Category: করোনা ভাইরাস

  • তসলিমা নাসরিন করোনায় আক্রান্ত

    তসলিমা নাসরিন করোনায় আক্রান্ত

    ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
    রোববার (৯ মে) বেলা আড়াইটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

    স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমি চিরকালই বড় দুর্ভাগা। এই যে গত বছরের মার্চ মাস থেকে একা আছি ঘরে, একখানা ইন্ডোর ক্যাট সঙ্গী, কোথাও এক পা বেরোলাম না, কাউকে ঘরে ঢুকতে দিলাম না, রান্না বান্না বাসন মাজা কাপড় কাচা ঝাড়ু মোছা সব একাই করলাম, কী লাভ হলো? কিছুই না। ঠিকই কোভিড হলো। গত এক বছরে শুধু একবার এক ঘণ্টার জন্য বাইরে বেরিয়েছিলাম, তাও দু’মাস আগে, টিকার প্রথম ডোজ নিতে। ওই ডোজটি কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল বলে হয়তো এ যাত্রা বেঁচে গেছি।
    আমি চিরকালই বড় দুর্ভাগা। এক এক করে যদি লিখি কী কী ঘটেছে জীবনে যা ঘটার কথা ছিল না, তাহলে তালিকা এত দীর্ঘ হবে যে পড়ে কেউ কূল পাবে না। আপাতত কোভিড হওয়ার দুঃখটাই থাক। দুঃখ থাকাও হয়তো ঠিক নয়। কারণ ধীরে ধীরে আমি সুস্থ হয়ে উঠছি। কিন্তু হাজারো মানুষ যারা সুস্থ হতে পারেনি! যারা শ্বাস নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি শ্বাস নিতে! দুঃখগুলো বরং তাদের জন্য থাক।
    এখন এইটুকু অন্তত ভালো লাগছে, এটি আর স্টিগমা নয় আগের মতো। কারো কোভিড হলে সে লুকিয়ে রাখতো খবর, কারণ কোভিড হওয়াটা অনেকটা ছিল এইডস হওয়ার মতো। সমাজ ব্রাত্য করে দিত। এক বছরে এত মানুষকে ধরেছে এই কোভিড, এতে, ভালো, যে, স্টিগমাটা গেছে। কেউ আর বলতে দ্বিধা করে না যে তার কোভিড হয়েছে।’

  • ভারতীয় ড্রাইভারদের যত্রতত্র ঘোরাঘুরি: ঝুঁকিতে বেনাপোলবাসী

    ভারতীয় ড্রাইভারদের যত্রতত্র ঘোরাঘুরি: ঝুঁকিতে বেনাপোলবাসী


    শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় করোনার নতুন ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দরে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বন্দরটি দিয়ে বছরে এক লাখ টন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ অংশে পণ্য প্রবেশ দ্বারে ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও ট্রাকচালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াই অনভিজ্ঞ আনসার সদস্য দিয়ে চলছে এসব ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের তেমন তদারকি না থাকায় সমাজিক দূরত্বের বালাই নেই বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা এসব ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীদের।
    স্থানীয়রা বলছেন, ভারত থেকে যেসব ট্রাক চালকেরা বন্দরে আসছেন তারা ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই তারা চলাফেরা করছেন। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে খুব দ্রুত সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
    বেনাপোল বন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কারো মধ্যে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় অবাধে মাস্ক-পিপি ছাড়া চলাফেরা করছেন ভারত ও বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা। অনেকের কাছে মাস্ক বা পিপি থাকলেও তা ঠিকমতো ব্যবহার করছেন না। কারো মুখে মাস্ক থাকলেও তা ঝুলছে থুতনিতে। আবার কারো কাছে পিপি থাকলে তা রয়েছে গাড়িতে। এমনকি বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরাও অনেকে দায়িত্ব পালন করছেন মাস্ক ছাড়া।

    বন্দর এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকরা আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসছেন। তারা পিপিই-মাস্ক পরে বেনাপোল বন্দরে আসলেও বন্দরে ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে পৌঁছানোর পর পিপিই ও মাস্ক খুলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যত্রতত্রভাবে বন্দর এলাকায় ঘুরে বেরাচ্ছেন। এতে করে এসব ট্রাক চালকদের মাধ্যমে ভারতে করোনার নতুন ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের।
    বেনাপোল বন্দর সূত্র জানায়, ভারতে করোনার নতুন সংক্রমণে মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে সরকার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত বন্ধ করে দিলেও দেশের শিল্প-কলকারখানাগুলোতে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বেনাপোল বন্দর লকডাউনের আওতামুক্ত রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু রাখে।
    এতে স্বাভাবিকভাবে রেল ও স্থলপথে বেনাপোল-পেট্রাপোল দুই দেশের মধ্যে চলছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। বন্দরে বাণিজ্য সম্পাদনায় কাজ করছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকসহ প্রায় ২০ হাজার কর্মজীবী মানুষ। তবে বন্দরটিতে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি বেড়ে চলেছে।
    বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার সাইদুর রহমান জানান, আগে করোনা সংক্রমণ রোধে রেলস্টেশনে বন্দরের পক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কাজ করতেন। এখন আর কেউ আসেন না। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে রেলে পণ্য আসছে। নিরাপত্তার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা সচল রাখা জরুরি।

    বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা বেনাপোল বন্দরে আসছেন, আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকেরা ভারতে যাচ্ছে, তাই এসব ট্রাক চালকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা না বাড়ালে এদের মাধ্যমে ভারতের করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়তে পারে।
    জানতে চাইলে বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, আগে বন্দরে প্রতিরোধ ব্যবস্থাসহ সবকিছুই ছিল। তবে জনবল সংকটে এখন কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে এসব ট্রাকচালক ও বন্দরের শ্রমিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সব প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
    যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদেরকে অবহিত করলে সব ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • আগামীকাল থেকে জেলায় জেলায় চলবে গণপরিবহন

    আগামীকাল থেকে জেলায় জেলায় চলবে গণপরিবহন


    ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনা মহামারির সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে জেলায় জেলায় চলবে গণপরিবহন।
    বুধবার (৫ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
    দেশজুড়ে চলমান বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানোর ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এই সময়ের মাঝে ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে অর্ধেক আসন খালি রেখে জেলায় জেলায় গণপরিবহন চলবে। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
    করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে চলাচলে বিধিনিষেধ বা লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যা ১২ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। তবে সে সময় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু ছিল। পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এই সময়ে বন্ধ ছিল গণপরিবহন এবং দোকানপাট। এরপর পুনরায় ৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ বর্ধিত করা হলেও সর্বশেষ ঘোষণায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত তা বর্ধিত করা হয়েছে।

  • দেবহাটায় করোনাক্রান্ত ৩০ পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার

    দেবহাটায় করোনাক্রান্ত ৩০ পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার

    দেবহাটা প্রতিনিধি: একদিকে পরিবারের সদস্যদের শরীরে করোনার হানা, অন্যদিকে লকডাউনে জীবিকা নির্বাহ বন্ধ হয়ে তীব্র আর্থিক অসচ্ছলতায় পড়েছেন মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের পরিবার। সেজন্য এসকল অসচ্ছল করোনা আক্রান্তদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দেবহাটা উপজেলার করোনা আক্রান্তদের মধ্যে থেকে ৩০টি অসচ্ছল পরিবারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন। প্রত্যেক পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সাড়ে ৩ হাজার টাকার চেক বিতরণকালে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবর রহমান, নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, কুলিয়া ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আশাশুনিতে ভ্রাম্যমাণ আদলতে জরিমানা

    আশাশুনিতে ভ্রাম্যমাণ আদলতে জরিমানা


    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে ১২ জুয়াড়িসহ ১৮ ব্যক্তিকে ৮টি মামলায় ১১ হাজার ৬৯০ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় কুল্যা ইউনিয়নের ৬ জুয়াড়িকে ৪ হাজার ২৭০ টাকা, শোভনালী ইউনিয়নের ৬ জয়াড়িক ৪ হাজার ৪২০ সর্বমোট ২টি মামলায় ১২ জন জুয়াড়িকে ৮ হাজার ৬৯০ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুসেইন খাঁন। অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন সুলতানা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, মাস্ক ব্যবহার না করা ও দোকানে ভীড় করে মাস্ক পরিহিত নয় এমন খরিদ্দারের কাছে মাল বিক্রয় করার অপরাধে বুধহাটা বাজারের মাস্টার্স এর প্রোঃ আলাউদ্দীনকে ৫০০ টাকা, সিম টেলিকমের প্রোঃ আনিসুর রহমানকে ৫০০ টাকা, অভিজিৎ স্টোরের প্রোঃ নিত্য বিশ্বাসকে ৫০০ টাকা, লাইফ লাইন মেডিকেল হল এর প্রোঃ রবিন কুমারকে ৫০০ টাকা, মা এন্টারপ্রাইজ এর প্রোঃ ফয়সাল ইসলামকে ৫০০ টাকা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শরিফুজ্জামানকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও অফিস সহকারি উপস্থিত ছিলেন।

  • দিল্লির পার্কগুলো পরিণত হয়েছে শ্মশানে

    দিল্লির পার্কগুলো পরিণত হয়েছে শ্মশানে


    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক সপ্তাহ ধরেই ভারতের করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে চলেছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যানে এগিয়ে রাজধানী দিল্লি।

    বিপুল সংখ্যক মরদেহ সৎকারে হিমশিম খাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ। স্থান সংকুলান হচ্ছে না রাজ্যের সরকারী শ্মশানে। এমন পরিস্থিতিতে পার্ক আর পরিত্যাক্ত জমিতে অস্থায়ীভাবে চিতা জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
    গত ২৪ ঘণ্টায় সরকরি হিসেবে ভারতে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৭৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা ৩৮০ জন। যদিও সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি প্রকৃত সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণের বেশি।
    এমন পরিস্থিতে মৃতদের সৎকারে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে শ্মশানের কর্মীরা। মৃতদের স্বজনরাও চিতায় আগুণ দেওয়ার জন্যে কাঠ থেকে শুরু করে সকল সরঞ্জাম যোগাড়ে সাহায্য করছে।
    বিবিসি জানায়, বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি পার্ক করার জায়গায়, পার্ক কিংবা উন্মুক্ত স্থানেও চিতা জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পরেও লাশ সৎকারের জন্য লাইন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে স্বজনদের।
    শহরের সারাই কলে খান শ্মশানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২৭টি নতুন শ্মশান ঘাট তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আশেপাশে পার্কগুলোতে ২৭টি অস্থায়ী চিতা জ্বালানোর মঞ্চ তৈরি হয়েছে। দিল্লির পার্শ্ববর্তী যমুনা নদীর পাড়েও শ্মশান ঘাট তৈরির পরিকল্পনা চলছে।

  • দুই সপ্তাহের মধ্যে কোনও টিকা আসার সম্ভাবনা নেই

    দুই সপ্তাহের মধ্যে কোনও টিকা আসার সম্ভাবনা নেই


    ন্যাশনাল ডেস্ক: আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশে কোনও টিকা আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) চীনের উদ্যোগে আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশসহ মোট ছয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনও সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
    টিকা আসার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সবার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। আমরা কয়েকটি ডকুমেন্ট চেয়েছি। দুই সপ্তাহের আগে কিছু পাওয়া যাবে না। চীন, রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র সব জায়গায় একই অবস্থা। এখানে কিছু কাগজপত্র ঠিক করতে হবে এবং জাহাজীকরণের ফলে দুই সপ্তাহের আগে কিছু হবে না।
    এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা রিজনেবল টাইম। যুক্তরাষ্ট্রে কিছু বাড়তি টিকা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখান থেকে আমরা পাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা যেখান থেকে পাই সেখান থেকেই আনবো।
    সেরাম থেকে টিকা পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতকে বলেছি পুরোটা না হলেও অবিলম্বে যে ৩০ লাখের চাহিদা আছে সেটি পূরণ করো। কিন্তু এখনও কিছু উত্তর পাওয়া যায়নি।
    রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আলোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সবকিছু এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করবে। আমরা যোগাযোগ করে দিয়েছি এবং এখন টিকা কবে আসবে, কীভাবে আসবে, দাম কত হবে সবকিছু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে।

    প্রধানমন্ত্রী যেকোনও দেশ থেকে টিকা আমদানির অনুমোদন দিয়ে রেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন সরকারিভাবে ক্রয় করা হবে।
    চীনের উদ্যোগে আয়োজিত কোভিড-১৯ মোকাবিলা বিষয়ক বৈঠকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সমন্বয়ে কোভিড ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল ফ্যাসিলিটি গঠন হবে। যাদের প্রয়োজন হবে এখান থেকে মেডিক্যাল সাপোর্ট নেবে।
    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বৈঠকে জানিয়েছে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে টিকা লাগবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নেই এমন কোনও টিকা আনার সুযোগ তৈরি হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশ বিশেষ অনুমতির ব্যবস্থা নেবে।
    ভ্যাকসিন সহায়তা নিয়ে কাজ করবে চীন জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কিছু নিয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি। প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

  • করোনা মোকাবেলায় সহযোগিতা দিতে চায় চীন

    করোনা মোকাবেলায় সহযোগিতা দিতে চায় চীন


    ন্যাশনাল ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। ঢাকায় সফররত চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফিংগে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
    সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে এ ব্যাপারে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। করোনার ভ্যাকসিন সম্পর্কে গবেষণা ও উৎপাদনে যৌথ উদ্যোগ নিতেও আগ্রহী বাংলাদেশ।’
    একদিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান জেনারেল ওয়েই ফিংগে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে চীন। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও চীন কাজ করে যাচ্ছে।’

    চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার চীন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। অবকাঠামো ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
    রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক খুবই ভালো। এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’ চীন এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
    রাষ্ট্রপতি চায়না কমিউনিস্ট পার্টির ১০০ বছর পূর্তিতে চীনের রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।

  • ভারত অক্সিজেন বন্ধ করলেও আপাতত সংকট নেই

    ভারত অক্সিজেন বন্ধ করলেও আপাতত সংকট নেই


    ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারত থেকে চার দিন ধরে বাংলাদেশে আসছে না লিকুইড অক্সিজেন। ভারতে করোনার রেকর্ড ঊর্ধ্বগতিতে এই মুহূর্তে তাদের দেশেই অক্সিজেনের তুমুল চাহিদা। এ কারণেই তারা অক্সিজেন রফতানি করছে না বলে মনে করছেন আমদানিকারকরা। দেশের বড় উৎপাদকরা বলছেন, এই মুহূর্তে রোগী কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে না, চালিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। তবে রোগী বেড়ে গেলে সরবরাহে চাপ পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    স্বাস্থ্য অধিদফতর ভারতের অক্সিজেন রফতানি বন্ধে দেশে কোনও সংকট দেখছে না। চাপ বাড়লে বিকল্প উপায়ে সরবরাহের চিন্তা করছে তারা।

    দেশে যখন করোনার উচ্চ সংক্রমণ চলছিল তখন মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা ছিল দিনে ১৮০-২০০ টন। তবে বর্তমানে এই চাহিদা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন অক্সিজেন প্রস্তুতকারকরা। শিল্প কারখানায় এখন সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে দেশের দুই বৃহৎ অক্সিজেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লিন্ডে এবং স্পেক্ট্রা। যেটুকু উৎপাদন হচ্ছে তার সম্পূর্ণটুকু হাসপাতালে সরবরাহ করছে তারা। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কম থাকায় আপাতত স্বস্তি দেখছেন সরবরাহকারীরা। তবে রোগী বাড়লে নতুন করে সংকট দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে তাদের।
    স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের আপাতত কোনও সংকট নেই। আমাদের এখন যেভাবে রোগী কমছে, এই হারে যদি হাসপাতালে রোগী ভর্তি কম থাকে তাহলে সংকট হবে না। আমাদের দেশীয় এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করি। যেমন লিন্ডে এবং স্পেক্ট্রা থেকে আমরা হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ দেই দুটি ফর্মে। একটি লিকুইড অপরটি গ্যাস। এভাবে যদি চলে তাহলে আমরা সরবরাহ চালিয়ে যেতে পারবো।’
    বিকল্প পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ভারত থেকে লিকুইড অক্সিজেন নিয়ে আসি, সেক্ষেত্রে আমাদের সাপ্লাই চেইনে লিকুইড ট্যাংকের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হতে পারে। তখন আমরা গ্যাস সরাসরি দিতে পারবো। আমাদের যে গ্যাস আছে দেশে তাতে অসুবিধা হয় না।’
    বিকল্প এই ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ফরিদ হোসেন আরও বলেন, ‘লিকুইড গ্যাস দিতে হলে আমাদের একটা ট্যাংক বসাতে হয়। সেই ট্যাংকের মাধ্যমে কতোগুলো সিস্টেম আছে, সেগুলোর মাধ্যমে ওয়ার্ডে যেখানে লাইন আছে সেখানে আমরা সরাসরি দিতে পারি। আমাদের বড় বড় সিলিন্ডার যেটা দিতে হয় সেটিকে আমরা ম্যানিফল্ডিং সিস্টেম বলি। লিকুইড অক্সিজেন এভাবে ট্যাংক থেকে গ্যাস হয়ে রোগীর কাছে পৌঁছায়। এখন যদি আমাদের লিকুইড অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে আমরা ট্যাংকে লিকুইড অক্সিজেন না দিয়ে সরাসরি সিলিন্ডারে গ্যাস দিয়ে এই কাজটি করতে পারি। আমাদের গ্যাসের এখন পর্যন্ত কোনও ঘাটতি নেই। আমাদের এখানে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আছে যারা ছোট আকারে উৎপাদন করে নিজেদের জন্য। ইসলাম অক্সিজেন প্রায় ২০ টনের মতো আমাদের হাসপাতালগুলোতে দেয়। জিপিএইচ গ্রুপ স্পেক্ট্রাকে দেয়। এভাবেই আমাদের চলছে। বড় শিল্প কারখানা যেমন ইস্পাত ফ্যাক্টরিতে কিন্তু ছোট প্লান্ট আছে, নতুবা তারা চালাতে পারে না। তারা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাইরে সরবরাহ করে।’
    রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখনই রোগী বেড়ে গিয়েছিল আমরা এবং লিন্ডে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তাদের বলে দিয়েছি এই মুহূর্তে আমরা তাদের সরবরাহ করতে পারবো না। সেটা বন্ধ করে আমরা হাসপাতালে দিয়েছি। পাশাপাশি যাদের কাছে সিলিন্ডার যায় তাদের সরাসরি গ্যাস প্লান্ট থেকে সরবরাহ করছি। আগে আমরা গ্যাসের প্রোডাকশন কমিয়ে লিকুইড থেকে গ্যাস করতাম। এখন আমরা দুটি কোম্পানি শুধু গ্যাস প্লান্ট থেকে গ্যাসই দিচ্ছি। এই দুটি পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আমাদের দুই কোম্পানিরই সক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।’
    লিন্ডের মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবং প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র সায়কা মাজেদ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল বন্ধ রেখেছি। যা উৎপাদন হচ্ছে পুরোটাই হাসপাতালে দিচ্ছি। আমাদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে রোগীর চাপ কম আছে। এখন আমরা যা আছে তা-ই দিয়ে দিচ্ছি। আমরা এভাবে চালাতে পারবো যদি রোগীর সংখ্যা না বাড়ে।’

  • ভারত থেকে শিগগিরই টিকা মিলছে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    ভারত থেকে শিগগিরই টিকা মিলছে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী


    ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারত থেকে শিগগিরই মিলছে না করোনার টিকা। কবে পাওয়া যাবে সেটাও নিশ্চিত নয়। তাই টিকার চাহিদা মেটাতে বিকল্প উৎস খুঁজছে সরকার।
    সোমবার বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে শিগগিরই মিলছে না সেরামের টিকা। তবে চীন, রাশিয়া এবং আমেরিকার টিকা প্রাপ্তির জোর চেষ্টা চলছে।”
    ভারতের করোনার বেসামল পরিস্থিতির সামান্য আঁচেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠতে পারে, তা ভেবেই শঙ্কিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
    জাহিদ মালেক বলেন, “ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির আঁচ বাংলাদেশে লাগলে তা হবে ভয়াবহ। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।”
    বর্তমান প্রেক্ষাপটে জীবিকার চেয়ে জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন তিনি।

  • মসজিদে হবে ঈদুল ফিতরের নামাজ

    মসজিদে হবে ঈদুল ফিতরের নামাজ


    ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ মসজিদে পরার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
    সোমবার (২৬ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদগাহে না হয়ে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে পরার জন্য় মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

    একইসঙ্গে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
    দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরো ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৬১ জন ও নারী ৩৭ জন। একই সময় নতুন করে আরো ৩ হাজার ৩০৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
    এই পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।

  • কালিগঞ্জে করোনা রোগীর বাড়ী লকডাউন

    কালিগঞ্জে করোনা রোগীর বাড়ী লকডাউন

    কালিগঞ্জ (শহর) প্রতিনিধি: যশোর জেনারেল হাসপাতাল খেকে কোভিড-১৯ রোগী শেফালী রানী সরদার পালিয়ে তার গ্রামের বাড়ী কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিনশ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে অবস্থান করার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়ী লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। জানাগেছে গত ২৩ এপ্রিল ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় শেফালী রানী সহ ১০ জন কোভিড রোগীকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৩ এপ্রিল ভর্তি করে। ২৫ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে শেফালী রানী সরদার বয়স (৪০), স্বামী- মনোতোষ সরদার (৪৮), তিনি তার গ্রামের বাড়ী কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিনশ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে চলে আসেন। সেখানে অবস্থান করাকালীন গোপন সংবাদের সুত্র ধরে ২৬ এপ্রিল সোমবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার রবিউল ইসলামের নির্দেশে দক্ষিন শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার ও দক্ষিনশ্রীপুর করোনা এক্সপার্ট টিমকে অবহিত করলে ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার ও দক্ষিনশ্রীপুর করোনা এক্সপার্ট টিম লিডার দেবাশীষ বিশ্বাস, সহকারী টিম লিডার ইয়াসমিন আরা মুক্তা সহ টিমের অন্যান্য সদস্য, গ্রাম পুলিশ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেফালী রানী সরদারের বাড়ী লকডাউন ঘোষনা করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এদিকে কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের দিলিপ দত্তের ছেলে শ্রীকলা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিশির দত্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলায় করোনার দ্বিতীয় ধাপে দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হলো।

  • সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে সম্মানী ভাতা প্রদান

    সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে সম্মানী ভাতা প্রদান


    নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনাকালীন কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, কলাকুশলী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি’র আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মানী ভাতার চেক তুলে দেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা সভাপতি আবু আফ্ফান রোজ বাবু, সাধারণ সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্মা, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু প্রমুখ। সাতক্ষীরা জেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার কোভিড-১৯ করোনাকালীন ৩১৪ জন কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, কলাকুশলী, সাংস্কৃতিক কর্মীদের মাঝে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান কর্মসুচির উদ্বোধন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুসফিকুর রহমান মিল্টন।

  • কলারোয়ায় কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ

    কলারোয়ায় কৃষকদের মাঝে বীজ-সার বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ার ১৫০০জন কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ করা হচ্ছে। মহামারি করোনা ভাইরাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং চলতি খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কলারোয়া পৌরসদসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ১৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (২৫এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি। এতে স্বাগত বক্তব্যে দেন-উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইমরান হোসেন। এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ-সার বিতরণ করা শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে সেই লক্ষ্যে প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। খাদ্য মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার করোনাকালীন যেন খাদ্য ঘাটতি না ঘটে তাই বিনামূল্যে কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন-কলারোয়া পৌরসভার মেয়র প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান বুলবুল,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ নাজনীন খুকু, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে, ভিপি মোরশেদ আলী, রবিউল হাসান, আফজাল হোসেন হাবিল, মনিরুল ইসলাম মনি, আসলামুল আলম আসলাম, এসএম মনিরুল ইসলাম, সামসুদ্দিন আল মাসুদ বাবু, মাস্টার নুরুল ইসলাম, শেখ ইমরান হোসেন প্রমুখ। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ কর্মসূচির পুনর্বাসন আওতায় পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১৫০০জন কৃষকের মধ্যে চাহিদা মোতাবেক উফশী আউশ বীজ-৫কেজি, ডিএপি সার-২০কেজি ও এমওপি সার-১০কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন প্রতি কৃষক ১বিঘা জমির জন্য এই প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন।

  • ভারতের সঙ্গে স্থল পথের সব সীমান্ত বন্ধ করুন: ফখরুল

    ভারতের সঙ্গে স্থল পথের সব সীমান্ত বন্ধ করুন: ফখরুল


    ন্যাশনাল ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের স্থল সীমান্ত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি বিমানপথে আসা যাত্রীদের ‘তিন দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা’র সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিও করেন তিনি।

    শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
    ফখরুল বলেন, ‘ভারতের পশ্চিম বাংলায় এই সংক্রমণটা সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেজন্য আমরা মনে করি যে, ভারতের সঙ্গে স্থল পথের যে সীমান্ত আছে, এই সীমান্তগুলো একেবারেই বন্ধ করা দরকার।’
    ফখরুল বলেন, ‘এরইমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করেছেন— বলা হচ্ছে যে, বাইরে থেকে যারা আসবেন বিমান পথে, তাদেরকে মাত্র তিন দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। যেটা আমি বিশ্বের কোথাও শুনিনি।’
    ‘এই যে সিদ্ধান্তগুলো, এই সব সিদ্ধান্ত আমাদের পরিস্থিতিকে ভয়ংকরভাবে নাজুক করে ফেলেছে। এখন যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে, লকডাউনের পরে একটা সপ্তাহ সবাই বাইরে চলে গেলো, এখন আবারও বলা হচ্ছে যে, আগামী রবিবার থেকে শপিংমল-দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে’, যোগ করেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় এসেছে যে, যারা এসব দোকানপাটে কাজ করছেন, ছোট ছোট দোকান যারা করেন, তারা সবাই বাইরে চলে গিয়েছিল, তারা আবারও ফিরতে শুরু করেছেন। ঈদের আগে তারা আবারও গ্রামের ফিরে যাবেন। ফলে কী হবে? সারা দেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে।’
    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভ্যারিয়েন্ট এসেছে তা ভয়াবহভাবে ছড়িয়েছে। এমন একটা পরিবার নেই যেখানে এই সংক্রমণ যায়নি। এমনকি শিশু পর্যন্ত এবার বাদ পড়ছে না।’
    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আগেও বলেছি। এখনও আমরা সরকারকে বলতে চাই যে, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার এবং একটা পরিকল্পিত, সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন। এত লেজেগোবরে করে ফেলেছে, যেন এখন কোনোটাই সামাল দিতে পারছে না।’

  • ভয়ংকর পরিণতি আর সংক্রমণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

    ডা. সুব্রত ঘোষ

    দেশে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আশঙ্কার চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দৈনিক আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। আইসিইউ সেবা দেওয়া জরুরি হলেও শয্যার অভাবে অনেক রোগীকেই এই সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এমনকি অক্সিজেন সংকট তৈরিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, সেই গতি কমানো না গেলে এই সংকট আরো তীব্র হবে এবং পুরো দেশের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় ধস নামতে পারে। তাঁদের মতে, সংক্রমণের গতি কমানোর জন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে, সঠিকভাবে মাস্ক পরাসহ জরুরি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে এবং লকডাউন ও বিধি-নিষেধ আরো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে টিকা প্রদান আরো দ্রুততর করতে হবে। কিন্তু টিকা যেহেতু পুরোপুরি নিরাপত্তা দেয় না, তাই টিকা দেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। আর এখানেই সমস্যা। বেশির ভাগ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চান না। সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূরের কথা, মাস্ক পরতেও তাঁদের অনীহা। তাহলে যে ভয়ংকর পরিণতির আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে কিভাবে?
    করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৮ দফা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তারপর লকডাউনের আদলে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। সর্বশেষ গত বুধবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক, অনেক অফিস, কারখানাসহ জরুরি অর্থনৈতিক কর্মকা- চালু থাকায় প্রচুর মানুষ চলাচল করছে। তার পাশাপাশি প্রয়োজন ছাড়াও বহু মানুষ ঘরের বাইরে আসছে। হাট-বাজারগুলোতে অত্যধিক ভিড় রয়েছে। প্রায় কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। এবার লকডাউনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে তুলনামূলকভাবে বেশি তৎপর দেখা গেছে। রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তার পরও নানা অজুহাতে মানুষ ঘরের বাইরে আসছেই। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘লকডাউন’ বলতে যা বোঝায়, তা সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না। তাই লকডাউনের সুফল পাওয়া নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন। আবার লকডাউনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে অন্যায় ক্ষমতা প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালে যাওয়া-আসার পথে তারা চিকিৎসকদেরও হয়রানি, হেনস্তা করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এগুলো বন্ধ করতে হবে।
    মানুষ নিজে সচেতন না হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তার পরও গত কিছুদিনের কড়াকড়িতে কিছুটা হলেও সুফল পাওয়া গেছে। যে গতিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল, সেই গতি কিছুটা হলেও রোধ করা গেছে। সংক্রমণের হার একটা জায়গায় এসে থেমে গেছে। এখন প্রয়োজন এই হার কমানো। এ জন্য সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। পরিপূর্ণ লকডাউনে যাওয়া খুবই কঠিন কাজ, তাতে বহু মানুষের জীবন-জীবিকায় আঘাত আসে। আবার খুব বেশি শিথিলতাও কাম্য নয়, তাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

  • ভারতে আরও বিপজ্জনক ট্রিপল মিউট্যান্ট করোনাভাইরাসের সন্ধান

    ভারতে আরও বিপজ্জনক ট্রিপল মিউট্যান্ট করোনাভাইরাসের সন্ধান


    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে করোনাভাইরাসের ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই এবার থাবা বসালো ‘ট্রিপল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়্যান্ট।’ ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশটির অন্তত চারটি রাজ্যে এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। বাকি রাজ্যগুলো হচ্ছে দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও ছত্রিশগড়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ ভাইরাসের তিনটি আলাদা স্ট্রেইন মিলে তৈরি নতুন এই ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রামক ক্ষমতাও প্রায় তিন গুণ বেশি।

    শুধু বাড়তি সংক্রামক ক্ষমতাই নয়, বরং নতুন এই স্ট্রেইনে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থারও দ্রুত অবনতি ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিক সময় লাগাম পরানো না গেলে এবার সংক্রমণ সুনামির আকার ধারণ করতে পারে।
    মোকাবিলার উপায় কী? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আপাতত এর বিরুদ্ধে একের পর এক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে যাওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই। তবে সবার আগে প্রয়োজন এর চরিত্র বিশ্লেষণ। যা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে করার পরামর্শই দিচ্ছেন তারা। প্রয়োজন নিয়মিত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের। তবে ভারতে যেখানে মোট আক্রান্তের মাত্র এক শতাংশের ওপর এই জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে সেখানে এক ধাক্কায় সেই হার বাড়িয়ে তোলা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এ বিষয়ে বিলম্বের কোনও সুযোগ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
    প্রশ্ন উঠছে, এখনও পর্যন্ত যে ভ্যাকসিনগুলো আমাদের হাতে রয়েছে তা দিয়ে কি এই নতুন মিউট্যান্টকে প্রতিরোধ করা সম্ভব? যে তিনটি পৃথক স্ট্রেইনের সমন্বয়ে এর জন্ম তার মধ্যে দুইটি শরীরে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হওয়া কোভিড প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হার মানাতে সক্ষম। ফলে অ্যান্টিবডির মাধ্যমে তা রোধ করা যাবে না। কাজেই ভ্যাকসিনে তা রোধ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
    এদিকে গত কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণের নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে ভারত। একদিনে শনাক্তের দিক থেকে বৃহস্পতিবার বিশ্ব রেকর্ড করেছে দেশটি। ২২ এপ্রিল সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও তিন লাখ ১৪ হাজার ৮৩৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ভারতে তো বটেই, বিশ্বেও এই প্রথম কোনও একটি দেশে একদিনে এতো বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলো।
    দ্বিতীয় ধাক্কায় কম বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিভিন্ন শিবির থেকে যে দাবি করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে দাবি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। মোট সংক্রমিতের মধ্যে ১০ বছরের নীচে থাকা শিশুদের হার ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গতবার এ হার ছিল ৪.০৩ শতাংশ। তবে এবার ৭০-৮০ বছরের বয়সসীমার ব্যক্তিদের মৃত্যুহার দুই শতাংশ বেড়েছে। যদিও সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে বিভিন্ন রাজ্যে মৃত্যুর প্রকৃত হার আরও অনেক বেশি বলে দাবি বিভিন্ন মহলের। যার সমর্থনে একাধিক সমীক্ষা রিপোর্টও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

  • জুন-জুলাইয়ের আগে ভ্যাকসিন রফতানির সম্ভাবনা নেই: সেরাম

    জুন-জুলাইয়ের আগে ভ্যাকসিন রফতানির সম্ভাবনা নেই: সেরাম


    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে ভ্যাকসিন রফতানির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা আপাতত ভারতের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন।
    গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে সেরামের তৈরি তিন কোটি ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে দেওয়ার কথা। তবে এখন পর্যন্ত দুই ধাপে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন।
    এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, আপাতত ভ্যাকসিন রফতানির বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন। তার ভাষায়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস দু-একের মতো আমাদের রফতানির কথা ভাবা যাবে না। আশা করি জুন-জুলাই থেকে আবারও একটু করে রফতানি শুরু করতে পারবো। এই মুহূর্তে আমরা দেশের চাহিদাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
    সম্প্রতি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট ভ্যাকসিন সংকটের কারণে রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত। বাংলাদেশে ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের এক কোটি দুই লাখ ডোজের মধ্যে বেশিরভাগই প্রয়োগ করা হয়েছে। সেরাম চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে বিকল্প উৎস সন্ধানের চেষ্টা করছে।