বৃহস্পতিবারের (৮ আগস্ট) মধ্যে সব পুলিশ সদস্যকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নবনিযুক্ত আইজিপি ময়নুল ইসলাম।
বুধবার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরের কনফারেন্সে রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন পুলিশপ্রধান এ নির্দেশ দেন।
আইজিপি বলেন, আজ এক বিশেষ পরিস্থিতিতে আমি আপনাদের সম্মুখে হাজির হয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকালের মাধ্যমে আমরা এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা সবসময় জনগণের পাশে থেকে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বন্ধ পরিকর। পারষ্পরিক সৌহাদ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাব।
পুলিশ মহাপরিদর্শক ময়নুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন থানা, স্থাপনা, আবাসিক ভবনে আক্রমণ হয়েছে। পুলিশ ও এর স্থাপনা সমূহ একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। পুলিশ দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। দেশের প্রয়োজনে যেকোনো সংকটময় মূহুর্তে এই বাহিনী সবসময় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা এখনও আমাদের ওপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালনে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
আন্দোলনে আহত পুলিশের প্রত্যেক সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্থ করে আইজিপি বলেন, সম্প্রতি পুলিশের যেসব সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকটি পরিবারের দায়িত্ব আমরা নেব। যারা আহত হয়েছেন তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করেছি। প্রয়োজনে আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের আসমা আক্তার । তিনি প্রতিবাদী নারী সমাজের সমন্বয়ক। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গৃহিনী, নারী উদ্যোক্তা, ডাক্তার, ব্যাংকার ও সমাজকর্মীরা। নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পুরুষরাও যোগ দেয় মানববন্ধনে।
দিকে ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ দুই সাংবাদিককে ‘ইনফর্মার’ বলে তুলে নিতে চায় এবং হেনস্তা করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল বের করেন। পরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে কর্মসূচি শেষ করেন।