Category: দেবহাটা

  • পারুলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-২

    পারুলিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-২


    সংবাদদাতা: পারুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের দুই জন আহত হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টায় দেবহাটা উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে রাস্তার উপর বৃষ্টির পানি আটকে থাকাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে সৈয়েদার রহমানের স্ত্রী সালমা বেগম এবং আইয়ুব আলীর ছেলে মুজাহিদ আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সালমা বেগমকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এবং মুজাহিদকে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সালমা বেগমের স্বামী সৈয়েদার রহমান জানান, আমার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে নিচু জায়গা হওয়ায় বৃষ্টি পানি জমে থাকে। সেকারণে আমার স্ত্রী সালমা বেগম এবং আমি জমে থাকা পানির উপরে ইট বালি ও খোয়া দিয়ে ভরাট করছিলাম। এসময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্ত্রী সালমা ও ছোট ছেলে আজিজুর ইসলামকে প্রতিবেশী আবু বক্করের ছেলে আইয়ুব হোসেন, ইউনুছের ছেলে মেহেদী হাসান, রফিকুলের ছেলে রবিউল মারধর করে। এতে আমার স্ত্রী গুরুত্বর আহত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে রবিউল ইসলাম জানান, রাস্তার পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ইট, বালি ও খোয়া দিয়ে ভরাট করার ফলে এলাকাবাসী তাদের পানি যাতায়াতের জন্য বলে। কিন্তু তারা কোন কথা না শুনে এলাকাবাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী ও জীবননাশের হুমকি দেয়। প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নিজেরা নিজেদের উপর আঘাত করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাদের উপর দোষারোপ করছে। মূলত তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

  • দেবহাটায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা: আটক-২

    দেবহাটায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা: আটক-২

    দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় হামলা, ভাংচুর ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে দেবহাটা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পুটু গাজীর ছেলে সিদ্দিক গাজী (২৫) ও পুটু গাজীর স্ত্রী সবজান বেগম (৫০) কে আটক করে।
    গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মাঘরী গ্রামের অমল ঘোষের বসতবাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার সময় বাধা দেওয়ায় তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে প্রতিবেশির পরিবার। এঘটনায় মাঘরী গ্রামের মৃত ছগীর উদ্দীন গাজীর পুত্র পুটু গাজী (৫৮), মেছের গাজী (৫০), পুটু গাজীর পুত্র সিদ্দিক গাজী (২৫), পুটু’র স্ত্রী সবজান বেগম (৪৫) ও সিদ্দিক গাজীর স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৩)কে আসামী করে মাঘরী গ্রামের অমল ঘোষের ছেলে মিলন ঘোষ বাদি হয়ে দেবহাটায় থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩,তাং ০৫/০৬/২১।
    উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ দিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে মাঘরী গ্রামের মিলন ঘোষের পরিবারের সাথে পাশের বাড়ির মৃত ছগীর উদ্দীন গাজীর পুত্র পুটু গাজীর বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিলন ঘোষের বসত ভিটার জমি দখল করাসহ বাড়ির সীমানার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা বসত ভিটার দক্ষিন পাশের সীমানার পাকা প্রাচীর জোরপূর্বক ভেঙ্গে আনুমানিক এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় মিলন ঘোষ সহ তার পিতা অমল ঘোষ ও মাতা শুভদ্রা ঘোষ তাদেরকে মৌখিক ভাবে বাধা প্রদান করলে মিলন ঘোষের পিতা-মাতাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে এবং তারা শুভদ্রা ঘোষে পরোনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায় এবং গলায় থাকা ৪০ হাজার টাকার একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
    এবিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, হামলা, ভাংচুর ও ক্ষতিসাধনের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। উক্ত মামলায় ২জন আসামী আটক হয়েছে। বাকিদের আটকের প্রস্তুতি চলছে।

  • কঠোরতায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, সড়কে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত

    কঠোরতায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু, সড়কে পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালত


    মশাল ডেস্ক: জেলায় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গতকাল শনিবার সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শুরু হয়েছে। আগামী ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন বলবৎ থাকবে।
    চলমান লকডাউন সফল করতে তৎপর জেলা প্রশাসন। লকডাউন চলাকালে সব ধরনের বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের টহল ছিল লক্ষ্যনীয়। এ ছাড়া যশোর ও খুলনা থেকে জেলায় প্রবেশের মুখে বেশ কয়েকটি চেকপোস্টও বসানো হয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে শহরের খুলনা রোড মোড়, নিউমার্কেট মোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা পুলিশকে চেকপোস্ট স্থাপন করে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান অব্যাহত ছিল। ঔষধের দোকান ব্যাতীত সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ ছিল। জেলা প্রশাসকের কার্যারয়ের মিডিয়া সেল থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল ১০ টি মোবাইল কোর্টে ৬৫ টি মামলার মাধ্যমে ৪০ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
    এদিকে, লকডাউন চলাকালে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকছে। তবে বন্দরের সব বাজারঘাট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ ও ভারতে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে বৈধ ও অবৈধ পন্থায় যাতায়াত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
    তবে কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তি বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার কথা থাকলেও তা যথাযথভাবে মানা হয় নি। অনেককে বিক্ষিপ্তভাবে দোকান খুরতে দেখা গেছে। তবে কলারোয়া থানা পুলিশ ও সীমান্তে নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা লকডাউন সফল করতে তৎপর ছিলো। কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে চলমান যানবাহন ও দোকানে অভিযান চালিয়ে অনেকেই জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
    এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনে দেবহাটায় কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের আরোপিত বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনিক কড়াকড়িতে নির্ধারিত সময়ের পর উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। সড়ক গুলোতেও পুলিশের চেকপোস্টের কারনে ভেস্তে যায় অপ্রয়োজনীয় যানবাহন ও মানুষের চলাচল। পাশাপাশি লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে অভিযানও পরিচালনা করেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তার। সকাল থেকে উপজেলার টাউনশ্রীপুর, কোমরপুর, পারুলিয়া, কুলিয়া, গাজীরহাট, সখিপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন তিনি। এসময় লকডাউনে আরোপিত বিধি-নিষেধ অম্যান্য ও মাস্ক না পরার অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নয়টি মামলায় ৪ হাজার ৯শ টাকা জারমানা করেন তিনি।
    আশাশুনিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা বুধহাটা ইউনিয়নের মহেশ্বরকাটি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে মাস্ক ব্যবহার না করা ও কঠোর লকডাউন চলাকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে সর্বমোট ৩৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
    উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক এক বৈঠকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    লকডাউনের এক সপ্তাহে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে ফার্মেসি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স ও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সব সময় খোলা থাকবে। একইসঙ্গে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক থাকবে। তবে বন্দরের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোর ও খুলনার সড়ক যোগাযোগে পয়েন্টগুলোতে পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে। এ সময় সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।
    জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরায় ২৪৫ জন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ও কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৯ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

  • ঘুর্নিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি সভা

    ঘুর্নিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবেলায় বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি সভা


    মশাল ডেস্ক: তীব্র তাপদাহের মধ্যে ঘুর্নিঝড় ‘ইয়াশ’ এর সতর্ক বার্তা দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ১ নং সতর্ক সংকেত জারি করে সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। গতবছর সংঘটিত আম্ফানের মত এবারের ইয়াস যেন যান মালের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিিিধদের পাঠানো খবর:
    আশাশুনি প্রতিনিধি জানান, আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইশ’ মোকাবেলায় ভার্চুয়ালী প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে আশাশুনি উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে এ সভায় জুম এর মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি। আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম এর সভাপতিত্বে ও আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান এর উপস্থাপনায় এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী ও মোসলেমা খাতুন মিলিসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সভায় ঘুর্নিঝড় ‘যশ’ মোকাবেলায় উপকূলবর্তী আশাশুনি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে সাইক্লোন সেল্টারসহ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ নির্মাণ, সকল খাল উন্মুক্তকরণ, বিভিন্ন সড়কের পাশের মরা গাছ অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। জুম মিটিং এর মাধ্যমে অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবেলায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, সকল জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে থেকে জানমাল রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।
    দেবহাটা উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় জুম ক্লাউড মিটিং অ্যাপসের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রতন, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শাওন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আব্দুল লতিফ, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের নিজাম উদ্দীন, সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন, ওয়ার্ল্ড ভিশনের এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফুলি সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ঘূর্নিঝড়ের পূর্ব ও পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতি হিসেবে সর্বোচ্চ জণসচেতনতা সৃষ্টি, পাঁচটি ইউনিয়নের পনেরটি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহ অস্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কুইক রেসপন্স টিম ও কন্ট্রোল রুম চালু, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউটস, স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে দূর্যোগ কালীন কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা, ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ দ্রুত অপসারনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা, সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য খাবার, সুপেয় পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    কালিগঞ্জ শহর প্রতিনিধি মুহিবুল্লাহ জানান, কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে ২২ মে শনিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ মোকাবেলায় এক জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খন্দকার রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মিরাজ হোসেন খান এর সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অর্না চক্রবর্তী, কালীগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও তন্ময় হালদার, উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জোনাল অফিসার পঙ্কজ শিকদার, উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারি সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালিগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, দৈনিক দৃষ্টিপাত ব্যুরো প্রধান আশেক মেহেদী, নবযাত্রা কালিগঞ্জ ফিল্ড অফিস ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ, কুশুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলাম, নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকন, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন লাকি, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দিন সহ সাংবাদিকবৃন্দ ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে মরা রুগ্ন গাছগুলো কেটে অপসারণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • দেবহাটায় করোনা প্রতিরোধে আলোচনা সভা

    দেবহাটায় করোনা প্রতিরোধে আলোচনা সভা

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা অনিকেত আলম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও ফাউন্ডেশনের অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫ টায় ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত বর্তী ইছামতি নদীর কোল ঘেষা ভাতশালা গ্রামে “আমরা গড়ব বিশ্ব মানের ভাতশালা” এই লক্ষকে সামনে রেখে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি অনিকেত আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির ব্যক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। বিশেষ অথিতির ব্যক্তব্য রাখেন দেবহাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডা: নজরুল ইসলাম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু, বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল জলিল বিশ্বাস। অন্যান্যদের মধ্যে ব্যক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা শিক্ষক আব্দুল হাই, টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, অনিকেত আলম ফাউন্ডেশনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আজমিরা, সেচ্ছাসেবক আজিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদ হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফ, ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল, কামরুল ইসলাম, সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য মাধবী রানী প্রমুখ। সভায় করোনা প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনার পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরের কর্ম পরিকল্পনা ঘোষনা করা হয়। এ কর্মপরিকল্পনার মধ্যে মাদক মুক্ত সমাজ গঠন, গ্রামকে শিক্ষা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে শতভাগে উন্নীত করা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ সহ ভাতশালা গ্রামের উন্নয়ন পরবর্তী গ্রামের বাহিরেও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা। সমগ্র অনুষ্ঠাটি সঞ্চালনা করেন অনিকেত আলম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক এবাদুল ইসলাম।

  • দেবহাটায় প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা

    দেবহাটায় প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে গাজীরহাট শাহী জামে মসজিদ সহ উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মোনাজাত করা হয় এবং গাজীরহাট প্রনবমঠ (ভারত শেবাশ্রম সংঘ) বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান সহ দলীয় নেতাকর্মীরা। বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি-শরৎ চন্দ্র ঘোষ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অজয় ঘোষ, দেবীশহর সোসাইটির সহ-সভাপতি উত্তম কুমার সহ ভক্তবৃন্দের পক্ষে বলরাম স্বনর্কার,পল্টু চ্যাটার্জী, রিন্টু চ্যাটার্জী, গোপাল স্বনর্কার, সঞ্জয় অধিকারী, হরিদাস সরকার,শান্তি দাস, অধির, মিলন প্রমুখ।

  • দেবহাটায় ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে মারপিটে পিতা-পুত্র জখম

    দেবহাটায় ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে মারপিটে পিতা-পুত্র জখম

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে রাজু আহমেদ (৪৫) ও মুশফিকুর রহমান (২৫) নামের দুই পিতা-পুত্রকে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পারুলিয়াস্থ ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনাটি ঘটে। মারপিটে আহত রাজু আহমেদ পারুলিয়ার মৃত আব্বাস আলী গাজীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ও তার ছেলে মুশফিকুর রহমান সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতের ভাই রবিউল ইসলাম জানান, ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসার মুল দায়িত্বে রয়েছেন আব্দুস সবুর। তিনি ওই কওমি মাদ্রাসায় নামমাত্র এতিমখানা খুলে দীর্ঘদিন ধরে এতিম শিশুদের নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে ডোনেশন সংগ্রহ ও আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়াও বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা স্থানের পরিবর্তে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ফয়জুল উলুম কওমি মাদ্রাসার প্রধান আব্দুস সবুর মসজিদের বাইরে খোলা স্থানে ঈদের নামাজের আয়োজন করেন। এছাড়া সেখানে যে মাইকের ব্যবস্থা ছিল তাও জরাজীর্ন ও প্রায় অকার্যকর থাকায় ওই নামাজে অংশ নিতে গিয়ে তার ভাই আহত রাজু আহমেদ প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আব্দুস সবুর। নামাজ শেষে আব্দুস সবুরের নির্দেশে কতিপয় ব্যক্তি রাজু আহমেদের সাথে বাক-বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা রাজু আহমেদ ও তার ছেলে মুশফিকুর রহমানকে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আহতের পরিবার।
    দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতের খোঁজ খবর নিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

  • দেবহাটায় মা দিবসে অসহায় মায়েদের মাঝে ত্রাণ বিতরন

    দেবহাটায় মা দিবসে অসহায় মায়েদের মাঝে ত্রাণ বিতরন

    দেবহাটা প্রতিনিধি: বিশ্ব মা দিবসে উপলক্ষে দেবহাটায় দুঃস্থ ও অসহায় মা’দের মাঝে ত্রাণ বিতরন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে আলোচনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান। মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরিন জাহানের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ অফিসার শফিউল বশার, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর খায়রুল আলম, মহিলা বিষয়ক অফিসের হিসাবরক্ষন মিজানুর রহমান, অফিস সহকারী দিপুআর রহমান, প্রশিক্ষক বিলকিস খাতুন, শাহানার পারভীন। মা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে ১১ জন অসহায় মাকে ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

  • দেবহাটায় জলবায়ু পরিবর্তন, ইনজুরি প্রতিরোধ ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালা

    দেবহাটায় জলবায়ু পরিবর্তন, ইনজুরি প্রতিরোধ ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কর্মশালা


    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় জলবায়ু পরিবর্তন, ইনজুরি প্রতিরাধ, নিরাপদ খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা মুলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে”র সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় জেলা সিনিয়র স্বাস্থ শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক কুমার চক্রবর্তীর উপস্থাপনায় চিত্র প্রদর্শনীসহ জলাবায়ু পরিবর্তনের কারন, এর প্রভাবে ক্ষতি এবং এর থেকে উত্তরনের বিভিন্ন পন্থা, বিভিন্ন ইনজুরিতে ক্ষতি সাধনের ঝুকি কমানো, ছাড়াও নিরাপদ এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য শির্ষক আলোচনা করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে”র আরএমও ডাঃ বিপ্লব মন্ডল, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোস্তফা তাওফিক ইলাহী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার শওকাত ওসমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব লিটু, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তরায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, একাডেমিক সুপার ভাইজার মিজানুর রহমান, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর অমল চন্দ্র মন্ডল, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক ডাঃ নজরুল ইসলাম, সার্সের প্রতিনিধি শামীম হোসেনসহ সরকারী বেসনকারী সংস্থায় বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।

  • দেবহাটায় হিজরা গুরুর অর্থ-সম্পদ লুটে পালিয়েছে ডলি হিজড়া

    দেবহাটায় হিজরা গুরুর অর্থ-সম্পদ লুটে পালিয়েছে ডলি হিজড়া

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) সম্প্রদায়ের সবচেয়ে প্রবীন ও গুরু মা খ্যাত রতœা হিজড়ার ঘর থেকে রাতের আঁধারে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সম্পদ লুটে পালিয়েছে তারই আশ্রিত ও পালিত শিষ্য ডলি হিজড়া। অভিযুক্ত ডলি হিজড়া কালীগঞ্জ উপজেলার কদমতলা গ্রামের আবুল কাশেমের সন্তান। বুধবার রাতে দেবহাটার রামনাথপুরে গুরু মা রতœা হিজড়ার বাড়ীতে তিনিসহ অভিযুক্ত ডলি ও অন্যান্য হিজড়ারা একসাথে ঘুমিয়ে পড়ার পর যেকোন সময় রতœার আলমারী খুলে অর্থ-সম্পদ লুটে পুলিয়ে যায় ডলি। এঘটনায় শুক্রবার রতœা হিজড়া বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় অভিযুক্ত ডলি হিজড়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী রতœা জানান, বিগত প্রায় ১৪ বছর পূর্বে তার গুরু মা বেবি হিজড়ার মৃত্যু হলে বিভিন্ন জেলার হিজড়া সম্প্রদায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে ও সম্মতিক্রমে তিনি দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার হিজড়াদের নেতৃত্বে আসেন। সেই থেকে গুরু মা হিসেবে উপজেলার সকল হিজড়াদের আশ্রয়, লালন-পালন ও নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে দেবহাটার রামনাথপুরে নিজ বাড়ীতে হিজড়াদের নিয়ে বসবাস করেন তিনি। সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারই শিষ্য কালীগঞ্জের খুশি হিজড়া ও ঝুমুর হিজড়ার সাথে তার বিরোধ হয়। কয়েকদিন আগে খুশি ও ঝুমুর হিজড়া দলবল নিয়ে তার ওই বাড়ীতে হামলাও চালায়। বুধবার রাতের খাওয়া শেষে অভিযুক্ত ডলি হিজড়া, বেগুনী হিজড়া, মুন্নি হিজড়াসহ কয়েকজন মিলে একসাথে তার বাড়ীর বারান্দার ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের যেকোন সময়ে ডলি হিজড়া তার বালিশের নিচ থেকে চাবি নিয়ে আলমারী খুলে রতœার সঞ্চিত সাড়ে তিন লক্ষ টাকা মুল্যের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ডলি হিজড়াকে খোঁজাখুজি করেও না পেয়ে আলমারী খুলে সঞ্চিত অর্থ-সম্পদ লুটের বিষয়টি নিশ্চিত হন তার ধারনা খুশি ও ঝুমুর হিজড়ার প্ররোচনায় পড়ে ডলি হিজড়া তার চল্লিশ বছরের পরিশ্রমের বিনিময়ে সঞ্চিত ওই সম্পদ নিয়ে পালিয়েছে।

  • দেবহাটায় করোনাক্রান্ত ৩০ পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার

    দেবহাটায় করোনাক্রান্ত ৩০ পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার

    দেবহাটা প্রতিনিধি: একদিকে পরিবারের সদস্যদের শরীরে করোনার হানা, অন্যদিকে লকডাউনে জীবিকা নির্বাহ বন্ধ হয়ে তীব্র আর্থিক অসচ্ছলতায় পড়েছেন মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের পরিবার। সেজন্য এসকল অসচ্ছল করোনা আক্রান্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দেবহাটা উপজেলার করোনা আক্রান্তদের মধ্যে থেকে ৩০টি অসচ্ছল পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। প্রত্যেক পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সাড়ে ৩ হাজার টাকার চেক বিতরণকালে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, কুলিয়া ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • দেবহাটায় ঈদ কেনাকাটায় জনসমাগম এড়াতে মাঠে পুলিশ

    দেবহাটায় ঈদ কেনাকাটায় জনসমাগম এড়াতে মাঠে পুলিশ

    দেবহাটা প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দেবহাটার বিভিন্ন বাজারের দোকানপাটে ক্রেতাদের জনসমাগম এড়াতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। চলমান লকডাউনের নির্দেশনা সমূহ সুষ্ঠভাবে প্রতিপালন এবং ঈদ কেনাকাটার জন্য দোকানপাটে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক ক্রেতাদের উপস্থিতি নিশ্চিতসহ পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আহ্বান জানিয়ে বুধবার দিনভর বাজার পরিদর্শন ও মাইকিং করেন পুলিশ সদস্যরা। এসময় দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা, সেকেন্ড অফিসার এসআই নয়ন চৌধুরী, এসআই আবু হানিফ, এসআই আসিফ মাহমুদ, এএসআই সোহেলসহ থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  • দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজন নিহত

    দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজন নিহত

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের মারপিটের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম ভোঁদো (৫৫) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত রফিকুল ইসলাম দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের মাটিকুমড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল’র ছেলে এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
    মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ছেলে আব্দুর রহমান ও ছোটভাই ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিবেশী মৃত ঈমান আলী সরদারের ছেলে বাশারাত সরদারের পরিবারের সাথে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
    তাদের বাড়ীর পূর্বপাশের পুকুর পাড়ে প্রতিপক্ষ বাশারাতের পরিবার ময়লা আবর্জনা ফেলে নোংরা করে আসছিল। মঙ্গলবার সকালে রফিকুল ইসলাম ওই পুকুর থেকে মাটি তুলে পাড় ভরাটের কাজে নেমেছিলেন। সেসময়ে স্ত্রী ও ছেলেসহ প্রতিপক্ষ বাশারাত সরদার পুকুর পাড়ে গিয়ে রফিকুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে।
    কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ বাশারাতসহ তার পরিবারের সদস্যরা রফিকুল ইসলামকে মারপিট ও তার বুকে আঘাত করে পাড় থেকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান নিহতের স্বজনরা।
    এদিকে এঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএম জামিল আহমেদ ও দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন। ঘটনাটি সুক্ষভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

  • দেবহাটায় হিজড়া গুরুর বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    দেবহাটায় হিজড়া গুরুর বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    দেবহাটা প্রতিনিধি: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেবহাটার গাজীরহাট রামনাথপুরে বসবাসরত হিজড়াদের বাড়িতে কালীগঞ্জের খুশি ও ঝুমুর হিজড়ার নেতৃত্বে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় দেবহাটা প্রেসক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন হামলার শিকার দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর হিজড়া সম্প্রদায়ের গুরু মা খ্যাত রতœা হিজড়া (৫৫)।
    সংবাদ সম্মেলনে রতœা বলেন, আমি রতœা- প্রয়াত বেবি হিজড়ার শিষ্য। আমার আদি বাড়ি নরসিংদীতে। আমি প্রায় ৪০ বছর দেবহাটা উপজেলাতে অবস্থান করে তৃতীয় লিঙ্গের সকল সদস্যদের একত্রিকরণ এবং মাতৃ¯েœহে নেতৃত্ব দিয়ে তাদের দেখভাল ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি। প্রয়াত বেবি হিজড়ার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ও ভারতের হিজড়া সম্প্রদায়ের একাধিক নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রায় ১৪ বছর দেবহাটা, কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার সকল হিজড়ার গুরু মা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। প্রথমদিকে আমি সকল হিজড়াদের নিয়ে দেবহাটা উপজেলার বেজোরআটি এলাকায় বসবাস করতাম। গেল কয়েক বছর আগে আমার শিষ্য খুশি হিজড়া কালীগঞ্জের ঝুমুর সহ কয়েকজন হিজড়াকে নিয়ে গ্রুপিং সৃষ্টি করে তারা বর্তমানে ফুলতলা এলাকায় বসবাস করছে। পূর্বে তিন উপজেলা আমি নিয়ন্ত্রন করলেও, গ্রুপিংয়ের কারনে দেবহাটা ও কালীগঞ্জের আংশিক এলাকা আমার নিয়ন্ত্রনে রেখে আমি আমার সাবেক শিষ্য খুশিকে কালীগঞ্জের বাকি এলাকা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিই। তারপরও খুশি, ঝুমুর সহ তাদের দলের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের নানাভাবে বিরক্ত করায় আমি অন্যান্য হিজড়াদের নিয়ে গাজীরহাটের রামনাথপুরে বসবাস শুরু করি। কিন্তু দেবহাটায় অবস্থানরত আমিসহ আমাদের সকল তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের বিতাড়িত করে গোটা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠে কালীগঞ্জের খুশি ও ঝুমুর। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমাদেরকে বিতাড়িত করতে নানা অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫টার দিকে খুশি ও ঝুমুরের নেতৃত্বে রামনাথপুরে আমাদের হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা বাড়ির ভিতরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং আমাদের মারপিট করার লক্ষে বাড়ির গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এঘটনায় ওই রাতেই আমি বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ইতোপূর্বে আমাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে গোলযোগ সৃষ্টি হলে খুশির গ্রুপ এবং আমাদের গ্রুপ উভয়েই একমত হয়ে আমাদের অভিভাবক তুল্য পারুলিয়ার ইউপি সদস্য গাজী শহীদুল্যাহর মধ্যস্থতায় শালিসের মাধ্যমে একাধিকবার আপোষ মিমাংসা হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের বাড়ীতে হামলার পর খুশি ও ঝুমুরসহ তাদের লোকজন আমার এবং আমাদের অভিভাবক তুল্য ইউপি সদস্য গাজী শহীদুল্যাহ ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি হামলার ঘটনার তদন্ত পূর্বক জড়িত খুশি, ঝুমুর সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • দেবহাটার যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ২ সন্তানের জননী

    দেবহাটার যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার ২ সন্তানের জননী


    দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার বহেরায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাজমিরা খাতুন নামের দুই সন্তানের এক জননী। নির্যাতনের স্বাীকার তাজমিরা সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
    নির্যাতনের স্বীকার তাজমিরা জানায়, গত ৮ বছর আগে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামের শেখ মোস্তাফিজুর রহমানের কন্যা তাজমিরা খাতুনের সাথে দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আজগার আলী মোল্যার ছেলে ইয়াছিন আলী মোল্যার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর খুব ভালো ভাবে সুখে-শান্তিতে সংসার করছিলো স্বামী-স্ত্রী। কিছুদিন যেতে না যেতেই ইয়াছিন আলী মোল্যা বিভিন্ন অজুহাতে তার স্ত্রী তাজমিরা খাতুনকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। তাজমিরা তার বাবার কাছ থেকে গরু বিক্রয় করে কিছু টাকা এনে দেয়। কিন্তু তাতেও ইয়াছিনের চাহিদা না মেটায় আবারও টাকা আনতে বলে। তাজমিরার পিতা দরিদ্র ভ্যান চালক হওয়ায় সে টাকা আনতে পারে না। তারপর থেকে খুটি-নাটি বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে বেদম মারপিট করে ইয়াছিন আলী। এরপর তাজমিরা দেবহাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মুচলেকা দিয়ে পুনরায় স্ত্রী তাজমিরাকে নিয়ে ঘর-সংসার করার কথা বলে রেহাই পায় ইয়াছিন আলী মোল্যা। কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও পূর্বের ন্যায় নির্যাতন শুরু করে স্বামী ইয়াছিন। এক পর্যায়ে গত ২৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তাজমিরাকে শারীরিক ভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ইয়াছিন আলী। নির্যাতনের এক পর্যায়ে তাজমিরা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা তাকে মূমুষ্যু অবস্থায় দ্রুত সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
    তাজমিরার পরিবারের পক্ষ থেকে ইয়াছিন আলীর কাছে অমানুর্ষিক নির্যাতন চালানো বিষয় জানতে চাইলে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে, তোদের মেয়ের লাশ পাঠায়নি তাই তোদের কপাল ভাল এবং বলে তোদের যা ক্ষমতা আছে করিস। ঐ সময়ে মোবাইল ফোন ইয়াছিনের মাকে বলতে শোনা যায় ওর মেরে কবরে পাঠাবো। তবে নির্যানের স্বীকার তাজমিরার পরিবার আইনগত ব্যবস্থার জন্য আদালতে দারস্থ হবেন বলে জানান।

  • দেবহাটায় হিজড়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা: আহত ২

    দেবহাটায় হিজড়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা: আহত ২


    দেবহাটা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকার মতো দেবহাটায় উপজেলায় বসবাস করে তৃতীয় লিঙ্গের হিজড়া সম্প্রদায়। যে হিজড়াদের নেতৃত্ব দেয় রতœা নামের এক হিজড়া। করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে নব শিশু জন্ম গ্রহন সহ বিভিন্ন বিষয়ে হিজড়াদের খুশি কারার নামে টাকা-পয়সা তোলার বিষয়টি এলাকা বাসীদের পক্ষে রতœা হিজড়ার কাছে অভিযোগ আকারে জানালে রতœা হিজড়া মাইকিং করে অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে দেয় উপজেলার সাধারণ মানুষদের। এর প্রভাব পড়তে থাকে প¦াশ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে। যে কারনে রেগে যেয়ে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার হিজড়া সম্প্রদায় রতœা হিজড়ার বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশসহ হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রতœা হিজড়ার। ঘটনাটিতে রতœা হিজড়া সহ দুইজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকাল ৫টায় উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের রতœা হিজড়ার নিজস্ব বাড়িতে। এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রামনাথপুর গ্রামের মৃত নাদু মিয়ার সন্তান রতœা হিজড়া। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ঘোড়াপোতা এলাকার মৃত ধুনু মিয়ার সন্তান খুশি হিজড়াসহ ঝন্না, সোনালী, সুমি, একই উপজেলার ফুলতলা এলাকার ঝুমকা, শ্যামনগর উপজেলার কবিতা, আখিঁ, কারিনা, দোলা, মারিয়া, মুক্তা, শান্তা, বাসন্তি, ঝর্না সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন রতœা হিজড়ার বাড়িতে এসে অনাধিকার প্রবেশ করে তাদের উপরে হামলা চালায়। হামলার সময় রতœা হিজড়া সহ ডলি হিজড়া ও মুন্নি হিজড়াকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। যাওয়ার সময় রতœা হিজড়া সহ তার সঙ্গিদের জীবন নাশের হুমকি দিতে দিতে অভিযুক্ত হিজড়ারা চলে যায়। এদিকে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সখিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রতœা হিজড়া বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • বন্দোবস্তের একযুগ পর জমির দখল পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি

    বন্দোবস্তের একযুগ পর জমির দখল পেলেন বৃদ্ধ দম্পতি


    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় সরকারি জমি বন্দোবস্তের দলিল প্রাপ্তির একযুগ পর প্রভাবশালীর কবল থেকে জমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে দখল বুঝে পেলেন আবুর আলী (৭২) ও হালিমা খাতুন (৪৫) নামের এক বৃদ্ধ দম্পতি। আবুর আলী ও তার স্ত্রী হালিমা খাতুন উপজেলার নাজিরের ঘের এলাকার বাসিন্দা।
    নিজেদের নামীয় জমিটি ফেরত পেতে জবরদখলকারী প্রভাবশালী দক্ষিন পারুলিয়ার ইয়াদিন মোল্যার পিছনে দৌঁড়ে দৌঁড়ে আর একযুগ মামলা চালিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হয়ে পড়েছিল বৃদ্ধ আবুর আলী দম্পতি। সর্বশেষ বিগত প্রায় মাস দেঢ়েক ধরে পারুলিয়ার মাহফুজুর রহমান নামের এক তৃতীয় পক্ষের প্রচেষ্টায় বৃদ্ধ আবুর আলী ও তার স্ত্রীর নামে বন্দোবস্তকৃত পারুলিয়া মৌজার হাজিরাবাদ বিলের এক একর সরকারি জমি দখলমুক্ত হলে সোমবার ওই জমির দখল বুঝে নেন তারা।
    দখল বুঝে নেয়ার সময় আবেগাপ্লুত আবুর আলী দম্পতি বলেন, আশির দশকের শেষের দিক থেকে তিনি ও তার স্ত্রী হাজিরাবাদ বিলে ১০,২১৫ দাগের খাস খতিয়ান ভুক্ত সরকারি এক একর জমি বিভিন্ন মেয়াদে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগদখল ও চাষাবাদ করে আসছিলেন। ২০১০ সালে ওই জমিটি তাদের স্বামী-স্ত্রীর নামে নিরানব্বই বছরের বন্দোবস্ত দিয়ে দলিল করে দেন তৎকালীন ইউএনও কালাচাঁদ সিংহ। কিন্তু জমিটুকু দক্ষিন পারুলিয়ার মৃত শামছুদ্দিন মোল্যার ছেলে ইয়াদিন মোল্যা জোরপূর্বক দখল করে নেয়ায় বন্দোবস্তের দলিল থাকা স্বত্ত্বেও জমিটির দখল বুঝে পাননি বলে অভিযোগ আবুর আলী দম্পতির।
    সম্প্রতি পারুলিয়ার জনৈক মাহফুজুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি তার নিজের জমির সাথে সাথে আবুর আলী দম্পতির জমিটিও প্রভাবশালী ইয়াদিন মোল্যার কাছ থেকে দখলমুক্ত করে ফেরত দিয়েছেন বলে জানান এই দম্পতি।
    এদিকে সৌভাগ্য বশত মাহফুজুর রহমানের চেষ্টায় আবুর আলী দম্পতির জমি দখলমুক্ত হলেও, এখনো ওই জমির পাশে একইভাবে আশরাফ আলী মোল্যা (৫৭) নামের অপর এক বৃদ্ধের বন্দোবস্তকৃত এক একর ষোল শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে মৎস্য ঘের করছেন প্রভাবশালী ইয়াদিন মোল্যা এবং তার দুই ছেলে আজম ও সাগর। বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকলেও কেবলমাত্র পেশি শক্তির বলে ইয়াদিন মোল্যা বৃদ্ধ আশরাফ মোল্যার বন্দোবস্তকৃত জমি অদ্যবধি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
    বৈধতার ভিত্তিতে জমির দখল ফিরে পেতে একযুগেরও বেশি সময় ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ছুটেও জমির দখল না পেয়ে অবশেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন আশরাফ মোল্যার ভুক্তভোগী পরিবারটি।
    উল্লেখ্য, এসকল অসহায় ব্যাক্তির জমি জোরপূবক দখলকারী প্রভাবশালী ইয়াদিন মোল্যাসহ তার দুই ছেলে আজম এবং সাগরের বিরুদ্ধে জমি দখল, হামলা ও মারপিটের অভিযোগে দেবহাটা থানায় মামলা করেন মাহফুজুর রহমান। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর আজম ও সাগরকে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে তারা জামিনে মুক্ত হয়ে অন্যের বন্দোবস্তকৃত এসকল জমি নিজেদের দখলে রাখতে আবারো নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

  • দেবহাটায় রাসায়নিক মিশ্রিত ২৭ ক্যারেট কাঁচা আম বিনষ্ট

    দেবহাটায় রাসায়নিক মিশ্রিত ২৭ ক্যারেট কাঁচা আম বিনষ্ট

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় মোবাইল কোর্টের অভিযানে জব্দের পর রাসায়নিক মিশ্রিত ২৭ ক্যারেট কাঁচা আম বিনষ্ট করেছে প্রশাসন। রবিবার দুপুরে দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তারের নির্দেশে রাসায়নিক মিশ্রিত কাঁচা আম গাড়ির চাকায় পিষে বিনষ্ট করেন কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর।
    এরআগে বৃহষ্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনাকালে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে গাছ থেকে নামানো গোবিন্দভোগ জাতের রাসায়নিক মিশ্রিত ৩৩ ক্যারেট আম জব্দ করেন নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার। অভিযানের আগমুহুর্তে ওই ঘটনার সাথে জড়িতরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ায় জব্দকৃত আমে রাসায়নিকের মিশ্রন ছিলো কিনা তা পরীক্ষার জন্য আমগুলো মজুদ করে রাখা হয়।
    মজুদের দুদিনের মধ্যেই ২৭ ক্যারেট অপরিপক্ষ আম পেঁকে যাওয়ায় তাতে রাসায়নিকের মিশ্রনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে রোববার এসব জব্দকৃত অপরিপক্ক কাঁচা আম রাস্তায় পিষে বিনষ্ট করা হয়।