Category: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন

  • গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা

    গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা

    আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : দ্রুত ত্রাণ না পৌঁছালে ফিলিস্তিনের গাজায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল টম ফ্লেচার বলেছেন, ‘আমি যতটা পারি এই ১৪ হাজার শিশুকে রক্ষা করতে চাই’। খবর বিবিসি’র।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার বন্যা বইয়ে দেয়া দরকার। সেখানে আরও সহায়তা নেয়া যায় কি-না সেটাই হবে জাতিসংঘের ‘সত্যিকার পরীক্ষা’।

    আরো সহায়তা না পেলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে- এটি জাতিসংঘ কীভাবে ঠিক করলো, বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে টম ফ্লেচার বলেন, ‘সেখানে আমাদের শক্তিশালী টিম আছে এবং অবশ্যই তাদের অনেকে নিহত হয়েছে। তারপরও এখনো আমাদের অনেকে লোকজন আছে সেখানে। তারা চিকিৎসা কেন্দ্রে আছে, স্কুলে আছে।…. আরও মূল্যায়নের চেষ্টা করছে।’

    এদিকে টানা তিনমাসের ইসরায়েলি অবরোধের পর অবশেষে গাজায় প্রবেশ করেছে ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ৫টি ট্রাক। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) কেরেম শালোম সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করে শিশুখাদ্যসহ জরুরি সাহায্য বহনকারী এই ট্রাকগুলো।

    জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত প্রায় ২০ লাখ গাজাবাসীর জন্য এই সহায়তাকে তিনি ‘জলাশয়ে একটি বিন্দুর মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন।

    টম বলেন, গাজায় প্রচুর পরিমাণে সহায়তা প্রয়োজন। মার্চ মাসে ইসরায়েল যখন সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ করেছিল, তখন প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করত।

    তিনি জানান, জাতিসংঘের আরও চারটি ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। সেগুলো মঙ্গলবার প্রবেশ করতে পারে। স্থল পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হওয়ায় এসব জরুরি সহায়তা সামগ্রী লুট বা চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, কারণ সম্পদ দিন দিন কমে আসছে।

    গত ২ মার্চ সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অযুহাতে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এরপর টানা তিনমাস ধরে চলে এই অবরোধ। একটু একটু করে ফুরিয়ে আসে গাজার খাবার,ঔষধসহ জরুরি সব জিনিস। বিশেষত ক্ষুধার জ্বালায় ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে বাসিন্দাদের প্রাণ। এমনকি ইসরায়েলের বোমা থেকে ক্ষুধাকে বেশি ভয় পেতে শুরু করেন গাজাবাসী। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ আসতে শুরু করে।

    এদিকে ইসরায়েলের এই পাঁচ ট্রাক সহায়তাকে ‘একদম অপ্রতুল’ বলে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের জন্য তারা নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় নির্মম হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

  • ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    ফিলিস্তিনে মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও মোদি সরকারের মদদে ভারতীয় মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সাতক্ষীরার সর্বস্তরের ছাত্র জনতা।

    সোমবার (৭ এপ্রিল ) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে   সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।

    বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’; ‘দুনিয়ার মজলুম এক হও লড়াই করো’; ‘ওহুদের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’; ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’সহ ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় তাঁদের হাতে হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

    এসময় শিক্ষার্থী নয়ন বাবু বলেন, ইসরায়েল গাজা ও রাফা সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। পশ্চিমা বিশ্ব একদিকে মানবতার কথা বললেও, অন্যদিকে ফিলিস্তিনে এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা অবিলম্বে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।এসময় তিনি আরো বলেন”ভারতের সাম্প্রতিক মুসলিম-বিরোধী নীতিরও কড়া সমালোচনা করা হয় সমাবেশে। বক্তারা বলেন, ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়ার আরেক ইসরায়েল। তারা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই যে মুসলিম-বিরোধী বিল পাস হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি”।

  • গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল

    গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল

    ছোট্ট একটি শিশু গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখে কোনো স্বাভাবিক মানুষই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ওই ভিডিও ক্যাপশনে দাবি করা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে একটি ভবনের নিচে আটকা পড়েছে শিশুটি।

    এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ক্রমাগত বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই খাবার, পানি- এমনকি বেঁচে থাকার ন্যূনতম পরিবেশ। তারপরও গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরই মধ্যে হৃদয় বিদারক ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, যেন কোনো ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে ওই নিষ্পাপ শিশু। ছোট একটি ছিদ্র দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে হাত। অবুঝ শিশুটির মুখে তখনও হাসি লেগে আছে। আর এই দৃশ্যই সবার বুকে শেলের মতো আঘাত হেনেছে। অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ওই ভিডিও শেয়ার করেছে। তবে ফ্যাক্টচেকে ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    নেট ঘেঁটে দেখা যায়, ভিডিওটি প্রথম আপলোড করা হয় একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে মূল ভিডিওকে ডাউনলোড করে আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে রিপোস্ট করা হয়। সেখানেই দাবি করা হয়, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া শিশুটি গাজার। তবে টিকটকের যে অ্যাকাউন্টে (userftdvvrl92i) ওই শিশুর ভিডিও আপলোড করা হয়, সেটি ঘেঁটে ওই শিশুর আরও ভিডিও পাওয়া যায়।

    মিশর ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট আকবর মিটার বলছে, মূল ভিডিওটি শনিবার (২৬ অক্টোবর) টিকটকে পোস্ট করা হয়। সেটি ৭০ লাখের মতো মানুষ দেখেছে। পরদিন শিশুটির গায়ে লাল রঙের জামা চড়িয়ে আরেকটি ভিডিও করা হয়। সেখানে আগের ভিডিও নিয়ে ব্যাখ্যা দেন শিশুটির মা। তিনি জানান, শিশুটি গাজার নয় বরং সিরিয়ার। তার মেয়ে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে এটা সত্য নয়। আলহামদুলিল্লাহ তার সন্তানের কিছুই হয়নি।

  • হিজবুল্লাহর হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত

    হিজবুল্লাহর হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত

    লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহরহাম লায় নতুন করে পাঁচ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। স্থল হামলায় অংশ নিতে লেবাননে যাওয়ার পর গতকাল রাতে হামলার মুখে পড়ে তারা। এতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ১৯ সেনা আহত হয়েছে। আহত ১৯ জনের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।

    তারা সবাই ৮নং আর্মড ব্রিগেডের ৮৯তম ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ সেনা ছিলেন। এরমধ্যে মাওরি নামের এক সেনা ব্যাটালিয়নের উপকমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তাদের প্রাথমিক তথ্যে জানিয়েছে, নিহত এসব সেনা দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় তাদের লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা রকেট ছোড়েন। হামলার মুখে পড়ার সময় ওই সেনাদের কাছে রসদ/অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছিল অন্যান্য সেনারা।

    প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, রসদ গ্রহণের যে মিটিং পয়েন্ট ছিল সেখানে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়ে হিজবুল্লাহ। যারমধ্যে একটি রকেট আঘাত হানে একটি বাড়িতে। যেটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেনারা। যারা রসদ পৌঁছে দিতে গিয়েছিল তাদের মধ্যেও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

    আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া আজ সকালে দক্ষিণ লেবাননে আরেক সেনা আহত হয়েছেন। তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গতকাল যে পাঁচ সেনা নিহত হয়েছেন তার মধ্যে একজনের চাচাত ভাই গাজায় জিম্মি অবস্থায় আটকা আছেন।

    সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

  • লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় শহরের মেয়র নিহত

    লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় শহরের মেয়র নিহত

    লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলা/ ছবি: এএফপি

    লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাবাতিয়েহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় একটি সরকারি ভবনে হামলার ঘটনায় শহরের মেয়রসহ কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

    লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শহরের পৌরসভা ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে মেয়র আহমাদ কাহি ছাড়াও আরও চারজন নিহত হয়েছে।

    স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে আট দফার বেশি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছেন উদ্ধারকারী টিমের সদস্যরা। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

    এদিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, পৌরসভার কাউন্সিলের বৈঠকে ইচ্ছাকৃতই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শহরের সেবা এবং ত্রাণ পরিস্থিতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হচ্ছিল।

    অপরদিকে ভয়াবহ ওই হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা নাবাতিয়েহ শহরে হিজবুল্লাহর বেশ কিছু

    এর আগে লেবাননের কানা গ্রামের একটি বাড়ি ও হেল্থকেয়ার সেন্টারে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালেও ওই গ্রামে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছিল দখলদার বাহিনী।

  • ইসরায়েলি সেনাদের একযোগে চাকরি ছাড়ার হুমকি 

    ইসরায়েলি সেনাদের একযোগে চাকরি ছাড়ার হুমকি 

    একযোগে চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন একদল ইসরায়েলি সেনা। বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি সফল না হলে একযোগে ইসরায়েলের ১৩০ সেনা চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। বুধবার তারা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন।

    ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, চিঠিতে ইসরায়েলের ১৩০ সেনা স্বাক্ষর করেছেন। তারা জানিয়েছেন যে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি সফল না হলে আর সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন না। ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধানকে উদ্দেশ্যে করে তারা এ চিঠি লিখেছেন।

    চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ইউনিটের রিজার্ভ ফোর্স ও নিয়মিত সেনারা রয়েছেন। তাদের মধ্যে আর্মার্ড কর্পস, আর্টিলারি কর্পস, হোম ফ্রন্ট কমান্ড, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।

    গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরোধিতা করে তারা বলেন, এ সংঘাত বন্দিদের মুক্তিকে বিলম্বিত করছে। এ ছাড়া এটি তাদের জীবনের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেননা আইডিএফের হামলায় অনেক জিম্মি নিহত হয়েছেন। সামরিক অভিযানে তাদের রক্ষা করার পরিবর্তে তাদের অনেকে মারা গেছেন।

    তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার জিম্মিদের বিনিময়ের চুক্তির দিকে না আগালে আমরা যোগদান করব না। আমাদের মধ্যে কয়েকজনের ইতোমধ্যে রেড লাইন পার হয়ে গেছে। এছাড়া অন্যদেরও সেই সময় দ্রুত চলে আসছে।

    এর আগে গাজায় যুদ্ধের বর্ষপূতি উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় হামাসের সামরিক মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেন, যখন জিম্মিদের কথা আসে– আমি দখলদারদের এবং জিম্মিদের পরিবারকে বলতে চাই, আপনারা এক বছর আগে সমস্ত জিম্মিকে জীবিত মুক্ত করতে পারতেন। কিন্তু নেতানিয়াহুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা সবসময় জিম্মিদের বিরুদ্ধে এবং জিম্মিদের পরিবারের বিরুদ্ধে ছিল।

    হামাসের এ মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকেই জিম্মিদের নিরাপদ স্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ আমরা আমাদের ধর্মের নিয়ম এবং মানবতার নিয়ম মেনে চলি। বন্দি বিনিময়ের জন্য আমরা তাদের নিরাপদ স্থানে রেখেছি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাতদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

  • স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিন: স্বীকৃতি দিলো স্পেন-নরওয়ে

    আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন ও নরওয়ে

    অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের দুই দেশ স্পেন ও নরওয়ে। শিগগিরই ইউরোপের আরেক দেশ আয়ারল্যান্ডও একই পথে হাঁটবে বলে জানিয়েছে। যদিও স্পেন এবং নরওয়ের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিব বলেছে, সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মাঝে স্পেন ও নরওয়ের এমন সিদ্ধান্ত হামাসের জন্য পুরস্কার।

    ইউরোপের তিন দেশ মনে করে, তাদের এই সিদ্ধান্তের শক্তিশালী প্রতীকী প্রভাব রয়েছে; যা অন্যান্যদের অনুসরণে উৎসাহ জোগাবে। মঙ্গলবার নরওয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড এই পদক্ষেপকে ‌‌‘‘নরওয়ে-ফিলিস্তিন সম্পর্কের জন্য বিশেষ দিন’’ বলে অভিহিত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘‘৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সবচেয়ে উৎসাহী রক্ষকদের অন্যতম নরওয়ে।’’ নরওয়ের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই স্পেনও ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পেনের সরকারের মুখপাত্র পিলার অ্যালেগ্রিয়া নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যরা এটাকে ‘‘এক ঐতিহাসিক দিন’’ বলে অভিহিত করেছেন।

    এর আগে, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, এই ধরনের স্বীকৃতি শান্তির জন্য অপরিহার্য। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তার দেশের এই পদক্ষেপ ‘‘কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।’’ ইসরায়েলের পাশে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করার একমাত্র উপায় এই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র।

  • তুরস্ক ইসরায়েলে সব ধরণের পণ্য রফতানি নিষিদ্ধ করেছে

    ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভে অংশ নেয় মেডিকেল পড়ুয়ারা: রয়টার্স
    বিশ্বের যেখানে মুসলিমরা নির্যাতিত সেখানে তুরস্কের ভূমিকা থাকবেই। অসহায় মুসলিমদের পাশে দাঁড়ান তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। তিনি বরাবর ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে থাকে। কথা বলেন স্বাধীনতার পক্ষে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদেরকেও তুরস্ক সহযোগিতা করে থাকে।

    এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে সব ধরণের পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তুরস্ক। ৫৪ ক্যাটাগরিতে তুরস্ক থেকে দেশটিতে পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

    গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তেল আবিবের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী। অবিলম্বে সিদ্ধান্ত কার্যকরে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে। গাজায় ছয় মাসের যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এটিই আঙ্কারার নেয়া প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আশা করা হচ্ছে আঙ্কার পথে আরও দেশ এগিয়ে আসবে।

    জানা যায়, গাজায় তুরস্ককে এয়ার ড্রপ পদ্ধতিতে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেয়নি তেল আবিব। আর তাই ক্ষুব্ধ হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। লোহা, ইস্পাত, নির্মাণ সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন পন্য ইসরায়েলে রফতানিতে থাকবে নিষেধাজ্ঞা। এতে দখলদার ইসরায়েল মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।

    দমআ/