Category: জাতীয়

  • সরকার স্যাংশন ও ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের

    সরকার স্যাংশন ও ভিসানীতির কেয়ার করে না: কাদের

    ওবায়দুল কাদের।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার কোনো রকম স্যাংশন বা ভিসানীতির কেয়ার করে না। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। তাকে সরকার দাওয়াত দিয়ে আনেনি।

    মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মত বিনিময়কালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে এসেছিলেন, তখন ভিসানীতি, স্যাংশনের বিষয় ছিল। এখন আবার আসলেন- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের স্যাংশন, ভিসানীতি- এগুলো কেয়ার করি না।’

    যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর বিষয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কোনো আলোচনা করতে চাই না। রুটিন আসা আসবে, যাবে। তারা কি করছে না করছে জানি না। তারা উপরে-উপরে পাত্তা দেয় না, তলে-তলে আবার কি করে সেটা তো বলা মুশকিল।’

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাকে নিয়ে বাংলাদেশ এতো মাতামাতি কেন? তার প্রয়োজনে সে এসেছে। তাদের অ্যাজেন্ডা আছে। সম্পর্ক যখন থাকে সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা থাকে। তো সেটা তারা করতে আসছেন। আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনছি না।’

  • শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

    দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি।

    বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার পর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বণিক বার্তাকে বলেন, শুক্রবার সমাবেশের জন্য ডিএমপি থেকে মৌখিকভাবে সম্মতি দেয়া হয়েছে।

    সমাবেশের অনুমতি নিতে বেলা ১১টায় ডিএমপি কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। তিনি বলেন, আমরা আগেই এ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

    তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

  • ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিতে উত্তীর্ণ ১০৬৩৮

    ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অনুষ্ঠিত বিশেষ সভা শেষে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।

    এর আগে, গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়।

    ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন কেন্দ্রে চাকরিপ্রার্থীরা অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা হয়।

    এ বিসিএসে তিন হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এছাড়া সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন নেওয়া হবে ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে।

  •  বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত

    প্রতিকী ছবি
    দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না বিএনপি। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো। জামায়াত প্রথম অংশ নেবার কথা থাকলেও পরে অন্য কোনো বিরোধী দল অংশ না নেওয়ায় তারাও বর্জন করে। এদিকে বিএনপির স্থানীয় ৬৬-৬৫ জন নেতা এই নির্বাচনে অংশ নেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যদিও তাদের সবাইকে বিএনপি বহিষ্কার করেছে।

    জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হয়েছে গতকাল বুধবার। এই ভোটে বিএনপি অংশ নেয়নি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন। যদিও তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বিএনপির বহিষ্কৃত এসব নেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এবারের ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

    বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতাদের জয়জয়কার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জয়ী এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়ই আওয়ামী লীগের নেতা। এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অন্তত ৭ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

    এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় বিজয়ী হন আব্দুল কুদ্দুছ। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পান। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে বড় ব্যবধানে হারান তিনি।

    শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় দোয়াত-কলম প্রতীকে ১৮ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা আমিনুল ইসলাম বাদশা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ ফারুক। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ ভোট। চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুটিতেই বেসরকারিভাবে জয় পেয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। অন্য একটিতে জিতেছেন আওয়ামী লীগ নেতা।

    গোমস্তাপুর উপজেলায় আশরাফ হোসেন আলিম ও ভোলাহাট উপজেলার নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। আশরাফ হোসেন গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এবং আনোয়ার হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ভোলাহাট উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম চিংড়ি মাছ প্রতীকে ১৩ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেক পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৬৬ ভোট।

    গোমস্তাপুর উপজেলায় মোহা. আশরাফ হোসেন আলিম আনারস প্রতীকে ৪০ হাজার ৬২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন রেজা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১ ভোট।

    ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। আনাসর প্রতীকে ৩৪ হাজার ১৮৫ ভোট পেয়েছে তিনি। আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বলে জানা গেছে। নির্বাচনে তিনি হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীনকে। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৭ ভোট।

    তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বিএনপি থেকে যেসব নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই তালিকায় মোহাম্মদ আবদুল হামিদের নাম পাওয়া যায়নি।

    গাজীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন। ঘোড়া প্রতীকে তার প্রাপ্ত ভোট ১৮ হাজার ৯৬৯। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রীনা পারভীনকে হারিয়েছেন তিনি। আনারস প্রতীকে রীনা পারভীন পেয়েছেন ১০ হাজার ২০৮ ভোট।

    সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পান তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আনারস প্রতীকে ১২ হাজার ৯৬৮টি ভোট পেয়েছেন।

    দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৩ জনকে বহিষ্কার করে বিএনপি। গত ২৬ এপ্রিল গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বহিষ্কৃতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনে ২৮ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন।

  • চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী

    চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে চালের দাম কমবে : খাদ্যমন্ত্রী
       (আইসিসিবি) প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী

    খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলেই চালের দাম কমে যাবে। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) এক কেজি চালও আমদানি করতে হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরে চালের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হয়েছে। এখন আমরা অনায়াসে ৫ থেকে ৭ লাখ টন চাল রফতানি করতে পারি।’

    খাদ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ‘বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

    সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের শুধু পালিশ করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে সেটা অর্ধেক রপ্তানি করলেই হবে। কারণ উৎপাদিত প্রায় চার কোটি টনের মধ্যে তিন শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল পালিশ করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল পাঁচ দফা পালিশ করে চকচকে করা হচ্ছে। দু’বার পালিশ করলেও ৫ থেকে ৭ লাখ টন চাল বাড়বে।’ তিনি বলেন, দফায় দফায় পালিশ করার পর চালের মধ্যে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোনো পুষ্টি থাকছে না। এতে খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরি। ফলে চালের দাম প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত প্রায় চার টাকা বেড়ে যাচ্ছে। আর,এই অতিরিক্ত খরচের ভার ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে।

    খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নতুন আইন করে এ পালিশ বন্ধ করছি, মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে চালের দাম যেমন কমবে, আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল পালিশ করলে মিলমালিকরা জরিমানার শিকার হবে। আসুন সকলের প্রচেষ্টায় আমরা চাল রপ্তানির প্রস্তুতি নেই।’

    উল্লেখ্য, দেশে এক আঙিনায় খাদ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য পর্যটন নিয়ে আটটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ’র আয়োজনে তিনদিনের এ প্রদর্শনী চলবে শনিবার পর্যন্ত। খাদ্যমন্ত্রী এসব প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

    একযোগে শুরু হওয়া এসব প্রদর্শনী হচ্ছে, ৭ম ফুড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ৪র্থ ফুড প্যাক এক্সপো, ৭ম এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো এবং ৭ম পোল্ট্রি অ্যান্ড লাইভস্টক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১৫তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১০তম ফার্মা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ৮ম বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাব এক্সপো এবং ৭ম ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশ। কৃষি ও প্লাস্টিক শিল্প জগতের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, উন্নত প্রযুক্তি, পণ্য এবং পরিষেবা বিষয়ক এ প্রদর্শনীসমূহে বাংলাদেশ, তুর্কিয়ে, ভারত, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা ও চীনসহ ১৫টিরও অধিক দেশের প্রায় ১০০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।

    এছাড়া, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও সেবা নিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান, দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সহযোগিতা বিষয়ক এ প্রদর্শনীগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, তুর্কি, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলংকাসহ ১৫টিরও অধিক দেশের প্রায় ১১২টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ। আজ ৯ মে গতে আগামী ১১ মে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ব্যবসা সংশ্লিষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনীগুলো উন্মুক্ত থাকবে।বাসস

  • শেখ হাসিনা কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় করেন না: ওবায়দুল কাদের

    ন্যাশনাল ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসানীতি ও কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় করেন না। প্রয়োজনে ডাল ভাত খাবেন কিন্তু কারো কাছে মাথা নত করবেন না। 
    আজ শনিবার নোয়াখালীর কবিরহাট সরকারি কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি,উন্নয়ন ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
    বিএনপি আন্দোলনে হেরে গেছে, নির্বাচনেও হেরে যাবে এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে আজ অনেক উন্নয়ন হয়েছে, এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করেতে বিএনপি আন্দোলন করছে। যে দল আন্দোলনে হেরে যায়, সে দল নির্বাচনেও হারবে। 
    কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং কবিরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রায়হানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারি এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
    ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গত সাড়ে ১৪বছর আন্দোলন করে সফল হতে পারেনি, আগামী ৪ মাসে ও সফল হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূল শক্তি এদেশের জনগণ। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। রক্ত ঝরিয়ে বা আন্দোল করে আওয়ামী লীগকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। 
    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে হাত দিয়ে ভাংচুর করতে আসবে, জ্বালাও-পোড়াও করতে আসবে সে হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
    তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এখন এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। গত ৪৮ বছরে এমন সৎ, সাহসি  ও দক্ষ নেতা  এদেশে জন্মায় নাই। তিনি ৩ ঘন্টা ঘুমান বাকী সময় দেশের জন্য কাজ করেন। সততার দিক দিয়ে বিশ্বের প্রথম সারির কয়েক জন নেতার মধ্যে তিনিও একজন। 
    ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দারিদ্র নিরসনের জন্য বাংলাদেশ অনুসরনীয়। শেখ হাসিনা যতক্ষন ক্ষমতায় আছেন ততক্ষন আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না। এমনকি কারো কাছে মাথা নত করে না। এমন সাহসি উচ্চারন কোন নেতার মুখে কখনো শোনা যায় নি। 
    সরকারের সকল উন্নয়ন জনগনের সামনে তুলে ধরে আবারো শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

  • এসপিএম প্রকল্প চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনার নতুন যুগে প্রবেশ করবে

    ন্যাশনাল ডেস্ক : চলতি বছরের মধ্যেই সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আমদানিকৃত পেট্রোলিয়াম তেল জাহাজ থেকে স্টোরেজ হাউজে আনলোড করার নতুন যুগে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
    প্রকল্প কর্মকর্তা মনজেদ আলী শান্ত বলেন, ‘দেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে আরও সাশ্রয়ী, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের মধ্যে এসপিএম প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।’
    প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে স্থল থেকে গভীর সমুদ্র পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে যাতে সরাসরি আমদানি করা পেট্রোলিয়াম তেল এসপিএম-এ আনলোড করা যায়।
    শান্ত বলেন, ইতোমধ্যেই প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রকল্পটির পৃথক পরীক্ষা চালানো হয়েছে।’
    এসপিএম প্রকল্প এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, আমদানিকৃত পেট্রোলিয়াম তেল অফলোড করতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে যা আগে প্রচলিত পদ্ধতিতে ১১ থেকে ১২ দিন সময় লাগতো।
    তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর বহির্নোঙরে থাকা মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে জ্বালানি বহনের জন্য কোনো লাইটারেজের প্রয়োজন হবে না।
    শান্ত বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ৮৩৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ও চীনের জিটুজি প্রকল্পের আওতায় ৯০ একরেরও বেশি জমিতে এসপিএম নির্মিত হয়েছে।
    তিনি বলেন, ‘একবার এসপিএম চালু হয়ে গেলে বহির্নোঙর থেকে জ্বালানি ট্যাংকে পেট্রোলিয়াম পণ্যের পরিবহন খরচ কমবে। ফলে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এতে সময়ও বাঁচবে।
    প্রক্রিয়াটির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রক্রিয়াটিতে ১.৮০ লাখ কিলোলিটার অপরিশোধিত তেল ধারণ-ক্ষমতার তিনটি এবং ১.০৮ লাখ কিলোলিটার পরিশোধিত তেল ধারণ-ক্ষমতার তিনটি ট্যাংক ব্যবহার করা হবে।
    প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান অবকাঠামো ব্যবহার করে লাইটারেজ অপারেশনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম তেল অফলোড করা অসম্ভব এবং প্রক্রিয়াটি খুব সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ।’
    এসপিএম প্রতি বছর ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন তেল আনলোড করার ক্ষমতা রাখে।
    অপরিশোধিত তেল পরিশোধনের জন্য এসপিএম প্রকল্প থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইএফএল) পর্যন্ত একটি ১২০ কিলোমিটার পাইপলাইনও তৈরি করা হয়েছে।
    এসপিএম-এর ৪৫ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে।
    প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার (কিমি) অফশোর পাইপলাইন এবং ৫৮ কিমি অনশোর পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।
    প্রকল্পস্থল পরিদর্শনকালে বাসস’র প্রতিবেদক দেখতে পান যে এসপিএম প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে  এসেছে। ইতোমধ্যে ছয়টি স্টোরেজ ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে।
    ছয়টির মধ্যে প্রতিটি ৬০ হাজার কিলোলিটার ধারণ-ক্ষমতা-সম্পন্ন তিনটি ট্যাংক অপরিশোধিত তেল সংরক্ষণ করবে এবং বাকি প্রতিটি ৩৬ হাজার কিলোলিটার ধারণ-ক্ষমতা-সম্পন্ন তিনটি ট্যাংক ডিজেল সংরক্ষণ করবে।
    নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক ব্লু ওয়াটার এসপিএম ‘বয়া’ নির্মাণ সম্পন্ন করেছে যা প্রকল্পস্থলে শিপমেন্টের অপেক্ষায় রয়েছে।
    চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড বর্তমানে দেশের প্রথম এসপিএম সিস্টেম তৈরি করছে।
    বিপিসি বর্তমানে বড় মাদার ভেসেল থেকে তার উপকূলীয় ট্যাংকগুলোতে পেট্রোলিয়াম বহনের জন্য প্রধানত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন লাইটারেজ বা ছোট জাহাজকে টন প্রতি  ৫.৫০ মার্কিন ডলার প্রদান করে থাকে।
    এসপিএম প্রকল্পটি বিপিসির এ খরচ বাঁচাবে।
    বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৬ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত এবং ১.৩ মিলিয়ন টন পরিশোধিত তেল আমদানি করে।

  • সিরামিকস ও কেমিক্যাল কারখানা স্থাপনে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ৩০ একর জমি বরাদ্দ

    এক্স সিরামিকস লিমিটেড এবং ডাইসিন এ্যাডভান্সড মেটারিয়ালস লিমিটেড বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ৩০ একর জমি বরাদ্দ পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দু’টি সেখানে সিরামিকস ও কেমিক্যাল কারখানা স্থাপন করবে। এ লক্ষ্য আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে প্রতিষ্ঠান দু’টির আলাদা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
    বেজা কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও বেজার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
    এক্স সিরামিকস লিমিটেড বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে ২০ একর জমিতে সিরামিকসের শিল্প স্থাপন করবে। প্রতিষ্ঠানটি শিল্প স্থাপনে প্রায় ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং এতে ১৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৯ সাল থেকে সিরামিকসসহ দেশের অন্যান্য খাতে অবদান রেখে চলেছে।
    এক্স সিরামিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিন বিন মাজহার বলেন, এ পর্যন্ত তারা ২৫টি শিল্প স্থাপন করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আধুনিক টাইলস প্রস্তুত কারখানা।
    তিনি জানান, জমি হস্তান্তরের পরবর্তী ২/৩ বছরের মধ্যে শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা এবং এটি হবে তাদের বৃহৎ কারখানা।
    ডাইসিন এ্যাডভান্সড মেটারিয়ালস লিমিটেড ১০ একর জমিতে টেক্সটাইল কেমিক্যাল শিল্প স্থাপন করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি শিল্প স্থাপনে প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমানুর রহমান বলেন, ৪৫ বছরের উৎপাদন অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।  দক্ষ লোকবল এবং গবেষণার মাধ্যমে অত্যাধুনিক ল্যাবসহ ম্যানুফাকচারিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে তারা এবং বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরেও অনুরূপ শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
    তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে কেমিক্যাল শিল্পের প্রায় ৩/৪ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বাজার রয়েছে যার বেশিরভাগ আমদানীর উপর নির্ভরশীল। তাই দেশে কেমিক্যাল উৎপাদনের মাধ্যমে একটি আমদানী পরিপূরক শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি বেজাকে একটি কেমিক্যাল শিল্প পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
    বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন উভয় বিনিয়োগকারীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠানই নিজ নিজ খাতে স্বনামধন্য এবং দেশেও আন্তর্জাতিক বাজারে সুনামের সাথে ব্যবসার বিকাশ ঘটাচ্ছে। কাজেই বেজার সাথে এ সকল বিনিয়োগকারীর যোগসূত্র স্থাপনের ফলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাথে সাথে পণ্যের বৈচিত্র্য সাধন হবে। বিনিয়োগকারীদের জন্য পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সহ সব ধরনের পরিষেবা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
    বেজার নির্বাহী সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. মজিবর রহমান, এক্স সিরামিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহিন বিন মাজহার এবং ডাইসিন এ্যাডভান্সড মেটারিয়ালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমানুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

  • শিক্ষামন্ত্রীর কথায় সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

    শিক্ষামন্ত্রীর কথায় সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

    মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ফাইল ছবি: সমকাল

    মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি। ফাইল ছবি: সমকাল শিক্ষামন্ত্রীর কথায় সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা। ক্লাসে ফিরবেন না তারা। বরং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৫ মিনিট সময় চেয়েছেন  মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তিনি সময় না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
    বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ এ ঘোষণা দেন। 

    এর আগে দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখান থেকে এসে সেগুনবাগিচার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিটিএ কেন্দ্রীয় নেতারা।
    বিটিএ সাধারণ সম্পাদক কাওছার সমকালকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সভায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নেতারা বলেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা নাকি স্বাধীনতাবিরোধী। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র ধিক্কার জানাই। তবে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। 
    শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে যে কমিটি গঠন করা হবে তাতে শিক্ষক প্রতিনিধিদের রাখার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী তাতে রাজি হননি। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তিনি গ্রীষ্মের ছুটি বাতিল করেছেন। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর এই সভায় সন্তুষ্ট হতে পারিনি। শিক্ষামন্ত্রীর বিভিন্ন আচরণেও আমরা কষ্ট পেয়েছি। তারপরও তিনি আমাদের অভিভাবক, তিনি যে কমিটি করে দিচ্ছেন এটিও আমাদের একটি বিজয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫ মিনিট সময় চাই। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সময় না দেবেন আমরা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাব না। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে না বসবেন, যত প্রকার পুলিশি নির্যাতন করা হোক, রক্ত ঝরুক, আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।
    এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা শেষে বৈঠকে চারটি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। 
    সিদ্ধান্তগুলো হলো-১. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে দুটি কমিটি করা হবে।
    ২. নির্বাচনের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সম্ভব নয়।
    ৩. গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল, শীতের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।
    ৪. নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে বার্ষিক পরীক্ষা।

    মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে গত সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে আন্দোলনে সরব রয়েছেন শিক্ষকরা। সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিদিন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

  • চট্টগ্রামে সকল এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত

    চট্টগ্রামে সকল এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রামে আনোয়ারা ও মিরেরশ^রাইসহ সকল এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র বাতিল ও মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১২ জুলাই’২৩ বিকাল ০৩টায় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স চত্ত্বরে চত্বরে এ প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই বাংলাদেশ, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এক্সর্টারনাল ডেবট (বিডব্লিউজিইডি) এর যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

    প্রচারাভিযানে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, এডাব চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ঠ নারী জেসমিন সুলতানা পারু, গনতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মৃদুল দাস গুপ্ত, ছাফা মোতালেব কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাজী আবু তাহের, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ¦ আবদুল মান্নান, জেলা সামাজিক উদেক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, বাংলাদেশ ভেজিটেল ফ্রুটস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, বন গবেষণাগার কলেজের অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা আবম হুমায়ুন কবির, খুলসী থানা ক্যাবের সভাপতি লায়ন প্রকৌশলী কাজী হাফিজুর রহমান, কিন্ডার গার্ডেন ঐক্য পরিষদের নেতা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান দুর্জয়, অধ্যক্ষ এস এম আবচার উদ্দীন, মহিলা পরিষদ কালুরঘাটের সভাপতি রুবি খান, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভুইয়া, ক্যাব পশ্চিশ ষোল শহরের এম এ আওয়াল, ক্যাব চান্দগাঁও এর কলিম উল্যাহ চৌধুরী, আবদুর রহমান, এডাব’র চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়কারী ফোরকান মাহমুদ, ক্যাব যুব গ্রুপের মোঃ খাইরুল ইসলাম, রাব্বি চৌধুরী, মোহাম্মদ আবরার, চৌধুরী তুষার, ওমর করিম, রাকিব হাসান, পলি দাস, সুরমি দাস, চিং মং মারমা, মোঃ রায়হান, অমিত দাশ প্রমুখ।

    সমাবেশে এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বাজার তুলনামলূক হারে অত্যন্ত অশান্ত। ২০২১ সাল থেকে একনাগাড়ে সারাবিশ্বে এলএনজির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড গড়ছে, যা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং মল্যূস্ফিতীর কারণে উচ্চ থেকে উচ্চতর হয়েছে। বাংলাদেশ একটি দক্ষিন-এশীয় দেশ, যার গ্যাসের চাহিদার ২০% তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস(এলএনজি) আমদানির উপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক মল্যূস্ফীতির কারণে দেশের এলএনজি আমদানির সক্ষমতা ব্যপকহারে হ্রাস পেয়েছে। অতিরিক্ত দাম দিয়ে এলএনজি ক্রয বন্ধ করতে সম্পূর্ণরূপে বাধ্য হয়েছে এবং দেশের জ্বালানী ও বিদ্যুতের ঘাটতি, মূল্য বৃদ্ধির অস্থিরতা এবং সরবরাহের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

    তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে জলবায়ু-সহিষ্ণু মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকার ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ গ্রহণ করে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ, ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছে। বাংলাদেশে যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে মজিুব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান (এমসিপিপি) বাস্তবায়ন করে তাহলে অন্ততপক্ষে প্রায় ২.৭ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি সাশ্রয় হবে।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন এলএনজির উৎপাদন ও পরিবহন খরচ আনপুাতিক হারে অনেক বেশি; উৎপাদন ও পরিবহন খরচ এলএনজির মোট দামের ৮৫% পর্যন্তও হতে পারে। সর্বপ্রথম ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল ‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ নিশ্চিতকরণ লক্ষ্যে, ০.৬৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানী এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এলএনজি যাত্রায় অনপ্রবেশ করে। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চলেই প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এলএনজি প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করেও বিদুৎ সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। ২৪০ গিগাওযাট এর বায়ু এবং ১৫০ গিগাওয়াটের সৌর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, ২০২০ সালে বিদ্যুতের মিশ্রণের মাত্র ১.৩২% ছিল নবায়নযোগ্য শক্তি। পিডিবির তথ্য অনযুায়ী, দেশে ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রয়েছে যার মধ্যে গ্যাসভিত্তিক ৫৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর ও বায়ুবিদুতে বিনিয়োগ করলে বর্তমান সংকট এতটা গভীর হতো না।

    বক্তারা আরও বলেন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বাংলাদেশের প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ এবং সম্ভাবনা রয়েছে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে তূলনামলূক হারে নন্যূতম খরচে ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার, ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে কমপক্ষে ১০% বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েছিলো, সেখানে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রতি দিন মাত্র ৭৩০ মে গাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেটি মোট উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৩.৪৭%। নবায়নযোগ্য উৎসকে যথার্থ গুরুত্ব না দেওয়ার ফলে ২০২১ সালে ও নির্ধারিত লক্ষের অর্ধেকও অর্জন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎস নিয়ে যে সবপ্রকল্প পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলো যথাসময়ে উৎপাদন এবং সরবরাহের আওতায় এলে এলএনজি আমদানি বাবদ ব্যয় ২৫% কমানো সম্ভব হবে।

  • সরকারি হাসপাতালে ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা

    সরকারি হাসপাতালে ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা

    আগামী ১ মাস সকল সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিশেষ সতর্ক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
    খবর তথ্য বিবরণীর।
    এতে বলা হয়, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে, পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে বার্তায় বলা হয়েছে।
    ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তীব্রমাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া,শরীরে র‌্যাশ ওঠা,শরীরে লালচে দানা, পাতলা পায়খানা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
    এতে ডেঙ্গু জ্বর হলে খাবারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, জ্বর হলে বেশি বেশি তরল খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের রস, স্যুপ খেতে হবে।
    ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে বলা হয়েছে, ঘরের বা অফিসের বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে, মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে পারে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সকলকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
    মশার প্রজননরোধে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঘরে ও আশপাশের যে কোন পাত্রে বা জায়গায় মাঠ অথবা রাস্তায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল, ফ্রিজে জমে থাকা পানি ৩ দিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে, ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
    ডেঙ্গু বিষয়ক এই বিশেষ বার্তায় আরো জানানো হয়, ডেঙ্গু নিয়ে যেন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই এই জ্বর সেরে যায়। তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে।

  • রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ১১.৫২ শতাংশ

    রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ১১.৫২ শতাংশ

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ বিলিয়ন ডলার, আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার।
    চলতি বছরের জন্য পণ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সব মিলিয়ে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
    বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্য ও সেবা মিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এবার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা গতবছরের চেয়ে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ বাড়িয়ে ৭২ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
    সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা সম্ভব এবং আমাদের এই বক্তব্যের সাথে ব্যবসায়ীরা একমত পোষণ করেছেন। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। আমরা তাদের কথা শুনেছি এবং তাদের দাবী পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রতি দেয়া হয়েছে।
    বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত দুই অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমাদের অর্জনসহ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রপ্তানি খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির গতিধারা, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণ এবং বহুমুখীকরণে সরকারের আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রণোদনা, বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবং রপ্তানি সম্ভাবনাময় নতুন পণ্য ও সেবা খাতের বিকাশ বিবেচনায় নিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন তার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংবিধান অনুযায়ী হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো কিছুই বন্ধ থাকবে না। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবেই চলবে।অতএব নির্বাচনের বছর উপলক্ষ্যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো বিরুপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
    টিপু মুনশি জানান, ২০২৩ সালের শেষ পর্যায়ে দক্ষিণ এশিয়ার বেশীরভাগ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে বলে বিভিন্ন সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে। এই পূর্বাভাস ঠিক থাকলে এসময়ে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাণিজ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত যেসব পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে তা বিবেচনায় নিলে চলতি বছরের মন্দা অবস্থা বছরের শেষ দিকে কাটতে শুরু করবে এবং আগামী বছরে বিশ্ব অর্থনীতি পুনরায় প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরত আসবে।
    বিগত অর্থবছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য খাতে ৫৮ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে যা, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশী। পণ্য ও সেবা খাত মিলে ৬৭ বিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে যা, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেশী।
    সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সংশ্লি¬ষ্ট বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

    অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

    ন্যাশনাল ডেস্ক : অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
    এ সংক্রান্ত রিট পিটিশনে আনা আবেদনে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দেন।
    আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। তিনি আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে জানান, বিটিআরসিকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশসহ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে যাতে জুয়া খেলার অর্থ পরিশোধ করতে না পারে, বাংলাদেশ ব্যাংককে বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়েছে।
    এর আগে এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে টিভি চ্যানেল ও সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে জুয়ার বিজ্ঞাপন অপসারণ ও প্রচার বন্ধে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ওই রুল জারি করা হয়, যা এখনো বিচারাধীন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মিফতাউল আল ও সুমিত কুমার সরকার রিটটি দায়ের করেন।
    বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে সব ধরনের জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ওই নোটিশ পাঠানো হয়।

  • ২০২৪ সালে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

    ২০২৪ সালে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা

    ন্যাশনাল ডেস্ক : আগামী ২০২৪ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহ থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার সময় ৩ ঘন্টা।
    আজ বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী হবে। সব বিষয়ে পূর্ণ সময় ও পূর্ণ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
    এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ বছরে (চলতি বছর) সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়েছে। এ সময় পরীক্ষার সময় ও নম্বর কমিয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।

  • অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধের পরামর্শ ইউজিসি’র

    অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ বন্ধের পরামর্শ ইউজিসি’র

    বাসস : দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধসহ অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
    আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পে-রোল এন্ড স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম’ বিষয়ে দু’দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
    স্মার্ট একাউন্টিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
    প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ জনগণের অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,দেশের অর্থনীতির অন্যতম সমস্যা ‘কালো টাকা’। ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে উঠলে কালো টাকার বিস্তাররোধ সম্ভব হবে।
    তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপকৃত হয় এমন প্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ না করতে তিনি ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
    তিনি আরও বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে দ্রুত অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ইউজিসিকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে এবং অটোমেশনে কমিশনকে নেতৃত্ব দিতে হবে। অন্যথায়, উচ্চশিক্ষা খাত পিছিয়ে পড়ার আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
    প্রফেসর আবু তাহের বলেন, ইউজিসি স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ফরওয়ার্ডিং, ভাউচার, চেক প্রদান দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করা যাচ্ছে। এতে অপ্রোজনীয় ব্যয় বন্ধ হচ্ছে, দূর্ভোগ লাঘব এবং সময় সাশ্রয় হচ্ছে।
    তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পে-রোল এন্ড স্মার্ট একাউন্টিং সিস্টেম চালু রয়েছে। আগামীতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু করা হবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং নজরদারি সহজ হবে এবং অপ্রয়োজনীয় খাতের ব্যয় চিহ্নিত করা যাবে। সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে আর্থিকখাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা বাড়বে এবং অডিট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।
    ড. ফেরদৌস জামান বলেন, সফটওয়্যার ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ প্রেরণ সহজতর হলেও এর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
    প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, উপপরিচালক আব্দুল আলীম, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সফটওয়্যার সেল- এর সিইও মো. ওলিউল্লাহ ও সিটিও হাসনাইন শুকন।

  • প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসর প্রত্যাহার তামিমের

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসর প্রত্যাহার তামিমের

    ন্যাশনাল ডেস্ক : গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাজমুল হাসান পাপন, তামিম ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
    গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাজমুল হাসান পাপন, তামিম ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। ছবি: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
    আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আকস্মিত অবসর নেওয়ার একদিন পরই ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম ইকবাল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
    তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজে পাওয়া যাবে না জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ককে। দেড় মাসের ছুটি কাটিয়ে এশিয়া কাপে ফিরবেন তিনি। এরপর খেলবেন সব ধরনের (ওয়ানডে ও টেস্ট) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    বুধবার চট্টগ্রামে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে অবসরের ঘোষণা দেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। শুক্রবার ঢাকায় ফিরলে তাকে নিজ উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে গণভবনে নিয়ে আসেন জাতীয় দলের সফলতম সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
    এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ডেকে নেন। সেখানে বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমকে তামিম বলেন, “আজ দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে উনার বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তে উঠিয়ে নিচ্ছি। কারণ, আমি সবাইকে ‘না’ বলতে পারি, দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিকে ‘না’ বলা অসম্ভব।”
    তাকে ফিরতে বিসিবি সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক ভূমিকা রেখেছেন জানিয়ে তামিম বলেছেন, ‘তাতে (ফিরতে) পাপন ভাই, মাশরাফি ভাই ছিলেন বিগ ফ্যাক্টর। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে এনেছেন, পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এক-দেড় মাসের ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে বা অন্য কোনো কিছু, মানসিকভাবে যদি আমি ফ্রি হতে পারি… তার পর যা করা দরকার ও তারপরে যে খেলাগুলো আছে, আমি ইনশাল্লাহ খেলব।’

  • জাতীয় সংসদ কর্মকর্তাদের নতুন অফিস উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    জাতীয় সংসদ কর্মকর্তাদের নতুন অফিস উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য একটি নতুন অফিস উদ্বোধন করেছেন।
    তিনি জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর প্লাজায় ফিতা কেটে এই কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
    পরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
    এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে জাতীয় সংদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ, হুইপ, সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

  • নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, দুই জেলায় বন্যা

    নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, দুই জেলায় বন্যা

    ন্যাশনাল ডেস্ক :
    সোমেশ্বরী, সুরমা আর পুরাতন সুরমা নদীর কিছু পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে উঠে গেছে। এতে নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়ে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু এলাকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
    বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা যে পূর্বাভাস দিয়েছি তাতে আর বৃষ্টি যদি না বাড়ে তাহলে এসব এলাকার বন্যা পরিস্থিতি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উন্নতি ঘটবে। তবে বৃষ্টি বাড়লে আরও কিছু এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়তে পারে বলে তিনি জানান।
    কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ওই নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুশিয়ারা, মনু-খোয়াই ছাড়া প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
    আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও আশপাশের উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায় পরবর্তীতে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
    কেন্দ্র জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশন আছে ১০৯টি। এরমধ্যে পানি বেড়েছে ৭৩টি স্টেশনের, কমেছে ৩৫টির, আর অপরিবর্তিত আছে একটির। এদিকে বিপদসীমার ওপরে উঠেছে তিনটি স্টেশনের পানি, এতে বন্যা কবলিত হয়েছে দুই জেলা।
    সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি এখন বিপদসীমার ১৬ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। একইভাবে নেত্রকোনার কমলাকান্দার সোমেশ্বরী নদীর পানি ২৪ মিটার এবং সনামগঞ্জের দিরাই স্টেশনের পুরাতন সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার তিন মিটার ওপর দিয়ে বইছে।
    গত ২৩ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ৩১৫ মিলিমিটার। এছাড়া জাফলংয়ে ২৪৫, পঞ্চগড়ে ২৩০, ছাতকে ২১৮, জারিয়াজাঞ্জাইলে ১৭৫, সুনামগঞ্জে ১৭০, লালাখালে ১৫১, দুর্গাপুরে ১০৯, গাইবান্ধায় ১০২, রোহানপুরে ৯২, মহেশখালীতে ৯০, কানাইঘাটে ৭৮, সিরাজগঞ্জ ও দিনাজপুরে ৬০ এবং ডালিয়া পয়েন্টে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।