Category: তালা

  • জেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৪৭

    জেলায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে আটক-৪৭

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জেলাব্যাপী মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে ৯ মাদক ব্যবসায়ীসহ ৪৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ১১১ বোতল ফেন্সিডিল, ৭০ পিচ ইয়াবা ও ৫’শ গ্রাম গাজা।

    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৬ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৭ জন, কালিগঞ্জ থানা ৮ জন, শ্যামনগর থানা ১২ জন, আশাশুনি থানা ৫ জন, দেবহাটা থানা ১ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
    জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • বেগম শামসুন্নাহার কে দেখতে যান এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লা এমপি

    বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পাটির পলিট ব্যুরোর সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লা এমপি গতকাল শহীদ কমরেড এজাহার আলী মাষ্টারের সহধর্মিনী, শহীদ কমরেড বাবুল ও সাব্বিরের মা এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সাবেক সাধারণ সম্পদক প্রয়াত কমরেড নজরুল ইসলাম বোন অসুস্থ বেগম শামসুন্নাহার কে দেখতে যান তার বাসবভনে যান।
  • চট্টগ্রাম হতে চুরি যাওয়া ৭লক্ষাধিক টাকার রড পাটকেলঘাটা থেকে উদ্ধার

    পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম থেকে চুরি যাওয়া ৭লক্ষাধিক টাকার রড পাটকেলঘাটা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির ২৩দিন পর পাটকেলঘাটার মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়।
    জানা যায়, গত ৩রা মে চট্রগ্রামের পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকার দিদার পরিবহন ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ১৩ টন ২০ মিলি জি পিএস রড নিয়ে ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৪৯২৫ নাম্বারের ট্রাকটি ড্রাইভার জিহাদ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর উদ্দ্যেশে রওনা হয়। এর পর থেকে ২২ দিন ট্রাকটির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ট্রাকটির মালিক খুলনা টুটপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান বলেন ড্রাইভার জিহাদ খুলনা ফুলবাড়ী এলাকার শহর আলীর ছেলে। জিহাদ চাঁদপুর থেকে ১৩ টন রড ছিনতাইকারী সদস্যদের যোগসাজশে অন্য একটি ট্রাকে তুলে দেয়। ২৩ দিনের মাথায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় পাটকেলঘাটার মৃত আতিয়ার রহমান চৌধুরীর ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরীর মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে ১১টন ৩শ কেজি ২২ মিলি জি পি এস রড উদ্ধার করা হয়। চট্রগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকার রড ব্যবসায়ী মাওঃ জেবল হোসেনের ছেলে মো. বেলাল হোসেন জানান, ৪ মে ট্রাক বোঝাই রডগুলো ছিনতাই হয়ে গেছে জানতে পেরে আমরা সকল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য বলি। সাথে সাথে ডিবি পুলিশের সহায়তা চাই। অবশেষে ২২দিনের মাথায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের মাধ্যমে পাটকেলঘাটায় রডগুলোর সন্ধান পায়। এসময় রড বেচাকেনার অপরাধে ডিবি পুলিশ মের্সাস চৌধূরী ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ, পাটকেলঘাটা আরেক গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশের পুত্র তহিদ হোসেন (৩০) ও কথিত ঠিকাদার মিজানুর রহমান কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কালে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পারে।
    পরবর্তিতে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দু’স্থান থেকে ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১১টন ৩শ কেজি সাঈদ চৌধুরীর দোকান থেকে উদ্ধার হয়। অপর ১৭শ কেজি রড খুলনা ও চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, পাটকেলঘাটা পূবালী ব্যাংকের নিচের গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের ছেলে তহিদ হোসেন আমার কাছে গত বৃহস্পতিবার ২০ মিলি জিপিএস রডগুলো কয়েকদিনের জন্য আমানত হিসেবে রাখার অনুরোধ জানালে আমি রেখে দেয়। এর পর সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ সদস্যরা ও ট্রাক মালিক মিজানুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, চট্রগ্রাম থেকে আগত বেলাল উদ্দীন আমার দোকানে হাজির হলে আমি চুরির বিষয় জানতে পারি। এবং রডগুলি তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
    এবিষয়ে পাটকেলঘাটা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম ভুঁইয়া বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা থাকলে আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণœ করেছে আবু সাঈদ। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ওসি আলী আহম্মেদ হাসেমী বলেন, ছিনতাইকৃত রডগুলি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
    পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম থেকে চুরি যাওয়া ৭লক্ষাধিক টাকার রড পাটকেলঘাটা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। চুরির ২৩দিন পর পাটকেলঘাটার মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়।
    জানা যায়, গত ৩রা মে চট্রগ্রামের পূর্ব মাদারবাড়ী এলাকার দিদার পরিবহন ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ১৩ টন ২০ মিলি জি পিএস রড নিয়ে ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৪৯২৫ নাম্বারের ট্রাকটি ড্রাইভার জিহাদ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর উদ্দ্যেশে রওনা হয়। এর পর থেকে ২২ দিন ট্রাকটির কোন হদিস পাওয়া যায়নি। ট্রাকটির মালিক খুলনা টুটপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান বলেন ড্রাইভার জিহাদ খুলনা ফুলবাড়ী এলাকার শহর আলীর ছেলে। জিহাদ চাঁদপুর থেকে ১৩ টন রড ছিনতাইকারী সদস্যদের যোগসাজশে অন্য একটি ট্রাকে তুলে দেয়। ২৩ দিনের মাথায় ডিবি পুলিশের সহায়তায় পাটকেলঘাটার মৃত আতিয়ার রহমান চৌধুরীর ছেলে আবু সাঈদ চৌধুরীর মেসার্স চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে ১১টন ৩শ কেজি ২২ মিলি জি পি এস রড উদ্ধার করা হয়। চট্রগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকার রড ব্যবসায়ী মাওঃ জেবল হোসেনের ছেলে মো. বেলাল হোসেন জানান, ৪ মে ট্রাক বোঝাই রডগুলো ছিনতাই হয়ে গেছে জানতে পেরে আমরা সকল ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য বলি। সাথে সাথে ডিবি পুলিশের সহায়তা চাই। অবশেষে ২২দিনের মাথায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের মাধ্যমে পাটকেলঘাটায় রডগুলোর সন্ধান পায়। এসময় রড বেচাকেনার অপরাধে ডিবি পুলিশ মের্সাস চৌধূরী ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদ, পাটকেলঘাটা আরেক গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশের পুত্র তহিদ হোসেন (৩০) ও কথিত ঠিকাদার মিজানুর রহমান কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ কালে ছিনতাইয়ের ঘটনা জানতে পারে।
    পরবর্তিতে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক দু’স্থান থেকে ১৩ টন রড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১১টন ৩শ কেজি সাঈদ চৌধুরীর দোকান থেকে উদ্ধার হয়। অপর ১৭শ কেজি রড খুলনা ও চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, পাটকেলঘাটা পূবালী ব্যাংকের নিচের গ্রীল ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের ছেলে তহিদ হোসেন আমার কাছে গত বৃহস্পতিবার ২০ মিলি জিপিএস রডগুলো কয়েকদিনের জন্য আমানত হিসেবে রাখার অনুরোধ জানালে আমি রেখে দেয়। এর পর সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ সদস্যরা ও ট্রাক মালিক মিজানুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, চট্রগ্রাম থেকে আগত বেলাল উদ্দীন আমার দোকানে হাজির হলে আমি চুরির বিষয় জানতে পারি। এবং রডগুলি তাদের কাছে হস্তান্তর করি।
    এবিষয়ে পাটকেলঘাটা বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম ভুঁইয়া বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। ঘটনার সত্যতা থাকলে আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীদের সুনাম ক্ষুণœ করেছে আবু সাঈদ। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ওসি আলী আহম্মেদ হাসেমী বলেন, ছিনতাইকৃত রডগুলি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • জাতপুর টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল্লাহ’র বিরদ্ধে অর্থ অত্মসাতসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ

    তালা প্রতিনিধি: তালা উপজেলার জাতপুর টেকনিক্যাল এ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাইফুল্লাহ’র বিরদ্ধে অর্থ অত্মসাতসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা।
    সোমবার সকালে তালা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলেজের প্রভাষক জিএম ফৈজুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০১ সালে জাতপুর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে আসলেও কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল্লাহ’র ব্যাপক দুর্নীতির কারণে তারা মানসিক নির্যাতন ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলেছে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পাবলিক পরীক্ষায় সেরাদেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে কলেজটি। কিন্তু অধ্যক্ষের নানা চক্রান্ত ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
    ২০১৬ সালের ২৬ শে নভেম্বর এন,টি,আর,সি,এ কর্তৃক নির্বাচিত ৫ জন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। এরমধ্যে প্রভাষক (ব্যাংকিং) উৎপল কুমার সাহার এমপিওভূক্তির জন্য অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল্লাহ ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। প্রভাষক উৎপল উৎকোচের উক্ত টাকা দিতে না পারায় অদ্যাবধি এমপিওভূক্তি না হয়ে মানবেতার জীবনযাপন করছে।
    এছাড়া ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হলেও অধ্যক্ষের দুর্নীতির কারণে তৎকালিন সভাপতি বিলে স্বাক্ষর না করায় ২০০৭ সালের মে মাসের সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনবিল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রায় ৬০ হাজার উক্ত বিল অধ্যক্ষ প্রদান না করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তসহ মানবেতার জীবন যাপন করছেন। এছাড়া কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল্লাহ অদ্যাবধি ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে ফরম ফিলআপ বাবদ ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৫৭১ টাকা, ভর্তি ও রেজিষ্ট্রেশন বাবদ ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৭ টাকা, প্রসংশাপত্র বিতরণ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৮শত, উপবৃত্তি প্রদানের নাম করে ৪৩ হাজার ৩শত, শর্টকোচ থেকে আয়কৃত (ফেব্রুয়ারী ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত) প্রায় ৫ লাখ টাকা , জমির হারি, ফলজ,বনজ ও পুকুর লিজ বাবদ (২০০২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত) ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মিলে মোট ৩৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৮ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
    কলেজের অফিস সহকারী হায়দার আলী মোল্যা কলেজ অধ্যক্ষের অবৈধভাবে আর্থিক দুর্নীতির কাজে সহযোগিতা না করায় কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে নি¤œমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক উত্তম সরকারকে নিয়ে অর্থ অত্মসাৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও ভুয়া রশিদ বইয়ে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন তিনি। এছাড়া কলেজ গত ০৬/০৮/২০০৪ তারিখে প্রভাষক চঞ্চল রায়কে অবৈধভাবে সেক্রেটারিয়েল সায়েন্স পদে নিয়োগ প্রাদন করেন। নিয়েগের সময় প্রভাষক চঞ্চল রায়ের বয়স ছিল ৩৩ বছর যা আইন বহির্ভুত। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অধ্যক্ষ তার বয়সসীমা গোপন করে তাকে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং তথ্য গোপন করে আইন বর্হিভূতভাবে এডহক কমিটির মাধ্যমে টাইম স্কেল পরিবর্তন করেছেন বলে জানা গেছে। অধ্যক্ষের চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ দিতে না পারায় কম্পিউটার বিভাগের প্রভাষক জিএম ফৈজুর রহমানকে সিনিয়ার স্কেল প্রদানের জন্য প্রেরিত কাগজে অদ্যাবধি স্বাক্ষর করেনি। তিনি স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রভাষক জিএম ফৈজুর রহমানের অর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।
    এছাড়া ২০০৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে কলেজে তিন মাসের সার্টিফিকেট-ইন-কম্পিউটার সর্ট কোর্স চালু হলে অধ্যক্ষ ঐ কলেজের শিক্ষক দিদারুল ইসলামকে কোর্স প্রতি ৫ টাকা দিবে মর্মে ট্রেনার হিসাবে নিয়োগ দিলে তিনি আটটি কোর্স সম্পন্ন করে। কিন্তু তিনি তাকে ট্রেনার হিসাবে কোন টাকা প্রদান না করে সমুদয় আতœসাৎ করেন। যে কারণে শিক্ষক দিদারুল ইসলাম তার পাওনা ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা চেয়ে সিনিঃ ম্যাজিষ্ট্রেট ১ নং আদালতে সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং- সিআর ১৬৪/১২, টি আর ১৫/১৩। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। কলেজ গভার্নিং বডির অনুমোদন চাড়াই কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি, পুকুরের মাছ, ফলজ ও জমি ইজারা প্রদান করে প্রতি বৎসর প্রায় ৯০,০০০ হাজার নিজ পকেটস্থ করে থাকেন। বে-সরকারী সংস্থা উত্তরণ কর্তৃক উক্ত কলেজে ১.০১ একর দানকৃত সম্পত্তি সংলগ্ন উত্তরনের বাকি ০.৬৫ একর সম্পত্তিতে পুকুর, হ্যাচারী ও গোডাউন স্থাপনা রয়েছে। ইতপূর্বে কলেজ ও উত্তরণ এর জমির সীমানা নির্ধারণ করা না থাকায় উক্ত তফশীল জমি জবর দখল করার লক্ষে বিভিন্ন সময় উক্ত পুকুর থেকে মাছ ধরে বিক্রি করা, গোডাউন ও হ্যাচারী ক্ষতিসাধন করা, গাছপালা কেটে বিক্রি করার মত অপকর্ম কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিয়ত করেই চলেছে। এ জন্য সাতক্ষীরা বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী মামলাও হয়েছে।
    সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, অত্র কলেজের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম কলেজটি প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০১ সালে অত্র কলেজের নামে ১.০১ একর জমি দান করেন, যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। যার দলিল নং-১৪৭৭ তারিখ-১৯/০২/২০০২ ইং। এছাড়া উক্ত জমির উপর ভবন নির্মাণসহ কলেজ উন্ন্য়নের জন্য অনুদান হিসেবে বিভিন্ন তারিখে মোট ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা প্রদান অনুদানসহ কলেজে কম্পিউটার, ল্যাবটপ, প্রিন্টার, স্কানার দিয়েছেন। যিনি কলেজ উন্নয়নে এত কিছু করলেন কলেজ অধ্যক্ষ তাকেই ষড়যন্ত্রভাবে সুকৌশলে একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা থেকে বাদ দিয়ে শামীম আখতার নামে একব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেখানো হয়েছে। অথচ শামীম আখতার ২শত ৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এফিডেভিট করে বলেছেন যে, আমি কখনও প্রতিষ্ঠাতা ছিলাম না এবং আমি উক্ত কলেজে একটি টাকা বা স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি দান করি নাই। উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলামই অত্র কলেজের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা। যদিও শহিদুল ইসলাম দেওয়ানী আদালতে এ বিষয়ে মামলা করেছিলেন। মামলাটি নিস্পত্তিঅন্তে পুনরায় কলেজে কমিটি গঠন করা হয় এবং শহিদুল ইনলামকে একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে মনোনয়ন করে অনুমোদনের জন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসার বোর্ডে প্রেরণ করেন। কমিটি গঠনে অধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ’র সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তিনি তার মামাত ভাই মাজেদ বিশ্বাসকে দিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১২৫০/১৫ নং এক রীট পিটিশন দাখিল করে উক্ত কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ড উক্ত কমিটির অনুমোদন প্রদান করতে পারছেন না। ২০১২ সন হতে আজ পর্যন্ত দীর্ঘদিন পরিচালনা কমিটি না থাকায় অর্থ অত্মসাৎ করাসহ স্বেচ্ছাচারিতায় অত্র কলেজটির সাথে জড়িত সবাই আজ অতিষ্ঠ ও আর্থিক ক্ষতিরসম্মুখীন। কলেজটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগি শিক্ষক-কর্মচারীরা উপরোল্লিøখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে অধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ’র দুর্নীতির তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • তালার কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: তালার কপোতাক্ষ নদের পাড় থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদের তালা বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে তালা উপজেলা সদরের পুরাতন ফালগুনী সিনেমা হলের পিছনে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কালভার্টের নিচে একটি নবজাতকের রক্তাক্ত লাশ পলিথিনের উপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে তালা থানার ওসি (তদন্ত) কাজী মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

    তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়না তদন্তের জন্য শিশুটির লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • জাসদ তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের সম্মেলন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: শুক্রবার বিকালে পাটকেলঘাটাস্থ ডাক বাংলো চত্বরে মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সরদার মোঃ মোসলেমের পরিচালনায় জাসদ তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নের সম্মেলন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু। বিশেষ জাতীয় কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ কামাল, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাসেম, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কমিটির সদস্য মীর মোর্তুজা, জালালপুর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম, প্রভাষ ঘোষ জীবন, শেখ হিরো আলম প্রমুখ। সম্মেলনে উপস্থিত সকলের সর্ব সম্মতিক্রমে মোঃ মোক্তার হোসেন কে সভাপতি, সরদার মোসলেম, মীর মোর্তেজা কে সহ-সভাপতি, আবু মুছাকে সাধারণ সম্পাদক, গৌতম দাশকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, শেখ আসাদুল ইসলাম কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সরুলিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
    সম্মেলনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা- কলারোয়া সাতক্ষীরা-১ আসনে নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু।

  • চিকিৎসার জন্য খুলনা যেয়ে তালার এক ব্যবসায়ী রহস্যজনকভাবে নিখোজ

    বিশেষ প্রতিবেদক: চিকিৎসার জন্য খুলনা যাবার পর থেকে মো.তবিবুর রহমান শেখ (৪৭) নামে তালার এক ব্যক্তি রহস্যজনক ভাবে নিখোজ হয়েছে। তাকে খুজে পেতে পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজ করলেও তার খোজ মেলেনি।
    এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। যে কারণে পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নিখোজ তবিবুর রহমান শেখ তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের মৃত. নাছের শেখ এর ছেলে।
    এ ব্যপারে নিখোজের ভাই মো.লুৎফর রহমান শেখ জানান, তার ভাই তবিবুর রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকার কারণে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২৯ এপ্রিল সকাল ৬টার দিকে খুলনা যায়। এরপর এদিন সকাল ১১টার দিকে তবিবুর রহমানের ব্যবহৃত ০১৭৪৭ ৪৫৫০৩২ এবং ০১৫৩৫ ৭৮৮১৩২ নং: মোবাইলে ফোন করলে দুটি নাম্বারেই রিং হয় কিন্তু ফোন রিসিভ হয়নি। এরপর দুপুর থেকে ফোন নম্বর দু’টি বন্ধ হয়ে যায় এবং এখনও বন্ধ রয়েছে। এঘটনার পর থেকে নিখোজের পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল স্থানে ব্যপাক খোজ খবর করলেও অদ্যবদী তবিবুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। নিখোজ তবিবুর রহমানের পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কোনও শত্রু নেই বলে জানাগেছে। তবে সে মাছের ব্যবসায় জড়িত ছিল এবং বহু ব্যক্তির কাছে সে টাকা পেতো। এঘটনায় নিখোজের পরিবারের পক্ষ থেকে তালা থানায় একটি জিডি (নং: ৫৫, তাং: ০২/০৫/১৮) করা হয়েছে। কোনও সহৃদয় ব্যক্তি নিখোজ তবিবুর রহমাননের সন্ধান পেলে তার ভাই লুৎফর রহমান (মোবাইল নং: ০১৭৭৮ ৩২৬৬১২) এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বিনিত ভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

  • তালায় শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে জামাই

    তালায় শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে জামাই

    বিশেষ প্রতিবেদক: তালায় খালু শ্বশুরকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে জামাই। রবিবার সকালে উপজেলা চরগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্বশুর হলেন- চরগ্রামের মৃত মাজেদ পাড়ের ছেলে মোজাপ্ফার পাড় (৬০)। আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মোজাপ্ফারকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার তালার চরগ্রামের তছিম উদ্দীন শেখ’র ছেলে গোলাম রসুল সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া লেগেই থাকত। এনিয়ে খালু শ্বশুর মোজাফ্ফার পাড় কয়েক দফা সালিশ মিমাংসা করে দেয়। সম্প্রতি গোলাম রসুল স্ত্রী আবারও বাপের বাড়ীতে চলে যায় । স্ত্রীকে বাড়ী ফেরাতে খালু শ্বশুরের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে গোলাম রসুল ।

    এক পর্যায়ে রবিবার সকালে মোজাফ্ফার পাড় তালা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে চরগ্রামের তেঁতুলতলা মোড় নামক স্থানে পৌছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা জামাই ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
    এলাকাবাসী প্রথমে তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান,ঘটনা শুনেছি তবে এবিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

  • সাতক্ষীরা-১ আসনের ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

    সাতক্ষীরা-১ আসনের ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

    সাতক্ষীরা-১ আসনের ১৪ দলীয় জোটের মনোনয়ন সুমন চক্রবর্তি: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত ও সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের ১৪ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু এলাকায় গণ সংযোগ, মতবিনিময়, বিভিন্ন খেলাধুলা, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ক্লিন ইমেজখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালা-কলারোয়ার আপামর জনগন স্বাদরে গ্রহন করেছ। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের খোঁজ খবর নিচ্ছেন, জনগনের সুখ দুঃখের ভাগী হচ্ছেন। এমন কি তিনি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে কি ধরনের কাজ করবেন সবই এলাকাবাসীর সামনে তুলে ধরছেন। সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনের প্রায় সর্বত্র ব্যানার, বিলবোর্ড পোষ্টারের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম করে করেছেন। ১৭ ডিসেম্বর ১৯৬৭ সালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার পারকুমিরা গ্রামে শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলুর জন্ম। তার পিতা এলাকার স্বনামধন্য ব্যক্তি মরহুম শেখ সুলতান আহমেদ। ছাত্র জীবন থেকে স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উরঢ়ষড়সধ রহ ংঃড়ৎবং গধহধমবসবহঃ ্ ংঃড়পশ পড়হঃৎড়ষ, টক। তিনি ১৯৮৩ সালে মজিদখান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে গ্রেফতার ও পরবর্তি মুক্তি। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গ্রেফতার ও মুক্তি, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জরুরী আইনে গ্রেফতার, ৪ মাসের ডিটেনশন ও মুক্তি পান। এছাড়া ১৯৮৩- ১৯৮৫ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাজীপুর জেলা কমিটির সহ – সম্পাদক, ১৯৮৮-১৯৯০ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি, ২০০৪-২০০৮ এবং ২০০৯-২০১১ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯-২০১১ জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটি, ২০১৬- ২০১৯ সহ – সম্পাদক, জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকারী কমিটি, সদস্য ১৪ দল, জেলা ষ্টিয়ারিং কমিটি, সাতক্ষীরা। প্রত্যাশী শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু’র গণ সংযোগ

  • জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    জেলাব্যাপি এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত উদযাপিত হয়েছে। জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেন।

    মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানগণ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করেন। এই উপলক্ষে সদর উপজেলাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানগণ কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষরা নফল রোজাও পালন করেছেন।
    বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে-মসজিদে সারারাত চলে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী ও মোনাজাত। রাতব্যাপী এবাদত, বন্দেগী, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানগণ মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতেও ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।
    এদিন সবার ঘরে ভালো-ভালো খাবার-দাবার রান্না করা হয়, এসবের মধ্যে রয়েছে রুটি, বিভিন্ন রুচির হালুয়া ও মিষ্টান্ন। বিকেলে প্রতিবেশীদের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ ও পরিবেশন করা হয়। গরীব-দুঃখীদের মধ্যেও খাবার বিতরণ ও অর্থ দান করা হয়।
  • সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) : একাদশ সংসদ নির্বাচনে কে হবেন নৌকার মাঝি !

    আ’লীগ-শরিকদের ১৩ জন,বিএনপি-জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে

    সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের আগামী একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচনী প্রচারনা জমে উঠেছে। ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে লবিংসহ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ থেকে শুরু করে উঠান বৈঠক,সভা সমাবেশ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে প্যানা সেটে জানান দিচ্ছে নিজেদের অস্তিত্বের কথা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ভ্যান স্ট্যান্ড পর্যন্ত সবখানে আলোচনার মূল বিষয় আগামী জাতীয় নির্বাচন। প্রার্থীদের তৎপরতার পাশাপাশি ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীতা নিয়ে। কারা হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে। এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের একক প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে থাকলেও সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও জোটের শরীকদের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন লড়াইয়ে মাঠ গরম রেখেছেন।
    তবে এক্ষেত্রে আ’লীগ ও তার সমমনা দলগুলো এগিয়ে থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের কর্মকান্ড বিশেষভাবে চোখে পড়ছেনা। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে দলীয়-কর্মকান্ড দৃশ্যমান না হলেও বিএনপির একক প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। নেতা-কর্মীরা তাকেই দলীয় প্রার্থী দেখতে চান।
    এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হলেও মূলত ভোটারদের মধ্যে নানা বিষয় কাজ করছে। কারা প্রার্থী হচ্ছেন এবং কাদের ভোট দিলে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। মহাজোট চাইছে আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে আর ২০ দলীয় জোট চাইছে আসনটি পুনরুদ্ধারে। এক্ষেত্রে আ’লীগের জন্য আবারো থাকছে শরীক দল ওয়ার্কাস পার্টি। মহাজোটের পক্ষে আসনটি ধরে রাখার ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত হলেও বড় সমস্যা তাদের প্রার্থীতা নিয়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি আসনটিতে আ’লীগের ভাল অবস্থান থাকলেও মোর্চার কারণে গতবার তারা শরীকদের ছাড় দিলেও এবার তারা চাইছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দলীয় প্রার্থী নিয়ে।
    সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের টিকিটে নৌকা প্রতীক নিয়ে শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাডঃ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ নির্বাচিত হলেও এবার আ’লীগ আর আসনটি তাদের ছাড় দিতে চাইছেননা। পক্ষান্তরে ওয়ার্কার্স পার্টি ফের জোটগত আসনটি ধরে রাখতে চায়।
    এর আগে ৯ম সংসদ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চারদলীয় জোটের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে হারিয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান। আ’লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি, ফিরিয়ে দেয়া হোক তাদের নিজ ঘরানার প্রার্থীতা। কেননা,সর্বশেষ রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতার মধ্যে আ’লীগ মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান ভাল এবং দেশ এখন উন্নয়নের সোপানে আরোহন করছে। এমন নানা দৃষ্টিকোন থেকে ঘুরে-ফিরে ভোটারদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী। বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ? আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী না কি অপর শরীক জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত নাকি অন্য কেউ?।
    সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া দুটি উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১০৫ (সাতক্ষীরা-১) আসনটি। সর্বশেষ তালিকানুযায়ী এখানকার ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৮১৮ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩ জন। আসনটিতে স্বাধীনতা পরবর্তী জামায়াতের অ্যাডভোকেট শেখ আনছার আলী ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত একবার করে ও বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব দু’বার,ওয়ার্কাস পার্টি একবার ও বাকি সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মূলত ঐ সমীকরণ ও নানা কারণে সাতক্ষীরার এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
    ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত শরিক দল ওয়ার্কার্স পাটির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে প্রার্থীতা দিলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। ঐ নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি-জামায়াত অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মুজিবের সঙ্গে।
    এর আগে গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। জোট প্রথা শুরুর পর আসনটিতে বিএনপিকে জামায়াতের ওপর ভর করে আর ওয়ার্কার্স পার্টিকে আ’লীগের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ায় মূলত জোট নির্ভর হয়ে পড়ে আসনটি। তবে আসন্ন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব মামলা জটিলতায় অথবা যেকোনো কারণে প্রার্থী হতে না পারলে আর বিএনপির মিত্র জামায়াত তাদের জোটবদ্ধ থাকলে এ আসন থেকে তাদের প্রার্থী হতে পারেন,জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। এদিকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হৃত আসনটি পুনরুদ্ধারে গত চার বছরে দৃশ্যত দলীয় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেনি তারা। রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতায় তাদের শ’ শ’ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মামলায় জড়িয়ে জেল-হাজতবাসসহ আত্মগোপন কিংবা মামলা এড়াতে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নিরব রয়েছেন তারা।
    অন্যদিকে পাওয়া না পাওয়া থেকে শুরু করে নানা সংকটে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে আ’লীগও ভাল নেই। তালা উপজেলা আ’লীগের রয়েছেন পরষ্পর দু’গুরুপে। উপজেলা আ’লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র দূরত্ব সেই প্রথম থেকে।
    আসনের অপর উপজেলা কলারোয়ার চিত্রও অনুরুপ। সেখানকার আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সঙ্গে রয়েছে সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর চরম দ্বন্দ্ব। সব মিলিয়ে আ’লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র সাথে আ’লীগের দুরত্ব আসন্ন নির্বাচনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
    তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল নিরসন না হলে এ আসনটিতে একদিকে আ’লীগের জন্য পরাজয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে,তেমনি শরিক দলের প্রভাবে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন আ’লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে কপাল খুলতে পারে মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি কিংবা জাতীয় পাটির প্রার্থীদের।
    নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানাযায়,আসন্ন নির্বাচনে আসনটি থেকে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং ও তৃণমূলের প্রচারণায় রয়েছেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান,জেলা আ’লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র,তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন,সুপ্রীম কোর্টের আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা মোহাম্মদ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,স,ম আলাউদ্দীন মেয়ে জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি লাইলা পারভিন সেজুতি। শরীক দলগুলোর মধ্যে রয়েছেন, ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ,জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু,জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান ও জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা দেবাশীষ দাস।
    অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে যাদের নাম প্রচার পাচ্ছে তারা হলেন,কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ।
    ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ জানান,২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত আ’লীগের নেতা-কর্মী খুনসহ যে তান্ডব চালিয়েছিল সেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। গত ৫ বছরে তার নির্বাচনী এলাকায় গত যেকোন সময়ের তুলনায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
    প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন,দেশনেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করব এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
    দলীয় অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম বলেন,আসনটি মহাজোটের দখলে আসলেও বর্তমান ওয়ার্কার্স পার্টির এমপির কাছে উন্নয়ন নিয়ে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির যথেষ্টে ঘাটতি রয়েছে। তাই এবার আর শরিক নয়,আ’লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এমন প্রত্যাশা এ মনোনয়ন প্রত্যাশীর।
    এদিকে আ’লীগের নতুন মুখ হিসেবে মাঠে কাজ করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্ম-কান্ডকে তুলে ধরে তার ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা তালা-কলারোয়াসহ পুরো জেলা। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড এক কথায় তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন জানান, আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও নৌকার পক্ষে কাজ করেযাচ্ছি।

  • দীর্ঘদিনেও পেরী-ফেরীভূক্ত হয়নি তালার আমানুল্লাহপুর বাজার

    দীর্ঘদিনেও পেরী-ফেরীভূক্ত হয়নি তালার আমানুল্লাহপুর বাজার

    তালা প্রতিনিধি: তালার কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জমিতে স্থাপিত হলেও দীর্ঘ দিনেও তা পেরী-ফেরী হয়নি। বাজারে প্রায় ৩৫ টি দোকানের কারো নেই কোন মালিকানা। অন্যদিকে সরকারি কোন বন্দোবস্ত না থাকায় বাজারটি থেকে সেই প্রথম থেকেই সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়ে আসছে। সচেতন এলাকাবাসী বাজারটি পেরীফেরী ভূক্তসহ সার্বিক উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    জানাগেছে, ব্রিটিশ শাষনামল থেকে তালা উপজেলা সদর থেকে ১৩ কিঃমিঃ পশ্চিমে কুমিরা-তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কুমিরার আমানুল্লাহপুর বাজারটি স্থাপিত হয়। তৎকালীন স্থানীয় এক সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি নিজ সম্পত্তিতে বাজারটি স্থাপন করেন। পরে তিনি এলাকা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ায় ঐ সম্পত্তি সরকার খাস খতিয়ানভূক্ত করে। পর্যায়ক্রমে বাজারটিতে ৩৪ জন দোকানি ইট দিয়ে ৩৪ টি দোকান ঘর নির্মাণ করলেও তাদের নিজস্ব কোন কাগজ-পত্র নেই। এমনকি তাদের কেউ কেউ বন্দোবস্তর জন্য আবেদন করলেও বিষয়টি আমলে নেয়নি সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। অন্যদিকে বাজারটি পেরীফেরীভূক্ত না করায় প্রতি বছর বড় অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
    বাজরের স্থায়ী দোকানদার সূর্য কুমার দাশ, প্রশান্ত কুমার দাশ, সরু সরদার, প্রশান্ত দাশ, নিমু দাশ, মোহাম্মদ আলী, আজিজুর শেখ, আ. করিম খোকন, সন্তোষ রায়, আবু বক্কর ও বুলু জানায়, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে তাদের পূর্ব পুরুষরা বাজারটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তবে তাদের বৈধ কোন কাগজ-পত্র নেই। তারা এসময় আরো জানান,দোকানিদের কেউ কেউ ২০১৫ সালের দিকে বন্দোবস্ত প্রাপ্তিতে আবেদন করলেও সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
    এদিকে চলতি সরকারের শাসনামলে সারা দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেলেও বাজারটিতে এতটুকু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এমনকি সরকারের হাট-বাজার তালিকায়ও নেই বাজারটির নাম। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি বার বার সরকারের পট পরিবর্তন হলেও কোন সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি বাজারটি উন্নয়নে ন্যুনতম কাজ করেনি। তাই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি সেখানকার ব্যবসায়ীদের।
    এব্যাপারে কুমিরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার (ইউএলএও) আমিনুল ইসলামের ০১৭১৭-৬১৪৩৪৮ নং মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এলাকাবাসী জানায়, বাজার কেন্দ্রিক আমানুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজারের উপর একটি মন্দির ছাড়া এলাকায় এখন পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি কোন শিক্ষা বণিজ্যিক কিংবা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।
    আমানুল্লাহপুর বাজার কমিটি থাকলেও দীর্ঘ দিন কমিটির নির্বাচন হয়না। কমিটির বর্তমান সভাপতি আ. করিম এ প্রতিনিধিকে জানান, বাজারটিতে এর আগে নৈশ প্রহরার ব্যবস্থা থাকলেও নানা সংকটে তা বেশ কিছু দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,তালার আমানুল্লাহপুর নামে কোন বাজার আছে সেটা তার জানা ছিলনা। অবশ্যই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • তালায় কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় কপোতাক্ষ পাড়ে রাস্তা নির্মাণ

    বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাবেক এক চা গবেষকের যৌথ হস্তক্ষেপে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের আওতায় কপোতাক্ষ পাড়ের তালার জেঠুয়া এলাকার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফের ফিরে পাচ্ছে এলাকাবাসী। প্রথমে কপোতাক্ষের করাল গ্রাস ও পরে নাব্যতা হ্রাসে বিলীণ হওয়া বিস্তীর্ণ জনপদের বাড়ি-ঘর,রাস্তা-ঘাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি ও উজানের উগ্রে দেওয়া পানিতে সৃষ্ট কৃত্রিম জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পেতে কপোতাক্ষ খননের পর এবার হারিয়ে যাওয়া রাস্তাটি ফিরে পাওয়ার খবরে এলাকাময় এখন আনন্দের বন্যা বইছে। তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
    তালা উপজেলা নির্বাহী কমৃকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন ও বাংলাদেশ চা রিসার্স ইন্সটিটিউটের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহ কামাল লানচু হক জানান,প্রথমে কপোতাক্ষের করার গ্রাসে তালাসহ নদী উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদের রাস্তা-ঘাট,ঘর-বাড়ি,ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নদী গর্ভে বিলীণ হয় শ’ শ’ একর আবাদি জমি। এর পর কপোতাক্ষ’র নাব্যতা হ্রাস শুরু হলে কয়েক বছরে তা ভরাট হয়ে অস্তীত্ব সংকটে পড়ে। মৌসুমের বৃষ্টি ও উজানের ঠেলে দেওয়া পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সৃষ্টি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতার। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কৃত্রিম জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয় নেয় এখানে-সেখানে। এমন অবস্থায় গণ দাবির প্রেক্ষিতে সরকার কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে।
    ইতোমধ্যে কপোতাক্ষের বিভিন্ন এলাকায় খনন সম্পন্ন হলে এলাকাবাসী এর সুফল পেতে শুরু করে। এর পর চাহিদার প্রেক্ষিতে জরুরী হয়ে পড়ে চলাচলের যাতায়াত ব্যবস্থার। এলাকাবাসী জানায়,কপোতাক্ষের পাশ দিয়ে এক সময় বাইপাস সড়ক ছিল। যা এলাকার সাধারণ মানুষের ঘরোয়া বা গ্রাম্য রাস্তা বলে পরিচিত ছিল। সব কিছু ফিরে পাওয়ার পর তাদের রাস্তার দাবি রীতিমত রুপ নেয় গণদাবিতে। এমন অবস্থায় স্থানীয় জেঠুয়া এলাকার সাবেক এক চা গবেষক শাহ কামাল লাচ্চু হকের উদ্যোগে ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেনের যৌথ প্রচেষ্টায় কমৃসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের অধীনে কপোতাক্ষের জেঠুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জেলে পাড়া মোড় থেকে জেঠুয়া বাজার পাল বাড়ির মোড় পর্যন্ত প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
    এদিকে গত কয়েক দশক আগের রাস্তাটি নতুন করে ফিরে পাবার খবরে আনন্দের বন্যা বইছে জনপদের সাধারণ মানুষের মধ্যে। এজন্য তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
    প্রসঙ্গত,রাস্তাটি নির্মাণ হলে বিস্তিীর্ণ জনপদের সাধারণ মানুষের চলাচলে প্রায় ৩ কিঃমিঃ রাস্তা কমে চলাচল সহজতর হবে। এর আগে মাত্র কয়েক শ’ মিটার দুরত্বে পৌছাতে ঐ এলাকার মানুষদের পাড়ি দিতে হত কয়েক কিঃ মিঃ এলাকা।

  • তালার মাগুরায় পিচের কার্পেটিং সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

    বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলার মাগুরায় পিচের কার্পেটিং সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের দলুয়া বাজার টু মাদরা সড়কটি এলাকাবাসী কিছু ইটের কার্পেটিং ও কিছু মাটির সড়ক হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। সম্প্রতি সড়কটি পিচের কার্পেটিং বাজেট হয়। স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্যাণ বশু সড়কটির পাঁকাকরণ কাজ করার চুক্তিবদ্ধ হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটির কাজ শুরু করতে না করতেই সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করতে শুরু করেছেন। সড়ক নির্মাণ কাজে যে ইটের খোয়া ব্যবহার হচ্ছে তার অধিকাংশই ২ ও ৩নং ইটের খোয়া। সড়কের ধারে যে ইট ব্যবহার হচ্ছে তার অবস্থাও একই। এছাড়া সড়কটির প্রতিমধ্যে মাদরা ও পার-মাদরার মাঝখানে একটি ঢালাই ব্রীজ আছে। ব্রীজের সংযোগ সড়কের সাথে মিল না রেখেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিচু করে সড়কটি নির্মাণ করছেন। এতে করে কোন ভারী যানবহন ব্রীজে উঠতে ও নামতে গেলেই উল্টে পাশের গভীর খাদে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংঙ্খা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, সড়কের বিভিন্ন স্থানে নির্মান কাজ হলেও ঠিকাদার বা উপজেলার কোন কর্মকর্তা কাজ পরিদর্শনে তেমন আসেন না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ মোহাম্মদ জসিম বলেন, কয়েকদিন আগে কাজের সাইডে গিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কল্যাণ বশু’র সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে আছি, পরে কথা বলেন’। এমতাবস্থায় ব্রীজের সাথে সড়কের সঠিক সংযোগ স্থাপন এবং সড়ক নির্মাণ কাজের অনিয়মের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

  • তালার বেগুনদাড়া খালের মাটি যাচ্ছে জামায়াতের অর্থ যোগানদাতার ইটভাটায়!

    বিশেষ প্রতিবেদক: তালা উপজেলার খলিষখালি ইউনিয়নের বেগুনদাড়া খালের মুখ বেধে পানির প্রবাহ বন্ধ রেখে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, গত দু’সপ্তাহ ধরে উপজেলার ইসলামকাটি মোড়ের মেসার্স রাণী এন্ড সানি ব্রিকস মালিক জামায়াতের অর্থ যোগানদাতা আব্দুল খালেক স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ৩-৪টি এক্রাভেটর (খনন যন্ত্র) দ্বারা প্রতিদিন লাখ লাখ ঘনফুট মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে বানিজ্যিক ভাবে ইট তৈরী করছেন ।
    এ নিয়ে খালের পশে বসবাসকারীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, মাসখানেক পূর্বে ঐ খালের কৃষ্ণনগর ব্রীজের নিচে মুখ বেধে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে ঐ এলাকার চিংড়ি ঘেরগুলো পানির অভাবে কোটি কোটি টাকার মৎস্য চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত ৩-৪টি এক্্রাভেটর মেশিন দ্বারা মাটি কেটে ৫-৬ টি ট্রাকে ভর্তি করে এলাকার একমাত্র চলাচলের গ্রামীণ সড়ক দিয়ে অবিরাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। গ্রামের ছোট রাস্তা দিয়ে বার বার ট্রাকে করে মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে পিচের উপর কাদামাটি পড়ে পথচারিদের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া মাটি ভর্তি ট্রাকের চাপে সড়ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে খালের মাটি কেটে ইটভাটায় নেয়ায় বর্ষা মৌসুমে তীরবর্তী বসবারত বাসিন্দারা জলাবদ্ধতা আতঙ্কে রয়েছেন। তীরে বসবাস কারি গাছা গ্রামের যমুনা রাণী, (৬৫) অভিযোগ করে বলেন, এভাবে খালের মাটি কেটে নিলে বর্ষাকালে জলে ডুবে মরতে হবে। তাছাড়া রাস্তা নষ্ট হয়ে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তির অন্ত থাকবে না। কৃঞ্চনগর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় সরকার, রাহুল সরকার, তন্ময় সরকার,ও অভিজিৎ সরকারসহ অনেকের অভিযোগ, খালের মুখ বেধে পানির প্রবাহ বন্ধ করে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ায় এলাকার মৎস্য চাষে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
    এদিকে মৎস্য ব্যবসায়ী ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মাধবচন্দ্র মন্ডলের অভিযোগ, সরকারের পরিকল্পনা ছাড়া খালের মাটি কেটে ইট ভাটায় নেয়ার কোন সুযোগ না থাকলেও জামায়াত নেতার অদৃশ্য শক্তিতে খালের মাটি কেটে ইট ভাটায় নেওয়ায় তিনি বিস্মিত হন । প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবির হোসেনের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনা বিহীন খালের মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। খলিষখালি ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর রহমান জানান, এলাকার জলবদ্ধতা দুরীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে সিন্ধান্ত নিয়ে ইটভাটা মালিককে মাটি কেটে নিতে বলা হয়েছে। খালের মাটি কর্তনকারী ইটভাটা মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি যথাযত কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি নিয়েই মাটি কাটছেন বলে জানান ।
    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে এড়িয়ে যান। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন জানান, সরকারি খালের মাটি কাটার সুযোগ কারও নেই, যদি কেও এধরণের কাজ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জামায়াতের অর্থযোগান দাতা একাধিক নাশকতা মামলার আসামী খালেক কি অলৌকিক ক্ষমতা পেয়েছে? সরকারি খালের মাটি কাটার ক্ষমতা তাকে কে দিয়েছে ? আমি দেখছি।
    স্থানীয় জনসাধারণ অতিসত্বর অবৈধ্যভাবে মাটি কাটা বন্ধ ও এ কাজের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

  • তৈলকূপীতে জোরপূর্বক মৎস্যঘের দখলের অভিযোগ

    তৈলকূপীতে জোরপূর্বক মৎস্যঘের দখলের অভিযোগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটার তৈলকূপীতে অবৈধ্যভাবে মৎস্যঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তৈলকূপীর বিলনটাডাঙ্গা মৌজায় বিশ্বজিৎ সাধুর ইজারা নেওয়া ঘের অতর্কিত দখল করে নেয় প্রতিপক্ষ। এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বজিৎ সাধুর ভাগ্নে অমিত কুমার সাধু।
    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০১ সাল থেকে বিলনটাডাঙ্গা মৌজার কামারাবাদ নামক এলাকায় বিশ্বজিৎ সাধু ৩০০বিঘা ঘের ইজারা নিয়ে মাছ ও ধান চাষ করে আসছিল। ২০১৬ সালে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তিনি তার ভাগ্নে অমিত কুমার সাধূর উপর ঘের পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে অমিত কুমার সাধু উক্ত ঘের পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু গত ১৩ এপ্রিল নগরঘাটার আয়জুদ্দিন গাজীর ছেলে হান্নান গাজী, হান্নান গাজীর ছেলে মহিবুল্লাহ, সুলতানপুর এলাকার মৃত আনসার গাজীর ছেলে আওয়াল গাজী, মিঠাবাড়ীর আতিয়ার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান তাদের দলবল নিয়ে বিশ্বজিৎ সাধুর ঘেরের মাঝখানে স্কেবেটার মেশিন দিয়ে ভেড়ি বাধ দিতে থাকে। ঘেরের মাঝখান দিয়ে অবৈধ্যভাবে ভেড়ি বাধ দিতে বাধা দিলে তারা অমিত সাধুকে জীবন নাশের হুমকি দেয়।
    এব্যাপারে অমিত কুমার সাধু গত ১৩ এপ্রিল পাটকেলঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি তাদের ইজারা নেওয়া মৎসঘের অবৈধ্য দখলদারদের কাছ থেকে ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বহিস্কার

    তালা প্রতিনিধি: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর আলম সুমন স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    বিবৃতি অনুযায়ী, আসাদুজ্জামান মিন্টুকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
    উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবারে পাটকেলঘাটা বাজার থেকে ডিবি পুলিশ সরুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু ও একই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি শেখ সাহিদুজ্জামান হিরুকে ৪৭ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। পুলিশ জানান, তারা দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত।

  • সরকারি খাল ও ফসলী জমির মাটি পুড়ানো হচ্ছে তালার ইট ভাটায়

    সরকারি খাল ও ফসলী জমির মাটি পুড়ানো হচ্ছে তালার ইট ভাটায়

    নিজস্ব প্রতিবেদক: তালার গোনালী নলতাস্থ জিআইবি ইট ভাটার মাটির যোগান পেতে মহন্দীর ঘাঁট কান্দার খালসহ স্থানীয় কৃষি জমির মাটিবাহী যন্ত্রদানবের অত্যাচারে রীতিমত অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন তালা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকাবাসী। প্রতিদিন অন্তত অর্ধ ডজন ট্রাক্টর দিয়ে নির্মিত অবৈধ ট্রাক যোগে মহন্দী ঘাঁট কান্দা এলাকা থেকে প্রায় ৭ কিঃমিঃ রাস্তার উপর দিয়ে ঐ মাটি আনা হচ্ছে। এনিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয়,আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন এক অজ্ঞাত কারণে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা ও ভাটা মালিকের খুঁটির জোর নিয়েও এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
    এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন যে,চলতি ইট ভাটা মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত তালার গোনালী নলতাস্থ জিআইবি ইট ভাটা ইট প্রস্তুত করতে প্রধান উপাদান মাটির যোগান পেতে উপজেলার মহন্দি এলাকার ঘাট কান্দার সরকারি খাল ও ফসলি জমি থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘণ ফুট মাটি কেটে তা বড় ট্রাক্টর দিয়ে বহন করে ভাটায় নিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়,মাটি বহন করতে তারা স্থানীয় প্রশাসনসহ কতিপয় মহলকে ম্যানেজ করে খাল এলাকা থেকে ভাটা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিঃমিঃ রাস্তার উপর দিয়ে তালা উপজেলা সদর হয়ে পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়ক ব্যবহার করছে। প্রতি দিন অব্যাহত ভাবে চলা এসব যন্ত্রদানবের চাপে মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাস্তাগুলি। অন্যদিকে দু’টি বাইপাস সড়ক হয়ে পাইকগাছা-খুলনা প্রধান সড়কের উপর দিয়ে চলা যন্ত্রদানবের ভয়ে সারাক্ষণ তটস্থ থাকতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে যেকোন সময় সড়কে ঘটে যেতে পারে কোন প্রাণঘাতি দূর্ঘটনা বলে সেই প্রথম থেকে আশংকা করে আসছেন এলাকাবাসী। ব্যস্ততম একাধিক সড়ক ব্যবহার করে চলা ভাটার এসব বাহনের চলাচল বন্ধে এলাকাবাসী এর আগে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। তবে প্রশাসন এক অজ্ঞাত কারণে সেই প্রথম থেকেই ভাটার স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধাণ্য দিয়ে আসছেন।
    অভিযোগে প্রকাশ থাকে যে,এর আগে তালার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী কল্যাণ বসুর মালিকানাধীণ গোনালীস্থ জিআইবি ব্রিক্সে ইটের প্রধান উপকরণ মাটির যোগান মেটাতে তারা কপোতাক্ষের বন্যা নিয়ন্ত্রণের বাঁধ থেকে চুরি করে মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করছিল। কয়েকবার ধরা পড়ে তাদের শ্রমিকরা জরিমাণার শিকারও হয়। তবে এখন পর্যন্ত মালিক পক্ষের কারো বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেউ। এবার নতুন করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তারা পুনরায় বিনা অনুমতিতে তালার মহন্দীর ঘাঁট কান্দা সরকারী খাল ও ফসলী জমি থেকে যন্ত্রদানবযোগে নিয়ে আসছে অবৈধ পন্থায় মাটি। এতে নতুন করে তাদের খুঁটির জোর ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
    এলাকাবাসীর অভিযোগ,ভাটা কতৃপক্ষ প্রায় একমাস ধরে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে খাল ও ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে প্রতিদিন ভোর থেকে অন্তত ৬ টি ট্রাক্টর দিয়ে নির্মিত অবৈধ যন্ত্র দানব দিয়ে সেসব মাটি নিয়ে আসছে ইট ভাটায়। এতে তারা মহন্দী হয়ে প্রায় ৫ কিঃমিঃ পথ পাড়ি দিয়ে তালা সদরের উপর দিয়ে আরো ২/৩ কিঃমিঃ প্রধান সড়ক ব্যবহার করছে। প্রতিদিন অবিরাম যন্ত্র দানবের চলাচলে মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাস্তাগুলি। অথচ স্থানীয় প্রশাসন এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেননা।
    বিশেষজ্ঞদের অভিমত,এরুপ অনবরত ভারী মাটিবাহী ট্রাকের খিপ্র ঝাঁকুনিতে রাস্তার মাটির তলদেশ পর্যন্ত অনবরত কম্পনে রাস্তা মারাতœকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক সময় তা ধ্বসে পড়ারও আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা সদরের উপর দিয়ে এসব নিয়ন্ত্রণহীন যন্ত্রদানবের অবিরাম ছুটে চলায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন পথচারীরা। বিশেষ করে উপজেলা সদরে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের পথ চলা ও রাস্তা পারাপারে তৈরী হয়েছে চরম নিরাপত্তাহীনতা।
    এব্যাপারে এর আগে সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেছিলেন,তিনি কাউকে কোন সরকারী খাল থেকে মাটি কাটার অনুমতি দেননি। যদি কেউ এভাবে মাটি কেটে রাস্তা নষ্ট করে ইট ভাটায় মাটির যোগান মেটায় তা হলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন তবে পরে তিনি বদলী হয়ে যাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।
    সর্বশেষ অবৈধভাবে মাটি কেটে প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি নেয়ার বৈধতা সম্পর্কে জানতে জিআইবি ইট ভাটার ম্যানেজার প্রকাশ’র নিকট তার ব্যবহৃত মোবাইলে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।