Category: করোনা ভাইরাস

  • কভিড হাসপাতালের অর্ধেক আইসিইউ বেড এখনও খালি

    কভিড হাসপাতালের অর্ধেক আইসিইউ বেড এখনও খালি

    দেশের কভিড হাসপাতালের অর্ধেক আইসিইউ এবং দুই-তৃতীয়াংশ বেড এখনো খালি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    আজ শুক্রবার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এ তথ্য জানান।

    তিনি উল্লেখ করেন, রাজধানীর কভিড হাসপাতালগুলোতে ৮৩টি ও সারা দেশের সব কভিড হাসপাতালে ১৯৬টি আইসিইউ এখনো খালি রয়েছে। খালি থাকা আইসিইউয়ের সংখ্যা কভিড হাসপাতালগুলোর মোট আইসিইউয়ের প্রায় অর্ধেক। অন্যদিকে, ঢাকাসহ সারা দেশের কভিড হাসপাতালগুলোর সাধারণ বেডেরও তিন ভাগের দুই ভাগই খালি রয়েছে।

    তিনি জানান, সারা দেশে সব বিভাগে সাধারণ শয্যা রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০টি। আইসিইউ রয়েছে ৩৭৯টি। সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি রয়েছে চার হাজার ৬৯১ জন। আইসিইউয়ে রয়েছে ১৮৩ জন। অর্থাৎ সারা দেশে সাধারণ শয্যা খালি রয়েছে নয় হাজার ৯১৯টি আর আইসিইউ খালি রয়েছে ১৯৬টি।

    তিনি আরো জানান, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা ফাঁকা রয়েছে। প্রয়োজনে এসব হাসপাতলে রোগী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। ঢাকাসহ দেশের সব কভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১০ হাজার ২৪০টি। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৮০টি। অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ৫৫টি।

    এ সময় নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৬৬১ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮৬৮ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ৪৭৪ জনে

  • সিঙ্গাপুরে আক্রান্তের তুলনায় এখন সুস্থতার হার বেশি

    সিঙ্গাপুরে আক্রান্তের তুলনায় এখন সুস্থতার হার বেশি

    সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৪২ হাজার নয়শ ৫৫ জন এবং মারা গেছে ২৬ জন।  এরই মধ্যে দেশটিতে সেরে গেছে মোট ৩৬ হাজার ছয়শ চারজন। বর্তমানে সে দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার তিনশ ২৫।

    সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর সুস্থতার হার বেড়েছে। নতুন করে দু’শ ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে নতুন তিনশ চারজন।

    আজ শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, আজ শুক্রবার আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচ জন সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং অন্যরা কাজের অনুমতি নিয়ে ডরমেটরিতে বাস করেন।

    দেশটিতে করোনা রোগী ছয় হাজারের বেশি হলেও মাত্র ১৮৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে মাত্র একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে নিবিড় পরিচর্যকেন্দ্রে রাখা আছে।

  • মৃত্যু ৪০, শনাক্ত ৩৮৬৮

    মৃত্যু ৪০, শনাক্ত ৩৮৬৮

    বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন। এনিয়ে মোট মারা গেলেন ১,৬৬১ জন। এছাড়া একই সময়ে আরও ৩,৮৬৮ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১,৩০,৪৭৪ জন।

    আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

    অনলাইন বুলেটিনে বলা হয়, ৬৬টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮,৪৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬,৯৬,৯৪১টি।

    গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ১৭,৯৯৯টি। এরমধ্যে নতুন শনাক্ত হয়েছিলেন ৩,৯৪৬ জন। মোট শনাক্ত হয়েছিলেন ১,২৬,৬০৬ জন। আর গতকাল আরও ৩৯ জন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১,৬২১ জন। এছাড়া গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ১,৮২৯ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫১,৪৯৫ জন।

    আপনার সুস্থতা আপনার হাতে উল্লেখ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়।

    দেশে নভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

  • সাতক্ষীরায় করোনা রোগী ১৩২ জন, নতুন সনাক্ত ২০ জন

    সাতক্ষীরায় করোনা রোগী ১৩২ জন, নতুন সনাক্ত ২০ জন

    গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা জেলায় নতুন করে আরো ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সাতক্ষীরা জেলায় মোট ১৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ছেনে।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়রে (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে পাওয়া নমুনা রিপোর্ট ২০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
    সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ নিয়ে আজ পর্যন্ত মোট ১৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে জেলায়। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউনের প্রস্তুতি চলছে।
    প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারে আজ ঘোষিত ফলাফলে ৭৮টি নমুনা পজেটিভ হয়েছে। এর মধ্যে যশোরের রয়েছে ৩১টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও চলমান পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানান, বুধবার তাদের ল্যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলার ২৭১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে যশোরের নমুনা ছিল ১০৪টি। এতে ৩১টি পজেটিভ ফল দেয়।
    এছাড়া মাগুরার ৪৫টির মধ্যে আটটি, ঝিনাইদহের ২৮টির মধ্যে দশটি, বাগেরহাটের ২৯টির মধ্যে সাতটি এবং সাতক্ষীরার ৬৫টির মধ্যে ১৯টি নমুনার পজেটিভ ফল আসে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনদের অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান, ড. শিরিন।
    এদিকে, যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানিয়েছেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয় জেনোম সেন্টার থেকে পাওয়া ৩১টি পজেটিভ নমুনার মধ্যে ২৩টি নতুন। বাদবাকি আটটি ছিল ফলোআপ। এর ফলে যশোর জেলায় এখন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৪-এ দাঁড়ালো। অনলাইন ডেস্ক:

  • করোনায় চলে গেলেন জাসদের অন্যতম অবিভাবক,সুপ্রিম কোটের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান। ইনু-শিরীনের শোক

    করোনায় চলে গেলেন জাসদের অন্যতম অবিভাবক,সুপ্রিম কোটের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান। ইনু-শিরীনের শোক

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি এক শোকবার্তায় জাসদের অন্যতম অবিভাবক মশাল প্রতীক মামলায় জাসদের প্রধান কৌশলী সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়ার এডভোকেট ইদ্রিসুর রহমানে মৃত্যতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-স্বজন -সহকর্মী-জাসদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। এড. ইদ্রিসুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ জুন থেকে আসগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসকগণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালান। আজ ভোর ৪-১০ মি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন(ইন্না….রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা ডা. ইশরাত জাহান উর্মি, এক পুত্র ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ রহমান সবুজসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বাদ জোহর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বাঙ্গুরা থানার বাঙ্গুরা গ্রামে তার নামাজে জানাজাশেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাধীস্থ করা হয়।
    জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এড. ইদ্রিসুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি জাসদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজীবন দলের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পরও দলের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখতেন, রাজনৈতিক ও আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা এবং নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি যে কোনো দলের পাশে দাঁড়িয়ে একজন দলের একজন দায়িত্বশীল রক্ষক ও অবিভাবকের ভুমিকা পালন করতেন। তিনি রাজনৈতিক সংকট-বিপদে কখনই বিভ্রান্তি বা দোদুল্যমানতায় না ভুগে সবসময় দলের পতাকা সমুন্নত রাখতেন এবং তরুনদের দলের কাজে উৎসাহ প্রদান করতেন। তারা বলেন, প্রয়াত এড. ইদ্রিসুর রহমানকে জাসদের নেতা-কর্মীরা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

  • করোনায় ডিপ্রেশন, নিস্তার নেই সুস্থ হলেও

    করোনায় ডিপ্রেশন, নিস্তার নেই সুস্থ হলেও

    কবে এই ধরাধাম থেকে বিলীন হবে দোর্দণ্ডপ্রতাপ কোভিড?

    কবে আমরা আবার সেই ডিওডোর্যান্ট-সমৃদ্ধ প্রেম ও হট্টমেলায় উদ্বাহু হয়ে কচুরি আইসক্রিম-মদিরা সাঁটানো জীবনে নাম দিতে পারব, কবে ফের বিচ্ছুরিত বিদ্যুৎ হয়ে ঘানি মারবে শপিং মলের আদরণীয় পপকর্ন, তা এখনও বুকে হাত দিয়ে স্যাঙ্গুইন হয়ে বলে উঠতে পারছে না কোটি কোটি মানুষ শাবক, তার মধ্যেই এই যে, আরও অ্যাক নোতুন!

    কবি (অস্যার্থে, গবেষক) জানাচ্ছেন, কোভিডেই দুঃস্বপ্নের পালা সাঙ্গ, এমন ভেবে শান্তি পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এরপর মার্কেটে আরও এক খলনায়কের নেমে আসার চান্সও প্রবল ! তাই, ধীরে! অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছেন বৈজ্ঞানিক ও গবেষকেরা। এমনিতেই ভাইরাল ইনফেকশনের সঙ্গে শারীরিক অবসাদের সম্পর্ক অনেকটা দিঘা ও ম্যাক্সির ওপর গামছা জুটির মতো। একটা দেখা দিলে আর একটা হবেই । বলা হচ্ছে যে, এই অবসাদ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তো হতে পারেই, এমনকী এ যাত্রা করোনাকে ফাঁকি দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও হতে পারে। যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০০২-০৩ সাল নাগাদ সার্স-এর ক্ষেত্রে। এই করোনার মতো গোটা দুনিয়াকে মুহ্যমান করে না তুলতে পারলেও ওই আজ থেকে ১৭-১৮ বছর আগের সময়টায় বহু বাঘা জায়গার ‘কাম সার্সে’ দশা হয়েছিল এই ভাইরাসটির বীভৎস বদান্যতায়। ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার প্রায় তিন বছর বাদে টরন্টোর কয়েকজন বাসিন্দার মধ্যে এমনই শারীরিক অবসাদ তৈরি হয়। যা পেশি দুর্বল করে, ঘুম কমিয়ে দেয়, নতুন ওয়েবসিরিজ দেখার ইচ্ছায় কামড় বসায় বিপুল।

    তথ্য অনুযায়ী, টরন্টোতে ওই সময় সার্সে আক্রান্ত হন ২৭৩ জন। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় মোট ৪৪ জনের। ঘটনা হল, বাকি যাঁরা আপাতদৃষ্টিতে ‘সুস্থ’ হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কিছু অদ্ভুত শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল, যা লক্ষ করেন টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ ও নিদ্রা-বিশেষজ্ঞ হার্ভে মলডোফস্কি। ২০১১ সালে তিনি ও তাঁর সহকারিরা মিলে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সম্বন্ধে একটি পেপার প্রকাশ করেন।

    তবে, এখানেও একটা বড় ফাঁক রয়ে গিয়েছে। তাঁরা মাত্র ৮ শতাংশ সার্স রোগীকে পরীক্ষা করেন। তাই মোট কত সংখ্যক অমন রোগী এই ফ্যাসাদে পড়লেন, তা আর ঠিকভাবে জানা হল না। যেহেতু এই কোভিড-১৯ ভাইরাসটিও সার্স ভাইরাসের পরিবারেরই অংশ, তাই মলডোফস্কির দুশ্চিন্তাটি রহিয়া গেল।

    আবার রয়েল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের সাইমন ওয়েসলির মতে, করোনা বিষয়ে অতটা জানা এখনও পর্যন্ত সম্ভব না হলেও, একটি ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত, এটি শরীর থেকে চলে গেলেও ভবিষ্যতে আক্রান্ত মানুষদের শরীর ও মস্তিষ্কে এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।

    অর্থাৎ, করোনা পরবর্তী জীবনে তুমুল পুলকভোগের প্ল্যান থেকে থাকলেও, তা যে কোনও সময় যে পুনরায় কোঁতকা মেরে দিতে পারে, তা নিয়েও প্রস্তুত থাকা ভালো।

  • করোনা হাসপাতালের সামনে পশুহাট!

    করোনা হাসপাতালের সামনে পশুহাট!

    পুরান ঢাকার নয়াবাজারে ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালে চলছে করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা। এখন এই হাসপাতালের সামনের রাস্তায় কোরবানির অস্থায়ী পশুহাট বসাতে দরপত্র আহ্বান করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এতে ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

    এই হাসপাতাল সংলগ্ন আরমানিটোলা মাঠ। এই পশুহাট মাঠ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই তাঁরা পশুহাটের দরপত্র স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এবং করোনা প্রতিরোধে এই পশুহাট বাতিলের আবেদন জানিয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মাঠটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের নিজস্ব সম্পত্তি।

    ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৪ জুন আরমানিটোলা মাঠের আশপাশের খালি জায়গায় কোরবানির (সরকারি মূল্য ১ কোটি ৬৫ লাখ) পশুহাটের দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসসিসি। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্যবিধির কিছুই বলা হয়নি। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়নি। ২৯ জুন দরপত্র চূড়ান্ত হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হবে।

    কোরবানির হাটের ইজারা তদারকি করে ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ। এ ব্যাপারে সংস্থাটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, আরমানিটোলা মাঠে নয়, পশুহাট বসবে মাঠসংলগ্ন আশপাশে খালি জায়গায়। গত মঙ্গলবার ওই এলাকা ঘুরে গলিরাস্তা ছাড়া খালি জায়গা দেখা যায়নি। এখন এই পরিস্থিতিতে যদি রাস্তার ওপর পশুর হাট বসে, পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে। এতে মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    করোনা হাসপাতালের সামনে পশুহাট: ১৫০ শয্যার ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ডিএসসিসির একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান। গত ৩০ এপ্রিল এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের পাশের মিটফোর্ডে স্থানান্তর করা হয়। এখন এই হাসপাতালে শুধু করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিয়েছে ডিএসসিসি। তবে এখন হাসপাতালটির সামনের রাস্তায় পশুহাট বসানোর পরিকল্পনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    হাসপাতাল সংলগ্ন আরমানিটোলা মাঠ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, এমনিতেই হাসপাতালের সামনের রাস্তায় দিনভর যানজট লেগে থাকে। এখন হাট বসলে পুরো হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, গত বছর এই হাসপাতালের আশপাশের রাস্তায় কোরবানির পশুহাট বসেছিল। তখন অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। এবারের করোনা পরিস্থিতি ভিন্ন। কোনোক্রমেই হাসপাতালে এলাকায় পশুহাট বসানো যাবে না।

    মাঠে হাট বসার আশঙ্কা: আরমানিটোলা মাঠের আয়তন প্রায় ৮৯ শতক। ২০১৪ সালের আগপর্যন্ত এই মাঠে পশুহাট বসে। এতে নষ্ট হয়ে যায় মাঠের পরিবেশ। পরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মাঠটি সংস্কার করেন আরমানিটোলা সমাজকল্যাণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। তিনি জানান, ২০১৭ সালে এই মাঠে ফের পশুহাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল ডিএসসিসি। পরে ওই বছরের ১১ জুলাই ‘আরমানিটোলা মাঠ: এই মাঠে কেন পশুর হাট?’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট হয়। তখন মাঠের দরপত্র বাতিল করে সংস্থাটি। কিন্তু এবার তারা আবার মাঠে হাট বসানোর পাঁয়তারা করছে। তাই গত ১৪ জুন মাঠে হাট বন্ধে মেয়র বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ জুন পৃথক চিঠি দিয়েছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল।

    এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ উত্তম কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, এই মাঠ বা রাস্তায় পশুহাট বসলে পুরো এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। তখন হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এখন করোনা প্রতিরোধে এই এলাকায় পশুর হাট বসানোর কোনো যুক্তি নেই।

    ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, তাঁরা হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাদের পরামর্শ নেবেন। তারপর হাটের দরপত্র চূড়ান্ত করা হবে। দরপত্র প্রকাশের আগে কেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলেননি, এমন প্রশ্নের তিনি কোনো উত্তর দেননি।

  • করোনার নতুন সংক্রমণ ৩৪৬২, মোট সুস্থ প্রায় ৫০ হাজার

    করোনার নতুন সংক্রমণ ৩৪৬২, মোট সুস্থ প্রায় ৫০ হাজার

    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৪৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩৭ জন। সব মিলিয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৮২ জন। দেশে সব মিলে শনাক্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৬৬০ জনের। করোনার সংক্রমণ থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সুস্থ হয়েছেন।

    দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।

    ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩১ জন। সব মিলে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৬৬ জন।

    গতকাল মঙ্গলবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৪১২ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৪৩ জন।

    ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৪৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর আগের দিন ১৬ হাজার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৪৪৪টি নমুনা। দেশে ৬৬টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

    ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

    করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শিশুকে টিকা দিতে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নিয়ে আসুন। টিকা প্রদানের কর্মসূচি ইতিমধ্যেই সম্প্রসারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। সময়মতো শিশুর টিকা দিন, সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

    সূত্র: প্রথমআলো

  • স্যানিটাইজার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার আগেই সতর্ক হোন

    স্যানিটাইজার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার আগেই সতর্ক হোন

    নকল স্যানিটাইজার চিনুন। নামহীন ও মানহীণ ভুয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবার আগেই সতর্ক হোন। এমন করেই সাধারণ ক্রেতাদের সাবধান হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহানাজ হোসেন ফারিবা।

    রবিবার (২১ জুন) রাজধানীর মগবাজারে ভাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়। সে সময় ভূয়া ও মানহীন স্যানিটাইজার বিক্রির অভিযোগে কয়েকটি ভাসমান দোকানকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

    অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযান চালিয়ে ওষুধের দোকান ও ফুটপাতে বসা হকারদের করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রির নামে মানহীণ-ভেজাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করছে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই অবস্থায় জরিমাণা ও শাস্তির পরেও এদের দৌরাত্ম্য কমছে না।

    সুরাকা, টি হ্যান্ড ও স্যানসেটিভ নামে মানহীন অনুমোদিত স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে ৬টি মামলায় ২০ টাকা জরিমাণা করাসহ স্যানিটাইজার জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

    এসব অসাধু ব্যক্তিদের দৌরাত্ম্য বন্ধে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনগণের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

  • করোনায় আক্রান্ত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

    করোনায় আক্রান্ত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা

    রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ১২ দিন আগে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় থেকেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    রবিবার (২১ জুন) রাতে বিষয়টি তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়ে বলেন, নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসার পর থেকেই বাসায় অবস্থান করছি। বর্তমানে আমি সুস্থ আছি। মঙ্গলবার (২৩ জুন) দ্বিতীয়বারের মত নমুনা পরীক্ষার করা হবে।

    গুণী এই শিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন। রেজওয়ানা চৌধুরী রবীন্দ্রসংগীতের জন্যই সর্বত্র পরিচিত। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে তিনি বেশ কয়েকটি বইও লিখেছেন। সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার পান বন্যা। তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘বঙ্গভূষণ’, ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক যুবকের মৃত্যু

    করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক যুবকের মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলশনে আহাদ আলী(৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেলে তিনি মারা যান। তিনি দেবহাটা উপজেলার সখিপুর এলাকার বদরুদ্দীন গাজীর ছেলে।

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ¦র ও শ^াসকষ্ট নিয়ে গতকাল শনিবার আহাদ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বিকেলে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তত্বাবধায়ক।
    এদিকে, এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, সাতক্ষীরা জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

  • কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।

  • কামাল লোহানী আর নেই

    কামাল লোহানী আর নেই

    করোনায় আক্রান্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী আর নেই। আজ শনিবার সকাল ১০টার পরে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী এ কথা জানান।
    কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে গতকাল শুক্রবার জানান তাঁর মেয়ে ঊর্মি লোহানী। কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা ছাড়াও হৃদ্‌রোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

    কামাল লোহানীকে উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন সুলতানা কামাল (বামে)


    শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামাল লোহানী। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
    কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
    ঊর্মি লোহানী গতকাল জানান, কামাল লোহানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় ১৭ জুন সকালে তাঁকে হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল কোভিড টেস্টের ফলাফল হাতে পান তাঁরা। রিপোর্টে কামাল লোহানীর কোভিড-১৯ পজিটিভ বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রথমে কামাল লোহানীকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে কোনো সিট পাওয়া যায়নি।


    ঊর্মি লোহানী জানান, কামাল লোহানী অনেক দিন ধরেই ফুসফুস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। শুরুতে লকডাউনে চিকিৎসা করাতেও বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার সমস্যা ছিল। টেলিফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থা বেশ গুরুতর হয়ে পড়লে গত ১৮ মে তাঁকে রাজধানীর পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলে ২ জুন তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার ভর্তি করাতে হয়েছে।


    কর্মজীবনে কামাল লোহানী দৈনিক মিল্লাত পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতার শুরু করেন। এরপর আজাদ, সংবাদ, পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
    উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটেরও উপদেষ্টা কামাল লোহানী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুবার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি হিসেবে এবং ছায়ানটের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

  • আশার আলো, করোনায় সুস্থ ৪৪ লাখ মানুষ

    আশার আলো, করোনায় সুস্থ ৪৪ লাখ মানুষ

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

    বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে যখন আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল, তখন আশার আলো জাগাচ্ছেন অনেকেই। এরই মধ্যে বিশ্বে ৪৪ লাখেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

    বৃহস্পতিবার বিশ্ব করোনার আপডেট দেয়া ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য দিয়েছেন। তথ্যনুযায়ী এখনও পর্যন্ত করোনায় বিশ্বে ৮৪ লাখ ১২৯ জন আক্রান্ত হয়েছে এর বিপরীতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৪ লাখ ১৪ হাজার ৯৯১ জন। কিন্তু কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ২৬৩ জন।

    বাংলাদেশে এক হাজার ৯২৫ জন আরোগ্য লাভ করেছে। এ নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠেছে মোট ৩৮ হাজার ১৮৯ জন, যা মোট আক্রান্ত শনাক্তের ৩৮ দশমিক ৭৭ ভাগ।

    গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন এর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাশিয়া, ব্রাজিল। আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ৯৪১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৬ জন।

    আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৬০ হাজার ৩০৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৬ হাজার ৬৬৫ জনের। রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩০১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৭৪৭৮ জনের।

    আক্রান্তের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে চলে এসেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ২৬৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ২৬২ জনের।

  • প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা যাচাই কমিটি

    প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা যাচাই কমিটি

    প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় গঠিত পারফরম্যান্স কমিটি। বুধবার (১৭ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে তারা প্রতিবেদন জমা দেন।

    কমিটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুম। করোনাভাইরাস শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট (র‌্যাপিড ডট ব্লট) কার্যকর কি-না, এই কিট করোনা শনাক্তে ব্যবহারের উপযোগী কি-না, তা বলে দেবে এই প্রতিবেদন।

    বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জাগো নিউজ জানান, বুধবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের জন্য খুবই সীমিত সংখ্যক গণমাধ্যমকে ডাকা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

    বিএসএমএমইউ সূত্র জানিয়েছে, কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কিটের ব্যাপারে তাদের অবস্থান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।

    ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, বিএসএমএমইউর পারফরম্যান্স কমিটির কাছ থেকে ইতিবাচক রিপোর্ট এলেই তারা দ্রুত নিবন্ধন দেয়ার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।

    ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয়।

    গত ২ মে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।

  • ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি

    ডা. জাফরুল্লাহর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি

    ডেক্স রিপোর্ট : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে। করোনা নেগেটিভ হলেও তার শরীরে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব আগের তুলনায় বেড়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেজে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার আপডেট শিরোনামে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মামুন মোস্তাফিজ বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবস্থা আজ কিছুটা চিন্তাযুক্ত। তার নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। অবস্থা বিবেচনায় নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডা. জাফরুল্লাহ সবার দোয়া চেয়েছেন।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে ওনার নিজের স্থাপিত প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

  • করোনা : ঢাকা বাঁচলেই দেশ বাঁচবে

    করোনা : ঢাকা বাঁচলেই দেশ বাঁচবে


    নাজমুল হক : শরীরে কোনো উপসর্গ ছাড়াই বিশ্বে করোনভাইরাসে অনেকেই
    সংক্রমিত হয়েছেন। পরীক্ষা করার পরই কেবল ধরা পড়েছে। যারা
    উপসর্গবিহীন, তাদের মধ্যে থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টি
    এখন ওপেন সিক্রেট। উপসর্গবিহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা দিন
    দিন বেড়েই চলেছে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি শামান
    চীন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখিয়েছেন প্রকোপের শুরুতে ৮৬ শতাংশ
    সংক্রমণ এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে ঘটেছিল, যারা ডাক্তার দেখানোর মত
    অসুস্থ বলে নিজেদের বোধই করেননি। কোভিড ১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর
    জাতীয় হিসাব ও বিশ্লেষণ এই গবেষণাপত্রটি সায়েন্স ম্যাগাজিনে
    প্রকাশিত হয়েছে এবং নীরব বাহকদের সম্পর্কে সতর্কতাবাণী
    হিসেবে জনপ্রিয়ও হয়েছে। কিন্তু কতজন রোগাক্রান্ত, তার চেয়ে বড়
    প্রশ্ন কারা অন্যদের মধ্যে রোগ ছড়াচ্ছেন?
    করোনাভাইরাসের সামান্য উপসর্গে জ্বর ছাড়া আর কিছু থাকে না
    এবং অধিকাংশ সময়েই আর সব ঠিক থাকলে জ্বর কেউ মাপেনও না।
    আবার সিজেন পরিবর্তনের কারণে জ্বর মনে হতেই পরে। তথ্য গোপন করার
    প্রবণতা আমাদের দেশে অহরহ হচ্ছে। দেশে এই মুহূর্তে করোনা
    সংক্রমণের সব পথই খোলা। এতে নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে রোগটির সংক্রমণ
    বাড়ছে। ঈদের পরের এই মাসটা দেশে করোনার জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
    এ মাসে সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে, রোগটির প্রকোপ
    কমাতে অনেক বেশি সময় লাগবে।
    ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর,
    ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নরসিংদী রয়েছে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে।
    করোনা প্রতিরোধে জাতীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলোও নানান পদক্ষেপ

    গ্রহণ করছে। কিন্তু কিছুই যেন কাজে আসছে না। তারপরও বিভিন্ন
    অযুহাতে কর্মস্থল ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম থেকে মানুষ
    ফিরছে নিজ জেলায়। গণপরিবহন চালু হওয়ায় এখন মানুষের চলাচলেও নেই
    কোন নিয়ন্ত্রণ। এমনকি বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে একসময়
    দেশে করোনা ঘনীভূত মহামারীর দিকে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন
    বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, একসময় আর কোনো কিছুতেই রোগটি
    নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তখন হার্ড ইমিউনিটি (অর্থাৎ রোগীর শরীরে
    সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা) হবে একমাত্র উপায়।
    করোনা আক্রান্তদের বয়সভিত্তিক বিভাজন দেখলে বোঝা যায়, পরিবারের
    কারো করেনা আক্রান্ত হলে তার থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের
    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছড়াচ্ছে। তার তার থেকে প্রতিবেশীদের। পরিবারে কোন
    সদস্যের মধ্যে সামান্য লক্ষণ ধরা পড়লেই তিনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ২/৩ দিন
    পরে নমুনা দিচ্ছেন। আবার নমুনা দেয়ার পরেও ক্ষেত্র বিশেষ ২/১ দিন পরে
    রিপোর্ট জানা যাচ্ছে। ভিতরের এই সময়টাতেই আক্রান্ত ব্যক্তি পরিবার
    বা অফিসে বা মহল্লায় অহরহ মানুষের সাথে মিশে যাচ্ছে। ফলে তারাও
    ঝুঁকিতে পাড়ছে। এ থেকে উত্তোরণ হতেই হবে।
    জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে কিছু মানুষ সবকিছু ফাঁকি দিয়ে
    গ্রামে-শহরে যাবেই। আমরা প্রতিদিনই করোনার আপডেট নিচ্ছি
    কিন্তু সচেতনতা মানছি কতটুকু? বিভিন্ন অজুহাতে কারণে-
    অকারণে আমরা বাহিরে যাচ্ছি। তবে ঢাকা বিভাগের বাহিরের
    প্রেক্ষাপট কিছুটা হলেও ভিন্ন। গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বাহিরে
    থাকা মানুষের সংস্পর্শে এসে। এটা কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না।
    দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর সদস্যরাও আক্রান্ত হওয়ায় তারাও অনেকটা
    পিছুটান দিয়েছে। নিজে সচেতন না হলে আইনপ্রয়োগ করে
    কতটুকু সচেতন করা সম্ভব?
    ঢাকা বিভাগের মানুষ বেশি আক্রান্ত। সরকার এলাকাভিত্তিক লক ডাউন
    শুরু করছে। ঢাকার বাহিরে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশির ভাগই
    বাহিরে থেকে আগতরা। আবার তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরাও আক্রান্ত
    হচ্ছে। তাই করোনা মহামারি বন্ধ করতে ঢাকা বন্ধ করতেই হবে।

  • সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ প্রবন এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ঘুর্নিঝড় আম্পান দুর্গত এলাকাকে দুর্যোগ প্রবণ
    এলাকা ঘোষনা, উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান, ঝড়-জলোচ্ছাস,
    নদীর বেড়িবাঁধ ভাঙন, লবনাক্ততা ও জলাবদ্ধতায় বিপন্ন উপকূলীয় এলাকার মানুষকে
    রক্ষার দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে
    জেলা নাগরিক কমিটি। সোমবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা কালেকটরেট চত্বরে
    মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
    জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে
    বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আবু আহমেদ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, মমতাজ আহমেদ বাপী,
    এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল, সুধাংশু শেখর সরকার, আবুল হোসেন, আব্দুল
    বারী, এম কামরুজ্জামান, এড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ প্রমুখ।


    বক্তারা বলেন, ঝড়-জলোচ্ছাস ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার মানুষ নদীর বাঁধ
    ভেঙে প্লাবিত হওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার সাথে প্রতিনিয়ত
    যুদ্ধ করে চলেছে। এক সময় অন্য জেলা থেকে লোক না এলে এ এলাকার ধান কাটা
    হতো না সেই এলাকার লাখ লাখ মানুষ এখন কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন এলাকায়
    যেতে বাধ্য হচ্ছে। সরকারের নানামুখি উদ্যোগ নেয়ার সত্বেও এই এলাকায় দারিদ্র
    পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। শিক্ষাসহ অন্যান্য সূচকেও এই এলাকা
    পিছিয়েই থাকছে কেবলমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে।
    মানববন্ধন থেকে সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকাকে দুর্যোগ
    প্রবন এলাকা হিসেবে ঘোষণা, এলাকার উন্নয়নে পৃথক অথরিটি গঠন এবং
    সেই অথরিটিকে পর্যাপ্ত বরাদ্দসহ বিভিন্ন দাবী-দাওয়া পেশ করা হয় এবং বিভিন্ন
    দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর
    প্রদান করা হয়।