Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
বিশেষ সংবাদ Archives - Page 13 of 74 - Daily Dakshinermashal

Category: বিশেষ সংবাদ

  • বেহাল সড়ক আর জলাবদ্ধতায় নাকাল সাতক্ষীরা পৌরবাসি

    প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে সাতক্ষীরা পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ সড়ক জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে । বিশেষ করে সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় থেকে সরকারি কলেজ হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা পর্যন্ত সড়কটির পিচ উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে অনেক আগেই। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পৌরবাসীরকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়া সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনা।

    শহরের পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের দাবিতে ইতিপূর্বে কয়েকবার মানববন্ধন করেছে জেলা নাগরিক কমিটি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিতে সড়কটির অধিকাংশ স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ। সেখানে জলাবদ্ধতায় নাকানিচুবানি খাচ্ছে পথচারী সাধারণ মানুষ। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

    শুধু সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোড নয়, এই রোডের মতো পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ রোডই খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। চলাচলের অযোগ্য পড়েছে পুরাতন সাতক্ষীরা থেকে বাগানবাড়ি হয়ে ঘুড্ডির ডাঙ্গি পর্যন্ত সড়কটি। একই সাথে সাতক্ষীরা ডে-নাইট কলেজ মোড় থেকে চালতেতলা বাজার, চালতেতলা বাজার থেকে কুখরালি, বাঙালের মোড় থেকে গড়েরকান্দা, গড়েরকান্দা থেকে কুখরালি, পুরাতন সাতক্ষীরার হরিতলার মোড় থেকে সুলতানপুর আবুলের মোড়, হরিতলা থেকে বাটকেখালি মেঝমিয়ার মোড় পর্যন্ত রাস্তায় একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া শহরের কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোল, মুনজিতপুর, সুলতানপুর, মেহেদীবাগ, বদ্দিপুর, কাটিয়া, রসুলপুরসহ প্রত্যেকটি এলাকার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ । এসব সড়কগুলির পিচের আস্তরণ উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে পরিণত হয়েছে খানা-খন্দে। রাস্তার যখন এই দশা তখন শ্রাবণের বৃষ্টি নাগরিকদের জীবনে এনে দিয়েছে আরেকদফা দুর্ভোগ।

    এদিকে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিতেই সাতক্ষীরা শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বেহাল সড়ক আর জলাবদ্ধতায় নাকাল পৌরবাসি। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শতশত পরিবার। পানি নিষ্কাশনে সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের আলামত দেখা যায়নি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সচিব আলী নূর খান বাবুল পৌরবাসির দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সাতক্ষীরার অন্যতম প্রধান সড়ক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস মোড়, জেলা পরিষদ মোড় হতে বাসটার্মিনাল খুলনা রোড়, সার্কিট হাউস মোড় থেকে এসপি বাংলো মোড় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল এসব অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলেই যেন রাস্তা আর সাগরের মধ্যে তফাৎ পাওয়া যায় না। পাশে ড্রেনের কালো, দুর্গন্ধযুক্ত পানি আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে রাস্তার পাশে ঢেউ খেলছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি সাধারণ জনগণ।

    পৌরসভার আভ্যন্তরীণ সড়কের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে সিপিবি নেতা কমরেড আবুল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। হাল্কা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন পৌরবাসী।

    কলেজ শিক্ষক ইদ্রিস আলী বলেন, টানা কয়েকদিনের স্বাভাবিক বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পৌরসভার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ পানিতে থৈথৈ করছে। শহরের কামালনগর এলাকায় অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পথচারী। পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অনেকের বাড়ির উঠানেও জমেছে পানি।

    বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠসহ সড়ক তলিয়ে গেছে। একে তো সড়কটি চলাচলের অযোগ্য, তার ওপর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষজন। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    কামালনগর এলাকার অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ পলাশ জানান, তাদের এলাকাতেও পানি জমে গেছে। ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। নিষ্কাশনের কোনো পথ নেই। রাস্তার ওপর পানি জমেছে। প্রতিবছরই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, দিন আসে দিন যায়, বদলায় অনেক কিছু। শুধু বদলায় না সাতক্ষীরার পৌরবাসির দুর্ভোগের চিত্র।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় কার্যকর কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। তার ওপর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!

    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) ফিরোজ হাসান বলেন, পৌরসভায় বড় কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায় না। সামান্য যে বরাদ্দ আসে এবং পৌরসভার নিজস্ব কিছু আয় থেকে মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে। শিগগিরই সড়কের কাজ এবং ড্রেনেজ কাজ শুরু হবে।

  • সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত চারটি মদনটাক পাখি সুন্দরবনে অবমুক্ত

    বিজিবি’র অভিযানে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি গুলো পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন কলাগাছিয়া ইকুটুরিজম এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরার নীলডুমুর বিজিবি’র তত্বাবধায়নে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    নীলডুমুর বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সানবীর হাসান জানান, ৩১ জুলাই রাতে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ৪টি বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিজিবি’র যশোর আঞ্চলিক অফিস থেকে সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে মদনটাক পাখিগুলোকে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, একাকি চলাফেরা করতে অভ্যস্থ মদনটাক পাখি সুন্দরবনে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত তারা জলাভূমি বা নদীর মোহনার কাছাকাছি বসবাস করে। সংখ্যা কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা মদনটাক বা হাড়গিলা পাখিটাকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতির পাখি বলে ঘোষণা দিয়েছে।

  • কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার বেলা সাড়ে সোয়া ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনারোড মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুর হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে খুলনারোড মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ,বিজিবিসহ প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিত থাকলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ছাত্রদের কোন ধরনের বাধা প্রদান করেনি। ছাত্ররা খুলনা রোড মোড় অবরোধ করে ২ ঘন্টা অবস্থান করে ফিরে যান। এসময় কোটা আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় নিহত সাতক্ষীরার আসিফ হাসানের নামে সাতক্ষীরার খুলনারোড মোড়কে আসিফ চত্বর নামকরণের দাবি জানান। আন্দোলন চলাকালে যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়।

  • গাজায় বিদ্যালয়ে বিমান হামলা, নিহত ১৫

    ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ছবি: ইন্টারনেট থেকে

    ফিলিস্তিনের গাজায় একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

    পূর্ব গাজা সিটির সাজায়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টিতে ওই হামলা হয়। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ওই বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

    ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্র করতে কমান্ডার ও গুপ্তচরদের লুকিয়ে রাখার জন্য বিদ্যালয় ভবনটি ব্যবহার করছিলেন হামাস যোদ্ধারা।

    গাজার বিদ্যালয়গুলো এখন যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষে ঠাসা। ইসরায়েলি সেনারা এসব স্কুল লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে। তারা বলছে, হামাস সামরিক অভিযান পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবে এ ধরনের বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করছে।

    গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি সেনাদের তথ্য মতে, হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়, যাঁদের অনেকে এখনো গাজায় আছেন।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

    জাতিসংঘ বলেছে, গত অক্টোবরের পর গাজা উপত্যকার প্রতি ১০ বাসিন্দার ৯ জন অন্তত একবারের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কেউ কেউ ১০ বার পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় ১৯ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • রিমান্ড শেষে কারাগারে পার্থ

    কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মায়েরা রাজপথে

    ‘সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের নারীরা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসময় কর্মসূচিতে যোগ দেন হাজারও নারী ও অভিভাবক। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নির্বিচার হত্যা, হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান নারী সমাজ।

    আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন অভিভাবকরা। বিকেল পৌনে ৪টায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিবাদী নারী সমাজের ব্যানারে ‘শিক্ষার্থীদের গনতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের নির্বিচার হত্যা, হামলা গণপ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সন্তান হত্যার বিচার দাবীতে মায়েরা রাজপথে’ শিরোনামে কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিভিন্ন পেশার অভিভাবকরা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

    গান, নৃত্য, মাইম ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন অভিভাবক ও শিশুরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘শিক্ষার্থীদের পাশে মা’ এই ব্যানারে আরেকদল নারী এসে যোগদান করেন মানববন্ধনে। জনতার ঢলে চেরাগী মোড় থেকে জামাল খান রোড পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে আন্দরকিল্লা হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় সন্ধ্যা ৬টায় কর্মসূচি শেষ হয়।

    মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের আসমা আক্তার । তিনি প্রতিবাদী নারী সমাজের সমন্বয়ক। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গৃহিনী, নারী উদ্যোক্তা, ডাক্তার, ব্যাংকার ও সমাজকর্মীরা। নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পুরুষরাও যোগ দেয় মানববন্ধনে।

    এ সময় অভিভাবকরা ‘হামার বেটা মারলু কেনে, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘আমার সন্তান মরলো কেন, বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    মানববন্ধনে মাথায় পতাকা বেধে দাঁড়িয়েছিলেন সমাজকর্মী শাহীন শিরীণ। পাশে নিজের ছোট শিশুর হাতে দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ছবি। শাহীন শিরীণ সমকালকে বলেন, ‘আমার সন্তান রক্তাক্ত হয়েছে মানে আমরাও রক্তাক্ত। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের সন্তানদের গণকবর দেওয়া হয়। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। এই রাষ্ট্রই তো আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে।’

    মানববন্ধনে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন রিতু পারভিন। তিনি বলেন, ‘দেশের কোনো পরিস্থিতি হলে মায়েরা রাজপথে নামে? এতো হত্যা আর গণগ্রেপ্তার হল। তারপরেও এখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী যারা আটক হয়েছে তাদের জেলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলছে। ওরা তো শিশু। আমাদের শিশুরা কেন বিনা অপরাধে জেলে পরীক্ষা দিবে? আমরা তাদের মুক্তি চাই।’

    আরেক অভিভাবক ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকা কেনা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ আমাদের সন্তানকে হত্যা করে। আমি বলতে চাই, আমাদের সন্তানকে না মেরে আমাদেরকে খুন করেন। ওরা আমাদের ভবিষ্যত। আপনারা আমাদের ভবিষ্যতকে হত্যার নেশায় মেতে উঠেছেন।’ সরকারের প্রতি এই জুলুম বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

  • শনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সারাদেশে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সারাদেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

  • ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৪২জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (প্রসিকিউশন বিভাগ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    এর আগে দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা কিংবা নাশকতামূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের শুনানি বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা সিএমএম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক হওয়াদের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনিসহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটককৃতের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রাদিসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা প্রদান করবে। আটক যেসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই, তাদের জামিনের ক্ষেত্রেও সরকার আইনি সহায়তা দেবে।

  • স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষার সূচি রাখা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

    প্রকাশিত নতুন সূচি অনুযায়ী, ১১ আগস্ট রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন বিকেল ২টা থেকে ৫টা উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, আরবি দ্বিতীয়পত্র এবং পালি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে।

    আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকালে (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয়পত্র ও শিশু বিকাশ দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে। তাছাড়া একই দিন বিকেলে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, সমাজকর্ম দ্বিতীয়পত্র এবং ক্রীড়া দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা দিয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে।

  • রাবিতে শিক্ষার্থী আটকের চেষ্টা পুলিশের, বাধা দিলেন শিক্ষকরা

    সারাদেশে ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ‘ছাত্র-জনতার খুনিদের প্রতিহত করুন’ ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। মিছিল শেষ হলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষকরা তাদের প্রতিহত করেন এবং নিরাপত্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন। তবে এ ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    দিকে ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ দুই সাংবাদিককে ‘ইনফর্মার’ বলে তুলে নিতে চায় এবং হেনস্তা করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল বের করেন। পরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে কর্মসূচি শেষ করেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষকদের এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে থেকেই সাদা পোশাকে অবস্থান নিতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’একজন করে শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা তা দেখামাত্রই দৌঁড়ে গিয়ে তাদের বাধা দেন।

    এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তবে শিক্ষকদের বাধায় ক্যাম্পাস থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যেতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা ঢাল হয়ে শিক্ষার্থীদের কাজলা গেটে নিয়ে গিয়ে নিরাপদে বের করে দেন।

    শিক্ষক ও পুলিশের ধস্তাধস্তির সময় সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ। দৈনিক সমকাল পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি অর্পণ ধর ও দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেনকে তুলে নিতে টানা-হেঁচড়া করে পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও একজন গোয়েন্দা সদস্য এসে সমকাল প্রতিনিধিকে মুক্ত করেন।

    এ বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী আটকের লাইভ চলাকালে পুলিশ আমার ওপর চড়াও হয় পুলিশ। আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। ওই সময় আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারীন্দ্র মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবণ্য বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মৌন মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে আঘাত করে। আমার ভাইদের বিনা কারণে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের অপরাধ কি? আমরা কোনো মামলার আসামি না তাহলে কেন আমাদের আটক করবে। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে আজকের এই মৌন মিছিলে এসেছিলাম।

    এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে শিক্ষার্থীদেরকে আটক করার কোনো নথিপত্র নেই। সন্দেহের বশে কাউকে আটক করা অন্যায়। আপনারা এমনটা কখনোই করতে পারেন না। এর পরে যদি কোনো ছাত্রের গায়ে হাত পড়ে এবং আমার সহকর্মীদের গায়ে আঘাত লাগে, এটা কিন্তু আমরা মেনে নিব না। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাই বলে পুলিশ প্রশাসন ওপেন কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিতে পারে না। তাদের নামে কোনো মামলা নেই যে তারা আসামি। আপনারা আপনাদের কাজ করুন।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করতে বলি। তবে যদি কোনো বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাহলে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। বর্তমানে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমার শিক্ষার্থীরা বাসায় আছে। কোনো ছাত্রের হয়রানি হোক আমরা এমনটা কখনোই চাই না। আমরা জানতে পেরে সকল শিক্ষার্থীকে কাজলা গেইট পর্যন্ত নিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়েছি।

  • ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’। এই সময়ের মধ্যে মুক্তি না দিলে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আলটিমেটাম ঘোষণা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

    তিনি বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে আটকে রাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। ডিবি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তাদের যদি নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে নাগরিকদের নিয়ে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলন করব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতিকে, এ দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। আমি নিজে বিব্রতবোধ করছি। স্বাধীনতার পর ’৭১-এর মতো সহিংসতা আর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হবে– এটা ভাবনায় ছিল না। অথচ স্বাধীনতার চেতনাই হচ্ছে বৈষম্যহীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এটা করতে না পারার দায় আমাদের নিতে হবে।’

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। এসব সংবিধান অনুযায়ী বেআইনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিলের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব ঘটনার নিন্দা, ধিক্কার জানানোর উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই।  এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে শোক দিবস পালন করেন। জাতির সঙ্গে রসিকতা করেন? নাশকতার নামে ১০ হাজার গ্রেপ্তার করেছেন। আড়াই লাখ আসামি। হত্যা মামলায় কতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন? পত্রিকায়-ফুটেজে দেখেছি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাতে অস্ত্র। ইউনিফর্ম পরা পুলিশ। সবাই চিহ্নিত। জ্বলন্ত প্রমাণ। এর পরও তো কাউকে দেখিনি গ্রেপ্তার করতে? নাশকতা কারা করেছে, আমরা তো এখনও প্রমাণ পাইনি। অথচ হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করে ফেলেছেন। যেটার প্রমাণ রয়েছে, সেটির জন্য কাউকে ধরেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটেছে তা সবই সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আজকে আন্দোলন হচ্ছে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। এ দাবি অমূলক নয়।’

    ১১ দফা দাবি পেশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যে পদেই থাকুক না কেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র্যা ব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী যারা গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও স্বচ্ছ তদন্ত ও সঠিক বিচার হতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার এবং বল প্রয়োগ বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞের অধীনে স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান তারা। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক।

  • বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সংঘাত-সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

    এছাড়া বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/ সিনিয়র, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

    সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসাবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন (বেসরকারি হিসাবে দুই শতাধিক) নিহত হয়েছেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

    সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জোটটি মনে করে আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবির জড়িত। মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি, কারফিউ তুলে দেওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

  • তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  একই সঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এজন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘এরইমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’

    জার্মান রাষ্ট্রদূত উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।’

    রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে প্রেসসচিব বলেন, ‘যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।’

    নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে দেশব্যাপী শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।

    জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।’

    দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।’

    ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’

    সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

  • খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না

    ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক টেবিলে তাদের খাওয়ানোর ছবি প্রকাশ করাকে জাতির সঙ্গে ‘মশকরা’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ বিষয়ে বলেন, ‘জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না। ধরে নিয়ে এসে খাওয়ার টেবিলে বসাতে পারেন না।’

    দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা এবং ডিবির হেফাজতে থাকা ৬ সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা এক রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট এ কথা বলেন। আদালত বলেন, ‘এগুলো করতে আপনাকে কে বলেছে? কেন করলেন এগুলো? জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না। যাকে নেন ধরে, একটি খাবার টেবিলে বসিয়ে দেন।’

    সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী আবেদনকারী হয়ে সোমবার রিটটি দায়ের করেন। তারা হলেন মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

    রিট আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী অনীক আর হক বলেন, রিটে আন্দোলনকারীদের ওপর যাতে গুলি না চালানো হয় এবং যে ৬ সমন্বয়ককে আটকে রাখা হয়েছে, তাদের এখনই ছেড়ে দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

    অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী আদালতকে বলেন, আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা দিতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। টিভিতে দেখানো হয়েছে তাদের লাঞ্চ (দুপুরের খাবার) করানো হচ্ছে। তারা ডিবি কার্যালয়ে কাটা চামচ দিয়ে খাচ্ছেন এই ছবি প্রকাশ হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে শুক্রবার কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরের দিন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই: শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তবে এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই।

    সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।

    বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মহূর্তে সেই পরিস্থিতি তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে বা কি হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।

    মন্ত্রিসভায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’

    বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এদিকে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের প্রায় ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়। কিন্তু সমাধান না আসায় ফের আন্দোলন চালু রাখেন তারা।

  • ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে: ডিবিপ্রধান

    ৬ সমন্বয়ককে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে: ডিবিপ্রধান

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে খুব শিগগিরই তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।

    সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

    এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে হারুন অর রশীদ লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সাথে কথা বললাম। কি কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে! ওদের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নানা পরিকল্পনার কথা জানানোর পর তাদের উদ্বেগ দূর হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিম ডিবি ডিএমপি বদ্ধপরিকর।’

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে শনিবার সন্ধ্যায় হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে মিরপুরের একটি বাসা থেকে নুসরাত তাবাসসুমকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।

    এর আগে গত শুক্রবার বিকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন থাকা তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরও নিরাপত্তার কারণে হেফাজতে নেওয়া হয় বলে গত শুক্রবার রাতে ডিবি জানায়।

  • অনির্দিষ্টকালের জন্য ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা স্থগিত

    অনির্দিষ্টকালের জন্য ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা স্থগিত

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত ২১ জুলাই ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এবার বাকি মৌখিক পরীক্ষাগুলো অনির্দিষ্টকালে জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ৮ মে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়

    সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পিএসসির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় অংশ নেওয়া পিএসসির একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ৪৪তম বিসিএসে মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। গত বছরের ২৭ মে এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রিলিমিনারিতে ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন। তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে উত্তীর্ণ হন ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থী। তারাই মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

    ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশে ৫০, পররাষ্ট্রে ১০, আনসারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

  • সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎকুমার, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আল ফেরদৌস আলফা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস, জেলা সমাজ সেবা অফিসের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, জেলা মৎস্য অফিসার আনিছুর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাঃ আবুল খায়ের, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে.এম মিজানুর রহমান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সঞ্জীত কুমার দাস, জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
    পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।