Category: উপকুল

  • হ্যামবুর্গে দেখানো হবে বাংলাদেশি নির্মাতা জিনাত হোসেন যুথীর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হু স্পিক্স ফর আস’

    হ্যামবুর্গে দেখানো হবে বাংলাদেশি নির্মাতা জিনাত হোসেন যুথীর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হু স্পিক্স ফর আস’

    এ্যানজাস্ট কনফারেন্স ২০২৪, হ্যামবুর্গে দেখানো হবে বাংলাদেশি নির্মাতা জিনাত হোসেন যুথীর
    নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হু স্পিক্স ফর আস’।
    আগামী একুশে নভেম্বর ২০২৪ জার্মানীর হ্যামবুর্গ শহরে অনুষ্ঠিত হবে এনভায়রনমেন্টাল
    জাস্টিস (এ্যানজাস্ট) নেটওয়ার্ক, কীল বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানী আয়োজিত এনুয়াল কনফারেন্স,
    ২০২৪। এবারের এ্যানজাস্ট কনফারেন্সে দেখানো হবে বাংলাদেশি নির্মাতা ও গবেষক জিনাত হোসেন
    যুথীর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হু স্পিক্স ফর আস’ (আমাদের কথা কে বলবে?’)। চলচ্চিত্রটির সহ
    নির্মাতা হিসেবে কাজ করেছেন আলোকচিত্রী আহমেদ রাসেল।
    বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার চিংড়ী ঘেরের মালিকদের অবৈধ দখলের হাত
    থেকে পুলের খাল উদ্ধার আন্দোলন ও নেপালের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী কর্মীদের আন্দোলনের
    উপর নিমার্ণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটি। চলচ্চিত্রের নেপাল অংশের রচনা, নির্মাণ ও এক্সিকিউটিভ
    প্রডিসর হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সুইজারল্যান্ডের বার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও ইন্সটিটিউট
    অব জিওগ্রাফির কো ডিরেক্টর প্রফেসর সুজান থিইম। বাংলাদেশ অংশের ভিডিও ধারন করছেন
    যৌথভাবে জিনাত জোসেন যূথী ও আহমেদ রাসেল এছাড়াও চলচ্চিত্রটির নেপাল অংশের ভিডিও ধারন
    করছেন সনি কে সি ও প্রফেসর থিইম। বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ল্যাব (মিডিয়া ল্যাব) প্রযোজিত
    এই চলচিত্রটি বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পী ও গবেষকরা কি করে যৌথভাবে সাইন্স- আর্টস
    কলাবোরেশন উদ্যোগকে জোরদার করতে পারে, সেটারই একটা পদক্ষেপ।
    নির্মাতা যুথী লাক্ম চ্যানেল আই সুপার স্টার ২০০৫ র মাধ্যমে মিডিয়ার আত্মপ্রকাশ করেন।
    অভিনয়, উপস্থাপনা, চিত্রনাট্য ও নির্মাতা হিসেবে দেড় যুগ হাত পাকা করার পর প্রথম তার
    পিএইডি ও পোস্টডক গবেষণার কিছু অংশকে তিনি সেলুলয়েডে ধারণ করেছেন। বেলজিয়ামের কে ইউ
    লুভেন থেকে গতবছর পিএইডি ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি বর্তমানে সুজারল্যান্ডের বার্ন
    বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার ও যুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।
    আহমেদ রাসেল একজন এ্যাওয়ার্ড উইনিং আলোকচিত্রী ও ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট । তিনি ফটোগ্রাফি
    ইন্সটিউট কাউন্টার ফটো –এ সেন্টার ফর ভিজ্যুয়াল আর্টসের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
    যুথী ও রাসেল এই বছর শুরুতে সুন্দরবনে ফিল্ম ও ফোটোগ্রাফি কে গবেষণা টুলস হিসেবে পরীক্ষা
    নিরীক্ষা করেন। তারা নিবিড়ভাবে সুন্দরবন ও বনবাসী মানুষ, তাদের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ
    পর্যবেক্ষণ করেন এবং চলচিত্র নির্মাণে একসাথে কাজ করেন। সুন্দরবনে তাদের সহায়তা করে
    মধুসুদন মন্ডল ও সাংবাদিক আফজাল হোসেন।
    এনভায়রনমেন্টাল জাস্টিস নেটওয়ার্ক, এ্যানজাস্ট পরিবেশ বিষয়ক অধ্যাপক, গবেষক, ও
    বিজ্ঞানীদের একটি স্বক্রীয় নেটওয়ার্ক যা পরিবেশগত ন্যায়বিচারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ায় এবং
    পরিবেশগত সমস্যাগুলির দ্বারা প্রভাবিতদের গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণকে জোরালো করার জন্য কাজ

    করে। এ বছরের নভেম্বর ২১ থেকে নভেম্বর ২৩ তিনদিনব্যপী এ্যানজাস্ট কনফারেন্সে প্রতিপাদ্য
    ঠিক করা হয়েছে (‘Environmental Justice in the Age of Planetary Peril: Concepts,
    Agencies, Mobilizations’) পৃথিবীর পরিবেশ বিপর্যয়ের সময়ে পরিবেশগত ন্যায়বিচারঃ ধারনা,
    সংস্থা, সংহতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গবেষক, উন্নয়ন কর্মীরা এই কনফারেন্সে যোগ দিবেন।

  • উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির উদ্যোক্তা তৈরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান।

    উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির উদ্যোক্তা তৈরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান।

    লিডার্স অদ্য ১০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তার প্রধান কার্যালয়ে উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানি
    সংকট নিরসনে গাজী ড্রিংকিং ওয়াটারের স্বত্বাধিকারী মোঃ মুহসিন হোসাইনকে চেক হস্তান্তর
    করেন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুপেয় পানির সংকট প্রকট
    আকার ধারণ করেছে। ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে মিঠা পানির উৎসে লবণ
    পানি প্রবেশের কারণে খাবার পানির সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুকনো মৌসুমে এই সংকট
    তীব্রতর হয়ে ওঠে, যা উপকূলবাসীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
    উপকূলীয় উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এই সমস্যা নিরসনে কাজ করছে। সম্প্রতি শ্যামনগর উপজেলার
    প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত পদ্মপুকুর ইউনিয়নে জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ-২০২৩ প্রকল্পের
    আওতায় সুপেয় পানি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে গাজী ড্রিংকিং ওয়াটারের স্বত্বাধিকারী মোঃ মুহসিন
    হোসাইনকে চেক হস্তান্তর করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে লিডার্স স্থানীয় জনগণের জন্য সুপেয়
    পানি সহজলভ্য করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
    লিডার্সের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিডার্স-এর
    ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক জনাব রণজিৎ কুমার বর্মন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব এবিএম
    জাকারিয়া, হেড অব এ্যাকাউন্টস জনাব রায়হান কবির, টিম লিডার অসিত মন্ডল, মিল অফিসার
    জয়দেব যোদ্দার এবং এ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
    উল্লেখ্য, উপকূলীয় পানি ব্যবস্থাপনায় কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে লিডার্স সংযুক্ত
    আরব আমিরাতের জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ ২০২৩ অর্জন করেছে এবং ২০১৫ সালে
    আন্তর্জাতিক ওয়াটার শোকেজ পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য সুপেয়
    পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে এবং তাদের জীবনমান উন্নত করতে লিডার্স নিরলসভাবে কাজ
    করে যাচ্ছে।

  • অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’

    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’

    অনলাইন ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
    আজ সকাল সাড়ে ৮টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
    আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
    চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
    উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

  • শনিবার থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু

    শনিবার থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু

    অনলাইন ডেস্ক : আগামী শনিবার থেকে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। 
    ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে আজ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি জানান, ‘শনিবার থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বৃষ্টি শুরু হবে। এ সময় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইতে পারে।’
    আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ সন্ধ্যা নাগাদ আরও শক্তি অর্জন করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার হতে পারে।
    এই ঘূর্ণিঝড়টি সিডরের মতো বিধ্বংসী হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিডরের যেসব বৈশিষ্ট্য ছিল এটিও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র এখন ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে। গত ৩ ঘণ্টায় এটি ২৪ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। গতকাল এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। গতি পরিবর্তন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি রোববার ঠিক কখন উপকূলে আঘাত হানবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। 
    এদিকে আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিঁয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
    আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায় আজ দুপুর পৌনে ১২টায় ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সবোর্চ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

  • আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’

    আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’

    আগামী ১১ মে-র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে এই ঘর্নিঝড় সৃষ্টি হতে পারে এবং ১১ থেকে ১৫ মে-র মধ্যে তা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘মোচা’। নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।
    ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন মডেলের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ১১ মে মধ্যরাতের পর থেকে ১৩ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের রাখাইন ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। ঝড়টি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কাও রয়েছে।
    গত বছরের মে মাসে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় অশনি। প্রাথমিকভাবে এটি অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হলেও পরে গতিপথ পরিবর্তন করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অতিক্রম করে এই ঘূর্ণিঝড়।
    চলতি মাসে এই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি ছাড়াও এ মাসে ফের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে। এই মাসে রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যারও সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
    বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে। মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
    বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান জানান, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। মে মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘মোচা’।
    তিনি বলেন, ‘পূর্বাভাস মডেলগুলোর তথ্য অনুযায়ী আগামী ৯ মে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি ১১ মে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটির গতিপথ কী হবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, এটি চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের উপকূল দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে।’
    এ মাসে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি থাকতে পারে জানিয়ে আজিজুর রহমান বলেন, এ মাসে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (খুলনা) একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং দেশের অন্যত্র ১ থেকে ২টি মৃদু (তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরণের তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
    গত মাসে (এপ্রিল) সারাদেশে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছিল। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করে। এতে জনজীবন চরম দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।
    আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরও জানান, এ মাসে দেশে ১ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলা বৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
    মে মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর বিভাগ) ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (সিলেট অঞ্চল) স্বল্প মেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান।
    কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল (পলাশ) বলেন, আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে ৮ থেকে ৯ মের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে ১০ মের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ ও ১১ মে পুর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে।
    ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে মধ্যরাতের পরে থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, স্থলভাগে আঘাত করার সময় ঘূর্ণিঝড়টির খুবই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থল ভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে

    ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে

    ১১ নভেম্বর, ২০২২ (বাসস) : আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
    ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
    আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
    পরবর্তী তিন দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে ।
    দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড  করা হয়েছে। সেখানে শীত পড়েছে। ভোর রাতে কুয়াশাও পড়ছে। তবে মধ্যাঞ্চল ও অন্যান্য অঞ্চলে শীত আসতে কিছুটা সময় লাগবে। দক্ষিণাঞ্চলে শীত পড়বে আরও পরে।  
    আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ দশমিক ০, রাজশাহীতে ১৮ দশমিক ৭, রংপুরে ১৯ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ১৮ দশমিক ৫, সিলেটে ১৯ দশমিক ২, চট্টগ্রামে
    এছাড়াও আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চট্টগ্রাম,কক্সবাজার ও শ্রীমঙ্গলে ৩৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  
    পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, শ্রীলংকার উপকূলের অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিনত হয়েছে এবং এটি বর্তমানে উত্তর-পূর্ব শ্রীলংকা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
    ঢাকায় আজ উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
    সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।
    ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামিকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।

  • Untitled post 18643

    শ্যামনগরে জলবায়ু সম্মেলনের ঝড় চায়ের কাপে: কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের আহবান

    মশাল ডেস্ক : জলবায়ু সম্মেলনের ঝড় উঠলো চায়ের কাপে। স্থানীয় প্রবীণদের অংশগ্রহণে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের একটি চায়ের দোকান পরিণত হলো একটুরো শারম-আল-শেখে।

    মিশরের শারম-আল-শেখে এবারের ২৭তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৭) নিয়ে পৃথিবীর সর্ব স্তরের মানুষের মাঝে যে আগ্রহ, তা থেকে বাদ যায়নি চায়ের দোকানও।

    চায়ে চুমুক দিয়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু সম্মেলনের কথা কম বেশি শুনেছি। কিন্তু আমাদের দাবি আমরা আপনাদের কোন ফান্ড চাই না, আপনারা কার্বন নিঃসরণ কমান। আপনাদের ভোগ বিলাসী জীবন থেকে বের হয়ে আসেন। আমাদের বাঁচতে দিন। উপস্থিত সকলেই তার সাথে একমত প্রকাশ করে বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমান।

    বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সমন্বয়ক এসএম রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় চায়ের কাপে জলবায়ু সম্মেলন শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংস্থা বারসিকের কর্মকর্তা চম্পা রানী মল্লিক, রুবিনা পারভীন ও সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সদস্যবৃন্দ।

    সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। এর জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো। ধনী দেশগুলো যদি এখন থেকেই কার্বন নিঃসরণ হ্রাস না করে, তাহলে আমরা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বো। ভবিষ্যতে এমন পরিবর্তন চলতে থাকলে দেখা যাবে একটা সময় আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

  • শ্যামনগরের মুন্ডাপাড়ায়  নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

    শ্যামনগরের মুন্ডাপাড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের মুন্ডাপাড়ায় অবস্থানরত পরিবারগুলোর জীবন ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
    রোববার সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিজস্ব কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির এর কাছে সাতক্ষীরা মুন্ডা সম্প্রদায়ের স্বার্থ সংরক্ষণ আন্দোলন সংগ্রাম কমিটি, সাতক্ষীরা’র পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
    একই সাথে সাতক্ষীরাতে যাতে কোন ধরনের উগ্র মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীরা বিশৃংখলা এবং সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য জরুরি প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার করাসহ ৫ দফা দাবিতে জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল, সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ডা: সুশান্ত ঘোষ, কল্যাণ ব্যানাজি, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, এড.মুনির উদ্দীন প্রমুখ।
    এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অবশ্যই পাঠানো হবে। এছাড়া আমার দপ্তর থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
    দাবি সমুহ : সাতক্ষীরাতে যাতে কোন ধরনের উগ্র মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীরা বিশৃংখলা এবং সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য জরুরি প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার করা।
    ফতেপুর-চাকলার নাশকতা মামলা, ২০১৩-১৪ সালের নাশকতা মামলাসহ ঐ সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও মামালাসমূহ নিয়মিতভাবে পরিচালানা ও সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।
    শ্যামনগরের ধুমঘাট এর আন্তাখালি গ্রামের চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ভুমি দস্যুদের আক্রমণে নিহত নরেন্দ্র মুন্ডার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা।
    আদিবাসীদের সম্পত্তি হস্তান্তর নিষিদ্ধ থাকলেও এক শ্রেণির ভূমিদস্যু কর্তৃক তঞ্চকতার মাধ্যমে বেআইনী পদ্ধতিতে রেকর্ডকৃত ও দখলকৃত সকল জমি মুন্ডাদের ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা ।
    আহমাদিয়া (কাদিয়ানী), শিয়া, বাহাই, ঋষি, বাগদী, ভগবানীয়াসহ সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় আনুষ্ঠান পালনসহ সামগ্রিক নিরাপত্তা প্রদান ও ধর্মীয় সভা সমুহে উষ্কানীমূলক বক্তব্য প্রদান কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও প্রশাসনিক তদারকি বৃদ্ধি করা।
    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের মুন্ডাপাড়ায় অবস্থানরত পরিবারগুলোর জীবন ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
    ১৯ আগস্ট’২২ শক্রবারের ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে যথাযত শাস্তি বিধান করা।
    সাতক্ষীরা জেলায় বসবাসরত আদিবাসীদের জমি কেন্দ্রিক সকল মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলাগুলোকে তদন্তসহ দ্রুত নিষ্পতির মাধ্যমে আদিবাসীদের ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করা।
    আদিবাসীদের যেসব জমি অবৈধ্য পন্থায় দলিল এর মাধ্যকে দখল করা হয়েছে সে সকল জমি দখলমুক্ত করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
    সরকারী খাস জমি বন্টনে আদিবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রদান এবং উপজেলার ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আদিবাসীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
    ১৯৫০ (৯৭) সালের রাষ্ট্রীয় প্রজাসত্ব আইন যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আদিবাসী মুন্ডাদের জমি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
    নরেন্দ্র নাথ মুন্ডা হত্যা মামলার আসামিদের রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

  • বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ঘাটে ফিরেছে সহস্রাধিক ট্রলার

    বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত, ঘাটে ফিরেছে সহস্রাধিক ট্রলার

    মশাল ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। জেলার কোথাও কোথাও থেমে থেমে গুড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশংকায় তাই দেশর সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    এদিকে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে সহস্রাধিক মাছধরা ট্রলার।
    জেলেরা জানায়, হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় বাধ্য হয়ে ঘাটে ফিরেছেন তারা। এছাড়া অধিকাংশ জেলেদের জালে মেলেনি কাঙ্খিত ইলিশ। ফলে অনেক ট্রলারই খালি ফিরেছে। বারবার আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
    কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, চলতি মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকায় সমুদ্রে নামতে পারেনি জেলেরা। তবে ১৬ তারিখের পর সমুদ্রে যায় জেলেরা। ফের ১৯ তারিখ সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় নিরাপদে ঘাটে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে ট্রলারগুলো।
    তিনি আরও জানান, সামনে ইলিশ প্রজননের জন্য মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। সবমিলিয়ে দিন দিন জেলেরা লোকসানের মুখে পড়ছেন এবং ঋণগ্রস্থ হয়ে পরছেন। অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এ পেশা থেকে।

  • ভারী বৃষ্টির শঙ্কা, বন্দরে সতর্কসংকেত

    ভারী বৃষ্টির শঙ্কা, বন্দরে সতর্কসংকেত

    ন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি স্থলে উঠে এলেও এখনো শক্তিশালী অবস্থায় আছে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের কারণে বৃষ্টি অব্যাহত আছে। রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলে এই বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর রাজধানীতে বৃষ্টির মাত্রা কমে এলেও মধ্যরাত থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এখনো বৃষ্টি অব্যাহত আছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ আগের কয়েক দিনের তুলনায় কম।
    সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমি. বা তারও বেশি) বৃষ্টি হতে পারে।
    এদিকে লঘুচাপের প্রভাবের কারণে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত এবং নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতেও বলা হয়েছে।
    গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১২১ মিলিমিটার। এ ছাড়া ঢাকায় ৫৩, চট্টগ্রামে ৯৩, সিলেটে ৩৭, রংপুরে ১০, রাজশাহীতে ১৪, খুলনায় ৪৯ এবং বরিশালে ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

    আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের প্রায় বেশির ভাগ অঞ্চলে এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে আজ সারা দিন। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে। এটি আগামীকাল আরও কিছুটা কমে আসতে পারে। তিনি জানায়, লঘুচাপ ছাড়াও দেশের এখনো মৌসুমি বায়ু সক্রিয়। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের অনেক অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
    আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
    এদিকে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
    এদিকে পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
    পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

  • ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, অতি ভারী বৃষ্টি! ছুটির মন্দারমণি-দিঘায় কাঁটা নিম্নচাপ!

    ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া, অতি ভারী বৃষ্টি! ছুটির মন্দারমণি-দিঘায় কাঁটা নিম্নচাপ!

    অনলাইন ডেস্ক: রবিবার অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘা-মন্দারমণির সৈকতেও জারি হয়েছে সতর্কতা।শনি-রবি-স্বাধীনতা দিবস— মোটামুটি এই হিসেব কষে সপ্তাহান্তে দিঘা-মন্দারমণি পাড়ি দিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু বাংলার উপকূলে গত ২৪ ঘণ্টায় পাকাপাকি জায়গা নেওয়া নিম্নচাপে সেই ছুটির তাল কাটল। হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টি চলবে উপকূলবর্তী দিঘা-মন্দারমণি-সহ গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে। তার পরের দিন, অর্থাৎ ছুটির শেষ পর্বেও দুর্যোগ মুক্ত হবে না উপকূল। সোমবার ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। সঙ্গে চলতে পারে বৃষ্টিও। পর্যটকদের বিপন্মুক্ত রাখতে তাই ছুটির সৈকতে রাশ টানার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে উপকূলে ছুটি কাটানোর বাসনা ঘরবন্দি হয়েই কেটে যাবে ভ্রমণার্থীদের।

    রবিবার ছুটির দিনের সকাল থেকেই কালো মেঘে ঢেকেছিল আকাশ। তার পর দক্ষিণবঙ্গ এবং উপকূল এলাকাগুলিতে দফায় দফায় চলেছে বৃষ্টিও। হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, সোমবার, স্বাধীনতা দিবসের দিনেও এই বৃষ্টি থেকে স্বস্তির কোনও আশা নেই। কারণ বাংলার উপকূলে গত ২৪ ঘণ্টায় যে নিম্নচাপ ঘনিয়েছে, তা অবস্থান করছে দিঘা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। যার রবিবার সন্ধের দিকেই দিঘার ধার ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গের স্থলভাগে প্রবেশ করার কথা।

    তবে সৈকত সতর্কতা শুধু দিঘা-মন্দারমণিতেই নয়, সাগরেও জারি করা হয়েছে। নিম্নচাপ সংক্রান্ত সতর্কতা বার্তায় হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবি এবং সোমবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দু’দিনই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

  • সাতক্ষীরায়  জলাবদ্ধতা, টেকসই বেড়িবাঁধ, উপকূলীয় জীবন-জীবিকা‌ ও উপকূলীয় সমস্যা ও সমাধান বিষয়ক মতবিনিময় সভা

    সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা, টেকসই বেড়িবাঁধ, উপকূলীয় জীবন-জীবিকা‌ ও উপকূলীয় সমস্যা ও সমাধান বিষয়ক মতবিনিময় সভা

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা, টেকসই বেড়িবাঁধ, উপকূলীয় জীবন-জীবিকা, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি চলমান প্রকল্প এবং উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান বিষয় নিয়ে সাতক্ষীরায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার বিকাল ৪টায় শহরের কাটিয়া আমতলা মোড়ে মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠন স্বদেশ এর হলরুমে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলের নেতৃত্বে নাগরিক প্রতিনিধি দলে ছিলেন নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন রুমা, ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইমক্যাব)’র কোষাধ্যক্ষ আমিনুল হক ভূঁইয়া, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের প্রতিনিধি নূর আলম শেখ, ফেইথ ইন একশনের নির্বাহী পরিচালক নৃপেন বৈদ্য, শহীদ আলীম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদুল হাসান।
    মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, সদস্য সচিব সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জ্যোস্না দত্ত, মানবাধিকারকর্মী ও উন্নয়ন সংগঠক স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত।
    মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, অবিলম্বে সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, জলবায়ু উদ্বাস্তু অসহায় মানুষদের জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা পৌরসভা, সরকারি বিভিন্ন চলমান প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সাতক্ষীরা পৌরসভা এবং সকল উপজেলায় জলাবদ্ধতা, বেড়িবাঁধ রক্ষা, বন্যা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

  • বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিয়েছে

    বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিয়েছে

    অনলাইন ডেস্ক ॥ অবশেষে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিয়েছে। এ কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হচ্ছে, দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথিমধ্যে বিপদে পড়তে পারে।

    রবিবার(৮ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

    এতে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’-তে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি রোববার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নিষেধ করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আগামী ১০ মে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলের কাছাকাছি চলে যেতে পারে। এরপর এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে। এরপর তা উড়িষ্যা উপকূলের দিকে যেতে পারে।

    বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১২ দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। ‘অশনি’ নামটি শ্রীলঙ্কার দেওয়া, এর অর্থ ক্রোধ বা ক্ষ্যাপাটে। (জনকন্ঠ)

  • ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ছিদ্র করেই উঠছে নোনা পানি, সাতক্ষীরা পাউবো নিরব ভূমিকায় 

    ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ছিদ্র করেই উঠছে নোনা পানি, সাতক্ষীরা পাউবো নিরব ভূমিকায় 

    মোঃ আলফাত হোসেন কৈখালী প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার ৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের শৈলখালী,পরানপুর,কাটামারি,নিদয়া,নৌকাটি,  বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে ও পাইপ ঢুকিয়ে লবণ পানি উঠিয়ে নোনা পানি দিয়ে চলছে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ।

    সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বেড়িবাঁধের ১শ মিটার দূরে ঘের করার নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না স্থানীয়রা,এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলের বেড়িবাঁধ,প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা।

    বিশেষ করে কৈখালী ইউনিয়নে শৈলখালী,পরানপুরে তিতাকথা হলেও সত্যি এসব এলাকায় অবৈধ পাইপ শনাক্তের নির্দেশ হলেও কোনো রকম কার্যক্রম দেখা মেলেনি কালিগন্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তাদের।

    বড় কোনো দুর্যোগ এলেই এ বাঁধ টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না, এ অবস্থার মধ্যে জেলা ও উপজেলার কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় স্থানীয় গুটি কয়েক অসাধু মানুষেরা বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপের মাধ্যমে লবণ পানির চিংড়ি ঘের করছেন। শ্যামনগর পাউবো কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান আমরা কয়েকটি জায়গায় অবৈধ পাইপ অপসারণের অভিযান পরিচালনা করতে থাকি এক পর্যায়ে নানামুখী বাঁধার সম্মুখে আমরা অভিযান বিরত রাখি,এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের সুবিধা অনুযায়ী তার নির্ধারিত কোন এক দিন হতে আবার উপজেলা ভুমি কমিশনার সহ উপজেলা চেয়ারম্যান এর স্বমনয়ে অভিযান শুরু করব।এস ও মাসুদ রানার বক্তব্য অনুযায়ী 

    উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আাতাউল হক দোলন-র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো পাইপ অপসারণ বন্ধ করতে চাইনি এভাবে যত্রতত্র পাইপ বসানোর কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে সেক্ষেত্রে আমি বলছি পাইপ আর বাক্সকল সবার পাইপ অপসারণ করা যাবেনা যেমন কিছু পাইপ কলের অনুমোদন আছে সেগুলো রাখতে হবে এবং যে জায়গাগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে সে জায়গায় পাইপগুলো অপসারণ করতে হবে এবং তিনি মিঠিংয়ে আছি বলে তিনি অফিসে এসে যোগাযোগ করে কথা বলতে বলেন বলে ফোন কেটে দেন।

    শুধু কৈখালী ইউনিয়ন নয় উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন সহ উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন একইভাবে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করা হয়। এতে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে বাঁধ। যে কারণে দুর্যোগ আসলেই বাঁধ ভেঙে নোনা পানি ঢোকে লোকালয়ে,এছাড়াও স্থানীয় বসবাসকারী অনেকেই প্রতিবেদককে জানান,নোনা পানি আমাদের জীবনের নানা জটিলতার স্বীকার হচ্ছি,একদিকে আমাদের বসতবাড়ির আনাছে কানাছে হচ্ছে না কোনো ফল গাছ,নোনা পানির লবণাক্ততায় ফলছে না কোনো ফসল,না আছে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি,গা গোসলের এমনকি নামায পড়ার জন্য ওযু করার মত মিষ্টি পানি পর্যন্ত নেই কোনো জায়গায়,স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষের হতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,এভাবে বেঁরিবাঁধ ছিদ্র করে পানি তোলার কারণে বেশিরভাগ জায়গায় বেঁরিবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে প্লাবিত হয়।

     দীর্ঘ ২৫-২৭ বছর ধরে স্থানীয় গুটি কয়েক প্রভাবশালী অসাধু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য লবণ পানি ঢুকিয়ে ঘের করে আসছে,এলাকাবাসীর দাবী নোনা পানি মুক্ত করে সোনার ফসল উৎপাদনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করার।

    লবণ পানি ঢুকিয়ে ঘের করার বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, কৈখালী ইউনিয়নের বেঁরিবাঁধে কিছু জায়গা আছে যেসব বাঁধ উপচে পানি ঢোকে,সেসব বাঁধের এমন নাজেহাল অবস্থা একমাত্র অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করাই অন্যতম কারণ, তবে লবণ পানিতে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, মজবুত বেড়িবাঁধ ও বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠানো বন্ধ হলে অবশ্যই  কৈখালী ইউনিয়নে ফসল ফলানো যাবে।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানার পর চিংড়ি-কাঁকড়া ঘেরের অভিঘাত থেকে বাঁধ রক্ষায় ঘের করার দূরত্ব নির্ধারণ করে দিয়ে সম্প্রতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়।

    চিঠিতে বলা হয়, দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ে আইলা, সিডর, ফণী, বুলবুল ও আম্পানের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে এসব এলাকায় বিপুল পরিমাণ ভৌত ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিসহ সাধারণ মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছেন।

    চিঠিতে বলা হয়, বাঁধঘেঁষে বা বাঁধের অত্যন্ত কাছে ঘের তৈরি করে স্থানীয়রা কাঁকড়া-চিংড়ি চাষ করছে। ঘের মালিকরা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র পাইপ ঢুকিয়ে অপরিকল্পিতভাবে নিজস্ব সুবিধা অনুসারে গেট তৈরি করে পানি ঘেরে প্রবেশ করিয়ে থাকে।

    ফলে বাঁধগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বড় ধরনের জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাঁধের বিভিন্ন স্থান ভেঙে জনপদে পানি প্রবেশ করে ও ঘেরের ক্ষতি হয়।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি জেলার কালিগন্জ উপজেলা ও শ্যামনগর উপজেলার পাউবো কর্মকর্তাদের বেখেয়ালি গাফিলতির কারণে আজ ও পর্যন্ত কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি,ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের নোনা পানির নানারকম অসুবিধার অভিযোগে এবিষয়ে সাতক্ষীরা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবুল খায়েরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এবিষয়ে আমি এবং আমার অফিসের মহল হতে অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষ  অবৈধ ভাবে বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পানি উঠিয়ে ঘের করা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি,কিন্তু আপনি একটা ছবি বা ভিডিও আমার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন,আমি কালিগন্জ উপজেলার ও শ্যামনগর দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণদের এবং প্রয়োজনীয় লোকবল পাঠাইয়া অবৈধ পাইপে পানি উঠানো এবং বেঁরিবাঁধ ছিদ্র কারীদের  আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো বলে দ্রুত ফোন কেটে দেন।

  • অনলাইন ক্লাস, জানা গেল ভোগান্তির কথা

    অনলাইন ক্লাস, জানা গেল ভোগান্তির কথা

    গত বছরের মতো এবারো ভারতের মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। শিশুদের অনলাইন ক্লাস চালু আছে।

    যখন প্রথম অনলাইন পড়াশোনার ভাবনাটি পোষণ করা হয়, সেসময় অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন- ভারতের মতো দেশে এর কার্যকারিতা নিয়ে।
     
    যেখানে বেশিরভাগ মানুষের এখন পর্যন্ত শিক্ষার আলোয় প্রবেশ করতে পারেননি সেখানে এমন বিপুল সরঞ্জাম কেন? প্রতিটি শিশুর হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়াও প্রতিটি মা-বাবার পক্ষে সম্ভব নয়।

    যে কারণে বহু শিশু এখনো নিজেদের অনলাইন ক্লাসের আওতায় আনতে পারেনি। আবার বহু জায়গায় এমন হচ্ছে যে, নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিলেও সেই ক্লাস বেশিক্ষণ চালাতে পারছে না শিশুরা। 

    এমনই সমস্যা হয়েছিল এই ব্যক্তির সঙ্গে। কিন্তু ক্লাস না করলে পিছিয়ে পড়বেন ভেবে তিনি বাধ্য হয়ে এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তারপর গাছের মগডালে চড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ক্লাস করতেন। গত বছরের ঘটনা এটি।

    মেঙ্গালুরুর বক্কালা গ্রামের শিরিষ তালুক এলাকায় ওই ছেলেটি বাস করতেন। শ্রীরাম হেজ পোস্ট গ্রাজুয়েট নিয়ে পড়ছিলেন। হাই স্পিড ইন্টারনেট না পেতে পারলে তিনি অনলাইন ক্লাসে দীর্ঘ সময় ধরে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাই বাধ্য হয়ে তাকে একটি উঁচু গাছের মগডালে উঠে পড়াশোনা করতে হতো।

    সেটাও আবার তিন ঘণ্টার জন্য এবং এক কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পর। এক হাতে শক্ত করে গাছের ডাল ধরে থাকতেন এবং অপর হাতে স্মার্টফোন নিয়ে দিব্যি তিনি ক্লাস করতেন সহপাঠীদের সঙ্গে।

    গ্রামে একটি বিশেষ নেটওয়ার্কই একমাত্র ভালো পাওয়া যেত। কিন্তু তিনি সেই সিম ব্যবহার না করায় তার ফোনে থাকা সিমটির নেটওয়ার্ক ভালো কাজে দিত না।  সে কারণে তাকে এমন কষ্ট করতে হত। সকাল ১০ টা থেকে ক্লাস শুরু হতো তারপর আবার দুপুরবেলা ৩ টার সময় আরেকটি ক্লাস হত।

    গরমের মধ্যে এবং প্রচন্ড রোদের মধ্যে তাকে এমনভাবেই ক্লাস করতে হতো নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে এর পরেই তার ভাবনা ছিল যে সামনে বর্ষাকাল আসলে তিনি কী করবেন। এই ঘটনা সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে অনলাইন ক্লাস এর সুবিধা এবং অসুবিধা। এই ঘটনার ফলে শ্রীরাম ভাইরালও হয়েছিলেন।-সুত্র কালের কণ্ঠ

  • CSOs and coastal MPs Demand BDT 150 Billion for Coastal Embankment and Inclusion of Local Government in Embankment Management

    CSOs and coastal MPs Demand BDT 150 Billion for Coastal Embankment and Inclusion of Local Government in Embankment Management

    Dhaka, 12 June 2021. Coastal Members of Parliament (MPs), Civil Society Organizations (CSOs), and experts urged a budget allocation of at least BDT 15000 crore from revenue in the national budget 2021-22 for the coastal protection, particularly for climate-resilient embankment construction. Today from a virtual seminar, speakers also suggested that the government develop an embankment maintenance strategy and ensure effective involvement of local government in the process. The seminar was organized jointly by COAST foundation, Center for Sustainable Rural Livelihood (CSRL), Center for Participatory Research & Development (CPRD), and Coastal Livelihood and Environmental Action Network (CLEAN).

    Mr. Saber Hossain Chowdhury MP and the Chair of Parliamentary Standing Committee on Ministry of Forest, Environment and Climate Change was the Chief Guest of the seminar while it was moderated by Mr. Rezaul Karim Chowdhury of COAST and Ziaul Hoque Mukta of CSRL. Mr. Narayon Chandra Chanda MP Khulna-5, Mr. Mir Mushtaque Ahmed Robi MP Satkhira-2, Mr. Nurunnabi Chowdhury MP Bhola-3, Mr. Nahim Razzaq MP Shariatpur-3, Mr. Asheq Ullah Rafiq MP Cox’s Bazar-2, Mr. Shameem Haider Patwary MP Gaibandha-1, Mr. Zafar Alam MP Cox’s Bazar-1, Dr. Ainun Nishat, Professor Emeritus BRAC University, Md Shamsuddoha of CPRD and Hasan Mehedi of CLEAN also spoke at the occasion. The keynote was presented by Syed Aminul Hoque of COAST.

    In a keynote presentation, Aminul Hoque of COAST said that, every year cyclone and monsoon floods are damaging the livelihood structures of the coastal areas and cause suffering of the coastal people. But the government has ignored  the sufferings and proposing a  conventional budget for embankment construction which is not appropriate to address the issues. He put three demands, such as (i) Government have to allocate at least BDT 150 billion [15000 crore] every year as the minimum requirement for embankment construction (ii) Local governments have to be given mandate with a budget for embankment maintenance and (iii) Govt. should have a plan of alternatives for coastal protection especially for natural protection, skill-oriented education to facilitate employment for the coastal population while they migrate, govt should also ensure ith water & sewerage facilities in cities. 

    Saber Hossain Chowdhury MP said that a national risk assessment is needed that will support the government in allocating appropriate resources. He demanded a roadmap on this issue along with preparing an embankment policy.

    Dr.Ainun Nishat said,  political biases should be minimized for prioritization and budget allocation that is absent in embankment planning. The projects under the “Delta Plan” have been taken without consideration of local knowledge. Mir Mushtaque Ahmed Robi MP said, investment in coastal protection will return double. So the budget must be increased. 

    Asheq Ullah Rafiq MP said, we are unable to ensure tidal surge based forecasting. That’s why some areas of Cox’s Bazar district were affected and damaged recently. We need a district-wise budget for the embankment. MP Nahim Razzaq said, comprehensive water management system and planning is very essential to reduce the effect of coastal disaster. This only possible by ensuring inter-ministerial coordination. We can form a “Caucus” with coastal MPs to strengthen the advocacy on this issue. Shameem Haider Patwary MP said that embankment construction strategy and approach will have to be integrated with all sort of economic activities than it will get priority to government.

    Rezaul Karim Chowdhury called for a long-term integrated and eco-system-based disaster risk reduction program for coastal protection, which would include migration-facilitated education for coastal residents.

    According to Ziaul Hoque Mukta, embankments must be evaluated and prioritized based on disaster impact, and solutions must take into account the agro-ecological settings There should be coordination in the planning and implementation where NGOs, people representatives also be a part of the government.

  • উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উপকূলীয় এমপিদের

    উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি উপকূলীয় এমপিদের

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ এমপি রবি’র

    • জহুরুল কবীর:

    উপকূলীয় সুরক্ষার জন্য রাজস্ব থেকে জলবায়ু পরিববর্তন মোকাবেলায় সক্ষম বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ, জনপ্রতিনিধি এবং নাগরিক সমাজ। গতকাল আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সেমিনারে বক্তাবৃন্দ বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ত্বরান্বিত করতে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেন। ‘বাজেট ২০২১-২২: উপকূলীয় সুরক্ষা’ শীর্ষক এই সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল), সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্ট একশান নেটওয়ার্ক (ক্লিন)।


    কোস্ট ফাউন্ডেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী এবং সিএসআরএলের জিয়াউল হক মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি। সেমিনারে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা হলেন নারায়ণ চন্দ্র এমপি (খুলনা-৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি, (সাতক্ষীরা-২), জনাব নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি (ভোলা-৩), নাহিম রাজ্জাক এমপি (শরীয়তপুর -৩), আশেক উল্লাহ রফিক এমপি (কক্সবাজার -২), শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি (গাইবান্ধা -২), জাফর আলম এমপি (কক্সবাজার -২)। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. আইনুন নিশাত, সিপিআরডির মোঃ শামসুদ্দোহা এবং ক্লিন-খুলনার হাসান মেহেদী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের সৈয়দ আমিনুল হক।


    এছাড়া প্রগতি পরিচালক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, দৈনিক দক্ষিণের মশালের বার্তাসম্পাদক জহুরুল কবীর প্রমুখ।


    সৈয়দ আমিনুল হক উল্লেখ করেন, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ উপকূলীয় এলাকার জীবিকার কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং দরিদ্র লোকেরা সবচেয়ে ঝুঁকির থাকা উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এরপরেও বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকার বাজেট বরাদ্দ গতানুতিক এবং সংকট মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত। তিনি তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করেন: (১) বাঁধ নির্মাণের ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা হিসেবে সরকারকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, (২) তাৎক্ষণিক বাঁধ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় সরকারকে বাজেটসহ দায়িত্ব দিতে হবে এবং (৩) উপকূলীয় সুরক্ষা, বিশেষত প্রাকৃতিক সুরক্ষা, উপকূলীয় মানুষের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে একটি কার্যকরী বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে এবং শহরের পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনীকায়নের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।


    সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি বলেন, যে একটি জাতীয় ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রয়োজন, যা সরকারকে উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দের দিক-নির্দেশনা দিতে পারে। বেড়িবাঁধ উন্নয়ন নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি আমরা এই বিষয়ে একটি রোডম্যাপের জন্য কাজ করছি। এটি সত্য ডে, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যতীত উন্নত বাংলাদেশের কল্পনা করা অসম্ভব, তাই উপকূলের সমস্যাকে কোনও অঞ্চলের আলাদা কোনও সমস্যা হিসেবে বিবেচনা না করে এটিকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।


    ডাঃ আইনুন নিশাত বলেন, বাজেট বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে, বাঁধ বিষয়ক পরিকল্পনায় এই পরিস্থিতি অনুপস্থিত। ‘ডেল্টা প্ল্যান’ এর আওতাধীন প্রকল্পগুলি পরবর্তী পঞ্চাশ বছরের দুর্যোগ পূর্বাভাসকে বিবেচনা না করেই গ্রহণ করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোশতাক আহমেদ রবি এমপি বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে সেটা জাতীয় অর্থনীতিতে দ্বিগুণ ফেরত দিতে পারে। আমরা স্থায়ী সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদলে বাঁধের তাৎক্ষণিক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের স্থানীয় সরকারকে বেড়িবাঁধ বাজেট প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করারও সুপারিশ করেন। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে আমরা জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিতে পারছি না। এ কারণেই কক্সবাজার জেলার কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সময়োপযোগী এবং বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিতে হবে। সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, উপকূলীয় বিপর্যয়ের প্রভাব হ্রাস করতে পানি ব্যবস্থাপনার ও পরিকল্পনার জন্য ব্যাপক আয়োজন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটিই সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নিশ্চিত করার মাধ্যমে।

    আমরা এই বিষয়ে নীতি প্রণয়ন জোরদার করতে উপকূলীয় সাংসদদের নিয়ে একটি ‘ককাস’ গঠন করতে পারি। সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন যে, বেড়িবাঁধ নির্মাণ কৌশল এবং পদ্ধতিকেসরকারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। এটা করা সম্ভভ হলে এটি অগ্রাধিকার পাবে। এর জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় প্রয়োজন।


    রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত এবং দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য পরিবেশ বান্ধব নীতিমালা তৈরি করতে হবে। এই নীতিমালায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প আয় তৈরিতে সক্ষম শিক্ষা বিস্তারকেও অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।

    দুর্যোগের প্রভাবের উপর ভিত্তি করে বাঁধগুলোর একটি মূল্যায়ন হতে হবে, এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রতিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনা করেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এনজিও, জনপ্রতিনিধি এবং সরকার- সকালের অংশ্রগহণের ভিত্তিতে একটি সুসংহত পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন।

    জিয়াউল হক মুক্তা
  • উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ্উপকুলের মানুষের নির্ঘুম রাত

    উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে ্উপকুলের মানুষের নির্ঘুম রাত

    মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ছাপিয়ে আবারো বিস্তীর্ণ প্রতাপনগর অঞ্চল প্লাবিত হতে হয়েছে। জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। বেড়িবাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছে উপকূলীয় এলাকার মানুষেরা। ঘুর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসী। উপকূলীর মানুষেরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করছে।