধাক্কা খায়। কফিনটি প্রায় নিচে পরে যাচ্ছিল। দশ মিনিট ধরে এ অবস্থা চলে

  • মাসুদ রানার সুচিকিৎসার জন্য অসহায় বাবার সাহায্যের আবেদন

    মাসুদ রানার সুচিকিৎসার জন্য অসহায় বাবার সাহায্যের আবেদন

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ভাতশালার দিনমজুর ও ভূমিহীন মজনু ঢালী এবং গৃহিনী রিনা পারভীন দম্পতির বড় ছেলে মাসুদ রানার (৯) সুচিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে।

    টাউন শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্র মাসুদ রানা ডান পায়ের হাড়ে ইনফেকশন নিয়ে বর্তমানে সাতক্ষীরা শহরের সংগ্রাম হাসপাতালে ডা. প্রবীর কুমারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে তার পায়ে দু’দফায় অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে।

    যদিও অর্থাভাবে এখন তার সুচিকিৎসা করাতে পারছে না অসহায় বাবা মজনু ঢালী।

    মজনু ঢালী জানান, আড়াই মাস আগে মাসুদ রানার প্রতিনিয়ত জ¦র আসতো। যা ওষুধ খেলে কমে যেত । এর একমাস পরেই সে ডান পায়ে জ¦ালা যন্ত্রণা অনুভব করতে থাকে। প্রথমে ধরা না পড়লেও এক পর্যায়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার পায়ের হাড়ে ইনফেকশন হয়েছে। ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ঋণ দেনা করে সাতক্ষীরা শহরের সংগ্রাম হাসপাতালে ডা. প্রবীর কুমারের তত্ত্বাবধানে তার পায়ের হাড়ে অস্ত্রপচার করানো হয়। এরপর প্রথম দেড় মাস ভালই ছিল। নিয়মিত পরীক্ষা করেও ভাল ফল পাওয়া যেত। কিন্তু দেড় মাস পরে পরীক্ষার রিপোর্টে আবারও সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সম্প্রতি তার পায়ে আবারও অস্ত্রপচার করা হয়েছে। সে এখনও সংগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু এখন তাকে ওষুধ খাওয়ানোর মতো টাকাও নেই। আর হাসপাতালের বিল ও দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রপচারের বিলও বাকী। ওষুধের দোকান থেকে বাকী করে ওষুধ নিয়ে তাকে খাওয়াচ্ছি। কিন্তু কোন কূল কিনারা পাচ্ছি না।

    মজনু ঢালী তার ছেলের সুচিকিৎসার জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্যের জন্য তার ০১৮৩০১৭৬৮০১ নাম্বারে যোগযোগ করা যেতে পারে।

  • জেলা নাগরিক কমিটি:সাতক্ষীরার বিভিন্ন পেশাজীবী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন কেন্দ্রিক অচলাবস্তা নিরসনের আহবান

    জেলা নাগরিক কমিটি:সাতক্ষীরার বিভিন্ন পেশাজীবী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন কেন্দ্রিক অচলাবস্তা নিরসনের আহবান


    প্রেসবিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির ঈদ পূর্ণমিলনী শনিবার (৭ মে ২০২২) সকাল ১০টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক মোঃ আনিসুর রহিম।
    সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলু, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক পত্রদূত এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা জেএসডি’র নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, জেলা জাসদ সভাপতি ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাংলাদেশ জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ইদ্রিশ আলী, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, জাতীয় পাটির নেতা প্রকৌশলী আনোয়ার জাহিদ তপন, জাসদ নেতা মোঃ দিদারুল আলম হেলাল, জেলা সিপিবি সভাপতি আবুল হোসেন, সংবাদকর্মী জহুরুল কবির, এনজিও কর্মী শেখ আফজাল হোসেন, উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, এনজিও কর্মী এড. মুনির উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের আসাদুজ্জামান লাভলু, ভূমিহীন নেতা কওসার আলী, আব্দুস সামাদ, ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, সাহিত্যিক গাজী শাহজাহান সিরাজ প্রমুখ।
    সভায় জেলা সদরের অধিকাংশ শ্রমজীবী-পেশাজীবী সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, বেসিক ইউনিয়ন, সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কুক্ষিগত করতে নেপথ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং এর ফলে মামলা মোকদ্দমার কারনে অচলাবস্তা সৃষ্টি হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় এসব সংগঠনকে অযাচিত হস্কক্ষেপ মুক্ত করে তার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিজস্ব নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ দেওয়ার আহবান জানানো হয়।
    সভায় নাগরিক কমিটির সদস্য মাধব চন্দ্র দত্তের মাতার এবং মোঃ আব্দুর রহমানের স্ত্রীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

  • যশোরের বেনাপোলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়  নিহত ১আহত১

    স্টাফ রিপোর্টারঃ   

    যশোর জেলার বেনাপোলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাওড়ে পড়ে সুজন (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহান (২৬) নামে আরও একজন। নিহত সুজন বেনাপোল পোর্ট থানার গাজীপুর গ্রামের মৃত্যু আব্দুল কাদেরের ছেলে। 

    স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন অর্থ্যাৎ৩/৫/২২তাং মঙ্গলবার  সন্ধ্যায় দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেনাপোল-ঘিবা সড়কের পাশে পেঁচোড় বাওড়ে পড়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল চালক সোহান ও সুজন গুরুতর আহত হয়। 

    পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে বলে জানান বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন ভূঁইয়া।

  • বিকেএসপির ক্যাম্পে ডাক পেয়েছে সাতক্ষীরার ‘ভূমিকা’

    বিকেএসপির ক্যাম্পে ডাক পেয়েছে সাতক্ষীরার ‘ভূমিকা’

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার একমাত্র নারী ক্রিকেটার হিসেবে বিকেএসপির এক মাসের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন নওশীন জামান ভূমিকা। ছোট বেলা থেকেই খেলাধূলার প্রতি বিশেষ আগ্রহের অধিকারী নওশীন জামান ভূমিকা সাতক্ষীরার সুশীলনের সহকারী পরিচালক জিএম মনিরুজ্জামান ও সুমী পারভীন দম্পতির মেয়ে।

    ভূমিকা সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। নওশীন জামান ভূমিকার মা সুমী পারভীন জানান, ছোট থেকেই খেলাধূলার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল ভূমিকার। তবে, অন্য কোন খেলনা নয়, ব্যাট বলের প্রতি আকর্ষণটাই ছিলো বেশি। একবার দোকানে যেয়ে পুতুল নয় বল কেনার জন্য বেশ কান্না করেছিলো ও। ছোট বেলায় বাড়ির সামনের মাঠে ছেলেদের সাথে ক্রিকেট খেলতো এবং বোলিং ও ব্যাটিং খুব ভালো করতো। পড়ালেখার দিক টা খেয়াল রেখে খেলার দিকটাতেও এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা পরিবার থেকে সবমরকম সাপোর্ট করেছি ।

    ভূমিকার চাচা এসকে রানা জাতীয় দলের ফুটবলার। ভূমিকার বাবা এক সময়ের ন্যাশনাল লেভেল ফুটবলার ছিলেন, খেলতেন ওয়ারি ক্লাবে। দীর্ঘ দিন সাতক্ষীরা জেলা দলেও খেলেছেন তিনি। বাবার পথেই হাটলো ভূমিকা।
    গত ১৮ মার্চ সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে বিকেএসপির ক্যাম্পের জন্য সাতক্ষীরার একমাত্র নারী ক্রিকেটার হিসেবে ঢাকায় ১ মাসের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছে ভূমিকা।
    ভূমিকা বলেন, ছোট বেলা থেকে ছেলেদের সাথে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে খেলতে এখন মোটামুটি ব্যাটিং বোলিং দুটোতেই খুব ভালো পারফরমেন্স করার চেষ্টা করছি। আমার পচ্ছন্দের খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুউল্লাহ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
    ভূমিকা জানান, বিকেএসপির ক্যাম্পে চান্স পেয়ে আমার খুবই আনন্দ হচ্ছে। আগামীতে আমি জাতীয় দলের হয়ে ভালো কিছু করতে চাই।

  • পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির শুভেচ্ছা

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির শুভেচ্ছা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক বাণীতে এমপি রবি বলেন, “ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। দিনটি বড়ই আনন্দের ও খুশির। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারা বাংলায়, সারা বিশ্বে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। সকল ধর্মের মূলবাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সকল ধর্মের মূলবাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কোন স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতর ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনুক – এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, পবিত্র ঈদের আনন্দ বয়ে যাক সবার ঘরে ঘরে। ঈদুল ফিতর সবার জন্য বয়ে আনুক অনেক অনেক আনন্দ আর কল্যাণ। “পবিত্র এই দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।”

  • পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এমপি রবির পক্ষ থেকে সেমাই চিনি বিতরণ

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এমপি রবির পক্ষ থেকে সেমাই চিনি বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের খুশি ভাগা-ভাগি করে নিতে সাতক্ষীরায় ছিন্নমূল, ভূমিহীন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বধির ও বাক প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষ থেকে সেমাই চিনি বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (০১ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ সেমাই চিনি বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, সদর এমপি মহোদয়ের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারি শেখ মাহফুজুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কালাম, ইউনিয়ন ভূমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম, নুর মনোয়ার প্রমুখ।

  • বেনাপোল বন্দর ৯ দিন ছুটির কবলে বন্ধ থাকছে আমদানি-রপ্তানি,পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক

    বেনাপোল বন্দর ৯ দিন ছুটির কবলে বন্ধ থাকছে আমদানি-রপ্তানি,পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক


    আঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ–    
    যশোরের বেনাপোল বন্দর সাপ্তাহিক, মে দিবস ও ঈদুল ফিতরের কারণে দেশে টানা ছয়দিন সরকারি ছুটি থাকছে। একদিন অফিস খোলা থাকার পর আবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। এতে ৯দিনের বন্ধের ফাঁদে পড়ছে বেনাপোল স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
    বুধবার (২৭ এপ্রিল) বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হবে। শুক্র ও শনিবার (২৯-৩০ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি, ১ মে শনিবার মে দিবস ও ২ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত ঈদের ছুটি। এতে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম।
    ৫ মে বৃহস্পতিবার আমদানি-রপ্তানি চালু হবে। তবে কাস্টমস ও বন্দর খুললেও কোনো পণ্য খালাসের সম্ভাবনা নেই। এরপর ৬-৭ মে সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসেবে ৮ মে থেকে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এ বন্দরে। ওইদিন সকাল থেকে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলবে।
    এমদাদুল হক লতা বলেন, ২৮ এপ্রিল বিকেল থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এছাড়া সরকার ঈদের তিন দিন আগে পরে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হবে না। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ঢাকা ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্যও খালাস নিবে না। অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৫ মে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। এ কারণে সব মিলিয়ে ৯ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে বেনাপোল বন্দর। আগামী ৮ মে থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে।
    বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু বলেন, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। ফলে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
    বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, ২৮ এপ্রিল বিকেল থেকে ঈদের ছুটি। এ সময় ছুটিতে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৫ মে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হলে সে পণ্য আনলোড করা হবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দিবে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানা কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ৮ মে থেকে বন্দরের কর্মতৎপরতা বাড়বে।
    বেনাপোল পোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম রসুল বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে এজন্য বিশেষ নজরদারি নেওয়া হয়েছে।

  • খাপড়া ওয়ার্ড : দেশের ইতিহাসে প্রথম জেল হত্যা

    খাপড়া ওয়ার্ড : দেশের ইতিহাসে প্রথম জেল হত্যা

    আহমাদ ইশতিয়াক :

    বৈশাখের মধ্য গগণে সূর্যের তেজ ফুটছে সেদিন। কৃষ্ণচূড়ার আগুন লেগেছে যেন নগরে। রাজশাহী জেলের জানালা দিয়ে এগিয়ে আসা কৃষ্ণচূড়ার আগুন রাঙা ডাল দেখবে সমস্ত কক্ষ, আকাশে বাতাসে তার রঙ আজ। কে জানত ধূসর মাখা এক বিকেলে নামবে লাশের মিছিল। শ্রাবণের অঝোর বর্ষণের মতো ঝরবে রক্ত। রাজশাহী জেলের ভিতরে আরেক জেল যেন খাপড়া ওয়ার্ড। টালির ছাদ, চারপাশে দেওয়াল।

    যেভাবে খাপড়া ওয়ার্ডে প্রতিবাদের সূচনা

    পাকিস্তানে আমলে কারাবন্দীদের উপর প্রচণ্ড নির্যাতন চালানো হতো নানা অজুহাতে। অমানবিক নির্যাতনের সঙ্গে কম খাবার দেওয়া হতো, তামাক খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল পুরোদমে। পশুর মতো ব্যবহার করা হতো বন্দীদের সঙ্গে। তেলের ঘানি টানানো, গম মাড়াই, পেষাই সহ নানান কাজ করতে হতো বন্দীদের। আর কাজ করতে দেরী হলে কিংবা করতে গিয়ে খানিকটা বিশ্রাম নিলে ভয়াবহ অত্যাচার নেমে আসত তাদের উপর।

    প্রথমে রাজশাহী কারাগারের কমিউনিস্ট বন্দীরা প্রথম ওই অমানবিক শাস্তির প্রতিবাদ করেন। চলে অনশন। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য কারাগারগুলোতেও। ১৯৪৯ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ও রাজশাহী কারাগারে বন্দীরা চার দফায় মোট ১৫০ দিন অনশন করলেন। খুলনা কারাগারে পিটিয়ে হত্যা করা হয় কমিউনিস্ট আন্দোলন কর্মী বিষ্ণু বৈরাগীকে। ঢাকা কারাগারে জোর করে খাওয়াতে গেলে ৮ ডিসেম্বর শিবেন রায়ের মৃত্যু হয়। অথচ প্রচার করা হয় শিবেন রায় ও বিষ্ণু বৈরাগী আত্মহত্যা করেছে। এর আগে যেসব বন্দীরাই প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে শারীরিক নির্যাতনের পর আত্মহত্যা করতে চেয়েছে অভিযোগ এনে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো। অন্যদিকে রাজবন্দীদের সঙ্গে থাকতে দেওয়া হলো তাদের।

    রাজবন্দীরা আসায় একদিকে শাপে বর হলো সাধারণ বন্দীদের জন্য। কারণ সাধারণ বন্দীরা নীরবে চোখ বুজে সহ্য করে গেলেও রাজবন্দীরা প্রতিবাদ করতেন। রাজবন্দীদের সঙ্গে থাকতে গিয়ে বিষয়টি অনুধাবন করল সাধারণ বন্দীরা। প্রতিবাদে বন্দীরা বলল, কারাগারে নির্যাতন চালানো যাবে না। বন্দীদের ভালো খাবার দিতে হবে। অন্যদিকে বিষ্ণু বৈরাগী ও শিবেন রায়ের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর ১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাসে সারাদেশের কারাগারগুলোতে বন্দীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্নভাবে বন্দীরা কারাগারের ভিতরেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অংশ নেন। সঙ্গে সঙ্গে বন্দীদের উপর নেমে আসে অসহনীয় নির্যাতন। যখন কারাগার কর্তৃপক্ষ দেখল অত্যাচারেও কাজ হচ্ছে না, তখন কারা কর্তৃপক্ষ হিন্দু, মুসলমান ও আদিবাসীদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়।

    বন্দীরা তখন তা বুঝে ফেলে। রাজশাহী কারাগারের রাজবন্দীরা নির্যাতন বন্ধের দাবি ও সাম্প্রদায়িক উসকানির প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের কাছে স্মারকলিপি দেন। সেই চিঠিতে কারারক্ষী ও কারাগারের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিটি অভিযোগ ও সুস্পষ্ট বিবরণ ছিল। এই চিঠিতে কারাবন্দীদের সমস্যা সমাধানে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে কোনো উত্তর আসেনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে। জবাব না পেয়ে বন্দীরা ৫ এপ্রিল অনশন শুরু করেন। ক্রমে অনশনকারীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে রাজবন্দীদের দাবির খবর পৌঁছায় আইজি প্রিজন আমীরউদ্দিনের কাছে। তিনি রাজশাহী সফরে এসে কয়েদী ও সাধারণ বন্দীদের বলেন অনশন ত্যাগ করার জন্য কিন্তু রাজবন্দীরা তা মানবেন না বলে জানিয়ে দেন। এর পরই তিনি রাজবন্দীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হন। কারা অভ্যন্তরে কমিউনিস্ট বন্দীরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ১২ জন প্রতিনিধি পাঠালেন। বৈঠকের প্রথমেই মেজাজ হারিয়ে আইজি প্রিজন আমীর হোসেন প্রশ্ন তোলেন, সাধারণ বন্দী, কয়েদিদের সমস্যা নিয়ে রাজবন্দীরা কেন আন্দোলন করছে? উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে কোনো সমাধান ছাড়াই এই আলোচনার সমাপ্তি ঘটে। তখনও দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলেনি কারাগার কর্তৃপক্ষ। অনশন চালিয়ে যান বন্দীরা।

    তখন ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ আইনে আইজি প্রিজন আমীর হোসেন জেল সুপার ডব্লিউ এফ বিলকে পরামর্শ দিলেন রাজবন্দীদের কয়েকজনকে সরিয়ে নিয়ে গেলেই অবস্থার সমাধান হবে। কিতু রাজবন্দীরা কেউই খাপড়া ওয়ার্ড ছেড়ে যেতে রাজী হলেন না। নির্দেশনা অনুযায়ী বলা হয়েছিল কমিউনিস্ট বন্দীদের ১৪ নম্বর সেলে যেতে হবে। ওই সেলটি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য। কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা রোগীদের রাখা হতো। কারাগারে মারা যাওয়া বন্দীদের ময়নাতদন্তও হতো সেখানে। তখন কমিউনিস্ট বন্দীরা কারা কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।

    এদিকে সাত দিন চেষ্টা করেও যখন দেখা গেল কোন অগ্রগতি হচ্ছে না তখন রাজবন্দী ও কয়েদীদের কয়েকজন প্রতিনিধিদের জেল গেটে ডেকে এনে অনশন প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হলো। কিন্তু বন্দীরা অনড়, আগে তাদের দাবি মানতে হবে। এপ্রিল আইজি প্রিজন আশ্বাস দিলেন বন্দীদের শারীরিক নির্যাতন করা হবে না। নিজের পয়সায় বন্দীরা তামাক কিনে খেতে পারবে। এদিকে আইজি প্রিজন এটাকে দেখলেন ফায়দা লোটার বড় সুযোগ। তিনি আড়াই হাজার কয়েদীকে একত্র করলেন রাজশাহী কারাগারের খেলার মাঠে। সেখানে সমবেত বন্দীদের উদ্দেশ্যে বললেন, কমিউনিস্টরা বাইরে কিছুই করতে পারছে না। আর এখন জেলে এসে আপনাদের উসকে দিচ্ছে। সুবিধা লোটার চেষ্টা করছে আপনাদের উসকে দিয়ে। আপনারা কমিউনিস্টদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনবেন না। অন্যদিকে আমীর হোসেন রাজবন্দীদের কক্ষে গিয়ে বললেন, ‘জেলের ভিতরে আপনারা বিপ্লবের নামে যে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করছেন তার পরিণাম শিগগির দেখতে পাবেন।’

    এই পরিস্থিতিতে খাপড়া ওয়ার্ডের ভেতর রাজবন্দীরা বৈঠকে বসেন। বৈঠক চলে সারারাত।

    ২৪ এপ্রিল ১৯৫০

    ভোরের দিকে বন্দীরা কিছু সময় ঘুমিয়ে ও নাস্তার খাওয়ার পর সকাল ৯টায় ফের আলোচনা শুরু করেন। ওই সময় জেল সুপার ডব্লিউ এফ বিল ওয়ার্ডের ভেতর ঢুকে বন্দীদের আবারও ১৪ নম্বর সেলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। জেল সুপার উত্তেজিত হয়ে ওয়ার্ডের দরজা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দৌড়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তার পথরোধ করে দাঁড়ান বাবর আলী, দেলোয়ার ও রশিদ উদ্দিন। বিলের হান্টারের আঘাতে বাবর আলীর কব্জি ভেঙে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে হুইসেল বাজান। সঙ্গে সঙ্গে ৪০ জন কারারক্ষী খাপড়া ওয়ার্ড ঘিরে ফেলে। ওয়ার্ডের ভেতর কমিউনিস্ট বন্দীরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেন, দরজা আটকে রাখতে হবে। তারা নারিকেলের ছোবড়া, চৌকি, তোশক বালিশ ও শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে দরজা আটকে রাখেন। প্রসাদ রায় ছুটে গিয়ে দরজায় কাঁধ লাগান। বাইরে থেকে পুলিশ ধাক্কা দিতে থাকলে দরজা না খোলায় পুলিশ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ প্রসাদ রায় মেঝের ওপর লুটিয়ে পড়েন। বেপরোয়া পুলিশ ঢুকে পড়ে ওয়ার্ডের ভেতরে। রাইফেলের গুলির শব্দ আর অসহায় বন্দীদের আর্তচিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে কারাগারের বাতাস। খাপড়া ওয়ার্ডের বন্দীদের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে। তারা পুলিশের লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত হয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো কারাগারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ছয় জন। আহত হন ওয়ার্ডের সবাই। খাপড়া ওয়ার্ডে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন কুষ্টিয়া মোহিনী মিলের শ্রমিক নেতা হানিফ শেখ। চারপাশের নিস্তব্ধতা দেখে যখনই খুলনার ছাত্র নেতা আনোয়ার মাথা তোলেন ঠিক তখনই একটি গুলি এসে লাগে তার মাথায়। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তার মাথার খুলি উড়ে গিয়ে পড়ে পাশে নারকেলের ছোবড়ার মধ্যে।

    পরিস্থিতি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ওয়ার্ডের ভেতর ঢোকেন জেল সুপার বিল। খুঁজে বের করেন রাজবন্দীদের নেতা আবদুল হককে। তাকে পেয়ে বিল রাগে দিশাহারা হয়ে হান্টারের শক্ত অংশ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। রক্তাক্ত আবদুল হক মেঝের ওপর পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান। এই দৃশ্য দেখে গুলিবিদ্ধ রাজশাহীর বিজন সেন চিৎকার করে ওঠেন, ‘আমরা মরিনি কমরেড! আমরা জিতব। আগামী দিন আমাদের।’ এর পরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাকিরা।

    কেবল গুলিবর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ ও কারারক্ষীরা। আরেকদল পুলিশ এসে অতর্কিত লাঠিচার্জ শুরু করে আহত বন্দীদের উপর। এক বন্দী তখন তীব্র তৃষ্ণায় পানি পান করতে চাইলেন জেলার মান্নান সিপাহীকে নির্দেশ দিলেন সে বন্দীর মুখে প্রস্রাব করতে।

    এর মধ্যে কারাগারের বাইরে থেকে রাজশাহীর পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্টকে খবর দেওয়া হয়েছিল যে রাজবন্দীরা জেলগেট ভেঙে পালাচ্ছে। তিনি কারাগারে এসে দেখেন পুরোটাই মিথ্যা এবং সাজানো। রক্তাক্ত খাপড়া ওয়ার্ড দেখে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে জেলার ও জেল সুপারকে গালাগাল করতে করতে পুলিশ নিয়ে চলে যান।

    সেদিন পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাত জন কমিউনিস্ট নেতা-কর্মী। আহত হয়েছিলেন ৩২ জন।

    খুলনার আনোয়ার হোসেন, রংপুরের সুধীন ধর, কুষ্টিয়ার হানিফ শেখ, ময়মনসিংহের সুখেন ভট্টাচার্য ও কুষ্টিয়ার দেলোয়ার হোসেন। বেলা ৩টায় গুরুতর আহত সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ, আবদুল হক, কম্পরাম সিং, প্রসাদ রায়, বাবর আলী, আমিনুল ইসলাম বাদশা, শ্যামাপদ সেন, সত্যেন সরকার, সদানন্দ ঘোষ দস্তিদার, অনন্ত দেব, আবদুস শহীদ, প্রিয়ব্রত দাস ও নূরুন্নবী চৌধুরীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মারা যান দিনাজপুরের কম্পরাম সিং। আহত অবস্থায় পরে শহীদ হয়েছিলেন বিখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা বিজন সিং ও তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী কম্পরাং সিং।

    খাপড়া ওয়ার্ডে শহীদ প্রত্যেক বন্দীর লাশ গুম করে ফেলেছিল জেলার ও পুলিশ। শহীদদের কোন আত্মীয়স্বজনকে খবরটুকুও দেওয়া হয়নি। আর যেসব বন্দী আহত হয়েছিলেন তারা বেশীরভাগই পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যা ছিল উপমহাদেশের প্রথম জেল হত্যা।

    কিন্তু দীর্ঘদিন এই হত্যাকাণ্ডের খবর জানেনি সাধারণ মানুষ। সম্পূর্ণ চাপা পড়ে যায় এই হত্যাকাণ্ড। খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ডের কথা প্রকাশ্যে আসে ১৯৫৮ সালে সেখানে গুরুতর আহত আব্দুস শহীদের মাধ্যমে। তিনি খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিজের লেখা একটি বই ফেরি করে জানিয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষকে।

    আজ ২৪ এপ্রিল রাজশাহীর কুখ্যাত খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ডের দিন। খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ডে শহীদ রাজবন্দীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

    সূত্র: খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ১৯৫০/ মতিউর রহমান

    ( সংগৃহীত দ্যা ডেইলী স্টার, এপ্রিল ২৪, ২০২১)

  • তহবিল তছরুপের অভিযোগে ভোমরা সিএন্ডএফ এর আহ্বায়ক স্বপন অপসারণ, নতুন আহবায়ক মিজান!

    তহবিল তছরুপের অভিযোগে ভোমরা সিএন্ডএফ এর আহ্বায়ক স্বপন অপসারণ, নতুন আহবায়ক মিজান!

    একদিনে যাতায়াত খরচ আড়াই লক্ষ টাকা দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিভাগের বালিশ কান্ডকেও হার মানিয়ে এবার সমালোচনার মুখে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের (রেজিঃ নং-খুলনা-২০৪৬) সদ্য সাবেক আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন। এখানেই শেষ নহে, এভাবেই বিভিন্ন খ্যাত দেখিয়ে গত কয়েক মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকার তহবিল তচ্ছরুপ, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এতে ক্ষুব্ধ ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহবায়ক কমিটির সদস্যরাও। এদিকে, তহবিল তছরুপ, অনিয়ম ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক (রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স) ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়কের পদ থেকে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারণ করে মিজানুর রহমানকে নতুন আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) ওই চার সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং এসোসিয়েশন সচল রেখে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষে কার্যক্রম শুরু করেছে। অপরদিকে, জনমানুষের সামনে ওই আদেশকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের বিদায়ী আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন এর অনুসারীরা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বুধবার (১৩ এপ্রিল) স্থানীয় কতিপয় পত্রিকায় বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক এর বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন বলে জানা যায়।

    জানা গেছে, বিগত কয়েক মাসে ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের বিদায়ী আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন কমিটির অনুমোদন ছাড়াই প্রায় অর্ধকোটি টাকার তহবিল তচ্ছরুপ করেছেন সেই খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও চাউর হয়েছে। এছাড়াও তিনি তার একক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসোসিয়েশনের কার্যক্রম পরিচালনা করায় কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হতে থাকে। যার ফলশ্রতিতে আহ্বায়ক কমিটির ১ নং সদস্য মাকসুদ খানের সভাপতিত্বে গত ২৯ মার্চ আহ্বায়ক কমিটির চারজন সদস্য জরুরি সভায় মিলিত হয়ে আহ্বায়ক এজাজ আহমেদ স্বপনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গত ৫ এপ্রিল ওই সভার গৃহীত সিদ্ধান্তের রেজুলেশনের কপিসহ কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, মাকসুদ খান ও মিজানুর রহমান অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর এর পরিচালক বরাবর আবেদন করেন। ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির চার জন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনার বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক উভয় পক্ষকে গত ১০ এপ্রিল তার দপ্তরে হাজির হওয়ার নোটিশ প্রদান করেন। চারজন আবেদনকারী সশরীরে ও ভার্চুয়ালি বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালকের কাছে পৃথকভাবে জবানবন্দি প্রদান করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত বিদায়ী আহবায়ক এজাজ আহমেদ স্বপন লিখিতভাবে তার বক্তব্য পেশ করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য ও অভিযোগ পর্যালোচনা করে গত ১১ এপ্রিল ২০২২ ইংরেজি তারিখে বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক (রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন্স) স্বাক্ষরিত ৪০.০২.০০০০.১০৩.৩৪.২১.২০১৩.৮৪২ নম্বর স্মারকে ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশনের আহ্বায়কের পদ থেকে এজাজ আহমেদ স্বপনকে অপসারণ করেন। একই আদেশে তিনি অত্র অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম সচল রাখা ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটির চার জন সদস্যের প্রস্তাব অনুযায়ী মিজানুর রহমানকে আহ্বায়কের পদে নিযুক্ত করেছেন।

  • উজ্জ্বলের দায়ের করা মিথ্যা ডিজিটাল মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন দুই সাংবাদিক



    ডেস্ক রিপোর্ট : মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন দুই সাংবাদিক।
    বুধবার (৬ এপ্রিল) খুলনার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কনিকা বিশ্বাস এ মামলা থেকে ২ সাংবাদিককে অব্যাহতি দেন।
    অব্যাহতি পাওয়া দুই সাংবাদিক হলেন- সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীন প্রত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ আবুল কালাম ও নির্বাহী সম্পাদক আলী মুক্তাদা হৃদয়।
    জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরার সাবেক বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল বাদী হয়ে ১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে চার্জশীটে ২নং আসামী হিসেবে আলী মুক্তাদা হৃদয়’র নাম যুক্ত করেন। খুলনার সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালত গত ৬ এপ্রিল ২০২২ (বুধবার) দুই সাংবাদিক’কে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‍খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবি এ্যাডঃ মোঃ আইয়ূব হোসেন।
    খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবি এ্যাডঃ মোঃ আইয়ূব হোসেন জানান, সাংবাদিক কালাম ও হৃদয়ের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের ভিত্তি নেই। মামলাটি সম্পূর্ণ আক্রোশের উপর শত্রুতামূলক এই বানোয়াট মূলক মামলা থেকে গত বুধবার দুই সাংবাদিককে অব্যাহতি দিয়েছেনে আদালত।
    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক মুক্ত স্বাধীনে সাবেক বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বলের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন।

  • অবশেষে ভারত ভ্রমনে করোনা পরীক্ষার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা। 

    অবশেষে ভারত ভ্রমনে করোনা পরীক্ষার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা। 

     

    আঃজলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ   

    অবশেষে ভারত ভ্রমনে করোনা পরীক্ষার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। এখন ডাবোল ডোজ টিকা গ্রহনকারীরা করোনা পরীক্ষা ছাড়ায় যেতে পারছেন ভারতে। এর আগে ডাবোল ডোজ টিকা নিয়ে ভারতীয়রা দুই দেশের মধ্যে আসা যাওয়ার সুযোগ পেলেও পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের বাধায় বাংলাদেশিদের ১৫০০ টাকা খরচ করে সংগ্রহ করতে হচ্ছিল করোনা নেগেটিভ সনদ। অতিরিক্ত অর্থ খরচ আর ভোগান্তি থেকে মুক্তি মেলায় এখন খুশি যাত্রীরা।

    জানা যায়, করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পেলে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে স্থলপথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতে নানান শর্ত জারি করে  দুই দেশের  সরকার। এসব শর্তের মধ্যে ছিল ভারত যাওয়া ও ফেরার সময়  বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষা, ব্যক্তিগত খরচে ১৫ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও দূতাবাসের ছাড় পত্র। দুই বার করোনা পরীক্ষায় প্রত্যেক যাত্রীকে গুনতে হতো সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর কোয়ারেন্টাইন ও ছাড়পত্র নিতে তো ভোগান্তির শেষ ছিলনা। তবে করোনা সংক্রমন কমে আসায় ধীরে ধীরে এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে সরকার। 

    প্রথমে কোয়ারেন্টাইন প্রত্যাহার, পরে উঠে যায় দূতাবাস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ছাড়পত্র। পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজ টিকা গ্রহনকারীরা সুযোগ পায় করোনা পরীক্ষা ছাড়ায় ভ্রমনে। এক মাস আগে থেকেই  ডাবোল ডোজ টিকা গ্রহনকারীরা ভারতীয়রা করোনা পরীক্ষা ছাড়া আসা যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তবে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের বাধায় এতদিন ধরে ভারত যাওয়ার সময় বাংলাদেশিদের করতে হচ্ছিল করোনা পরীক্ষা। এতে ক্ষোভ ছিল যাত্রীদের। 

    অবশেষে সোমবার সকাল থেকে ডাবোল ডোজ টিকা গ্রহনকারী বাংলাদেশিদের করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ভারত ভ্রমনের সুযোগ হয়।

    ভারতগামী বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী অনিমেস রায় জানান, ডাবোল ডোজ টিকা নিয়ে ভারতীয়রা প্রায় দেড় মাস আগে থেকেই বাংলাদেশে আসা যাওয়া করছে। তবে আমাদের ভারত যেতে করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছিল। এ দেরীতে হলেও এখন  করোনা পরীক্ষা ছাড়ায় ভারত যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। এতে ভোগান্তি ও অর্থ খরচ কমলো।

    বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল থেকে করোনা টিকার ডাবোল ডোজ গ্রহনকারীদের ভারত যেতে আর করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছেনা। তবে যাত্রীদের সাথে করোনা টিকা গ্রহনের সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক রাখতে হবে।

    বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু জানান, ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এতদিন ডাবোল ডোজ টিকা গ্রহনকারী বাংলাদেশিদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ ছাড়া ঢুকতে দেয়নি। এখন করোনা পরীক্ষা ছাড়াই ডাবল ডোজ টিকা দেওয়া থাকলে ঢুকতে দিচ্ছে। বর্তমানে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ট্যুরিস্ট, মেডিকেল, স্টুডেন্ট ও বিজনেসসহ সব ধরনের ভিসায় যাতায়াত করতে পারছেন দুই দেশের পাসপোট ধারী যাত্রীরা।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব বার্ষিক নির্বাচন- ১৩ টি পদের বিপরীতে ৪৩ টি মনোনয়ন পত্র দাখিল


    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক নির্বাচন-২০২২-২৩ এর মনোনয়ন পত্র দাখিলের
    শেষ দিন মঙ্গলবার ১৩টি পদের বিপরীতে ৪৩টি মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে।
    প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুল গফুর সরদার জানান, সভাপতি পদে ৫ জন
    মকসুমুল হাকিম, এম কামরুজ্জামান, আবু নাসের মো: আবু সাঈদ, জিএম নুর ইসলাম
    ও মোজাফফর রহমান, সহ-সভাপতি পদে ৩ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা কালিদাস রায়,
    হাবিবুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম কবির, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন মোহাম্মাদ
    আলী সুজন, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল ও মো: আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম
    সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন সেলিম রেজা মুকুল, এম রফিক ও এসএম মহিদার
    রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জন মীর আবু বকর, আব্দুল আলিম ও এম শাহীন
    গোলদার, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৩ জন জান্নাতুল ফেরদৌস,
    শাকিলা ইসলাম জুঁই ও এসএম আকরামুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক পদে ৩ জন মো: আবুল
    কালাম, আমিনুর রশীদ ও কাজী জামাল উদ্দীন মামুন, দপ্তর সম্পাদক পদে ৩ জন
    শহিদুল ইসলাম, এম বেলাল হোসেন ও মাহফিজুল ইসলাম আক্কাস, ও ৫টি নির্বাহী
    সদস্যের বিপরীতে ১৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন শেখ মাসুদ
    হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, কাজী শওকাত হোসেন ময়না, মনিরুল ইসলাম মনি,
    ইয়ারব হোসেন, শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, কামরুল হাসান,
    আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আবু তালেব মোল্যা, জিএম আদম শফিউল্লাহ, মাসুদুর
    জামান সুমন, খালিদ হাসান, এসএম রেজাউল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, মেহেদী আলী
    সুজয় ও ফয়জুল হক বাবু।

  • ছয়ঘরিয়ায় মসজিদের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে কেন্দ্র করে লাভলুকে মারধর


    সংবাদদাতা : ছয়ঘরিয়ায় মসজিদের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে কেন্দ্র করে মেহেদী হাসান লাভলুকে মারধর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাদী হাসান রনি। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছয়ঘরিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদের অভ্যন্তরীণ বিষয়কে কেন্দ্র করে ৮ এপ্রিল দুপুরে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ মেহেদী হাসান লাভলুকে লাঠি দিয়ে মারধর করে ছয়ঘরিয়া গ্রামের আজিবার মোল্ল্যার ছেলে মফিজুল ইসলাম ও মৃত হটু মোল্ল্যার ছেলে আজিবার মোল্ল্যা। এসময় আজিবার মোল্ল্যা মেহেদী হাসান লাভলুর হাতে থাকা একটি সোনার আংটি ছিনিয়ে নেয়। এসময় মসজিদের মুসুল্লি আহাদ আলী, ইউনুছ আলীসহ স্থানীয় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের ইফতার করালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের এতিম শিশুদের ইফতার করালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : পবিত্র মাহে রমজানের রহমতের এর দ্বিতীয় দিনে সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এতিম শিশুদেরকে ইফতার করালেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সোমবার (০৪ এপ্রিল) ২ রমজান বিকাল সাড়ে ৫টায় পুরাতন সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এ যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি এবং সেখানে এতিম শিশুদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন, তাদের সাথে কথা বলেন এবং কিছু সময় অতিবাহিত করেন। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এ এতিম শিশুদের হাতে ইফতার তুলে দেন।
    এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, শহর সমাজসেবা অফিসার মো. মিজানুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার (বালক)’র উপ-তত্বাবধায়ক আয়েশা খাতুন ও জেলা ছাত্ররীগের সহ-সভাপতি কাজী হাশিম উদ্দিন হিমেল প্রমুখ। এসময় ১৯৫২, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও ১৫-ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবার এবং জাতীয় চারনেতার রুহের মাগফিরাত কামনার পাশা পাশি দেশের সমৃদ্ধি অগ্রগতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থ্যতা কামনা মুসলীম উম্মাহর শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার (বালক) এর ধর্মীয় শিক্ষক হাফেজ ইউনুছ আলী। এসময় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও শিশু পরিবারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে পবিত্র মাহে রমজানের রহমতের এর দ্বিতীয় দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে অসহায় ভ্যান চালক দুস্থ্য, ভিক্ষুক ও পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি।

  • জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে গৌরব, ঐতিহ্য আর সংগ্রামের জাতীয় যুব সংহতির ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় শহরের মিনি মার্কেট এলাকায় জেলা জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় যুব সংহতি, সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে এ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেলা যুব সংহতির সভাপতি আশিকুর রহমান বাপ্পির সভাপত্বিতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক যুব সংহতির নেতা ও সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আনোয়ার জাহিদ তপন। বিশেষ অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুব সংহতির সাবেক সভাপতি শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি বদরুজ্জামান বদু, আব্দুর রশিদ, সাইফুল ইসলাম, মো. মইদুল ইসলাম, মেহেদী হাসান রাহুল, এম এম রানা, রহিম, মনা, লাল্টু, সহ জেলা, সদর উপজেলা ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের।