নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে দুই চিকিৎসক ও এক বিজিবি সদস্যসহ ১০ করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৯৫৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৪ হাজার ৭৩৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৪৫১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৯৫৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৭৫১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
Category: করোনা ভাইরাস
-
সাতক্ষীরায় নতুন করে ১০ জনের করোনা : মোট আক্রান্ত ৯৫৭
-

বিশ্বে দুই কোটির বেশি করোনায় আক্রান্ত
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিশ্বে এরই মধ্যে দুই কোটির বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ।
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন দুই কোটি ২৪ হাজার ২৬৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক কোটি ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৫ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন ৬৩ লাখ ৯২ হাজার ৩০ জন।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। তবে করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সব অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫২ লাখ। মারা গেছেন দেড় লাখের বেশি মানুষ। এই ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত ও রাশিয়া।
ওয়ার্ল্ডওমিটারসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৬১৭ জন। -

উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবুসহ ৪৭ জনের করোনা শনাক্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবুসহ তার পরিবারের ৪ জন, তিন জন চিকিৎসক ও দুই জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট ৮৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার সকালে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ৪৭ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৪ হাজার ২৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ২৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৮৩৯ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৬০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। -

করোনায় একদিনে ৩৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৪৮৭
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৩৯৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৪৮৭ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০০।
করোনাভাইরাস বিষয়ে রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি মোট ৮৫টি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ১৪টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৭৫৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৯টি। ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা সংগ্রহ হয়েছে, তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৪৮৭ জনের মধ্যে। ফলে এ পর্যন্ত শনাক্ত দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৪ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তিন হাজার ৩৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৭০ জন।
গতকাল শনিবারের (৮ আগস্ট) বুলেটিনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জন মারা গেছেন। ১১ হাজার ৭৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৬১১ জন। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
-

করোনার নতুন চিকিৎসা, সাফল্যের ব্যাপারে ‘অনেকটাই নিশ্চিত’ ড. ফাউচি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় রয়েছে, ঠিক সেই সময়ে করোনা মোকাবিলায় প্রযুক্তিনির্ভর অ্যান্টিবডি-থেরাপিভিত্তিক এক নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, করোনা প্রতিরোধে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপির সাফল্যের ব্যাপারে ‘অনেকটাই নিশ্চিত’ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ও হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের সদস্য ড. অ্যান্থনি ফাউচি।জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অল্পদিনের মধ্যেই করোনাভাইরাসের নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির ঘোষণা দিতে পারে। এবিসি নিউজে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি আভাস দিয়েছেন, করোনা প্রতিরোধে প্রযুক্তিনির্ভর থেরাপিভিত্তিক এক নতুন চিকিৎসা পদ্ধতির ঘোষণা দিতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস।
রয়টার্সের সোমবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যানসারের মতো রোগের চিকিৎসায় যেমন করে বিভিন্ন প্রযুক্তিভিত্তিক থেরাপি দেওয়া হয়; তেমন করেই করোনা চিকিৎসার জন্য একটি থেরাপিভিত্তিক ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ চলছে। এই পদ্ধতিতে সুনির্দিষ্ট ভাইরাসকে (কোভিড ১৯) প্রতিরোধে সক্ষম কৃত্রিম অ্যান্টিবডি তৈরি করে তা থেরাপির মধ্য দিয়ে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিজ্ঞানীরা এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি উন্নয়নে কাজ করছেন। ড. ফাউচি বলেছেন, এই অ্যান্টিবডি যে কোভিড ১৯ প্রতিরোধে সক্ষম হবে সে ব্যাপারে তিনি ‘অনেকটাই নিশ্চিত’।
একটি ভাইরাস যখন মানুষের শরীরের প্রাথমিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দিতে সক্ষম হয়, তখন প্রাকৃতিকভাবেই শরীরে অভ্যন্তরেরই সুনির্দিষ্ট কোনও জায়গা থেকে প্রতিরোধ তৈরি হয়। এটি হয় শরীরে থাকা প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন কিংবা অ্যান্টিবডির কারণে। রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন বিজ্ঞানীরা করোনা মোকাবিলায় যে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির উন্নয়ন ঘটাচ্ছেন, তা আসলে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিনেরই অনুলিপি হবে।
করোনার থাবায় বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এই মারণভাইরাসে। এখনও কার্যকর কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যায়নি। বিশ্বে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে আছে ১৭৩টি উদ্যোগ। এর মধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছাতে পেরেছে তিনটি, তবে কোনও ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাশিয়া তাদের একটি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত সাফল্য দাবি করলেও তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। এমন পরিস্থিতিতে নতুন এক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আশাবাদের কথা শোনা গেলো।
অবশ্য কোভিড-১৯ চিকিৎসায় অ্যান্টিবডির ভূমিকা এখনও প্রশ্নাতীত নয়। বিজ্ঞানীরা এখনও এ নিয়ে কাজ করছেন। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারীরা আত্মবিশ্বাসী যে, যথাযথ অ্যান্টিবডি ব্যবহার করতে পারলে এই পদ্ধতিতে নিশ্চিত সাফল্য আসবে। রিজিনেরন ফার্মাসিউটিক্যাল-এর এক্সিকিউটিভ ক্রিস্টস ক্যারাটসস রয়টার্সকে বলেছেন, ‘অ্যান্টিবডি সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম। -
করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় ২২ মৃত্যু
ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশে দীর্ঘতর হচ্ছে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর তালিকা। গত ২৪ ঘণ্টায় এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ২২ জনের নাম। ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ১৫৪ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৭ ও নারী ৫ জন।
রোববার (০২ আগস্ট) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা। https://3b060ecbd79c2d1c7410ac2772705d35.safeframe.googlesyndication.com/safeframe/1-0-37/html/container.html
একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৮৬৬ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জনে। মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৫ জনে।
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। একদিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জনে।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩১শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ৯ জন এবং সত্তরোর্ধ্ব দুইজন রয়েছেন।
একদিনে মোট করোনায় মৃত ২২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে চারজন, বরিশাল বিভাগে দুইজন এবং রংপুর ও সিলেট বিভাগের একজন রয়েছেন।
বৈশ্বিক সর্বশেষ
গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৭০ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাত লাখ ১৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
-

সাংবাদিক, র্যাব, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীসহ সাতক্ষীরায় ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত : জেলায় মোট আক্রান্ত ৭১৮ জন
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে এক সাংবাদিক, তিন র্যাব সদস্য ও পাঁচ স্বাস্থ্য কর্মী ও দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৭১৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৯৯২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৩ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৭১৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া ৩৯১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। -

করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ব্যবসায়ির মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে আব্দুল খালেক নামে এক ব্যবসায়ির মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ভোর রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে তিনি মারা যান।
মৃত আব্দুল খালেক (৬০) কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ফকির আহম্মেদের ছেলে।সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৯ জুলাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হয়েছিলেন কলারোয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল খালেক। বৃহষ্পতিবার ভোর রাত ১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে তার বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৪৬ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১ জন। -

দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৮ জনর করোনা শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ৬৫৩ জন
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৬৫৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ৮ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৭২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৭৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৬৫৩ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ ও বাকী সব নেগেটিভ এসেছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে -

করোনাভাইরাসের পরীক্ষামূলক টিকা নেয়া বাংলাদেশি তরুণের অভিজ্ঞতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে যেসব প্রতিষ্ঠান তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে, সেরকম একটি পরীক্ষায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ রাহাত আহমেদ রাফি। তিনি বলেছেন, আমার কোন ভয় লাগেনি। মানুষ তো মরণশীল, আজ হোক কাল হোক মারা যেতে হবে। এর মধ্যে মানুষের কল্যাণের জন্য যদি কিছু করতে পারি, সেটাই আমার সার্থকতা।
তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় কয়েক হাজার মানুষের ওপর টিকা প্রয়োগ করে এটির কার্যকারিতা ও কতটুকু নিরাপদ, সেটা যাচাই করা হয়। চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের সঙ্গে যৌথভাবে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-সেহা এবং গ্রুপ-৪২ নামের একটি কোম্পানি এই পরীক্ষা শুরু করেছে। এর আগে চীনে এই টিকার প্রথম আর দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা হয়। দুইশর বেশি দেশের নাগরিক থাকায় তৃতীয় দফার পরীক্ষার জন্য আবুধাবিকে বেছে নিয়েছেন গবেষকরা। তৃতীয় দফায় সফল হলে সেই টিকার অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে।
আবুধাবি এবং আল আইন শহরে পরীক্ষায় অংশ নিতে সাত হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী নাম তালিকাভুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছে সেদেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দেশটিতে প্রথম টিকা নিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান।
তাদেরই একজন বাংলাদেশি ২৬ বছর বয়সী তরুণ রাহাত আহমেদ রাফি। তিনি বলেছেন, আমি রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ার হিসাবে এখানকার করোনা টেস্টিং সেন্টারে গত দুই মাস ধরে কাজ করছি। আমার দায়িত্ব যারা টেস্ট করাতে আসবেন, তার নাম-ঠিকানা কম্পিউটারে তালিকাভুক্ত করা। যখন জানতে পারলাম, করোনাভাইরাসের টিকার জন্য স্বেচ্ছাসেবী চাওয়া হচ্ছে, তখন আমিও ইন্টারনেটে নাম তালিকাভুক্ত করি। এরপর কয়েকদিন পরে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ জুলাই তারিখে আমাকে টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে। ২১দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ দেবে।
তিনি জানান, আবুধাবিতে বিনামূল্যে টিকার পরীক্ষায় অংশ নিতে স্বেচ্ছাসেবী চাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতে অনলাইনে আবেদন করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যাদের শরীরে গুরুতর কোন রোগ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদেরকেই টিকা দেয়ার জন্য বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে স্থানীয় মানুষজনই বেশি।
টিকা দেয়ার পর তার হালকা মাথা ঘোরানো ছাড়া অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
টিকা দেয়ার পর থেকেই প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে। কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা, বর্তমানে কেমন লাগছে, সেটা জানতে চাইছে। তারা সবসময় আমাদের ফলোআপে রাখছে। তিনদিন পরপর তাদের অফিসে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেছে, বলেছেন রাহাত আহমেদ।
আগামী একবছর এভাবে তাদের ফলোআপে রাখা হবে বলে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ধারণা দেয়া হয়েছে। আপাতত তাকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকার জন্য বলা হয়েছে।
তিনি ছাড়া আর কোন বাংলাদেশি এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে তার জানা নেই বলে জানান রাহাত আহমেদ।
জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে।
সিলেট থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে তিনি আবুধাবিতে যান। সেখানে ভাইয়ের সঙ্গে মিলে ব্যবসা করতে শুরু করেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে থাকার সময়েও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রাহাত আহমেদ রাফি। তাই আবুধাবিতে গিয়েও রেডক্রিসেন্টের সঙ্গে যুক্ত হন।
এই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আর্থিক কোন সুবিধা পাওয়া যাবে না।
আবুধাবির পত্রিকা দ্যা ন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে। টিকার দুইটি ডোজ দেয়ার পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, সেটা বোঝার জন্য তাদের কয়েক মাস ধরে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
ইনজেকশনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের একটি নিষ্ক্রিয় সংস্করণ ঢুকিয়ে দেয়া হবে। শরীরের ভেতর প্রবেশ করে সেটি অ্যান্টিবডি বা ভাইরাসের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা তৈরি করবে।
জাতিসংঘের সর্বশেষ ২০ জুলাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা বানাতে ১৭৩টি উদ্যোগ চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষা চলছে।
যদিও বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের ধারণা, মানবদেহে ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে এই বছর পার হয়ে যাবে।
চীনের সিনোভেক বায়োটেক কোম্পানির একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশে নৈতিক অনুমোদন দিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল। এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি)। তবে এখনো বাংলাদেশে তৃতীয় দফার হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমোদন পাওয়া যায়নি, যদিও ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা পরীক্ষা শুরু করেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
-
সাতক্ষীরায় ব্যাংকার, র্যাব, স্বাস্থ্য কর্মীসহ ৩১ জনর করোনা শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ৬৩৯
গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে তিন ব্যাংক কর্মকর্তা, তিন স্বাস্থ্য কর্মী, এক র্যাব সদস্য ও এক পরিসংখ্যান অফিস সহকারীসহ ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৬৩৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ৩১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ৬২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৭৩০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৬৩৯ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকীদের সব নেগোটভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। -

করোনা আক্রান্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও উপসর্গ নিয়ে দুই নারীর মৃত্যু
স্টাফ রিপোটার: করোনা আক্রান্ত হয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দীন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। আর করোনার উপসর্গ নিয়ে মরিয়ম খাতুন নামের এক নারী বৃহস্পতিবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং লায়লা বেগম নামের অপর এক বৃদ্ধা নারী রাতে তার নিজ বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলা নেবাখালী জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত অজিহার রহমানের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দীন (৭০), দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল গফফারের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৫৫) ও কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় গ্রামের নুরুল হকের স্ত্রী লায়লা বেগম (৬৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন করোনা আক্রান্ত আলফাজ উদ্দীন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তির পরপরই মারা যান মরিয়ম খাতুন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের লায়লা বেগম রাতে তার নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে গত বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। ডাঃ রফিকুল ইসলাম আরো জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৪৩ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৯ জন।। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দীন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। আর করোনার উপসর্গ নিয়ে মরিয়ম খাতুন নামের এক নারী বৃহস্পতিবার রাতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং লায়লা বেগম নামের অপর এক বৃদ্ধা নারী রাতে তার নিজ বাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সদর উপজেলা নেবাখালী জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত অজিহার রহমানের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দীন (৭০), দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল গফফারের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৫৫) ও কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় গ্রামের নুরুল হকের স্ত্রী লায়লা বেগম (৬৫)।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৫ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন করোনা আক্রান্ত আলফাজ উদ্দীন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি মারা যান।
এদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তির পরপরই মারা যান মরিয়ম খাতুন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপরদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের লায়লা বেগম রাতে তার নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে গত বুধবার তার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। ডাঃ রফিকুল ইসলাম আরো জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করেনার উপসর্গ নিয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৪৩ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১৯ জন। -

সাতক্ষীরা মেডিকেলে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু: নতুন সনাক্ত ১১
করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে তারা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যান।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে করোনা আক্রান্ত নজরুল ইসলাম (৭৫) ও যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগআচড়া গ্রামের মৃত ফরাজ তুল্লাহ’র ছেলে ঈসমাইল হোসেন (৬০)। তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত ১০ জুলাই জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন বৃদ্ধ নজরুল ইসলাম। পরদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর আজ ভোরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে, শনিবার ভোরে করোনার উপসর্গ নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন বাগআচড়ার ঈসমাইল হোসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান। তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের লাশ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছ।
এনিয়ে, সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ পর্যন্ত মারা গেছেন আরো ১২ জন। আর করেনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো ৩৩ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে এক ব্যাংক কর্মকর্তা, এক পুলিশ সদস্য ও এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত ৪৭৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার সকালে পিসিআর ল্যাব থেকে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে উক্ত ১১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ পর্যন্ত এ জেলা থেকে মোট ৩ হাজার ১৬১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ইতিমধ্যে ২ হাজার ২৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌছেছে। এর মধ্যে ৪৭৯ জনের করোনা পজিটিভ ও বাকীদের সব নেগোটভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। টানানো হয়েছে লাল পতাকা। -

আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসায় দোয়া অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা ও মৃতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার আয়োজনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র।
করোনায় আক্রান্ত সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মো. মহাসিন হোসেন বাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সদস্য আবু শোয়েব এবেলসহ দেশের সকল করোনা আক্রান্তদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং মৃত সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদারসহ দেশের সকল করোনা আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও অন্যান্য রোগীদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ¦ল, দেবহাটা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ হাফিজুল আল-মাহমুদ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা আব্দুল হামিদ আজাদী, আলহাজ¦ মো. রেজাউল করিম, আলহাজ¦ মাওলানা নুর আহম্মদ, আলহাজ¦ আনোয়ারুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, শিক্ষক আলহাজ¦ মাওলানা তৈয়েবুর রহমান, আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুল করিম, মো. শহিদুল্লাহ, মাওলানা আবুল বাসার, সাইফুল ইসলাম, সাজেদা খাতুন, মেহেরুন নেছা, ক্বারী আমিনুর রহমান প্রমুখ।
দোয়া অনুষ্ঠানে স্বাস্থ বিধি মেনে দোয়া অনুষ্ঠানে আহ্ছানিয়া মিশন আদর্শ আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া। -

করোনার নতুন হটস্পট হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরা
মুনসুর রহমান: জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। গত ১০ দিনে সাতক্ষীরায় ৩৩০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই ২০২০) পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৩২ জন নতুন সংক্রমিতসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪২২ জন। একই সময়ে এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছে ১০ জন। গত একমাস আগেও এ সংখ্যা মাত্র ৫০ এর নিচে ছিল। আক্রান্তের দিক থেকে এখন নতুন হটস্পট হচ্ছে সাতক্ষীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে বাড়তে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামকেও। ঢাকাসহ সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা চলমান থাকায় জেলার মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুুঁকি প্রবল।খবরের সূত্রে প্রকাশ, গত ৮ মার্চ দেশে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেও জেলায় গত ২৬ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং অফিসিয়ালি জেলায় প্রথম ৩০ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে সংক্রমণের সংখ্যা কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। গত ১২ জুলাই ২০২০ জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ ৪৪ জন করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিল। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ৩২ জন ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৪২২ জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধাকি ব্যক্তি জানান, সীমিত আকারে ও শর্তসাপেক্ষে দোকানপাট, শপিংমল থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকারের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। সে ধারাবাহিকতায় দোকানপাট খুলছেও। এতে স্বাভাবিক কারণেই রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়েছে। শহরে গত এক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে লোকসমাগম ও যানবাহনের সংখ্যাও। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের জন্য আগে মোবাইলকোর্ট পরিচালিত হলেও এখন তাও কম দেখা যাচ্ছে। ফলে এ সুযোগটিকে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছেন মানুষ। তারা ইচ্ছেমতো বের হচ্ছেন। এতে ভেঙ্গে পড়েছে সামাজিক দূরত্ব ব্যবস্থাপনাও।
তারা আরও জানান, জেলার বাইরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ পেটে তাগিদে কাজ করেন। তাদের মধ্যেও অধিকাংশ মানুষের শিক্ষার হার অতি নগন্য। তারা করোনা সংক্রমিত এলাকার লকডাউন উপেক্ষা করে জেলায় প্রবেশ এখনও চলমান রেখেছে। দিনের পর দিন জেলায় বহুগুণে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা; তা নিয়ে সকল উপজেলাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করলেও করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরীক্ষাগার স্থাপনের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি স্বাস্থ্যবিভাগের কোনো কর্মকর্তারা। এমনকি পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য করোনা রিপোর্ট আসতে দেরি হলেও করোনা উপস্বর্গে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দেদারছে জেলার মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকান, হাটবাজার, রাস্তাঘাটা ও বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় ঘুরাঘুরি করছে। তাদেরকে ঘরে রাখতে জেলার করোনার প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধিদের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। মহাদুর্যোগ করোনা থেকে জেলার মানুষকে প্রাণে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
জেলার সচেতন মহল জানান, করোনার সংক্রমণ থেকে জেলার মানুষকে প্রাণে বাঁচাতে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা দীর্ঘদিন পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি করলেও তা নির্মাণের আজও কোনো উদ্যোগ স্বাস্থ্য বিভাগ নেয়নি। আমরা চাইবো অনতিবিলম্বে যেন করোনা রোগীদের শনাক্তের জন্য নির্ধারিত সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের ১০০শ’ শয্যা হাসপাতালেই পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়।সিভিল সার্জন অফিসের মূখপাত্র ডাঃ জয়ন্ত সরকার জানান, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই ২০২০) পর্যন্ত করোনা উপস্বর্গে সন্দেহে ২৮৮৮ জন ব্যক্তির স্যাম্পল গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০৯১ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে এবং পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য ৭৯৭ জনের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ৩২ জনসহ মোট ৪২২ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে এবং সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৬৮ জন এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জন এবং করোনা উপস্বর্গে ৪৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, শুনেছি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমোদন হয়ে গেছে। এছাড়াও ইঞ্জিনিয়ার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব স্থাপনের রুম পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু মেশিন সংকটের জন্য আজও তা স্থাপন হয়নি। গত শনিবার (১১ জুলাই ২০২০) জনপ্রশাসন সচিব কলেজে আসছিলেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন খুব শীঘ্রই সাতক্ষীরায় পিসিআর ল্যাব স্থাপন হবে। তবে কতদিনের মধ্যে ল্যাব বসবে তা বলেননি।
সিভিল সার্জন ডা: হুসাইন সাফাওয়াত জানান, সারাদেশের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে আন্তঃযোগাযোগের কারণে এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই আন্তঃযোগাযোগ আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে। জেলায় এখনও পিসিআর ল্যাব স্থাপন না হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি আমরাও। তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রাম মতো করোনার নতুন হটস্পট হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরা। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জেলার ১৭ টি ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম রেডজোন, ১৬ টি ইয়েলোজোন এবং বাকিগ্রামগুলোকে সবুজজোনে ঘোষণা করেছিল। জেলায় করোনা উপস্বর্গে মৃত্যু ও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা করলেও তা ফলোআপ না থাকায় সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনই দরকার জেলার লকডাউনকৃত বাড়ির ব্যক্তিদের তদারকি করা। আর তা করতে ব্যর্থ হলে জেলার হাজার হাজার মানুষ করোনা সংক্রমিত হবে। তিনি জানান, ভৌগোলিক অবস্থানের দিক বিবেচনায় সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিপূর্ণ। এখন সাতক্ষীরার মানুষ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সামনে সাতক্ষীরার জন্য কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। সেজন্য জেলায় দ্রুত পিসিআর ল্যাব স্থাপন জরুরী।
-

বিশ্বে প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের সাফল্য ঘোষণা করল রাশিয়া
আন্র্তজাতিক ডেস্ক: বিশ্বে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালে সাফল্যের ঘোষণা দিল রাশিয়া। সম্প্রতি দেশটির সেশনভ ফার্স্ট মস্কো স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ সাফল্য দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা স্পুটনিক।
রাশিয়ার গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির তৈরি এ করোনা ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু হয়েছিল গত ১৮ জুন। এ পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে ভ্যাকসিনটি।
ইনস্টিটিউট ফর ট্রানস্লেশনাল মেডিসিন অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির পরিচালক ভাদিম তারাসোভ জানান, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বে প্রথমবার স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে সেশনভ ইউভিার্সিটি। ট্রায়ালে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম দলটিকে আগামী বুধবার ছেড়ে দেয়া হবে। দ্বিতীয় দলটি ছাড়া পাচ্ছে ২০ জুলাই।
সেশনভ ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব মেডিকাল প্যারাসাইটোলজির পরিচালক আলেক্সান্দার লুকাশেভ জানান, তাদের গবেষণার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল এটি মানবদেহের জন্য নিরাপদ কি না তা নিশ্চিত করা, যা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ তা নিশ্চিত হয়েছে। এটি বাজারের অন্য ভ্যাকসিনগুলোর মতোই নিরাপদ।
সুত্র: দেশ বিদেশ
-

করোনা : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ৪ ভাগের ১ ভাগই পজিটিভ
ন্যাশনাল ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৯৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৯ জন। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মোট ২ হাজার ৩৯১ জনের মৃত্যু হলো। আর বাংলাদেশে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হলেন এক লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৪ জন।
দৈনিক স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদে মধ্যে পুরুষ ৩০ জন আর নারী ৯ জন। আর এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৯০ জন আর নারী ৫০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ এখন প্রতি চারজনের পরীক্ষায় একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। নাসিমা সুলতানা জানান, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৪২৩টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে নয় লক্ষ ৫২ হাজার ৯৪৭টি। তিনি বলেন, এই সময়ে ৪ হাজার ৭০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মোট ৯৮ হাজার ৩১৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
-
করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কৃষকের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর রাতে মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসোলেশনে তিনি মারা যান।
মৃত ওই কৃষকের নাম আকতার হোসেন (৫২)। তিনি সদর উপজেলার ঘোনা গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন ওই কৃষক। এরপর সোমবার ভোর রাতে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত কুমার সরকার জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার লাশ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
এদিকে, এনিয়ে সাতক্ষীরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ