নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের আইসোলেশনে আমেনা বেগম নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাত ১১টায় তিনি মারা যান।
তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মফিজুল মোড়লের স্ত্রী।
মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান,
গত রোববার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আমেনা বেগম (৩৮) মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
আমেনা বেগম রাতে মারা যান। তিনি আরো জানান, ওই দিনই তার নমুনা
সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এখনও তার নমুনা পরীক্ষার
রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার
জানান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মৃতের লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো জানান, মৃত ওই নারীর বাড়িসহ তার আশোপশের কয়েকটি
বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৫ জনের
মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ৬
জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৮৫ জনের
করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৭৩
জনের। ইতিমধ্যে ১ হাজার ২১ জনের রিপোর্ট সিভিল সার্জন কর্যালয়ে
এসে পৌছেছে। এরমধ্যে ৮৫ টি রিপোর্ট পজিটিভ বাকী সব নেগেটিভ
এসছে।
Category: করোনা ভাইরাস
-

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬ জনসহ জেলায় মোট ৮৫ জন করোনা আক্রান্ত
-

রেড জোনে জোরদার হচ্ছে সেনা টহল
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সংক্রমণের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে রেড জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
এদিকে, রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সরকারি নির্দেশাবলী যথাযথভাবে নিশ্চিতের উদ্দেশে সেনা টহল জোরদার করা হচ্ছে।মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইতোমধ্যে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলক রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। সে এলাকা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে প্রশাসন।
-

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই
ন্যাশনাল ডেক্স : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ আর নেই। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক সৈকত গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা ধারণা করছি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আগে থেকেই ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান শেখ মো. আবদুল্লাহ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভের আগে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে শেখ মো. আবদুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মরহুমা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি।
-

সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা করোনা আক্রান্ত
অনলাইন ডেস্ক: সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় পাটির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিকল্প ধারার কেন্দ্রীয় নেতা এইচএম গোলাম রেজা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে তাঁর ঢাকার বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
-

মোহাম্মদ নাসিম: রাজনীতিতে পাঁচ দশকের বেশি পথচলা
ন্যাশনাল ডেক্স : সিরাজগঞ্জ-১ আসন (কাজীপুর ও সদর উপজেলার একাংশ) থেকে তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের হুইপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নাসিম দলের মুখপাত্র হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রাজনীতির সঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম সম্পৃক্ত হন ষাটের দশকে। শুরুর দিকে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হলেও পরবর্তীতে ছাত্রলীগ করতে শুরু করেন। পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশের পর ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৮ সালের দোসরা এপ্রিল, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায়। তার পিতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে সরকারের মন্ত্রী, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।Image caption জনসভায় ভাষণ দানরত মো. নাসিম।
উনিশশো পঁচাত্তর সালে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের হত্যাকাণ্ড ও জেলখানায় আরো তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাঁর পিতা এম মনসুর আলী হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হয়ে ওঠেন।
পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ নাসিমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসময় দীর্ঘদিন তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের শিকার আরেকজন নেতা এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ছেলে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’১৯৭৫ সালের পর তাকে বেশ একটা দুঃসময় পার করতে হয়। আমাদের সবাইকেই সেটা করতে হয়েছে। ৭৮ সালের দিক থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন। নেত্রী আসার পর (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর) তিনি সবসময় নেত্রীর সঙ্গেই থেকেছেন।‘’
‘’একাত্তর সালে মুক্তিসংগ্রামের সময় কলকাতায় আমরা এক বাড়িতে থাকতাম। জাতীয় চার নেতার পরিবারের মধ্যে আমরা তাকে আমাদের বড় ভাইয়ের মতো মনে করতাম। তিনিও সেভাবেই আমাদের খোঁজখবর রাখতেন। তাকে দেখেছি, যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেও শক্ত মন নিয়ে দাঁড়াতে পারতেন, কর্মীদের চাঙ্গা করে তুলতে পারবেন। পরবর্তীতে প্রশাসক হিসাবেও তাকে সফল দেখতে পেয়েছি।‘ছবির কপিরাইট Facebook Image caption প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে মো. নাসিম।
‘’তিনি অনেক সময় গর্ব করেই বলতেন,আমি কোন বেঈমানের সন্তান নই, আমি বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত আদর্শের সৈনিক, তার সন্তান।‘’ বলছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
উনিশশো একাশি সালে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে মোহাম্মদ নাসিম যুব সম্পাদক হন। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আসেন মোহাম্মদ নাসিম। পরবর্তীতে ১৯৮৭ তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন।
তার আগের বছর, ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’মোহাম্মদ নাসিম রাজনীতির ক্ষেত্রে সারাজীবন সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ষাটের দশক থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি একটা রাজনীতিক পরিবারের বেড়ে উঠেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাকে সাজা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সম্মুখ সারিতে ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটা সংগ্রামের সাথে তিনি সামনের কাতারে ছিলেন।‘’
আওয়ামী লীগের ‘৯২ ও ‘৯৭ সালের জাতীয় সম্মেলনে তাকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১২ সালে কাউন্সিলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত করা হয়।ছবির কপিরাইট Facebook
উনিশশো ছিয়ানব্বই, ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একসময় তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনীতিতে তাদের পরিবারের ভূমিকা নিয়ে ‘সংসদে তিন প্রজন্ম’ নামের একটি বইয়ের সম্পাদনাও করেছেন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, তার সন্তান মোহাম্মদ নাসিম এবং তার ছেলে তানভীর শাকিল জয়ের ভূমিকা নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। তিনি তিন সন্তানের জনক।
তাঁর নির্বাচনী এলাকা কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘’তার পিতাকে যেমন এলাকার লোক দরকারের সময় পেতো, তেমনি তাকেও আমাদের যেকোনো দরকারে সবসময় কাছে পেয়েছি। প্রতিমাসে কয়েকবার তিনি এলাকায় আসতেন। তিনি বিদেশে থাকলেও আমাদের ফোন করে এলাকার খোঁজখবর নিতেন। দলমত নির্বিশেষে এখানকার সবাই জানে, তার মতো নেতা পাওয়া যায় না।‘’
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়।
রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে মোহাম্মদ নাসিমকে অনেকবার কারাবন্দী হতে হয়েছে। প্রথম তাকে কারাগারে যেতে হয় ১৯৬৬ সালে, যখন তিনি এইচএসসি পড়ছিলেন। সেই সময় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ভুট্টা খাওয়ানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পিতা এম মনসুর আলীর সঙ্গে কারাগারে যেতে হয় মোহাম্মদ নাসিমকেও। একবছর পরে তিনি ছাড়া পান।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মোহাম্মদ নাসিমকে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিযানে আরো অনেক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সেই সময় অবৈধভাবে এক কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় বিশেষ জজ আদালত ২০০৭ সালে মোহাম্মদ নাসিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে ২০১০ সালে উচ্চ আদালত ওই সাজা ও মামলা বাতিল করে দেন।
কিন্তু মামলায় সাজা হওয়ার কারণে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাসিম। সেই আসনে তার ছেলে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। মামলা ও সাজা উচ্চ আদালতে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। এরপর তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়, ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকেন।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মন্ত্রী না হলেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের মুখপাত্র হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
-

একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেক্স : জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম।রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতার মতোই মোহাম্মদ নাসিম আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।’
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
-

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম আর নেই
ন্যাশনাল ডেক্স : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আর নেই। তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। রাতে করোনা পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। স্ট্রোকের পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।মোহাম্মদ নাসিম স্ত্রী, তিন ছেলে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম পঞ্চমবারের মতো সংসদে সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাসিম এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি নাসিমের। তবে পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় না থাকলেও দলীয় কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছেন মোহাম্মদ নাসিম।
-

করোনা ভাইরাস: হজ পালন করতে পারবেন না মালয়েশিয়ার নাগরিকরা

ন্যাশনাল ডেক্স :
মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের নগারিকদের এবছর হজের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে।
হজ পালন করতে গিয়ে নাগরিকদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া থেকে প্রতিবছরই বহু মানুষ হজ করতে সৌদি আরবে যান। এবছর মালয়েশিয়ার আনুমানিক ৩০ হাজার মানুষের হজ করতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিমের দেশ ইন্দোনেশিয়া আগেই জানিয়েছে তারা এবছর তাদের নাগরিকদের হজ করতে যাওয়ার অনুমতি দেবে না।
প্রতিবছর সারাবিশ্বের প্রায় ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে সৌদি আরব যান।
তবে কয়েকদিন আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক খবরে প্রকাশিত হয় যে, প্রত্যেক দেশ থেকে যে পরিমাণ হজযাত্রী যাওয়ার কথা অন্যান্য বারের তুলনায় এবার তার ২০ শতাংশ মানুষ আসতে অনুমতি দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর এক লাখের বেশি মানুষ হজে যান, কাজেই বাংলাদেশ থেকে এবার হজ পালন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরাও বাধার মুখে পড়তে পারেন।
তবে বাংলাদেশ থেকে ঠিক কী পরিমাণ মানুষ এবার হজ করতে যাওয়ার অনুমতি পাবেন এবং সেটি কোন ভিত্তিতে নির্ধারন করা হবে, সেবিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে মঙ্গলবার বিবিসিকে জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যাপক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব।
মার্চের শুরুতে বিদেশি নাগরিকদের জন্য মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন ও ধর্মীয় সব কর্মকাণ্ড বন্ধের বিরল ঘোষণা দিয়েছিল সৌদি আরব।
এর কয়েকদিন পর সৌদি নাগরিক ও বাসিন্দাদের জন্যেও ওমরাহ হজ সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়।
মসজিদে নামাজ পড়া এমনকি ঈদের জামাতের উপরেও বিধিনিষেধ ছিল।
একই সময়ে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে দেশটি। সেখানে বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি ছিল।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮৫৭ জন।
-

করোনা ভাইরাস: কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সরকারের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক নেতৃত্ব রেখে আমলা নির্ভরতা কেন?
ন্যাশনাল ডেক্স :
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা কতটা রয়েছে-এমন প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
খোদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকে মনে করেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে রাজনৈতিক চিন্তার ঘাটতি থাকছে।
বিরোধীদল বিএনপি অভিযোগ তুলেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের চিন্তার কোন ছাপ না থাকায় ঢিলঢালা সাধারণ ছুটি থেকে শুরু করে তা প্রত্যাহার করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমলা নির্ভরতা চোখ পড়ছে।
আসলে সরকারের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাব থাকছে কিনা- এবং পরিস্থিতি সামলানোটা সরকারের জন্য কি কঠিন হয়ে উঠেছে—এনিয়ে নানা আলোচনা এখন চলছে।
এপ্রিলের শেষে সাধারণ ছুটির মধ্যে গার্মেন্টস খোলার কারণে দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ঢাকায় ছুটে এসেছিলেন। সমালোচনার মুখে আবার গার্মেন্টস বন্ধ করা হলে শ্রমিকরা ঢাকা ছেড়েছিলেন। সেই প্রেক্ষাপটে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কিছুটা ক্ষোভের সাথে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাকে অবহিত না করার কথা তুলে ধরছিলেন।

“একটা ন্যাশনাল কমিটি ফর্ম করা হয়েছে। ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান আমাকে করা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে। কিন্তু ন্যাশনাল কমিটিতে যে সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের নলেজে নাই। কখন ফ্যাক্টরি খোলা হবে বা খোলা হবে কিনা-সে বিষয়ে আমরা জানি না। মসজিদে নামাজ কিভাবে হবে বা আলোচনা-সে বিষয়েও আমরা জানি না। এবং কখন রাস্তা খুলে দেবে বা বন্ধ করবে- এ বিষয়ও আমরা জানি না। আমি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি, তাদেরকে আমি সদুত্তর দিতে পারি না।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের এই বক্তব্য অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। যদিও নানা আলোচনার মুখে মন্ত্রী তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, তিনি করোনাভাইরাস সর্ম্পকিত জাতীয় কমিটির প্রধান হলেও স্বাস্থ্য বিষয়েই তার কাজ সীমাবদ্ধ।
তার এই ব্যাখ্যার পরও সরকারের সিদ্ধান্ত বা কৌশল নির্ধারণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
দুই মাস পর সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় কি কোন পরিবর্তন আনা হয়েছে-এ নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে টেলিফোনে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
“করোনাভাইরাস সর্ম্পকিত জাতীয় কমিটি এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির সাথে আলোচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব অবহিত হয়েই এই সাধারণ ছুটিসহ বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমরা যারা অত্যন্ত কাছাকাছি এবং সশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয় যেগুলো আছে, তারা সকলে মিলেই কিন্তু প্রত্যেকটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।”

বাংলাদেশে ক্ষতি মোকাবেলায় গত ৫ই এপ্রিল ৭২,৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদিও প্রতিমন্ত্রী মি: হোসেন বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী সব বিষয় তদারকি করছেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বা নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে এখন রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিরোধীদল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ তুলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাব না থাকায় এবং আমলা নির্ভরতার কারণে সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় আসছে না।

সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় আসছে না বলে মনে করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। (ফাইল ছবি) “এখানে আসলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কোন ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ আমরা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছি যে, সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হচ্ছে জনগণের চিন্তাভাবনার বাইরে। এবং জনগণ যেটা চাচ্ছে, তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।”
“আমরা প্রথম থেকেই যেটা লক্ষ্য করেছি, এখানে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে একটা প্রভাব থাকা উচিত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে, সেটা নাই। এখন পর্যন্ত যেভাবে হয়ে আসছে, তাতে মনে হয়েছে যে শুধু গুটিকতক চাটুকার আমলা এবং আর অদৃশ্য কোন শক্তি আছে কিনা জানি না। তাদের দ্বারাই যেন সিদ্ধান্তগুলো আসছে।”
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় দফায় সরকারের রয়েছে। বিশ্লেষকদের অনেকে বলেছেন, এই সরকারেরই গত ১১ বছরে রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংকট সমাধানে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রভাব দৃশ্যমান ছিল।
কিন্তু তারা এখন পার্থক্য দেখছেন করোনাভাইরাস দুর্যোগ সামলাতে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন বলেছেন, এখন সরকার যেভাবে কাজ করছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা দিতে হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন “অন্যান্য সময় আমরা দেখেছি, যদিও আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা নির্ভর দল, কিন্তু তারপরও অন্যান্য সময়ে তারা সামগ্রিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই দেখেছি যে, কোন এলাকায় মন্ত্রী এমপি বা রাজনৈতিক নেতারা নেই। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে চেয়ারম্যান মেম্বাররাও নেই।”
“আর ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের বিষয়গুলোতো আমরা জানি। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে শেখ হাসিনাকে এককভাবেই মোকাবেলা করতে হচ্ছে এবং উনি এককভাবেই নির্দেশনা দিচ্ছেন।”
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভিতরেও সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন বা নানা আলোচনা রয়েছে।
দলটির মাঠের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ মনে করেন, সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততা কম।
“আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসে এই কঠিন সময়ে তিনি কিন্তু সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। এবং সত্যিকার অর্থে তার নির্দেশগুলো যদি আমরা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারতাম বা পারি তাহলে এই সঙ্কট থেকে মুক্তিলাভ কঠিন হবে বলে আমি মনে করি না। তবে একটা কথা বলি, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদিও এখানে সরাসরি জড়িত কম। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদেরকেও কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।”

সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ মনে করেন, সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততা কম। মি: আহমেদ আরও বলেছেন, “তবে আমি মনে করি অতীতেও দুর্যোগে রাজনৈতিক নেতৃত্বই কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে। আমি এটুকুই বলবো, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশগুলো পালন করার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি সম্পৃক্ত হয়, তারা যদি কাজ করে বা এখন যা করে চলেছে, তাহলে সমস্যাটা সমাধানে আমরা সক্ষম হব।”
লকডাউন না বলে সরকার সাধারণ ছুটি দিয়েছিল ৬৬দিন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সেই পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে বলে সরকারের সাথে সম্পৃক্ত সিনিয়র চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করেন।
তাদেরও অভিযোগ রয়েছে যে, সংক্রমণের বিস্তার ঠেকানোর জন্য তাদের পরামর্শ আমলে না নিয়ে অর্থনৈতিক সব কর্মকান্ড চালু করা হয়েছে।
সিনিয়র চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত সরকারের কারিগরি কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো: শহিদুল্লাহ বলেছেন, তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের পরামর্শ সরকারের কাছে দেন। কিন্তু কঠোর লকডাউনের সুপারিশগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
“আমাদের বক্তব্য ছিল, লকডাউনটা হলে প্রপার লকডাউন হতে হবে। যেমন আমরা দুই মাসের বেশি সময় লকডাউন করলাম। কিন্তু সেভাবে না করে, প্রথম তিন সপ্তাহ যদি কঠোরভাবে লকডাউন করা হতো, তারপর আস্তে আস্তে শিথিল করলে ফলাফলটা আরও ভাল পাওয়া যেতো। যেটা হয়ে গেছে। এখন আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, জোন লকডাউন যেটা করা হচ্ছে, সেটাও প্রপার ওয়েতে করা হলে এথনও এই রোগটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো।”
সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা বা সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা হচ্ছে।
-

করোনা সংক্রমণের নিরিখে এ বার ব্রিটেনকে পিছনে ফেলল ভারত!
স্পেন, ইটালিকে টপকে গিয়েছিল আগেই। করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমণের নিরিখে এ বার ব্রিটেনকে পিছনে ফেলল ভারত। উঠে এল বিশ্বের চতুর্থ স্থানে। সংক্রমিতের হিসাবে আমেরিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়ার পরই এখন ভারত।
তবে শুধু ব্রিটেনকে টপকে যাওয়া নয়। দেশে রোজদিন সংক্রমণের গতি বৃদ্ধি জাগাচ্ছে নতুন শঙ্কা। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে নতুন রেকর্ড। আজ শুক্রবারও তার অন্যথা হল না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৯৫৬ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বৃদ্ধি এই প্রথম ১০ হাজার ছাডাল। এই বৃদ্ধির জেরে কোভিড-১৯-এ মোট আক্রান্ত হলেন দু’লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন। ব্রিটেনের মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দু’লক্ষ ৯৩ হাজার।মৃত্যুতেও আজ শুক্রবার তৈরি হল নতুন রেকর্ড। গতকাল বৃহস্পতিবারই কোভিডে মোট মৃত্যুর হিসাবে কানাডাকে পিছনে ফেলেছিল ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। এই বৃদ্ধির জেরে করোনা দেশে মোট আট হাজার ৪৯৮ জনের প্রাণ কাড়ল।
-
কালো টাকা সাদার সুযোগ দুর্নীতির সহায়ক, প্রত্যাহার চায় টিআইবি
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সচল করা, রাজস্ব আয় ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির নামে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত বা কালো টাকা সাদা করা এবং অর্থপাচারকে সুকৌশলে বৈধতা দেয়ার অভূতপূর্ব দুর্নীতির সহায়ক সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি।
সংস্থাটি অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী এসব পদক্ষেপ বাতিলে জোর দাবি জানিয়েছে। দীর্ঘদিনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও স্বার্থান্বেষী মহলের দুর্নীতিতে পর্যুদস্ত স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিতে জোরালো কোনো পদক্ষেপ বাজেটে না থাকা এবং করোনাকালীন সময়েও এ খাতে বরাদ্দ অপর্যাপ্ত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে টিআইবি।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে অস্থির এ পরিস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। এর আকার পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে জরুরি এবং অপ্রত্যাশিত খরচ দেখা দিয়েছে তা মেটাতে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে ৪৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে এ ঘাটতি মেটানো হবে। এ হার গত বাজেটে ছিল জিডিপির ৫ শতাংশ।
করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের নামে সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার এবং দেশের সকল প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন দুটি ধারা সংযোজনের মাধ্যমে জমি, ভবন, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার ও বন্ডে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা সাদা করার অবারিত সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। একইসাথে অর্থের বা সম্পদের উৎস নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন তোলার বিধানটিও রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটের এহেন প্রস্তাবে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতার সম্পূর্ণ বিপরীত ও অমর্যাদাকর পদক্ষেপ, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বছরের পর বছর এ ধরনের সুবিধা দিয়ে দেশের অর্থনীতির কোনো উপকার হয়নি, উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আদায় হয়নি, কোনো বিনিয়োগ তো নয়-ই। বরং অনৈতিকতা প্রশ্রয় পেয়েছে আর সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
সংবিধানের ২০ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী এই ব্যবস্থা সৎপথে উপার্জনকারী নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক। এর মাধ্যমে সরকার প্রকারান্তরে দুর্নীতি ও অবৈধতাকে লাইসেন্স দিয়ে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হতে জনগণকে উৎসাহ দিচ্ছে।”
ঘোষিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের উদ্বৃত্ত ক্ষমতা বিবেচনায় ফার্নেস তেলভিত্তিক ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিরুৎসাহিত করার অংশ হিসেবে তেল আমদানিতে থাকা শুল্ক সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়টি সাধুবাদ যোগ্য হলেও ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে অব্যাহত ভর্তুকি বন্ধের কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। একইসাথে ক্রমাগত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড বিসিসিটিএফ-এ বর্ধিত মাত্রায় বরাদ্দের প্রয়োজন হলেও মাত্র ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। একইভাবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, আম্ফান-পরবর্তী জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ প্রদান করা হয়নি বরং মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কিছুটা কমে গেছে।
টিআইবি আশা করে চূড়ান্তভাবে বাজেট পাশের পূর্বে এসব বিষয়ে যথাযথ মনোযোগী হবে সরকার।
/জাগো ন্উিজ/
-

ডিসেম্বরে নয়, উহানে সংক্রমণ শুরু হয়েছিল আগস্টে
চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর সময় নিয়ে এবার নতুন তথ্য দিয়েছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক। তাদের মতে, গত বছরের ডিসেম্বরে নয়, বরং তারও কয়েকমাস আগে, অর্থাৎ আগস্টে উহানে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। তবে হার্ভার্ডের গবেষকদের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে চীন বলছে, ‘এটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন’। সংবাদসূত্র : রয়টার্স
স্যাটেলাইটে পাওয়া নতুন ঝবিতে (ইমেজ) উহানের বাসিন্দাদের হাসপাতালে যাতায়াত বেড়ে যাওয়া এবং সার্চ ইঞ্জিনের ডেটা (তথ্য) বিশ্লেষণ করে সেখানে সংক্রমণ শুরুর এ নতুন তথ্য দিয়েছেন হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা।
স্যাটেলাইট ছবিতে উহানের হাসপাতালগুলোতে সেখানকার বাসিন্দাদের যাতায়াত এবং সার্চ ইঞ্জিনে সর্দি এবং ডায়রিয়া সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধান হঠাৎ বৃদ্ধি পায় গত আগস্টে। গবেষকরা বলছেন, উহানে সরকারিভাবে সংক্রমণ শুরুর তথ্য গত বছরের ডিসেম্বর বলা হলেও আসলে সেখানকার হাসপাতালে জনগণের যাতায়াত এবং সার্চ ইঞ্জিনে উপসর্গ অনুসন্ধান বৃদ্ধি পায় তার কয়েক মাস আগে।
তবে হঠাৎ করে হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ও সার্চ ইঞ্জিনে সর্দি, ডায়রিয়া নিয়ে অনুসন্ধান বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে নতুন করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিনা, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করতে পারেননি গবেষকরা।
নতুন এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন, বোস্টন শিশু হাসপাতালের প্রধান উদ্ভাবনী কর্মকর্তা জন ব্রাউনস্টেইন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ছাপার হরফে প্রকাশ করার আগেই তা হার্ভার্ড-এর ‘ড্যাশ সার্ভারে’ পোস্ট করা হয়েছে। দেখা গেছে, ২০১৯ সালের গ্রীষ্মের শেষের দিক থেকে উহানের হাসপাতালগুলোর পার্কিং লটগুলোতে গাড়ির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় উলেস্নখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া সে সময়ে চীনের ‘বাইডু’ সার্চ ইঞ্জিনে সংক্রামক রোগের কী ওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল।
২০১৮ সালের অক্টোবরে পাওয়া স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, উহানের বৃহত্তম হাসপাতাল তিয়ানিউ’র পার্কিং লটে ১৭১টি গাড়ি আছে। অথচ এক বছর পরে ধারণকৃত ছবিতে দেখা গেছে একই লটে ২৮৫টি গাড়ি, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৭ শতাংশ বেশি। একই সময়ের মধ্যে উহানের অন্য হাসপাতালগুলোতে গাড়ির সংখ্যা ৯০ শতাংশ বেশি থাকতে দেখা গেছে।
‘২০১৯ সালের শরৎ ও শীতে ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতালগুলোতে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি রোগী দেখা গেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ছয়টি হাসপাতালের মধ্যে পাঁচটিতেই দৈনিক রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে সর্বোচ্চ ছিল। ওই সময়ে ইন্টারনেটে বাইডু সার্চ কোয়েরিজ প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা।
-

সাতক্ষীরায় নতুন করে ঢাকা বিশবিদ্যালয়ে পড়য়া দুই শিক্ষার্থীর করোনা শনাক্ত, এনিয়ে জেলায় মোট ৫৭ জন করোনা আক্রান্ত
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় নতুন করে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়া দুই শিক্ষার্থীর করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো এক রিপোর্টে এ তথ্য জানান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় আজ পর্যন্ত মোট ৫৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নতুন করে করোনা আক্রান্ত দুই জন হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের কন্যা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া পারভীন (২৫) ও একই উপজেলার কুশলিয়া ইউনিয়নের বাজারগ্রামের মাওলানা মসুর হল্লাজ এর ছেলে একই বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র হামিদুল ইসলাম (২৭)।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, তারা দুজনই গত ৪ জুন ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এরপর দুজনই গত ৭ জুন সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তাদের করোনা টেষ্টের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। এরপর আজ ১০ জুন তাদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির বাড়িসহ তাদের আশে পাশের ৪ টি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। সেখানে টানানো হয়েছে লাল পতাকা।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাতক্ষীরা জেলা থেকে আজ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২০১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইডিসিআর ও পিসআির ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৭৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৫৭ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকীসব রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। -
সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ২ জনের করোনা শনাক্ত, এনিয়ে জেলায় মোট ৫৫ জন করোনা আক্রান্ত
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় নতুন করে আরো ২ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে পাঠানো এক রিপোর্টে এ তথ্য জানান সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ। এ নিয়ে সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত মোট ৫৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত দুই জন হলেন, ঢাকা থেকে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট নিয়ে গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের নওয়াপাড়া গ্রামে আতœগোপনে থানা বাহার আলী সরদারের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মহিবুল ইসলাম (৩৮) ও আশাশুনি উপজেলা শে^াতকোনা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোজাম্মেল (৩৪)। আক্রান্ত দুই ব্যক্তির বাড়িসহ তাদের আশে পাশের কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। সেখানে টানানো হয়েছে লাল পতাকা।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -

করোনার পিছনে বিল গেটসের হাত!
মারণ ভাইরাস করোনার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে। এখনও সফলতার মুখ দেখেননি। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিন তৈরির সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে। তবে আতঙ্কের পাশাপাশি চলছে গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রচার। গুজব রটেছে, করোনা ছড়ানোর পিছনে নাকি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের হাত রয়েছে!
হাতেগোনা কয়েক জন নন, আমেরিকার ২৮ শতাংশ বাসিন্দাই একে সত্যি বলে মনে করেন। এমনটাই জানিয়েছে একটি সমীক্ষা। সেই সঙ্গে আরো গুজব রটেছে, কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে লোকজনের মধ্যে ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানোর চেষ্টা করছেন বিল গেটস। যদিও গোটা বিষয়টিকেই অত্যন্ত অবিশ্বাস্য বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিল গেটস স্বয়ং। বলেছেন, এ ধরণের ভুল তথ্য এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো প্রত্যেকের জন্য বিপজ্জনক।
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক খোঁজার কাজে বরাবরই উদ্যোগী ছিলেন বিল গেটস। এ কাজে বিল ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস দু’জনেই সক্রিয়। এরই মধ্যে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষেধক তৈরির কাজে ৩০ কোটি ডলারের অর্থসাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও এই মহামারির পিছনে বিল গেটসের হাত রয়েছে বলে গুজব রটেছে কেন?
ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারকারী ডানপন্থীদের দাবি, কোনো না কোন ভাবে এই মহামারি উৎসে জড়িত গেটস এবং তা ছড়ানোর পিছনেও তাঁরই হাত রয়েছে। করোনার ভ্যাকসিন বিক্রি করে তার থেকে ফায়দা তুলতে চান বিল গেটস।
ইয়াহু নিউজ এবং ইউগভ নামে একটি আন্তর্জাতিক মাকের্ট রিসার্চ এবং ডেটা অ্যানালিটিকস সংস্থার যৌথ সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি, আমেরিকার ২৮ শতাংশ মানুষই এই ধারণায় বিশ্বাসী। রিপাবলিকানদের মধ্যে ৪৪ শতাংশও একে সত্যি বলে মনে করেন। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘ফক্স নিউজ’-এর ৫০ শতাংশ দর্শকই এই তথ্যে বিশ্বাস করেন বলে মত দিয়েছেন। যদিও এমএসএনবিসি নামে আর একটি টেলি-নেটওয়ার্কের ৬১ শতাংশ দর্শকই মনে করেন, এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা।
এ বিষয়ে বিল গেটস কী মনে করেন? গোটা বিষয়টিকেই অদ্ভুত বলে আখ্যা দিয়েছেন বিল গেটস। তাঁর কথায়, ‘আমি কখনই কোনো ধরনের মাইক্রোচিপ সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত নই। এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করাটাও মুশকিল। ব্যাপারটা এতটাই নির্বোধ আর অদ্ভুত।’
মহামারি নিয়ে অবশ্য দীর্ঘ দিন ধরেই সচেতনতা প্রসারের কাজে জড়িত বিল গেটস। ২০১৫ সালে ‘টেড টকস’-এ সে বিষয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানেই বিশ্ব জুড়ে এক ভয়ানক মহামারিতে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন বিল গেটস। এ কাজে বিশ্বনেতাদের সক্রিয় হওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও তাঁকে ঘিরে ছড়িয়েছে গুজব।
তবে এই গুজবের ফলে যে করোনার প্রতিষেধক খোঁজার কাজ ব্যাহত হবে না, সেটাই স্বস্তির বলে জানিয়েছেন বিল গেটস। তাঁর মতে, করোনার প্রতিষেধক তৈরি হলে প্রথমেই তা এমন দেশে পাঠানো উচিত, যেখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা প্রায় অসম্ভব। প্রতিষেধক তৈরি কাজে আগামী পাঁচ বছরের জন্য আরো অতিরিক্ত ১৬০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিল ও মেলিন্ডার ফাউন্ডেশন। সূত্র- ইউএস টুডে, আনন্দবাজার।
-

তালায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে ফল পাঠালেন প্রশাসন
তালা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের মোঃ তবিবুর রহমানের শিশু পুত্র ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রিয়াদ হোসেন (১৪) করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তাদের বাড়ি লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন। ফলে পরিবারের কোন সদস্য বাড়ির বাইরে যেতে পারছে না। এমতাবস্থায় শুক্রবার (৫ জুন) সকালে তাদের বাড়ি ছুটে যান তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় পরিবারটি হাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। উপহার সামগ্রীতে রয়েছে আম, লিচু, পেয়ারা, কালাজিরা, আদা, লবঙ্গ, মাল্টা, কাগজি লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফল-মূল।
জানা যায়, রিয়াদ হোসেন দীর্ঘদিন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকাতে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িত অবস্থান করছিল। হঠাৎ তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত ২৭ মে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে তালা হাসপাতালে এসে তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে যান। চিকিৎসকরা তার নমুনা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠায়। ৩০ মে (শনিবার) রাতে ঐ শিশুর করোনা পজেটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পবিরার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার ।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় করোনায় আক্রান্ত রিয়াদের জন্য বেশ কিছু ফলমূল প্রদান করি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম চাল ও খাবারের ব্যবস্থাও করেছেন। বর্তমান সময়ে ওই পরিবারকে অবহেলা নয় একটু সহমর্মিতার পরশ ও সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে তাদের পাশে থাকার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তালা উপজেলায় একমাত্র করোনা পজেটিভ রোগী রিয়াদ হোসেন। এর আগে তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের কাপাসডাঙ্গা গ্রামের এনজিও কর্মী সঞ্জয় সরকার (৩৫) করোনা আক্রান্ত হবার পর সে বর্তমানে করোনা জয় করেছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সঞ্জয় সরকারসহ লকডাউনভূক্ত সকল পরিবার সুস্থ হওয়ায় লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়েছে। -

সাতক্ষীরায় এক চিকিৎসকের করোনা শনাক্ত, এনিয়ে জেলায় মোট ৪৭ জন করোনা আক্রান্ত
স্টাফ রিপোটার ঃ সাতক্ষীরায় এক বিসিএস ক্যাডার চিকিৎসকের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় খুলনা পিসিআর ল্যাব থেকে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের নাম ডাঃ আমিনুল ইসলাম (৩২)। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। তিনি এবার বিসিএস ক্যাডারে প্রশিক্ষণ শেষে হাসপাতালে সংযুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার জানান, বিসিএস ক্যাডারের চিকিৎসক ডাঃ আমিনুল ইসলাম প্রশিক্ষণের জন্য গত ১১ মে ঢাকায় যান। সেখান থেকে ২৯ মে তিনি বাড়িতে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। গত শনিবার তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। বুধবার সন্ধ্যায় তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। রাতেই তার বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হবে বলে তিনি আরো জানান।
তবে ডাঃ আমিনুল ইসলাম জানান, তার শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ। কোন প্রকার তার করোনা উপসর্গ নেই।
এদিকে, এ নিয়ে সাতক্ষীরায় এ পর্যন্ত মোট ৪৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। -
করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে এক নারীর মৃত্যু
স্টাফ রিপোটার ঃ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশনে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
মৃত নারীর নাম আখিরন বিবি (৪৩)। তিনি সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের শাজাহান আলীর স্ত্রী ও বিনেরপোতা গ্রামের রহমত আলীর মেয়ে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, জ¦র, শ^াসকষ্ট ও ডায়াবেটিস নিয়ে আখিরন বিবি বুধবার বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। তবে ভর্তির সময়ে তার ডায়াবেটিস এর মাত্রা খুব বেশী ছিল (৪০ পয়েণ্ট)। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি জানান, তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া যথাযথ নিয়ম মেনেই তার লাশ দাফন করা হবে বলে তিনি আরো জানান।
এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। এদিকে, সাতক্ষীরা জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।