Category: জাতীয়

  • ক্যাবের মামলা : ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড  উতপাদিত ৫৭১০ ইউনিট আকু চেক এক্টিভ টেস্ট স্ট্রিপ ধ্বংস

    ডায়বেটিস মাপার নকল উপকরণ উৎপাদন ও বিপণনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর উৎপাদনকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ক্যাব এর দায়ের করা রিট পিটিশন নং ৬০০৪/২০২৪ এ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড  উতপাদিত ৫৭১০ ইউনিট আকু চেক এক্টিভ টেস্ট স্ট্রিপ ধ্বংস করেছে। মহামান্য আদালতের আদেশ মোতাবেক জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং ক্যাব এর দুইজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক বিগত  ৯ জুন প্রেরিত পত্রের বরাতে জানানো হয় তাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চিকিৎসা উপকরণগুলো ধ্বংসের জন্য। জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে ক্যাব জনস্বার্থে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রাথমিকভাবে হলেও সফল হতে পেরেছে।

  • দাম কমল এলপিজির, ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৩৬৩ টাকা

    দাম কমল এলপিজির, ১২ কেজির সিলিন্ডার ১৩৬৩ টাকা

    ভোক্তা পর্যায়ে আবারও কমল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৯৩ টাকা থেকে ৩০ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ নতুন দর কার্যকর হবে।

    সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন।

    প্রাকৃতিক গ্যাসের নতুন সংযোগ বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিইআরসি প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সাড়ে পাঁচ কেজি, ১২, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম কমেছে। যদিও বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে ভোক্তাকে কিনতে হয় বলে ভোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে। বাজার ঘুরে সে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।

    এলপিজির পাশাপাশি গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমেছে। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা। যা গত মাসে ছিল ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।

    গত এপ্রিল মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল এক হাজার ৪৪২ টাকা, মার্চ মাসে ছিল এক হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল এক হাজার ৪৭৪ টাকা, জানুয়ারিতে ছিল এক হাজার ৪৩৩ টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল এক হাজার ৪০৪ টাকা, নভেম্বরে ছিল এক হাজার ৩৮১ টাকা, অক্টোবর মাসে ছিল এক হাজার ৩৬৩ টাকা, সেপ্টেম্বরে ছিল এক হাজার ২৮৪ টাকা, আগস্ট মাসে এক হাজার ১৪০ টাকা, জুলাই মাসে ছিল ৯৯৯ টাকা, জুনে ছিল এক হাজার ৭৪ টাকা, মে মাসে ছিল এক হাজার ২৩৫ টাকা ও এপ্রিলে ছিল এক হাজার ১৭৮ টাকা।

    আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রাখতে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি। তারপর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

  • নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবুকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন 

    নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবুকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন 

     সদ্য সমাপ্ত সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে মশিউর রহমান বাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন, শুভেচ্ছা, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
    বিবৃতিদাতারা হলেন, সাতক্ষীরার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন:
    নেতৃবৃন্দরা হলেন, নলকুড়া নাট্যগোষ্ঠির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, নলকুড়া মিউজিক্যাল একাডেমির পরিচালক মো. আব্দুল মতিন, কদমতলা বাজার কমিটি’র সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান, কদমতলা একতা সংঘের সভাপতি শেখ সদরুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজাহান আলী, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব লিমু, ১৩ নং লাবসা ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফজর আলী, ১৩নং লাবসা সাবেক ইউপি সদস্য ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বাবু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
    নলকুড়া তরুণ সংঘ:
    উপদেষ্টা কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন,  মীর হায়দার আলী, মীর কাওছার আলী, এ্যাড, শেখ সিরাজুল ইসলাম, শেখ আমির হোসেন, এ্যাড, মুস্তাফিজুর রহমান শাহনেওয়াজ, শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ আমানুল হুদা মন্টু, শেখ মাসুদুল হাসান, গোলাম কিবরিয়া বাবু, শেখ আব্দুর রহমান বাবু, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, মীর মামুন হাসান, শেখ জয়নুল আবেদীন খোকন, শেখ জহুরুল হক ও শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন।
    কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন, সভাপতি শেখ আমিনুর হোসেন (সাংবাদিক), সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ আল রাজি, সহ-সভাপতি যথাক্রমে শেখ মাগফুর হোসেন, শেখ আজাহারুল হক, সৈয়দ মোজাফ্ফর আলী মিঠু, মীর কাইউম আলী পিন্টু, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক যথাক্রমে মোঃ আমিনুর রহমান, শেখ জিল্লুর রহমান, খন্দকার আনিসুর রহমান তাজু, শেখ রিজভী আহমেদ, শেখ ফাহিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আলীম হাসান, সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক মীর নাহিদ হাসান, অর্থ সম্পাদক শেখ আরিফুল হাসান আরিফ, সহ-অর্থ সম্পাদক শেখ বায়জিদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শেখ মুকুল হাসান মেহেদী, সহ- দপ্তর সম্পাদক সামিউর রহমান মুমিত, প্রচার সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ মুশফিকুর রহমান রিজভী, ক্রীড়া সম্পাদক শেখ শিমুল হক, সহ- ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আসিফ ইকবাল প্রনজয়, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মোমিন বাবু, সহ -ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আব্দুল মতিন, সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ শারিউল একাব শুভ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক শেখ নাঈম হাসান মানিক, সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক যথাক্রমে শেখ তানজীম বীমা, শেখ শাহরুল শাকিব, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শেখ সাদিকুর রহমান সুমন, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক যথাক্রমে মীর সোহেল আলী, খন্দকার তৌকির রহমান, শেখ হাবিবুর রহমান। কার্যনির্বাহী সদস্য, শেখ আজমীর হোসেন, শেখ আজমল হোসেন, শেখ হারুনুর রশিদ, মীর সাঈদ হাসান কায়েস, মিন্টু হাসান, শেখ মুজাহিদুল বাবু, শেখ হাফিজুল হক, শেখ হাবিবুর রহমান সুমন, শেখ ইনজামুল হক, শেখ সাইদুল ইসলাম আজিম, শেখ ফাহিম তাহমিদ বনি, শেখ নাজরান ইসলাম রকি, শেখ এজাজ আহমেদ, শেখ আবীর আহমেদ হৃদয়, শেখ আহসানউল্লাহ সজল, শেখ আকাশ হাসান, মীর আবিদ হাসান, শেখ আকিব হোসেন, মীর সেতু ইসলাম, মীর ওমর ফারুক হাসিব, শেখ শাহরুখ ইসলাম, শেখ আতিকুল ইসলাম ও শেখ আল আলফি আপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
  • বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়েই চলব

    বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়েই চলব

    বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া, সেটা আমার দেখার দরকার নাই। আমার দরকার উন্নয়ন। বাংলাদেশের উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে, আমি তাদের নিয়ে চলব। সেভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি৷

    রবিবার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এদিন তিনি ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক মিনিটের ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়৷ তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে–এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না৷ তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে৷ আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো, যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।

    পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। সবার নামে নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। তবে তরুণ প্রজন্ম এখন প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।

    শেখ হাসিনা বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়। আমি জানি না. পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয়, তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে৷ রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না৷ তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা৷ এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না৷ কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেওয়া যায় না।

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রমজান মাসের ছুটি নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রমজান মাসের ছুটি নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিভিত্তিক। এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে। ফলে ছুটি ঠিক রাখা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

    রবিবার (২ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সারাদেশের মাদরাসায় আয়োজিত বইপড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধাবৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

    রমজান মাসের ছুটি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি রমজান মাসে কোরআন শিক্ষা নেন অনেকে। অনেকে কোরআনের হাফেজ, তারা এ মাসে বেশি বেশি তেলাওয়াত করেন, নামাজ পড়ান। এজন্য ছুটি চান। আগামী রমজানের আগেই আমরা এটা নিয়ে একটা প্রস্তুতি নেবো। রমজানে যেন কোরআন শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটা আমাদের মাথায় রয়েছে।’

    আরবি ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই আছেন আরবি ভাষায় অনেক দক্ষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দক্ষ হতে হবে। আমরা কোরআন প্রতিযোগিতা অবশ্যই করবো, আমি নিজেও শৈশবে কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। আমার বাবা আমাকে মাখরাজ শিখিয়েছিলেন এবং কীভাবে উপস্থাপনা করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আরবিতে একটুও কথা বলতে পারবো না। এত সুন্দর করে মাখরাজ শেখার পর ভাষাটা রপ্ত করতে পারিনি।’

    মাদরাসা শিক্ষকদের উদ্দেশে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আপনাদের কাছে একটা আবেদন, আমরা যেন শিক্ষার্থীদের দক্ষতানির্ভর করতে পারি। কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় যেন থাকে। আমরা যা-ই পড়াচ্ছি, সেটা হোক ইংরেজি কিংবা আরবি, যে ভাষাটা শিখলো, তা দিয়ে শিক্ষার্থী যেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে। অমুসলিম দেশেও কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হচ্ছে। সেটা আমাদের খেয়াল করতে হবে। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আজকে উপস্থিত বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের অনেকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কাজ করছেন। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের দ্বীনি শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে, আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সারাদেশ থেকে আসা মাদরাসা শিক্ষকরা অংশ নেন।

  • ধান বিক্রি করলেন প্রধানমন্ত্রী, পেলেন ৯৬ হাজার টাকা

    পৈতৃক জমির ধান বিক্রি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তিন টন ধান ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৯৬ হাজার টাকা।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস।

    মঙ্গলবার (২৮ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুবের বিলে উৎপাদিত এ ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়।

    এতে প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা হিসেবে ধানমন্ডির সুধা সদন উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার হওয়ার সময় স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার এ বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন। এর আগে গত বছর বোরো মৌসুমে খাদ্য গুদামে প্রথমবার পৈতৃক জমির ধান বিক্রি করেন প্রধানমন্ত্রী।

    খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মোট ৯২৩ টন ধান কিনবে সরকার। তাই প্রাথমিকভাবে ৩০৮ কৃষককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। তার মধ্যে নির্বাচিত কৃষক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন টন বোরো ধান বিক্রি করেছেন।

    টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈতৃক জমি অনাবাদি হিসেবে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গত মৌসুম থেকে সমবায়ভিত্তিতে বোরো আবাদ শুরু হয় ওই জমিতে। সেখানের চাষ দেখে প্রতিবেশীরাও পুবের বিলের অনাবাদি জমিতে চাষাবাদে আগ্রহী হন।

    গত মৌসুমে পৈতৃক ১৭ বিঘা জমি থেকে ১৫০ মন ধান পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এবার দ্বিতীয়বারের মতো ওই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। সেখান থেকে তিন টন ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়।

    গত ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে কৃষকের ধান সংগ্রহ শুরু হয় উপজেলায়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কেজিপ্রতি ৩২ টাকা ও প্রতি মণ ১২৮০ টাকা দরে ধান কিনবে খাদ্য গুদাম।

  • বিআরটিএ’র হুঁশিয়ারি: মোটরযানে হুটার ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করলেই ব্যবস্থা

    মোটরযানের হটার ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ণ মোটরযানের ব্যবহার না করার জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সদর কার্যালয় কর্তৃক পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সদর কার্যালয় গত ১৬ মে ২০২৪ তারিখের ৩৫.০৩.০০০০,০০৩,৫৩,০৩৬,২২-৭২৯ স্বারকের পরিপত্রে সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি-৮১ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বা উদ্ধারকাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ব্যাতীত অন্য যে কোনো মোটরযানে পরপর বিভিন্ন সুর প্রদানকারী বহুমুখী হর্ণ অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ণ বা যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের অনুমোদিত হর্ণ স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করা ছাড়াও চালকগণকে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে মোটরযান চালাতে উৎসাহিত করে, এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা বৃদ্ধি পায়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু কিছু মোটরযানের হুটার, হাইড্রোলিক হর্ণ ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ণ সংযোজন করে ব্যবহার করার ফলে গণ উপদ্রবের সৃষ্টি হচ্ছে, যা আইগত দণ্ডনীয় অপরাধ।
    এমতাবস্থায়, অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বা উদ্ধারকাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ব্যতীত অন্য যে কোনো মোটরযানে পরপর বিভিন্ন সুর প্রদানকারী বহুমুখী হর্ণ অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ণ অর্থাৎ হুটার, হাইড্রোলিক হর্ণ ইত্যাদি যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে।
    এ সংক্রান্ত পরিপত্রে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের স্বাক্ষরিত।
    এ বিষয়ে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক কে এম মাহবুব কবির জানান, বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে জারিকৃত পরিপত্র অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএ’র সমন্বয়ে নিয়মিত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা  হবে।
  • এসএসসি পরীক্ষা ‘ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ডিসেম্বরে’

    নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হলেও নতুন শিক্ষাক্রম সেই পরীক্ষা শুরু হবে ডিসেম্বর মাসে।

    নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এ এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ। পুরো পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী। এসব নতুন পদ্ধতি ঠিক করে প্রায় চূড়ান্ত করেছে পরীক্ষা পদ্ধতি। আগামী ৩১ মে- এর মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সেই পরীক্ষার নাম এসএসসি থাকবে নাকি অন্য কোনো নাম হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন কারিকুলাম নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ে কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সেখানে স্কুলের বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক (ষান্মাষিক) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সাতটি ধাপ বা স্কেলে নির্ধারণ করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। সেখানে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরে। সব কিছু চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে নতুন কারিকুলামে। সেখানে পরীক্ষা সময় বাড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা সময় পরিবর্তন হতে পারে। সব কিছু আরেকটি বৈঠকের চূড়ান্ত হওয়ার পর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    তিনি জানান, মূল্যায়ন নির্দেশনা যেটি ঠিক করতে আগামী ২৭ তারিখ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি।

    ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, বছরের শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষা না নিয়ে বছরের শেষে নিলে শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে। এসব দিক বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত না। চলতি মাসে চূড়ান্ত বৈঠকের পর তা বলা যাবে।

    ৫ ঘণ্টা হবে এসএসসি পরীক্ষা

    এর আগে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

    আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

    এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল (বিশেষজ্ঞ দল) গঠন করা হবে। প্রথমে তাদের বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।

    নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালে। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হলেও নতুন শিক্ষাক্রম সেই পরীক্ষা শুরু হবে ডিসেম্বর মাসে।

    নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এ এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ। পুরো পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী। এসব নতুন পদ্ধতি ঠিক করে প্রায় চূড়ান্ত করেছে পরীক্ষা পদ্ধতি। আগামী ৩১ মে- এর মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সেই পরীক্ষার নাম এসএসসি থাকবে নাকি অন্য কোনো নাম হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন কারিকুলাম নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ে কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সেখানে স্কুলের বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক (ষান্মাষিক) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সাতটি ধাপ বা স্কেলে নির্ধারণ করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। সেখানে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরে। সব কিছু চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

    জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে নতুন কারিকুলামে। সেখানে পরীক্ষা সময় বাড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা সময় পরিবর্তন হতে পারে। সব কিছু আরেকটি বৈঠকের চূড়ান্ত হওয়ার পর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    তিনি জানান, মূল্যায়ন নির্দেশনা যেটি ঠিক করতে আগামী ২৭ তারিখ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি।

    ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, বছরের শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষা না নিয়ে বছরের শেষে নিলে শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে। এসব দিক বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত না। চলতি মাসে চূড়ান্ত বৈঠকের পর তা বলা যাবে।

    ৫ ঘণ্টা হবে এসএসসি পরীক্ষা

    এর আগে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

    আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

    এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল (বিশেষজ্ঞ দল) গঠন করা হবে। প্রথমে তাদের বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।

  • ছাত্রলীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলা

    ছবি-সংগৃহীত

    সিলেটে পিকআপ ভর্তি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচটি গরু উদ্ধারসহ ১ জন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। বুধবার (১৫ মে) দক্ষিণ সুরমা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন সুনামগঞ্জের ছাতকের মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজ উদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গৌঁছ উদ্দিন।

    জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত সোয়া নয়টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাতমাইল (ঢাকা-সিলেট) মহাসড়কের খাঁজাকালু গ্রামের রাস্তার সামনে গরু ছিনতাইয়ের অভিযোগে এই মামলা হয়।

    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার জালালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (২০), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সিলাম গ্রামের ঠিকরপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে সামসুদ্দোহা সাদি (২২), ছব্দলপুর গ্রামের মৃত নছব আলীর ছেলে খসরু মিয়া(৩৬), একই থানার লিটন (২৭), রনি (২৭), মুন্না (৩০), সেবুল (৩০) ও কোতোয়ালি থানার জল্লারপাড় এলাকার জেবু (২৫)। এর মধ্যে মো. বোরহান উদ্দিনকে (২০) গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

  • মসজিদে তালা লাগিয়ে দেওয়া হলো আগুন

    পারিবারিক বিরোধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া ১১ মুসল্লিকে পুড়িয়ে মারা হলো। নাইজেরিয়া একটি মুসলিম দেশ। সেখানে প্রায় সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন।

    বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কানো প্রদেশের একটি মসজিদে এক ব্যক্তির হামলায় অন্তত ১১ জন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    তারা বলেছে, এক ব্যক্তি মসজিদে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন লাগানোর আগে দরজা বন্ধ করে দেয় এবং এতে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আটকা পড়েন। বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়।

    পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

  • এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব

    নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই সময়ে ৩৬ শতাংশ ভোট কম না। নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটার এলেও তা গ্রহণযোগ্য।’

    তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলাওয়ারি ভোটার উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কমিশন প্রচারণা চালাবে। প্রার্থীদেরও প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা করবে।’

    বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলার নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

    নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘মূলত তিনটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এখন ধান কাটার মৌসুম, তাছাড়া ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ আগামীতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি প্রার্থীদের বলেছি, মানুষ হিসেবে যে আমরা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। কারোর ওপর ভর না দিয়ে জনগণের ভালোবাসার ওপর ভর করতে হবে। প্রার্থীরা আমাদের কথায় সম্মত। তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে পেরেছি। সামনের নির্বাচনগুলো আগের থেকে আরও স্বচ্ছ ও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। কোনও ছাড় হবে না।’

    আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমরা আস্তে আস্তে ভালো করছি। আগামীতে আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল হবে।’

    বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক বসেন নির্বাচন এই কমিশনার। দুপুর আড়াইটায় বৈঠক শেষ হয়।

  • বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

    বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

    বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া তিনি প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করার কথা বলেছেন। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে, তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

    ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি— সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করেই নেওয়া হয়। আগের মতো সুতা লাগানো (শর্ত দেওয়া) ঋণ নেওয়া হয় না। ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে, এসব থাকলে আমরা সে ঋণ নেই না।

    আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    এনইসি সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

  • নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার ঐক্যে ফাটল

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক

    যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে তা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে একটি পরিকল্পনা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। বুধবার (১৫ মে) টেলিভিশনে দেওয়া একটি বিবৃতিতে এই চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। গাজায় যেকোনও ধরনের দীর্ঘমেয়াদি সামরিক কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে আসছেন গ্যালান্ট। তার এমন চ্যালেঞ্জকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য বেনি গান্তজও। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

    ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তবে তিনি গ্যালান্টের নাম উল্লেখ না করে ইঙ্গিতে বলেছেন, গাজায় আট মাস ধরে চলা সংঘাতে এখনও হামাসকে ধ্বংস করতে না পারায় অজুহাত তৈরি করছেন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল।

    তবে নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও মধ্যপন্থি সাবেক জেনারেল বেনি গান্তজও। তিনি গ্যালান্টের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী সত্য কথাই বলেছেন।’

    গ্যালান্ট বলেছিলেন, হামাসকে পরাজিত করার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের পুনরুদ্ধার করার যে লক্ষ্য নেতানিয়াহু সরকার নিয়েছে, সেগুলো পূরণ করতে হলে গাজায় অবশ্যই একটি বিকল্প ফিলিস্তিনি শাসনের ভিত্তি স্থাপন করতে হবে।

    তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই গাজায় হামাসের শাসন ক্ষমতা ভেঙে দিতে হবে। আর তা করতে হলে আমাদের সামরিক পদক্ষেপ নিতে হবে এবং সেখানে হামাসের বিকল্প একটি শাসক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

    এরকম কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে তাদের হাতে দুটি বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে সেগুলো যে ইতিবাচক নয় তা উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। গ্যালান্ট বলেছেন, ‘এই ধরনের বিকল্প না থাকলে সেখানে নেতিবাচক দুটি বিকল্প অবশিষ্ট থাকবে: হয় গাজায় হামাসের শাসন, নতুবা গাজায় ইসরায়েলি সামরিক শাসন।’

    তবে তিনি উল্লেখিত উভয় বিকল্পেরই বিরোধিতা করেন গ্যালান্ট। যুদ্ধ শেষে গাজায় হামাস কিংবা ইসরায়েলি সামরিক শাসন, এর কোনোটিই দেখতে চান না তিনি। নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে এরকম কোনও পরিকল্পনা ত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

  • চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী

    আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনও সংকট হবে না। কোরবানির পশুর সরবরাহ ও  ব্যবস্থাপনায় সরকারের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি আছে। এই তথ্য জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। তিনি আরও জানান, কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি, যা গতবারের চেয়ে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে কোনও সংশয়, সংকট বা আশঙ্কার কারণ নেই।

    বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

    মন্ত্রী বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদুল আজহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি যাতে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এবং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উদযাপন করা যায় সেই লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সরকারের অন্যান্য দফতর ও সংস্থা কাজ করছে। কোরবানির পশুর জন্য অতীতে অন্যদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। কিন্তু আমরা এখন দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারছি।

    দেশে অবৈধ উপায়ে গবাদিপশু যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ রাখা হবে। হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

    441995869_811783243797137_5602364850438401516_nমৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান

    মন্ত্রী আরও বলেন, গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনও খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনও খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে। হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না। এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য তিনি খামারিদের পরামর্শ দেন।

    মন্ত্রী বলেন, গত বছরের মতো এ বছরও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সারা দেশে কোরবানির পশু বিক্রির ব্যবস্থা চালু থাকবে।

    লাভের আশায় কোরবানির অনুপযুক্ত পশু বা রোগাক্রান্ত পশু যাতে কেউ বিক্রির চেষ্টা না করে সে ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মন্ত্রী। প্রতিটি নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম থাকবে, তারা কোরবানির পশু নিরাপদ ও কোরবানি উপযোগী কিনা বা তাদের শরীরে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করানো হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করবে বলে মন্ত্রী জানান।

    এছাড়া মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (হটলাইন-১৬৩৫৮) চালু থাকবে। পশুর হাটে কোনও সমস্যা হলে হটলাইনে কল করলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

    মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, রেলপথ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

  • মহেশখালীতে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আইএসডিই এর নতুন গৃহ হস্তান্তর

    কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মার্মা বলেছেন মহেশখালী উপজেলা উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হবার কারণে দুর্গম এবং সবসময় দুর্যোগ ঝুঁকিতে থাকলেও সরকারি-বেসরকারী সবধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। যার কারনে এই দ্বীপ উপজেলায় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ জনগন দুর্যোগে আতংকিত থাকে। ঘূর্নীঝড়, বন্যাসহ সাইক্লোন মোখা ও হামোরের মতো নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবসময় ঝুঁকিতে থাকেন। তাই বাইরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ও ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির পুর্নবাসনে এগিয়ে আসার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। তবে সহায়তার পরিমান এত কম যা পুরো উপজেলার বিশাল ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের পাশে দাড়াঁনো সম্ভব হয়নি। আশা করেন পরবর্তীতে সমগ্র উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের মাঝে সহায়তা পৌঁছানো এবং অন্যান্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোও এভাবে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কল্যানে এগিয়ে আসবেন। বর্তমান সরকারও গৃহহীন মানুষকে গৃহ দিয়ে স্থায়ী ঠিকানা তৈরী করার সরকারের বর্তমান পরিকল্পনার সাথে আইএসডিই এর উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। ঘুর্নীঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে পুর্নবাসন করে নতুন গৃহ, গৃহ সংস্কার, পায়খানা ও নলকুুপের প্ল্যাটফরম তৈরী করে দেবার মতো মানবিক কাজগুলোর জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এধরনের প্রকল্প আরও বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান।

    ১৬ মে ২০২৪ইং মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়া ্ইউনিয়নের ফকিরজুন পাড়ায় রুবি আক্তারের কাছে নতুন গৃহ হস্তান্তর উপলক্ষে অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন জনগোষ্ঠির মাঝে নতুন গৃহ হস্তান্তর এর অংশ হিসাবে উক্ত গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-০২ মোহাম্মদ আলী, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক, ব্র্যাকের এইচসিএমপি’র জেলা সমন্বয়কারী অজিত নন্দি, ব্র্যাক এইচসিএমপি’র ডেপুটি ম্যানেজার প্রশান্ত নাথ, ব্র্যাক এইচসিএমপি’র স্পেশালিস্ট কাজী আসিফ মাহমুদ, আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রজেক্ট অফিসার টেকনিক্যাল) ইঞ্জিনিয়ার মারুফুল ইসলাম, আইএসডিই মহেশখালী উপজেলা ব্যবস্থাপক মনজুর আলম প্রমুখ এ উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উপকূলীয়ীয় ও দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে মহেশখালী উপজেলা যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য খুবই ঝুঁিকপুর্ণ হলেও কঠিন যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখানে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন। সেখানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই দীর্ঘদিন ধরেই এই দুর্গম অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে এধরনের মানবিক সহায়তা পৌঁছানো হয়। প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের মানবতাবাদী কর্মকান্ড পরিচালনা করে সীমিত বাজেটের মধ্যে একটি পরিপূর্ন ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। আইএসডিই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরাই এই সহায়তা পেয়েছে, সেকারনে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।  তবে মহেশখালী উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির সংখ্যা অনেক বেশী, তাই এখানে সহায়তার পরিমান বাড়ানো দরকার বলে মতপ্রকাশ করেন।

    উল্লেখ্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে ১১টি নতুন ঘর, ১১টি ঘর মেরামত, ১৪টি নলকুপের প্লাটফরম তৈরী, ১৮টি নতুন স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করা হয়।

  • বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

    বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ছবি : সংগৃহীত

    ২০১৯ বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গেটে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিলেন তাসকিন আহমেদ। ইনজুরির কাছে পরাস্ত হয়ে সেবার ডানহাতি এই তারকা পেসারের জায়গা হয়নি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে।

    এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগ মুহূর্তে ইনজুরি আক্রান্ত হন তাসকিন। সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে শরীরের ডান পাশের মাংস পেশিতে চোট পান ডানহাতি এই পেসার। তবে তাকে রেখেই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

    ঘোষিত দলে নেই কোনো চমক। হঠাৎ মেহেদী হাসান মিরাজের নাম শোনা গেলেও ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়নি ডানহাতি এ অলরাউন্ডারকে। অধিনায়ক যথারীতি নাজমুল হোসেন শান্ত। আর ডেপুটি করা হয়েছে চোট-শঙ্কায় থাকা তাসকিনকে।

    ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। তবে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন দুজন। পেসার হাসান মাহমুদের সঙ্গে এই তালিকায় আছেন অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব।

    আগামী ২ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এর আগে বিশ্বকাপের সহ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল।

    এই সিরিজের জন্য আরও দুজন ক্রিকেটারকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। তবে সেই দুজনকে তা এখনো জানা যায়নি। তাদের নামও ঘোষণা করেনি নির্বাচকরা। আগামী ২১, ২৩ এবং ২৫ মে হিউস্টনে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক এই সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সব কটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।

    এ ছাড়া আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন। ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস আর ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে লড়বে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

    বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক, সৌম্য সরকার, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও তানভীর ইসলাম।

  • আরও সহজ হচ্ছে ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া

    সুখবর! আরও সহজ হচ্ছে ভারতীয় ভিসা প্রক্রিয়া

    বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

    ভারতীয় ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের ভোগান্তি কমাতে এবং ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ করতে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন হাইকমিশনার প্রণব ভার্মা।

    মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণব ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে একথা জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

    পাটমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পাটখাতে আরও বেশি সহযোগিতা চেয়েছি ভারতের কাছে। ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পাটের বীজ ভারত থেকে আমদানি করি আমরা। মানসম্মত পাটবীজ দিতে বলেছি।’

    ভিসার চাপ অনেক বেশি থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কখনো কখনো সেটা ওভারলোড হয়ে যায়। ওভারলোড কমাতে হলে কমপক্ষে ২ বছর লাগবে।’

    জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফরে অনেকে ভেবেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। আমার মনে হয় লু–এর এবারের সফর বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সব সময়ই ভালো ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

  • মোটরসাইকেলের গতিসীমা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

    মোটরসাইকেলের গতিসীমা কি বাড়বে? যা জানালেন ডিএমপি কমিশনার

    বেঁধে দেওয়া গতিসীমার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান কথা বলছেন

    ঢাকার সড়কে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনের বেঁধে দেওয়া গতিসীমার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, একজন চালক রাস্তার অবস্থা বুঝে গাড়ি চালান। ঢাকা মহানগরীতে বড় গাড়ির জন্য ৪০ ও মোটরসাইকেলের জন্য ৩০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বৈধ ওভারটেকিংয়ের কোথাও ব্যবস্থা নেই। পরিস্থিতি বুঝে চালক বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে ওভারটেকিং করলে সমস্যা হবে না।

    মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সেফটি অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ও রোড সেফটি স্লোগান প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    গতিসীমা ভঙ্গ করলে মামলার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব যাত্রীবাহী গাড়ি রয়েছে, সেসব গাড়িকে কোনো সার্জেন্ট আটকাবে না। তবে, সেই গাড়ি যদি গতিসীমা ভঙ্গ করে ও দুর্ঘটনা ঘটায় সেক্ষেত্রে আটকানো হবে।

    তিনি বলেন, গেটলক চেকিং সিস্টেমে টার্মিনাল থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া আর কোথাও দাঁড়াতে পারবে না। টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গন্তব্যে চলে যাবে। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামালেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরে মহাখালী একটি বড় বাস টার্মিনাল। টার্মিনালে যে পরিমাণ জায়গা রয়েছে সেখানে ৪০০ গাড়ি পার্কের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রতিদিন ১৮০০ গাড়ি চলাচল করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে গাড়িগুলো রাস্তার মধ্যে পার্ক করা হতো। মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরা হয়ে যে গাড়িগুলো ঢাকার বাইরে যায়, সেগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে বনানী পর্যন্ত একটু একটু করে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে তুলতে যেত। বিশেষ করে মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে যাত্রীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বাসগুলো যাত্রী তুলত। এটিই মহাখালী এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ।

    মহাখালী বাস মালিক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, যানজট কমানোর উদ্দেশ্যে মহাখালী থেকে যে গাড়িগুলো ছাড়বে, তারা বনানীর আগে কোনোভাবেই পার্কিং করবে না, কোনো যাত্রী তুলবে না এবং যাত্রী নামাবে না। ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে দেখা গেছে, কোনো কোনো গাড়ি এই নিয়ম অমান্য করেছে। নিয়ম না মানায় ইতোমধ্যে ১৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, যখন মহাখালী বাস টার্মিনাল চালু হয় তখন থেকেই রাস্তায় পার্কিং করে যাত্রী নেওয়ার কার্যক্রম চলে আসছে। এতদিন পরে কাজটি শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ প্রতিষ্ঠিত করতে কিছুটা সময় লাগবে। এটি বাস্তবায়নে যাত্রী ও বাসের সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রোফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান। চেয়ারপার্সন হিসেবে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মুনিবুর রহমান।

    প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ঢাকা রোড সেফটি প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও জাইকা বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইয়ামি ওকাযাকি।