Category: জাতীয়

  • নারায়নগঞ্জ জেলা ফুটবল দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল দল

    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণ মিল্ক জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০১৭-১৮ এর বিভাগীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত পর্বের খেলায় ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন নারায়নগঞ্জ জেলা ফুটবল দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল দল। শনিবার ঢাকা কমলাপুর স্টেডিয়ামে মুখো মুখি হয় সাতক্ষীরা জেলা দল বনাম নারায়নগঞ্জ জেলা ফুটবল দল। খেলার প্রথমােের্ধর খেলা গোল শুণ্য শেষ হয়।

    দ্বিতঅয়ার্ধের খেলার প্রথমে সাতক্ষীরা জেলা দলের ১০ নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় আলামিন ১টি গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়। পরে দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শেষের দিকে সাতক্ষীরা জেলা দলের ১১ নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় ইউছুফ আলী দ্বিতীয় গোল করে। সেই সুবাধে সাতক্ষীরা জেলা দল ২-০ গোলে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন নারায়নগঞ্জ জেলা দলকে পরাজিত করে। সাতক্ষীরা জেলা দলের ১০ নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় আলামিন ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছে।

    এর আগের খেলায় সাতক্ষীরা জেলা দল নীলফামারী জেলা দলের সাথে গোল শুণ্য ড্র করে। আজ রবিবার ০৩ জুন ঢাকা কমলাপুর স্টেডিয়ামে সিলেট জেলা দলের মুখো মুখি হবে সাতক্ষীরা জেলা দল।

    সাতক্ষীরা জেলার পক্ষে জি-ফুল বাড়ি দরগা শরিফ আলিম মাদ্রাসার ছাত্ররা ভালো খেলা উপহার দিয়ে ক্রীড়াঙ্গণে জেলার সাফল্য ও সুনাম ধরে রাখায় জেলা ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির খান বাপ্পি।

  • ‘দুর্নীতিবাজদের রাজনীতিতে ফেরাতে বিএনপি চক্রান্ত করছে’:জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

    ‘দুর্নীতিবাজদের রাজনীতিতে ফেরাতে বিএনপি চক্রান্ত করছে’:জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

    ডেস্ক রিপোর্ট: জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি দেশের রাজনীতিতে দুর্নীতিবাজদের ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত করছে। শুক্রবার কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে জাসদ নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচারবিভাগ। এই বিচার বিভাগের কাছেই বিএনপি ধরনা দিয়েছিল, আদালত ও বিচারক পরিবর্তন করেছিল। পরবর্তীতে তাদের পছন্দমত বিচারপতির আদালতে খালেদা জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। ‘দেশে একদলীয় গণতন্ত্র তাই কড়া আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না’ বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যখন বিচার বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন তখন তারা মিষ্টি খান, আর যখন জামিন স্থগিত করেন তখন সরকারকে গালি দেন। এই দ্বৈত নীতি গণতন্ত্রের জন্য ভালো খবর নয়। কার্যত বিএনপি আদালতের ধার ধারে না। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলীসহ জাসদ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে যোগদান করেন।

  • জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা

    ডেস্ক রিপোট: গম বা আটার বাজারমূল্য হিসাব করে এবার সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৭০ টাকা। বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ফিতরা নির্ধারণী সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবাং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফিতরার জন্য নির্ধারিত ওজনের আটার দাম ৭০ টাকা, যবের দাম ৫০০ টাকা, কিসমিস ১৩২০ টাকা, খেঁজুর ১৯৮০ টাকা এবং পনিরের ২৩১০ টাকা ধরে এই ফিতরা হিসাব করা হয়েছে। “দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।” বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দিন আহমদ, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, আহছানিয়া সুফিজম ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মাদ উছমান গণী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান, মুফাসসির মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শাখার পরিচালক ও উপ-পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন

  • শিক্ষা গ্রহণ করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ-প্রধানমন্ত্রী

    ড্স্কে রিপোর্ট: ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনে রাখতে হবে, ছাত্র রাজনীতি আমরা করব। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় এবং সবার আগের কাজ।

    শুক্রবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম ও অর্জনে ছাত্রলীগের ভূমিকা রয়েছে। আদর্শহীন রাজনীতি কোনো রাজনীতি নয়। আদর্শ নিয়ে এগিয়ে গেলে অবশ্যই তাতে দেশের মানুষের কল্যাণ হবে।

    ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দু’টি পড়ার পরামর্শ দেন এবং দেশকে ভালাবাসার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে তোমরা, তোমাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত কর। কারণ ত্যাগ করতে শেখো। তোমরা এমন নেতৃত্ব খুঁজবে যাতে তারা এই সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

  • সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে-তথ্যমন্ত্রী

    সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে-তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে।
    ভারতের নয়া দিল্লীতে বৃহস্পতিবার সকালে ১৫তম ‘এশিয়া মিডিয়া সামিটে’র উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে।
    হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়া এবং বিশ্ব এ মুহূর্তে ছ’টি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। গণমাধ্যমের ভূমিকা একদিকে যেমন দারিদ্র্য, লিঙ্গবৈষম্য, জঙ্গিবাদ ও সাইবার অপরাধ নির্মূলে সাহায্য করবে, তেমনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বায়নের সাথে মানুষকে খাপ খাওয়াতে শেখাবে।’
    অধিবেশনে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানী, কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী ড. খিউ কানহারিত, কোরিয়া কমিউনিকেশন কমিশনার ড. স্যাম সগ কো, ইরানের আন্তর্জাতিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্বাস নাসেরি তাহেরী বক্তব্য রাখেন।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের এ কাজ শুধু এশিয়া নয়, সমগ্র বিশ্বকেই টেকসই, সবুজ, উন্নত, ডিজিটাল, শান্তিময় ও সমতাপূর্ণ বিশ্বায়নের দিকে এগিয়ে নেবে, সেই সাথে শক্তিশালী ও সংহত করবে গণতন্ত্রকে।’
    এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট-এআইবিডি আয়োজিত এ সম্মেলনে এশীয়-প্রশান্তসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ৩৯ টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের আড়াইশ’রও বেশি প্রতিনিধির সামনে দেশের পরিচয় তুলে ধরতে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশ উদ্যোক্তা হিসেবে বিশ্বসেরা, তৈরি পোষাক উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতূর্থ।’
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এভাবেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।’
    উদ্বোধনী অধিবেশনের পর ‘মিডিয়া রেগুলেশন পলিসিজ: ইথিকস, রুলস এন্ড ল’জ’ শীর্ষক প্লেনারি অধিবেশনেও বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ইনু। ভারতের পক্ষে এ অধিবেশনে যোগ দেন আইন ও বিচার এবং ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ।
    হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রচার জগতের যুগান্তকারী প্রসারের সাথে সাথে তাদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধিতে ও গণমাধ্যমের কল্যাণে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, সাংবাদিক সহায়তা নীতি প্রণীত হয়েছে, সময়োপযোগী করা হয়েছে রোয়েদাদ বোর্ড।’
    তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগের সাথে নিরাপদে তাল মিলিয়ে এগুবার জন্য সাইবার অপরাধ রুখতে সকল অংশীজনকে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। এর আগে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে শুধু তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ণই নয়, তা ব্যবহারে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।’ ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানী বিকেলে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী ড. খিউ কানহারিত এবং কোরিয়া কমিউনিকেশন কমিশন কমিশনার ড. স্যাম সগ কো’র সাথে যৌথ বৈঠক করেন।
    এ সময়ে তারা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণমাধ্যম ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
    হাসানুল হক ইনু এসময় সকল দেশের মানুষের মাতৃভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি ও তা ইন্টারনেটে সরবরাহের ওপর গুরুত্বারোপ করলে স্মৃতি জুবিন ইরানী একমত হন।
    তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো: মোশাররফ হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) মহাপরিচালক মো: রফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (আন্তর্জাতিক) রাহাত আনোয়ার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদসহ বেতার, টেলিভিশন ও নিমকোর কর্মকর্তাবৃন্দ মন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেন।
    বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)’র প্রধান নির্বাহী এইচএম বজলুর রহমান অধিবেশন পরিচালক হিসেবে এবং এসএ টিভি’র উপদেষ্টা খ ম হারুন প্রমুখ সম্মেলনে যোগ দেন। আগামী ১২ মে শনিবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

  • গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ‘রিটের শুনানিতে ইসির আইনজীবীর ওকালতনামা ছিল না’

    গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ‘রিটের শুনানিতে ইসির আইনজীবীর ওকালতনামা ছিল না’

    ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে প্যানেলভুক্ত আইনজীবী থাকলেও ইসির ওকালতনামা ছিল না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সোমবার (৭ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
    কবিতা খানম বলেন, ‘আদালতে আমাদের আইজীবী প্যানেল আছে। তাদের মধ্যে একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়ে হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দিইনি। তাকে ওকালতনামা দেওয়ার মতো সুযোগ ছিল না।’
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে আগে আদালত আমাদের কিছু জানাননি। আমরা আগে কিছু জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি। তবে আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। আদালতের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করেছি।’
    ‘নির্বাচনের তফশিল দেওয়ার পর সে বিষয়ে ইসিকে অবহিত না করে আদালত কোনও আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারে না’— সংবিধানের এই বিধানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিট বিষয়ে হিয়ারিংয়ের আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’
    গাজীপুর স্থগিত হলে খুলনার ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও কিছু অগ্রিম বলা যাবে না। কোনও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। তবে আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার পরই নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করি। আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনও ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।’
    গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে কমিশন আপিল করবে কিনা, জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এখনও রিটের সারমর্ম পাইনি। আশা করি দ্রুতই লিখিত আদেশ পাবো। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
    গাজীপুর সিটি নিয়ে আবার তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনও বিষয় সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।’
    নির্বাচন স্থগিতে নির্বাচন কমিশনের দায় রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি, কমিশনের কোনও গাফিলতি নেই।’
    প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রবিবার (৬ মে) একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে গাজীপুর সিটি নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

  • গাজীপুর সিটি ভোট স্থগিতে রিটের কিছুই জানত না ইসি

    ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের রিটের বিষয়ে আগে থেকে আদালত নির্বাচন কমিশনকে ( ইসি) কিছু জানায়নি বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে আমরা আগে কিছুই জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি।’ সোমবার বিকালে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম এসব কথা জানান।

    তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি- হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।

    সংবিধানের ১২৫ (গ) অনুযায়ী ‘কোনো আদালত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরুপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনরুপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না’- সংবিধানের এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে পড়ে শুনান সাংবাদিকরা। জানতে চান আদালত এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগে জানিয়েছেন কিনা।

    জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিটের বিষয়ে হিয়ারিংয়ের (শুনানি) আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’

    আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো আইনজীবী ওখানে নিয়োগ দেইনি। আমাদের প্যানেল আইজীবী আছে। তিনি প্যানেলভুক্ত একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়েছেন।

    নির্বাচন কমিশনার বলেন, কপি পাওয়ার পরে উনি হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দেইনি। তাকে ওকালতনামা দেয়ার মত সুযোগও ছিল না আমাদের।

    গাজীপুরের মতো সামনের আরও নির্বাচন স্থগিতে জনমনে শঙ্কার বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সে সুযোগ দিয়েছে। আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেয়ার পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি।

    কবিতা খানম বলেন, আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুইবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।

    তিনি বলেন, তবে অন্য সিটি নির্বাচন নিয়ে আগাম বলা যাবে না। কী কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে বিষয়গুলো যখন ক্লিয়ার হবে, তখন জনমনে শঙ্কা থাকবে না।

    গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আপিলের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, আমরা এখনো অফিসিয়ালি আদেশের কপি পাইনি। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী পদক্ষেপ ইসি কী নেবে।

    গাজীপুর সিটি নিয়ে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক দিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।

    নির্বাচন স্থগিতে কমিশনের হাত আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি কমিশনের কোনো গাফিলতি নেই।

    ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিতের আইনি প্রক্রিয়া কোনো পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু জানি লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ওই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কমিশন।

  • রোজার পরে সরকার পতনের কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে-মওদুদ

    ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিরোজার পরে সরকার পতনের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। সরকারের পরিবর্তন দেখতে চায়। দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এ আন্দোলন করতে হবে।’

    সোমবার (৭ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সভাপতির কক্ষের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সব তথ্য-উপাত্ত এবং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিশ্লেষণ করে আগামীকাল (মঙ্গলবার, ৮ মে) আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখবেন এবং খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হবেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিকালে আগামী দিনে যে আন্দোলন আসছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ সব আইনজীবীদের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন সফল হবে। গাজীপুর নির্বাচনে যে গণজোয়ার উঠেছিল, সেই গণজোয়ার দেখে সরকার পিছুটান দিয়েছে। সরকার এমন কৌশল নিয়েছে যে, নির্বাচনের আর পাঁচ থেকে সাতদিন বাকি। এ সময়ে এসে সরকার এটি করেছে। আমরা গাজীপুরে নির্বাচন যাতে হয়, তার জন্য আবেদন জানাবো।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এত দিন চেষ্টা করেছি। দেশের মানুষ এখন আর আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেখতে চায় না। সেজন্য রোজার পরে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে, এ সরকার পতনের জন্য। এই সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। সরকারের পরিবর্তন দেখতে চায়। দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এ আন্দোলন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা এ আন্দোলন সফল করবো এবং আগামী নির্বাচনে গাজীপুরের মতো গণজোয়ার সারা বাংলাদেশে দেখবেন। সেই গণজোয়ারে আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রার্থীরা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না। বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া সুস্থ অবস্থায় জেলে গেছেন। আর এখন জেলে থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে গেলেন। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ স্থগিত করায়, তিনি মুক্ত হতে না পেরে আজ কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার (৮ মে) তার জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ রয়েছে। আমরা আশা করবো, আদালত ন্যায়বিচার করবেন এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তাকে জামিন দেবেন।’

    তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিদায়ের পর আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। আমি আশা করবো, আদালত সাহসের সঙ্গে জামিন দিয়ে প্রমাণ করবেন যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন। আমি আশা করবো, সর্বোচ্চ আদালত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব পালন করবেন।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘সরকারের পক্ষে রায় না দেওয়ার কারণে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়নি। বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আমরা মনে করি, বিচার বিভাগকে স্বাধীন থাকতে হবে, সংবিধান সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। ন্যায়বিচার হলে নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর সাজা হতো না। আপিল বিভাগেও জামিন স্থগিত হতো না।’

    অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে। এজন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে হবে না। লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হবে।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট গরীব-এ-নেওয়াজ, মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ড. গোলাম রহমান, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আবেদ রাজা, মনির হোসেন, শেখ অহিদুজ্জামান প্রমুখ।

  • বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের ব্যাপকতার অভিযোগ, আমলে নিচ্ছে না সরকার

    ডেস্ক রিপোর্ট: এবারের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধানের আবাদে ছত্রাকজনিত ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগ ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতের ধান নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অনেকে ঋণ নিয়ে বোরো ফসলের আবাদ করেছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলন না পেলে কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। তবে সরকার বিষয়টি মানতে নারাজ। সরকারের এ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বলছে, এসব গুজব। এর কোনও ভিত্তি নেই।
    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,প্রতিবছর বোরো ফসলের মাঠের কিছু না কিছু অংশে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এটি ফসলের ক্ষতি ‘স্বাভাবিক নিয়মে’ পরিণত হয়েছে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যাপকতা আকার ধারণ করার কোনও তথ্য নেই। এ বছর বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, জেলা পর্যায় থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ব্লাস্টের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দেশে এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদন হবে, যা রেকর্ড।
    কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ব্লাস্টের কোনও খবর আমরা জানি না। যা শুনেছি, তা পত্রপত্রিকায় ও টেলিভিশনে। এসব প্রতিবেদন দেখার পর জেলা কৃষি অফিসগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি। সেখানকার কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবছরের মতো স্বাভাবিক নিয়মে এ বছরও কিছু জমিতে হয়তো ব্লাস্ট রোগ হয়েছে। তবে তা খুবই সামান্য। রেকর্ড করার মতো নয়। এটি এ বছরের বাম্পার ফলনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ এরপরও আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে সতর্ক রেখেছি, যাতে যেকোনও পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা যায়। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ করছে।’
    এদিকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রতিবছর প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করেই বোরো ফসল কৃষকের ঘরে ওঠে। এটি নতুন কিছু নয়। এ বছরও উঠবে। এ বছর বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি, এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হবে। মাঠের ফসল সম্পূর্ণ উঠলে মোট উৎপাদন পাওয়া যাবে।’
    এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বোরোর মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি, রোদ-খরা সবই হয় এবং হবে। এর ওপর ব্লাস্ট তো আছেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে এ বছর ব্লাস্ট যা হয়েছে, তা হিসাবে আনার মতো নয়। প্রতিবছর কিছু না কিছু জমিতে হয়। এবারও হয়েছে। এটি মোট উৎপাদনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে হয়তো বলবেন, বৃষ্টিতে ধান শুকাতে পারেননি কৃষক। আবার কেউ বলবেন, খরার কারণে বোরো ধানের চিটা হয়ে গেছে। আবার কেউ বলবেন, ব্লাস্ট রোগ উৎপাদন ব্যাহত করেছে। এসবই গুজব। এ বছর সবই হবে। তারপরও বাম্পার ফলনের বোরো কৃষকের ঘরে উঠবে।’
    সরকার এ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চাল উৎপাদনে কেজিপ্রতি কৃষকের জন্য মুনাফা বাবদ ২ টাকা যুক্ত করে প্রতি কেজি সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৩৮ টাকা দরে। আর আতপ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে প্রতিকেজি ৩৭ টাকা দরে। আর বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে ২৬ টাকা কেজি দরে। সম্প্রতি সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    জানা গেছে, এ বছর সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৮ লাখ টন এবং আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১ লাখ টন। বাকি ১ লাখ টন চালের জন্য দেড় লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে। আগামী ২ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
    এদিকে গাজীপুর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরের চাষীরা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এসব জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
    কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কৃষকের ভুলের কারণে কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কোনোভাবে আমলে নিচ্ছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
    জানা গেছে, এসব জেলার কৃষকেরা জমিতে সবুজ ধান গাছের চারা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কিন্তু ধানের ছড়া বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাতাগুলো বাদামি, আবার কখনও সাদা বর্ণের হওয়া শুরু করে। কিছুদিন পর থেকে ছড়ার গোড়ার অংশে কালো হয়ে ধানের ছড়াটাও বাদামি ও সাদা বর্ণের হতে শুরু করে। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনও কাজ হয়নি। ১ একর জমির ধান কাটার খরচ পড়বে ৯ হাজার টাকা। খড় পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার।

    কৃষকদের অভিযুক্ত করে কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, কৃষকেরা নিয়ম মেনে ওষুধ প্রয়োগ করেন না। জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি হলেও এ রোগের আক্রমণ ঘটে। প্রথমে ধানের পাতা পরে ধান গাছের গিঁটে ও সবশেষে শীষে এ রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। তাদের মতে, ধান গাছে আক্রমণের পর ন্যাটিভো, ডাইমেনশন, ফিলিয়া জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু কৃষকেরা তা করেননি।
    এ বিষয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘এবার শ্রীপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
    বাংলা ট্রিবিউনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে। এ বছর বোরো ধান থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭২ মেট্রিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বোর ধানের বাম্পার ফলন হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আবহাওয়ার কারণে অর্থাৎ দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা, মেঘলা আবহাওয়া, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে কিছু কিছু এলাকার ফসলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছিল। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখায় ও পরামর্শ দেওয়ায় এ রোগ বাড়তে পারেনি। এ কারণে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
    জামালপুরের ৭ উপজেলায় ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানক্ষেতে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে। অন্য জাতের ফলন ভালো হলেও ব্রি-২৮ জাতের ক্ষেতে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে অধিকাংশ জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। আক্রান্ত জমিতে শীষ থাকলেও তাতে চাল নেই।
    জামালপুরের কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত এই রোগটি দেখা দেয়। ব্লাস্ট রোগে যেন ক্ষেত আক্রান্ত না হয়, সেজন্য আমরা সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রচারপত্র বিলি করেছি। তারপরও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ব্লাস্ট ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, এই রোগটি আর ছড়াবে না।’
    এদিকে গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোর মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু জেলায় আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন।
    গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ ক ম রুহুল আমীন বলেন, ‘জেলায় মাত্র ৫০০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের স্প্রে ব্যবহার করাসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।’ এ রোগে মোট উৎপাদনে কোনও ঘাটতি হবে না, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চালের উৎপাদন অর্জিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
    বাংলা ট্রিবিউনের রামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সারাদেশের মতো বিরামপুরেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ। ছত্রাক জাতীয় এ রোগের আক্রমণে ধানের শীষ সাদা ও পাতা ধূসর বর্ণ ধারণ করছে। এ রোগে চিটায় পরিণত হচ্ছে ধান। শেষ সময়ে ধানে ব্লাস্ট রোগ সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা কৃষক। যখন শীষে সংক্রমণ হয় তখন ছত্রাকনাশক দিয়ে কোনও উপকার হচ্ছে না।
    বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন। নেক ব্লাষ্ট রোগে সংক্রামিত জমি থেকে ধানের ফলন কম হলেও সার্বিকভাবে কোনও প্রভাব পড়বে না ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায়।

  • বাহুবলে ভাটেরার তাম্র শাসন বিষয়ক সেমিনার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: হবিগঞ্জের বাহুবলে চর্যাপদে সমকালীন ভাটেরার তাম্র শাসনে আদি বাংলার নিদর্শন’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
    মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রব এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব কবিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা, কবি ও দার্শনিক সৈয়দ আজিজ। তিনি ভাটেরার তাম্র শাসনের নানা দিক তুলে ধরে ঢাকার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে শুধু কলেজে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও সমকালীন ভাটেরার তাম্র শাসনে আদি বাংলার নিদর্শন’ বিষয়ক আলোচনা সভা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
    ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক মিষ্টুরাণী দাসের সঞ্চালনায় সেমিনারের ঘোষণা করেন উত্তরপূর্ব ভারতের লেখক ও গবেষক ড. দেবব্রত দেবরায়। তিনি বলেন, যে রাজ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাত বার গিয়েছিল, সে দেশের প্রতিনিধি হয়ে চৈতন্য দেবের পূর্ব পুরুষদের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সাথে কথা বলতে পেরে গর্ববোধ করছি। কারণ হবিগঞ্জ ও সিলেট আমার কাছে তীর্থক্ষেত্রের মতো। আর চর্যাপদে ভাটেরার তাম্র শাসনের যে উল্লেখ ছিল তা অবর্ণনীয়। তিনি আরও বলেন, এ সেমিনারের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ভাটেরার তাম্র শাসন সম্পর্কে জানানো একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস আজ শুরু হলো।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব কবিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক কবি পুলক কান্তি ধর, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ গভনিং বর্ডির সভাপতি নিরঞ্জন সাহা নিরু, বাহুবল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া, মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোতাহের হোসেন, চাঁনপুর কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক অবিনাশ আচার্য্য, ফয়জাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিত কুমার দেব, আদর্শ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মানিক মিয়া, সানশাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ রণদ্বীপ চক্রবর্তী, পরিচালক একনেক সামছুদ্দিন, তরফ সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও গবেষক নিপেন্দ্রলাল দাস।
    বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক টিপু চৌধুরী, সাংবাদিক মুনসুর রহমান, সানশাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক আব্দুল কাদির। এ সময় অত্র কলেজের সকল বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রীবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
    বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের সাহিত্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা হলো-ভাটেরার তাম্র শাসন, বাংলাগদ্যে ইতিহাস ও তিনটি মহাকাব্য। যা সিলেককে বিশ্ব দরবারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অধিষ্ঠিত করেছে। তাই এ সুনাম ধরে রাখার জন্য বেশি বেশি করে সভা-সেমিনার করা প্রয়োজন। আর আজকের এই সুন্দর সেমিনারের আয়োজন করায় মিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।

  • উৎপাদন বৃদ্ধিতে শ্রমিকদের রাখুন প্রাণবন্ত : মে দিবসে তথ্যমন্ত্রী

    উৎপাদন বৃদ্ধিতে শ্রমিকদের রাখুন প্রাণবন্ত : মে দিবসে তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘কল-কারখানা ও কৃষিসহ জাতীয় উৎপাদন বাড়াতে হলে শ্রমিকদের হাসি-খুশি ও প্রাণবন্ত রাখতে হবে। আর সেজন্য তাদের ন্যূনতম মজুরি ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।’
    মহান মে দিবসের সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ’র শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা র‌্যালি উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
    ‘জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ফতোয়াবাজ তেতুঁলহুজুরেরা শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে, নারী শ্রমিকদের ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেকারণে ন্যূনতম জাতীয় মজুরির দাবি আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি এ ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও শ্রমিকদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি ইনু বলেন, ‘শ্রমিক, মজুর, কর্মজীবী-মেহনতি মানুষেরাই উৎপাদন ও উন্নয়ন সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি। বাজার ও মালিকের হাতে শ্রমিক ও দেশের ভাগ্য ছেড়ে না দিয়ে অর্থনীতিকে রাষ্ট্রীয় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত সমাজতন্ত্রের পথে পরিচালিত করতে হবে।’
    জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ’র সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশার সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন, গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সভাপতি রোকেয়া সুলতানা আঞ্জু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমূখ।
    জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আখতার তার ভাষণে বলেন, শ্রম কখনও সস্তা নয়, শ্রমিক দয়ার পাত্রও নয়। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরিসহ অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানান।
    সমাবেশ শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র নেতৃত্বে লাল পতাকাসজ্জিত একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে নগরীর রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।

  • মহান মে দিবস আজ

    মহান মে দিবস আজ

    এ.টি.এম. মোসলেহ্ উদ্দিন (জাবেদ): আজ পহেলা মে। বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবি মানুষের অধিকার ও দাবি আদায়ের মহান ‘মে দিবস’ আজ। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি আর দৈনিক আট ঘন্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। কল-কারখানা তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা কাজ করতে হতো। সপ্তাহজুড়ে কাজ করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল। শ্রমজীবি শিশুরা হয়ে পড়েছিল কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেয়া যাবে না। ৮ ঘন্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন।
    ১৮৮৬ সালের ১লা মে শ্রমিকরা ৮ঘন্টা কাজের দাবিতে ধর্মঘট আহবান করে। প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়। আন্দোলনরত ক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেফতার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরবর্তীতে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আতœহননও করেন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
    ১৮৮৯ সালের ১৪ই জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সাল থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’।
    মে দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের ওপর এ দিবসের প্রভাব সূদূর প্রসারী। এর প্রভাবে শ্রমিকদের দৈনিক কাজের সময় ১৬ ঘন্টা থেকে নেমে আসে ৮ ঘন্টায়। বিশ্বের সব দেশের শ্রমিকরা এর মাধ্যমে তাদের শ্রমের উপযুক্ত মর্যাদা পেতে শুরু করে। নিজেদের অধিকার আদায়ে তারা এগিয়ে যায় সামনে। মেহনতি মানুষ মুক্তি পেতে শুরু করে তাদের শৃঙ্খলিত জীবন থেকে। বিশ্বের ইতিহাসে সংযোজিত হয় সামাজিক পরিবর্তনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।
    মে দিবস হচ্ছে গোটা পৃথিবীর শ্রমজীবি সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সুচনা করার দিন। শ্রেণি-বৈষম্যের বেঁড়াজালে যখন তাদের জীবন বন্দি ছিল তখন মে দিবসের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খুলে যায় তাদের শৃঙ্খল। এ ফলে আস্তে আস্তে লোপ পেতে লাগলো সমাজের শ্রেণি-বৈষম্য। পুঁজিবাদের দূর্বল দিকগুলোকে পুঁজি করা অবৈধ অর্থলোভীদের আগ্রাসী দংশন থেকে রেহাই পেল কোটি কোটি শ্রমিক। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি সমাজ গোটা বিশ্বকে উপহার দিল এই মে দিবস। মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকের যে উঁচু-নিচু সম্পর্ক ছিল তা এক সময় সমতলে চলে আসলো শুধুমাত্র মে দিবসের স্বীকৃতির ফলেই।
    বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি নি¤œমধ্য আয়ের দেশ। এই দেশে শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা অনেক। বর্তমানে মে দিবসের সম্মানার্থে বাংলাদেশেও ১ মে সরকারী ছুটির দিন। এদিন শ্রমিকরা মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় পালন করে মে দিবস। তারা তাদের পূর্বসূরীদের স্মরণে আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। শ্রমিক সংগঠনগুলো মে দিবসে আয়োজন করে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও কল্যাণমুখী কর্মসূচির। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এদিন আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে মহান মে দিবস।
    ঐতিহাসিক মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান আজকের শ্রমিক শ্রেণিকে আগলে রেখেছে। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবিদের ভূষণ। ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১ মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। মে দিবসে সকল শ্রমজীবি মানুষ তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উন্নয়নমুখী পরিবর্তন সূচনার অঙ্গিকারের প্রয়াস পায়। জয় হোক সাম্যের, জয় হোক মেহনতি মানুষের।

  • মার্চ-এপ্রিলে বজ্রপাতে ৭০ জনের মৃত্যু

    ডেস্ক রিপোর্ট: এ বছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাসে বজ্রপাতে সারাদেশে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

     

    এর মধ্যে এপ্রিলের শেষ দুই দিনেই ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারাদেশ কালবৈশাখী ঝড় আর বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, গত মার্চ মাসে বজ্রপাতে মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পেয়েছেন। আর এপ্রিলে এসেছে ৫৮ জনের মৃত্যুর খবর।

    সরকার পরিস্থিতি ‘গভীরভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “আমরা সবাইকে দেখেশুনে ঘর থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

    প্রয়োজনে ১০৯০ নম্বরে ফোন করে আবহাওয়ার পরিস্থিতি জেনে নিতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

    গতবছর পাহাড় ধসে পার্বত্য এলাকায় ১৬৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর এবছর পূর্ব প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে বলে জানান মায়া।

    যেসব এলাকায় বোরো জমির ধান পেকে গেছে, তা দ্রুত ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি।

    বিলুপ্ত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সুজিত কুমার দেবশর্মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কালবৈশাখীর মৌসুমে বজ্রঝড় বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

    “যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে।”

    সচেতনতা

    >> বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উচুঁ স্থানে না থাকাই ভালো।

    >> বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা বিপজ্জনক। একান্ত বের হতে হলে রাবারের জুতো ব্যবহার করা উচিত।

    >> বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়া উচিত।

    >> যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

    >> উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ হবে।

    >> কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকেও দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    >> বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে, ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে গাড়ি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।

    >> বাড়িতে থাকলে বজ্রপাতের সময় জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকা নিরাপদ হবে না।

    >> বজ্রপাতের সময় বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা উচিত। ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকেও দূরে থাকা প্রয়োজন।

    >> মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে।

    >> ধাতব হাতলের ছাতা ব্যবহার না করাই ভালো।

    >> বজ্রপাতের সময় ছাউনিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাওয়া নিরাপদ নয়। ওই সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে থাকা উচিত।

    >> বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করাই নিরাপদ।

    >> বিপদ এড়াতে প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আপিলকৃত পক্ষ-বিপক্ষ ব্যাক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
    সম্প্রতি আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের পরিবর্তন ঘটায়। নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত খসড়া গেজেটে কালিগঞ্জ উপজেলার ১২ ইউনিয়নকে অখ-িত রেখে শ্যামনগর উপজেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়।
    প্রস্তাবিত সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রকাশিত খসড়া গেজেটেরে বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনে আবেদন খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গতকাল নির্বাচন কমিশনে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ।
    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি বাংলা নববর্ষ উদযাপন

    ডেস্ক রিপোর্ট: ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।’ বাঙালি সংস্কৃতির ও গর্বিত ঐতিহ্যের রূপময় ছটায় বৈশাখকে এভাবেই আবাহন করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগ্রত হয়েছে গোটা জাতি। পহেলা বৈশাখ, একটি নতুন দিন। একটি নতুন বছরের শুভ সূচনা। বাঙালির প্রাণের আর মনের মিলন ঘটার দিন ‘পহেলা বৈশাখ’। বাঙালি ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিয়েছে সব বিভেদ, জরা আর দুঃখ ভুলে। যা কিছু পুরনো আর জীর্ণ- তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি গাইছে নতুনের গান। প্রার্থনা একটাই-জাতি যেন পরাভূত করতে পারে সকল অশুভ শক্তি।
    সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায়ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো ‘বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের’ খবর নিয়ে আমাদের এ প্রতিবেদন।
    পহেলা বৈশাখ পালন উপলক্ষ্যে নতুন করে সজ্জিত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিনভর জেলাব্যাপি পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলার প্রধান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রহণ করা হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপি বর্ণাঢ্য কর্মসূচি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এ শোভাযাত্রায় বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন বাঙালীয়ানা সাজ ও হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য নিয়ে অংশ নেয়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল হান্নান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জিয়াউল হক, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এন.এস. আই’র সহকারি পরিচালক আনিসুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মোজাম্মেল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, ফারহা দীবা খান সাথী, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শেখ আবু জাফর মো. আসিফ ইকবাল, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আমিনুর রহমান উল্লাস প্রমুখ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পৌরদিঘীতে হাঁস ধরা, সাঁতার প্রতিযোগিতা, হাডুডু খেলা, লাঠিখেলা, সঙ্গীত প্রতিযোগীতাসহ দিনব্যাপি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এনডিসি মোশারেফ হোসেন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।
    জেলা প্রশাসকের বাঙলোয়: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে স্বাগত জানিয়ে বাঙালী আনায় বৈশাখী উদ্যাপন করলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। জেলা অফিসার্স ক্লাব ও জেলা লেডিস ক্লাবের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় পান্তা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসকের বাংলো মিলন মেলায় পরিণত হয়। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনায় সকলেই সমবেত হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক দেশী ফলের সমাহারে অতিথি পরায়ণতার মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান। খই, দই আর পান সুপারী, চিড়া, মুড়ির মোয়া, হরেক রকম মিষ্টি-মিঠাই আরো ছিল ঘোল, ডাব, তরমুজ, শাহী গজা আর হাওয়াই মিঠাই, ছিল বেলের সরবত। শনিবার সকালে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসকের বাংলোর এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বৈশাখী এ অনুষ্ঠানে সকল অতিথিদের মাঝে পান্তা ও বিভিন্ন রকম ভর্তা পরিবেশন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারী, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারতহমিনা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর-রশিদ, শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
    জেলা পুলিশের আয়োজনে: জেলা পুলিশের আয়োজনে দুস্থ ও এতিম শিশুদের বৈশাখী আনান্দ উপভোগ উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে পুলিশ সুপারের বাসভবনে শতাধিক এতিম ও দুস্থ শিশুদের মাঝে বৈশাখী ভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, পুলিশ সুপার পত্মী আকিদা রহমান নীলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হক, সদর সারকেল মেরিনা আক্তার প্রমুখ। এ সময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, পহেলা বৈশাখের আনান্দ যেমন প্রতিটা মানুষ উৎযাপন করছে তখন আমাদের দায়িত্ব ছিল সমাজের দুস্থ অসহায় ও এতিম শিশুদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সাথে আনান্দ ভাগা, ভাগি করে নেয়া, তাই নিজের দায়িত্ব বোদের জায়গাথেকে মানুশেন পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করেছি।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব: খরতপ্ত রুদ্র বৈশাখের প্রথম দিন শনিবার প্রাণের উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব। তীব্র দাবদাহের মধ্যে দীঘির জলে ঢেউ তুলে ভেসে আসা দখিনা বাতাসের প্রাণ জুড়ানো দোলায় ক্লাব ভবনে সকালেই বসেছিল এ উৎসব। শিশু থেকে বুড়ো বুড়িরাও প্রেসক্লাবের এই উৎসবে মেতে ওঠেন। উৎসবে আসা সকলকেই বাঙ্গালির চিরন্তন খাবার পান্তা ভর্তা আর নারকেল ও গুড় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
    প্রেসক্লাবের এই উৎসবে অংশ নেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজদ, সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিনি, প্রথম আলোর কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নুর ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আবদুল ওয়াজেদ কচি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল বারী, সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নুরুল হক, শেখ হারুনার রশীদ, সদর থানার ওসি মারুফ আহমেদ, বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি, প্রেসক্লাব কার্য নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রেসক্লাবের প্রাণের মেলা বৈশাখি উৎসবের সাথে নিজেদের একাকার করে বরণ করে নেন নতুন বছরকে।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ: বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক ঝরা, অগ্নিশ্নানে সুচি হোক ধরা,’ শিক্ষার্থীরা নাচে ও গানে নতুন বছর ১৪২৫ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেয়। উৎসবের আমেজে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিশ^াস সুদেব কুমারের সভাপতিত্বে বৈশাখী অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ সুকুমার দাস, অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এস.এম আফজাল হোসেন, শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক আমানুল্লাহ আল হাদী, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশনের সহসভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু প্রমুখ। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদর্শণ করে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির হাড়িতে মন্ডা মিঠাই বিশেষ মোড়কে প্রধান অতিথিকে উপহার দেওয়া হয়। এসময় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: নতুন বছর ১৪২৫ বরণ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে ক্যাম্পাসে বাঙালীআনা নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বর্ষবরণ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও একাডেমিক ইনচার্জ প্রকৗশলী ড. এম.এম নজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অলোক সরকার, ফারুক হোসেন, ঈসমাইল হোসেন, ছিদ্দিক আলী, বিল্পব কুমার দাস, এনামুল হাসান কম্পিউটার বিভাগীয় প্রধান মো. ফারুক হোসেন, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটাল বিভাগীয় প্রধান এবিএম ছিদ্দিকী, আর.এসি বিভাগীয় প্রধান মো. এনামুল হাসান প্রমুখ। আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার মো. হেলালে হায়দার।
    সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানানমুখী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিদ্যালয়টি। শনিবার সকালে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করে। পরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে পান্তা উৎসব, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন রকম পিঠা পুলির মেলার আয়োজন করা হয়। বিকালে জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক পত্মী সাদিয়া নুসরাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পত্মী শামীমা রুমা, সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সামিমা ইসমত আরা, উম্মে হাবিবা, সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আবু সাঈদ, পহেলা বৈশাখ উদয়াপন কমিটির আহবায়ক সহকারি সিনিয়র শিক্ষক আনিছুর রহমান, সহকারি শিক্ষক মমতাজ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান।
    সাতক্ষীরা ‘ল’ কলেজ: সাতক্ষীরা ল কলেজের আয়োজনে ল স্টুডেন্টস ফোরামের সার্বিক সহযোগিতায় পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫। ল কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. এস এম হায়দারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল ১০টায় কলেজে আলোচনা, বাঙালী খাবারের আয়োজন ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায়, বাংলাদেশ হাইকোর্টের ডেপুটে অ্যাটর্নী জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. আ ক ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজ, ল কলেজের প্রভাষক এড. অরুন কুমার ব্যানার্জী, এড. শেখ সিরাজুল ইসলাম, এড. মনির উদ্দীন. এড. শহীদ হাসান, এড. হোসনেয়ারা, এড. লাকী ইয়াসমিন, এড. নাঝমুন নাহার ঝুমুর, এড. শরীফ আজমীর হোসেন রোকন, ল স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহাবুদ্দীন সাজু, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শেখ মোখলেছুর রহমান, জান্নাতুন নাহার, আলমগীর কবীর সুমন, মোখলেছুর রহমান, পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক এসএম বিপ্লব হোসেন, কার্তিক চন্দ্র সাহা, প্রবল কুমার, পাপিয়া সুলতানা, সোহেলী পারভীন, বিন্তু পারভীন, মুন্সি মিজানুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম সোহাগ, রোজিনা পারভীন, কার্তিক চন্দ্র, কাকলী, শাওন, তাহসিন কবীর খান, তাসনিম সুলতানা, নাসরিন সুলতানা, তাজনিম সুলতানা, সাথী, মামুন, তাজ নোভা, ইকতিয়ারসহ সাতক্ষীরা ল কলেজের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ল স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে জেলার বিচারকবৃন্দ, আইনজীবী ও আইনের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়।
    শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ: পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকালে শহরের সুলতানপুরস্থ আজাদী সংঘে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশির সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পতœী সালেহা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা খোকন। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবু সাক্কার, পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য কামরুল ইসলাম, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ সভাপতি সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন, শেখ হারুণ অর রশিদ, কবির হোসেন, নূরুল হক, রহমান, মনোয়ার হোসেন, নূরুল হুদা রনি, আলিফ, আশিক প্রমূখ।
    নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি: পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন এর মাধ্যমে তরুন প্রজন্ম বাঙ্গালী সংস্কৃতির চেতনা ও ঐতিহ্য লালন করছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-০২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি। গতকাল সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু শিক্ষা নয় সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও অনেক যুগান্তকারী কাজ করে যাচ্ছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং এ জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
    সকালে নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মাচারীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইন-চার্জ এ.এইচ.এম. মুঞ্জুর মোরশেদ এর নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন শিববাড়ী থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষন করে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। দিনব্যাপী বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাং¯কৃতিক ক্লাব এর শিল্পীরা, এতে আবহমান বাঙ্গালী সাংস্কৃতির নানা ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
    বিকালে এনইউবিটিকের ছাত্রদের সেকশন-বি ও ওয়েব ব্যান্ড দল এর পরিবেশনায় বৈশাখী কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ কনসার্টে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান এমপি নিজেই সঙ্গিত পরিবেশন করেন। এনইউবিটিকের দিনব্যাপী এই বৈশাখী আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি নগরীর সর্বস্তরের মানুষের বিশাল জনসমাগম ঘটে। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে এস.এস. আলী এন্ড কোং, লেক্সিকন, খুলনা বিভাগীয় অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন মালিক গ্রুপ ও আবির্স।
    নবজীবন ইন্সিটিটিউট: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার নবজীবনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রানের উৎসব পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ ১৪২৫। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নবজীবন ইনস্টিটিউটের উদ্দোগে শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সাথে নিজস্ব ব্যানারে একটি বর্ণিল ও মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা বের করে। শোভা যাত্রায় বিশেষ আকর্ষন হিসাবে যোগ করা হয় গ্রামীন এবং পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য মন্ডিত গরুর গাড়ী,ঢেকী,হরিন,বিশাল আকৃতির ডাক ঘুড়ি,পালকি,ঘোড়ার গাড়ী, হাতি,বাঘ,বাঘ শাবক,হালখাতা মহরত,রিকসা,বেদেনী,নৌকা,সহ নানান আয়োজন। তালে তালে বাজানো হয় ঢাক, ঢোল ও ভেপু। দীর্ঘ এবং বর্নিল সাজের শোভা যাত্রাটি দেখে মুগ্ধ হন জেলা প্রশাসনের বিচারক মন্ডলি সহ হাজার হাজার দর্শক ও শ্রোতা। শোভা যাত্রাটি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে পৌছালে মঞ্চ থেকে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে জেলার দ্বিতীয় স্থান অধিকারের ঘোষনা দেওয়া হয় । আনুষ্ঠানিক ভাবে নবজীবন ইনস্টিটিউটকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং পুরস্কার গ্রহন করেন নবজীবনের নির্বাহী পরিচালক ও নবজীবন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান তাারেকুজ্জামান খান, এসময় বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ,সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ,নবজীবন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম,উপাধ্যক্ষ মীর ফখরউদ্দীন আলী আহমেদ, শিক্ষক শেখ বোরহান আলী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নবজীবন ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে চিংড়ী পান্তা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন রকম খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এসময় নবজীবনের সকল কর্মকর্তা,শিক্ষক,ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক গন উপস্থিত ছিলেন।
    বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদ: বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের পৌর শাখার আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পানতা ইলিশ ভোজ , র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের জেলা কার্যালয়ে সংগঠনের পৌর শাখার সভাপতি আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক এড. আল মাহমুদ পলাশ, আমন্ত্রতি অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যান সম্পাদক এড, আজাহার হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব সেলিম হোসেন,অনুষ্ঠানের আলোচক হিসেবে ছিলেন সংগঠনের পৌর শাখার সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সাংগঠনিক আমিনুল ইসলাম সেলিম, কুটির শিল্পী সম্পাদক মৌচাক সরদার, সৈয়দ আব্দুস সেলিম, আজিজুল ইসলাম, মোঃ হাফিজ, রোকনউদ্দীন প্রমূখ।
    থানাঘাটা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা ঈদগাহ ময়দানে ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় যুব সংহতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু তাহের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ৬নং ওয়ার্ড যুব সংহতির ফজর আলী, ইয়াকুব হোসেন, মহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান, শফীকুল, আব্দুল্লাহ, গোলাম রসুল প্রমূখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, মোঃ আসাদুজ্জামান।
    তালা: তালায় বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব। তালা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এসকল কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
    ১৪২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য বৈশাখী সোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্ধোধন করেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্চ্ছো খানম,তালা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা,তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক তালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু,সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানসহ ১২টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ সামাজিক সংগঠন, স্কুল প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি তালা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
    পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
    এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল পান্তা ভোজ, পুকুরে হাঁস ধরা,লাঠিখেলা, ইত্যাদি। এছাড়া জালালপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ সাহিত্য সংসদের বর্ষ বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে পাটকেলঘাটার,কুমিরায় ৫দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
    পাটকেলঘাটা: ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বৈশাখ বরণের এ গানের মধ্যদিয়ে পাটকেলঘাটাসহ আশপাশের এলাকায় মঙ্গল শোভাযাত্রাও মন্দিরে খাতা পুজা ও ,বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা,মধ্যদিয়ে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ । পাটকেলঘাটাস্থ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সাতক্ষীরা শাখার বটমুলের সবুজ চত্বরে বর্ণিল মঞ্চে ১লা বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়।
    পাটকেলঘাটায় দিনব্যপী বিভিন্ন বৈশাখী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। এরপর শিল্পী, সাংবাদিক,শিক্ষক, বুদ্ধিজীবি, নারী পুরুষ,শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বাঙালীর চিরচেনা ঢাক-ঢোল,কাঁশর,সানাই,ঘোড়াগাড়িসহ বিভিন্ন সাজে সকাল ৮টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি কুমিরা সহ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রবীন্দ্র সদনে এসে সমবেত হয়। এরপর সেখানে পান্তা ইলিশ ভোজনের সাথে সাথে মঞ্চে চলতে থাকে রবীন্দ্রসঙ্গীত.নজরুলগীতি পল¬ীগীতি,লালনগীতিও বাউলসহ বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান, আবৃত্তি ও নৃত্য। এরই মাঝে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি আসাদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,অধ্যাপক বীরেন্দ্রনাথ মাহাতা, দেবজিৎমিত্র, অধ্যাপক প্রশান্ত রায়, প্রধান শিক্ষক বাবলুর রহমান, শরিফুল্লাহ কায়সার সুমন,ড. বিধান চন্দ্র ঘোষ, মোস্তাফিজুর রহমান,নারায়ন মজুমদার, বিশ্বাস আতিয়ার রহমান প্রমুখ । জেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে অনন্দ হৈ হুলে¬াড়ের মধ্যদিয়ে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধুর নেতৃত্বে র‌্যালি ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করা হয়। কুমিরা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ও পাটকেলঘাটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশাল র‌্যালী ও পান্তা ইলিশের আয়োজন করে । এছাড়া বিভিন্ন বিদ্যালয় ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে।
    দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা ১৪২৫ বর্ষবরণ শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সকাল ৮ টায় পালকী, গরুর গাড়ি ও নানারকম বাদ্যের তালে একটি বর্নাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। পরে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দেবহাটার ঐতিহ্যবাহী বনবিবি বটতলায় শেষ হয়। এখানে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য পান্তা উৎসবের আয়োজন ছিল। পান্তা খাওয়া শেষে আনুষ্টানিকভাবে দেশীয় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ¦ আব্দুল গনি বর্ষবরন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সার্বিক সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান, সাধারন সম্পাদক মনিরজ্জামান মনি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভিন, উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জসিমউদ্দীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বদরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী. সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আঃলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আঃলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অধীর কুমার গাইন, উপজেলা হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসমত আরা বেগম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নোহাগ হোসেন, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক আব্দুল আজিজের সঞ্চালনায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু, সাতার সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হয়।
    বহেরা এ.টি মাধ্যমিক: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা এ,টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। বহেরা এ.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আছাদুল হক এর সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক এমাদুল হকের সঞ্চালনায় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ। শোভা যাত্রা শেষে পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
    কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউপি এর প্যানেল চেয়ারম্যান বিকাশ সরকারের সভাপতিত্বে ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, কুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য ও সদস্যা, ইউপি সচিব সহ কর্মচারী বৃন্দ।
    কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা শেষে কুলিয়া শহীদ মিনার চত্বরে পান্তা উৎসব উৎযাপন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বিধান বর্মন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ এর অর্থসম্পাদক মো. আছাদুল হক, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আযহারুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম,কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরান চন্দ্র, সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা সহ ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগন।
    পুষ্পকাটি সমবায় সমিতি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে পহেলা বৈশাখ বাংলানববর্ষ উৎযাপন করা হয়েছে। পুষ্পকাটি সমবায় সমিতির সভাপতি শাহিনুজ্জামান রিপন এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বাংলা নববর্ষের পান্তা উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়া ইউনিয়ন আ”লীগ এর সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, কুলিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মো. আসাদুল ইসলাম, কুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যা ফতেমা খাতুন প্রমুখ।
    কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জে বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ বরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পহেলা বৈশাখ সকাল ৮ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধকালী কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দপ্তারের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ফুলতলায় উন্মুক্ত মঞ্চে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহামেদ মাছুম, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান জামু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নববর্ষে উক্ত মঞ্চে বাউল ও লোকজ গান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজ, কালিগঞ্জ কলেজ, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, কুশুলিয়া স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।
    কৃষ্ণনগর প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে মানপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা সকাল হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এছাড়া সোতা-বেনাদনা মাঠে দিনটি উপলক্ষ্যে সারাদিন ব্যাপী ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে বালিয়াডাংগা মাহমুদিয়া দাখিল মাদরাসা, কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, রামনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, রহমতপুর নবযুগ শিক্ষা সোপান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নেংগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলো বর্ষবরণ উদ্যাপন করে।
    শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহাড়ম্বরে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে শ্যামনগরে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ ১৪২৫। কর্মসূচির মধ্যে লক্ষনীয় বিষয়গুলো ছিল বাঙ্গালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ সকাল ৬ টায় সানাই, কাসাই ও ঢোল বদনের মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা হয়। সকাল ৭ টায় মঙ্গল শোভা যাত্রায় উপজেলা সদরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী বেসরকারী সংস্থা নববর্ষের ব্যানার সহ অংশ গ্রহনে এক বিশাল শোভাযাত্রা সংসদ সদস্য এস,এম জগলুল হায়দারের নেতৃত্বে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্তরে সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে এসে শেষ হয়। সকাল ৮ টায় ছাতিম তলায় অনুষ্ঠিত হয় পান্থা ভোজ উৎসব, সকাল ৯ টায় উপজেলা চত্ত্বরে বৈশাখী মেলা উদ্ভোধন, সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলা, বেলা ২ টায় জারী গান, ৩ টায় সরকারী মহসীন ডিগ্রী কলেজ মাঠে সাংবাদিক বনাম সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রিতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিকাল ৫ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮ টায় র‌্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনের সমাপ্তি ঘটে।
    মুন্সীগঞ্জ: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহাসমারহে বর্ষ বরণ ১৪২৫ উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রয়েছে-৭নং মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, বনশ্রী শিক্ষা নিকেতন এবং হরিনগর হাটখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যৌথ ভাবে অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করেছে। এছাড়াও সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জহিরনগর দাখিল মাদ্রাসা, সুন্দরবন শিশু শিক্ষা নিকেতন ও বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী মুন্সীগঞ্জ কুলতলী বর্ষবরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলি সকালে বর্ণাঢ্য র‌্যালীর মাধ্যমে এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরমধ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমীর বর্ণাঢ্য র‌্যালীটি সবার নজর কাড়ে। এরপর পান্তা ভাত, কাঁচা ঝাল ও চিংড়ি মাছ পরিবেশন করা হয় । এ উপলক্ষ্যে বিবর্তন শিল্পকলা একাডেমী সন্ধ্যায় তাদের নিজস্ব শিল্পীদের সমন্নয়ে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চুনকুড়ি কালি মন্দির প্রাঙ্গনে আজ অনুষ্ঠিত হবে যাত্রানুষ্ঠান “কালো মেয়ের রাঙা পা।”
    আশাশুনি:
    বড়দল: আশাশুনির বড়দলে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের আয়োজনে এদিন সকাল ৭টায় এক মঙ্গল শোভাযাত্রা বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি ডাঃ আলহাজ্ব এস এম মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বড়দল আফতাবউদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. শিহাবউদ্দীন, সকল সহকারী শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    কাদাকাটি হাইস্কুল: আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭ টায় কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক কর্মচারীদের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় চত্তরে এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় আলোচনা সভা ও গীতি আলেখ্য-এসো হে বৈশাখ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন করেন কাদাকাটি আরার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান খান। সহকারী শিক্ষক অবনী কুমার মন্ডলের পরিচালনায় এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম নুর আলম, সহকারী শিক্ষক মাওঃ আফসার আলী, সুনীল কুমার রায়, নিজামুদ্দীন, নজরুল ইসলাম, অসীম কুমার মন্ডল, ছাবিলুর রাশেদ, ফতেমা খাতুন, আরিফুর রহমান, রসময় মন্ডল, মিলন কুমার, শিরিন আক্তার খানম, ফাতিমা খাতুন, রুপনারায়ন রায়, আঃ রহিমসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
    কুল্যা: বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। শনিবার বিকেলে আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের আগরদাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় ফিরোজ হোসেন মালীর নেতৃত্বে আরার গোবিন্দপুর লাঠি খেলা দল ও বাহাদুরপুর লাঠি খেলা দল অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত থেকে লাঠি খেলা উপভোগ করেন উপজেলা আ’লীগ সদস্য মেম্বর আলমগীর হোসেন আঙ্গুর, মেম্বর আনোয়রা বেগম, সমাজ সেবক ইয়াহিয়া মোল্যা, আহাদ আলী প্রমুখ। এসময় লাঠি খেলা দেখতে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রচুর দর্শক হাজির হন। খেলোয়াড়দের নানা শারীরিক কসরত দেখে মুগ্ধ হন তারা।

  • কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়-তথ্যমন্ত্রী

    কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়-তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।

  • যেভাবে সমঝোতা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে

    যেভাবে সমঝোতা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে

    ডেস্ক রিপোর্ট: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিং করছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি- পিআইডি)সরকারি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাকে ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। তরুণ প্রজন্মের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী সবসময় আন্তরিক— সরকারের পক্ষ থেকে এমন বার্তাও আন্দোলনকারীদের সমঝোতায় যেতে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া, রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের সময় উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনাও সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    কোটা সংস্কারের দাবিতে রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থান নিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। রাত পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার পর সারারাত ধরেই ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে রবিবার মধ্যরাতেই সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৪টার পর।
    সচিবালয় থেকে ফেরার পর বক্তব্য রাখছে প্রতিনিধি দল, তাদের বক্তব্য মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরাআন্দোলনকারী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই মূলত সমঝোতাকে ত্বরান্বিত করেছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সরকারের সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ ব্ঠৈক করেন। পরে তিনি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির বিষয়ে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। আন্দোলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরপরই আন্দোলনকারীদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে আন্দোলনকারীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছে, আন্দোলনকারীরা প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন, তারাই দেশের নতুন প্রজন্ম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় এই নতুন প্রজন্মের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতিও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক।
    এদিকে, রবিবার রাতে আন্দোলনকারীরা যখন পুলিশের উপর্যপরি টিয়ারশেলের মুখে ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছত্রভঙ্গ, সেই সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক সরকারের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। নানক জানান, ওবায়দুল কাদেরকে এই বৈঠকের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়গুলো আন্দোলনকারীদের উৎসাহ জুগিয়েছে। পাশাপাশি রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে মুখোশধারীদের হামলা খানিকটা ভীতিও ছড়িয়েছে। এই বিষয়গুলো সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতাদের কয়েকজন।
    রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড আন্দোলনকারীদেরসোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ আন্দোলনের ফলে রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের রাজপথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রোগীরা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, শিক্ষার্থীদেরও স্কুলে যাওয়া-আসায় সমস্যা হচ্ছে। অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন সব হয়রানির মধ্যে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে আন্দোলনকারীদের আত্মীয়রাও থাকতে পারেন। মন্ত্রী এভাবে বিষয়গুলো বোঝালে তা আন্দোলনকারীদের মনে দাগ কেটেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা কয়েকজন নেতা। তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখবেন। তার প্রতি আমাদের এই বিশ্বাস রয়েছে। তাই আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি।’
    আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে থাকা একজন নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন করা তো আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের দাবি আদায় হওয়াটাই মূল বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তার দলের সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি, আমাদের দাবি পূরণ হবে। সব মিলিয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে বলেই আমরা সমঝোতায় এসেছি।’
    যদিও, সমঝোতার এই সিদ্ধান্ত ঢাবি টিএসসিতে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা মেনে নিতে রাজি হননি। বৈঠক থেকে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা সমঝোতা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিরলেও ঢাবি টিএসসিতে অবস্থানকারী আন্দোলনকারীরা সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা ছাড়েন। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সকালে ফের ক্যাম্পাসে জমায়েত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
    উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ মার্চ কোটা সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সরকারি নিয়োগে কোটায় কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এর ব্যখ্যা দিয়ে ৫ এপ্রিল আরেকটি পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্র ঘিরেই দানা বাঁধে আন্দোলন, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে রাজপথে।
    ফাঁকা টিএসসি, রাত সাড়ে ৯টার চিত্র (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)৫ এপ্রিলের পরিপত্রে বলা হয়— প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১০ সালের ৫ মে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী কোনও জেলায় বিতরণ করা পদের সংখ্যার তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে ওই বিশেষ কোটার অপূর্ণ পদগুলো জাতীয়ভিত্তিক নিজ নিজ বিশেষ কোটার (অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অনুসরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার কোনও কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করিতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও কোনও বিশেষ কোটার পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
    পরিপত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়— এসব নিয়োগে কোনও বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে তা জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী সাধারণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
    এই পরিপত্রের সরকারি নিয়োগে কোটার বিধি নিয়েই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। পরে তা থেকেই শুরু হয় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ।

  • ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো দলের অনাস্থা নেই’

    ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো দলের অনাস্থা নেই’

    ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন করবো, এই দৃঢ়তা আমাদের আছে। আশাকরি সব দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আমাদের প্রতি দলগুলোর কোনো অনাস্থা নেই। দলগুলোর রাজনৈতিক বিষয়ে অনাস্থা রয়েছে।

    আজ শনিবার পিআইবি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিইসি বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করবো। তারপর যদি জাতীয় নির্বাচনে আস্থা অর্জন হয়, তবে সেখানেও ব্যবহার করবো।

    পিআইবি’র এ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংস্থার মহাসচিব মো. শাহ আলমগীর সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন।