Category: জাতীয়

  • চোখ খোলেনি শাহিন

    চোখ খোলেনি শাহিন

    ডেস্ক রিপোর্ট :
    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় দুর্বৃত্তদের কোপের আঘাতে মারাত্মক আহত কিশোর শাহিনের অবস্থা এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা কিশোরটি এখনো চোখের পাতা মেলতে পারেনি।
    ছেলেটিকে আরো ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন চিকিৎকরা। তাকে দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের নিবিঢ় পরিচর্যা কেন্দ্র-আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
    শাহিনকে শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আনা হয় খুলনা থেকে। তার অবস্থা তখনই ছিল সঙ্গীন। সাতক্ষীরায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুলনায় হয় তার চিকিৎসা। আরো উন্নত সেবার জন্য তাকে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকা মেডিকেল ভর্তির পর এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ২৪ ঘণ্টাতেও চোখ মেলে তাকায়নি ছেলেটি।
    ১৪ বছরের এই কিশোর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ভ্যান চালিয়ে আয় করত। যাত্রীবেশে কয়েকজন ভ্যানটি ভাড়া নেয়। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ছিল অসৎ। নির্জন স্থানে ছেলেটিকে মেরে ভ্যানটি ছিনিয়ে নেয়। আর রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ছেলেটির রক্তে যেন নেয়ে গিয়েছিল। তাকে পেটানো হয়েছে, কোপানো হয়েছে ধারালো অস্ত্রে। আর এই রক্তাক্ত দেহের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শাহিনকে হাসপাতালে দেখতে গেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন তার চিকিৎসার যেন কোনো ত্রুটি না হয়। এ জন্য ব্যয়ও করা হবে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে।
    শনিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর রাত সাড়ে ১২টায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। চলে রাত সোয়া তিনটা পর্যন্ত। অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে আনা হয় আইসিইউতে।
    শাহিনের চাচা মনসুর আলী মোড়ল বলেন, ‘ডাক্তার জানিয়েছে, ও এখন আগের চেয়ে ভালোভাবে নিশ্বাস নিতে পারছে। তবে এখনও কথা বলার মতো অবস্থায় তার নেই। ডাক্তরা বলছে, ধৈর্য ধরতে। শাহিন সুস্থ হতে আড়াই-তিন মাসের মত সময় লাগতে পারে।’
    শাহিনের বাবা বাবা হায়দার আলীও ভ্যানচালক। তারা যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট এলাকার বাসিন্দা। একার আয়ে সংসার চলে না বলে ছেলেকেও ভ্যান চালাতে দিয়েছিলেন। আর সেটাই কাল হয়েছে তার জন্য।
    শাহিন হত্যা চেষ্টার ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় মামলা হয়েছে। তবে কারা সেই দুর্বৃত্ত, সেটি মামলায় উল্লেখ করার সুযোগ ছিল না। আর পুলিশও এখনো শনাক্ত করতে পারেনি অপরাধীদের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ


  • সংসদে দেশের অর্থনীতিতে সাতক্ষীরার অবদান তুলে ধরলেন এমপি রুহুল হক

    সংসদে দেশের অর্থনীতিতে সাতক্ষীরার অবদান তুলে ধরলেন এমপি রুহুল হক

    স্ক রিপোর্ট : জাতীয় সংসদে দেশের অর্থনীতিতে সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা বিস্তারিত তুলে ধরে সাতক্ষীরায় অর্থনেতিক জোন গড়ে তোলা, বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন, সুপেয় পানি ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আরো ১৩২.৩৩ কেবিএ গ্রিড বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাংসদ সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল এমপি।
    বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব দাবি জানান তিনি।
    তিনি বলেন, আমাদের আর্ত্মসামাজিক অবস্থা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১০ বছর শাসন করে ১১ বছরে নিয়ে গেছে। গড় আয়ু ৭২ বছরে চলে এসেছে। জন্মহার ১.৩৭ এর মধ্যে রাখতে পেরেছি অনেক দিন ধরে। অপ্রতিরোধ্য যে অগ্রযাত্রা চলছে তা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া সম্ভব নয়।
    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন আমরা যদি আরো ১৫টি বছর পাই তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কেন, ন্যানো বাংলাদেশ, ইন্টারনেট কিংস অব বাংলাদেশ,বায়োটেকনোলজীর বাংলাদেশ, অন-কাম কম্পিউটারের বাংলাদেশ,এআইএটু ভিশনের বাংলাদেশ মানুষ দেখতে পাবে। যে গ্লোবাল এ্যায়ার্ড গুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে তা আপনারা সকলেই জানেন। আমার সৌভাগ্য তাঁর সাথে কাজ করার সুবাদে এমডিজি প্রাইজগুলো তাঁর হাতে তুলে দিতে পেরেছিলাম।
    তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমি দেশের দক্ষিণাঞ্চল সাতক্ষীরা-৩ থেকে নির্বাচিত। সাতক্ষীরা বলতে সকলেই বোঝে জঙ্গির দেশ, সন্ত্রাসের দেশ। সেই জঙ্গি আর সন্ত্রাসকে আমরা বিদায় করেছি। এখানে উন্নত বাংলাদেশকে তৈরি করেছি।
    সাতক্ষীরার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা ভোমরাস্থল বন্দর প্রায় ১২ শ কোটি টাকা আয় করি। চিংড়ী মাছ, সাদা মাছ বিক্রি করে আড়াই হাজার কোটি টাকা আয় করি। দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশে তৃতীয় স্থানে আমরা। প্রতিদিন গড়ে সাতক্ষীরায় ১০০মেট্টিকটন দুধ উৎপাদন হয়।
    চাল ও ধানে আমরা প্রায় ৬ লক্ষ্য মেট্রিকটন উৎপাদন করি। এ হিসাবে সাতক্ষীরা একটি উদ্বৃত্ত এলাকা। উদ্বৃত্ত এলাকা হিসেবে আমরা নেতৃত্ব প্রায়ই পাইনা। সন্ত্রাসমুক্ত করতে হইলে সুন্দর সংগঠন তৈরি করতে হবে।
    বাজেটে অর্থ বছরে সাতক্ষীরার জন্য ব্রিজ কালভার্ট ৩০৬, সাইক্লোন সেল্টার ৪১টি, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ, ভোমরা স্থল বন্দর, সুন্দরবন পর্যটন কেন্দ্র, প্রস্তাবিত রেল লাইন, সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক, আশাশুনি বাইপাস, মানিকখালী ব্রিজ, বড়দল ব্রিজ, ঘোলা- কোলা সহ উন্নয়নের ধারা অব্যহত রয়েছে।
    এলাকার মানুষের কিছু দাবি দাওয়া রয়েছে, আমাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরাসন করা প্রয়োজন। আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি, বিদ্যুতের উন্নয়ন অনেক হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের সকল সময় সঠিকভাবে পাইনা। সেজন্য কালিগঞ্জে একটি ১৩২.৩৩ কেবিএ গ্রিড উপকেন্দ্র প্রয়োজন।
    আরো অনেকগুলো জিনিসের প্রয়োজন তার মধ্যে সাতক্ষীরা বিশ^বিদ্যালয়, অর্থনৈতিক জোন গড়ার প্রয়োজন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন।
    তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কিছু অব্যবস্থাপনা রয়েছে। আমাদের ১২-১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার মধ্যে মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম, ডাক্তারদের অনুপস্থিতি, উপজেলা থেকে রোগীদের ট্রান্সপার এর নিয়মটাও আমরা এখনও পরিবর্তন করতে পারিনি। হাসপাতাল ও সরঞ্জাম রক্ষনাবেক্ষনের একটি ভীষণ সমস্যা হয়েছে। এটা অনেক দেশে সমস্যার সমাধান হয়েছে আমিও মনে করি আমাদেরও করা সম্ভব হবে।
    এ বছর স্বাস্থ্যখাতে বাজেট ৪.৯২%, হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার, কমিউনিটি ক্লিনিক বেড়েছে ১৬ হাজার কিন্তু সেই অনুযায়ী আমাদের বাজেটের হার যদি কমতেই থাকে তাহলে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের ব্যবস্থাপনা করে দেয়া সম্ভব না।
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় দিয়েছে ৪টি, ¯œাতকত্তোর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে ২৮টি, মেডিকেল কলেজ আছে ৩৬টি, বেসরকারি আছে ৬৯টি, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে সহকারি ও সহযোগী অধ্যাপক পদে ৫ হাজারের বেশি পদ খালি। সারা বাংলাদেশ সরকারি ও বেসরকারি মিলে ১১১ টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। প্রতি বছর দেশে ১০ হাজার ডাক্তার তৈরি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ৫ বছর পরে ৮৫ হাজার ডাক্তার বেকার হবে। তাদের কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবতে হবে।
    তিনি আরো বলেন, আমরা প্রত্যেকেই মেডিকেল কলেজ চাই। কলেজ না চেয়ে আমাদের জেলা হাসপাতালকে যদি স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারি, ডাক্তারদের উপস্থিতি যদি নিশ্চিত করতে পারি তাহলেই এলাকার মানুষ সকল সুযোগ সুবিধা পাবে।


    ২৭.০৬.২০১৯

  • জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় সাতক্ষীরার সেজুতি ২য়

    জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় সাতক্ষীরার সেজুতি ২য়

    বাংলাদেশ জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা ২০১৯ এর জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় সাতক্ষীরার মৌমিতা হাসান সেজুতি ২য় স্থান অর্জন করেছে। সে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। সে মুনজিতপুর এলাকার মেহেদী হাসানের কন্যা। তার পিতা ডাচবাংলা ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার কর্মকর্তা।
    সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়স্থ মন্টি আর্ট ইনস্টিটিউট এর ছাত্রী মৌমিতা হাসান সেজুতি। সেজুতি জাতীয় পর্যায়ের চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতায় ক -বিভাগে ২য় স্থান অধিকার করে বাংলাদেশের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার সুনাম অক্ষুণœ রেখেছে। সে সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ কামনা করে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

  • স্থানীয় জনগণের চাহিদার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের আহ্বান

    স্থানীয় জনগণের চাহিদার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের আহ্বান

    ডেস্ক রিপোর্ট : ২৫ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাব এর ভি আইপিলাউঞ্জে গ্রামীণ জীবন যাত্রার স্থায়িত্ব শীল উন্নয়নের জন্য প্রচারা ভিযান -সিএসআরএল ও ঢাকা স্কুল অবইকোনোমিকস – ডিএসইএর যৌথ আয়োজনে‘ পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে বাজেট ২০১৯-২০ এরপর্যালোচনা’ বিষয়ক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিএসআরএলএর সভাপতি ও ডিএসইএর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন সিএসআরএলএর সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা।
    সেমিনারে প্রধানঅতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এস এম মনজুরুল হান্নান খান, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। সেমিনারেপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা স্কুল অবইকোনমিকস এর ড. এ কে এ মনজরুল ইসলাম এবং সিএস আর এলএর প্রদীপ কুমার রায়।
    ড. খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের তিন স্তম্ভ – পরিবেশ, অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় চাহিদার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাজেট বরাদ্দ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সঠিকভাবে বাজেট বরাদ্দব্যয় ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকারকে যুক্ত করা দরকার।
    এস এম জগলুল হায়দার এমপি বলেন, জলবায়ু ও পরিবেশ বাজেট বিষয়ে যদি কোন সীমাবদ্ধতা থাকে, তবে এখনও সময় আছে; সেটি আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর তুলে ধরতে পারবো।
    বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মনজুরুল হান্নান খান বলেন, উপকুলীয় এলাকায় বেঁড়ি বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার ইতিমধ্যে ১০০ বছরের ডেল্টাপ্লান করেছে, সেখানে মডেলিং করে বেঁড়ি বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
    সেমিনারের মুল প্রবন্ধে বক্তারা বলেন, বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়া অপরাপর পরিবেশগত বিষয় যথাযথভাবে উল্লেখ করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়নি। বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকার অভিযোজন অগ্রাধিকার বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। সেই সাথে গৃহিত জলবায় ুপ্রকল্পগুলোর তথ্য স্থানীয় জন প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে অবহিত করে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকান্ডে স্থানীয়সরকারকে যুক্ত করাপ্রয়োজন।

  • আজ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা দিবস : রোজ গার্ডেন থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ

    আজ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা দিবস : রোজ গার্ডেন থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ

    আল হেলাল শুভ :

    আওয়ামী লীগের পুরনো দলীয় কার্য়ালয় ছিল- ৯১, নবাবপুর রোডে। দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোকসজ্জায় সাজানো হবে সেই কার্যালয়টিও। এই কার্যালয়েই ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এখানেই বসতেন দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর কিছুদিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছু দিন বসে অফিস করেছেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার পর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ঠিকানা হয়।

    আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামী ২৩ জুন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জন্ম নেয়া দলটির এদিন ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দীর্ঘ ৭০ বছর পার করে ৭১ বছরে পা দিতে যাচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এ রাজনৈতিক দল। যা বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল। ‘রোজ গার্ডেন থেকে বর্তমান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের (আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কার্য়ালয়) সুরম্য ভবন’ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের দীর্ঘ উত্থান-পতনের ধারাবাহিতার ইতিহাস। পাকিস্তান আমলে বাঙালির স্বাধিকারের আন্দোলন থেকে বর্তমান আধুনিক বাংলাদেশ, এই প্রতিচ্ছবিতে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতাসহ অনেক অর্জন এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।

    ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন- ‘কোথাও হল বা জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন সাহেবের রোজ গার্ডেনের বাড়িতে সম্মেলনের কাজ শুরু হয়েছিল।’ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা (তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগ) প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু আরও লিখেছেন- ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।’

    আওয়ামী লীগ নামটির আগে জন্মের সময় (১৯৪৯ সালের ২৩ জুন) রোজ গার্ডেনে দলটির নাম দেয়া হয় ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’।  শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা সেদিন রোজ গার্ডেনে উপস্থিত ছিলেন। সেসময়ের প্রেক্ষাপটে তা প্রাসঙ্গিক ছিল বলেই মনে করেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। 

    ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর তৎকালীন মুসলিম লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেসময় জনগণের বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। রাজনীতি বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদের ‘আওয়ামী লীগ-উত্থানপর্ব ১৯৪৮-১৯৭০’ বই থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নামটি দিয়েছিলেন দলের প্রথম সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সেসময় রাজনৈতিক বাস্তবতায় ও কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে মুসলিম শব্দটি থেকে গেলেও দল আত্মপ্রকাশের ছয় বছরের মাথায় ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এর উদ্দেশ্য- দলে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চ্চা এবং অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি।

    এই দীর্ঘ সময় (৭০ বছর) পাড়ি দিতে আওয়ামী লীগকে কখনও সহ্য করতে হয়েছে শাসকের রক্তচক্ষু, কখনও দলটির নেতাকর্মীদের উপর এসেছে অসহ্য নির্য়াতন। কিন্তু বাংলাদেশের জন্ম দেয়া দলটি কখনও দমে যায়নি। বাংলাদেশের মানুষের মানসচিন্তাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগ যুগ-যুগান্তরে হয়ে ওঠে জনগণের দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সবসময় সম্পৃক্ত থেকেছে। দীর্ঘ ৭০ বছরে ৫০ বছরই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে ছিল। কিন্তু তাতে দলের রাজনৈতিক আদর্শের কোনো ক্ষতি-বৃদ্ধি হয়নি। নেতারাও আদর্শচ্যুত হননি। বরং আরো কঠিনভাবে দলের ঐক্য ধরে রেখেছেন। 

    রাজনীতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সংগ্রাম ও দেশের রাজনৈতিক সংগ্রাম- যুগপদভাবে আওয়ামী লীগকে উভয় সংগ্রামেই শামিল হতে হয়েছে। ফলে, জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ইতিহাস ও রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্মবৃত্তান্ত সমান্তরাল কিন্তু অবিচ্ছেদ্য। গণতন্ত্র ও অসাম্প্রাদায়িকতাই আওয়ামী লীগের মূল উপজীব্য। মওলানা ভাসানী, শামসুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমানের পথ ধরেই আজকের আওয়ামী লীগ।

    ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু।

    প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাজনৈতিক সংগ্রাম, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়সহ বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ’৫০-এর দশকেই আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল তথা প্রধান রাজনৈতিক শক্তি। তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন।

    প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ। শুরুর দিকে দলটির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, আঞ্চলিক স্বায়ত্ত্বশাসন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।

    ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে আওয়ামী মুসলীম লীগ। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করতে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ওই বছরের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এর মধ্যে, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ পেয়েছিল ১৪৩টি আসন। ২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী মুসলিম লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দু’বছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল।

    পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালে দলে ভাঙন দেখা দেয়। ওই বছরের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারি সম্মেলনে দলে বিভক্তির ঘটনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

    ১৯৬৬ সালেই (৬ষ্ঠ কাউন্সিলে) বঙ্গবন্ধু দলের সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে নেন। সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমদ। সপ্তম ও অষ্টম কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপরিবর্তিত থাকে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় যার নেতৃত্ব দেন তাজউদ্দীন আহমদ। এভাবে এক দীর্ঘ রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু- অবিচ্ছিন্নভাবে লীন হয়ে যায় একে অপরের মাঝে।

    ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যূদয় ঘটে বাংলাদেশের। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে হত্যার পর সামরিক শাসনের নির্যাতন আর নিপীড়নের মধ্যে পড়ে ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি। নেতাদের মধ্যেও দেখা দেয় বিভেদ। দলের কঠিন দুঃসময়ে দলের ঐক্য ধরে রেখেছেন দুঃসময়ের সৈনিকরা। মহিউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন, আবদুল মালেক উকিল ও আবদুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ সময়ের দুঃসাহসী কাণ্ডারী। কঠিন হাতে তারা দলের হাল ধরে রেখেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলীয় সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে কয়েকভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন, আন্দোলন শুরু করেন সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে।

    দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ৫ বছর শাসনের পর ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। কিন্তু, দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, কারচুপির মাধ্যমে তাদের হারানো হয়েছে। পরবর্তীতে দেশে রাজনৈতিক সংকটের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে পুনরায় সরকার গঠন করে। আর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যায়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ।

    রোজ গার্ডেন ও ৯১ নবাবপুর রোড : 
    দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ এবার জমকালোভাবে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। এবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নতুনের সঙ্গে থাকছে দলের ঐতিহ্য স্মরণ। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারণায় উৎসবের আমেজ তৈরি হবে। 
    ঢাকার মধ্যে যে কয়টি প্রাচীন স্থাপনা আছে এর মধ্যে একটি রোজ গার্ডেন। রোজ গার্ডেনের অবস্থান টিকাটুলির কে এম দাস রোডে। ১৯৭০ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘বেঙ্গল স্টুডিও’-কে এটি লিজ দেয়া হয়। এসময়ে চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট হিসেবে এই ভবনটি ব্যবহৃত হতো। এখানে চিত্রায়িত কাহিনীচিত্র ‘হারানো দিন’-এ রোজ গার্ডেনের সেই সময়কার চিত্র সংরক্ষিত আছে। প্রায় ২২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত দোতলা এই প্রাসাদের চারদিক ঘিরে ছিল দেশি-বিদেশি গোলাপের চারা। এই গোলাপ বাগানের জন্যই বাগানবাড়িটি সেসময় বিখ্যাত হয়ে ওঠে ‘গোলাপ বাগ’ নামে, যা আমাদের কাছে এখন ‘রোজ গার্ডেন’ নামে পরিচিত। বর্তমানে চারপাশ ঘেরা সেই গোলাপ বাগান না থাকলেও প্রাসাদের সামনে কৃত্রিম ফোয়ারা ও ভাস্কর্যগুলো রয়েছে।

    আওয়ামী লীগের পুরনো দলীয় কার্য়ালয় ছিল- ৯১, নবাবপুর রোডে। দলের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোকসজ্জায় সাজানো হবে সেই কার্যালয়টিও। এই কার্যালয়েই ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। এখানেই বসতেন দলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর কিছুদিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছু দিন বসে অফিস করেছেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার পর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নতুন ঠিকানা হয়।

    সুত্র : দৈনিক জাগরণ

  • কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ

    কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ

    গত ২২ জুন ২০১৯, শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১ম পৃষ্ঠায় কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোামুখি আমির হোসেন আমুর জবানীতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধী করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো:
    বাংলাদেশ প্রতিদিনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকারে জাতীয় বীর বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে অচেনা কাজী আরেফ বলে কটাক্ষ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। আমরা মনে করি, যাদের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অবস্থান নেই তাদের কাছে কাজী আরেফ অচেনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন।
    কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ৬ দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

    বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সাথে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ অধিনায়কদের সাথে সমন্বয় করেছেন। স্বাধীকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ যে বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ৬০ দশকের ছাত্রলীগের হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ে কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ঐ সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থী ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয় পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল।

    কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তীতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিছারনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসাবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারন করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রাামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণ আদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এসব কিছু জানার পরও তার সমসাময়িককালের একজন রাজনীতিক কর্তৃক তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নিম্ম রুচি ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করবে মাত্র।
    বার্তা প্রেরক

    আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম
    দফতর সম্পাদক

  • স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস ই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার পরিকল্পনা করে, কামাল সাঈদ মোহন

    স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস ই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করার পরিকল্পনা করে, কামাল সাঈদ মোহন

    কামাল সাঈদ মোহন স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলেন ,তার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন ,তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টারে ।খুব কাছে থেকে দেখেছেন এবং অংশ নিয়েছেন স্বাধীনতার প্রস্তুতি পর্বে , বর্তমানে তিনি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করছেন ।সাম্প্রতিক কালে মুক্তিযুদ্ধে সিরাজুল আলম খান এবং ছাত্রলীগের ভুমিকা নিয়ে যে মিডিয়াতে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে তার প্রেক্ষিতে শুদ্ধস্বর ডটকম কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন আমি স্কুল জীবন থেকে নিউক্লিয়াসের সাথে যুক্ত ছিলাম , তিনি বলেন আমি ইউ ও টি সি র সদস্য ছিলাম , সেখানে ট্রেনিং নিয়েছি , তারপর জয় বাংলা বাহিনীতে ছাত্র ছাত্রীদের ট্রেনিং দিতাম । সিরাজুল আলম খানের সাথে আমার পরিচয় সেই ছোট বেলা থেকেই , তার অনুপ্রেরনায় সে সময় ছাত্রলীগের ভেতর যে বিএল এফ বাহিনীর জন্ম হয় আমি তার কনিষ্ঠ সদস্য ছিলাম , বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ করতে হবে তা তখনই তিনি আমাদের বলতেন। তিনি ইকবাল হলের মাঠে ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলান । সেখনে মোস্তফা মহসিন মণ্টূ , কামরুল আলম খান খসরু সহ অনেকেই ছাত্র যুবকদের ট্রেনিং দিতেন ।তিনি বলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা , জাতীয় সঙ্গীত, সহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রুপ রেখা তৈরি করেন সিরাজুল আলম খান , আব্দুর রাজ্জাক , কাজী আরেফ আহমেদ , এটা ইতিহাসের সত্য ঘটনা , তিনি বলেন তোফায়েল আহমেদ ও ডাকসুর ভিপি হওয়ার পর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছিলেন , এখন কেন তিনি এসব অস্বীকার করছেন তা আমার বোধগম্য নয় । তিনি বলেন  বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে      ছাত্রলীগ এবং স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের ভুমিকা অস্বীকার করলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকেই অস্বীকার করা হয় ।  তিনি বলেন দেরাদুন এবং তান্দুয়াতে বিএলএফ বা মুজিব বাহিনীতে এবং হাজার হাজার যুবক যে যোগ দিল তার সব টুকু কৃতিত্ব স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস এবং ছাত্রলীগের । তারাই স্বাধীনতাপূর্ব কালে দেশব্যাপী ছাত্র যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার জন্য অনুপ্রানিত করেন । কামাল সাঈদ মোহন বলেন আমি  আমার সেই সব স্মৃতি কখনও ভুলবো না ।

    সাক্ষাকারের গ্রহনে , হাবিব বাবুল  ( সংগৃহিত শুদ্ধস্বর.কম হতে)

  • কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ

    কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ


    গত ২২ জুন ২০১৯, শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১ম পৃষ্ঠায় কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোামুখি আমির হোসেন আমুর জবানীতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধী করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো:
    বাংলাদেশ প্রতিদিনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকারে জাতীয় বীর বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে অচেনা কাজী আরেফ বলে কটাক্ষ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। আমরা মনে করি, যাদের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অবস্থান নেই তাদের কাছে কাজী আরেফ অচেনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন।
    কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ৬ দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

    বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সাথে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ অধিনায়কদের সাথে সমন্বয় করেছেন। স্বাধীকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ যে বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ৬০ দশকের ছাত্রলীগের হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ে কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ঐ সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থী ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয় পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল।

    কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তীতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিছারনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসাবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারন করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রাামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণ আদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এসব কিছু জানার পরও তার সমসাময়িককালের একজন রাজনীতিক কর্তৃক তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নিম্ম রুচি ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করবে মাত্র।
    বার্তা প্রেরক

    আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম
    দফতর সম্পাদক



  • Untitled post 6703

    কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলে আমুর কটাক্ষের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদ

    গত  ২২ জুন ২০১৯, শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১ম পৃষ্ঠায় কলামে পীর হাবিবুর রহমানের ইতিহাসের মুখোামুখি আমির হোসেন আমুর জবানীতে “রাজ্জাক তো সিরাজের বিরোধী করেছিলেন, অচেনা আরেফকে নিয়ে নিউক্লিয়াস হয় কী করে?” শীর্ষক প্রতিবেদনটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হলো:
    বাংলাদেশ প্রতিদিনে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর সাক্ষাৎকারে জাতীয় বীর বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফকে অচেনা কাজী আরেফ বলে কটাক্ষ করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি। আমরা মনে করি, যাদের ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অবস্থান নেই তাদের কাছে কাজী আরেফ অচেনা। আজকের প্রধানমন্ত্রী ৬০ দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ও ৬৬-৬৭ শিক্ষাবর্ষে ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি শেখ হাসিনা খুব ভাল করেই কাজী আরেফকে চিনতেন, তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতেন। তাই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজী আরেফ আহমেদকে হত্যার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাজী আরেফ আহমেদের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে সমাধিস্থ করার নির্দেশ দেন।
    কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৬০ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সে বছরই তিনি পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে এ সময় ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ সর্বপ্রথম ৬ দফার সমর্থনে ঢাকায় মিছিল বের করেন। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

    বিএলএফ/মুজিব বাহিনীর দক্ষিণ অঞ্চলীয় কমান্ডের ব্যারাকপুরস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে অধিনায়ক অধিনায়ক তোফায়েল আহমেদ, উপ অধিনায়ক নুর আলম জিকুর সাথে মিলে কাজী আরেফ আহমেদ হাজার হাজার গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচালনা করেছেন এবং চার অঞ্চলের অধিনায়ক ও উপ অধিনায়কদের সাথে সমন্বয় করেছেন। স্বাধীকার-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে প্রকাশ্যে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে কাজী আরেফ আহমেদ যে বীরত্বপূর্ণ দুঃসাহসিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। ৬০ দশকের ছাত্রলীগের হাতে গোনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতার মধ্যে অন্যতম কাজী আরেফ আহমেদকে অচেনা বলা বা না চেনার ভান করা সেই সময়ে কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মীর জ্ঞানপাপ ও মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। আর সত্যি সত্যি না চিনে থাকলে বলতে হয়, তিনি আর যাইহোক মন দিয়ে ঐ সময় ছাত্রলীগ করেননি বা ছাত্রলীগে থাকলেও মনে মনে পাকিস্তানপন্থী ছিলেন- যার কাছে শুধু কাজী আরেফ আহমেদই নয় পুরো ছাত্রলীগই অচেনা ছিল।

    কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে চির উজ্জ্বল ধ্রুবতারা। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম-স্বাধীকার সংগ্রাম-স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধে তার কিংবদন্তীতুল্য অবদান অস্বীকার করা মানেই জাতির সবচাইতে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। স্বাধীন বাংলাদেশেও জাসদ গঠন করে সমাজবিপ্লবের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রাম পরিছারনা করা, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির দ্বন্দ্বকে রাজনীতির প্রধান দ্বন্দ্ব হিসাবে নির্ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য ও সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িকতা-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-অসাম্প্রদায়িকতা-ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা ধারন করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সংগ্রাামের মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব ও রাজনৈতিক পথ বিনির্মাণ করেন। তার এই রাজনৈতিক তত্ত্ব ও লাইনের ভিত্তিতেই ১৯৮০ সালে জিয়ার বিরুদ্ধে ১০ দলীয় জোট, ১৯৮৩ সালে এরশাদের বিরুদ্ধে ১৫ দলীয় জোট, ১৯৯২ সালে ঐতিহাসিক গণ আদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন গড়ে উঠে। এসব কিছু জানার পরও তার সমসাময়িককালের একজন রাজনীতিক কর্তৃক তার প্রতি কটাক্ষ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের নিম্ম রুচি ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার অপচেষ্টা স্বাধীনতা বিরোধীদের খুশি করবে মাত্র।
    বার্তা প্রেরক

    আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম
    দফতর সম্পাদক

  • সংসদ ভবনের জামাতে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের


    ঢাকা: সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বুধবার (০৫ জুন) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনে বৃষ্টির কারণে টানেলে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামায়াত শেষে মন্ত্রী একথা বলেন।

    কাদের বলেন, অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সবাইকে এক হতে হবে। এবার সড়কের অবস্থা খুব ভালো ছিলো। প্রশাসনসহ সবার প্রচেষ্টায় মানুষ স্বস্তি নিয়ে ঈদ করতে পেরেছে। আমাদের ইতিহাসে সড়কে এমন স্বস্তি কখনও দৃশ্যমান হয়নি। এবার ঈদযাত্রা ইতিহাসের স্বস্তিদায়ক যাত্রা।

    সংসদ ভবনের এ জামাতে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া উপস্থিত ছিলেন। 

    এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ এলাকার মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেন।

  • দিনাজপুর বড় ময়দানে ঈদ জামাত


    দিনাজপুর: উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, এতে অংশ নিয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি।

    বুধবার (৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় দিনাজপুর বড় ময়দানে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, বড় ঈদগাহ মিনার নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম।

    দিনাজপুর বড় ময়দানে ঈদ জামাতে লাখো মুসল্লি। ছবি: বাংলানিউজ

    দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও দিনাজপুরে আবহাওয়া ছিল স্বাভাবিক। তাই সকাল থেকেই বড় ময়দান অভিমুখে মুসল্লিদের ঢল নামে। এরপর অনুষ্ঠিত হয় নামাজের জামাত। পরে জামাতে অংশগ্রহণকারীরা কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত দিনাজপুর বড় ময়দানে অনুষ্ঠিত হল। এখানে প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। যা দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত।

    পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম  জানান, ঈদের প্রধান জামাতকে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ঈদগাহের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির পর জামাতে প্রবেশ করানো হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সাদা পোশাকধারী পুলিশ ঈদগাহ প্রাঙ্গণে দায়িত্ব পালন করেন। 

    র‌্যাবসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও নিরাপত্তা তৎপর ছিলেন। মাঠের নিরাপত্তার জন্য নির্মিত হয় চারটি বিশাল পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এছাড়া ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ পথ থেকে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন: সংশোধন করা হচ্ছে আইন, আদালতে যেতে পারবেন ভোক্তা


    সংশোধন করা হচ্ছে আইন, আদালতে যেতে পারবেন ভোক্তা


    সংশোধন করা হচ্ছে ভোক্তা আইন। পণ্যে ভেজাল ও বিক্রিতে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণায় আগে শুধু বিক্রেতাকেই শাস্তি দেয়া হতো। এবার উৎপাদনকারী ও আমদানিকারককে শাস্তির বিধান রেখে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ সংশোধন করে ২০১৮ খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর গণমাধ্যমকে বলেন, অধিদফতর ভোক্তার অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। সপ্তাহের ৫ দিন দুটি করে ঝটিকা বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তারা যেন আরও বেশি সুফল পান, এ জন্য আইনে বেশ কিছু ধারা পরিবর্তন ও সংযোজন করা হচ্ছে।

    ইতিমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। যা চূড়ান্ত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কেবিনেটে এ আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সেখান থেকে ভেটিংয়ে পাঠানো হবে। পরে তা জাতীয় সংসদে আইন পাস করা হবে বলে আশা রাখছি। আইনটি চূড়ান্ত হলে ভোক্তা আইন-২০০৯-এর পরিবর্তে ২০১৮ নামে অভিহিত হবে।

    এদিকে খসড়া আইন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আইনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নামটি সংক্ষিপ্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলমান ভোক্তা আইন ২০০৯-এ ভোক্তা তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে বিক্রেতার বিরুদ্ধে অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে।

    কিন্তু নতুন আইনের খসড়ায় দেখা গেছে, ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক বা অধিদফতরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে পারবে। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তার চেয়ে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে।

    তাছাড়া পণ্য বা সেবা কিনে প্রতারিত হলে ভোক্তা চলমান আইনে শুধু বিক্রেতাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ করেন। কিন্তু নতুন আইনের খসড়ায় বিক্রেতাসহ উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী অথবা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাকে অভিযুক্ত করা যাবে। পরে তাদের কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে ভোক্তা আইনে শাস্তি প্রদান করা হবে। এ ছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয়কালে বিক্রেতা থেকে একটি রসিদ বাধ্যতামূলকভাবে ক্রেতাকে দিতে হবে।

    না দিলে অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিক্রেতাকে ভোক্তা আইনে শাস্তির আওতায় আনা হবে। নতুন আইনে ভোক্তা কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিতের কারণ উদ্ঘাটন হওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা অথবা জেলা মেজিস্ট্রেট বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোনো কর্মকর্তার কাছে একজন ভোক্তা অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। খসড়ায় আরও প্রস্তাব করা হয়েছে- ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দোষ প্রমাণ হলে ও আইনে জরিমানা করলে তাৎক্ষণিক অর্থ জরিমানা প্রদান করতে হবে। তবে কোনো যৌক্তিক কারণ গ্রহণযোগ্য হলে অধিদফতরের আরোপিত জরিমানা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করতে পারবে।

    অন্যদিকে নতুন আইনের খসড়ায় প্রশাসনিক আদেশের বিরুদ্ধে দোষী ব্যক্তির আপিলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে অধিদফতরের মহাপরিচালকে আদেশ প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আপিল করতে পারবেন। আর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থেকে কোনো শাস্তি প্রদানের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন অভিযুক্তরা। তাছাড়া কোনো পণ্য বা সেবা প্রদানকারীর অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দ্বারা সেবাগ্রহীতার যে কোনো ক্ষতি হলে ভোক্তা অধিকার অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

    এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত মোড়কজাত পণ্যে উৎপাদনের তারিখ মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, মডেল বা ব্যাচ নম্বর, উৎপাদনকারী বা আমদানিকারকের নাম-ঠিকানা না দেয়া হলে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। নতুন আইনের খসড়ায় দোকান বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে মোড়কবিহীন পণ্য অথবা সেবার মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে টানাতে বলা হয়েছে।

    যদি তা না করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে উপাদান সংরক্ষণ না করে পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি করলে ২ বছর কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা অর্থ দণ্ড দেয়া হবে। এ ছাড়া উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

    উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক কর্তৃক মোড়কে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করলে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। পণ্যে ভেজাল মিশ্রণ হয়েছে কি না অথবা ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে উৎপাদন, আমদানি বা মজুদ অথবা সরবরাহ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর তদারকি করে প্রমাণ পেলে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো পণ্য বিক্রি করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

    এদিকে লাইসেন্স বা সরকারের লিখিত অনুমোদন ব্যতীত অবৈধভাবে কোনো পণ্য প্রস্তুত অথবা বিক্রি করা হয়েছে কি না তার তদারকি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাকে প্রতারিত করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক কর্তৃক মোড়কে ঘোষিত নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রির ক্ষেত্রে ক্রেতা বা সেবাগ্রহীতাকে প্রয়োজনীয় তথ্য বা রসিদ প্রদান করা হয়েছে কিনা, তা তদারকি করে দোষ পেলে শাস্তি দেয়া হবে।

    এ জন্য অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেয়া হবে। ওজন বা যথাযথ পরিমাপে ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি না করলে এক বছর কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

    কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ভোক্তা আইন সংশোধনের যে প্রস্তাব, সেটা পুরোটাই প্রশংসনীয়।

  • কারাবন্দি  বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ

    কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ

    এবার কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঈদ কাটবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। সেখানেই পঞ্চমবারের মতো কারাবন্দি অবস্থায় ঈদ করবেন তিনি। এর আগে চারবার কারাগারে ঈদ করেছেন তিনি।

    এ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করেছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।

    ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, একজন বন্দির মতো খালেদা জিয়া কারা জেল কোড অনুযায়ী খাবার পাবেন। ঈদের দিন অনুমতি সাপেক্ষে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।

    এদিকে কারা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়াকে দেওয়া হবে পায়েস, সেমাই ও মুড়ি। এসবই ঢাকা কেন্দ্রীয় (কেরানীগঞ্জ) কারাগারের কারারক্ষীদের তৈরি। তবে অন্যান্য কয়েদির মতো নয়, তার খাবার তৈরি হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ও ডায়েট চার্ট অনুযায়ী।

    এ ছাড়া খালেদার দুপুরের মেন্যুতে থাকবে ভাত অথবা পোলাও। তিনি এই দুইটির মধ্যে যেটি খেতে চান সেটি আগে থেকে কারাগারে জানিয়ে দিতে পারবেন। ভাত অথবা পোলাও যাই অর্ডার করুক না কেন এগুলোর সঙ্গে পাবেন ডিম, রুই মাছ, মাংস আর আলুর দম। রাতে থাকছে পোলাও। সঙ্গে গরু অথবা খাসির মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন, পান-সুপারি এবং কোমল পানীয়।

    এসব মেন্যুর বাইরে খালেদা জিয়া অন্য কোনো খাবার খেতে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারবেন। তবে সেই আইটেম তাকে দিতে বাধ্য নয় কারা কর্তৃপক্ষ।

    এদিকে বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদের দিন দলের সিনিয়র নেতারা প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিএসএমএমইউ যাবেন। সেখান থেকে বনানীতে খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করবেন।

    এ ছাড়া ঈদের দিন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন তার পরিবারের সদস্যরা। তারেক রহমানের পরিবার, কোকোর স্ত্রী ও মেয়েরা লন্ডনে থাকায় খালেদা জিয়ার ভাই, বোন ও তাদের ছেলে-মেয়েরা কারাগারে দেখা করতে যাবেন। 

    সূত্র আরো জানায়, ঈদের দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এর আগে ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর প্রথম রোজার ঈদ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাবজেলে কাটান বিএনপি চেয়ারপার্সন। এরপর ২০০৭ সালের ২১ ডিসেম্বর কোরবানির ঈদও ওই সাবজেলেই উদযাপন করেন তিনি। ওই কারাগারে ৩৭২ দিন কাটানোর পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পান।

    ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর কয়েকবার গ্রেপ্তার হন খালেদা জিয়া। এ ছাড়াও এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে, ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। তবে তখন তাঁকে বেশিদিন কারাবন্দি থাকতে হয়নি।

    গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি হয়ে সাজা ভোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। 

  • যানজটের মধ্যে মহাসড়কে সন্তান প্রসব

    যানজটের মধ্যে মহাসড়কে সন্তান প্রসব

    বিনোদন খবর :হাবিব হোসেন তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর থেকে লোকাল একটি পরিবহনে রওনা দেন কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে। তবে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর এলাকায় শুরু হয় তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা। পরে সড়কের ওপরই তার স্ত্রী কন্যা সন্তান প্রসব করেন।

    বর্তমানে মা ও মেয়ে দুইজনই সুস্থ রয়েছেন। পরে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই নার্স সেতু এলাকায় এসে শিশু সন্তানসহ মাকে চিকিৎসা দেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

    হাবিব হোসন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৩নং ভোগদাঙ্গা ইউনিয়নের পোরার ভিটা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। হাবিব মহাসড়কে জন্ম নেয়া তার মেয়ের নাম রেখেছেন স্মরণী।

    জানা গেছে, হাবিব হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে বসবাস করেন। তিনি গাজীপুর শহরে কখনও রিকশা, কখনও শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে স্ত্রীকে নিয়ে কুড়িগ্রামে রওনা দেন লোকাল একটি পরিবহনে। মাঝে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সেতুর গোলচত্বর এলাকায় স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়।

    হাবিব হোসেন জানান, গাড়িতে প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে ধরে সড়কের পাশে রাখা হয়। এ সময় গাড়ির একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রী আফরোজা বেগম কন্যা শিশু জন্ম দেন। এর পর ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নার্সসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে। পরে নার্সরা স্ত্রীকে চিকিৎসা সেবা দেন। বর্তমানে মা ও মেয়ে দুইজনই সুস্থ রয়েছেন।

    এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স সাজেদা খাতুন জানান, ঘটনাস্থলে আসার আগেই সড়কের ওপরেই ওই নারীর সন্তান প্রসব হয়েছে। এরপর মা-মেয়েকে চেকআপসহ চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

  • সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ’র মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গভীর শোক জ্ঞাপন



    সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আর নেই (ইন্নলিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি
    রাজিউন)। শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে সময় ব্যাংককের একটি
    হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হযয়েছিল ৬৯
    বছর। মাহফুজ উল্লাহ’র বড় মেয়ে অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ডা. মেঘলা তাঁর বাবার
    মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    তার মৃত্যুতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করেছে। একই সাথে তার
    বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা
    প্রেসক্লাবে সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী,
    সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস
    সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন,
    সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম
    খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন,
    জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, জিএম আদম শফিউল্লাহ সহ
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।

  • শতাধিক জুনিয়র শিক্ষকের এএনটিআরসিএ’র ভুলের কারণে এমপিওভুক্তি না হবার আশঙ্কা


    দিলীপ কুমার দেব : সমগ্র দেশের বিদ্যালয়সমূহের জুনিয়র শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্র্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ভুলের কারণে এনটিআরসিএ কর্র্তৃক নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত শতাধিক জুনিয়র শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে যোগদান করেও এমপিওভুক্তি না হবার আশঙ্কায় চরম হতাশার মধ্যে পড়েছেন। এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের নিকট অনলাইন আবেদন করার তারিখ অতিবাহিত হলেও জুনিয়র শিক্ষকগণ আবেদন করা হতে বঞ্চিত হয়েছেন। বিদ্যালয়সমূহের শুন্যপদ পূরণের চাহিদা আহ্বানকালে প্রার্থীরা জুনিয়র শিক্ষকের এমপিওভুক্ত শুন্যপদে আবেদন করায় এনটিআরসিএ সমন্বিত জাতীয় মেধার ভিত্তিতে প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে চুড়ান্ত নিয়োগযোগ্য হিসেবে সুপারিশপত্র পাঠানো হলে জুনিয়র শিক্ষকগণ যোগদান করেন। কিন্ত যোগদানকারী জুনিয়র শিক্ষকগণ তাঁদের এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগসমূহ তাঁদেরকে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হতে বিরত রাখে।
    সংশ্লিষ্ট জুনিয়র শিক্ষকদের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ, ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০০৮.০৫(অংশ)-৯৪২ স্মারকে এক পরিপত্র জারীর মাধ্যমে ২২ অক্টোবর ২০১৫ থেকে বেসরকরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সকল শুন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখ, ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০০৮.০৫(অংশ)-১০৮১ স্মারকে আর এক পরিপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্র্তপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিকট বেসরকরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সকল শুন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করা এবং এনটিআরসিএকে শিক্ষকদের নিয়োগের দায়িত্ব দেয়ার পূর্বে ১১ অক্টোবর ২০১৫ ৩৭.০০.০০০০.০৭২.৪৪.০৬৯.১২-৫৩০ স্মারকে বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে কেবল এমপিওভুক্ত শুন্যপদে নিয়োগের জন্য এক পরিপত্র জারী করা হয়। উক্ত পরিপত্রটি সংশোধন করে ২৬ মে ২০১৬ তারিখ, ৩৭.০০.০০০০.০৭২.৪৪.০৬৯.১২.১৩ স্মারকে পুনরায় আর একটি পরিপত্র জারি করে বলা হয়, ‘যে সকল বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত রয়েছে (অর্থাৎ ১ম-১০ম শ্রেণি বা ১ম-১২ শ্রেণি পর্যন্ত) সে সকল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্তরে কেবল এমপিওভুক্ত শুন্যপদে ০১.০১.১৯৮২ তারিখের জনবল কাঠামো অনুসরণে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাথে সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হলে তাদের পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা যাবে’। উক্ত ০১.০১.৮২ তারিখের ‘স্টাফিং প্যাটার্ণ’-এ ‘মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর’র ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘স্কুলের প্রাথমিক শ্রেণীসমূহ চালু থাকিলে প্রতি শাখা ও শ্রেণীর জন্য ০১ জন শিক্ষক অনুদান পাইতে পারেন’।
    এরপর এনটিআরসিএ ০৯ মে ২০১৭ তারিখ, বেশিনিক/শি.শি./বে.শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিঃ নিয়োগ/৫৭৪/২০১৬/৯৭ স্মারকে সকল বেসরকারি (এমপিও ও ননএমপিও) বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের শুন্যপদে চাহিদা পূরণের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে চাহিদা আহ্বান করলে সমগ্র দেশের বিদ্যালয়সমূহ চাহিদাপত্র জমা দেয়। পুনরায় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে এনটিআরসিএ কর্তৃক সমগ্র দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে ২৬ আগষ্ট ২০১৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত নিয়োগযোগ্য শুন্যপদ পূরণের জন্য চাহিদা আহ্বান করা হলে সর্বমোট ৪০,২৮৭টি শিক্ষক পদ পূরণের জন্য অনলাইনে চাহিদা পাওয়া যায়। এই চাহিদার মধ্যে জুনিয়র শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত শুন্যপদ পূরণের চাহিদাও রয়েছে। যে শুন্যপদসমূহ পূরণে দীর্ঘদিন যাবৎ সুযোগ ছিল না।
    ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর এবং ২০১৬ সালের ২৬ মে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে ০১.০১.১৯৮২ সালের জনবল কাঠামো অনুসরণে এমপিওভুক্ত শুন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হলে সমগ্র দেশের বেসরকারি বিদ্যালয়সমূহের জুনিয়র শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত শুন্যপদ পূরণে তৎপর হয়ে ওঠে। কিন্তু এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ শুন্যপদের চাহিদা আহ্বানের গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুসরণে নিয়োগের কথা উল্লেখ করলেও এনটিআরসিএ শুন্যপদের চাহিদা আহ্বান করার সময় অন্যান্য শিক্ষকদের পদের সাথে জুনিয়র শিক্ষকদের পদও উল্লেখ করা হয়। সেই সাথে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইনে এনটিআরসিএ’র পাবলিক সার্কুলেশনে সংশ্লিষ্ট স্কুলের নাম, ঠিকানা, পদ, বিষয়, শুন্যপদের সংখ্যা এবং ওই পদ এমপিওভুক্ত কিনা তাও উল্লেখ করা হয়।
    প্রাপ্ত আবেদনপত্রসমূহ সরকারি নীতিমালা অনুসরণে মেধাক্রম অনুযায়ী টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে নিয়োগযোগ্য পদের বিপরীতে এনটিআরসিএ কর্তৃক বিদ্যালয় নির্বাচিত করে, নিজ পদ ও বিষয় উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৮.০০৮.০৫ (অংশ)-১০৮১ নং পরিপত্রের ৪.০ ও ৫.০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এবং এনটিআরসিএ ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯ তারিখ, বেশিনি/শি.শি./ বেশিপ্রশি.নি/৮৫৪/২০১৮/২৩৫ স্মারকে নিয়োগের জন্য সুপারিশপত্র আনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করে। এছাড়া প্রার্থীর নিজ মোবাইল সেটে মেসেস পাঠিয়ে বাছাই নিশ্চিত করা হয়। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়েও মেসেস পাঠানো হয়। এনটিআসিএ থেকে চুড়ান্ত নিয়োগযোগ্য সুপারিশপত্র পেয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি সেই সকল জুনিয়র শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদানের জন্য সভা আহ্বান করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাঁদের ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেই যোগদানের ব্যবস্থা করে। যোগদানের পর এনটিআরসিকে অনলাইনে যোগদান নিশ্চিত করা হয়। এভাবে বাছাই ও নিয়োগ প্রক্রিয়া বিনা খরচে সম্পন্ন হয়। এনটিআরসিএ’র এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে জুনিয়র শিক্ষকদের নিয়োগ, যোগদান এবং পরবর্তিতে এমপিওভুক্তির কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়নি অথবা জুনিয়র শিক্ষক পদে আবেদনকালে এই পদে আবেদন করা যাবে না এধরনের কোন বাধা না থাকায় প্রার্থীরা সহজেই আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আঙ্গারদোহা গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন খানের ছেলে মোঃ আবু দাউদ খান এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সুপারিশ পেয়ে খুলনার রূপসা এলাকায় ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাস্ট্রী সেকেন্ডারী স্কুলে জুনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু তিনি নতুন এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে গেলে এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী এমপিওভুক্তির সুপারিশ করা সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এনটিআরসিএ’র অনলাইনে আবেদন করার সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র শিক্ষক পদ দেখে ও স্কুলের নাম, ঠিকানা, বিষয়, শুন্যপদের সংখ্যা এবং ওই পদ এমপিওভুক্ত কিনা তা দেখে আবেদন করেছি। তখন বিদ্যালয় পর্যায়ে জুনিয়র শিক্ষক পদ ছিল। চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার বড়গাছী গ্রামের আমানত আলীর ছেলে আব্দুল ওয়াদুদ শহীদ মাহমুদ পুলিশ লাইন স্কুল এ্যা- কলেজ সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে নিয়োগ পান। তিনি জানান, নতুন এমপিওভুক্তির অনলাইনে আবেদন করতে গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগ থেকে তাঁকে অনলাইলে আবেদন করতে নিষেধ করে। বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার রাজিয়া গ্রামের মোঃ লুৎফর শেখের ছেলে মোঃ মনজুর শেখ একই উপায়ে বাগেরহাট সদর উপজেলার ফতেপুর নি¤œ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত শুন্যপদে যোগদান করেন। তিনি বলেন, এনটিআরসিএ’র অনলাইনে স্কুলের জুনিয়র শিক্ষকের পদ যদি না থাকতো তা হলে আমি আবেদন করতাম না। তাঁর প্রশ্ন, তিনি এনটিআরসিএ’র বাছাইয়ের পর যোগদান করেও এমপিওভুক্তির হতে বঞ্চিত হবেন কেন? মোঃ মনজুর শেখ এসব বিষয়ে কথা বলতে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যানের নিকট তিনবার গেলেও তাঁকে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
    এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে একই ভাবে নিয়োগ পেয়েছেন খুলনার নিরালা এলাকার আখতার উজ জামানের ছেলে ফয়সাল উজ জামান। তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগকালে যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ আর্থিক সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে সেজন্য সরকার আমাদের আর্থিক হয়রানী থেকে মুক্তির জন্য এনটিআরসিএ’র নিকট দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্ত এনটিআরসিএ’র এই ভুলের কারণে আমাদের যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেই কথা এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারছি না। যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত শুন্যপদে যোগদান করেন বিলাস চন্দ্র ম-ল। সাতক্ষীরা নৈশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে যোগদান করেন ৫ জন জুনিয়র শিক্ষক, তাঁদের মধ্যে র্তমানে কর্মরত আছেন চারজন শিক্ষক। তাঁরা হলেন, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ মহিদুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ ও মোঃ হুমায়ূন কবির।
    অনুরূপ ভাবে ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাস্ট্রি সেকেন্ডারী স্কুল, খুলনা-এ ০৪টি, মিরকা হসিনা বানু গালস হাই স্কুল, ভালুকা, ময়মনসিং-০৪টি, আহমেদ আলী হাই স্কুল, মণিরামপুর, যশোর-০৪টি, ফতেপুর জুনিয়র গালস হাই স্কুল, বাগেরহাট সদর-০৩টি, আন্ধারমানিক গালস হাই স্কুল, মোল্লারহাট, বাগেরহাট-০৩টি, খুলনা সেন্টস জেভিয়াস সেকেন্ডারী স্কুল-এ ০১টি, কাজী আব্দুল জব্বার হাই স্কুল এ- কলেজ, কয়রা, খুলনা-এ ০১টি, এভাবে সারা দেশের সেকেন্ডারী স্কুলের এনটিআরসিএ’র পাবলিক সার্কুলেশনে বহু সংখ্যক জুনিয়র শিক্ষকের এমপিওভুক্ত শুন্যপদ দেখা যায়।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল এবং মানবাধিকার সংস্থা ‘নিজ অধিকার’ সাতক্ষীরার সহ সভাপতি অধ্যাপক লিয়াকত পারভেজ বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়সমূহের শুন্যপদ পূরণের জন্য আবেদন আহ্বানকালে জুনিয়র শিক্ষক পদ উল্লেখ থাকায় প্রার্থীরা আবেদন করেছেন এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ায় বাছাই করে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এই বাছাই প্রক্রিয়ার সময় যদি এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ জুনিয়র শিক্ষকদের নিয়োগ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালার আলোকে করার ইচ্ছা করত তাহলে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে পারত। কিন্তু তারা জুনিয়র শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার আবেদন বাতিল করেনি। বরং নিয়েগের জন্য সুপারিশ করে বিদ্যালয়সমূহে পাঠিয়েছে। এক্ষেত্রে যথানিয়মে এমপিওভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
    খুলনা আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নিভা রাণী পাঠক জানান, বিদ্যালয়সমূহের জুনিয়র শিক্ষক নিয়োগে সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুসরণ করা হয়নি। এই নীতিমালায় জুনিয়র শিক্ষকের পদ নেই। একারণে জুনিয়র শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মহোদয়ের নিকট শিঘ্রই সুনির্দিষ্ট মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জুনিয়র শিক্ষকদের বিষয়ে কথা বলার জন্য এনটিআসিএ’র চেয়ারম্যানের ল্যা- ফোনে(০২ ৪১০৩০১৪৩) বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাঁর সাথে কথা বলা যায়নি।
    জুনিয়র শিক্ষকদের অভিমত, এনটিআসিএ যদি চাহিদা আহ্বানকালে এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুসরণ করে জুনিয়র শিক্ষকের পদ না উল্লেখ করত তাহলে ওই পদে কোন আবেদন পড়ত না। এখন এনটিআসি’র ভুলের কারণে এমপিওভুক্তি না হবার আশঙ্কায় জুনিয়র শিক্ষকরা এখন বিপদ গ্রস্থ। এদিকে এমপিওভুক্তির মাস হিসেবে চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এমপিওভুক্তির জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে এমপিওভুক্তির অনলাইন আবেদন পাঠানোর কথা থাকলেও আবেদন পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয় নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্র্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কি ভাবছেন তা জানা যায়নি।

  • বনানীতে আগুনে নিহত অন্তত ১৯

    বনানীতে আগুনে নিহত অন্তত ১৯

    ডেস্ক রিপোট: রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে এতে ৭০ জন আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। নিহতরা হলেন, শ্রীলঙ্কান নাগরিক নিরস (কুর্মিটোলা হাসপাতাল), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বালুগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭) বনানী ক্লিনিক, দিনাজপুর জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে মামুন (ইউনাইটেড হাসপাতাল, আমিনা ইয়াসমিন (৪০) (এ্যাপোলো হাসপাতাল), আবদুল্লাহ ফারুক (ঢাকা মেডিকেল), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)। পরবর্তীতে ওই ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া বাকিদের নাম জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের ওই ভবনটির ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। এছাড়াও ল্যাডার ইউনিট (বহুতল ভবন থেকে উদ্ধারকারী সিঁড়ি) ও মোটরসাইকেল ইউনিটও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী কর্মীরা ভেতরে অবস্থান করছেন। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান। আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় এমপি আকবর হোসেন পাঠান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, ভবনটিতে দ্যা ওয়েভ গ্রুপ, হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস, আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ছাড়াও অর্ধশতাধিক অফিস রয়েছে।

  • জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর

    জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর

    ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে ৪৯তম স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
    রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান।
    শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে তাঁরা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
    বাংলাদেশ সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস সদস্যরা এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগেলে করুণ সুর বাজানো হয়।
    প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
    পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তাঁর দলের পক্ষ থেকে আরেকটি শ্রদ্ধাঞ্জলী জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে অর্পণ করেন।
    এছাড়াও, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ’৭১ এর বীর শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
    জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এবং মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাও শহীদদের বেদীতে শ্রদ্ধা জানান।
    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।