Category: করোনা ভাইরাস

  • একদিনের ব্যবধানে খুমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু

    একদিনের ব্যবধানে খুমেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু

    একদিনের ব্যবধানে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. রকমান (২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    এর একদিন আগে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রতিকান্ত ডাকুয়া (৮৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

    খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবং করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় মো. রকমান নামে এক যুবক খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা ইউনিটের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি খুলনা মহানগরীর হরিণটানার রায়ের মহল এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ারের ছেলে। এ নিয়ে চলতি বছরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

  • দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন

    দেশে করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু, নতুন করে শনাক্ত ৭ জন

    দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নতুন করে ৭ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। এতে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৩ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৮০৫ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবার (২৯ জুন) সকালে প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সময়ে সারাদেশে ১৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৮৭ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি।

  • করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু

    করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু

    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

    শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। মারা যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক শূন্য আট সাত শতাংশ।

    চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৩৫ জনের।

  • করোনায় আরো ২১ জন আক্রান্ত

    করোনায় আরো ২১ জন আক্রান্ত

     দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনাক্ত হয়েছেন আরো ২১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫২ হাজার ১৮ জন। এসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চলতি বছর মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৪৫ জনের। এতে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ৪৭৩ জন। এ যাবত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ১৩১ জনের।

    চলতি বছর করোনায় মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে শুরু থেকে এ যাবত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫১৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ যাবত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।

    ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম ১ জনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

  • করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

    করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে সারা দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৩৬ জন। রোববার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই হিসাবে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৮০ শতাংশ।

    দেশে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৯৮ জন করোনা পরীক্ষা করেছেন। এর বিপরীতে ৪৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

    এই বছর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এর মধ্যে ৯ জন নারী আর ৭ জন পুরুষ রয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫১৫।

    চলতি বছর প্রথম ৫ জুন করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। এরপর ১৩ জুন দুজন, ১৫ জুন একজন, ১৬ জুন একজন ও ১৭ জুন দুজন, ১৮ জুন একজন, ১৯ জুন একজন ও ২১ জুন দুজনের মৃত্যু হয়।

  • দেশে আরও ৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

    দেশে আরও ৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

    ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। 
    এদের মধ্যে ৭৯ জন ঢাকা মহানগর, ১ জন নারায়নগঞ্জ, ৩ জন চট্টগ্রাম, ৮ জন কক্সবাজার, ২ জন বরিশাল, ১ জন ঝালকাঠি এবং ১ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। তবে এসময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
    এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৯ জন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৫৮ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
    আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ১৬০৫ টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৬০৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৪ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

  • দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু : নতুন শনাক্ত ১৩৪ জন

    দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু : নতুন শনাক্ত ১৩৪ জন

    ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত নারীর বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকার বাসিন্দা। এ সময়ে আরও ১৩৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
    শনাক্তদের মধ্যে ১২৫ জন ঢাকা মহানগর, ২ জন নারায়নগঞ্জ, ১ জন চট্টগ্রাম, ১ জন কক্সবাজার, ২ জন রাজশাহী এবং ৩ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা।
    এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ৮১৫ জন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
    আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    এতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ১৪৭৮ টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৪৮৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
    গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

  • ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত দেড় শতাধিক

    ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত দেড় শতাধিক

    ডেস্ক রিপোর্ট : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫১ জনের। এ সময় করোনায় কেউ মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৫১ জন এবং শনাক্ত ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৭০ জন। রবিবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া এ দিন সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ২০ লাখ ৬ হাজার ৬৯৮ জন।
    স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৯টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ দুই হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

  • দেশে ১০৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

    দেশে ১০৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

    ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
    এদের মধ্যে ১০০ জন ঢাকা মহানগর, ১ জন চট্টগ্রাম, ১ জন রাজশাহী ও ১ জন নাটোর জেলার বাসিন্দা। তবে এসময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
    এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ১১৮ জন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৫১ জন।
    আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

  • ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা চীনা শীর্ষ বিজ্ঞানীর

    ল্যাবরেটরি থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা চীনা শীর্ষ বিজ্ঞানীর

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ল্যাবরেটরি থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন চীনের সাবেক শীর্ষ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জর্জ গাও। বিবিসি রেডিও ৪কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন তিনি।
    চীনে মহামারি নিয়ন্ত্রণে চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ বা সিডিসির সাবেক এ প্রধানের বেশ বড় ভূমিকা ছিল। এ ছাড়া তিনি কভিডের উৎস খুঁজে বের করতে বহুদিন ধরেই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি চীনের ‘ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন অব চায়না’র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
    গাও বলেন, সব সময়ই সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। এটাই বিজ্ঞান। এখানে কোনো আশঙ্কাকেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। চীন সরকার যেভাবে কোনো ধরনের লিকের কথা অস্বীকার করেছে, তারা নিজেরা যদিও অতটা নিশ্চিত ছিল না। কারণ, সে সময় এ নিয়ে একাধিকবার অভ্যন্তরীণ তদন্ত করেছে সরকার। তবে সরকার কোনো সন্দেহজনক কিছু পায়নি। যে ভাইরাসটি কভিড সৃষ্টি করে, তা যে বাদুড় থেকে এসেছে সেটি প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু কীভাবে এটি বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করল তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

  • করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করার পরামর্শ

    করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করার পরামর্শ

    বিশ্বের অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি থাকলেও বেশ কিছু সময় ধরে বাংলাদেশে তা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে বলে মনে করছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। এ কারণে জাতীয় পরামর্শক কমিটি সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরাসহ কোভিড প্রতিরোধের অন্যান্য করণীয় শিথিল করার বিষয়ে মতামত জানিয়েছে। শনিবার (৬ মে) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৬৩তম সভায় এই মতামত জানানো হয়।

    তবে কমিটি মনে করে, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং  উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। কমিটি মনে করে, কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ এটা সহায়ক হবে।সভায় জানানো হয়, কোভিড-১৯-এর সর্বশেষ পরিস্থিতি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক পরামর্শ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় জানানো হয়, কোনও কোনও দেশে এখনও কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেশি থাকলেও মৃত্যুর হার, আইসিইউ প্রয়োজনীয়তা ও জটিলতা অনেক কম।সভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মোতাবেক জরুরি বিবেচনা না করলেও সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বৈশ্বিক রিপোর্ট পর্যালোচনা ও দেশে সার্ভেইল্যান্স জোরদার করার জন্য সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর’র প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সব প্রস্তুতি রাখার সুপারিশও করা হয় সভায়। এছাড়া সভায় হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রবেশের শর্ত মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি মার্স প্রতিরোধে উটের সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যান্য দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সেই দেশের শর্তানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতার প্রয়োজন নেই বলেও কমিটি মনে করে।এছাড়া কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে নিয়মিত বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

  • দেশে ২৪ ঘন্টায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

    দেশে ২৪ ঘন্টায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

    ন্যাশনার ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ জনের এবং শনাক্তের হার বেড়ে দুই দশমিক ৯৬ শতাংশে পৌঁছেছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৩১৫ জন।
    তবে এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের।
    আজ শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    এতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৫১২টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৮টি।
    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ছয় জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৮১৭ জন।
    গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার দুই দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা গতকাল ছিল দুই দশমিক ১৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

  • এক সপ্তাহ পর করোনায় ফের মৃত্যু

    এক সপ্তাহ পর করোনায় ফের মৃত্যু

    এক সপ্তাহ পর আবারও করোনাভাইরাসে মৃত্যু দেখল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও একজন। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর দেশে করোনায় সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

    আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

    এতে বলা হয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৬ জন রোগী শনাক্ত হয়। তাতে দিনে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আগেরদিন এই হার ছিল ০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ২৪ জন হয়েছে। 

    মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ জন কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৭ জন। 

    নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩ জন ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া নেত্রকোনায় একজন, খাগড়াছড়িতে একজন এবং জয়পুরহাট জেলায় একজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশের বাকি জেলাগুলোতে নতুন করে কারও কোভিড শনাক্ত হয়নি। 

    গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর পরিসংখ্যানে যার নাম এসেছে, তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা। তার বয়স ৪০ বছরের বেশি। ওই নারী একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

    বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভেরিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৬ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৭১ লাখ।

  • চীনের চেচিয়াংয়ে দিনে ১০ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত, দ্বিগুণের আশঙ্কা

    চীনের চেচিয়াংয়ে দিনে ১০ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত, দ্বিগুণের আশঙ্কা

    অনলাইন ডেস্ক: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ চেচিয়াংয়ে প্রতিদিন ১০ লাখের মতো নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ সংখ্যা কয়েকদিনের মধ্যে দ্বিগুণ হতে পারে বলে রোববার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির প্রাদেশিক সরকার।  

    দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল রোববার জানিয়েছে, দেশজুড়ে সংক্রমণের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও চীনে শনিবার পর্যন্ত টানা ৫দিন করোনায় নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের

    করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চীনের অসংখ্য শহরের কোটি কোটি বাসিন্দাকে মাসের পর মাস কঠোর লকডাউন ও বিধিনিষেধের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। এতে নাগরিকরা এ বছরের দ্বিতীয় ভাগে ফুঁসে উঠলে বেইজিংও তাদের ‘শূন্য কোভিড’ নীতিতে পরিবর্তন এনে বিধিনিষেধ একে একে তুলতে শুরু করে।

    হঠাৎ করে এ বিধিনিষেধ তোলায় বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ। দেশটির নাগরিক ও বিশেষজ্ঞরা এর মধ্যেই কর্তৃপক্ষের কাছে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আরও নির্ভুল তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন। 

    চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) কিছুদিন আগে থেকে উপসর্গহীন রোগীর তালিকা প্রকাশ বন্ধ করে দিলে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।

    চেচিয়াং সরকারের বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, নববর্ষের সময় চেচিয়াং সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকতে পারে। সেসময় দৈনিক ২০ লাখ সংক্রমণ হতে পারে। 

    ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের এক গবেষণা নোট বলছে, চীন এখন মহামামির সবচেয়ে বিপজ্জনক সপ্তাহগুলোতে প্রবেশ করেছে।

    পূর্বাঞ্চলীয় দুই শহর হাংচো এবং সুচৌর কর্তৃপক্ষও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

    প্রদেশটির হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন ১৩ হাজার ৫৮৩ রোগীর মধ্যে একজনের দেহে কোভিডের গুরুতর লক্ষণ পাওয়া গেছে, অন্যান্য রোগের কারণে আরও ২৪২ জনের অবস্থা গুরুতর ও আশঙ্কাজনক, বলেছে তারা।

  • করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিল বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীরা

    করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিল বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীরা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) এর প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে স্কুল ক্যাম্পাসে এ টিকা কর্মসূচি শুরু করা হয়। পূর্বেই সকল শিক্ষার্থীর টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণে অনলাইনে নিবন্ধন করা হয়েছিল। টিকা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারজিনা নাহিদ নিগার, সহকারি শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান সহ আরো অনেকে । করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রতিবন্ধী স্কুলের সকল কোমলমতি শিশুরা টিকার আওতায় এসেছে।

  • জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বিষয়ে প্রচারণা শুরু

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: জেলা তথ্য অফিস, সাতক্ষীরার ব্যবস্থাপনায় ১১ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার হতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন বিষয়ে প্রচারণা শুরু হয়েছে। ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রচার ক্যাম্পেইনের প্রথম দিন তালা উপজেলার ধানদিয়া ও নগরঘাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও প্রধান প্রধান সড়কসমূহে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রচারে বলা হয় ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের স্কুল কেন্দ্রীক কোভিন-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১১ অক্টোবর-২০২২ তারিখ থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অভিভাবকগণকে দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক বলা হয়েছে, ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে সুরক্ষা এ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করতে। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশনকৃত শিশুরা সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ি নির্ধারিত স্কুলে ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই সাথে আনতে হবে। ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং জেলা তথ্য অফিস, সাতক্ষীরার ব্যবস্থাপনায় এ প্রচার কার্যক্রম জেলার সকল উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে।

  • কম নমুনায় বেশি শনাক্ত, সতর্ক থাকার পরামর্শ

    কম নমুনায় বেশি শনাক্ত, সতর্ক থাকার পরামর্শ

    ন্যাশনাল ডেস্ক: দেশে করোনা পরিস্থিতি আবারও ঊর্ধ্বমুখী। দুই মাস পর আবারও কম নমুনা পরীক্ষায় ১০ শতাংশের বেশি শনাক্ত হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কম। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে এমন হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং যারা টিকা নেননি তাদের নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আর বদ্ধ স্থানে সভা করা থেকে বিরত থাকা ও দাফতরিক সভা যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার সুপারিশ জানিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
    স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, গত ২০ জুলাই একদিনে ১২ শতাংশ ছিল শনাক্তের হার। এরপর আর একদিনে এত শনাক্ত হয়নি। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর একদিনে ১১ শতাংশ ছিল শনাক্তের হার। তারপর গতকাল রবিবার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ শনাক্ত হারের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

    গত জুলাইয়ে ১২ শতাংশ শনাক্তের হার পাওয়া গিয়েছিল ৯ হাজার ৪৭ নমুনার বিপরীতে। আর এখন মাত্র ৪ হাজার ১৪৩ নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭২ শতাংশ। অর্থাৎ জুলাই মাসের প্রায় অর্ধেক নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার বেশি। তখন শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ১০৪ জন, আর এখন শনাক্ত হয়েছে মাত্র ৫২৭ জন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    এদিকে সব ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য জনসাধারণকে উৎসাহিত করাসহ ৫টি সুপারিশ জানিয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির ৫৯তম সভায় এই সুপারিশ করা হয়। অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে আছে, বেসরকারি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজের কোভিড ভ্যাকসিন টিকা যারা গ্রহণ করেননি, তাদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা, অপরিহার্য সামাজিক অনুষ্ঠান বা সভায় মাস্ক পরার সুপারিশ করা হয়।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা আবারও একটু বেড়েছে। আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে, সতর্ক হতে হবে। মাস্ক পরা আমরা ভুলেই গেছি। মাস্ক পরতে হবে। বিশেষ করে জনসমাগম যেখানে বেশি আছে, সেখানে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক হলো সংক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার ভালো হাতিয়ার। তবে ভালো দিক হচ্ছে মৃত্যুহার এখনও কম আছে। শুধু মৃত্যুহার কম দেখে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমাদের করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’

    কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। আজকে ১২ শতাংশে উঠেছে। আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সতর্ক থাকা ছাড়া বিকল্প নেই।’

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাবলিক হেলথ বিষয়ক অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘করোনা আমাদের ছেড়ে কখনোই যায়নি। ৫ শতাংশের নিচে যখন ২ শতাংশে চলে গেলো, তখনও কিন্তু করোনা ছিল। এখন আবার নতুন একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। তাতে সংক্রমণ বাড়ছে। ভয়ের কারণ হচ্ছে—বেশি মাত্রায় যদি সংক্রমণ বাড়ে, তাহলে যাদের অন্যান্য রোগ, যেমন- হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, হৃদ রোগীদের ক্ষেত্রে কিন্তু অবস্থা খারাপ হতে পারে। সেজন্য যখন সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তখন যা যা সতর্কতা আমাদের নেওয়া প্রয়োজন, তা অবশ্যই নিতে হবে।’

  • শার্শা থানা প্রশাসন লক ডাউন এর ২য় দিনে কঠোর অবস্থানে

    শার্শা থানা প্রশাসন লক ডাউন এর ২য় দিনে কঠোর অবস্থানে

    আব্দুল জলিল(যশোর) প্রতিনিধি:
    যশোরের শার্শা উপজেলায় দ্বিতীয়  দিনের মতো লকডাউন কার্যকর করতে শার্শা থানা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।  লকডাউন উপেক্ষা করে বিভিন্ন অজুহাতে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকে ঘরে ফেরাতে কঠোর অবস্থানে আছেন শার্শা- নাভারন  সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বদরুল আলম খাঁন এবং ওসি (তদন্ত)তরিকুল ইসলাম।
    শার্শা উপজেলা সীমানার শেষ বেলতলা বাজার সহ বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের সাড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে।যশোর – সাতক্ষীরা সীমানায়  অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে এখান থেকে যশোরের ভিতরে কোন যানবহন ও মটর সাইকেল  মুভমেন্ট পাস  ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছে না শার্শা উপজেলা প্রশাসন। শার্শা- নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান  বলেন, বিনা প্রয়োজনে বাজারে আসার চেয়ে পরিবার কে সময় দিন। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা আতংকিত।  আজও দেশে ৯৮ জন মৃত্যু বরন করেছেন। আপনারা আইন না মানলে আমরা আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবো। নিজে মাক্স পরুন এবং অপরকে পরতে সহায়তা করুন।
    শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম জানান, আজও শার্শাতে করোনায় ৩ জন মৃত্যু বরন করেছেন তা ছাড়া সে কারনে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ বিনা প্রয়োজনে বাজারে আসবেন না। মনে রাখবেন আমার আপনার অবহেলায়  পরিবারের কান্নার কারন হতে পারে। তাই মাস্ক পড়ুন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করুন।