তালা প্রতিনিধি: মঙ্গলবার সকালে তালা উত্তরণ আইডিআরটিতে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে শিবসা ও কপোতাক্ষ যুব পানি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি এবিএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উত্তরণের মিশন ভিশন নিয়ে কথা বলেন, উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম। উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহিন শামস্ সাক্ষরের সঞ্চালনায় সভায় সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ভট্টাচার্য্য, পাউবো’র যশোরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ হোসেন, তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হক হাওলাদার, পাইকগাছা যুব উন্নয়ন অফিসের গোবিন্দ কুমার দে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার ইমান আলী, তালা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আলাউদ্দীন জোয়ার্দার, পানি কমিটি নেতা শেখ আব্দুল হান্নান, মীর জিল্লুর রহমান, আশরাফুন্নাহার আশা এবং উত্তরণ কর্মকর্তা দিলীপ সানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নদী, জলাবদ্ধতা ও জেন্ডার বিষয়ে অতিথিবৃন্দ যুবদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন।
Category: তালা
-

পাটকেলঘাটায় সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে ভাংচুর ও মারপিট
নিজস্ব প্রতিনিধি :
পাটকেলঘাটার একাধিক নাশকতা মামলার আসামীর নেতৃত্বে দখলের উদ্দেশ্যে বসত ঘর ও দোকান ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে পাটকেলঘাটা থানা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং- ৫, তারিখ- ১৮ আগস্ট-২০১৯।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাটকেলঘাটা এলাকার চোমরখালী এলাকার আনার আলী মোড়লের পুত্র লিটন হোসেন রাজেন্দ্রপুর মৌজায় সাত শতক সম্পত্তি ৩৩১৮ নং দলিলে ১৩সেপ্টেম্বর ১৭ তারিখে ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত ফাতেমা বেগম ও নাজমা বেগমের কাছ থেকে ক্রয় করে বসত ঘর ও দোকান নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কিন্তু পাটকেলঘাটার চোমরখালী এলাকার মৃত দবির উদ্দীন মোড়লের পুত্র একাধিক নাশকতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বাকী বিল্লাহর কু পরামর্শে ফাতেমা ও নাজমার বিক্রয় করা সম্পত্তি তাদের মামা সোহরাব হোসেন অবৈধভাবে দখলের পায়তারা শুরু করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী লিটনের পিতা প্রতিকার চেয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- পি-১৪৮৯/১৭। আদালত উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে গত ২৭ জুন ২০১৮ তারিখে ১৪০৩ নং স্মারকের ৭ নং আদেশে উভয় পক্ষের আবেদন ও রিপোর্ট মতে উভয় পক্ষের স্ব স্ব দখল বজায় রেখে মামলা নিস্পত্তি করে দেন এবং আদেশের মর্মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী লিটন হোসেন কাটাতার ও পিলার পুতে তার সীমানা নির্ধারণ পূর্বক বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু সুচতুর ও পরসম্পদলোভী বাকী বিল্লাহ আদালতের ওই নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর জের ধরে গত ১৮ আগস্ট ২০১৯ তারিখে বাকী বিল্লাহ এর নেতৃত্বে তার ভাই শরিফুল, আরিবিল্লাহ, আমতলারডাঙ্গা গ্রামের মৃত কছিম উদ্দীন সরদারের পুত্র সোহরাব হোসেন, মৃত খান জাহান আলীর পুত্র সেলিম সরদার, সোহরাবের পুত্র রাসেল সরদারসহ ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী দা, কুড়াল, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমতলারডাঙ্গ মোড়ের ওই সম্পত্তিতে গিয়ে বসত ঘর, দোকান ভাংচুর করতে এবং লিটনের দেওয়া তারের কাটার ঘেড়া বেড়া কাটতে থাকে। এতে বাধা দিতে গেলে লিটনের বৃদ্ধ পিতা আনার আলী মোড়ল, ভাই মিলন হোসেনকে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে বাকী বিল্লাহর ভাই শরিফুল মিলন হোসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে। তাদের চাচাতো ভাই শাহিনুর মোড়ল প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সে সময় তারা দোকান ও বসতঘর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয় এবং শাহিনুরের দোকানের থাকা টাকা লুটকরে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনের পিতা আনার মোড়ল, ভাই মিলন ও চাচাতো ভাই শাহিনুর কে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত মিলনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এঘটনায় আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী ওই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ওই রাতেই পাটকেলঘাটা থানায় ৬ জনকে আসামী করে ভুক্তভোগী লিটনের মাতা আকলিমা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৫। -

পাটকেলঘাটায় বিদ্যুতের তারে প্রাণ গেল বৃদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় পোলট্রিফার্মের বিদ্যুতের তার স্পর্শে এক বৃদ্ধার মুত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বৃদ্ধার নাম আয়জান বিবি (৬০)। তিনি ওই গ্রামের জনাব আলী সরদারের স্ত্রী।
স্থানীয় এলাকা বাসী জানান, দুপুরে বৃদ্ধা আয়জান বিবি তার বাড়ির পাশে লগার মাথায় কাচি বেঁধে আম গাছের ডাল কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ অসাবধান বশতঃ তার বাড়ির পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়া তৈলকুপি গ্রামের জনৈক শফি গাজীর পোলট্রিফার্মের বিদ্যূতের তারে ওই লগার কাচিটি স্পর্শ লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। এদিকে, তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -

পাটকেলঘাটায় ছোট ভায়ের মারপিটে বড়ভাই নিহত
নিজস্ব প্রতিবেক ঃ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ছোট ভায়ের মারপিটে বড়ভাই নিহত হয়েছে। বুধবার বিকেলে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার সরুলিয়া ইউনিয়নের তৈলকুপি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ইসহাক আলী মোড়ল (৪৫)। তিনি তৈলকুপি গ্রামের সৈয়দ আলী মোড়লের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী তানজিলা বেগম জানান, তার স্বামী ইসহাক আলী মোড়ল পেশায় একজন ড্রাইভার। তিনি কয়েকমাস আগে বাড়িতে একটি মুদির দোকান তৈরী করেন। যা নিয়ে ভাই বোন ও পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিকালে ছোটভাই অসীমের সাথে বচসা হলে অসীম লাঠি ও ইট দিয়ে ইসহাককে মারপিট করে। এ ঘটনায় ইসহাক মারাত্মক আহত হয়। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এ ঘটনার আসল রহস্য জানা যাবে -

তালা প্রেসক্লাবে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
তালা প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটি ও সাধারণ সমদস্যদের সমন্বয়ে শুক্রবার সকালে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু।
তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন তালা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা এমএ হাকিম, আব্দুস সালাম, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী জাহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক সব্যসাচী মজুমদার বাপ্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিম হায়দার, কোষাধ্যক্ষ এমএ ফয়সাল, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ রোকনুজ্জামান টিপু, প্রচার সম্পাদক কাজী আরিফুল হক ভুলু, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিএম গোলাম রসুল, ক্লাবের সদস্য প্রভাষক ইয়াছিন আলী, খলিলুর রহমান লিথু, অর্জুন বিশ্বাস, মোঃ নূর ইসলাম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, আছাদুজ্জামান রাজু, আজমল হোসেন জুয়েল, কাজী লিয়াকত হোসেন, সুমন রায় গনেশ, মোঃ তাজমুল ইসলাম, এস,কে রায়হান প্রমুখ।
সভায় প্রেসক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীনকে বিদায় এবং নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেনকে সংবর্ধণা দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া প্রেসক্লাবের উন্নয়নসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হয় -

অশোক বিশ্বাস ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব হলেন
খবর বিজ্ঞপ্তি: অশোক কুমার বিশ্বাস ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করেছেন। এরআগে গত ২০ জানুয়ারি তিনি একই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
তিনি গত ৩২ বছর যাবত প্রশাসনের বিভিন্ন গরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রণালয় পর্যায়ে অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব এবং মাঠ প্রশাসনে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৮ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদানের মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। রাজশাহীতে সহকারী কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন এবং যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে সহকারী কমিশনার, কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য পদে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মাগুরা জেলায় কর্মরত ছিলেন।
পরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা এবং বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় ২০০১ সাল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, খুলনা বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবে ২০১০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জয়পুরহাট জেলায় ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে তিনি রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবং অতিরিক্ত সচিব হিসেবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক এবং সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ড্রিগ্রি লাভ করেন।
সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, চীন, ইতালী, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। -

হাতে-পায়ে শিকল বাঁধা ৪ বছর অন্ধকার গর্তে জীবন কাটাচ্ছে আব্দুল কাদের
সেলিম হায়দার ॥
আব্দুল কাদের একজন মানষিক প্রতিবন্ধী । বয়স ৫৩ বছর। বাড়ী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহাজাতপুর গ্রামে। পাইকগাছার রাড়–লিস্থ আর.কে.বি.কে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েট ইন্সটিটিউট থেকে ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক আর ১৯৮৫ সালে উপজেলার কপিলমুনি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর একই কলেজে ¯œাতক শ্রেণীতে অধ্যায়ন অবস্থায় আকষ্মিক মস্তিষ্কের বিকৃতি।
পারিবারিক সূত্র জানায়,সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহাজাতপুর গ্রামে শওকত আলী মোড়লের ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে এম,এম আব্দুল কাদের সবার বড়। প্রথম থেকেই তাদের পারিবারিক স্বচ্ছলতা ভাল না থাকলেও শওকতের বিদ্যানুরাগী মনোভাব সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে অনুপ্রাণিত করে। সে লক্ষে এগিয়েও যাচ্ছিলেন তারা। বড় ছেলে আব্দুল কাদেরকে বাড়ীর অদূরবর্তী পাইকগাছার রাড়–লীস্থ আর.কে.বি.কে হরিশচন্দ্র কলেজিয়েটে ইহ্নটিটিউটে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ১৯৮২ সালে সুনামের সাথে মাধ্যমিক পাশ করার পর ভর্তি করান কপিলমুনি কলেজে। সেখান থেকে ১৯৮৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ¯œাতক শ্রেণীতে ভর্তি হন একই কলেজে।
তবে ভাগ্য বিড়ম্বিত আব্দুল কাদেরকে আর এগুতে দেয়নি নির্মম নিয়তি। জমি-জমা সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিরোধ আকষ্মিক থমকে দেয় তার গতিময় জীবন। যার জের ধরে তারই এক চাচাতো ভাই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাল কাঠের রুল দিয়ে নির্মম নির্যাতন করে। এতে সে প্রাণে বেঁচে গেলেও চরমভাবে মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটে তার। এরপর সর্বস্ব বিক্রি করে চিকিৎসায় সেবারের মত প্রাণে বেঁচে গেলেও আর ভাল হয়ে উঠেনি আব্দুল কাদের। বন্ধ হয়ে যায় তার পড়া-লেখা। এরপর কিছু দিন অন্তর অন্তর আকষ্মিক মাথায় গন্ডগোল,স্থানীয় চিকিৎসায় আবার ভাল হয়ে ওঠা। এলাকাবাসীর পরামর্শে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত আসে হয়তো দাম্পত্য জীবনে মস্তিষ্কের সফলতা অসতে পারে।
বিয়েও দেয়া হয় তাছলিমা নামে এক মেয়ের সাথে। দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ে ফাতেমার (বিবাহিত) জন্ম হয়। তবে মেয়ের জন্মের কিছুদিন পর তাছলিমার মৃত্যু ঘটে। নি:সঙ্গতায় ফের পাগলপ্রায় অবস্থা হয় তার। এরপর ফের তাকে জুলেখা নামে এক মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। নতুন করে দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যার একজন আসমা খাতুন (বিবাহিত) ও অপর জন ফাইম খাতুন(৪)।
আব্দুর কাদেরর দাম্পত্য জীবন শুরু হলেও সুখের হয়নি।ছোট মেয়ে ফাইমার জন্মের পরেই একেবারেই বিগড়ে যান কাদের। স্বজনদের ধরে মারপিট,ভাংচুর ও প্রতিবেশীদের ক্ষতিসাধন শুরু করতে থাকেন। প্রতিদিন বাড়তে থাকে তার পাগলামি। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়ে তাকে প্রথমে বারান্দায় হাতে-পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা শুরু করেন। তবে,সারাক্ষণ উচ্চস্বরে চিৎকার ও অশ্লীল বাক্যবানে বিরক্ত হয়ে পরিবারের লোকজন বাড়ী থেকে প্রায় ৩ শ’ ফুট দূরে বাগানের মধ্যে গাছে বেঁধে রাখা শুরু করেন। বাবা-মা,স্ত্রী-সন্তানদের ফেলে এখন তার ঠাঁই হয়েছে,বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে অন্ধকার গর্তে। রাত-দিন ঝড়-বৃষ্টিতে এক হাত ও পায়ে শিকলে বাঁধা পড়েছে তার গদ্যময় নিঃসঙ্গ জীবন। সব আশা,আকাংখা,স্বপ্ন-সাধ আটকে গেছে আটো-সাটো একটি গর্ত ও তার উপর পড়ে থাকা একটি ছোট মেহগনি গাছের উপর। এভাবেই গত প্রায় ৪ টি বছর অন্ধকার গর্তেই নি:সঙ্গতায় কাটছে তার জীবন।
খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে সরেজমিনে প্রতিবেদনকালে ঘটনাস্থলে গেলে চিরাচরিত স্বভাবেই দেখা যায় তাকে। তবে কথোপকথনে মোটেও মস্তিষ্ক বিকৃত বলে মনে হয়নি। প্রথম দেখাতেই সাংবাদিকদের দেখে সালাম দেন তিনি। তারপর একে একে তার জীবনের সব ঘটনার নির্ভূল বর্ণনা দিতে থাকেন। কখনো পুরনোকে মনে করে আবেগ আপ্লুত হতে দেখা যায় তাকে। এসময় তিনি তার শৈশব-কৈশোরের সব স্মৃতির রোমন্থন করতে থাকেন। তবে তাকে করা সব প্রশ্নের উত্তর দেন মধুর কন্ঠে শুরে শুরে। তবে কথার ফাঁকে ফাঁকে নিজের শিকলে বাঁধা জীবন থেকে ক্ষণিকের জন্য হলেও মুক্তির আকূতি জানান। আব্দুল কাদের বলেন,আপনারা জানেন? আমি আমার ৪ বছরের মেয়ে ফাইমাকে কখনো কোলে নেয়নি,আদর করা হয়নি কখনো তাকে। আমাকে দূর থেকে দেখেও ভয়ে পালিয়ে যায় বলে ফের কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
এক পর্যায়ে তার সরল স্বীকারোক্তির নির্ভূলতা যাচাই করতে তার ঠিকানা জানতে চাইলে তিনি মুখে শুরে শুরে বলার পাশাপাশি খাতা-কলম চান লিখে দিতে। এরপর নির্ভূল ইংরেজীতে লিখেন তার বায়োডাটা। তবে কেন একজন সুস্থ্য-সবল মানুষকে ৪ বছর এভাবেই বেঁধে রাখা? এমন প্রশ্ন করতেই স্বজনদের কাদেরের মা ও স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় চোখাচোখি,কানাকানিসহ নানা ইশারা। যেন,কিছু একটা গোপন করতে চাওয়া। তবে কেন তাদের এই গোপনীয়তা? নাকি নিরবতা? মূহুর্তেই নানান কেন বার বার উঁকি দিতে থাকে।
একপর্যায়ে কাদেরের মা রহিমা বেগম (৭০) ছেলের উপর ঘটে যাওয়া নানা নির্যাতনের বর্ণনা শুরু করলে স্ত্রী জুলেখা তাতে বাঁধ সাধেন। যেন তাদের চোখে-মুখে তখন অন্য রকম এক ভীতি কাজ করছিল। কিছু একটা গোপন করতে চাইছেন তারা। তবে কথোপকথনের একপর্যায়ে মৃতপ্রায় কাদেরের একেবারে মৃত্যুর শঙ্কাটি বার বার সামনে এসে দাঁড়ায়। তবে কিসের সেই শঙ্কা ? ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে উঠে আসতে পারে তা।
এব্যাপারে কথা হয়,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজুর সাথে। তিনি বলেন এমন অবস্থায় একজন মানুষ তার ইউনিয়নে নির্মম জীবন-যাপন করছেন তা তার জানা ছিলনা। সম্প্রতি স্থানীয় এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী শেখ আরিফুর রহমান আজগরের সহযোগীতায় দেখতে যান তাকে। তাৎক্ষণিক যৎসামান্য সহযোগীতাও করেছেন। তবে আব্দুল কাদেরের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করার মানষিকতাও পোষন করেন তিনি।
সর্বশেষ এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর পাশাপাশি পরিবারের দাবি,সুচিকিৎসায় স্মৃতি ফিরতে পারে তার। ফিরে পেতে পারে তার স্বাভাবিক জীবন। তবে তার জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছার পাশাপাশি অনেক টাকা। এব্যাপারে তারা সরকারি-বেসরকারী পর্যায়ে সহযোগীতার জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

দফায় দফায় দখল হয়ে যাচ্ছে তালার দলুয়ার ঠান্ডা নদী
তালা সংবাদদাতা ॥
দখল হয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দলুয়া-ঠান্ডা নদীর দলুয়া বাজারস্থ এলাকা। ইতোমধ্যে দখলদাররা দোকান নির্মাণে এক সনা বন্দোবস্ত নিয়ে সেখানে কয়েক দফায় তা সম্প্রসারিত করে দখলে নিয়েছে নদীর মূল অংশ। এতে রীতিমত অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে এক সময়ের ¯্রােতসীনি দলুয়া-ঠান্ডা নদীটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ,দখল প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে ভূমি দস্যুরা বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা ধ্বংস করেছে। সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী জনৈক নুর ইসলামের মালিকানাধীন ওয়ার্কসপের দোকান ঘরটি নদীর পাশে তৃতীয় দফায় সম্প্রসারণে সেখানে থাকা একটি তালগাছ কৌশলে মেরে দিয়েছে তারই ভাড়াটিয়া সরুলিয়ার মৃত ইসমাম সরদারের ছেলে ছেলে আছাদুল সরদার। সূত্র জানায়, আছাদুল দোকানটি ৫ বছরের জন্য প্রতিমাসে ১৫ শ’ টাকা চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আছাদুল দোকানটি ভাড়া নিয়ে সেখানেই বসবাস করে আসছেন। এমনকি সেখানে বসবাসের উপযোগী করতে সম্প্রসারিত জায়গায় তিনি একটি রান্না ঘর নির্মাণ করছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (ইউএলএও) অরুন কুমারের নিকট জানতে চাইলে বলেন,তিনি নতুন এসেছেন। বিস্তারিত জানেননা। দখলের বিষয়টি সত্য হলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল সেলিম জানান,তিনি বিভিন্ন সময়ে দখল প্রক্রিয়ায় বাঁধা দিলেও তহশীল অফিসের সাবেক নায়েবসহ সেখানকার পিয়ন আক্তারুল বরাবরই সেখান থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাদের দখল প্রক্রিয়ায় বাঁধা না দিয়েই চলে গেছে। এসময় তিনি আরো বলেন,অচিরেই তারা ঐতিহ্যবাহী নদীটি বাঁচাতে জেলা প্রশাসকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাবেন।
বাজার বনিক সমিতির আরেক সদস্য মহাদেব সরকার,আতিয়ার সরদারসহ অনেকেই জানান,স্থানীয় ভূমি দস্যুরা বন্দোবস্তের নামে নদীর ধারের গাছ-পালা মেরে দফায় দফায় দখল প্রসারতা বাড়িয়ে চলেছে। তারা এর প্রতিকার চান।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,বাজারের নদী তীরবর্তী অধিকাংশ দখলদাররাই দফায় দফায় তাদের বন্দোবস্তকৃত দোকানঘরের বাড়িয়ে নদী দখল অব্যাহত রেখেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ঐতিহ্যবাহী নদীটির পুরোটা দখল হতে খুব বেশী সময় লাগবেনা।
এব্যাপারে দখলদার নুর ইসলামের ভাড়াটিয়া আছাদুল সরদার এ প্রতিবেদককে জানান,তিনি প্রতি মাসে ১৫ শ’টাকা করে ৫ বছরের মেয়াদে ঘরটি ভাড়া নিয়েছেন। দখলের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন,রান্নার গরম পানির কারণে তাল গাছটি মরে যেতে পারে। -

তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে যুবক খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
তালার মুড়াগাছা গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খালেক সরদার (২৬) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের চাচা রাজ্জাক সরদার।
নিহতের ফুফা সামাদ সরদার জানান, উপজেলার মুড়াগাছা গ্রামের ধোনা সরদাররের সাথে সাইদ সরদারের বাড়ি থেকে বের হবার ঘরোয়া রাস্তা তৈরি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকালে ধোনা সরদারের ছেলে রহমত সরদার, স্ত্রী ইছামতী, দুই মেয়ে নুরি বেগম ও শরবানু বেগম এবং পুত্রবধূ হালিমা বেগম লোহার রড শাবল ও ইট দিয়ে প্রতিপক্ষ সাইদ সরদারের ছেলে খালেক সরদারকে পিটাতে থাকে। এমময় খালেককে উদ্ধার করতে চাচা রাজ্জাক সরদার এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা।
হামলায় গুরুতর আহত খালেক ও রাজ্জাককে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে নেওয়া হয়। মারাত্মক আহত খালেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে তিনি মার যান।
তালা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পুলিশ তাদের ধরতে অভিযানে নেমেছে বলে তিনি জানান। -

পাটকেলঘাটায় এক ব্যক্তির আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের জেরে দুলাল সরকার নামে এক ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন নগরঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুলাল সরকার পাটকেলঘাটা থানাধীন নগরঘাটা গ্রামের কার্তিক সরকারের ছেলে।
মৃতের স্বজনরা জানান, দুলাল সরকারের দু’ স্ত্রী। ছোট স্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার চরম বিরোধ হয়। এরই জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘরে দরজা দিয়ে আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে ফাঁস লাগিয়ে দুলাল আত্মহত্যা করে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। -

প্রাণভয়ে পাটকেলঘাটার সাইফুল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
মা হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে বিচার দাবি করে এমনিতেই পথে পথে ঘুরছেন সাইফুল ইসলাম। তার ওপর প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হুমকি ধামকি দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য শাসাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। আতংকিত হয়ে সাইফুল এখন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকছেন।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার পাঁচপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন মা খুন হয়েছেন। এখন আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
সাইফুল বলেন তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার ছালাম সরদার, কালাম সরদার, মইজউদ্দিন সরদার, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গির হোসেন ও লাল্টু সরদারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১২ জুন প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তারা লাঠিসোটা দা কুড়াল নিয়ে সাইফুলদের ওপর হামলা করে। ঠেকাতে গেলে সাইফুলের মা জাহানারা খাতুনের মাথায় লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে প্রতিপক্ষ। সাইফুল ও তার বাবাসহ অন্যরাও আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তার মাকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি বলেন খবর পেয়ে পুলিশ এসে বন্ধ করা যাতায়াতের পথ খুলে দেয়। তিনি আরও বলেন তার মাকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম ছয় জনকে আসামি করে পাটকেলঘাটা থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে চারজন আদালতে হাজির হলে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সাইফুল বলেন এখনও বাইরে থাকা প্রধান আসামি ছালাম ও ৪ নম্বর আসামি আলমগীর তাদের ভাড়াটে বাহিনী নিয়ে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। তারা মামলা তুলে নিতে বলছে। অন্যথায় আমাদের পরিণতি আমার মার মতো হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি এ মামলার সাক্ষিদেরও হুমকি দিচ্ছে তারা। তিনি বলেন সাইফুলের পেছনে তারা কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছে। তারা যেকোনো মুহুর্তে তার ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের খুন জখম করতে পারে। এ কারণে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে অন্যদের বাড়িতে থাকছেন বলে জানান সাইফুল।
সাইফুল তার মার ঘাতকদের সবাইকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন। -

পাটকেলঘাটায় ট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষিকার
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় কলেজ শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষিকা পাটকেলঘাটা হারুন অর রশিদ কলেজের বায়োলজি বিভাগের প্রভাষক। তিনি পাটকেলঘাটার নওয়াপাড়া এলাকার শেখ শাহাদাতের স্ত্রী জাহানারা খাতুন(৩৮)।
স্থানীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে ভ্যানযোগে কলেজে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় পৌছানো মাত্র পাটকেলঘাটার মজুমদারের তেলবাহী ট্রাক (যার নং- যশোর ট-১১৩৬৮১) পিছন দিকে থেকে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে শিক্ষিকা রাস্তার উপর পড়ে গেলে ট্রাকটি তাকে চাপায় দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, এঘটনায় ঘাতক ট্রাক এবং চালক নজরুল ইসলাম আটক করা হয়েছে। -

তালায় পুষ্প দাস হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের বিধবা পুষ্প রানী দাসকে নৃশংসভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি সংস্থা শারী এ আয়োজন করে।
সুনাম কমিটির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড সোমনাথ মুখার্জীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ, স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, শারীর প্রতিনিধি অ্যাড. শান্তনু দাস, দলিত নেতা গৌর দাস প্রমুখ। বক্তারা বলেন, তালার বারাত গ্রামের বিধাব পুষ্প রানীকে যেভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় র্যাব সদস্যরা নিহতের বেহাইকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠালেও তার সঙ্গে আরো অনেক জড়িতদের তিনি বাঁচাতে চেষ্টা করেছেন। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। -
পাটকেলঘাটায় কিশোর শাহীনের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় চালক শাহীনকে মাথা ফাটিয়ে তার মোটর ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটি।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির আহবায়ক প্রফেসর আনিসুর রহিম, সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আবু আহম্মেদ, সাংবাদিক কল্যান ব্যানার্জী, এম কামরুজ্জামান, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ,মাধব চন্দ্র দত্ত, ফরিদা আক্তার বিউটি, কমরেড আবুল হোসেন, অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল,সিরাজুল সঞ্জু, আলী নুর খান বাবুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোর্ট গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সপ্তাম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্র শাহীনকে ছদ্মবেশী ছিনতাইতকারিরা সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার একটি পাটক্ষেতের পাশে মাথা ফটিয়ে তার মোটর চালিত ভ্যানটি ছিনত্ইা করেছে। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ- হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত চার দিনেও পুলিশ কোন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি তার মোটর ভ্যানটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। -

তালায় পাটক্ষেত থেকে মহিলার গলিত লাশ উদ্ধার
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় পাটক্ষেত থেকে পুলিশ চল্লিশোর্ধ এক মহিলার নগ্ন গলিত লাশ উদ্ধার করেছে। সে উপজেলার ইসলামকাটির মৃত মনোরঞ্জন দাশের স্ত্রী পুষ্প রাণী দাশ (৪২)।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২০ জুন বিকেলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে তার ছেলে মহাদেব ২২ জুন তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। সর্বশেষ শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর ২ টার দিকে স্থানীয় বারার বিলের জনৈক কেচমত দপ্তরীর পাটক্ষেতের পাশে ঘাষ কাটতে গেলে ব্যাপক গন্ধ অনুভূত হলে স্থানীয়রা তালা থানাপুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুষ্পরাণীর উলঙ্গ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে কেউ সেখানে ফেলে রেখেছে।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান,খবর পেয়ে তিনিসহ এএসপি (তালা সার্কেল) হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল থেকে পুষ্প রাণীর উলঙ্গাবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে,তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে সেখানে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। পুষ্পরাণী দুই ছেলে ও ১ কণ্যা সন্তানের জননী। -

তালায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্ত প্রায়
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা ইতিহাস সমৃদ্ধ জনপদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আজ বিলুপ্ত প্রায়। আবহমানকাল ধরে এই উপজেলায় বিনোদনের খোরাক যুগিয়েছে এই লাঠিখেলা। কিন্তু কালের বির্বতনে মানুষ ভুলতে বসেছে এই লাঠিখেলা।
বাংলার ঐতিহ্যের অংশ লাঠিখেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে। এক সময় প্রতিটি গ্রামেই লাঠি খেলার পৃথক পৃথক দল থাকতো। কিন্তু লাঠিখেলার নতুন করে কোন সংগঠন বা দল তৈরি হচ্ছেনা। বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। ঢোল আর লাঠির তালে তালে নাচা নাচি। এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের লাঠি খেলা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সড়কি খেলা, ফড়ে খেলা, হাডুডু খেলা ইত্যাদি।
এক সময় তালা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষেরা তাদের নৈমিত্তিক জীবনের উৎসব- যেমন বাংলা বর্ষবরণ, বিবাহ, সুন্নতে খাতনা, চড়ক পূজা, মহরম ইত্যাদি উপলক্ষে বিভিন্ন গ্রামে লাঠি খেলার আয়োজন করতো। এক্ষেত্রে সাধারণত কোন লাঠিয়াল দলকে ভাড়া করে আনা হতো। হাজার হাজার নারী পুরুষকে এক সময় লাঠি খেলা বেশ আনন্দের খোরাক যুগিয়েছে। মানুয়ের হদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন এ খেলাটি। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসত এ খেলা দেখার জন্য। লাঠি খেলা দিন দিন বিলুপ্তি হওয়ার কারণে এর খেলোয়াড়ের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। তাই তৈরি হচ্ছে না কোন নতুন খেলোয়াড়। আর পুরানো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা অর্থের অভাবে প্রসার ঘটাতে পারছেনা এ খেলা। তাই আবহমান বাংলার বিনোদনের উৎস লাঠি খেলা আর চোখে পড়ে না।
লাঠি খেলা নিয়ে তালা উপজেলার সদরের গ্রামের শাহাদত হোসেন বলেন, “আমার একটি লাঠি খেলার দল আছে। আমার বাবা চাচাও লাঠি খেলা করতো। আমিও ২০ বছর ধরে লাঠি খেলা করছি। এখন আমার দলের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০-১২ জন। আগে সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল। আমার এই বাপের ঐতিহ্য ধরে রাখতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।” তিনি আরো বলেন, “এখন আর আগের মতো ছেলে পাওয়া যায় না খেলার জন্য। আগের মত ডাকে না কোন অনুষ্ঠানে- না ডাকলে আমাদের আয় হচ্ছে না। সে জন্য আমাদের খেলার প্রতি মনোনিবেশ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি এবং ব্যক্তি সকলে সহযোগিতা করলে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা ধরে রাখা যাবে। -
তালার কানাইদিয়ায় সরকারী রাস্তা দখল করে পানের বরজ ও বৃক্ষ রোপন ॥ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে একটি পরিবার
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালার জালালপুর ইউনিয়নের কানাইদিয়া এলাকার একটি সরকারী রাস্তা দখল করে পানের বরজ করায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে একটি অসহায় ভূমিহীন পরিবার। সরকারী রাস্তাটি ফিরে পেতে বাড়ির মালিক গোপাল হালদার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যন বরাবর একটি আবেদন করেছেন।
অভিযোগে জানাযায়,উপজেলার কানাইদিয়ার মৃত হরিপদ হালদারের ছেলে গোপাল হালদারের বাড়ী থেকে বেরুতে সরকারী সম্পত্তির উপর দিয়ে প্রায় ৪ শ’ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থের একটি রাস্তা ছিল। যা বর্তমান রেকর্ডেও বিদ্যমান রয়েছে। তবে একই এলাকার মৃত বিদ্যা হালদারের ছেলে গোস্ত হালদার,মৃত লক্ষèী কান্ত সাধুর ছেলে পল্টু সাধু খাঁ,মৃত সুধীর মন্ডলের ছেলে সুভাষ মন্ডল ও মৃত কার্ত্তিক হালদারের ছেলে নীল কোমল হালদার ক্রমান্বয়ে ঐ সরকারী রাস্তার জায়গা দখল করতে করতে সর্বশেষ সমুদয় সম্পত্তি দখল করে সেখানে পানের বরজ ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি রোপন করেছে।
এতে এক প্রকার বাধ্য হয়ে গোপাল হালদারের পরিবার পাশের বাড়ীর উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। এঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। তারা চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অমান্য করে সরকারী রাস্তার দখল বজায় রেখেছে।
এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে অসহায় পরিবারটি স্থানীয়,জেলাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের দাবি, সরকারী রাস্তাটি দখলমুক্ত করে তা সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হোক।
এব্যাপারে স্থানীয় জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,তিনি সেখানে রাস্তার অস্তিত্ব না দেখলেও সেটা সরকারী রাস্তা ছিল বলে তিনি শুনেছেন। সর্বশেষ এব্যাপারে স্থানীয়ভাবে মিমাংশার জন্য বসাবসির কথা রয়েছে। -

তালার মাঝিয়াড়া বিলের খাস খাল দখল করে মাছের ঘের তৈরী,বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ ॥ আশংকায় আতংক
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
সাতক্ষীরা তালায় সরকারী খাষ খাল দখল করে মৎস্য ঘেরের অন্তর্ভূক্ত করায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাষণ পথ বন্ধ হয়ে গোটা এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধনের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যজীবিদের জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ভূক্তভোগী এলাকাবাসী পানি বন্দির আশংকামুক্ত হতে সরকারী খাষ খালের দখলমুক্ত করে তা পূণর্খননের দাবিতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদনও করেছেন। যার তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানাগেছে যে,উপজেলার ৬ নং তালা সদর ইউনিয়নের মাঝিয়াড়া মৌজার মাঝিয়াড়া-খড়েরডাঙ্গা বিলের প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে মৎস্য চাষ চলে আসছে। যার মধ্য দিয়েই প্রবাহিত খালটি। স্থানীয়রা জানান,উপজেলার মাঝিয়াড়া,খড়েরডাঙ্গা,শিবপুরসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম খালটি গত কয়েক বছর দখল হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন পথ রুদ্ধ হয়ে গোটা এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে ঐ অঞ্চলের ফসলের ক্ষেত,মাছের ঘেরসহ নি¤œাঞ্চল পানিতে তলিয়ে থাকে। কোন কোন এলাকায় পানি বন্দিত্ব রুপ নেয় স্থায়ী জলাবদ্ধতায়।
এলাকাবাসী জানায়,খালটির দুধারের জমি মালিকরা যার যার মত নিজ সীমানা বরাবর সরকারী খালের দখল নিয়ে ঘের ব্যবসায়ীদের ইজারা দেয়ায় এমন অবস্থার তৈরী হয়েছে। সূত্র জানায়,স্থানীয় মৃত আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে গাজী কামরুল ইসলাম জমি মালিকদের কাছ থেকে আগামী ৫ বছরের জন্য উক্ত প্রায় দেড় শ’ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে ইতোমধ্যে উক্ত সরকারী খাষ খালসহ বেঁধে নিয়ে মাছ চাষের জন্য ঘের প্রস্তুত করেছে। ভূক্তভোগীদের দাবি,খালটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম। খালটি ঘেরের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করে বেঁধে মাছ চাষ করায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে গোটা এলাকা তলিয়ে শত শত বিঘার ধান,সব্জি ক্ষেত তলিয়ে যাবে। পানি বন্দি হয়ে পড়বে গোটা নি¤œাঞ্চল। এছাড়া খালটি বেদখল হওয়ায় রুদ্ধ হয়ে পড়েছে নি¤œ আয়ের মৎস্যজীবিদের জীবিকার মাধ্যম।
এব্যাপারে এলাকাবাসীদের অর্ধ শতাধিক মানুষ সংঘ বদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে খালটির দখলমুক্তির পাশাপাশি তা পূণর্খননের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জেলা প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের (এসএ শাখার) পক্ষে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর আমিনুল ইসলাম গত ২৮ মার্চ স্মারক নং: ৩১.৪৪.৮৭০০.০০০০.৬১.১০০.৫৭.১৮-৪৬৬ মারফত তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরীনকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থ গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন। যার স্মারক নং: ০৫.৪৪.৮৭৯০.০০০.৩৮.০১৫.১৮-৫২২,তাং ১২/৬/১৯।
এলাকাবাসীর পক্ষে মমিন উদ্দীন,মো: ইদ্রীস মোড়লসহ ৫৫ জন ভূক্তভোগী স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রে স্থানীয় তালা সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন,ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক আবেদনকারীদের আবেদন সত্য বলে খালটি উদ্ধার পূর্বক পূণ:খননের জন্য সুপারিশ করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়,খালটি দখলমুক্তপূর্বক পূণ:খননের ব্যবস্থা করলে কপোতাক্ষ খননের সুফলভোগীদের মূল ¯্রােতে সম্পৃক্ত হবেন তারা। গোটা এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হওয়ায় সেখানে আগের মত ফলবে সোনালী ফসল। এছাড়া এলাকার স্বল্প আয়ের মৎস্যজীবিরা মুক্তভাবে মাছ আহরণে ফিরে পাবে তাদের জীবিকার মূল মাধ্যম এমনটাই প্রত্যাশা ভূক্তভোগী জনপদের সাধারণ মানুষের।