Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
প্রশাসন Archives - Page 2 of 15 - Daily Dakshinermashal

Category: প্রশাসন

  • সাতক্ষীরায় লকডাউনের তৃতীয় দিন পালিত

    সাতক্ষীরায় লকডাউনের তৃতীয় দিন পালিত


    সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনরোধে জেলা প্রশাসন ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনের তৃতীয় দিন পালিত হয়েছে। সকাল থেকে লকডাউনের বাধা নিষেধের কারণে শহরে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রন করা হয়। এসময় পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরন করা হয়। সারাদিন সব ধরণের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দু একটি ভ্যান, ইজিবাইক চলতে দেখা যায় । বানিজ্যিক কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। লকডাউনের মধ্যে ওষুধ ফার্মেসী, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিদ্যুৎ জ¦ালানি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে খুলনা ও যশোর যাতায়াতের পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোমরা স্থল বন্দরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। তবে ভারতীয় চালক ও হেলপাররা যাতে খোলামেলা ঘুরে বেড়াতে না পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
    বিজিবির সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে.কর্ণেল আল মাহমুদ জানান, অবৈধ যাতায়াত রোধে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে ফিরে আসা তিনজনকে রোববার রাতে গ্রেফতার করে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
    এদিকে করোনা পজিটিভ নিয়ে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে এবং পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটিনে ৩৭১ জন চিকিৎসাথীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়েত।

  • অপসারিত হলো দুই আদালতের মধ্যকার প্রাচীর

    অপসারিত হলো দুই আদালতের মধ্যকার প্রাচীর

    সংবাদদাতা : জজ কোর্ট ও চিফ জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার কালেক্টরেট চত্বরের আংশিক প্রাচীর অপসারিত করে রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
    সোমবার দুপুর ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল ও পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা সদরের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল আযমসহ আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ প্রাচীর অপসারন করা হয়।
    সোমবার দুপুর ১২টায় কালেক্টরেট চত্বরের অংশ বিশেষ অপসারন করে করিডর নির্মাণের কাজ প্রশস্ত হয়।
    জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম জানান, জুডিশিয়াল কোর্টে বিচার শুরু হওয়ার পর কালেক্টরেট চত্বরের জজ কোর্ট থেকে জুডিশিয়াল কোর্টে আসার জন্য প্রধান সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হতো আইনজীবী, আইনজীবী সহকারি, বিচারপ্রার্থী ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের। এতে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হন। ফলে কালেক্টরেট চত্বরের ডবল প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন করে যাতায়াতের জন্য সেখানে করিডোর নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়ায়। সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সাহেবের প্রচেষ্টায় এটির সুষ্ঠ সমাধান হয়েছে।
    কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পর জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারিদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে তিনি কয়েক মাস আগে আইনমন্ত্রণালয়, গণপুর্ত মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রী পরিষদে পৌঁছায়। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে কালেক্টরেট চত্বরের প্রাচীরের অংশ বিশেষ অপসারন সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৫ জুন তিনি হাতে পান। ওই চিঠিতে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ি তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে প্রাচীর অপসারনের কাজ শুরু করেন।
    জেলা ও দায়রা জজ আরো বলেন, করিডোর স্থাপনের ফলে জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল কোর্টের মধ্যকার দূরত্ব কমে যাবে। তাতে যাতায়াতে সুবিধা হবে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের। যাহা ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রাখবে।

  • ২১ জুন তালা ও কলারোয়ায় ইউপি নির্বাচন: করোনাকালে ভোট নিতে অনড় ইসি: জেলা প্রশাসনের আপত্তি

    ২১ জুন তালা ও কলারোয়ায় ইউপি নির্বাচন: করোনাকালে ভোট নিতে অনড় ইসি: জেলা প্রশাসনের আপত্তি


    মশাল ডেস্ক: তালা- কলারোয়া সহ স্থগিত হওয়া প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনের পরিবর্তীত তারিখ আগামী ২১ জুন। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠানে সায় নেই জেলা প্রশাসনের। সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ইতোমধ্যে কমিশনকে অবহিতও করেছে জেলা প্রশাসন। তবে ভোট নিতে অনড় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট অনুষ্ঠানের আদেশ দিয়ে রবিবার (৬ জুন) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকসহ ইসি মাঠ প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
    নির্বাচন কমিশন গত ২ জুন কমিশন সভা করে স্থগিত তালা- কলারোয়ার ২১ টি সহ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে ২১ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে। ওইদিন কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব খন্দকার আনোয়ারুল কবীর সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্থগিত এসব ভোট অনুষ্ঠানের তারিখ জানিয়ে ওইদিনই আদেশ জারি করার কথা জানান তিনি।
    সূত্রে জানা গেছে, স্থগিত তালা- কলারোয়ার ২১ টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের আদেশ রবিবার জেলা প্রশাসনে পৌঁছেছে। যদিও চিঠিটি ৩ জুনের তারিখে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ই-মেইল ও ইসির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা পৌঁছে যায়। জেলা প্রশাসন প্রশাসন ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের তার অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
    জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে সরকারি বিধি নিষেধের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে থেকে লকডাউন ঘোষণার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা পর্যবেক্ষণ করে চারদিনের মাথায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য চিঠি পাঠানো হলেও মাঠ প্রশাসন থেকে নির্বাচনের পরিবেশ বিষয়ে যেসব লিখিত বা মৌখিক চিঠি এসেছে তা ফাইল আকারে কমিশনে তোলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কমিশন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে তা-ই বাস্তবায়ন হবে।
    নির্বাচন কমিশনের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- ভোট নিয়ে তাদের মধ্যেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা কাজ করছে। তারা বলেন, নির্বাচন হলে প্রার্থীদের প্রচারণার সুযোগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। লকডাউন এলাকায় কীভাবে প্রচারণা চলবে সেটাও প্রশ্ন রয়ে গেছে।
    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার একাধিক সংসদ সদস্য পরিস্থিতি তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখার জন্য জেলা প্রশাসককে আগেই অনুরোধ জানিয়েছেন।
    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের জেলার যেসব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে, তার সবগুলো নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূল নয়। বিশেষ করে কলারোয়া উপজেলার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ভালো নয়। সেখানে পরিবেশ অনুকূল নয় মর্মে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি জানিয়েছেন, ২১ জুন তারা ভোট করবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্ত জানার পর আমাদের তো কথা থাকতে পারে না।
    এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক মাধব রায় বলেন, এখন পর্যন্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। যার কারণে এ সংক্রান্ত আদেশ মাঠ প্রশাসনে পৌঁছে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন। তিনি বলেন, কয়েকটি জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে তথ্য এসেছে। বর্ডার এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা উদ্বেগজনক বলে তারা জানিয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের চিঠি ফাইল আকারে তুলেছি। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
    মাঠপ্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরে অতিরিক্ত সচিব বলেন, স্থানীয় প্রশাসন সাতক্ষীরার কলারোয়া ও বাগেরহাটের মোংলায় সমস্যার কথা জানিয়েছে। পরিস্থিতি এমন হলে বেশি সংক্রমণ এলাকার ভোট স্থগিত রেখে অন্যগুলো হয়তো হতে পারে। অবশ্য এই বিষয়ে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
    উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কমিশন আগে থেকেই দ্বিধা বিভক্ত ছিল। যার কারণে পরপর তিনটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। সর্বশেষে ২ জুনের বৈঠকে ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে পাঁচজন কমিশনার এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কবিতা কবিতা খানম ভোট অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দেন। অপরদিকে কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় ভোট গ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নেন। কমিশনার মাহবুব তালুকদার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রশ্নে প্রথমে নিরপেক্ষ থাকলেও শেষ সময় সিইসির মতের পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে ৩/২ ভোটে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

  • সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের লকডাউন পালিত

    সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দিনের লকডাউন পালিত


    সংবাদদাতা: সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনরোধে বেশ কিছু বাধা নিষেধের মধ্যে গতকাল পালিত হয়েছে লকডাউনের দ্বিতীয় দিন।
    সাতক্ষীরার মানুষ সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন । তবে আন্তজেলা ও দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি রফতানি বানিজ্য।
    গত শনিবার থেকে সাতদিনের জন্য শুরু হয়েছে এ লকডাউন। লকডাউন চলাকালে সাতক্ষীরার সাথে খুলনা ও যশোরের সংযোগস্থলে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে একইভাবে পুলিশের চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ভোমরা স্থল বন্দরে আসা ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপারদের বন্দরে খোলামেলা চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
    এদিকে সাতক্ষীরা সীমান্ত পথে বৈধ অবৈধ যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে টহলে রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। বিজিবি সদস্যরা শনিবার কুশখালি সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে পারাপারের সময় দুই নারীকে উদ্ধার ও একজন নারী পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।
    এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৮ জনের নমুনা পরিক্ষা করা হয়েছে । তাদের মধ্যে ৫০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

  • কঠোরতায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, সড়কে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত

    কঠোরতায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, সড়কে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত


    মশাল ডেস্ক: জেলায় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গতকাল শনিবার সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে।
    চলমান লকডাউন সফল করতে তৎপর জেলা প্রশাসন। লকডাউন চলাকালে সব ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের টহল ছিল লক্ষ্যনীয়। এ ছাড়া যশোর ও খুলনা থেকে জেলায় প্রবেশের মুখে বেশ কয়েকটি চেকপোস্টও বসানো হয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে শহরের খুলনা রোড মোড়, নিউমার্কেট মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা পুলিশকে চেকপোস্ট স্থাপন করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান অব্যাহত ছিল। ঔষধের দোকান ব্যাতীত সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যারয়ের মিডিয়া সেল থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল ১০ টি মোবাইল কোর্টে ৬৫ টি মামলার মাধ্যমে ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
    এদিকে, লকডাউন চলাকালে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকছে। তবে বন্দরের সব বাজারঘাট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ ও ভারতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
    তবে কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তি বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার কথা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানা হয় নি। অনেককে বিক্ষিপ্তভাবে দোকান খুরতে দেখা গেছে। তবে কলারোয়া থানা পুলিশ ও সীমান্তে নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা লকডাউন সফল করতে তৎপর ছিলো। কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে চলমান যানবাহন ও দোকানে অভিযান চালিয়ে অনেকেই জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
    এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনে দেবহাটায় কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনিক কড়াকড়িতে নির্ধারিত সময়ের পর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক গুলোতেও পুলিশের চেকপোস্টের কারনে ভেস্তে যায় অপ্রয়োজনীয় যানবাহন ও মানুষের চলাচল। পাশাপাশি লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে অভিযানও পরিচালনা করেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তার। সকাল থেকে উপজেলার টাউনশ্রীপুর, কোমরপুর, পারুলিয়া, কুলিয়া, গাজীরহাট, সখিপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। এসময় লকডাউনে আরোপিত বিধি-নিষেধ অম্যান্য ও মাস্ক না পরার অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নয়টি মামলায় ৪ হাজার ৯শ টাকা জারমানা করেন তিনি।
    আশাশুনিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা বুধহাটা ইউনিয়নের মহেশ্বরকাটি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে মাস্ক ব্যবহার না করা ও কঠোর লকডাউন চলাকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে সর্বমোট ৩৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
    উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক বৈঠকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    লকডাউনের এক সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে ফার্মেসি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স ও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সব সময় খোলা থাকবে। একইসঙ্গে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক থাকবে। তবে বন্দরের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোর ও খুলনার সড়ক যোগাযোগে পয়েন্টগুলোতে পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে। এ সময় সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।
    জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ২৪৫ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

  • ঘুর্নিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি সভা

    ঘুর্নিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি সভা


    মশাল ডেস্ক: তীব্র তাপদাহের মধ্যে ঘুর্নিঝড় ‘ইয়াশ’ এর সতর্ক বার্তা দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ১ নং সতর্ক সংকেত জারি করে সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। গতবছর সংঘটিত আম্ফানের মত এবারের ইয়াস যেন যান মালের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিিিধদের পাঠানো খবর:
    আশাশুনি প্রতিনিধি জানান, আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইশ’ মোকাবেলায় ভার্চুয়ালী প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে আশাশুনি উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে এ সভায় জুম এর মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি। আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম এর সভাপতিত্বে ও আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান এর উপস্থাপনায় এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী ও মোসলেমা খাতুন মিলিসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সভায় ঘুর্নিঝড় ‘যশ’ মোকাবেলায় উপকূলবর্তী আশাশুনি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে সাইক্লোন সেল্টারসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ নির্মাণ, সকল খাল উন্মুক্তকরণ, বিভিন্ন সড়কের পাশের মরা গাছ অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। জুম মিটিং এর মাধ্যমে অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবেলায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, সকল জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে থেকে জানমাল রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
    দেবহাটা উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় জুম ক্লাউড মিটিং অ্যাপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আব্দুল লতিফ, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের নিজাম উদ্দীন, সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফুলি সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ঘূর্নিঝড়ের পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতি হিসেবে সর্বোচ্চ জণসচেতনতা সৃষ্টি, পাঁচটি ইউনিয়নের পনেরটি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ অস্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুইক রেসপন্স টিম ও কন্ট্রোল রুম চালু, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউটস, স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে দূর্যোগ কালীন কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা, ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ দ্রুত অপসারনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য খাবার, সুপেয় পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    কালিগঞ্জ শহর প্রতিনিধি মুহিবুল্লাহ জানান, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে ২২ মে শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবেলায় এক জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খন্দকার রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মিরাজ হোসেন খান এর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্না চক্রবর্তী, কালীগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও তন্ময় হালদার, উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জোনাল অফিসার পঙ্কজ শিকদার, উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারি সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, দৈনিক দৃষ্টিপাত ব্যুরো প্রধান আশেক মেহেদী, নবযাত্রা কালিগঞ্জ ফিল্ড অফিস ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন লাকি, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন সহ সাংবাদিকবৃন্দ ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে মরা রুগ্ন গাছগুলো কেটে অপসারণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন: আশেক-ই-এলাহী

    ‘আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের মাধ্যমেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আস্থা রাখি।’ মঙ্গলবার সাংবাদিক নির্যাতন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী বলেন, সাংবাদিকতা মানে সন্ত্রাস নয়। কোন সাংবাদিক অস্ত্র নিয়ে তথ্য সংগ্রহে যায় না। আমরা যারা সাংবাদিকতা করি আইন-কানুন রাষ্ট্রিয় নীতিমালা সম্পর্কে কিছু না কিছু জানি। অধিকাংশ সময় ক্ষমতাশীল দূর্ণীতিবাজ আমলা আমাদের উপর আইনের খর্গ চাপিয়ে দেন। সাংবাদিক রোজিনা ইসলামর তারই উদাহরণ।

    আশেক-ই-এলাহী


    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘কিন্তু, আইনের বাইরে একজন নাগরিক হিসেবে, সাংবাদিক হিসেবে, একজন লেখক হিসেবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক হিসেবে আমি বলতে চাই, স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে দেশের সব সাংবাদিককে এক হতে হবে। আমাদের এখন একটাই দাবী, চাই স্বাধীনতা ও নিরাপত্ত’।
    তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের ক্ষমতার অংশিদার নই, সুবিধা ভোগী নই। আমরা সরকার ও প্রশাসনের সহযোগী। আমরা দুর্নীতির খবর তুলে না ধরলে সরকার কীভাবে জানবে দেশে দুর্নীতি হচ্ছে। কাজেই আমরা সরকারের উপকার করার চেষ্টা করছি এবং রোজিনা ইসলাম তাঁর পেশাগত দায়িত্বপালন করে যাচ্ছিলেন।’
    আশেক-ই-এলাহী আরও বলেন, ‘সরকারের উচ্চ মহলকে বলব, আমাদের একটা মন্ত্রনালয় আছে (তথ্য মন্ত্রনারয়) আমাদের কাজের ফাঁকে ভুর-ভ্রান্তি হতেও পারে। তার জন্য এভাবে শারিরিক, মানোষিক, সামাজিক ভাবে হেনেস্তা না করে মন্ত্রনালয় কর্তৃক বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে কারণ দর্শষানো পূর্বক বিভাগীয় শাস্তির বিধান করতে পারেণ।
    আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘আমি সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে সাংবাদিকতা করতে এসেছি। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, স্বচ্ছতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। সেই অধিকার কায়েম করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা যদি নির্যাতনের শিকার হন, তবে তা সাংবাদিকতার জন্য ভালো না, দেশের জন্য ভালো না, সুশাসনের জন্য ভালো না, এটা প্রশাসনের জন্য ভালো না, এটা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেও না।’
    পরিশেষে বুকভরা আশা নিয়ে বলবো, নারী ও স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বর্থে অবিলম্বেসাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি দিন।

  • ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পুলিশ সুপারের আহবান

    ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জানাতে পুলিশ সুপারের আহবান

    • জহুরুল কবীর:

    ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া ওরফে ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার প্রসংঙ্গে। ইং-০১/০৫/২০২১ তারিখ সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় সাতক্ষীরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোঃ সজীব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ শামসুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন, মহোদয় নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং সাতক্ষীরা থানার অফিসার ও ফোর্সেদের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম সাতক্ষীরা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।

    অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সুপার প্রতারক বাদশা মিঞা

    সাতক্ষীরা থানাধীন কামালনগর বাইপাসের জনৈক শফির মুদি দোকানের সামনে থেকে অদ্য ০১/০৫/২০২১খ্রিঃ তারিখ ভোর ০৫.৩০ ঘটিকায় ভয়ংকর প্রতারক বাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়াকে একটি পিস্তল সদৃশ ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড তাজা গুলি সহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে তারদ তথ্য মতে

    ১। তিনটি সিল যথাক্রমে (ক) শেখ ফজলুর করিম সেলিম( এমপি), ২১৬, গোপালগঞ্জ-২ সভাপতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সিল (খ) ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল। (গ) ডাঃ মোস্তফা জামান সাধারন সম্পাদক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটি এর সিল,

    আটক বাদশার কোমরে শাটানে শুটার গান

    ২। শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল সংসদ সদস্য-১০০ খুলনা-২, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর অফিসিয়ার প্যাডে পুলিশ প্রধানকে (আইজিপি) লেখা ডিও লেটার-১ টি,

    ৩। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব লেখা অফিসিয়াল নোট প্যাড-১টি,

    প্রতারক বাদশার নিকট হতে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, মোবাইল, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রী

    ৪। মানবাধিকার পত্রিকার স্ট্রিকার-১ টি, ৫। ভুয়া ওয়ারেন্ট-২৫ টি,

    জাল পরোয়ানা ফর্ম

    ৬। মসজিদের চাঁদা আদায়ের রশিদ বই-২০টি (প্রতিটি ১০০ পাতা),

    উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড গুলিসহ শুটারগান

    ৭। আদায়কৃত চাঁদার টাকা নগদ ৬৮,০০০/- টাকা সহ , অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেন।

    উদ্ধাকৃত দুই রাউন্ড মোবাইল

    উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা সহ একাধিক নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানাঃবাদশা মিয়া@ ডাঃ এস এম বাদশা মিয়া (৩৭), পিতা- ডাঃ নুর ইসলাম, গ্রাম-পলাশপোল (মধুমোল্লার ডাঙ্গী), থানা- সাতক্ষীরা সদর, জেলা- সাতক্ষীরা।

    উক্ত ভয়ংকর প্রতারক আসামীর গ্রেফতার সম্পর্কে অদ্য ০১ মে বিকাল ৩ ঘটিাকায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রেস ব্রিফিং করেন সাতক্ষীরা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম(বার) মহোদয়।

    সাতক্ষীরা জেলা বা জেলার বাহিরের যে সকল ব্যক্তিগণ প্রতারক বাদশা মিয়া কর্তৃক প্রতারিত/ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের নিকট হতে অভিযোগ/ সুনির্দিষ্ট তথ্য উপাত্ত আহব্বান করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সে সকল তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

  • অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ

    অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্ত্রসহ শীর্ষ প্রতারক এস এম বাদশা মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ-সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের নকল নোট প্যাড, সীল, সংসদ সদস্যের ডিও লেটার ও বিভিন্ন প্রকার নিয়োগ পত্র এবং জমাজমি সংক্রান্ত কাগজ-পত্র জালিয়াতির অভিযোগে অস্ত্রসহ এসএম বাদশা মিয়া নামে এক শীর্ষ প্রতারককে আটক করেছে সাতক্ষীরা পুলিশ।শনিবার (১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়ক এলাকার জৈনক শফিকুল ইসলামের মুদি দোকানের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোকানের ভিতর থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। আটক বাদশা মিয়া সাতক্ষীরা পলাশপোল এলাকার হাতুড়ে পাইলস ডাক্তার নূর ইসলামের ছেলে।

    সে নিজেকে কখনও ডাক্তার কখনও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর পরিচয় দিতেন।

    তাছাড়া ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কখনও বা কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিতেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরিতে পদন্নতি, চাকুরী পাইয়ে দেওয়া এমন কি যে কোন মামলার সুরাহা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে তার নামে। সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, প্রতারক বাদশার মিয়াকে শহরের বাইপাস সড়ক এলাকা থেকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এসময় তার উক্তিতে স্বীকারোক্তিতে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে হয়। বিস্তারিত প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে জানানো হবে।

  • আশাশুনিতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

    আশাশুনিতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা


    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১৪০ কেজি মাছ বিনষ্ট করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া মৎস্য সেট থেকে সাত্তার গাজীর ছেলে আজহারুল ইসলামকে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে দন্ডবিধি আইনে ৩৫ হাজার টাকা ও ৪০ কেজি বাগদা চিংড়ি বিনষ্ট করা হয়েছে। একই অপরাধে মির্জাপুর গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেনকে কাকবাসিয়া নারায়ণ চন্দ্র সরকারের বাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০০ কেজি বাগদা চিংড়ি চেউটিয়া নদীতে ফেলা হয়েছে।

  • সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি’র টহল

    সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি’র টহল


    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে একবছর ধরে বন্ধ রয়েছে যাত্রী পারাপার । তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণার পরে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি’র টহল । অবৈধ যাতায়াত বন্ধে ব্যাপক উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন বিজিবি’র কর্মকর্তারা।
    সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, সীমান্তে বিজিবি’র পেট্রলিং বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে লোকবল। অবৈধ যাতায়াত বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সীমান্তে কর্মরত বিজিবি’র কর্মকর্তারা জানান, সাতক্ষীরা সীমান্তে কাটাতারের বেড়া না থাকায় অবৈধভাবে যারা ভারতে- বাংলাদেশে যাতায়াত করেন তাদের নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি অবৈধভাবে যাতে কেউ পারাপার না হতে পারে। বিশেষ করে ইছামতিসহ সীমান্ত কিছু নদীর কারণে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে বেশ বেগ পেতে হয়।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্ত এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রচুর লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে যারা কাজের জন্য ভারতে যান, তাদের অধিকাংশ অবৈধভাবে যান। সাতক্ষীরা সীমান্তে কমপক্ষে ১৭ টি কথিত ঘাট রয়েছে। রয়েছে কথিত ঘাট মালিক। জনপ্রতি সাত হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকায় তাদেরকে কোলকাতায় পৌছে দেওয়া হয়। দু’তিন দিনের জন্য টাকা নেওয়া হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। যারা কাজ করেন,তাদের বছরব্যাপী থাকতে হয় ভারতে। অন্যদিকে ভিসাতে ৩ মাসের মধ্যে ফেরত আসতে হয় বলে তারা অবৈধভাবে যাতায়াতটাকে শ্রেয় ভাবেন।
    এদিকে করোনা ঠেকাতে গত বছরের এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট। এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ যাত্রী প্রতিদিন ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত করতেন। চিকিৎসা,ব্যবসা,কেনা-কাটা ও পর্যটনের টানে এসব ব্যক্তিরা ভারতে যেতেন। সীমিত সংখ্যক ভারতীয় ব্যবসার জন্য অথবা আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন। এক বছরেরও বেশি সময় ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় সীমাহীন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সাতক্ষীরা অঞ্চলের নাগরিকদের। বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া ব্যক্তিদের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুন। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যেতে না পেরে বাধ্য হয়ে তাদের ভারতে যেতে হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।
    এপ্রসঙ্গে ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার বিশ^জিৎ সরকার জানান, সরকারি আদেশে গতবছরের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট। তবে পণ্যবাহি ট্রাকের ভারতীয় চালকগণের যাতায়াত রয়েছে। তবে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  • দেবহাটায় রাসায়নিক মিশ্রিত ২৭ ক্যারেট কাঁচা আম বিনষ্ট

    দেবহাটায় রাসায়নিক মিশ্রিত ২৭ ক্যারেট কাঁচা আম বিনষ্ট

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় মোবাইল কোর্টের অভিযানে জব্দের পর রাসায়নিক মিশ্রিত ২৭ ক্যারেট কাঁচা আম বিনষ্ট করেছে প্রশাসন। রবিবার দুপুরে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তারের নির্দেশে রাসায়নিক মিশ্রিত কাঁচা আম গাড়ির চাকায় পিষে বিনষ্ট করেন কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর।
    এরআগে বৃহষ্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনাকালে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে গাছ থেকে নামানো গোবিন্দভোগ জাতের রাসায়নিক মিশ্রিত ৩৩ ক্যারেট আম জব্দ করেন নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার। অভিযানের আগমুহুর্তে ওই ঘটনার সাথে জড়িতরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় জব্দকৃত আমে রাসায়নিকের মিশ্রন ছিলো কিনা তা পরীক্ষার জন্য আমগুলো মজুদ করে রাখা হয়।
    মজুদের দুদিনের মধ্যেই ২৭ ক্যারেট অপরিপক্ষ আম পেঁকে যাওয়ায় তাতে রাসায়নিকের মিশ্রনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে রোববার এসব জব্দকৃত অপরিপক্ক কাঁচা আম রাস্তায় পিষে বিনষ্ট করা হয়।

  • আশাশুনিতে করোনা রোগী শনাক্ত, বাড়ি লকডাউন

    আশাশুনিতে করোনা রোগী শনাক্ত, বাড়ি লকডাউন


    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বুধহাটা গ্রামের সোহেল সরদার নামের এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন এর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা তার বাড়ি লকডাউন করেন। এসময় লকডাউনকৃত বাড়িতে কোন কিছু প্রয়োজন হলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ, ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক সেখানে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা।

  • মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত সরকারী বিজ্ঞপ্তি

    মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত সরকারী বিজ্ঞপ্তি

    সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধির কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ২৯ মার্চ ২০২১ তারিখের লকডাউন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামালের নির্দেশনা এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জেলা ও উপজেলায় সর্বসাধারণকে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও গণপরিবহণসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (জরুরী পরিসেবা ব্যতীত) বন্ধ রাখার বিষয় তদারকির নিমিত্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।

    ৫ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে পরিচালিত মোট ১২ টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৭২ টি মামলায় অর্থদন্ডের মাধ্যমে ১,৫৬,৮০০/-(এক লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার আটশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২৯ মার্চ ২০২১ তারিখে জারিকৃত ‘প্রজ্ঞাপন’ এর পর থেকে আজ পর্যন্ত পরিচালিত মোট ৪৩ টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৩০৮ টি মামলায় অর্থদন্ডের মাধ্যমে৩,৩৩,৪০০/-(তিন লক্ষ তেত্রিশ হাজার চারশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

  • আশাশুনিতে মোবাইল কোর্টে জরিমানা

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে করোনা মোকাবেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ টি মামলায় ৭হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পৃথক পৃথক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
    করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ মোকাবেলার জন্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এ মোস্তফা কামালের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসেইন খাঁন উপজেলার বুধহাটা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় বাজারের খেয়াঘাট এলাকার একটি হোটেলে মাস্ক না পরার অপরাধে হোটেল মালিককে ১০০০ টাকা ও দু’জন খরিদ্দারকে ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় বাজারে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে প্রচার ও সচেতনামূলক সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়।
    অপরদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা আশাশুনি বাজার ও বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে বিভিন্ন দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে সিরাজুল, সুরঞ্জিত ও মানবেন্দ্রকে ৫০০ টাকা, বাবুল, রনজিৎ ও আমিরুলকে ৫০০ টাকা, আমিনুল, মহসিন ও মোজাম্মেলকে ১০০০ টাকা, মোতাহার ও রবিউলকে ২০০ টাকা, গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের রবিউলকে ১০০০ টাকা, শরিফুলকে ১০০০ টাকা, শাহরিয়ার নাফিস ও শাহাবুদ্দিনকে ৫০০ টাকা এবং নাসির ও তামিমকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

  • জেলায় সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধির কারণে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জেলায় সকল ধরনের জনসমাবেশ যেমন-সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় (ইসলামিক জলসা, নামযজ্ঞ, প্যাগোডায় প্রার্থনা, সভাসমিতি ইত্যাদি) সমাবেশ আয়োজন আগামী ১৫ (পনের) দিনের জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হল ইত্যাদি এ আদেশের আওতায় আসবে। জনসমাগম করে খেলাধুলা এবং সকল প্রকার উৎসব আয়োজন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ জনের অধিক জনসমাগম সম্পূর্ণ নিধিদ্ধ করা হলো। হোটেল/রেস্তোরাঁ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারণের জন্য খোলা থাকবে। তবে হোটেল/ রেস্তোরাঁর ভেতরে অপ্রয়োজনীয় আড্ডা এবং জনসমাগম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। মসজিদ, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে নামায এবং প্রার্থনাকালে কোভিড স্বাস্থ্য প্রটোকল তথা ৩ (তিন) ফুট দূরে অবস্থান এবং মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। আন্তঃজেলা এবং অভ্যন্তরীন রুটে চলাচলকারী সকল বাস মালিককে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যাত্রি পরিবহন এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর কোনরূপ ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শপিংমলসহ সকল প্রকার হাট-বাজারে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শতভাগ মাস্ক পরিধান এবং ৩ (তিন) ফুট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যর্থতায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শহরের অভ্যন্তরে এবং আন্তঃ উপজেলা চলাচলকারী সকল গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য হবে। সকল ধরণের কোচিং সেন্টার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/আড্ডা বন্ধ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    এ নির্দেশনা আপাতত ১৫ দিন বলবৎ থাকবে। গতকাল গুমাধ্যমে পাঠানো জেলা প্রশাসনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

  • দেবহাটায় ভ্রাম্যামান আদালতে জরিমানা আদায়

    দেবহাটায় ভ্রাম্যামান আদালতে জরিমানা আদায়


    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় মাস্ক পরায় উদ্ভুদ্ধ করণ ও ভ্রাম্যামান আদালতে জরিমানা করলেন নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার। দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি মাস্ক পরার জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করার লক্ষে দেবহাটায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার ঈদগাহ বাজার, সখিপুর মোড়, সখিপুর বাজার, পারুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী অফিসার। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে তিনি করনা পরিস্থতির দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় পথচারীসহ সকলকে মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান ব্যবহার করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মাস্ক পরার বিকল্প নেই উল্লেখ করে অপ্রয়োজনে বাহিরে ঘোরা ফেরা না করার পরামর্শ দেন তিনি। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের আত্তাবুজ্জমান এবং থানা পুলিশের সদস্যরা।

  • জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা

    জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধির কারণে জেলা ও উপজেলায় সর্বসাধারণকে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিকরণের লক্ষে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ০১ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে পরিচালিত মোট ১৩ টি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ১১৯ টি মামলায় অর্থদন্ডের মাধ্যমে ৭৩,৩০০/-(তিয়াত্তর হাজার তিনশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।