নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুনসুর আহমেদ অসুস্থ্য অবস্থায় বেশ কিছু দিন ধরে সাতক্ষীরা সিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান করেছে ভোমরা স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশন। এ উপলক্ষে এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভোমরা বাইতুন নূর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে বুধবার বাদ আসর এক দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (নাসিম), কাস্টমস্ ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক জি. এম. আমির হামজা, অর্থ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সুমনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ. এস. এম. মাকছুদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আমজাদ হোসেনসহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। দোয়া অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ভোমরা বাইতুন নূর জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্ব মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক।
Category: ধর্মীয়
-

জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
-

ভাষা সৈনিক লুৎফর রহমানের কবর জিয়ারতে বিএনসিসি’র ডিজি নাহিদুল ইসলাম খান
স্টাফ রিপোর্টার: ভাষা সৈনিক লুৎফর রহমান সরদারের কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)র মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাহিদুল ইসলাম খান। শুক্রবার দুপুরে সখিপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা গ্রামে প্রয়াত ভাষা সৈনিক লুৎফর রহমান সরদারের বাসভবনের পার্শ্ববর্তী কবর জিয়ারত করেন তিনি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক নবিউল ইসলাম, সুইডেনের সমাজকল্যাণ বিভাগের ব্যবস্থাপক শাহনাজ খান, ভাষা সৈনিক লুৎফর রহমানের স্ত্রী কারিমুন নেছা, পুত্র জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আবু রায়হান তিতু প্রমুখ -
কালিগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে ধর্মীয় শোভাযাত্রা
কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে পবিত্র রবিউল আওয়াল শরীফ জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন উপলক্ষ্যে এক বিশাল ধর্মীয় শোবাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আহালে সুন্নত ওয়াল জামায়াত কালিগঞ্জ শাখার আয়োজনে ২ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে ১২ই রবিউল আওয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বিশাল এ ধর্মীয় শোভাযাত্রাটি বাহির হয়। পরে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে পুনরায় উপজেলা মাঠে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। ধর্মীয় ভাব গাম্ভিয্যের মধ্য দিয়ে বিশাল এ সমাবেশে আলোচনা করেন কালিগঞ্জ থানা জামে মসজিদের খতিব ও নলতা সাহী জামে মসজিদের ঈমাম বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা আশরাফুল ইসলাম আজিজী। এসময় বাংলাদেশ আহালে সুন্নত ওয়াল জামায়াত কালিগঞ্জের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ ১২ রবিউল আউয়াল। সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত।
১২ রবিউল আউয়ালকে অশেষ পুণ্যময় ও আশীর্বাদধন্য দিন হিসেবে বিবেচনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল, তখন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়তপ্রাপ্তির আগেই ‘আল-আমিন’ নামে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর এই খ্যাতি ছিল ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও সত্যবাদিতার ফল। তাঁর মধ্যে সম্মিলন ঘটেছিল সমুদয় মানবীয় সদ্গুণের: করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শান্তিবাদিতা। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি কর্মময়তাও ছিল তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে বিশ্বমানবতার মুক্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর ব্রত। ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়নির্বিশেষে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির মানুষ হিসেবে তিনি সব কালে, সব দেশেই স্বীকৃত।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীদিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।বিজ্ঞাপন
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সারা দেশে ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধর্মীয় আলোচনার উদ্বোধন করা হয়।
এদিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীতে আশেকানে মাইজভান্ডারি অ্যাসোসিয়েশন, আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারিয়া, নারিন্দা দরবার শরিফ, আহলা দরবার শরিফ, রেজভিয়া দরবার শরিফ ও ইসলামী যুবসেনা পৃথক জশনে জুলুশ বের করবে।
-

বিজয়া দশমীতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়
নিজস্ব প্রতিনিধি : সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বিজয়া দশমীতে করোনা পরিস্থিতিতে উপেক্ষা করে সাতক্ষীরার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
২৬ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় সদর ইউনিয়নের ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর বিভিন্ন সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শকন ও তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। করোনা কালের এই দূর্গা পূজায় জেলা আওমীলীগের নেতৃবৃন্দদের কাছে পেয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ উচ্ছ্বাসিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এভাবে বজায় রাখতে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে পাশে চান।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হোসেন মাসুম, দপ্তর সম্পাদক উপাধাক্ষ শাহাজান সিরাজ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মোনায়েম, সদস্য লোকমান মিয়া,আজহারুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা জি এম ওয়াহিদ পারভেজ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান ,সাবেক ছাত্রনেতা তানভীর কবীর রবিন, সাতক্ষীরা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি কাজী মারুফ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন,সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম সহ ছাত্রলীগের ও যুবলীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। -

ইছামতিতে অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবী দূর্গাকে বিসর্জন, এবারও হয়নি মিলনমেলা!
নাসির উদ্দীন/কবির হোসেন: দেবী দূর্গার বিসর্জনকে ঘিরে বিজয়া দশমীতে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী ইছামতি নদীতে যুগ যুগ ধরে অনুষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের ঐতিহাসিক মিলনমেলা এবারও করোনা পরিস্থিতিসহ নানা জটিলতায় পন্ড হয়ে গেছে। ফলে ইছামতি নদীর দু পাড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে অবশেষে সন্ধ্যার পর অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবী দূর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন প্রতিবেশী দুই দেশের অপেক্ষমান হাজার হাজার মানুষ।
প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকে ইছামতির দুপাশে স্ব স্ব সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এরআগে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে ইছামতি নদীর বাংলাদেশ অংশে এবছর কোনো প্রতিমাবাহী কিংবা মানুষবাহী নৌকা চলাচল করবে না বলে জানিয়ে দেয় বিজিবি। পাশাপাশি বেলা বাড়ার সাথে সাথে ইছামতি নদীর নোম্যান্স ল্যান্ডে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সিদ্ধান্তে সারিসারি নৌকা দিয়ে ভাসমান ব্যারিকেড দেয় বিএসএফ। শুধু তাই নয়, নদীর স্ব স্ব সীমারেখায় স্পিডবোর্ট ও অন্যান্য নৌযানে টহল জোরদার করে বিজিবি ও বিএসএফ।
এদিকে দুপুরের মধ্যেই ইছামতির বাংলাদেশ ও ভারতের দু পাড়েই জমতে থাকে গেল কয়েক বছরের মতো মিলন মেলার আশায় নদী তীরে আসা দু দেশের হাজার হাজার উৎসুক মানুষের ভিড়।
একপর্যায়ে দুপুরের পর ইছামতি নদীর ভারতের টাকী ও আশপাশের এলাকা দিয়ে সেদেশের কিছু প্রতিমাবাহী ও মানুষবাহী নৌকা নদীতে নামতে পারলেও, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র কঠোর অবস্থানের কারনে বাংলাদেশ অংশে নামতে পারেনি কোনো নৌকা। কেবলমাত্র প্রতিমা বিসর্জনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য দেবহাটা প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীদের একটি নৌকাকে স্বল্প সময়ের জন্য ইছামতি নদীতে নামার অনুমতি দেয় বিজিবি। অন্যদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ইছামতি নদীর বেড়ীবাধ থেকে শুরু করে মোড়ে মোড়ে দেবহাটা থানা পুলিশের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
একপর্যায়ে ঘন্টার পর ঘন্টা নদীতে নৌকা ভাসানের অপেক্ষায় বেড়িবাধে দাড়িয়ে থাকার পর সন্ধ্যায় অশ্রুসিক্ত নয়নে ইছামতি নদীতে দেবী দূর্গার প্রতিমা বিসর্জন শেষে হতাশ হয়ে ঘরে ফেরে দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ।
বিগত কয়েক বছর ধরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্ব স্ব সীমারেখায় দুই বাংলার দূর্গা প্রতিমা বিসর্জন এবং ভাসমান ব্যারিকেডের দুপাশে উভয় দেশের মানুষের কিছুটা হলেও আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও, এবছর মহামারী করোনা পরিস্থিতি এবং সীমান্ত সংশ্লিষ্ট না জটিলতার কারনে সেটুকুও প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে বললে চলে। এতে করে ্উভয় দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী দশমীর দিনে দু দেশের অজ¯্র মানুষের হতাশার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে।
যুগযুগ ধরে চলে আসা দেবী দূর্গার বিসর্জনকে ঘিরে ইছামতি নদীতে দুদেশের মানুষের এই মিলন মেলা দেশ বিভক্তির পরও বন্ধ হয়নি। কিন্তু বিগত কয়েক বছর আগে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ভারতের এক শিক্ষক গবেষকের সলীল সমাধি এবং তৎপরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এবং এক দেশ থেকে অন্যদেশে অবৈধ পারাপার, সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দৃষ্কৃতিকারীদের অবাধ যাতায়াতসহ নিরাপত্তা জনিত বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে মিলনমেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দুদেশের প্রশাসন। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে বিগত প্রায় ৬/৭ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে প্রতিবেশী দেশ দুটির লাখো মানুষের কাঙ্খিত ঐতিহ্যবাহী মিলন মেলা। -

মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আগামীকাল দুর্গাপূজা শুরু
জহুরুল কবীর: আগামী কাল থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তারই আগমনী সুর যেন এখনই ভাসছে সোনা রোদের ঝিলিকে ও নীল আকাশে। প্রকৃতির মতোই পূজা মন্ডবে শুরু হয়ে গিয়েছে মায়ের আগমনীর আবাহন।
আর এই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ম-পে ম-পে বেড়েছে প্রতিমা তৈরির শেষ মূহুর্তের ব্যস্ততা।
প্রতিমা শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়ে যেন প্রাণ সঞ্চারিত হচ্ছে দেবী দুর্গার। শেষ মূহুর্তে এসে প্রতিমা কারিগরদের যেন দম ফেলার সময় নেই। এবছর সাতক্ষীরা জেলায় ৫৬৪ টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকল আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের তদারকির পাশাপাশি প্রতি ম-পে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পুরোদমে প্রতিমা রং তুলির কাজ চলছে। দিনরাতের বেশি সময় প্রতিমা শিল্পীরা কাজ করছেন।
খড় আর কাঁচামাটি ও রংয়ের কাজ শেষে এখন নানা সাজ-সজ্জায় দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্ত্তিক ও গণেশসহ সংশ্লিষ্ট সকল দেবতাদের বর্ণিল করে তোলার কাজ চলছে। প্রতিমা শিল্পীর রং-তুলির আঁচড়ে নানা বর্ণে সাজছেন দেবী দুর্গা।
মা দুর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ আর জগতের শান্তি প্রতিষ্ঠিতা হবে এই বিশ্বাস নিয়ে এই বছর সাতক্ষীরা সদরে ১০৭ টি, কলারোয়ায় ৪২টি, তালায় ৯৬ টি, পাটকেলঘাটায় ৭৪টি, আশাশুনিতে ১০৫ টি, দেবহাটায় ২১টি, কালিগঞ্জে ৫২টি, শ্যামনগরে ৬৭ টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবছর প্রতিটি মন্ডবে প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা এবং জ্বর মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা পরিহারসহ সকল ম-পে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সামগ্রী রাখার জন্যও বলা হয়।
দুর্গাপূজার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হিন্দুদের কিন্তু মূলবাণী সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে নিবেদিত। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা। অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে সর্বজনীন শারদীয় দুর্গাপূজা। সব মানুষের সুখ-শান্তি কামনায় এবং সর্বজীবের মঙ্গলার্থে হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে প্রতিবছর উদযাপন করে থাকে শারদীয় দুর্গোৎসব।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এই আনন্দধারায় এবার কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে সরকার কিছু স্বাস্থ্যবিধি পালন করার নির্দেশনা দিয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গাপূজা উদযাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। -

নলতা পাক রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আনসারউদ্দিন আহম্মেদ আর নেই
কালিগঞ্জের নলতা পাক রওজা শরীফের খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আনসারউদ্দিন আহম্মেদ (৮৫) আর নেই। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মানষ কুমার ম-ল বলেন, ফুসফুসের সমস্যা, কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১ জুলাই ভর্তি হয়েছিলেন, খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আনসারউদ্দিন আহম্মেদ।
নির্লোভ বিনয়ী,সদালাপী এই মানুষটি আজীবন মানুষের খেদমতে কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আহছানিয়া মিশনের লাখো লাখো ভক্তদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আগামী বৃহস্পতিবার বাদ আসর মরহুমের জানাজা নামাজ শেষে নলতা রওজা শরীফে পীর কেবলার সন্তানদের পাশে দাফন করা হবে। -

করোনা ভাইরাস: হজ পালন করতে পারবেন না মালয়েশিয়ার নাগরিকরা

ন্যাশনাল ডেক্স :
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের নগারিকদের এবছর হজের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে।
হজ পালন করতে গিয়ে নাগরিকদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া থেকে প্রতিবছরই বহু মানুষ হজ করতে সৌদি আরবে যান। এবছর মালয়েশিয়ার আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষের হজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিমের দেশ ইন্দোনেশিয়া আগেই জানিয়েছে তারা এবছর তাদের নাগরিকদের হজ করতে যাওয়ার অনুমতি দেবে না।
প্রতিবছর সারাবিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে সৌদি আরব যান।
তবে কয়েকদিন আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক খবরে প্রকাশিত হয় যে, প্রত্যেক দেশ থেকে যে পরিমাণ হজযাত্রী যাওয়ার কথা অন্যান্য বারের তুলনায় এবার তার ২০ শতাংশ মানুষ আসতে অনুমতি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর এক লাখের বেশি মানুষ হজে যান, কাজেই বাংলাদেশ থেকে এবার হজ পালন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাও বাধার মুখে পড়তে পারেন।
তবে বাংলাদেশ থেকে ঠিক কী পরিমাণ মানুষ এবার হজ করতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন এবং সেটি কোন ভিত্তিতে নির্ধারন করা হবে, সেবিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে মঙ্গলবার বিবিসিকে জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব।
মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব।
এর কয়েকদিন পর সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যেও ওমরাহ হজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।
মসজিদে নামাজ পড়া এমনকি ঈদের জামাতের উপরেও বিধিনিষেধ ছিল।
একই সময়ে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেশটি। সেখানে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি ছিল।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮৫৭ জন।
-

আজ বড়দিন: শান্তিরাজ মহাপ্রভু যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন : পৌল সাহা
আজ ২৫ ডিসেম্বর, প্রভু যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন । আজ শুভ বড়দিন ,বিশ্বের শত কোটি মানুষ আজ মহানন্দে যীশুর জন্মতিথি উৎসবটি উদ্যাপন করছে। বাংলাদেশের খৃষ্টভক্তগণও এ উৎসবমুখর দিনটি অতি আনন্দের সাথে উদ্যাপন করছে ।
পবিত্র বাইবেলে পুরাতন নিয়মে ঈশ্বর মানুষের মুক্তির জন্য বার বার পৃথিবীতে ভাবাবাদীদের পাঠিয়েছেন। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মুক্তি কারও দ্বারা সম্ভব হয়নি। তাই ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দেন তাঁর পুত্রকে পাঠাবেন বলে। ফলে মানুষ তার মুক্তি দাতাকে দেখার জন্য বিভিন্ন ভাবে খুজে বেড়াতে থাকে । এই ত্রানকর্তা, মুক্তিদাতার আগমন প্রতিক্ষাই বহু বছর ধরে প্রবক্তাগন ভবিষৎ বানি করেছিলেন ভাবী ত্রানকর্তা যে একজন কুমারীর গর্ভে জন্ম গ্রহন করবে, সে সমন্ধে প্রবক্তা ইসাইয়া বলেছিলেন,কোন একটি যুবতি (কুমারী) এখন সন্তান সম্ভব্য। সে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেবে। সে তার নাম রাখবে ইন্মানুয়েল অর্থৎ আমাদের সহিত ঈশ্বর (ইসাইয়া৭:১৪) ভাবী ত্রাণকর্তা সমন্ধে ইসাইয়া আরও বলেছিলেন তার নাম: অনন্য মন্ত্রনাদাতা, শক্তিমান ঈশ্বর, শাশ্বত পিতা, শান্তিরাজ (ইসাইয়া ৯:৬)।
আজ থেকে দু’হাজার বছরের ও অধিক কাল পূর্বে প্যালেষ্টাইন দেশের এক মফঃস্বল শহর বেথলেহেমের পান্থশালায় স্থান না পেয়ে যোসেফ তার অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী মারিয়াকে নিয়ে এক গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেয়। এই গোয়াল ঘরেই কুমারী মারিয়ার গর্ভে জন্ম নিলেন এক নবজাতক, তিনি হলেন ত্রাণকর্তা , কাল জয়ী যীশুখ্রিস্ট।
খ্রিস্টের জম্মের সাথে সাথেই সমগ্র ধরনীতে শান্তি ও আনন্দবারি বর্ষিত হল। সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পন্ডিতগণ ছুটে এলেন। স্বর্গদূতেরা তাঁর প্রশংসা ও জয়ধ্বনি করতে লাগলো। তখন স্বর্গের এক দূত এই সংবাদ দিয়া রাখালদের বললেন আমি এক মহা আনন্দের সংবাদ তোমাদের জানাতে এসেছি। আর এই আনন্দে সমগ্র জাতির মানুষ আনন্দিত হবে। আজ দায়ুদ নগরীতে তোমাদের ত্রাণকর্তা জন্মেছেন-তিনি সেই খ্রিস্ট,স্বয়ং প্রভু (লুক ২: ১০.২১) পবিত্র বাইবেল অনুসারে এইতো বড়দিনের আসল ঘটনা। আমরা খ্রিস্ট বিশ্বাসীগণ প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর মানব মুক্তিদাতা যীশু খ্রিস্টের জম্মোৎসব বা বড়দিন উৎসব পালন করে থাকি।
মানুষের প্রতি ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠতম অবদানের, মানুষের প্রতি ঈশ্বরের প্রগাঢ় ভালবাসার অনন্য এবং অনবদ্য স্বাক্ষর পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা মানুষের আনন্দের সর্বোৎকৃষ্ট উপলক্ষে এই বড়দিন। খ্রিস্ট বিশ্বাসী রূপে আমরা জানি ও বিশ্বাস করি প্রভু যীশু খ্রিস্ট হলেন মানুষের জন্য ঈশ্বরের অধিকৃত মক্তিদাতা। যীশু খ্রিস্টের জন্ম গোটা মানবজাতির ইতিহাসকে ‘দু’ ভাগ করে দিয়েছে। খ্রিস্ট পূর্ব ও খ্রিস্টাব্দ অর্থাৎ যীশু খ্রিস্ট জন্মের পূর্বে ও পরের ইতিহাস। যারা খ্রিস্ট বিশ্বাসী নন তারাও মানব ইতিহাসের এই বিভাগকে মেনে নিয়েছেন। এখানেই খ্রিস্ট জন্মের গুরুত্ব ও বিশেষত্ব। যীশুর জন্মের আগে ঈশ্বর,স্বর্গ, নরক বিচার , মুক্তি ইত্যাদি নমন্ধে মানুষের ধারনা ছিল অস্পষ্ট এবং জটিল। যীশু জন্মগ্রহণ করে মানুষকে নতুন ধারনা দিলেন যে, তিনি প্রেমময়, ক্ষমাশীল ও দয়ালু পিতা মুক্তিলাভ বা স্বর্গে প্রবেশাধিকার অসাধ্য কোন ব্যাপার নয়। এজন্য প্রয়োজন পাপ থেকে মন ফিরানো এবং ঈশ্বর ও মানুষকে ভালবাসা। যীশুর জন্মের ফলে মুক্তির দ্বার উম্মুক্ত সকল মানুষের কাছে। যীশু সার্বজনীন মুক্তিদাতা ,যারা তার উপরে বিশ্বাস স্থাপন করে ও তার শিক্ষা মেনে চলে, তিনি তাদের জন্য সবার মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খ্রিস্টের জন্মের মূল অর্থ হচ্ছে যারা অসহায়, বিচলিত,যারা বেদনার্ত, তাদের প্রতি প্রেম ,প্রীতি ও ভালবাসা প্রকাশের এবং যারা পরিশ্রান্ত ও যারা অন্ধকারে আছে তাদেরকে আলোর পথে আনার উদ্দেশ্যেই খ্রিস্টের আবির্ভাব। প্রভু যীশু খ্রিস্টের প্রধান আদেশ হলো প্রতিবেশীকে আপনার মত প্রেম কর। তিনি এসেছিলেন প্রেম প্রদর্শণ করতে। বিশ্রাম বারে ধর্মীয় নীতি ছিল। সব কাজ থেকে বিরত থাকা, এমনকি অসুস্থকে সুস্থতা প্রদান আইনে দন্ডনীয় ছিল। কিন্তু সেখানেও খ্রিস্ট অসুস্থকে সুস্থতা প্রদান আইনে দন্ডনীয় ছিল। কিন্তু সেখানেও খ্রিস্ট অসুস্থকে সুস্থতা প্রদান করে দেখিয়েছিলেন। নিয়মের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য নিয়ম। তেমনিভাবে ধর্মীয় গোড়ামিতে ধর্মের জন্য মানুষ নয় বরং মানুষের জন্য ধর্ম। যীশু খ্রিস্ট চান প্রত্যেকে যেন ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রেখে খ্রিস্টের মত মানুষের সেবায় জীবন বিলিয়ে দেয়।
যে প্রয়োজনে প্রভু যীশু এ পৃথিবীতে জন্ম নিলেন ও মানবীয় জীবন যাপন করলেন—-তা হলো আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করে শাশ্বত জীবন দান করা বড়দিনের মাহাত্ব্য, স্বার্থকতা ও সাফল্য এখানেই। খ্রিস্ট জীবনে চলার পথে অনেক উপদেশ দিয়েছেন। তোমরা আপনার জ্ঞানে বুদ্ধিমান হইও না, মন্দের প্রতিশোধে কাহারও মন্দ করিও না। সকল মানুষের দৃষ্টিতে যাহা উত্তম ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহাই কর। যদি সাধ্য হয় তোমাদের যতদূর হাত থাকে মনুষ্য মাত্রের সহিত শান্তিতে থাক। এই জন্ম উৎসবের অন্তরালে একটি বিষয় হচ্ছে খ্রিস্ট রাজা ধীরাজ হয়েও দীন বেশে পৃথিবীতে নেমে এলেন। মানবীয় দুরদর্শিতায় ও পৃথিবীর বন্ধনে নিজেকে বাঁধলেন। খ্রিস্ট ছিলেন জগতের জ্যোতি ও সত্যের আলো। খ্রিস্ট আমাদের পাপের জন্য নিজেকে নত করলেন। তিনি নিজেকে মানবের সেবায় বিলিয়ে দেবার জন্য মাটির জীবন বেছে নিলেন। আসলে এ দিনটি বড়দিন তার কারণ এদিন এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল, যা আর কোনদিন ঘটেনি ও ঘটবেও না। এই ঘটনাটি হলো; ঈশ্বর আকারে প্রকারে মনুষ্যবৎ হইলেন। তিনি মাংসে মূর্তিমান হইলেন। পৃথিবীতে মনুষ্যদের মধ্য প্রবাস করিলেন। আর এটাই হলো বড়দিন উৎসবের মূল তাৎপর্য।
পরিশেষে বড়দিনের শুভেচ্ছা প্রত্যেকের কাছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো বড়দিনের স্বার্থকতা কোথায় যদি না ঈশ্বরীয় প্রেম,শান্তি ও সুখের স্পর্শ আমাদের হৃদয়ে না থাকে, তাই আসুন যথাযথ মর্যাদায় প্রভু যীশুর এই জন্ম উৎসবকে পালন করি এবং ঈশ্বরীয় প্রেমে আবদ্ধ হয়ে একে অপরের প্রতি সহনশীল হই। বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। আজ এ বড়দিনে শান্তির রাজপুত্রের জন্মদিনে অশান্তির কালো ছায়া দূর করি খ্রিস্টের আলো দ্বারা এবং অর্জন করি প্রেম আনন্দ, মৃদতা, সহিষ্ণুতা এবং আত্ম সংযম, তবেই আমাদের বড়দিন হবে স্বার্থক ,সুন্দর এবং শ্রেষ্ট বড়দিন। -

টিকেট বন্ধু মহল আয়োজিত রেডিয়াম লেজার কাঁচ দ্বারা নির্মিত ১৪ হাত কালীপূজা
দেবহাটা ব্যুরো: বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় দেবহাটা-আশাশুনি ঐতিহ্যবাহী বন্ধু মহল আয়োজিত রেডিয়াম লেজার কাঁচ দ্বারা নির্মিত ১৪ হাত শ্রী শ্রী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
১নং কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইমাদুল ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতায়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল, অজয় কুমার মন্ডল ও চন্দ্রকান্ত সরদারের সার্বিক সহযোগিতায়, সাংসদ প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গৌতম কুমার দাশের বিশেষ সহযোগিতায় ও দেবহাটা-আশাশুনি বন্ধু মহলের সার্বিক পরিচালনায় টিকেট স্বর্গীয় মাদার চন্দ্র মন্ডল ও প্রভাষ চন্দ্র মন্ডল মহাশয়ের মৎস্য বড়ঘেরী প্রাঙ্গনে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মায়ের পূজা অর্চনা, ১৮ ডিসেম্বর বুধবার পদাবলী কীর্ত্তন, ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বাউল গান, ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সামাজিক নাটক, ২১ ডিসেম্বর শনিবার সামাজিক নাটক, ২২ ডিসেম্বর রবিবার মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাত্র ১২.৩০ মিনিটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে কালীপূজা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
অন্যদিকে বৃৃহস্পতিবার কালীপূজা পরিদর্শন করেন, দেবহাটা উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক চন্দ্র কান্ত মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক অজয় ঘোষ, গাজীরহাট মন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ বলরাম স্বর্নকার, দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, বন্ধু মহলের সভাপতি অজয় কুমার মন্ডল,সহ-সভাপতি বিকাশ কান্তি হালদার, তন্ময় মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম মন্ডল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহোন লাল মন্ডল প্রমুখ।
এ সময় বন্ধু মহলের সভাপতি অজয় মন্ডল বলেন, প্রচন্ড শৈতপ্রবাহ উপেক্ষা করে প্রতিদিন হাজারও মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে মায়ের মন্দিরে আসছে। এছাড়া অনুষ্ঠান ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ আমাদের সেচ্ছাসেবক কর্মীরা তৎপর রয়েছে। আশা করছি আগামীতে আরও সুন্দর হবে। -

শিকড়’৯৭ সাতক্ষীরার ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্টিত
“বন্ধুত্ব মানে জীবনের স্পন্দন, বন্ধুত্ব মানে সম্পর্ক আজীবন” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে শিকড়’৯৭ সাতক্ষীরার ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্টিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা বিনেরপোতা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি)এটি অনুষ্টিত হয়।
শিকড়’৯৭ সাতক্ষীরার ঈদ পূণর্মিলনী এসএসসি’৯৭ ব্যাচের মোট ৯০ জন বন্ধু উপস্থিত ছিলেন।যারা দেশ-বিদেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্মানের সহিত কর্মরত আছেন। -
সংসদ ভবনের জামাতে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের
ঢাকা: সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (০৫ জুন) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনে বৃষ্টির কারণে টানেলে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামায়াত শেষে মন্ত্রী একথা বলেন।
কাদের বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সবাইকে এক হতে হবে। এবার সড়কের অবস্থা খুব ভালো ছিলো। প্রশাসনসহ সবার প্রচেষ্টায় মানুষ স্বস্তি নিয়ে ঈদ করতে পেরেছে। আমাদের ইতিহাসে সড়কে এমন স্বস্তি কখনও দৃশ্যমান হয়নি। এবার ঈদযাত্রা ইতিহাসের স্বস্তিদায়ক যাত্রা।
সংসদ ভবনের এ জামাতে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেন।
-
দিনাজপুর বড় ময়দানে ঈদ জামাত
দিনাজপুর: উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি।
বুধবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় দিনাজপুর বড় ময়দানে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বড় ঈদগাহ মিনার নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম।

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও দিনাজপুরে আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক। তাই সকাল থেকেই বড় ময়দান অভিমুখে মুসল্লিদের ঢল নামে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় নামাজের জামাত। পরে জামাতে অংশগ্রহণকারীরা কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত দিনাজপুর বড় ময়দানে অনুষ্ঠিত হল। এখানে প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। যা দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত।
পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম জানান, ঈদের প্রধান জামাতকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির পর জামাতে প্রবেশ করানো হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সাদা পোশাকধারী পুলিশ ঈদগাহ প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করেন।
র্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তা তৎপর ছিলেন। মাঠের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হয় চারটি বিশাল পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ পথ থেকে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
-

ঈদের শুভেচ্ছা
দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র পাঠক, গ্রাহক, বিজ্ঞাপনদাতা সহ সকলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
-

সাতক্ষীরায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরায় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাউখোলা জামে মসজিদে উক্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার বাউখোলা, সাতানি, ভাদড়া ও তালা উপজেলার ইসলামকাটিসহ ১৫টি গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ সেখানে ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশ নেন। ঈদের নামাজে খুলনার ডুমুরিয়া ও কয়রা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরাও সেখানে অংশ নেন। জামায়াতে মহিলারাও অংশগ্রহন করেন। উক্ত নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মহব্বত আলী।
মাওলানা মহব্বত আলী জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পৃথিবীর কোন প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদযাপন করা যায়। -

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরাবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরা বাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-০৩ আসন থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
তিনি বলেন, আমি সাতক্ষীরার সর্বস্থরের জনগনকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ঈদ মোবারক। আমি সকলের অব্যাহত সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে অনাবিল শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদ-উল-ফিতর। আর ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। সকল সামাজিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মুসলমানরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের আনন্দ নিজেরা ভাগ করে নেয়। তাই ঈদ-উল-ফিতরের শিক্ষা নিয়ে আমাদের অঙ্গীকার হোক সকল হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা। এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। আমি এই কামনা করি।
তিনি আরও বলেছেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে থাকে, নিরাপদে থাকে।পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সাতক্ষীরা বাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-০৩ আসন থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
তিনি বলেন, আমি সাতক্ষীরার সর্বস্থরের জনগনকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ঈদ মোবারক। আমি সকলের অব্যাহত সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি। মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে অনাবিল শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদ-উল-ফিতর। আর ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। সকল সামাজিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মুসলমানরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের আনন্দ নিজেরা ভাগ করে নেয়। তাই ঈদ-উল-ফিতরের শিক্ষা নিয়ে আমাদের অঙ্গীকার হোক সকল হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা। এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। আমি এই কামনা করি।
তিনি আরও বলেছেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খা অনুযায়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে থাকে, নিরাপদে থাকে। -

জেলা যুগ্ম দায়রা জজ-১ এর আদালত কর্তৃক থানাঘাটায় পীরত্ব সম্পত্তি কিনা পৈত্রিক সম্পত্তি সে বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন :পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেবের পীরত্ব সম্পত্তি রক্ষা করতে প্রত্মতত্ব বিভাগ ও বিজ্ঞ আদালতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা সদরের ১৩ লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামে অবস্থিত পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেবের পীরত্ব সম্পত্তি পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করায় আদালত কর্তৃক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি আদালতে গড়ানোর পর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে থানাঘাটাস্থ মিয়া সাহেবের দরগাহ শরীফে জেলা যুগ্ম দায়রা জজ-১ এর বিচারক মোখলেছুর রহমানের আদালত কর্তৃক নিয়োগকৃত তদন্ত টিমের কমিশনার এ্যাড. আনিছুল কাদির ময়নাসহ কমিটি এ তদন্ত সম্পন্ন করে। আদালতের দেওয়ানী ৪৪/২০১৮ মামলা সূত্রে জানা যায় যে, ঐ সম্পত্তি ১৯২৭ সালের ডি.এস এবং ১৫৭৪ খতিয়নে ৬ একর ৮৩ শতক এবং সন্তোষ রায় কর্তৃক দানকৃত ২৯ শতক জমির মালিক পীর আলী শাহ্ ওরফে মিয়া সাহেব। পীর কেবলার মৃত্যু পরবর্তী সময়ে মসজিদ, মাজার, থানাঘাটা বটতলায় পীর শাহাবুদ্দিন আরব, পীর কুতুব উদ্দিন আরব মাজার ও পুকুরসহ পীরত্ব সম্পত্তি রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ একটি সংরক্ষণ কমিটি গঠন করে। এভাবে চলতে থাকাকালীন গোপনে ঐ এলাকার আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি ঐ পীরত্ব সম্পত্তি তার নামে এস.এ রেকর্ড করে নেয়। কিন্তু সেই ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় নিজের সম্পত্তি বলে দাবী ও ভোগ দখল করিনি। আবুল হোসেনের মুত্যুর পর তার ওয়ারেশগণ কাজী আবু তোরাব, কাজী তোহা, কাজী তারেক ও কাজী তাহের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করলে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্র্তৃক ঘোষিত দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন কমিটি ও ধর্ম প্রাণ মুসলমান ও পীর সাহেবের ভক্তদের অনুরোধে ঐ সম্পত্তি রক্ষা করতে পীরত্ব সম্পত্তি দাবী করে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আদালতে বিবাদী পক্ষ আদালতে বলেছে যে, থানাঘাটায় কোন পীরের মাজার নেই, পুকুর নেই এবং পীরের নামে কোন সম্পত্তি নেই। তদন্তকালে পীর আলী শাহ ওরফে মিয়া সাহেব, থানাঘাটা বটতলায় পীর শাহাবুদ্দিন আরব, পীর কুতুব উদ্দিন আরব’র প্রাচীন মাজারের প্রমাণ মেলে। তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন কোর্ট কর্তৃক নিয়োগকৃত কমিশনার এ্যাড. আনিছুল কাদির ময়না, বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. তারক কুমার মিত্র, দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সভাপতি সরদার নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আকবর আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ¦ নুর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম, দরগা শরীফ নির্মাণ সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন, আশরাফ আলী, শ্রমিক নেতা শেখ রবিউল ইসলাম, শেখ আব্দুল কাদের, সুরত আলীসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ, এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমান, পীর ভক্ত ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, এ সম্পত্তিটি পীরত্ব সম্পত্তি। কোন ব্যক্তি মালিকানার সম্পত্তি নয়। একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল এটিকে পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে পীর সাহেবের নির্মিত মসজিদ ও মাজার ধ্বংশ করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এব্যাপারে মাজার, মসজিদ সংরক্ষণ কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও পীর ভক্তেরা পীরত্ব সম্পত্তিটি রক্ষার্থে রেকর্ড সংশোধন পূর্বক পীরত্ব সম্পত্তিটি রক্ষার জন্য প্রত্মতত্ব বিভাগ ও বিজ্ঞ আদালতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এসময় উপস্থিত শত শত মানুষ পীরের মাজার আছে এবং পীরত্ব সম্পত্তি বলে তদন্তকারী টিমকে জানায়।